বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫

IT recruitment in Saudi Arabia, along with key information

It's important to approach job searching with diligence, especially when dealing with international recruitment. Here's a breakdown of some reputable agencies that specialize in IT recruitment in Saudi Arabia, along with key information:

Key Recruitment Agencies:

Important Considerations:

  • Verification: Always verify the legitimacy of any recruitment agency before providing personal information or paying any fees.
  • Saudi Labor Laws: familiarize yourself with Saudi Arabia's labor laws and visa requirements.
  • Online Platforms: Utilize online job boards like LinkedIn, Indeed, and Bayt.com, which are popular in the Middle East.
  • Professional Networking: Network with IT professionals in Saudi Arabia through online platforms and industry events.

Tips for Your Job Search:

  • Tailor Your Resume: Customize your resume to highlight your IT skills and experience relevant to the Saudi Arabian market.
  • Highlight Certifications: IT certifications are highly valued.
  • Learn Basic Arabic: Even basic Arabic language skills can be an advantage.

I hope this information helps you in your job search.

শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫

প্লেনে ফোন ফ্লাইট মোডে রাখতে বলা হয় কেন

প্লেনে ফোন ফ্লাইট মোডে রাখতে বলা হয় কেন

প্লেনে ফোন ফ্লাইট মোডে রাখতে বলা হয় কেন?

ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনের (এফসিসি) দাবি, সেলফোন বা এ ধরনের ডিভাইসগুলোর রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি প্লেনের নেভিগেশন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ কারণে, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) প্লেন উড়ানের সময় এবং অবতরণের সময় কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে নিষেধ করে।

ফ্লাইট মোড সাময়িকভাবে ফোন বা ল্যাপটপের ডেটা ট্রান্সমিটার এবং রিসিভারের সিগন্যালগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। অর্থাৎ ডিভাইসে কোনও ডেটা পাঠানো বা গ্রহণ করা যায় না। ফলে ব্যবহারকারী কোনও কল করতে, টেক্সট মেসেজ করতে বা মেল পাঠাতেও পারবেন না।

কেন স্মার্টফোন ক্যামেরায় থাকে তিন বা চারটি লেন্স

কেন স্মার্টফোন ক্যামেরায় থাকে তিন বা চারটি লেন্স

কেন স্মার্টফোন ক্যামেরায় থাকে তিন বা চারটি লেন্স?

একাধিক লেন্সের প্রয়োজনীয়তা
ডিএসএলআর ক্যামেরায় বিভিন্ন ধরনের শট নেওয়ার জন্য লেন্স পরিবর্তনের সুবিধা থাকে। তবে, স্মার্টফোনের আকার ছোট হওয়ায় এতে বারবার লেন্স পরিবর্তনের সুযোগ নেই। এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে তুলতে স্মার্টফোন নির্মাতারা একাধিক ক্যামেরা সেন্সর যুক্ত করেছেন, যেখানে প্রত্যেক ক্যামেরার আলাদা ফোকাল লেংথ ও সক্ষমতা রয়েছে।

ক্যামেরা অ্যাপে আলট্রা-ওয়াইড, টেলিফটো বা ম্যাক্রো অপশন নির্বাচন করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্দিষ্ট ক্যামেরা সেন্সর নির্বাচন হয়, যা উন্নত মানের ছবি তুলতে সাহায্য করে।

একাধিক ক্যামেরার ভূমিকা
বর্তমানে আইফোন ১৬ প্রো, গুগল পিক্সেল ৭ প্রো, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ২৫ ও ওয়ানপ্লাস ১৩-এর মতো জনপ্রিয় স্মার্টফোনগুলোতে তিনটি ক্যামেরা থাকে।

প্রধান তিনটি ক্যামেরার কাজ:

প্রাইমারি ক্যামেরা (ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল):
সাধারণ ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত হয়।
এটি সাধারণত সবচেয়ে শক্তিশালী ও উচ্চ মেগাপিক্সেলের হয়ে থাকে।

আলট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা:
আরও বিস্তৃত ভিউ ধারণ করতে পারে।
গ্রুপ ফটো বা ল্যান্ডস্কেপ শট তোলার জন্য উপযুক্ত।

টেলিফটো ক্যামেরা:
অপটিক্যাল জুমের মাধ্যমে দূরের বস্তু স্পষ্টভাবে ক্যাপচার করা যায়।
ডিজিটাল জুম বা ক্রপিং ছাড়াই ছবির মান বজায় থাকে।
কিছু স্মার্টফোন, যেমন স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ২৫ আল্ট্রা, চারটি ক্যামেরা যুক্ত করেছে। এখানে চতুর্থ ক্যামেরাটি পেরিস্কোপ টেলিফটো, যা টেলিস্কোপিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূরবর্তী বস্তুর স্পষ্ট ছবি তুলতে সাহায্য করে।

এছাড়া, কিছু স্মার্টফোনে মনোক্রোম সেন্সর যুক্ত থাকে, যা সাদা-কালো ছবি তুলতে ব্যবহৃত হয় এবং ছবির কনট্রাস্ট ও বিস্তারিত ডিটেইলস উন্নত করে।

একাধিক ক্যামেরার সমন্বিত কাজ
স্মার্টফোনের ছবির মান শুধু ক্যামেরার সংখ্যা নয়, বরং ইমেজ প্রসেসিংয়ের ওপরও নির্ভর করে।

গুগল পিক্সেল ৩ ও তার আগের মডেলগুলো মাত্র একটি ক্যামেরা ব্যবহার করেও উন্নতমানের ছবি তুলতে সক্ষম ছিল, কারণ এতে কম্পিউটেশনাল ফটোগ্রাফি ব্যবহৃত হয়েছে।

কম্পিউটেশনাল ফটোগ্রাফি কীভাবে কাজ করে?

বিভিন্ন ক্যামেরা থেকে নেওয়া তথ্য একত্রিত করে উন্নতমানের ছবি তৈরি করা হয়।
পোর্ট্রেট মোডে ছবি তুললে, ক্যামেরা বিষয়বস্তুর গভীরতা পরিমাপ করে পটভূমিকে ব্লার করে বোকেহ ইফেক্ট তৈরি করে।
মনোক্রোম সেন্সর থাকলে, এটি কনট্রাস্ট ও বিস্তারিত ধরে রাখে এবং অন্য ক্যামেরা রঙের তথ্য যোগ করে আরও স্পষ্ট ছবি তৈরি করে।

অ্যাপ ডাউনলোড করার পর ফোন হ্যাং হলে কী করবেন

অ্যাপ ডাউনলোড করার পর ফোন হ্যাং হলে কী করবেন

অ্যাপ ডাউনলোড করার পর ফোন হ্যাং হলে কী করবেন?ফোনে নানান কাজে অ্যাপ ডাউনলোড করছেন যে কোনো সময়। তবে স্মার্টফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করে দেখলেন, মোবাইলটি ঘনঘন হ্যাং হচ্ছে, বা স্মার্টফোন দ্রুত গরম হচ্ছে বা চার্জও থাকছে না বেশিক্ষণ। এমন হলে সতর্ক হোন। বিপদ থাকতে পারে ডাউনলোড করা অ্যাপের মধ্যেই। জেনে নিন এসময় কী করবেন, কী করবেন না-

অ্যাপ ডাউনলোড করুন সব সময়ে ট্রাস্টেড প্ল্যাটফর্ম থেকে। যেমন- বৈধ ও নিরাপদ ওয়েবসাইট অথবা অথরাইজড অ্যাপ স্টোর থেকে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও বিজ্ঞাপন দেখে অথবা কোনো ফরোয়ার্ডেড লিঙ্ক বা মেসেজ থেকে কোনও অ্যাপ কখনো ডাউনলোড না-করাই ভালো।

কোনো অ্যাপ স্মার্টফোনে ডাউনলোড করার সময়ে ভালো কররে দেখে নিন, তাকে কোন কোন তথ্য ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছেন। একান্ত ব্যক্তিগত কোনো তথ্য, ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড নম্বর, ব্যাঙ্ক ডিটেলস, আধার-প্যান নম্বর এমন সব তথ্য চাওয়া হলে অবশ্যই সতর্ক হোন।

কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে তার বিস্তারিত আগে দেখুন। এর আগের ব্যবহারকারীরা অ্যাপটি সম্পর্কে কী রেটিং দিয়েছেন, এর কোনো খারাপ দিকের কথা উল্লেখ করেছেন কি না, সেগুলো দেখে নিন।

অ্যাপ প্রস্তুতকারী সংস্থাটি সম্পর্কেও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করুন অ্যাপ ইনস্টল করার আগে।

আপনার স্মার্টফোনে ট্রাস্টেড অ্যান্টি-ভাইরাস ও অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার অবশ্যই ইনস্টল করে রাখুন। তাতে কোনও ম্যালিশিয়াস অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে আপনার কাছে সতর্কবার্তা চলে যাবে।

অনেক সময়ে প্রতারকরা হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামে গ্রুপ তৈরি করে নতুন কাজের সুযোগ দেওয়ার নাম করে বিশেষ অ্যাপ ডাউনলোডের পরামর্শ দেয়। এরকম কোনও অ্যাপ ডাউনলোড না-করাই ভালো।

সাম্প্রতিক অতীতে কম ইনভেস্টমেন্টে বেশি লাভের টোপ দিয়ে অনেক লোন-অ্যাপ বাজারে ছাড়ছে প্রতারকরা। এরকম অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না।

অনেক সময়ে আবার আপনাকে কোনো সার্ভিস প্রোভাইডারের নাম করে মোবাইলে রিমোট অ্যাপ ডাউনলোডের টোপ দিতে পারে প্রতারকরা। সেটা করবেন না। কারণ, এতে আপনার মোবাইলের দখল রিমোটেই নিয়ে নিতে পারে প্রতারকরা।

যে সব মোবাইল অ্যাপ আপনি দীর্ঘদিন ব্যবহার করছেন না, সেগুলো আন-ইনস্টল করে দেওয়াই ভালো। নাহলে সেগুলি আপডেট হতে থাকবে, আপনার স্মার্টফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চালুও থাকবে, তাতে মোবাইলের চার্জ তাড়াতাড়ি চলে যেতে পারে। ফোন হ্যাংও হতে পারে।

চ্যাটজিপিটি-৪.৫ আবেগ বোঝে, উত্তর দেবে আরও বাস্তবসম্মতভাবে

চ্যাটজিপিটি-৪.৫ আবেগ বোঝে, উত্তর দেবে আরও বাস্তবসম্মতভাবে

চ্যাটজিপিটি-৪.৫: আবেগ বোঝে, উত্তর দেবে আরও বাস্তবসম্মতভাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কোম্পানি ওপেনএআই গত বৃহস্পতিবার তাদের নতুন মডেল জিপিটি-৪.৫ উন্মোচন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি অনুযায়ী, এটি তাদের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী মডেল। আগের মডেলগুলোর তুলনায় এটি আরও ভালোভাবে আবেগ বুঝতে পারে এবং সংবেদনশীলভাবে উত্তর দিতে সক্ষম।

আরও ‘বড়’ ও ‘ব্যয়বহুল’ মডেল
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যান বলেন, "জিপিটি-৪.৫-এর সঙ্গে কথা বললে মনে হবে যেন একজন চিন্তাশীল মানুষের সঙ্গে কথা বলছি।" তিনি আরও বলেন, "এটি এমন একটি মডেল, যা আমাকে চমকিত করেছে এবং সত্যিকারের ভালো পরামর্শ দিয়েছে।"

তিনি জানান, এই মডেলটি আরও ‘বড়’ এবং ‘ব্যয়বহুল’ হবে। প্রতিষ্ঠানটি একই সঙ্গে পেইড সাবস্ক্রিপশন স্তর (প্লাস ও প্রো) চালু করতে চাইলেও পর্যাপ্ত জিপিইউ (gpu) না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তবে পরবর্তী সপ্তাহে আরও হাজার হাজার জিপিইউ যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে এবং প্রথমে প্লাস ব্যবহারকারীদের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হবে।

আরও স্মার্ট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
সিলিকন ভ্যালিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেলগুলোর উন্নয়ন নিয়ে নানা মতপার্থক্য রয়েছে। তবে জিপিটি-৪.৫ প্রমাণ করেছে যে, বেশি ডেটা ও কম্পিউটেশনাল শক্তি ব্যবহার করলে মডেল আরও উন্নত হয়।

এক নিউজলেটারে ওপেনএআইয়ের প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা মার্ক চেন জানান, "মডেলটি আরও বড় এবং বেশি ডেটা ব্যবহারের পরও এর পারফরম্যান্স কমেনি।"

চেন আরও বলেন, "ওপেনএআই খুবই কঠোর ও সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে মডেল তৈরি করে। আগের মডেলগুলোর পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে পরবর্তী ফলাফল পূর্বানুমান করা হয় এবং স্কেলিং যন্ত্রপাতি তৈরি করা হয়।"

কম খরচে শক্তিশালী মডেল
মডেল প্রশিক্ষণের খরচ এখনো অনেক বেশি হলেও, বড় মডেল চালানোর জন্য সাশ্রয়ী কিছু পদ্ধতি খুঁজে পেয়েছে ওপেনএআই। ফলে জিপিটি-৪.৫ চালানোর খরচ জিপিটি-৪-এর তুলনায় অনেক কমে গেছে।

জিপিটি-৪.৫ মডেলটি গবেষণা প্রিভিউ হিসেবে উন্মুক্ত করা হয়েছে। এটি প্রথমে চ্যাটজিপিটি প্রো সাবস্ক্রাইবার ও এপিআই ডেভেলপাররা ব্যবহার করতে পারবে। পরবর্তী সময়ে প্লাস, টিম ও ইডিইউ ব্যবহারকারীদের জন্য চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, চ্যাটজিপিটি প্রো সাবস্ক্রিপশনের জন্য প্রতি মাসে ২০০ ডলার এবং প্লাস সাবস্ক্রিপশনের জন্য মাসে ২০ ডলার খরচ করতে হয়।

আরও নির্ভুল ও কম ভুল তথ্য
ওপেনএআই জানিয়েছে, জিপিটি-৪.৫ পূর্ববর্তী মডেলগুলোর তুলনায় আরও বেশি সঠিক এবং এতে ভুল তথ্য (Hallucination) তৈরির প্রবণতা অনেক কম।

শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ইউটিউবে বিজ্ঞাপন ছাড়াই দেখা যাবে ভিডিও

ইউটিউবে বিজ্ঞাপন ছাড়াই দেখা যাবে ভিডিও

ইউটিউবে বিজ্ঞাপন ছাড়াই দেখা যাবে ভিডিও
ইউটিউবে কিছুক্ষণ পরপর বিজ্ঞাপনের অত্যাচার বেশ বিরক্ত হয়ে পড়েন অনেকে। এর মধ্যে কিছু বিজ্ঞাপন আবার স্কিপ করাও যায় না। তবে যেসব ব্যবহারকারী বিজ্ঞাপন দেখতে চান না, তাদেরকে এই ঝামেলা থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে আসছে জনপ্রিয় এই প্ল্যাটফর্মটি। কোনো খরচ ছাড়াই বিজ্ঞাপন ফ্রি ভিডিও দেখতে পারবেন। 

জানা গেছে, শিগগিরি ইউটিউব নিয়ে আসছে প্রিমিয়াম লাইট প্ল্যান। তবে এই প্ল্যানে দেখতে পাবেন না কোনো মিউজিক ভিডিও। কিন্তু পডকাস্ট বা নির্দেশমূলক কনটেন্ট দেখা যাবে। যা অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন আমেরিকা, জার্মানি ও থাইল্যান্ডে শুরু হচ্ছে। গুগল পরীক্ষামূলক ভাবে এই প্ল্যান বাজারে নিয়ে আসছে। তবে আগামীতে আস্তে আস্তে বিশ্বের বাকি দেশগুলোতে শুরু হবে এই পরিষেবা। 

এছাড়াও ইউটিউব নিজেদের রেভিনিউ মডেলকে নতুন করে সাজাতে শুরু করেছে। ইউটিউবে যারা কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করছেন তারা যা আয় করেন ভবিষ্যতে সেই আয়ের পরিমাণ বাড়াতে চাইছে ইউটিউব। সেজন্য কেবল বিজ্ঞাপন বাবদ অর্থ থেকে আয় নয় আরো বেশি করে পেইড সাবস্ক্রিপশনের পথেও হাঁটতে চাইছে প্ল্যাটফর্মটি।

ইউরোপে শাস্তির মুখে গুগল

ইউরোপে শাস্তির মুখে গুগল

ইউরোপে শাস্তির মুখে গুগল
ইউরোপে শাস্তির মুখে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল। গুগলের বিরুদ্ধে ইউরোপে ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট (ডিএমএ) লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) অ্যান্টিট্রাস্ট রেগুলেটর এখনো বলবত আছে। যা অবস্থা তাতে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই গুগলকে মোটা অংকের অর্থ জরিমানা করতে পারে ইউরোপিয়ান কমিশন।

গুগলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের মোট বার্ষিক আয়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে প্রতিষ্ঠানটিকে।

নিজেদের সার্চ রেজাল্টে গুগলের প্রস্তাবিত পরিবর্তনসমূহ ইইউর অ্যান্টিট্রাস্ট পর্যবেক্ষক সংস্থার উদ্বেগ প্রশমিত করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, গুগলের প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোও দাবি করেছে যে, সার্চ রেজাল্টে গুগলের প্রস্তাবিত পরিবর্তনসমূহ ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

উল্লেখ্য, ইউরোপিয়ান কমিশন গত বছর মার্চ মাস থেকেই ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগে গুগলের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। তদন্তাধীন অভিযোগগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে, গুগল তাদের সার্চ ইঞ্জিনে গুগল ফ্লাইটস, গুগল হোটেলস ও গুগল শপিংয়ের মতো সার্ভিসগুলোকে অন্যায্যভাবে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। ফলে একই ধরনের সার্ভিস প্রদানকারী অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ইউরোপিয়ান কমিশন তদন্ত করে দেখছে, সেবাপ্রদানকারী অন্যান্য থার্ড-পার্টি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন আসলেই এমন বৈষম্যমূলক আচরণ করছে কি না।

গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত তাদের একটি ব্লগপোস্টের দিকে ইঙ্গিত করছে যেখানে প্রতিষ্ঠানটির ইউরোপ, মিডল ইস্ট ও আফ্রিকা অঞ্চলের (ইএমইএ) প্রতিযোগিতা-সম্পর্কিত বিষয়ের পরিচালক অলিভার বেথেল জানিয়েছেন যে, তার প্রতিষ্ঠান ভারসাম্যপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করতে ইউরোপিয়ান কমিশনের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ব্লগ পোস্টে বেথেল আরও বলেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বীদের সন্তুষ্ট করতে গুগলের সার্চ রেজাল্ট ফরম্যাটে পরিবর্তন আনার ফলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার তারা সরিয়ে নিতে পারেন।

উল্লেখ্য, ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট বা ডিএমএ অনুযায়ী, গুগলের মতো বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের প্ল্যাটফর্মে নিজস্ব পণ্য ও সেবার প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করতে পারে না। ইইউর এমন আইনের পেছনে যুক্তি হচ্ছে, সার্চ ইঞ্জিন একটি পাবলিক প্ল্যাটফর্ম যেখানে সবার সমান অধিকার থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন সাধারণ ব্যবহারকারীরা। সেখানে অ্যালগরিদমে পরিবর্তন এনে নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবার প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করার কোনো সুযোগ নেই।

ডিএমএর নীতিমালা অনুসারে, গুগলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের মোট বার্ষিক আয়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে প্রতিষ্ঠানটিকে। সার্চ ইঞ্জিনে পক্ষপাতমূলক আচরণ ছাড়াও আরও কয়েকটি বিষয়ে গুগলের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইউরোপিয়ান কমিশন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, গুগল তাদের অ্যাপ স্টোরের বাইরে অ্যাপ ডেভেলপারদের নিজেদের বিভিন্ন অফার বিনামূল্যে প্রচার করতে দেয় না।

হোয়াটসঅ্যাপে কেউ ব্লক করলে বুঝবেন যেভাবে

হোয়াটসঅ্যাপে কেউ ব্লক করলে বুঝবেন যেভাবে

হোয়াটসঅ্যাপে কেউ ব্লক করলে বুঝবেন যেভাবে
বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি মানুষ প্রতিদিন ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন। চ্যাট নিরাপত্তা, এইচডি কোয়ালিটি ছবি, ভিডিও আদান-প্রদান করা যায় খুব সহজে। প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো করতে নানান ফিচার যুক্ত করছে।

সারাক্ষণ বন্ধু, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করছেন। কেউ যদি আপনাকে না জানিয়ে ব্লক করে দেয় অনেক সময় বুঝতেই পারেন না। এটি কিন্তু খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। কয়েকটি বিষয় খেয়াল করুন-

খেয়াল করুন কোনো কোনো কনট্যাক্ট অনলাইন থাকলে আপনি তা দেখতে পেতেন। কিন্তু আচমকাই পাচ্ছেন না। তাহলে এটা সম্ভব যে আপনাকে ওই কনট্যাক্ট থেকে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। তবে এও হতে পারে ওই কনট্যাক্ট হয়তো প্রাইভেসে সেটিংস বদলে ইনফরমেশন হাইড করে রেখেছেন।

তার চেয়ে খেয়াল করুন আপনি মেসেজ পাঠালে দুটি না একটি, টিক দেখাচ্ছে। একটি টিকের অর্থ আপনার ফোন থেকে মেসেজটি চলে গিয়েছে। কিন্তু এখনো ডেলিভার্ড হয়নি। দুটি টিক অর্থে সেটা অন্য নম্বরটিতে চলে গিয়েছে। আর ‘সিন’ করলে তবে সেই ডাবল টিক নীলবর্ণ ধারণ করে। সুতরাং মেসেজ পাঠানোর পর অনেকক্ষণ কেটে গেলেও যখন সিঙ্গল টিক হয়েই থেকে যায়, তখনই বুঝে নিতে হবে তা ওই ফোনে ঢোকেনি। তার মানে আপনি ব্লক, তা হতেই পারে। তবে ইন্টারনেট না থাকলেও এরকম দেখাতে পারেন। ফলে নিশ্চিত হওয়ার জো নেই।

আপনি যে কনট্যাক্টকে নিয়ে সন্দেহ করছেন, আচমকাই যদি তার প্রোফাইল ছবিটি সরে যেতে দেখেন তাহলে ধরে নেওয়াই যায় আপনি ব্লকড।

ব্লক হয়েছেন কি না তা বোঝার আরও বড় উপায়, সেই কনট্যাক্টকে কল করতে গেলে কিংবা তাকে কোনো গ্রুপে অ্যাড করতে গেলে যদি ‘এরর’ মেসেজ আসে তাহলে ধরে নিতেই পারেন আপনি ব্লকড।

তবে এব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার আরও একটি উপায় আছে। আপনাদের কোনো ‘মিউচুয়াল কনট্যাক্ট’ থাকলে তাকে বলুন ওই নম্বরটির ‘লাস্ট সিন’ এবং প্রোফাইল ছবি তিনি দেখতে পাচ্ছেন কি না। যদি এর উত্তর ‘হ্যাঁ’ হয়, তাহলে নিশ্চিত ভাবেই আপনি ব্লকড।

আইফোন ১৬-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া

আইফোন ১৬-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া

আইফোন ১৬-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেশে বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের কমপক্ষে ৩৫ শতাংশ যন্ত্রাংশ স্থানীয়ভাবে তৈরি হওয়ার শর্ত পূরণ করতে না পারায় অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়া আইফোন ১৬ নিষিদ্ধ করে।

ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগ মন্ত্রী বলেছেন, অ্যাপল স্মার্টফোন এবং অন্যান্য পণ্যের জন্য উপাদান তৈরি করে এমন একটি কারখানায় এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে। এই বিনিয়োগের পাশাপাশি অ্যাপল স্থানীয়দের তাদের পণ্যের গবেষণা ও উন্নয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে।

তবে ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাপলের আইফোন তৈরি শুরু করার কোনও তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা নেই।

অন্যদিকে অ্যাপল এবং ইন্দোনেশিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

ভিডিও ও ছবি তৈরির এআই মডেল উন্মুক্ত করল আলিবাবা

ভিডিও ও ছবি তৈরির এআই মডেল উন্মুক্ত করল আলিবাবা

ভিডিও ও ছবি তৈরির এআই মডেল উন্মুক্ত করল আলিবাবা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির দুনিয়ায় নতুন চমক আনলো চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা। ভিডিও ও ছবি তৈরির এআই মডেল "ওয়ান ২.১" জনসাধারণের জন্য ওপেন সোর্স হিসেবে উন্মুক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে এটি সীমিত পরিসরে ডেভেলপারদের জন্য চালু ছিল। আজ বুধবার থেকেই এই মডেল ব্যবহার করা যাবে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ আলিবাবার গ্রহণযোগ্যতা বাড়াবে এবং এআই বাজারে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র করবে।

চীনের স্টার্টআপ ডিপসিক সস্তা ওপেন সোর্স এআই মডেল প্রকাশ করে ইতিমধ্যে প্রযুক্তি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। অনেকেই এর মডেলগুলোকে ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি-এর সঙ্গে তুলনা করছেন। তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আলিবাবা নতুন এআই মডেল উন্মুক্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।

চারটি সংস্করণ নিয়ে এল আলিবাবা
আলিবাবা জানিয়েছে, তারা ওয়ান ২.১-এর চারটি সংস্করণ প্রকাশ করেছে—

  •  T2V ১.৩ বি
  •  T2V ১.১৪ বি
  •  I2V ১৪ বি–৭২০পি
  •  I2V ১৪ বি–৪৮০পি

T2V সিরিজ টেক্সট ও ইমেজ ইনপুট থেকে ছবি ও ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম। "১৪ বি" মানে হলো—১৪ বিলিয়ন প্যারামিটার সমর্থন করে, যা আরও উন্নত ফলাফল দিতে পারে।

এখন কোথায় পাওয়া যাবে?
 আলিবাবার ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম "মডেলস্কোপ"
 "হাগিংফেস" প্ল্যাটফর্ম

নতুন নাম ‘ওয়ান’, শীর্ষে আলিবাবা!
আলিবাবা জানায়, জানুয়ারিতে সর্বশেষ সংস্করণ ওয়ান ২.১ উন্মোচন করেছিল। পরে এর নাম সংক্ষেপ করে "ওয়ান" রাখা হয়। এটি বাস্তবসম্মত ভিজ্যুয়াল তৈরির ক্ষমতার জন্য ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।

একটি সূচক "ভিডিওবেঞ্চ" অনুযায়ী, আলিবাবার এআই মডেল ভিডিও জেনারেশনে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে এবং মাল্টি-অবজেক্ট ইন্টারঅ্যাকশনসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সেরা হয়েছে।

নতুন রিজনিং মডেল ‘QWQ-Max’ আসছে!
গত মঙ্গলবার আলিবাবা ঘোষণা করেছে, তারা নতুন রিজনিং এআই মডেল "QWQ-Max" উন্মোচন করেছে। এটি সম্পূর্ণভাবে উন্মোচনের পর ওপেন সোর্স হিসেবে উন্মুক্ত করা হবে।

৫২ বিলিয়ন ডলারের বিশাল বিনিয়োগ!
আলিবাবা জানিয়েছে, আগামী তিন বছরে তাদের ক্লাউড কম্পিউটিং ও এআই অবকাঠামো উন্নয়নে ৩৮০ বিলিয়ন ইউয়ান (৫২ বিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগ করবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বিশাল বিনিয়োগ আলিবাবার এআই দুনিয়ায় নেতৃত্ব নেওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে স্পষ্ট করছে।

বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান গোপন সমঝোতা? চীনের অভিযোগ ঘিরে নতুন বিতর্ক

যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান গোপন সমঝোতা? চীনের অভিযোগ ঘিরে নতুন বিতর্ক

যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান গোপন সমঝোতা? চীনের অভিযোগ ঘিরে নতুন বিতর্ক

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিপ প্রস্তুতকারী কোম্পানি তাইওয়ানের টিএসএমসি। অ্যাপল ও এনভিডিয়া-এর মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান সরবরাহকারী এটি। বর্তমানে ইন্টেলের সঙ্গে অংশীদারত্ব নিয়ে আলোচনা করছে টিএসএমসি।

তবে টিএসএমসি বা ইন্টেল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি এবং তাইওয়ানের সরকার বলছে, তারা টিএসএমসি থেকে কোনো বিদেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব পায়নি।

অন্যদিকে, তাইওয়ানের সমালোচনা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, "তাইওয়ান যুক্তরাষ্ট্রের সেমিকন্ডাক্টর ব্যবসা নিয়ে যাচ্ছে। আমি চাই আরও বেশি চিপ যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত হোক।"

বেইজিংয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনের তাইওয়ান বিষয়ক অফিসের মুখপাত্র ঝু ফেংলিয়ান অভিযোগ করেন, "তাইওয়ানের মানুষ শঙ্কিত যে (টিএসএমসি) হয়তো ‘যুক্তরাষ্ট্রের চিপ উৎপাদনকারী কোম্পানি’ হয়ে উঠতে পারে।"

তিনি আরও বলেন, "নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য, ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) সরকার বাইরের শক্তির কাছে অবাধে দাবি জানাচ্ছে। তারা তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর শিল্প এবং শক্তিশালী কোম্পানিগুলো ব্যবহার করে বিদেশি দেশগুলোর কাছে স্বার্থের দরজা খুলে দিচ্ছে। এমনকি এই শিল্পগুলোকে ‘উপহার’ হিসেবে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে। চীনের দাবি, এটি আসলে স্বাধীনতার জন্য একটি হাতিয়ার।"

চীন তাইওয়ানকে তার নিজস্ব অঞ্চল হিসেবে দাবি করে। যদিও তাইপেই সরকার এর দৃঢ় বিরোধিতা করে। তবে তাইওয়ানের বিদেশি বিনিয়োগ অনুমোদন প্রক্রিয়ায় বেইজিংয়ের কোনো হাত নেই।

তবে চীনের এমন অভিযোগ নিয়ে এখন পর্যন্ত তাইওয়ান বা টিএসএমসি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।

গুগল মেসেজে পাঠানো যাবে এইচডি ছবি

গুগল মেসেজে পাঠানো যাবে এইচডি ছবি

গুগল মেসেজে পাঠানো যাবে এইচডি ছবি

মেসেজিংয়ের মাধ্যমে ছবি শেয়ারিংয়ের অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য বেশ কিছু নতুন ফিচার যুক্ত করেছে গুগল মেসেজেস। এসব ফিচারের মধ্যে রয়েছে উন্নত গ্যালারি, উন্নত ক্যামেরা ইন্টারফেস এবং এইচডি ছবি পাঠানোর সুবিধা।

এই আপডেটের একটি বড় সংযোজন হলো নতুন কোয়ালিটি সিলেক্টর, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ছবি পাঠানোর সময় তা সর্বোচ্চ রেজল্যুশনে পাঠাতে পারবেন। গ্যালারি খুলে একটি ছবি নির্বাচন করার পর স্ক্রিনের ওপরের ডান দিকে ক্যামেরা আইকনের পাশের এইচডিপ্লাস আইকনে ট্যাপ করলে এই অপশন দেখা যাবে। এখানে দুটি অপশন থাকবে। এক অপশনের মাধ্যমে ছবি কম্প্রেস করে আরসিএস মেসেজের অপটিমাইজড ফরম্যাটে পাঠানো হবে। আরেকটি অপশনের মাধ্যমে ছবিটি তার আসল রেজল্যুশনে পাঠানোর সুযোগ দেওয়া হবে, যাতে সর্বোচ্চ গুণমান বজায় থাকে।

আরেকটি বড় আপডেট হলো গুগল মেসেজেসে ইন্টিগ্রেটেড ক্যামেরার নতুন ইন্টারফেস। নতুন এই ইন্টারফেসে ক্যামেরার লাইভ ভিউ স্ক্রিনের ওপরের অংশে দেখা যাবে, যা স্ক্রিনের অর্ধেকেরও বেশি স্থান দখল করবে। এর নিচে ব্যবহারকারীরা তাদের ফোনের গ্যালারির ছয়টি সর্বশেষ ছবি দেখতে পারবেন। এ ছাড়া ছবি ও ভিডিও দ্রুত দেখার জন্য একটি অ্যাকসেস ট্যাব থাকবে। গ্যালারির প্রিভিউ সরাতে ব্যবহারকারীরা সহজেই নিচে স্ক্রল করতে পারবেন। আবার ওপরের দিকে স্ক্রল করলে পূর্ণ গ্যালারি দেখা যাবে। এ ছাড়া, একাধিক ছবি একসঙ্গে নির্বাচন করা যাবে, যার মধ্যে নতুন তোলা ছবি এবং পূর্বে সংরক্ষিত ছবিও থাকতে পারে।

আরেকটি ছোট কিন্তু কার্যকরী ফিচার হলো একটি টেক্সট ইনপুট বক্সের সংযোজন, যা নির্বাচিত ছবির নিচে থাকবে। এই সুবিধার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ছবি পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে তার পাশে একটি বার্তা টাইপ করতে পারবেন, যাতে ছবি এবং বার্তা একসঙ্গে পাঠানো যায়।

৯ টু ৫ গুগলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নতুন ফিচারগুলো গুগল মেসেজেসের বেটা সংস্করণ ‘২০২৫০২১৮ _ ০১ _আরসি ০০’ এবং তার পরবর্তী সংস্করণগুলোতে ইতিমধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এই আপডেটগুলোর মাধ্যমে মেসেজিং অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করার পথে এগিয়ে যাচ্ছে গুগল। আরসিএসভিত্তিক যোগাযোগ আরও সহজ এবং উন্নত হচ্ছে।

হঠাৎ ফেসবুকে বিভ্রাট

হঠাৎ ফেসবুকে বিভ্রাট

হঠাৎ ফেসবুকে বিভ্রাট

এদিন ডেস্কটপ কম্পিউটারে ফেসবুক ব্যবহার করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন ব্যবহারকারীরা। প্ল্যাটফর্মটিতে ঢোকার চেষ্টা করলে উইন্ডোতে ‘সরি, সামথিং ওয়েন্ট রং’ লেখা দেখাচ্ছিল।

তবে ফেসবুকের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারকারীদের থেকে তেমন কোনো সমস্যার কথা শোনা যায়নি।

ডেস্কটপে ফেসবুকে ঢুকতে না পেরে অনেকেই তার স্ক্রিনশট নিয়ে আরেক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে শেয়ার করেছেন। তারা জানতে চেয়েছেন, ফেসবুকের সার্ভার কি আবারও ডাউন হয়েছে কি না।

রিয়েল-টাইম আউটেজ মনিটরিং ওয়েবসাইট ডাউনডিটেক্টরের মতে, ২৭ ফেব্রুয়ারি, সকাল ৮টা থেকে ফেসবুক ডাউন হওয়ার রিপোর্ট করতে শুরু করে ব্যবহারকারীরা। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে  প্রায় ১৮ হাজার ৪০৩টি রিপোর্ট জমা হয়।
 
সংস্থাটির তথ্য মতে, সকাল ৮টা ২৮ মিনিটের মধ্যে শুধু বাংলাদেশেই ফেসবুক ব্যবহারজনিত সমস্যার জন্য প্রায় ১২১টি রিপোর্ট জমা হয়। একই সময়, যুক্তরাষ্ট্রে সমস্যার কথা জানিয়েছেন ১৬ হাজারের বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী। ভারতেও দেড় শতাধিক মানুষ ফেসবুকের সমস্যার কথা জানিয়েছেন।
 
তবে কী কারণে এ বিভ্রাট দেখা গিয়েছিল তা জানা যায়নি। মেটার পক্ষ থেকেও এই বিভ্রাটের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি।

বিনা মূল্যে মাইক্রোসফট অফিস! নতুন সংস্করণে যা থাকছে

বিনা মূল্যে মাইক্রোসফট অফিস! নতুন সংস্করণে যা থাকছে

বিনা মূল্যে মাইক্রোসফট অফিস! নতুন সংস্করণে যা থাকছে
মাইক্রোসফট এখন বিনা মূল্যে তার অফিস সফটওয়্যারের একটি পরীক্ষামূলক সংস্করণ চালু করেছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এবং এক্সেল বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, এটি অনলাইনের অফিস সংস্করণের তুলনায় ভিন্ন, এবং এতে কিছু সীমিত ফিচার থাকবে।

এই নতুন সংস্করণটি স্থানীয়ভাবে ইনস্টল করা যাবে, তবে শুধু নতুন ফাইল তৈরি করা যাবে। আগের মতো মাইক্রোসফট ৩৬৫ অনলাইন ছিল বিনা মূল্যে অফিস ব্যবহারের একমাত্র উপায়, তবে এটি নতুন বিকল্প হিসেবে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

সংস্করণের বিশেষ বৈশিষ্ট্য
এই নতুন বিনা মূল্যের অফিস সংস্করণ এখনও পরীক্ষামূলক এবং মাইক্রোসফটের প্রধান ওয়েবসাইট বা সাপোর্ট পৃষ্ঠাগুলিতে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে, এটি টেকনোলজি বিষয়ক ওয়েবসাইট "বেবম" এর মাধ্যমে পাওয়া ডাউনলোড করতে পারবেন।

এতে অফিস অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে বিজ্ঞাপনের জন্য একটি বড় ব্যানার দেখা যাবে, যা প্রতি ঘণ্টায় ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও দেখাবে। ফাইলগুলো শুধুমাত্র ওয়ানড্রাইভে সংরক্ষণ করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা, তবে লোকাল স্টোরেজে কপি করাও সহজ।

তবে ধারণা করা হচ্ছে এটি মাইক্রোসফটের ৩৬৫ প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন কেনার জন্য একটি কৌশল হতে পারে।

এভাবে ডাউনলোড করুন
ডাউনলোডের পর স্ক্রিনে দেখানো নির্দেশনা অনুসরণ করে ইনস্টল করুন এবং "স্কিপ ফর নাও" ক্লিক করুন। তারপর পরবর্তী পৃষ্ঠায় "কনটিনিউ ফর ফ্রি" নির্বাচন করুন, এবং "সেভ টু ওয়ানড্রাইভ" করুন, যাতে সাবস্ক্রিপশন কেনার প্রয়োজন না হয়।

পেইড সংস্করণ: আরও বেশি ফিচার
এই নতুন সংস্করণটি এখনও পরীক্ষামূলক এবং সম্পূর্ণভাবে চালু হবে কিনা বা কখন হবে সে সম্পর্কে মাইক্রোসফট কোনো ঘোষণা দেয়নি। এর পেইড সংস্করণ হল অফিস ২০২৪, যা বর্তমানে ১৬০ ডলার মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।

যারা বিনামূল্যে অফিসের বিকল্প খুঁজছেন, তাদের জন্য লিব্রি অফিস একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।

ঘরে গোপন ক্যামেরার সন্ধান দেবে স্মার্টফোন

ঘরে গোপন ক্যামেরার সন্ধান দেবে স্মার্টফোন

 অনলাইন ভার্সন
ঘরে গোপন ক্যামেরার সন্ধান দেবে স্মার্টফোন
হোটেলের রুম, স্পা সেন্টার, পাবলিক টয়লেট বা শপিংমলের ট্রায়াল রুমে গোপন ক্যামেরায় ধারণ করছে ভিডিও। এরপর তা দিয়ে নারীদের নানাভাবে হয়রানি করে কিছু খারাপ মানুষ। হোটেল হোক বা ড্রেসিং রুম, লুকানো ক্যামেরা রাখা এই যুগে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা অমূলক কিছু নয়। প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে কীভাবে অসাধু কাজ করা যায় তারই নিদর্শন গোপন ক্যামেরা।

একটু বুদ্ধি খাটালেই গোপন ক্যামেরা খুঁজে বের করতে পারবেন। গোপন ক্যামেরা যতই ছোট হোক তা লুকানো সহজ নয়। সাধারণত হোটেল রুম বা ট্রায়াল রুমের বৈদ্যুতিক পণ্য, নাইট লাইট, বই, ডিভিডি, পেন, খেলনা, ঘড়ি, শোপিস, আয়না, স্মোক ডিটেক্টরের মধ্যে লুকানো ক্যামেরা থাকতে পারে। এছাড়া আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে কীভাবে শনাক্ত করবেন জেনে নিন-

মোবাইল অ্যাপ

গোপন ক্যামেরার ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড শনাক্ত করার জন্য একাধিক মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। গুগল প্লে-স্টোরে গিয়ে হিডেন ক্যামেরা ডিটেক্টর সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন এই সব অ্যাপ। তবে ফোনে সেগুলো ডাউনলোড করার আগে তার রিভিউ এবং কী কী ডাটা নেবে তা যাচাই করে নিন।

গোপন ক্যামেরা লেন্স খোঁজার অ্যাপ

ক্যামেরা লেন্স সাধারণত আলো প্রতিফলিত করে, যা বোঝার জন্য আপনি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে গ্লিন্ট ফাইন্ডার অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেন। এই অ্যাপের গোপন ক্যামেরা লেন্সের প্রতিফলন ধরে ফেলতে পারবেন।

ব্লুটুথ ক্যামেরা খুঁজবেন যেভাবে

গোপন ক্যামেরা হিসেবে ব্লুটুথ ক্যামেরাও ব্যবহার হতে পারে। যদিও এটি শনাক্ত করার জন্য কোনো অ্যাপের প্রয়োজন নেই। এজন্য প্রথমে ফোনের ব্লুটুথ অন করে দিন। এবার স্ক্যান করতে শুরু করুন, দেখুন আশেপাশে আর কোনো সন্দেহজনক ব্লুটুথ ডিভাইস রয়েছে কি না। থাকলে তৎক্ষণাৎ সতর্ক হয়ে যান।

ওয়াইফাই ক্যামেরা খুঁজবেন যেভাবে

ব্লুটুথের পাশাপাশি ওয়াইফাই ক্যামেরাও থাকতে পারে। তবে এটি ধরার জন্যও লাগবে না কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপ। ব্লুটুথের মতো ফোনের ওয়াইফাই অন করে দিন। এবার আশেপাশে আর কোনো সন্দেহজনক ওয়াইফাই ডিভাইস রয়েছে কি না চেক করুন। এগুলো সাধারণত ক্যামেরা বা ইন্টারনেট অ ব থিংস ডিভাইস হতে পারে।

আইআর সার্ভেয়ালেন্স ক্যামেরা ধরার উপায়

এ ধরনের ক্যামেরা বেশ অ্যাডভান্স হয়। কারণ এগুলো কম আলোতেও ভালোভাবে কাজ করে। অন্ধকার ঘরেও সব রেকর্ড করতে পারে আইআর বা ইনফ্রারড ক্যামেরা। তবে এটি অ্যাপের মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়। প্লে-স্টোরে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। তবে সব ফোনে কিন্তু এটি সাপোর্ট করে না। তাই কম আলোতে একবার পরীক্ষা করে দেখে নিন।