|
IT IS HOT NEWS. Some information and news unknown to everyone. Which is only possible in F S S T S T L. SO keeps watching and keeps telling others.
বৃহস্পতিবার, ৭ জুন, ২০১২
নতুন সেনাপ্রধান ইকবাল করিম
৫২ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট
|
ঢাবিতে যৌন হয়রানি ১ মাসে শিকার ২৮ ছাত্রী
অজপাড়াগাঁয়ের ছাত্রী রানী (ছদ্মনাম)। কঠোর
পরিশ্রম আর সাধনায় সুযোগ পান ঢাবি’তে। হলে উঠতে সাহায্য নেন পারিবারিকভাবে
পরিচিত এক ছাত্রনেতার। এ সাহায্য নেয়াই কাল হয়েছে তার। পরিচয়ের সূত্র ধরে
নেতা খাতির জমানোর চেষ্টা করেন রানীর সঙ্গে। এক সময় জীবন সঙ্গী করার
প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়াতেই শুরু হয় নতুন সমস্যা। প্রতিনিয়ত
বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করা হয় তাকে। এ মাসের শুরুতে
শামসুন্নাহার হলের সামনে থেকে নেতা কৌশলে মোটরসাইকেলে তুলে নেয় রানীকে।
পরের ঘটনা ভয়াবহ। সেখান থেকে কৌশলে পুলিশের সাহায্যে পালিয়ে আসেন রানী।
কেবল রানীর ঘটনা নয়, ঢাবিতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে যৌন হয়রানি। শিক্ষক, বন্ধু,
বহিরাগত বা ক্যাম্পাসের ছাত্রনেতা পরিচয়ে বড় ভাইদের কাছেই তারা এ যৌন
হয়রানির শিকার হচ্ছেন। গত মাসেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২৮
জন শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রক্টরের কাছেই অভিযোগ করেছেন ১৬ জন ছাত্রী। এদের অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে
পড়েছেন। আবার অনেকে প্রেমিকের ছুরির ফলায় বিদ্ধ হয়ে জীবন-মৃত্যুর
সন্ধিক্ষণে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রী অপহরণ
করে নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে। গত ১৯শে এপ্রিল প্রেমিককে অস্বীকার করায় তার
উপর্যুপরি ছুরির আঘাতে প্রেমিকা হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। তাকে বাঁচাতে
প্রয়োজন হয়েছে ২৬ ব্যাগ রক্ত। এখনও আশঙ্কামুক্ত নন তিনি।
গত মাসের প্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের সামনে থেকে অপহরণ করা হয় শ্রেয়া (ছদ্মনাম)-কে। ১৩ ঘণ্টা আটক থাকার পরে কৌশলে শিক্ষকদের ফোন করে তাদের সহযোগিতায় পালিয়ে আসতে সক্ষম হন তিনি।
গত শনিবার ১ম বর্ষের ছাত্রী ত্বহা (ছদ্মনাম)-কে তার পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে এক বহিরাগত বিভাগে ঢুকে প্রেম প্রস্তাব করে। অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। গত শনিবার মাস্টার্সের ছাত্রী তামান্না (ছদ্মনাম)-কে স্ত্রী দাবি করে টাকা দাবি করে এক বহিরাগত। স্ত্রী পরিচয় অস্বীকার ও টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তাকে ক্যাম্পাস থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে বলেও জানায়। এমনকি অশ্লীল মেসেজ, পিতা-মাতার কাছে নিয়মিত বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে তাকে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করে। গত মাসের ১৯ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত আবেদন করেন ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী তনিমা (ছদ্মনাম)। তিনি জানান, প্রতিনিয়ত এক শিক্ষার্থী প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে তাকে উত্ত্যক্ত করছে। অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে সমস্যা সৃষ্টি করার হুমকি দেয়।
গত মাসের ২৪ তারিখে বৃষ্টি (ছদ্মনাম) নামের এক শিক্ষার্থী তার নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে আবেদন করেছেন। তিনি জানান, এক ছাত্রনেতা তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। অথচ সে তার বান্ধবীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করে আসছে। বিয়ের প্রস্তাব দেয়ায় তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করায় তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে তাকে বিয়ে করতে হবে। আর না হলে বখাটে লেলিয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া করা হবে।
গত ১১ই এপ্রিল প্রেমের দাবিতে হামলা করে আহত করা হয় ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী লাবণ্য (ছদ্মনাম)-কে। হামলাকারী একই বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। হামলায় আহত হয়েছেন লাবণ্যসহ তার কয়েকজন বান্ধবী। তিনিও নিরাপত্তা চেয়ে প্রক্টরের কাছে আবেদন করেছেন।
এদিকে গত ১৬ই এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন এমফিলের শিক্ষার্থী রাফিয়া (ছদ্মনাম)। তিনি জানান, প্রেম করে বিয়ে করার পরেও মাস্টার্সের ছাত্র প্রতিনিয়ত অত্যাচার করছে। এমনকি বিভিন্ন সময়ে তোলা অন্তরঙ্গ ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করছে। মারপিট করে আহত করেছে। এমনকি তাকে বোঝাতে গিয়ে তার হামলায় আহত হয়েছেন তার বড় বোনসহ পরিবারের অনেকে।
গত মাসের শুরুতে নাজ (ছদ্মনাম) নামের এক শিক্ষার্থীকে প্রেমের দাবি পূরণ না করায় প্রাণনাশের হুমকি দেয় এক শিক্ষার্থী। সেও একই বিভাগের শিক্ষার্থী। সে এর আগে বিভাগের তনিমা (ছদ্ম নাম) নামের এক মেয়েকেও উত্ত্যক্ত করতো। তারা নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে আবেদন করেছেন। এভাবে প্রতিনিয়ত যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে ক্যাম্পাসে। অনেকে মানসম্মানের কথা ভেবে কাউকে বিষয়টি জানায় না। ফলে পরে বখাটেদের হামলায় দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ এম আমজাদ আলী বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি ছাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে। তারপরেও মাঝেমধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।
গত মাসের প্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের সামনে থেকে অপহরণ করা হয় শ্রেয়া (ছদ্মনাম)-কে। ১৩ ঘণ্টা আটক থাকার পরে কৌশলে শিক্ষকদের ফোন করে তাদের সহযোগিতায় পালিয়ে আসতে সক্ষম হন তিনি।
গত শনিবার ১ম বর্ষের ছাত্রী ত্বহা (ছদ্মনাম)-কে তার পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে এক বহিরাগত বিভাগে ঢুকে প্রেম প্রস্তাব করে। অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। গত শনিবার মাস্টার্সের ছাত্রী তামান্না (ছদ্মনাম)-কে স্ত্রী দাবি করে টাকা দাবি করে এক বহিরাগত। স্ত্রী পরিচয় অস্বীকার ও টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তাকে ক্যাম্পাস থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে বলেও জানায়। এমনকি অশ্লীল মেসেজ, পিতা-মাতার কাছে নিয়মিত বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে তাকে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করে। গত মাসের ১৯ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত আবেদন করেন ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী তনিমা (ছদ্মনাম)। তিনি জানান, প্রতিনিয়ত এক শিক্ষার্থী প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে তাকে উত্ত্যক্ত করছে। অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে সমস্যা সৃষ্টি করার হুমকি দেয়।
গত মাসের ২৪ তারিখে বৃষ্টি (ছদ্মনাম) নামের এক শিক্ষার্থী তার নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে আবেদন করেছেন। তিনি জানান, এক ছাত্রনেতা তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। অথচ সে তার বান্ধবীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করে আসছে। বিয়ের প্রস্তাব দেয়ায় তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করায় তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে তাকে বিয়ে করতে হবে। আর না হলে বখাটে লেলিয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া করা হবে।
গত ১১ই এপ্রিল প্রেমের দাবিতে হামলা করে আহত করা হয় ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী লাবণ্য (ছদ্মনাম)-কে। হামলাকারী একই বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। হামলায় আহত হয়েছেন লাবণ্যসহ তার কয়েকজন বান্ধবী। তিনিও নিরাপত্তা চেয়ে প্রক্টরের কাছে আবেদন করেছেন।
এদিকে গত ১৬ই এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন এমফিলের শিক্ষার্থী রাফিয়া (ছদ্মনাম)। তিনি জানান, প্রেম করে বিয়ে করার পরেও মাস্টার্সের ছাত্র প্রতিনিয়ত অত্যাচার করছে। এমনকি বিভিন্ন সময়ে তোলা অন্তরঙ্গ ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করছে। মারপিট করে আহত করেছে। এমনকি তাকে বোঝাতে গিয়ে তার হামলায় আহত হয়েছেন তার বড় বোনসহ পরিবারের অনেকে।
গত মাসের শুরুতে নাজ (ছদ্মনাম) নামের এক শিক্ষার্থীকে প্রেমের দাবি পূরণ না করায় প্রাণনাশের হুমকি দেয় এক শিক্ষার্থী। সেও একই বিভাগের শিক্ষার্থী। সে এর আগে বিভাগের তনিমা (ছদ্ম নাম) নামের এক মেয়েকেও উত্ত্যক্ত করতো। তারা নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে আবেদন করেছেন। এভাবে প্রতিনিয়ত যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে ক্যাম্পাসে। অনেকে মানসম্মানের কথা ভেবে কাউকে বিষয়টি জানায় না। ফলে পরে বখাটেদের হামলায় দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ এম আমজাদ আলী বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি ছাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে। তারপরেও মাঝেমধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।
রবিবার, ২৭ মে, ২০১২
হারিয়ে যাওয়া টাইটানিক, খুঁজে পাওয়া টাইটানিক
বলো তো, পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত জাহাজ কোনটা? কেন, টাইটানিক। যে জাহাজটিকে
বলা হচ্ছিল কখনোই ডুববে না, সেই জাহাজটিই কিনা ডুবে গিয়েছিল প্রথমবারের মতো
সাগরে ভেসেই। টাইটানিক কবে ডুবে গিয়েছিল, মনে আছে? ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল।
মানে, এই বছর ১৫ এপ্রিল টাইটানিক ডুবে যাওয়ারও ১০০ বছর হয়ে যাচ্ছে। তবে এ
বছর টাইটানিক প্রেমীদের জন্য একটা সুখবরও আছে- এ বছরই টাইটানিকের ডুবে
যাওয়া ধ্বংসাবশেষকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করেছে।
মানে, এখন আর চাইলেই কেউ টাইটানিক দেখতে গিয়ে টাইটানিকের ক্ষতি করতে পারবে
না। আর টাইটানিকের মালপত্র সরানো তো যাবেই না।
টাইটানিক হারিয়ে যাওয়ার গল্প
টাইটানিকের গল্প তো তোমরা জানোই, কী বিশালই না ছিল এই টাইটানিক। প্রায় তিন-তিনটা ফুটবল মাঠের সমান। শুধু কী তাই? সেই কবেকার এই জাহাজটিতে ছিল একটা বিশাল সুইমিং পুল, যেখানে গরম পানিরও বন্দোবস্ত ছিল। ছিল আরাম-আয়েশ আর বিলাস-এর সব ব্যবস্থাই। সব মিলিয়ে যাকে বলে এক ভাসমান সুরম্য প্রাসাদ। আর তাই দেখ না, টাইটানিক সিনেমায় যখন জাহাজটিকে দেখ, মনেই হয় না ওটা সেই ১৯১২ সালের জাহাজ। বাজারে তো এমন কথাও রটে গেল, স্বয়ং ঈশ্বরও এই জাহাজকে ডোবাতে পারবেন না, এমনই মজবুত এই টাইটানিক!
এমন একটা জাহাজ, আর তাতে রাজ্যের যতো বড়লোকরা চড়বে না, তাই কী হয়? রীতিমতো হুড়োহুড়ি করে বিক্রি হল টাইটানিকের প্রথম যাত্রার টিকিট। প্রথম যাত্রার রুট ছিল ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন শহর থেকে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহর। ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল সাউদাম্পটন থেকে রওয়ানা হল তখনকার সবচাইতে বড় আর সবচাইতে বিলাসী জাহাজ। যারা জাহাজটির প্রথম ভ্রমণে যাত্রী হতে পারলো, তাদের তো খুশি আর ধরে না। সারাদিনই যেন জাহাজে পার্টি হচ্ছে, এমন অবস্থা। এমনি করেই পার হয়ে গেল কয়েকটি দিন।
১৪ এপ্রিল, রাত প্রায় ১২টা। আটলান্টিক সাগরের বুকে ভেসে যাচ্ছে টাইটানিক। তখন টাইটানিক আমেরিকার কাছাকাছি চলে এসেছে, গ্র্যান্ড ব্যাংকস অফ নিউফাউন্ডল্যান্ডে। আবহাওয়া খুবই খারাপ; ভীষণ ঠাণ্ডা আর জমাট বাঁধা কুয়াশা। নিউফাউন্ডল্যান্ড পার হয়ে যাওয়া জাহাজগুলো এর মধ্যেই এখানকার ভাসমান বরফ, মানে আইসবার্গ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে টাইটানিককে। কিন্তু টাইটানিকের ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড জন স্মিথ আর অন্যান্য ক্রুরা তো তাদের এসব কথাকে পাত্তাই দেননি। তাদের ভাবখানা এমন- কোথাকার কোন বরফ নাকি টাইটানিককে ডোবাবে! টাইটানিক আগের মতোই ২১ নটিক্যাল মাইলে (২৪ মাইল) চলতে লাগলো। ২১ নটিক্যাল মাইলকে আবার কম ভেবো না; তখন টাইটানিক ছিল অন্যতম দ্রুতগতির জাহাজ, আর তার সর্বোচ্চ গতিই ছিল ২৪ নটিক্যাল মাইল।
ওদিকে জাহাজের সামনে কোনো বাধা আছে কিনা দেখার জন্য জাহাজের ডেকে একটা উঁচু টাওয়ারের মতো থাকে। সেখানে পালা করে কয়েকজন চোখ রাখে। তখন সেখানে ছিলেন ফ্রেডরিক ফ্লিট। হঠাৎ তিনি দেখলেন, কুয়াশার আড়াল থেকে বের হয়ে এল এক বিশাল আইসবার্গ। আইসবার্গ হল সাগরের বুকে ভাসতে থাকা বিশাল বিশাল সব বরফখণ্ড। এগুলোর সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এগুলোর মাত্রই আট ভাগের এক ভাগ পানির উপরে থাকে। মানে, এর বড়ো অংশটাই দেখা যায় না। আর বরফের রংও তো কুয়াশার মতোই সাদা, তাই ফ্লিটও প্রথমে ওটাকে আলাদা করে চিনতে পারেনি। যখন দেখতে পেল, ততোক্ষণে আইসবার্গটি অনেক কাছে চলে এসেছে।
ফ্লিট তো আইসবার্গ দেখেই খবর দিতে ছুটলো। ফার্স্ট অফিসার উইলিয়াম মারডক শুনেই জাহাজ পিছনের দিকে চালাতে বললেন। আর মুখ ঘুরিয়ে দিতে বললেন অন্যদিকে। যাতে কোনভাবেই বিশাল ওই আইসবার্গটির সঙ্গে টাইটানিকের সংঘর্ষ না হয়। কিন্তু লাভ হলো না। টাইটানিকের স্টারবোর্ডে আইসবার্গ ধাক্কা খেল। আর তাতে টাইটানিকের পানির নিচে থাকা অংশে অনেকগুলো গর্ত হলো। পানি ঢুকতে লাগলো দৈত্যাকার জাহাজের খোলের ভেতর।
কিছুক্ষণের মধ্যেই এটা পরিস্কার হয়ে গেল, লোকজন যে জাহাজকে ভাবছিল কখনোই ডুববে না, সেই জাহাজই ডুবে যাচ্ছে তার প্রথম যাত্রাতেই। এবার যাত্রীদের লাইফবোটে তুলে পার করে দেওয়ার পালা। কিন্তু কেউ তো এ নিয়ে ভাবেই নি। লাইফবোট যা আছে, তা দিয়ে বড়োজোর মোট যাত্রীদের তিন ভাগের এক ভাগকে বাঁচানো যাবে। তখন এক বিশেষ নীতি অনুসরণ করা হলো- শিশু এবং নারীদেরকে প্রথমে লাইফবোটে করে পাঠানো হতে লাগলো।
এমনি করে কোনো রকমে বিশাল টাইটানিকের মোটে ৩২ শতাংশ যাত্রীদের বাঁচানো গেল। মাত্র ঘণ্টা চারেকের মধ্যে ডুবে গেল সুবিশাল টাইটানিক, ১৫ এপ্রিল রাত ২টায়। টাইটানিকের সঙ্গে আটলান্টিকে ডুবে গেল প্রায় ১৫ শ' মানুষ। মানুষের ইতিহাসেই এরকম বড়ো দুর্ঘটনা আর ঘটেছে কিনা সন্দেহ।
টাইটানিক তো ডুবে গেল আটলান্টিকে, কিন্তু আটলান্টিকের বুকে তার কী হলো? কেউ কেউ বললো, টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। কেউ বললো, টুকরো টুকরো হবে কেন, দু’ভাগ হয়ে পড়ে আছে। কিন্তু যতো গভীরে আছে, সেখান থেকে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব নয়। উদ্ধার কেন, চিহ্নিত করাই তো অসম্ভব। এমনি করেই আড়ালে চলে গেল হোয়াইট স্টার লাইন কোম্পানির জাহাজটি।
টাইটানিক খুঁজে পাওয়ার গল্প
কিন্তু টাইটানিককে বেশিদিন চোখের আড়ালে থাকতে দিলেন না রবার্ট বালার্ড। ফরাসি এই বিজ্ঞানীর ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল টাইটানিককে খুঁজে বের করবেন। বড়ো হয়ে তিনি সেই কাজেই নামলেন। ১৯৮৫ সালে তিনি জাহাজ নিয়ে ঘাঁটি গাড়লেন গ্রেট ব্যাংকস অফ নিউফাউন্ডল্যান্ডে, যেখানে ডুবে গিয়েছিল টাইটানিক। সঙ্গে নিলেন নানা আধুনিক যন্ত্রপাতি। আর্গো নামের একটি আন্ডারওয়াটার ক্র্যাফট পাঠিয়ে দিলেন সাগরতলে। আর্গো সাগরতলের দৃশ্য ভিডিও করে নিয়ে আসতো।
কিন্তু কিছুতেই পাওয়া গেল না টাইটানিককে। হতাশ হয়ে পড়লেন বালার্ড। এদিকে টানা পরিশ্রমে তার শরীরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। একটু বিশ্রাম দরকার তার। কিন্তু কীসের বিশ্রাম! যেই একটু ঘুমুতে গেলেন, অমনি তার ডাক পড়লো। আর্গোর ভিডিওতে মেটাল অবজেক্ট পাওয়া গেছে, যেগুলো শুধু কোনো জাহাজ থেকেই ভেসে আসা সম্ভব। উত্তেজনায় যা ঘুম ছিল, সব চলে গেল বালার্ডের। একটু খোঁজাখুজির পর জাহাজটিকে পাওয়া গেল। হ্যাঁ, এটাই টাইটানিকের দৈত্যাকৃতির ধ্বংসাবশেষ।
এবার আর্গোকে দিয়ে নানা দিক দিয়ে টাইটানিকের ছবি তুললেন বালার্ড। দেখলেন টাইটানিকের যাত্রীদের নানা স্মৃতিচিহ্ন- বিছানা, সুটকেস, কাপ- প্লেট, আর অসংখ্য জুতো। যেন সাগরতলের এক জাদুঘরের ভিডিও দেখছেন তিনি।
কিন্তু সময় ফুরিয়ে এল। তাকেও ফিরে যেতে হলো। তখনই ঠিক করলেন, আবার আসবেন টাইটানিকের কাছে। পরের বছরই আবার এলেন বালার্ড। এবার আরো প্রস্তুত হয়ে।
ছোট্ট একটা সাবমেরিনে চড়ে এলেন বালার্ড। সাথে নিয়ে এলেন সাগরতলে ঘোরাঘুরি করতে পারে, এমন একটি রোবটও; নাম তার জেজে। বালার্ড অবশ্য ওকে বলতেন- সুইমিং আইবল। জেজের সাহায্যে তিনি দেখলেন পুরো টাইটানিককে; এর বিশাল সিঁড়িটা এখন কেমন আছে, কেমন আছে ওর জিম, চেয়ার, ঘর, সব।
বালার্ডের টাইটানিক আবিষ্কার তো হলো, কিন্তু তিনি জানতে চাইলেন, কীভাবে ডুবে গেল টাইটানিক। আর তা বোঝার জন্য আবারো তিনি গেলেন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে, ২০০৪ সালের জুন মাসে। এবার গিয়ে কিন্তু তার মনই খারাপ হয়ে গেল।
বালার্ড টাইটানিক আবিষ্কার করার পর থেকেই মানুষ সাবমেরিনে করে সেখানে ঘুরতে যায়। এই সাবমেরিনগুলো টাইটানিকের যে সব জায়গায় ল্যান্ড করে, সেসব জায়গাতে দাগ তো পড়েছেই, অনেক জায়গায় গর্তও হয়ে গেছে। আর মানুষ জাহাজ থেকে প্রায় ৬ হাজার জিনিস নিয়ে গেছে। এমনকি অনেকে নিয়ে গেছে জাহাজের টুকরোও!
তখন থেকেই টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষণের দাবি ওঠে। আর এ বছর তো ইউনেস্কো টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষকে আন্ডারওয়াটার ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবেই ঘোষণা করে দিয়েছে।
১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ, আমাদের ভীষণ আনন্দের দিন। সেদিন তো খুব আনন্দ করবে। কিন্তু পরের দিন মনে করে টাইটানিকের সাথে ডুবে যাওয়া ১৫শ’ মানুষের কথাও স্মরণ করো। ঠিক ঠিক করে বললে ১৫১৪ জন।
টাইটানিক হারিয়ে যাওয়ার গল্প
টাইটানিকের গল্প তো তোমরা জানোই, কী বিশালই না ছিল এই টাইটানিক। প্রায় তিন-তিনটা ফুটবল মাঠের সমান। শুধু কী তাই? সেই কবেকার এই জাহাজটিতে ছিল একটা বিশাল সুইমিং পুল, যেখানে গরম পানিরও বন্দোবস্ত ছিল। ছিল আরাম-আয়েশ আর বিলাস-এর সব ব্যবস্থাই। সব মিলিয়ে যাকে বলে এক ভাসমান সুরম্য প্রাসাদ। আর তাই দেখ না, টাইটানিক সিনেমায় যখন জাহাজটিকে দেখ, মনেই হয় না ওটা সেই ১৯১২ সালের জাহাজ। বাজারে তো এমন কথাও রটে গেল, স্বয়ং ঈশ্বরও এই জাহাজকে ডোবাতে পারবেন না, এমনই মজবুত এই টাইটানিক!
এমন একটা জাহাজ, আর তাতে রাজ্যের যতো বড়লোকরা চড়বে না, তাই কী হয়? রীতিমতো হুড়োহুড়ি করে বিক্রি হল টাইটানিকের প্রথম যাত্রার টিকিট। প্রথম যাত্রার রুট ছিল ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন শহর থেকে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহর। ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল সাউদাম্পটন থেকে রওয়ানা হল তখনকার সবচাইতে বড় আর সবচাইতে বিলাসী জাহাজ। যারা জাহাজটির প্রথম ভ্রমণে যাত্রী হতে পারলো, তাদের তো খুশি আর ধরে না। সারাদিনই যেন জাহাজে পার্টি হচ্ছে, এমন অবস্থা। এমনি করেই পার হয়ে গেল কয়েকটি দিন।
১৪ এপ্রিল, রাত প্রায় ১২টা। আটলান্টিক সাগরের বুকে ভেসে যাচ্ছে টাইটানিক। তখন টাইটানিক আমেরিকার কাছাকাছি চলে এসেছে, গ্র্যান্ড ব্যাংকস অফ নিউফাউন্ডল্যান্ডে। আবহাওয়া খুবই খারাপ; ভীষণ ঠাণ্ডা আর জমাট বাঁধা কুয়াশা। নিউফাউন্ডল্যান্ড পার হয়ে যাওয়া জাহাজগুলো এর মধ্যেই এখানকার ভাসমান বরফ, মানে আইসবার্গ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে টাইটানিককে। কিন্তু টাইটানিকের ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড জন স্মিথ আর অন্যান্য ক্রুরা তো তাদের এসব কথাকে পাত্তাই দেননি। তাদের ভাবখানা এমন- কোথাকার কোন বরফ নাকি টাইটানিককে ডোবাবে! টাইটানিক আগের মতোই ২১ নটিক্যাল মাইলে (২৪ মাইল) চলতে লাগলো। ২১ নটিক্যাল মাইলকে আবার কম ভেবো না; তখন টাইটানিক ছিল অন্যতম দ্রুতগতির জাহাজ, আর তার সর্বোচ্চ গতিই ছিল ২৪ নটিক্যাল মাইল।
ওদিকে জাহাজের সামনে কোনো বাধা আছে কিনা দেখার জন্য জাহাজের ডেকে একটা উঁচু টাওয়ারের মতো থাকে। সেখানে পালা করে কয়েকজন চোখ রাখে। তখন সেখানে ছিলেন ফ্রেডরিক ফ্লিট। হঠাৎ তিনি দেখলেন, কুয়াশার আড়াল থেকে বের হয়ে এল এক বিশাল আইসবার্গ। আইসবার্গ হল সাগরের বুকে ভাসতে থাকা বিশাল বিশাল সব বরফখণ্ড। এগুলোর সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এগুলোর মাত্রই আট ভাগের এক ভাগ পানির উপরে থাকে। মানে, এর বড়ো অংশটাই দেখা যায় না। আর বরফের রংও তো কুয়াশার মতোই সাদা, তাই ফ্লিটও প্রথমে ওটাকে আলাদা করে চিনতে পারেনি। যখন দেখতে পেল, ততোক্ষণে আইসবার্গটি অনেক কাছে চলে এসেছে।
ফ্লিট তো আইসবার্গ দেখেই খবর দিতে ছুটলো। ফার্স্ট অফিসার উইলিয়াম মারডক শুনেই জাহাজ পিছনের দিকে চালাতে বললেন। আর মুখ ঘুরিয়ে দিতে বললেন অন্যদিকে। যাতে কোনভাবেই বিশাল ওই আইসবার্গটির সঙ্গে টাইটানিকের সংঘর্ষ না হয়। কিন্তু লাভ হলো না। টাইটানিকের স্টারবোর্ডে আইসবার্গ ধাক্কা খেল। আর তাতে টাইটানিকের পানির নিচে থাকা অংশে অনেকগুলো গর্ত হলো। পানি ঢুকতে লাগলো দৈত্যাকার জাহাজের খোলের ভেতর।
কিছুক্ষণের মধ্যেই এটা পরিস্কার হয়ে গেল, লোকজন যে জাহাজকে ভাবছিল কখনোই ডুববে না, সেই জাহাজই ডুবে যাচ্ছে তার প্রথম যাত্রাতেই। এবার যাত্রীদের লাইফবোটে তুলে পার করে দেওয়ার পালা। কিন্তু কেউ তো এ নিয়ে ভাবেই নি। লাইফবোট যা আছে, তা দিয়ে বড়োজোর মোট যাত্রীদের তিন ভাগের এক ভাগকে বাঁচানো যাবে। তখন এক বিশেষ নীতি অনুসরণ করা হলো- শিশু এবং নারীদেরকে প্রথমে লাইফবোটে করে পাঠানো হতে লাগলো।
এমনি করে কোনো রকমে বিশাল টাইটানিকের মোটে ৩২ শতাংশ যাত্রীদের বাঁচানো গেল। মাত্র ঘণ্টা চারেকের মধ্যে ডুবে গেল সুবিশাল টাইটানিক, ১৫ এপ্রিল রাত ২টায়। টাইটানিকের সঙ্গে আটলান্টিকে ডুবে গেল প্রায় ১৫ শ' মানুষ। মানুষের ইতিহাসেই এরকম বড়ো দুর্ঘটনা আর ঘটেছে কিনা সন্দেহ।
টাইটানিক তো ডুবে গেল আটলান্টিকে, কিন্তু আটলান্টিকের বুকে তার কী হলো? কেউ কেউ বললো, টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। কেউ বললো, টুকরো টুকরো হবে কেন, দু’ভাগ হয়ে পড়ে আছে। কিন্তু যতো গভীরে আছে, সেখান থেকে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব নয়। উদ্ধার কেন, চিহ্নিত করাই তো অসম্ভব। এমনি করেই আড়ালে চলে গেল হোয়াইট স্টার লাইন কোম্পানির জাহাজটি।
টাইটানিক খুঁজে পাওয়ার গল্প
কিন্তু টাইটানিককে বেশিদিন চোখের আড়ালে থাকতে দিলেন না রবার্ট বালার্ড। ফরাসি এই বিজ্ঞানীর ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল টাইটানিককে খুঁজে বের করবেন। বড়ো হয়ে তিনি সেই কাজেই নামলেন। ১৯৮৫ সালে তিনি জাহাজ নিয়ে ঘাঁটি গাড়লেন গ্রেট ব্যাংকস অফ নিউফাউন্ডল্যান্ডে, যেখানে ডুবে গিয়েছিল টাইটানিক। সঙ্গে নিলেন নানা আধুনিক যন্ত্রপাতি। আর্গো নামের একটি আন্ডারওয়াটার ক্র্যাফট পাঠিয়ে দিলেন সাগরতলে। আর্গো সাগরতলের দৃশ্য ভিডিও করে নিয়ে আসতো।
কিন্তু কিছুতেই পাওয়া গেল না টাইটানিককে। হতাশ হয়ে পড়লেন বালার্ড। এদিকে টানা পরিশ্রমে তার শরীরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। একটু বিশ্রাম দরকার তার। কিন্তু কীসের বিশ্রাম! যেই একটু ঘুমুতে গেলেন, অমনি তার ডাক পড়লো। আর্গোর ভিডিওতে মেটাল অবজেক্ট পাওয়া গেছে, যেগুলো শুধু কোনো জাহাজ থেকেই ভেসে আসা সম্ভব। উত্তেজনায় যা ঘুম ছিল, সব চলে গেল বালার্ডের। একটু খোঁজাখুজির পর জাহাজটিকে পাওয়া গেল। হ্যাঁ, এটাই টাইটানিকের দৈত্যাকৃতির ধ্বংসাবশেষ।
এবার আর্গোকে দিয়ে নানা দিক দিয়ে টাইটানিকের ছবি তুললেন বালার্ড। দেখলেন টাইটানিকের যাত্রীদের নানা স্মৃতিচিহ্ন- বিছানা, সুটকেস, কাপ- প্লেট, আর অসংখ্য জুতো। যেন সাগরতলের এক জাদুঘরের ভিডিও দেখছেন তিনি।
কিন্তু সময় ফুরিয়ে এল। তাকেও ফিরে যেতে হলো। তখনই ঠিক করলেন, আবার আসবেন টাইটানিকের কাছে। পরের বছরই আবার এলেন বালার্ড। এবার আরো প্রস্তুত হয়ে।
ছোট্ট একটা সাবমেরিনে চড়ে এলেন বালার্ড। সাথে নিয়ে এলেন সাগরতলে ঘোরাঘুরি করতে পারে, এমন একটি রোবটও; নাম তার জেজে। বালার্ড অবশ্য ওকে বলতেন- সুইমিং আইবল। জেজের সাহায্যে তিনি দেখলেন পুরো টাইটানিককে; এর বিশাল সিঁড়িটা এখন কেমন আছে, কেমন আছে ওর জিম, চেয়ার, ঘর, সব।
বালার্ডের টাইটানিক আবিষ্কার তো হলো, কিন্তু তিনি জানতে চাইলেন, কীভাবে ডুবে গেল টাইটানিক। আর তা বোঝার জন্য আবারো তিনি গেলেন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে, ২০০৪ সালের জুন মাসে। এবার গিয়ে কিন্তু তার মনই খারাপ হয়ে গেল।
বালার্ড টাইটানিক আবিষ্কার করার পর থেকেই মানুষ সাবমেরিনে করে সেখানে ঘুরতে যায়। এই সাবমেরিনগুলো টাইটানিকের যে সব জায়গায় ল্যান্ড করে, সেসব জায়গাতে দাগ তো পড়েছেই, অনেক জায়গায় গর্তও হয়ে গেছে। আর মানুষ জাহাজ থেকে প্রায় ৬ হাজার জিনিস নিয়ে গেছে। এমনকি অনেকে নিয়ে গেছে জাহাজের টুকরোও!
তখন থেকেই টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষণের দাবি ওঠে। আর এ বছর তো ইউনেস্কো টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষকে আন্ডারওয়াটার ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবেই ঘোষণা করে দিয়েছে।
১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ, আমাদের ভীষণ আনন্দের দিন। সেদিন তো খুব আনন্দ করবে। কিন্তু পরের দিন মনে করে টাইটানিকের সাথে ডুবে যাওয়া ১৫শ’ মানুষের কথাও স্মরণ করো। ঠিক ঠিক করে বললে ১৫১৪ জন।
মানব ভ্রুণের তৈরি ক্যাপসুল!
|
উচ্চ রক্তচাপের নতুন চিকিৎসা দেশেই
|
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত
|
সর্বোচ্চ শৃঙ্গে দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী
দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় উঠেছেন ওয়াসফিয়া নাজরীন।
শনিবার সকাল পৌনে ৭টায় তিনি বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আরোহন করেন বলে তার
এক সহযোগী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে।
ঠিক এক সপ্তাহ আগেই গত শনিবার বাংলাদেশি প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেছিলেন নিশাত মজুমদার। এরপরই চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে এই গৌরবের অংশীদার হলেন ২৯ বছর বয়সি ওয়াসফিয়া।
২০১০ সালের ২৩ মে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন মুসা ইব্রাহিম। তার পথ ধরে এই গৌরবের ভাগিদার হন এম এ মুহিত ও নিশাত।
সাত মহাদেশের সর্বোচ্চ সাত শৃঙ্গ জয়ে ওয়াসফিয়ার প্রচারসঙ্গী ‘বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট’ তাদের ফেইসবুক পাতায় দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারীর এভারেস্ট চূড়ায় আরোহনের ঘোষণা দেয়।
তারা বলেছে, কোনো সঙ্গী না নিয়ে একাই এভারেস্ট চূড়ায় ওঠেন ওয়াসফিয়া। তার সঙ্গে ছিলেন আমেরিকার গাইড ক্রিস ক্লিঙ্কে এবং দুজন শেরপা নিমা গুরমে দর্জি ও কুসাং শেরপা।
গত ১৯ মে নিশাতের এভারেস্ট জয়ে সঙ্গী ছিলেন এর আগে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠা মুহিত। মুহিত ২০১১ সালের ২১ মে প্রথম এভারেস্ট জয় করেন।
‘বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট’ জানিয়েছে, ওয়াসফিয়া এখন নিচে নামতে শুরু করেছেন এবং সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এক বা দুদিনের মধ্যেই তিনি নেমে আসবেন।
এভারেস্ট জয় করা প্রথম বাংলাদেশি নারী নিশাত পর্বত থেকে নেমে এখন কাঠমান্ডুর পথে রয়েছেন।
সবচেয়ে কম বয়সী বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে ওঠা ওয়াসফিয়া স্যাটেলাইন ফোনের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ অন সেভেন সামিটস দল’কে বলেছেন, “আমাদের দেশ স্বাধীন হলেও আমরা নারীরা এখনো স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। এ জয় বাংলাদেশের নারীদের জন্য যারা স্বাধীনতা, শান্তি ও সমতার জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করছে।”
এভারেস্টজয়ী ওয়াসফিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুসা ইব্রাহিম। ‘বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট’র ফেইসবুক পাতায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দেশের প্রথম এভারেস্টজয়ী লিখেছেন, “বাংলাদেশের নারীরা প্রমাণ করেছেন, তারাও পারেন।”
ওয়াসফিয়া সাত মহাদেশের সাতটি চূড়া জয়ের লক্ষ্য নিয়ে নেমেছেন। হিমালয়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় ওঠার আগে গত বছর তিনি আফ্রিকার মাউন্ট কিলিমানজারো এবং দক্ষিণ আমেরিকার অ্যাকনকাগুয়ায় আরোহন করেন।
ঠিক এক সপ্তাহ আগেই গত শনিবার বাংলাদেশি প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেছিলেন নিশাত মজুমদার। এরপরই চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে এই গৌরবের অংশীদার হলেন ২৯ বছর বয়সি ওয়াসফিয়া।
২০১০ সালের ২৩ মে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন মুসা ইব্রাহিম। তার পথ ধরে এই গৌরবের ভাগিদার হন এম এ মুহিত ও নিশাত।
সাত মহাদেশের সর্বোচ্চ সাত শৃঙ্গ জয়ে ওয়াসফিয়ার প্রচারসঙ্গী ‘বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট’ তাদের ফেইসবুক পাতায় দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারীর এভারেস্ট চূড়ায় আরোহনের ঘোষণা দেয়।
তারা বলেছে, কোনো সঙ্গী না নিয়ে একাই এভারেস্ট চূড়ায় ওঠেন ওয়াসফিয়া। তার সঙ্গে ছিলেন আমেরিকার গাইড ক্রিস ক্লিঙ্কে এবং দুজন শেরপা নিমা গুরমে দর্জি ও কুসাং শেরপা।
গত ১৯ মে নিশাতের এভারেস্ট জয়ে সঙ্গী ছিলেন এর আগে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠা মুহিত। মুহিত ২০১১ সালের ২১ মে প্রথম এভারেস্ট জয় করেন।
‘বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট’ জানিয়েছে, ওয়াসফিয়া এখন নিচে নামতে শুরু করেছেন এবং সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এক বা দুদিনের মধ্যেই তিনি নেমে আসবেন।
এভারেস্ট জয় করা প্রথম বাংলাদেশি নারী নিশাত পর্বত থেকে নেমে এখন কাঠমান্ডুর পথে রয়েছেন।
সবচেয়ে কম বয়সী বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে ওঠা ওয়াসফিয়া স্যাটেলাইন ফোনের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ অন সেভেন সামিটস দল’কে বলেছেন, “আমাদের দেশ স্বাধীন হলেও আমরা নারীরা এখনো স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। এ জয় বাংলাদেশের নারীদের জন্য যারা স্বাধীনতা, শান্তি ও সমতার জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করছে।”
এভারেস্টজয়ী ওয়াসফিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুসা ইব্রাহিম। ‘বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট’র ফেইসবুক পাতায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দেশের প্রথম এভারেস্টজয়ী লিখেছেন, “বাংলাদেশের নারীরা প্রমাণ করেছেন, তারাও পারেন।”
ওয়াসফিয়া সাত মহাদেশের সাতটি চূড়া জয়ের লক্ষ্য নিয়ে নেমেছেন। হিমালয়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় ওঠার আগে গত বছর তিনি আফ্রিকার মাউন্ট কিলিমানজারো এবং দক্ষিণ আমেরিকার অ্যাকনকাগুয়ায় আরোহন করেন।
What is Dolancer.com?
Innovation is nothing new at Dolancer. It's been our heartbeat for more
than a decade.
As the world evolves, so do we. Yet we remain driven by our passion
for inventing solutions for freelancers & employers, perfecting
those solutions and delighting our customers. We started small in 1998
with a vision of making outsourcing easy to the end user simplifying a
common individual dilemma: balancing the experts/non expert checkbook.
Through our website, employers can hire freelancers to do work in
areas such as software, writing, data entry and design right through to
engineering and the sciences, sales and marketing, and accounting &
legal services. User also can buy SEO website from dolancer.com and they
also can lease it upon some conditions.
It is now become the world largest outsourcing and website leasing
marketplace for small business and individuals.
বৃহস্পতিবার, ২৪ মে, ২০১২
সোমবার, ১৪ মে, ২০১২
কুমিল্লায় ‘বাংলা নীল ছবি’
স্কুল-কলেজের
ছাত্রী ও প্রবাসীদের স্ত্রীদের সঙ্গে অবৈধ মেলামেশার দৃশ্য বাজারে ছেড়ে
দেয়া হয়েছে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধারণ করা নগ্ন ভিডিওচিত্রের নাম দেয়া
হয়েছে ‘বাংলা নীল ছবি’। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ঘনিষ্ঠজনেরাই গোপন এ
কার্যকলাপ ফাঁস করে দিয়েছে। সূত্র জানায়, প্রায় ১ ঘণ্টার ওই দু’টি নগ্ন
ভিডিওচিত্রের কপি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে মোবাইল ফোন, সিডি, মেমোরি কার্ড ও
ই-মেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীর কাছে। পৌঁছে গেছে
সাংবাদিক ও স্থানীয় পত্রিকা অফিসে। ভিডিওচিত্রে থাকা ২০/২৪ বছরের তরুণীর
পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া গেলেও দুই ব্যবসায়ীর পরিচয় জানা গেছে।
এদের একজন সদর উপজেলার দক্ষিণ দুর্গাপুর ইউনিয়নের চম্পকনগর সাতরা এলাকার
ব্যবসায়ী হাজী জহিরুল হক স্বপন, অপরজন কুমিল্লা মহানগরীর ধর্মপুর এলাকার
মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী কবির চৌধুরী তন্ময়। অনুসন্ধানে জানা যায়, কুমিল্লা
মহানগরীর ধর্মপুর এলাকার পশ্চিম চৌমুহনীর মা-মনি টেলিকমের স্বত্বাধিকারী ও
মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের কুমিল্লার জেলা শাখার সভাপতি কবির চৌধুরী
তন্ময় বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে
‘বাংলা নীল ছবি’ নাম দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছিল। অনেক
সময় তন্ময় তার কক্ষে বন্ধুদের সঙ্গে তার পরিচিত মেয়েদের মেলামেশার সুযোগ
দিয়ে গোপনে ক্যামেরা ও মোবাইলে ভিডিও করে নিতো। তন্ময় স্কুল কলেজের
ছাত্রী ও প্রবাসীদের স্ত্রীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তাদের একটি গোপন
কক্ষে নিয়ে মেলামেশা করতো। পরে এগুলো ‘বাংলা নীল ছবি’ নাম দিয়ে বিভিন্ন
জেলায় পাঠানো হতো। তার প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পায়নি কুমিল্লা
ভিক্টোরিয়া কলেজের এক ছাত্রী। তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নগ্ন ভিডিও ধারণ
করে দীর্ঘদিন তার সঙ্গে মেলামেশা করতে বাধ্য করা হয়। সমপ্রতি মহানগরীর এক
কলেজ ছাত্রীর নগ্ন ভিডিওচিত্র তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মাধ্যমে কুমিল্লায়
ছড়িয়ে দেয়া হয়। পরে তা স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছেও সরবরাহ করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, কবির টেলিফোন ব্যবসার অন্তরালে মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে
ফেলে তাদের সঙ্গে মেলামেশার ছবি গোপনে ভিডিও করে। পরে তাদের কাছ থেকে অর্থ
আদায়সহ এ ভিডিও অন্যত্র বিক্রি করে। অপরদিকে সদর উপজেলার ঝাগরজুলি এলাকার
ঢাকা হাইওয়ে হোটেলের পরিচালক হাজী জহিরুল হক স্বপনের অপর একটি ভিডিওচিত্র
নিয়ে মহানগরীতে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। ভিডিওচিত্রে একটি সুসজ্জিত
কক্ষে কুরুচিপূর্ণ যৌনচারে লিপ্ত থাকতে দেখা যায় তাকে। একটি সূত্র জানায়,
হাজী স্বপন হোটেল ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা, মাদক ব্যবসাসহ নানা অসামাজিক
কার্যকলাপে জড়িত। মেয়েদের সঙ্গে সখ্য গড়ে আপত্তিকর দৃশ্যের ছবি তুলে পরে
তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে থাকে। তার ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে নগ্ন একটি ভিডিও
দৃশ্য এখন সবার হাতে হাতে। এতে দেখা যায়, ওই ব্যবসায়ী এক মহিলার সঙ্গে
যৌনচারে লিপ্ত। তার এক ঘনিষ্ঠ লোকের মাধ্যমে মোবাইল ফোন থেকে তা কৌশলে কপি
করে কুমিল্লা শহরে ছড়িয়ে দেয়া হয়। তাই বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গত
বৃহস্পতিবার ওই ব্যবসায়ী জাগুরঝুলি এলাকার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে
বিষয়টি ‘ব্ল্যাকমেইলিং’ দাবি করে। তবে স্বপন মেয়েদের সঙ্গে সখ্য তৈরির পর
গোপন কক্ষে নিয়ে অবৈধ মেলামেশার দৃশ্য গোপন ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনে ধারণ
করে রাখতো। বিশেষ করে প্রবাসীদের সুন্দরী স্ত্রীরা ছিল তার টার্গেট। পরে
হুমকি দিয়ে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হতো। অবাধে অনৈতিক কাজে মিলিত
হতে বাধ্য করা হতো। এছাড়া স্বপনের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গেও মেলামেশা করতে
বাধ্য করা হতো। কিন্তু সমপ্রতি স্বপনের সঙ্গে এক মহিলার একটি নগ্ন ভিডিও
ফাঁস হয়ে যায় মহানগরীতে। ব্যবসায়ী স্বপনের ঘনিষ্ঠরা জানান, ইয়াবা, মাদক
ব্যবসা, নারীসহ সব ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপে সম্পৃক্ত স্বপন অল্প দিনেই
কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ইয়াবা ব্যবসার জন্য তার রয়েছে একটি বিশাল
নেটওয়ার্ক। গত ৭ই মে কুমিল্লা র্যাব-১১ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নগরীর
ধর্মপুর চৌমুহনী এলাকা থেকে ৪৫টি ইয়াবা টেবলেটসহ স্বপনের ভাগ্নে জাহিদুল
ইসলাম বাবুলকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়াও কুমিল্লা মহানগরীতে ব্যবসায়ীদের
টার্গেট করে পর্নো ছবি তৈরি ও তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আদায়ে একটি
সিন্ডিকেট মাঠে কাজ করছে। ওই সিন্ডিকেট কৌশল হিসেবে সুন্দরী মেয়ের ফাঁদে
ফেলে তাদের সুরক্ষিত কক্ষে নিয়ে অনৈতিক কাজ করে। এমন প্রতারণার শিকার
হয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। কুমিল্লা মহানগরীর ভিডিও দোকানে বাংলা পর্নো ভিডিও
সিডি বিক্রির চাহিদাও বেড়ে গেছে। তাই অনেকেই এসব বাংলা পর্নো সিডি ক্রয়
করতে এখন দোকানে ভিড় জমাচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। এ বিষয়ে কুমিল্লা
পুলিশ সুপার মো. মোখলেছুর রহমান জানান, মহানগরীতে এ ধরনের অনৈতিক কাজের
বিষয়টি পুলিশের জানা ছিল না। তাই এখন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রবিবার, ৬ মে, ২০১২
Nibiru: The Nonexistent Planet
Linked to the close of the Mayan calendar, a variety of rumors have spread regarding ways the world could end in 2012.
One popular contender is Nibiru, a supposed planet that some claim will
collide with Earth at the end of the year. But despite the buzz, there
is no scientific evidence supporting the alleged planet's existence. [VIDEO: 12-21-2012 - Just Another Day]
Nibiru has been linked to NASA by various bloggers, and is also sometimes referred to or confused with Planet X, another supposed world for which there is no evidence.
Because of the Nibiru NASA connection that’s been claimed, the space agency put out a statement to say there is no Nibiru or Planet X coming to destroy Earth in 2012. What follows below is the true science and history of these supposed rogue planets, with reference to a real object, Comet Elenin, that somehow got mixed up in the whole mess.
The origins of the Nibiru myth
The story began in 1976, when Zecharia Sitchin wrote "The Twelfth Planet," a book which used Stitchin's own unique translation of Sumerian cuneiform to identify a planet, Nibiru, orbiting the sun every 3,600 years. Several years later, Nancy Lieder, a self-described psychic, announced that the aliens she claimed to channel had warned her this planet would collide with Earth in 2003. After a collision-free year, the date was moved back to 2012, where it was linked to the close of the Mayan long-count period. [VIDEO: End of Days in 2012? NASA Scientist Says No]
When Comet Elenin appeared in 2011, many were concerned that it was the mysterious planet in disguise, despite the fact that planets and comets both appear different under a telescope (a comet has a gas atmosphere [coma] and a tail, while a planet does not).
But instead of slamming into the Earth, the comet strayed too close to
the sun and broke into pieces. The leftover fragments continued on their
path to the outer solar system for the next 12,000 years, still bits of
comet and not a more cohesive planet.
Evidence for Nibiru?
Proponents of the fictitious planet note that, in 1984, a scientific paper was published in the Astrophysical Journal Letters which discussed several infrared sources with "no counterparts" that turned up in a survey of the sky. Such surveys are common in astronomy, and usually involve follow-ups that individually detail the more interesting sources. In the follow-up of the 1984 survey, most of the sources turned out to be distant galaxies. None were identified as planets. Both papers are available to the public.
A planet with an orbit so eccentric that it took 3,600 years to orbit the sun would create instabilities inside of the 4.5 billion year old solar system. After only a few trips, its gravity would have significantly disrupted the other planets, while feeling a responding push from those planets that would have changed its orbit significantly.
The easiest and most verifiable piece of evidence arguing against the existence of the theoretical planet can be performed by anyone - according to the information available, a planet with a 3,600 orbit that is due to impact Earth in 2012 should be available to the naked eye. Easily-performed calculations show that by April 2012, it would be brighter than the faintest stars viewed from a city, and almost as bright as Mars at its dimmest. This would make it visible to astronomers everywhere.
The most common rebuttal to this is the cry of conspiracy theory. However, there are hundreds of thousands of amateur astronomers around the world, each with their own telescope. On top of that, most of the thousands of professional astronomers are linked, not to the government, but to private universities.
David Morrison, the Senior Scientist of the NASA Astrobiology Institute, pointed out that "NASA and the government get most of their information from these outside astronomers, not the other way around."
Between the amateur and professional astronomers, there are plenty of people who would have noticed a new star in the sky.
Nothing to fear
Doomsday reports across the internet frequently incite fear, but it's interesting to note they are nothing new. People have been decrying the end of the world for hundreds of years, to no avail.
Rumors spread like wildfire on the internet, but the same technology can make it easier than ever to delve into the scientific evidence about such events.
Nibiru has been linked to NASA by various bloggers, and is also sometimes referred to or confused with Planet X, another supposed world for which there is no evidence.
Because of the Nibiru NASA connection that’s been claimed, the space agency put out a statement to say there is no Nibiru or Planet X coming to destroy Earth in 2012. What follows below is the true science and history of these supposed rogue planets, with reference to a real object, Comet Elenin, that somehow got mixed up in the whole mess.
Artist's conception of the rogue planet Nibiru, or Planet X.
CREDIT: gilderm | sxc.hu
CREDIT: gilderm | sxc.hu
The story began in 1976, when Zecharia Sitchin wrote "The Twelfth Planet," a book which used Stitchin's own unique translation of Sumerian cuneiform to identify a planet, Nibiru, orbiting the sun every 3,600 years. Several years later, Nancy Lieder, a self-described psychic, announced that the aliens she claimed to channel had warned her this planet would collide with Earth in 2003. After a collision-free year, the date was moved back to 2012, where it was linked to the close of the Mayan long-count period. [VIDEO: End of Days in 2012? NASA Scientist Says No]
When Comet Elenin appeared in 2011, many were concerned that it was the mysterious planet in disguise, despite the fact that planets and comets both appear different under a telescope (a comet has a gas atmosphere [coma] and a tail, while a planet does not).
Skywatcher Michael Mattiazzo got this image of comet Elenin, September 1, 2011, in the southern hemisphere.
CREDIT: Michael Mattiazzo
CREDIT: Michael Mattiazzo
Evidence for Nibiru?
Proponents of the fictitious planet note that, in 1984, a scientific paper was published in the Astrophysical Journal Letters which discussed several infrared sources with "no counterparts" that turned up in a survey of the sky. Such surveys are common in astronomy, and usually involve follow-ups that individually detail the more interesting sources. In the follow-up of the 1984 survey, most of the sources turned out to be distant galaxies. None were identified as planets. Both papers are available to the public.
A planet with an orbit so eccentric that it took 3,600 years to orbit the sun would create instabilities inside of the 4.5 billion year old solar system. After only a few trips, its gravity would have significantly disrupted the other planets, while feeling a responding push from those planets that would have changed its orbit significantly.
The easiest and most verifiable piece of evidence arguing against the existence of the theoretical planet can be performed by anyone - according to the information available, a planet with a 3,600 orbit that is due to impact Earth in 2012 should be available to the naked eye. Easily-performed calculations show that by April 2012, it would be brighter than the faintest stars viewed from a city, and almost as bright as Mars at its dimmest. This would make it visible to astronomers everywhere.
The most common rebuttal to this is the cry of conspiracy theory. However, there are hundreds of thousands of amateur astronomers around the world, each with their own telescope. On top of that, most of the thousands of professional astronomers are linked, not to the government, but to private universities.
David Morrison, the Senior Scientist of the NASA Astrobiology Institute, pointed out that "NASA and the government get most of their information from these outside astronomers, not the other way around."
Between the amateur and professional astronomers, there are plenty of people who would have noticed a new star in the sky.
Nothing to fear
Doomsday reports across the internet frequently incite fear, but it's interesting to note they are nothing new. People have been decrying the end of the world for hundreds of years, to no avail.
Rumors spread like wildfire on the internet, but the same technology can make it easier than ever to delve into the scientific evidence about such events.
It's Not the End of the World: What the Ancient Maya Tell Us About 2012 by Mark Van Stone
The Maya Cosmic Prophecy: From Sensation to Sensibility
Maya Scholars, in Mexico, Guatemala, Belize,
Honduras, El Salvador and North America, have been watching with
amusement and dismay as self-styled experts proclaim that ancient Maya
prophets foretold an earth-shattering happening to occur December 21,
2012. This predicted phenomenon gets described in contradictory but
often cataclysmic fashion--as an ecological collapse, a sunspot storm, a
rare cosmic conjunction of the earth, sun, and the galactic center, a
new and awesome stage of our evolution, and even a sudden reversal of
the Earth's magnetic field which will erase all our computer drives.
One even predicts the earth's initiation into a Galactic Federation,
whose elders have been accelerating our evolution with a "galactic beam"
for the last 5000 years. In sum, the world as we know it will suddenly
come to a screeching halt.
These predictions are alleged to be prophecies
by so-called "Ancient Mayans" whose "astronomically precise" calendar
supposedly terminates on that date. According to such accounts, these
mysterious Maya geniuses appeared suddenly, built an extraordinary
civilization, designed in it clues for us, and then suddenly,
inexplicably, vanished, as if they had completed their terrestrial
mission. These same experts claim special credibility for the Maya
prophecies by asserting that these historic sages, with their possible
extraterrestrial origins, had tapped into an astonishing esoteric
wisdom.
Could any of this be true?
The credibility of those claims deserves
rational attention-which is what I intend to provide. Neither mystic
nor prophet, I am a Mayanist. More specifically, I am a professional
art historian and an epigrapher (less formally, a glypher), one who can
read and write Maya hieroglyphs. For over a decade, I have focused my
scholarly research specifically on Maya culture and writing, making some
surprising discoveries that can present a more definitive perspective
on the prophecies of the ancient Maya seers. As we approach the
critical year, it is time to offer a more viable account of the Maya
prophecy and expose both the fallacies and ethnocentricism tainting the
current sensational accounts.
Here I intend to explain what we actually know
about (1) Maya knowledge and attitudes, both ancient and modern, (2) the
date 13.0.0.0.0. and (3) their many Creation stories and prophecies. I
shall draw from recent decipherment, ethnography, interviews with Maya
priests and knowledge-keepers, and especially from their surviving
prophetic literature. That literature includes The Books of Chilam
Balam, among others, the pre-Columbian Codices, and ancient
inscriptions. The evidence is sometimes fragmentary and often puzzling
to us moderns, at least at first. But I believe the effort will be
worth it.
First, let me affirm that the year 2012 does
hold particular significance in Mayan scholarship. Those of us who
study the ancient and modern Maya — anthropologists, archaeologists, art
historians, linguists, historians, amateurs, collectors — have been
anticipating the end of the Maya Great Cycle for some time. We write it
13.0.0.0.0 4 Ajaw 3 K'ank'in. We have known for half a century that
this date probably correlates to December 21 (or December 23) in the
year 2012 in the Gregorian calendar.
|
বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১২
2012
ছবিটি ওপেন করে সবাই একটু কষ্ট করে লেখাটি পড়ুন... এড়িয়ে যাবেন না দয়া করে...
অত্যন্ত তথ্যবহুল এবং যুক্তি সম্পন্ন একটি পোস্ট। একটু বড় হলেও দয়া করে পুরোটা পড়ুন এবং শেয়ার করুন। কারন এটি প্রতিটি মানবের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।- Admin
mobile share link > http://on.fb.me/HOe7yQ
জানি সময় একটু বেশি লাগবে। কিন্তু কথা দিচ্ছি, পোস্টটা পড়লে আপনার-ও খারাপ লাগবে। একটু হলেও নিজেকে সংশোধন করা যাবে। (মুসলমানদের জন্য)
========================== ======
২০১২ এবং ইসলাম তথা ১৪৩৩ আরো কিছু অজানা তথ্য: প্লিজ পড়ুন
ইসলাম যেখানে একঈশ্বর এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সত্যতাতে বিশ্বাস করতে হয় সেখানে বস্তুবাদ কিংবা ত্রিতত্ত্ববাদ (Trinity) কিংবা বহুঈশ্বরবাদ এর কোনো স্থান নেই | নিশ্চয়ই আল্লাহ মহান |
আমি এখানে আগে মায়ান এবং বর্তমান সম্পর্কে কিছু বলব. তা না হলে ২০১২ নিয়ে স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যাবে না |
পৃথিবীতে বরফ যুগের ম্যামোথ থেকে শুরু করে ডাইনোসোর এরা প্রত্যেকেই ধ্বংস হয়েছে . পৃথিবীতে কোনো কিছুই স্থায়ী নয় এমনকি --- আমরাও না .
২০১২ নিয়ে আমরা অনেকেই কমবেশ জানি | অনেকেই জানি সুপার হিট ফীল্ম 2012 এর কথা | কিন্তু এই ফীল্মও ২০১২ এর সতর্ক বাণী স্বরূপই তৈরী করা হয়েছিল যা কিনা পরে মুভী ইন্ড্রাস্ট্রিতে ফীল্ম হিসেবেই প্রকাশ পায় | 2012 এর তৈরির পিছনে মায়ান ক্যালেন্ডার এর ভূমিকা ছিল | মায়ান ক্যালেন্ডারে ২০১২ এর পর আর ২০১৩ আসে নি, তারা আবার ১, ২, ৩ এভাবে গুনে গিয়েছে | তারা ২০১২ এ বিশাল ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে যাতে কিনা সভ্যতার ধ্বংস হবে এবং নতুন সভ্যতার উত্থান হবে | অনেকেই বলেন ২০১২ তে নাকি পৃথিবী ধ্বংস হবে. এটা একটা ভুল ধারনা | ২০১২ তে যদি কিছু হয় তাহলে বড় রকমের বিপর্যয় হতে পারে (আল্লাহ ভালো জানেন) যার ফলে পৃথিবীর ৯০% মানুষই মারা যাবে . মায়ানরা যেটা দেখেছিল তা ছিল একটি গ্রহ | তারা দেখেছিল এই বিশাল গ্রহটি তাদেরকে আচ্ছাদিত করছে. এর তুমুল গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স এর প্রভাবে সুনামি আঘাত হানার ফলে ওদের সভ্যতা ধ্বংস হল | তাই তারা এই গ্রহটির নাম দিয়েছিল নিবিরু(Nibiru) বা ধ্বংসকারী. খুব ছোট অংকের মাধ্যমে তারা গ্রহের আসা যাওয়ার গণনা করতে পারত | ওরা এতটাই উন্নত ছিল যে ওরা জানত পৃথিবীর কক্ষপথ অনেকটা গোলাকার | তারা আরো জানত পৃথিবীর সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে আসতে ৩৬৫ দিন লাগে যা আমরা কয়েক শতক আগেও জানতাম না | ওদের মধ্যে যে কেউ ভবিষ্যত গণনা করতে পারত | স্বল্প সংখ্যক যারা বেচেছিল তারাই তাদের ভবিষ্যত গণনা করে বলেছিল এই নিবিরু আবার ২০১২ তে আসবে যার ফলে ভয়াবহ দুরঅবস্থার দেখা দিবে | অনেকে ধারনা করেন এই আদিম মায়ানরাই হল কুরআন এ বর্নিত নুহ নবীর উম্মত যাদেরকে আল্লাহ মহাপ্লাবন দ্বারা ধ্বংস করেছিলেন | যাই হোক এ নিয়ে বলতে শুরু করলে সারা দিন লেগে যাবে.
এখন আধুনিক সভ্যতার প্লানেট এক্স আবিষ্কার এবং নাসা আমেরিকা ইউরোপ এর ষড়যন্ত্রের কথা বলব. প্ল্যানেট এক্স (নিবিরু) জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ১৯৮৩ এর গোড়ার দিকে সৌর সিস্টেম এর বাহির এর দিকে আবিষ্কার করে | ১৯৮৩ সালে নাসার ইরাস (IRAS-ইনফ্রা অ্যাস্ট্রোনমিকাল উপগ্রহ) সৌরজগত এর শেষ দিকে বৃহষ্পতি এর মত বড় কিছুর উপস্থিতির কথা বলে | যা ১৯৮৩ এর টাইমস পত্রিকায় উল্লেখ করা হয় |
লিংক= http://m.facebook.com/ l.php?u=http%3A%2F%2F3.bp.b logspot.com%2F-xXP7Jh9SWhs %2FTsvmP3a3CkI%2FAAAAAAAAA CU%2FabJw_t6xuFM%2Fs1600%2 FClues%2BGet%2Bwarm%2Bin%2 Bthe%2Bsearch%2Bof%2Bplane t%2Bx%2B%252528real%2Bphot o%2B1%2Bfrom%2BNY%2Btimes% 2B30-01-1983%252529.gif&h= 8AQEWVAZg
সর্বপ্রথম ১৯৭২ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জোসেফ ব্র্যাডি আবিষ্কার করেন কোনো অপরিচিত গ্রহ (প্ল্যানেট এক্স) হ্যালির ধুমকেতুর কক্ষপথের মহাকর্ষিক সমস্যার কারণ | জোতির্বিজ্ঞানিদের গাণিতিক হিসাব এটা প্রমান করে যে, এই অপরিচিত গ্রহের ভর পৃথিবীর ৫ গুণ বেশি | এ সম্পর্কে মহাকাশ বিজ্ঞানী যেচারিয়া সিচিন (Zecharia Sitchin) এর একটি বক্তব্য না বললেই নয় ১৯৭৮ সালে তিনি বলেন, “আমাদের সৌরজগতে ৯টি গ্রহ নয় যা সর্বজন কর্তৃক গৃহীত বরং ১০ টি গ্রহ |”
এই বিশাল বস্তর কারণেই যে প্লুটো এর অরবিট পরিবর্তিত হয় এবং প্লুটো তার গ্রহের মর্যাদা হারায় পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা তা কোনো অজানা কারণে আংশিক প্রকাশ করেন | (বর্তমানে প্লুটোকে Kuiper belt এর অংশ বলা হয়) অনেকে একে বাদামী তারা বলেছেন অনেকে বলেছেন ব্যর্থ তারা | অনেকে বলেছেন ধুমকেতু | অনেকে বলেছেন ১০তম গ্রহ অনেকে ১২তম গ্রহ | তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হল এর ভর বৃহষ্পতির চেয়েও বেশী | এর অরবিটও অন্য ধরনের | এর এক অরবিট সম্পন্ন হয় প্রায় তিন হাজার ছয়শ বছর এ | যদি এর আমাদের আরো তিন হাজার ছয়শ বছর আগে নুহ (আঃ) এসে থাকেন তাহলে এর পরের বার পৃথিবী ভ্রমন অতি নিকটেই | আমি আবারো বলছি যে এটি এর আগেও কখনো পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষ করে নি এই বার আসলেও করবে না | এর তুমুল গ্র্যাভিটির কারণেই পৃথিবীর নর্থ পোল আর সাউথ পোল ঘুরে যাবে ফলে সুর্য পশ্চিম দিকে উঠবে যা ইসলাম আমাদের ১৪০০ বছর আগেই বলে দিয়েছে | এর ফলে পৃথিবীর ৯০% মানুষ মারা যাবে বলে ধারণা করা হয় (আল্লাহই ভালো জানেন) | নর্থ পোল সাউথ পোল ইতিমধ্যে সরতে শুরু করেছে | ২০০৪ সালে সূর্যে বেশ কয়েকটি সৌরকলঙ্ক(Dark Spot) সৃষ্টি হয় এর ফলে যে সৌরঝড় (Sun Storm) এবং যে পরিমাণ রেডিয়েশন হয়েছিল তা আমাদের ম্যাগনেটিক পোলগুলো সহ্য করতে পারে নি | আর ঐ দিন পৃথিবীর সুমাত্রাতে ৯.২ রিকটার স্কেলের ভয়াবহ ভূমিকম্পসহ ভয়াবহ কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছিল, ঐ দিন ইন্দোনেশিয়াতে সুনামি হয়েছিল | এ থেকে বুঝা যায় সৌরকলঙ্কের সাথে পৃথিবীর ভূমিকম্পের সম্পর্ক রয়েছে | এই রেডিয়েশন আমাদের মাটির অভ্যন্তরের আন্দোলনকে সক্রিয় করে |
আসছে ২০১২ সবচেয়ে বেশি সৌরঝড় এর বছর |
এখন আমি আমেরিকার নাসার এবং ইউরোপ এর ষড়যন্ত্রের কথা বলব |
প্ল্যানেট এক্স আবিষ্কার এর পর নাসা ও ইসা(ESA- European Space Agency) প্রথমে নিবিরু এর সত্যিকারের ছবি প্রকাশ করলেও তারা এখন এ ব্যাপারে নিশ্চুপ |
এখন গুগল স্কাই এ নিবিরু তথা প্ল্যানেট এক্স এর অবস্থান কালো অংশ দিয়ে ঢাকা| যে কেউ দেখলে বুঝবে এখানে কিছু ছিল যা তারা দেখতে দিচ্ছেনা | কেউ কি ভেবে দেখছেন ওরা কী লুকাতে চাচ্ছে ? ওরা এটা ভাবছে যে এটা জানালে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে কিন্তু ওরা না জানিয়ে আরো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে |
এখন আমেরিকা এবং বিভিন্ন এলাকার গোপন বাজেট এর কথা বলি | আমেরিকা তাদের অনেক নিরাপদ জায়গায় আন্ডারগ্রাউন্ড বেস (যার সংখ্যা আনুমানিক ভাবে ১৩২ এর চেয়েও বেশী) বানাচ্ছে | নিরাপদ এই কারণে বললাম কারণ এই সকল এলাকায় ভূমিকম্প বা যেকোনো দূর্যোগ মুক্ত বলে তাদের ধারনা | (কিন্তু এখন এসব এলাকাতেও ভূমিকম্প হতে পারে) যেটি একটি গোপন প্রযেক্ট | এমনকি আমেরিকান মানুষদেরও সেখানে প্রবেশাধিকার নেই | এর নাম হলো ডামবস প্রযেক্ট (D.U.M.Bs.- Deep Underground Military Bases)| এই বেস গুলোতে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার মজুদ রাখা সহ সেখানে বৈজ্ঞানিক ভাবে মাটির নিচে খাবার উত্পাদন করার ব্যবস্থা করেছে | এটি একটি সম্মিলিত প্রযেক্ট | বিভিন্ন উন্নত দেশ এর সাথে গোপন ভাবে যুক্ত | রাশিয়া-আমেরিকা চিরন্তন শত্রু হওয়া সত্ত্বেও ওরাও এটার সদস্য | সাথে আছে ইউরোপ এর বিভিন্ন দেশ |
ওরাই বলেছে “আমরা আসন্ন মহাদূর্যোগ এ সবাইকে বাঁচাতে পারব না, আমরা শুধু তাদেরকেই বাঁচাব যাদেরকে আমাদের দরকার ” | এমনকি SPT(south pole telescope) এর সব উপাত্ত গোপন রাখা হয়েছে.
এখন আমি পবিত্র আল কুরআন এর গাণিতিক কোড টার্ম ১৪৩৩(২০১২) এর কথা বলব সাথে ইমাম মাহদি আসার কিছু হাদীস বলব |
১৪৩৩ পবিত্র কুরআন এর ম্যাথম্যাটিকাল কোড
পবিত্র কুরআন এর ম্যাথম্যাটিকাল কোডের কথা বলতে হলে আগে আমাদের প্রাইম নাম্বার সম্পর্কে জানতে হবে | সবাই জানেন প্রাইম নাম্বার কি | তাও বলি যে সকল নাম্বার 1 এবং ঐ নাম্বার ছারা আর কোনো নাম্বার দিয়ে ভাগ যায় না তাদেরকে প্রাইম নাম্বার বলে | যেমন : ১,২,৩,৫,৭,১১,১৩,১৭,১৯,২৩.. .
লক্ষ্য করুন এই ডিফারেন্স কিন্তু অনিয়মিত | আবার এক বিশেষ ধরনের প্রাইম
নাম্বার আছে যাকে অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার বলা হয় | অ্যাডিটিভ প্রাইম
নাম্বার সেই সকল বিশেষ প্রাইম নাম্বার যেগুলোর সংখ্যামানের যোগফলও প্রাইম
নাম্বার হয় |
একটা উদাহরন দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে যেমন : ১১ একটি অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার | (১+১=২ | ২ একটি প্রাইম নাম্বার) | আল্লাহ তা আলা কুরআনেও এই সব নাম্বার ব্যবহার করেছেন | পবিত্র কুরআনের শুরুর সূরা ফাতিহাতে ৭ টি আয়াত, ২৯ টি শব্দ, ১৩৯ টি বর্ণ আছে যার সবগুলিই অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার | এমনকি এগুলোকে বাম দিক থেকে বা ডান দিক থেকে যেকোনো দিক থেকে এদের পাশাপাসি বসালে তাও অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার হয় |
|||৭২৯১৩৯ বা ১৩৯২৯৭ ||| ৭+২+৯+১+৩+৯=31 |||
পবিত্র কুরআনের অসংখ্য স্থানে অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার এর কথা বলা হয়েছে |
এখন আমি ২০১২ তে আসি :
পবিত্র কুরআনের সূরা আর-রহমান এ ৩১ বার বিভিন্ন আয়াতে “ফাবিআয়্যি আলা ইরাব্বিকু মা তুকাজ্জিবান” বলা হয়েছে | যার অর্থ “তোমরা (জ্বীন ও মানব জাতি) তোমার প্রতিপালকের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে”
১৩, ১৬, ১৮, ২১, ২৩, ২৫, ২৮, ৩০, ৩২, ৩৪, ৩৬, ৩৮, ৪০, ৪২,৪৫, ৪৭, ৪৯, ৫১, ৫৩, ৫৫, ৫৭, ৫৯, ৬১, ৬৩, ৬৫, ৬৭, ৬৯, ৭১, ৭৩, ৭৫, ৭৭
এখন এসকল আয়াতসমূহ যোগ করা হলে যা পাওয়া যায় তা হল 1433 |
১৩+ ১৬ + ১৮ + ২১ + ২৩ + ২৫ + ২৮ + ৩০ + ৩২ + ৩৪ + ৩৬ + ৩৮ + ৪০ + ৪২ + ৪৫ + ৪৭ + ৪৯ + ৫১ + ৫৩ + ৫৫ + ৫৭ +৫৯ + ৬১ + ৬৩ +৬৫ + ৬৭ + ৬৯ + ৭১ + ৭৩ + ৭৫ + ৭৭ = ১৪৩৩
এখন লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ১৪৩৩ একটি প্রাইম নাম্বার এমনকি এর যোগফলও প্রাইম নাম্বার (১+৪+৩+৩=১১) |
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সূরা আর রহমানের শব্দ সংখ্যা ৩৫৫ | এর মাধ্যমে একে বারে আগামী বছর চিহ্নিত হচ্ছে কারণ ১৪৩৩ হল লিপ ইয়ার | আর হিজরী লিপ ইয়ার হয় ৩৫৫ দিন এ |
আরো আশ্চর্যের বিষয় হল পবিত্র কুরআনের ১৪৩৩ নাম্বার আয়াত বর্ণ গুনে গুনে এমনকি শব্দ গুনে গুনে দেখলেও প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আযাব এবং শাস্তির কথা লক্ষ্য করা যায় |
১৪৩৩ তম আয়াত হল পবিত্র কুরআনের সূরা ইউনুস এর ৬৯ নং আয়াত |
সূরা ইউনুস (১০-৬৯)“বলে দাও, যারা এরূপ করে তারা অব্যাহতি পায় না।“
আবার বর্ণ গুনে গুনে ১৪৩৩তম হয় সূরা বাকারাঃ(২:৮৬)
“এরাই পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবন ক্রয় করেছে। অতএব এদের শাস্তি লঘু হবে না এবং এরা সাহায্যও পাবে না”।
আবার শব্দ গুনে গুনে ১৪৩৩ তম হয় সূরা বাকারাঃ(২:২৪)
“আর যদি তা না পার-অবশ্য তা তোমরা কখনও পারবে না, তাহলে সে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে অবিশ্বাসীদের জন্য” |
এখন গোলাকার এই পৃথিবীকে ৩৬০˚ দ্রাঘিমাংশ (উল্লম্ব অর্ধবৃত্ত) এবং ১৮০˚ অক্ষাংশে (অনুভূমিক পূর্ণবৃত্ত) ভাগ করা যায় | আবারও সৃষ্টিকর্তা সূরা আর রহমানে ৩১ বার বর্নিত আয়াতের মাধ্যমে এর কথা বলছেন যার পরিসর ০˚ থেকে ৯০˚ এর মধ্যে |
১৩˚ ১৬˚ ১৮˚ ২১˚ ২৩˚ ২৫˚ ২৮˚ ৩০˚ ৩২˚ ৩৪˚ ৩৬˚ ৩৮˚ ৪০˚ ৪২˚ ৪৫˚ ৪৭˚ ৪৯˚ ৫১˚ ৫৩˚ ৫৫˚ ৫৭˚ ৫৯˚ ৬১˚ ৬৩˚ ৬৫˚ ৬৭˚ ৬৯˚ ৭১˚ ৭৩˚ ৭৫˚ ৭৭˚ এখন এই বারবার পুনরাবৃত্তি হওয়া আয়াতসমূহ দুই ধরনের অস্তিত্বশীল বস্তুর (মানুষ ও জ্বিন) কথা বলে তাই এই ল্যাটিটিউড নাম্বারগুলো যদি উত্তরাঞ্চলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলীয় উভয় গোলার্ধের জন্য প্রয়োগ করা হয়, (১৩ নর্থ ১৩ সাউথ এভাবে পৃথিবীর মানচিত্রে বসানো হলে) তাহলে তা পবিত্র ভূমি মক্কা, জেরুজালেম, মদীনা, ছাড়া পৃথিবীর সব ঘনবসতিপূর্ণ প্রায় ৯০০০০ এলাকাকে চিহ্ণিত করে | তবে একটা জিনিস লক্ষ রাখতে হবে তা হল কুরআনুযায়ী পৃথিবীর কেন্দ্র মক্কা যা বিজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত | তাই এক্ষেত্রে আমাদের মক্কাকে কেন্দ্র ধরে হিসাব করতে হবে |
হাদীসে ২০১২ এবং ঈমাম মাহদি সম্পর্কে আসি :
এ বিষয়ে অনেকেই একমত যে ইমাম মাহদির জম্ম হয়ে গিয়েছে | হাদীসে ঈমাম মাহদি আসার আলামত হিসেবে পৃথিবীর চরম বিপর্যয়, দুর্ভোগ এবং মহাদুর্যোগের কথার উল্লেখ আছে |
সব হাদীস না বলে আমি কয়েকটা হাদীস বলব |
“পৃথিবী ততক্ষন পর্যন্ত এর পরিঃশেষ হবে না যতক্ষন পর্যন্ত না আমার পরিবার (বংশ) থেকে একজনের আবির্ভাব হবে এবং সারা পৃথিবীতে ন্যায়ের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে ” |
ইমাম মাহদির আগমনের আরেকটি লক্ষন হলো দুইশিংযুক্ত একটি তারার (আপনি চাইলে একে প্লানেট এক্স বলতে পারেন) আগমন যার লম্বা লেজ থাকবে এবং সারা আকাশকে আলোকিত করবে এর কারণে উপকূলবর্তী স্থানসমূহ ডুবে যাবে |
ঘনঘন ভূমিকম্প হবে |
মহানবী (সঃ) আরো বলেন,
“তোমরা ততক্ষন পর্যন্ত ইমাম মাহদিকে দেখতে পাবে না যতক্ষন পর্যন্ত না ১৫ রমজান শুক্রবার পৃথিবীর পূর্ব, পশ্চিম এবং অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলাতে তিনটি ভয়াবহ ভূমিধ্বস হবে যা কোনো চোখ এ পর্যন্ত দেখে নি” |
তারপর আয়েশা (রঃ) জিজ্ঞেস করলেন “যদিও পৃথিবীতে কিছু ভালো মানুষ থাকবে তাও কি এ ঘটবে?”
মহনবী (সঃ) বললেন, “যখন খারাপের সংখ্যাই বেশি হবে এবং পৃথিবীতে অন্যায় অবিচার বেড়ে যাবে এবং বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে |”
এই ভূমিধ্বস ঐ স্থানের সকলকে গিলে ফেলবে |
http://m.facebook.com/ l.php?u=http%3A%2F%2Fwww.is lamicfinder.org%2FdateConv ersion.php&h=fAQFOZRqY
এই সাইটে গিয়ে ১৫ রমজান ১৪৩৩ লিখে দেখুন তাহলে ইংরেজী সণে যে তারিখ পাওয়া যায় তা হল ৩ আগস্ট ২০১২ শুক্রবার | আল্লাহই ভালো জানেন কি হবে না হবে তবে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত |
ইমাম মাহদি আসার আরো লক্ষন হলো বিশৃঙ্খলা ও বিদ্রোহ দেখা দিবে এক জায়গায় বিদ্রোহ হতেই অন্য স্থানে বাতাসের গতিতে তা ছড়িয়ে পড়বে | রমজান মাসে ২ টি গ্রহন হবে যদিও এই লক্ষনটি পূর্ণ হয়ে গিয়েছে হিজরী ১৪০২ সণে |ইরাক-ইরান যুদ্ধ ইমাম মাহদি আসার লক্ষন | দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে | সোমালিয়া সহ আরো কয়েকটি দেশে ১.৫ কোটিরও অধিক মানুষ দুর্ভিক্ষ কবলিত |
জেরুজালেম ইহুদিদের দখলে চলে যাবে, মানুষ মিথ্যা কথাকে সুদ গ্রহনকে সকল ধরনের গানবাজনাকে হালাল বলে মনে করবে, অযোগ্য ও অসত্ ব্যক্তিরা রাষ্ট্রপ্রধান হবে , দেশে দেশে বিদ্রোহ দেখা দিবে, সত্য বিলুপ্ত হবে, ধর্মপ্রচার করা কঠিন হয়ে যাবে, ধর্মের কথা বললে মানুষ খারাপ বলে মনে করবে, দিন খুব দ্রুত যাবে বলে মনে হবে এগুলি সবই হলো ইমাম মাহদি আসার লক্ষন | এছাড়া আরো অনেক লক্ষন আছে যা বর্তমান যুগের সাথে মিলে | সিরিয়া, ইয়েমেনে যা হচ্ছে তাও ইমাম মাহদির আগমনের আলামত | হাদিসে বলা হয়েছে দাজ্জাল শাসন করবে ৪০ দিন. ১ম দিন ১ বছরের মত, ২য় দিন ১ মাসের মত আর ৩য় দিন ১ সপ্তাহের মত এবং বাকী ৩৭ দিন আমাদের স্বভাবিক দিনের মত. এখন সুরা হজ্জ এর ৪৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে- “ তোমার প্রতিপালকের ১ দিন তোমার ১ হাজার বছরের সমান |”
১ দিন = ১০০০/১বত্সর = ১০০০ বত্সর
১ দিন = ১০০০/১২মাস = ৮৩.৩৩ বত্সর
১ দিন = ১০০০/৫২সপ্তাহ = ১৯.২৩ বত্সর
এই হিসাব অনুযায়ী দাজ্জাল (AntiChrist) তার গোপন এবং প্রতারণাপূর্ণ সংগঠন শুরু করেছে তার অনুসারী ইহুদীদের মাধ্যমে বৃটেনে প্রায় ৯০০ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত. যা হল ১০০০ বছর. এইরুপে দাজ্জাল তার ১ম দিন শেষ করল. দাজ্জাল এভাবে ২য় দিনে এবং ১৯১৭ সালে অ্যামেরিকার কাছে এই সংগঠনের ক্ষমতা হস্তান্তর করল এবং সকল ধরনের কার্যক্রম চালু রাখল . ২০০১ সালের ৯/১১ পর্যন্ত যা ৮৩.৩৩ বছর. এভাবে দাজ্জাল তার ২য় দিন শেষ করল এবং তার ক্ষমতা ঈসরাইলের কাছে হস্তান্তর করল. সেই অনুযায়ী এখন চলছে দাজ্জালের ৩য় দিন যা শেষ হবে (২০০১+১৯)= ২০২০ সালে. এরপর আসবে সত্যিকার দাজ্জাল শারীরিক ভাবে যা আমাদের ৩৭ দিনের মত. আরেক হাদিসে বলা হয়েছে ইমাম মাহদি শাসন করবেন ৭ বত্সর. মহানবী (সঃ) বলেছেন, “বিশাল যুদ্ধ এবং ইস্তাম্বুল জয় এর মধ্যে ৬ বছর পূর্ণ হবে এবং দাজ্জাল এর আগমন ঘটবে সপ্তম বছরে.
অপর হাদিসে বলা হয়েছে ইমাম মাহদি শাসনের ৭ম বছরে দাজ্জালের আগমন হবে. সুতরাং ২০২০-৭=২০১৩. সেই অনুযায়ী ইমাম মাহদির আগমন ২০১৩ এ ঘটতে পারে. আল্লাহই ভালো জানেন. আর ইমাম মাহদির আগমনের পূর্বে পৃথিবীতে মারাত্নক দুর্যোগ হবে তা ২০১২. আল্লাহই ভালো জানেন.
মহানবী (সঃ) বলেছেন, “সারা পৃথিবী ধোয়া দিয়ে আচ্ছন্ন না হওয়া পর্যন্ত সেই দিন (ইমাম মাহদির আগমনের দিন) আসবে না ”
ডিসকোভারির অ্যাপোকিলিপ্স আর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের বেশ কয়েকটি ডকুমেন্ট রয়েছে এ সম্বন্ধে . তাদের মতে লা পামার (La Palma) এই কুমব্রেভিয়েহা অথবা আমেরিকার ইয়েলোস্টোনের অগ্নুত্পাত হলে সারা আমেরিকা নিশ্চিহ্ন হবে এবং এর ফলে সারা পৃথিবী ধোঁয়ায় ঢেকে যাবে. এমনকি মাসখানেক সূর্যও চোখে পড়বে না.
পাঠক চিন্তা করবেন না আরো কয়েকটা কথা বলে ইনশাল্লাহ শেষ করে ফেলব | ইসা (আঃ) তথা যিশু (Jesus) এর পুনঃআগমন এতে আমাদের প্রত্যেকেরই বিশ্বাস করতে হয় |
শুধু আমি একটাই হাদীস বলব সেটা হলো – ইসা (আঃ) (Jesus Christ) দাজ্জালকে (AntiChrist) ২টি তীর দিয়ে মারবেন গেইট অব লুত এ যা ইসরাইল এ অবস্থিত | আমাদের সমাজে এখন পারমানবিক বোমা থেকে শুরু করে কত ধরনের রাইফেল আছে তা সত্ত্বেও এই শক্তিশালি দাজ্জালকে (এন্টিখ্রিস্ট) কেন ২টি তীর দিয়েই মারা হবে ? এ থেকে বুঝা যায় আমাদের এই চরম উন্নত সভ্যতা আর থাকবে না, মানবের এই উন্নত সভ্যতার পতন ঘটবে এবং কুব কম সংখ্যকই টিকে থাকবে (আল্লাহই ভালো জানেন) |
এখনই সময় জীবনকে সুন্দর করে তোলার নতুবা এমন এক সময় আসবে যখন চাইলেও আর পারবেন না |
আমি কয়েকটা জিনিস স্পষ্ট করতে চাই
১. আমি কিন্তু ১০০ ভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি না আগামী বছরই হবে, সর্বশক্তিমান আল্লাহই ভালো জানেন | নিশ্চই তিনি মহাজ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ |
২. আমরা কেউ কখনও এ কখনও এ কথা বলতে পারি না যে কেয়ামত অনেক দুরে কারন তা কুরআন বিরোধী | কেয়ামত সম্পর্কিত জ্ঞান আল্লাহর ছাড়া আর কারো নেই | কেয়ামত অনেক দুরে এই কথা বলা উচিত না কারন আল্লাহই কুরআনে উল্লেখ করেছেন যে, “কেয়ামত সন্নিকটে” (সূরা ক্বামার)
আল্লাহর অযাব সম্পর্কে এভাবেই সূরা মুলকের ১৬ থেকে ১৮ আয়াতে বলা হয়েছে-
তোমরা কি নিশ্চিত যে, আকাশে যিনি আছেন তিনি তোমাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দেবেন না, অতঃপর তা কাঁপতে থাকবে না।
তোমরা কি নিশ্চিন্ত যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন না, অতঃপর তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী।
তাদের পূর্ববর্তীরা মিথ্যারোপ করেছিল, অতঃপর কত কঠোর হয়েছিল আমার অস্বীকৃতি।
৩. আর আবারও বলছি কেউ এটা কখনই ১০০% বিশ্বাস করবেন না. বিশ্বাস করবেন না যে এটা আগামি বছরই হবে. হ্যা তবে এটা হবেই ২০১২ তে না হলেও এসব ঘটার সময় সন্নিকটে. আর বারবার বলছি পৃথিবী ধ্বংস হবে না বড় দুর্যোগ হতে পারে (আল্লাহই ভালো জানেন) .
৪. আর কখনই বলবেন না কেয়ামত অনেক দুরে কারন মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “আমার জন্ম আর কেয়ামত হাতের মধ্যমা আর তর্জনি এই দুই আঙ্গুলের ব্যবধানের সমান | ” তাই আমাদের আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত নতুবা পরে নিজেই পস্তাবেন |
৫. মহানবী (সঃ) বলেছেন – “ শেষ যুগে আমার কিছু উম্মত মদ, ব্যভিচার, ঘুষ, সুদ, মিথ্যা কথা বলা এগুলিকে হালাল বলে মনে করবে ” | এখনকার যুগে এর প্রত্যেকটি হচ্ছে |
আর আমরা হলাম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর উম্মত মানে আমরা শেষ যুগের মানুষ আমরা এটা কিভাবে ভুলে যাই ???
কেয়ামতের আলামত হল .মানুষ ঘরে বসেই দূরের খবর জানতে পারবে ।উচু ইমারত নির্মান করা হবে । মেয়েরা বেপর্দার সাথে ঘুরে বেড়াবে । সন্তান বাবা মায়ের অবাধ্য হবে । জিনা ব্যাভিচার বেড়ে যাবে । বর্তমানে এগুলো ব্যাপক হারে ঘটে যাচ্ছে । সুতরাং কেয়ামত সন্নিকটে । তাই আসুন আগে থেকেই সতর্ক হই । আল্লাহ ও রাসুলের (সাঃ) আনুগত্য করি ।
৬. আবারও বলছি আমি আপনাকে ভয় দেখাচ্ছি না. এটা জেনে আপনি যদি নিজেকে সংশোধন করেন তাহলেই আমার সাফল্য. আমি এবং আমরা বন্ধু ইমাম মাহদির সাথে ১৪৩৩ তথা ২০১২ এর সম্পর্ক এই নিয়ে রিসার্চ করে নিজেদের পাল্টিয়েছি. এবার আপনার বদলানোর পালা নতুবা পরে অনেক দেরি হয়ে যাবে.
অত্যন্ত তথ্যবহুল এবং যুক্তি সম্পন্ন একটি পোস্ট। একটু বড় হলেও দয়া করে পুরোটা পড়ুন এবং শেয়ার করুন। কারন এটি প্রতিটি মানবের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।- Admin
mobile share link > http://on.fb.me/HOe7yQ
জানি সময় একটু বেশি লাগবে। কিন্তু কথা দিচ্ছি, পোস্টটা পড়লে আপনার-ও খারাপ লাগবে। একটু হলেও নিজেকে সংশোধন করা যাবে। (মুসলমানদের জন্য)
==========================
২০১২ এবং ইসলাম তথা ১৪৩৩ আরো কিছু অজানা তথ্য: প্লিজ পড়ুন
ইসলাম যেখানে একঈশ্বর এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সত্যতাতে বিশ্বাস করতে হয় সেখানে বস্তুবাদ কিংবা ত্রিতত্ত্ববাদ (Trinity) কিংবা বহুঈশ্বরবাদ এর কোনো স্থান নেই | নিশ্চয়ই আল্লাহ মহান |
আমি এখানে আগে মায়ান এবং বর্তমান সম্পর্কে কিছু বলব. তা না হলে ২০১২ নিয়ে স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যাবে না |
পৃথিবীতে বরফ যুগের ম্যামোথ থেকে শুরু করে ডাইনোসোর এরা প্রত্যেকেই ধ্বংস হয়েছে . পৃথিবীতে কোনো কিছুই স্থায়ী নয় এমনকি --- আমরাও না .
২০১২ নিয়ে আমরা অনেকেই কমবেশ জানি | অনেকেই জানি সুপার হিট ফীল্ম 2012 এর কথা | কিন্তু এই ফীল্মও ২০১২ এর সতর্ক বাণী স্বরূপই তৈরী করা হয়েছিল যা কিনা পরে মুভী ইন্ড্রাস্ট্রিতে ফীল্ম হিসেবেই প্রকাশ পায় | 2012 এর তৈরির পিছনে মায়ান ক্যালেন্ডার এর ভূমিকা ছিল | মায়ান ক্যালেন্ডারে ২০১২ এর পর আর ২০১৩ আসে নি, তারা আবার ১, ২, ৩ এভাবে গুনে গিয়েছে | তারা ২০১২ এ বিশাল ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে যাতে কিনা সভ্যতার ধ্বংস হবে এবং নতুন সভ্যতার উত্থান হবে | অনেকেই বলেন ২০১২ তে নাকি পৃথিবী ধ্বংস হবে. এটা একটা ভুল ধারনা | ২০১২ তে যদি কিছু হয় তাহলে বড় রকমের বিপর্যয় হতে পারে (আল্লাহ ভালো জানেন) যার ফলে পৃথিবীর ৯০% মানুষই মারা যাবে . মায়ানরা যেটা দেখেছিল তা ছিল একটি গ্রহ | তারা দেখেছিল এই বিশাল গ্রহটি তাদেরকে আচ্ছাদিত করছে. এর তুমুল গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স এর প্রভাবে সুনামি আঘাত হানার ফলে ওদের সভ্যতা ধ্বংস হল | তাই তারা এই গ্রহটির নাম দিয়েছিল নিবিরু(Nibiru) বা ধ্বংসকারী. খুব ছোট অংকের মাধ্যমে তারা গ্রহের আসা যাওয়ার গণনা করতে পারত | ওরা এতটাই উন্নত ছিল যে ওরা জানত পৃথিবীর কক্ষপথ অনেকটা গোলাকার | তারা আরো জানত পৃথিবীর সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে আসতে ৩৬৫ দিন লাগে যা আমরা কয়েক শতক আগেও জানতাম না | ওদের মধ্যে যে কেউ ভবিষ্যত গণনা করতে পারত | স্বল্প সংখ্যক যারা বেচেছিল তারাই তাদের ভবিষ্যত গণনা করে বলেছিল এই নিবিরু আবার ২০১২ তে আসবে যার ফলে ভয়াবহ দুরঅবস্থার দেখা দিবে | অনেকে ধারনা করেন এই আদিম মায়ানরাই হল কুরআন এ বর্নিত নুহ নবীর উম্মত যাদেরকে আল্লাহ মহাপ্লাবন দ্বারা ধ্বংস করেছিলেন | যাই হোক এ নিয়ে বলতে শুরু করলে সারা দিন লেগে যাবে.
এখন আধুনিক সভ্যতার প্লানেট এক্স আবিষ্কার এবং নাসা আমেরিকা ইউরোপ এর ষড়যন্ত্রের কথা বলব. প্ল্যানেট এক্স (নিবিরু) জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ১৯৮৩ এর গোড়ার দিকে সৌর সিস্টেম এর বাহির এর দিকে আবিষ্কার করে | ১৯৮৩ সালে নাসার ইরাস (IRAS-ইনফ্রা অ্যাস্ট্রোনমিকাল উপগ্রহ) সৌরজগত এর শেষ দিকে বৃহষ্পতি এর মত বড় কিছুর উপস্থিতির কথা বলে | যা ১৯৮৩ এর টাইমস পত্রিকায় উল্লেখ করা হয় |
লিংক= http://m.facebook.com/
সর্বপ্রথম ১৯৭২ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জোসেফ ব্র্যাডি আবিষ্কার করেন কোনো অপরিচিত গ্রহ (প্ল্যানেট এক্স) হ্যালির ধুমকেতুর কক্ষপথের মহাকর্ষিক সমস্যার কারণ | জোতির্বিজ্ঞানিদের গাণিতিক হিসাব এটা প্রমান করে যে, এই অপরিচিত গ্রহের ভর পৃথিবীর ৫ গুণ বেশি | এ সম্পর্কে মহাকাশ বিজ্ঞানী যেচারিয়া সিচিন (Zecharia Sitchin) এর একটি বক্তব্য না বললেই নয় ১৯৭৮ সালে তিনি বলেন, “আমাদের সৌরজগতে ৯টি গ্রহ নয় যা সর্বজন কর্তৃক গৃহীত বরং ১০ টি গ্রহ |”
এই বিশাল বস্তর কারণেই যে প্লুটো এর অরবিট পরিবর্তিত হয় এবং প্লুটো তার গ্রহের মর্যাদা হারায় পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা তা কোনো অজানা কারণে আংশিক প্রকাশ করেন | (বর্তমানে প্লুটোকে Kuiper belt এর অংশ বলা হয়) অনেকে একে বাদামী তারা বলেছেন অনেকে বলেছেন ব্যর্থ তারা | অনেকে বলেছেন ধুমকেতু | অনেকে বলেছেন ১০তম গ্রহ অনেকে ১২তম গ্রহ | তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হল এর ভর বৃহষ্পতির চেয়েও বেশী | এর অরবিটও অন্য ধরনের | এর এক অরবিট সম্পন্ন হয় প্রায় তিন হাজার ছয়শ বছর এ | যদি এর আমাদের আরো তিন হাজার ছয়শ বছর আগে নুহ (আঃ) এসে থাকেন তাহলে এর পরের বার পৃথিবী ভ্রমন অতি নিকটেই | আমি আবারো বলছি যে এটি এর আগেও কখনো পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষ করে নি এই বার আসলেও করবে না | এর তুমুল গ্র্যাভিটির কারণেই পৃথিবীর নর্থ পোল আর সাউথ পোল ঘুরে যাবে ফলে সুর্য পশ্চিম দিকে উঠবে যা ইসলাম আমাদের ১৪০০ বছর আগেই বলে দিয়েছে | এর ফলে পৃথিবীর ৯০% মানুষ মারা যাবে বলে ধারণা করা হয় (আল্লাহই ভালো জানেন) | নর্থ পোল সাউথ পোল ইতিমধ্যে সরতে শুরু করেছে | ২০০৪ সালে সূর্যে বেশ কয়েকটি সৌরকলঙ্ক(Dark Spot) সৃষ্টি হয় এর ফলে যে সৌরঝড় (Sun Storm) এবং যে পরিমাণ রেডিয়েশন হয়েছিল তা আমাদের ম্যাগনেটিক পোলগুলো সহ্য করতে পারে নি | আর ঐ দিন পৃথিবীর সুমাত্রাতে ৯.২ রিকটার স্কেলের ভয়াবহ ভূমিকম্পসহ ভয়াবহ কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছিল, ঐ দিন ইন্দোনেশিয়াতে সুনামি হয়েছিল | এ থেকে বুঝা যায় সৌরকলঙ্কের সাথে পৃথিবীর ভূমিকম্পের সম্পর্ক রয়েছে | এই রেডিয়েশন আমাদের মাটির অভ্যন্তরের আন্দোলনকে সক্রিয় করে |
আসছে ২০১২ সবচেয়ে বেশি সৌরঝড় এর বছর |
এখন আমি আমেরিকার নাসার এবং ইউরোপ এর ষড়যন্ত্রের কথা বলব |
প্ল্যানেট এক্স আবিষ্কার এর পর নাসা ও ইসা(ESA- European Space Agency) প্রথমে নিবিরু এর সত্যিকারের ছবি প্রকাশ করলেও তারা এখন এ ব্যাপারে নিশ্চুপ |
এখন গুগল স্কাই এ নিবিরু তথা প্ল্যানেট এক্স এর অবস্থান কালো অংশ দিয়ে ঢাকা| যে কেউ দেখলে বুঝবে এখানে কিছু ছিল যা তারা দেখতে দিচ্ছেনা | কেউ কি ভেবে দেখছেন ওরা কী লুকাতে চাচ্ছে ? ওরা এটা ভাবছে যে এটা জানালে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে কিন্তু ওরা না জানিয়ে আরো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে |
এখন আমেরিকা এবং বিভিন্ন এলাকার গোপন বাজেট এর কথা বলি | আমেরিকা তাদের অনেক নিরাপদ জায়গায় আন্ডারগ্রাউন্ড বেস (যার সংখ্যা আনুমানিক ভাবে ১৩২ এর চেয়েও বেশী) বানাচ্ছে | নিরাপদ এই কারণে বললাম কারণ এই সকল এলাকায় ভূমিকম্প বা যেকোনো দূর্যোগ মুক্ত বলে তাদের ধারনা | (কিন্তু এখন এসব এলাকাতেও ভূমিকম্প হতে পারে) যেটি একটি গোপন প্রযেক্ট | এমনকি আমেরিকান মানুষদেরও সেখানে প্রবেশাধিকার নেই | এর নাম হলো ডামবস প্রযেক্ট (D.U.M.Bs.- Deep Underground Military Bases)| এই বেস গুলোতে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার মজুদ রাখা সহ সেখানে বৈজ্ঞানিক ভাবে মাটির নিচে খাবার উত্পাদন করার ব্যবস্থা করেছে | এটি একটি সম্মিলিত প্রযেক্ট | বিভিন্ন উন্নত দেশ এর সাথে গোপন ভাবে যুক্ত | রাশিয়া-আমেরিকা চিরন্তন শত্রু হওয়া সত্ত্বেও ওরাও এটার সদস্য | সাথে আছে ইউরোপ এর বিভিন্ন দেশ |
ওরাই বলেছে “আমরা আসন্ন মহাদূর্যোগ এ সবাইকে বাঁচাতে পারব না, আমরা শুধু তাদেরকেই বাঁচাব যাদেরকে আমাদের দরকার ” | এমনকি SPT(south pole telescope) এর সব উপাত্ত গোপন রাখা হয়েছে.
এখন আমি পবিত্র আল কুরআন এর গাণিতিক কোড টার্ম ১৪৩৩(২০১২) এর কথা বলব সাথে ইমাম মাহদি আসার কিছু হাদীস বলব |
১৪৩৩ পবিত্র কুরআন এর ম্যাথম্যাটিকাল কোড
পবিত্র কুরআন এর ম্যাথম্যাটিকাল কোডের কথা বলতে হলে আগে আমাদের প্রাইম নাম্বার সম্পর্কে জানতে হবে | সবাই জানেন প্রাইম নাম্বার কি | তাও বলি যে সকল নাম্বার 1 এবং ঐ নাম্বার ছারা আর কোনো নাম্বার দিয়ে ভাগ যায় না তাদেরকে প্রাইম নাম্বার বলে | যেমন : ১,২,৩,৫,৭,১১,১৩,১৭,১৯,২৩..
একটা উদাহরন দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে যেমন : ১১ একটি অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার | (১+১=২ | ২ একটি প্রাইম নাম্বার) | আল্লাহ তা আলা কুরআনেও এই সব নাম্বার ব্যবহার করেছেন | পবিত্র কুরআনের শুরুর সূরা ফাতিহাতে ৭ টি আয়াত, ২৯ টি শব্দ, ১৩৯ টি বর্ণ আছে যার সবগুলিই অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার | এমনকি এগুলোকে বাম দিক থেকে বা ডান দিক থেকে যেকোনো দিক থেকে এদের পাশাপাসি বসালে তাও অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার হয় |
|||৭২৯১৩৯ বা ১৩৯২৯৭ ||| ৭+২+৯+১+৩+৯=31 |||
পবিত্র কুরআনের অসংখ্য স্থানে অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার এর কথা বলা হয়েছে |
এখন আমি ২০১২ তে আসি :
পবিত্র কুরআনের সূরা আর-রহমান এ ৩১ বার বিভিন্ন আয়াতে “ফাবিআয়্যি আলা ইরাব্বিকু মা তুকাজ্জিবান” বলা হয়েছে | যার অর্থ “তোমরা (জ্বীন ও মানব জাতি) তোমার প্রতিপালকের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে”
১৩, ১৬, ১৮, ২১, ২৩, ২৫, ২৮, ৩০, ৩২, ৩৪, ৩৬, ৩৮, ৪০, ৪২,৪৫, ৪৭, ৪৯, ৫১, ৫৩, ৫৫, ৫৭, ৫৯, ৬১, ৬৩, ৬৫, ৬৭, ৬৯, ৭১, ৭৩, ৭৫, ৭৭
এখন এসকল আয়াতসমূহ যোগ করা হলে যা পাওয়া যায় তা হল 1433 |
১৩+ ১৬ + ১৮ + ২১ + ২৩ + ২৫ + ২৮ + ৩০ + ৩২ + ৩৪ + ৩৬ + ৩৮ + ৪০ + ৪২ + ৪৫ + ৪৭ + ৪৯ + ৫১ + ৫৩ + ৫৫ + ৫৭ +৫৯ + ৬১ + ৬৩ +৬৫ + ৬৭ + ৬৯ + ৭১ + ৭৩ + ৭৫ + ৭৭ = ১৪৩৩
এখন লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ১৪৩৩ একটি প্রাইম নাম্বার এমনকি এর যোগফলও প্রাইম নাম্বার (১+৪+৩+৩=১১) |
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সূরা আর রহমানের শব্দ সংখ্যা ৩৫৫ | এর মাধ্যমে একে বারে আগামী বছর চিহ্নিত হচ্ছে কারণ ১৪৩৩ হল লিপ ইয়ার | আর হিজরী লিপ ইয়ার হয় ৩৫৫ দিন এ |
আরো আশ্চর্যের বিষয় হল পবিত্র কুরআনের ১৪৩৩ নাম্বার আয়াত বর্ণ গুনে গুনে এমনকি শব্দ গুনে গুনে দেখলেও প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আযাব এবং শাস্তির কথা লক্ষ্য করা যায় |
১৪৩৩ তম আয়াত হল পবিত্র কুরআনের সূরা ইউনুস এর ৬৯ নং আয়াত |
সূরা ইউনুস (১০-৬৯)“বলে দাও, যারা এরূপ করে তারা অব্যাহতি পায় না।“
আবার বর্ণ গুনে গুনে ১৪৩৩তম হয় সূরা বাকারাঃ(২:৮৬)
“এরাই পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবন ক্রয় করেছে। অতএব এদের শাস্তি লঘু হবে না এবং এরা সাহায্যও পাবে না”।
আবার শব্দ গুনে গুনে ১৪৩৩ তম হয় সূরা বাকারাঃ(২:২৪)
“আর যদি তা না পার-অবশ্য তা তোমরা কখনও পারবে না, তাহলে সে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে অবিশ্বাসীদের জন্য” |
এখন গোলাকার এই পৃথিবীকে ৩৬০˚ দ্রাঘিমাংশ (উল্লম্ব অর্ধবৃত্ত) এবং ১৮০˚ অক্ষাংশে (অনুভূমিক পূর্ণবৃত্ত) ভাগ করা যায় | আবারও সৃষ্টিকর্তা সূরা আর রহমানে ৩১ বার বর্নিত আয়াতের মাধ্যমে এর কথা বলছেন যার পরিসর ০˚ থেকে ৯০˚ এর মধ্যে |
১৩˚ ১৬˚ ১৮˚ ২১˚ ২৩˚ ২৫˚ ২৮˚ ৩০˚ ৩২˚ ৩৪˚ ৩৬˚ ৩৮˚ ৪০˚ ৪২˚ ৪৫˚ ৪৭˚ ৪৯˚ ৫১˚ ৫৩˚ ৫৫˚ ৫৭˚ ৫৯˚ ৬১˚ ৬৩˚ ৬৫˚ ৬৭˚ ৬৯˚ ৭১˚ ৭৩˚ ৭৫˚ ৭৭˚ এখন এই বারবার পুনরাবৃত্তি হওয়া আয়াতসমূহ দুই ধরনের অস্তিত্বশীল বস্তুর (মানুষ ও জ্বিন) কথা বলে তাই এই ল্যাটিটিউড নাম্বারগুলো যদি উত্তরাঞ্চলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলীয় উভয় গোলার্ধের জন্য প্রয়োগ করা হয়, (১৩ নর্থ ১৩ সাউথ এভাবে পৃথিবীর মানচিত্রে বসানো হলে) তাহলে তা পবিত্র ভূমি মক্কা, জেরুজালেম, মদীনা, ছাড়া পৃথিবীর সব ঘনবসতিপূর্ণ প্রায় ৯০০০০ এলাকাকে চিহ্ণিত করে | তবে একটা জিনিস লক্ষ রাখতে হবে তা হল কুরআনুযায়ী পৃথিবীর কেন্দ্র মক্কা যা বিজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত | তাই এক্ষেত্রে আমাদের মক্কাকে কেন্দ্র ধরে হিসাব করতে হবে |
হাদীসে ২০১২ এবং ঈমাম মাহদি সম্পর্কে আসি :
এ বিষয়ে অনেকেই একমত যে ইমাম মাহদির জম্ম হয়ে গিয়েছে | হাদীসে ঈমাম মাহদি আসার আলামত হিসেবে পৃথিবীর চরম বিপর্যয়, দুর্ভোগ এবং মহাদুর্যোগের কথার উল্লেখ আছে |
সব হাদীস না বলে আমি কয়েকটা হাদীস বলব |
“পৃথিবী ততক্ষন পর্যন্ত এর পরিঃশেষ হবে না যতক্ষন পর্যন্ত না আমার পরিবার (বংশ) থেকে একজনের আবির্ভাব হবে এবং সারা পৃথিবীতে ন্যায়ের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে ” |
ইমাম মাহদির আগমনের আরেকটি লক্ষন হলো দুইশিংযুক্ত একটি তারার (আপনি চাইলে একে প্লানেট এক্স বলতে পারেন) আগমন যার লম্বা লেজ থাকবে এবং সারা আকাশকে আলোকিত করবে এর কারণে উপকূলবর্তী স্থানসমূহ ডুবে যাবে |
ঘনঘন ভূমিকম্প হবে |
মহানবী (সঃ) আরো বলেন,
“তোমরা ততক্ষন পর্যন্ত ইমাম মাহদিকে দেখতে পাবে না যতক্ষন পর্যন্ত না ১৫ রমজান শুক্রবার পৃথিবীর পূর্ব, পশ্চিম এবং অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলাতে তিনটি ভয়াবহ ভূমিধ্বস হবে যা কোনো চোখ এ পর্যন্ত দেখে নি” |
তারপর আয়েশা (রঃ) জিজ্ঞেস করলেন “যদিও পৃথিবীতে কিছু ভালো মানুষ থাকবে তাও কি এ ঘটবে?”
মহনবী (সঃ) বললেন, “যখন খারাপের সংখ্যাই বেশি হবে এবং পৃথিবীতে অন্যায় অবিচার বেড়ে যাবে এবং বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে |”
এই ভূমিধ্বস ঐ স্থানের সকলকে গিলে ফেলবে |
http://m.facebook.com/
এই সাইটে গিয়ে ১৫ রমজান ১৪৩৩ লিখে দেখুন তাহলে ইংরেজী সণে যে তারিখ পাওয়া যায় তা হল ৩ আগস্ট ২০১২ শুক্রবার | আল্লাহই ভালো জানেন কি হবে না হবে তবে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত |
ইমাম মাহদি আসার আরো লক্ষন হলো বিশৃঙ্খলা ও বিদ্রোহ দেখা দিবে এক জায়গায় বিদ্রোহ হতেই অন্য স্থানে বাতাসের গতিতে তা ছড়িয়ে পড়বে | রমজান মাসে ২ টি গ্রহন হবে যদিও এই লক্ষনটি পূর্ণ হয়ে গিয়েছে হিজরী ১৪০২ সণে |ইরাক-ইরান যুদ্ধ ইমাম মাহদি আসার লক্ষন | দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে | সোমালিয়া সহ আরো কয়েকটি দেশে ১.৫ কোটিরও অধিক মানুষ দুর্ভিক্ষ কবলিত |
জেরুজালেম ইহুদিদের দখলে চলে যাবে, মানুষ মিথ্যা কথাকে সুদ গ্রহনকে সকল ধরনের গানবাজনাকে হালাল বলে মনে করবে, অযোগ্য ও অসত্ ব্যক্তিরা রাষ্ট্রপ্রধান হবে , দেশে দেশে বিদ্রোহ দেখা দিবে, সত্য বিলুপ্ত হবে, ধর্মপ্রচার করা কঠিন হয়ে যাবে, ধর্মের কথা বললে মানুষ খারাপ বলে মনে করবে, দিন খুব দ্রুত যাবে বলে মনে হবে এগুলি সবই হলো ইমাম মাহদি আসার লক্ষন | এছাড়া আরো অনেক লক্ষন আছে যা বর্তমান যুগের সাথে মিলে | সিরিয়া, ইয়েমেনে যা হচ্ছে তাও ইমাম মাহদির আগমনের আলামত | হাদিসে বলা হয়েছে দাজ্জাল শাসন করবে ৪০ দিন. ১ম দিন ১ বছরের মত, ২য় দিন ১ মাসের মত আর ৩য় দিন ১ সপ্তাহের মত এবং বাকী ৩৭ দিন আমাদের স্বভাবিক দিনের মত. এখন সুরা হজ্জ এর ৪৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে- “ তোমার প্রতিপালকের ১ দিন তোমার ১ হাজার বছরের সমান |”
১ দিন = ১০০০/১বত্সর = ১০০০ বত্সর
১ দিন = ১০০০/১২মাস = ৮৩.৩৩ বত্সর
১ দিন = ১০০০/৫২সপ্তাহ = ১৯.২৩ বত্সর
এই হিসাব অনুযায়ী দাজ্জাল (AntiChrist) তার গোপন এবং প্রতারণাপূর্ণ সংগঠন শুরু করেছে তার অনুসারী ইহুদীদের মাধ্যমে বৃটেনে প্রায় ৯০০ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত. যা হল ১০০০ বছর. এইরুপে দাজ্জাল তার ১ম দিন শেষ করল. দাজ্জাল এভাবে ২য় দিনে এবং ১৯১৭ সালে অ্যামেরিকার কাছে এই সংগঠনের ক্ষমতা হস্তান্তর করল এবং সকল ধরনের কার্যক্রম চালু রাখল . ২০০১ সালের ৯/১১ পর্যন্ত যা ৮৩.৩৩ বছর. এভাবে দাজ্জাল তার ২য় দিন শেষ করল এবং তার ক্ষমতা ঈসরাইলের কাছে হস্তান্তর করল. সেই অনুযায়ী এখন চলছে দাজ্জালের ৩য় দিন যা শেষ হবে (২০০১+১৯)= ২০২০ সালে. এরপর আসবে সত্যিকার দাজ্জাল শারীরিক ভাবে যা আমাদের ৩৭ দিনের মত. আরেক হাদিসে বলা হয়েছে ইমাম মাহদি শাসন করবেন ৭ বত্সর. মহানবী (সঃ) বলেছেন, “বিশাল যুদ্ধ এবং ইস্তাম্বুল জয় এর মধ্যে ৬ বছর পূর্ণ হবে এবং দাজ্জাল এর আগমন ঘটবে সপ্তম বছরে.
অপর হাদিসে বলা হয়েছে ইমাম মাহদি শাসনের ৭ম বছরে দাজ্জালের আগমন হবে. সুতরাং ২০২০-৭=২০১৩. সেই অনুযায়ী ইমাম মাহদির আগমন ২০১৩ এ ঘটতে পারে. আল্লাহই ভালো জানেন. আর ইমাম মাহদির আগমনের পূর্বে পৃথিবীতে মারাত্নক দুর্যোগ হবে তা ২০১২. আল্লাহই ভালো জানেন.
মহানবী (সঃ) বলেছেন, “সারা পৃথিবী ধোয়া দিয়ে আচ্ছন্ন না হওয়া পর্যন্ত সেই দিন (ইমাম মাহদির আগমনের দিন) আসবে না ”
ডিসকোভারির অ্যাপোকিলিপ্স আর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের বেশ কয়েকটি ডকুমেন্ট রয়েছে এ সম্বন্ধে . তাদের মতে লা পামার (La Palma) এই কুমব্রেভিয়েহা অথবা আমেরিকার ইয়েলোস্টোনের অগ্নুত্পাত হলে সারা আমেরিকা নিশ্চিহ্ন হবে এবং এর ফলে সারা পৃথিবী ধোঁয়ায় ঢেকে যাবে. এমনকি মাসখানেক সূর্যও চোখে পড়বে না.
পাঠক চিন্তা করবেন না আরো কয়েকটা কথা বলে ইনশাল্লাহ শেষ করে ফেলব | ইসা (আঃ) তথা যিশু (Jesus) এর পুনঃআগমন এতে আমাদের প্রত্যেকেরই বিশ্বাস করতে হয় |
শুধু আমি একটাই হাদীস বলব সেটা হলো – ইসা (আঃ) (Jesus Christ) দাজ্জালকে (AntiChrist) ২টি তীর দিয়ে মারবেন গেইট অব লুত এ যা ইসরাইল এ অবস্থিত | আমাদের সমাজে এখন পারমানবিক বোমা থেকে শুরু করে কত ধরনের রাইফেল আছে তা সত্ত্বেও এই শক্তিশালি দাজ্জালকে (এন্টিখ্রিস্ট) কেন ২টি তীর দিয়েই মারা হবে ? এ থেকে বুঝা যায় আমাদের এই চরম উন্নত সভ্যতা আর থাকবে না, মানবের এই উন্নত সভ্যতার পতন ঘটবে এবং কুব কম সংখ্যকই টিকে থাকবে (আল্লাহই ভালো জানেন) |
এখনই সময় জীবনকে সুন্দর করে তোলার নতুবা এমন এক সময় আসবে যখন চাইলেও আর পারবেন না |
আমি কয়েকটা জিনিস স্পষ্ট করতে চাই
১. আমি কিন্তু ১০০ ভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি না আগামী বছরই হবে, সর্বশক্তিমান আল্লাহই ভালো জানেন | নিশ্চই তিনি মহাজ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ |
২. আমরা কেউ কখনও এ কখনও এ কথা বলতে পারি না যে কেয়ামত অনেক দুরে কারন তা কুরআন বিরোধী | কেয়ামত সম্পর্কিত জ্ঞান আল্লাহর ছাড়া আর কারো নেই | কেয়ামত অনেক দুরে এই কথা বলা উচিত না কারন আল্লাহই কুরআনে উল্লেখ করেছেন যে, “কেয়ামত সন্নিকটে” (সূরা ক্বামার)
আল্লাহর অযাব সম্পর্কে এভাবেই সূরা মুলকের ১৬ থেকে ১৮ আয়াতে বলা হয়েছে-
তোমরা কি নিশ্চিত যে, আকাশে যিনি আছেন তিনি তোমাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দেবেন না, অতঃপর তা কাঁপতে থাকবে না।
তোমরা কি নিশ্চিন্ত যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন না, অতঃপর তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী।
তাদের পূর্ববর্তীরা মিথ্যারোপ করেছিল, অতঃপর কত কঠোর হয়েছিল আমার অস্বীকৃতি।
৩. আর আবারও বলছি কেউ এটা কখনই ১০০% বিশ্বাস করবেন না. বিশ্বাস করবেন না যে এটা আগামি বছরই হবে. হ্যা তবে এটা হবেই ২০১২ তে না হলেও এসব ঘটার সময় সন্নিকটে. আর বারবার বলছি পৃথিবী ধ্বংস হবে না বড় দুর্যোগ হতে পারে (আল্লাহই ভালো জানেন) .
৪. আর কখনই বলবেন না কেয়ামত অনেক দুরে কারন মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “আমার জন্ম আর কেয়ামত হাতের মধ্যমা আর তর্জনি এই দুই আঙ্গুলের ব্যবধানের সমান | ” তাই আমাদের আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত নতুবা পরে নিজেই পস্তাবেন |
৫. মহানবী (সঃ) বলেছেন – “ শেষ যুগে আমার কিছু উম্মত মদ, ব্যভিচার, ঘুষ, সুদ, মিথ্যা কথা বলা এগুলিকে হালাল বলে মনে করবে ” | এখনকার যুগে এর প্রত্যেকটি হচ্ছে |
আর আমরা হলাম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর উম্মত মানে আমরা শেষ যুগের মানুষ আমরা এটা কিভাবে ভুলে যাই ???
কেয়ামতের আলামত হল .মানুষ ঘরে বসেই দূরের খবর জানতে পারবে ।উচু ইমারত নির্মান করা হবে । মেয়েরা বেপর্দার সাথে ঘুরে বেড়াবে । সন্তান বাবা মায়ের অবাধ্য হবে । জিনা ব্যাভিচার বেড়ে যাবে । বর্তমানে এগুলো ব্যাপক হারে ঘটে যাচ্ছে । সুতরাং কেয়ামত সন্নিকটে । তাই আসুন আগে থেকেই সতর্ক হই । আল্লাহ ও রাসুলের (সাঃ) আনুগত্য করি ।
৬. আবারও বলছি আমি আপনাকে ভয় দেখাচ্ছি না. এটা জেনে আপনি যদি নিজেকে সংশোধন করেন তাহলেই আমার সাফল্য. আমি এবং আমরা বন্ধু ইমাম মাহদির সাথে ১৪৩৩ তথা ২০১২ এর সম্পর্ক এই নিয়ে রিসার্চ করে নিজেদের পাল্টিয়েছি. এবার আপনার বদলানোর পালা নতুবা পরে অনেক দেরি হয়ে যাবে.
শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১২
শতবর্ষের শীর্ষ ১০ ভূমিকম্প
১৯০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১শ’ ১২ বছরে ঘটা সবচেয়ে ভয়াবহ ১০টি ভূমিকম্পের খবর জানাচ্ছে এনডিটিভি। ভূমিকম্পের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে ঘটনাগুলোকে পরপর সাজানো হয়েছে।
১৯৬০ সালের ২২ মে চিলির সান্টিগো ও কনসেপসিওতে আঘাত হানে ৯ দশমিক ৫ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প। এর প্রভাবে তীব্র জোয়ার ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের পাশাপাশি প্রায় ৫ হাজার মানুষ নিহত ও ২০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।
আলাস্কায় ১৯৬৪ সালের ২৮ মার্চ বড় ধরনের এক ভুমিকম্প ও এর ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ১২৫ জন নিহত ও প্রায় ৩১ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের তীব্রতা ধারণ করা হয় ৯ দশমিক ২। এ ভূমিকম্পে আলাস্কার বৃহত্তর অংশ ছাড়াও কেঁপে ওঠে পশ্চিমাঞ্চলীয় ইয়ুকন অঞ্চল ও কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া।
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের আচেহ প্রদেশে ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর আঘাত হানে ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প। এর প্রভাবে ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভারত ও আরো নয়টি দেশে ২ লাখ ২৬ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
১৯৫২ সালের ৪ নভেম্বর রাশিয়ায় ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানায় সুনামি ঘটলেও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ ভূমিকম্পে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জেও সুনামি আঘাত হানে।
জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানে ২০১১ সালের ১১ মার্চ। ৯ মাত্রার এ ভূমিকম্পে সৃষ্ট সুনামিতে চেরোনোবিল ঘটনার ২৫ বছর পর বিশ্বে পরমাক্ষু ক্ষেত্রে বড় ধরনের সংকট দেখা দেয়। ওই ভূমিকম্প ও সুনামিতে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
২০১০ সালের ২৭ ফেব্র“য়ারি চিলিতে আঘাত হানা ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প ও এর ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ৫শ’রও বেশি মানুষ নিহত ও প্রায় ৩০বিলিয়ন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
১৯০৬ সালে ইকুয়েডর ও কলাম্বিয়ার উপকূলীয় এলাকাতেও ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। মধ্য আমেরিকার উপকূলীয় এলাকা ছাড়াও সানফ্রান্সিসকো ও পূর্ব জাপানও এ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্প ও এর পরবর্তী সুনামিতে প্রায় ১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
২০১২ সালের ১১ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশসহ সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভারতে ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
১৯৬৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আলাস্কাতে ৮ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে সুনামির সৃষ্টি হয়।
২০০৫ সালের ২৮ মার্চ সুমাত্রায় ভূমিকম্পের আঘাতে ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। রিখটাল স্কেলে এর মাত্রা ছিলো ৮ দশমিক ৬।
ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকম্পে ৫ জনের প্রাণহানি
ইন্দোনেশিয়ার বিপর্যয় মোকাবেলা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরো নুগ্রহ বলেন, “হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে অন্তত দু’জন। ভয়ে হতবিহব্বল হয়ে মারা গেছে আরেকজন। আর শিশুটি আহত হয়েছে একটি গাছ উপড়ে পড়ে।” এ ব্যাপারে সুতোপো বিস্তারিত আর কিছু জানান নি।
হতাহত ও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি কি হয়েছে তা এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় জানান তিনি।
বুধবার ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে রাস্তায় নেমে আসে আতঙ্কিত লোকজন। ভূকম্পন অনুভূত হয় সূদূর দক্ষিণ ভারতেও। ভূমিকম্পের ২ ঘণ্টা পর কয়েকটি শক্তিশালী পরাঘাতও হয়। জারি করা হয় সুনামি সতর্কতা।
তবে পরবর্তীতে সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়। ২০০৪ সালের মতো বড় ধরনের কোনো সুনামির খবরও পাওয়া যায়নি।
‘দশ মিনিটেই বিধ্বস্ত’ উত্তর কোরিয়ার রকেট
|
চশমায় গুগল!
স্যান ফ্রান্সিসকো, এপ্রিল ০৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)-
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর চলচ্চিত্রগুলোতে অনেক সময় চশমা চোখে দিয়েই ভিডিও দেখা বা ভিডিও যোগাযোগের ঘটনা দেখা যায়। এখন বাস্তবেই এমন চশমা নিয়ে আসছে ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগল।
মানুষের উদ্দীপনার সিগনালকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের চশমা তৈরি নিয়ে নিজেদের গবেষণার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করেছে গুগল।
বুধবার ‘প্রজেক্ট গ্লাস’ নামের এ গবেষণা সংশ্লিষ্ট ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট গুগল প্লাসে প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে দেখা গেছে, ক্ষুদ্র ডিজাইনের এ চশমায় রয়েছে মাইক্রোফোনসহ আংশিক-সচ্ছ্ব ভিডিও স্ক্রিন। স্ট্যাম্প-সাইজের এই ডিজিটাল ডিসপ্লে চশমার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে এবং এটি বসানো হয়েছে একদিকের লেন্সের উপরের কোণায়। ব্যবহারকারী তার ডান চোখ দিয়েই গুগলের সব সুবিধা কাজে লাগাতে পারবে।
অজানা কোনো গন্তব্যে যেতে এ চশমাতেই গুগল ম্যাপে দেখে নেওয়া যাবে সঠিক রুট, তুলে নেওয়া যাবে ছবি, তা শেয়ার করা যাবে বন্ধুদের সঙ্গে এমনকি করা যাবে ভিডিও কনফারেন্সও। তাছাড়া, এ চশমায় গান-বাজনাসহ অন্যান্য অডিও রেকর্ডিং শোনারও ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও এতে কোনো এয়ারফোন নেই।
গুগল এ ডিজিটাল চশমার ব্যাপারে ভোক্তাদের মন্তব্য আহ্বান করেছে। তবে কবে নাগাদ চশমাটি বাজারে পাওয়া যাবে বা এর দাম কতো হতে পারে তা নিয়ে কিছু জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
‘গুগল এক্স’ নামের প্রতিষ্ঠানটির গবেষণাভিত্তিক ল্যাব তাদের এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমাদের কয়েকজন মিলে ‘প্রজেক্ট গ্লাস’ শুরু করি এমন একটি প্রযুক্তি তৈরির জন্য যা ব্যবহারকারীকে মূহুর্তের মধ্যেই সারা পৃথিবী অনুসন্ধান করা ও তা অন্যকে জানানোর সুযোগ করে দেবে।”
এতে আরো বলা হয়, এ পর্যায়ে এ গবেষণা সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে, কারণ এ ব্যাপারে সবার মূল্যবান মতামত জানতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর চলচ্চিত্রগুলোতে অনেক সময় চশমা চোখে দিয়েই ভিডিও দেখা বা ভিডিও যোগাযোগের ঘটনা দেখা যায়। এখন বাস্তবেই এমন চশমা নিয়ে আসছে ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগল।
মানুষের উদ্দীপনার সিগনালকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের চশমা তৈরি নিয়ে নিজেদের গবেষণার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করেছে গুগল।
বুধবার ‘প্রজেক্ট গ্লাস’ নামের এ গবেষণা সংশ্লিষ্ট ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট গুগল প্লাসে প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে দেখা গেছে, ক্ষুদ্র ডিজাইনের এ চশমায় রয়েছে মাইক্রোফোনসহ আংশিক-সচ্ছ্ব ভিডিও স্ক্রিন। স্ট্যাম্প-সাইজের এই ডিজিটাল ডিসপ্লে চশমার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে এবং এটি বসানো হয়েছে একদিকের লেন্সের উপরের কোণায়। ব্যবহারকারী তার ডান চোখ দিয়েই গুগলের সব সুবিধা কাজে লাগাতে পারবে।
অজানা কোনো গন্তব্যে যেতে এ চশমাতেই গুগল ম্যাপে দেখে নেওয়া যাবে সঠিক রুট, তুলে নেওয়া যাবে ছবি, তা শেয়ার করা যাবে বন্ধুদের সঙ্গে এমনকি করা যাবে ভিডিও কনফারেন্সও। তাছাড়া, এ চশমায় গান-বাজনাসহ অন্যান্য অডিও রেকর্ডিং শোনারও ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও এতে কোনো এয়ারফোন নেই।
গুগল এ ডিজিটাল চশমার ব্যাপারে ভোক্তাদের মন্তব্য আহ্বান করেছে। তবে কবে নাগাদ চশমাটি বাজারে পাওয়া যাবে বা এর দাম কতো হতে পারে তা নিয়ে কিছু জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
‘গুগল এক্স’ নামের প্রতিষ্ঠানটির গবেষণাভিত্তিক ল্যাব তাদের এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমাদের কয়েকজন মিলে ‘প্রজেক্ট গ্লাস’ শুরু করি এমন একটি প্রযুক্তি তৈরির জন্য যা ব্যবহারকারীকে মূহুর্তের মধ্যেই সারা পৃথিবী অনুসন্ধান করা ও তা অন্যকে জানানোর সুযোগ করে দেবে।”
এতে আরো বলা হয়, এ পর্যায়ে এ গবেষণা সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে, কারণ এ ব্যাপারে সবার মূল্যবান মতামত জানতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।
অস্ত্রোপচারে থ্রিডি প্রযুক্তি
জন গ্রিন (৬২) নামের এক ব্যক্তির প্রোস্টেট অপসারণের সময় এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় বলে বিবিসি জানায়।
অস্ত্রোপচারের সময় হাই ডেফিনেশন স্ক্রিনে হ্যান্ড হেল্ড রোবোটিক হাতের থ্রিডি চিত্র দৃশ্যমান হয়।
গত মাসে স্টকপোর্টের স্টেপিং হিল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো একই ধরনের রোবোটিক হ্যান্ড হেল্ড ডিভাইস ব্যবহার করা হলেও পূর্ণাঙ্গ থ্রিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে অস্ত্রোপচার যুক্তরাজ্যে এই প্রথম।
পুরো প্রক্রিয়া থ্রিডিতে পর্যবেক্ষণের জন্য চিকিৎসক দল অস্ত্রোপচারের সময় বিশেষ এক ধরনের চশমা ব্যবহার করেন।
চিকিৎসকরা জানান, রোবোটিক ও থ্রিডি প্রযুক্তিকে সমন্বিত করলে অস্ত্রোপচারে আরো বেশি নমনীয়তা আনা যায়।
তবে আরো বৃহত্তর পরিসরে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের আগে স্বল্প সংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রেই শুধু এটি প্রয়োগ করা হবে।
ম্যানচেস্টার রয়্যাল হাসপাতালের মুখপাত্র জানান, থ্রিডি প্রযুক্তি একজন চিকিৎসককে সঠিকভাবে কাজ করার বড় ধরনের সুযোগ করে দেয়। এতে করে পেশি ও øায়ুর সমস্যার ঝুঁকি কমে যায়।
তিনি আরো বলেন, এটা একজন চিকিৎসকের ক্লান্তিভাব কমাতে সহায়তা করবে। এর অর্থ হলো, তারা আরো বেশি বেশি অস্ত্রোপচার করতে পারবে যার ফলাফল আরো ভালো হবে।
আর বেশি সংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তির ব্যবহার সহজলভ্য হবে বলে আশা করছেন ওই অস্ত্রোপচারের নেতৃত্বদানকারী সার্জন ডান ব্র“ক।
তিনি বলেন, “এ প্রযুক্তির যে সম্ভাবনা রয়েছে সে বিষয়ে ইতোমধ্যেই আমরা উৎসাহিত। প্রকৃতপক্ষে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবাকে লাভবান করতে পারে এমন উন্নততর ফলাফলের জন্য পরিকল্পনা করছি আমরা।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এফএফ/সিআর/১১৫৬ ঘ.
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)