বৃহস্পতিবার, ৫ জুলাই, ২০১২

বিএমডাব্লিউ'র নতুন বৈদ্যুতিক বাইক

বিএমডাব্লিউ'র নতুন বৈদ্যুতিক বাইক

চলতি মাসেই ফ্রাঙ্কফুর্টে শুরু হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম মোটর শো ইন্টারন্যাশনাল অটোমোবিল আস্টেলাং। এ আয়োজনকে সামনে রেখেই গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিএমডাব্ল্রিউ মটোরাড এবং প্রতিষ্ঠানটির সিস্টার ব্র্যান্ড হাস্কভারনা নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল তৈরির পরিকল্পনা করেছে। খবর গিজম্যাগ-এর।

বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল-এর নতুন নকশা তৈরি করছে বিএমডাব্লিউ এমন খবর চাউর হলেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে আপতত মুখ বন্ধই রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিএমডাব্লিউ-এর সিস্টার ব্র্যান্ড হাস্কভারনা নতুন বৈদ্যুতিক মোটর সাইকেল তৈরি বিষয়ে জানিয়েছে, এ মোটর সাইকেল হবে ই-মোবিলিটি বিএমডাব্লিউ মটোরাড ডিজাইনের এবং এটি সম্পূর্ণ নতুন আইডিয়া।

তরুণদের কথা মাথায় রেখেই এ মোটর সাইকেল নকশা করার কথা বলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এটি দেখতে কেমন হবে সে বিষয়ে দুটি নকশা দেখিয়েছে তারা। এর মধ্যে একটি হচ্ছে হাস্কভারনার নকশা করা ইলেকট্রিক মটোরাড এবং আরেকটি বিএমডাব্লিউ-এর নকশা করা ম্যাক্সি স্কুটার।

১৩ সেপ্টেম্বর প্রেস কনফারেন্সে এ  বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে বিএমডাব্লিউ।


বাতাসেই চলে মোটরসাইকেল

বাতাসেই চলে মোটরসাইকেল

সম্প্রতি বায়ুচালিত একটি মোটরসাইকেল তৈরি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এক শিক্ষার্থী। তার এই মোটরসাইকেলটিকে তিনি আরো উন্নত করার পরিকল্পনাও করেছেন। খবর গিজম্যাগ-এর।

অস্ট্রেলিয়ায় ২৫ নভেম্বর শুরু হচ্ছে সিডনি মোটরসাইকেল অ্যান্ড স্কুটার শো। এ আয়োজন উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনের শিক্ষার্থী ডিন বেনস্টেড বায়ুচালিত মোটরসাইকেল তৈরি করেছেন।

বেনস্টেডের তৈরি প্রোটোটাইপ মোটরসাইকেলটির নাম ‘০২ পারসুইট’। এ মোটরসাইকেলটির শক্তি যোগায় কমপ্রেসড এয়ার।

বেনস্টেডের ২৫০ সিসির এ মোটরসাইকেলটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ডাইপেট্রো এয়ার ইঞ্জিন। মোটরবাইকটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে ঘন্টায় ৬২ মাইল গতি তুলতে পারলেও উদ্ভাবকের আশা উন্নয়ন ঘটানো গেলে এটি আরো দ্রুত গতি পাবে।

এ মোটরসাইকেলটির পার্টস তৈরির আগে তিনি বিশেষভাবে ডিজাইন করে নিয়েছিলেন এবং পরে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে যন্ত্রাংশ সেট করে নেন। পরবর্তী প্রটোটাইপটিকে তিনি হেভি ডিউটি মাউন্টেন বাইক হিসেবে তৈরি করার পরিকল্পনা করেছেন।

কার্বন ফাইবারের গাড়ি বানালো বিএমডাব্লিও

কার্বন ফাইবারের গাড়ি বানালো বিএমডাব্লিও

জার্মান বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিএমডাব্লিউ নতুন মডেলের গাড়ি তৈরি করেছে যাতে ব্যবহৃত হয়েছে কার্বন ফাইবার। স্টিলের চেয়েও শক্তিশালী এ গাড়ি তৈরিতে বিএমডাব্লিওকে অনেকগুলো স্তরে কাজ করতে হয়েছে। খবর রয়টার্স-এর।

জাপানের মিতসুবিশি রেয়নের সঙ্গে যৌথভাবে রংহীন ফাইবার তৈরি করেছে বিএমডাব্লিও। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মোসেস লেকের ২০০ মিটার লম্বা প্ল্যান্টে ১ হাজার ৪০০ ডিগ্রি সেলসিলাস তাপমাত্রায় ফাইবারকে রিল করে পোড়ানো হয়েছে। এখান থেকে কার্বন অনু আলাদা করে তা থেকে তৈরি করা হয়েছে সুতা। এরপর জার্মানির প্ল্যান্টে এ সুতাকে বোনা হয়েছে। এরপর জার্মানির ল্যান্ডসাট প্ল্যান্টে ফাইবারের বোনাসুতাগুলোকে কয়েকটি স্তরে রং ও অন্যান্য রাসায়নিক মিশিয়ে ত্রিমাত্রিক গাড়ির বডির আকার দেয়া হয়েছে। এরপর লিপজিগ প্ল্যান্টে অ্যাসেম্বল করে তৈরি হয়েছে নতুন মডেলের বিএমডাব্লিও।

কার্বন ফাইবারে তৈরি এ গাড়িটি কবে নাগাদ বাজারে ছাড়বে সে বিষয়ে এখনো তথ্য জানায়নি বিএমডাব্লিও কর্তৃপক্ষ।

শেষ হচ্ছে টায়ার পাংচারের যুগ

শেষ হচ্ছে টায়ার পাংচারের যুগ

বিশ্বের বৃহত্তম টায়ার এবং রাবার কোম্পানি ব্রিজস্টোন সম্প্রতি নতুন টায়ার উদ্ভাবন করেছে যাতে কোনো বাতাস থাকবে না তাই টায়ার পাংচারের শঙ্কাও থাকবে না। খবর গিজম্যাগ-এর।

জাপানে অনুষ্ঠিত ‘টোকিও অটো শো’তে ব্রিজস্টোন নতুন টায়ার দেখিয়েছে। এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে থাকলেও নতুন এ টায়ার তৈরিতে সাফল্যের দাবী করেছে ব্রিজস্টোন কর্তৃপক্ষ।

ব্রিজস্টোন-এর তৈরি এ টায়ারে ব্যবহৃত হয়েছে থার্মোপ্লাস্টিক-রেজিন স্পোক যা রিম থেকে চাকার সঙ্গে ঘুরতে থাকে এবং বাঁ থেকে ডানে বেঁকে যায়। শক্ত কাঠামোতে তৈরি এ টায়ারে বাতাসের কোনো ব্যবহার নেই তাই ফ্ল্যাট টায়ারের যুগ সম্ভবত শেষ হয়ে যাবে বলেই ব্রিজস্টোন কর্তৃপক্ষ আশা পকাশ করেছে। নতুন প্রযুক্তির এ টায়ার বাজারে আনার আগে আরো পরীক্ষা করে দেখবে বলেই জানিয়েছেন ব্রিজস্টোনের প্রোকৌশলীরা।

জানা গেছে, নতুন এ টায়ার এমন উপাদান দিয়ে তৈরি যা সহজেই পুরোপুরি রিসাইকেল করা যাবে।

উল্লেখ্য, বায়ুবিহীন টায়ারের প্রযুক্তি ২০০৬ সাল থেকেই আলোচনায় আছে। অপর বিখ্যাত টায়ার নির্মাতা মিচলিন এর আগে ‘এয়ারলেস টুইল টায়ার’ উদ্ভাবন করে ২০০৬ সালে ইন্টারম্যাট গোল্ড মেডাল জিতেছিলো।

টয়োটার দেখালো ভবিষ্যতের গাড়ি

টয়োটার দেখালো ভবিষ্যতের গাড়ি

সম্প্রতি জাপানি গাড়ি নির্মাতা টয়োটা এমন একটি গাড়ি তৈরি করছে যা আসলে স্মার্টফোন, গেম মেশিন এবং গাড়ির সমন্বয়। ২০১১ টোকিও মোটর শোতে ‘টয়োটা ফান ৭’ নামের এ গাড়ির নকশা দেখিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি এ গাড়িটির রং রিয়েল টাইমেই পরিবর্তন করে নেয়া যাবে।

১৩ ফুট লম্বা গাড়িটি ৩ সিটের। গাড়ির ইনটেরিয়র এবং এক্সটেরিয়র হিসেবে খালি স্লেট ব্যবহার করা হয়েছে। পরিবেশ এবং পছন্দানুসারে রিয়েল টাইমে রং পরিবর্তন করে নিতে পারবেন চালক। আর রং পরিবর্তন করতে ওয়্যারলেস প্রযুক্তিতে স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহৃত হবে। আর গাড়ির রং পরিবর্তিত হবে হলোগ্রাফিক প্রযুক্তিতে।

এ ছাড়াও টয়োটার এ গাড়িতে থাকবে ‘নেভিগেশন কনসার্জ’ নামের একটি হলোগ্রাফিক প্রযুক্তির নারী। যে চালককে পথ দেখাবে এবং অন্যান্য গাড়ির সঙ্গে কথোপকথন বা যোগাযোগ করতে সক্ষম হবে।

গ্যালাক্সি ট্যাব ৭.০ প্লাস আসছে নভেম্বরে

গ্যালাক্সি ট্যাব ৭.০ প্লাস আসছে নভেম্বরে

কোরিয়ান ইলেকট্রনিক জায়ান্ট স্যামসাং তাদের পোর্টফোলিওতে নতুন একটি ট্যাবলেট যোগ করার ঘোষণা দিয়েছে। নতুন এ ট্যাবলেটটি যোগ হচ্ছে জনপ্রিয় গ্যালাক্সি সিরিজে। ‘গ্যালাক্সি ৭.০ প্লাস’ নামের ডিভাইসটি বাজারে আনার তারিখ এবং ডিভাইসের দামও ঘোষণা করেছে স্যামসাং। খবর সিনেট-এর।

গ্যালাক্সি ট্যাবের নতুন এ সংস্করণটি হবে অ্যান্ড্রয়েড ৩.২ বা হানিকম্বচালিত। ৭ ইঞ্চি ডিসপ্লের এ ডিভাইসটিতে ১.২ গিগাহার্টজ ডুয়াল কোর প্রসেসর, ওয়াইফাই, থ্রিজি, ১৬/৩২ গিগাবাইট স্টোরেজ, ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত মাইক্রোএসডি কার্ড ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। ৩৪৫ গ্রাম ওজনের এ ট্যাবলেটটিতে পেছনের দিকে ৩ মেগাপিক্সেল এবং সামনের দিকে ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাও থাকছে। এতে আরো রয়েছে ইনফ্রারেড ট্রান্সমিটার যা ইউনিভার্সাল রিমোট কন্ট্রোলার হিসেবেও এ ডিভাইসটি ব্যবহারের সুবিধা দেবে।

১৬ গিগাবাইট স্ট্রোরেজ ক্ষমতার ডিভাইসটি ১৩ নভেম্বর বাজারে আসবে। ডিভাইসটির দাম পড়বে প্রায় ৪০০ ডলার। অ্যামাজন, বেস্ট বাই, ফ্রাই, টাইগার ডিরেক্ট নামের অনলাইন রিটেইলারদের কাছে এ ডিভাইসটি পাওয়া যাবে।

৩২ গিগাবাইট মডেলের ডিভাইসটি কবে নাগাদ বাজারে আসবে সে বিষয়ে এখনও জানায়নি স্যামসাং।

এবারে এলো ভিউসনিকের ৭ ইঞ্চি ট্যাবলেট

এবারে এলো ভিউসনিকের ৭ ইঞ্চি ট্যাবলেট

বাজারে ক্রমশ ৭ ইঞ্চি ট্যাবলেটের প্রচলন তৈরি হচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় এবার যুক্তরাষ্ট্রের ভোগ্যপণ্য নির্মাতা ভিউসনিক কর্পোরেশন একটি ৭ ইঞ্চি ট্যাবলেট বাজারে আনলো। নতুন এ ট্যাবলেটটির নাম ‘ভিউপ্যাড ৭ই।’ খবর সিনেট-এর।

চলতি মাসেই এ ডিভাইসটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাওয়া যাবে। দাম পড়বে প্রায় ২০০ ডলার।

৭ ইঞ্চি ডিসপ্লের এ ডিভাইসটিতে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ২.৩ বা জিঞ্জারব্রেড অপারেটিং সিস্টেম। এতে ফিচার হিসেবে রয়েছে থ্রিডি যাকে বলা হচ্ছে হলোগ্রাফিক ভিজুয়াল ইফেক্ট। ১ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ৪ গিগাবাইট স্টোরেজ, মাইক্রো-এইচডিএমআই পোর্ট, পেছনে ৩ মেগাপিক্সেল এবং সামনে ০.৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ভিডিও চ্যাট, মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট এবং ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত মেমোরি ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।

ডিভাইসটিতে রয়েছে বিল্ট ইন টুইটারসহ বেশকিছু অ্যাপ্লিকেশন। এ ছাড়াও আছে হাইডেফিনেশন টিভি দেখার সুবিধাও।

ভিউসনিকের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল হলস্টেন জানিয়েছেন, মোবাইল মাল্টিমিডিয়া‘র ক্ষেত্রে দারুণ অভিজ্ঞতা দেবে ভিউসনিকের ভিউপ্যাড ৭ই।

উল্লেখ্য, সম্প্রতিই ৭ ইঞ্চি মাপের ‘কিন্ডল ফায়ার’ নামের একটি ট্যাবলেট বাজারে এনেছে অ্যামাজন। এ ডিভাইসটির দামও প্রায় ২০০ ডলার।

আসছে ৮.৯ ইঞ্চির কিন্ডল ফায়ার

আসছে ৮.৯ ইঞ্চির কিন্ডল ফায়ার

অনলাইন রিটেইল জায়ান্ট অ্যামাজন কিন্ডল ফায়ার ট্যাবলেটের নতুন সংস্করণের আনছে বলেই খবর রটেছে। নতুন সংস্করণের এ ডিভাইসটির পর্দাম মাপ হবে ৮.৯ ইঞ্চি। বাজারে ৮.৯ ইঞ্চির ট্যাবলেট হিসেবে এটিই হবে প্রথম। খবর সিনেট-এর।

৭ ইঞ্চি মাপের কিন্ডল ফায়ারের পরবর্তী সংস্করণ হিসেবে অ্যামাজন ১০.১ ইঞ্চি মাপের নতুন ট্যাবলেট আনতে পারে বলেই খবর রটেছিলো। কিন্তু ট্যাবলেট বিপননকারীরা নাকি বাজারে থাকা ৯.৭ এবং ১০.১ ইঞ্চি মাপের ট্যাবলেটের আধিক্য থাকায় নতুন সংস্করণের মাপে ভিন্নতা চেয়েছে। তাই, অ্যামাজন কিন্ডল ফায়ারের পরবর্তী সংস্করণ হিসেবে ৮.৯ ইঞ্চি মাপের ট্যাবলেটই তৈরি করবে।

২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে এ ডিভাইসটি বাজারে আসবে।

খবর রটেছে, অ্যামাজন ট্যাবলেট তৈরি করতে তাউওয়ানিজ যন্ত্রাংশ নির্মাতা ফক্সকনকে পাচ্ছে না। কারণ, অ্যাপল-এর পণ্য তৈরি করতে ফক্সকন ইতোমধ্যে বুক হয়ে রয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বাজারে এসেছে অ্যামাজনের ৭ ইঞ্চি মাপের কিন্ডল ফায়ার ট্যাবলেট। মাত্র ১৯৯ ডলারের এ ট্যাবলেটি বিক্রিতে অ্যামজন লসও গুনছে। কিন্তু জনপ্রিয়তার কারণে এবার স্মার্টফোন বাজারেও অ্যামাজনের পা পড়ছে বলেই খবর রটেছে।

৫ ইঞ্চি পর্দার স্মার্টফোন আনছে লেনোভো

৫ ইঞ্চি পর্দার স্মার্টফোন আনছে লেনোভো

এবার স্মার্টফোন বাজারে পা রাখছে ল্যাপটপ নির্মাতা লেনোভো। লেনেভো কর্তৃপক্ষ ৫ ইঞ্চি স্ক্রিনের একটি স্মার্টফোন তৈরি করছে বলেই খবর রটেছে। খবর ম্যাশএবল-এর।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে স্মার্টফোনের বাজারে স্ক্রিনের মাপে বৈচিত্র্য এসেছে। সবাই এখন বড়ো মাপের স্ক্রিনের দিকেই ঝুঁকছে। এদিকে, ট্যাবলেট কম্পিউটারের আকার আবার ছোটো হচ্ছে। এ দুইয়ের মাঝামাঝি আকারের ডিভাইসগুলোই এখন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তাই লেনোভো ৫ ইঞ্চি মাপের স্মার্টফোন তৈরির পথ বেছে নিয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বাজারে বড়ো আকারের স্মার্টফোন হিসেবে ৪.৭ ইঞ্চি মাপের এইচটিসি টাইটান এবং ৫.৩ ইঞ্চি মাপের স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট স্মার্টফোন দুটি রয়েছে।

লেনোভোর আইডিয়া ট্যাবলেটের ছোটো সংস্করণই হতে পারে ৫ ইঞ্চি মাপের এ ডিভাইসটি। এতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে গুগল অ্যান্ড্রয়েডের সাম্প্রতিক সংস্করণটিই থাকতে পারে।

২০১২ সালের সিইএস মেলায় এ স্মার্টফোনটির ঘোষণা দিতে পারে লেনোভো কর্তৃপক্ষ।

'জুম'-এর পর মটোরোলা আনছে 'জিবোর্ড'

'জুম'-এর পর মটোরোলা আনছে 'জিবোর্ড'

মার্কিন ওয়্যারলেস জায়ান্ট মটোরোলা নতুন ব্র্যান্ডের দুটি ট্যাবলেট কম্পিউটার তৈরি করছে বলেই তথ্য ফাঁস হয়েছে। খবর সিনেট-এর।

বর্তমানে বাজারে মটোরোলার তৈরি ‘জুম’ ট্যাবলেট রয়েছে। এবার মটোরোলার তৈরি রেজর ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন থেকে উৎসাহ নিয়ে ‘জিবোর্ড’ নামে দুটি ট্যাবলেট তৈরি করছে বলেই তথ্য ফাঁস হয়েছে।

গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমচালিত এ দুটি ট্যাবলেটের স্ক্রিন সাইজ হবে ৮ ইঞ্চি এবং ১০ ইঞ্চি। ডুয়াল কোর প্রসেসর এবং এনভিডিয়ার তৈরি টেগ্রা প্রসেসর থাকবে ডিভাইসদুটিতে। গরিলা গ্লাস, ক্যামেরা এবং ১ গিগাবাইট র‌্যামযুক্ত ডিভাইসদুটি দেখতে হবে রেজর স্মার্টফোনের মতো।

ডিভাইসদুটির দাম হতে পারে ৬০০ ডলার এবং ৮০০ ডলার। আগামী বছরই এ ডিভাইসদুটি বাজারে চলে আসতে পারে।

ইমেইল অ্যাড্রেস বদলিয়ে বিপাকে ফেইসবুক

ইমেইল অ্যাড্রেস বদলিয়ে বিপাকে ফেইসবুক

কিছুদিন আগেই বিনা নোটিশে ইমেইল অ্যড্রেস বদলে দিয়ে ব্যবহারকারীদের রোষের মুখে পড়েছিলো ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ। সে ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন বিপাকে পড়েছে এই সোশাল নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট। স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট থেকে ফেইসবুক অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করেন, এমন অনেক ব্যবহারকারীর কেবল ফেইসবুক অ্যাকাউন্টের ইমেইল অ্যাড্রেসটিই নয়, বরং ইমেইল কন্ট্যাক্ট লিস্টের সবগুলো ইমেইল ঠিকানাও বদলে সেখানে ফেইসবুকের ডোমেইন বসিয়ে দিয়েছে। খবর বিবিসির।

জানা গেছে, ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের পুরো ইমেইল কন্টাক্ট লিস্ট বদলে যাওয়ার কারণ হচ্ছে, একটি সফটওয়্যার ত্রুটি বা ‘বাগ’। একসঙ্গে সব ফেইসবুক ব্যবহারকারীর ইমেইল অ্যাড্রেস বদলে দেয়ার জন্যে সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছিলো।

ফেইসবুকের এই সফটওয়্যার বাগ-এর কারণে সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ব্ল্যাকবেরি, অ্যান্ড্রয়েড, অ্যাপলের আইওএস সিক্স এবং উইন্ডোজ ফোন এইট অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরা।

এদিকে এই সফটওয়্যার বাগটির কারণে ইউজারদের রোশের মুখে পড়েছে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ। সফটওয়্যার বাগটি অপসারণের জন্য লেগে আছেন ফেইসবুকের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা। খুব শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ।

নতুন আবিষ্কৃত কণাটিই হিগস-বোসন পার্টিকল!

নতুন আবিষ্কৃত কণাটিই হিগস-বোসন পার্টিকল!

সার্ন বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত নতুন সাব অ্যাটমিক পার্টিকলটিই হতে পারে পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে বহু প্রতীক্ষীত হিগস-বোসন পার্টিকল। লন্ডনের এক কনফারেন্সে এমনটাই দাবি করেছেন বৃটিশ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাসিলিটি কাউন্সিলের প্রধান কর্মকর্তা জন ওমার্সলে। নতুন এই সাব অ্যাটমিক পার্টিকলটির সঙ্গে হিগস-বোসন পার্টিকলের অনেকটাই মিল রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্স-এর।

পদার্থবিজ্ঞানের মতবাদ অনুযায়ী মহাবিশ্বের সৃষ্টি এবং গঠন রহস্য সমাধানের মূল চাবিকাঠিই হচ্ছে হিগস-বোসন পার্টিকল। কয়েক দশক ধরে হিগস-বোসন পার্টিকলের অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা।

লন্ডনের ওই কনফারেন্সে ওমার্সলে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, নতুন একটি মৌল কণা সত্যিই আবিষ্কৃত হয়েছে এবং হিগস-বোসন পার্টিকলের সঙ্গে এটির অনেক মিল রয়েছে।’

অন্যদিকে সার্ন বিজ্ঞানীদের মুখপাত্র জো ইনক্যানডেলা বলেছেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে পাওয়া তথ্যগুলো নির্ভরযোগ্যই মনে হচ্ছে আমাদের।’

সার্ন বিজ্ঞানীদের এই নতুন আবিষ্কার যে হিগস-বোসন পার্টিকল এখনও তা ১০০ ভাগ নিশ্চিত করতে পারেননি তারা। তবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তাদের ধারণা তারা হিগস-বোসন পাটিকল বা তার সঙ্গে মিল রয়েছে এমন কোনো মৌল কণাই আবিষ্কার করেছেন। আর এটি যদি হিগস-বোসন না হয়, তবে এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি মৌল কণা, যা এতোদিন বিজ্ঞানীদের অজানাই ছিলো।

আসছে ব্ল্যাকবেরি ট্যাবলেট

আসছে ব্ল্যাকবেরি ট্যাবলেট

ব্ল্যাকবেরি প্রস্তুতকারক রিম আগামী বছরের শরৎকালে ব্ল্যাক ফরেস্ট নামে একটি নতুন ট্যাবলেট পিসি আনার পরিকল্পনা করেছে। একটি গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এই খবরটি জানা গেছে। খবর টেলিগ্রাফ নিউজ–এর।

ব্ল্যাকবেরি ব্লগে প্রকাশ করা একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে, এসবই রিমের ক্লাসিফায়েড তথ্য যা থেকে ব্ল্যাকবেরির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

ব্ল্যাকবেরির ফাঁস হওয়া ‘রোডম্যাপ’ থেকে জানা গেছে, ব্ল্যাকবেরি ফোরজি প্লেবুক যা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে তৈরি হচ্ছে, সেটি আসবে ২০১২ সালের শেষ দিকে এবং নতুন ব্ল্যাকবেরি ১০ ডিভাইসটি আসবে ২০১৩ সালের শুরুতে।

ব্ল্যাকবেরি ১০ ডিভাইসটি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্লগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রায় সব প্রযুক্তি ব্লগ সাইটেই বলা হচ্ছে, এতে ১০ ইঞ্চি স্ক্রিন থাকবে যা প্লেবুকের স্ক্রিনের তুলনায় বড় এবং এতে ১২৮জিবি মেমোরি থাকবে। তাদের ‘রোডম্যাপ’ থেকে আরো দু’টি নতুন প্রোডাক্ট-এর নাম জানা গেছে। প্রোডাক্ট দু’টির কোডনেম ‘ন্যাশভিল’ এবং ‘নেপলস’।

এদিকে গত সপ্তাহে রিম ঘোষণা করেছে, তারা ব্ল্যাকবেরি ১০ আরো দেরিতে রিলিজ করবে। এর ফলে ব্ল্যাকবেরির শেয়ার মূল্য ২০% কমে গেছে। এই সম্পর্কে স্ক্রিন ডাইজেস্ট-এর সিনিয়র প্রিন্সিপাল বলেছেন, ‘আগামী প্রজন্মের পণ্যের মাধ্যমে, রিমের এখন একটি বড় সাফল্য প্রয়োজন। তার বদলে তারা দেরি করে নিজেদেরই ক্ষতি করছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাজার রিমের প্রতি ক্রমশ আস্থা হারাচ্ছে’।

৬২০ কোটি ডলারের হোঁচট খেলো মাইক্রোসফট

৬২০ কোটি ডলারের হোঁচট খেলো মাইক্রোসফট

মাইক্রোসফটের অনলাইন অ্যাডভাটাইজিং সার্ভিস, একুয়ানটিভ এ বছর পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ আয় করতে না পারায় ৬২০ কোটি ডলার গচ্চা দিলো এই সফটওয়্যার জায়ান্ট। মাইক্রোসফট পাঁচ বছর আগে একুয়ানটিভ কিনে নিয়েছিলো ৬৩০ কোটি ডলারে। খবর অরেঞ্জ নিউজ-এর।

আগেই ধারণা করা হয়েছিল, ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে মাইক্রোসফট। কোম্পানিটি প্রাথমিকভাবে তাদের লসের জন্য একুয়ানটিভ-এর হতাশাজনক পারফরমেন্সকেই দায়ী করছে। পাঁচ বছর আগে একুয়ানটিভ-ই ছিলো মাইক্রোসফটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্রয়। তারা গত বছর ৮৫০ কোটি ডলারে স্কাইপ কিনে সেই রেকর্ড ভেঙ্গেছে।

মাইক্রোসফটের অনলাইন ডিভিশনের হিসাবে, একুয়ানটিভ কেনার পর এখন পর্যন্ত মাইক্রোসফট প্রায় ৯০০ কোটি ডলার লস করেছে।

ফেকটসেটের বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এতো কিছুর পরেও মাইক্রোসফট এই অর্থবছরের শেষ ভাগে, ৫৩০ কোটি ডলার আয় করবে। ১৯ জুলাই মাইক্রোসফটের শেষ তিন মাসের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করার কথা রয়েছে।

সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে তৈরি অলিম্পিক ২০১২সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে তৈরি অলিম্পিক ২০১২

সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে তৈরি অলিম্পিক ২০১২

সাইবার অ্যাটাক থেকে নিজেদের রক্ষা করতে রীতিমতো যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে লন্ডন অলিম্পিক গেইমস ২০১২ কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে ২ লাখ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পুরো অলিম্পিক গেইমসের ইন্টারনেট সিকিউরিটি ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখেছে গেইমসের সাইবার সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা টেকনোলজি কোম্পানি অ্যাটোস। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

২০০২ সাল থেকে অলিম্পিক গেইমসের ইন্টারনেট সিকিউরিটির দায়িত্বে আছে অ্যাটোস। পুরো ইংল্যান্ডের ১১,৫০০-এরও বেশি কম্পিউটারের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে আছে টেকনোলজি কোম্পানিটি। লন্ডন অলিম্পিক ২০১২-এর সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে যেনো যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণ কিভাবে হতে পারে এবং তা ঠেকাতে কি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা নিশ্চিত করতে, হ্যাকারদেরও অলিম্পিক গেইমসের ইন্টারনেট সিকিউরিটি সিস্টেম হ্যাক করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলো অ্যাটোস।

নিজেদের ইন্টারনেট ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখার জন্য হ্যাকারদের আমন্ত্রণ জানানোর কথা নিশ্চিত করেন অ্যাটোসের চিফ ইন্টিগ্রেটর মিশেল হায়রন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা ছাড়াও আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন সৎ এবং নীতিবান কিছু হ্যাকার। তাদের মূল কাজ হচ্ছে, সিস্টেমটির কোনো ক্ষতি না করে এটির ক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা।’

এর আগে বেইজিং অলিম্পিকে প্রতিদিন ১ কোটি ২০ লাখ সাইবার অ্যাটাকের শিকার হতে হয়েছিলো অলিম্পিক কর্তৃপক্ষকে। লন্ডন অলিম্পক ২০১২-তে প্রতিদিন ১ কোটি ২০ লাখ থেকে ১ কোটি ৪০ লাখ সাইবার অ্যাটাক হবে ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে অ্যাটোস এবং অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি

নতুন 'কনকর্ড': গতি ঘণ্টায় ৪০০০ কিলো!

নতুন 'কনকর্ড': গতি ঘণ্টায় ৪০০০ কিলো!


গুজবটি যদি সত্যি হয় তবে একবারও না থেমে মাত্র ৪ ঘণ্টায় লন্ডন থেকে সিডনিতে পৌঁছাতে পারবে প্লেনটি। বিশ্ববিখ্যাত এয়ারক্রাফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং, লকহিড মার্টিন এবং গালফস্ট্রিম মিলে একসময়ের দ্রুততম প্যাসেঞ্জার জেট কনকর্ডের  উত্তরসূরী তৈরি করছে বলে জোর গুজব ছড়িয়েছে। খবর রয়টার্স-এর।
নতুন ওই মডেলটিকে ডাকা হচ্ছে এক্স-৫৪। অল্প সময়ে দূরের পথ পাড়ি দিতে অনেকেরই প্রথম পছন্দ ছিলো সুপারসনিক প্যাসেঞ্জার জেট কনকর্ড। কিন্তু ২০০৩ সালে অবসরে যায় কনকর্ডের সবগুলো পুরোনো প্লেন। নতুন মডেল এক্স-৫৪ তৈরি হলে এটিই হবে পৃথিবীর দ্রুততম প্যাসেঞ্জার জেট। জানা গেছে, এটির গতি হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০০ কিলোমিটার। এর ফলে মাত্র ৪ ঘণ্টায় লন্ডন থেকে ১৭ হাজার কিলোমিটার দূরের সিডনিতে পৌছাতে পারবে প্লেনটি। এই গতি কনকর্ডের গতির প্রায় দ্বিগুণ।
এক্স-৫৪ নিয়ে বোয়িং, লকহিড মার্টিন ও গালফস্ট্রিম-এর ওই প্রকল্পে নাসার কাছ থেকেও সহযোগিতা মিলছে বলে জানা গেছে। কনকর্ডের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল যাত্রা শুরুর সময়ে তৈরি হওয়া সনিক বুম বা প্রচণ্ড শব্দ। নতুন প্লেনের বেলায় সেটি অনেক কমিয়ে আনা যাবে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। তবে নতুন প্লেনটিতে কনকর্ডের শনাক্তকরণ চিহ্ন বাঁকানো নাক, ভি টেইল থাকবে কি-না সেটি এখনো জানা যায়নি।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি/জুলাই ৪/১২
গুজবটি যদি সত্যি হয় তবে একবারও না থেমে মাত্র ৪ ঘণ্টায় লন্ডন থেকে সিডনিতে পৌঁছাতে পারবে প্লেনটি। বিশ্ববিখ্যাত এয়ারক্রাফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং, লকহিড মার্টিন এবং গালফস্ট্রিম মিলে একসময়ের দ্রুততম প্যাসেঞ্জার জেট কনকর্ডের  উত্তরসূরী তৈরি করছে বলে জোর গুজব ছড়িয়েছে। খবর রয়টার্স-এর।

নতুন ওই মডেলটিকে ডাকা হচ্ছে এক্স-৫৪। অল্প সময়ে দূরের পথ পাড়ি দিতে অনেকেরই প্রথম পছন্দ ছিলো সুপারসনিক প্যাসেঞ্জার জেট কনকর্ড। কিন্তু ২০০৩ সালে অবসরে যায় কনকর্ডের সবগুলো পুরোনো প্লেন। নতুন মডেল এক্স-৫৪ তৈরি হলে এটিই হবে পৃথিবীর দ্রুততম প্যাসেঞ্জার জেট। জানা গেছে, এটির গতি হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০০ কিলোমিটার। এর ফলে মাত্র ৪ ঘণ্টায় লন্ডন থেকে ১৭ হাজার কিলোমিটার দূরের সিডনিতে পৌছাতে পারবে প্লেনটি। এই গতি কনকর্ডের গতির প্রায় দ্বিগুণ।

এক্স-৫৪ নিয়ে বোয়িং, লকহিড মার্টিন ও গালফস্ট্রিম-এর ওই প্রকল্পে নাসার কাছ থেকেও সহযোগিতা মিলছে বলে জানা গেছে। কনকর্ডের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল যাত্রা শুরুর সময়ে তৈরি হওয়া সনিক বুম বা প্রচণ্ড শব্দ। নতুন প্লেনের বেলায় সেটি অনেক কমিয়ে আনা যাবে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। তবে নতুন প্লেনটিতে কনকর্ডের শনাক্তকরণ চিহ্ন বাঁকানো নাক, ভি টেইল থাকবে কি-না সেটি এখনো জানা যায়নি।



জুলাই’য়ে খাদ্যমূল্য বাড়ার আশঙ্কা জাতিসংঘের

 
ক্রমাগত শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্যশস্য ও সয়াবিন উৎপাদন বাধাগ্রস্থ হওয়ায় এ মাসে বিশ্ব খাদ্য মূল্য বাড়ার আশঙ্কা করছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।

এফএও’র জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ও শস্য বিশ্লে¬ষক আব্দুলরেজা আব্বাসিয়ান রয়টার্সকে বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রে ফসল কাটার আগ পর্যন্ত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও মূল্যের অস্থিতিশীলতা ঠেকানো যাবে না। আগামী কয়েকমাস খুব টালমাটাল অবস্থায় যাবে।”

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা খাদ্যশস্য, তৈলবীজ, দুগ্ধজাত খাবার, মাংস ও চিনি’র মূল্যের ওপর ভিত্তি করে খাদ্য মূল্য সূচক নির্ণয় করে থাকে।

সংস্থাটি এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ২০১২ সালে বিশ্বে ২ দশমিক ৩৯৬ বিলিয়ন মেট্রিক টন (২৬৪ কোটি টন) খাদ্যশস্য উৎপাদন হবে। যা পূর্ব ঘোষিত পরিমাণের চেয়ে ২৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন কম।

এছাড়া, তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এ বছর ভুট্টা উৎপাদন হবে ৩৫০ মিলিয়ন মেট্রিক টন যা পূর্ব ঘোষিত পরিমাণের চেয়ে ২৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন কম। তবে ২০১১ সালের তুলনায় তা ৩৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন বা ১১ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
 
{সংকলন কৃত  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/বিসিএস/এলকিউ}
 

বুধবার, ৪ জুলাই, ২০১২

১২ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স

গেল অর্থবছরে ১২ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন (এক হাজার ২৮৫ কোটি) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বা বা ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ বেশি।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেমিটেন্স সংক্রান্ত যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১১-১২ অর্থবছরে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে আসা ১২ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্সের মধ্যে জুন মাসে এসেছে ১০৭ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।

১২ মাসের মধ্যে মাত্র মাস দুই মাস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ একশ’ কোটি ডলারের কম ছিল। বাকি দশ মাস এসেছে একশ’ কোটি ডলারের বেশি।

এর মধ্যে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে জানুয়ারি মাসে আসা রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ১২২ কোটি ১৪ ডলার। এক মাসের হিসাবে যা ছিল সর্বোচ্চ রেমিটেন্স।

রেমিটেন্স বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বেড়েছে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ৭০ কোটি ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। তবে মঙ্গলবার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

২০১১-১২ অর্থবছরে সরকারি মালিকানাধীন চার ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩১ কোটি ডলার।

এ ছাড়া বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ডলারের কিছু বেশি।

৭৩ কোটি ২৪ লাখ ডলার এসেছে ৩০টি বেসরকারি ব্যাংকের ম্যাধ্যমে। আর নয়টি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ এক কোটি ৯৫ লাখ ডলার।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এআরএইচ/এএল/২০৫১ ঘ.

ক্যামেরায় চিকিৎসকদের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ

ওয়েবক্যামেরায় দেশের সর্বস্তরের চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসকসহ কর্মকর্তাদের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আফম রুহুল হক।

এছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল পরিচালনার নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হবে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশন চলাকালে সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।

বিএনপির সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “জেলা, উপজেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য ওয়েবক্যামের মাধ্যমে প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ চলছে।”

রুহুল হক জানান, ডাক্তারদের যথাসময়ে কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখায় একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।

চিকিৎসকরা যথাসময়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপস্থিত না হলে তাকে জানানোর অনুরোধ করে রুহুল হক বলেন, “আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নেবো।”

এ পর্যন্ত ২৪ জন ডাক্তার চাকরি হারিয়েছেন বলে জানান তিনি।

দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন খসরুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালনার নীতিমালা পরিবর্তন করা হবে।”