রবিবার, ৮ জুলাই, ২০১২

৬২০ কোটি ডলারের হোঁচট খেলো মাইক্রোসফট

৬২০ কোটি ডলারের হোঁচট খেলো মাইক্রোসফট

মাইক্রোসফটের অনলাইন অ্যাডভাটাইজিং সার্ভিস, একুয়ানটিভ এ বছর পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ আয় করতে না পারায় ৬২০ কোটি ডলার গচ্চা দিলো এই সফটওয়্যার জায়ান্ট। মাইক্রোসফট পাঁচ বছর আগে একুয়ানটিভ কিনে নিয়েছিলো ৬৩০ কোটি ডলারে। খবর অরেঞ্জ নিউজ-এর।

আগেই ধারণা করা হয়েছিল, ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে মাইক্রোসফট। কোম্পানিটি প্রাথমিকভাবে তাদের লসের জন্য একুয়ানটিভ-এর হতাশাজনক পারফরমেন্সকেই দায়ী করছে। পাঁচ বছর আগে একুয়ানটিভ-ই ছিলো মাইক্রোসফটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্রয়। তারা গত বছর ৮৫০ কোটি ডলারে স্কাইপ কিনে সেই রেকর্ড ভেঙ্গেছে।

মাইক্রোসফটের অনলাইন ডিভিশনের হিসাবে, একুয়ানটিভ কেনার পর এখন পর্যন্ত মাইক্রোসফট প্রায় ৯০০ কোটি ডলার লস করেছে।

ফেকটসেটের বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এতো কিছুর পরেও মাইক্রোসফট এই অর্থবছরের শেষ ভাগে, ৫৩০ কোটি ডলার আয় করবে। ১৯ জুলাই মাইক্রোসফটের শেষ তিন মাসের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করার কথা রয়েছে।

অ্যাপল নিয়ে আসছে আইপ্যাড মিনি

অ্যাপল নিয়ে আসছে আইপ্যাড মিনি

যেখানে অ্যাপলের অরিজিনাল আইপ্যাড ছিল সবচেয়ে দীর্ঘতম গুজবের বিষয়। সেই স্থানটি হয়তো অ্যাপলের ৭ ইঞ্চি মিনি আইপ্যাড দখল করবে। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী অ্যাপল তাদের ছোট এই ট্যাবলেট পিসিটি অক্টোবরের মধ্যে বাজারে আনবে। খবর এবিসি নিউজ-এর।

ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ছোট সাইজের এই আইপ্যাডটির ডিসপ্লে হবে আড়াআড়িভাবে ৭ ইঞ্চি থেকে ৮ ইঞ্চি। তবে এতে নতুন আইপ্যাডের মতো রেটিনা ডিসপ্লে থাকবে না এবং এর দাম আইপ্যাডের চেয়ে কম হবে।

৭ ইঞ্চি মাপের ট্যাবলেটের সাইজটি অ্যামাজন এবং বার্নস অ্যান্ড নোবেলের মতো অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট নির্মাণকারীর কাছে জনপ্রিয়। গত সপ্তাহে গুগল তাদের ৭ ইঞ্চি নেক্সাস সেভেন ট্যাবলেট রিলিজ করেছে। স্ক্রিন অ্যাগ্রি অ্যান্ড লিঞ্চ-এর গবেষক শ’ উ বলেছেন ‘আইপ্যাড মিনি’ প্রতিদ্ব›দ্বীদের জন্য একটি দুঃস্বপ্ন হতে পারে।

রোববার আংশিক ক্র্যাশ করতে পারে ইন্টারনেট

রোববার আংশিক ক্র্যাশ করতে পারে ইন্টারনেট

সোমবার ম্যালওয়্যার আক্রমণে বিশ্বব্যাপী ক্র্যাশ করতে পারে হাজারো ইন্টারনেট সার্ভিস। ইতোমধ্যেই এই সম্ভাব্য ম্যালওয়্যার আক্রমণের বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে ফেইসবুক এবং গুগলের মাধ্যমে। এমনকি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এই ম্যালওয়্যার আক্রমণ প্রতিরোধে তৈরি করেছে একটি বিশেষ ওয়েবসাইট। খবর ফক্স নিউজ-এর।

যেসব ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে ওই ম্যালওয়্যারটির সংক্রমণ হয়েছে, সোমবার মধ্যরাত থেকে (বাংলাদেশ সময় রোববার সকাল ১০টা) ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না তারা। পুনরায় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চাইলে তাদের যোগাযোগ করতে হবে তাদের সার্ভিস প্রোভাইডারের সঙ্গে এবং ডিলিট করতে হবে ম্যালওয়্যারটি, তবেই আবার ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন তারা।

ম্যালওয়্যারটির আক্রমণ শুরু হয় প্রায় বছরখানের আগে। একদল আন্তর্জাতিক হ্যাকার এক মিথ্যা অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই ম্যালওয়্যারটি ছড়িয়ে দেয়। ফলে বিশ্বব্যাপী ৫ লাখ ৭০ হাজার কম্পিউটার শিকার হয়ছিলো ওই ম্যালওয়্যার আক্রমণের।

২০১১ সালের শেষ দিকে হ্যাকারদের বিরুদ্ধে মাঠে নামে এফবিআই। কিন্তু ম্যালওয়্যার ছড়ানো সার্ভারগুলো বন্ধ করে দিলে ব্যবহারকারীদের কম্পিউটারে ইন্টারনেট সার্ভিস বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এ জন্য একটি প্রাইভেট কোম্পানির সাহায্য নিয়ে দু’টি সার্ভার চালু করেছিলো এফবিআই, যেন ব্যবহারকারীরা তাদের ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন।

সোমবার ১২টা ১ মিনিটে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে এফবিআই চালিত ওই সার্ভার দুটি। আর সার্ভার দু’টি বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই ইন্টারনেট সার্ভিস বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে ম্যালওয়্যার আক্রান্ত পিসিগুলোর। এখনও বিশ্বব্যাপী ২ লাখ ৭৭ হাজার কম্পিউটারে এই ম্যালওয়্যারটির অস্তিত্ত্ব থাকতে পারে। এর মধ্যে ৬৪ হাজার কম্পিউটার রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।

গুগল এবং সোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট ফেইসবুক ইতোমধ্যেই ম্যালওয়ারটির বিষয়ে সাবধান করে দিয়েছে। ম্যালওয়ারটি পিসির ইন্টারনেট ব্যবহারের গতি কমিয়ে দেয় এবং পিসির অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি নিষ্ক্রিয় করে দেয়, যার ফলে বিশেষ ওই ম্যালওয়্যারটি ছাড়াও অন্যান্য ভাইরাস আক্রমণের শিকার হতে পারে ব্যবহারকারীর পিসি।

সবুজ সংকেত পেলো গোল-লাইন টেকনোলজি

সবুজ সংকেত পেলো গোল-লাইন টেকনোলজি

ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (ওঋঅই)-এর সমর্থন পেয়েছে ফুটবল খেলার গোলা লাইন প্রযুক্তি। ফিফার কাছ থেকেও সবুজ সংকেত পেয়েছে হক-আই এবং গোলরিফ নামের দু’টি গোল লাইন প্রযুক্তি। ২০১২-১৩ প্রিমিয়ার লিগ দিয়েই ফুটবল মাঠে অভিষেক হতে পারে নতুন এই প্রযুক্তির। খবর বিসিসির।

২০১২-১৩ মৌসুমে বৃটিশ প্রিমিয়ার লিগ ছাড়াও এই ডিসেম্বরেই ফিফার ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপে ব্যবহার করা হবে এই প্রযুক্তি। সফল হলে এর পর ২০১৩ সালের কনফেডারেন্স কাপ এবং ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলেও ব্যবহার করা হবে এই প্রযুক্তি।

হক-আই:
ফিফার অনুমোদন পাওয়া হক-আই সিস্টেমসটিতে রয়েছে ছয়টি ক্যামেরা যা ফুটবলটিকে মনিটর করবে এবং ট্রায়াঙ্গুলেশন সিস্টেম ব্যবহার করে বলটির অবস্থান নিশ্চিত করবে। ফুটবলটি গোল লাইন অতিক্রম করলেই একটি এনক্রিপ্টেড রেডিও সিগনাল পৌঁছে যাবে রেফারির হাত ঘড়িতে। পুরো ব্যাপারটি ১ সেকেন্ডেরও কম সময়ে হয়।

গোলরিফ:
গোলরিফ প্রযুক্তিতে ফুটবলটিতে একটি মাইক্রোচিপ দেয়া থাকে এবং বলটির চারপাশের চৌম্বক ক্ষেত্রকে মনিটর করা হয়। ফুটবলটি গোল লাইন অতিক্রম করলেই চারপাশের চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তন মনিটর করে এবং এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে রেফারিকে জানিয়ে দেয় গোল হয়েছে কি না।

এদিকে মাঠে গোল লাইন টেকনোলজির অভিষেক হতে পারে প্রিমিয়ার লিগ দিয়েই। এ ব্যাপারে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অনেকদিন ধরেই প্রিমিয়ার লিগ গোল লাইন টেকনোলজির সমর্থন করে আসছে। যত দ্রুত সম্ভব মাঠে এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে।’



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি

শুক্রবার, ৬ জুলাই, ২০১২

হতাশা ও উদ্বেগের পেছনে শৈশবের শাস্তি’

শৈশবে ধাক্কা, থাপ্পর বা আঘাত পাওয়া শিশুদের মধ্যে পরবর্তীতে হতাশা, উদ্বেগ ও ব্যক্তিত্বের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সম্প্রতি কানাডার একদল গবেষকের পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। পেডিয়াট্রিকস সাময়িকীতে এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

২০০৪-২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জরিপের জন্য নেওয়া ৩৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির সাক্ষাতকারের তথ্যের ভিত্তিতে নতুন এ গবেষণা করা হয়েছে।

শিশু বয়সে কতবার শারীরিক শাস্তি পেয়েছে, পিতামাতার মাদক বিষয়ক বা কারাগারে যাওয়ার মতো পরিবারের অন্য কোনো সমস্যা ছিলো কিনা এবং বর্তমান বা অতীতের মানসিক সমস্যার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের।

অংশগ্রহণকারীদের ছয় শতাংশ জানায়, তাদের ‘মাঝে মাঝে’, ‘মোটামুটি প্রায়ই’ অথবা ‘প্রায়ই’ শারীরিক শাস্তি দেওয়া হত। আর এদেরই মানসিক সমস্যা অথবা মাদক ও মদ ব্যবহারের সঙ্গে বেশি সংশ্লিষ্টতা লক্ষ করা গেছে।

উদাহরণস্বরূপ, শারীরিক শাস্তি পাওয়ার কথা স্মরণ করতে পেরেছে এমন মানুষের ২০ শতাংশ মনোবল হারিয়েছে এবং ৪৩ শতাংশ মাদক গ্রহণ করেছে। অপরদিকে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শারীরিক শাস্তি পায় নি অথচ মনোবল হারিয়েছে এমন ব্যক্তির সংখ্যা ১৬ শতাংশ ও অতিরিক্ত মদ্যপানকারীর সংখ্যা ৩০ শতাংশ।

এসব সংযোগ বের করার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীদের পারিবারিক সমস্যা, গোত্র, আয় ও শিক্ষাগত যোগ্যতাও বিবেচনা করেছেন গবেষকরা।

প্রধান গবেষক মানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেসি আফিফি ও তার দল জানায়, শারীরিক শাস্তির কারণে শিশুদের দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপের সৃষ্টি হতে পারে যা থেকে পরবর্তীতে হতাশা বা উদ্বেগের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

গবেষকদের এ ধরনের ফলাফলে সমর্থন জানিয়েছেন মনস্তত্ববিদ ও টোলেডো কলেজ অব মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ুথ ভায়োলেন্সের শিক্ষক মিশেল নক্স।

তবে শুধু শাস্তির কারণেই যে শিশুদের মানসিক বৈকল্য ঘটে তা মনে করেন না তিনি।

নক্স বলেন, সাক্ষাতকারদাতারা হয়ত জানেন না তাদের পিতামাতার মানসিক অসুস্থতার কোনো ধরনের চিকিৎসা হয়েছে কিনা। আর হতাশা ও উদ্বেগ অনেকটা বংশানুক্রমিকভাবেই চলে আসে।

উইন্ডোজ ৮-এর বিস্তারিত জানালো মাইক্রোসফট


উইন্ডোজ ৮-এর বিস্তারিত জানালো মাইক্রোসফট



সম্প্রতি মাইক্রোসফট প্রথমবারের মতো তাদের পরবর্তী অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই সংস্করণকে ‘উইন্ডোজ ৮’ বলেই ডাকা হবে বলেও জানিয়েছে মাইক্রোসফট। খবর ম্যাশএবল-এর।


সূত্রমতে, উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমটি ৩২ ও ৬৪ বিট দু’ধরনের হার্ডওয়ারেই চলবে। তবে প্রধানত চার ধরনের উইন্ডোজ ৮ বাজারজাত করা হবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।


‘রেগুলার উইন্ডোজ ৮’ থাকছে একেবারেই সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য। এতে কম্পিউটিংয়ের দৈনন্দিন যাবতীয় কাজ করা যাবে।


‘উইন্ডোজ ৮ প্রো’ থাকছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ডেভেলপার এবং প্রযুক্তিমনস্ক মানুষের জন্য। এতে অ্যাডভান্সড কিছু সুবিধা যেমন ফাইল এনক্রিপ্ট করা, ভার্চুয়াল হার্ড ড্রাইভ থেকে বুট করা ইত্যাদি থাকছে। এছাড়াও মিডিয়া সেন্টার পিসিতে ব্যবহারের জন্য উইন্ডোজ ৮ প্রো এবং মিডিয়া প্যাক অ্যাড-অনের প্রয়োজন পড়বে যা সাধারণ উইন্ডোজ ৮-এ দেয়া থাকবে না বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।


‘উইন্ডোজ ৮ আরটি’ ট্যাবলেট ডিভাইসে চালানোর উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। আরটি বলতে কী বোঝানো হচ্ছে সে ব্যাপারে মাইক্রোসফট পরিষ্কার কিছু না জানালেও ম্যাশএবল ধারণা করছে ‘রান-টাইম’ বোঝাতেই আরটি যোগ করা হয়েছে। তবে এআরএম চিপের জন্য তৈরি এই উইন্ডোজের সংস্করণ আলাদা কিনতে পাওয়া যাবে না। সংশ্লিষ্ট ট্যাবলেট ডিভাইসেই জুড়ে দেয়া থাকবে উইন্ডোজ ৮ আরটি। সেই সঙ্গে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট এবং ওয়াননোটের বিনামূল্যের একটি সংস্করণও প্রি-ইনস্টলড থাকবে উইন্ডোজ ৮ আরটি-চালিত ট্যাবলেট ডিভাইসে।


এই তিনটি ছাড়াও আরও বড় কাজের জন্য ‘উইন্ডোজ ৮ এন্টারপ্রাইজ’ সংস্করণ রয়েছে বলেও জানিয়েছে মাইক্রোসফট। এতে উইন্ডোজ ৮ প্রো-এর সব সুবিধার পাশাপাশি আইটি প্রফেশনালদের জন্য বাড়তি কিছু সুবিধাও যোগ করা থাকবে; যেন একাধিক কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কিং আরও সহজে করা যায়। এছাড়াও চীনসহ বেশ কিছু দেশের জন্য স্থানীয় ভাষাতেও একটি লোকাল-ল্যাঙ্গুয়েজ সমৃদ্ধ উইন্ডোজ ৮ বাজারে ছাড়বে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উইন্ডোজ ৮-এর নতুন এই পরিকল্পনার মাধ্যমে বাজারকে আরও বড় করে তুলছে মাইক্রোসফট। একইসঙ্গে যার যে কাজে কম্পিউটার প্রয়োজন, তাকে অপারেটিং সিস্টেমের ঠিক সেই সংস্করণ (রেগুলার, প্রো, আরটি অথবা এন্টারপ্রাইজ) ব্যবহার করতে বাধ্য করাও মাইক্রোসফটের পরিকল্পনার অংশবিশেষ বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।

তবে কবে নাগাদ সার্বিকভাবে প্রস্তুত উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আসবে, সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানায়নি মাইক্রোসফট।

অনুমোদন পেল গোল-লাইন প্রযুক্তি

 গোল-লাইন প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নীতি-নির্ধারকরা। এর ফলে বিষয়টি নিয়ে প্রায় এক দশক ধরে চলা বিতর্কের অবসান হলো।

জুরিখে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে বল গোল-লাইন অতিক্রম করেছে কিনা সেটা নির্ধারণের জন্য দুইটি আলাদা প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি)। যার একটি হচ্ছে হক-আই (যেটা টেনিস ও ক্রিকেটে ব্যবহার করা হয়), অন্যটি গোলরেফ।

ফিফার সেক্রেটারি জেনারেল জেরোম ভালকে জানিয়েছেন, ব্রাজিলে ২০১৪ বিশ্বকাপে গোল-লাইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

ভালকে বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই প্রযুক্তিটি ডিসেম্বরে টোকিওতে অনুষ্ঠেয় ক্লাব বিশ্বকাপে, ২০১৩ সালের কনফেডারেশন কাপে এবং ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ব্যবহার করা হবে।”

গত কয়েক বছর ধরে গোল-লাইন প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে ফুটবলের নীতি-নির্ধারক কমিটির ওপর চাপ বাড়তে থাকে। বিশেষ করে ২০১০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে জার্মানির বিপক্ষে ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের গোলটি রেফারি বাতিল করে দিলেও পরে টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায় বল গোল-লাইন অতিক্রম করেছিলো।

যদিও ওই সময়ে গোল-লাইন প্রযুক্তির বিপক্ষেই ছিলো ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। কিন্তু সদ্যসমাপ্ত ইউরো ২০১২ এ গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গোল বঞ্চিত হয় ইউক্রেন।

ওই ম্যাচের পর ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটার এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছিলেন, “আজ রাতের পর গোল-লাইন প্রযুক্তি আর প্রয়োজন নয় বরং আবশ্যিক হয়ে গেছে।”

তবে ফিফা গোল-লাইন প্রযুক্তির পক্ষে অবস্থান নিলেও এখনো এর বিপক্ষে উয়েফা। উয়েফা সভাপতি মিশেল প্লাতিনি মনে করেন, এর ফলে ফুটবলে আরো বেশি প্রযুক্তি ব্যবহারের পথ উম্মোচিত হয়ে যাবে।

গোল-লাইন প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি একম্যাচে ৫ জন রেফারি ব্যবহারেরও অনুমতি দিয়েছে আইএফএবি। চ্যাম্পিয়নস লিগে এবং ইউরো ২০১২ এ পরীক্ষামূলকভাবে ৫ রেফারি ব্যবহার করা হয়েছিলো।

এ ছাড়াও এখন থেকে মহিলা ফুটবলাররা চাইলে মাথায় স্কার্ফ বেঁধে খেলতে পারবেন।

থানায় থানায় স্টেডিয়াম নির্মানের পরিকল্পনা

শুধু বিভাগ এবং জেলায় নয়, দেশের প্রতিটি থানায় একটি করে স্টেডিয়াম নির্মানের পরিকল্পনা নিচ্ছে ক্রীড়া মন্ত্রনালয়। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকারই এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি উদ্যোগী।

দেশের একেবারেই তৃণমূল পর্যায়ে খেলাধুলা ছড়িয়ে দিতেই এই উদ্যোগ নিচ্ছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার লক্ষ্য দেশের খেলাধুলার উন্নয়ন ঘটানো। এর জন্য প্রয়োজন তৃণমূল পর্যায়ের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি। তাহলেই দেশের খেলাধুলার উন্নয়ন হবে।”

“এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব হলে, দেশের খেলাধুলায় একটা বিপ্লব ঘটবে। আশা করছি আমাদের সরকারের মেয়াদেই সম্ভব হবে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন,” যোগ করেন আহাদ আলী।

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর বিশ্বাস পরিকল্পনাটি বড় হলেও তা করে যেতে সক্ষম হবেন তিনি। তিনি বলেন, “প্রতিটি থানায় একটি করে ‘মিনি’ স্টেডিয়ামে নির্মান চারটিখানি কথা নয়। এর জন্য প্রয়োজন অনেক অর্থের, অনেক সময়ের। সবকিছু ঠিকভাবে হলে আমার বিশ্বাস তা করতে সক্ষম হবো।”

আহাদ আলী সরকার মনে করেন শুধুমাত্র মাঠের অভাবেই অনেক প্রতিভার বিকাশ ঘটছেন না। তিনি বলেন, “দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে খেলাধুলার তেমন সুযোগ সুবিধাই নেই বলেই চলে। অনেক খেলোয়াড় নিয়মিত অনুশীলন করতে পারছেন না। তাই অনেক প্রতিভারই সঠিক বিকাশ ঘটছে না।”

“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার খেলাধুলার উন্নয়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। গত তিনবছরে আমরা অনেকগুলো কাজ করেছি। এই উদ্যোগ তারই একটি অংশ,” যোগ করেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।

অবশ্য এই উদ্যোগটি এখনো পরিকল্পনাধীন। এ ব্যাপারে আহাদ আলী সরকার বলেন, “এই বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে এই ব্যাপারে দ্রুত একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো।”

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইচ

বৃহস্পতিবার, ৫ জুলাই, ২০১২

নেটওয়ার্কিং সাইটের লিংক

ফেসবুকনির্ভর সাইটগুলো

সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটের লিংক

সার্চ জায়ান্ট গুগল সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট হিসেবে সম্প্রতি চালু করেছে ‘গুগল প্লাস’। এ সাইটটি ব্যবহার করে ফেসুবকের মতোই সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যায়। মাত্র ৩ সপ্তাহ না পেরোতেই ২ কোটি ব্যবহারকারির মাইলফলক ছুঁয়েছে গুগল প্লাস।

৭ জুলাই থেকে গুগল প্লাস অনলাইনে এলেও এখনো এটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে। গুগলের তৈরি ওয়েভ, অরকুট এবং গুগল বাজ ব্যর্থ হলেও গুগল প্লাস দাঁড়িয়ে যাবে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

গুগল প্লাসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এটা জিমেইল থেকে সরাসরি ব্যবহার করা যায়, ফলে নতুন করে নাম, পাসওয়ার্ড দিয়ে এটায় ঢুকতে (লগ-ইন) হয় না। সাইটির মজার বিষয় হচ্ছে ছবি শেয়ারিং। এছাড়াও সার্কেল, হ্যাংআউট, স্পার্কস-এর মতো নতুন ধারণা রয়েছে।

গুগল প্লাসের ঠিকনা হচ্ছে https://plus.google.com

গুগল প্লাস ছাড়াও আরো দুটি জনপ্রিয় সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট হচ্ছে-

http://www.facebook.com/  (ফেসবুক)
http://twitter.com/  (টুইটার)

বাংলা ব্লগের লিংক

ইন্টারনেট ডায়েরি লেখার ধারণা ‘ওয়েব লগ‘ থেকে ব্লগের ধারণার জন্ম। বিশ্বে প্রতিদিন বাড়ছে ব্লগের সংখ্যা। ব্লগে লেখার মাধ্যমে নিজের চিন্তা এবং লেখনীকে তুলে ধরা যায়। অনলাইনে লেখালেখির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ধরা হয় ব্লগকে। ‘ব্লগ’ শব্দটি এসেছে ইংরেজি ‘ওয়েবলগ’ শব্দটি থেকে।

‘ওয়েবলগ’ শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয় ১৯৯৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর। শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জন বার্জার। এর ঠিক দু’বছর পর ১৯৯৯ সালের এপ্রিল এবং মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে পিটার মহোলজ নামে এক ব্যাক্তি ওয়েবলগ শব্দটিকে ভেঙ্গে দু’ভাগ করেন- ‘উই’ এবং ‘ব্লগ’ হিসেবে। এর পরই সারাবিশ্বব্যাপী ব্লগ জনপ্রিয় হতে শুরু করে। তবে মাঝামাঝি সময়ে আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে। অনলাইনে দিনলিপি লেখার সুবিধা নিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘ওপেন ডায়েরি’ যা ছিলো অনেকটা এখনকার ব্লগের মতোই।

সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম নিজস্বভাবেই ব্লগ নিয়ে এসেছে। ব্লগে এখন অনেক রথী-মহারথীরাও লিখছেন। ব্লগের মাধ্যমে সার্চ জায়ান্ট গুগল থেকে শুরু করে প্রযুক্তিবিশ্বের অনেক তথ্যই জানিয়ে দেয়া হয়।

ব্যক্তিগত চিন্তা-চেতনার পাশে ব্লগ হয়ে ওঠছে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাতেও। ইন্টারনেট সংযোগ এবং মনের ভাষা প্রকাশের ইচ্ছা থাকলেই ব্লগ লেখা যায়। ইংরেজি ব্লগের পাশাপাশি বাংলায়ও ব্লগ লেখা শুরু হয়েছে।

বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম সম্প্রতি একটি সিটিজেন জার্নালিজমভিত্তিক ব্লগ চালু করেছে। এই ব্লগের মাধ্যমেই সিটিজেন জার্নালিজমভিত্তিক বিভিন্ন ব্লগ লেখা যাবে। ব্লগটির ঠিকানা:blog.bdnews24.com

বাংলা ভাষায় বর্তমানে প্রচলিত ব্লগগুলো মুলত কমিউনিটি ব্লগ। প্রতিটি ব্লগেই রেজিস্ট্রেশন করে কয়েকটি ধাপ পেরোতে হয়। তারপর নিয়ম-নীতি মেনে লেখা যায়। এমন কয়েকটি কমিউনিটি ব্লগের ঠিকানা-

সামহয়্যারইন ব্লগ    http://www.somewhereinblog.net)
সচলায়তন    http://www.sachalayatan.com/)
ক্যাডেটকলেজ ব্লগ    http://www.cadetcollegeblog.com/)
আমার ব্লগ    http://www.amarblog.com/)
চতুর্মাত্রিক’    http://www.choturmatrik.com/)
নাগরিক ব্লগ    http://www.nagorikblog.com/)
বিবর্তন বাংলা    http://bn.biborton.com/)
মুক্তমনা বাংলা ব্লগ    http://mukto-mona.com/banga_blog/)

টুইটারের জন্য ৪ টি লিংক

Twitter1116
মাইক্রোব্লগিং কমিউনিটি টুইটার বর্তমান বিশ্বের অন্যতম দ্রুত যোগাযোগ মাধ্যম। কিছু কিছু পরিসংখ্যানের হিসেবে, জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে ফেসবুকের পরেই এর স্থান। শুধু প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাই নন, বরং সর্বস্তরের মানুষের মধ্যেই টুইটারের প্রতি অন্যরকম একটি ঝোঁক রয়েছে। শুরুর দিকে টুইটার ব্যবহার করা হতো ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত আপডেট বন্ধু-বান্ধব ও অন্যান্য অনুসারীদের (টুইটারের ভাষায় ফলোয়ার) জানানোর জন্য। তবে ধীরে ধীরে এই ট্রেন্ডের পরিবর্তন ঘটতে থাকে। টুইটার নিজেও ‘আপনি কী করছেন’ প্রশ্নটি বদলে ফেলে সেখানে লেখে ‘এখন কী ঘটছে’। অর্থাৎ, সংবাদ সবার আগে ছড়ানোর জন্যও অন্যতম একটি প্লাটফর্ম হচ্ছে টুইটার।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগত আপডেট জানানোর জন্য টুইটার ব্যবহার করা হলেও দেখা গেছে যে, ২০০৮ সাল থেকে অধিকাংশ ব্রেকিং নিউজগুলো প্রথম প্রকাশিত হয়েছে কোনো না কোনো টুইটার একাউন্ট থেকেই। মানুষ ঘটনাস্থলে থাকা অবস্থাতেই টুইটারের মাধ্যমে সবাইকে তা জানিয়ে দিতে শুরু করে। ঠিক এভাবেই টুইটারের জনপ্রিয়তার পাল্লা ভারী হতে থাকে। দিনে দিনে টুইটার এখন এমন একটি পর্যায়ে চলে এসেছে যে, বড় বড় প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি ওয়েবসাইট, সংগঠন, এমনকি হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিত্ব যেমন সেলিব্রেটি, প্রযুক্তিবিদ প্রায় সবাইই টুইটার ব্যবহার করা শুরু করেছেন। সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফটের প্রধান বিল গেটসও সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন টুইটারে। এছাড়া গুগলের প্রতিটি সেবার জন্য আলাদা আলাদা টুইটার একাউন্ট রয়েছে।
তুমুল জনপ্রিয় এই টুইটারকে সমৃদ্ধ করতে তৈরি হয়েছে প্রচুর থার্ড-পার্টি অ্যাপ্লিকেশন যেগুলো আপনার টুইটার ব্যবহারকে করে তুলবে আরো দ্রুত, সহজ ও সমৃদ্ধ। তেমনই কিছু অ্যাপ্লিকেশনের কথা জানানো হচ্ছে।

টুইটলেটার

আপনি যদি ব্যস্ততার জন্য টুইটারে নিয়মিত ঢুকতে না পারেন, তাহলে টুইটলেটার আপনার জন্যই। টুইটলেটার টুইটারে আপনার অধিকাংশ কার্যক্রমকেই স্বয়ংক্রিয় করে দেবে। অর্থাৎ, আপনি আগে থেকেই টুইটলেটারকে জানিয়ে রাখতে পারবেন কী করতে হবে। টুইটলেটার আপনার হয়ে সেসব কাজ করে দেবে।
টুইটলেটার যেসব সুবিধাগুলো দিয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হলো শিডিউল টুইট। এর মাধ্যমে আপনি একটি টুইট লিখে তা ভবিষ্যতে অর্থাৎ কবে এবং কখন প্রকাশিত হবে তা নির্ধারণ করে দিতে পারেন। এর ফলে, আপনি যদি যথাসময়ে টুইটারে ঢুকতে না পারেন অথবা ভুলেই যান, টুইটলেটার আপনার হয়ে কাজটি করে দেবে।
এছাড়াও টুইটলেটারের মাধ্যমে যখনই কেউ আপনাকে ফলো করতে শুরু করবেন, আপনি তাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফলো করতে পারবেন। নিজে বারবার ফলো করা শুরু করতে হবে না। পাশাপাশি নতুন ফলোয়ারদের স্বাগতম জানিয়ে ডাইরেক্ট মেসেজ (ডিএম) স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাঠানোর ব্যবস্থাও রয়েছে টুইটলেটারের। শুধু তাই নয়, কেউ যদি আপনাকে ফলো করা বন্ধ করে দেয়, টুইটলেটারের মাধ্যমে আপনিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাকে ফলো করা বন্ধ করতে পারবেন।
তবে সেবাটি ব্যবহার করতে আপনার টুইটার একাউন্টের প্রবেশাধিকার দিতে হবে টুইটলেটারকে। বিস্তারিত জানতে এবং সেবাটি উপভোগ করতে ভিজিট করুন টুইটলেটার : http://www.tweetlater.com ।

স্পন্সর্ড টুইটস

প্রচুর সংখ্যক হিউম্যান ফলোয়ার পেলে টুইটার থেকে দু’চার পয়সা আয় করাও সম্ভব। অনেকেই টুইটার থেকে প্রতিমাসে কিছু পরিমাণ টাকা আয় করে নিচ্ছেন। এর জন্য আপনাকে ব্যবহার করতে হবে তৃতীয়পক্ষের অ্যাপ্লিকেশন।
স্পন্সর্ড টুইটস তেমনই একটি অ্যাপ্লিকেশন। এর মাধ্যমে আপনি আপনার টুইটার একাউন্টের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের অনুমতি দিতে পারেন। এরপর স্পন্সর্ড টুইটস আপনার একাউন্ট তাদের ডাটাবেজে সংরক্ষণ করে রাখবে। বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার একাউন্ট ও এ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দেখতে পাবেন। যদি তাদের পছন্দ হয়, তাহলে আপনি তাদের কাছ থেকে অফার পাবেন। অফার গ্রহণ করলে আপনার একাউন্ট থেকে তাদের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে এবং বিনিময়ে আপনি টাকা পাবেন।
উল্লেখ্য, টাকা দেয়ার স্কিম বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কেউ কেউ আপনাকে প্রকাশ করার জন্যই টাকা দেবে। কেউ আবার প্রতি কিকের বিনিময়ে টাকা দিয়ে থাকে। তবে স্পন্সর্ড টুইটসের সুবিধা হলো এই যে, এটি আপনাকে একটি ফ্যাট রেট নির্ধারণের সুযোগ দেবে যার ফলে আপনি বিজ্ঞাপন প্রকাশ হলেই টাকা পাবেন। তবে কয়েক হাজার ফলোয়ার না থাকলে এই রেট এক ডলারের বেশি রাখা ঠিক নয়।
সেবাটি ব্যবহার করতে আপনার টুইটার একাউন্টের প্রবেশাধিকার দিতে হবে স্পন্সর্ড টুইটসকে। এছাড়াও প্রতিবার লগইন করার সময় টুইটারের ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ডই ব্যবহার করতে হবে। ঠিকানা: http://www.sponsoredtweets.com ।

ফার্স্ট ফলোয়ার

কয়েকশ’ বা কয়েক হাজারেরও বেশি ফলোয়ার পেলে আপনার হয়তো জানতে ইচ্ছে হতে পারে টুইটারে আপনাকে সর্বপ্রথম কে ফলো করতে শুরু করেছিলেন। ফার্স্ট ফলোয়ার আপনার হয়ে সেই কাজটি করে দেবে। ফার্স্ট ফলোয়ারের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার টুইটার ইউজারনেম লিখে এন্টার প্রেস করলেই আপনি দেখতে পাবেন আপনার প্রথম ফলোয়ারের নাম।
উল্লেখ্য, এই পদ্ধতিতে আপনি যে কোনো টুইটার একাউন্টের প্রথম ফলোয়ার কে তা জানতে পারবেন। ফার্স্ট ফলোয়ার ওয়েবসাইটের ঠিকানাঃ http://www.firstfollower.com

আনফলো অল

টুইটার ব্যবহারের সময় আপনি হয়তো লক্ষ্য করবেন যে, অনেক ফলোয়ারই বট। অর্থাৎ, কোনো মানুষ নয়, বরং কম্পিউটারাইজড একাউন্ট যেখান থেকে সবসময় বিভিন্ন সাইটের লিংক আপডেট করা হয়। এভাবে হয়তো একসময় আপনার ফলোয়ারদের সিংহভাগই এসব বট হতে পারে। তখন আপনি হয়তো আলাদাভাবে প্রতিটি একাউন্টকে আনফলো (অনুসরণ বন্ধ করা) করতে পারবেন না।
সেই মুহুর্তেই কাজে আসবে আনফলো অল। সবগুলো বট আপনার একাউন্ট থেকে মুছে ফেলতে অথবা অন্য কোনো কারণে ‘শুরু থেকে শুরু করতে’ আপনি সবাইকে ফলো করা বন্ধ করতে পারেন। এর জন্য আনফলো অল সাইটে গিয়ে আপনার টুইটার ব্যবহারকারী নাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে আনফলো অল বাটনে কিক করুন।
তবে কাজটি করার আগে সতর্ক থাকুন। কেননা, একবার সবাইকে আনফলো করলে তা পুনরায় ফলো করা যাবে না। আনফলো অল সাইটের ঠিকানাঃ http://www.unfollowall.com ।

এগুলো ছাড়াও আরো অনেক টুইটার তৃতীয়পক্ষ অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার টুইটার ব্যবহারে নতুন অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। তবে, বিশ্বস্ত নয় এমন কোনো অ্যাপ্লিকেশনকে আপনার একাউন্টে প্রবেশাধিকার দেয়া থেকে বিরত থাকুন। অন্যথায় আপনার একাউন্ট থেকে আজেবাজে স্ট্যাটাস আপডেট করে বসতে পারে সেসব অ্যাপ্লিকেশন।

ফেসবুক : নতুন সেটিংসের পয়লা পাঁচ

সম্প্রতি ফেসবুকের সকল প্রাইভেসি সেটিংস আবারো আপডেট করা হয়েছে। জনপ্রিয় এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের আপডেটেড প্রাইভেসিতে যোগ করা হয়েছে বেশকিছু নতুন অপশন। ফেসবুক জানিয়েছে, ব্যক্তিগত তথ্যাদির উপর ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতেই মূলত নতুন অপশনগুলো যোগ করা হয়। তবে প্রাইভেসি সেটিংস আপগ্রেড করার পর থেকেই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সমালোচনার পাত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে ফেসবুক। খবর অনলাইন সংবাদ সংস্থা এমএসএনবিসি’র।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন প্রাইভেসি সেটিংসের ভালো-খারাপ উভয় দিকই রয়েছে। তারা জানিয়েছেন- অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ব্যক্তিগত তথ্য এবং পোস্ট সবার সামনে উন্মুক্ত রাখার জন্য ফেসবুক পরোক্ষভাবে ব্যবহারকারীদের উদ্বুদ্ধই করছে।

আসুন, নতুন পরিস্থিতিতে ফেসবুকের নতুন নিরাপত্তা পদ্ধতির গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি দিক জেনে নেয়া যাক।


সার্চ সেটিংস

নতুন সেটিংসে আপনার প্রোফাইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন ও পাবলিক লিস্টিংয়ের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যেতে পারে। অনেকেই বলছেন, বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন ও পাবলিক লিস্টিংয়ে অন্তর্ভূক্ত না হওয়ার অপশন চালু রাখার পরও নতুন প্রাইভেসি সেটিংসের সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রোফাইলও জনসম্মুখে প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে; যা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতি বিরুদ্ধ।

তবে আপনি চাইলে সার্চ সেটিংস এর পরিবর্তন করতে পারেন। প্রাইভেসি সেটিংস অপশন থেকে ‘অ্যালাউ ইনডেক্সিং’ চেকবক্স থেকে টিক চিহ্ন উঠিয়ে দিলেই আপনার প্রোফাইল বাইরের কেউ খুঁজে পাবে না।


প্রাইভেসি সেটিংসে পাসওয়ার্ড বলয়

ফেসবুক জানিয়েছে, নতুন প্রাইভেসি সেটিংসের আওতায় আপনি প্রাইভেসি সংক্রান্ত যে কোনো কিছু আপডেট করার সময় প্রথমে আপনাকে পাসওয়ার্ড দিতে হবে। অর্থাৎ, আপনি লগইন থাকাকালীন অন্য কেউ যাতে আপনার প্রাইভেসি সেটিংস বদলে দিতে না পারেন, সে জন্যই নিরাপত্তার এই বাড়তি স্তর। এতে করে পুনরায় পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করে প্রাইভেসি সেটিংসে কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না।

তবে অনলাইন সংবাদ সংস্থা এমএসএনবিসি’র প্রতিবেদক জানিয়েছেন, তিনি বারবার পাসওয়ার্ড দেয়া ছাড়াই প্রাইভেসি সেটিংসে পরিবর্তন করতে পেরেছেন। তিনি আরো জানান, প্রাইভেসি সেটিংসে বিভিন্ন বিষয় কোনোরকম নিরাপত্তা বলয় ছাড়াই তিনি পরিবর্তন করতে পেরেছিলেন। অর্থাৎ, তার বেলায় এভাবে বারবার পাসওয়ার্ড চাওয়া হয়নি।

পরে অবশ্য তিনি জানিয়েছেন যে, প্রাইভেসি আপডেটের প্রায় আধা ঘণ্টা পর পাসওয়ার্ডের এই বাড়তি বলয়টি কার্যকরী হয়। আগে ঘোষণা দিয়ে পরে সুবিধা সক্রিয় করার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।


পাবলিকলি অ্যাভেইলেবল ইনফরমেশন

ফেসবুকের পরিবর্তিত প্রাইভেসি সেটিংসে রয়েছে পাবলিকলি অ্যাভেইলেবল ইনফরমেশন, সংক্ষেপে পিএআই। এর অধীনে আপনার প্রোফাইলের ছবি, আপনি যেসব পেজের ফ্যান সেসব পেজের তালিকা, জেন্ডার, ধর্ম, নেটওয়ার্ক ইত্যাদি তথ্যাদি সবার প্রতি উন্মুক্ত হয়ে যাবে। অর্থাৎ, চাইলেই যে কেউ আপনার সম্পর্কে এসব তথ্য সার্চ ফলাফল পাতা থেকে জানতে পারবেন যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি সার্চ পাতায় নিজের প্রোফাইল উন্মুক্ত রাখছেন। প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাতে জানা গেছে, এইসব তথ্য মুছে ফেলার কোনো উপায় নেই বললেই চলে। সার্চ পাতায় নিজেকে দৃশ্যমান রাখতে হলে উপরোক্ত তথ্যগুলোও প্রকাশ করতে হবে; যা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রশ্নে খানিকটা অস্বস্তিকরই বটে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি যদি এমন কোনো সামাজিক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজের ফ্যান হয়ে থাকেন যার সম্পর্কে আপনার ফেসবুক বন্ধু বা অন্য কাউকে জানাতে চান না, তাহলে নতুন এই পদ্ধতির আওতায় তা সম্ভব নয়। কেননা, সার্চ ফলাফলে আপনি নিজেকে দৃশ্যমান রাখতে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই এসব তথ্য সবার সামনে চলে আসবে, যা ফেসবুকের নতুন এই প্রাইভেসি আপডেট সমালোচিত হওয়ার অন্যতম মূল কারণ।


বিশেষ নিয়ন্ত্রণ সুবিধা

পিএআই ফেসবুক প্রাইভেসির একটি বিতর্কিত দিক হলেও ফেসবুকে আপনার অন্যান্য কর্মকান্ডের উপর আপনি পাচ্ছেন পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। এমনকি আপনি যখন প্রতিবার স্ট্যাটাস আপডেট করেন, তখনই ঠিক করে দিতে পারবেন কে কে এই পোস্ট বা স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন এবং কে কে এই পোস্ট দেখতে পারবেন না। একইভাবে আপলোড করা ছবির বেলাতেও আপনি প্রাইভেসি লেভেল নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন।

ফেসবুকের নতুন এই প্রাইভেসি সেটিংস একইসঙ্গে প্রশংসা এবং সমালোচনা দুইই কুড়াচ্ছে। কিছু কিছু আপডেট সত্যিকার অর্থেই ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় কার্যকর। অন্যদিকে কিছু ব্যাপার আবার মোটেই সন্তোষজনক নয়।

ফেসবুক প্রাইভেসি আপডেটে ব্যবহারকারীদের তথ্য সবার প্রতি উন্মুক্ত করে দিতে পরোক্ষভাবে আহ্বান করা হয় বলে দাবি করেছেন একাধিক প্রযুক্তিবিদ। তাদের মতে, গুগলের রিয়েল-টাইম সার্চ রেজাল্টের মাধ্যমে বাড়তি হিট পাওয়ার আশায়ই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি আপডেট করতে বলছে, যদিও সোজা-সাপ্টা ভাষায় ফেসবুক তেমন কিছু বলেনি। অন্যদিকে অনেক প্রযুক্তিবিদদের ধারণা, ফেসবুক নকল করতে চাচ্ছে টুইটারের আইডিয়া, যা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন তারা।সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট ফেসবুকনির্ভর অনেক সাইট তৈরি করছেন ওয়েব ডেভেলপাররা। ওয়েব প্রোগ্রাম,অ্যাপ্লিকেশন,গেমস ছাড়াও ফেসবুকের আইডিয়ানির্ভর অনেক সাইটের দেখা মেলে ইন্টারনেটে। ফেসবুক ব্যবহারকে আরো সহজ এবং মজাদার করতেই এসব ওয়েবসাইটগুলো তৈরি হয়। যদিও এসব ওয়েবসাইটের কোনোটাই ফেসবুকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়  তবুও ফেসবুক পুঁজি করেই এগুলো তরতর করে এগিয়ে চলেছে। এমনকি কিছু সাইট আবার ফেসবুকের নামও নিজের সঙ্গে জুড়ে নিয়েছে।

Howdoifacebook.com
নতুন ফেসবুক ব্যবহারকারীর জন্যই এ সাইটটি। ফেসবুক বিষয়ে মনে যতো প্রশ্ন ওঠে তার তাবৎ উত্তর রয়েছে সাইটটিতে। ফেসবুক বিষয়ক সমস্যার সমাধান নিয়েই তৈরি করা হয়েছে

www.howdoifacebook.com সাইটটি। ফেসবুকের নিজস্ব সমস্যার সমাধান নিয়ে HELP সেকশন থাকলেও এ সাইটে সবকিছু খুব সহজভাবে ব্যাখা করা হয়েছে। ফেসবুকে ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দের অর্থ ও এর ব্যবহার, ফেসবুক বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর সাইটটিতে পাওয়া যাবে।

Reface.me
কেবল ফেসবুকনির্ভর একটি ব্লগ হলো www.reface.me। ফেসবুক স্ট্যাটাস আপডেট, প্রোফাইল, ফেসবুক গ্রুপ ও পেজ,ফটো-ভিডিও, গেমস, অ্যাপ্লিকেশন, ফেসবুকোলজি ইত্যাদি বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে সাজানো হয়েছে ব্লগটিকে। এতে রয়েছে ফেসবুক ব্যবহারের গাইডলাইন এবং ফেসবুক সম্পর্কিত বিভিন্ন টিপস সুবিধাও।

Facebookcraze.com
ফেসবুক নিয়ে আরেকটি সুন্দর ব্লগ হলো www.facebookcraze.com। ফেসবুকের মজার স্ট্যাটাস আপডেট, ফেসবুক বন্ধুদের ট্যাগ করার জন্য মজার মজার ফটো ইফেক্ট এবং বিভিন্ন ফেসবুক গেমসের রিভিউ নিয়ে সাজানো হয়েছে সাইটটিকে। প্রায় একই ধরনের আরেকটি ব্লগ www.facebookflow.com। এখানেও ফেসবুকের বিভিন্ন খবরা-খবর, বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন, গেমস ও পেজের রিভিউ ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য মিলবে।

Allfacebook.com
ফেসবুককে নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী একটি ওয়েবসাইট www.allfacebook.com। ফেসবুকের সর্বশেষ খবরাখবর, ফেসবুক পেজগুলোর মধ্যে কোনগুলোর অবস্থান সবার ওপরে, সপ্তাহের সেরা ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন ও গেমসের তালিকা ইত্যাদি নিয়ে  সাজানো হয়েছে ওয়েবসাইটটি।

Facemoods.com
স্মাইলি, ইমোটিকনস, অ্যানিমেশন যারা ফেসবুক স্ট্যাটাস, চ্যাট বা ওয়ালে এসব যুক্ত করতে চান তাদের জন্য www.facemoods.com  । সাইটটি থেকে স্মাইলি কিংবা ইমোটিকনস ব্যবহারের ছোট্ট সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে পিসি বা ল্যাপটপে ইনস্টল করলেই কাজ হবে।

Facebookvideodown.com
ফেসবুক ভিডিও ডাউনলোড করার কাজ করে www.facebookvideodown.com   সাইটটি। পিসিতে কোনো সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার ছাড়াই সহজেই ডাউনলোডের কাজটি করা যায় সাইটটি থেকে।

Privacydefender.net
ফেসবুকে প্রাইভেসি সেটিং সমাধান দিতেই আছে www.privacydefender.net   সাইটটি। এ সাইটের একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে সহজেই ফেসবুকের প্রাইভেসি সেট করা যায়।

Insidefacebook.com
ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার, প্রোগ্রামার এবং মার্কেটারসদের জন্য ওয়েবসাইটটির নাম Insidefacebook.com








কিন্ডল ফোন আনতে পারে অ্যামাজন

কিন্ডল ফোন আনতে পারে অ্যামাজন

গুগলের অ্যান্ড্রয়েডচালিত কিন্ডল ফায়ার নামের ৭ ইঞ্চি ট্যাবলেটের পর অ্যামাজন এবার একটি স্মার্টফোন আনছে বলেও খবর রটেছে।

অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ অবশ্য তাদের পরিকল্পনায় স্মার্টফোন রাখেনি বা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি। কিন্তু স্মার্টফোন বাজারে আনার গুজব একেবারে তারা উড়িয়েও দেয়নি। ১০ ইঞ্চি মাপের একটি অ্যামাজন ট্যাবলেটের নতুন গুজবের পাশাপাশি ৭ ইঞ্চি মাপের স্মার্টফোনেরও গুজব রটেছে।

স্মার্টফোনটি ২০১২ সাল নাগাদ তৈরি করতে পারে অ্যামাজন।


নকিয়া আনছে উইন্ডোজচালিত সাবরি

নকিয়া আনছে উইন্ডোজচালিত সাবরি

ফিনিশ মোবাইল জায়ান্ট নকিয়া উইন্ডোজচালিত নতুন মডেলের একটি হ্যান্ডসেট বাজারে আনছে বলেই তথ্য ফাঁস হয়েছে। নকিয়া ৮০০ মডেলের এ হ্যান্ডসেটটির কোডনেম হবে ‘সাবরি’। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এর।

সাবরি বা নকিয়া ৮০০ মডেলের এ হ্যান্ডসেটটির বিজ্ঞাপনও প্রচার করছে নকিয়া। তবে, এর আগেই গুজব রটেছিলো নকিয়া উইন্ডোজ ৭.৫ বা ম্যাংগো অপারেটিং সিস্টেমচালিত তিনটি ফোন বাজারে আনতে পারে। এ ফোন তিনটির মধ্যে সাবরি’ও ছিলো।

খবর রটেছে, আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য নকিয়া ওয়ার্ল্ড কনফারেন্সে সাবরি’ ফোনটির ঘোষণা দিতে পারে নকিয়া কর্তৃপক্ষ।

নকিয়া কর্তৃপক্ষ এখনো এ হ্যান্ডসেটটির বিষয়ে মুখ না খুললেও গুজবে প্রকাশ পেয়েছে এ হ্যান্ডসেটটিতে ১.৪ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ১ গিগাবাইট র‌্যাম, ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং ৩.৫ ইঞ্চি মাপের ডাব্লিউ ভিজিএ টাচস্ক্রিন সুবিধা থাকছে।

এ হ্যান্ডসেটটির দাম হতে পারে ৪১০ থেকে ৪৮০ ডলার।

এদিকে, নকিয়া ‘সি রে’ নামের আরো একটি উইন্ডোজ চালিত হ্যান্ডসেটের তথ্য ফাঁস করেছে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।




বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/এমএইচ/এইচবি/এইচআর

এসারও কামড় বসালো 'ম্যাঙ্গো'তে

এসারও কামড় বসালো 'ম্যাঙ্গো'তে

মাইক্রোসফটের অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৭.৫ বা ম্যাংগোনির্ভর স্মার্টফোন প্ল্যাটফর্মে যোগ দিলো এসার। প্রথমবারের ম্যাংগো নির্ভর স্মার্টফোন আনলো প্রতিষ্ঠানটি। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এর।

ফিনিশ মোবাইল জায়ান্ট নকিয়া ম্যাংগোনির্ভর ‘লুমিয়া ৭১০’ মডেলের স্মার্টফোনের ঘোষণা দিয়েছে। নকিয়ার পর এসারও এবারে একই প্ল্যাটফর্মে গেলো। এসার কর্তৃপক্ষের আশা তাদের স্মার্টফোনগুলো নকিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা করতে সক্ষম হবে।

এ স্মার্টফোনের নাম এখনও প্রকাশ করেনি এসার কর্তৃপক্ষ।

ডিভাইসটিতে থাকবে কোয়ালকমের ১ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ৩.৬ ইঞ্চি ডিসপ্লে, এলইডি ফ্ল্যাশ। ১২৬ গ্রাম ওজনের ডিভাইসটিতে আরো থাকছে ‘ফার্স্ট চার্জ’ বা দ্রুত হার্জ হবার প্রযুক্তিও।

সাদা এবং কালো রঙের দুটি মডেলে চলতি মাসের শুরুতেই ফ্রান্সের বাজারে এ ডিভাইসটি পাওয়া যাবে। এর দাম হতে পারে ৩০০ ইউরো। এশিয়ার বাজার বা অন্যান্য দেশে কবে নাগাদ এটি পাওয়া যাবে সে বিষয়ে এখনও এসার কর্তৃপক্ষ জানায়নি।

আসছে ফেসবুক ফোন 'বাফি'

আসছে ফেসবুক ফোন 'বাফি'

সোশাল নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট ‘ফেসবুক’ নিজস্ব মোবাইল ফোন তৈরি করছে বলে আগেই গুজব রটেছিলো। কিন্তু ফেসবুক সে গুজব পাত্তা না দিলেও তার গোপনে মোবাইল ফোন তৈরির তথ্য ফাঁস করেছে অল থিংস ডিজিটাল সাইটে। ফাঁস হওয়া তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ‘বাফি’ কোড নাম ব্যবহার করে মোবাইল ফোন তৈরি করছে। খবর অল থিংস ডিজিটাল-এর।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের হ্যান্ডসেট তৈরি করতে তাইওয়ানের বিখ্যাত মোবাইল যন্ত্রাংশ নির্মাতা এইচটিসি’র সঙ্গে কাজ করছে। জানা গেছে, ফেসবুকের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার ব্রেট টেলর এ ফোন তৈরির দায়িত্বে আছেন।

‘বাফি’ স্মার্টফোনটিতে গুগল অ্যান্ড্রয়েডের সাম্প্রতিক সংস্করণ আইসক্রিম স্যান্ডউইচ ব্যবহার করা হতে পারে। এইচটিএমএল৫ অ্যাপ্লিকেশন আকারে ফেসবুক এ মোবাইলে যুক্ত করা হতে পারে। এ ছাড়াও এতে ফেসবুক-এর জন্য আলাদা বাটনও থাকবে।

উল্লেখ্য, এর আগে ‘চাচা’ এবং ‘সালসা’ নামে ফেসবুকের বিশেষ বাটনযুক্ত দুটি স্মার্টফোন তৈরি করেছিলো এইচটিসি।

আগামী বছরই ‘বাফি’ বাজারে আনতে পারে ফেসবুক।

এর আগে মোবাইল তৈরির গুজব উড়িয়ে দিলেও এখনো ফাঁস হওয়া তথ্য বিষয়ে মুখ খোলেনি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এদিকে, প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, ফেসবুক মোবাইল বাজারে এলে অ্যাপল, গুগল, নকিয়াসহ বিভিন্ন স্মার্টফোনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা করে তবেই টিকে থাকতে হবে।


বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা মোবাইল ফুজিৎসু'র 'অ্যারোজ'

বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা মোবাইল ফুজিৎসু'র 'অ্যারোজ'

বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ফোন হিসেবে স্থান করে নিয়েছে জাপানি ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা ফুজিৎসু’র তৈরি ‘অ্যারোজ এফ-০৭ডি’ ফোন। মটোরোলা’র তৈরি মটো রেজর মোবাইলটির চেয়েও এটি পাতলা। খবর এমএসএন-এর।

অ্যাপল এবং স্যামসাং কর্তৃপক্ষ তাদের তৈরি মোবাইল বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ফোন হিসেবে দাবী করলেও যুক্তরাজ্যের অ্যাডভার্টাইজিং স্ট্যান্ডার্ডস অথোরিটি (এএসএ) অ্যাপলের পক্ষে রায় দিয়েছিল। কিন্তু মটোরোলার তৈরি ৭.১ মিলিমিটার পুরুত্বের মটো রেজর আইফোনের চেয়েও পাতলা ফোন হিসেবে স্থান করে নেয়।

সম্প্রতি ফুজিৎসু অ্যরোজ ব্র্যান্ডের ‘এফ-০৭ডি’ মডেলের স্মার্টফোন তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। বাজারে আসার পর ৬.৬ মিলিমিটার পুরুত্বের এ মোবাইলটিই সম্ভবত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ফোন।

এ ফোনটি ২০১২ সাল নাগাদ বাজারে আসবে। এর ফিচার হবে অনেকটা স্যামসাং-এর তৈরি গ্যালাক্সি এস টু-এর মতো। ১.৪ গিগাহার্টজের প্রসেসর এবং ৫১২ গিগাবাইট র‌্যাম সুবিধার এ স্মার্টফোনটিতে থাকবে ৪ ইঞ্চির স্ক্রিন। গরিলা গ্লাসে তৈরি ডিসপ্লে ছাড়াও ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার এ ফোনটি চলবে অ্যান্ড্রয়েডে।


জিংগার নতুন গেম মাফিয়া ওয়ার্স ২

জিংগার নতুন গেম মাফিয়া ওয়ার্স ২

গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জিংগা তাদের মাফিয়া ওয়ার্স ফ্রাঞ্চাইজে নতুন একটি সংস্করণ যোগ করছে। এখানে গেমারকে এমন একজনের ভূমিকায় খেলতে হবে যে সবে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে এবং অপরাধজগতের গডফাদার যাকে সাদরে বরণ করে নিয়েছে। ‘মাফিয়া ওয়ার্স ২’ নামের গেমটি ১৬ টি ভাষায় ১১ অক্টোবর ফেসবুকে চালু হচ্ছে। খবর সিনেট-এর।

ফেসবুকে গেমটি খেলার জন্য সাইন আপ করলেই গেমটি খেলা যাবে।

জিংগা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গেমারকে এমন একজনের ভূমিকায় খেলতে হবে যে সবে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে এবং অপরাধজগতের গডফাদার যাকে সাদরে বরণ করে নিয়েছে। অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ নিতেই খেলতে হবে মাফিয়া ওয়ার্স ২ গেমটি।

মাফিয়া ওয়ার্স গেমটির প্রথম সংস্করণের মতোই এ সংস্করণে গেমারকে সঙ্গী তৈরি করে নিতে হবে এবং শত্রুর সঙ্গে লড়ে মিশন শেষ করতে হবে। গেমটিতে ৩শ’ ধরনের অস্ত্র, গাড়ি এবং বর্ম রয়েছে। অ্যাভাটারের জন্য রয়েছে ৬০০ টি পোশাক।

মাফিয়া ওয়ার্স গেমটি প্রতি মাসে ৪০ লাখ গেমার খেলে থাকেন।

পিএস ৪ গেম তৈরি করছে সনি

পিএস ৪ গেম তৈরি করছে সনি

ইলেকট্রনিক জায়ান্ট সনি তাদের প্লেস্টেশন ৪ এর জন্য নতুন গেম তৈরি করছে বলেই খবর চাউর হয়েছে। সনি’র  তৈরি এ গেম তৈরির কাজ এখনও প্রাথমিক পর্যায়েই রয়েছে। খবর সিনেট-এর।

সনি এখনও ‘প্লেস্টেশন ৪’ নামের গেমিং ডিভাইসটিরই ঘোষণা দেয়নি। তবে, সনির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এর- উদ্ধৃতি দিয়ে এ ডিভাইসটি বাজারে আসছে বলে আগেই খবর রটেছিলো। এবার এ ডিভাইসটির জন্য গেম তৈরির খবরও জানা গেলো।

বর্তমানে প্লেস্টেশন এর তৃতীয় সংস্করণটি বাজারে রয়েছে। ২০১৩ সাল নাগাদ এটির চতুর্থ সংস্করণ বাজারে আনতে পারে সনি।



আসছে গ্র্যান্ড থেফট অটো ভি-এর ৫ম সংস্করণ

আসছে গ্র্যান্ড থেফট অটো ভি-এর ৫ম সংস্করণ

গেম নির্মাতা রকস্টার তাদের জনপ্রিয় গেম গ্রান্ড থেফট অটো ভি-এর পঞ্চম সংস্করণের ট্রেলার উন্মুক্ত করেছে। নতুন গেমটিতে শহর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসকে। খবর বিবিসি অনলাইন-এর।

গেমটির নতুন ট্রেলার মাত্রই ১ মিনিটের। তাতেই মুখোশধারী গানমেন, কার চেজ, গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটানো এবং নারীসঙ্গীর বিভিন্ন দৃশ্য দেখানো হয়েছে।

গ্রান্ড থেফট অটো ভি-এর চতুর্থ সংস্করণটি কেবল যুক্তরাজ্যেই ৯ লাখ ২৬ হাজার কপি বিক্রি হয়েছিলো। গেমটিতে অতিরিক্ত সংঘর্ষ দৃশ্য থাকায় সমালোচনাও কুড়িয়েছে গেম বোদ্ধাদের।

শক্তিশালী ক্রিমিনাল আর স্নায়ুক্ষয়ী সংঘর্ষে গেম হিসেবে গ্রান্ড থেফট অটো ভি এবারও জনপ্রিয়তা পাবে বলেই গেমবোদ্ধারা মন্তব্য করেছেন । এখন কেবল ট্রেলার ছাড়লেও নতুন সংস্করণটি কবে নাগাদ মুক্তি পাবে সে বিষয়ে মুখ খোলেনি রকস্টার কর্তৃপক্ষ।

নতুন গেম বাজারে আসছে এমন গুজব আগেই ছড়িয়েছিলো। নতুন গেম উপলক্ষে গেমিং হার্ডওয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সনি এবং মাইক্রোসফটের নতুন ডিভাইসেরও গুজব ছড়িয়েছিলো। কিন্তু গেমিং ডিভাইসের কোনো তথ্য না প্রকাশ পেলেও নতুন ট্রেলার উন্মুক্ত করে রকস্টার কর্তৃপক্ষ গ্র্যান্ড থেফট অটো ভি-এর পঞ্চম সংস্করণের তথ্য জানিয়েছে।

পুরোনো গেমিং ডিভাইস ব্যবহার করেও গেমটি খেলা যাবে বলে গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে।

ব্যাটলফিল্ড ৩ গেমে নতুন প্যাচ

ব্যাটলফিল্ড ৩ গেমে নতুন প্যাচ

২৫ নভেম্বর বাজারে আসা ব্যাটলফিল্ড ৩ গেমটির জন্য নতুন প্যাচ এনেছে গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রনিক আর্ট (ইএ)। কম্পিউটারে গেমটি খেলার জন্য প্রায় আধা গিগাবাইট আপডেটই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে এখন কম ক্ষমতার গ্রাফিক্স সেটআপেও গেমটি খেলা যাবে।

ব্যাটলফিল্ড ৩ গেমটি খেলতে সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট অনেক বেশি লাগে বলে গেমাররা অভিযোগ করছিলেন। গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন আপডেটে অনেক সমস্যার সমাধান করা হয়েছে এবং বিশেষ ‘ব্ল্যাক স্ক্রিন এরর’ ঠিক করা হয়েছে। এখন গেমটি লোড হতে কম সময় লাগবে এবং পারফর্মমেন্স দুর্দান্ত হবে। এ ছাড়াও গেমটি খেলার সময় ক্রাশ হবে কম।

এর আগে গেমটি খেলতে এনভিডিয়ার তৈরি যে ক্ষমতার গ্রাফিক্স কার্ড লাগতো এখন তার চেয়ে কম গ্রাফিক্স কার্ড হলেও গেমটি খেলা যাবে বলেই জানা গেছে।

ইএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোট ৩৩টি সমস্যার সমাধান করা হয়েছে নতুন প্যাচে।

থার্ড পার্সন শুটার গেম ব্যাটলফিল্ড ৩ এর প্যাচ বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য ব্যাটলফিল্ড ব্লগে দেয়া হয়েছে। যারা গেমটি খেলতে সমস্যায় পড়েন তাদের ব্যাটলফিল্ড ব্লগে প্যাচ নোটটি পড়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছে গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

আসছে রেসিডেন্ট ইভিল ৬

আসছে রেসিডেন্ট ইভিল ৬

জোম্বি সিরিজের জনপ্রিয় গেইম ‘রেসিডেন্ট ইভিল ৬’ চলতি বছরেই বাজারে আসছে। গেইম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাপকম এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে। খবর বিবিসি অনলাইন-এর।

১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ‘রেসিডেন্ট ইভিল ৬’ গেইমটির ট্রেইলার ছেড়েছে ক্যাপকম। কনসোল এবং কম্পিউটার সংস্করণের জন্য তৈরি গেইমটি ২০ নভেম্বর বাজারে আসবে।

চীনভিত্তিক কিছু অংশ থাকছে গেইমটিতে। গেইমটির আগের সংস্করণগুলোর জনপ্রিয় চরিত্র ক্রিস রেডফিল্ড এবং লিওন কেনেডি ছাড়াও নতুন বেশ কয়েকটি চরিত্র যোগ হচ্ছে ষষ্ঠ সংস্করণটিতে।

গেইমটির প্লট বিষয়ে ক্যাপকম জানিয়েছে, ১০ বছর আগের রেকুন সিটিতে একটা ঘটনা ঘটে গেছে। ঠিক কি ঘটেছিলো সে সত্যটি জানানোর সিদ্ধান্ত নেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্টের পক্ষে এবং রেকুন সিটির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তি লিওন এস. কেনেডি। লিওন কেনেডিকে লড়তে হয় জোম্বি আক্রমণের বিরুদ্ধে। অ্যাকশনধর্মী গেইমটির ষষ্ঠ সংস্করণে গেমারকে ভয়ংকর যুদ্ধে নামতে হবে।