আর্সেনিক নির্ভর ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কারের দাবি ভুল
২০১০
সালে মাইক্রো অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট ফেলিশা উলফসিমন গবেষণা প্রতিবেদনে
জানিয়েছিলেন, ক্যালিফোর্নিয়ার মোনো লেকে তারা এমন এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া
আবিষ্কার করেছেন, যা আর্সেনিকের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। কিন্তু
সম্প্রতি উলফসিমনের ওই দাবি ভুল প্রমাণ করেছেন বিজ্ঞানীদের দু’টি দল। মোনো
লেকের ওই ব্যাকটেরিয়া বিষাক্ত আর্সেনিক নয়, বরং ফসফরাসের ওপর নির্ভর করেই
বাঁচে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। খবর এবিসি নিউজের।
বিষাক্ত
আর্সেনিকের ওপর নির্ভর করে জিএফএজে-১ ব্যাকটেরিয়া বেঁচে থাকতে পারে দাবি
করে বিজ্ঞান জগতকে একরকম চমকে দিয়েছিলেন উলফসিমন। তার ওই দাবি সঠিক
প্রমাণিত হলে প্রাণীজগতের জীবনধারণের অনেক দিক নিয়েই বিজ্ঞানীদের নতুন করে
ভাবতে হতো। কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের দু’টি দল মোনো লেকের ব্যাকটেরিয়ার
ওপর বিষদ গবেষণায় আবিষ্কার করেছেন, আর্সেনিক নয় বরং ব্যাকটেরিয়াগুলো নির্ভর
করছিলো ফসফরাসের ওপর।
এ ব্যাপারে জুরিখের মাইক্রোবায়োলজিস্ট
টোবিয়াজ আরব জানান, ‘আমরা এটা নিশ্চিত করেছি যে, মোনো লেকের জিএফএজে-১
ব্যাকটেরিয়া আর্সেনিক নয় বরং ফসফরাসের ওপর নির্ভর করেই বাঁচে।’
২০১০
সালে উলফসিমনের প্রতিবেদনটি বিজ্ঞান জগতে একরকম বিস্ফোরণই ঘটিয়েছিলো। তার
মতবাদের বিপক্ষেও কথা বলেছিলেন অনেক বিজ্ঞানী। নিজের মতবাদের পেছনে কোনো
শক্ত প্রমাণ উলফসিমন দিতে পারেননি বলেছিলেন, কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ বৃটিশ
কলম্বিয়ার বিজ্ঞানী রোজি রেডফিল্ড।
সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া
বিজ্ঞানীদের গবেষণা প্রতিবেদন দু’টির একটির সহ-লেখক ছিলেন রোজি রেডফিল্ড।
ওই প্রতিবেদনে রেডফিল্ড এবং তার সহকর্মীরা জানান, জিএফএজে-১’-এর ডিএনএতে
খুব সামান্য পরিমাণে আর্সেনিকের উপস্থিতি থাকলেও, ব্যাকটেরিয়াগুলো জীবন
ধারণের জন্য আর্সেনিকের ওপরই নির্ভরশীল, এমন কোনো প্রমাণ তারা পাননি।
তবে
এতো সহজে নিজের গবেষণা যে ভুল, তা মেনে নিতে রাজি নন উলফসিমন। বিজ্ঞানীদের
নতুন গবেষণা প্রতিবেদন দু’টিতে তার মতবাদ ভুল প্রমাণ করার মতো কোনো তথ্য
নেই বলে এক ইমেইল বার্তায় দাবি করেছেন তিনি।