বুধবার, ৮ আগস্ট, ২০১২

জলের গায়ক বোহেড তিমি

জলের গায়ক বোহেড তিমি

গান গাইবার প্রতিভার কথা হিসেব প্রাণীজগতে একচ্ছত্র আধিপত্য পাখিদের দখলেই ছিলো এতোদিন। কিন্তু পাখিদের আধিপত্য এবার বুঝি হুমকির মুখে! প্রতিদ্ব›দ্বী বোহেড তিমি। বিজ্ঞানীরা বলছেন সমুদ্রের গভীর জলের বোহেড তিমির গানের গলা এতোই ভালো যে পাখিদের সঙ্গে টক্কর দিতে পারবে তারা। শুধু তাই নয়, বোহেড তিমিকে সমুদ্রের জিমি হেনড্রিক্স বলে আখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। খবর ওয়ার্ল্ডওয়াইল্ড ডট অর্গ-এর।

বোহেড তিমির ওই গানের প্রতিভা আবিষ্কার করেন ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের ওশানোগ্রাফার কেট স্টাফোর্ড। নরওয়ে থেকে গ্রিনল্যান্ডের মাঝের আর্কটিক সাগরের ফ্রাম স্ট্রেইটে দুটো আন্ডারওয়াটার মাইক্রোফোন বসিয়েছিলেন স্টাফোর্ড এবং তার সহকর্মীরা। লক্ষ ছিলো মাইক্রোফোনে রেকর্ড হওয়া বোহেড তিমির আওয়াজ থেকে আর্কটিক সাগরে বোহেড তিমির সংখ্যা নির্ধারণ।

মাইক্রোফোনগুলোতে খুব বেশি সাউন্ড রেকর্ড হবার আশা করেননি বিজ্ঞানীরা। কারণ, গত কয়েক দশকে ওই অঞ্চলে বোহেড তিমির দেখা পাওয়া গেছে হাতে গোনা কয়েকবার।

টানা এক বছর জলের নিচে ছিলো স্টাফোর্ড এবং তার সহকর্মীদের মাইক্রোফোন দু’টি। এক বছর পর মাইক্রোফোনে রেকর্ড হওয়া ট্র্যাক শুনতে গিয়ে চমকে যান বিজ্ঞানীরা।

এ সম্পর্কে স্টাফোর্ড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘আমরা বড়জোর বোহেড তিমির কিছু গোঙ্গানোর আওয়াজ রেকর্ড হবে বলে ভেবেছিলাম। কিন্তু তার বদলে, বোহেড তিমিগুলো যে টানা পাঁচ মাস ধরে গান গেয়েই যাবে তা আমরা মোটেই আশা করিনি।’

মাইক্রোফোনগুলোতে রেকর্ডকৃত ট্র্যাকে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন, টানা পাঁচ মাসের পুরো শীতকাল জুড়েই দিন-রাত গান গেয়েছে ফ্রাম স্ট্রেইট দিয়ে চলাচল করা তিমিগুলো। শুধু তাই নয়, মাইক্রোফোনের রেকর্ড থেকে বোহেড তিমির আলাদা ৬০টি গান চিহ্নিত করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।

এতোদিন বিজ্ঞানীরা বোহেড তিমিকে বিলুপ্তির মুখে পড়া একটা প্রজাতি ভেবে এসেছেন। কিন্তু মাইক্রোফোনের রেকর্ডকৃত গান অনুযায়ী ফ্রাম স্টেইটে কমপক্ষে ৬০টি পুরুষ বোহেড তিমি সনাক্ত করা হয়েছে। আর বিপরীত লিঙ্গের বোহেড তিমির সংখ্যা যদি পুরুষ তিমির সমান ধরে নেয়া হয় তবে পৃথিবীতে এখনও বেঁচে রয়েছে কমপক্ষে ১০০টি বোহেড তিমি। এই আবিষ্কার বোহেড তিমির ভবিষ্যত নিয়ে নতুন আশা যোগাচ্ছে বিজ্ঞানীদের।

অন্যদিকে বোহেড তিমির এই সঙ্গীত প্রতিভাকে অনেক বিজ্ঞানী মজা করে তুলনা করেছেন কিংবদন্তী রকস্টার জিমি হেনড্রিক্সের সঙ্গে। হেনডিক্সের গিটারের টিউন আর বোহেড তিমির গানের মধ্যে বেশ মিল রয়েছে বলেও বলেছেন তারা।




বিডিনিউটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি

অনিদ্রায় ভোগেন এক তৃতীয়াংশ আমেরিকান

অনিদ্রায় ভোগেন এক তৃতীয়াংশ আমেরিকান

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, এক তৃতীয়াংশ আমেরিকানের রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। রাতে ঘুমানোর আগে সেলফোনে কথা বলতে গিয়ে বা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকার কারণে ঘুমের উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হন তারা। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

দেশটির ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন পুল জানিয়েছে, সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকায় আমেরিকানদের ঘুমের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। রাতে শোয়ার আগে এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে অধিকাংশের ঘুমই প্রশান্তির হয় না। এতে অবসাদের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয় বলে জানিয়েছেন ড. ডান নাইম।

লস এঞ্জেলসের স্লিপ স্টাডি ইনস্টিটিউট ৪১০০ জনের ওপর বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমানোর আগে গভীর রাত পর্যন্ত কম্পিউটার চালানোর ফলে ঘুমে সমস্যা, স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। আর যারা সেলফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাদের ক্ষেত্রেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে জানালেন গবেষকদের প্রধান সারা থমিট।

উজ্জ্বল আলো মেলাটোনিন হরমোন প্রতিরোধ করে। দেখা গেছে ভিডিও গেইমস, সেলফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে স্ক্রিনের উজ্জ্বল আলো এ হরমোনের প্রভাবে চোখের ঘুমকে কেড়ে নেয়। তারা আরও জানিয়েছেন, চমত্কার ঘুমের জন্যে চারপাশে অন্ধকার পরিবেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ।

নাইম আরো জানান, রাতে প্রশান্তির ঘুমের জন্য সেলফোন এবং কম্পিউটার যতো কম ব্যবহার করা যায়, ততোই ভালো। রাতে ঘুম ভালো না হলে পরবর্তীতে মানসিক ও দৈহিক কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়।

হাজার ডলার দামের বিড়ালের হেডফোন!

হাজার ডলার দামের বিড়ালের হেডফোন!

ইলেক্ট্রনিক পণ্য নির্মাতা সোল রিপাবলিক বিড়ালের জন্য ইলেক্ট্রো হাউজ মিউজিক মেকার ডেডম্যাও৫ ক্যাট নামের বিশেষ হেডফোনটি তৈরি করেছে। খবর ম্যাশএবল-এর।

নির্মাতাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিড়ালের জন্য তৈরি হেডফোনটি এ সপ্তাহে বাজারে আসছে। পোষা বিড়ালের জন্য এর এক জোড়া কিনতে হলে খরচ করতে হবে প্রায় ১০০০ মার্কিন ডলার। তবে হেডফোনটি বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যানিম্যাল চ্যারিটির ফান্ডে যোগ হবে।

কোম্পানিটি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১০টি হেডফোন তারা বাজারজাত করলেও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে আরও হেডফোন তৈরি করা হবে। এ ভিন্নধর্মী প্রচেষ্টা মার্কিন সমাজে জীবজন্তুর ওপর নির্যাতন রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা নির্মাতাদের।

নির্মাতা কোম্পানির সিএমও সেথ কম্বস বলেন, ‘রিমোট চালিত এ হেডফোনটির সঙ্গে মাইক্রোফোনও আছে। তবে অনেক পোষা বিড়াল এ দু’টি ফাংশন দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করবে বলে আমি কল্পনা করি না।’

কম্বস আরো বলেন, আমরা বিড়ালের কানের উপযোগী করে এটি তৈরি করেছি এবং এর আকৃতি মানুষের হেডফোনের চেয়ে

দ্বিতীয় প্রজন্মের জিপিইউ বানাবে এআরএম

দ্বিতীয় প্রজন্মের জিপিইউ বানাবে এআরএম

দ্বিতীয় প্রজন্মের গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) বানানোর ঘোষণা দিয়েছে এআরএম। এআরএম জানিয়েছে, টি-৬০০ সিরিজের কার্যক্ষমতা হবে আগের তুলনায় শতকরা ৫০ ভাগ বেশি। বাড়তি গতি স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট পিসিতে ভিডিও গেইমকে করে তুলবে আরো উত্তেজনাপূর্ণ, দ্রুতগতির হবে ফটো এডিটিং প্রোগ্রাম। খবর বিবিসির।

এআরএম জানিয়েছে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাজারে আসবে দ্বিতীয় প্রজন্মের গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিটগুলো। মোবাইলের সিপিইউ-এর বাজারে এআরএমের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকলেও জিপিইউ-এর বাজারে পিছিয়ে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

জিপিইউ তৈরিতে এগিয়ে আছে এআরএমের স্বদেশী প্রতিষ্ঠান ‘ইমাজিনেশন টেকনোলজিস’। তবে এআরএম বা ইমাজিনেশন টেকনোলজিস -দু’টি প্রতিষ্ঠানের একটিও সরাসরি কোনো পণ্য উৎপাদন করে না। প্রতিষ্ঠান দু’টি নিজেদের ডিজাইনগুলো লাইসেন্স করিয়ে নেয়। অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ওই ডিজাইন ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের জন্য চিপ বানায়।

সিপিইউ এবং জিপিইউ-এর মূল পার্থক্য হচ্ছে, প্রথাগত সিপিইউ সাধারণত খুব অল্প সময়ে দ্রুত একটি অংক কষে। আর জিপিইউ তূলনামূলক বেশি সময় নিয়ে একসঙ্গে কয়েকটি অংক কষে। প্রথম অবস্থায় গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট বা জিপিইউ ডিজাইন করা হয়েছিলো কেবল গ্রাফিক্সের কাজ করার জন্যে। কিন্তু এখন গ্রাফিক্স ছাড়াও স্পিচ রিকগনিশন, ইমেজ প্রসেসিং, প্যাটার্ন ম্যাচিংয়ের কাজে ব্যবহার বাড়ছে জিপিইউ-এর।


ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে সাবধান করলেন ওজনিয়াক

ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে সাবধান করলেন ওজনিয়াক

ওয়াশিংটন ডিসিতে এক অনুষ্ঠানে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওজনিয়াক ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে তার আশঙ্কার কথা জানালেন। খবর টেলিগ্রাফ-এর।

ওজনিয়াক বলেন, ‘কম্পিউটিং জগতে ক্লাউডিং নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত। সবকিছুই ক্লাউডে রূপান্তরিত হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরে এজন্য অনেক ভয়াবহ সমস্যা হতে পারে।’

৬১ বছর বয়সি ওজনিয়াক এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ক্লাউডে নিজস্ব বলে কিছু থাকেনা, মুক্ত করে দেয়া হয়।

স্টিভ জবসের সঙ্গে ১৯৭৬ সালে ওজনিয়াক অ্যাপল প্রতিষ্ঠা করেন। আধুনিক পার্সোনাল কম্পিউটিং-এর অগ্রগতিতে স্টিভ জবসের পর বিবেচনা করা হয় স্টিভ ওজনিয়াককে।

অ্যাপল ১ এবং ২ কম্পিউটারের অন্যতম নির্মাতা ওজনিয়াক এখন কাজ করছেন ফিউশন আইও কোম্পানিতে। ১৯৮৭ সালে তিনি অ্যাপলের পূর্ণকালীন পদ থেকে অব্যাহতি নিলেও এখনো তিনি কোম্পানিটির সঙ্গে যুক্ত।

কেবল কাটা পড়ায় স্থবির উইকিপিডিয়া

কেবল কাটা পড়ায় স্থবির উইকিপিডিয়া

সোমবার প্রায় দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো অনলাইন এনসাইক্লোপিডিয়া ‘উইকিপিডিয়া’। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় উইকিপিডিয়ার ডেটা সেন্টারের দু’টি কেবল দুর্ঘটনাবশত কাটা পড়লে এ ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।

ডেটা সেন্টারের কেবল দু’টি কাটা পড়ার পর অনেকেই উইকিপিডিয়ার সাইটে ঢুকতে ব্যর্থ হন। কেউ আবার ঢুকতে পারলেও অত্যন্ত ধীরে কাজ করছিল ওয়েবসাইটটি। ডেটা কেবল দু’টি কাটা পড়ার পেছনে কোনো অশুভ শক্তির হাত থাকার কথা নাকচ করে দিয়েছে উইকিপিডিয়া কর্তৃপক্ষ।

কেবল দু’টি কাটা পড়ার পর মোট ১ ঘণ্টা ৬ মিনিট বন্ধ ছিলো উইকিপিডিয়ার ওয়েবসাইট। কেবল দু’টি জোড়া দেবার পর আরো ১ ঘণ্টা সময় লাগে সাইটটি পুরোপুরি কার্যক্ষম অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে।

উইকপিডিয়ার মেইন সাইটটি বন্ধ হলেও কার্যক্ষম ছিলো মোবাইল সাইটটি। তবে মেইন সাইট ঠিক হবার পরেও নানা জটিলতার মুখোমুখি হন উইকপিডিয়ার অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস(এপিআই) সার্ভিস ব্যবহারকারীরা।

উইকিপিডিয়া ফাউন্ডেশনের যুক্তরাজ্যভিত্তিক মুখপাত্র ডেভিড জেরার্ড এ ব্যাপারে বলেন, ‘ফ্লোরিডার ডেটা সেন্টারের দু’টি কেবল কাটা পড়েছিলো। কেবল দু’টি ইতোমধ্যেই জোড়া দেয়া হয়েছে এবং সবকিছু আগের মতোই ঠিক আছে এখন।’

ফুলে উঠছে অবৈধ ড্রাগের অভিনব গোপন সাইট

ফুলে উঠছে অবৈধ ড্রাগের অভিনব গোপন সাইট

মার্কিন সিনেটরের বন্ধ করার চেষ্টার পরও টিকে আছে কালোবাজারি ড্রাগ সাইট ‘সিল্ক রোড’। শুধু তাই নয়, ব্যবসার দিকে দিয়ে দিয়ে রীতিমতো ফুলে ফেঁপে উঠেছে সাইটটি। অবৈধ নেশাদ্রব্য বিক্রি করা সাইটটির বাৎসরিক আয় এখন ২ কোটি ২০ লাখ ডলার। খবর ফোর্বস-এর।

অবৈধ ড্রাগ সাইটটির দৌরাত্বের কথা গবেষণাপত্রের মাধ্যমে এ মাসেই পাদপ্রদীপের আলোতে আনেন কম্পিউটার সিকিউরিটি প্রফেসর নিকোলাস ক্রিস্টিন। সিল্ক রোডের আন্ডারগ্রাউন্ড অনলাইন মার্কেট প্লেস হ্যাক করতে সমর্থ হন ক্রিস্টিন। সিল্ক রোডের ক্রয় বিক্রয় নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে ক্রিস্টিন এমন একটি প্রোগ্রাম লেখেন যা কালোবাজারি সাইটটিতে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করে। টানা ছয় মাস ধরে সাইটটির গোপন তথ্য সংগ্রহ করেন ক্রিস্টিন।

সিল্ক রোডের উপস্থিতি কেবল টর নেটওয়ার্কে। আর ড্রাগসের ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ডলারের বদলে ব্যবহার করে বিটকয়েন। মূলত এই দু’টি কারণেই এখনও আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে সাইটটির ক্রেতা এবং বিক্রেতারা।

ক্রিস্টিন আবিষ্কার করেন, ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে সিল্ক রোডের ক্রেতার সংখ্যা। কালোবাজারি সাইটটির মাসিক আয় এখন প্রায় ১৯ লাখ ডলার। ক্রিস্টিনকে যে জিনিসগুলো সবচেয়ে বেশি অবাক করে তার মধ্যে একটি হচ্ছে সাইটটির সার্ভিস নিয়ে ক্রেতাদের ইতিবাচক মনোভাব। শতকরা ৯৭.৮ ভাগ ক্রেতা সাইটটির সার্ভিস নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন।

আরো অবাক ব্যাপার হচ্ছে, কোনরকম মার্কেটিং বা বিজ্ঞাপন প্রচার না করেও টিকে আছে কালোবাজারি ড্রাগ সাইটটি। গুগলে সার্চ করলেও সাইটটি খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। টর নেটওয়ার্কের আইপি অ্যাড্রেস লুকিয়ে ফেলার সুবিধা পুরোপুরি ব্যবহার করা হয়েছে সাইটটি লুকিয়ে রাখতে। অন্যদিকে লেনদেনে বিটকয়েনের ব্যবহার ক্রেতা বিক্রেতার পরিচয় গোপন রাখে সফলভাবে

কেমোথেরাপি বাড়াতে পারে ক্যান্সার

কেমোথেরাপি বাড়াতে পারে ক্যান্সার

সম্প্রতি সিয়াটলের ফ্রেড হাচিনসন ক্যান্সার রিচার্স সেন্টারের বিজ্ঞানীদের গবেষণার অপ্রত্যাশিত এক আবিষ্কার বন্ধ করে দিতে পারে ক্যান্সার নিরাময়ে কেমোথেরাপির ব্যবহার। গবেষকরা বলছেন, শরীরের ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করলেও সুস্থ কোষে ক্যান্সারের সংক্রমণে সাহায্য করতে পারে কেমোথেরাপি। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

ক্যান্সার চিকিৎসার বড় একটি অংশ কেমোথেরাপি। রোগীর শরীরের ক্যান্সার কোষগুলো ধ্বংস করে দেয়া হয় কেমোথেরাপি ব্যবহার করে। কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানী পিটার নেলসনের নেতৃত্বাধীন গবেষক দল আবিষ্কার করেছেন বিপরীত কিছু তথ্য। কেমোথেরাপির কারণে ডব্লিউএনটিসিক্সটিনবি  নামের এক ধরণের প্রোটিন তৈরি করে দেহের সুস্থ কোষগুলো, যা ক্যান্সার আক্রান্ত সেলগুলোর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, কেমোথেরাপি দেবার পরেও অনেক ক্যান্সার রোগীর শরীরে কোনো ইতিবাচক প্রভাব না পড়ার কারণ হতে পারে ওই প্রোটিনটি। সফলভাবে চিকিৎসা শেষ হবার পর আবার রোগীর শরীরে ক্যান্সার ফিরে আসার সম্ভাব্য কারণও হতে পারে এটি।

তবে কেমোথেরাপি নেবার সময় বাড়তি কিছু ওষুধ নিলে কেমোথেরাপির এই অনাকাঙ্ক্ষিত পার্শপ্রতিক্রিয়া এড়ানো সম্ভব বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

LOVE SONG




সোমবার, ৬ আগস্ট, ২০১২

নতুন গ্যালাক্সি নোট আনছে স্যামসাং

নতুন গ্যালাক্সি নোট আনছে স্যামসাং

২৯ অগাস্ট গ্যালাক্সি নোট স্মার্টফোনের একটি নতুন মডেল বাজারে আনছে ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা স্যামসাং। খবর গার্ডিয়ান-এর।

অ্যাপলের নতুন আইফোন সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকে বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তার প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই নতুন গ্যালাক্সি নোটটি বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে স্যামসাং। পেটেন্ট লড়াইয়ের পাশাপাশি বাজার দখলের যুদ্ধেও নামছে কোম্পানি দু’টি। ইউরোপের বৃহত্তম কনজিউমার ট্রেড ফেয়ারের দু’দিন আগে আসছে স্যামসাংয়ের এই নতুন স্মার্টফোনটি।

দক্ষিণ কোরিয়ান মিডিয়ার রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এতে ৫.৫ ইঞ্চির একটি শক্ত ডিসপ্লে থাকবে। বর্তমান মডেলের চেয়ে সামান্য বড় আকারের এবং দ্রুতগতির প্রসেসর ও ভালো একটি ক্যামেরা থাকবে এতে।

স্মাটফোন নির্মাণে স্যামসাং আগে পিছিয়ে থাকলেও এখন অ্যাপলকে পেছনে ফেলে পৃথিবীর বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা দক্ষিণ কোরিয়ান এই কোম্পানিটি।

পালাবার পথ নেই টাইমলাইনে যেতে হবেই!

পালাবার পথ নেই টাইমলাইনে যেতে হবেই!

ফেইসবুকে নিজেদের প্রোফাইলটি টাইমলাইনে পরিবর্তন না করে যারা নিজেদের ভাগ্যবান ভাবছেন, তাদের জন্য দুঃসংবাদই বটে! না চাইলেও জোর করেই ব্যবহারকারীর প্রোফাইল লেআউট টাইমলাইনে বদলে দিচ্ছে ফেইসবুক। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

টেকক্রাঞ্চের খবর অনুযায়ী, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সাড়ে ৯ কোটি ব্যবহারকারীর প্রোফাইল টাইমলাইনে বদলে দেবে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ। ব্যবহারকারীর প্রোফাইলটি টাইমলাইনে বদলে দেবার আগে লগইন করার সময় তাকে জানিয়ে দেয় ফেইসবুক।

টাইমলাইন তৈরি করার পর থেকে ধীরে ধীরে অনেক ব্যবহারকারীর প্রোফাইল টাইমলাইনে পাল্টে দিয়েছে ফেইসবুক। আগামী কয়েক মাসে আরও বাড়বে এ কাজের গতি।

এ বছরের জানুয়ারি মাসে ফেইসবুকে চালু হয় টাইমলাইন। না বুঝে নিজের প্রোফাইল লেআউট টাইমলাইনে বদলে নিয়ে এখন আফসোস করছেন অনেকেই। কারণ, ফেইসবুকের টাইমলাইন একবার চালু হয়ে গেলে সাধারণ ব্যবহারকারীরা আর তা বাতিল করতে পারেন না।

স্প্রে করে জোড়া দেয়া যাবে ভগ্ন হৃদয়!

স্প্রে করে জোড়া দেয়া যাবে ভগ্ন হৃদয়!

১০ হাজার ভোল্টের থ্রিডি ইলেকট্রিক স্প্রেয়ার হৃৎপিণ্ডের ক্ষত জোড়া দেবে জীবন্ত হার্ট সেল ছুড়ে দিয়ে। হার্ট অ্যাটাকের ফলে সৃষ্ট হৃৎপিণ্ডের ক্ষত সারাতে চিকিৎসকদের শেষ ভরসা হতে পারে এই ‘স্প্রে-প্যাচ’ প্রযুক্তি। খবর বিবিসির।

হার্ট অ্যাটাক হলে মারা যায় হৃৎপিণ্ডের কিছু সেল। পরে রোগী সুস্থ হয়ে উঠলেও ওই মৃত হার্ট সেলগুলো ঠিক হয় না বরং থেকে যায় ক্ষত। পরে হৃৎপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে হৃৎপিণ্ডের ওই মৃত অংশটুকু। এ কারণে হৃৎপিণ্ডের দীর্ঘস্থায়ী  সমস্যায় ভোগেন হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত অনেক ব্যক্তি।

দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতের ওই সমস্যা সমাধানে জীবন্ত হার্ট সেল পেইন্টের মতো হৃৎপিণ্ডে ছুঁড়ে দেবার প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছেন বৃটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞানীরা। হৃৎপিণ্ডের ভেতরের ক্ষত সারিয়ে তোলা সম্ভব হতে পারে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

লন্ডনের এক ল্যাবরেটরিতে ওই বায়ো-ইলেকট্রিক হার্ট সেল স্প্রে মেশিনটি বানিয়েছেন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার ড. শন জায়াসিংহে। প্রথমে জীবন্ত হার্ট সেল নেয়া হয় স্প্রে মেশিনের সূঁচে। তারপর স্প্রে মেশিন থেকে হার্ট সেলগুলো ছুঁড়ে দেয়া হয় রোগীর হৃৎপিণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে। তবে গ্রাফিটি আর্টিস্টদের স্প্রে ক্যানের মতো নিখুঁত নয় হার্ট সেল স্প্রে মেশিন। হার্ট সেলগুলোকে নিখুঁত লক্ষ্যে পেঁছে দিতে মেশিনটির সূঁচ বিদ্যুতায়িত করা হয় ১০ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ ক্ষেত্র দিয়ে।

এ ব্যাপারে বিজ্ঞানী অ্যানাস্তাসিয়া স্টেফানো বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ক্ষতিগ্রস্ত হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারবে এই প্রযুক্তি। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত হৃৎপিণ্ড পুরোপুরি সারিয়ে তোলা, যেন হার্ট অ্যাটাকের শিকার রোগীদের ডোনার হার্টের জন্য অপেক্ষা করতে না হয়।’

বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে স্প্রে মেশিনের জন্য হৃৎপিণ্ডের কোষগুলো রোগীর হৃৎপিণ্ড থেকে সংগ্রহ করে বায়ো-টেকনোলজিকাল পন্থায় বড় করে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এমনকি অসুস্থ ব্যক্তির স্টেম সেল সংগ্রহ করে তা থেকে হার্ট সেল তৈরি করা যাবে বলেও বিজ্ঞানীরা আশা করছেন।

ল্যান্ড মাইন চিহ্নিত করবে ন্যানো ফাইবার ফিল্ম

ল্যান্ড মাইন চিহ্নিত করবে ন্যানো ফাইবার ফিল্ম

ল্যান্ড মাইন চিহ্নিত করবে এমন একটি ফ্লুরোসেন্ট ন্যানো ফাইবার ফিল্ম বানাচ্ছেন ইউনিভার্সিটি অফ কানেকটিকাটের বিজ্ঞানীরা। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী পৃথিবীর ৬৪টি দেশে আছে ১০ কোটিরও বেশি ল্যান্ড মাইন, যা শান্তিপূর্ণ সময়েও যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশগুলোর জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি করছে। এই সমস্যা সমাধানে ন্যানো ফাইবার ফিল্ম প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। খবর গিজম্যাগ-এর।

ফিল্মটির বিশেষ কিছু রাসায়নিক পদার্থ মাটিরে গভীরে থাকা বিস্ফোরক পদার্থকে চিহ্নিত করতে পারে। প্রথমে পেপার টাওয়েলের মতোই মাটিতে ছড়িয়ে দেয়া হয় ফিল্মটি। আর ফিল্মটি এতোই পাতলা যে, এর ফলে ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরিত হয় না। ফিল্মটি ৩০ মিনিট মাটিতে থাকার পর অতি বেগুনী রশ্মির সাহায্যে চালু হয় ফিল্মের রাসায়নিক বিক্রিয়া। এই পন্থা ব্যবহার করে টিএনটি এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মাটিতে লুকানো এইচএসএস ল্যান্ড মাইন খুঁজে বের করতে সফল হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

মাটিতে মাইন স্থাপন করা সোজা কাজ হলেও পরে ওই মাইনগুলো খুঁজে বের করা এবং নিস্ক্রিয় করা খুবই জটিল এবং বিপজ্জনক কাজ। যুদ্ধের পরেও রয়ে যাওয়া ল্যান্ড মাইনে বহু বছর ধরে জান-মালের ক্ষতি হয়। মাইলের পর মাইল ভূমি পতিত হয়ে যায়। জীবনের ঝুঁকির কারণে ওই জমিগুলোতে কৃষিকাজ হয় না।

বর্তমানে ল্যান্ড মাইন খুঁজে বের করতে ব্যবহার করা হয় কুকুর অথবা রোবট। কুকুর ব্যবহার করলে ঝুঁকিতে থাকে একটি জীবন্ত প্রাণীটি। অন্যদিকে রোবট অনেক ব্যয়বহুল এবং অনেক সময়ই মাইনফিল্ডে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয় রোবট ব্যবহার করলে। কুকুর বা রোবটের বদলে আরো সহজ এবং কার্যক্ষম পন্থার খোঁজে ন্যানো ফাইবার ফিল্ম ব্যবহার করে মাইন খুঁজে বের করার ওই প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা।

হ্যাকার ধরতে সহযোগিতায় অ্যানোনিমাস

হ্যাকার ধরতে সহযোগিতায় অ্যানোনিমাস

রেডস্কাই ভিডিও প্রোডাকশন কোম্পানি নামের একটি চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট আক্রমণকারীকে খুঁজতে সহযোগিতা করেছে আন্তর্জাতিক হ্যাকার গ্রুপ অ্যানোনিমাস। খবর বিবিসির।

সম্প্রতি একজন ক্র্যাকার দাতব্য প্রতিষ্ঠান রেডস্কাই-এর ওয়েবসাইট আক্রমণ করে তথ্য মুছে ফেলে। প্রতিষ্ঠানটি নিউজিল্যান্ডের শিশু দারিদ্র নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করে। তথ্যচিত্রের লাভের অর্থ ব্যয় করা হয় দরিদ্র শিশুদের খাদ্য সংস্থানে।

যারা কোনো সাইট বা সিকিউরিটি সিস্টেম এড়িয়ে প্রবেশ করতে পারেন তাদেরকে সাধারণ ভাষায় হ্যাকার বলা হয়। আর, কোনো সিস্টেমের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যারা ক্ষতি করেন, তাদের বলা হয় ক্র্যাকার।

রেডস্কাইয়ের কর্ণধার ব্রায়ান ব্রুস ফেইসবুকের মাধ্যমে সাইটটির তথ্য ফিরিয়ে দেয়ার আকুতি জানান। ব্রুসের আবেদনের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক হ্যাকার গ্রুপ অ্যানোনিমাস এই ওয়েবসাইট আক্রমণকারীকে খুঁজে বের করার কাজে হাত দেয়।

আক্রমণকারী নিজেকে আনন ভোল্ডেমোর্ট নামে পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি জানান, চ্যারিটি সাইটটি বিনষ্ট করার পেছনে তার উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক হ্যাকার গ্রুপ অ্যানোনিমাসের দৃষ্টি আকর্ষণ ও সদস্যপদ লাভ।

চ্যারিটি সাইট হ্যাক না করার ব্যাপারে অ্যানোনিমাসের অলিখিত নিয়ম রয়েছে। আবেদনের ২৪ ঘণ্টার ভেতর একটি ইমেইল বার্তায় অ্যানোনিমাস ব্রুসকে জানায়, চ্যারিটি অ্যাটাকার ভোল্ডেমোর্ট স্পেনের মাদ্রিদে রয়েছেন। এক আলোচনায় ব্রুস জানান, তিনি এ নিয়ে ইতোমধ্যে স্পেনের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

ফেইসবুকে যতো বানোয়াট পোস্ট- তিন

ফেইসবুকে যতো বানোয়াট পোস্ট- তিন

হালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট ফেইসবুকে ব্যবহারকারীরা অনেকটা সময় কাটান পছন্দের ছবি, প্রয়োজনীয় তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট শেয়ার আর লাইক দিয়ে। কিন্তু তাদের অনেকেই হয়তো জানেন না, মানবতার স্বার্থে বা কৌতুহল জাগানো যে ছবি এবং পোস্টগুলো তারা শেয়ার করছেন, তার অধিকাংশই গুজব এবং ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। ওই পোস্টগুলোর অনেকগুলোতেই ব্যবহার করা হয়েছে অসত্য, অর্ধসত্য এবং অতিরঞ্জিত তথ্য। ফেইসবুকের ওই সব বানোয়াট পোস্ট নিয়েই আমাদের এই ধারাবাহিক আয়োজন। আজ থাকছে তৃতীয় পর্ব।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কচ্ছপ ফেইসবুকে?
সম্প্রতি ফেইসবুকে পশুপ্রেমীদের মধ্যে একটি পোস্ট শেয়ারের ধুম পড়ে গেছে। পোস্টটির ছবিতে রয়েছে ট্রাকের পেছনে বেঁধে রাখা বৃহদাকৃতির এক কচ্ছপের ছবি। আর পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়েছে ওই কচ্ছপটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কচ্ছপ। পোস্টটিতে আরো বলা হয়েছে, কচ্ছপটির বয়স ৫২৯ বছর এবং ওজন ৮০০ পাউন্ড। পশুপ্রেমিদের জন্য দুঃসংবাদই বটে, পোস্টটি একেবারেই বানোয়াট!


ধোঁকার বাকী আছে আরো! পোস্টটিতে যে কচ্ছপের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে আদতে সেটি রক্ত মাংসের কোনো প্রাণীই নয়, বরং মানুষের হাতে তৈরি কস্টিউম মাত্র। ওই ছবিটি নেয়া হয়েছে ২০০৬ সালের জাপানি সাই-ফাই মনস্টার মুভি ‘গামেরা দি ব্রেভ’-থেকে।

সিনেমার পটভ‚মিতে গড়ে উঠেছে কাল্পনিক দানবীয় কচ্ছপ ‘গামেরা’-কে কেন্দ্র করে। সিনেমার শেষ দৃশ্যে এক মিলিটারি ইউনিট আহত গামেরাকে ট্রাকের পেছনে বেঁধে নিয়ে যায়।


সিনেমার ওই শেষ দৃশ্যের একটি স্ন্যাপশট ব্যবহার করা হয়ে হয়েছে ফেইসবুক পোস্টটিতে। সত্য তথ্য হলো ওই পোস্টের পুরো তথ্যই ডাহা মিথ্যা। ছবির ‘গামেরা’র বাস্তব কোনো অস্তিত্ব নেই।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতের কচ্ছপ হচ্ছে গ্যালাপাগোস কচ্ছপ। এটি লম্বায় সাড়ে ৫ ফিট পর্যন্ত হতে পারে। সর্বোচ্চ ওজন ৫৫০ পাউন্ড আর দেড়শ’ বছরের বেশি সময় বাঁচার রেকর্ড রয়েছে এ জাতের কচ্ছপের।

গ্যালাপাগোস টরটয়েসের তুলনায় ফেইসবুক পোস্টের গামেরা আকারে অনেক বড়। সেক্ষেত্রে ওই কচ্ছপটির ওজন আরো বেশি হবার কথা।


টাইমলাইন সরাতে ক্রোম এক্সটেনশন!
বর্তমানে ফেইসবুক টাইমলাইন প্রোফাইলের জন্য বিরক্ত অনেক ব্যবহারকারীই। ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই ক্রোম এক্সটেনশনের মাধ্যমে টাইমলাইন থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় সমৃদ্ধ একটি পোস্ট বেশ কিছুদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে ব্যবহারকারীদের ওয়ালে। কিন্তু সত্য ঘটনা হচ্ছে, টাইমলাইন প্রোফাইল লেআউট থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই অন্তত ওই লিংকে নেই।

ফেইসবুকের ওই পোস্টটিতে বলা হয়েছে, কেবল গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীরাই এক্সটেনশনের মাধ্যমে এড়াতে পারবেন টাইমলাইন বিড়ম্বনা। গুগল ক্রোমের একটি এক্সটেনশন ফাইল ইনস্টল করলেই আবার আগের প্রোফাইলে ফিরে যেতে পারবেন ব্যবহারকারী।

বাস্তবে ‘টাইমলাইন রিমুভার’ এক্সটেনশন ফাইল কোনোভাবেই টাইমলাইন ডিসঅ্যাবল করবে না। এটি কেবল আপনার ব্রাউজারে কিছু পরিবর্তন আনবে, যার ফলে আগের প্রেফাইল লেআউটের মতো করে দেখা যাবে প্রোফাইলটি। কেউ যদি ভিন্ন একটি কম্পিউটার থেকে প্রোফাইলটি দেখেন, তবে টাইমলাইনই দেখতে পাবেন তিনি। এমনকি নিজের কম্পিউটারে টাইমলাইন রিমুভার ইনস্টল করেছেন এমন কেউ যদি টাইমলাইন রিমুভার নেই এমন কোনো কম্পিউটার থেকে নিজের প্রোফাইলে লগইন করেন, তবে নিজের প্রোফাইলটি টাইমলাইন লেআউটেই দেখতে পাবেন তিনি।

পোস্টটিতে আরো দাবি করা হয়েছে, যাদের পিসিতে গুগল ক্রোম রয়েছে কেবল তারাই ব্যবহার করতে পারবেন ওই এক্সটেনশন ফাইলটি। কিন্তু এই দাবিও মিথ্যা। জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারগুলোর প্রায় সবগুলোর জন্যই রয়েছে এমন এক্সটেনশন ফাইল।

সোজা কথায় বলতে গেলে, এক্সটেনশন ফাইল ব্যবহার করে কেবল নিজের পিসিতেই টাইমলাইন লেআউটের জায়গায় পুরনো লেআউট দেখা সম্ভব হলেও ফেইসবুকের পুরনো প্রেফাইল লেআউট পুরোপুরি ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।

ফেইসবুকে যতো বানোয়াট পোস্ট- দুই

প্রাচীন অলিম্পিয়ানদের মধ্যেও ছিলো স্টেরয়েড আসক্তি!

প্রাচীন অলিম্পিয়ানদের মধ্যেও ছিলো স্টেরয়েড আসক্তি!

জয়ের নেশায় উন্মত্ত হয়ে অ্যাথলেটদের ড্রাগ নেয়া নতুন কিছু নয়। ড্রাগ নিয়ে ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে অলিম্পিক পদক হারিয়েছেন অনেক অ্যাথলেটই। কিন্তু জয়ের জন্য অ্যাথলেটদের স্টেরয়েড নেয়া একবিংশ শতাব্দীর কোনো ঘটনা নয়। প্রাচীনকাল থেকেই স্টেরয়েড নিচ্ছেন অলিম্পিয়ানরা। খবর রয়টার্সের।

স্টেরয়েডের ক্ষেত্রে বর্তমান আর প্রাচীন সময়ের পার্থক্য হচ্ছে, বর্তমান সময়ের স্টেরয়েডের তালিকায় রয়েছে শক্তিবর্ধক ট্যাবলেট আর হরমোন ইনজেকশন, অন্যদিকে প্রাচীন স্টেরয়েডের তালিকায় রয়েছে কাঁচা ডিম, অ্যালকোহল, প্রাণীর কাঁচা অণ্ডকোষসহ নানা ওষুধ।

অলিম্পিয়ানদের স্টেরয়েড আসক্তি নিয়ে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন ইউনিভার্সিটির অলিম্পিক হিস্টোরিয়ান মার্টিন পলি বলেন, ‘সবসময়ই অলিম্পিকের অংশ ছিলো ডোপিং। কিন্তু বর্তমান সময়ের মতো জটিলতার সৃষ্টি করতো না প্রাচীনকালের স্টেরয়েডগুলো।

১৯ শতকের শুরুর দিকেই নিজের পারফরমেন্স আরও ভালো করতে অ্যাথলেটদের কোকো পাতা, কোকেইন আর অ্যালকোহল নেয়া ছিলো খুবই সাধারণ বিষয়। ১৯০৪ সালে অলিম্পিক ম্যারাথন জিতেছিলেন টমাস হিকস। আর কোচের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের পারফরমেন্স ভালো করতে নিয়মিত কাঁচা ডিম, স্ট্রাইকনাইন আর ব্র্যান্ডি খেতেন হিকস।

১৮৯৬ সালে শুরু হয় আধুনিক অলিম্পিক। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির স্পোর্টস মেডিসিন হিস্টোরিয়ান ভেনেসা হেগি আধুনিক অলিম্পিকে স্টেরয়েডের ব্যবহার নিয়ে বলেন, ‘সেই সময়ে পারফরমেন্স ভালো করতে ওষুধ, টনিক আর স্টিমুল্যান্টের ব্যবহার ছিলো খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার।’

হ্যাক হয়েছে রয়টার্সের ব্লগ!

হ্যাক হয়েছে রয়টার্সের ব্লগ!

শুক্রবার হ্যাক হয়েছিলো বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম। রয়টার্সের ব্লগিং প্ল্যাটফর্মটি হ্যাক করার পর সেখানে সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা রিয়াদ আল-আসাদের একটি তথাকথিত সাক্ষাৎকারের সারমর্ম পোস্ট করে দেয় সাইটটির হ্যাকার। খবর রয়টার্স-এর।

রয়টার্স কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘শুক্রবার হ্যাকারদের আক্রমণের শিকার হয়েছিলো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম। হ্যাকাররা রয়টার্সের ব্লগিং প্ল্যাটফর্মটি দখল করে নেয় এবং রয়টার্সের সাংবাদিকদের নাম ব্যবহার করে বানোয়াট কিছু তথ্য ব্লগে পোস্ট করে দেয়।’

হ্যাকারদের বানোয়াট পোস্টগুলোর একটি হচ্ছে সিরিয়ান সেনাবাহিনীর বিদ্রোহী নেতা আসাদের একটি তথাকথিত সাক্ষাৎকারের সারমর্ম। সিরিয়ান সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ের পর বিদ্রোহীরা সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ আলেপ্পো থেকে পিছু হটছে বলে আসাদের দাবি প্রকাশ করা হয়েছে ওই পোস্টে।

রয়টার্স আসাদের এমন কোনো সাক্ষাৎকার নেয়নি বলেই জানিয়েছে তাদের বিবৃতিতে। অন্যদিকে ফ্রি সিরিয়ান আর্মিও নিজেদের এক বিবৃতিতে এমন কোনো সাক্ষাৎকারের কথা নাকচ করে দিয়েছে।

শুক্রবার হ্যাক হবার পরই ব্লগিং সাইটটি বন্ধ করে দেয় রয়টার্স। সাইটটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নতুন করে চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।




বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি

নতুন প্লেবুক আনছে রিম

নতুন প্লেবুক আনছে রিম

অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে নতুন প্লেবুক ট্যাবলেট ডিভাইস বাজারে আনছে ব্ল্যাকবেরি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ ইন মোশন (রিম)। নতুন প্লেবুক ট্যাবলেটে থাকছে বিল্টইন সেলুলার নেটওয়ার্ক সাপোর্ট। আর প্লেবুকের নতুন মডেলটি প্রথম বাজারে ছাড়ার জন্য কানাডাকেই বেছে নিয়েছে রিম। খবর রয়টার্স-এর।

রিম জানিয়েছে, নতুন ট্যাবলেট পিসিটি কানাডার বাজারে আসবে বৃহস্পতিবার। এরপর পর্যায়ক্রমে তা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, সাউথ আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের বাজারেও পাওয়া যাবে।

প্রথম থেকেই প্লেবুকের ইমেইলসহ আরো বেশ কিছু ফিচারে ছিলো নানা সমস্যা। এ ছাড়া সফটওয়্যার আপগ্রেডের সময় ব্যবহারকারীদের খরচটাও হতো অনেক বেশি।

ফোর-জি সুবিধাসহ অ্যাপলের আইপ্যাড, আইফোন এবং গুগলের অ্যান্ড্রয়েডের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এই প্লেবুক কতোটা সফল হবে তা বলা সত্যিই কঠিন। গত বছরই রিমের পণ্যে বিশাল ডিসকাউন্ট দিতে বাধ্য হয়েছিলো বাজারে টিকে থাকার জন্য।

এদিকে স্টক মার্কেটেও কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে। নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে বৃহস্পতিবার রিম-এর শেয়ারের দাম শতকরা ২ ভাগ নিচে নেমে ৬ দশমিক ৯৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলে অবতরণ করছে 'কিউরিওসিটি'

মঙ্গলে অবতরণ করছে 'কিউরিওসিটি'

মহাকাশযাত্রার ইতিহাসের সবচেয়ে নাটকীয় ঘটনাটি ঘটতে পারে রেববার। ওইদিন মঙ্গলে অবতরণের কথা রয়েছে নাসার পারমানবিক শক্তিচালিত মার্স রোভার ‘কিউরিওসিটি’র। কিউরিওসিটি মঙ্গলে সফলভাবে অবতরণ করলে তা হবে মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসের সবচেয়ে জটিল আর দুঃসাহসিক ঘটনাগুলোর একটি। খবর গিজম্যাগ-এর।

মঙ্গল গ্রহকে বলা হয় আমাদের সোলার সিস্টেমের ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গল’। মঙ্গলে গবেষণার কাজে যে নভোযানগুলো পাঠানো হয় তার অর্ধেকেরও বেশি মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করেই ধ্বংস হয়ে যায়। এর মূল কারণ হচ্ছে, মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল। পৃথিবী বা চাঁদের তুলনায় অনেক বিপজ্জনক মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব বেশি হওয়ায় তা অনেকাংশে কমিয়ে দেয় নভোযানটির গতি। কিন্তু মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তুলনায় এতোই পাতলা যে, মহাকাশযানের গতি কমাতে পারে না। মার্স রোভার মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে প্রতি ঘণ্টায় ১৩ হাজার ২০০ মাইল গতিতে।

মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় ঘর্ষণসৃষ্ট তাপ থেকে রক্ষা পেতে কিউরিওসিটির রয়েছে ১৪.৮ ফিল্ড ডায়ামিটারের একটি হিট শিল্ড। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পর কিউরিওসিটি মুখোমুখি হবে ৩,৮০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার। ওই ভয়াবহ তাপ থেকে নভোযানটি রক্ষা করতে নাসার বিজ্ঞানীরা হিট শিল্ডটি তৈরি করেছেন ফেলোনিক ইমপ্রেগনেটেড কার্বন অ্যাবলাটর দিয়ে।

নাসার তৈরি অন্য মার্স রোভারগুলোর তুলনায় কিউরিওসিটি অনেকখানি ভিন্ন। কিউরিওসিটির মাধ্যমে অনেক পুরনো অর্জনকে টপকে গেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ৮৯৯ কেজি ওজনের কিউরিওসিটি আসলে স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল বা এসইউভির আদলে তৈরি একটি রোবট। আর দানবীয় ওই রোবটি চলবে পারমাণবিক শক্তিতে।

মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর কিউরিওসিটি ল্যাণ্ড করবে প্যারাসুটের সাহায্যে। প্যারাসুট খোলার ২৪ সেকেন্ড পর নভোযানটি থেকে খুলে আলাদা হবে হিট শিল্ডটি। এরপর রকেট পাওয়ার্ড স্কাই ক্রেনের সাহায্য নিয়ে মঙ্গলের বুকে অবতরণ করবে কিউরিওসিটি।