সোমবার, ৬ আগস্ট, ২০১২

নতুন গ্যালাক্সি নোট আনছে স্যামসাং

নতুন গ্যালাক্সি নোট আনছে স্যামসাং

২৯ অগাস্ট গ্যালাক্সি নোট স্মার্টফোনের একটি নতুন মডেল বাজারে আনছে ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা স্যামসাং। খবর গার্ডিয়ান-এর।

অ্যাপলের নতুন আইফোন সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকে বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তার প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই নতুন গ্যালাক্সি নোটটি বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে স্যামসাং। পেটেন্ট লড়াইয়ের পাশাপাশি বাজার দখলের যুদ্ধেও নামছে কোম্পানি দু’টি। ইউরোপের বৃহত্তম কনজিউমার ট্রেড ফেয়ারের দু’দিন আগে আসছে স্যামসাংয়ের এই নতুন স্মার্টফোনটি।

দক্ষিণ কোরিয়ান মিডিয়ার রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এতে ৫.৫ ইঞ্চির একটি শক্ত ডিসপ্লে থাকবে। বর্তমান মডেলের চেয়ে সামান্য বড় আকারের এবং দ্রুতগতির প্রসেসর ও ভালো একটি ক্যামেরা থাকবে এতে।

স্মাটফোন নির্মাণে স্যামসাং আগে পিছিয়ে থাকলেও এখন অ্যাপলকে পেছনে ফেলে পৃথিবীর বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা দক্ষিণ কোরিয়ান এই কোম্পানিটি।

পালাবার পথ নেই টাইমলাইনে যেতে হবেই!

পালাবার পথ নেই টাইমলাইনে যেতে হবেই!

ফেইসবুকে নিজেদের প্রোফাইলটি টাইমলাইনে পরিবর্তন না করে যারা নিজেদের ভাগ্যবান ভাবছেন, তাদের জন্য দুঃসংবাদই বটে! না চাইলেও জোর করেই ব্যবহারকারীর প্রোফাইল লেআউট টাইমলাইনে বদলে দিচ্ছে ফেইসবুক। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

টেকক্রাঞ্চের খবর অনুযায়ী, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সাড়ে ৯ কোটি ব্যবহারকারীর প্রোফাইল টাইমলাইনে বদলে দেবে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ। ব্যবহারকারীর প্রোফাইলটি টাইমলাইনে বদলে দেবার আগে লগইন করার সময় তাকে জানিয়ে দেয় ফেইসবুক।

টাইমলাইন তৈরি করার পর থেকে ধীরে ধীরে অনেক ব্যবহারকারীর প্রোফাইল টাইমলাইনে পাল্টে দিয়েছে ফেইসবুক। আগামী কয়েক মাসে আরও বাড়বে এ কাজের গতি।

এ বছরের জানুয়ারি মাসে ফেইসবুকে চালু হয় টাইমলাইন। না বুঝে নিজের প্রোফাইল লেআউট টাইমলাইনে বদলে নিয়ে এখন আফসোস করছেন অনেকেই। কারণ, ফেইসবুকের টাইমলাইন একবার চালু হয়ে গেলে সাধারণ ব্যবহারকারীরা আর তা বাতিল করতে পারেন না।

স্প্রে করে জোড়া দেয়া যাবে ভগ্ন হৃদয়!

স্প্রে করে জোড়া দেয়া যাবে ভগ্ন হৃদয়!

১০ হাজার ভোল্টের থ্রিডি ইলেকট্রিক স্প্রেয়ার হৃৎপিণ্ডের ক্ষত জোড়া দেবে জীবন্ত হার্ট সেল ছুড়ে দিয়ে। হার্ট অ্যাটাকের ফলে সৃষ্ট হৃৎপিণ্ডের ক্ষত সারাতে চিকিৎসকদের শেষ ভরসা হতে পারে এই ‘স্প্রে-প্যাচ’ প্রযুক্তি। খবর বিবিসির।

হার্ট অ্যাটাক হলে মারা যায় হৃৎপিণ্ডের কিছু সেল। পরে রোগী সুস্থ হয়ে উঠলেও ওই মৃত হার্ট সেলগুলো ঠিক হয় না বরং থেকে যায় ক্ষত। পরে হৃৎপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে হৃৎপিণ্ডের ওই মৃত অংশটুকু। এ কারণে হৃৎপিণ্ডের দীর্ঘস্থায়ী  সমস্যায় ভোগেন হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত অনেক ব্যক্তি।

দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতের ওই সমস্যা সমাধানে জীবন্ত হার্ট সেল পেইন্টের মতো হৃৎপিণ্ডে ছুঁড়ে দেবার প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছেন বৃটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞানীরা। হৃৎপিণ্ডের ভেতরের ক্ষত সারিয়ে তোলা সম্ভব হতে পারে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

লন্ডনের এক ল্যাবরেটরিতে ওই বায়ো-ইলেকট্রিক হার্ট সেল স্প্রে মেশিনটি বানিয়েছেন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার ড. শন জায়াসিংহে। প্রথমে জীবন্ত হার্ট সেল নেয়া হয় স্প্রে মেশিনের সূঁচে। তারপর স্প্রে মেশিন থেকে হার্ট সেলগুলো ছুঁড়ে দেয়া হয় রোগীর হৃৎপিণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে। তবে গ্রাফিটি আর্টিস্টদের স্প্রে ক্যানের মতো নিখুঁত নয় হার্ট সেল স্প্রে মেশিন। হার্ট সেলগুলোকে নিখুঁত লক্ষ্যে পেঁছে দিতে মেশিনটির সূঁচ বিদ্যুতায়িত করা হয় ১০ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ ক্ষেত্র দিয়ে।

এ ব্যাপারে বিজ্ঞানী অ্যানাস্তাসিয়া স্টেফানো বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ক্ষতিগ্রস্ত হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারবে এই প্রযুক্তি। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত হৃৎপিণ্ড পুরোপুরি সারিয়ে তোলা, যেন হার্ট অ্যাটাকের শিকার রোগীদের ডোনার হার্টের জন্য অপেক্ষা করতে না হয়।’

বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে স্প্রে মেশিনের জন্য হৃৎপিণ্ডের কোষগুলো রোগীর হৃৎপিণ্ড থেকে সংগ্রহ করে বায়ো-টেকনোলজিকাল পন্থায় বড় করে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এমনকি অসুস্থ ব্যক্তির স্টেম সেল সংগ্রহ করে তা থেকে হার্ট সেল তৈরি করা যাবে বলেও বিজ্ঞানীরা আশা করছেন।

ল্যান্ড মাইন চিহ্নিত করবে ন্যানো ফাইবার ফিল্ম

ল্যান্ড মাইন চিহ্নিত করবে ন্যানো ফাইবার ফিল্ম

ল্যান্ড মাইন চিহ্নিত করবে এমন একটি ফ্লুরোসেন্ট ন্যানো ফাইবার ফিল্ম বানাচ্ছেন ইউনিভার্সিটি অফ কানেকটিকাটের বিজ্ঞানীরা। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী পৃথিবীর ৬৪টি দেশে আছে ১০ কোটিরও বেশি ল্যান্ড মাইন, যা শান্তিপূর্ণ সময়েও যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশগুলোর জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি করছে। এই সমস্যা সমাধানে ন্যানো ফাইবার ফিল্ম প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। খবর গিজম্যাগ-এর।

ফিল্মটির বিশেষ কিছু রাসায়নিক পদার্থ মাটিরে গভীরে থাকা বিস্ফোরক পদার্থকে চিহ্নিত করতে পারে। প্রথমে পেপার টাওয়েলের মতোই মাটিতে ছড়িয়ে দেয়া হয় ফিল্মটি। আর ফিল্মটি এতোই পাতলা যে, এর ফলে ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরিত হয় না। ফিল্মটি ৩০ মিনিট মাটিতে থাকার পর অতি বেগুনী রশ্মির সাহায্যে চালু হয় ফিল্মের রাসায়নিক বিক্রিয়া। এই পন্থা ব্যবহার করে টিএনটি এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মাটিতে লুকানো এইচএসএস ল্যান্ড মাইন খুঁজে বের করতে সফল হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

মাটিতে মাইন স্থাপন করা সোজা কাজ হলেও পরে ওই মাইনগুলো খুঁজে বের করা এবং নিস্ক্রিয় করা খুবই জটিল এবং বিপজ্জনক কাজ। যুদ্ধের পরেও রয়ে যাওয়া ল্যান্ড মাইনে বহু বছর ধরে জান-মালের ক্ষতি হয়। মাইলের পর মাইল ভূমি পতিত হয়ে যায়। জীবনের ঝুঁকির কারণে ওই জমিগুলোতে কৃষিকাজ হয় না।

বর্তমানে ল্যান্ড মাইন খুঁজে বের করতে ব্যবহার করা হয় কুকুর অথবা রোবট। কুকুর ব্যবহার করলে ঝুঁকিতে থাকে একটি জীবন্ত প্রাণীটি। অন্যদিকে রোবট অনেক ব্যয়বহুল এবং অনেক সময়ই মাইনফিল্ডে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয় রোবট ব্যবহার করলে। কুকুর বা রোবটের বদলে আরো সহজ এবং কার্যক্ষম পন্থার খোঁজে ন্যানো ফাইবার ফিল্ম ব্যবহার করে মাইন খুঁজে বের করার ওই প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা।

হ্যাকার ধরতে সহযোগিতায় অ্যানোনিমাস

হ্যাকার ধরতে সহযোগিতায় অ্যানোনিমাস

রেডস্কাই ভিডিও প্রোডাকশন কোম্পানি নামের একটি চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট আক্রমণকারীকে খুঁজতে সহযোগিতা করেছে আন্তর্জাতিক হ্যাকার গ্রুপ অ্যানোনিমাস। খবর বিবিসির।

সম্প্রতি একজন ক্র্যাকার দাতব্য প্রতিষ্ঠান রেডস্কাই-এর ওয়েবসাইট আক্রমণ করে তথ্য মুছে ফেলে। প্রতিষ্ঠানটি নিউজিল্যান্ডের শিশু দারিদ্র নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করে। তথ্যচিত্রের লাভের অর্থ ব্যয় করা হয় দরিদ্র শিশুদের খাদ্য সংস্থানে।

যারা কোনো সাইট বা সিকিউরিটি সিস্টেম এড়িয়ে প্রবেশ করতে পারেন তাদেরকে সাধারণ ভাষায় হ্যাকার বলা হয়। আর, কোনো সিস্টেমের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যারা ক্ষতি করেন, তাদের বলা হয় ক্র্যাকার।

রেডস্কাইয়ের কর্ণধার ব্রায়ান ব্রুস ফেইসবুকের মাধ্যমে সাইটটির তথ্য ফিরিয়ে দেয়ার আকুতি জানান। ব্রুসের আবেদনের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক হ্যাকার গ্রুপ অ্যানোনিমাস এই ওয়েবসাইট আক্রমণকারীকে খুঁজে বের করার কাজে হাত দেয়।

আক্রমণকারী নিজেকে আনন ভোল্ডেমোর্ট নামে পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি জানান, চ্যারিটি সাইটটি বিনষ্ট করার পেছনে তার উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক হ্যাকার গ্রুপ অ্যানোনিমাসের দৃষ্টি আকর্ষণ ও সদস্যপদ লাভ।

চ্যারিটি সাইট হ্যাক না করার ব্যাপারে অ্যানোনিমাসের অলিখিত নিয়ম রয়েছে। আবেদনের ২৪ ঘণ্টার ভেতর একটি ইমেইল বার্তায় অ্যানোনিমাস ব্রুসকে জানায়, চ্যারিটি অ্যাটাকার ভোল্ডেমোর্ট স্পেনের মাদ্রিদে রয়েছেন। এক আলোচনায় ব্রুস জানান, তিনি এ নিয়ে ইতোমধ্যে স্পেনের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

ফেইসবুকে যতো বানোয়াট পোস্ট- তিন

ফেইসবুকে যতো বানোয়াট পোস্ট- তিন

হালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট ফেইসবুকে ব্যবহারকারীরা অনেকটা সময় কাটান পছন্দের ছবি, প্রয়োজনীয় তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট শেয়ার আর লাইক দিয়ে। কিন্তু তাদের অনেকেই হয়তো জানেন না, মানবতার স্বার্থে বা কৌতুহল জাগানো যে ছবি এবং পোস্টগুলো তারা শেয়ার করছেন, তার অধিকাংশই গুজব এবং ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। ওই পোস্টগুলোর অনেকগুলোতেই ব্যবহার করা হয়েছে অসত্য, অর্ধসত্য এবং অতিরঞ্জিত তথ্য। ফেইসবুকের ওই সব বানোয়াট পোস্ট নিয়েই আমাদের এই ধারাবাহিক আয়োজন। আজ থাকছে তৃতীয় পর্ব।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কচ্ছপ ফেইসবুকে?
সম্প্রতি ফেইসবুকে পশুপ্রেমীদের মধ্যে একটি পোস্ট শেয়ারের ধুম পড়ে গেছে। পোস্টটির ছবিতে রয়েছে ট্রাকের পেছনে বেঁধে রাখা বৃহদাকৃতির এক কচ্ছপের ছবি। আর পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়েছে ওই কচ্ছপটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কচ্ছপ। পোস্টটিতে আরো বলা হয়েছে, কচ্ছপটির বয়স ৫২৯ বছর এবং ওজন ৮০০ পাউন্ড। পশুপ্রেমিদের জন্য দুঃসংবাদই বটে, পোস্টটি একেবারেই বানোয়াট!


ধোঁকার বাকী আছে আরো! পোস্টটিতে যে কচ্ছপের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে আদতে সেটি রক্ত মাংসের কোনো প্রাণীই নয়, বরং মানুষের হাতে তৈরি কস্টিউম মাত্র। ওই ছবিটি নেয়া হয়েছে ২০০৬ সালের জাপানি সাই-ফাই মনস্টার মুভি ‘গামেরা দি ব্রেভ’-থেকে।

সিনেমার পটভ‚মিতে গড়ে উঠেছে কাল্পনিক দানবীয় কচ্ছপ ‘গামেরা’-কে কেন্দ্র করে। সিনেমার শেষ দৃশ্যে এক মিলিটারি ইউনিট আহত গামেরাকে ট্রাকের পেছনে বেঁধে নিয়ে যায়।


সিনেমার ওই শেষ দৃশ্যের একটি স্ন্যাপশট ব্যবহার করা হয়ে হয়েছে ফেইসবুক পোস্টটিতে। সত্য তথ্য হলো ওই পোস্টের পুরো তথ্যই ডাহা মিথ্যা। ছবির ‘গামেরা’র বাস্তব কোনো অস্তিত্ব নেই।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতের কচ্ছপ হচ্ছে গ্যালাপাগোস কচ্ছপ। এটি লম্বায় সাড়ে ৫ ফিট পর্যন্ত হতে পারে। সর্বোচ্চ ওজন ৫৫০ পাউন্ড আর দেড়শ’ বছরের বেশি সময় বাঁচার রেকর্ড রয়েছে এ জাতের কচ্ছপের।

গ্যালাপাগোস টরটয়েসের তুলনায় ফেইসবুক পোস্টের গামেরা আকারে অনেক বড়। সেক্ষেত্রে ওই কচ্ছপটির ওজন আরো বেশি হবার কথা।


টাইমলাইন সরাতে ক্রোম এক্সটেনশন!
বর্তমানে ফেইসবুক টাইমলাইন প্রোফাইলের জন্য বিরক্ত অনেক ব্যবহারকারীই। ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই ক্রোম এক্সটেনশনের মাধ্যমে টাইমলাইন থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় সমৃদ্ধ একটি পোস্ট বেশ কিছুদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে ব্যবহারকারীদের ওয়ালে। কিন্তু সত্য ঘটনা হচ্ছে, টাইমলাইন প্রোফাইল লেআউট থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই অন্তত ওই লিংকে নেই।

ফেইসবুকের ওই পোস্টটিতে বলা হয়েছে, কেবল গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীরাই এক্সটেনশনের মাধ্যমে এড়াতে পারবেন টাইমলাইন বিড়ম্বনা। গুগল ক্রোমের একটি এক্সটেনশন ফাইল ইনস্টল করলেই আবার আগের প্রোফাইলে ফিরে যেতে পারবেন ব্যবহারকারী।

বাস্তবে ‘টাইমলাইন রিমুভার’ এক্সটেনশন ফাইল কোনোভাবেই টাইমলাইন ডিসঅ্যাবল করবে না। এটি কেবল আপনার ব্রাউজারে কিছু পরিবর্তন আনবে, যার ফলে আগের প্রেফাইল লেআউটের মতো করে দেখা যাবে প্রোফাইলটি। কেউ যদি ভিন্ন একটি কম্পিউটার থেকে প্রোফাইলটি দেখেন, তবে টাইমলাইনই দেখতে পাবেন তিনি। এমনকি নিজের কম্পিউটারে টাইমলাইন রিমুভার ইনস্টল করেছেন এমন কেউ যদি টাইমলাইন রিমুভার নেই এমন কোনো কম্পিউটার থেকে নিজের প্রোফাইলে লগইন করেন, তবে নিজের প্রোফাইলটি টাইমলাইন লেআউটেই দেখতে পাবেন তিনি।

পোস্টটিতে আরো দাবি করা হয়েছে, যাদের পিসিতে গুগল ক্রোম রয়েছে কেবল তারাই ব্যবহার করতে পারবেন ওই এক্সটেনশন ফাইলটি। কিন্তু এই দাবিও মিথ্যা। জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারগুলোর প্রায় সবগুলোর জন্যই রয়েছে এমন এক্সটেনশন ফাইল।

সোজা কথায় বলতে গেলে, এক্সটেনশন ফাইল ব্যবহার করে কেবল নিজের পিসিতেই টাইমলাইন লেআউটের জায়গায় পুরনো লেআউট দেখা সম্ভব হলেও ফেইসবুকের পুরনো প্রেফাইল লেআউট পুরোপুরি ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।

ফেইসবুকে যতো বানোয়াট পোস্ট- দুই

প্রাচীন অলিম্পিয়ানদের মধ্যেও ছিলো স্টেরয়েড আসক্তি!

প্রাচীন অলিম্পিয়ানদের মধ্যেও ছিলো স্টেরয়েড আসক্তি!

জয়ের নেশায় উন্মত্ত হয়ে অ্যাথলেটদের ড্রাগ নেয়া নতুন কিছু নয়। ড্রাগ নিয়ে ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে অলিম্পিক পদক হারিয়েছেন অনেক অ্যাথলেটই। কিন্তু জয়ের জন্য অ্যাথলেটদের স্টেরয়েড নেয়া একবিংশ শতাব্দীর কোনো ঘটনা নয়। প্রাচীনকাল থেকেই স্টেরয়েড নিচ্ছেন অলিম্পিয়ানরা। খবর রয়টার্সের।

স্টেরয়েডের ক্ষেত্রে বর্তমান আর প্রাচীন সময়ের পার্থক্য হচ্ছে, বর্তমান সময়ের স্টেরয়েডের তালিকায় রয়েছে শক্তিবর্ধক ট্যাবলেট আর হরমোন ইনজেকশন, অন্যদিকে প্রাচীন স্টেরয়েডের তালিকায় রয়েছে কাঁচা ডিম, অ্যালকোহল, প্রাণীর কাঁচা অণ্ডকোষসহ নানা ওষুধ।

অলিম্পিয়ানদের স্টেরয়েড আসক্তি নিয়ে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন ইউনিভার্সিটির অলিম্পিক হিস্টোরিয়ান মার্টিন পলি বলেন, ‘সবসময়ই অলিম্পিকের অংশ ছিলো ডোপিং। কিন্তু বর্তমান সময়ের মতো জটিলতার সৃষ্টি করতো না প্রাচীনকালের স্টেরয়েডগুলো।

১৯ শতকের শুরুর দিকেই নিজের পারফরমেন্স আরও ভালো করতে অ্যাথলেটদের কোকো পাতা, কোকেইন আর অ্যালকোহল নেয়া ছিলো খুবই সাধারণ বিষয়। ১৯০৪ সালে অলিম্পিক ম্যারাথন জিতেছিলেন টমাস হিকস। আর কোচের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের পারফরমেন্স ভালো করতে নিয়মিত কাঁচা ডিম, স্ট্রাইকনাইন আর ব্র্যান্ডি খেতেন হিকস।

১৮৯৬ সালে শুরু হয় আধুনিক অলিম্পিক। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির স্পোর্টস মেডিসিন হিস্টোরিয়ান ভেনেসা হেগি আধুনিক অলিম্পিকে স্টেরয়েডের ব্যবহার নিয়ে বলেন, ‘সেই সময়ে পারফরমেন্স ভালো করতে ওষুধ, টনিক আর স্টিমুল্যান্টের ব্যবহার ছিলো খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার।’

হ্যাক হয়েছে রয়টার্সের ব্লগ!

হ্যাক হয়েছে রয়টার্সের ব্লগ!

শুক্রবার হ্যাক হয়েছিলো বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম। রয়টার্সের ব্লগিং প্ল্যাটফর্মটি হ্যাক করার পর সেখানে সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা রিয়াদ আল-আসাদের একটি তথাকথিত সাক্ষাৎকারের সারমর্ম পোস্ট করে দেয় সাইটটির হ্যাকার। খবর রয়টার্স-এর।

রয়টার্স কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘শুক্রবার হ্যাকারদের আক্রমণের শিকার হয়েছিলো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম। হ্যাকাররা রয়টার্সের ব্লগিং প্ল্যাটফর্মটি দখল করে নেয় এবং রয়টার্সের সাংবাদিকদের নাম ব্যবহার করে বানোয়াট কিছু তথ্য ব্লগে পোস্ট করে দেয়।’

হ্যাকারদের বানোয়াট পোস্টগুলোর একটি হচ্ছে সিরিয়ান সেনাবাহিনীর বিদ্রোহী নেতা আসাদের একটি তথাকথিত সাক্ষাৎকারের সারমর্ম। সিরিয়ান সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ের পর বিদ্রোহীরা সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ আলেপ্পো থেকে পিছু হটছে বলে আসাদের দাবি প্রকাশ করা হয়েছে ওই পোস্টে।

রয়টার্স আসাদের এমন কোনো সাক্ষাৎকার নেয়নি বলেই জানিয়েছে তাদের বিবৃতিতে। অন্যদিকে ফ্রি সিরিয়ান আর্মিও নিজেদের এক বিবৃতিতে এমন কোনো সাক্ষাৎকারের কথা নাকচ করে দিয়েছে।

শুক্রবার হ্যাক হবার পরই ব্লগিং সাইটটি বন্ধ করে দেয় রয়টার্স। সাইটটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নতুন করে চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।




বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি

নতুন প্লেবুক আনছে রিম

নতুন প্লেবুক আনছে রিম

অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে নতুন প্লেবুক ট্যাবলেট ডিভাইস বাজারে আনছে ব্ল্যাকবেরি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ ইন মোশন (রিম)। নতুন প্লেবুক ট্যাবলেটে থাকছে বিল্টইন সেলুলার নেটওয়ার্ক সাপোর্ট। আর প্লেবুকের নতুন মডেলটি প্রথম বাজারে ছাড়ার জন্য কানাডাকেই বেছে নিয়েছে রিম। খবর রয়টার্স-এর।

রিম জানিয়েছে, নতুন ট্যাবলেট পিসিটি কানাডার বাজারে আসবে বৃহস্পতিবার। এরপর পর্যায়ক্রমে তা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, সাউথ আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের বাজারেও পাওয়া যাবে।

প্রথম থেকেই প্লেবুকের ইমেইলসহ আরো বেশ কিছু ফিচারে ছিলো নানা সমস্যা। এ ছাড়া সফটওয়্যার আপগ্রেডের সময় ব্যবহারকারীদের খরচটাও হতো অনেক বেশি।

ফোর-জি সুবিধাসহ অ্যাপলের আইপ্যাড, আইফোন এবং গুগলের অ্যান্ড্রয়েডের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এই প্লেবুক কতোটা সফল হবে তা বলা সত্যিই কঠিন। গত বছরই রিমের পণ্যে বিশাল ডিসকাউন্ট দিতে বাধ্য হয়েছিলো বাজারে টিকে থাকার জন্য।

এদিকে স্টক মার্কেটেও কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে। নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে বৃহস্পতিবার রিম-এর শেয়ারের দাম শতকরা ২ ভাগ নিচে নেমে ৬ দশমিক ৯৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলে অবতরণ করছে 'কিউরিওসিটি'

মঙ্গলে অবতরণ করছে 'কিউরিওসিটি'

মহাকাশযাত্রার ইতিহাসের সবচেয়ে নাটকীয় ঘটনাটি ঘটতে পারে রেববার। ওইদিন মঙ্গলে অবতরণের কথা রয়েছে নাসার পারমানবিক শক্তিচালিত মার্স রোভার ‘কিউরিওসিটি’র। কিউরিওসিটি মঙ্গলে সফলভাবে অবতরণ করলে তা হবে মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসের সবচেয়ে জটিল আর দুঃসাহসিক ঘটনাগুলোর একটি। খবর গিজম্যাগ-এর।

মঙ্গল গ্রহকে বলা হয় আমাদের সোলার সিস্টেমের ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গল’। মঙ্গলে গবেষণার কাজে যে নভোযানগুলো পাঠানো হয় তার অর্ধেকেরও বেশি মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করেই ধ্বংস হয়ে যায়। এর মূল কারণ হচ্ছে, মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল। পৃথিবী বা চাঁদের তুলনায় অনেক বিপজ্জনক মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব বেশি হওয়ায় তা অনেকাংশে কমিয়ে দেয় নভোযানটির গতি। কিন্তু মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তুলনায় এতোই পাতলা যে, মহাকাশযানের গতি কমাতে পারে না। মার্স রোভার মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে প্রতি ঘণ্টায় ১৩ হাজার ২০০ মাইল গতিতে।

মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় ঘর্ষণসৃষ্ট তাপ থেকে রক্ষা পেতে কিউরিওসিটির রয়েছে ১৪.৮ ফিল্ড ডায়ামিটারের একটি হিট শিল্ড। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পর কিউরিওসিটি মুখোমুখি হবে ৩,৮০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার। ওই ভয়াবহ তাপ থেকে নভোযানটি রক্ষা করতে নাসার বিজ্ঞানীরা হিট শিল্ডটি তৈরি করেছেন ফেলোনিক ইমপ্রেগনেটেড কার্বন অ্যাবলাটর দিয়ে।

নাসার তৈরি অন্য মার্স রোভারগুলোর তুলনায় কিউরিওসিটি অনেকখানি ভিন্ন। কিউরিওসিটির মাধ্যমে অনেক পুরনো অর্জনকে টপকে গেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ৮৯৯ কেজি ওজনের কিউরিওসিটি আসলে স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল বা এসইউভির আদলে তৈরি একটি রোবট। আর দানবীয় ওই রোবটি চলবে পারমাণবিক শক্তিতে।

মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর কিউরিওসিটি ল্যাণ্ড করবে প্যারাসুটের সাহায্যে। প্যারাসুট খোলার ২৪ সেকেন্ড পর নভোযানটি থেকে খুলে আলাদা হবে হিট শিল্ডটি। এরপর রকেট পাওয়ার্ড স্কাই ক্রেনের সাহায্য নিয়ে মঙ্গলের বুকে অবতরণ করবে কিউরিওসিটি।


বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই, ২০১২

আইগিলস কেসিং আইফোন কে বানাবে আন্ডারওয়াটার ক্যামেরা

আইগিলস কেসিং আইফোন কে বানাবে আন্ডারওয়াটার ক্যামেরা

গভীর পানিতে আইফোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে আইগিলস এই-৩৫ কেসিং। পানির ১৩০ ফিট গভীর পর্যন্ত পুরোপুরি পানি নিরোধক থাকবে এই স্মার্টফোন কেসিংটি। শুধু তাই নয় ওয়াটারপ্রুফ কেসিংটির বদৌলতে পুরোদস্তুর ডাইভিং কম্পিউটার হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে আইফোন। খবর গিজম্যাগের।

আইগিলস এসই-৩৫ তৈরি করা হয়েছে পলিকার্বোনেট দিয়ে, যা বুলেটপ্রুফ কাঁচ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। কেসিংটির সঙ্গেই থাকবে নতুন একটি অ্যাপ্লিকেশন, যা পানির গভীরে নেভিগেশন টুল এবং ডাইভ লগের কাজ করবে। আরো আছে পানির গভীরতা এবং তাপমাত্রা মাপার জন্য বিশেষ সেন্সর এবং ৬টি বিশেষ বাটন, যা দিয়ে আইফোনের প্রায় সব কাজই করা যাবে পানির নিচে।

আইফোন থ্রিজিএস, ফোর এবং ফোরএস-এই তিনটি মডেলে ব্যবহার করা যাবে আইগিলস এসই-৩৫। কেসিংটির বদৌলতে গভীর পানিতেও আইফোনের সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও এটি ব্যবহার করে ছবি ও ভিডিও করা যাবে।

তবে, পানির নিচে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা বা মেসেজিংয়ের সুবিধাগুলো পাবেননা ব্যবহারকারীরা।



এডিডাস বানালো স্মার্ট প্লেয়ার ট্র্যাকিং সিস্টেমএডিডাস বানালো স্মার্ট প্লেয়ার ট্র্যাকিং সিস্টেম

এডিডাস বানালো স্মার্ট প্লেয়ার ট্র্যাকিং সিস্টেম

২৫ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় শুরু হচ্ছে ‘মেজর লিগ সকার অল-স্টার গেইম ২০১২’। এ গেইম দিয়েই ফুটবল মাঠে অভিষেক হবে অ্যাডিডাসের নতুন প্লেয়ার ট্র্যাকিং প্রযুক্তির। খবর আইটেকপ্রেস-এর।

এডিডাস তাদের নতুন এই প্লেয়ার ট্র্যাকিং সিস্টেমের নাম দিয়েছে ‘মাইকোচ এলিট সিস্টেম’। ডিভাইসটি ব্যবহার করে মাঠে খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স, ফিটনেস এবং খেলার পর তাদের শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করার সুযোগ পাবেন কোচ এবং ফিজিওথেরাপিস্টরা।

ডিভাইসটিতে রয়েছে একটি প্লেয়ার সেল, যা খেলোয়াড়দের ইউনিফর্মের কাঁধের একটি পকেটে থাকবে। এত আরো রয়েছে আরএফ রেডিও, থ্রিডি এক্সিলেরোমিটার, জিপিএস ইউনিট, জাইরোস্কোপ এবং একটি ম্যাগনেটোমিটার। মাঠে খেলোয়াড়দের হার্ট রেট, গতি, শক্তি, এ সবই মনিটর করবে মাইকোচ এলিট সিস্টেম। সব ডেটা পঠানো হবে মাঠের সাইডলাইনে থাকা একটি কম্পিউটারে। সেখান থেকে ডেটাগুলো চলে যাবে কোচের আইফোনে।

এ ব্যাপারে অ্যাডিডাসের সিইও হারবার্ট হাইনার বলেন, ‘মেজর লিগ সকার অল-স্টার গেইমের মাধ্যমে খেলার মাঠে আমাদের নতুন প্রযুক্তির অভিষেক ঘটাতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা সবসময়ই খেলাধুলার জগতে এরকম নতুন প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে চাই।’

আইবিএম অফিসে আইফোনের সিরি নিষিদ্ধ

আইবিএম অফিসে আইফোনের সিরি নিষিদ্ধ

গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাবার ভয়ে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস বা আইবিএম-এর অফিসে আইফোন ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। আইবিএম-এর অফিসে আইফোন নিয়ে ঢুকা গেলেও অফিসের মধ্যে এর ‘সিরি’ ফিচারটি ব্যবহার করা যাবে না। খবর সিএনএন-এর।

আইফেনের ফিচার ‘সিরি’র ওপর এ নিষেধাজ্ঞার কারণ হলো, আইফোনের ভয়েজ অ্যাকটিভেটেড ডিজিটাল ফিচার সিরি, শব্দ থেকে তথ্যে রূপান্তর করে উত্তর ক্যারোলিনার মেইডেনে অ্যাপলের মূল তথ্যকেন্দ্রে পাচার করে দিতে পারে। অর্থাৎ সিরি ব্যবহারকারীর সব মেইল এবং সব সার্চের তথ্য সম্ভবত জমা হয় অ্যাপলের তথ্যকেন্দ্রে-এমনটাই আশঙ্কা আইবিএম-এর। আর তাই তাদের অফিসে সিরি ব্যবহৃত হলে এর ভেতরের তথ্যও অ্যাপলের তথ্যকেন্দ্রে চলে যাবার ভয় থাকে।

আইবিএম-এর প্রধান তথ্য কর্মকর্তা জেনেট হোরান বলেছেন, ‘আমাদের কোম্পানির সন্দেহ হলো, সিরিতে যেসব তথ্য অনুসন্ধান করা হয়, তা অবশ্যই কোথাও না কোথাও সংরক্ষণ করা হয়।’

সিরির ডেভেলপারদের মতে সিরি তৈরির ক্ষেত্রে তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা ছিলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর প্রধান ডেভেলপার এডওয়ার্ড ওয়ার্নবেক বলেন, ‘শুধু আপনি কোথায় আছেন, বা আপনার অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সংরক্ষণ কখনোই গোপনীয়তা ফাঁস করতে পারে না।’

তবে কয়েকমাস আগেই তথ্য ফাঁস হবার ভয়েই আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়নও সিরি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।

ফেইসবুকে খোঁজ মিললো হারানো সন্তানের!

ফেইসবুকে খোঁজ মিললো হারানো সন্তানের!

অনেকটা সিনেমার গল্পের মতো শোনালেও, সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেইসবুকের মাধ্যমে ২১ বছর পর নিজের সন্তানকে খুঁজে পেলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডন গিবসন। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

৮০-র দশকে বৃটেনে ক্রিসির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিলো মার্কিন এয়ারম্যান ডন গিবসনের। ১৯৮৯ সালে বিয়ে করেন এই প্রেমিক জুটি; আর বছর খানেক পরেই জন্ম হয় তাদের একমাত্র সন্তান ক্রেইগের। এর কিছুদিনের মধ্যেই মার্কিন বিমান বাহিনীতে কাজের খাতিরে নিজের দেশে ফিরতে হয় গিবসনকে। কিন্তু আগের দুই সন্তান এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের ছেড়ে যুক্তরাজ্যেই থেকে যান ক্রিসি। এরপর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় গিবসন-ক্রিসি জুটির।

কিন্তু নিজের সন্তানকে কখনোই ভুলতে পারেনি গিবসন। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সাহায্য, প্রাইভেট ডিটেক্টিভ থেকে শুরু করে অনলাইন ট্র্যাকিং কোম্পানি- সবধরনের উপায়েই ক্রেইগের খোঁজ করেছেন গিবসন। কিন্তু খোঁজ পাননি তার সন্তানের। অন্যদিকে ১২ বছর বয়স থেকে বিভিন্ন সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করে ক্রেইগও খুঁজছিলো বাবাকে।

শেষ পর্যন্ত মাসখানেক আগে ফেইসবুকেই ক্রেইগের সন্ধান পান ডন গিবসন। ফেইসবুকে গিবসন প্রথমে খুঁজে পান ক্রেইগের সৎ ভাইকে এবং তার মাধ্যমেই খুঁজে পান ক্রেইগকে। ১৬ জুন বাবা দিবসের আগেরদিন স্কাইপ ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো কথা বলেন গিবসন এবং ক্রেইগ। আর এ বছরের অক্টোবর মাসেই বৃটেনে ফিরবেন গিবসন। ২০ বছর পর প্রথমবারের মতো সামনাসামনি দেখার সুযোগ পাবেন নিজের সন্তানকে।

ডন গিবসন এক সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তিকে ধন্যবাদ। নাহলে আমি কখনোই আমার সন্তানকে খুঁজে পেতাম না।’

আয়ন কলাইডারে তৈরি হচ্ছে বিগ ব্যাংয়ের মৌল 'সুপ'

আয়ন কলাইডারে তৈরি হচ্ছে বিগ ব্যাংয়ের মৌল 'সুপ'

বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের পর সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ের জন্য মহাবিশ্ব এতোটাই উত্তপ্ত হয়ে পড়েছিলো যে, বস্তুসমূহ কোয়ার্ক বা ক্ষুদ্রতম মৌল তরলে পরিণত হয়েছিলো। বিজ্ঞানীরা একে বলেন মৌল পদার্থের আদিম ‘সুপ’। সেই মৌল সুপটিই আবার তৈরি করার চেষ্ট চলছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী আয়ন কোলাইডারে। খবর ফক্স নিউজ-এর।

মৌল পদার্থের সেই আদিম সুপের রহস্য সমাধানের চেষ্টা চলছে নিউ ইয়র্কের ব্রুকহেভেন ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির ‘রিয়ালিস্টিক হেভি আয়ন কলাইডার (আরএইচআইসি)-এ।’ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পার্টিকল কোলাইডার এটি। বস্তুর কণাগুলোকে ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি ফারেনহাইটে উত্তপ্ত করে, মৌলকণাগুলোতে একরকম তরল প্লাজমাতে পরিণত করছে আরএইচআইসি।

বস্তুর ক্ষুদ্রতম মৌল কণাগুলো তৈরি হয় কোয়ার্ক দিয়ে। যা অনেকটা বিল্ডিং ব্লক হিসেবে কাজ করে। আর এই বিল্ডিং ব্লকগুলোকে একসঙ্গে ধরে রাখতে আঠার মতো কাজ করে গ্লুওন। মহাবিস্ফোরণের পর মহাবিশ্ব সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ের জন্য এতোটাই উত্তপ্ত হয়েছিলো যে, সৃষ্টি হয়েছিলো কোয়ার্ক এবং গ্লুওনের এক তরল মিশ্রন যা কোয়ার্ক-গ্লুওন প্লাজমা নামে পরিচিত।

আরএইচআইসিতে ওই কোয়ার্ক-গ্লুওন প্লাজমাই তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা। কোয়ার্ক-গ্লুওন প্লাজমার গঠন নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে পুরো মহাবিশ্বের গঠন বিষয়ে বিভিন্ন অজানা তথ্য খুঁজে পাওয়া যাবে, এমনটাই আশা তাদের। শুধু তাই নয়, পদার্থ বিজ্ঞানের থিওরি অফ এভরিথিং মতবাদ অনুযায়ী আমাদের জগতের পাশাপাশি আরো কোনো ত্রিমাত্রিক জগৎ আছে কিনা তাও নিশ্চিত করা যাবে।

লবণে ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়ে

লবণে ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়ে

প্রতিদিনের খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিলে পাকস্থলিতে ক্যান্সার হবার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। এ তথ্য জানিয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার রিসার্চ ফান্ড (ডব্লিউসিআরএফ)’। খবর বিবিসির।

সম্প্রতি প্রকাশিত ডব্লিউসিআরএফের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, বৃটেনে প্রতি বছর প্রায় ৬ হাজার মানুষের পাকস্থলি ক্যান্সার হয়। এর মধ্যে শতকরা ১৪ ভাগ বা ৭শ’ পাকস্থলি ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তি এই রোগটির হাত থেকে বাঁচতে পারতেন, যদি তারা খাবারের সঙ্গে ৬ গ্রাম পরিমাণ লবণ খেতেন।

অতিরিক্ত মাত্রায় লবণ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে একাধিক। অতিরিক্ত লবণ বাড়িয়ে দেয় রক্তচাপ। স্ট্রোক এবং হৃৎপিন্ডের বিভিন্ন রোগের একটি অন্যতম কারণও খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া।

ডব্লিউসিআরএফ জানিয়েছে, একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে ৬ গ্রাম লবণ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই এই পরিমাণ মেনে লবণ খাননা। আর এই বেশি মাত্রায় লবণ খাওয়া বাড়িয়ে দেয় পাকস্থলির ক্যান্সারের ঝুঁকি। খাবারে লবণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এই ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।



সাঁতার কাটছে কৃত্রিমভাবে তৈরি 'জেলিফিস

সাঁতার কাটছে কৃত্রিমভাবে তৈরি 'জেলিফিস'

সম্প্রতি হাভার্ড ইউনিভার্সিটির বায়োইঞ্জিনিয়ার কেভেন কিট পার্কার ইঁদুরের হৃৎপিণ্ডের কোষ এবং সিলিকন পলিমারের সমন্বয়ে একটি জেলিফিস বানিয়েছেন, যা বাস্তবিক জেলিফিসের মতোই সাঁতার কাটতে পারে। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

কৃত্রিম এ জেলিফিসটির নামকরণ করা হয়েছে ‘মেডুসয়িড’। গবেষক পার্কার জানান, মানুষের হৃৎপিণ্ডের মতো এটিও একটি প্রাকৃতিক বায়োলজিকাল পাম্প। তার মতে, কার্ডিয়াক ফিজিওলজি নিয়ে পড়াশুনার ক্ষেত্রে এটি মডেল হিসাবে বেশ ভালোভাবেই কাজ করবে।

পার্কার জানান, যে কোনো অ্যাকুয়িরিয়ামে বা অন্য কোথাও জেলিফিস ভালোভাবে লক্ষ্য করলে যে কেউ বুঝতে পারবে, পাম্প করার মাধ্যমেই এরা সাঁতার কাটে। ২০০৭ সালে এক প্রদর্শনীতে জেলিফিস দেখে তার মাথায় কৃত্রিমভাবে এটি বানানোর চিন্তা আসে। এরপর ইঁদুরের হৃদযন্ত্রের কোষ এবং পাতলা সিলিকন ফিল্ম দিয়ে তিনি এ কৃত্রিম জেলিফিসটি তৈরি করেন।

পর্কারের মতে, এ কৃত্রিম জেলিফিসটি ভিন্ন ভিন্ন বিজ্ঞানীর ভিন্ন ভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারবে। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, একজন সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী এর দ্বারা জেলিফিসের দেহ গঠন এবং এর সাঁতার কাটা সম্পর্কে আরও সূত্র ধারণা পেতে পারবে। অন্যদিকে মেডুসয়িডের হার্ট পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে হৃদযন্ত্র নিয়েও গবেষণা সম্ভব।

কার্ডিওভাস্কুলারের ওষুধ নিয়ে গবেষণা এবং এর উন্নয়নে মেডুসয়িড ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন পার্কার। তাছাড়াও তিনি দাবি করছেন এ প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম হৃদযন্ত্রও তৈরি করা সম্ভব।

গুগলের ১৬ জিবি নেক্সাস ৭-এর স্টক শেষ

গুগলের ১৬ জিবি নেক্সাস ৭-এর স্টক শেষ

গুগলের ১৬ জিবি ট্যাবলেট কম্পিউটার নেক্সাস ৭-এর সব ইউনিট বিক্রি হলো গুগল প্লে স্টোর থেকে। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

ইতোমধ্যেই বাজারে পরিচিত গুগলের অ্যাড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। নেক্সাস ৭-এ ব্যবহৃত হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ জেলি বিন। এ ট্যাবলেটের ফিচারে রয়েছে ৭ ইঞ্চি টাচ স্ক্রিন, শক্তিশালী কোয়াড-কোর প্রসেসর, ক্যামেরা এবং নেয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি।

নেক্সাস ৭ জনপ্রিয়তা পাবে বলে আগেই ধারণা করা হয়েছিলো। এর সবচেয়ে বড় কারণ ছিলো, এটি বাজারে ছাড়া হয়েছিলো আইপ্যাডের অর্ধেক দামে। ৮ জিবি নেক্সাস ৭-এর দাম নির্ধারণ করা হয় ১৯৯ ডলার এবং ১৬ জিবি ২৪৯ ডলার। বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ১৬ জিবি নেক্সাস তুমুল সাড়া ফেলে। তাই এখন গুগল স্টোরে ৮ জিবি নেক্সাস ৭ পাওয়া গেলেও ১৬ জিবির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে আগ্রহীদের।


সোশাল নেটওয়ার্কেই চিহ্নিত হবে সাইকোপ্যাথ

সোশাল নেটওয়ার্কেই চিহ্নিত হবে সাইকোপ্যাথ

টুইটারের মতো সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো ব্যবহার করে সাইকোপ্যাথ বা মানসিক ব্যাধিগ্রস্থ ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা সম্ভব, জানালেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। সোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট টুইটার ব্যবহারকারীদের স্পিচ প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য সাইকোপ্যাথদের চিহ্নিত করতে সফল হন ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটির ওই বিজ্ঞানীদল। খবর ফক্স নিউজ-এর।

২০১০ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা সাইকোপ্যাথদের আচরণ এবং স্পিচ প্যাটার্নের ওপর গবেষণা চালিয়েছিলেন। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ৮০টি দেশের ২,৯২৭ জন টুইটার ব্যবহারকারীর ওপর সমীক্ষা চালান ফ্লোরিডা আটলান্টিকের বিজ্ঞানীরা। তাদের মধ্যে ৪১ জনকে বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করেন সম্ভাব্য সাইকোপ্যাথ হিসেবে। কর্র্নেল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা সাইকোপ্যাথদের চরিত্রের যে দিকগুলো চিহ্নিত করেছিলেন, তার সঙ্গে মিল পাওয়া যায় ওই ৪১ ব্যক্তির।

এ বিষয়ে শীঘ্রই অনলাইন প্রাইভেসি ফাউন্ডেশন ‘কেগল’-এর সঙ্গে ডেফকন কনভেনশনে নিজের গবেষণাপত্র প্রকাশ করবেন ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হ্যাকার কনভেনশনগুলোর একটি হচ্ছে ডেফকন