মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

বদলে যাচ্ছে ইন্টারনেট আসক্তদের জিন!

বদলে যাচ্ছে ইন্টারনেট আসক্তদের জিন!

সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ইন্টারনেট আসক্তির মূল কারণগুলোর একটি জিন বিবর্তন। জার্মানির ইউনিভার্সিটি অফ বন-এর ডিপার্টমেন্ট অফ সাইকোলজি অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সের বিজ্ঞানীরা এজন্য দায়ী করেছেন সিএইচআরএনএফোর (ঈঐজঘঅ৪) নামে একটি জিনকে। খবর সিনেটডটকম-এর।

ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় আরো বিস্ময়কর তথ্য আবিষ্কার করেছেন। তাদের গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যেই এই জিন বিবর্তনের হার বেশি।

বিজ্ঞানীদের গবেষণা প্রতিবেদনের মূল লেখক ক্রিশ্চিয়ান মনটাগ এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘ইন্টারনেট আসক্তি আমাদের কল্পনাপ্রসূত নয়। বর্তমান ডেটাগুলো প্রমাণ করে দিয়েছে যে, ইন্টারনেট আসক্তির সঙ্গে জেনেটিক মিউটেশনের সম্পর্ক রয়েছে। ইন্টারনেট আসক্তি নিরাময় আরো সহজ করে তোলা সম্ভব, যদি আমরা জিন বিবর্তনের ব্যাপারটি আরো ভালোভাবে বুঝতে সক্ষম হই।’

গবেষণার জন্য ৮৪৩ জন ব্যক্তির ইন্টারভিউ নেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে ১৩২ জনকে ইন্টারনেট আসক্ত হিসেবে সনাক্ত করেন তারা। ওই ১৩২ ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনযাপনের অধিকাংশ ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল এবং দিনের বড় একটা সময় তাদের মন জুড়ে থাকে ইন্টারনেটের বিভিন্ন বিষয়।

এরপর ওই ১৩২ জনের ডিএনএ সংগ্রহ করে বিজ্ঞানীরা দেখেন, বড় ধরণের পরিবর্তন এসছে ইন্টারনেট আসক্ত ব্যক্তিদের সিএইচআরএনএফোর জিনে।

এবার অ্যাপলের লক্ষ্য গ্যালাক্সি এস-থ্রি

এবার অ্যাপলের লক্ষ্য গ্যালাক্সি এস-থ্রি

স্যামসাংয়ের যে আটটি পণ্য নিষিদ্ধ করার জন্য অ্যাপল উঠে পড়ে লেগেছে, সে তালিকায় যোগ হলো গ্যালাক্সি এস থ্রি স্মার্টফোন ও গ্যালাক্সি নোট। অ্যাপলের তৈরি প্রাথমিক তালিকায় এই দু’টি স্যামসাং পণ্যের নাম ছিলো না। খবর সিনেটডটকম-এর।

অ্যাপলের আভ্যন্তরীন এক সূত্রের বরাতে সিনেট জানিয়েছে, শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে গ্যালাক্সি এস থ্রি এবং গ্যালাক্সি নোট নিষিদ্ধ করার জন্য আবেদন করে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে এ বছরেরই জুন মাসে গ্যালাক্সি এস থ্রি নিষিদ্ধ করার জন্য আবেদন করেছিলো অ্যাপল। তবে সেবার আদালতের ব্যস্ততার কারণে থামতে হয়েছিলো অ্যাপলকে।

শুক্রবার অ্যাপল নতুন করে স্যামসাংয়ের যে পণ্যগুলো নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে, সে তালিকায় রয়েছে, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস থ্রি, গ্যালাক্সি এস থ্রি ভ্যারাইজন, গ্যালাক্সি নোট এবং গ্যালাক্সি নোট ১০.১ ট্যাবলেট কম্পিউটার।

ম্যাগনেটিক শিল্ড রক্ষা করবে স্পেসশিপ

ম্যাগনেটিক শিল্ড রক্ষা করবে স্পেসশিপ

ভবিষ্যতের স্পেসশিপগুলোকে মহাকাশের ক্ষতিকর রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করতে পারে চাঁদের মিনি ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের আদলে তৈরি ম্যাগনেটিক শিল্ড বা চৌম্বক ঢাল। খবর নিউ সায়েন্টিস্ট-এর।

চাঁদের কোনো চৌম্বক ক্ষেত্র নেই পৃথিবীর মতো। যার ফলে সোলার উইন্ড বা সূর্যের চার্জড পাটিকলের ঢেউ থেকে কোনো রক্ষাকবচ নেই চাঁদের। সূর্যের চার্জড পার্টিকলের কারণেই কালো হয়ে গেছে চাঁদের মাটি।

তবে চাঁদের বুকে রয়েছে ছোট ছোট কিছু ম্যাগনেটিক ফিল্ড। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছিলেন, সূর্যের ক্ষতিকারক রেডিয়েশন থেকে চাঁদের ছোট ছোট কিছু অংশকে রক্ষা করছে ওই ‘মিনি ম্যাগনেটোস্ফিয়ার’গুলো।

চাঁদের ওই মিনি ম্যাগনেটোস্ফিয়ার থেকে ধারণা নিয়ে ভবিষ্যতের মহাকাশযানগুলোকে ক্ষতিকারক রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করতে ম্যাগনেটিক শিল্ড বা চৌম্বকীয় ঢাল তৈরির প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছেন বৃটেনের রাদারফোর্ড অ্যাপলটন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা।

রাদারফোর্ড অ্যাপলটন ল্যাবরেটরির প্লাজমা ফিজিসিস্ট রুথ বামফোর্ড এবং তার সহকর্মীরা ল্যাবরেটরিতে তৈরি করেন কৃত্রিম সোলার উইন্ড। ছোট্ট একটি চুম্বকের দিকে তারা ছুঁড়ে দেন প্রোটন এবং ইলেকট্রনের একটি বিম। আর চমকপ্রদ ব্যাপার হচ্ছে চুম্বকটির কোনো ক্ষতি না করে, ছাতার উপর দিয়ে গড়িয়ে যাওয়া জলের কণার মতোই অনায়াসে চুম্বকটির উপর দিয়ে বয়ে যায় ইলেকট্রন এবং প্রোটনগুলো।

এই পরীক্ষার ফলাফল থেকে বামফোর্ডের নেতৃত্বাধীন বিজ্ঞানীদল ধারণা করছেন, চাঁদের চৌম্বকক্ষেত্রগুলোকে পাশ কাটিয়ে চলে যায় সোলার উইন্ডের ইলেকট্রনগুলো। আর প্রোটনগুলো ভেতর দিয়েই গড়িয়ে পার হয়ে যায়। এর ফলে ক্ষতিকারক রেডিয়েশন থেকে রক্ষা পাচ্ছে চাঁদের চৌম্বকক্ষেত্রগুলো।

বামফোর্ড জানিয়েছেন, চাঁদের ম্যাগনেটিক ফিল্ডের অনুকরণে মহাকাশযানের জন্য ‘ডিফেক্টর শিল্ড’ তৈরির চেষ্টা করছেন তিনি ও তার সহকর্মীরা, যা সূর্যের ক্ষতিকারক রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করবে নভোযান এবং নভোচারীদের।



সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেস্কটপ ওএস হলো উইন্ডোজ ৭

সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেস্কটপ ওএস হলো উইন্ডোজ ৭

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেম এখন উইন্ডোজ ৭। অগাস্ট মাসে নেট অ্যাপ্লিকেশনের তৈরি মাসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী উইন্ডোজ এক্সপিকে হটিয়ে শীর্ষস্থানীয় ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমের সিংহাসনটি দখল করে নিয়েছে উইন্ডোজ ৭। খবর ম্যাশএবল-এর।

২০০১ সালে মাইক্রোসফট বাজারে এনেছিলো উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম। এরপর থেকে জনপ্রিয় ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমের সিংহাসনটি এক্সপির দখলেই ছিলো। তবে নেট অ্যাপ্লিকেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৪২ দশমিক ৭৬ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে এক্সপিকে টপকে গেছে উইন্ডোজ ৭। দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও খুব বেশি পিছিয়ে নেই উইন্ডোজ এক্সপি; এখনও ৪২ দশমিক ৫২ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে অপারেটিং সিস্টেমটির দখলে।

৬ দশমিক ১৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মাইক্রোসফটের অপর অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ভিসতা। অ্যাপলের ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম ওএসএক্স ১০.৭ এবং ওএসএক্স ১০.৬ রয়েছে তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে। নেট অ্যাপ্লিকেশনের ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে বলা যায় যে, প্রায় ৯২ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমের বাজারে একচ্ছত্র রাজত্ব করে বেড়াচ্ছে মাইক্রোসফট।

২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে বাজারে এসছিলো উইন্ডোজ ৭। ঠিক ৩ বছর পর ২০১২ সালের অক্টোবর মাসেই বাজারে আসছে মাইক্রোসফটের সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮। ২৬ অক্টোবর থেকে বিক্রি শুরু হবে উইন্ডোজ ৮-এর। একই সঙ্গে ট্যাবলেট কম্পিউটার এবং ডেস্কটপ পিসিতে চলবে উইন্ডোজ ৮। উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা এবং ৭-এর ব্যবহারকারীরা তাদের অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮-এ আপডেট করতে পারবেন ৩৯.৯৯ ডলারের বিনিময়ে।




অনুভূতি ফিরিয়ে দিলো স্টেম সেল

অনুভূতি ফিরিয়ে দিলো স্টেম সেল

পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীর শরীরে অনুভূতি ফিরিয়ে দিলো স্টেম সেল। নিউরাল স্টেম সেল বা স্নায়বিক স্টেম সেলের বদৌলতে ক্ষতিগ্রস্ত মেরুদণ্ডের কারণে পঙ্গত্বের শিকার দুই ব্যক্তি আংশিকভাবে হলেও ফিরে পেয়েছেন শারীরিক অনুভূতি। খবর নিউ সায়েন্টিস্ট-এর।

পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের শরীরে স্টেম সেলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণার কাজটি করছে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘স্টেমসেলস’। পঙ্গু হয়ে যাওয়া তিন ব্যক্তির মেরুদণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে সরাসরি ২ কোটি স্টেম সেল পুশ করেন বিজ্ঞানীরা। নতুন স্টেম সেলগুলোকে প্রত্যাখান করা ঠেকাতে ইমিউনোসাপ্রেসিভ ওষুধও নিতে হয় রোগীদের।

প্রথমে তাদের অবস্থার কোনো পরিবর্তন না হলেও স্টেম সেল থেরাপির ৬ মাস পর দেহের নিচের অংশে আংশিক অনুভূতি ফিরে তিন জন রোগীর মধ্যে দুই জনের। স্পর্শ এবং উষ্ণতা অনুভব করেন তারা শরীরের পঙ্গু হয়ে যাওয়া অংশে।

এ ব্যাপারে স্টেমসেলের স্টিফেন হান বলেন, ‘২ জন রোগী এখন স্পর্শ এবং উষ্ণতা অনুভব করতে পারছেন, যা সত্যিই বিস্ময়কর। শরীরের সুস্থ অংশগুলোর মতোই, অনুভূতির অনেকটাই ফিরে এসেছে শরীরের পঙ্গু অংশে।’

ওই ৩ রোগীর স্টেম সেল চিকিৎসা হয় সুইজারল্যান্ডের বালগ্রিস্ট ইউনিভার্সিটি হসপিটালে। রোগীদের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা আরমিন কার্ট বলেন, ‘আমাদের রোগীরা তাদের দেহের পঙ্গু অংশে অনুভূতি ফিরে পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের ডেটাগুলো এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও, পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে স্টেম সেল যে বড় ধরনের অবদান রাখছে, তা নিশ্চিত।’

পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে চলমান স্টেম সেল গবেষণার প্রথম ধাপে স্টেম সেল থেরাপি পান ওই তিন রোগী। মোট ১২ জন পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তির শরীরে স্টেম সেলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা চালানো হবে।


আইটিউনসের ওপর ক্ষেপেছেন ব্রুস উইলিস

আইটিউনসের ওপর ক্ষেপেছেন ব্রুস উইলিস

আইটিউনসের ওপর ক্ষেপেছেন হলিউডি অভিনেতা ব্রুস উইলিস। এমনকি আইটিউনস এবং অ্যাপলের বিরুদ্ধে নাকি আইনানুগ ব্যবস্থা নেবার কথাও ভাবছেন ডাই হার্ড খ্যাত এই অভিনেতা। খবর দি ডেইলি মেইল-এর।

সূত্র জানিয়েছে, অ্যাপলের আইটিউনস থেকে কেনা গানগুলো নিজের সন্তানদের উইল করে দিতে পারবেন না বলেই নাকি ক্ষেপেছেন উইলিস। আইটিউনস থেকে কোনো গান কিনলে আদতে তার মালিক হয়ে যান না ক্রেতা। বরং অনেকটা গানগুলো শোনার জন্য লাইসেন্স করিয়ে নেয়ার মতো হয় ব্যাপারটি। আইটিউনসের এই পন্থার কারণে, চাইলেও নিজের সম্পদের মতো গানগুলো প্রিয়জনকে উইল করে দেয়া সম্ভব নয়।

এ কারণেই নাকি অ্যাপল এবং আইটিউনসের ওপর ক্ষেপেছেন উইলিস। ডেইলি মেইল জানিয়েছে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেবার কথাও নাকি ভাবছেন এই হলিউডি অ্যাকশন হিরো।

তবে এই অভিনেতার স্ত্রী এমা হেমিং বলছেন ভিন্ন কথা। এক টুইটার পোস্টে হেমিং লেখেন, ‘এটা সত্য নয়।’

রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১২

দুনিয়ার যতো বাজে নামের ওয়েবসাইট

দুনিয়ার যতো বাজে নামের ওয়েবসাইট

নতুন ওয়েবসাইটের জন্য ভালো একটি অ্যাড্রেস নির্ধারণ খুবই কঠিন কাজ। ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস নির্ধারণের প্রথম সমস্যা হচ্ছে, ভালো অ্যাড্রেসগুলো দখল হয়ে গেছে আগেই। তার ওপর ওয়েবসাইট অ্যাড্রেসে ব্যবহার করা যায় না স্পেস। ফলে অনেকসময়ই শখের ওয়েবসাইটের নাম পাল্টে এমন উদ্ভট হয়ে দাঁড়ায় যে, না হেসে উপায় থাকে না।

এমন উদ্ভট নামের ওয়েবসাইটের একটি তালিকা তৈরি করেছে টেকলগঅন ডটকম। তাদের তৈরি সবচেয়ে বাজে নামের ওয়েবসাইটের তালিকার কয়েকটি হচ্ছে-

হু রিপ্রেসেন্টস (Who Represents) – সেলিব্রিটিদের যোগাযোগের তথ্য দেয় ওয়েবসাইটটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.whorepresents.com। একটু খোয়াল না করলেই মনে হবে সাইটটির নাম হোরপ্রেজেন্টস ডট কম!

থেরাপিস্ট ফাইন্ডার (Therapist Finder) – ফ্যামিলি এবং ম্যারেজ থেরাপিস্টদের ঠিকানা যোগান দেয় ওয়েবসাইটটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.therapistfinder.com। খেয়াল করে দেখুন, নামটি যেনো দি রেপিস্ট ফাইন্ডার ডট কম!

পাওয়ারজেন ইটালিয়া (Powergen Italia) – ইটালির একটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানির ওয়েবসাইট এটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.powergenitalia.com। মনে হয় যেনো পাওয়ার জেনিটালিয়া ডট কম!

মোল স্টেশন নেটিভ প্ল্যান্ট নার্সারি (Mole Station Native Plant Nursery) – অস্ট্রেলিয়ার এক নার্সারির ওয়েবসাইট এটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.molestationnursery.com। নামটি দাঁড়িয়ে গেছে, মোলেস্টেশন নার্সারি ডট কম!

এক্সপার্টস এক্সচেঞ্জ (Experts Exchange) – বইয়ের পোকাদের জন্য এই ওয়েবসাইটটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.expertsexchange.com। যৌনতার সঙ্গে কোনো সম্পর্কই নেই সাইটটির। অথচ নামটি মনে হয় এক্সপার্ট সেক্স চেঞ্জ ডট কম!

স্পিড অফ আর্ট (Speed Of Art) – আদতে আর্ট ডিজাইন বিষয়ক ওয়েবসাইট এটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.speedofart.com। একটানে পড়ে গেলে মনে হতে পারে স্পিডোফার্ট ডট কম!

লেক টাহোই ট্যুরিজম (Lake Tahoe tourism) – লেক টাহোই এর ট্যুরিজম বিষয়ক ওয়েবসাইট এটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.gotahoe.com। নামটি যেনো গো-টা হো ডট কম!

চিলড্রেনস লাফটার ফাউন্ডেশন (The Children’s Laughter Foundation) – শিশু নির্যাতন ঠেকানোর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্য তৈরি ওয়েবসাইটের নাম হিসেবে এরচেয়ে বাজে নাম যে আর হতে পারে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.childrenslaughter.com। ভয়াবহ রূপ নিয়েছে নামটি। হয়ে গেছে চিলড্রেন স্লটার ডট কম!


২০০০ বছরের প্রাচীন যোদ্ধার দেহাবশেষ মিলল ইউরোপে

২০০০ বছরের প্রাচীন যোদ্ধার দেহাবশেষ মিলল ইউরোপে

ডেনমার্কের এক জলাভূমিতে খোঁজ মিলেছে ২০০০ বছরের পুরনো যোদ্ধাদের দেহাবশেষের। জলাটিতে খনন করে দুই হাজার বছরের পুরনো যোদ্ধাদের মাথার খুলি, কেটে দু’ভাগ করা উরুর হাড় ছাড়াও যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত কুড়াল, বর্শা, মুগুর ও ঢাল খুঁজে পেয়েছেন প্রত্নত্তাত্ত্বিকরা। খবর লাইভ সায়েন্স-এর।

ডেনমার্কের ইস্ট জুটল্যান্ডের একটি জলাভূমিতে মানুষের শরীরের হাজার বছরের পুরনো হাড়ের খোঁজ মিলছিলো গত কয়েক দশক ধরেই। পরে ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে ওই এলাকায় খননকাজ চালান প্রত্নত্তাত্ত্বিকরা। এতে জলাভূমির কাঁদার ৬ দশমিক ৬ ফিট নিচে মানব হাড়ের সন্ধান পেয়েছেন তারা।

খননকারীরা আশা করছেন, জলাভূমির কাঁদার নিচ থেকে খুড়ে বের করা দেহাবশেষ এবং যুদ্ধাস্ত্রগুলো থেকে ওই যোদ্ধারা আদাতে কারা ছিলো এবং কোথা থেকে তারা এসেছিলো তা নির্ণয় করা যাবে।

খননকাজ চালানো হচ্ছে প্রায় ৪০ হেক্টর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা জলাভূমিতে। খননকাজের পরিচালক স্ক্যান্ডেনবোর্গ মিউজিয়ামের ফিল্ড ডিরেক্টর এজভিন্ডজ হার্টজ জানিয়েছেন, প্রতিদিনই নতুন নতুন প্রত্নত্তাত্ত্বিক নিদর্শনের খোঁজ পাচ্ছেন তারা।

ভূতাত্ত্বিকরা মনে করছেন, দুই হাজার বছর আগে ওই জায়গাটিতে একটি লেক ছিলো। লেকটির ছোট্ট একটি বেসিনে জমা করা হয়েছিলো যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারানো যোদ্ধাদের মৃতদেহ।

তথ্য চুরি করতে এবার মানব ব্রেইন হ্যাকিং!

তথ্য চুরি করতে এবার মানব ব্রেইন হ্যাকিং!

হ্যাক করা সম্ভব মানব মস্তিষ্ক! শুধু তাই নয়, যে কোনো ব্যক্তির ব্রেইন হ্যাক করে চুরি করা সম্ভব তার ব্যক্তিগত গোপন সব তথ্য। খবর ই সায়েন্স নিউজ-এর।

মানুষের মস্তিষ্ক হ্যাক করে গোপন তথ্য চুরি করা যে সম্ভব, সম্প্রতি তার প্রমাণ দিয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড এবং ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানীরা। আর এ কাজে বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেছেন, স্বল্পমূল্যের ইমোটিভ ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেস বা ইমোটিভ বিসিআই।

বিজ্ঞানীদের গবেষণায় সহযোগিতা করেন একাধিক স্বেচ্ছাসেবক। ওই স্বেচ্ছাসেবকদের কয়েকজনকে ইমোটিভ বিসিআই হেডসেট পরিয়ে কম্পিউটারের সামনে বসিয়ে দেন বিজ্ঞানীরা। এরপর মস্তিষ্কের পি৩০০ সিগন্যাল অনুসরণ করে সংগ্রহ করেন স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন ব্যক্তিগত গোপন তথ্য।

ইমোটিভ বিসিআই ব্যবহার করে স্বেচ্ছাসেবকদের মস্তিষ্ক থেকে সংগ্রহ করা ডেটা থেকে খুব সহজেই তাদের ঠিকানা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং কার্ড পিন নম্বর খুঁজে বের করে ফেলেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা আশংকা করছেন, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আগামীতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর হ্যাকিং চালাতে পারে নানা অশুভ শক্তি।

৬৯০০ কিলোমিটার গতিতে উড়বে ওয়েভরাইডার

৬৯০০ কিলোমিটার গতিতে উড়বে ওয়েভরাইডার

ম্যাক ৬ বা ঘণ্টায় ৬৯০০ কিলোমিটার গতিতে আকাশে উড়বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন হাইপারসনিক জেট ওয়েভরাইডার। এই গতিতে এক ঘণ্টারও কম সময়ে নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডনে পৌঁছানো সম্ভব। বুধবার প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর টেস্ট ফ্লাইটে ম্যাক ৬ গতি অর্জন করার কথা রয়েছে ওয়েভরাইডারের। খবর বিবিসির।

২০১১ সালের জুন মাসের এক টেস্ট ফ্লাইটে ম্যাক ৬ গতিতে উড়ার লক্ষমাত্রা স্পর্শ করতে না পারলেও ম্যাক ৫ গতিতে উড়েছিলো ওয়েভরাইডার। এবার সে অপ্রাপ্তি ঘোঁচানো সম্ভব হবে বলেই আশা হাইপারসনিক জেটটির নির্মাতার।

প্রথমে একটি মিলিটারি বি-৫২ বোম্বার প্লেনের ডানায় চড়ে মাটি থেকে ৫০ হাজার ফিট উচ্চতায় পৌঁছাবে এক্স-৫১ ওয়েভরাইডার। বি-৫২ থেকে ৪ সেকেন্ডের ফ্রি-ফলের পর চালু হয়ে যাবে ওয়েভরাইডারের ইঞ্জিন। এরপর নিজের ইঞ্জিনের ওপর নির্ভর করে ৭০ হাজার ফিট উঁচুতে পৌঁছাবে ওয়েভরাইডার এবং ম্যাক ৬ গতিতে ছুটা শুরু করবে।

মূলত মার্কিন সামরিক বাহিনীর ব্যবহারের জন্যই ওয়েভরাইডার নিয়ে কাজ করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ওয়েভরাইডারের প্রযুক্তি ভবিষ্যতের মিসাইলে ব্যবহার করার লক্ষ্য রয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী ও নাসার।

তবে ইউরোপিয়ান অ্যারোস্পেস এবং ডিফেন্স জায়ান্ট ইএডিএস বলছে, অদূর ভবিষ্যতেই অভিষেক হবে হাইপারসনিক প্যাসেঞ্জার ফ্লাইটের। ২০১১ সালে দেখানো ইএডিএস-এর কনসেপ্ট অনুযায়ী ম্যাক ৪ গতিতে উড়বে বানিজ্যিক ধারার হাইপারসনিক অ্যারোপ্লেনগুলো।

বৃটিশ সরকারি ওয়েবসাইট আক্রমণ করছে অ্যানোনিমাস

বৃটিশ সরকারি ওয়েবসাইট আক্রমণ করছে অ্যানোনিমাস

বৃটিশ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইটের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে হ্যাকিং গ্রুপ অ্যানোনিমাস। উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে লন্ডনের ইকুয়েডোরিয়ান এম্বাসি থেকে গ্রেপ্তার করে সুইডিশ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেবার চেষ্টা করায় বৃটিশ সরকারের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে হ্যাকিং গ্রুপটি। খবর দি গার্ডিয়ান-এর।

বৃটিশ সরকারি ওয়েবসাইটগুলোর বিরুদ্ধে অ্যানোনিমাস তাদের অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন ফ্রি অ্যাসাঞ্জ’। ইতোমধ্যেই বৃটিশ সরকারের হোম অফিস, জাজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এবং ডিমার্টমেন্ট অফ ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশনের ওয়েবসাইট হ্যাক করার দাবিও করেছে অ্যানোনিমাস।

তবে বৃটিশ হোম অফিসের একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন, হ্যাক হয়নি হোম অফিসের ওয়েবসাইট। হ্যাকাররা ওয়েবসাইটটি হ্যাক করবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে বলেই জানিয়েছে হোম অফিস কর্তৃপক্ষ।

এদিকে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে বৃটিশ এবং ইকুয়েডর সরকারের মধ্যে চলছে টান টান উত্তেজনা। লন্ডনের ইকুয়েডর অ্যাম্বাসিতে আশ্রয় নিয়েছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। কূটনৈতিক রীতি ভেঙ্গে বৃটিশ সরকার ইকুয়েডর এম্বাসি থেকে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করায় হুমকির মুখে পড়েছে বৃটিশ সরকারের সঙ্গে ইকুয়েডরের কূটনৈতিক সম্পর্ক।

ফিনল্যান্ডে মোবাইল ফোন ছোড়ার প্রতিযোগিতা!

ফিনল্যান্ডে মোবাইল ফোন ছোড়ার প্রতিযোগিতা!

সম্প্রতি ফিনল্যান্ডে হলো মোবাইল ফোন ছোড়ার অভিনব এক প্রতিযোগিতা। আর এতে পুরনো একটি নোকিয়া মোবাইল ফোন সবচেয়ে দূরে ছুড়ে দিয়ে পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ফিনিশ কিশোর ইরে কারজালাইনেন। খবর রয়টার্স-এর।

গ্রীস্মে ওয়াইফ ক্যারিয়িং বা স্ত্রীকে কাঁধে নিয়ে দৌড়াবার মতো নানা মজার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন ফিনিশরা। সেরকমই একটি প্রতিযোগিতা ছিলো মোবাইল ফোন থ্রোয়িং কনটেস্ট।

৫০ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে এই প্রতিযোগিতার শিরোপা জেতেন ইরে কারজালাইনেন। আর এ কাজটি তিনি করেন নিজের পুরনো নোকিয়া মোবাইল ফোনটি ১০১ দশমিক ৪৬ মিটার দূরে ছুড়ে পাঠিয়ে।

প্রতিযোগিতাটিতে ইরা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন ইংল্যান্ড আর ইন্ডিয়ার মতো দূর দূরান্ত থেকে আসা ৫০ জন প্রতিযোগীর সঙ্গে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, লন্ডন অলিম্পিকে বর্শা ছোড়ার প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক জিতেছিলো যে বর্শাটি, তা মোটে ১৭ মিটার দূরত্ব পেরিয়েছিলো। আর ইরার ছোঁড়া পুরনো নোকিয়া মোবাইল ফোনটি পেরোয় ১০১.৪৬ মিটার। অলিম্পিকে যদি মোবাইল ফোন ছোড়ার কোনো ইভেন্ট থাকতো, তবে স্বর্ণপদকটি হয়তো ইরার দখলেই চলো যেতো!

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কোডাক

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কোডাক

ফটোগ্রাফি শিল্পের প্রথমদিককার প্রতিষ্ঠান কোডাক স্টিল ক্যামেরায় ব্যবহৃত ফিল্ম ও ফটোপেপার বিক্রি বন্ধ করে দেবে। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যেই ডিজিটাল ক্যামেরা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে এবং জানিয়েছে স্টিল ফিল্মের চাহিদা কমে যাওয়ায় তারা এখন ঋণের দায়ে জর্জরিত। খবর বিবিসির।

আর্থিক মন্দাবস্থা কাটাতে ফান্ড গড়ার উদ্দেশ্যে ১১০০ ডিজিটাল ইমেজিং পেটেন্ট বিক্রি করার জন্য আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে কোডাক। গুগল এবং অ্যাপল প্রাথমিকভাবে পেটেন্টগুলো ক্রয়ের উদ্যোগ নিলেও সামসাং, এলজি এবং এইচটিসি কনসোর্টিয়াম তৈরির মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সূত্রে জানা গেছে, কোডাকের বর্তমান আর্থিক মূল্য প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার হলেও কোডাকের নিজস্ব হিসাবে তা ২৬০ কোটি মার্কিন ডলার ছিল।

সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে কোডাক জানিয়েছে, এ বছরের প্রথম ছয় মাসে তাদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৬৬ দশমিক ৫ কোটি মার্কিন ডলার। এ ছাড়াও ক্ষতির মুখে তারা সিনেমার ফিল্ম তৈরির সরঞ্জাম ও ব্যবহৃত কেমিক্যালের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বৃটিশ জার্নাল অফ ফটোগ্রাফি এ খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জার্নালটির নিউজ এডিটর অলিভিয়ার লারেন্ট জানিয়েছেন, প্রফেশনাল ফটোগ্রাফিতে এখনো অনেক ফটোগ্রাফার স্টিল ক্যামেরার সাহায্যে ছবি তোলেন। ভালো স্ক্যানার ব্যবহার করে ফিল্মে তোলা ছবি থেকে অধিকাংশ ডিজিটাল ক্যামেরার তুলনায় হাজারগুণ ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায় বলে দাবি করেছেন তিনি।

ব্রিস্টলে চলছে রোবট অলিম্পিক

ব্রিস্টলে চলছে রোবট অলিম্পিক

লন্ডন অলিম্পিক জ্বর ছাড়তে না ছাড়তেই ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলে শুরু হয়েছে রোবটদের অলিম্পিক গেইমস হিসেবে খ্যাত ‘ফিরা রোবো ওয়ার্ল্ড কাপ’। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ২৬টি দল অংশ নিচ্ছে এই রোবট অলিম্পিকে। এবার প্রথমবারের মতো রোবো ওয়ার্ল্ড কাপের আয়োজক হয়েছে ইংল্যান্ড। খবর টেলিগ্রাফ-এর।

ফিরা ওয়ার্ল্ড কাপে ফুটবল, বাস্কেটবল এবং ওয়েটলিফটিংয়ের মতো নানা ইভেন্টে অংশ নিচ্ছে রোবটগুলো। এর মধ্যেই রোবট দুনিয়ার বেশ কয়েকটি রেকর্ডও ভেঙ্গে গেছে রোবো ওয়ার্ল্ড কাপে।

রোবো ওয়ার্ল্ড কাপেও আছেন এবারের রেকর্ড করা উসাইন বোল্টের মতো অ্যাথলিট। তবে রোবো ওয়ার্ল্ড কাপের উসাইন বোল্টের জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নয়, সিঙ্গাপুরে। ইভেন্টটির আয়োজক ড. গুইডো হারমান জানিয়েছেন, রোবট স্প্রিন্টে ৪২ সেকেন্ডের রেকর্ডটি ভেঙ্গে দিয়েছে টিম সিঙ্গাপুরের রোবটটি। মাত্র ৩১ সেকেন্ড দৌড়ে রোবটটি তৈরি করেছে নতুন রেকর্ড।

তবে রোবো অলিম্পিকে পুরো ১০০ মিটার দৌড়াতে হয়না রোবটদের। কেবল ৩ মিটার ট্র্যাকে যাওয়া এবং ফেরত আসার মাধ্যমেই শেষ হয়ে যায় রোবট স্প্রিন্ট ইভেন্ট।

ড. হারমান আরো জানিয়েছেন, এবারের রোবো ওয়ার্ল্ড কাপের ওয়েট লিফটিং ইভেন্টেও যে নতুন রেকর্ড হবে তা নিশ্চিত। ওয়েট লিফটিং ইভেন্টের জন্য ব্যবহার করা হয় ডিভিডি ডিস্ক। রোবট দুনিয়ায় একসঙ্গে ৮৯টি ডিভিডি উত্তোলনের রেকর্ড রয়েছে। তবে ড. হারমান জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই ট্রেইনিংয়ের সময় ১০০টিরও বেশি ডিভিডি উত্তোলন করেছে বেশ কয়েকটি রোবট।

রেসকোর্স আর ওয়েট লিফটিং-এ রেকর্ড ভাঙ্গা-গড়া চললেও রোবো ওয়ার্ল্ড কাপের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইভেন্ট হচ্ছে ফুটবল। তবে প্রতিটি ইভেন্টেই প্রতিযোগী রোবটগুলোর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে বলেই জানিয়েছেন আয়োজক ড. হারমান।


এবার মঙ্গলে অ্যাংরি বার্ডস

এবার মঙ্গলে অ্যাংরি বার্ডস

মঙ্গল অভিযানে নামছে অ্যাংরি বার্ডস। অ্যাংরি বার্ডস নির্মাতা রোভিও জানিয়েছে, জনপ্রিয় গেইম ‘অ্যাংরি বার্ডস স্পেস’-এর নতুন আপডেটটি গেইমারদের খেলতে হবে রেড প্ল্যানেট হিসেবে খ্যাত মঙ্গলের বুকে। খবর এবিসি নিউজ-এর।

অ্যাংরি বার্ডস স্পেসের নতুন আপডেটটির ট্রেইলার তৈরিতে রোভিও পেয়েছে নাসার সহযোগিতা। ট্রেইলারটিতে ব্যবহার করা হয়েছে নাসার মার্স রোভার কিউরিওসিটির করা ভিডিওর কিছু অংশ। বিভিন্ন লেভেলেও গেইমাররা পাবেন নাসার স্পেসক্র্যাফট ব্যবহারের সুযোগ।

এ ব্যাপারে নাসার অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ফর কমিউনিকেশন ডেভিড উইভার বলেন, ‘নাসার মার্স মিশন সম্পর্কে জানেন না এমন অনেকের কাছেই ব্যাপারটি সহজবোধ্য করে তুলে ধরছে রোভিও।’

নাসার সঙ্গে রোভিওর সম্পর্ক এবারই প্রথম নয়। মার্চ মাসে অ্যাংরি বার্ডস স্পেস বাজারে আসলে, গেইমটিতে ব্যবহার করা পদার্থবিজ্ঞানের বিষয়গুলো বুঝিয়ে দিয়েছিলেন নাসার ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার ডন পেটিট।

২৫ বছর পর লোগো বদলালো মাইক্রোসফট

২৫ বছর পর লোগো বদলালো মাইক্রোসফট

দুই দশকেরও বেশি পুরনো লোগোতে পরিবর্তন এনে নতুন সাজে সাজছে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ সফটওয়্যার নির্মাতা মাইক্রোসফট। ১৯৭৫ সালের পর এটা মাইক্রোসফটের লোগোর পঞ্চম সংস্করণ। মাইক্রোসফটের অফিসিয়াল ব্লগে তথ্যটি ঘোষণা করেন কোম্পানির ব্র্যান্ড স্ট্যাটিজির জেনারেল ম্যানেজার জেফ হ্যানসেন। খবর টেকট্রির।

উইন্ডোজ ৮, উইন্ডোজ ফোন ৮, অফিস সুইট এবং এক্সবক্স ৩৬০-এর মতো সবগুলো মাইক্রোসফট পণ্যেই ব্যবহার করা হবে নতুন লোগোটি।

ইতোমধ্যেই মাইক্রোসফটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চলে এসেছে নতুন লোগোটি। তবে পৃথিবীব্যাপী মাইক্রোসফট পণ্য বিক্রেতাদের কাছে নতুন লোগোসহ পণ্যগুলো পৌঁছুতে সময় লাগবে আরো কয়েক মাস।

ধারণা করা হচ্ছে, উইন্ডোজ ৮ এবং মাইক্রোসফটের নতুন লোগোসমৃদ্ধ পণ্যগুলো বাজারে আসবে একই সময়ে। মাইক্রোসফটের নতুন লোগোটির মিল রয়েছে উইন্ডোজ ৯৫-এ ব্যবহার করা লোগোটির সঙ্গে।




চলে গেলেন নেইল আর্মস্ট্রং

চলে গেলেন নেইল আর্মস্ট্রং

মারা গেলেন চাঁদে পা দেয়া প্রথম মানব সন্তান নেইল আর্মস্ট্রং। প্রয়াত এই মহাকাশযাত্রীর পরিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হৃৎপিণ্ডে অস্ত্রোপচারজনিত সমস্যায় ২৫ অগাস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮২ বছর বয়সি আর্মস্ট্রং। খবর বিবিসির।

‘অ্যাপোলো ১১’ মিশনের কমান্ডার হিসেবে আর্মস্ট্রং চাঁদের বুকে পা রাখেন ১৯৬৯ সালের ২০ জুন। ঐতিহাসিক ওই ঘটনাকে বলা হয় আর্মস্ট্রংয়ের একটি উক্তি দিয়েই, যা তিনি বলেছিলেন চাঁদে পা দিয়ে- ‘ওয়ান স্মল স্টেপ ফর ম্যান, ওয়ান জায়ান্ট লিপ ফর ম্যানকাইন্ড।’ বাংলায়- একজন ব্যক্তির জন্য (এটি) ছোট্ট এক পদক্ষেপ, (কিন্তু) মানবজাতির জন্য বড় একটি অগ্রগতি।’ সে সময় নেইল আর্মস্ট্রং এবং এডউইন অলড্রিন ৩ ঘণ্টা সময় কাটান চাঁদের বুকে।

অ্যাপলো ১১-ই ছিলো আর্মস্ট্রংয়ের শেষ স্পেস মিশন। ১৯৭১ সালে নাসা থেকে অবসর নেন এই কিংবদন্তী মহাকাশচারী। এরপর অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষক হিসেবেই কাটিয়ে দেন নিজের পেশাগত জীবন।

আর্মস্ট্রংয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ওবামা বলেন, ‘আর্মস্ট্রং কেবল তার সময়ের নয় বরং সর্বকালের শ্রেষ্ঠ আমেরিকান নায়কদের একজন।’

হৃৎপিণ্ডে ব্লক থাকার কারণে ৭ অগাস্ট অস্ত্রোপচারের টেবিলে যেতে হয়েছিলো কিংবদন্তী মহাকাশযাত্রীকে। আর্মস্ট্রংয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অস্ত্রোপচারের পরবর্তী  জটিলতার কারণে মারা যান তিনি।

বুধবার, ৮ আগস্ট, ২০১২

চল্লিশের আগেই সাকসেস আইকন

চল্লিশের আগেই সাকসেস আইকন

প্রভাবশালী বাণিজ্য সাময়িকী ফরচুন সম্প্রতি প্রকাশ করেছে ৪০জন ব্যবসা ব্যক্তিত্বের তালিকা, যাদের বিবেচনা করা হচ্ছে আগামী দিনের তারকা হিসেবেই। এই তালিকায় প্রথম তিন জনের তিন জনই আইটি বা তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত। গোটা তালিকাতেই প্রাধান্য রয়েছে প্রযুক্তির, আরো নির্দিষ্ট করে বললে, অনলাইন প্রযুক্তির তরুণ কুশলীদের। ফরচুনের সেই তালিকা থেকে প্রযুক্তি সেক্টরের ১১ জনকে নিয়ে এই আয়োজন।




Sergey Brin Larry Page

সার্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজ

গুগলের প্রতিষ্ঠাতা


বয়স: দুজনেরই বর্তমান বয়স ৩৬ বছর
বৈবাহিক অবস্থা: দুজনেই বিবাহিত
শিক্ষাগত যোগ্যতা: দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন।

হ্যাঁ, তাদের দুজনের বয়স এখন চল্লিশের নিচে অবস্থান করছে, কিন্তু দুজনের কাছেই রয়েছে সমান সম্পদ। ১৪ বিলিয়ন ডলারের মালিক এই দুজনেই।

তবে এ বছর তারা উভয়েই এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। এন্টিট্রাস্ট মামলায় তাদের প্রতিষ্ঠান গুগল এখন তদন্তের সম্মুখীন। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত সব লেখকের বই নিয়ে তারা করতে চেয়েছিলেন একটি অনলাইন লাইব্রেরি। এই লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হলে তা প্রকাশনার জগতে গুগলকে একচ্ছত্র আধিপত্য এনে দেবে, যা আমেরিকার প্রচলিত আইনের পরিপন্থী। পাশাপাশি রয়েছে কপিরাইট বিষয়ক বিভিন্ন ইস্যু, বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমে যাওয়ার আশঙ্কা এবং প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার চুক্তিভিক্তিক কর্মচারীকে ছাটাই করার সম্ভাব্য বাস্তবতা।

গুগল নামের কোম্পানিকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই দুজন- রাশিয়ায় জন্মগ্রহণকারী ব্রিন ও যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে জন্মগ্রহণকারী পেজ। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের থাকার এক ঘর থেকেই তাদের এই কোম্পানি- গুগলের জন্ম হয়। এখন যার বাজার মূল্য ১৭৪ বিলিয়ন ডলার। তারা দুজনে মিলে এখন মোবাইল যন্ত্র ও সফটওয়্যারও বানাচ্ছেন।

বিশেষ তথ্য: দুজনই এখনো একই অফিস ভাগাভাগি করে কাজ করেন।


MarkZuckerberg1027

মার্ক জুকারবার্গ

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা

বয়স ২৫
বৈবাহিক অবস্থা: অবিবাহিত।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠ মাড়িয়েছেন তবে পেরোননি।
হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ না করেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কের কাজ শুরু করেন। এই নেটওয়ার্কে এখন ৩০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী আছেন এবং ফেসবুকের বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এর মাঝে অনেক সোশ্যাল নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠান এসেছে আবার চলেও গেছে। জুকারবার্গ তার দর্শনে স্থীর রয়েছেন এবং তিনি আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগের এমন এক জগত তৈরি করেছেন যা আসলে আমাদের দৈনন্দিন সামাজিক যোগাযোগেরই প্রতিফলন।

২০০৮ সালে তিনি সিরিল স্যান্ডবার্গ নামের ৪০ বছরের এক মহিলাকে গুগল থেকে নিয়ে আসেন, উদ্দেশ্য আরো টাকা বানানো। এ বছর তাদের আয়ের লক্ষ্য গত বছরের দ্বিগুণ, অর্থাৎ ৫০০ মিলিয়ন ডলার।
বিশেষ তথ্য: ব্যবসায় প্রথম বিজনেস কার্ড ব্যবহার করতেন, তাতে পদমর্যাদা লেখা ছিল- আই অ্যাম সিইও, বিচ।



BizStone_EvanWilliam

বিজ স্টোন ও ইভান উইলিয়ামস

টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা

বয়স: ৩৫ ও ৩৭ বছর
বৈবাহিক অবস্থা: উভয়েই বিবাহিত
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কলেজ পর্যন্ত।

টুইটার হচ্ছে মাইক্রোব্লগিং বা ছোট আকারে নিজের কথা জানানোর একটি মাধ্যম। চার বছরের মাথায় কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই টুইটার সাইট ভিজিটরের সংখ্যা মাসে প্রায় ২১ মিলিয়নে এসে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যুৎগতিতে সংবাদ ছড়ানোর জন্য এটি এতো জনপ্রিয় মাধ্যমে পরিণত হয়েছে যে, এ বছর ইরানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এর প্রতিষ্ঠাতাদের অনুরোধ করে যেন সাইট দ্রুত আপডেট না করা হয়।

টুইটারে অবশ্য একটি জিনিসের অভাব রয়েছে, তা হলো- এটি এখনো বিজনেস মডেল হিসেবে দাঁড়ায়নি। এর প্রতিষ্ঠাতা, উইলিয়ামস ও স্টোন (এদের সাথে আরেকজন রয়েছেন, যার নাম জ্যাক ডোরসে, যিনি এখনো এর চেয়ারম্যান) খুব দ্রুত বড়লোক হতে চান না। তবে তারপরেও ইতোমধ্যেই তারা ১ বিলিয়ন মুল্যের সমান অর্থ জমা করে ফেলেছেন।
বিশেষ ঘটনা: উইলিয়ামস তার ব্লগ সার্ভিস ব্লগারডটকম ২০০৩ সালে গুগলের কাছে বিক্রি করে দেন।




MarcAndreessen1027

মার্ক অ্যান্ডারসন

নেটস্কেপ, অপসওয়্যার, নিং, অ্যান্ডারসন হরোইটজ এর প্রতিষ্ঠাতা

বয়স ৩৮
বৈবাহিক অবস্থা; বিবাহিত
শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক ডিগ্রি

উইসকনসিনবাসী এই ব্যক্তিটি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন, কারণ তিনি শুনেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পেরোনোর পর এরাই সবচেয়ে বেশি টাকা কামাই করে। তার এই হিসেব সত্য প্রমাণিত হয়েছে: ইলিনয় ইউনির্ভাসিটি থেকে বের হবার পাঁচ বছর পর, অ্যান্ডারসন তার প্রথম কাজ নেটস্ক্যাপ কমিউনিকেশন বিক্রি করে দেন এওএল-এর কাছে ৪.২ বিলিয়ন ডলারে।

এরপর তিনি দু'টি প্রতিষ্ঠান চালু করেন। সফটওয়ার প্রতিষ্ঠান ওপস ওয়্যার (২০০৭ সালে একে তিনি এইচপির কাছে বিক্রি করে দেন) এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম নিং।

বিশেষ তথ্য : চাপ মুক্ত হওয়ার জন্য তার হাতিয়ার কড়া অ্যালকোহল।



TimArmstrong1027

টিম আর্মস্ট্রং

সিইও, এওএল

বয়স-৩৮
বৈবাহিক অবস্থা-বিবাহিত
শিক্ষাগত যোগ্যতা- ব্যাচেলার ডিগ্রি বা স্নাতক ডিগ্রি
২০০০ সালে গুগলের এক বিক্রয় কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, সে কোম্পানির সার্চ বা অনুসন্ধান পাতায় বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে। আর্মস্ট্রং-এর মাথায় বিদ্যুৎচমকের মত এক চিন্তা খেলে যায়; যদি গুগলের বিজ্ঞাপন বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের সাইটে দেয়া যায়? এর ফলেই জন্ম নিল অ্যাডসেন্স নামের এক বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের, যার মুল্য এখন ৬ বিলিয়ন ডলার। এর সঙ্গে আর্মস্ট্রং-এর কপালে জুটে যায় আমেরিকায় গুগল সেলসের প্রধানের চাকরিটিও।
এ বছরের এপ্রিল মাসে এওএলের সিইও হওয়ার জন্য তাকে ডাকা হয়।
বিশেষ তথ্য : কম্পিউটার নিয়ে পড়ে থাকা এই ক্ষ্যাপাটের শখ; পাখি পর্যবেক্ষণ করা।




PonyMaHuateng1027

‘পনি’ মা হুয়াটেং

টেনসেন্টের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও

বয়স-৩৮
বৈবাহিক অবস্থা; বিবাহিত
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রি
কে বলেছে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক থেকে টাকা বানানো যায় না? মা এর ইন্টারনেট সাম্রাজ্যের নাম টেনসেন্ট। এটি চীনের শেনজেনে অবস্থিত। এই সাইটে প্রায় ৪৫ কোটি লোক ইনস্ট্যান্ট মেসেজ - বা তৎক্ষণাৎ বার্তা আদান প্রদান করার জন্য এখানে ঢোকেন। গত বছর এই সাইটের আয় ছিলো- ১ বিলিয়ন ডলার।
ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং যখন বাজারে আসে তখন তার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে মা এবং তার ছোটবেলার এক বন্ধু তাদের নিজস্ব সেবা কিউকিউ চালু করেন। সময়টা ছিলো ১৯৯৯ সাল। যখন তার সাইট বেশ জনপ্রিয়তা পায় তখন তিনি সেখানে পেইড সার্ভিস বা টাকার বিনিময়ে সেবা দিতে শুরু করেন। এর মধ্যে ছিলো গেমিং এবং ডেটিং সার্ভিসও।

এবছরের প্রথম ভাগে তার বিক্রি বেড়েছে ৭৮ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রায় ৭৮৮ মিলিয়ন ডলার। মা এর মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ৩.৬ বিলিয়ন ডলার।

বিশেষ তথ্য : তার ডাকনাম পনি বা টাট্টু ঘোড়া (চীনা ভাষায় ‘মা’ মানে টাট্টু ঘোড়া)


MarissaMayer1027

মারিসা মায়ার

গুগল সার্চ, প্রডাক্ট ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট

বয়স-৩৪ বছর
বৈবাহিক অবস্থা: এখনো বিয়ে করেননি তবে বাগদান হয়ে গেছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাস্টার্স ডিগ্রি
মায়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সিম্বলিক সিস্টেম বিষয়ে পড়ার সময় পড়াশোনার ইতি ঘটান। এতে তার বাবা-মা খুব একটা শংকিত হননি। কিন্তু তারা শংকিত হয়ে উঠেন তখনই যখন, মায়ার ম্যাক কিনসের একটি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। সে প্রস্তাবটি গ্রহণ করলে মায়ার হতেন ওই প্রতিষ্ঠানের নয় নাম্বার কর্মচারী ও প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার- নতুন প্রতিষ্ঠিত ওই প্রতিষ্ঠানের নাম ছিলো গুগল।
এক দশক পর মায়ার সেই গুগলের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট। যার মানে তিনি প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার আয় করা এই প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০০ ওয়েব প্রোডাক্ট দেখাশোনা করেন। এর মধ্যে রয়েছে গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে শুরু করে গুগল নিউজ পর্যন্ত।

বিশেষ তথ্য : ‘সব সময় কাজে দেরি করে ফেলি’।



MaxLevchin1027

ম্যাক্স লেভচিন

পেপালের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, ও স্লাইড ডট কম এর প্রতিষ্ঠাতা

বয়স -৩৪ বছর
বৈবাহিক অবস্থা: বিবাহিত
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক

ইউক্রেনে জন্মগ্রহণকারী লেভিচিন যখন ২৩ বছর তখন সে পালো অ্যালটোর পথে পা বাড়ায়। সেখানে তিনি এক বিনিয়োগকারীকে খুঁজে বের করেন যে লেভিনের নতুন আইডিয়ার পিছনে বিনিয়োগ করতে পারবে। এর মাধ্যমেই জন্ম নেয় অনলাইনে টাকা প্রদান করার প্রথম পদ্ধতি যার নাম পেপাল.কম। যখন ই-বে এটি কিনে নেয় ১.৫ বিলিয়ন ডলারে তখন লেভিচিন তার নিজের ব্যাংকে ভরেন ৩৪ মিলিয়ন ডলার।
তার নতুন অভিযান স্লাইড.কম। এখনও এটি বাজারে ততোটা হৈচৈ ফেলেনি। তবে স্লাইড ও তার অন্য প্রকল্পগুলো, যেমন ইয়েল্প ডট কম এর উপর নজর রাখা হচ্ছে লেভচিনের সৃজনশীলতার জন্যই।
বিশেষ তথ্য : তিনি গসবেক লেভচিন ফ্রড টেস্টের উদ্ভাবক। অনলাইনে কোন আর্থিক লেনদেন বা অ্যাকাউন্ট খোলার সময় স্ক্রিনে ডিসপ্লে করা টেক্সট একটি বিশেষ বক্সে টাইপ করতে হয়, তিনি এই সিস্টেমের উদ্ভাবক।



TonyHsieh1027

টনি হিস

জাপ্পোস ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা

বয়স:৩৫
বৈবাহিক অবস্থা : সিঙ্গল
শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক ডিগ্রি

হার্ভার্ডে পড়ার সময় হিস পিজা বিক্রি করতেন এবং তার প্রথম কোম্পানি এড নেটওয়ার্ক লিঙ্ক এক্সচেঞ্জ মাইক্রোসফটের কাছে ২৬৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেছিলেন। সে সময় তার বয়স ছিলো ২৪ বছর। এরপর তিনি অনলাইনে জুতোর বাজার জাপ্পোসে উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৯৯ সালে এই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেন। পরের বছর তিনি তার সিইও বা প্রধান হন।
তিনি এই প্রতিষ্ঠানের বিক্রি ১.৬ মিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ বিলিয়নে নিয়ে আসেন। মূলত গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের মাধ্যমেই এই সফলতা অর্জন করেন তিনি। জুলাই মাসে আমাজন ঘোষণা দেয় তারা ৮৫০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে তার প্রতিষ্ঠানটিকে কিনে নিচ্ছে।

বিশেষ তথ্য : নতুন রিক্রুট করা সব কর্মীকে ট্রেনিংয়ের সময় তিনি প্রস্তাব দেন ওই মুহুর্তে চাকরী ত্যাগ করলে দুই হাজার ডলার দেয়া হবে। এতে, তার ভাষায়, প্রকৃত কর্মী বাছাই করা যায়।



DannyRimer1027

ড্যানি রিমার

ইনডেক্স ভেঞ্চার্সের অন্যতম মালিক

বয়স-৩৯
বৈবাহিক অবস্থা- বিবাহিত
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রি

বসবাস লন্ডনে কিন্তু তার জন্ম কানাডায়। তিনি সিলিকন ভ্যালির অন্যতম সফল ভাইস চেয়ারম্যান। ইবে ২.৬ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেয়ার এক বছর আগে তিনি স্কাইপিতে বিনিয়োগ করেন। ভয়েস পোর্টাল বা ভিওআইপি সাইট টেলমির জন্য তিনি প্রথম বিনিয়োগ করেন। পরে ২০০৭ সালে এটি মাইক্রোসফটের কাছে ৮০০ বিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দেন।

তার বানানো ইন্টারনেট রেডিও সাইট লাস্ট ডট এফএম সিবিএসের কাছে ২৮০ মিলিয়নে বিক্রি হয়েছে এবং তার ওপেন সোর্স ডাটাবেজ মাইএসকিউএল ১ বিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে সান মাইক্রোসফটের কাছে।
পরবর্তী চাল: তিনি এখন ক্লাউড কম্পিউটিং বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছেন এবং ই-কমার্সকে উন্নত করার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। বকু নামের মোবাইলে বিল পরিশোধের পদ্ধতি ও অনলাইনে টিকেট বদল করার পদ্ধতি ভায়াগোগো ডেভেলপ করছেন।




GinaBianchini1027

জিনা বিয়াঞ্চিনি

নিং এর প্রধান

বয়স ৩৭
বৈবাহিক অবস্থা: বিবাহিত
শিক্ষাগত যোগ্যতা : মাস্টার্স ডিগ্রি
৯০ এর দশকের শুরুতে তিনি প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর আইপিও (প্রাথমিক শেয়ার) বিষয়ে কাজ করতে শুরু করেন বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকস-এ। এর পর তিনি তার এক ক্লায়েন্টের সঙ্গে ডিজিটাল কনসালটেন্সি ফার্ম হারমোনিক কমিউনিকেশন্স প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৩ সালে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ডেনসুর কাছে একে বিক্রি করে দেওয়া হয়। তবে এর আগেই তিনি হারমোনিক কমিউনিকেশন্সের আরেক ডিরেক্টর মার্ক এন্ড্রিসনের সঙ্গে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট নিং এর পরিকল্পনা করেন। এটি এমন এক প্ল্যাটফর্ম যা তার ব্যবহারকারীকে নিজস্ব সোশ্যাল নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সাহায্য করে।
নিং এর এখন প্রায় ৫২ মিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে। গত বছর তার মুল্য ৬০ মিলিয়ন বেড়ে মোট ৫০০ মিলিয়নে এসে দাঁড়িয়েছে। বিয়াঞ্চিনি এখন প্রতিদিনের কাজগুলো দেখাশোনা করেন এবং এন্ড্রিসেন এ প্রতিষ্ঠানে একজন উপদেষ্টা হিসেবে আছেন।




বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/বিজয়/এইচবি/এইচআর/অক্টোবর ২৭/০৯




গুগল'র বর্তমান সভাপতি সারজি ব্রিন

brin.gifগুগল প্রযুক্তির বর্তমান সভাপতি এবং সহ প্রতিষ্ঠাতা সারজি ব্রিন প্রযুক্তি জগতের এক বরেন্য ব্যাক্তিত্ব। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াকালীন সারজি ব্রিন ইন্টারনেট সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এই সময় তিনি ল্যারি পেইজের সঙ্গে মিলে তৈরি করেন বিজ্ঞানভিত্তিক টেক্সট যা ওয়েব সাইটে সহজে পাঠানো যায়। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক করার সময় ল্যারি পেইজের সাথে মিলে একটি খসড়া তৈরি করেন যার নাম দেন 'বৃহৎ আকারের হাইপারটেক্সটচুয়াল ওয়েব সার্স ইঞ্জিন'। বর্তমান গুগল প্রযুক্তির ভিত্তি তখন থেকেই গড়ে উঠে।

প্রযুক্তি জগতের অন্যতম এই কর্ণধার ১৯৭৩ সালে ২১ আগস্ট রাশিয়ার মস্কোতে জন্মগ্রহণ করেন। গণিতবিদ ও অর্থনীতিবিদ বাবা মাইকেল ব্রিন ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের একজন স্বনামধন্য অধ্যাপক ছিলেন। সারজী ব্রিনের যখন ছয় বছর বয়স তখন তারা অভিবাসি হয়ে আমেরিকায় চলে আসেন। ১৯৭৩ সালে ব্রিন ম্যারিল্যান্ডের পেইন্ট মন্টেসুরি স্কুলে পড়াশোনা জীবন শুরু করেন। ছোট কাল থেকে ব্রিনের গণিতের প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ ছিল। পরিবার তাকে এই ব্যাপারে যথেষ্ট সহযোগিতা করে। ১৯৯০ সালে ব্রিন ভর্তি হন কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং গণিতে। ১৯৯৩ সালে মে মাসে বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন সায়জি ব্রিন।

ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা চলিয়ে যাওয়ার সময় তিনি পিএইডডি করার জন্য প্রস'তি নেন। যদিও তিনি পরে পিএইচডি লাভে ব্যর্থ হন। সারজি ব্রিন বিখ্যাত ডি এমপ্রিসা ইনস্টিটিউট থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

brin1.gif সারজি ব্রিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম ধনী এবং তার স্থান ছাব্বিশতম । তার সম্পদের পরিমাণ আঠারো দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার। ল্যারি পেইজের সাথে মিলে ব্রিন বোয়িং ৭৬৭ বিমান ক্রয় করেন। এটি তাদের ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক দুই কাজেই ব্যবহার করা হয়। বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত এই বিমানটি পঞ্চাশ জন যাত্রী বহনে সক্ষম।

বিখ্যাত চলচিত্র 'ব্রোকেন অ্যারো' এর নির্বাহী প্রযোজক ব্রিন এর মিডিয়াতেও রয়েছে সরব উপসি'তি। ২০০৪ সালে এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ সারজি ব্রিনকে 'পারসন অফ দি উইক' ঘোষণা করে। ২০০৫ সালে ব্রিন অন্যতম 'ইয়াং গ্লোবাল লিডার' হিসাবে মনোনীত হন। টেসলা মটরের অন্যতম কর্ণধার সারজী ব্রিন ইলেকট্রিক চালিত যানের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০৭ সালের মে মাসে অ্যানি ইউজসিকিকে বিয়ে করেন এই বিখ্যাত প্রযুক্তিবিদ।

কামাল আশরাফ/এমডিকে/এমআইআর/০১০৪ ঘ./০৮.০৩.০৮




'লিনাক্স' অপারেটিং সিস্টেম উদ্ভাবন করেন লিনাস টরভেল্ড

linus-torvalds.jpgইউনিক্স এর মতো গোপনীয় আর জটিল অপারেটিং সিস্টেমকে সহজ আর মুক্তভাবে প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে লিনাস টরভেল্ড 'লিনাক্স' অপারেটিং সিস্টেম উদ্ভাবন করে প্রযুক্তি জগতে বিপ্লবের সূচনা করেন। লিনাস টরভেল্ড এর তত্ত্বের উপর ভিত্তি করেই এগিয়ে চলেছে অপারেটিং সিস্টেম এর উৎকর্ষ বৃদ্ধি।

লিনাস বিশ্বাস করেন, ওপেন সোর্স হচ্ছে সফটওয়্যার ব্যবহারের সবচেয়ে সঠিক পন্থা। যদিও তিনি নন - কারন্যাল ডাটাবেজকে সমর্থন করেন না।

কম্পিউটারের সঙ্গে লিনাস টরভেল্ড এর প্রথম সখ্য গড়ে উঠে কমোডোর ভিক -২০ নামক কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে। এরপর সিনক্লিয়ার কিউএল নামক কম্পিউটার ব্যবহার করতে গিয়ে অপারেটিং সিস্টেম এর ব্যাপক পরিবর্তন আনেন এবং লেখার জন্য প্রোগ্রাম তৈরি করেন। এই সময় তিনি কিছু কম্পিউটার গেইমও তৈরি করেন। ১৯৯০ সালের শেষ দিকে ৮০৩৮৬ ভিত্তিক আইবিএমের ব্যক্তিগত ব্যবহার্য কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি লিনাস অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ শুরু করেন।

বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস করেলেও লিনাস টরভেল্ড ফিনল্যাল্ডের হেলসিংকিং শহরে জন্ম গ্রহণ করেন ঊনিশ ঊনসত্তর সালের আটাশে ডিসেম্বর । পিতা আননা টরভেলস এবং মাতা নীলস টরভেলস দু'জনেই সাংবাদিক ছিলেন। আর দাদা ওলি টরভেলস ছিলেন বিখ্যাত কবি।

আমেরিকার বিখ্যাত রসায়নবিদ এবং নোবেল বিজয়ী লিনাস পাউলিং এর নামানুসারে বাবা-মা তার নাম রাখেন 'লিনাস'। তবে লিনাস মনে করেন তার নাম রাখা হয়েছে বিখ্যাত কমিকস বই 'চীনাবাদাম এর চরিত্র লিনাস অনুসারে ।

১৯৮৮ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত টরভেল্ড হেলসিংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তাঁর স্নাতকোত্তর থিসিসের শিরোনাম ছিল 'লিনাক্স, একটি গ্রহণযোগ্য অপারেটিং সিস্টেম।' পরের তিন বছর তিনি কাজ করেন লিনাক্স এবং ইউনিক্স এর জন্য একটি আর্দশ বাইনারি ফরম্যাট তৈরি করতে।

কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য টাইম ম্যাগাজিন কর্তৃক নির্বাচিত সেরা একশ' ব্যক্তিত্বের মধ্যে ষোলতম হয়েছিলেন লিনাস। বিজনেস উইক ম্যাগাজিনের জরিপে সেরা ব্যবস্থাপক হিসাবেও স্বীকৃতি পান তিনি।

এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত হন লিনাক্স টরভেল্ড।

কামাল আশরাফ/এমডিকে/২৩২৫ ঘ./৩১.১০.০৭




অ্যাপল এর প্রধান নির্বাহী স্টিভ জবস

Steve jobs1একবার ভাবুনতো, কম্পিউটার আবিষ্কারের প্রথম দিককার কথা! দৈত্যাকৃতি সেই বিশাল কম্পিউটারগুলো যেগুলো ব্যবহৃত হতো সরকারী কাজে এবং সাধারন মানুষের কাছে ছিল রহস্যময়। বিশাল আকৃতির এই রহস্যময় যন্ত্রটিকে সাধারণ মানুষের কাছে ব্যবহারযোগ্য করে গড়ে তুলতে এর বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটান স্টিভেন পল জবস এবং তার সঙ্গী স্টিভ উইজনিক।

কম্পিউটার প্রযুক্তি এবং বিনোদন শিল্পের উদ্যোক্তা হিসাবে স্টিভ জবস ব্যাপক পরিচিতি নাম। পুরো নাম স্টিভেন পল জবস। তিনি কম্পিউটার ও প্রযুক্তিপন্য তৈরির প্রতিষ্ঠান অ্যাপল'র সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান প্রধান নির্বাহী। এছাড়া বিনোদনভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান ডিজনির পরিচালনা পরিষদের একজন সদস্য।

অ্যাপল উদ্ভাবনের মাধ্যমেই কম্পিউটার সম্পর্কে মানুষের ধারনাতে আমূল পরিবর্তন আসে। মূলত জবস এর ধারনা থেকে বর্তমান হার্ডওয়্যার এবং সফটঅয়্যার প্রযুক্তিতে যুগান-কারী উন্নতি হতে চলেছে।

Stevejobsবানিজ্যিক ভাবে কম্পিউটার এর উৎপাদন করার জন্য ১৯৭৬ সালের এপ্রিল মাসে জবস এবং উইজনিক যৌথ বিনিয়োগে 'অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানি' নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানি প্রথমে বাজারে ছাড়ে অ্যাপল ১ এবং পরবর্তীতে অ্যাপল ২ নামে ব্যক্তিগত ব্যবহারযোগ্য কম্পিউটার। এগুলো খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

১৯৮৫ সালে অ্যাপল কোম্পানির তৎকালীন প্রধান নির্বাহী স্কুলির সঙ্গে সর্ম্পকের অবনতি কারনে জবসকে কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। স্কুলির ছুঁড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জের কথা ভুলে যাননি জবস। নতুন উদ্যমে শুরু করেন তিনি। নিজের কাঁধে তুলে নিলেন পৃথিবীকে বদলে দেয়ার কাজ। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নেক্সট কম্পিউটার নামের একটি প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তিগত অবকাঠামো ছিলো অনেক অগ্রগামী। এছাড়া নেক্সট কম্পিউটার থেকে বহু জনপ্রিয় গেইম বাজারে ছাড়া হয়। ওয়েব এর উন্নয়নের জন্য নেক্সট দরুন ভূমিকা পালন করে। নেক্সট মেইল ছিল প্রথম দৃশ্যমান গ্রাফিক্সস এবং অডিও সমৃদ্ধ ইমেইল।

১৯৯৬ সালে জবস অ্যাপল কোম্পানি চারশো দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে কিনে নিলে ১৯৯৭ সালে অর্ন্তবর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী হিসাবে যোগ দেন। এই সময় জবস কিছু প্রকল্প হাতে নেন এগুলোর মধ্যে ছিল নিউটন, সইবারডগ, ওপেনডক। ২০০০ সালে এসে অর্ন্তবর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী থেকে স্থায়ী প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নেন এবং এখন পর্যন- দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯৫৫ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারি ক্যালিফোনির্য়ার সানফ্রান্সিকোতে জন্ম নেন জবস। জন্মের পর তার অবিবাহিত মা তাকে দত্তগ্রহীতা পিতামাতা পল এবং ক্লায়ার কাছে অর্পণ করেন। যদিও তার জন্মদাতা পিতামাতা পরবর্তীতে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন' তার বোন উপন্যাসিক মোনা সিমসন এর জন্মের কয়েক বছর পরই আবার বিয়ে ভেঙ্গে যায়। দত্তক গ্রহীতা বাবা-মা তার নতুন নাম রাখেন স্টিভেন পল জবস।

স্টিভেন পল জবস কিউপার টিনো মাধ্যমিক স্কুলে লেখাপড়া শুরু করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে হোমস্টেড উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। স্টিভ উইজনিকের সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন চাকুরীজীবী হিসাবে কাজ করেন এবং ১৯৭২ সালে জবস স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।

ফোর্টল্যান্ডের রিড কলেজে ভর্তি হলেও জবস এক সেমিস্টার করার পর তা স্থগিত করে দেন।
 
কামাল/এমডিকে/২৩৩০ ঘ./১২.০৯.০৭ 




ইন্টেলের চেয়ারম্যান ড. ক্রেইগ আর ব্যারেট

BarrettIcon1বিশ্বের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম ইন্টেল। এই প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান চেয়ারম্যান ড. ক্রেইগ আর ব্যারেট। তিনি যে কেবল ইন্টেলের চেয়ারম্যান তাই নয় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা উন্নয়নের অন্যতম প্রধান সংগঠকও।

ক্রেইগ ব্যারেটের জন্ম ১৯৩৯ সালে সানফ্রান্সিসকোতে। তিনি স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি লাভ করেন বিখ্যাত স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। স্নাতক সম্পন্ন করার পর তিনি যোগ দেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা ও প্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক হিসেবে। তিনি এই বিভাগে যুক্ত ছিলেন ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত। সে সময় তিনি সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করছিলেন।

ব্যারেট ১৯৭২ সালে ডেনমার্কের ড্যানিশ কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফুলব্রাইট ফেলো লাভ করেন। এর আগে ১৯৬৪-৬৫ সালে ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবোরেটরি থেকে লাভ করেন এনএটিও পোষ্ট-ডক্টোরাল ফেলো। তিনি তার শিক্ষকতা জীবনে ম্যাটেরিয়াল প্রোপার্টিজের উপর মাইক্রোস্ট্রাকচারের প্রভাব নিয়ে প্রায় ৪০ টির মতন গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। ম্যাটেরিয়াল সাইন্সের উপর তার লেখা একটা বই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়।

১৯৭৪ সালে তিনি ইন্টেল কর্পোরেশনে টেকনোলজি ডেভোলপমেন্ট অফিসার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৪ সালে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদমর্যাদা লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ১৯৯০ সালে হন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে পদন্নতি পান।

BarrettIcon১৯৯২ সালে তিনি ইন্টেলের পরিচালক পর্ষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৩ সালে চিফ অপারেটিং অফিসার পদে অধিষ্ঠিত হন।

১৯৯৭ সালে তিনি ইন্টেলের চতুর্থ প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনিত হন। ১৯৯৮ সালে প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা বা চিফ এক্সিকিউটিভ আফিসার পদ লাভ করেন। ২০০৫ সালের ১৮ই মে তিনি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হন।

ড. ব্যারেট ইন্টেল ছাড়াও বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কিছু সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন। জাতিসংঘের গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি অ্যান্ড ডেভোলপমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ট্রেড পলিসি এন্ড নেগোশিয়েশনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা কমিটি এবং আমেরিকান হেলথ ইনফরমেশন কমিউনিটির অন্যতম সদস্য ড. ব্যারেট।

এছাড়াও তিনি বিজনেস কোয়ালিশন ফর স্টুডেন্ট এচিভমেন্ট এবং ন্যাশনাল ইনোভেশন ইনিশিয়েটিভ লিডারশিপ কাউন্সিলের যুগ্ম-চেয়ারম্যান এবং ইউএস কাউন্সিল ফর ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল এর ট্রাষ্টি বোর্ডের একজন মেম্বার।

এখানেই শেষ নয়, 'ইনোভেশন আমেরিকা' নামের ন্যাশনাল গভার্নরস এসোসিয়েশন টাস্ক ফোর্স, ন্যাশেনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার এডভাইজরি কাউন্সিল এবং সাইন্টিফিক কমিউনিকেশন এন্ড ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটির একজন সদস্য এবং ইউএস সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাষ্ট্রি এসোসিয়েশন, ন্যাশেনাল কাউন্সিল ফর মাইনোরিটিস ইন ইঞ্জিনিয়ারিং, দি ন্যাশনাল ফরেষ্ট ফাউন্ডেশন, আর্কাইভ এবং টেকনেকের বোর্ড অফ ডিরেক্টরের একজন সদস্য।

শিক্ষাবিদ এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা হবার কারনে ড. ব্যারেট সবসময় চেষ্টা করেছেন ছাত্রদের জন্য নতুন কিছু করতে। এজন্য তিনি স্কুলগুলোর মান উন্নত করা এবং বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য উচ্চশিক্ষা ও প্রযুক্তি শিক্ষার পথ উম্মুক্ত করতে চেষ্টা করে গেছেন সর্বদা।

মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তিনি সব সময় পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষার বিভিন্ন দিক সর্ম্পকে। বিভিন্ন স্কুলগুলোর মান বাড়ানোর বিষয়ে ওকালতিতে তার জুড়ি ছিল না।

তার ব্যাক্তিগত উদ্যেগে ২০০০ সালে বোষ্টনে চালু হয় কস্পিউটার ক্লাব-হাউস নেটওয়ার্ক। এই ক্লাবের লক্ষ্য সমাজে প্রযুক্তিগত মতপার্থক্য কমিয়ে আনা। এর পরপরই সাড়া বিশ্বের সুবিধাবঞ্চিত দেশগুলোতে চালু হয় ক্লাবহাউস সংস্কৃতির। এসব ক্লাবহাউসগুলো কাজ করে যাচ্ছে মূলত একটা নিরাপদ পরিবেশে তরুন মেধাবীদেরকে উন্নতমানের প্রযুক্তিগত সেবা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মেধাবিকাশে সাহায্য করা। এছাড়া শিক্ষার মান উন্নয়নে তার গৃহিত অন্য উদ্যেগগুলোর মধ্যে আছে -
১. ইন্টেল সাইন্স ট্যালেন্ট সার্চ অ্যাওয়ার্ড স্কলারশিপ। যার অন্য নাম 'জুনিয়র নোবেল প্রাইজ'।
২. ২০০১ সালে চারটি স্থানে ইন্টেলের অলাভজনক ক্লাবহাউস তৈরি করেন।
৩. শিক্ষায় অবদানের জন্য ন্যাশেনাল অ্যালায়েন্স অফ বিজনেস অনার্স ঘোষণা।
৪. ২০০১ সালে ইন্টেলের সকল 'কে-১২' শিক্ষক এবং প্রি-সার্ভিস ফ্যাক্যাল্টির জন্য টিচার ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের প্রসার বাড়ান।
৫. ২০০১ সালে এডুকেশনাল লিডারশিপের জন্য অনার্স ঘোষণা।

তার আরও অবদান
ক্রেইগ ব্যারেট ছিলেন আমেরিকান সেমিকন্ডাক্টর শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান। তিনি এই শিল্পের উন্নয়নের রোডম্যাপ তৈরি করেন এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার ব্যবস্থা করেন। তার এই গবেষণা ব্যবস্থা অনুসারেআমেরিকার প্রায় ডজনখানেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যাটেরিয়াল, স্ট্রাকচার, সার্কিট, সিস্টেম, সফটওয়্যার, ইন্টারকানেক্ট, ডিজাইন এবং এগুলো পরীক্ষনে ভবিষ্যতে যে ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে সেই সব বিষয়ে গবেষণা করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যাবস্থা করেন।

ড. ব্যারেট বিশ্বাস করেন যে 'কম্পিউটার যাদু করতে পারে না, তবে শিক্ষকরা পারেন'। সেই বিশ্বাস থেকেই তিনি একটি প্রকল্প হাতে নেন যেই প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ২৫ টি দেশের কমপক্ষে দশ লক্ষ শিক্ষককে প্রশিক্ষন দেওয়া হবে যেন তারা শ্রেনীকক্ষে প্রযুক্তি ব্যাবহার করার মাধ্যমে শিক্ষার মান বাড়াতে পারেন।

পরিবেশবান্ধব অলিম্পিক ২০১২

পরিবেশবান্ধব অলিম্পিক ২০১২

দূষণমুক্ত গাড়িসহ পরিবেশবান্ধব নানা উপাদান ব্যবহার করায় এবারের অলিম্পিকই এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত অলিম্পিকগুলোর মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব। খবর লন্ডন২০১২ ডট কম-এর।

অলিম্পিকে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অলিম্পিক কর্তৃপক্ষকে ২০০টি ধোঁয়া বিহীন বিদ্যুতচালিত গাড়ি দিয়েছে বিএমডব্লিউ। এগুলোর মধ্যে আছে ১৬০টি অ্যাক্টিভ-ই ফাস্ট ড্রাইভ এবং ৪০টি মিনি কুপার মিনি ইএস। বিএমডব্লিউয়ের গাড়িগুলো সচল রাখতে অলিম্পিক ভেনুগুলোতে তাদের ১২০টি ডিউরেস্টেশন ইলেকট্রনিক ভেইকেল চার্জার বসিয়েছে জেনারেল ইলেকট্রনিক।

লন্ডন ২০১২ অলিম্পিকের সবগুলো ভেনুই নির্মাণ করা হয়েছে যতোটা সম্ভব পরিবেশবান্ধব করে। কিছু ভেন্যুর নিজস্ব ব্যবহারের জন্য রয়েছে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করার ব্যবস্থা। খেলা দখতে আশা দর্শকদের গরমের হাত থেকে বাঁচাতে ভেনুগুলোতে রয়েছে প্রাকৃতিক ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে ৬ হাজারেরও বেশি দর্শক খেলা উপভোগ করতে পারবেন এয়ারকন্ডিশনার ছাড়াই।

অলিম্পিক পার্কের দু’টি ভবন কোনো সমস্যা ছাড়াই খেলা শেষে সরিয়ে নেয়া যাবে। অলিম্পিক শেষে ওয়াটার পোলো এবং বাস্কেটবল ভেনুগুলোকে ফিরিয়ে নেয়া হবে আগের অবস্থায়। ভেনু দু’টি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে পিভিসি ফেব্রিক যা কিনা সহজেই রিসাইকল করা যায়।