বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১২

'এলিটপ্যাড ৯০০' ট্যাবলেট আনছে এইচপি

'এলিটপ্যাড ৯০০' ট্যাবলেট আনছে এইচপি

‘এলিটপ্যাড ৯০০’ দিয়ে ট্যাবলেট ডিভাইসের বাজার দখলের লড়াইয়ে যোগ দিচ্ছে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা এইচপি। আইপ্যাড আর গ্যালাক্সি ট্যাবলেট পিসির ভিড়ে এইচপির নতুন ‘এলিটপ্যাড ৯০০’ নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে। খবর সিনেট-এর।

‘এলিটপ্যাড ৯০০’ ট্যাবলেটে থাকবে ১০.১ ইঞ্চি আকারের, ১২৮০ বাই ৮০০ পিক্সেলের গরিলা গ্লাস ডিসপ্লে। এইচপি জানিয়েছে, ১ দশমিক ৫ পাউন্ড ওজন হবে ট্যাবলেট পিসিটির। ৯.২ মিলিমিটার পুরু ট্যাবলেটটি চলবে উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমে।

ট্যাবলেটটিতে নতুন প্রজন্মের ইনটেল অ্যাটম মোবাইল প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এইচপি। ট্যাবলেটটিতে আরও থাকবে ২ জিবি র‌্যাম এবং ৬৪জিবি হার্ড ড্রাইভ।

২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ট্যাবলেটটি বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছে এইচপি।

এইচটিসির আনরিলিজড ফোনের রহস্য প্রকাশ

এইচটিসির আনরিলিজড ফোনের রহস্য প্রকাশ

মার্কেটে আসার আগেই ফাঁস হয়ে গেছে এইচটিসির ওয়ান এক্স প্লাস ডিভাইসের কিছু অপ্রকাশিত তথ্য। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা আসার আগেই সেটটিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ফিচারের তথ্য প্রকাশ করে দিয়েছে পকেট লিন্ট। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

এইচটিসির ওয়ান সিরিজ ফোনটি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে ব্যবহারকারীদের কাছে। তবে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের মতো বিশ্ববাজারে স্মার্টফোনের বাজার ধরতে পারেনি এইচটিসি।

এইচটিসির আনরিলিজড ডিভাইস ওয়ান এক্স প্লাস-এর ছবি প্রকাশের খবর অনলাইন মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। জানা গেছে, এতে টেগরা থ্রি প্লাস কোয়াড কোর ১.৬ গিগাহার্টস বা ১.৭ গিগাহার্টস গতির প্রসেসর ও ১৮০০ এমএএইচ ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। ডিভাইসটিতে ১ জিবি র‌্যাম, ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং বিটস অডিও রয়েছে। সঙ্গে আছে ৩২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। তাছাড়া এতে অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ জেলি বিন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।

ম্যাপিং নিয়ে জোটবদ্ধ নোকিয়া-ওরাকল

ম্যাপিং নিয়ে জোটবদ্ধ নোকিয়া-ওরাকল

ম্যাপিং সার্ভিস নিয়ে নতুন চুক্তিতে আসছে মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নোকিয়া ও সফটওয়্যার ফার্ম ওরাকল। এর ফলে নোকিয়ার ম্যাপিং সার্ভিস ব্যবহারের সুযোগ পাবেন ওরাকলের ক্রেতারা। খবর রয়টার্স-এর।

২০০৮ সালে বিশ্বের বৃহত্তম ডিজিটাল ম্যাপিং ফার্ম নাভটেক কিনে নিয়েছিলো নোকিয়া। এরপর থেকে ম্যাপিং সার্ভিস দেয়ার জন্য গ্রুপঅন এবং অ্যামাজনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শীর্ষস্থানীয় ইন্টারনেটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ম্যাপিং সার্ভিস নিয়ে চুক্তিতে আসার চেষ্টা করছিলো নোকিয়া।

স্মার্টফোন বাজারে পিছিয়ে পড়লেও ম্যাপিং সার্ভিস দিয়ে সাফল্যের মুখ দেখেছে নোকিয়া। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সফটওয়্যার ফার্ম ওরাকলের সঙ্গে নতুন চুক্তি আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে নোকিয়াকে।

সাউন্ড ব্যারিয়ার জয় করবেন বমগার্টনার

সাউন্ড ব্যারিয়ার জয় করবেন বমগার্টনার

ফুটন্ত জলের মতোই ফুটতে পারে তার রক্ত, বিস্ফোরিত হতে পারে মস্তিষ্ক। তার পরও ৮ অক্টোবর মহাকাশ থেকে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে লাফিয়ে পড়বেন ডেয়ার ডেভিল ফিলিক্স বমগার্টনার। সফল হলে তিনিই হবেন আকাশ থেকে লাফ দেয়া পৃথিবীর প্রথম সুপারসনিক গতির মানুষ। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

মাটি থেকে ২৩ কিলোমিটার উপরের একটি স্পেস ক্যাপসুল থেকে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে লাফিয়ে পড়বেন বমগার্টনার। ওই ফ্রি ফলের সময় তার গতি ঘণ্টায় ৬৯০ মাইল ছাড়িয়ে যাবে বলেই ধারণা করছেন বমগার্টনার।

ফ্রি ফলের সময় বমগার্টনারের পরনে থাকবে প্রেশারাইজড স্পেস স্যুট ও একটি হেলমেট। চিকিৎসক, প্রকৌশলী বমগার্টনারের স্পন্সর রেড বুল টিমের সদস্যরা টানা পাঁচ বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছেন বমগার্টনারের ফ্রি ফলটিকে যতোটা সম্ভব নিরাপদ করতে।

শরীরে মিশে যাবে ইলেকট্রনিক ডিভাইস!

শরীরে মিশে যাবে ইলেকট্রনিক ডিভাইস!

চিকিৎসা কাজে ব্যবহার করতে মার্কিন বিজ্ঞানীরা বানিয়েছেন নতুন একধরনের পাতলা ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যা মানুষের শরীরের ভেতরে মিশে যাবে। এছাড়া কাটা ক্ষতের ইনফেকশন ঠেকাতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন তারা। খবর বিবিসির।

ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো তৈরি করতে বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেছেন সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড। আর বাইরের স্তর তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে সিল্ক। শরীরে প্রতিস্থাপন করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শরীরে মিশে যাবে ডিভাইসগুলো।

ল্যাবরেটরিতে ৬৪ পিক্সেলের ক্যামেরা, সোলার সেল এবং টেমপারেচার সেন্সরে ডিভাইসগুলো নিয়ে গবেষণা করে দেখছেন তারা।

তবে ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়েসের মেকানিকাল সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং-এর প্রফেসর জন রজার্সের মতে, চিকিৎসা কাজেই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হতে পারে এই প্রযুক্তি।

রজার্স বলেন, ‘অপারেশনের পর ক্ষতে ইনফেকশনের কারণে আবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় অনেক রোগীকে। এ সমস্যা সমাধানে রোগীর শরীরে অপারেশনের সময় এধরনের ডিভাইস স্থাপন করা যেতে পারে।’

ইনফেকশন ঠেকাতে ডিভাইসগুলোর কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করতে একটি ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালান বিজ্ঞানীরা। ইঁদুরটির শরীরের ক্ষতস্থানে ডিভাইসটি প্রতিস্থাপন করেন তারা। ক্ষতস্থানটি উত্তপ্ত করে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকায় ডিভাইসটি, যা পরে গলে মিশে যায় ইঁদুরটির শরীরে।

কম্পিউটার আর মোবাইল ফোনের মতো ইলেকট্রনিক গ্যাজেটেও ব্যবহার করা সম্ভব ডিভাইসগুলো। এর ফলে নিত্যদিনের ব্যবহার্য গ্যাজেটগুলো হবে পরিবেশবান্ধব। ফেলে দেবার পর সহজেই পরিবেশের সঙ্গে মিশে যাবে গ্যাজটগুলোর অবশিষ্টাংশ।

বুধবার, ৩ অক্টোবর, ২০১২

আইফোন ফাইভের বিরুদ্ধে মামলা করলো স্যামসাং

আইফোন ফাইভের বিরুদ্ধে মামলা করলো স্যামসাং

অ্যাপলের আইফোন ফাইভে স্যামসাংয়ের আটটি পেটেন্ট লক্সঘন করা হয়েছে দাবি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করেছে স্যামসাং। খবর বিবিসির।

অ্যাপল ও স্যামসাং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্যালাক্সি ফোন ও গ্যালাক্সি প্যাডে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তির পেটেন্ট নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলায় লিপ্ত। স¤প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে অ্যাপলের পেটেন্ট লক্সঘনের অভিযোগে স্যামসাংকে ১০৫ কোটি ডলার জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদিকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্যামসাংয়ের পক্ষেও রায় হয়েছে। অগাস্টে স্যামসাংয়ের দু’টি ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন পেটেন্ট লক্সঘন করার দায়ে অ্যাপলকে ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করেছে কোরিয়ান আদালত।

সূত্র জানিয়েছে, দু’টি ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন পেটেন্টসহ অন্য ছয়টি বিতর্কিত ফিচার না সরালে স্যামসাং আইনের আশ্রয় নিয়ে আইফোন ফাইভ বিক্রি বন্ধের চেষ্টা করবে। বিভিন্ন ডিভাইসে মিউজিক এবং ভিডিও ফাইল সিনক্রোনাইজ, ফটো এবং ইন্টারনেটে ভিডিও প্রেরণের প্রক্রিয়ার পেটেন্ট নিয়ে এ মামলা করেছে স্যামসাং।

পেটেন্ট কনসালটেন্ট ফ্লোরিয়ান মুইলার তার ব্লগে বিতর্কিত পেটেন্ট সম্পর্কে জানান, স্যামসাং ফোরজি এলটিই প্রযুক্তিসহ প্রায় ৩০ হাজার মার্কিন পেটেন্ট-এর মালিক। এগুলোর ভিত্তিতেই পরবর্তী মামলা হতে পারে।

রিচার্ড পশনার যুক্তরাষ্ট্রে খুব অল্প সংখ্যক বিচারকদের একজন যিনি নিয়মিত ব্লগ লেখেন। তিনি সম্প্রতি তার ব্লগে উল্লেখ করেছেন, সেলফোন, ট্যাবলেট বা ল্যাপটপে প্রায় ১০ হাজার আলাদা উপাদান ব্যবহার করা হয়। এতে ব্যবহার করা হয় ছোট ছোট বহু সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার। এর প্রত্যেকটি উপাদানই আলাদাভাবে পেটেন্টের উপযোগী।

ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্কে যাচ্ছে বৃটেন

ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্কে যাচ্ছে বৃটেন

বৃটিশ মোবাইল অপারেটররা নতুন চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল সার্ভিস শুরু করতে একমত হয়েছে। খবর বিবিসির।

বৃটিশ মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ওটু ও ভোডাফোন দ্রুতগতির মোবাইল ডেটা লাইসেন্স নিয়ে অরেঞ্জ ও টিমোবাইল (ইই)-এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। এর ফলে, উচ্চগতির ডেটা সার্ভিস আগের পরিকল্পিত সময়ের ৬ মাস আগেই শুরু করা সম্ভব হবে।

বৃটিশ সংস্কৃতি মন্ত্রী মারিয়া মিলার বলেছেন, ‘ফোরজি সার্ভিস যতো দ্রুত সম্ভব চালু করা আমাদের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার অন্যতম বিষয়’।

পুরো ফোরজি সার্ভিস শুরু করতে দেরি হবার অন্যতম কারণ ছিলো, টেলিভিশন ব্রডকাস্টারদের ব্যবহৃত অ্যানালগ স্পেকট্রাম। অ্যানালগ থেকে ডিজিটালে পরিবর্তন সরকারিভাবে হবে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে। তবে ফোরজি ফ্রিকোয়েন্সি আলাদাভাবে যথাসম্ভব দ্রুতগতিতে করা হবে বলে জানা গেছে।

অফকম এর সিইও এড রিচার্ডস বলেন ‘এ সিদ্ধান্তের ফলে অযাচিত বিলম্ব ঠেকানো গেছে। না হলে বহুদিন অপেক্ষা করতে হতো’।

এই মাসের শেষ নাগাদ ফোরজি সার্ভিস শুরু হবে যা ১৮০০ মেগাহার্টসে চলবে এবং শুরুতে ১৬টি শহরে সার্ভিস সীমাবদ্ধ থাকলেও ২০১৪ নাগাদ ৯৮% মোবাইল ব্যবহারকারীরা এর আওতায় আসবেন।

এসিএম-আইসিপিসি প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ডিসেম্বরে

এসিএম-আইসিপিসি প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ডিসেম্বরে

এশিয়া অঞ্চলের (ঢাকা সাইট) আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং কনটেস্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ কম্পিউটিং মেশিনারিজ-ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট-২০১২ (এসিএম-আইসিপিসি) ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে হবে। প্রতিযোগিতাটির এবারের আয়োজক ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

এ বিষয়ে সম্প্রতি ‘মিট দি প্রেস’-এ প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার পরিচালক ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকতার হোসেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর অধ্যাপক ড. এম কায়কোবাদ, প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার পরিচালক (বিচারক) শাহরিয়ার মনজুর, এসিএম কাউন্সিল বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক আবুল এল হক এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উর্ধ্বতন সহকারী পরিচালক নাদিও বিন আলী।

এসিএম-আইসিপিসি ২০১২ (ঢাকা অঞ্চল)-এ এশিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দল অংশগ্রহণ করবে। এসিএম-আইসিপিসি দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে আঞ্চলিক পর্যায়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দল অংশগ্রহণ করে এবং সেখান থেকে বিজয়ী দল মূল পর্বে ‘ওয়ার্ল্ড ফাইনালে’ অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশে এই প্রথম আন্তজার্তিক ভেন্যুতে ঢাকা আঞ্চলিক কম্পিউটিং ইভেন্ট এসিএম-আইসিপিসি ২০১২ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা রাশিয়ার সেইন্ট পিটার্সবার্গ ইউনিভার্সিটিতে ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ২০১৩ এর মূলপর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।

প্রতিযোগিতার প্রিলিমিনারি রাউন্ড হবে অনলাইনে। প্রিলিমিনারী রাউন্ডের রেজিস্ট্রেশন চলবে ৭ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত।

প্রতিযোগিতায় ভারত, চীন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং মালয়েশিয়া থেকে বিভিন্ন দল অংশ নিবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এতো বড় পরিসরে এ প্রতিযোগিতা হচ্ছে।

এসিএম-আইসিপিসি ঢাকা রিজিওনাল ২০১২ সালের বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির শাহরিয়ার মনজুর এবং মুক্ত সফটওয়ার লিমিটেডের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান।

প্রতিযোগিতার তথ্য পাওয়া যাবে
http://www.daffodilvarsity.edu.bd/icpcdhaka2012 ওয়েবসাইটে।

বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২

ড্রাইভিংয়ের সময় মেসেজিং ঠেকাবে অ্যাপ

ড্রাইভিংয়ের সময় মেসেজিং ঠেকাবে অ্যাপ

গাড়ি চালানোর সময় চালকের মোবাইল ফোনের টেক্সট মেসেজ ব্যবহার ঠেকাতে নতুন অ্যাপ্লিকেশন বানিয়েছে ১১ বছর বয়সি সফটওয়্যার ডেভেলপার ভিক্টোরিয়া ওয়াকার। এটিঅ্যান্ডটির ‘ইট ক্যান ওয়েট’ কনটেস্টে পুরস্কার জিতে নিয়েছে ‘রোড ডগ’ নামের অ্যাপ্লিকেশনটি। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

ড্রাইভিংয়ের সময় চালককে টেক্সট মেসেজ করা থেকে বিরত রাখবে এমন একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরির প্রতিযোগিতা ‘ইট ক্যান ওয়েট’ আয়োজন করেছিলো এটিঅ্যান্ডটি। ওই প্রতিযোগিতায় ২০ হাজার ডলারের পুরস্কার জিতে নিয়েছে ভিক্টোরিয়া ওয়াকারের রোড ডগ অ্যাপ্লিকেশনটি।

চালক গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে টেক্সট মেসেজ করতে গেলেই চালু হয়ে যাবে রোড ডগ অ্যাপ্লিকেশনটি। চালক মোবাইল ফোনটি হাত থেকে নামিয়ে না রাখা পর্যন্ত কর্কশ সুরে ‘ঘেউ ঘেউ’ আওয়াজ করতেই থাকবে অ্যাপ্লিকেশনটি।

এছাড়া বন্ধুদের মধ্যে দলবদ্ধভাবেও ব্যবহার করা যাবে সফটওয়্যারটি। গাড়ি চালানোর সময় টেক্সট মেসেজ করছে বন্ধুদের কেউ, এমন সন্দেহ হলেই ওই বন্ধুকে ঠেকাবার জন্য ‘রোড ডগ’ অ্যাপটিকে নির্দেশ দিতে পারবে অন্য বন্ধুরা।

অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলবে রোড ডগ। এ বছরের শেষদিকে বাজারে আসবে অ্যাপ্লিকেশনটি।

২০৩০ সালের মধ্যে কমবে ক্যান্সারে মৃত্যু

২০৩০ সালের মধ্যে কমবে ক্যান্সারে মৃত্যু

২০৩০ সালের মধ্যে নাটকীয়ভাবে হ্রাস পাবে ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর হার। আগামী দু’দশকের মধ্যে ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর হার কমার পেছনে কারণ হিসেবে ধূমপায়ীর সংখ্যা হ্রাস এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতিকে চিহ্নিত করেছেন ক্যান্সার রিসার্চ ইউকের গবেষকরা। খবর বিবিসির।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে কমে আসবে ফুসফুস, বাওয়েল, ব্রেস্ট এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারে মৃত্যুর হার। গবেষকদের মতে, সবচেয়ে বেশি বা প্রায় ৪৩ শতাংশ কমবে ওভারিয়ান ক্যান্সারে মৃত্যুর হার।

এ ব্যাপারে ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের প্রফেসর পিটার সাসিয়েনি বলেন, ‘আমাদের হিসেব অনুযায়ী, আগামী কয়েক দশকে নাটকীয়ভাবে কমে আসবে ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর হার।’

তবে এই সময়ের মধ্যে পাকস্থলী এবং মুখের ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুর হার আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার আপডেট আনলো মাইক্রোসফট

ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার আপডেট আনলো মাইক্রোসফট

ওয়েবব্রাউজার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার খুঁত সাময়িকভাবে ঠিক করতে সফটওয়ার আপডেট ইস্যু করেছে মাইক্রোসফট। ব্যবহারকারী পিসিতে ‘পয়জন আইভি’ ট্রোজান ভাইরাস ইনস্টল করতে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের বাগটি ব্যবহার করছিলো সাইবার ক্রিমিনালরা। খবর বিবিসির।

পয়জন আইভি দিয়ে চাইলেই ব্যবহারকারীর পিসির গোপন সব তথ্য চুরি করতে এবং পুরো পিসির নিয়ন্ত্রণ দখল করে নিতে পারবে একজন হ্যাকার।

এক ব্লগ পোস্টে মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ সফটওয়্যার আপডেটটি নিয়ে জানায়, ‘এটা খুবই সহজ, ওয়ান ক্লিক সলিউশন। তবে কম্পিউটারের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে এটি দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যাবে না।’

ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ছাড়া ওয়েব ব্রাউজারটির সবগুলো ভার্সনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রয়েছে ‘জিরো-ডে’ সমস্যা। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় খুঁতটি আবিষ্কার করেন লুক্সেবার্গ ভিত্তিক সিকিউরিটি এক্সপার্ট এরিক রোমাং।

শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১২

৪ বছরেই গলবে আর্কটিক বরফ!

৪ বছরেই গলবে আর্কটিক বরফ!

২০১৬ সালের মধ্যে গলে যাবে আর্কটিক বরফ, এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন আর্কটিক কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞ প্রফেসর পিটার ওয়াডহাম। এই বিজ্ঞানীর আশঙ্কা সত্যি হলে, পৃথিবীর বুকে নেমে আসতে পারে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। খবর গার্ডিয়ান-এর।

দীর্ঘদিন যাবত মেরুঅঞ্চলের বরফের ওপর বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে গবেষণা করছেন প্রফেসর ওয়াডহাম। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আর্কটিক বিশেষজ্ঞদের একজন হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হয়। ২০০৭ সালে গ্রীষ্মকালে সামুদ্রিক বরফে ভাঙ্গনের ভবিষ্যদ্বাণীও করেছিলেন তিনি।

বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে প্রতিবছর কমতে থাকা মেরুর বরফ গলা ঠেকাতে যতো দ্রুত সম্ভব, নতুন পদক্ষেপ নেবার আবেদন জানিয়েছেন প্রফেসর ওয়াডহাম। গার্ডিয়ানকে পাঠানো এক ইমেইলে প্রফেসর ওয়াডহাম বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এখন এমন এক বিপজ্জনক জায়গায় পৌঁছে গেছে যে, এর বিরুপ প্রভাব ঠেকাতে কয়েক দশক ধরে ধীরে ধীরে কাজ করার মতো সুযোগ আর নেই। এখন শুধু কার্বন ডাই-অক্সাইডের নির্গমনের হার নিয়ন্ত্রণ করলেই হবে না, বৈশ্বিক উষ্ণতা ঠেকাতে আমরা যে জিওইঞ্জিনিয়ারিং আইডিয়াগুলো দিয়েছি, সেগুলোও কাজে লাগাতে হবে।’

প্রফেসর ওয়াডহামের প্রস্তাবিত আইডিয়াগুলোর মধ্যে আছে সূর্যের আলো মহাকাশে প্রতিফলিত করা, মেঘ আরো সাদা করা এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, এমন মিনারেল সমুদ্রে ছড়িয়ে দেয়া।

২০১২ সালের আগ পর্যন্ত মেরুঅঞ্চলে গ্রীষ্মকালে রেকর্ড করা সবচেয়ে কম সামুদ্রিক বরফের পরিমান ছিলো ৪১ দশমিক ৭ লাখ বর্গকিলোমিটার। কিন্তু এ বছর আর্কটিক বরফের আকার কমে ৩৫ লাখ বর্গকিলোমিটারে নেমে এসছে। প্রফেসর ওয়াডহাম আশঙ্কা করছেন, ২০১৫-১৬ সালের মধ্যে আর্কটিক অঞ্চলের সামুদ্রিক বরফ সম্পূর্ণ গলে যাবে। এমনটা হলে পৃথিবীর বুকে নেমে আসবে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

আরো বিপজ্জনক ব্যাপার হচ্ছে, আর্কটিক সাগরের নিচে সমুদ্রের তলদেশে আটকা পড়ে আছে বরফ যুগের মিথেন গ্যাস। আর্কটিক সাগরের সব বরফ গলে গেলে ওই গ্যাস বেরিয়ে আসবে, যা বৈশ্বিক উষ্ণতা আরো বাড়িয়ে দেবে।

সাইবেরিয়ায় মাটির নিচে কোয়াড্রিলিয়ন ডলারের হীরা

সাইবেরিয়ায় মাটির নিচে কোয়াড্রিলিয়ন ডলারের হীরা

বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক হীরার ভাণ্ডারটির মালিক রাশিয়া। সাইবেরিয়ার পপিগাই অ্যাস্ট্রোব্লেমে ৬২ মাইল ব্যাসের উল্কাপিন্ডের গর্তে রয়েছে ১ কোয়াড্রিলিয়ন (অর্থাৎ ১ এর পরে ২৪টি শূন্য) ডলারের হীরার ভাণ্ডার। সম্প্রতি সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলের কিছু গোপন তথ্য প্রকাশ করে এই চমকপ্রদ খবর জানিয়েছে রাশিয়া। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

পপিগাই অ্যাস্ট্রোব্লেমের হীরাগুলোকে বলা হয় ‘ইমপ্যাক্ট ডায়মন্ড’। মহাকাশ থেকে প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসা উল্কাপিণ্ড পৃথিবীর বুকে কোনো গ্রাফাইট ভাণ্ডারের ওপর আছড়ে পড়লে সৃষ্টি হয় ‘ইমপ্যাক্ট ডায়মন্ড’।

ইমপ্যাক্ট ডায়মন্ড সাধারণ হীরা থেকে অনেক শক্ত। শিল্পকারখানা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হয় এমন হীরা।

সাড়ে তিন কোটি বছর আগে মহাকাশের একটি উল্কাপিণ্ড বর্তমান সাইবেরিয়ার খাতাঙ্গা আউটপোস্ট থেকে কয়েকশত কিলোমিটার দূরে আছড়ে পড়ায় সৃষ্টি হয় পপিগাই অ্যাস্ট্রোব্লেম।

উল্কাপিণ্ডের পতনের ফলে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এই হীরা খনিটিতে রয়েছে কয়েক লাখ কোটি ক্যারটের হীরা, যার মূল্য কমপক্ষে ১ কোয়াড্রিলিয়ন ডলার।

মুছে ফেলা যাবে ভয়ের স্মৃতি

মুছে ফেলা যাবে ভয়ের স্মৃতি

মস্তিষ্ক থেকে মুছে দেয়া যাবে ছোটবেলার ভয়ের স্মৃতি। যুক্তি না মানা মনের অজানা ভয়ের স্মৃতিগুলোকে মুছে ফেলার এক অভিনব উপায় খুঁজে বের করেছেন সুইজারল্যান্ডের উপসালা ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় আবিষ্কার করেন, ভয়ের স্মৃতিগুলো মস্তিষ্কের প্রোটিনে চিরস্থায়ী ছাপ ফেলার আগেই তা ঠেকানো সম্ভব। শুধু তাই নয়, পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব ভয়ের স্মৃতিগুলো।

গবেষণায় অংশ নেয়া ব্যক্তিদের প্রথমে ভীতিকর একটি ছবি বারবার দেখান বিজ্ঞানীরা। একই সময় দেয়া হয় খুব অল্প পরিমাণে ইলেকট্রিক শক। এরপর গবেষণায় অংশ নেয়া অর্ধেক ব্যক্তিকে তারা আবার ওই ভীতিকর ছবিটি দেখান; তবে এবার ইলেকট্রিক শক ছাড়াই। বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন, ছবিটি দেখে আর ভয় পাচ্ছেন না তারা।

সুইডিশ বিজ্ঞানীদের এই নতুন প্রযুক্তি এখনও পুরোপুরি তৈরি নয় ব্যাপক ব্যবহারের জন্য। তবে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, অদূর ভবিষ্যতে যুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতার মতো ভয়াবহ স্মৃতি ভুলতে সাহায্য করবে তাদের নতুন প্রযুক্তি।

মস্তিষ্কের বেশিরভাগ জিন একইভাবে সাজানো

মস্তিষ্কের বেশিরভাগ জিন একইভাবে সাজানো

ব্যক্তিত্বে পার্থক্য থাকলেও, মিল রয়েছে সব মানুষের মূল মলিকিউলার প্যাটার্নের। মানব মস্তিষ্কের গঠনের এই মিল বেরিয়ে এসেছে থ্রিডি জিন ম্যাপে। খবর বিবিসির।

মানব মস্তিষ্কের থ্রিডি জিন ম্যাপটি বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন তিনটি মানব মস্তিষ্ক ব্যবহার করে। মস্তিষ্কগুলো প্রথমে কেটে ৯০০টি ছোট ভাগে ভাগ করা হয়। এরপর ওই ছোট অংশগুলো থেকে তোলা মস্তিষ্কের জিন গঠনের ১০ কোটি থ্রিডি ছবি দিয়ে তৈরি হয় মস্তিষ্কের জিন ম্যাপ।

মস্তিষ্কের জিন ম্যাপ নিয়ে গবেষণাটি করছেন সিয়াটলের অ্যালেন ইনস্টিটিউট ফর ব্রেইন সায়েন্স এবং এডিনবরা ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, জেনেটিক ডিসঅর্ডার কিভাবে মস্তিষ্কে রোগ সৃষ্টি করে, তা বুঝতে সাহায্য করবে তাদের গবেষণা।

গবেষণা প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা জানান, মানব মস্তিষ্কে বেশিরভাগ জিন একইভাবে সাজানো। ব্যক্তিত্বের পার্থক্য থাকলেও সব মানুষের মস্তিষ্কের গঠনে রয়েছে ব্যাপক মিল।

অ্যালেন ইনস্টিটিউট অফ ব্রেইন সায়েন্সের প্রফেসর এড লিয়েন এ ব্যাপারে বলেন, ‘মানব মস্তিষ্কের জিন ম্যাপ থেকে পাওয়া তথ্য মস্তিষ্কের গঠন, উন্নতি, বিবর্তন এবং মস্তিষ্কের রোগের কারণ নিয়ে গবেষণায় সাহায্য করবে।’

ইরানি হ্যাকারদের আক্রমণে মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান

ইরানি হ্যাকারদের আক্রমণে মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান

ইরানি হ্যাকারদের আক্রমণের শিকার হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক- ব্যাংক অফ আমেরিকা, সিটিগ্রুপ ইনকর্পোরেটেড এবং অর্থনৈতিক বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান জেপি মর্গান চেস অ্যান্ড কো। বলা হচ্ছে, ইরানবিরোধী অর্থনৈতিক অনুমোদন দেয়ার কারণেই হ্যাকারদের রোষে পড়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। খবর রয়টার্স-এর।

২০১১ সালের শেষভাগ থেকে মার্কিন ব্যাংকগুলোর ওপর ইরানি হ্যাকারদের এই আক্রমণ শুরু হয়েছে বলে গোপন সূত্রের বরাতে জানিয়েছে রয়টার্স। সূত্র জানিয়েছে, ২০১২ সালে ব্যাংকগুলোর ওপর হ্যাকারদের আক্রমণ আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। সূত্র আরো জানিয়েছে, হ্যাকারদের ডিনায়াল অফ সার্ভিস আক্রমণে ইনকামিং ওয়েবট্রাফিকের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছিলো প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট এবং কর্পোরেট নেটওয়ার্ক।

২০১০ সালে ইরানের নিউক্লিয়ার প্রোগ্রামে কম্পিউটার ভাইরাস স্টাক্সনেট আক্রমণের পর সাইবার আর্মি গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলো দেশটি। স্টাক্সনেট ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল হিসেবে সন্দেহের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র আরো জানিয়েছে, মার্কিন ব্যাংকগুলোর ওপর ইরানি হ্যাকারদের এই আক্রমণের পেছনে ইরান সরকারের অনুমোদন রয়েছে নাকি ‘দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে’ ইরানি হ্যাকাররা স্বেচ্ছায় এই আক্রমণ করছে তা পরিষ্কার নয়।

হ্যাকারদের আক্রমণ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে নিরবতা পালন করছে মার্কিন ব্যাংকগুলো। এমনকি এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি পেন্টাগন, এফবিআই, এনএসআই এবং ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মতো কোনো মার্কিন গোয়েন্দাসংস্থাই।

মঙ্গলের বুকে সূর্যগ্রহণ দেখলো কিওরিওসিটি

মঙ্গলের বুকে সূর্যগ্রহণ দেখলো কিওরিওসিটি

মঙ্গলের বুকে সূর্যগ্রহণ দেখলো নাসার মার্স রোভার কিওরিওসিটি। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে মঙ্গলের দু’টি উপগ্রহের একটি ‘ফোবোস’ সৃষ্ট আংশিক সূর্যগ্রহণের ছবি তুলে পাঠিয়েছে কিওরিওসিটি। খবর রয়টার্স-এর।

মঙ্গলের রয়েছে ছোট ছোট দু’টি উপগ্রহ, ফোবোস এবং ডিমোস। মঙ্গলকে ঘিরে ঘুরতে ঘুরতে ফোবোস মঙ্গল এবং সূর্যের মাঝখানে চলে আসায় সূর্যকে আংশিকভাবে আড়াল করে। ফলে মঙ্গল থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। কিওরিওসিটি ওই আংশিক গ্রহণের ছবি তুলেছে হাই রেজুলিউশন ক্যামেরা দিয়ে।

এ পর্যন্ত দু’টি ক্যামেরা ব্যবহার করে ছয়শ’রও বেশি ছবি তুলেছে কিওরিওসিটি। এর মধ্যে প্রায় একশ’টি সূর্যগ্রহণের ছবি। তবে তার মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি ছবিই পৃথিবীতে পাঠিয়েছে কিওরিওসিটি।

মঙ্গলে আবার সূর্যগ্রহণ হবে ১১ মাস পরে। নাসা জানিয়েছে, এবার সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত না থাকলেও, পরেরবার তৈরি থাকবে কিওরিওসিটি।

মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১২

চলে গেলেন প্রথম ল্যাপটপ নির্মাতা বিল মগরিজ

চলে গেলেন প্রথম ল্যাপটপ নির্মাতা বিল মগরিজ


মারা গেলেন বিশ্বে ল্যাপটপ কম্পিউটারের প্রথম নির্মাতা হিসেবে পরিচিত ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ডিজাইনার বিল মগরিজ। ৮ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্রান্সিসকোতে ৬৯ বছর বয়সে মারা যান ক্যান্সারে আক্রান্ত মগরিজ। খবর সিনেট-এর।

১৯৭৯ সালে মগরিজ ডিজাইন করেছিলেন ‘গ্রিড কম্পাস’। মগরিজের তৈরি গ্রিড কম্পাসকে বলা হয় টেকনোলজি ইতিহাসের প্রথম ল্যাপটপ কম্পিউটার। এখন পর্যন্ত টেকনোলজি কোম্পানিগুলো যতো ল্যাপটপ কম্পিউটার বানিয়েছে, গ্রিড কম্পাসের সঙ্গে মিল রয়েছে তার সবগুলোরই।


২০০৯ সালে ন্যাশনাল ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড থেকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন মগরিজ। ২০১০ সালে প্রিন্স ফিলিপ ডিজাইনার্স অ্যাওয়ার্ডও জিতে নিয়েছিলেন বৃটিশ বংশোদ্ভ‚ত এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনার। ২০১০ সাল পর্যন্ত কপার-হিউইট, ন্যাশনাল ডিজাইন মিউজিয়ামে পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছিলেন এই টেক গুরু।

বর্ষীয়ান এই টেক গুরুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ন্যাশনাল ডিজাইন মিউজিয়াম। এক বিবৃতিতে মিউজিয়ামের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ক্যারোলিন বোমেন বলেছেন, ‘মিউজিয়াম স্টাফ এবং ডিজাইন দুনিয়ার সবারই প্রিয় মানুষ ছিলেন মগরিজ। সবার প্রাণ ছুঁয়ে দিতেন এই মানুষটি।’

Apple targets more Samsung products in suit

Seeking to capitalise on a major legal victory over its rival Samsung Electronics Ltd, Apple Inc has asked a federal court in a separate case to find that four additional Samsung products, including the Galaxy S III, infringe Apple's patents.

In February, Apple alleged that at least 17 Samsung products infringe its patents. In a court filing made in San Jose federal court on Friday, Apple added four more products to the list of allegedly infringing products that have been released beginning in August 2011 and continuing through this month.

Apple won a major victory over Samsung last Friday in a separate case when a jury found that the South Korean company had copied critical features of the hugely popular iPhone and iPad and awarded the U.S. company $1.05 billion in damages.

Samsung representatives did not immediately respond to requests for comment.

The case is U.S. District Court, Northern District of California, Apple Inc v. Samsung Electronics Ltd, et al 12-00630.