বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১২

ইবের নিলামে আইনস্টাইনের চিঠি

ইবের নিলামে আইনস্টাইনের চিঠি

নিলামে উঠছে কিংবদন্তী পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের ঈশ্বরের ধারণাকে উড়িয়ে দিয়ে লেখা একটি চিঠি। অনলাইন নিলাম সাইট ‘ইবে’-তে চিঠিটির প্রাথমিক মূল্য ধরা হয়েছে ৩০ লাখ ডলার। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

নিলামে ওঠা চিঠিটি আইনস্টাইন লিখেছিলেন ১৯৫৪ সালে, মৃত্যুর এক বছর আগে। দার্শনিক এরিক গুটকাইন্ডকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে ধর্ম বিষয়ে নিজের ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করেন আইনস্টাইন। বাইবেল কেবল ‘প্রাচীন শিশুতোষ উপকথা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ঈশ্বরের ধারণাটি কেবল ‘মানসিক দুর্বলতা’ বলেও ওই চিঠিতে মন্তব্য করেছিলেন আইনস্টাইন।

২০০৮ সালে চিঠিটি কিনেছিলেন একজন সংগ্রাহক। সম্প্রতি চিঠিটি নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি। সোমবার থেকে ইবেতে শুরু হবে নিলাম। শেষ হবে ১৮ অক্টোবর।

চিঠিটির নিলামের সঙ্গে যুক্ত মুখপাত্র এরিক গাজিন মন্তব্য করেন, ‘আইনস্টাইনকে নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহল আর চিঠিটির বিতর্কিত বিষয়বস্তু-এই দুই মিলে চিঠিটি উপযুক্ত দামে বিক্রি হবে বলেই আশা করছি আমরা।’

উইন্ডোজ ৮-এর জন্য আসছে 'ফায়ারফক্স মেট্রো'

উইন্ডোজ ৮-এর জন্য আসছে 'ফায়ারফক্স মেট্রো'

ফেব্রুয়ারি মাসে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য নতুন ব্রাউজার ফায়ারফক্স মেট্রো বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে মোজিলা। ইতোমধ্যেই নতুন ব্রাউজারের একটি প্রিভিউ ভার্সন এনেছে মোজিলা। নিজেদের ব্লগে নতুন ব্রাউজার সফটওয়্যারের প্রিভিউটি বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে মোজিলা। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

মোজিলা জানিয়েছে, মূলত উইন্ডোজ ৮-এর জন্য ডিজাইন করা হলেও, মেট্রো ইউজার ইন্টারফেস এবং ক্লাসিক ডেস্কটপ ইউজার ইন্টারফেস দু’টিতেই সমান তালে চলবে ফায়াফক্স মেট্রো। উইন্ডোজ ৮-এর আরটিএম ভার্সন ব্যবহারকারীরাও চালাতে পারবেন মোজিলার নতুন ব্রাউজারটি।

অন্যদিকে উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আসবে ২৫ অক্টোবর। ইতোমধ্যে প্রিভিউ সফটওয়্যারটি দিয়ে ফায়ারফক্স মেট্রো ব্রাউজারের সবগুলো খুঁত খুঁজে বের করে আগেই ঠিক করে নিতে চাইছে মোজিলা।

মোজিলার ব্লগে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ফায়ারফক্স মেট্রোতে থাকবে ‘নতুন মেট্রো স্টাইল ফায়ারফক্স স্টার্ট পেইজ, সাপোর্ট করবে ফায়ারফক্স সিঙ্ক, থাকবে মেট্রো টাচ অ্যান্ড সোয়াইপ জেশ্চার। মোজিলা বলেছে, ‘উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য তৈরি ব্রাউজারটি হবে আরো আধুনিক’।

কম্পিউটার মাউসের মজার ট্রিক

কম্পিউটার মাউসের মজার ট্রিক

দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে কম্পিউটার। ডেস্কটপ হোক বা ল্যাপটপ, পড়াশোনা থেকে শুরু করে কাজের খাতিরে সবক্ষেত্রেই নির্ভরতা কম্পিউটারের ওপর। আর কম্পিউটার ব্যবহারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসগুলোর একটি হচ্ছে ছোট্ট মাউসটি। কম্পিউটারে অতি প্রয়োজনীয় সেই মাউসটির অনেক মজার ট্রিকই ব্যবহারকারীদের অজানা। মাউসের সেই ট্রিকগুলো শুধু মজারই নয় বরং কম্পিউটার ব্যবহারকেও করে দেয় অনেক সহজ। এমনই কয়েকটি ট্রিক শিখিয়েছে ইয়াহু টেকনোলজি।

ক্লিক ট্রিক
মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ডাবল ক্লিক করে একটি শব্দ আর ট্রিপল ক্লিক করে পুরো একটি প্যারাগ্রাফ হাইলাইট করার ব্যাপারটি পাঠকের অজানা থাকার কথা নয়। তবে ওয়ার্ড ডকুমেন্টের পুরো একটা কলামকে হাইলাইট করার উপায় কি? চেপে রাখুন অল্টার আর চাপুন মাউসের লেফট বাটনটি। আর কার্সরটিকে টেনে নিয়ে যান আপনি যে কলামটি হাইলাইট করতে চান তার ওপর। ব্যস, হয়ে যাবে কাজ।

স্ক্রল ট্রিক
    স্ক্রল করুন ডানে বামে: মাইক্রোসফট এক্সেলের বেশিরভাগ ভার্সনে শিফট বাটনটি চেপে রেখে স্ক্রল করলে আপনাকে ডানে বামে নিয়ে যাবে কার্সরটি। বড়ো বড়ো স্প্রেডশিট দেখতে কাজে দেবে এই ট্রিকটি।

    ব্যাক বাটন হিসেবে স্ক্রল হুইল: বেশিরভাগ ওয়েব ব্রাউজারেই এই ট্রিকটি কাজে লাগাতে পারবেন পাঠক। শিফট চেপে স্ক্রল হুইলটি ঘোরালেই ব্যাক বাটন হিসেবে কাজ করবে আপনার স্ক্রল হুইল।

রি-লগইন না করার ট্রিক:
ধরে নিন, কর্মক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটারটি রেখে ঘুরে আসতে চাইছেন কিছুক্ষণের জন্য। তবে বার বার কম্পিউটারে রি-লগ করতে চাননা। মাউসের কার্সরটিকে কম্পিউটার মনিটরের অ্যানালগ ঘড়ির ওপর নিয়ে রাখুন। ঘড়ির সেকেন্ডের কাটা নড়লেই সেটি অনুসরণ করবে কার্সর। কম্পিউটারের সামনে না থাকলেও স্লিপ মোডে চলে যাবে না কম্পিউটারটি।

বিবিসি, সিএনএন সাইটের বিরুদ্ধে অভিযোগ মাইক্রোসফটের!

বিবিসি, সিএনএন সাইটের বিরুদ্ধে অভিযোগ মাইক্রোসফটের!

কপিরাইট আইন লক্সঘনের কথা বলে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন থেকে বিবিসির ওয়েবপেইজগুলো সরিয়ে ফেলার আব্দার জানিয়েছিলো মাইক্রোসফট! শুধু বিবিসি নয়, একই অভিযোগের শিকার সিএনএন, উইকিপিডিয়া এবং মার্কিন সরকার। তবে এজন্য দায়ী মাইক্রোসফটের অটোমেটেড সিস্টেমের ভুল। খবর বিবিসির।

ইন্টারনেটে অবৈধভাবে মাইক্রোসফটের কপিরাইট করা কনটেন্ট শেয়ারিং ঠেকাতে প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে বিশেষ একটি সফটওয়্যার। অবৈধ কন্টেন্ট খুঁজে পেলেই ওয়েবপেইজটি সরিয়ে দিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গুগলের কাছে আবেদন পাঠায় সফটওয়্যারটি। মাইক্রোসফটের ওই সফটওয়্যারের ভুলেই বিবিসি এবং সিএনএন-এর মতো সংবাদসংস্থার পেইজগুলো সার্চ ইঞ্জিন থেকে সরিয়ে ফেলার অনুরোধ চলে গিয়েছিলো গুগলের কাছে।

সফটওয়্যারটি একই রকম ভুল টেকডাউন রিকোয়েস্ট করেছিলো বাজফিড, হাফিংটন পোস্ট এবং টেকক্রাঞ্চের মতো ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে। অবশ্য গুগলের অনুমোদিত ওয়েবসাইটগুলোর তালিকায় বিবিসি থাকায় কোনো প্রভাব পড়েনি সংবাদ সংস্থাটির সাইটে। তবে এতে গুগলের লিস্ট থেকে সরে গেছে এএমসি থিয়েটার এবং রিয়ালক্লিয়ার পলিটিক্স-এর মতো ওয়েবসাইটগুলো।

এ ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ।

'রঙিন মধু' বানাচ্ছে চকলেটপ্রেমী মৌমাছি!

'রঙিন মধু' বানাচ্ছে চকলেটপ্রেমী মৌমাছি!


ফ্রান্সে চাক ভর্তি নীল আর সবুজ রংয়ের মধু বানাচ্ছে চকলেটপ্রেমী মৌমাছি! তবে মধুপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ, বিক্রির জন্য নয় এই রঙিন মধু। ফ্রান্সের আলসাস অঞ্চলে ঘটছে এই চমকপ্রদ ঘটনা। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

ফুলের নির্যাস সংগ্রহ করা বাদ দিয়ে ফ্রান্সের আলসাস অঞ্চলের মৌমাছিগুলো আহরণ করছে স্থানীয় বায়োপ্ল্যান্টের প্রক্রিয়াজাত চিনি আর চকলেট ফ্যাক্টরি এমঅ্যান্ডএম-এর বর্জ্য। আর এতেই তৈরি হচ্ছে রঙিন মধু।


সাধারণ মৌমাছিগুলো ফুল থেকে অপরিশোধিত মধু সংগ্রহ করে পৌঁছে দেয় মৌচাকের দায়িত্বে থাকা মৌমাছিদের কাছে। ওই মৌমাছিগুলোর পাকস্থলীতে প্রক্রিয়াজাত হয় অপরিশোধিত মধু। মৌচাকে ওই মধু জমা করে মৌমাছিগুলো। এরপর পাকস্থলী থেকে বের হওয়া মধুর আর্দ্রতা জলীয় বাস্প হয়ে উড়ে গেলে থেকে যায় বিশুদ্ধ মধু।

এদিকে মৌমাছিরা ফুলের মধু ছেড়ে শিল্পকারখানার প্রক্রিয়াজাতকৃত চিনির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন আলসাসের মধু চাষিরা। বিক্রি করতে পারছেন না তাদের সংগৃহীত মধু। আলসাসের স্থানীয় মধু ব্যবসায়ী আন্দ্রে ফ্রিহে জানান, মৌচাক থেকে সংগ্রহ করা নীল ও সবুজ রংয়ের পদার্থগুলো দেখতে মধুর মতো। স্বাদটাও অনেকটা একই রকম। তবে ওই তরল আর যাই হোক মধু নয়।

অন্যদিকে এই সমস্যা সমাধান করতে ভবিষ্যতে বর্জ্য পদার্থগুলো ঢেকে রাখার এবং ওয়েস্ট কন্টেইনারগুলো যতোটা সম্ভব পরিচ্ছন্ন রাখার কথা দিয়েছে স্থানীয় বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট অ্যাগ্রিভ্যালোর এবং চকলেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমঅ্যান্ডএম।

বেসরকারি মহাকাশযানের যাত্রা শুরু

বেসরকারি মহাকাশযানের যাত্রা শুরু

রোববার বেসরকারিভাবে নির্মিত প্রথম কার্গো মহাকাশযান ‘স্পেসএক্স’ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। স্পেস শাটলগুলো অবসরে যাওয়ার পর মহাকাশ স্টেশনের সাপ্লাই চেইন চালু রাখার উদ্দেশ্যে চুক্তিভিত্তিক এধরনের মহাকাশযানের ওপর নির্ভর করার পরিকল্পনা করেছে নাসা। খবর সিনেট-এর।

ড্রাগন ক্যাপসুল এবং এর ফ্যালকন রকেট স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিতে তৈরি হয়েছে মপমফ নভোযান। ১৬০ কোটি ডলার চুক্তিতে নাসার জন্য এটিই প্রথম অপারেশনাল ফ্লাইট মহাকাশযানটির। ১৫৭ ফিট লম্বা নভোযানটি সেকেন্ডে ৫ মাইল গতিতে পৃথিবীকে আবর্তন করবে।

রাশিয়ান, ইউরোপিয়ান এবং জাপানি কার্গো নিয়মিত স্টেশনটি ভিজিট করে। আগামী  তিন সপ্তাহ মহাকাশ স্টেশনটির কর্মীরা আধ টন সরঞ্জাম সেখানে নামাবে। এছাড়াও এতে থাকবে একটি ফ্রিজার, খোলা যন্ত্রাংশ, নভোচারিদের পোশাক এবং খাবার।

নাসার হেডকোয়ার্টার থেকে স্পেস স্টেশনের প্রোগ্রাম অ্যানালিস্ট জুলি রবিনসন বলেন, ‘স্পেসএক্স ড্রাগন নভোযানটি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি ল্যাবরেটরিতে ব্যবহারের জন্য আইএসএস সাপোর্ট করবে। উভয়ই কার্গো স্পেস স্টেশনে যাবে এবং গবেষণার জন্যে স্যাম্পল নিয়ে ফিরবে। এটি শুধু কনসিসটেন্ট সাপ্লাই চেইন আপ-এর জন্যে যাচ্ছে না। বায়োলজিকাল গবেষণার জন্য এটি ফ্রোজেন স্যাম্পল নিয়ে আসবে।’

স্টেম সেল থেকে জন্ম হলো দুই প্রজন্ম

স্টেম সেল থেকে জন্ম হলো দুই প্রজন্ম

ত্বক থেকে সংগ্রহ করা স্টেম সেল থেকে পর পর দু’টি প্রজন্মের ইঁদুর জন্ম দিতে পেরেছেন জাপানি বিজ্ঞানীরা। এর আগে ইঁদুরের ত্বক থেকে নেয়া স্টেম সেল ব্যবহার করে ডিম্বানু সৃষ্টি করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। খবর বিবিসির।

গবেষণাগারে তৈরি ডিম্বানুকে পুরুষ ইঁদুরের শুক্রানু প্রয়োগ করে নিষিক্ত করা হয়। পরিপক্ক হবার পর তা জন্ম দেয় সুস্থ-সবল ইঁদুর ছানার। আর বড় হবার পর সাধারণ ইঁদুরের মতোই বংশবৃদ্ধি করে বিজ্ঞানীদের চমকে দেয় স্টেম সেল থেকে জন্ম নেয়া ইঁদুরগুলো।

একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সন্তান জন্মদানে অক্ষম দম্পতিরা সন্তান পেতে পারেন বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। তবে এই প্রযুক্তি মানব শরীরে ব্যবহারের আগে পেরিয়ে আসতে হবে বৈজ্ঞানিক এবং নৈতিক প্রতিবন্ধকতা।

স্টেম সেল থেকে তৈরি প্রাথমিক পর্যায়ের ইঁদুরের ডিম্বানুগুলোর চারপাশে বিজ্ঞানীরা তৈরি করেন একটি ডিম্বাশয়। তারপর একটি মেয়ে ইঁদুরের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয় ডিম্বাশয়টি। এরপর পুরুষ ইঁদুরের শুক্রানু প্রয়োগ করা হয় ডিমগুলোতে। এরপর ওই ডিমগুলো আবার প্রতিস্থাপন করা হয় মা ইঁদুরের শরীরে।

কিয়োটো ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী ড. কাতসুহিকো হায়াশি বলেন, ‘স্টেম সেল থেকে তৈরি ওই ডিমগুলো পরিণত হয় সুস্থ-সবল ইঁদুর ছানায়।’ মজার ব্যাপার হচ্ছে, সাধারণ ইদুঁরের মতোই বংশবৃদ্ধি করে ওই ইদুঁরগুলো। সে দৃষ্টিকোণ থেকে স্টেম সেলগুলোকে ইঁদুরছানাগুলোর দাদু বললেও ভুল হবে না।

বিজ্ঞানীদের এই গবেষণার চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে, সন্তানহীন দম্পতিদের সাহায্য করা। তবে ইঁদুরের শরীরে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে, মানুষের শরীরে যে হুবহু একই প্রযুক্তি হয়তো ব্যবহার করা সম্ভব হবে না। মানব শরীরের প্রজনন ব্যবস্থার অনেককিছুই এখনও বিজ্ঞানীদের অজানাই রয়ে গেছে। তাই স্টেম সেলের প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানব শিশু জন্মদানে বিজ্ঞানীদের পেরিয়ে আসতে হবে অনেকটা পথ। এছাড়া ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতাও পেরোতে হবে।

পেছালো বমগার্টনারের সুপারসনিক স্কাইডাইভ

পেছালো বমগার্টনারের সুপারসনিক স্কাইডাইভ

খারাপ আবহাওয়ার কারণে পিছিয়ে গেলো অস্ট্রিয়ান ডেয়ারডেভিল ফিলিক্স বমগার্টনারের মহাকাশ থেকে সুপারসনিক স্কাইডাইভিংয়ের নির্ধারিত দিন। সোমবার ভূপৃষ্ঠের ২৩ মাইল উপরের একটি স্পেস ক্যাপসুল থেকে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে লাফিয়ে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার কথা ছিলো বমগার্টনারের। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ৮ অক্টোবর থেকে পিছিয়ে স্কাইডাইভিংয়ের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ অক্টোবর। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

৮ অক্টোবর বমগার্টনারের স্কাইডাইভিংয়ের দিন নির্ধারিত হলেও তা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে ঝড়ো বাতাসের কারণে। বমগার্টনারের ‘রেড বুল স্ট্র্যাটোস’ টিমের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি জানান, সোমবার ঝড়ো বাতাসের পাশাপাশি কমে আসবে তাপমাত্রা। বৃষ্টিও হতে পারে বমগার্টনারের লঞ্চ সাইটে। এ কারণে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে বমগার্টনারের স্কাইডাইভিংয়ের দিন।

আবহাওয়া ঠিক থাকলে ৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার ইতিহাস গড়বেন বমগার্টনার। প্রথমে একটি হিলিয়াম বেলুন বমগার্টনারের জন্য তৈরি স্পেস ক্যাপসুলটিকে পৌঁছে দেবে মাটি থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ফিট বা ২৩ মাইল উচ্চতায়। এরপর মহাকাশ থেকে লাফিয়ে পড়বেন বমগার্টনার। ধারণা করা হচ্ছে, এসময় শব্দের চেয়েও বেশি হবে বমগার্টনারের পতনের গতি। সফল হলে বমগার্টনার হবেন পৃথিবীর প্রথম ‘সুপারসনিক মানব’।

জি-৬০ ট্যাবলেট প্রসেসর আনছে এএমডি

জি-৬০ ট্যাবলেট প্রসেসর আনছে এএমডি

জি-৬০ (Z-60) ট্যাবলেট প্রসেসর দিয়ে উইন্ডোজ ৮ চালিত ট্যাবলেট ডিভাইসের প্রসেসর তৈরির প্রতিযোগিতায় যোগ দিলো এএমডি। নতুন উইন্ডোজ ৮-এর ট্যাবলেট পিসির বাজারে এএমডির মূল প্রতিদ্ব›দ্বী ইনটেলের ক্লোভার প্রেইল চিপ। খবর সিনেট-এর।

এএমডির নতুন চিপে থাকবে হাই পারফরমেন্স গ্রাফিক্স সিলিকন আর ২৭৫ মেগাহার্টজের গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট। ১ গিগাহার্টজের ডুয়াল কোর প্রসেসরটি মাত্র ১০ মিলিমিটার পুরু ট্যাবলেটেও ব্যবহার করা যাবে।

এক বিবৃতিতে এএমডি জানিয়েছে, ‘এ বছরের মধ্যেই বাজারে আসবে জি-৬০ প্রসেসর ব্যবহার করে তৈরি উইন্ডোজ ৮ ট্যাবলেট পিসি।’
জি-৬০ প্রসেসরে চলবে প্রচলিত উইন্ডোজ অ্যাপ্লিকেশনগুলোও। এর মানে হচ্ছে, উইন্ডোজ ৭-এর জন্য তৈরি অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করা যাবে জি-৬০ প্রসেসরে।

তবে ট্যাবলেট পিসির প্রসেসরের বাজারে এএমডির মূল প্রতিদ্ব›দ্বী ইনটেলের ক্লোভার ট্রেইল জেড-২৭৬০ প্রসেসর। ইতোমধ্যেই বাজারে এসেছে ইনটেলের ক্লোভার ট্রেইল চিপ ব্যবহার করে তৈরি একাধিক হাই প্রোফাইল ট্যাবলেট ডিভাইস।

প্রোটেস্ট ক্যান্সারের জেনেটিক চিহ্ন আবিষ্কার

প্রোটেস্ট ক্যান্সারের জেনেটিক চিহ্ন আবিষ্কার

প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে ক্যান্সার বেশি আক্রমণাত্মক হবার আগেই তা চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে এমন দু’টি জেনেটিক সিগনেচার চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। জিনের ওই লক্ষণ দু’টি চিহ্নিত করার জন্য নতুন এক রক্ত পরীক্ষার উদ্ভাবন করেছেন তারা। খবর রয়টার্স-এর।

বিজ্ঞানীদের গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় ল্যানসেট অনকোনোলজি জার্নালে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, তাদের উদ্ভাবিত রক্ত পরীক্ষাটি ব্যবহার করে চিকিৎসকরা আগেভাগেই চিহ্নিত করতে পারবেন মৃত্যুঝুঁকিতে থাকা প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের।

পুরুষদের মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সারের পরেই সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক প্রোস্টেট ক্যান্সার। প্রতিবছর প্রায় নয় লাখ পুরুষের শরীরে প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ে।

গবেষণার জন্য ব্রিটেনের ইনস্টিটিউট অফ ক্যান্সার রিচার্সের বিজ্ঞানীরা একশ’ রোগীর জিন স্ক্যান করেন। ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে রোগীদের তারা চারটি দলে ভাগ করেন। এরপর বিজ্ঞানীরা দেখেন, একটি দলের রোগীরা অন্যদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যাচ্ছেন।

অন্যদিকে পৃথক একটি গবেষণায় আক্রমণাত্মক প্রোস্টেট ক্যান্সারের সঙ্গে জড়িত ছয়টি জিন আবিষ্কার করেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের উদ্ভাবিত রক্ত পরীক্ষা থেকে রোগীদের জিন মনিটর করে আগেভাগেই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে সঙ্কটাপন্ন রোগীদের।

আসছে দেশে অর্থ পাঠানোর নতুন গেটওয়ে

আসছে দেশে অর্থ পাঠানোর নতুন গেটওয়ে


বাংলাদেশীদের জন্য উত্তর আমেরিকা থেকে দেশে অনলাইনে অর্থ পাঠানোর নতুন গেটওয়ের ঘোষণা দিয়েছে কানাডাভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ক্যাসাডা টেকনোলজিস বাংলাদেশ লি. নামের প্রতিষ্ঠানটির এই কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে ১১ অক্টোবর। এর ফলে ‘সহজতম’ উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রে বা কানাডায় ঘরে বসেই বাংলাদেশে অর্থ পাঠানো যাবে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান নাদিমুর রহমান।



নাদিমুর বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য দেশে টাকা পাঠানোর যে পন্থাগুলো রয়েছে, তার বেশিরভাগই সময়সাপেক্ষ। আর দ্রুততার সঙ্গে অর্থ পাঠানোর যে প্রচলিত পথগুলো রয়েছে, সেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই নিরাপদ নয়, এমনকি বেআইনি। কাজের ব্যস্ততার মাঝে সময় করে ব্যাংকের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাও অনেকের জন্য একটি বড় সমস্যা। এর বিপরীতে ক্যাসাডা টেকনোলজিস প্রবর্তিত ই ওয়ালেটের মাধ্যমে অনলাইনে মাউসের কয়েকটি ক্লিকে দেশে অর্থ পাঠানো যাবে। তবে এজন্য থাকতে হবে পেইজার অ্যাকাউন্ট। পেইজার ই-ওয়ালেট থেকে সহজেই টাকা ট্রান্সফার করা যাবে বাংলাদেশের যে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।

ব্যাংক এশিয়ার মাধ্যমে দেশের যে কোনো ব্যাংকের শাখায় এই অর্থ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন নাদিমুর।

জানা গেছে, দেশে ৫০০ ডলার পর্যন্ত টাকা পাঠাবার জন্য একজন গ্রাহককে চার্জ দিতে হবে ৫ ডলার, আর ৫০০ ডলারের ওপরে গেলে চার্জ দিতে হবে ১০ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিনিষেধ মেনে দেশের বাইরেও অর্থ পাঠানো যাবে বলে জানিয়েছেন নাদিমুর।

নোবেল জিতলেন দুই স্টেম সেল বিজ্ঞানী

নোবেল জিতলেন দুই স্টেম সেল বিজ্ঞানী

স্টেম সেল নিয়ে গবেষণা করে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল জিতলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন গর্ডন এবং জাপানী বিজ্ঞানী শিনয়া ইয়ামানাকা। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, স্টেম সেল গবেষণায় বিপ্লব ঘটিয়েছেন এই দুই বিজ্ঞানী। খবর বিবিসির।

১৯৬২ সালে প্রফেসর গর্ডন ব্যাঙের অন্ত্রের কোষ ব্যবহার করে ক্লোন করতে সক্ষম হন। সুস্থ-সবল ব্যাঙ হিসেবে বেড়ে ওঠে ক্লোনটি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ছোটবেলায় গর্ডন বায়োলজির সহজ জিনিষগুলো শিখতে পারছিলেন না। তিনি আর যাই হোন না কেন, বিজ্ঞানী হতে পারবেন না -এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন তার স্কুল শিক্ষক।

৪০ বছর পর জাপানী বিজ্ঞানী প্রফেসর ইয়ামানাকা হাঁটেন একটু ভিন্ন পথে। ত্বকের কোষের সঙ্গে বাড়তি চারটি জিন যোগ করে তৈরি করেন স্টেম সেল। পরে ওই স্টেম সেলগুলো থেকে তৈরি করা সম্ভব হয় দেহের যেকোনো অঙ্গের কোষ।

নোবেল জয়ের পুরস্কার হিসেবে ৮০ লাখ ক্রোনার পাবেন এই দুই বিজ্ঞানী, যা ভাগাভাগি করে নিতে হবে তাদের। ১০ ডিসেম্বর স্টকহোমে পুরস্কার গ্রহণ করবেন এই দুই বিজ্ঞানী।

স্কাইপ দিয়ে ছড়াচ্ছে ম্যালওয়্যার

স্কাইপ দিয়ে ছড়াচ্ছে ম্যালওয়্যার

ইন্টারনেটে কলিং সার্ভিস স্কাইপ ব্যবহার করে ক্ষতিকর ‘ওয়ার্ম’ ছড়াচ্ছে কম্পিউটার হ্যাকাররা। ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে সহজেই স্কাইপ ব্যবহারকারীর পিসির নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি দখল করে নিতে পারবে হ্যাকাররা। খবর বিবিসির।

স্কাইপ ব্যবহারের সময় হঠাৎ করেই চলে আসতে পারে ‘lol is this your new profile pic?’ -এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজটি। মেসেজটিকে ক্লিক করলে ব্যবহারকারীর অজান্তেই ডাউনলোড হবে একটি ট্রোজান হর্স ম্যালওয়্যার ফাইল।

ম্যালওয়্যারটি কম্পিউটারের সিকিউরিটি সিস্টেমে একটি ব্যাকডোর তৈরি করে; যা ব্যবহার করে হ্যাকাররা দখল করে নিতে পারবে কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ।

সোশাল মিডিয়া আক্রমণের জন্য কুখ্যাত ‘ডার্কবট’ ম্যালওয়্যারের সঙ্গে নতুন ম্যালওয়্যারটির মিল আছে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট সোফোস।

ম্যালওয়্যারটি নিয়ে এক বিবৃতিতে স্কাইপ জানিয়েছে, ‘ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নতুন ম্যালওয়্যারটির ব্যাপারে আমরা জানি এবং এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছি আমরা।’

ওই বিবৃতিতে ম্যালওয়্যার আক্রমণ এড়াতে ব্যবহারকারীদের স্কাইপ সফটওয়্যারের নতুন ভার্সন এবং কম্পিটারের সিকিউরিটি সিস্টেমটি আপডেট করে নেবার পরামর্শ দিয়েছে স্কাইপ কর্তৃপক্ষ।

সার্চ থেকে যেভাবে লাভ করছে গুগল ও ফেইসবুক

সার্চ থেকে যেভাবে লাভ করছে গুগল ও ফেইসবুক

ইন্টারনেটে সার্চ করে গেইমস, সোশাল নেটওয়ার্ক, সংবাদপত্র ইত্যাদি বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করলেও বাস্তবে কোনোটাই ফ্রি নয়। গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ইউজারদের বিভিন্ন ডেটা সংগ্রহ করে বিক্রি করে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে। ডিজিটাল ফ্রি সার্ভিসের নামে এভাবেই ইউজারদের ডেটা বিক্রি হয় বলে জানায় সিএনএন।

গুগল এবং ফেইসবুকের এ কার্যক্রমকে ‘ভ্যালু এক্সচেঞ্জ’ বলেছেন প্রাইভেসি চয়েস ফাউন্ডার জিম ব্রোক। অধিকাংশ ব্যবহারকারীই বুঝতে পারেন না যে, ফ্রি সার্ভিসের নামে এভাবে ভ্যালু এক্সচেঞ্জ করছে কোম্পানিগুলো।

২০১০ সালের ৬০ দিনে গুগলের সার্চ কার্যক্রম এবং সার্চ থেকে আয় জানতে পর্যবেক্ষণ করে প্রাইভেসি চয়েস। গবেষকরা বলেন, গুগল ২০১০ সালে প্রতি ১০০০ সার্চ রেজাল্ট প্রদর্শন করে ১৪ দশমিক ৭০ মার্কিন ডলার আয় করে।

ব্রোক আরো জানান, লাক্সারি হোটেল সার্চ করলে আপনার মূল্য গুগলের কাছে অনেক বেশি। কারণ, সার্চ রেজাল্টের পাশাপাশি গুগল সেখানে লাক্সারি হোটেলের কিছু বিজ্ঞাপনও প্রদর্শন করবে, যার মূল্য অন্য বিজ্ঞাপনের তুলনায় বেশি। এজন্য লাক্সারি হোটেল সার্চ করলেই অন্যদের তুলনায় আপনার মূল্য গুগলের কাছে বেড়ে যায়।

ফেইসবুকে ব্রোকের বার্ষিক ভ্যালু ছিলো ১ দশমিক ৬৮ ডলার। কারণ তিনি ফেইসবুক তেমন ব্যবহার করেন না। কিন্তু ব্রোকের মেয়ের মূল্য ১২ ডলার। গুগলের কাছে তার মূল্য বছরে ৭০০ ডলারের বেশি, জানান ব্রোক।

আলোচনায় বসছে শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো

আলোচনায় বসছে শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আলোচনার টেবিলে বসছে অ্যাপল, স্যামসাং, গুগল এবং মাইক্রোসফটের মতো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় টেকনোলজি ফার্মগুলো। ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন আয়োজিত এই আলোচনার মূল লক্ষ্য হচ্ছে, পেটেন্ট নিয়ে টেকনোলজিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভবিষ্যৎ দ্বন্দ্ব ঠেকাতে পারস্পরিক সমঝোতায় আসা। খবর বিবিসির।

আলোচনার মাধ্যমে লাইসেন্স করা প্রযুক্তি যৌক্তিক মূল্যের বিনিময়ে তৃতীয় পক্ষে ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং প্রতিযোগীদের পণ্য বাজারে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা বন্ধ করা হবে কিনা, এ ব্যাপারগুলোর ওপরই আলোকপাত করা হবে আলোচনায়।

আলোচনার আয়োজন করেছে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)। এ ব্যাপারে আইটিইউ মহাসচিব হামাডুন তোরে বলেন, ‘বর্তমানে অপরিহার্য পেটেন্ট ডিজাইন ব্যবহার করে বাজার দখলের চেষ্টা আমরা দেখছি, যা মোটেই কাম্য নয়।’

এই আলোচনা এমন সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন খোদ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন স্যামসাং এবং গুগলের মালিকানাধীন মটোরোলার বিরুদ্ধে পেটেন্ট আইন লক্সঘনের অভিযোগে তদন্ত করছে।

আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে টেকনোলজি শিল্পের জন্য অপরিহার্য পেটেন্টগুলো। পেটেন্ট করা ডিজাইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতেই থাকে। তবে একদিকে যেমন ব্যবহারকারীরা বঞ্চিত হবেন প্রয়োজনীয় টেকনোলজি সুবিধা থেকে, অন্যদিকে বেড়ে যাবে স্মার্টফোনের মতো গ্যাজেটের দাম, যা কিনা ব্যবহারকারীদের সাধ্যের বাইরেও চলে যেতে পারে।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে এমন পেটেন্ট ব্যবহার করলেই তার বিপরীতে বিভিন্ন গ্যাজেট যেন নিষিদ্ধ করা না হয়, সেজন্যে আইনে পরিবর্তন আনার পক্ষে অ্যাপল এবং মাইক্রোসফট। অন্যদিকে এই প্রস্তাবের বিরোধীতা করেছে নোকিয়া এবং কোয়ালকম।

এক অভ্যন্তরীণ সূত্রের ভিত্তিতে বিবিসি জানিয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে পেটেন্ট আইনের কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে কম করে হলেও পেটেন্ট করা ডিজাইনের ব্যবহার নিয়ে একটি সমঝোতায় আসবে প্রতিষ্ঠানগুলো।

নোবেল ২০১২: হিগস-বোসন পেলো না যে কারণে

নোবেল ২০১২: হিগস-বোসন পেলো না যে কারণে


শুরু হয়েছে নোবেল ২০১২-এর পুরস্কার ঘোষণা। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে নোবেল পুরস্কারটি হিগস-বোসন পার্টিকল গবেষকদের কাছেই যাবে বলে ধারণা করেছিলেন পদার্থবিজ্ঞানীদের অনেকেই। কিন্তু কোয়ান্টাম অপটিক্স নিয়ে গবেষণার জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল ২০১২ জিতে নিয়েছেন ফরাসী বিজ্ঞানী সার্জ হারোস এবং মার্কিন বিজ্ঞানী জন ওয়াইনল্যান্ড। কেন এ বছরের নোবেল জিতলো না হিগস বোসন? নোবেল কমিটির এই সিদ্ধান্ত কি কেবলই দেরিতে পুরস্কার দেবার প্রথা অবলম্বন? লাইভ সায়েন্স অবলম্বনে এবারের মেইনবোর্ড লিখেছেন আবদুল্লাহ জায়েদ।

এ বছরের গ্রীষ্মেই হিগস-বোসন পার্টিকলের খোঁজ পাবার কথা বলেছিলেন বিশ্বের বৃহত্তম পার্টিকল কোলাইডার ‘লার্জ হাড্রন কোলাইডার’ (এলএইচসি)-এর বিজ্ঞানীরা। টানা পাঁচ দশক ধরে খোঁজার পর হিগস পার্টিকল পাবার দাবী করেন বিজ্ঞানীরা। এ বছরের পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কারটি এলএইচসি-র বিজ্ঞানীদল অথবা প্রায় ৫০ বছর আগে হিগস পার্টিকলের তত্ত্ব আবিষ্কার করা বিজ্ঞানী পিটার হিগস পাবেন বলে ধারণা করেছিলেন অনেকেই।


৯ অক্টোবর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে রয়াল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স। আলো ও পদার্থের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে কোয়ান্টাম অপটিক্স গবেষণায় অবদানের জন্য পুরস্কার জেতেন পদার্থবিজ্ঞানী সার্জ হারোস এবং জন ওয়াইনল্যান্ড। পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণার পর অনেকেরই প্রশ্ন, ‘কেন হিগস-বোসন নয়?’

পদার্থবিজ্ঞানের বোদ্ধা এবং আগের বছরগুলোর নোবেল বিজয়ীদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন, কেবল প্রথা অবলম্বন করতেই এমন সিদ্ধান্ত নোবেল কমিটির।

২০০৬ সালে নোবেল জিতেছিলেন পদার্থবিজ্ঞানী প্রফেসর জর্জ স্মুট এবং জন ম্যাথার। ১৯৮৯ সালে মহাকাশে পাঠানো নাসার কোবে টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে, বিগ ব্যাংয়ের অবশিষ্ট কসমিক মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন শনাক্ত করেছিলেন তারা। হিগস-বোসন এবারের নোবেল পুরস্কার জিতলে তা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যেতো বলেই মত স্মুটের।


নোবেল কমিটির রয়েছে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ক্ষেত্রে দেরি করে পুরস্কার দেবার পুরনো ইতিহাস। বিজ্ঞানী পার্লমাটার, ব্রায়ান স্মিথ এবং অ্যাডাম রিস মহাবিশ্বের বিস্তারের গতি ক্রমাগত বৃদ্ধির প্রমাণ দিয়েছিলেন ৯০-এর দশকের শুরুর দিকেই। অথচ তারা নোবেল পুরস্কারটি পান ২০১১ সালে। নোবেল কমিটির জন্য ওই ঘটনা একবারেই নতুন কিছু নয়, বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলোর ভিত শক্ত হলে তবেই পুরস্কার দেয়া হবে, এমনটাই মনোভাব তাদের।

৬০-এর দশকে হিগস পার্টিকলের কথা বলেছিলেন বিজ্ঞানীরা। অন্যসব পার্টিকল কেন একজায়গায় জট বেঁধে থাকে, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যেয়ে এই কণাটির কথা বলেছিলেন বিজ্ঞানীরা। এ বছর এলএইচসিতে পরিচালিত দু’টি পরীক্ষা থেকে নিশ্চিত হন নতুন একটি পার্টিকলের অস্তিত্ব। হিগস পার্টিকলের সঙ্গে নতুন কণাটির যথেষ্ট মিলও খুঁজে পান তারা। তবে বিজ্ঞানীরা এখনও তাদের আবিষ্কারটিই হিগস বোসন কিনা, তা নিয়ে এখনও শতভাগ নিশ্চিত নন।


তারপরও অনেকেই মনে করেছিলেন, এবার নোবেল পুরস্কারটি জিতবেন প্রথম হিগস পার্টিকলের কথা বলেছিলেন যিনি, সেই পিটার হিগস এবং তার গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা। আবার পুরস্কারটি এলএইচসির বিজ্ঞানীদের হাতেই যাক, এমনটাও চাইছিলেন অনেকেই। অন্যদিকে নোবেল কমিটি প্রথা ভেঙে একক কোনো ব্যক্তিকে পুরস্কৃত না করে হিগস বোসনের জন্য পুরো একটি প্রতিষ্ঠান তথা এলএইচসিকে পুরস্কারটি দিক, এমন আশাও প্রকাশ করেছিলেন কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞানী পিটার ওইট।

তবে এটাও হতে পারে যে, হিগস বোসনের ঘোষণা আসতে বেশি দেরি হয়ে গিয়েছিলো। পার হয়ে গিয়েছিলো নোবেল পুরস্কারের ডেডলাইন। ২০০৪ সালের নোবেল জয়ী পদার্থবিজ্ঞানী ফ্র্যাঙ্ক উইলজেক বলেন, ‘ ঘোষণাটি এসেছিলো দেরিতে। সাধারণত ১ ফেব্রুয়ারি বন্ধ হয় নোবেল পুরস্কারের জন্য নমিনেশন। যদিও এর ব্যতিক্রমও হয়। তারপরও একটু দেরি হয়ে গিয়েছিলো হিগস বোসন পার্টিকলের ঘোষণা আসতে।’ তবে আগামী বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল জয়ের সম্ভাবনাটি যে হিগস বোসন পার্টিকলেরই সবচেয়ে বেশি, তাও বলেন উইলজেক।

এবারের পদার্থবিজ্ঞানের নোবেলটি হিগস পার্টিকল আবিষ্কারকদের হাতে না যাওয়ায় হয়তো মনোক্ষুন্ন হয়েছেন অনেক বিজ্ঞানী। তবে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর হিগস পার্টিকলের অস্তিত্বের শক্ত প্রমাণ মিললে হয়তো পুরনো প্রথা ভাংতেই হবে নোবেল কমিটিকে।

শুক্রবার, ৫ অক্টোবর, ২০১২

কিশোর বয়সে ধূমপানে অল্প বয়সে মৃত্যুর ঝুঁকি

 
নিউইয়র্ক, অক্টোবর ০৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- কিশোর বয়সে ধূমপান করলে অল্পবয়সেই হৃদরোগে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় বলে পাওয়া গেছে এক গবেষণায়। এমনকি পরবর্তীতে ধূমপান সম্পূর্ণ ছেড়ে দিলেও এ আশঙ্কা থেকেই যায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

যারা কিশোর বয়সে ধূমপান শুরু করে সারাজীবন তা ধরে রাখে, তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি অধূমপায়ীদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বলেওজানিয়েছেন গবেষকরা।

জার্নাল অব দি আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষক ডেভিড ব্যাটি বলেন, এ ঝুঁকি সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে, তবে যতো শিগগির ধূমপানের অভ্যাস ছেড়ে দেয়া যায় ততোই মঙ্গল।

এর আগেও কমবয়সে ধূমপানের সঙ্গে ভবিষ্যতে হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকির সম্পর্ক নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। তবে মধ্যবয়সী ব্যক্তিরা কতো বেশি ধূমপান করছেন তার উপর নির্ভর করে করা এসব গবেষণা খুব বেশি নির্ভরযোগ্য নয় বলে মনে করেন গবেষকরা।

তবে সাম্প্রতিক গবেষণাটিতে তরুণ বয়সীরা কী পরিমাণ ধূমপান করছেন সে উপাত্ত নিয়ে গবেষণা করা হয়।

এতে ১৯১৬ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত ম্যাসাচুসেটসের হাভার্ড ইউনিভার্সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাস্থ্যপরীক্ষায় ধূমপানের পরিমাণ বিষয়ে দেয়া তথ্য ব্যবহার করা হয়। পরে ’৬০, ’৭০ ও ’৮০’র দশকে ওই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জরিপ চালানো হয়।

এ গবেষণায় ২৮ হাজারের বেশি মানুষের স্বাস্থ্যতথ্য অন্তর্ভূক্ত করা হয় যাদের মধ্যে অন্তত ১০ হাজার জন স্কুলে থাকতে ধূমপান করতেন। এসব ধূমপায়ীদের মধ্যে অন্তত অর্ধেক গড়ে ৫৩ বছর বয়সের আগেই মারা যান।

হাভার্ডের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা শিক্ষাজীবনের পড়েও ধূমপান অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার প্রায় ৫০ শতাংশ। তবে যারা কিশোর বয়সে ধূমপান করতেন, তবে পরবর্তীতে ছেড়ে দেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার প্রায় ২৯ শতাংশ।

মৃত্যুর কারণের মধ্যে ধূমপানজনিত হৃদরোগ ও ক্যান্সারই বেশি বলে জানান গবেষকরা।

বোস্টন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষক মাইকেল সিগেল জানান, এ গবেষণা চলার সময়ের মধ্যে যারা ধূমপান ছেড়ে দেন তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসতে দেখা গেছে। তবে কমলেও তা অধূমপায়ীদের চেয়ে বেশিই থেকে যায়।

কিশোর বয়সে ধূমপানে অল্প বয়সে মৃত্যুর ঝুঁকি

 
নিউইয়র্ক, অক্টোবর ০৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- কিশোর বয়সে ধূমপান করলে অল্পবয়সেই হৃদরোগে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় বলে পাওয়া গেছে এক গবেষণায়। এমনকি পরবর্তীতে ধূমপান সম্পূর্ণ ছেড়ে দিলেও এ আশঙ্কা থেকেই যায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

যারা কিশোর বয়সে ধূমপান শুরু করে সারাজীবন তা ধরে রাখে, তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি অধূমপায়ীদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বলেওজানিয়েছেন গবেষকরা।

জার্নাল অব দি আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষক ডেভিড ব্যাটি বলেন, এ ঝুঁকি সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে, তবে যতো শিগগির ধূমপানের অভ্যাস ছেড়ে দেয়া যায় ততোই মঙ্গল।

এর আগেও কমবয়সে ধূমপানের সঙ্গে ভবিষ্যতে হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকির সম্পর্ক নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। তবে মধ্যবয়সী ব্যক্তিরা কতো বেশি ধূমপান করছেন তার উপর নির্ভর করে করা এসব গবেষণা খুব বেশি নির্ভরযোগ্য নয় বলে মনে করেন গবেষকরা।

তবে সাম্প্রতিক গবেষণাটিতে তরুণ বয়সীরা কী পরিমাণ ধূমপান করছেন সে উপাত্ত নিয়ে গবেষণা করা হয়।

এতে ১৯১৬ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত ম্যাসাচুসেটসের হাভার্ড ইউনিভার্সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাস্থ্যপরীক্ষায় ধূমপানের পরিমাণ বিষয়ে দেয়া তথ্য ব্যবহার করা হয়। পরে ’৬০, ’৭০ ও ’৮০’র দশকে ওই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জরিপ চালানো হয়।

এ গবেষণায় ২৮ হাজারের বেশি মানুষের স্বাস্থ্যতথ্য অন্তর্ভূক্ত করা হয় যাদের মধ্যে অন্তত ১০ হাজার জন স্কুলে থাকতে ধূমপান করতেন। এসব ধূমপায়ীদের মধ্যে অন্তত অর্ধেক গড়ে ৫৩ বছর বয়সের আগেই মারা যান।

হাভার্ডের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা শিক্ষাজীবনের পড়েও ধূমপান অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার প্রায় ৫০ শতাংশ। তবে যারা কিশোর বয়সে ধূমপান করতেন, তবে পরবর্তীতে ছেড়ে দেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার প্রায় ২৯ শতাংশ।

মৃত্যুর কারণের মধ্যে ধূমপানজনিত হৃদরোগ ও ক্যান্সারই বেশি বলে জানান গবেষকরা।

বোস্টন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষক মাইকেল সিগেল জানান, এ গবেষণা চলার সময়ের মধ্যে যারা ধূমপান ছেড়ে দেন তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসতে দেখা গেছে। তবে কমলেও তা অধূমপায়ীদের চেয়ে বেশিই থেকে যায়।

Samsung posts $7.3bn third-qurter profit

Samsung posts $7.3bn third-qurter profit



Samsung Electronics reported a record quarterly profit of $7.3 billion, nearly double last year's figure, as strong sales of high-end TVs and Galaxy smartphones more than offset reduced orders for chips and screens from Apple Inc, its main rival and leading customer.

Most analysts, however, expect a run of four straight record quarters to end in December as the South Korean group, the world's leading maker of smartphones, TVs and memory chips, ramps up its marketing to counter Apple's new iPhone and other products in a crowded $200 billion global smartphone market.

Samsung may have spent around $2.7 billion on marketing in July-September alone around the London Olympic Games and new Galaxy promotions, Credit Suisse has estimated.


This year's expected record profit of 28 trillion won ($25 billion) will also trigger higher performance related payouts to many of Samsung's 206,000 staff early next year. And Samsung may have to set money aside this quarter if it fails in an appeal to overturn an August 24 US court verdict that awarded more than $1 billion in damages to Apple for patent infringements by Samsung.


"Fourth-quarter profit will be pressured by one-off expenses: performance payouts and some $1 billion in legal provisioning relating to the Apple litigation. Excluding those, core earnings will remain solid and a swing factor is how much Samsung spends on marketing," said Lee Sun-tae, analyst at NH Investment & Securities.


Analysts expect earnings to decline until the second quarter of next year as a slump in computer sales and a weak global economy sap demand for chips and electronics products.


SMARTPHONE HEAVY?


"The biggest risk for Samsung is competitive product line-ups from its rivals such as the iPhone 5. Because handsets drive most of its profits, one misstep in handsets could result in losses for the whole Samsung group," said Byun Han-joon, an analyst at KB Investment & Securities.


Profit at Samsung's mobile division is likely to have more than doubled in July-September to around 5 trillion won - around two thirds of total group profit - as smartphone shipments topped 58 million, including up to 20 million Galaxy S IIIs.


Ahead of full quarterly results due by October 26, Samsung estimated its July-September operating profit jumped 91 percent to 8.1 trillion won from a year ago, beating an average forecast of 7.6 trillion won in a Reuters survey of 16 analysts. That would be more than a fifth higher than the previous record in April-June. The company, valued at around $197 billion, estimated its third-quarter revenue at 52 trillion won, in line with forecasts.


Samsung shares fell 0.5 percent to 1.36 million won ($1,200) on Friday. The stock has risen more than 7 percent since the US patent defeat in August. Apple shares have gained less than 1 percent.


CHEAP AS CHIPS


Strong handset sales made up for reduced profits from its chip business, as prices of its mainstay dynamic random access memory (DRAM) chips, used in computers and mobiles, dropped 14 percent in the September quarter. DRAM chips now trade below what it costs most contract manufacturers to make them, and will squeeze near-term earnings, analysts say. Tablets and smartphones, the real growth areas, use far smaller memory storage.


Samsung is expected to invest less in chips next year due to the drop in demand, which could be bad news for semiconductor equipment manufacturers such as ASML. Kwon Oh-hyun, promoted to Samsung CEO in June, said late last month that the group has yet to finalize its 2013 investment plans.


Samsung is beefing up its product line-up, with the latest phone-cum-tablet Galaxy Note expected to go on sale in the United States this month, and its ATIV smartphones that run on Microsoft's new Windows system to compete with Nokia's Lumia series.


TAKING NOTE

Samsung's mobile division chief JK Shin last week predicted Note II sales could be three times higher than those of its predecessor model in the three months after launch - suggesting sales of around 10 million devices by the end of this year.

Some analysts see the Note II, a stripped-out, cheaper version of the Galaxy S III and rising NAND flash memory chip prices helping Samsung deliver higher fourth-quarter profit. Nomura on Friday predicted October-December profit could be up to 10 percent more than the 8.1 trillion won in July-September.

In a note on Friday, Citi analyst Henry Kim predicted strong October-December profits, driven by a recovery in semiconductors, though telecoms operating margins could decline by 5 percentage points to 15 percent as it spends more on marketing. "The semiconductor division will show the strongest momentum," he said.

Despite a bruising series of patent disputes and the reputational risk of the US court defeat in August, Samsung's brand value has surged this year as it shipped more handsets and smartphones than any of its rivals. The value of the Samsung brand has jumped to 9th in the world - up from 17th last year - at $32.9 billion, according to brand consultancy Interbrand. That's more than Toyota Motor, but less than half of second-ranked Apple's $76.6 billion.