বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১২

হিমবাহ ধ্বংস দ্রুত করে কার্বন ডাই-অক্সাইড

হিমবাহ ধ্বংস দ্রুত করে কার্বন ডাই-অক্সাইড

মেরু অঞ্চলের হিমবাহের ভাঙনের হার আরো দ্রুত করছে কার্বন ডাই-অক্সাইড। সম্প্রতি হিমবাহের ওপর গ্রিনহাউজ গ্যাসটির প্রভাব নিয়ে গবেষণার জন্য তৈরি কম্পিউটার মডেল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ খবর জানিয়েছেন দুই এমআইটি গবেষক। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

মেরু অঞ্চলের হিমবাহের ওপর কার্বন ডাই-অক্সাইডের প্রভাব নিয়ে গবেষণার জন্য কম্পিউটার মডেলটি বানিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষক প্রফেসর মার্কাস বিউহলার এবং ঝাও কুইন।

প্রথমে বিশুদ্ধ জলের হিমবাহের একটি কম্পিউটার মডেল বানান তারা। তারপর সেখানে ছোট একটি ফাটল তৈরি করে সেখানে কার্বন ডাই-অক্সাইডের প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়। বিউহলার ও কুইন আবিষ্কার করেন, হিমবাহের জলের কণার হাইড্রোজেন বন্ধনীগুলো ভেঙে দিচ্ছে কার্বন ডাই-অক্সাইড। ফলে ক্রমশ বড় হচ্ছে ফাটলটি।

বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, হিমবাহে ২ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড থাকলে তা শতকরা ৩৮ ভাগ দুর্বল হয়ে পড়ে।

তবে এমআইটি গবেষকদের আবিষ্কার থেকে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত টানছেন না বিজ্ঞানীরা। এমআইটি গবেষকরা তাদের কম্পিউটার মডেলটি তৈরি করেছিলেন বিশুদ্ধ বরফের হিমবাহের ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু আদতে হিমবাহ কখনোই বিশুদ্ধ বরফ দিয়ে হয় না। হিমবাহ জমাট বাধার সময় এতে আটকা পড়ে ধুলো-বালি, আগ্নেয়গিরির ছাই ও পাথর, এমনকি উল্কাপিণ্ডও পাওয়া যায় হিমবাহে।

এ ছাড়াও হিমবাহে বরফের গঠন কতোটা শক্তিশালী হয়, সে তথ্যও গবেষকরা কম্পিউটার মডেলে যোগ করেননি। এ কারণে গবেষকদের কম্পিউটার মডেল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এখনই কোনো উপসংহার টানতে নারাজ অনেক বিজ্ঞানী।

ঘরে ফিরলো স্পেস শাটল এনডেভার

ঘরে ফিরলো স্পেস শাটল এনডেভার

অসংখ্য মানুষের উল্লসিত চিৎকার আর ক্যামেরার ফ্ল্যাশের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে স্পেস শাটল এনডেভার ক্যালিফোর্নিয়া সায়েন্স সেন্টারে পৌঁছায় রোববার রাতে। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

মহাকাশে লাখ লাখ মাইল পাড়ি দিয়ে আসার পর, পৃথিবীর মাটিতে হয়তো এনডেভারের মতো স্পেস শাটলের যাত্রা আরও নির্ঝঞ্ঝাট হতে পারতো। কিন্তু নানা বাধায় এনডেভার তার শেষ গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রায় ১৭ ঘণ্টা দেরি করে।

সায়েন্স সেন্টারের এক কর্মীর ভাষায়, ‘এ যেন স্বপ্ন সত্যি হবার মতো। আমরা অনেকদিন ধরে এর আসার প্রতীক্ষায় ছিলাম’। পথে মানুষের ভীড়, গাছপালা আর ল্যাম্পপোস্টের ঝামেলা সামলে আসার পর সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দেয়, যখন এর ক্যারিয়ারের ইঞ্জিন থেকে তেল লিক করতে শুরু করে। এনডেভারের স্থানান্তরে বাজেট ছিলো প্রায় এক কোটি ডলার, যা সায়েন্স সেন্টার আর বিভিন্ন দাতারা বহন করেছে। এজন্য রাস্তা থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে প্রায় ৪শ’ গাছ।

ইঙ্গেল উড আর লস এঞ্জেলসবাসীদের আবেগটা ছিলো অন্যরকম। তাদের ঘরের সামনে দিয়েই গিয়েছে এনডেভার।

অবসরের আগ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ৭শ’ বার পৃথিবী আবর্তনকারী এ কিংবদন্তী শাটলটি অক্টোবরের ৩০ তারিখ থেকে দর্শকদের জন্য প্রদর্শিত হবে সায়েন্স সেন্টারের যাদুঘরে।


সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে প্রস্তুত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে প্রস্তুত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

সাইবার আক্রমণ প্রতিহত করতে পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১১ সেপ্টেম্বরের চেয়েও ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে সাইবার আক্রমণে, জানালেন য্ক্তুরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লিওন পেনেট্টা। খবর বিবিসির।

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আক্রমণকারীদের শনাক্ত করতে ও হুমকি দ্রুত মোকাবেলার জন্য উন্নত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অপারেশন চালানোর জন্য তৈরি হচ্ছে দেশটির সাইবার স্ট্রাইক ফোর্স। আক্রমণকারীকে দ্রুত চিহ্নিত করতে ও ঠেকাতে ডেভেলপ করা হচ্ছে বিভিন্ন টুলস।

সম্প্রতি পেনেট্টা বলেন, ‘সাইবার আক্রমণের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা করতে আমরা পূর্ব পদক্ষেপ নিচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বিদেশি কেউ দেশটির যোগাযোগ, শিল্প বাণিজ্য ও পরিবহন ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আনার টার্গেট নিয়ে এগুচ্ছে। একটি জাতি বা আগ্রাসী চরমপন্থী দল অনলাইনে সুইচ নিয়ন্ত্রণ করে যাত্রীবাহী ট্রেন বা রাসায়নিকবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত করতে পারে। যার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ।’

পেনেট্টা এই ধরনের আক্রমণকে সম্ভাব্য ‘সাইবার পার্ল হারবার’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

এ ছাড়াও আক্রমণকারীরা বড় শহরগুলোর পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় আঘাত হানতে পারে বা দেশের বড় অংশের পাওয়ার গ্রিড সিস্টেম বন্ধ করে দিতে পারে। এই ধরনের সন্ত্রাসী সাইবার কার্যক্রম পুরো জাতিকে বিকলাঙ্গ করে দিতে পারে। বিভিন্ন জায়গায় ছোট স্কেলে সাইবার আক্রমণ এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার বলেও জানান পেনেট্টা।

গত কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাগুলোয় সাইবার আক্রমণের ফলে বিপুল ডেটা বেহাত হয়ে যায়। তারও আগে কাতার এবং সৌদি আরবের তেল কোম্পানিগুলো সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। এতে প্রায় ৩০,০০০ ডিভাইস আক্রান্ত হয়েছিল।

অ্যান্ড্রয়েড ফোন ম্যালওয়ারের আখড়া: এফবিআই

অ্যান্ড্রয়েড ফোন ম্যালওয়ারের আখড়া: এফবিআই

মোবাইল ফোনের জন্য তৈরি ম্যালওয়্যারের আখড়া অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনগুলো। স্মার্টফোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং মোবাইল ম্যালওয়্যারের সংক্রমণ নিয়ে তদন্তের পর এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

এফবিআইয়ের ইন্টারনেট ক্রাইম কন্ট্রোল সেন্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিনফিশার এবং লুজফনের মতো ম্যালওয়্যারগুলোর মূল লক্ষ্যই ছিলো অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন। স্মার্টফোন থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করতে ইন্টারনেটে অপরাধীরা বানিয়েছে বিভিন্ন রকমের ম্যালওয়্যার। কোনোটির কাজ স্মার্টফোন অ্যাড্রেসবুকের তথ্য চুরি করা, আবার কোনোটির কাজ স্মার্টফোনটির নিয়ন্ত্রণ দখল করে নেয়া।

স্মার্টফোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পাস কোড ব্যবহার এবং বিশ্বস্ত ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে এফবিআই। স্মার্টফোনটিকে সব সময় আপডেট রাখা এবং জেইলব্রেকিং এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাটি।

ডিভাইসটি কেনার আগে রিভিউগুলো পড়ে নেবার কথাও বলেছে এফবিআই। আর কেনার পর ডিভাইস এনক্রিপশন আর অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করাও জরুরি। এ ছাড়াও কোনো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড বা কেনার সময় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শও দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাটি।

দি সুপারসনিক ম্যান: ফেলিক্স বমগার্টনার

দি সুপারসনিক ম্যান: ফেলিক্স বমগার্টনার

ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন অস্ট্রিয়ান ‘ডেয়ারডেভিল’ ফেলিক্স বমগার্টনার। ১৪ অক্টোবর মাটি থেকে ১ লাখ ২৮ হাজার ১০০ ফিট উপরের একটি স্পেস ক্যাপসুল থেকে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে লাফিয়ে পড়েন বমগার্টনার। পতনের গতি ছাড়িয়ে যায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৩৩.৯ মাইল। শব্দের চেয়েও দ্রুতগতিতে পতনের পর প্যারাসুটের সাহায্যে মাটিতে নামেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর রসওয়েলে। সবচেয়ে উচ্চতম স্কাইডাইভিংয়ে আগের রেকর্ডটি ভেঙে গড়েন নতুন রেকর্ড। সাউন্ড ব্যারিয়ার ভেঙে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান বিশ্বের প্রথম সুপারসনিক ম্যান হিসেবে। খবর বিবিসির।

ইতিহাস গড়া স্কাইডাইভিংয়ের জন্য বমগার্টনারকে পেরিয়ে আসতে হয়েছে অনেক বাধা বিপত্তি। প্রশিক্ষণ নিয়েছেন দীর্ঘদিন। প্রথমে স্কাইডাইভিংয়ের দিন স্থির করা হয়েছিলো ৮ অক্টোবর। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বারবার পিছিয়ে যায় বহু প্রতীক্ষিত দিনটি। শেষে ১৪ অক্টোবর জীবনের ঝুঁকি ভুলে ঝাঁপিয়ে পড়েন মহাশূন্যে। পৃথিবীর মাটিতে পা দিয়ে গড়েন ইতিহাস।

কিন্তু আরেকটু হলেই শেষ মুহুর্তে বমগার্টনারকে বাতিল করতে হতো স্কাইডাইভ। কাজ করছিলো না তার স্পেস স্যুটটির হিটার। ফলে প্রতিবার নিশ্বাস ফেললেই ঘোলা হয়ে যাচ্ছিলো ভাইজরটি।

স্পেস ক্যাপসুল থেকে লাফ দেবার পর বমগার্টনার মাটিতে নেমে আসেন ৯ মিনিট ৩ সেকেন্ডে। একেবারে মাটির কাছাকাছি এসেই খুলে দেন নিজের প্যারাসুট। অবতরণের পর হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন মাটিতে, হাত দুটো আকাশ পানে ছুঁড়ে করেন বিজয় উল্লাস। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে অভিনন্দন জানাতে সেখানে পৌঁছে যায় রিকভারি হেলিকপ্টার।


এর পরপরই এক প্রেস কনফারেন্সে নিজের অনুভূতি জানিয়ে বমগার্টনার বলেন, ‘আমি যখন পৃথিবীর উপরে স্পেস ক্যাপসুলটিতে দাঁড়িয়ে ছিলাম, নিজেকে অনেক ক্ষুদ্র মনে হচ্ছিলো তখন। ভুলে গিয়েছিলাম বিশ্ব রেকর্ড ভাঙার কথা। কেবল জীবন্ত পৃথিবীর বুকে ফিরে আসার কথাই ভাবছিলাম বারবার।’
শুরুতেই নিজের রেড বুল স্ট্র্যাটোস টিমের সদস্য আর দর্শক, সাংবাদিকদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলেন বমগার্টনার। পতনের শুরুতে মাথা নিচে, দু’ হাত ছড়িয়ে দিয়ে তার থাকার কথা ছিলো ডেল্টা পজিশনে। কিন্তু লাফিয়ে পড়ার পরই বায়ুমণ্ডলে বারবার ঘুরপাক খাচ্ছিলেন বমগার্টনার। শেষপর্যন্ত দীর্ঘদিনের বেইজ জাম্পিং এবং স্কাইডাইভিংয়ের অভিজ্ঞতাই তাকে বাঁচিয়ে দেয় মৃত্যুর হাত থেকে। নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান নিজের ওপর। ফিরে আসেন ডেল্টা পজিশনে।

কিন্তু নাটকীয়তার শুরু আরো আগেই। মিশন শুরু হবার আগেই একদম শেষ মুহূর্তের ইকুইপমেন্ট চেকে ধরা পড়ে, নষ্ট হয়ে গেছে বমগার্টনারের স্পেস স্যুটের হিটারটি। ফলে বমগার্টনার শ্বাস ফেললেই ঘোলা হয়ে যাচ্ছিলো তার ভাইজরটি। ছোট ত্রুটি মনে হলেও, ওই নষ্ট হিটারটির জন্য তার মৃত্যু হতে পারতো।


তবুও আর পিছপা হতে রাজি ছিলেন না বমগার্টনার। ঘোলাটে দৃষ্টিসীমার কারণে আছড়ে পড়তে পারতেন পৃথিবীতে। পুরো দলের সঙ্গে আলোচনা করে মিশন চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

ফেলিক্সের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন আরেক কিংবদন্তী মার্কিন এয়ারফোর্স কর্ণেল জো কিটেনগার। বিশ্বের উচ্চতম স্কাইডাইভিংয়ের রেকর্ডটির মালিক এতোদিন ছিলেন কিটেনগার। সেই রেকর্ডের পাঁচ দশক পর নতুন রেকর্ড গড়ে যেন গুরুর নাম রাখলেন শিষ্য ফেলিক্স।

শুরু থেকেই ফেলিক্সের সঙ্গে ছিলেন কিটেনগার। যখনই হতাশ হয়ে পড়েছেন বমগার্টনার, নিজের দক্ষতাকে  প্রশ্ন করেছেন, তখনই উৎসাহ জুগিয়েছেন কিটেনগার। দিয়েছেন সাহস ও অনুপ্রেরণা। ফেলিক্স মাটিতে অবতরণ করার পর জ্যেষ্ঠ এই কিংবদন্তী বলেন, ‘ফেলিক্স খুবই সাহসিকতার সঙ্গে কাজটি করেছে। ওর সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।’


২০০৫ সালে প্রথম এই স্কাইডাইভিংয়ের কথা মাথায় আসে বমগার্টনারের। এরপর অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করেন তিনি। ১৪ অক্টোবর নিউ মেক্সিকোর আকাশে বাতাসের চাপ ছিলো মাত্র ২ শতাংশ। বমগার্টনারকে মহাকাশে পৌঁছে দিতে নভোচারীদের স্পেস ক্যাপসুলের ডিজাইন অনুকরণ করে বানানো হয়েছিলো একটি বিশেষ ক্যাপসুল। হিলিয়াম বেলুন ক্যাপসুলটিকে উড়িয়ে নিয়ে যায় মাটি থেকে প্রায় ২৪ মাইল উপরে। স্পেস স্যুটটিও বানানো হয়  নভোচারীদের স্পেস স্যুটের আদলে।

বমগার্টনারের এই ইতিহাস গড়া স্কাইডাইভিংয়ের বৈজ্ঞানিক গুরুত্বও কিন্তু কম নয়। দ্রুতগতিতে মহাকাশ থেকে পতন সম্পর্কে নানা তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যা কাজে আসবে ভবিষ্যৎ স্পেস মিশনে। মিশনে বমগার্টনারকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছিলো নাসাও।

বমগার্টনারের মিশনটি নিয়ে বিবিসি এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক বানাচ্ছে একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম। নভেম্বর মাসে দেখানো হতে পারে ডকুমেন্টারিটি।

'আয়রন ম্যান' স্যুট বানাচ্ছে নাসা!

আয়রন ম্যান' স্যুট বানাচ্ছে নাসা!

সাই-ফাই কমিকস আর হলিউডি সিনেমা ছেড়ে আয়রন ম্যান বা ওয়ারমেশিনের মতো এক্সোস্কেলিটন মোবাইল স্যুট এবার বুঝি বাস্তব দুনিয়াতে চলে এলো। মহাকাশের ভরশূন্য অবস্থায় নভোচারীদের চলাফেলায় সুবিধা করে দিতে নাসা বানিয়েছে রোবোটিক এক্সোস্কেলিটন ‘এক্স ওয়ান’। শুধু মহাকাশেই নয়, পৃথিবীর বুকেও পঙ্গুত্বের শিকার ব্যক্তিদের হাঁটার ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে পারে মোবাইল স্যুটটি। খবর ম্যাশএবল-এর।

এক বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, মহাকাশে ভরশূন্য অবস্থায় নভোচারীদের হাঁটতে সাহায্য করবে ৫৭ পাউন্ড ওজনের এক্স ওয়ান। এছাড়াও মেরুদণ্ডে আঘাতের কারণে পঙ্গুত্বের শিকার ব্যক্তিদের হাঁটতেও সাহায্য করবে রোবোটিক এক্সোস্কেলিটনটি।

এখনও পরীক্ষামূলক অবস্থায় রয়েছে এক্স ওয়ান। লম্বা সময় স্পেস স্টেশনে কাটানোর সময় বা ভবিষ্যত মার্স মিশনে নভোচারীদের সাহায্য করতে এক্স ওয়ান কতোটা ভূমিকা রাখতে পারবে, সে ব্যাপারটি ক্ষতিয়ে দেখছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

এক্স ওয়ান তৈরিতে নাসা জোট বেঁধেছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান অ্যান্ড মেশিন কগনিশন এবং ওশেনিয়ারিং স্পেস সিস্টেমের প্রকৌশলীদের সঙ্গে। এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে থাকলেও, নাসার বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, নভোচারীদের ভরশূন্য অবস্থায় চলাচল করতে এবং এক্সসারসাইজ ডিভাইস হিসেবে কাজ করবে রোবট এক্সোস্কেলেটন এক্স ওয়ান।

ভিডিও লিঙ্ক:
http://mashable.com/2012/10/14/nasa-exoskeleton-suit

৬০০ কোটি ছাড়ালো মোবাইল সিম সংখ্যা

৬০০ কোটি ছাড়ালো মোবাইল সিম সংখ্যা

পুরো পৃথিবীর মানুষের সংখ্যার প্রায় সমান এখন অ্যাকটিভ মোবাইল সংখ্যা। জাতিসংঘের টেলিকম এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১১ সালের শেষ দিক পর্যন্ত পুরো পৃথিবীতে অ্যাকটিভ মোবাইল ডিভাইসের সংখ্যা ৬০০ কোটি। খবর বিবিসির।

বিশ্বের ১৫৫টি দেশের টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থার ওপর গবেষণা চালিয়ে ‘মেজারিং দি ইনফরমেশন সোসাইটি ২০১২’ নামে প্রতিবেদনটি তৈরি করে আইটিইউ। আইটিইউ-এর হেড অফ ডেটা ডিভিশন সুসান টেলশার এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা সিমকার্ডের সংখ্যা গুনেছি; ব্যবহারকারী বা ডিভাইস নয়। তাই একজন ব্যক্তির যদি ডুয়াল সিম ব্যবহারযোগ্য মোবাইলে দু’টি সিম কার্ড থাকে তবে আমরা দু’টি সাবস্ক্রিপশন হিসেব করেছি।’

সুসান আরো জানান, আইটিইউ-এর প্রতিবেদনে যোগ করা হয়নি ট্যাবলেট পিসি এবং ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করা সিমগুলোর সংখ্যা।

ওই প্রতিবেদনে আইটিইউ আরো জানিয়েছে, উন্নত দেশগুলোতে শতকরা ৭০ ভাগ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই হার মাত্র ২৪ শতাংশ। শুধু তাই নয়, ফিক্সড ব্রডব্যান্ড লাইনের তুলনায় মোবাইল ব্রডব্যান্ড সার্ভিসের সংখ্যা দ্বিগুণ।

আইটিইউ-এর টেলিকমিউনিকেশন ব্যুরোর পরিচালক ব্রাহিমা সানোউ বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মোবাইল ব্রডব্যান্ড সার্ভিসের সংখ্যা বাড়ায় নতুন অনেক ব্যবহারকারীর কাছেই পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট সুবিধা। তবে ব্যবহার বাড়লেও উন্নয়নশীল অনেক দেশেই মোবাইল ও ইন্টারনেটের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি।’

১৪ অক্টোবর দুবাইয়ে ‘আইটিইউ টেলিকমিউনিকেশন ওয়ার্ল্ড ২০১২’ ইভেন্টে একত্রিত হবে টেলিকমিউনিকেশন শিল্পের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। কনফারেন্সে থাকবেন প্রায় তিনশ’ বিশ্বনেতা। এছাড়া সিসকো, ভেরাইজন, ক্যাসপারস্কি ল্যাব, হুয়াউই, কোয়ালকম এবং এরিকসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরাও থাকবেন।


সুর বদলে গান গাইতে পারে ইঁদুর!

সুর বদলে গান গাইতে পারে ইঁদুর!


কেবল চিঁ-চিঁ আওয়াজ করেই ক্ষান্ত হয়না ইঁদুররা। আল্ট্রাসনিক সুরে গাইতে পারে গান। এমনকি নিজের গলার সুরও বদলে ফেলতে পারে ওরা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ইঁদুরদের এই গানের প্রতিভা আবিষ্কার করেছেন নিউরোবায়োলজিস্টরা। খবর লাইভসায়েন্স-এর।


নতুন নতুন সুর শিখতে পারে, মানুষ ছাড়া প্রাণীজগতে এমন প্রাণীর সংখ্যা হাতে গোনা। এতোদিন কেবল ডলফিন এবং তোতা পাখির মতো কিছু গায়ক পাখির নতুন সুর শিখতে পারার ক্ষমতার কথা জানা ছিলো বিজ্ঞানীদের। কিন্তু ইঁদুরদের মধ্যেও একই প্রতিভা আবিষ্কার করে বেশ অবাক হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

লাইভসায়েন্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডিউক ইউনিভার্সিটির নিউরোবায়োলজিস্ট ড. এরিক জারভিস বলেন, ‘ইঁদুরদের মধ্যে গলার আওয়াজ আওয়াজ ব্যবহার করে যোগাযোগ স্থাপনের উপায়টি আমরা যতোটা আদিম ভেবেছিলাম, আদতে তা নয়। বরং মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে ওদের।’

ইঁদুরদের এই গানের প্রতিভা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে নানা পরীক্ষা চালান বিজ্ঞানীরা। প্রথমে তারা কয়েকটি ইঁদুরের কণ্ঠনালীর মাংশপেশী নিয়ন্ত্রণকারী মস্তিষ্কের মোটর কন্ট্রোল সিস্টেমটি নষ্ট করে দেন। তারপর তারা দেখেন, আগের মতো আর গান গাইতে পারছে না ইঁদুরগুলো।

এরপর তারা দু’টি সুস্থ পুরুষ ইঁদুরকে মেয়ে ইঁদুরদের সঙ্গে একই খাঁচায় রাখেন। মেয়ে ইঁদুরদের আকৃষ্ট করতে পুরুষ ইঁদুরদের গান গাবার স্বভাব বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছিলেন আগেই। শুরুতে পুরুষ ইঁদুর দু’টির গলার স্বর ছিলো পুরো আলাদা। কিন্তু আট সপ্তাহ পর বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন, গলার সুর বদলে পুরুষ ইঁদুর দু’টি একই সুরে গলা মিলিয়ে গান গাইছে!

ড. জারভিস এ ঘটনার ব্যাখ্যা দেন এভাবে, ‘এক কথায় বলতে গেলে, ইঁদুর দু’টি নিজেদের গলার স্বর বদলে ফেলেছে যাতে মেয়েদের কাছে ওদের দু’জনের গলা একই শোনায়।’

ভবিষ্যতে ইঁদুরদের গানের প্রতিভার সঙ্গে জড়িত জিনগুলো নিয়ে গবেষণা করতে চান ড. জারভিস।

স্যামসাং আনছে গ্যালাক্সি এসথ্রি মিনি

স্যামসাং আনছে গ্যালাক্সি এসথ্রি মিনি

গ্যালাক্সি এসথ্রি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনের মিনি ভার্সন বাজারে আনছে স্যামসাং। খবর গার্ডিয়ান-এর।

অ্যাপলের আইফোন ফাইভের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় স্যামসাং নিয়ে আসছে গ্যালাক্সি এসথ্রি মিনি। বৃহস্পতিবার ডিভাইসটি ইউরোপের বাজারে ছাড়বে বলে জানিয়েছে স্যামসাং।

দক্ষিণ কোরিয়ায় স্যামসাংয়ের হেডকোয়ার্টারে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সে স্যামসাং একথা জানায়। নতুন ডিভাইসটির বাজার সম্ভাবনার কথা বলেন কোম্পানির হেড অফ মোবাইল কমিউনিকেশন জেকে শিন। তিনি বলেন, ‘ইউরোপের বাজারে চার ইঞ্চি স্ক্রিনের স্মার্টফোনের চাহিদা অনেক। বাজার চাহিদার প্রেক্ষিতে গ্যালাক্সি এসথ্রি মিনি ডিভাইস আনা হচ্ছে। অনেকে একে এন্ট্রি লেভেলের ডিভাইস নামেও চেনেন। আমরা একে বলছি গ্যালাক্সি এসথ্রি মিনি ডিভাইস।’

স্মার্টফোনের সবধরনের ডিভাইসের বাজার ধরতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে স্যামসাং। গত মাসে অ্যাপল আইফোন ফাইভ বাজারে ছাড়ে। তারই প্রেক্ষিতে স্যামসাং মে মাসে বাজারে নিয়ে আসা গ্যালাক্সি এসথ্রি ৪.৮ ইঞ্চি স্ক্রিনের ডিভাইসের মিনি ভার্সন বাজারে ছাড়বে বলে জানিয়েছে।

নোকিয়ার লুমিয়া সিরিজের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় স্যামসাং মাইক্রোসফটের নতুন উইন্ডোজ ফোন ৮ সিস্টেমচালিত কয়েকটি ডিভাইস বাজারে ছাড়ছে। তার মধ্যে আছে ট্যাবলেট গ্যালাক্সি নোট টু।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১২

৩ লাখ ৭৫ হাজার রুপী নিয়ে চম্পট বিয়ের কনে!

৩ লাখ ৭৫ হাজার রূপী নিয়ে ভেগে গেছে বিয়ের কনে। প্রায় ৫০ জন বরযাত্রী ঘটনাস্থলে গিয়ে কনের আর কোনো হদিস পায়নি।

ভারতের রাজস্থানে জয়পুর থেকে ৫৫০ কিলোমিটার দূরের বারমার শহরে এ ঘটনা ঘটে। বিয়ে ঠিক করতে বরপক্ষের কাছ থেকে ওই রূপী নিয়েছিল দুই ঘটক বীর সিং ও জেথা রাম।

২৮ অগাস্টে জোধপুরের হিরাদেসার গ্রামের বাসিন্দা অর্জুনরাম ৫০ জন বরযাত্রী নিয়ে বারমারে বিয়ে করতে ওই কনের বাড়িতে গিয়ে দেখে দরজায় তালা ঝুলছে। কনে এমনকি তার পরিবারশুদ্ধ লাপাত্তা।

সারারাত অপেক্ষা করেও কারো দেখা না পেয়ে পরে সবাই বুঝতে পারে যে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছে।

দুই ঘটকের একজনকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বারমারে এখনো অবস্থান করছে অর্জুনরামসহ কয়েকজন গ্রামবাসী।

প্রাথমিক তদন্তে ওই কনে ও দুই ঘটক বিয়ের নামে প্রতারণাকারী একটি চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএফ/এলকিউ/২১১৪ঘ.

রক্তে আঁকা চিত্রকর্ম নিয়ে হাজির হলেন মার্কিন শিল্পী

 
নিউ ইয়র্ক, অক্টোবর ০৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রক্ত, ঘাম ও অশ্রু দিয়ে ছবি আঁকার দাবি করেছেন অনেক শিল্পী। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের চিত্রশিল্পী ভিনসেন্ট ক্যাস্টিগলিয়া তা করে দেখিয়েছেন। নিজের রক্তে আঁকা চিত্রকর্ম নিয়ে আয়োজন করেছেন প্রদর্শনী।

ভিনসেন্ট ক্যাস্টিগলিয়ার চিত্রকর্ম নিয়ে বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে একটি প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। ‘পুনরুত্থান’ শিরোনামের এ প্রদর্শনী চলবে পুরো অক্টোবর জুড়ে। এতে স্থান পেয়েছে গত ১০ বছর ধরে শিল্পীর আঁকা সব চিত্রকর্ম। রঙের জায়গায় রক্ত দিয়ে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ চিত্রকর্মগুলো।

চলতি সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে ক্যাস্টিগলিয়া বলেন, ‘চিত্রকর্মের সঙ্গে সর্বোচ্চ মাত্রার আন্তরিকতা গড়ে তুলতে’ রক্ত দিয়ে চিত্র আঁকা শুরু করেন তিনি।

এর আগে এ কাজের ব্যাপারে খুব ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তবে অনেকেই রক্ত দিয়ে ছবি আঁকায় চমকে উঠেছেন।

তার চিত্রকর্মের দিকে তাকালেই কী দিয়ে সেগুলো আঁকা হয়েছে তা বোঝা যাবে বলে জানান তিনি।

জীবন ও মৃত্যুর মাঝে মানুষের মানবিকতা ও সম্প্রীতির বিষয়টি ক্যাস্টিগলিয়া তার এ চিত্রগুলোতে তুলে ধরেছেন। প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া বড় চিত্রকর্মগুলোর প্রতিটি শেষ করতে তিন মাসেরও বেশি সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সাড়ে নয়শ’ থেকে ২৬ হাজার ডলারের মধ্যে তার এ চিত্রকর্মগুলোর দাম ধরা হয়েছে।

তেলাপোকা খেয়ে বিজয়ী, অতঃপর মৃত্যু!

 
ঢাকা, অক্টোবর ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- তেলাপোকা খাওয়ার এক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার কিছক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কাছে হার মেনেছেন এডওয়ার্ড আর্চবোল্ড নামের যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক বাসিন্দা ।

শুক্রবার ফ্লোরিডা এক দোকানে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।

ফ্লোরিডার ডেয়ারফিল্ড বিচে এক পোষা প্রাণীর দোকানে চলছিল পোকা খাওয়ার ওই প্রতিযোগিতা।

৩২ বছর বয়সী আর্চবোল্ড কয়েক ডজন তেলাপোকা খেয়ে ভিন্ন ধরনের এ প্রতিযোগিতায় জয়ী হন। বিজয়ী হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে দোকানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন আর্চবোল্ড আর কাউকে কোনো সুযোগ না দিয়েই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।

তবে ওই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বাকি ৩০ জনের সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ।

‘বেন সিগেল রেপটাইল স্টোর’ নামের ওই দোকানের মালিক বেন সিগেল বলেন, “প্রতিযোগিতার আগে মোটেই অসুস্থ মনে হয়নি এডওয়ার্ডকে।”

বেন জানান, এডওয়ার্ডের এক বন্ধু তাকে এ প্রতিযোগিতায় নিয়ে আসে। এর প্রথম পুরস্কার ছিলো একটি অজগর সাপ। পুরস্কার জিতে সাপটি বন্ধুর কাছে বিক্রি করার কথা ছিলো তার।

বেন সিগেলের আইনজীবী জানান, প্রতিযোগিতার আগে এতে অংশগ্রহণের সব দায়দায়িত্ব নিজের বলে স্বীকার করে নিবন্ধনপত্রে স্বাক্ষর করেন এডওয়ার্ডসহ অন্য সব প্রতিযোগী।

Huawei faces exclusion from planned Canada government network

OTTAWA, Oct 10 (bdnews24.com/Reuters) - Canada indicated strongly on Tuesday it would exclude Chinese telecom equipment giant Huawei Technologies Co Ltd from helping to build a secure Canadian government communications network because of possible security risks.

Meanwhile, the European Commission has delayed a trade case against Huawei and another Chinese telecom equipment maker, ZTE Corp, easing tensions between the European Union and China, its second-biggest trading partner.

Canada has invoked a national security exception to let it discriminate, without violating international trade obligations, against companies deemed as too risky to be involved in putting together the network for carrying government phone calls, emails and data center services, Canadian Prime Minister Stephen Harper's spokesman told a news conference.

"The government's going to be choosing carefully in the construction of this network, and it has invoked the national security exception for the building of this network," Andrew MacDougall, spokesman for the Conservative prime minister, said.

"I'll leave it to you if you think ... Huawei should be a part of a Canadian government security system," MacDougall said.

MacDougall was speaking in reaction to a report on Monday from the U.S. House of Representatives Intelligence Committee, which urged American firms to stop doing business with Huawei and ZTE.

It warned that China could use equipment made by the two companies to spy on certain communications and threaten vital systems through computerized links.

CBC television reported that the House committee chairman, Representative Mike Rogers, is also urging Canadian companies not to do business with Huawei.

Huawei and ZTE are the world's second- and fifth-largest makers of wireless telecoms gear.

EU Trade Commissioner Karel De Gucht is gathering evidence in order to launch an anti-dumping or anti-subsidy case. His efforts have been hindered by the fact that no European producer, such as Ericsson and Alcatel-Lucent, has complained. A formal complaint is normally a prerequisite for an investigation.

'PROCUREMENT OPPORTUNITIES'

Huawei has a thriving business in Canada. It won a contract in 2008 to build telecommunications networks for domestic operators Telus Corp and BCE Inc's Bell Canada, and it has even received a C$6.5 million ($6.6 million) grant from the province of Ontario towards a C$67 million investment by Huawei in research and development.

"The national security exception only applies to foreign companies," said Huawei Technologies Canada Co Ltd spokesman Scott Bradley.

"Huawei is fully incorporated in Canada, and operates as a subsidiary Canadian company. This alone effectively enables us to bid on any potential procurement opportunities," Bradley added.

Huawei has 130 engineers in its Ottawa research-and-development facility and has 300 employees in its Canadian head office in Markham, Ontario, the company said. The company says it has so far procured C$400 million from Canadian companies.

Its services may be in particular demand by Canadian firms next year after an auction of valuable wireless spectrum of 700 MHz frequencies, compatible with the new mobile broadband technology known as long-term evolution (LTE), one of Huawei's fortes.

In invoking the security exception for the government network, Canada has not gone as far as Australia, which has barred Huawei from taking part in contracts to build the government's $38 billion national broadband network.

Bradley suggested the Australian decision was made for other reasons.

Bradley said that Australia has made pretty clear that it is "trying to cozy up to the United States right now in terms of their trade relationship," noting that Australia has also agreed to have 2,500 U.S. troops stationed there.

David Skillicorn, Internet security expert at Queen's University in Kingston, Ontario, said he supports the U.S. recommendation not to deal with Huawei and said the Canadian government should revisit its decision to let it operate in Canada.

"The Harper government is putting Canadian telecommunications companies at risk. We shouldn't be rolling out the red carpet for this company," Skillicorn said.

The negative publicity in Canada for Huawei and for China in general may have ramifications for a $15.1 billion bid by China's CNOOC Ltd for Canadian oil firm Nexen Inc.

The Canadian government must decide if the takeover would be of net benefit to Canada. Some politicians have said a Chinese state-owned firm should not be allowed to scoop up a Canadian oil firm.

Canada's spy agency Canadian Security and Intelligence Service has put out a report saying investment in strategic sectors by some foreign state-owned firms could threaten national security.

($1=$0.98 Canadian)

bdnews24.com/lq/2135hWARNING: Any unauthorised use or reproduction of bdnews24.com content for commercial purposes is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

ইবের নিলামে আইনস্টাইনের চিঠি

ইবের নিলামে আইনস্টাইনের চিঠি

নিলামে উঠছে কিংবদন্তী পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের ঈশ্বরের ধারণাকে উড়িয়ে দিয়ে লেখা একটি চিঠি। অনলাইন নিলাম সাইট ‘ইবে’-তে চিঠিটির প্রাথমিক মূল্য ধরা হয়েছে ৩০ লাখ ডলার। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

নিলামে ওঠা চিঠিটি আইনস্টাইন লিখেছিলেন ১৯৫৪ সালে, মৃত্যুর এক বছর আগে। দার্শনিক এরিক গুটকাইন্ডকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে ধর্ম বিষয়ে নিজের ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করেন আইনস্টাইন। বাইবেল কেবল ‘প্রাচীন শিশুতোষ উপকথা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ঈশ্বরের ধারণাটি কেবল ‘মানসিক দুর্বলতা’ বলেও ওই চিঠিতে মন্তব্য করেছিলেন আইনস্টাইন।

২০০৮ সালে চিঠিটি কিনেছিলেন একজন সংগ্রাহক। সম্প্রতি চিঠিটি নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি। সোমবার থেকে ইবেতে শুরু হবে নিলাম। শেষ হবে ১৮ অক্টোবর।

চিঠিটির নিলামের সঙ্গে যুক্ত মুখপাত্র এরিক গাজিন মন্তব্য করেন, ‘আইনস্টাইনকে নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহল আর চিঠিটির বিতর্কিত বিষয়বস্তু-এই দুই মিলে চিঠিটি উপযুক্ত দামে বিক্রি হবে বলেই আশা করছি আমরা।’

উইন্ডোজ ৮-এর জন্য আসছে 'ফায়ারফক্স মেট্রো'

উইন্ডোজ ৮-এর জন্য আসছে 'ফায়ারফক্স মেট্রো'

ফেব্রুয়ারি মাসে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য নতুন ব্রাউজার ফায়ারফক্স মেট্রো বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে মোজিলা। ইতোমধ্যেই নতুন ব্রাউজারের একটি প্রিভিউ ভার্সন এনেছে মোজিলা। নিজেদের ব্লগে নতুন ব্রাউজার সফটওয়্যারের প্রিভিউটি বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে মোজিলা। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

মোজিলা জানিয়েছে, মূলত উইন্ডোজ ৮-এর জন্য ডিজাইন করা হলেও, মেট্রো ইউজার ইন্টারফেস এবং ক্লাসিক ডেস্কটপ ইউজার ইন্টারফেস দু’টিতেই সমান তালে চলবে ফায়াফক্স মেট্রো। উইন্ডোজ ৮-এর আরটিএম ভার্সন ব্যবহারকারীরাও চালাতে পারবেন মোজিলার নতুন ব্রাউজারটি।

অন্যদিকে উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আসবে ২৫ অক্টোবর। ইতোমধ্যে প্রিভিউ সফটওয়্যারটি দিয়ে ফায়ারফক্স মেট্রো ব্রাউজারের সবগুলো খুঁত খুঁজে বের করে আগেই ঠিক করে নিতে চাইছে মোজিলা।

মোজিলার ব্লগে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ফায়ারফক্স মেট্রোতে থাকবে ‘নতুন মেট্রো স্টাইল ফায়ারফক্স স্টার্ট পেইজ, সাপোর্ট করবে ফায়ারফক্স সিঙ্ক, থাকবে মেট্রো টাচ অ্যান্ড সোয়াইপ জেশ্চার। মোজিলা বলেছে, ‘উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য তৈরি ব্রাউজারটি হবে আরো আধুনিক’।

কম্পিউটার মাউসের মজার ট্রিক

কম্পিউটার মাউসের মজার ট্রিক

দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে কম্পিউটার। ডেস্কটপ হোক বা ল্যাপটপ, পড়াশোনা থেকে শুরু করে কাজের খাতিরে সবক্ষেত্রেই নির্ভরতা কম্পিউটারের ওপর। আর কম্পিউটার ব্যবহারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসগুলোর একটি হচ্ছে ছোট্ট মাউসটি। কম্পিউটারে অতি প্রয়োজনীয় সেই মাউসটির অনেক মজার ট্রিকই ব্যবহারকারীদের অজানা। মাউসের সেই ট্রিকগুলো শুধু মজারই নয় বরং কম্পিউটার ব্যবহারকেও করে দেয় অনেক সহজ। এমনই কয়েকটি ট্রিক শিখিয়েছে ইয়াহু টেকনোলজি।

ক্লিক ট্রিক
মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ডাবল ক্লিক করে একটি শব্দ আর ট্রিপল ক্লিক করে পুরো একটি প্যারাগ্রাফ হাইলাইট করার ব্যাপারটি পাঠকের অজানা থাকার কথা নয়। তবে ওয়ার্ড ডকুমেন্টের পুরো একটা কলামকে হাইলাইট করার উপায় কি? চেপে রাখুন অল্টার আর চাপুন মাউসের লেফট বাটনটি। আর কার্সরটিকে টেনে নিয়ে যান আপনি যে কলামটি হাইলাইট করতে চান তার ওপর। ব্যস, হয়ে যাবে কাজ।

স্ক্রল ট্রিক
    স্ক্রল করুন ডানে বামে: মাইক্রোসফট এক্সেলের বেশিরভাগ ভার্সনে শিফট বাটনটি চেপে রেখে স্ক্রল করলে আপনাকে ডানে বামে নিয়ে যাবে কার্সরটি। বড়ো বড়ো স্প্রেডশিট দেখতে কাজে দেবে এই ট্রিকটি।

    ব্যাক বাটন হিসেবে স্ক্রল হুইল: বেশিরভাগ ওয়েব ব্রাউজারেই এই ট্রিকটি কাজে লাগাতে পারবেন পাঠক। শিফট চেপে স্ক্রল হুইলটি ঘোরালেই ব্যাক বাটন হিসেবে কাজ করবে আপনার স্ক্রল হুইল।

রি-লগইন না করার ট্রিক:
ধরে নিন, কর্মক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটারটি রেখে ঘুরে আসতে চাইছেন কিছুক্ষণের জন্য। তবে বার বার কম্পিউটারে রি-লগ করতে চাননা। মাউসের কার্সরটিকে কম্পিউটার মনিটরের অ্যানালগ ঘড়ির ওপর নিয়ে রাখুন। ঘড়ির সেকেন্ডের কাটা নড়লেই সেটি অনুসরণ করবে কার্সর। কম্পিউটারের সামনে না থাকলেও স্লিপ মোডে চলে যাবে না কম্পিউটারটি।

বিবিসি, সিএনএন সাইটের বিরুদ্ধে অভিযোগ মাইক্রোসফটের!

বিবিসি, সিএনএন সাইটের বিরুদ্ধে অভিযোগ মাইক্রোসফটের!

কপিরাইট আইন লক্সঘনের কথা বলে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন থেকে বিবিসির ওয়েবপেইজগুলো সরিয়ে ফেলার আব্দার জানিয়েছিলো মাইক্রোসফট! শুধু বিবিসি নয়, একই অভিযোগের শিকার সিএনএন, উইকিপিডিয়া এবং মার্কিন সরকার। তবে এজন্য দায়ী মাইক্রোসফটের অটোমেটেড সিস্টেমের ভুল। খবর বিবিসির।

ইন্টারনেটে অবৈধভাবে মাইক্রোসফটের কপিরাইট করা কনটেন্ট শেয়ারিং ঠেকাতে প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে বিশেষ একটি সফটওয়্যার। অবৈধ কন্টেন্ট খুঁজে পেলেই ওয়েবপেইজটি সরিয়ে দিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গুগলের কাছে আবেদন পাঠায় সফটওয়্যারটি। মাইক্রোসফটের ওই সফটওয়্যারের ভুলেই বিবিসি এবং সিএনএন-এর মতো সংবাদসংস্থার পেইজগুলো সার্চ ইঞ্জিন থেকে সরিয়ে ফেলার অনুরোধ চলে গিয়েছিলো গুগলের কাছে।

সফটওয়্যারটি একই রকম ভুল টেকডাউন রিকোয়েস্ট করেছিলো বাজফিড, হাফিংটন পোস্ট এবং টেকক্রাঞ্চের মতো ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে। অবশ্য গুগলের অনুমোদিত ওয়েবসাইটগুলোর তালিকায় বিবিসি থাকায় কোনো প্রভাব পড়েনি সংবাদ সংস্থাটির সাইটে। তবে এতে গুগলের লিস্ট থেকে সরে গেছে এএমসি থিয়েটার এবং রিয়ালক্লিয়ার পলিটিক্স-এর মতো ওয়েবসাইটগুলো।

এ ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ।

'রঙিন মধু' বানাচ্ছে চকলেটপ্রেমী মৌমাছি!

'রঙিন মধু' বানাচ্ছে চকলেটপ্রেমী মৌমাছি!


ফ্রান্সে চাক ভর্তি নীল আর সবুজ রংয়ের মধু বানাচ্ছে চকলেটপ্রেমী মৌমাছি! তবে মধুপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ, বিক্রির জন্য নয় এই রঙিন মধু। ফ্রান্সের আলসাস অঞ্চলে ঘটছে এই চমকপ্রদ ঘটনা। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

ফুলের নির্যাস সংগ্রহ করা বাদ দিয়ে ফ্রান্সের আলসাস অঞ্চলের মৌমাছিগুলো আহরণ করছে স্থানীয় বায়োপ্ল্যান্টের প্রক্রিয়াজাত চিনি আর চকলেট ফ্যাক্টরি এমঅ্যান্ডএম-এর বর্জ্য। আর এতেই তৈরি হচ্ছে রঙিন মধু।


সাধারণ মৌমাছিগুলো ফুল থেকে অপরিশোধিত মধু সংগ্রহ করে পৌঁছে দেয় মৌচাকের দায়িত্বে থাকা মৌমাছিদের কাছে। ওই মৌমাছিগুলোর পাকস্থলীতে প্রক্রিয়াজাত হয় অপরিশোধিত মধু। মৌচাকে ওই মধু জমা করে মৌমাছিগুলো। এরপর পাকস্থলী থেকে বের হওয়া মধুর আর্দ্রতা জলীয় বাস্প হয়ে উড়ে গেলে থেকে যায় বিশুদ্ধ মধু।

এদিকে মৌমাছিরা ফুলের মধু ছেড়ে শিল্পকারখানার প্রক্রিয়াজাতকৃত চিনির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন আলসাসের মধু চাষিরা। বিক্রি করতে পারছেন না তাদের সংগৃহীত মধু। আলসাসের স্থানীয় মধু ব্যবসায়ী আন্দ্রে ফ্রিহে জানান, মৌচাক থেকে সংগ্রহ করা নীল ও সবুজ রংয়ের পদার্থগুলো দেখতে মধুর মতো। স্বাদটাও অনেকটা একই রকম। তবে ওই তরল আর যাই হোক মধু নয়।

অন্যদিকে এই সমস্যা সমাধান করতে ভবিষ্যতে বর্জ্য পদার্থগুলো ঢেকে রাখার এবং ওয়েস্ট কন্টেইনারগুলো যতোটা সম্ভব পরিচ্ছন্ন রাখার কথা দিয়েছে স্থানীয় বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট অ্যাগ্রিভ্যালোর এবং চকলেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমঅ্যান্ডএম।

বেসরকারি মহাকাশযানের যাত্রা শুরু

বেসরকারি মহাকাশযানের যাত্রা শুরু

রোববার বেসরকারিভাবে নির্মিত প্রথম কার্গো মহাকাশযান ‘স্পেসএক্স’ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। স্পেস শাটলগুলো অবসরে যাওয়ার পর মহাকাশ স্টেশনের সাপ্লাই চেইন চালু রাখার উদ্দেশ্যে চুক্তিভিত্তিক এধরনের মহাকাশযানের ওপর নির্ভর করার পরিকল্পনা করেছে নাসা। খবর সিনেট-এর।

ড্রাগন ক্যাপসুল এবং এর ফ্যালকন রকেট স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিতে তৈরি হয়েছে মপমফ নভোযান। ১৬০ কোটি ডলার চুক্তিতে নাসার জন্য এটিই প্রথম অপারেশনাল ফ্লাইট মহাকাশযানটির। ১৫৭ ফিট লম্বা নভোযানটি সেকেন্ডে ৫ মাইল গতিতে পৃথিবীকে আবর্তন করবে।

রাশিয়ান, ইউরোপিয়ান এবং জাপানি কার্গো নিয়মিত স্টেশনটি ভিজিট করে। আগামী  তিন সপ্তাহ মহাকাশ স্টেশনটির কর্মীরা আধ টন সরঞ্জাম সেখানে নামাবে। এছাড়াও এতে থাকবে একটি ফ্রিজার, খোলা যন্ত্রাংশ, নভোচারিদের পোশাক এবং খাবার।

নাসার হেডকোয়ার্টার থেকে স্পেস স্টেশনের প্রোগ্রাম অ্যানালিস্ট জুলি রবিনসন বলেন, ‘স্পেসএক্স ড্রাগন নভোযানটি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি ল্যাবরেটরিতে ব্যবহারের জন্য আইএসএস সাপোর্ট করবে। উভয়ই কার্গো স্পেস স্টেশনে যাবে এবং গবেষণার জন্যে স্যাম্পল নিয়ে ফিরবে। এটি শুধু কনসিসটেন্ট সাপ্লাই চেইন আপ-এর জন্যে যাচ্ছে না। বায়োলজিকাল গবেষণার জন্য এটি ফ্রোজেন স্যাম্পল নিয়ে আসবে।’