বুধবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১২

বিপজ্জনক ২৫ পাসওয়ার্ড

বিপজ্জনক ২৫ পাসওয়ার্ড

পাসওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট ফার্ম স্প্ল্যাশডেটা প্রকাশ করেছে ঝুঁকিপুর্ণ ২৫টি পাসওয়ার্ডের তালিকা। এ পাসওয়ার্ডগুলো খুব বেশি ব্যবহৃত হওয়ায় হ্যাকিংয়ের সম্ভাবনাও বেশি। খবর টাইম ম্যাগাজিন-এর।

স্প্ল্যাশডেটার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড তিনটি হচ্ছে password, ১২৩৪৫৬ এবং ১২৩৪৫৬৭৮. এগুলোকে খুবই ঝুঁকিপুর্ণ পাসওয়ার্ড হিসেবে উল্লেখ করেছে স্প্ল্যাশডেটা। হ্যাকাররা সহজেই এ পাসওয়ার্ড ভেঙে ফেলতে পারে। সম্প্রতি সাইবার আক্রমণের শিকার মেইল, সোশাল নেটওয়ার্ক ও বিভিন্ন সাইটের ইউজারদের সচেতন করে তুলতে এ ধরনের পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।

ঝুঁকিপূর্ণ পাসওয়ার্ডের এ তালিকায় উঠে এসেছে jesus, ninja, mustang, password1 এবং welcome. নতুন পাসওয়ার্ড তৈরি করা কঠিন না হলেও, অনেক ইউজার সহজ শব্দকে পাসওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহার করে।

অনলাইনে তথ্যের নিরাপত্তায় এধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করেছে পাসওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট ফার্মটি। নতুন পাসওয়ার্ড কেমন হতে পারে, তার সংক্ষিপ্ত দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন স্প্ল্যাশডেটার সিইও মরগান স্লেইন।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে একটি সংক্ষিপ্ত বাক্য ব্যবহার করা যেতে পারে পাসওয়ার্ড হিসেবে। যেমন ফড়ম dog eats bone-এর সঙ্গেunderscores, dashes, hyphens যোগ করা যেতে পারে যেমন dog_eats_bone!

তালিকার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাসওয়ার্ডগুলো হচ্ছে-
১. password
২. 123456
৩. 12345678
৪. abc123
৫. qwerty
৬. monkey
৭. letmein
৮. dragon
৯. 111111
১০. baseball
১১. iloveyou
১২. trustno1
১৩. 1234567
১৪. sunshine
১৫. master
১৬. 123123
১৭. welcome
১৮. shadow
১৯. ashley
২০. football
২১. jesus
২২. michael
২৩. ninja
২৪. mustang
২৫. password1

গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের দৃশ্য আনছে গুগল ট্র্যাকার

গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের দৃশ্য আনছে গুগল ট্র্যাকার

গুগল এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুর্গম গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের ট্র্যাকিং ও হাইকিংয়ের রাস্তার দৃশ্য ইউজারদের জন্য আনছে। এজন্য গুগল ব্যবহার করছে ব্যাকপ্যাকের পেছনে সংযুক্ত বিশেষ ক্যামেরা। এর আগে ‘স্ট্রিট ভিউ’ সেবার জন্য স্পেনের অত্যন্ত সরু গলির তিন চাকার সাইকেল, স্মিথসনিয়ানের জন্য ঠেলাগাড়ি ও কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার তুষার ঘেরা এলাকার জন্য স্নোমোবাইল ব্যবহার করে ক্যামেরায় ধারণ করে গুগল। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

গুগলের প্রোডাক্ট ম্যানেজার রায়ান ফ্যালর বলেন, ‘রাস্তা ব্যবহার করে যেসব জায়গায় পৌঁছানো যায়না, এমন ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও দর্শনীয় স্থানগুলোও আমরা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য আনতে চাই।’

এবছরের শুরুর দিকে গুগল ‘ট্র্যাকার’ ঘোষণা দেয়, গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন এই সেবার প্রথম ধাপ। প্রতিষ্ঠানটি খুব শীঘ্রই এভারেস্ট পর্বত, ভেনিসের সংকীর্ণ গলি ও পুরোনো ধংসাবশেষও যুক্ত করবে।

গুগলের এই খবরটি প্রকাশ পেল এমন সময় যখন অ্যাপল নিজেদের ম্যাপিং সার্ভিস নিয়ে যথেষ্ট ভোগান্তিতে পড়েছে।

২০০৭ সালে আমেরিকার মাত্র পাঁচটি শহরের ‘৩৬০ ডিগ্রি ভিউ’ দিয়ে ‘স্ট্রিট ভিউ’ সেবা চালু করেছিলো গুগল। এখন ৪৩টি দেশের ৩ হাজার শহর আছে এই সেবাতে।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

সোনার উৎস হবে দূষিত পানি

সোনার উৎস হবে দূষিত পানি

অল্প খরচে রিসাইক্লিং প্ল্যান্টের দূষিত পানি থেকে সোনার মতো মূল্যবান ধাতব পদার্থ আহরণের নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন ফরাসী প্রতিষ্ঠান ম্যাগপাই পলিমারস-এর গবেষকরা। ফলে রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট থেকেই পাওয়া যাবে বিভিন্ন মূল্যবান ধাতু; যা ব্যবহার করা যাবে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে। খবর আইটেকপ্রেস-এর।

রিসাইক্লিং প্ল্যান্টে অ্যাসিড এবং পানি ব্যবহার করে গলিয়ে ফেলা হয় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পদার্থ। এতে পানিতে মিশে যায় সোনার মতো মূল্যবান অনেক ধাতব পদার্থ। দূষিত পানি থেকে ওই ধাতুগুলো আহরণের কয়েকটি প্রযুক্তি থাকলেও, তার সবগুলোই অনেক ব্যয়বহুল। এজন্য এতোদিন যেন হাতের কাছে খনি থেকেও আহরণ করা যেতো না সোনা।

এ সমস্যা সমাধানে ম্যাগপাই পলিমারসের বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন বিশেষ এক ধরনের রজন পদার্থ। ওই রজন পদার্থের ওপর দিয়ে ধাতুমিশ্রিত পানি প্রবাহিত হলে ধাতুগুলো আটকে যায় রজনের সঙ্গে, আর বেরিয়ে আসে বিশুদ্ধ পানি।

ম্যাগপাই পলিমারসের পরিচালক এটেইন আলমোরিকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পদ্ধতিতে এক লিটার পানিতে মাত্র ১ মাইক্রোগ্রাম ধাতু থাকলেও তা আটকে যাবে রজনে। এভাবে ৫ থেকে ১০ ঘনগজ পানি থেকে পাওয়া যেতে পারে কয়েক আউন্স সোনা। বর্তমান বাজারে এক আউন্স সোনার দাম ১ হাজার ৭০০ ডলার।

এ পদ্ধতি ব্যবহার করে একদিকে যেমন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট থেকে পাওয়া যাবে মূল্যবান ধাতব পদার্থ, তেমনি বিশুদ্ধ করা যাবে দূষিত পানি। রজন পদার্থটি ব্যবহার করে ধাতব খনির পানি শোধন করে পরিবেশগত সমস্যাও দূর করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।


চুরির সাক্ষী হলো চোরের আইফোন

চুরির সাক্ষী হলো চোরের আইফোন!

ঘরের আলো জ্বালিয়ে চুরি করা যে কোনো বুদ্ধিমান চোরের কৌশলের তালিকায় পড়ে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ঘুটঘুটে অন্ধকারে কাজ সারতে কিছুটা হলেও তো আলো প্রয়োজন। সে জন্যেই চুরি করতে ঢুকে ফ্ল্যাশলাইট হিসেবে নিজের আইফোনটি ব্যবহার করছিলেন এমানুয়েল জেরোমি। চুরির সময় সেই আইফোনের ভিডিও রেকর্ডিং বাটনটিতে ভুলে চাপ পড়ে যাওয়ায় এখন শ্রীঘরে যেতে হচ্ছে ২৩ বছর বয়সি এই চোরকে। খবর সিনেটডটকম-এর।

চুরির সন্দেহেই জেরোমিকে গ্রেপ্তার করেছিলো যুক্তরাজ্যের পুলিশ। আর যে কোনো চোরের মতোই নিজেকে নিরপরাধ বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু তার আইফোনটি ঘাঁটতে যেয়ে পুলিশ পেয়ে যায় চুরির প্রমাণ। চুরির পুরো ঘটনাটি ভিডিও রেকর্ড হয়েছিলো জেরোমের আইফোনে।

তদন্তকারীরা বলছেন, চুরির সময় ফ্ল্যাশলাইট হিসেবে নিজের আইফোন ব্যবহার করতেন জেরোমি। সেসময় নার্ভাস হয়ে পড়ায় হয়তো চাপ পড়ে গিয়েছিলো আইফোনের রেকর্ড বাটনে। আর তাতেই এখন শ্রীঘরে দিন কাটাতে হবে তাকে।

জেরোমি নিজেকে নিরপরাধ দাবি করলেও, সে দাবি কানে তোলেননি বিচারক জন পটার। আইফোন ভিডিওটি দেখে তাকে ৪৪ সপ্তাহের কারাবাসের সাজা দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১২

গোপন তথ্য ফাঁস করে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

গোপন তথ্য ফাঁস করে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দিতে পারে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস। প্রায় সাড়ে ১৩শ’ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসের ওপর গবেষণার পর জানা যায়, আট শতাংশ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং সোশাল মিডিয়া লগইনের তথ্য গোপন রাখতে ব্যর্থ। খবর বিবিসির।

ইউনিভার্সিটি অফ লেইবনিজ-এর সিকিউরিটি গ্রুপ গবেষক এবং ফিলিপস ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিজ্ঞানীরা গুগলের প্লে স্টোরের বেশকিছু জনপ্রিয় অ্যাপসের ওপর গবেষণা করেন। নকল ওয়াই-ফাই তৈরির মধ্য দিয়ে বেশ কিছু বিষয় গবেষকদের নজরে আসে।

অ্যান্ড্রয়েডের নিরাপত্তা ত্রুটির মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ই-মেইল সার্ভিস এবং সোসাল মিডিয়া সাইটসের গোপন তথ্য বের করা সম্ভব, প্রোগ্রামের সিকিউরিটি সিস্টেম অকেজো করা সম্ভব এবং কম্পিউটার কোড ইনজেক্ট করা সম্ভব।

অ্যান্ড্রয়েডের বেশকিছু অ্যাপ হাজারেরও বেশি মানুষ ব্যবহার করছেন। তবে ৭৫৪ জন ব্যবহারকারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের বেশিরভাগই এর নিরাপত্তা ত্রুটি সম্পর্কে অজ্ঞাত। একজন গবেষক লেখেন, ‘অর্ধেকেরও বেশি মানুষ ব্রাউজারের নিরাপত্তা কিভাবে বজায় রাখতে হয়, সে সম্পর্কে কিছুই জানে না।’

এসপিওনাজ জগতে আমন্ত্রিত 'জেনারেশন এক্সবক্স'

এসপিওনাজ জগতে আমন্ত্রিত 'জেনারেশন এক্সবক্স'

সাইবার ক্রিমিনালদের ঠেকাতে সিক্রেট সার্ভিস ও এমআইসিক্সটিনের মতো গোয়েন্দা সংস্থাগুলোয় ‘জেনারেশন এক্সবক্স’ তথা তরুণ গেইমার এবং হ্যাকারদের নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ। খবর বিবিসির।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কোড ব্রেকারদের হেডকোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহার করা ব্লিচলি পার্কে এই ঘোষণা দেন হেগ। ১৮ বছর বয়সের আবেদনকারীদের মধ্যে নির্বাচিত ১০০ জনকে আইটি ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। নির্বচিতরা প্রথমে লেইসেস্টারের ডি মনফ্রন্ট ইউনিভার্সিটি কমিউনিকেশন-এ সিকিউরিটি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের ওপর পড়াশোনা করবেন। এর পাশাপাশি আইটি, সফটওয়্যার, ওয়েব ও টেলিকমিউনিকেশন চতুর্থ স্তরের ডিপ্লোমাও করবেন তারা।

প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষাজীবন শেষে ‘জেনারেশন এক্সবক্স’ সদস্যদের অনেকেই কাজ করবেন সিক্রেট সার্ভিস, এমআই ফিফটিন এবং এমআই সিক্সটিনের মতো গোয়েন্দা সংস্থাগুলোতে। বাকিরা কাজ করবেন ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশন এজেন্সিতে।

এ ব্যাপারে ব্লিচলি পার্কে হেগ বলেন, ‘আমরা কোনো যুদ্ধে নিয়োজিত নই। তারপরও প্রতিদিন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ এবং সরকারি নেটওয়ার্কগুলোর ওপর প্রতিদিনই পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ দেখতে পাচ্ছি।  ভবিষ্যতে দেশের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে জেনারেশন এক্সবক্সের তরুণরা।’

এলএইচসি ব্ল্যাক হোল তৈরি করবে না

এলএইচসি ব্ল্যাক হোল তৈরি করবে না

 
নিউক্লিয়ার গবেষণার জন্য নির্মিত লার্জ হার্ডন কোলাইডার (এলএইচসি) ব্ল্যাক হোল সৃষ্টি করে পৃথিবীকে ধ্বংস করে দিতে পারে, একজন নারীর এমন অভিযোগকে নাকচ করে দিয়েছে জার্মান আদালত। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

জার্মানির মুয়েনস্টার কোর্ট জার্মান ওই অধিবাসীর এ অভিযোগকে অযৌক্তিক বলেই জানিয়েছে। তাছাড়া সুইজারল্যান্ডেও তার অভিযোগ ধোপে টিকেনি।

সূত্র জানিয়েছে, সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ (সিইআরএন)-এর ২০০৩ এবং ২০০৮ এ এলএইচসির নিরাপত্তাবিষয়ক যে প্রতিবেদনগুলো ছাপানো হয়েছে, সেদিক থেকে এর দ্বারা পৃথিবী ধ্বংস হবার কোনো ঝুঁকি নেই।

এলএইচসি সাইটটি ফ্রান্স এবং সুইজারল্যান্ডের সীমানায় অবস্থিত। ১৭ মাইল বিস্তৃত এ প্ল্যান্টটির নিচে রয়েছে নয় হাজার চুম্বক বিশিষ্ট একটি চৌম্বকক্ষেত্র, যা পরমাণুর মাঝে উচ্চগতিতে সংঘর্ষ ঘটানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। সাধারণ পদার্থবিদ্যার বিভিন্ন সমস্যা, ভরের উৎস এবং বিগ ব্যাং থিওরি উদঘাটনের কাজে এ প্ল্যান্টটি ব্যবহৃত হয়।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/অদ্বিতী/ওএস/এইচবি/অক্টোবর ২২/১২


২১০০ সালে প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরবে সমুদ্র!

২১০০ সালে প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরবে সমুদ্র!

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে পানিতে অ্যাসিডের পরিমাণ যে হারে বাড়ছে, তাতে ১১ কোটি বছর আগের ক্রিটেসিয়াস যুগে ফিরে যেতে পারে সমুদ্রের শাব্দিক পরিবেশ। এখনকার তুলনায় দ্বিগুণ দূরত্ব অতিক্রম করবে তিমির গানের মতো নিচু কম্পাঙ্কের আওয়াজ। জলে নেমে আশপাশে ডাইনোসর যুগের কোনো দানবের সঙ্গে সাঁতার কাটার মতো অনুভ‚তিও হতে পারে ডাইভারদের। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

বাতাসের গ্রিনহাউস গ্যাস সমুদ্রের জলের সঙ্গে মিশে বাড়িয়ে দেয় অ্যাসিডের পরিমাণ। সমুদ্রের তল থেকে পাওয়া নমুনা বিশ্লেষণ করে ৩০ কোটি বছর আগে সমুদ্রের জলের অ্যাসিডের পরিমাণও নির্ধারণ করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের মতে, যেভাবে জলে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ছে, তাতে ২১০০ সালে ডাইনোসরদের রাজত্বকাল ক্রিটেসিয়াস যুগের মতোই হবে সমুদ্রে অ্যাসিডের পরিমাণ।

ইউনিভার্সিটি অফ রোড আইল্যান্ডের বিজ্ঞানী ডেভিড জি. ব্রাউনিং এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা একে বলছি ক্রিটেসিয়াস সাউন্ড ইফেক্ট। কারণ, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রের শাব্দিক পরিবেশ যেভাবে পরিবর্তন হচ্ছে, তার সঙ্গে মিল রয়েছে ১১ কোটি বছর আগের ক্রিটেসিয়াস যুগের; যখন পৃথিবীতে রাজত্ব ছিলো ডাইনোসরদের।’

নিচু কম্পাঙ্কের আওয়াজ পানিতে কতোটা দূরত্ব অতিক্রম করবে তা অনেকটাই নির্ভর করে পানির পিএইচ পরিমাণের ওপর। পানিতে পিএইচের পরিমাণ বেশি থাকলে তা কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়। পিএইচ পরিমাণ কমতে থাকার কারণেই বাড়ছে পানিতে অ্যাসিডের পরিমাণ।


বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ

শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১২

আসুসের হাই-এন্ড গ্রাফিক্স কার্ড বাজারে

আসুসের হাই-এন্ড গ্রাফিক্স কার্ড বাজারে

আসুসের এইচডি৭৯৫০-ডিসি২ মডেলের হাই-এন্ড গ্রাফিক্স কার্ড বাংলাদেশের মার্কেটে নিয়ে এলো গ্লোবাল ব্র্যান্ড।

নতুন গ্রাফিক্স কার্ডটিতে রয়েছে এএমডি আইফিনিটি টেকনোলজি, যা দিয়ে একসঙ্গে ছয়টি মনিটর ব্যবহার করে গেইম এবং বিনোদনে উপভোগ করা যায়। এতে রয়েছে ৩ জিবি জিডিডিআর৫ মেমোরির এএমডি রেডিয়ন এইচডি৭৯৫০ জিপিইউ, পিসিআই এক্সপ্রেস ৩.০ বাস স্ট্যান্ডার্ড, মাইক্রোসফট ডিরেক্টএক্স১১ সমর্থন, এইচডিসিপি সমর্থন, ডিভিআই আউটপুট, এইচডিএমআই আউটপুট, ডিসপ্লে পোর্ট প্রভৃতি।

গ্রাফিক্স কার্ডটিতে হাই-এন্ড গেইম এবং মুভি উপভোগে ভালো পারফরমেন্স পাওয়া যায়। এছাড়া এটি ক্রসফায়ারএক্স সমর্থন করে, তাই প্রয়োজনে একাধিক জিপিইউ ব্যবহার করা যায়। গ্রাফিক্স কার্ডটির মূল্য রাখা হয়েছে ৪২ হাজার টাকা।


বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/ওএস/এইচবি

বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১২

Colombians have seen this movie script before

Americas

Colombians have seen this movie script before


Asad Hashim: Ask Me Anything on Malala

Central & South Asia
Asad Hashim: Ask Me Anything on Malala
Journalist Asad Hashim will be on Reddit answering questions on Malala Yousafzai and his trip to Pakistan's Swat Valley.
Last Modified: 17 Oct 2012 20:30
Malala Yousafzai was shot by Taliban fighters for opposing the group and advocating education for girls [EPA]

Do you have questions about Malala Yousafzai?
Then log onto reddit.com to join the chat with Al Jazeera's Asad Hashim.
He has been reporting from the Swat Valley on how the police are handling the case and how the attempt on Yousafzai's life has affected the community.
Hashim is currently in Islamabad, having spent the last few days in Swat.
Hashim will be online from 18:00 GMT, October 18, on Reddit's "IAmA" page - Ask Me Anything. After the thread goes up, check back here for the link.
You can view the question-and-answer without being logged in, but to ask a question, you'll need to have a Reddit account. You can create one for free on top of the site.
Features:
Elders in the crosshairs of Swat's Taliban
Swat Valley on edge after Malala shooting
The fight for education in Pakistan's Swat
Interactive: Killings sweep Karachi
168
Source:
Al Jazeera

হিমবাহ ধ্বংস দ্রুত করে কার্বন ডাই-অক্সাইড

হিমবাহ ধ্বংস দ্রুত করে কার্বন ডাই-অক্সাইড

মেরু অঞ্চলের হিমবাহের ভাঙনের হার আরো দ্রুত করছে কার্বন ডাই-অক্সাইড। সম্প্রতি হিমবাহের ওপর গ্রিনহাউজ গ্যাসটির প্রভাব নিয়ে গবেষণার জন্য তৈরি কম্পিউটার মডেল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ খবর জানিয়েছেন দুই এমআইটি গবেষক। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

মেরু অঞ্চলের হিমবাহের ওপর কার্বন ডাই-অক্সাইডের প্রভাব নিয়ে গবেষণার জন্য কম্পিউটার মডেলটি বানিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষক প্রফেসর মার্কাস বিউহলার এবং ঝাও কুইন।

প্রথমে বিশুদ্ধ জলের হিমবাহের একটি কম্পিউটার মডেল বানান তারা। তারপর সেখানে ছোট একটি ফাটল তৈরি করে সেখানে কার্বন ডাই-অক্সাইডের প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়। বিউহলার ও কুইন আবিষ্কার করেন, হিমবাহের জলের কণার হাইড্রোজেন বন্ধনীগুলো ভেঙে দিচ্ছে কার্বন ডাই-অক্সাইড। ফলে ক্রমশ বড় হচ্ছে ফাটলটি।

বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, হিমবাহে ২ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড থাকলে তা শতকরা ৩৮ ভাগ দুর্বল হয়ে পড়ে।

তবে এমআইটি গবেষকদের আবিষ্কার থেকে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত টানছেন না বিজ্ঞানীরা। এমআইটি গবেষকরা তাদের কম্পিউটার মডেলটি তৈরি করেছিলেন বিশুদ্ধ বরফের হিমবাহের ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু আদতে হিমবাহ কখনোই বিশুদ্ধ বরফ দিয়ে হয় না। হিমবাহ জমাট বাধার সময় এতে আটকা পড়ে ধুলো-বালি, আগ্নেয়গিরির ছাই ও পাথর, এমনকি উল্কাপিণ্ডও পাওয়া যায় হিমবাহে।

এ ছাড়াও হিমবাহে বরফের গঠন কতোটা শক্তিশালী হয়, সে তথ্যও গবেষকরা কম্পিউটার মডেলে যোগ করেননি। এ কারণে গবেষকদের কম্পিউটার মডেল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এখনই কোনো উপসংহার টানতে নারাজ অনেক বিজ্ঞানী।

ঘরে ফিরলো স্পেস শাটল এনডেভার

ঘরে ফিরলো স্পেস শাটল এনডেভার

অসংখ্য মানুষের উল্লসিত চিৎকার আর ক্যামেরার ফ্ল্যাশের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে স্পেস শাটল এনডেভার ক্যালিফোর্নিয়া সায়েন্স সেন্টারে পৌঁছায় রোববার রাতে। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

মহাকাশে লাখ লাখ মাইল পাড়ি দিয়ে আসার পর, পৃথিবীর মাটিতে হয়তো এনডেভারের মতো স্পেস শাটলের যাত্রা আরও নির্ঝঞ্ঝাট হতে পারতো। কিন্তু নানা বাধায় এনডেভার তার শেষ গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রায় ১৭ ঘণ্টা দেরি করে।

সায়েন্স সেন্টারের এক কর্মীর ভাষায়, ‘এ যেন স্বপ্ন সত্যি হবার মতো। আমরা অনেকদিন ধরে এর আসার প্রতীক্ষায় ছিলাম’। পথে মানুষের ভীড়, গাছপালা আর ল্যাম্পপোস্টের ঝামেলা সামলে আসার পর সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দেয়, যখন এর ক্যারিয়ারের ইঞ্জিন থেকে তেল লিক করতে শুরু করে। এনডেভারের স্থানান্তরে বাজেট ছিলো প্রায় এক কোটি ডলার, যা সায়েন্স সেন্টার আর বিভিন্ন দাতারা বহন করেছে। এজন্য রাস্তা থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে প্রায় ৪শ’ গাছ।

ইঙ্গেল উড আর লস এঞ্জেলসবাসীদের আবেগটা ছিলো অন্যরকম। তাদের ঘরের সামনে দিয়েই গিয়েছে এনডেভার।

অবসরের আগ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ৭শ’ বার পৃথিবী আবর্তনকারী এ কিংবদন্তী শাটলটি অক্টোবরের ৩০ তারিখ থেকে দর্শকদের জন্য প্রদর্শিত হবে সায়েন্স সেন্টারের যাদুঘরে।


সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে প্রস্তুত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে প্রস্তুত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

সাইবার আক্রমণ প্রতিহত করতে পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১১ সেপ্টেম্বরের চেয়েও ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে সাইবার আক্রমণে, জানালেন য্ক্তুরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লিওন পেনেট্টা। খবর বিবিসির।

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আক্রমণকারীদের শনাক্ত করতে ও হুমকি দ্রুত মোকাবেলার জন্য উন্নত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অপারেশন চালানোর জন্য তৈরি হচ্ছে দেশটির সাইবার স্ট্রাইক ফোর্স। আক্রমণকারীকে দ্রুত চিহ্নিত করতে ও ঠেকাতে ডেভেলপ করা হচ্ছে বিভিন্ন টুলস।

সম্প্রতি পেনেট্টা বলেন, ‘সাইবার আক্রমণের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা করতে আমরা পূর্ব পদক্ষেপ নিচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বিদেশি কেউ দেশটির যোগাযোগ, শিল্প বাণিজ্য ও পরিবহন ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আনার টার্গেট নিয়ে এগুচ্ছে। একটি জাতি বা আগ্রাসী চরমপন্থী দল অনলাইনে সুইচ নিয়ন্ত্রণ করে যাত্রীবাহী ট্রেন বা রাসায়নিকবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত করতে পারে। যার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ।’

পেনেট্টা এই ধরনের আক্রমণকে সম্ভাব্য ‘সাইবার পার্ল হারবার’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

এ ছাড়াও আক্রমণকারীরা বড় শহরগুলোর পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় আঘাত হানতে পারে বা দেশের বড় অংশের পাওয়ার গ্রিড সিস্টেম বন্ধ করে দিতে পারে। এই ধরনের সন্ত্রাসী সাইবার কার্যক্রম পুরো জাতিকে বিকলাঙ্গ করে দিতে পারে। বিভিন্ন জায়গায় ছোট স্কেলে সাইবার আক্রমণ এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার বলেও জানান পেনেট্টা।

গত কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাগুলোয় সাইবার আক্রমণের ফলে বিপুল ডেটা বেহাত হয়ে যায়। তারও আগে কাতার এবং সৌদি আরবের তেল কোম্পানিগুলো সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। এতে প্রায় ৩০,০০০ ডিভাইস আক্রান্ত হয়েছিল।

অ্যান্ড্রয়েড ফোন ম্যালওয়ারের আখড়া: এফবিআই

অ্যান্ড্রয়েড ফোন ম্যালওয়ারের আখড়া: এফবিআই

মোবাইল ফোনের জন্য তৈরি ম্যালওয়্যারের আখড়া অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনগুলো। স্মার্টফোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং মোবাইল ম্যালওয়্যারের সংক্রমণ নিয়ে তদন্তের পর এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

এফবিআইয়ের ইন্টারনেট ক্রাইম কন্ট্রোল সেন্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিনফিশার এবং লুজফনের মতো ম্যালওয়্যারগুলোর মূল লক্ষ্যই ছিলো অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন। স্মার্টফোন থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করতে ইন্টারনেটে অপরাধীরা বানিয়েছে বিভিন্ন রকমের ম্যালওয়্যার। কোনোটির কাজ স্মার্টফোন অ্যাড্রেসবুকের তথ্য চুরি করা, আবার কোনোটির কাজ স্মার্টফোনটির নিয়ন্ত্রণ দখল করে নেয়া।

স্মার্টফোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পাস কোড ব্যবহার এবং বিশ্বস্ত ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে এফবিআই। স্মার্টফোনটিকে সব সময় আপডেট রাখা এবং জেইলব্রেকিং এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাটি।

ডিভাইসটি কেনার আগে রিভিউগুলো পড়ে নেবার কথাও বলেছে এফবিআই। আর কেনার পর ডিভাইস এনক্রিপশন আর অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করাও জরুরি। এ ছাড়াও কোনো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড বা কেনার সময় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শও দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাটি।

দি সুপারসনিক ম্যান: ফেলিক্স বমগার্টনার

দি সুপারসনিক ম্যান: ফেলিক্স বমগার্টনার

ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন অস্ট্রিয়ান ‘ডেয়ারডেভিল’ ফেলিক্স বমগার্টনার। ১৪ অক্টোবর মাটি থেকে ১ লাখ ২৮ হাজার ১০০ ফিট উপরের একটি স্পেস ক্যাপসুল থেকে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে লাফিয়ে পড়েন বমগার্টনার। পতনের গতি ছাড়িয়ে যায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৩৩.৯ মাইল। শব্দের চেয়েও দ্রুতগতিতে পতনের পর প্যারাসুটের সাহায্যে মাটিতে নামেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর রসওয়েলে। সবচেয়ে উচ্চতম স্কাইডাইভিংয়ে আগের রেকর্ডটি ভেঙে গড়েন নতুন রেকর্ড। সাউন্ড ব্যারিয়ার ভেঙে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান বিশ্বের প্রথম সুপারসনিক ম্যান হিসেবে। খবর বিবিসির।

ইতিহাস গড়া স্কাইডাইভিংয়ের জন্য বমগার্টনারকে পেরিয়ে আসতে হয়েছে অনেক বাধা বিপত্তি। প্রশিক্ষণ নিয়েছেন দীর্ঘদিন। প্রথমে স্কাইডাইভিংয়ের দিন স্থির করা হয়েছিলো ৮ অক্টোবর। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বারবার পিছিয়ে যায় বহু প্রতীক্ষিত দিনটি। শেষে ১৪ অক্টোবর জীবনের ঝুঁকি ভুলে ঝাঁপিয়ে পড়েন মহাশূন্যে। পৃথিবীর মাটিতে পা দিয়ে গড়েন ইতিহাস।

কিন্তু আরেকটু হলেই শেষ মুহুর্তে বমগার্টনারকে বাতিল করতে হতো স্কাইডাইভ। কাজ করছিলো না তার স্পেস স্যুটটির হিটার। ফলে প্রতিবার নিশ্বাস ফেললেই ঘোলা হয়ে যাচ্ছিলো ভাইজরটি।

স্পেস ক্যাপসুল থেকে লাফ দেবার পর বমগার্টনার মাটিতে নেমে আসেন ৯ মিনিট ৩ সেকেন্ডে। একেবারে মাটির কাছাকাছি এসেই খুলে দেন নিজের প্যারাসুট। অবতরণের পর হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন মাটিতে, হাত দুটো আকাশ পানে ছুঁড়ে করেন বিজয় উল্লাস। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে অভিনন্দন জানাতে সেখানে পৌঁছে যায় রিকভারি হেলিকপ্টার।


এর পরপরই এক প্রেস কনফারেন্সে নিজের অনুভূতি জানিয়ে বমগার্টনার বলেন, ‘আমি যখন পৃথিবীর উপরে স্পেস ক্যাপসুলটিতে দাঁড়িয়ে ছিলাম, নিজেকে অনেক ক্ষুদ্র মনে হচ্ছিলো তখন। ভুলে গিয়েছিলাম বিশ্ব রেকর্ড ভাঙার কথা। কেবল জীবন্ত পৃথিবীর বুকে ফিরে আসার কথাই ভাবছিলাম বারবার।’
শুরুতেই নিজের রেড বুল স্ট্র্যাটোস টিমের সদস্য আর দর্শক, সাংবাদিকদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলেন বমগার্টনার। পতনের শুরুতে মাথা নিচে, দু’ হাত ছড়িয়ে দিয়ে তার থাকার কথা ছিলো ডেল্টা পজিশনে। কিন্তু লাফিয়ে পড়ার পরই বায়ুমণ্ডলে বারবার ঘুরপাক খাচ্ছিলেন বমগার্টনার। শেষপর্যন্ত দীর্ঘদিনের বেইজ জাম্পিং এবং স্কাইডাইভিংয়ের অভিজ্ঞতাই তাকে বাঁচিয়ে দেয় মৃত্যুর হাত থেকে। নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান নিজের ওপর। ফিরে আসেন ডেল্টা পজিশনে।

কিন্তু নাটকীয়তার শুরু আরো আগেই। মিশন শুরু হবার আগেই একদম শেষ মুহূর্তের ইকুইপমেন্ট চেকে ধরা পড়ে, নষ্ট হয়ে গেছে বমগার্টনারের স্পেস স্যুটের হিটারটি। ফলে বমগার্টনার শ্বাস ফেললেই ঘোলা হয়ে যাচ্ছিলো তার ভাইজরটি। ছোট ত্রুটি মনে হলেও, ওই নষ্ট হিটারটির জন্য তার মৃত্যু হতে পারতো।


তবুও আর পিছপা হতে রাজি ছিলেন না বমগার্টনার। ঘোলাটে দৃষ্টিসীমার কারণে আছড়ে পড়তে পারতেন পৃথিবীতে। পুরো দলের সঙ্গে আলোচনা করে মিশন চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

ফেলিক্সের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন আরেক কিংবদন্তী মার্কিন এয়ারফোর্স কর্ণেল জো কিটেনগার। বিশ্বের উচ্চতম স্কাইডাইভিংয়ের রেকর্ডটির মালিক এতোদিন ছিলেন কিটেনগার। সেই রেকর্ডের পাঁচ দশক পর নতুন রেকর্ড গড়ে যেন গুরুর নাম রাখলেন শিষ্য ফেলিক্স।

শুরু থেকেই ফেলিক্সের সঙ্গে ছিলেন কিটেনগার। যখনই হতাশ হয়ে পড়েছেন বমগার্টনার, নিজের দক্ষতাকে  প্রশ্ন করেছেন, তখনই উৎসাহ জুগিয়েছেন কিটেনগার। দিয়েছেন সাহস ও অনুপ্রেরণা। ফেলিক্স মাটিতে অবতরণ করার পর জ্যেষ্ঠ এই কিংবদন্তী বলেন, ‘ফেলিক্স খুবই সাহসিকতার সঙ্গে কাজটি করেছে। ওর সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।’


২০০৫ সালে প্রথম এই স্কাইডাইভিংয়ের কথা মাথায় আসে বমগার্টনারের। এরপর অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করেন তিনি। ১৪ অক্টোবর নিউ মেক্সিকোর আকাশে বাতাসের চাপ ছিলো মাত্র ২ শতাংশ। বমগার্টনারকে মহাকাশে পৌঁছে দিতে নভোচারীদের স্পেস ক্যাপসুলের ডিজাইন অনুকরণ করে বানানো হয়েছিলো একটি বিশেষ ক্যাপসুল। হিলিয়াম বেলুন ক্যাপসুলটিকে উড়িয়ে নিয়ে যায় মাটি থেকে প্রায় ২৪ মাইল উপরে। স্পেস স্যুটটিও বানানো হয়  নভোচারীদের স্পেস স্যুটের আদলে।

বমগার্টনারের এই ইতিহাস গড়া স্কাইডাইভিংয়ের বৈজ্ঞানিক গুরুত্বও কিন্তু কম নয়। দ্রুতগতিতে মহাকাশ থেকে পতন সম্পর্কে নানা তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যা কাজে আসবে ভবিষ্যৎ স্পেস মিশনে। মিশনে বমগার্টনারকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছিলো নাসাও।

বমগার্টনারের মিশনটি নিয়ে বিবিসি এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক বানাচ্ছে একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম। নভেম্বর মাসে দেখানো হতে পারে ডকুমেন্টারিটি।

'আয়রন ম্যান' স্যুট বানাচ্ছে নাসা!

আয়রন ম্যান' স্যুট বানাচ্ছে নাসা!

সাই-ফাই কমিকস আর হলিউডি সিনেমা ছেড়ে আয়রন ম্যান বা ওয়ারমেশিনের মতো এক্সোস্কেলিটন মোবাইল স্যুট এবার বুঝি বাস্তব দুনিয়াতে চলে এলো। মহাকাশের ভরশূন্য অবস্থায় নভোচারীদের চলাফেলায় সুবিধা করে দিতে নাসা বানিয়েছে রোবোটিক এক্সোস্কেলিটন ‘এক্স ওয়ান’। শুধু মহাকাশেই নয়, পৃথিবীর বুকেও পঙ্গুত্বের শিকার ব্যক্তিদের হাঁটার ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে পারে মোবাইল স্যুটটি। খবর ম্যাশএবল-এর।

এক বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, মহাকাশে ভরশূন্য অবস্থায় নভোচারীদের হাঁটতে সাহায্য করবে ৫৭ পাউন্ড ওজনের এক্স ওয়ান। এছাড়াও মেরুদণ্ডে আঘাতের কারণে পঙ্গুত্বের শিকার ব্যক্তিদের হাঁটতেও সাহায্য করবে রোবোটিক এক্সোস্কেলিটনটি।

এখনও পরীক্ষামূলক অবস্থায় রয়েছে এক্স ওয়ান। লম্বা সময় স্পেস স্টেশনে কাটানোর সময় বা ভবিষ্যত মার্স মিশনে নভোচারীদের সাহায্য করতে এক্স ওয়ান কতোটা ভূমিকা রাখতে পারবে, সে ব্যাপারটি ক্ষতিয়ে দেখছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

এক্স ওয়ান তৈরিতে নাসা জোট বেঁধেছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান অ্যান্ড মেশিন কগনিশন এবং ওশেনিয়ারিং স্পেস সিস্টেমের প্রকৌশলীদের সঙ্গে। এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে থাকলেও, নাসার বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, নভোচারীদের ভরশূন্য অবস্থায় চলাচল করতে এবং এক্সসারসাইজ ডিভাইস হিসেবে কাজ করবে রোবট এক্সোস্কেলেটন এক্স ওয়ান।

ভিডিও লিঙ্ক:
http://mashable.com/2012/10/14/nasa-exoskeleton-suit

৬০০ কোটি ছাড়ালো মোবাইল সিম সংখ্যা

৬০০ কোটি ছাড়ালো মোবাইল সিম সংখ্যা

পুরো পৃথিবীর মানুষের সংখ্যার প্রায় সমান এখন অ্যাকটিভ মোবাইল সংখ্যা। জাতিসংঘের টেলিকম এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১১ সালের শেষ দিক পর্যন্ত পুরো পৃথিবীতে অ্যাকটিভ মোবাইল ডিভাইসের সংখ্যা ৬০০ কোটি। খবর বিবিসির।

বিশ্বের ১৫৫টি দেশের টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থার ওপর গবেষণা চালিয়ে ‘মেজারিং দি ইনফরমেশন সোসাইটি ২০১২’ নামে প্রতিবেদনটি তৈরি করে আইটিইউ। আইটিইউ-এর হেড অফ ডেটা ডিভিশন সুসান টেলশার এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা সিমকার্ডের সংখ্যা গুনেছি; ব্যবহারকারী বা ডিভাইস নয়। তাই একজন ব্যক্তির যদি ডুয়াল সিম ব্যবহারযোগ্য মোবাইলে দু’টি সিম কার্ড থাকে তবে আমরা দু’টি সাবস্ক্রিপশন হিসেব করেছি।’

সুসান আরো জানান, আইটিইউ-এর প্রতিবেদনে যোগ করা হয়নি ট্যাবলেট পিসি এবং ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করা সিমগুলোর সংখ্যা।

ওই প্রতিবেদনে আইটিইউ আরো জানিয়েছে, উন্নত দেশগুলোতে শতকরা ৭০ ভাগ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই হার মাত্র ২৪ শতাংশ। শুধু তাই নয়, ফিক্সড ব্রডব্যান্ড লাইনের তুলনায় মোবাইল ব্রডব্যান্ড সার্ভিসের সংখ্যা দ্বিগুণ।

আইটিইউ-এর টেলিকমিউনিকেশন ব্যুরোর পরিচালক ব্রাহিমা সানোউ বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মোবাইল ব্রডব্যান্ড সার্ভিসের সংখ্যা বাড়ায় নতুন অনেক ব্যবহারকারীর কাছেই পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট সুবিধা। তবে ব্যবহার বাড়লেও উন্নয়নশীল অনেক দেশেই মোবাইল ও ইন্টারনেটের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি।’

১৪ অক্টোবর দুবাইয়ে ‘আইটিইউ টেলিকমিউনিকেশন ওয়ার্ল্ড ২০১২’ ইভেন্টে একত্রিত হবে টেলিকমিউনিকেশন শিল্পের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। কনফারেন্সে থাকবেন প্রায় তিনশ’ বিশ্বনেতা। এছাড়া সিসকো, ভেরাইজন, ক্যাসপারস্কি ল্যাব, হুয়াউই, কোয়ালকম এবং এরিকসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরাও থাকবেন।


সুর বদলে গান গাইতে পারে ইঁদুর!

সুর বদলে গান গাইতে পারে ইঁদুর!


কেবল চিঁ-চিঁ আওয়াজ করেই ক্ষান্ত হয়না ইঁদুররা। আল্ট্রাসনিক সুরে গাইতে পারে গান। এমনকি নিজের গলার সুরও বদলে ফেলতে পারে ওরা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ইঁদুরদের এই গানের প্রতিভা আবিষ্কার করেছেন নিউরোবায়োলজিস্টরা। খবর লাইভসায়েন্স-এর।


নতুন নতুন সুর শিখতে পারে, মানুষ ছাড়া প্রাণীজগতে এমন প্রাণীর সংখ্যা হাতে গোনা। এতোদিন কেবল ডলফিন এবং তোতা পাখির মতো কিছু গায়ক পাখির নতুন সুর শিখতে পারার ক্ষমতার কথা জানা ছিলো বিজ্ঞানীদের। কিন্তু ইঁদুরদের মধ্যেও একই প্রতিভা আবিষ্কার করে বেশ অবাক হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

লাইভসায়েন্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডিউক ইউনিভার্সিটির নিউরোবায়োলজিস্ট ড. এরিক জারভিস বলেন, ‘ইঁদুরদের মধ্যে গলার আওয়াজ আওয়াজ ব্যবহার করে যোগাযোগ স্থাপনের উপায়টি আমরা যতোটা আদিম ভেবেছিলাম, আদতে তা নয়। বরং মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে ওদের।’

ইঁদুরদের এই গানের প্রতিভা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে নানা পরীক্ষা চালান বিজ্ঞানীরা। প্রথমে তারা কয়েকটি ইঁদুরের কণ্ঠনালীর মাংশপেশী নিয়ন্ত্রণকারী মস্তিষ্কের মোটর কন্ট্রোল সিস্টেমটি নষ্ট করে দেন। তারপর তারা দেখেন, আগের মতো আর গান গাইতে পারছে না ইঁদুরগুলো।

এরপর তারা দু’টি সুস্থ পুরুষ ইঁদুরকে মেয়ে ইঁদুরদের সঙ্গে একই খাঁচায় রাখেন। মেয়ে ইঁদুরদের আকৃষ্ট করতে পুরুষ ইঁদুরদের গান গাবার স্বভাব বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছিলেন আগেই। শুরুতে পুরুষ ইঁদুর দু’টির গলার স্বর ছিলো পুরো আলাদা। কিন্তু আট সপ্তাহ পর বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন, গলার সুর বদলে পুরুষ ইঁদুর দু’টি একই সুরে গলা মিলিয়ে গান গাইছে!

ড. জারভিস এ ঘটনার ব্যাখ্যা দেন এভাবে, ‘এক কথায় বলতে গেলে, ইঁদুর দু’টি নিজেদের গলার স্বর বদলে ফেলেছে যাতে মেয়েদের কাছে ওদের দু’জনের গলা একই শোনায়।’

ভবিষ্যতে ইঁদুরদের গানের প্রতিভার সঙ্গে জড়িত জিনগুলো নিয়ে গবেষণা করতে চান ড. জারভিস।