মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

অনলাইনে ছবি তুলে আয়



কিভাবে অনলাইনে ছবি তুলে আয় করবেন হ্যা আপনার তোলা ছবির মাধ্যমে আপনি বেশ কিছু পরিমান অর্থ উপার্জন করতে পারেন আপনি যদি একজন ফটোগ্রাফার বা চিত্রগ্রাহক হয়ে থাকেন তবে আপনার তোলা আকর্ষনীয় ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন বা কোথাও আপ্লোড করে আয় করতে পারেন এমন কি আপনার সাইটে পাব্লিস করেও গুগল এডসেন্স-এর সাহায্যে আয় করতে পারেনতাহলে চলুন দেখা যাক কিভাবে ছবি তুলে আয় করা যায়ঃ ফটোগ্রাফি থেকে ইন্টারনেটে আয় ছবি তুলে আয় করার উপায় আপনার ফটোগ্রাফির শখ ব্যবহার করে ইন্টারনেট থেকে আয় করা খুব কঠিন নয় এমনকি একে পেশার বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায়অনেকেই সেটা করেন অনলাইনের অনেক ডিজাইনার্‌রা তাদের প্রজেক্টের জন্যে অনেক ছবি খুঁজে থাকেন বা বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন থেকে শুরু করে শিল্প মুল্যের কারনেও মানুষ ছবি কেনেনআপনি তাদের নিকট আপনার ছবিগুলো বিক্রি করতে পারেন ইন্টারনেটে ছবি বিক্রির সেবা দেয়ার জন্য রয়েছে বেশ কিছু ওয়েব সাইট তাদের গ্যালারীতে আপনার ছবি জমা দিতে পারেনবিক্রি হলে আপনি টাকা পাবেন আপনি নিজেই নিজের ওয়েবসাইট থেকে ছবি বিক্রি করতে পারেনছবি বিক্রি করার নিয়ম হচ্ছে যত ভাল ছবি তত বেশি টাকাকিংবা বিপরীতভাবে, আপনার ছবির মান এমন হতে হবে যা মানুষ টাকা দিয়ে কিনতে আগ্রহি হবেনতবে এজন্য প্রয়োজন উচুমানের ক্যামেরা, ফটোগ্রাফি বিষয়ে জ্ঞান এবং ছবি উঠানোর আগ্রহ ছবি তুলে আয় করতে সাহায্য করে এমন কিছু সাইটের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলঃ http://www.istockphoto.com/
ব্লগ থেকে আয় আপনি ছবি উঠাতে ভালবাসেন কিন্তু ততটা দক্ষ নন তাই হয়ত ভাবছেন যে ছবি তুলে আয় আপনার পক্ষে সম্ভব না নাচাইলে আপনিও ছবি তুলে আয় করতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনার জন্য আগের পদ্ধতি কার্যকর নয়আপনাকে ছবি তুলে আয় করার জন্য ছবি বিক্রি করা প্রয়োজন নেই, বিনামুল্যের ব্লগ তৈরী করে সেখানে ছবিগুলি রাখুনছবির পরিমান যত বেশি ভিজিটর তত বেশি পাওয়ার সম্ভাবনাআপনার আয় সরাসরি ছবি থেকে আসবে না, আসবে ভিজিটর থেকেব্লগে গুগলের এডসেন্স, ফাষ্ট ২ আর্ন কিংবা এধরনের বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের বিজ্ঞাপন রাখুনভিজিটর যত বাড়বে আয় তত বাড়বে ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলিতে আপনার জন্য বিশেষ আয় অপেক্ষা করছে, ছবি তুলে আয় করার অন্যতম একটা উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার যদি লক্ষ্য করে দেখে থাকেন তাহলে হয়ত চোখে পড়েছে সেখানে ছবি ওঠানোর কাজ রয়েছেকারো বিশেষ বিষয়ে ছবি উঠানো প্রয়োজন, আপনি ফ্রিল্যান্সা ফটোগ্রাফার হিসেবে সেই ছবি উঠিয়ে দিতে পারেন ছবি হোস্টিং সাথে টাকা আয় করুন আপনার তোলা ছবি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে হোস্টিং করে (আপ্লোড করে ) বেশ টাকা আয় করতে পারেন http://www.imageporter.com/

এমন বেশ কিছু সাইট আছে যার মাঝে সাটার স্টোক বেশ ভাল ও পরীক্ষিত এছাড়া ছবি তুলে আয় করার আরো একটা সাইট হল ইমেজ পর্টার আপনার একটি ছবির প্রতি ১০০০ ভিসিটের জন্যে ২.৬০ ডলার পর্যন্ত পে করে থাকেআবার আপনি কাউকে রেফার করলে তার আয়ের ১০% আপনার একাউন্টে জমা হবেতবে এই সাইটে মাঝে মাঝে এডান্ট এড থাকে প্রতিযোগিতা জিতে আয় ফটোবাকেট হল এমন একটা সাইট যেখানে বিনামুল্যে ছবি এবং ভিডিও রাখা যায় অন্যদের সাথে শেয়ার করার জন্যসবসময়ই ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে অংশ নিয়ে পুরস্কার পাওয়ার সুযোগ রয়েছেতাই ছবি তুলে আয় করাটা বেশ মজারই বটে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফটোগ্রাফি বা ছবি তুলে আয় এর কথাএর বাইরে স্থানিয়ভাবেও ছবি তুলে আয় করার সুযোগ তো রয়েছেইকারো প্রয়োজনে ছবি উঠানো থেকে শুরু করে ফটোগ্রাফিক ষ্টুডিও, সব ধরনের আয়ের জন্যই ফটোগ্রাফি আপনার একটি বিষয় হতে পারে


ডাউনলোড করে খাওয়া যাবে খাবার

মঙ্গল থেকে সেলফি


বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

৫ মিনিটে প্রেমে সাড়া দিবে যেকোনো সুন্দরী মেয়ে,যদি এই ৫ টি কথা তাদেরকে বলতে পারেন!! ( প্রমানিত )

মানুষকে আপন করে নেওয়ার কলা কৌশল পৃথিবীর খুব কম মানুষই জানে। এটি একটি বিশেষ দক্ষতা। হয়তো দেখে থাকবেন আপনারই পরিচিত কেউ অল্প কিছুক্ষনের মধ্যে অন্য যে কোন মানুষের প্রিয় পাত্র হয়ে উঠতে পারে। মানুষের সাথে খুব সুন্দরভাবে মিশতে পারে। কথা বলতে পারে। ফলে তাদের সে সম্পর্ক টেকে অনেকদিন। অথচ দেখা যায় আপনি নতুন কোন মানুষের সাথে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। অথবা লজ্জা পাচ্ছেন। কাজ করছে সংকোচ এবং দ্বিধা। ভাবছেন কি দিয়ে শুরু করবেন অথবা কি বলে কথা চালিয়ে যাবেন। আজ মুক্তমঞ্চ.কম আপনাদের কাছে শেয়ার করবে কিভাবে ৫ মিনিটের মধ্যে মানুষকে আপন করে নিতে পারবেন। তবে বিস্তারিত শুরু করার আগে একটা কথা মনে রাখবেন একই সূত্র সবার জন্য সমানভাবে কাজ নাও করতে পারে। কারন পৃথিবীর কোন সম্পর্কই কোন নির্দিষ্ট সূত্র দিয়ে বেঁধে রাখা যায় না। এটি স্থান, কাল, পাত্র অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে। আর একটি জিনিস দেখবেন্ এই ধরনের মানুষেরা যারা মানুষকে আপন করে নিতে পারে তারা কখনই কোথাও আটকে থাকে না। মানুষ তাদেরকে দু হাত ভরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। মানুষ তাদের ভালোবাসে। আপনিও যদি মানুষের ভালোবাসা পেতে চান। অথবা মানুষের মনে দীর্ঘদিন স্থান পেতে চান তাহলে মুক্তমঞ্চ.কম এর টিপস গুলো ফলো করতে পারেন। আশাকরি এই টিপস গুলো জীবনে অনেক কাজে দেবে। তো আর কালক্ষেপন না করে আমরা চলে যাচ্ছি বিস্তারিত কলা কৌশলেঃ

মানুষকে আপন করে নেয়ার কলা কৌশল

(১) প্রথম সাক্ষাতেই কুশল বিনিময় করুনঃ এটি একটি সাধারন ভদ্রতা। এই সারা পৃথিবীর সকল স্থান, কাল ও পাত্র অনুযায়ী একই হয়। কোন মানুষের সাথে প্রথম দেখা কিংবা পরিচিতির প্রথম ধাপই হচ্ছে কুশল বিনিময়। আর কুশল বিনিময়ের একদম শুরুতেই নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী সালাম কিংবা নমস্কার অথবা এরকম কিছু দিন। পুুরুষ হলে তার সাথে হ্যান্ড শেক করুন। আর যদি ধর্মীয় বিশ্বাসকে এভয়েড করতে চান তাহলে গুড মর্নিং বা এরকম কিছু বলুন। তবে চেষ্টা করবেন মৃদ্যু হাসি বিনিময় করে সালাম দিতে। তবে এক্ষেত্রে একটি কথা আছে। পরিবেশ বুঝতে হবে। সব পরিবেশে আবার হাসবেন না। যেমন ধরুন কোন মৃত ব্যক্তির বাড়িতে গেলেন তখন হাসি বিনিময় করে সালাম দেয়াটা আবার বোকামি। তাই আশেপাশের পরিবেশ, পরিস্থিতি খেয়াল করে কুশল বিনিময় করুন।
 
 (২) চোখে চোখ রেখে কথা বলুনঃ মানুষকে আপন করে নিতে এখানেই মানুষ ভুলটা বেশি করে। ধরুন আপনি কারো উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলছেন। তখন অপর পাশের ব্যক্তি মোবাইল টিপছে বা অন্যদিকে তাকিয়ে আছে, কেমন লাগবে আপনার? আশাকরি তাতে আপনি ভালো বোধ করবেন না। ঠিক তেমনি যখন কেউ আপনার সাথে কথা বলবে, আপনি তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথাগুলো শুনুন। এতে আপনি যে তার কথা মনযোগ সহকারে শুনছেন, সেটা সে পছন্দ করবে।
(৩) ঝুঁকে বসুনঃ মানুষকে আপন করে নেয়ার এটি একটি অন্যতম কৌশল। যখন বসে অন্য কোন ব্যক্তির সাথে কথা বলবেন তখন হেলান দিবেন না। অথবা কোন দিকে কাত হয়ে বসবেন না। একদম সোজা হয়ে একটু তার দিকে ঝুঁকে বসুন। মানে মাথাটা একটু এগিয়ে দিন। তাতে ওই ব্যক্তি মনে করবে আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। ফলে সহজেই আপনাকে সে আপন ভেবে কথা বলবে।
(৪) কথার উত্তর দিনঃ মানুষকে আপন করে নেয়ার আরেকটি কৌশল হচ্ছে কথা কম বলুন আর শুনুন বেশি। তবে রোবটের মতো কথা শুধু শুনেই যাবেন না। মাঝে মাঝে কথার মাঝখানে হ্যা, হু, ও আচ্ছা, তাই! এরকম কিছু শব্দ ব্যবহার করুন। এর মানে আপনি যে তার সাথে কথা গুলো শেয়ার করছে, সেটা মিন করে। তবে খেয়াল রাখবেন, হ্যা, হু, ও আচ্ছা, তাই! এগুলো যেন প্রতি শব্দের সাথে সাথে না বলেন। তাহলে ব্যাপারটা মেকি হয়ে যাবে। সিচ্যুয়েশন বুঝে কথার উত্তর দিবেন।
(৫) আমি, আমার এই শব্দগুলো পরিহার করুনঃমানুষকে আপন করে নেয়ার সবথেকে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে এটা। মানুষ মানুষকে অপছন্দ করার সবথেকে বেশি কারন হচ্ছে এটা। ধরুন আপনি কারো সাথে দেখা করতে গিয়ে খালি নিজের কথা বলেই যাচ্ছেন।
আমি এটা করেছি, ওটা করেছি, আমার এটা হয়েছে ওটা হয়েছে – এই ধরনের কথা মানুষ খুব অপছন্দ করে। যেমনঃ কারো সাথে দেখা করতে গিয়ে বললেন, ভাই আমি বিশাল বড় বেতনের একটা চাকরি পেয়েছি। আমার তাতে ভীষন খুশি লাগছে। আমার মা আমাকে দোয়া করেছে। আমার বাবা পিঠ চাপড়েছে। আমার ভাই গিফট দিয়েছে। আমার বোন এটা করেছে, ওটা করেছে। এই ধরনের কথায় মানুষ অস্বস্তিবোধ করে। প্রাকৃতিকভাবেই মানুষ মানুষের সাফল্য সহ্য করতে পারেনা। আবার ধরুন বললেন, ভাই আমি সমস্যায় আছি। আমার গরু মারা গেছে। আমার বিড়াল মারা গেছে। আমার মোবাইল চুরি হয়েছে।

কোথায় কোথায় স্পর্শ করলেই অসাবাবিক হয়ে যায় মেয়েরা


মেয়েদের শরীরে এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে স্পর্শ করলে মেয়েরা অনেক বেশি ‘টার্ন অন’ হয়ে পড়ে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই ছেলেরা সেইসব অংশের দিকে নজর দেয় না। ফোরপ্লে সীমাবদ্ধ থাকে ব্রেস্ট, নিপলস আর কিসের মধ্যেই। তারপরেই ইন্টারকোর্স। ব্যাপারটা যেন একঘেয়েই। কিন্তু কিছু জায়গায় স্পর্শ করে, ভালবেসে, পাগল করে দেওয়া যায় মেয়েদের।
. ঘাড়ের পিছন দিকে:
মেয়েদের শরীরে এটাই সবচেয়ে সেক্সুয়ালি টার্নিং অন এরিয়া। ছেলেরা কিন্তু অনেকসময় এই অংশটা এড়িয়ে যায়। কিন্তু শুধু এখানে স্পর্শ করেও একজন মহিলাকে দ্রুত উত্তেজিত সম্ভব। একজন মেয়ে যখন সামান্য টার্ন অন থাকে তখন তার পিছন দিকের চুল সরিয়ে ঘাড়ে হাত বুলিয়ে দেখুন। আস্তে আস্তে কিস করুন। দেখবেন আপনার সঙ্গিনী পাগল হয়ে যাবে। সামান্য লিক করুন, সুড়সুড়ি দিন। দেখবেন আপনার সঙ্গিনী উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন।

২. কান:
কানে হালকা স্পর্শ, চুম্বন অনেক বেশি ‘সেক্সুয়ালি অ্যাট্রাক্টেড’ করে দেয় মেয়েদের। কানের উপর আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস ফেললে পাগল হয়ে পড়বে আপনার সঙ্গিনী। হালকা কামড় দিতে পারেন কানের লতিতে। লিক করতে পারেন কানের চার পাশে যে কোন জায়গায়। কিন্তু কানের ছিদ্রে নয়, এটি মেয়েদের জন্যে একটা টার্ন অফ।

৩. উরু বা থাই:

মেয়েদের দ্রুত উত্তেজিত করত তিন নম্বরটির পয়েন্টটির জুড়ি মেলা ভার। সঙ্গিনীর উরুর সফট স্পটে স্পর্শ করুন। দেখবেন সে কি করে।
৪. হাতের তালু ও পায়ের পাতা:
হাত দিয়ে প্রতি মুহূর্ত স্পর্শ করছেন, কিন্তু তার হাতেই যে লুকিয়ে আছে অসংখ্য সেক্সুয়াল ফিলিংস। সঙ্গিনীর হাতের উপর নিজের আঙুলগুলি বোলাতে থাকুন, সুড়সুড়ি দিন। এটিই যেন তাঁকে পরবর্তী সেক্সুয়াল অ্যাক্টিভিটিরই মেসেজ দেবে। দেখবেন সেও সাড়া দেবে। টার্ন অন করবে আপনার সঙ্গিনীকে।

৫. পা:

মহিলাদের দ্রুত উত্তেজিত করতে পায়ে হাত বুলিয়ে সুড়সুড়ি দিলে অনেকেই বেশ মজা পায়। তবে কিছু মেয়ের এটি পছন্দ নয়। জিজ্ঞেস করে নিন আপনার সঙ্গিনীকেই।
৬. পিঠ:
পিঠ, বিশেষ করে পিঠের নিচে, কোমরের দিকের অংশটাতে স্পর্শ ও আদর চায় মেয়েরা। মেরুদন্ড বরাবর চুমু দিতে দিতে নিচে নেমে যান। তাঁর সেক্স করার মুড আরও বাড়বেই।
৭. কলার বোন:
একটি মেয়েকে দ্রুত উত্তেজিত করতে তাঁর ব্রেস্টের দিকে যাওয়ার আগে, তার গলার নিচে, কলার বোনের দিকে নজর দিন। এতে সে বুঝবে আপনি কতটা চান আপনার সঙ্গিনীকে।

সপ্তাহে কতবার শারীরিক মিলনে আগ্রহী হয় নারীরা..?

সাধারণ যৌন মিলনের চেয়ে বেশি চান শতকরা ৫০ শতাংশেরও বেশি নারী। সম্প্রতি ফার্টেইলিটি অ্যাপ কিন্ডারা ৫০০ নারীর উপর সমীক্ষা চালিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে।
সমীক্ষার ফলাফলে বলা হয়, শতকরা ৫৩ শতাংশ নারীই বিদ্যমান অবস্থার চেয়ে বেশিবার যৌন মিলন করতে চান। যার মধ্যে ৭৫ শতাংশ নারী চান সপ্তাহে তিনবারের চাইতে বেশিবার যৌন মিলন এবং ১৩ শতাংশ চান ছ’বারের বেশি।
তাতে আরও উঠে এসেছে নারীদের অর্গাজমের তথ্যও। শতকরা ৩৯ শতাংশ নারী বলেছেন, যৌন মিলনের সময় তাদের অন্তত একবার অর্গাজম হয়। যেখানে…

১০ শতাংশ নারীর হয় একাধিক বার।
যৌন মিলনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কী? এই প্রশ্নের জবাবে ৫৩ শতাংশ নারীই বলেছেন মানসিক সম্পৃক্ততা। এর পরের অবস্থানেই ছিল উত্তেজনা যা ছিল ২৩ শতাংশ নারীর মতামত।
যৌন মিলনের পক্ষে সবচেয়ে বড় বাঁধা কোনটি? এমন প্রশ্নের জবাবে ৪০ শতাংশ নারীই দোষারোপ দিয়েছেন মানসিক চাপকে।

জেনে নিন মেয়েদের কত বছর হলে বিয়ের জন্য পাগল হয়ে উঠে!! না হয় নিশ্চিত অবৈধ সম্পর্কে জড়াবে।।

মুল বিষয়ে যাবার আগে চলুন কিছু জেনে নিই কোথায় যেন একটা প্রবাদ পড়েছিলাম, মানুষ জীবনে তার লক্ষ্য কিংবা কতটুকু সফল হতে পারবে, সেটা ৩৩-৩৫ বছর বয়সের মধ্যেই বুঝতে পারে। ব্যাপারটা এমনই, আপনি এই বয়সে এসে অদূর ভবিষ্যত নিয়ে হালকা পাতলা চিন্তা করতে পারবেন,জীবনের শেষ গন্তব্যে কি করবেন, সেটা চিন্তা করতে পারবেন। ফ্ল্যাট বাড়ীর জন্য কিস্তি জমা দেওয়া শুরু করতে পারবেন। গাড়ি কিনার চেষ্টা করতে পারেন, নেহায়েৎ ব্যাংক লোন নিয়ে হলেও। একটু গোড়া থেকে শুরু করি, ১৮ বছর বয়স শেষে একজন যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে, তার ২২-২৩ বছর বয়সে শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। গড়ে বাংলাদেশী ছেলেদের চাকুরী পেতে পেতে ২৪-২৫ বছর হয়ে যায়। তারপরও অনেক সময় পছন্দমতো চাকুরী পায় না, এই অফিস, ঐ অফিস ঘুরা ঘুরি করে। ধরলাম আলটিমেট চাকুরীটা পেতে তার ২৭ -২৮ বছর হয়ে গেল। তারপর বলে একটু গুছিয়ে নিই, তারপরেই বছর ২-১ পরে বিয়ে করবো। গুছিয়ে নিতে গিয়ে দেখা গেল, সংসার চালানো অনেক কঠিন। তখন বলে একটা প্রমোশন পেলেই বিয়ে করবো। প্রমোশন পেতে পেতে ৩২ বছর হয়ে যায় অনেকের। তারপর ভদ্রলোক এইবার বিয়ের ঘোষণা দেন। মিয়া এখন বিয়াতে রাজী, আত্মীয় স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশী সকলে ঝাপিয়ে পড়ে বিবি খুঁজতে। এই মেয়ে দেখে, ঐ মেয়ে দেখে, পছন্দসই মেয়ে খুঁজে পেতে ৩৩ পার হয়ে যায়। তারপর বিয়ের পিড়িতে বসেন মিয়া ভাই।আমি এমনও দেখেছি, ৩৫-৩৮ বছর পরেও অনেক পুরুষ নিজেকে বিয়ের জন্য যোগ্য মনে করেন না।


তারা মনে করেন, আর একটু প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিই আগে, তাহলে বিয়ের বাজারে নিজের দামটা আরো একটু বাড়বে, আরো একটু সুন্দরী, গুনবতী, কচি মেয়ে পাবো। একটা চরম সত্য কথা বলি, অনেক পুরুষ মানুষ আমার উপর ক্ষেপেও যেতে পারেন। সত্যটা হলো, যাদের বয়স ৩৫-৩৮ এর কোটায়, তারা বউ হিসেবে ২১ -২৪ (সর্বোচ্চ) বছরের মেয়েদেরই বেশি পছন্দ করে। মানে অনার্স পাশ করা মেয়ে, মাস্টার্স পাশ করা মেয়ে অনেকের পছন্দ নয়। অনেকে আবার অনার্স পড়ুয়া মেয়ে পছন্দই করেন না, তাদের পছন্দ ঐ ১২ ক্লাশ পাস, মানে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত।কারণ ঐ ১৮ বছরের মেয়েদের ইচ্ছে মতন শেইফ দেওয়া যায়। যেমনি বলবেন, তেমনি চলবে। স্বামী স্ত্রীতে ১২-১৪ বছর বয়সের পার্থক্য অনেক সময় অনেক জটিলতা সৃষ্টি করে। দুই জনের মানসিক চাহিদাটা মিল না হলেই এই সমস্যাগুলো প্রকট হয়ে যায়। নিজের থেকে ১২ বছরের কারো সাথে এডজাস্ট করাটা অনেক সময় সত্যিই কষ্টকর। আবার ৩৫+ বয়সে অনেকের ভীমরতিও হয়। আমি একজনকে চিনি, যিনি বউকে সান গ্লাস কিনে দিয়েছেন, বউ বায়না করে নাই।

কোথাও বাইরে গেলে সান গ্লাসটা আবার চোখে পড়া যাবে না। কপালের উপরে মাথায় রাখতে হবে (যেমনটা বাংলা সিনেমাতে দেখা যায়)। স্বামীর নির্দেশ। স্ত্রীর মানতে কষ্ট হলেও উপায় নেই। মুরুব্বী বলে কথা।এই ধরণের জুটিকে রাস্তাঘাটে দেখলে মানুষজন অনেক সময় কনফিউজড হয়ে যায়। বুঝতে পারে না, মেয়েটা কার সাথে বের হয়েছে? বাবার সাথে? নাকি জামাই এর সাথে? আমার মতে ২৫ পেরুলেই ছেলেদের বিয়ে করে ফেলা উচিত। প্রতিষ্ঠা পেতে পেতে আরো ৫-৮ বছর নষ্ট না করে যৌবনটাকে উপভোগ করুন। সময় চলে গেলে তা আর পাওয়া যাবে না। আর স্ত্রীর সাথে বয়সের গ্যাপ যতই কম হয়, তত ভালো, তত বেশী বুঝাপড়া হবে আপনাদের। ভালোভাবে সংসার করার জন্য মেন্টাল বয়সটা সমবয়সী হওয়া অনেক জরুরী। এবারে আসা যাক মুল আলোচনায়,প্রশ্ন ছিলো কত বছর বয়স হলে মেয়েরা বিয়ে করাই জন্য পাগল হয়ে ওঠে । এই বিষয়টি মুলতঃ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে,মেয়েদের দৈহিক গঠন ও পারিপার্শ্বিকতার উপর বিচার করে মেয়েরা নিজেই বুঝতে পারে কখন সে বিয়ের উপযুক্ত । বাংলাদেশের অধিকাংশ মেয়েরা সাধারণত 15 থেকে 21 বছরে বয়সের মধ্য এই কাজটি সেরে ফেলতে চাই । যৌন সম্পর্ক বা মিলন মানুষের জৈবিক প্রক্রিয়া। যৌন সম্পর্কে ধারনাটা মোটামুটি সবাইরে জানা। তবে প্রকাশ না করলেও যৌন উত্তেজনাটা ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের অনেক বেশি। কাজেই জেনে নেওয়া যাক, বয়সের উপর ভিক্তি করে কখন মেয়েরা যৌন উত্তেজনায় পাগল হয়ে ওঠে? ১. মেয়েদের যৌন চাহিদা ছেলেদের ৪ ভাগের এক ভাগ।

কিশোরী এবং টিনেজার মেয়েদের যৌন ইচ্ছা সবচেয়ে বেশি। ১৮ বছরের পর থেকে মেয়েদের যৌন চাহিদা কমতে থাকে, ৩০ এর পরে ভালই কমে যায়। ২. ২৫ এর উর্দ্ধ মেয়েরা স্বামীর প্রয়োজনে যৌনকর্ম করে ঠিকই কিন্তু একজন মেয়ে মাসের পর মাস যৌনকর্ম না করে থাকতে পারে কোন সমস্যা ছাড়া। ৩. মেয়েরা রোমান্টিক কাজকর্ম যৌনকর্ম চেয়ে অনেক বেশি পছন্দ করে। বেশিরভাগ মেয়ে গল্পগুজব হৈ-হুল্লোর করে যৌনকর্মর চেয়ে বেশি মজা পায়. এখন নিচে একটি পরিসংখ্যান দেখুন বিভিন্ন দেশে ছেলেমেয়েদের বিয়ের বয়স আইন অনুযায়ী

মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

যে আজব বাজারের একমাত্র পন্য নারী

মধ্যযুগে হাটে বাজারে দাসী হিসেবে নারী বিক্রি করা হত। যাকে আমরা বলতাম মধ্যযুগীয় বর্বরতা। যুগ এখন অনেক আধুনিক হয়েছে, হয়েছে অনেক সভ্য। কিন্তু এই সভ্য যুগের সভ্য মানুষের কিছু কর্মকান্ড অসভ্য যুগের বর্বরতাকেও হার মানায়। আজও নারী বিক্রি হয় তবে তা সভ্য স্টাইলে। মধ্যযুগে সরাসরি বাজারে উঠিয়ে বিক্রি করত, আর এখন সরাসরি বাজারে না উঠিয়ে বিভিন্ন অপকৌশলে বিক্রি করা হয় । সবচেয়ে মজার বিষয় হল যে নারী কে  বিক্রি করা হচ্ছে সে আদৌ জানে না যে তাকে বিক্রি করা হবে। এই তথাকতিথ সভ্য সমাজের অসভ্য কিছু মানুষ নারীদের পন্য হিসেবে বিক্রি করে দিচ্ছে বিভিন্ন নিষিদ্ধ পল্লিতে। কাউকে আবার পাচার করে দিচ্ছে বিদেশে।  যেখান থেকে তাদের আর সুস্থ সমাজে ফিরে আসার কোন সুযোগ থাকছে না। মানুষের অসহায়ত্বয়ের সুযোগ নিয়ে তাদরকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে বিক্রি করে দিচ্ছে কিছু ভাল মানুষের মুখোশধারী লম্পট । আজকে এমক্রাইম.কম এসব লম্পটদের স্বরুপ আপনাদের সামনে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরবে ।

যে আজব বাজারের একমাত্র পন্য নারী

অনেক সময় আমরা সরাসরি প্রতিবেদনে ঢুকে পড়ি আবার অনেক সময় অলিগলি ঘুরে তারপর মূল কাহিনীতে প্রবেশ করি। আজকে মূল প্রতিবেদনে যাবার পূর্বে একটু ঢাকার বাহির থেকে ঘুরে আসা যাক। ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার একটি গ্রাম। এখানকার অধিকাংশ মানুষই নিম্ম আয়ের। টানাপোড়নের সংসারে সন্তানও আয়ের উৎস তাদের। মেয়েসন্তান একটু বড় হলেই ঢাকা পাঠান পোশাক কারখানায় কিংবা অন্যের বাসাতে গৃহকর্মী হিসেবে। এই গ্রামের বাসিন্দা জামাল উদ্দীন দিনমজুর, তার বড় মেয়ে তামান্না। জামাল উদ্দিন তার বড় মেয়েকে বোনজামাইর সাথে পাঠিয়িছিলেন ঢাকার একটি বাসায় কাজের জন্য। কাজও করে বছর দেড়েক। তারপর একদিন খবর আসে তামান্নাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। শধু তামান্না নয় গৌরিপুর গ্রামের আরো অনেক মেয়ে এভাবেই হারিয়ে গেছে বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ। ভিডিওটি দেখুনঃ

চলুন এবার আমরা ঢাকায় ফিরে যাই। ঢাকার গেন্ডারিয়ার নামাপাড়া বস্তি প্রায় তিন যুগের থেকেও বেশি সময়ের এখানের বাসিন্দা নাসিমা আক্তার। স্বামী সেলিম মিয়া সবজি ব্যাবসায়ী। দুই মেয়ে আর এক ছেলে তাদের, কিন্তু তার ছোট মেয়ে রিনা ২০১৪ সাল থেকে নিখোজ। সকালে কোচিং এর উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি বাসায়। খবর নিয়ে জানা যায় নাসিমা বেগমের ছোট মেয়ে রিতার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাদ্দাম নামের এক ছেলের সাথে। ঘটনার চারপাচ দিন পর গ্যান্ডারিয়া থানায় সাদ্দাম, মীর হোসেন, শাওনসহ চারজনের নামে সাধারন ডায়রী করেন। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতারও করে এবং তারা স্বীকার করে যে মাত্র ২০০০০ টাকায় তারা রিতাকে দৌলতিয়ার পতিতাপল্লীতে বিক্রি করে দিয়েছে। এতো গেল কেবল একজন তামান্না আর রিতার কাহিনী, এরকম হাজারো রিতা আর তামান্না প্রতিদিন বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এসব নিষিদ্ধপল্লীতে। কাউকে আবার পাচার করে দেয়া হচ্ছে বিদেশে। যেখানে তাদের উপর চালানো হয় অমানুসিক শারিরীক নির্যাতন। এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিডিটি উপরে দেখুন

ভালো মেয়ে হওয়ার পাস মার্কস কত?


  • ঘটনা ১ কয়েক বছর আগের কথা। চীন মৈত্রী সম্মেলনে এক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে গিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে দাওয়াত পত্র পাওয়া, বসেছি অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে, বয়সে ও অভিজ্ঞতায় যারা আমার অনেক প্রবীণ। পরনে সালোয়ার-কামিজ। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষককে আমাদের সমাজ সবসময়ই দেখতে চায় চশমা পরিহিত, তাঁতের শাড়িতে রাশ গম্ভীর তথাকথিত বাঙ্গালী মেয়ে হিসেবে। আর আমার মত কাঁধ সমান চুল, মাথার উপর খুব ঢং করে উঠিয়ে রাখা সানগ্লাস কোনভাবেই আমার সমাজ- বিনির্মিত সামাজিক পদমর্যাদার সাথে মানানসই নয়। তাই অপ্রস্তুত সহদর্শকদের প্রচুর কৌতূহলের লক্ষ্যবস্তু হলাম আমি। আচমকা একজন আমাকে চোখ টিপ দিলো। অনুষ্ঠানের মাঝখানে আমি উঠে তার পিছু নিলাম। একটু ভড়কে গেল সে। তারপর হাঁটতে শুরু করলো। আমি পিছু নিয়ে তার শার্ট টেনে বললাম, কি চোখ টিপ দিলেন কেন? উল্টো চড়াও হল সে আমার উপর। চিৎকার করে কিছু দর্শক যোগাড় করে ফেললো, যাদের সবাই সাংবাদিক। একজন বললেন “ম্যাডাম চেপে যান, এগুলো চেপে যেতে হয়”। আমি দ্বিগুণ চিৎকারে বললাম, ‍“লজ্জা করেনা সাংবাদিক হয়ে এধরনের কথা বলেন”। একজন বলল “আপনি জানেন না উনি কে? উনি একজন নামকরা সাংবাদিক”। আমি বললাম “আচ্ছা দেখা যাবে”। পরবর্তীতে লোকটি যে পত্রিকায় কাজ করত, তার সম্পাদককে জানালাম। ঠিক ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে ফোনে লোকটি আমাকে বলল আমি তার মায়ের (?) মতন, তাকে যাতে ক্ষমা করে দেই। দুপুরে তার কামনার নারী থেকে সন্ধ্যায় রাতারাতি মা হয়ে যাওয়াটা নিতান্তই সহজ প্রাপ্তি ছিল না । 

  • ঘটনা ২: আমার ডিভোর্সের পর আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পুরুষ সহকর্মী আরেকজন সহকর্মীর কাছে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে, কারন তার ধারনা আমার মতন তরুণী (বিশেষণগুলো খুব শালীন ছিলনা) এখন তার নাগালে চলে আসবে, এতদিন তিনি শুধু আমাকে কামনার চোখে দেখেছেন, আর এখন আমাকে পাবার দুর্দান্ত সুযোগ । তিনি খুব ভাল করেই জানেন হয়ত পদবি জুটিয়েছেন শিক্ষকের, কিন্তু আমার কাছে আসলে চপটাঘাতে প্রান যাবে। এই বিধ্বংসী পদবী অর্জন করাটাও সহজ ছিলনা।
  •  ঘটনা ৩: এবছর বাংলাদেশে আমার আর আমার ছেলের পাসপোর্ট রিনিউ করতে দিলাম। ফর্মে অভিভাবকের ছবি দিতে হয়। তাও আবার সাম্প্রতিক হতে হবে। আমার কাছে প্রাক্তন স্বামী ভদ্রলোকের কোন ছবি না থাকায় দিতে পারিনি। যার সাথে আমাদের গত ৬ বছর কোন সম্পর্ক নেই, তার ছবি না থাকাই তো স্বাভাবিক। মহাপরিচালক আমাকে জানালেন কাস্টডির কাগজ দিলেই হবে। যথারীতি সব কাগজ জমা দেয়ার পর আরেকজন কর্মকর্তা আমাকে জানালেন, ছবি দিতেই হবে। বুঝিয়ে বললাম। তিনি নাছোড়বান্দা, দিতেই হবে। এক পর্যায়ে আমাকে তিনি বললেন, “যে কারও একটা ছবি দিয়ে দেন ম্যাডাম”। স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। বললাম আমার নৈতিকতায় বাঁধবে, যে বাবা আমার সন্তানের জীবনে কথাও নেই, তার ছবি আমি কেন দেব অথবা অন্যের ছবি দিয়ে কেনই প্রমান করবো যে একজন পুরুষ অভিভাবক ছাড়া আমার একাকী অভিভাবকত্ব আমার সন্তানের দেখভালের জন্য যথেষ্ট নয়!!! তখন আমার অনড় অবস্থান । পাসপোর্ট দিলে দিবে না দিলে নাই কিন্তু আমি ছবি দিবনা। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মাথার ওপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাস্যজ্জল ছবি আমার দিকে তাকিয়ে। হায়রে নারীর ক্ষমতায়ন, সমঅধিকার !!! প্রায় ঘণ্টাখানেক যুক্তিতর্কের পর খুব বিরক্ত হয়ে আমাদের ফর্মে সাইন করলেন তিনি, পাসপোর্ট পেলাম আমরা। এই ন্যায্য প্রাপ্তিটাও খুব সহজ ছিলনা। 
  • ঘটনা ৪: আমার এক বন্ধুর সহকর্মী, যার সাথে আমার অল্প বিস্তর পরিচয়। বউ পাগল স্বামী হিসেবে পরিচিত, স্ত্রীর ছবি দিয়ে ফেসবুক ভর্তি। উনি আমাকে টেক্সট করলেন, “তুমি বাংলাদেশে”? আমি লিখলাম “হ্যা”। তারপরের উত্তর এলো, “তুমি তো আরও ইয়াং হচ্ছো, আমার সাথে ডেইট করবে”? উত্তরে বললাম, “আপনার ধঢ়ঢ়ষব ড়ভ সু বুব (স্ত্রী কে ভালবেসে ফেসবুকে এই নামেই ডাকেন তিনি ) কি জানেন ? তাকে কি জানাব”? আর কোন উত্তর এল না। এই প্রতিবাদ করতে পারার সাহস অর্জন করাটাও সহজ ছিলনা। 
  •  ঘটনা ৫: ঢাকায় আমার পরিচিত অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন, তোমার স্বামী কেমন আছে? যেন তারা জানেই না যে গত ছয় বছর আমি একা। সিলেটে আমার পাশে বসা এক ভদ্রমহিলা বলেন, স্বামীকে জার্মানি রেখে এসেছি কিনা। আসলে এই সবক্ষেত্রেই আমার উত্তর, আমার স্বামী নেই, আমি একজন একাকী মা। প্রথম প্রশ্নকর্তারা প্রায় আবেগে কেঁদে ফেলার মতন হয়ে যায়। “খুবই দুঃখিত” বলতে বলেতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন আর আমি তাদের অজান্তে হাসি এই ভেবে যে এত সোজাসাপটা উত্তর পেয়ে, আমাকে বিব্রত করতে না পেরে বেচারারা কতই না কষ্ট পেল, আহারে। আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ভদ্রমহিলা আমাকে অস্পৃশ্য ভেবে উনার বসবার স্থানটি পরিবর্তন করেন। আমি আয়েশ করে আরেকটু আরাম করে বসি। খুব সহজ ভাবে নিজেকে একজন একাকী মা পরিচয় দেয়ার ক্ষমতা অর্জন করাটাও খুব সহজ ছিল না। এই বিচ্ছিন্ন প্রতি ঘটনা আর তার প্রাপ্তি আসলেই খুব সহজ ছিলনা আমার জন্য। আমরা মেয়েরা এই সাহস অর্জন করি অনেক তেল নুন খরচ করে । তারপর আমাদের এই অর্জন বার বার নিগৃহীত হয়, অসম্মানিত হয়। আমি একজন শিক্ষক, সামাজিক মর্যাদার কারনে আমার জন্য প্রতিবাদ করাটা এক ধরনের ক্ষমতার বলয়ে থেকে সমাধানের চেষ্টা করা, কিন্তু ভেবে শিহরিত হই একজন শ্রমজীবী নারী, অথবা গ্রামের একটি সদ্য কিশোরী হয়ে ওঠা মেয়ে কিভাবে তাকে বাঁচাবে এই বিকৃত মানুষগুলোর হাত থেকে। যেখানে সাকিব আল হাসান এর স্ত্রী অপমানিত হয়, সাকিবের ন্যায় অন্যায়ের বিচার প্রক্রিয়ায় তাঁর স্ত্রীর পোশাক পায় ঞধষশ ড়ভ ঃযব ঞড়হি এর মর্যাদা , সেই দেশে আর যাই হোক বাব ঃবধংরহম টা নিত্যকারের মুদি দোকানের চা পান কেনার মতই নৈমিত্তিক ঘটনা। আমি অবাক হয়ে ভাবি, একজন নারী অপমানিত হলে তার প্রতিবাদ আমরা না করে আমরা রাতারাতি বিচারক বনে যাই, কেন হোল, কি কারনে হোল তাই নিয়ে মেতে উঠি। আচ্ছা পুরুষরদ্বয়, বলুন তো, আমরা মেয়েরা যদি স্বল্পবসনা হয়েই থাকি তবে আপনি গুনধর পুরুষ কেন কালো চশমা পড়েন না, অথবা চোখটা বন্ধ করে একটু আরাম করেন না?? আকরাম সাহেব আপনি যখন দীর্ঘ আকর্ষণীয় দেহ নিয়ে মাঠে দৌড়ান, কই আমরা নারীরা তো আপনাকে দেখে সিটি বাজাইনা। পাপন সাহেব যখন সাংবাদিক সম্মেলনে কাব্যিক ভাষায় কথা বলেন কই কোন নারী সাংবাদিক তো আপনাকে চোখ টিপে দেয়না? সুজন যখন ব্র্যান্ডেড সার্টের বোতাম খুলে আর দামি ঘড়ি পরে আবেদনময় হয়ে টক শোতে আসেন কই আমরা তো আপানাকে কামনার চোখে লেহন করিনা । আর করিনা বলেই আপনারা বোঝেন না একটা কামুক দৃষ্টি, একটা অশ্লীল শব্দ, একটা অনাকাংখিত স্পর্শ আমাদের কত রাত নির্ঘুম রাখে। ধিক্কার জানাই বিসিবি কে । আপনারা কি পারতেন না এর প্রতিবাদ করতে, মানুষকে জানিয়ে দিতে যে আপনারা শুধু খেলেন না, আপনারা প্রতিবাদও করেন। হয়ত বলবেন সাকিব কেন নিজ হাতে পেটাল ? হয়ত বলবেন আইন নিজের হাতে কেন তুলে নেয়া। আরে যে দেশের কোর্টে হাজার হাজার মানুষের সামনে ধর্ষিতাকে কাঠগড়ায় তোলা হয়, একাকী মাকে প্রতিনিয়ত তথাকথিত চারিত্রিক পরীক্ষার প্রশ্নবাণে রক্তাক্ত হতে হয়, যে দেশের আদালতের উন্মুক্ত এজলাসে ব্যাক্তিগত বলে কিছুই নেই,যে দেশ আজো একজন একাকী মাকে সহজ ভাবে ধারন করতে পারেনা, সে দেশে এছাড়া আর কি উপায়। সাকিবরা থাকেনা বলেই স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা সন্ধ্যায় মেয়েদের জামার ভেতরে অনায়াসে হাত ঢুকিয়ে দেয়, রিকশার পেছন থেকে আমাদের পিঠ চমকে ওঠে নোংরা স্পর্শে। কেন আমাদের উত্যক্ত করলে আপনাদের কাছে তা আটপৌরে বিষয় হয়ে যায়, কেন আপনাদের কাছে আমাদের সম্মান এতটা ঠুনকো? আপনাদের অসম্মান থেকে সবচেয়ে ক্ষমতাবান নারীরাও রেহাই পান না। কেউ তাদের ডাকে গোলাপি, কেউ বলে দুই মহিলাই দেশকে ডোবাল। কি নির্লজ্জ আমাদের সমাজ, কি নির্মম আমাদের চারপাশ ।আমাদের পোশাক আমাদের ভাল মেয়ের সার্টিফিকেট দেয়, যদিও ওড়না বোরকা আরও কত কি দিয়েও আমরা আমাদের ঢেকে রাখতে পারিনা, আমরা ধর্ষিত হই চোখ দিয়ে,কথা দিয়ে প্রতিদিন, শতবার । তাই আমাদের সম্মান যাদের কাছে কড়ি দিয়ে কেনার মতই সস্তা তারা প্রত্যেকেই এক একজন ভার্চুয়াল ধর্ষক। জানিনা ভাল মেয়ে হবার পাশ মার্ক বা মানদ- কি এই সমাজে। শুধু এতটুকুই জানি, আপনারা যারা নারী কে অসম্মানিত হতে দেখে প্রতিবাদ করেন না তারা আমাদের চোখে লোক দেখানো ধনাত্মক মানসিকতার এক একটা ঋণাত্মক মানুষ। তাই আমাদের ভাল মেয়ে হওয়ার পরীক্ষায় বসবার দরকার নেই, আমরা খারাপ হয়েই থাকতে চাই। বন্ধু পুরুষ, তুমি তোমার অন্তর্বাস পোশাকের উপরে পরে রাতারাতি সুপারম্যান হয়ে যাও, আর আমি তা ঢেকে রেখেও অজান্তে দৃশ্যমান হলেই হই কলঙ্কিনী!!! এ কেমন বিচার!!! পুনশ্চঃ আমাদের সমাজেও অসাধারন কিছু পুরুষ আছেন, যারা আমাদেরই সহযোদ্ধা, তাদের মতই হোক আমার সামনে দাঁড়ানো ছেলেটি, শুভকামনা পুরুষ তোমার জন্য।
ঘটনা ১ কয়েক বছর আগের কথা। চীন মৈত্রী সম্মেলনে এক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে গিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে দাওয়াত পত্র পাওয়া, বসেছি অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে, বয়সে ও অভিজ্ঞতায় যারা আমার অনেক প্রবীণ। পরনে সালোয়ার-কামিজ। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষককে আমাদের সমাজ সবসময়ই দেখতে চায় চশমা পরিহিত, তাঁতের শাড়িতে রাশ গম্ভীর তথাকথিত বাঙ্গালী মেয়ে হিসেবে। আর আমার মত কাঁধ সমান চুল, মাথার উপর খুব ঢং করে উঠিয়ে রাখা সানগ্লাস কোনভাবেই আমার সমাজ- বিনির্মিত সামাজিক পদমর্যাদার সাথে মানানসই নয়। তাই অপ্রস্তুত সহদর্শকদের প্রচুর কৌতূহলের লক্ষ্যবস্তু হলাম আমি। আচমকা একজন আমাকে চোখ টিপ দিলো। অনুষ্ঠানের মাঝখানে আমি উঠে তার পিছু নিলাম। একটু ভড়কে গেল সে। তারপর হাঁটতে শুরু করলো। আমি পিছু নিয়ে তার শার্ট টেনে বললাম, কি চোখ টিপ দিলেন কেন? উল্টো চড়াও হল সে আমার উপর। চিৎকার করে কিছু দর্শক যোগাড় করে ফেললো, যাদের সবাই সাংবাদিক। একজন বললেন “ম্যাডাম চেপে যান, এগুলো চেপে যেতে হয়”। আমি দ্বিগুণ চিৎকারে বললাম, ‍“লজ্জা করেনা সাংবাদিক হয়ে এধরনের কথা বলেন”। একজন বলল “আপনি জানেন না উনি কে? উনি একজন নামকরা সাংবাদিক”। আমি বললাম “আচ্ছা দেখা যাবে”। পরবর্তীতে লোকটি যে পত্রিকায় কাজ করত, তার সম্পাদককে জানালাম। ঠিক ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে ফোনে লোকটি আমাকে বলল আমি তার মায়ের (?) মতন, তাকে যাতে ক্ষমা করে দেই। দুপুরে তার কামনার নারী থেকে সন্ধ্যায় রাতারাতি মা হয়ে যাওয়াটা নিতান্তই সহজ প্রাপ্তি ছিল না । ঘটনা ২: আমার ডিভোর্সের পর আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পুরুষ সহকর্মী আরেকজন সহকর্মীর কাছে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে, কারন তার ধারনা আমার মতন তরুণী (বিশেষণগুলো খুব শালীন ছিলনা) এখন তার নাগালে চলে আসবে, এতদিন তিনি শুধু আমাকে কামনার চোখে দেখেছেন, আর এখন আমাকে পাবার দুর্দান্ত সুযোগ । তিনি খুব ভাল করেই জানেন হয়ত পদবি জুটিয়েছেন শিক্ষকের, কিন্তু আমার কাছে আসলে চপটাঘাতে প্রান যাবে। এই বিধ্বংসী পদবী অর্জন করাটাও সহজ ছিলনা। ঘটনা ৩: এবছর বাংলাদেশে আমার আর আমার ছেলের পাসপোর্ট রিনিউ করতে দিলাম। ফর্মে অভিভাবকের ছবি দিতে হয়। তাও আবার সাম্প্রতিক হতে হবে। আমার কাছে প্রাক্তন স্বামী ভদ্রলোকের কোন ছবি না থাকায় দিতে পারিনি। যার সাথে আমাদের গত ৬ বছর কোন সম্পর্ক নেই, তার ছবি না থাকাই তো স্বাভাবিক। মহাপরিচালক আমাকে জানালেন কাস্টডির কাগজ দিলেই হবে। যথারীতি সব কাগজ জমা দেয়ার পর আরেকজন কর্মকর্তা আমাকে জানালেন, ছবি দিতেই হবে। বুঝিয়ে বললাম। তিনি নাছোড়বান্দা, দিতেই হবে। এক পর্যায়ে আমাকে তিনি বললেন, “যে কারও একটা ছবি দিয়ে দেন ম্যাডাম”। স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। বললাম আমার নৈতিকতায় বাঁধবে, যে বাবা আমার সন্তানের জীবনে কথাও নেই, তার ছবি আমি কেন দেব অথবা অন্যের ছবি দিয়ে কেনই প্রমান করবো যে একজন পুরুষ অভিভাবক ছাড়া আমার একাকী অভিভাবকত্ব আমার সন্তানের দেখভালের জন্য যথেষ্ট নয়!!! তখন আমার অনড় অবস্থান । পাসপোর্ট দিলে দিবে না দিলে নাই কিন্তু আমি ছবি দিবনা। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মাথার ওপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাস্যজ্জল ছবি আমার দিকে তাকিয়ে। হায়রে নারীর ক্ষমতায়ন, সমঅধিকার !!! প্রায় ঘণ্টাখানেক যুক্তিতর্কের পর খুব বিরক্ত হয়ে আমাদের ফর্মে সাইন করলেন তিনি, পাসপোর্ট পেলাম আমরা। এই ন্যায্য প্রাপ্তিটাও খুব সহজ ছিলনা। ঘটনা ৪: আমার এক বন্ধুর সহকর্মী, যার সাথে আমার অল্প বিস্তর পরিচয়। বউ পাগল স্বামী হিসেবে পরিচিত, স্ত্রীর ছবি দিয়ে ফেসবুক ভর্তি। উনি আমাকে টেক্সট করলেন, “তুমি বাংলাদেশে”? আমি লিখলাম “হ্যা”। তারপরের উত্তর এলো, “তুমি তো আরও ইয়াং হচ্ছো, আমার সাথে ডেইট করবে”? উত্তরে বললাম, “আপনার ধঢ়ঢ়ষব ড়ভ সু বুব (স্ত্রী কে ভালবেসে ফেসবুকে এই নামেই ডাকেন তিনি ) কি জানেন ? তাকে কি জানাব”? আর কোন উত্তর এল না। এই প্রতিবাদ করতে পারার সাহস অর্জন করাটাও সহজ ছিলনা। ঘটনা ৫: ঢাকায় আমার পরিচিত অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন, তোমার স্বামী কেমন আছে? যেন তারা জানেই না যে গত ছয় বছর আমি একা। সিলেটে আমার পাশে বসা এক ভদ্রমহিলা বলেন, স্বামীকে জার্মানি রেখে এসেছি কিনা। আসলে এই সবক্ষেত্রেই আমার উত্তর, আমার স্বামী নেই, আমি একজন একাকী মা। প্রথম প্রশ্নকর্তারা প্রায় আবেগে কেঁদে ফেলার মতন হয়ে যায়। “খুবই দুঃখিত” বলতে বলেতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন আর আমি তাদের অজান্তে হাসি এই ভেবে যে এত সোজাসাপটা উত্তর পেয়ে, আমাকে বিব্রত করতে না পেরে বেচারারা কতই না কষ্ট পেল, আহারে। আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ভদ্রমহিলা আমাকে অস্পৃশ্য ভেবে উনার বসবার স্থানটি পরিবর্তন করেন। আমি আয়েশ করে আরেকটু আরাম করে বসি। খুব সহজ ভাবে নিজেকে একজন একাকী মা পরিচয় দেয়ার ক্ষমতা অর্জন করাটাও খুব সহজ ছিল না। এই বিচ্ছিন্ন প্রতি ঘটনা আর তার প্রাপ্তি আসলেই খুব সহজ ছিলনা আমার জন্য। আমরা মেয়েরা এই সাহস অর্জন করি অনেক তেল নুন খরচ করে । তারপর আমাদের এই অর্জন বার বার নিগৃহীত হয়, অসম্মানিত হয়। আমি একজন শিক্ষক, সামাজিক মর্যাদার কারনে আমার জন্য প্রতিবাদ করাটা এক ধরনের ক্ষমতার বলয়ে থেকে সমাধানের চেষ্টা করা, কিন্তু ভেবে শিহরিত হই একজন শ্রমজীবী নারী, অথবা গ্রামের একটি সদ্য কিশোরী হয়ে ওঠা মেয়ে কিভাবে তাকে বাঁচাবে এই বিকৃত মানুষগুলোর হাত থেকে। যেখানে সাকিব আল হাসান এর স্ত্রী অপমানিত হয়, সাকিবের ন্যায় অন্যায়ের বিচার প্রক্রিয়ায় তাঁর স্ত্রীর পোশাক পায় ঞধষশ ড়ভ ঃযব ঞড়হি এর মর্যাদা , সেই দেশে আর যাই হোক বাব ঃবধংরহম টা নিত্যকারের মুদি দোকানের চা পান কেনার মতই নৈমিত্তিক ঘটনা। আমি অবাক হয়ে ভাবি, একজন নারী অপমানিত হলে তার প্রতিবাদ আমরা না করে আমরা রাতারাতি বিচারক বনে যাই, কেন হোল, কি কারনে হোল তাই নিয়ে মেতে উঠি। আচ্ছা পুরুষরদ্বয়, বলুন তো, আমরা মেয়েরা যদি স্বল্পবসনা হয়েই থাকি তবে আপনি গুনধর পুরুষ কেন কালো চশমা পড়েন না, অথবা চোখটা বন্ধ করে একটু আরাম করেন না?? আকরাম সাহেব আপনি যখন দীর্ঘ আকর্ষণীয় দেহ নিয়ে মাঠে দৌড়ান, কই আমরা নারীরা তো আপনাকে দেখে সিটি বাজাইনা। পাপন সাহেব যখন সাংবাদিক সম্মেলনে কাব্যিক ভাষায় কথা বলেন কই কোন নারী সাংবাদিক তো আপনাকে চোখ টিপে দেয়না? সুজন যখন ব্র্যান্ডেড সার্টের বোতাম খুলে আর দামি ঘড়ি পরে আবেদনময় হয়ে টক শোতে আসেন কই আমরা তো আপানাকে কামনার চোখে লেহন করিনা । আর করিনা বলেই আপনারা বোঝেন না একটা কামুক দৃষ্টি, একটা অশ্লীল শব্দ, একটা অনাকাংখিত স্পর্শ আমাদের কত রাত নির্ঘুম রাখে। ধিক্কার জানাই বিসিবি কে । আপনারা কি পারতেন না এর প্রতিবাদ করতে, মানুষকে জানিয়ে দিতে যে আপনারা শুধু খেলেন না, আপনারা প্রতিবাদও করেন। হয়ত বলবেন সাকিব কেন নিজ হাতে পেটাল ? হয়ত বলবেন আইন নিজের হাতে কেন তুলে নেয়া। আরে যে দেশের কোর্টে হাজার হাজার মানুষের সামনে ধর্ষিতাকে কাঠগড়ায় তোলা হয়, একাকী মাকে প্রতিনিয়ত তথাকথিত চারিত্রিক পরীক্ষার প্রশ্নবাণে রক্তাক্ত হতে হয়, যে দেশের আদালতের উন্মুক্ত এজলাসে ব্যাক্তিগত বলে কিছুই নেই,যে দেশ আজো একজন একাকী মাকে সহজ ভাবে ধারন করতে পারেনা, সে দেশে এছাড়া আর কি উপায়। সাকিবরা থাকেনা বলেই স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা সন্ধ্যায় মেয়েদের জামার ভেতরে অনায়াসে হাত ঢুকিয়ে দেয়, রিকশার পেছন থেকে আমাদের পিঠ চমকে ওঠে নোংরা স্পর্শে। কেন আমাদের উত্যক্ত করলে আপনাদের কাছে তা আটপৌরে বিষয় হয়ে যায়, কেন আপনাদের কাছে আমাদের সম্মান এতটা ঠুনকো? আপনাদের অসম্মান থেকে সবচেয়ে ক্ষমতাবান নারীরাও রেহাই পান না। কেউ তাদের ডাকে গোলাপি, কেউ বলে দুই মহিলাই দেশকে ডোবাল। কি নির্লজ্জ আমাদের সমাজ, কি নির্মম আমাদের চারপাশ ।আমাদের পোশাক আমাদের ভাল মেয়ের সার্টিফিকেট দেয়, যদিও ওড়না বোরকা আরও কত কি দিয়েও আমরা আমাদের ঢেকে রাখতে পারিনা, আমরা ধর্ষিত হই চোখ দিয়ে,কথা দিয়ে প্রতিদিন, শতবার । তাই আমাদের সম্মান যাদের কাছে কড়ি দিয়ে কেনার মতই সস্তা তারা প্রত্যেকেই এক একজন ভার্চুয়াল ধর্ষক। জানিনা ভাল মেয়ে হবার পাশ মার্ক বা মানদ- কি এই সমাজে। শুধু এতটুকুই জানি, আপনারা যারা নারী কে অসম্মানিত হতে দেখে প্রতিবাদ করেন না তারা আমাদের চোখে লোক দেখানো ধনাত্মক মানসিকতার এক একটা ঋণাত্মক মানুষ। তাই আমাদের ভাল মেয়ে হওয়ার পরীক্ষায় বসবার দরকার নেই, আমরা খারাপ হয়েই থাকতে চাই। বন্ধু পুরুষ, তুমি তোমার অন্তর্বাস পোশাকের উপরে পরে রাতারাতি সুপারম্যান হয়ে যাও, আর আমি তা ঢেকে রেখেও অজান্তে দৃশ্যমান হলেই হই কলঙ্কিনী!!! এ কেমন বিচার!!! পুনশ্চঃ আমাদের সমাজেও অসাধারন কিছু পুরুষ আছেন, যারা আমাদেরই সহযোদ্ধা, তাদের মতই হোক আমার সামনে দাঁড়ানো ছেলেটি, শুভকামনা পুরুষ তোমার জন্য।

২০৫০ সালের মধ্যে ইসলাম দুনিয়ার প্রধান ধর্ম হবে

চলতি একবিংশ শতাব্দির শেষের দিকে পৃথিবীতে প্রথম বারের মতো মুসলমানরা সংখ্যার দিক থেকে খ্রিস্টানদেরকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সম্প্রতি পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
প্রতিষ্ঠানটির ধর্ম বিষয়ক গবেষণার পরিচলাক অ্যালান কোপারম্যান বলেন, অন্যভাবে বললে মুসলমানরা গত সাত শতাব্দি ধরে সংখ্যায় খ্রিস্টানদের চেয়ে পিছনে থাকলেও অবশেষে তারা খ্রিস্টানদেরকে অতিক্রম করতে চলেছে।
দু’শ বিশ কোটি, যা বিশ্ব জনসংখ্যার তিন ভাগের একভাগ, অনুসারী নিয়ে বর্তমানে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা হচ্ছেন বিশ্বে সবচেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ইসলাম হচ্ছে সবচেয়ে দ্রুত প্রসারমান ধর্ম।
২০৫০ সাল নাগাদ মুসলমানদের সংখ্যা মোট বিশ্ব জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ হবে, যা ২০১০ সালে ছিল মাত্র ২৩ শতাংশ। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, ২০৫০ সালে মুসলিম এবং খ্রিস্টানদের সংখ্যা সমান সমান হয়ে যাবে।
যদি বর্তমান হারে মুসলিমদের সংখ্যা বাড়তে থাকে তাহলে ২০৭০ সালের দিকেই খ্রিস্টানদেরকে ছাড়িয়ে যাবে মুসলিমদের সংখ্যা।
তবে খ্রিস্টানদের সংখ্যা কমছে তা নয়, তবে মুসলিমদের মতো তাদের সংখ্যা বাড়ছে না। খ্রিস্টানরা বর্তমানের ২২০ কোটি থেকে বেড়ে সংখ্যা ২০৫০ সালে হবে ২৯০ কোটি। অন্যদিকে মুসলমানরা বর্তমানের ১৬০ কোটি থেকে বেড়ে তখন হবে ২৮০ কোটি।

একটি অপিরিচিত মেয়েকে প্রেমে রাজি করানোর জন্য যে গোপন কাজগুলো করবেন

আমি আপনাদের সাথে কিছু লাভ নিয়ে টিপস শেয়ার করব আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে !
১.দৈহিক সৌন্দর্যের বিষয়ে সচেতন হোন:একজোড়া মানবমানবী সর্বপ্রথম আকৃষ্ট হয় দৈহিক সৌন্দর্যে। দৈহিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েই প্রেমিকের হৃদয়ে প্রেমের বীজ অঙ্কুরিত হয়। অতএব প্রেমে সাফল্য চাইলে কিংবা বর্তমান প্রেম কে ধরে রাখতে চাইলে চেহারা সুরতের দিকে
একটু নজর দেয়া লাগবে।
২.পোশাক আশাকে বৈচিএ্য বজায় রাখুন: প্রেম করতে চাইলে টাকা পয়সা তো একটু করচ করাই লাগবে। এখানে শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই। কম দামে ফুটপাত থেকে কাপড় কিনে প্রেমিকার চোখ ধাঁধাঁ লাগাবেন? সে আশা বৃথা। আপনি কোনদিন কোন শার্ট টি পরেছেন বা কোন রং এর শার্ট পরেছেন এটা আপনার চেয়ে আপনার প্রেমিকা ভালো বোলতে পারবে আসলে পোশাক আশাক দ্বারা একগজন পুরুষের রোমান্টিকতা প্রকাশ পাই জা বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করে
৩.গোপনিয়তা বজায় রাখুন: আপনাদের সম্পর্কের কথা গোপন রাখুন। এতে আপনাদেরি মঙ্গল আসবে।
৪.দুই নৌকায় পা দিবেন না:প্রেম প্রেম খেলা করার মানসিকতা অনেক তরুণ তরুণীর থাকে। এছাড়া অনেকে একাধিক সঙ্গির সাথে সম্পর্ক বগায় রাখার চেষ্টা করে। ফলে এদের মধ্যে প্রকৃত ভালোবাসার সুখ খুব কম থাকে। একধিক প্রেম চালিয়ে যাওয়াকে অনেকে খুব বাহাদুরী কাজ বলে মনে করে থাকে। কিন্তু তাদের মনে রাখা উচিত আসলে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করটেছে। কারণ সত্য বেশিদিন গোপন থাকেনা।
৫.প্রশংসা করুন: মানুসের মন আর্কষণ করার জন্য তা প্রশংসা করার গুরুত্ব আপরিসীম। এর মাধ্যমে মৌমাছির মতো আপনার চারপাশের মানুসকে আপনার দিকে আকৃষ্ট করতে পারেন।

বিয়ের আগে মেয়েরা দৈহিক সম্পর্ক করার জন্য পাগল হয় যে ১০ টি কারণে

ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সিন্ডি মেস্টন এবং ইভোল্যুশনারি সাইকোলজিস্ট ডেভিড বাস পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ১০০৬ জন নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তাদের যৌন প্রেষণার বিষয়ে। আর মাত্র ১০০৬ জন নারীর কাছ থেকেই বেরিয়ে এসেছে যৌনতার ২৩৭ টি আলাদা আলাদা কারণ।
যদিও অনেকগুলো কারণের ব্যাপারে প্রায় সবাই একমত, আবার অনেকগুলো কারণ কয়েকজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তো দেখা যাক, কারণ গুলো কী কী? মেস্টন ও বাস নারীদের যৌন-প্রেষণা গুলোকে স্বাভাবিকভাবেই তিন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করেছেন: শারিরীক, আবেগীয় এবং বস্তুবাদী কারণ।
প্রেষণার মধ্যে যেমন রয়েছে, নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, সেল্ফ এস্টিম বৃদ্ধিকরা, প্রেমিককে ধরে রাখা, তেমনি রয়েছে জোর-জবরদস্তির শিকার হওয়া পর্যন্ত। বাস এবং মেস্টনকে প্রেষণার বিচিত্রতা অবাক করেছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে সম্পূর্ণ পরোপকারী উদ্দেশ্য, তেমনি সম্পূর্ণ বদ মতলব। যেমন, কাউকে এস. টি.ডি তে আক্রান্ত করা।
১. আনন্দ লাভের জন্য:
অবভিয়াস! কিন্তু গবেষণার ফলাফল “মেয়েদের যৌনতা ভালবাসা তাড়িত, আর ছেলেদের যৌনতা ইন্দ্রিয়সুখ তাড়িত”, পশ্চিমা সমাজেপ্রচলিত এই মিথকে উড়িয়েদেয়। অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যক নারীর কোন ধরণের রোমান্টিক রিলেশনশিপ না থাকা অবস্থায় শুধুইন্দ্রিয় সুখের জন্য সেক্স করতে আপত্তি নেই, বরং আগ্রহী। তবে কারো সাথে রোমান্টিক রিলেশনথাকা অবস্থায় ইন্দ্রিয় সুখের জন্য অন্য কারো সাথে সেক্স করার ব্যাপারে প্রায় ৮০ শতাংস নারীর ঘোরতর আপত্তি রয়েছে। অর্থাৎ সিঙ্গেল অবস্থায় রোমান্স বিহীন সেক্সে অনেকেই আগ্রহী হলেও পার্টনারের সাথে চিটিং কে তারা সমর্থন করেন না।
২. রোমান্স:
এটাও অবভিয়াস। প্রেমে পড়লে আবেগতাড়িত হয়ে প্রেমলীলায় মত্ত হয়নি এরকমজুটি খুঁজে পাওয়া দুস্কর।
৩. পার্টনারকে ধরে রাখার জন্য: অনেক সময়ই নিজের আবেগের চেয়ে বড় হয়ে দাড়ায় পার্টনারকে ধরে রাখার প্রচেষ্টা। পার্টনারের আবেদনে সাড়া না দিলে সে ছেড়ে চলে যেতে পারে, এইধারণা থেকে অনেক সময়ই অনিচ্ছা সত্ত্বেও সাড়া দেয়

সানি লিয়ন এর কুমারীত্ব হারানোর কাহিনী

ইন্দো-কানাডিয়ান বলিউড তারকা সানি লিয়ন তার ক্যারিয়ারের শুরু করেছিলেন পর্ণো চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এরপর ভারতের জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান বিগ বসের মাধ্যমে তিনি ভারতের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেশ ভাটের নজরে পড়েন। মহেশ ভাটের জিসম ২ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে পা রাখেন বলিউডে।
জিসম টু’তে নগ্ন হয়ে সারা দুনিয়ায় হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন সানি লিয়ন। তবে, ইন্দো-কানাডিয়ান পর্ন তারকার কাছে এ আর নতুন কি? সকাল-দুপুর নগ্ন আর ভগ্নতার সঙ্গে যার পাশা খেলা; জিসম টুতে তার খেলতো সামান্যই দেখল তামাম মুলুক। তবে বর্তমান ঘটনা যাই হোক। ৩১ বছরের লালস্যময়ী সানি ১১ বছরের আগে কিন্তু বেশ সভ্য সমাজের বাসিন্দাই ছিলেন। নিজের উত্তালতা জানান দিয়ে এসময়ই প্রথম চুম্বন করেন তার সহপাঠীকে। আর স্কুল না পেড়োতেই এক বাস্কেট বল খেলোয়ারের প্রেমে পড়লেন সানি। ১৬’তে এসে কুমারীত্বও বিসর্জন দিলেন। জন্ম-১৯৮১ সালের ১৩ মে, কানাডার ওন্টারিওর সার্নিয়া শহরে। তাঁর বাবা মা উভয়েই ভারতীয়। শিখ ধর্মাবলম্বী সানি যখন ১৪ বছরের তখন তাঁর পরিবার কানাডা থেকে মিশিগানে পাড়ি দেন। পরবর্তী সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার লেক ফরেস্টে পাকাপাকি ভাবে বসবাস শুরু করেন সানি ও তাঁর পরিবার।
চঞ্চলা এ একরোখা মেয়েটির জন্ম কানাডার আন্টারিও’র এক পাঞ্জাবি পরিবারে। পড়াশুনা কোনমতে শেষ করে নিজেই উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন সানি। আর এমনি করেই বিখ্যাত পেন্টহাউস ম্যাগাজিনের এক ফটোগ্রাফারের সঙ্গে পরিচয় তার। প্রথমে শখের বসে পটোসেশন শুরু করলেও কিছুদিন পরেই মডেলিং-এ নেমে পড়েন সানি। আর এর পরের ইতিহাসতো তার নিজেরই তৈরী। বিশ্বের সেরা পর্নষ্টারদের তালিকায় তার নাম সাত নম্বরে থাকলেও অন্যের চোখে ধাধা লাগাতে তার মত কারো জুড়ি মেলা ভাড়।

পুরুষের সাথে পরকীয়ায় মজতে যে ৫টি জঘন্য কৌশলের আশ্রয় নেয় মেয়েরা

অনেকেই জানি না যে বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য মানুষ এই পরকীয়ার ব্যাধিতে আসক্ত। শুধু তাই নয়, অনেকে একাধিক পরকীয়াও একত্রে চালিয়ে যান। আর এই পরকীয়া করার জন্য ও বিপরীত লিঙ্গের মন ভোলাতে মানুষ আশ্রয় নিয়ে থাকেন জঘন্য কিছু কৌশলের। চলুন, চিনে নিই পরকীয়া করার আগ্রহে যেসব জঘন্য বাজে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ।
নিজের সম্পর্কে মিথ্যা কাহিনী তৈরি
নিজের অর্থ বিত্ত সম্পর্কে, জীবন সম্পর্কে এমন সব মিথ্যা কাহিনী তৈরি করেন যেন বিপরীত লিঙ্গ খুব আকর্ষণ বোধ করে আর তিনি অন্য কারো জীবন সঙ্গী এটা জানা সত্ত্বেও প্রেমে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
সংসারে অশান্তির শিকার, এমনটা দেখানো
সংসারে অশান্তি না থাকলেও এমনটা ভাব করা যে সংসারে খুব অশান্তি এবং কোন দোষ না করেই তিনি এই অশান্তির শিকার। এমনটা করে যা হয়, সেটা হলো খুব সহজে নিজেকে নিঃসঙ্গ ও ভালো মানুষ প্রমাণ করা যায়।
নিজেকে “সিঙ্গেল” পরিচয় দেয়া
জীবনসঙ্গীর চোখের আড়ালে সুযোগ বুঝে নিজেকে সিঙ্গেল পরিচয় দিয়েও পরকীয়া করেন অনেক মানুষ। এতে প্রেম করাটা সহজ হয়। একই সাথে জীবন সঙ্গী ও পরকীয়ার সঙ্গী, দুজনকেই ধোঁকা দেন এরা।
পরকীয়া এমনিতেই অনৈতিক, কিন্তু পরকীয়ার তাগিদে মানুষ এর চাইতেও অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। যেমন কাজের মেয়ে বা ড্রাইভারের সাথে প্রেম বা এমন কোন আত্মীয়ের সাথে প্রেম যার সাথে সমাজ প্রেমকে স্বীকৃতি দেয় না।
অর্থের জোরে সম্পর্ক কেনা
টাকা দিয়ে পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি করাও খুব কমন। এক্ষেত্রে পরকিয়াতা মানসিক সম্পর্কের চাইতে শারীরিকই হয় বেশী।