শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬

কন্ডোম ছাড়াই এক বছর নিশ্চিন্ত। পুরুষদের জন্য সুখবর

কন্ডোম ছাড়াই এক বছর নিশ্চিন্ত। পুরুষদের জন্য সুখবর!


sexমাত্র একটা ইনজেকশন। তাহলেই একবছরের জন্য কন্ডোম ব্যবহারের ঝামেলা থেকে মুক্তি।
শিকাগোর ইলিনয়েস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক মিলে ‘ভ্যাসালজেল’ নামে পুরুষদের জন্য একটি বিশেষ গর্ভনিরোধক তৈরি করেছেন। তাঁদের দাবি,
একবার এই গর্ভনিরোধক ইনজেকশন নিয়ে নিলেই তা পরবর্তী এক বছর কাজ করবে। অর্থাৎ পরবর্তী এক বছর কন্ডোম না পরে সঙ্গম করলেও পার্টনারের গর্ভধারণের কোনও সম্ভাবনা নেই।
ইতিমধ্যেই বেশ কিছু খরগোশের উপরে এই গর্ভনিরোধকটির প্রাথমিক পরীক্ষা সফল হয়েছে। গবেষক দলের প্রধান ডোনাল্ড ওয়ালার-এর দাবি, পরীক্ষায় প্রত্যাশার থেকেও বেশি ভাল ফল পাওয়া গিয়েছে। শরীরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ‘ভ্যাসালজেল’ গর্ভনিরোধক হিসেবে দ্রুত কাজ করতে শুরু করে বলেই গবেষকরা জানিয়েছেন। খুব শিগগিরই মানুষের শরীরে এই ‘ভ্যাসালজেল’-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হবে।
এই পর্যায়টি সফল হলে সারা পৃথিবীর নারী-পুরুষই একটি বড় চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন। মেয়েদেরও গর্ভনিরোধক পিল খেতে হবে না। এই পিলগুলির বহু সাইড এফেক্ট রয়েছে এবং এ থেকে গর্ভাশয়ে ক্যানসারও হতে পারে। অবাঞ্ছিত গর্ভপাতের সংখ্যাও কমে যাবে।

সন্তানকে বড় করতে গিয়ে এই ৯ ভুল আপনিও করছেন নাতো

সন্তানকে বড় করতে গিয়ে এই ৯ ভুল আপনিও করছেন নাতো?

সন্তান লালন-পালনে বাবা-মায়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু অনেক বাবা-মা এ ব্যাপারটিকে জটিল করে ফেলেন। তাদের নানা ভুলের কারণে সন্তান বিপথগামী হয়ে পড়তে পারে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কয়েকটি ভুল। বিজনেস ইনসাইডার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে।
১) স্বাধীন হতে উৎসাহ না দেওয়া
সন্তানকে স্বাধীন হতে উৎসাহ দেওয়া উচিত প্রত্যেক বাবা-মায়েরই। কিন্তু তারা যদি এ কাজটি না করে বরং আবেগগতভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন তাহলে তা তাদের ওপর নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।
২) বকাঝকা
শিশুকে বকাঝকা করা, শিশুর সামনে চিৎকার, চেঁচামেচি কিংবা অন্য কোনো উপায়ে রাগ প্রকাশ করেন অনেকেই। ২০১৩ সালের ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গের এক গবেষণায় এ ধরনের আচরণে শিশুর নানা ধরনের ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। আর এ ধরনের শিশুরা প্রায়ই আচরণগত কিংবা বিষণ্ণতাজনিত মানসিক সমস্যায় ভোগেন।
৩) সংযুক্ত বনাম অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের পার্থক্য বোঝা
সন্তানের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার অর্থ এই নয় যে, আপনি তার সব বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ করবেন। সন্তানের সব বিষয়ে সংযুক্ত থাকার পরেও তাকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত নয়। যে বাবা-মায়েরা সন্তানকে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন তাদের সন্তানেরা পরবর্তীতে বিগড়ে যান এবং নানা অযাচিত কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হয়ে পড়েন।
৪) অনিয়মিত ঘুম
সন্তানের অনিয়মিত ঘুম তার আচরণকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ কারণে বাবা-মায়ের সর্বদা শিশুর ঘুম যেন নিয়মিত এবং নির্দিষ্ট সময়ে হয় সেজন্য লক্ষ্য রাখা উচিত।
৫) অতিরিক্ত টিভি দেখা
যে শিশুরা তিন বছর বয়সের আগে অতিরিক্ত টিভি দেখে তারা কথা শিখতে দেরি করে। এছাড়া যে শিশুরা ছোট থাকতেই সারাক্ষণ টিভি দেখা রপ্ত করে তারা স্কুলে সমস্যায় পড়ে এবং নানা সামাজিক ও আচরণগত সমস্যায় পড়ে।
৬) স্বৈরাচারী বাবা-মায়ের সন্তান
মনোবিদ ডায়ানা বাউমরাইড ১৯৬০ সালেই জানিয়েছিলেন স্বৈরাচারি বাবা-মায়ের সন্তানেরা নানা সমস্যার মাঝে পড়েন। এ কারণে সন্তান যেন বাবা-মাকে স্বৈরাচারি মনে না করেন এ বিষয়টি পরিষ্কার করা জরুরি।
৭) অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী বাবা-মা
যে বাবা-মায়েরা সন্তানের সামনে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তারা নিজেদের মানসিক চাপ অনেকাংশে বাড়িয়ে দেন। আর এ মানসিক চাপ তাদের সন্তানের মাঝেও সঞ্চারিত হয়। এ কারণে স্মার্টফোন ব্যবহারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।
৮) সন্তানের সঙ্গে দূরত্ব
যে বাবা-মায়েরা সন্তানের সঙ্গে মানসিকভাবে কাছাকাছি থাকেন না তাদের ক্ষেত্রে প্রায়ই বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়। এতে সন্তান পিতা-মাতার সঙ্গে আবেগগতভাবে সংযুক্ত হতে পারে না এবং কোনো পারিবারিক বন্ধনও বোধ করে না। ফলে এ ধরনের সন্তান প্রায়ই বিপথগামী হয়ে যায়।
৯) শারীরিক শাস্তি
সন্তানকে শারীরিক শাস্তি দেওয়া কখনোই উচিত নয়। শারীরিক শাস্তি দিলে তা শিশুর মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিভিন্ন গবেষণাতে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে

আপনার গার্লফ্রেন্ড আপনার জন্য ওভার পজেসিভ কিনা জানুন এই ৮ লক্ষনে

আপনার গার্লফ্রেন্ড আপনার জন্য ওভার পজেসিভ কিনা জানুন এই ৮ লক্ষনে

তিন বছর হয়ে গিয়েছে ঋক আর তানিয়ার সম্পর্কের। সকলের চোখে তারা বেশ স্টেডি কাপল। কিন্তু ঋকের কেমন যেন আজকাল বেসুরো ঠেকছে সব কিছু। কোথাও যেন একটা তাল কাটছে। প্রথম দিকে যা তানিয়ার ভালবাসা বলে মনে হত, এখন সেগুলোই কেমন দমবন্ধ ঠেকে। তানিয়া কি একটু বেশি পজেসিভ? আপনারও কি এমনটাই মনে হয়? জেনে নিন ৮ লক্ষণ।Signs Of An Over-Possessive Girlfriend
১। ফোন না ধরলেই কি ক্ষেপে ওঠেন উনি? সে আপনি মিটিং-এই ব্যস্ত থাকুন আর যাই হোক সব কারণই তখন তুচ্ছ।
২।আপনার কোনও মেয়ে বন্ধুকেই কি ওঁর পছন্দ নয়? যেদিন থেকে সম্পর্কে জড়িয়েছেন ধীরে ধীরে সব মেয়ে বন্ধুদেরই বিদায় জানাতে হয়েছে?
৩।পরিবারের সঙ্গে আপনি সময় কাটালেই উনি মনে করেন আপনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না?
৪।আর মেসেজের উত্তর দিতে দেরি হলে? এরপর কী হতে চলেছে ভেবেই ভয় কাঁপতে থাকেন আপনি
৫।নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে ভুলেই গেছেন। দিনের ২৪ ঘণ্টাই কি ওঁকেই সময় দিতে হয়? সে সামনসামনি হোক, ফোন বা টেক্সট যে ভাবেই হোক না কেন।
৬।সব সময়ই কি উনি চান আপনি সকলের সামনে ভালবাসা প্রকাশ করবেন? যাকে বলে পাবলিক ডিসপ্লে অফ অ্যাফেকশন? তাতে আপনি বিশেষ স্বচ্ছন্দ না হলেই উনি মনে করেন আপনি ভালবাসেন না?
৭।উনি কি সারাক্ষণ আপনাকে চোখে চোখে রাখতে চান? সব কিছু নিয়ে প্রশ্ন করেন? ফোন নিয়ে ঘাঁটতে থাকেন?
৮।বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটালেই উনি অশান্তি শুরু করেন? বয়েজ নাইট আউটের প্ল্যান করেও শেষমেষ ওঁর সঙ্গেই ডেটে যেতে হয়?

ভালবাসার সম্পর্কে যেসব কারণে ফাটল ধরে

ভালবাসার সম্পর্কে যেসব কারণে ফাটল ধরে

সুখী ও সুন্দর একটা জীবনের জন্য একটা সুন্দর সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাইতো সবাই নিজেদের সম্পর্কগুলোকে দীর্ঘমেয়াদী করতে চায়। সম্পর্কে পরিপূর্ণতা থাকলে দীর্ঘকালের সম্পর্কে ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকে না।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন ভিন্ন কথা, বহুকালের সম্পর্কও ভেঙে যেতে পারে। আর এর পেছনে বিশেষ কিছু কারণ বিদ্যামান থাকে। এ সম্পর্কগুলো ভাঙার পেছনের কারণগুলো জেনে নিন।
– আর্থিক অবস্থা সম্পর্ক ভাঙনের অন্যতম কারণ হতে পারে। দাম্পত্য জীবনে একেক জনের অর্থ বিষয়ে একেক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। এতে খুব বেশি অমিল হলে ভাঙার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।
– হয়ত সম্পর্কে আগেই খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু সন্তানের দিকে তাকিয়ে দুজনই একসঙ্গে আছেন। এভাবে বেশিদিন জীবন চালানো যায় না। এ সম্পর্ক সন্তানের জন্যে ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে যেকোনো সময় বিচ্ছেদ ঘটতে পারে।
– মাঝে মাঝে অথবা একেবারেই নয়, যৌনজীবন এমন হলে সম্পর্কে ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানান, ২০ বছরের দাম্পত্য জীবনও এই একটিমাত্র কারণে নষ্ট হতে পারে।
– দু’জনের মাঝে যোগাযোগের অভাব থাকলে সম্পর্কে ভাঙন আসে। দৈহিক ও মানসিক যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এতে অভাব থাকলে দুজনের মাঝে দূরত্ব ক্রমেই বাড়তে থাকে।
– বিবাদ বা মনের অমিল থাকবেই। এসব ক্ষেত্রে দুজনের যেকোনো একজনকে ত্যাগী হতে হয়। কিন্তু নিজের বিষয়ে অটল মনোভাব শেষ পর্যন্ত খারাপ কিছু এনে দেয়। ত্যাগ না থাকলে দীর্ঘদিনের সম্পর্কও টেকে না।
– প্রতারণা সম্পর্কের জন্যে বড় হুমকি। কেউ-ই প্রতারিত হতে চান না। গোপনে অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়টি কোনোভাবে ফাঁস হলে ভাঙনের সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়। আবার মানুষের জীবন যেকোনো সময় নতুন সম্পর্ক ঘটে যেতে পারে।
এমনও দেখা গেছে, দুজন এই ছাদের নিচে ২২ বছর সময় কাটিয়েছেন। এদের একজন অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কারণে বিচ্ছেদ ঘটে গেছে।
– মনের মিল দেখে মানুষ সম্পর্কের বিষয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠেন। তবে দুজন মানুষের সবকিছু মেলে না। সবাই আলাদা বৈশিষ্ট্য বহন করেন। তবে দুজনের মিলের বিষয়ে খুব বেশি অভাব থাকলেও শেষ পর্যন্ত একে অপরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন না।
– খুব ভালো সম্পর্কের মাঝেই হঠাৎ করেই খারাপ কিছু ঘটে যেতে পারে। এমন হয় যে, সেই সমস্যা থেকে আর বেরিয়ে আসা যায় না। যেকোনো ধরনের ঘটনাই ঘটতে পারে। সম্পর্কে চরম অবনতি ঘটায় এমন ঘটনা ঘটলে তার ফল শেষ পর্যন্ত ভালো হয় না।
– দুজনের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের অভাব পরিণতিতে বিচ্ছেদ ঘটায়। একের প্রতি অপরের সহমর্মিতা বা সমবেদনা না থাকা একই ফল বয়ে আনে। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকে অপরের কাছে নিজেকে মূল্যহীন বলে মনে করেন। ক্রমেই সম্পর্কে বিষণ্ন হয়ে ওঠে। একসময় তা ভেঙে যায় অনায়াসে।
– এমন হয় যে যেকোনো একজন একের পর এক বড় ধরনের সমস্যা ঘটিয়ে যেতে। অপরজন দুরবস্থা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করলেও তা সফল হয় না। একতরফাভাবে কেউ ঝামেলা করতে থাকলে অপরের পক্ষে তা সামাল দেওয়া দুষ্কর। কাজেই এ সম্পর্ক ভাঙতে বাধ্য।

আপনার ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গী সত্যিই আপনার উপযুক্ত কি

আপনার ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গী সত্যিই আপনার উপযুক্ত কি?

বিবাহের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো পাত্র-পাত্রী নির্বাচন করা। কেননা এটা একটা জীবনের শুরু। এই শুরুটা যতটা ভালো হবে, পরের জীবনটা ঠিক ততটাই সুন্দর হবে।
আপনার হবু বর বা বউ ঠিক আপনার মনের মতো হবে কিনা তা আপনি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না। অ্যারেঞ্জে ম্যারেজের ক্ষেত্রে এই অনিশ্চয়তা আরও বেশি। সেক্ষেত্রে কোনো উপায়ে কি বুঝে নেওয়া সম্ভব আপনার ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গী সত্যিই আপনার উপযুক্ত কি না?
নজর না রাখলে ঠকবেন-
বিয়ে করতে চলেছেন। কিন্তু কোনো একটা অজানা কারণে মনটা খচখচ করছে। আপনার হবু বর বা বউ ঠিক আপনার মনের মতো হবে কিনা তা আপনি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না। অ্যারেঞ্জে ম্যারেজের ক্ষেত্রে এই অনিশ্চয়তা আরও বেশি। সেক্ষেত্রে কোনো উপায়ে কি বুঝে নেওয়া সম্ভব আপনার ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গী সত্যিই আপনার উপযুক্ত কি না? সেটা বুঝতে হলে এই কয়েকটি পরামর্শ মেনে চলতে পারেন—
১. দ্রুত বিয়ের সিদ্ধান্ত নেবেন না। একটি মানুষকে চিনতে সময় লাগে। সেই সময়টা নিন। মনে রাখবেন, একসঙ্গে সময় কাটানোই পরস্পরকে চিনে নেওয়ার সবচেয়ে ভাল উপায়।
২. যাকে জীবনসঙ্গী করতে চলেছেন সে কি আপনার বন্ধু‌ হতে পারে? সে কি আপনার সমস্যাগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল? আপনি নিজেও কি তার সমস্যাগুলো হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারছেন? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি ‘না’হয় তাহলে আপনারা একে অন্যের উপযুক্ত নন।
৩. বিয়ের পরে আপনার জীবনে কিন্তু আমূল পরিবর্তন আসবে। কী ধরনের পরিবর্তন আসবে সেটা অনেকটাই নির্ভর করে আপনি কাকে বিয়ে করছেন তার ওপর। যাকে আপনি বিয়ে করতে চলেছেন তাকে বিয়ের পর কী জাতীয় পরিবর্তন আসবে আপনার জীবনে? ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখুন, সেই সব পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা আপনার আছে কি না? যদি না থাকে, তবে এই বিয়েতে এগোবেন না।
৪. খেয়াল রাখুন আপনার সঙ্গী আপনার জন্য কতটা আপোস করতে প্রস্তুত? আপনার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলে তাকেও অনেকটা ত্যাগ স্বীকার করতে হবে কিন্তু। সে সেইটুকু ছাড়তে প্রস্তুত তো? সে যদি মনে করে একতরফাভাবে আপনিই তার জন্যে ত্যাগ স্বীকার করে যাবেন তাহলে কিন্তু সে আপনার উপযুক্ত নয়।
শেষে এতটুকু বলা যায় দুটি হৃদয়ের মিলনের ক্ষেত্রে সর্বজনীন মানদণ্ড তো কিছু হয় না। কাজেই ওপরের ৪টি বিষয় পরামর্শমাত্র। এসবের ঊর্ধ্বে উঠে কোনো মানুষকে যদি আপনার আদর্শ জীবনসঙ্গী বলে মনে হয় তাহলে আর অপেক্ষা কীসের? তার দিকে বাড়িয়ে দিন হাত, আর ধরুণ তার হাতখানা।
যারা অভিভাবক এক্ষেত্রে তাদেরই দায়িত্বটা বেশি। কেননা হাদিসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘সন্তান জন্ম নেয়ার পর মা-বাবার দায়িত্ব হলো তার সুন্দর নাম রাখা, তাকে শিষ্টাচার শিক্ষা দেয়া এবং সন্তান যখন বড় হবে, প্রপ্ত বয়স্ক হবে তখন তাকে বিবাহ দেয়া, ছেলে এবং মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হলো আর মা-বাবা তাদেরকে বিবাহ করালো না আর সে কোন গুনাহের কাজে লিপ্ত হলো তাহলে সন্তানের গুনাহের একটি অংশ মা-বাবার উপর বর্তাবে।’
পাত্রী নির্বাচন করার ক্ষেত্রে হাদিসে নবী করিম সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমরা চারটা গুণ দেখে পাত্রী নির্বাচন কর, ১. তার সৌন্দর্য দেখো।২.তার বংশ ও মর্যাদা দেখো।৩. তার সম্পদ আছে কি না সেটা দেখা।৪.তার দ্বীন দারি আছে কি না সেটা দেখা। আর তোমরা তার দ্বীন দারিকে প্রাধান্য দাও তাহলে তোমরা পারিবারিক জীবনে শান্তি পাবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইসলামি বিধি-বিধান মেনে পাত্র-পাত্রী নির্বাচন করার তৌফিক দান করুন। আমীন।

যে কারণে বিয়ে করা উচিৎ ইঞ্জিনিয়ারকে

যে কারণে বিয়ে করা উচিৎ ইঞ্জিনিয়ারকে

ইঞ্জিনিয়ারকে বিয়ে করা উচিৎ যে কারণে! প্রকাশ : ১৯ মে ২০১৬, ১০:১৪:৪৫ ইঞ্জিনিয়ারকে বিয়ে করা উচিৎ যে কারণে! লাইফস্টাইল ডেস্কপ্রিন্ট অঅ-অ+ মানুষের জীবনে বিয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়, যার প্রভাবে আমাদের জীবন অনেকটাই বদলে যায়। আর এই বিয়ে নিয়ে মেয়েদের চিন্তার শেষ নেই। কাকে বিয়ে করবেন, কীভাবে সংসার সাজাবেন এ নিয়ে চলে নানা হিসাব-নিকাশ। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার না ডাক্তার ছেলে মেয়েদের পছন্দ এ নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক।    তবে ইঞ্জিনিয়ার বিয়ে করলে কী কী সুবিধা পাওয়া যেতে পারে এনিয়ে একটি লেখা আজ পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো-   > ইঞ্জিনিয়াররা কমপ্রোমাইজে অভ্যস্ত। কাল ক্লাস টেস্ট? ওকে! কুইজ আছে? বিশাল ল্যাব রিপোর্ট? নো প্রবলেম! তাই বিয়ের পর আপনি যদি বলেন, আজকে আমার মামাতো বোনের শ্বশুড়ের ভাগ্নের বড় ভাইয়ের প্রতিবেশির ছেলের সুন্নতে খৎনার দাওয়াত; এরা সানন্দে মেনে নিবে এবং শত ক্লান্ত হলেও আপনার সাথে বের হবে।   > ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে ঝগড়া করে আপনি অপার শান্তি লাভ করবেন। এরা প্রতি উত্তর দিবে না। কারণ এক কান দিয়ে লেকচার ঢুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বের করতে এরা বিশেষভাবে পারদর্শী।   > সর্বোপরি, ইঞ্জিনিয়াররা সর্বংসহা। যতোই প্যারা দেন, এরা নিতে পারে। ১৬০-৭০ ক্রেডিটের নরক যন্ত্রণা সহ্য করে বলে এরা সবই হাসিমুখে সহ্য করতে পারবে।   > ইঞ্জিনিয়াররা কখনোই আপনার রান্নার খুঁত ধরবে না। সাধারণত তারা হল এবং ক্যাফেটেরিয়ার সুস্বাদু (!) খাবার খেয়েই অভ্যস্ত। আপনার হাতের রান্না যে খেতে পাচ্ছে এটাই তাদের জন্য অনেক!   > স্বভাবতই এরা কঠিন হিসাবের মানুষ। কয়টা ক্লাস মিস দিলে অ্যাটেন্ডেন্স 60% এর উপরে থাকবে থেকে শুরু করে ফেইল ঠেকাতে আর কত মার্কসের প্রয়োজন, এমন জটিল জটিল হিসাব কষে তারা দিন পার করে। তাই মাসিক ইনকাম যাই হোক না কেন, সংসার চালাতে আপনার কোনো সমস্যা হবে না!   > এরা কিঞ্চিৎ স্নেহের কাঙাল। সারাজীবন স্যারদের কাছ থেকে ‘অপদার্থ, গাধা -গরু -ছাগল, কিচ্ছু পারো না, সব থেকে বেয়াদব ব্যাচ…’ শুনে অভ্যস্ত। তাই দুয়েকটি ভালোবাসার কথা শুনলেই এদের অবস্থা প্রভুভক্তের মতো হয়ে যায়!   বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি - See more at: http://www.bbarta24.net/life-style/2016/05/19/34028#sthash.sEUJkdBz.dpufমানুষের জীবনে বিয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়, যার প্রভাবে আমাদের জীবন অনেকটাই বদলে যায়। আর এই বিয়ে নিয়ে মেয়েদের চিন্তার শেষ নেই। কাকে বিয়ে করবেন, কীভাবে সংসার সাজাবেন এ নিয়ে চলে নানা হিসাব-নিকাশ। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার না ডাক্তার ছেলে মেয়েদের পছন্দ এ নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক।
তবে ইঞ্জিনিয়ার বিয়ে করলে কী কী সুবিধা পাওয়া যেতে পারে এনিয়ে একটি লেখা আজ পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো-
> ইঞ্জিনিয়াররা কমপ্রোমাইজে অভ্যস্ত। কাল ক্লাস টেস্ট? ওকে! কুইজ আছে? বিশাল ল্যাব রিপোর্ট? নো প্রবলেম! তাই বিয়ের পর আপনি যদি বলেন, আজকে আমার মামাতো বোনের শ্বশুড়ের ভাগ্নের বড় ভাইয়ের প্রতিবেশির ছেলের সুন্নতে খৎনার দাওয়াত; এরা সানন্দে মেনে নিবে এবং শত ক্লান্ত হলেও আপনার সাথে বের হবে।
> ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে ঝগড়া করে আপনি অপার শান্তি লাভ করবেন। এরা প্রতি উত্তর দিবে না। কারণ এক কান দিয়ে লেকচার ঢুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বের করতে এরা বিশেষভাবে পারদর্শী।
> সর্বোপরি, ইঞ্জিনিয়াররা সর্বংসহা। যতোই প্যারা দেন, এরা নিতে পারে। ১৬০-৭০ ক্রেডিটের নরক যন্ত্রণা সহ্য করে বলে এরা সবই হাসিমুখে সহ্য করতে পারবে।
> ইঞ্জিনিয়াররা কখনোই আপনার রান্নার খুঁত ধরবে না। সাধারণত তারা হল এবং ক্যাফেটেরিয়ার সুস্বাদু (!) খাবার খেয়েই অভ্যস্ত। আপনার হাতের রান্না যে খেতে পাচ্ছে এটাই তাদের জন্য অনেক!
> স্বভাবতই এরা কঠিন হিসাবের মানুষ। কয়টা ক্লাস মিস দিলে অ্যাটেন্ডেন্স 60% এর উপরে থাকবে থেকে শুরু করে ফেইল ঠেকাতে আর কত মার্কসের প্রয়োজন, এমন জটিল জটিল হিসাব কষে তারা দিন পার করে। তাই মাসিক ইনকাম যাই হোক না কেন, সংসার চালাতে আপনার কোনো সমস্যা হবে না!
> এরা কিঞ্চিৎ স্নেহের কাঙাল। সারাজীবন স্যারদের কাছ থেকে ‘অপদার্থ, গাধা -গরু -ছাগল, কিচ্ছু পারো না, সব থেকে বেয়াদব ব্যাচ…’ শুনে অভ্যস্ত। তাই দুয়েকটি ভালোবাসার কথা শুনলেই এদের অবস্থা প্রভুভক্তের মতো হয়ে যায়!

লিভ ইন রিলেশনে মেয়েদের দারুন ৭ সুবিধা

লিভ ইন রিলেশনে মেয়েদের দারুন ৭ সুবিধা

মেট্রো শহরগুলিতে এখন অনেকেই বিয়ে না করেই একসঙ্গে থাকেন এবং সন্তানপালনও করেন। এই ব্যবস্থার বিপদ যেমন আছে, সুবিধেও তেমন আছে, বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে।
লিভ-ইন করা উচিত কি অনুচিত তা এই প্রতিবেদনের বিচার্য বিষয় নয়। লিভ-ইন করার জন্য উৎসাহ দেওয়াও আমাদের কাজ নয়। বলা হয় লিভ-ইন করলে ছেলেদের পক্ষে সুবিধা কারণ তাদের কোনও দায়িত্ব নিতে হয় না। কিন্তু সুবিধাটি শুধু ছেলেদের নয়, মেয়েরাও এই ট্রেন্ড থেকে প্রচুর সুবিধাভোগ করেন—
১) মেয়েদের সবচেয়ে কষ্টের সময় হল বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি যাওয়া। বহু মেয়ের কাছেই এটা ট্রমায় পরিণত হয়। লিভ-ইনে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কোনও ব্যাপারই নেই।
২) লিভ-ইন মানেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আলাদা একটি বাড়িতে দু’জনে একসঙ্গে থাকা, অর্থাৎ বাবা-মায়ের শাসন নেই, শ্বশুর-শাশুড়ির চোখরাঙানিও নেই। উইক-এন্ডে বন্ধুদের সঙ্গে রাতভর পার্টি করতে কেউ আটকাচ্ছে না।
৩) লিভ-ইন মানেই একটি সমান-সমান সম্পর্ক। ছেলেরা এখানে ‘পার্টনার’, স্বামী নন। তাই সামাজিক ট্রেন্ড অনুযায়ী অতিরিক্ত কর্তৃত্ব করার কোনও জায়গা নেই।
৪) দু’টি মানুষের মধ্যে বনিবনা না হলেও, সম্পর্ক অসহনীয় হয়ে উঠলেও একসঙ্গে থাকার বাধ্যবাধকতা নেই, যা বেশিরভাগ বিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে রয়েছে।
৫) দু’জন মানুষের মধ্যে সম্পর্ক দু’জন মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে লিভ-ইন-এ। টিভি সিরিয়ালে যেমন দেখা যায় সেরকম ননদ বা জা-এর কূটকচালির কোনও জায়গাই নেই এখানে।
৬) বেশিরভাগ মেয়েদেরই বিয়ের পরে শুনতে হয় যে বাড়ির ‘বউ’-কে কী কী করতে নেই এবং কী কী করা উচিত। লিভ-ইনে এই সব বলার কেউ নেই।
৭) লিভ-ইন-এ সন্তানের জন্ম হলে তার ন্যাচারাল গার্ডিয়ান কিন্তু মা, বাবার স্টেটাস সেখানে বায়োলজিক্যাল ফাদার। কিন্তু বিবাহিত হলে গার্ডিয়ান স্টেটাস কিন্তু বাবারই থাকে। শিক্ষা-দীক্ষা থেকে শুরু করে বিয়ে, বাবার সিদ্ধান্তই মূলত গৃহীত হয়। লিভ-ইন-এর সন্তানের ক্ষেত্রে কিন্তু মায়ের হাতেই সব ক্ষমতা।

মেকআপ ছাড়া প্রথম ডেটিং মেয়েদের করে আত্মবিশ্বাসী

মেকআপ ছাড়া প্রথম ডেটিং মেয়েদের করে আত্মবিশ্বাসী

নারী-পুরুষ উভয়ের কাছে এক বিশেষ আবেদন রাখে প্রথম ডেটিং। এই দিনটিতে দুজনই এমন সাজে পরস্পরের সামনে আসতে চান, যেন একে অপরকে দেখে মুগ্ধ হয়ে যান। এ ক্ষেত্রে মেয়েদের বিষয়টিই আলাদা। সবাই ভাবেন, ওই দিনটিতে মেয়েরা একটা জম্পেশ সাজ দিয়ে থাকেন। চেহারায় মেকআপ বা লিপস্টিকের কমতি থাকে না। আসলেই কি এতে ডেটিংয়ে বিশেষ সুবিধা মেলে? জনপ্রিয় অনলাইন ডেটিং অ্যাপ ‘ট্রুলিম্যাডলি’ সম্প্রতি এক জরিপ চালায়। দেশজুড়ে পরিচালিত জরিপে বিভিন্ন বয়সী ৫০০ নারীর মতামত নেওয়া হয়েছে। প্রথম ডেটিংয়ের সৌন্দর্য রহস্য উন্মোচনে এই আয়োজন। ধারণা যা করা হতো, ফলাফল বেরিয়েছে সম্পূর্ণ বিপরীত। ৫১ শতাংশ নারী জানান, প্রথম ডেটিংয়ে সাজসজ্জা কোনো কাজে দেয় না। বরং কোনো মেকআপ ছাড়াই তারা অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। অপরের মনে ঠাঁই করে নিতে বা তার কাছে পছন্দনীয় হয়ে উঠতে মেকআপ কোনো উপায় বলে গণ্য হতে পারে না। বরং আপনি যেমন, তেমনটাই ফুটিয়ে তুলুন। জরিপের তথ্য বেরিয়ে এসেছে যে, ৪০ শতাংশ নারী প্রথম ডেটিংয়ে অন্তত লিপ গ্লস না ব্যবহার করে বেরোতে পারেননি। ৩১ শতাংশ চোখে মাস্কারার ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। আর ম্যাটিফাইং পাউডার ও ব্লাশনের শরণাপন্ন হয়েছে যথাক্রমে ১৬ ও ৮ শতাংশ নারী। প্রথম ডেটে ঠোঁটের যত্নে ২০ শতাংশ নারী অন্তত দুটো শেডের লিপস্টিক ব্যবহারে অনন্য এক রং পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। ৩২ শতাংশ হট পিঙ্ক বেছে নিয়েছেন। আর যারা প্রথম ডেটিংয়ে খুব বেশি মেকআপ করতে চান তারা বেশি পরিমাণ ফাউন্ডেশন ব্যবহার করেন। লিপস্টিকের চেয়ে গাঢ় রংয়ের আইলাইনার ব্যবহারের পক্ষপাতী তারা।

ইউটিউবে যুক্ত হল নতুন টুলস




ইউটিউবে যুক্ত হল নতুন টুলস

প্রতিদিন লাখ লাখ নতুন ভিডিও আপলোড করা হয়ে থাকে ইউটিউবে। প্রায়ই দেখা যায়, কিছু ভিডিওতে কোনো সংবেদনশীল, স্পর্শকাতর কিংবা আপত্তিকর বিষয় থাকে, যা কি না প্রদর্শন করা সম্ভব হয় না।
photo-1456548630এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ইউটিউবে আপলোড করা ভিডিওর সংবেদনশীল অংশগুলোকে ঝাপসা করে দেওয়ার নতুন একটি অপশন যোগ করা হয়েছে।







তবে নতুন এই ফিচার এখন শুধু ডেস্কটপ ব্যবহারকারীরাই ব্যবহার করতে পারবেন। ইউটিউবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন এই ‘ভিডিও ক্রিয়েটর হাইড’ অপশনটির মাধ্যমে ভিডিও ফুটেজে থাকা লাইসেন্স প্লেট, ক্রেডিট কার্ডের নাম্বার, বিতর্কিত ছবি বা আপত্তিকর অংশগুলো ঝাপসা করে দেওয়া যাবে।
এর আগে ২০১২ সালে ভিডিওতে মুখমণ্ডল ঝাপসা করার একটি টুল যোগ হয়েছিল সাইটটিতে। এবার শুধু মুখ নয়, চাইলে ভিডিওর যেকোনো অংশই ঝাপসা করে দেওয়া যাবে।
যাঁরা ইউটিউবের ভিডিওর নতুন এই সুবিধা উপভোগ করতে চান, তাঁরা খুব সহজেই কাজটি সারতে পারবেন। আপলোডের পর ভিডিও এডিট করার সময় প্রথমে ‘এনহান্স টুল’ ট্যাবে যেতে হবে। সেখানে ‘ব্লারিং এফেক্টস’-এ গিয়ে সিলেক্ট করতে হবে ‘কাস্টম ব্লারিং’ অপশনে।
এরপর ভিডিওর ওপর একটি বক্স আসবে, যেটি ঝাপসা থাকবে। আপনি বক্সটি ভিডিওর যে অংশের ওপর রাখবেন, ভিডিওতে ওই অংশটুকু ঝাপসা হয়ে থাকবে। সাবজেক্টের সঙ্গে সঙ্গে ঝাপসা বক্সটিও সরবে।
এ ছাড়া ক্রিয়েটর নিজের ইচ্ছানুযায়ী বক্সটি সরাতে পারবেন, ছোট বা বড় করতে পারবেন এবং কখন বক্সটি থাকবে ও কখন থাকবে না, সেটিও নির্ধারণ করতে পারবেন।
আর ‘লক’ অপশনে ক্লিক করলে ঝাপসা বক্সটি আর সাবজেক্টের সঙ্গে নড়াচড়া করবে না, থাকবে একেবারে স্থির। এবং সবকিছু শেষে এডিটেড ভার্সনটির সঙ্গে আসল ভিডিওটিও প্রয়োজনে সেভ করা যাবে।

বৃষ্টির ওপর প্রভাব ফেলে চাঁদ

বৃষ্টির ওপর প্রভাব ফেলে চাঁদ!

9c1048f4bd9587df528aa4037b994af2-lunar-phasesপৃথিবীবাসীর কাছে চাঁদ দীর্ঘদিন ধরেই রহস্য আর কিংবদন্তি হয়ে আছে। চাঁদের কারণেই পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটা হয়। পৃথিবীর ওপর নানা প্রভাব ফেলে তার একমাত্র উপগ্রহটি। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীতে বৃষ্টিপাতের ওপরেও নাকি চাঁদের কিছুটা প্রভাব রয়েছে!
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা দাবি করেছেন, চাঁদ যখন সরাসরি মাথার ওপর আসে, তখন পরিবেশের ওপর কিছুটা প্রভাব ফেলে, পৃথিবীতে বৃষ্টি কম হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট মাদারবোর্ডের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক তুবাসা কোহামা বলেন, ‘আমি যত দূর জানি, বৃষ্টিপাতের সঙ্গে চাঁদের সম্পর্কের প্রথম গবেষণা এটি।’কোহামা ও তাঁর গবেষক দল বায়ুমণ্ডলীয় তরঙ্গ বা চাপ ও তাপমাত্রার মতো বায়ুমণ্ডলীয় ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করছেন।
২০১৪ সালে তাঁরা একটি গবেষণার ফল প্রকাশ করেন যাতে বলা হয়, পৃথিবী পৃষ্ঠে বায়ুর চাপ চাঁদের দশার ওপরও নির্ভর করে। এটি ১৮৪৭ সালেবিজ্ঞানীরা প্রথম পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। সাম্প্রতিক গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন, বায়ুমণ্ডলীয় পরিবর্তনের জন্য পৃথিবীতে বৃষ্টিপাতের তারতম্য দেখা যায়। ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ। 
গবেষকেরা জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি ও নাসার ১৫ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। গবেষকেরা দাবি করেছেন, চাঁদের কারণে মোট বৃষ্টিপাতের ১ শতাংশ তারতম্য দেখা দিতে পারে।
গবেষকেরা মুষলধারে বৃষ্টিসহ বিভিন্ন ধরনের বৃষ্টিপাতের ওপর চাঁদের দশার বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করছেন।

গুগল ক্রোম হ্যাকিং থেকে বাঁচাবে আপনাকে

গুগল ক্রোম হ্যাকিং থেকে বাঁচাবে আপনাকে

hackerআপনি হয়তো কোনো ফ্রিওয়্যার অ্যাপ কিংবা কোনো কিছু ডাউনলোড করতে কোনো সাইটে ঢুকলেন। ঢুকে দেখলেন বড় বড় করে তিন-চার জায়গায় লেখা ‘ডাউনলোড,’ যার বেশির ভাগই আসলে ভুয়া বাটন। এ রকম ঘটনা প্রায় সবার সঙ্গেই কমবেশি ঘটে থাকে।
কিন্তু ভুয়া বাটনে ক্লিক করে আপনি যে শুধু বোকা হলেন তা নয়, সঙ্গে সঙ্গে এই একটি ক্লিকেই আপনার কম্পিউটারে ঢুকে যেতে পারে ভয়ংকর কোনো ম্যালওয়্যার, যার মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারের সব তথ্য চলে যাবে হ্যাকারদের কাছে।
গুগল এই ধরনের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সমস্যা দূর করার জন্য তাদের ক্রোম ব্রাউজারে নতুন একটি ফিচার যোগ করেছে, যার মাধ্যমে এখন থেকে আপনি এই ধরনের ভয়ংকর সাইটে ঢুকতে চাইলে গুগল আগেই আপনাকে সতর্ক করে দেবে। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলের একটি প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
নতুন এই আপডেটটি আসলে গুগলের ‘সেফ ব্রাউজিং ফিচার’-এর একটি নতুন সংযোজন, যেটি হয়তো আপনাআপনি পৌঁছে গেছে আপনার ক্রোম ব্রাউজারে। বেশ কয়েকদিন ধরেই গুগল চেষ্টা করছে তাদের ব্রাউজারের ব্যবহারকারীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।
আপনি এই সেবাটি পাচ্ছেন কি না তা নিশ্চিত করতে প্রথমে যান আপনার গুগল ক্রমের প্রেফারেন্সে, সেখানে সেটিংসে গিয়ে ক্লিক করুন অ্যাডভান্সে, অ্যাডভান্স সেটিংসের প্রাইভেসি অপশনে দেখবেন ‘প্রটেক্ট ইউ অ্যান্ড ইওর ডিভাইস ফ্রম ড্যাঞ্জারাস সাইট’ লেখার পাশে একটি ছোট বক্স আছে। ওই খানে ‘টিক’ দিয়ে নিশ্চিত করুন আপনার ব্রাউজিংয়ের নিরাপত্তা।
যদি আপনি এই সেবাটি নিশ্চিত করে থাকেন, তাহলে এর পর থেকে আপনি ভুয়া ডাউনলোড বাটনের কোনো বিপজ্জনক সাইটে প্রবেশ করতে গেলে ক্রোম এই ব্যাপারে একটি লাল রঙের ‘ওয়ার্নিং পেজ’ প্রদর্শন করবে।
সেই পেজেই প্রতারক সাইটের ব্যাপারে আপনাকে সতর্ক করা হবে। সাধারণত এই পেজগুলোতে আপনাকে টোপ ফেলে এমন কোনো ম্যালওয়্যার প্রবেশ করানো হবে, যার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার পাসওয়ার্ড, ফোন নম্বর কিংবা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চলে যাবে হ্যাকারদের হাতে।
এ রকম ঘটনা প্রায় সবার সঙ্গেই কমবেশি ঘটে থাকে। আপনি হয়তো কোনো ফ্রিওয়্যার অ্যাপ কিংবা কোনো কিছু ডাউনলোড করতে কোনো সাইটে ঢুকলেন। ঢুকে দেখলেন বড় বড় করে তিন-চার জায়গায় লেখা ‘ডাউনলোড,’ যার বেশির ভাগই আসলে ভুয়া বাটন।
কিন্তু ভুয়া বাটনে ক্লিক করে আপনি যে শুধু বোকা হলেন তা নয়, সঙ্গে সঙ্গে এই একটি ক্লিকেই আপনার কম্পিউটারে ঢুকে যেতে পারে ভয়ংকর কোনো ম্যালওয়্যার, যার মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারের সব তথ্য চলে যাবে হ্যাকারদের কাছে।
গুগল এই ধরনের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সমস্যা দূর করার জন্য তাদের ক্রোম ব্রাউজারে নতুন একটি ফিচার যোগ করেছে, যার মাধ্যমে এখন থেকে আপনি এই ধরনের ভয়ংকর সাইটে ঢুকতে চাইলে গুগল আগেই আপনাকে সতর্ক করে দেবে। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলের একটি প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
সেই পেজেই প্রতারক সাইটের ব্যাপারে আপনাকে সতর্ক করা হবে। সাধারণত এই পেজগুলোতে আপনাকে টোপ ফেলে এমন কোনো ম্যালওয়্যার প্রবেশ করানো হবে, যার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার পাসওয়ার্ড, ফোন নম্বর কিংবা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চলে যাবে হ্যাকারদের হাতে।
নতুন এই আপডেটটি আসলে গুগলের ‘সেফ ব্রাউজিং ফিচার’-এর একটি নতুন সংযোজন, যেটি হয়তো আপনাআপনি পৌঁছে গেছে আপনার ক্রোম ব্রাউজারে। বেশ কয়েকদিন ধরেই গুগল চেষ্টা করছে তাদের ব্রাউজারের ব্যবহারকারীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।
আপনি এই সেবাটি পাচ্ছেন কি না তা নিশ্চিত করতে প্রথমে যান আপনার গুগল ক্রমের প্রেফারেন্সে, সেখানে সেটিংসে গিয়ে ক্লিক করুন অ্যাডভান্সে, অ্যাডভান্স সেটিংসের প্রাইভেসি অপশনে দেখবেন ‘প্রটেক্ট ইউ অ্যান্ড ইওর ডিভাইস ফ্রম ড্যাঞ্জারাস সাইট’ লেখার পাশে একটি ছোট বক্স আছে। ওই খানে ‘টিক’ দিয়ে নিশ্চিত করুন আপনার ব্রাউজিংয়ের নিরাপত্তা।
যদি আপনি এই সেবাটি নিশ্চিত করে থাকেন, তাহলে এর পর থেকে আপনি ভুয়া ডাউনলোড বাটনের কোনো বিপজ্জনক সাইটে প্রবেশ করতে গেলে ক্রোম এই ব্যাপারে একটি লাল রঙের ‘ওয়ার্নিং পেজ’ প্রদর্শন করবে।

প্রতিটি গুগল ব্যবহারকারীর জানা দরকার এমন ১০টি ইউআরএল

প্রতিটি গুগল ব্যবহারকারীর জানা দরকার এমন ১০টি ইউআরএল

google_wallpaper_hdআপনি একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারী বা স্মার্টফোন ব্যবহারকারী হলে নিশ্চয়ই আপনি নেট ব্যবহার করে থাকেন। আর ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন কিন্তু গুগল এবং গুগলের সেবাগুলোর সাথে পরিচিত নন তাতো আর হতে পারেনা। আর অনেকেই এমন আছেন যারা গুগল ছাড়া কিছু বোঝেনও না। আর আপনিও যদি হয়ে থাকেন একজন গুগলের ডাইহার্ড ফ্যান তবে আপনার জন্য আজ নিয়ে এলাম ১০টি এমন ইউআরএল যা আপনার কাজে আসবেই আসবে! চলুন তাহলে, শুরু করা যাক।
১। আপনি গুগল ক্রোম ব্যবহার করার সময় যে সকল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকেন সেগুলো গুগল সংরক্ষণ করে রাখে। সেই পাসওয়ার্ড এবং ইউজার নেমগুলো আপনি চাইলেই গুগল থেকে সহজেই পেয়ে যাবেন। এর জন্য আপনাকে যেতে হবে http://passwords.google.com ইউআরএলটিতে।
২। আপনি যে সকল সাইটগুলোতে ভিজিট করে থাকেন সেই সাইটগুলোর উপর ভিত্তি করে আপনার একটি প্রোফাইল তৈরি করে থাকে। সেই প্রোফাইল এবং আপনার গুগল প্লাসের প্রোফাইলের উপত ভিত্তি করে গুগল আপনার বয়স, জেন্ডার, ইন্টারেস্ট সমূহ ইত্যাদি সংরক্ষণ করে রাখে সেই প্রোফাইলটিতে। আপনার প্রোফাইলটি দেখতে ভিজিট করতে পারেন https://www.google.com/ads/preferences ঠিকানায়।
৩। আপনি চাইলেই গুগল ইকোসিস্টেম থেকে আপনার সমস্ত তথ্য এক্সপোর্ট করতে পারবেন, গুগল এই সুবিধা প্রদান করে থাকে। আপনি খুব সহজেই আপনার গুগল ফটোস, কনট্যাক্ট, জিমেইল এমনকি আপনার ইউটিউবের ভিডিও (যদি থাকে) ফাইলগুলো পর্যন্ত আপনি ডাউনলোড করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে যেতে হবে https://www.google.com/takeout ঠিকানাটিতে।
৪। আপনার নিজস্ব কনটেন্ট যদি আপনি অন্য কোন সাইটে দেখে থাকেন তবে আপনি খুব সহজেই DMCA কমপ্লেইন করতে পারবেন। যার জন্য আপনাকে যেতে হবে https://support.google.com/legal ঠিকানাটিতে।
৫। আপনি কি জানেন আপনি যেখানেই যান আপনার ডিভাইসটির মাধ্যমে গুগল আপনার লোকেশন সংগ্রহ করে? কথাটি সত্য না মিথ্যা জানতে ভিজিট করুন https://maps.google.com/locationhistory ইউআরএলটি।
৬। নির্ধারিত গুগল অ্যাকাউন্ট করার সময় আপনার অ্যাকাউন্টে ইউজার নেমের শেষে @gmail.com ব্যবহারিত হয়। তবে আপনি যদি https://accounts.google.com/SignUpWithoutGmail ইউআরএলটি থেকে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে চান তাহলে গুগল ছাড়াই আপনি আপনার অ্যাকাউন্টটি ক্রিয়েট করতে পারবেন।
৭। গুগল এবং ইউটিউবে আপনি যে সার্চ টার্মই ব্যবহার করেন না কেন সেগুলো গুগল এবং ইউটিউব সংরক্ষণ করে রাখে। এছাড়াও কোন ওয়েবসাইটে যদি আপনি গুগলের অ্যাডগুলোতে ক্লিক করে থাকেন তবে সেই লগও গুগল সংরক্ষণ করে রাখে। তাই কি কি করেছেন যদি দেখতে চান তবে নিচের ইউআরএলগুলো কাজে আসবে।
https://history.google.com
https://history.google.com/history/audio
https://www.youtube.com/feed/history

৮। গুগলের টার্মস এবং কন্ডিশন অনুযায়ী আপনি যদি আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টে প্রতি ৯ মাসে একবার করে লগইন না করে থাকেন তবে আপনার অ্যাকাউন্টটি মুছে ফেলা হবে। এটি মূলত সমস্যা করে তাদের যাদের একের অধিক জিমেইল অ্যাকাউন্ট আছে। আপনারও যদি এরকম থাকে তবে আপনার প্রাইমারী মেইল অ্যাকাউন্টটিকে সেকন্ডারি মেইল অ্যাকাউন্টগুলোর ট্রাস্টেড কনট্যাক্ট হিসেবে যুক্ত করতে পারেন। ফলে, গুগল আপনার প্রাইমারী অ্যাকাউন্টে রিমাইন্ডার পাঠাতে থাকবে।
https://www.google.com/settings/account/inactive
৯। আপনার গুগল অ্যাকাউন্টে কেউ ঢুকছে কিনা সে বিষয়ে চিন্তিত? আপনি কিন্তু খুব সহজেই https://security.google.com/settings/security/activity ইউআরএলটির সাহায্যে আপনার অ্যাকতিভিটি লগ চেক করতে পারেন যেখানে কোন কোন ডিভাইস থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করা হয়েছিল এবং কোন কোন আইপি ব্যবহার করেছিল ফোনগুলো সেই তথ্য আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন।
১০। আপনি এ পর্যন্ত কোন কোন অ্যাপলিকেশনগুলোকে আপনার আক্যাউন্টে পারমিশন দিয়েছিলেন মনে নেই? https://security.google.com/settings/security/permissions এই ইউআরএলটি খুব সহজেই আপনাকে মনে করিয়ে দিতে সক্ষম।

ভিন্ন আইডিয়ায় রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা

ভিন্ন আইডিয়ায় রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা…..

12088171_627920107311781_7065564608641490616_nরেষ্টুরেন্ট ব্যবসা বর্তমানে একটি খুবই জনপ্রিয় এবং লাভজনক ব্যবসা। আর কতটা লাভ পাবেন তা জানাব এই লেখার শেষ অংশে। সেই সাথে ব্যবসায়টি করতে পারেন ভিন্ন আইডিয়ায়। ব্যবসাটি সম্পর্কে গতানুগতিক সিষ্টেমের বাইরে এসে ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব আপনাদের। আমন্ত্রন জানাচ্ছি সকলকে উদ্যোক্তার খোঁজে পেইজের পক্ষ থেকে আমি মাসুদুর রহমান মাসুদ।
এব্যবসায়ের জন্য শুরুতেই প্রস্তুত করতে হবে আপনার উদ্যোগী মনকেে নয়তো এমন হাজারটা আইডিয়া পড়ে রবে দেখতে পাবে না সফলতার মুখ। ব্যবসায়ের জায়গাটি নির্বাচন করতে হবে জনবহুল অফিস পাড়ায়। খাবার রান্না করা যাবে এমন এক থেকে দুইটি রুম ভাড়া নিতে হবে। বিকল্প ব্যবস্থা যদি আপনার বাসায় করতে পারেন তবে মন্দ কি। সাশ্রয় হবে আপনার রুম ভাড়ার পুরো অর্থটাই আর তা মাস শেষে যোগ হবে বাড়তি লাভের খাতায়। আপনার টার্গেট মার্কেট বা অফিস পাড়ার প্রত্যেকটি অফিস ভিজিট করা শুরু করুন। এবং কথা বলুন আপনার সেবাটি সম্পর্কে আপনার সাম্ভাব্য ক্রেতাদের সাথে। আস্থা দিন মান সম্মত সেবা প্রদানের। যোগাড় করতে থাকুন কাষ্টমার যারা আপনার তৈরী করা খাবার প্রতি দিন ক্রয় করবে মাসিক চুক্তিতে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার পৌছাতে পারবেন এমন সার্মথ্য রেখে কাংখিত সংখ্যার কাষ্টমার সংগ্রহ করতে থাকুন। সেই সাথে ঠিক কবে থেকে তাদের কাছে খাবার পৌছে দিবেন সেই নির্দিষ্ট তারিখটি জানিয়ে দিতে ভুল করবেন না।
এবার চলুন বাজার ঘুরে আসি। রান্না করার জন্য আপনাকে কিনতে হবে চুলা, হাড়ি, পাতিল, কড়ই, সহ প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র যা লাগবে রান্না করার কাজে। আর সেই সাথে যে সকল আইটেম সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আপনার ক্রেতাদের সেগুলোর বাজারটাও সেরে ফেলুন। এবার রান্না করা খাবার আপনার ক্রেতাদের নিকট পৌছে দেওয়ার পাত্রও কেনা দরকার। এক্ষেত্রে আপনি হটপট জাতীয় পাত্র ব্যবহার করলে বাড়তি সুবিধা পাবেন। সাথে আপনার কোয়ালিটির উপর একটা ভাল ধারনা জন্ম নিয়ে নিবে আপনার ক্রেতাদের।
এবার চলুন রান্না ঘরে যাওয়া যাক। রান্না ঘর সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন রেখে রান্না করার প্রস্তুতি নিয়ে নিন। কিন্তু রান্না কি আপনি করবেন। যদি শিখে নিতে পারেন তবে তো ভালই হয়। নিজে না পারলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভাল বাবুর্চী নিয়োগ দিন।
মনে রাখবেন আপনার খাবারের স্বাদ আর মানের উপর নির্ভর করছে আপনার ব্যবসার সফলতা। তাই এখানে রাখতে হবে সর্বোচ্চ নজরদারি আর সর্তকতা। খাবার সময়মত পৌছে দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক লোক আর পরিবহনের ব্যবস্থা করে ফেলুন।
আপনার খাবারের দাম এমন ভাবে নির্ধারন করুন যাতে ক্রেতা তার পাশের রেষ্টুরেন্ট রেখেই আপনার সেবাটি ক্রয় করে। এই ব্যবসায় শতভাগ সফল হওয়ার জন্য আপনাকে আরও একটি গোপন তথ্য দিয়ে দিই। সেটি হল আপনার ক্রেতাদের জন্য অসাধারন ভাল ব্যবহার যাতে আপনি বলতেই আপনার ক্রেতার সামনে ভেসে উঠবে এমন একটি মুখ যেখানে আপনার ক্রেতার সন্তুষ্টি মাখা।
দুপুরের খাবার সরবরাহের পাশাপাশি বিকেলের নাস্তা সরবরাহের ব্যবস্থা কিংবা ফাষ্টফুডও সরবরাহ করতে পারেন আপনার ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী। এছাড়াও বাড়তি আয়ের জন্য আপনি বিয়ে বাড়ি সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও খাবার সরবরাহ করতে পারেন।
এবার আসুন কত বিনিয়োগ লাগবে এ ব্যবসায়। ছোট আকারে করতে আপনি মাত্র দশ থেকে পনের হাজার টাকায় শুরু করতে পারবেন। আর পরবর্তীতে চাইলে আপনি এথানেই বিনিয়োগ করতে পারবেন লক্ষ লক্ষ টাকা। তবে সাবধান কখনও বাসি-পচা খাবার সরবরাহ করার চেষ্টাও করবেন না অতিরিক্ত লাভের আশায়। শুরুতেই বলেছিলাম এ ব্যবসায় খুবই লাভজনক। চলে এসছি সেই কাংখিত জায়গায় বলব লাভের কথা। দক্ষ হাতে আপনি ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারলে সকল খরচ বাদ দিয়ে ত্রিশ থেকে চল্লিশ শতাংশ মুনাফা বা লাভ করতে পারবেন আপনি।

বিজ্ঞাপন এজেন্সীর ব্যবসা করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়

বিজ্ঞাপন এজেন্সীর ব্যবসা করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় …

11891084_615662605204198_4875453982882505681_nবন্ধুরা স্বাগতম আপনাদের সকলকে। আপনাদেরকে আজ লাভজনক একটা ব্যবসায় সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব। যেখানে ব্যবসায় করার জন্য খুব বেশী পুজিঁর প্রয়োজন পড়বে না। যত ভাল যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবেন তত এ ব্যবসায়ের পরিধি বাড়াতে সক্ষম হবেন। সফলতার জন্য আপনার যোগাযোগ ও ব্যবহারই এ ব্যবসায়ের সবচেয়ে বড় পুঁজি।
উৎপাদিত পণ্যের প্রচারের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত মাধ্যম হচ্ছে বিজ্ঞাপন। এবং বড় বড় কোম্পানী গুলো তাদের পণ্যের মূল্যের প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ বিজ্ঞাপন খাতে ব্যয় করে থাকে। টেলিভিশন, রেডিও, পত্রিকা, মাগ্যাজিন, বিলবোর্ড এর সাথে বর্তমানে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার আরও একটি নতুন ক্ষেত্র তৈরী হয়েছে। কিভাবে শুরু করবেন চলুন সে সম্পের্কে একটু জানার চেষ্টা করি। বিজ্ঞাপনী সংস্থা গুলো সাধারনত তৃতীয় পক্ষ হিসেবে কাজ করে থাকে। এর জন্য আপনাকে একটা বা দুইটা রুমের অফিস রুম ভাড়া নিতে হবে। আপনি নিজেই অথবা দু-চার জন কর্মী নিয়োগ দিয়েই শুরু করতে পারবেন এ ব্যবসাটি।
এজন্য আপনাকে অফিস ভাড়ার অগ্রিম এবং অফিস সজ্জা বাবদ সামান্য অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। মিডিয়া পাড়ায় এ ধরনের ব্যবসার ব্যপক সুযোগ রয়েছে। এর বাইরেও বিভাগীয় বা জেলা পর্যায়ে অফিস নিয়ে শুরু করতে পারবেন এ ব্যবসা।
যারা বিভিন্ন টেলিভিশন, রেডিও, পত্রিকা, মাগ্যাজিন বিলবোর্ড বা অনলাইনে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে ইচ্ছুক তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। তাদের কাছ থেকে বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করাই হচ্ছে আপনার কাজ। আর এর মাধ্যমে আপনি পাবেন কমিশন। যেখান থেকে আসবে আপনার আয়। সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিজ্ঞাপন প্রচারের কাজ পাওয়ার পাশাপাশি আপনি প্রেস রিলিজ প্রচারের কাজও পাবেন। যেখান থেকেও আপনার আয় হবে বড় একটা অর্থের।
এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই বিজ্ঞাপন প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সর্তকতার সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। তাদের বিজ্ঞাপনের মূল্য সম্পর্কে আপনার পূর্ন ও সঠিক ধারনা থাকতে হবে। সে অনুযায়ী আপনি ব্জ্ঞিাপন সংগ্রহ করে প্রচারের ব্যবস্থা করতে পারলেই আপনার ব্যবসায়ের দ্রুত প্রসার ঘটাতে পারবেন। এবং প্রচুর প্ররিমান আয়ও করতে পারবেন। যত বেশী পরিমান বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে প্রচারের ব্যবস্থা করতে পারবেন আয়ও তত বাড়বে।
এ জাতীয় কিছু বিজ্ঞাপনী এজেন্সী আপনি ঢাকার ফার্মগেট, কাওরান বাজার এলাকায় পাবেন। যদিও ঢাকা শহরের প্রায় জায়গাতেই এ ধরনের অনেক এজেন্সী আছে। এছাড়া বিভাগীয় ও জেলা শহরের প্রেসক্লাব ও মিডিয়া অফিস গুলোর আশপাশেই এ জাতীয় বিজ্ঞাপনী এজেন্সী পাবেন। তাদের সাথে সর্তকতার সাথে যোগাযোগ করলে ব্যবসায়ের কৌশল ও বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আমি আপনাদের আবারও স্মরন করিয়ে দিতে চাই এ ব্যবসায়ের সবচেয়ে বড় পুঁজি হচ্ছে যোগাযোগ, সম্পর্ক তৈরী ও ব্যবহার। ধৈয্য সহকারে এগিয়ে যেতে পারলে এ ব্যবসায় আপনি খুব সহজেই পেতে পারেন সফলতা।

আইটি ফার্মের ব্যাবসা খুলতে পারে আপনার সৌভাগ্যের দ্বার

আইটি ফার্মের ব্যাবসা খুলতে পারে আপনার সৌভাগ্যের দ্বার…

11880551_612004492236676_1037725487755032866_nইনফরমেশন টেকনোলজি আমাদের জীবনে এনেছে গতিময় ছন্দ। যোগাযোগে এনেছে অভূতপুর্ব সাফল্য। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রকে করেছে আরও সমৃদ্ধ। আর সম্ভাবনাময় এ খাতে বিনিয়োগ করে আপনি হতে পারেন সফল উদ্যোক্তা।
স্বাগতম আপনাদের সকলকে। আইটি ফার্মের ব্যবসা স্থাপনের জন্য আপনাকে সবার আগে দক্ষ আইটি কর্মী নিযোগের চিন্তা মাথায় রাখতে হবে। কারন তারাই হচ্ছে আপনার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। তাদের মেধা ও বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। আপনি যদি আইটি বিষয়ে পড়াশুনা করে থাকেন তবে আপনার এ ব্যবসায়ে সফলতা পেতে সহজ হবে। আইটি ব্যবসা ভিন্ন ভিন্ন খাত ধরে করতে পারবেন। আপনি চাইলে ছোট থেকে বিস্তৃত পরিসরে এ ব্যবসা করতে পারবেন। এক লক্ষ টাকা ‍পুজিঁ থেকে শুরু করে কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন এ খাতে।
ছোট করে যদি শুরু করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি কম্পিউটার এর হার্ডওয়্যার মেরামত ও যন্ত্রাংশ বিক্রয় করতে পারেন। নেটওয়ার্কিং করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশও সাথে বিক্রয় করতে পারবেন। এখানে আপনি নষ্ট কম্পিউটার মেরামত থেকে শুরু করে মাউস, কিবোর্ড ,মনিটর, পিসি, সাউন্ড সিষ্টেম, নেটওয়াকিং কেবল, ওয়াইফাই, রাউডার সহ পেনড্রাইভ বিক্রয় করতে পারেন।
একটু বড় পরিসরে আসি এবার। আইটি ফার্ম করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে সে সম্পর্কে জানানোর ক্ষুদ্র চেষ্টায় প্রথমত আপনাকে সু সজ্জিত অফিস নিতে হবে। কাজ করার জন্য হাই কনফিগারেশন কম্পিউটার নিতে হবে। সাথে প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথ সংযোগ নিতে হবে। সফটওয়্যার তৈরীর জন্য দক্ষ, অভিজ্ঞ, সৃজনশীল সফটওয়্যার ইজ্ঞিনিয়ার নিয়োগ দিতে হবে।
আপনার প্রতিষঠান কি ধরনের সফটওয়্যার তৈরী ও বিক্রয় করবেন তার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা একেঁ নিন। প্রচার পরিচালনা চালান দেশে ও বিদেশে। দেশের ভেতর কাজ পেতে যোগাযোগ করুন বানিজ্যিক ও সেবা খাত সমূহের প্রতিষঠানে।
বিদেশের বিভিন্ন ধরনের প্রতিষঠানের কাজ পেতে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখুন সর্তকতার সাথে। বায়ার আপনার কাজে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলে আপনার কাজের অভাব হবে না বিদেশের বাজারে। বাংলাদেশ প্রতি বছর সফটওয়্যার রপ্তানি করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে। আর এ খাতে আপনার বিনিয়োগ স্থাপন করে আপনিও নিতে পারেন সে সুবর্ন সুযোগ।
সফটওয়্যার তৈরীর পাশাপাশি আপনি সফটওয়্যার উন্নয়নের কাজও করবেন। আর এখান থেকেও আপনি আয় করতে পারবেন একটা বড় অঙ্কের অর্থ। আর ইন্টারনেট থেকেই আপনি সংগ্রহ করতে পারবেন এ ধরনের কাজ। পাশাপাশি যাদের কাছে সফটওয়্যার বিক্রয় করবেন তাদের কাছ থেকেই পুনরায় আপডেটের কাজ পাবেন। বড় বড় প্রতিষঠান সমূহের নেটওয়াকিং এর কাজ করেবেন সাথে।
ছোট আকারে একটি সফটওয়্যার ফার্ম করতে প্রায় আট থেকে দশ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। এর বাইরে আপনি বিদেশ থেকে আইটি পন্যের আমদানি করে তা দেশের বাজারে বিক্রয়ের ব্যবসায়ও করতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্য আরও বড় ও বেশী পুজিঁর বিনিয়োগ করতে হবে আপনাকে। আর আমদানিক্রত আইটি পন্যের ব্যবসায় করতে গেলে আপনাকে পন্য মানের সাথে কোন প্রকার সামজ্ঞস্য করা চলবে না। অবশ্যই ভাল মানের প্রন্য আমদানি করতে হবে।
মার্কেটিং এন্ড সেলস যেকোন প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। সুতরাং এখানে আপনার কোন প্রকার ছাড় দেওয়ার সুযোগ নাই। পরিশ্রমী এবং দক্ষ লোক নিয়োগ দিতে ভুল করবেন না একটুও। মার্কেটিং প্লান সাজান এবং সে অনুযায়ী এগিয়ে যান কাংখিত লক্ষের দিকে।
মার্কেটিং এনড সেলস দক্ষতার সাথে পরিচালনা করে মান সম্মত সেবা প্রদানের নিশ্চয়তা প্রদান করতে পারলে আপনি খুব সহজেই আইটি ব্যবসায়ে সফল হতে পারবেন

কাপড় অথবা কাগজের হ্যান্ড ব্যাগ তৈরী দিয়েই শুরু হোক আপনার ব্যবসা

 

কাপড় অথবা কাগজের হ্যান্ড ব্যাগ তৈরী দিয়েই শুরু হোক আপনার ব্যবসা….

11846707_609320622505063_2915660693566483325_nইতিমধ্যেই আপনাদের অনেকে আমার কাছে জানতে চেয়েছেন কাপড় অথবা কাগজের হ্যান্ড ব্যাগ তৈরীর ব্যবসা সম্পর্কে। আর তাদের জন্য এ ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর ক্ষুদ্র এ প্রচেষ্টা।
চলুন তাহলে… ভাবছেন কিভাবে শুরু করবেন…?
ব্যগ তৈরীর জন্য সর্বপ্রথমে একটা রুমের প্রয়োজন হবে। আর তাতে স্থাপন করতে হবে দুই থেকে তিনটি সেলাই মেশিন।
মেশিন যখন কিনেই ফেললেন তখন কিছু সেলাই তো করতে হবে। আর এজন্য দরকার হবে আপনি যে কাপড়ের ব্যাগ তৈরী করতে চান সে জাতীয় কাপড়।
সাথে ‍সুতা তো লাগছেই সেলাই করতে। তাই উপযুক্ত সুতা বাছাইয়ের কাজটিও করতে হবে আপনাকে। ব্যাগের হাতল তৈরীর কাজে ব্যবহৃত ফিতা অথবা আলাদা ধরনের সুতাও সংগ্রহ করতে হবে। ব্যাগটি যদি জিপার সিষ্টেম করতে চান তাহলে আপনাকে জিপার সংগ্রহ করতে হবে।
কাগজের ব্যাগের ক্ষেত্রে কাগজ, আঠা, রিপিট সুতা ইত্যাদির প্রয়োজন পড়বে। এ জাতীয় ব্যাগের বাইরে সিমেন্টের ব্যাগ থেকেও তৈরী করতে পারেন হ্যান্ড ব্যাগ। অথবা নেটের ব্যাগও তৈরী করতে পারেন। যার চাহিদা কতটা ব্যাপক তা বাজার করতে গেলে বুঝবেন।
কাপড়ের তৈরী হ্যান্ড ব্যাগকে যদি আকর্ষনীয় রুপ দিতে চান তাহলে সুন্দর রংয়ে রাঙাতে স্ক্রিন প্রিন্ট মেশিনের প্রয়োজন পড়বে।
এ ব্যবসা করতে আপনার বিশেষ কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন পড়বে না। মাত্র দুই থেকে তিন দিন প্রশিক্ষন নিলেই আপনি নিজেই তৈরী করতে পারবেন।
এ ব্যবসা প্রাথমিক অবস্থায় ৫০,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকায় শুরু করতে পারবেন। ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চাইলে তখন বাড়তি পুঁজির প্রয়োজন পড়বে।
নিজে কাজ সম্পর্কে পুরোপুরি ভালভাবে জেনে নিতে পারলে কর্মীদের থেকে পূর্ন আউটপুট বুঝে পাবেন সাথে আপনার কর্মীরাও ফাঁকি দিতে পারবে না।
আপনার তৈরী করা হ্যান্ড ব্যাগ নিকটস্থ বাজেরর দোকান গুলোতে বিক্রয় করতে পারবেন। এছাড়াও ঢাকার চকবাজারে এ জাতীয় ব্যাগের পাইকারী বাজার রয়েছে। সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ জাতীয় পন্যের পাইকারী বাজার পাবেন আপনার তৈরী ব্যাগ বিক্রির জন্য।
তাহলে থেমে আছেন কেন…?
একটু সাহস করেই না হয় কাজে হাত দিয়ে ফেলুন যদি থাকে আত্মবিশ্বাস আর জীবনে সফলতা পাওয়ার অদম্য ইচ্ছা….

ভিন্ন্ আইডিয়ায় করতে পারেন ফাষ্টফুডের দোকান

ভিন্ন্ আইডিয়ায় করতে পারেন ফাষ্টফুডের দোকান

11742880_604786789625113_8037219577888367925_nভিন্ন্ আইডিয়ায় করতে পারেন ফাষ্টফুডের দোকান। হতে পারেন একজন সফল ব্যবসায়ী….
স্বাগতম আপনাদের সকলকে যারা উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে ফাষ্টফুড আমাদের প্রায় সকলের প্রিয় খাবারে পরিনত হয়ে পড়েছে। সময় আর ব্যস্ততার কারনেই ফাষ্টফুড আমাদের কাছে এত জনপ্রিয় হয়েছে কি?
সে যেকারনেই হোক আমাদের বেকারদের জন্য তা কিন্তু সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত হয়ে এসেছে। ইতি মধ্যেই এ ব্যবসায়ের সাথে নিজেকে জড়িয়ে সফলতার মুখ দেখেছেন অনেক উদ্যোক্তা।
এ ব্যবসা করতে আপনার সুুবিধামত একটি এলাকায় ব্যবসার স্থান নির্বাচন করতে পারেন। তবে অবশ্যই লোক সমাগম ঘটে এমন স্থান হতে হবে। না হলে ক্রেতা পাবেন না।
আপনার ব্যবসায়ের পরিধি ও পুঁজি বিবেচনা করে দোকানের আয়তন নির্ধারণ করবেন। দোকানের ডেকোরেশন অবশ্যই চমৎকার করে করার চিন্তা করবেন। এটি আপনি আপনার নিজের আইডিয়ায় অথবা ভাল কোন ডিজাইনার দিয়েও ডিজাইন করিয়ে নিতে পারেন।
আপনার দোকানের সুন্দর একটা নাম দিতে কিন্তু ভুল করবেন না।
দোকানের জন্য ফার্নিচার, ফ্রিজ, ওভেন, জুস মেকার কফি মেকার সহ খাদ্য তৈরীর বিভিন্ন ইলেকট্রিক মেশিন কিনতে হবে আপনাকে। আর সেই সাথে খাদ‌্য পরিবেশনের জন্য আকর্ষনীয় পাত্র কিন্তু চাই। খাদ্য পরিবেশনের জন্য সুন্দর বাচনভঙ্গি এবং আকর্ষনীয় চরিত্রের লোকবল নিয়োগ দিতে হবে আপনাকেই খুব দক্ষতা ও সর্তকতার সাথে।
ফাষ্টফুড হিসেবে রাখতে পারেন স্যান্ডউইচ, বার্গার, নানা ধরনের রোল, শর্মা, পিজা, চিকেন ফ্রাই নুডুলস সহ নানা ধরনের আকর্ষনীয় খাবার। এসব খাবার আগে থেকেই তৈরী করে দোকানে সাজিয়ে রাখতে হবে। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী গরম করে পরিবেশন করতে হবে। সেই সাথে চাহিদা অনুযায়ী জুস সাথে সাথে তৈরী করে পরিবেশন করতে হবে।
এ জাতীয় ব্যবসা করতে বিশ থেকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়ে। তবে কেউ যদি খূব ছোট আকারে শুরু করতে চান তবে এর থেকে কম মূলধন বিনিয়োগ করেও করতে পারবেন।
এবার এ ব্যবসায়ে আপনার উন্নতির জন্য একটু ভিন্ন আইডিয়া শেয়ার করি। আপনি আপনার দোকানের আসপাশের এলাকার কিছু নিয়মিত ক্রেতার বাসায় হোম ডেলিভারী করতে পারেন। সেই সাথে আশপাশের অফিসে বিকালের নাশতা হিসেবেও ডেলিভারী করতে পারেন। তবে এজন্য দক্ষ ডেলিভারী ম্যান নিয়োগ দিতে হবে আপনাকে। সার্ভিসটি বিনা ডেলিভারী চার্যে করতে পারলে বেশ সাড়া পাবেন।
আপনার মাথায় এ ব্যবসায়ের জন্য আমার থেকেও আরও কোন ভিন্ন আইডিয়া থাকতে পারে। যা আপনাকে নিয়ে যেতে পারবে সফলতার দিকে। নিজের সততা মেধা আর প্ররিশ্রমের সমন্বয় ঘটিয়ে হয়ে উঠুন সফলদের একজন।

ই-কমার্স ব্যবসায়ী হতে চান

ই-কমার্স ব্যবসায়ী হতে চান…?

e-commercee-commerce_r0124l11
পৃথিবীটা এখন আধুনিকতায় মোড়ানো। মানুষের রুচি,কথাবার্তা আর  চালচলনে এসেছে বিপুল পরিবর্তন। শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নয়,পরিবর্তন এসেছে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই। আর এই পরিবর্তনের বিরাট একটা অংশ এসেছে ইন্টারনেট নামক এক জাদুর কাঠিতে ভর করে। যোগাযোগ ব্যাবস্থা থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রেই বেড়েছে ইন্টারনেট সেই সাথে এটাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কোটি কোটি ডলারের ইকমার্স ব্যবসা।
দিন যত যাচ্ছে ততই অনলাইনে কেনাকাটার পরিমান বৃ্দ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে অনলাইন শপিং ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশে অনলাইনে কেনাকাটা কিছু শ্রেনীর মানুষদের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলেও অচিরেই এটি যে জনপ্রিয় হতে যাচ্ছে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়, কারন প্রতিনিয়তই ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। আর তাই দিন দিন ইকমার্স সাইটগুলোর জনপ্রিয়তাও বাড়ছে।
কিন্তু অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না ঠিক কিভাবে শুরু করবেন। অথবা শুরু করার চেষ্টা করছেন কিন্তু গাইডলাইনের অভাবে শুরু করতে পারছেন না  চলুন তাহলে ধারনা নেওয়া যাক এ ব্যবসায়ে সফলতা নিশ্চিত করতে কি কি করা দরকার সে সম্পর্কে।

ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করতে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হল আপনি কোন ধরনের পন্য বিক্রি করবেন তা নির্দিষ্ট করা। পন্য নির্ধারন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই বিচক্ষন হতে হবে। কারন আপনার নির্ধারিত পন্যের  এর চাহিদা কেমন হবে, পন্য বিক্রয় করে কেমন লাভ হবে, পন্য ক্রেতার নিকট পৌছানোর পরিবহন খরচ কেমন পরবে তা চিন্তা না করে যেমন খুশি তেমন সাজো এর মত পন্য সিলেক্ট করলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ব্যবসার শুরুতেই।
আবার নিজের বিন্দুমাত্র আইডিয়া নেই এরকম পন্য সিলেক্ট করা ও বোকামি। পন্য নির্বাচন করার আগে অবশ্যই আপনার প্রতিদ্ধন্দী কারা, তাদের মার্কেট পজিশন কোন স্তরে তা বিবেচনা করা উচিত। কখোনই এমন পন্য বিক্রির চেষ্টা করবেন না যেটি অন্য বিখ্যাত ইকমার্স ওয়েবসাইট দ্বারা মার্কেটের প্রায় ৭৫ শতাংশ চাহিদা পুরন করা হচ্ছে সফলতার সাথে। আর পন্য মানের সাথে কার্পণ্য করা চলবে না। সব সময় বাজারের সেরা পন্যটি আপনার ক্রেতার হাতে তুলে দেবার চেষ্টা রাখতে হবে।
পন্য নির্ধারনের পর নির্দিষ্ট করুন পন্যগুলো কোন কোন ক্যাটাগরীতে পড়ছে। ক্যাটাগরী নির্দিষ্ট করার সুবিধা হচ্ছে, পন্যগুলো কিনতে সুবিধা হবে এবং দাম নির্ধারন করতেও সুবিধা হবে। তাছাড়া আপনার ওয়েবসাইটে কাস্টোমাররা সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় পন্য গুলো খুজে নিতে পারবে।
কোন কোন পন্য বিক্রি করবেন তা নির্ধারন  করার পর আপনি পন্য কীভাবে কাস্টোমারর হাতে পৌছাবেন তা ঠিক করুন। হোম ডেলিভারী দেবার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে কোন কুরিয়ার সার্ভিস/পরিবহন ব্যাবহার করবেন তা নির্ধারন করুন। হোম ডেলিভারী কোন কোন এলাকার জন্য রাখবেন তা নির্ধারন করুন। হোম ডেলিভারীর আগেই পেমেন্ট নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে হবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ওয়েবসাইট তৈরীতে হাত দেওয়ার আগে নির্ধারন করুন পেমেন্ট অপশন হিসেবে আপনি কোনগুলো রাখবেন। অর্থাৎ কোন কোন মাধ্যমে আপনার ক্রেতা আপনার পন্যের মূল্য পরিশোধ করতে পারবে।
মানুষ কোন পেমেন্ট অপশন ব্যাবহারে স্বাচ্ছন্দ্যতা বোধ করে তা বিবেচনা করে পেমেন্ট অপশন নির্ধারন করুন। পেমেন্ট অপশন হিসেবে ব্যাংক ট্রান্সফার, মোবাইল ব্যাকিং  ব্যবস্থা বিকাশ, সহ  পেজা, মানিবুকার রাখতে পারেন। তবে উপরের সবগুলো রাখতে হবে এমন না কারন কাস্টোমারের সেটিসফিকশন যেমন দরকারী তেমন নিজের সুবিধা অনুযায়ী কাজ করতে পারাটাও দরকারি।
একটা ইকমার্স ওয়েবসাইটের অন্যতম সৌন্দর্য হচ্ছে একটি সুন্দর ডোমেইন নেম। আপনার ইকমার্স ওয়েবসাইটের জন্য একটি সুন্দর এবং ইকমার্স রিলেটেড নাম সিলেক্ট করুন। যেমন ইকমার্সের জন্য আপনি যদি চিন্তা করেন অামি-তুমি-সে-ডটকম নাম রাখবেন তাহলে তা মানানসই হবে না, কেউ বুঝবেও না এটা কি ওয়েবসাইট। কিন্তু যদি ইবাজারডটকম রাখেন তবে সবাই বুঝবে এটি কিসের ওয়েবসাইট।
যেকোন ওয়েবসাইটের জন্য ভাল মানের হোস্টিং দরকার আর তা যদি হয় ইকমার্স ওয়েবসাইটের জন্য তাহলে তো কথাই নেই। তাই হোস্টিং কেনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সচেতন হতে হবে আপনাকে।  ইকমার্স ওয়েবসাইট চালুর প্রথম দিকে ভালো শেয়ার্ড বা বিজনেস ক্লাস হোস্টিং ভাল হবে তবে সাইটের ট্রাফিক বাড়লে ভিপিএস বা ডেডিকেটেড এ মাইগ্রেট করাই উত্তম হবে।
কোন স্ক্রিপ্ট দিয়ে তৈরী করবেন অথবা কোন প্রোগামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এ তৈরী করবেন তা আগেই নির্ধারন করুন। যেহেতু এখানে অর্ডার রিসিভ এবং সিকিউরিটি মেইনটেইন করার ব্যাপার আছে তাই ইকমার্স ওয়েবসাইটটি করার সময় সর্তকতার সাথে এগুলো নির্ধারন করতে হবে। আপনার ইকমার্স ওয়েবসাইটের জন্য একটি ইউনিক টেম্পলেট ইউজ করার চেষ্টা করুন এবং নিজে না পারলে তা রেস্পন্সিভ ওয়েবডেভেলপার দিয়ে করুন। সেই সাথে ইকমার্স সাইটের জন্য মোবাইল ভার্সন রাখার চেষ্টা করুন।
এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে ইকমার্স ওয়েবসাইটের জন্য একটা ইউজার ফ্রেন্ডলী ইন্টারফেস সবচেয়ে দরকারী। তাই সাইটের ডিজাইন করার ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব ইউজার ফ্রেন্ডলী করে তৈরি করার চেষ্টা করুন। সেই সাথে আপনার ওয়ব সাইটটি সার্চইঞ্জিনে দ্রুত খুজে পাওয়ার জন্য করতে হবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও এর কাজও।
আপনার ইকমার্স ওয়েবসাইটটি চালু করার আগেই একটু জোরেশোরে প্রচারনা চালানোর চেষ্টা করুন। ইকমার্স ওয়েবসাইটটির ফিচার গুলো কেমন হবে, কেন অন্যদের থেকে আলাদা তা তুলে ধরার চেষ্টা করুন। প্রচারনার জন্য বাজেটের একটা অংশ রাখুন। কারন প্রচারেই প্রসার। প্রচারনার অংশ হিসেবে ফেসবুক প্রোমোট,  বিলবোর্ড এডভার্টাইজিং ইত্যাদি রাখতে পারেন। তাছাড়া ইকমার্স ওয়েবসাইটটি উদ্বোধন উপলক্ষ্যে রাখতে পারেন বিশেষ ছাড় এবং উপহার সামগ্রীও।
ইকমার্স ব্যবসায়ের জন্য ডোমেইন, হোষ্টিং সার্ভার, ওয়েবসাইট ডিজাইন, এসইও অথবা এ সংক্রান্ত যে কোন তথ্যের প্রয়োজনে আপনি উদ্যোক্তার খোঁজে ডটকমের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৩৫-২৮৪৬১৭ নাম্বারে। আমরা চেষ্টা করব আপনাদের জন্য সঠিক দিক নির্দেশনা রাখার যাতে করে আপনি এগিয়ে যেতে পারেন ইকমার্স ব্যবসায়ে সাফল্যের পথে।

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসার আইডিয়া

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসার আইডিয়া

connessione adsl2ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকার কাজ করে চলেছে দ্রুত গতিতে। আর সেই পথে গতি এনেছে ইন্টারনেট। তথ্যপ্রযুক্তির দিক থেকে বাংলাদেশ খুব বেশী এগোতে না পারলেও সাফল্য কিন্তু কম নয়। মুক্তপেশা ফ্রিল্যান্সিং এ তরুনরা এগিয়ে চলেছে সমান তালে। সফটওয়্যার রপ্তানীতেও বাংলাদেশ সাফল্য দেখিয়েছে। নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে তরুন প্রজন্ম এগিয়ে চলছে সমান তালে। যদিও উন্নত বিশ্ব যখন ফাইভ জি নেটওয়ার্ক নিয়ে এগিয়ে চলছে সেখানে আমরা এখনও থ্রিজি সেবা পৌছে দিতে পারি নাই প্রতিটি জেলা শহরে। আর এই পিছিয়ে পড়া থেকে এগিয়ে যাওয়ার পথে তৈরী হয়েছে নতুন ব্যবসার সম্ভাবনা।
snekআমাদের অনেকেরই হয়ত জানা নেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা সম্পর্কে। আমি মাসুদুর রহমান আজ আপনাদের এ বিষয়ে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। সাথে থাকবেন আশা রাখছি।
কম টাকায় উচ্চ গতির ইন্টারনেট পাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। আনলিমিটেড প্যাকেজ, স্বল্প মূল্য এবং নিরবিচ্ছিন্ন সঠিক গতির নিশ্চয়তার কারণে অধিকাংশ মানুষ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করতে আগ্রহী। কিন্তু আমাদের দেশের খুব কম জায়গাতেই পাওয়া যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবসা যদিও অনেক কম ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু এব্যবসা সম্পর্কে জানার সীমাবদ্ধতার কারনে শুরু করতে পারছেন না অনেকেই।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা মূলত ইন্টারনেট ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা। বিভিন্ন ভাবেই মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। যেমন ওয়ারল্যাস, ওয়াইফাই, ওয়াইম্যাক্স, ব্রডব্যান্ড। এগুলোর মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সবচেয়ে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া যায় গ্রাহকদের।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবসা করতে সর্বপ্রথম ধারনা নিন আপনার নির্ধারিত ব্যবসায়িক এলাকায় কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা কেমন। যদি সন্তোষজনক হয় তাহলে শুরু করতে পারেন। ব্রডব্যান্ড ব্যবসা করার জন্য বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স নিতে হবে আপনাকে। লাইসেন্স করার জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।  ফরমে বর্ণিত সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করে বিটিআরসি হেড অফিসে জমা দিতে হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আবেদন করার তিন মাসের মধ্যেই লাইসেন্স পেয়ে যাবেন আপনি। লাইসেন্স পাওয়ার পর আপনাকে কিনতে হবে ব্যান্ডউইথ।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসার জন্য সবার আগে প্রয়োজন হবে ব্যান্ডউইথ। আর ব্যান্ডউইথ আসে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে। তাই প্রথমে দেখতে হবে যে আপনার ব্যবসায়ীক এলাকায় অপটিক্যাল ফাইবার আছে কিনা। শুধু ফাইবার থাকলেই হবে না কানেকশন দেওয়ার পপস পোর্টও থাকতে হবে। বিটিসিএলের ফাইবার লাইনের পপস পোর্ট আছে শুধুমাত্র জেলা শহরগুলোতে। তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। মোবাইল অপারেটরদের ৩জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কারণে এখন গ্রাম পর্যায়েও অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছে গেছে। বেসরকারি আইআইজি  (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) গুলো প্রায় সারাদেশে তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে। আপনাকে সেসব আইআইজি এর কাছ থেকে জেনে নিতে হবে আপনার এলাকায় তাদের অপটিক্যাল ফাইবারের পপস পোর্ট আছে কিনা।
কম দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে ও সারাদেশে নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে এমন কয়েকটি আইআইজি হল বিটিসিএল, ম্যাঙ্গো টেলিকম, সামিট কামিউনিকেশন, বাংলা ফোন, ভার্গো কামিউনিকেশন, ফাইবার এ্যাট হোম, নভোকম ও বিডি লিংক কামিউনিকেশন। আমাদের দেশে মোট ৩৬ টি ব্যান্ডউইথ প্রোভাইডার রয়েছে। আপনি এদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যে ব্যান্ডউইথ কিনে নিতে পারবেন।
যদি আপনার কাছাকাছি পোর্ট থাকে তাইলে ব্যবসা শুরু করতে আর বাধা নেই। কাছাকাছি না হয়ে একটু দূরে পোর্ট থাকলে সেখান থেকেও রেডিও লিংক করে আনতে পারবেন। আর যদি পপস পোর্টের দূরত্ব বেশি হয় তাইলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ নিতে পারবেন বা মাইক্রোওয়েভ দ্বারা কানেক্টেড মোবাইল টাওয়ারের বিটিএস থেকেও নিতে পারবেন ব্যান্ডউইথ। তবে এই দুই পদ্ধতিতেই ব্যান্ডউইথের দাম অনেক বেশি পরবে। বিভাগীয় শহরগুলিতে অনেক আইএসপি কম দামে সাবলাইন দিয়ে থাকে। তাদের থেকে ব্যান্ডউইথ নিয়েও ব্যবসা করতে পারবেন আপনি।
fibre-internet_718ব্রডব্যান্ড ব্যবসা করতে হলে আপনাকে কিছু যন্ত্রপাতি কিনতে হবে। সেগুলি হল স্পিড কন্ট্রোল করার জন্য মাইক্রোটিক রাউটার, মিডিয়া কনভার্টার, ক্যাবল,  পিসি, বেজ ষ্টেশন স্থাপন করার জন্য সুইচ ও বক্স। সেই সাথে আপনাকে চব্বিশ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হবে মাইক্রোটিক রাউটার চালু রাখার জন্য।
প্রাথমিক ভাবে দুই লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলেই শুরু করতে পারবেন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ব্যবসা।  পর্যায়ক্রমে ব্যবসার পরিধির উপর বিনিয়োগ বাড়াতে হবে আপনাকে। প্রাথমিক বিনিয়োগ থেকে আপনি প্রতি মাসে বিশ থেকে পঁচিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। ব্যবসার পরিধি বাড়ার সাথে সাথে আয়ের পরিমানও বাড়বে।
প্রথমেই বলেছি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায় ঝুঁকি অনেক কম। কারণ এই ব্যবসায় শুরুতেই একবার সব কিছু স্থাপন করে নিলে তারপর ব্যান্ডউইথ কেনা ছাড়া তেমন কোন খরচ নেই। বর্ষাকালটা যদিও ব্রডব্যান্ড ব্যবসার জন্য শত্রুতামুলক আচরন করে। কারন বজ্রপাতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।
আপনার ব্যবসায়িক এলাকায় আপনি যে ব্রডব্যান্ড ইন্টানেটের সার্ভিস নিয়ে এসেছেন সেটা তো মানুষকে জানাতে হবে। আর এর জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রচার করতে হবে। যেহেতু আপনি একটা এলাকা টার্গেট করে ব্যবসায় নামবেন সেহেতু  মার্কেটিং এর জন্য আপনাকে তেমন বড় বাজেট রাখতে হবে না। লিফলেটে আপনার প্যাকেজ সমূহ, প্যাকেজ মূল্য, স্পিড, শর্তাদি ইত্যাদি বিস্তারিত লিখে আপনার টার্গেটকৃত এলাকায় বিতরণ করতে হবে। আগে থেকেই কোন আইএসপি থাকলে তাদের সাথে কম্পেয়ার করে রেট নির্ধারণ করতে হবে। এ ছাড়া সরাসরি বাসায় বাসায় গিয়ে, মাইকিং করে, ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে, পরিচিত মহলকে অনুরোধ করেও মার্কেটিং করতে পারেন।
এই ব্যবসা যেহেতু ব্যবহারকারী ভিত্তিক এবং এক ব্যবহারকারীর সাথে আরেক ব্যবহারকারী সম্পর্কযুক্ত থাকে তাই আপনার বর্তমান ব্যবহারকারীদের বিশেষ ডিসকাউন্টের অফার দিয়ে প্রভাবিত করেও উইজার বাড়াতে পারবেন। এ ছাড়াও এমন ঘোষণা দিতে পারেন প্রথম নির্দিষ্ট সংখ্যার কিছু ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট পাবেন। এতে করে দ্রুত কাস্টমার পাওয়া আপনার জন্য সহজ হবে।
এই ব্যবসায় আপনি কর্মী নিয়োগ দিতে চাইলে দেখতে হবে সে মাইক্রোটিক রাউটার কন্ট্রোলিং এর কাজ জানে কিনা, নতুন পোর্ট বানানো, সুইচ, কানেকশন দিতে পারে কিনা, যোগাযোগ দক্ষতা কেমন, মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা কেমন। এ ছাড়াও যোগ্যতা হিসেবে বাই সাইকেল চালানো জানলে বাড়তি সুবিধা পাবেন। কেননা দূর দূরান্তে গিয়ে লাইন ঠিক করতে হবে।
আপনার কাস্টমারদের সার্বক্ষণিক সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে আপনাকে। তারা খারাপ কিছু করলেও তাদের উপর রাগ করা যাবে না। গভীর রাতেও অনেকে ফোন করতে পারে আপনার সেবার জন্য। তাতে বিরক্ত হওয়া চলবে না আপনাকে।