শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬

ক্যারিয়ার গড়তে আউটসোসিং এর ক্ষেত্র চিনুন

ক্যারিয়ার গড়তে আউটসোসিং এর ক্ষেত্র চিনুন…

ফ্রীলান্সিং কিংবা আউটসোর্সিং যাই বলুন না কেন তরুন প্রজন্মের প্রায় বেশীরভাগের কাছে এ নিয়ে কৌতূহল দিন দিন বেড়েই চলছে । চাকরি নামক সোনার হরিণ দিনে দিনে দুর্মূল্য হয়ে ওঠায় তরুন থেকে বয়স্ক বিশেষ করে বেকারদের কাছে আগ্রহের বিষয়ে পরিনত হয়েছে।
আসুন আমরা প্রথমে শব্দ দুটোর সাথে পরিচিত হই।
আপাত দৃষ্টিতে ফ্রীলান্সিং এবং আউটসোর্সিং একই অর্থে ব্যবহার করা হলেও দুটোর মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে।
আউটসোর্সিং বলতে আমরা বুঝি ঘরে বসে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে কাজ করে আয় করা।
ফ্রীলান্সিং হচ্ছে স্বাধীন ভাবে কোন কাজ করা। মুক্ত পেশা। যেমন ধরুন, ব্যবসায় করা। এখানে আপনার কোন অফিসিয়াল প্রেসার নাই, আপনি নিজেই নিজের বস। এক্ষেত্রে শুধু ফ্রীলান্সিংকে একক ভাবে আউটসোর্সিং বলা চলে না। আবার নিজ দেশের কাজ বা স্থানীয় কাজকেও আউটসোর্সিং বলা যায় না।
তবে যেহেতু  ইন্টারনেটে  কাজ করা নিজের স্বাধীনতার উপর নির্ভর করে, তাই আউটসোর্সিং ও ফ্রীলান্সিং শব্দ দুটি একই অর্থে  ব্যবহার  করা হয়।
বর্তমানে আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্র সমুহঃ
13342205_560357414142675_1017321887_n
•    COMPUTER PROGRAMMING,
•    WEB DESIGN,
•     ‍ৃGRAPHIC DESIGN,
•    WEBSITE DEVELOPMENT,
•     VIDEO EDITING,
•     VIDEO PRODUCTION,
•     TRANSLATING,
•    ILLUSTRATING
•     MUSIC
•     JOURNALISM
•    PUBLISHING
•     SCREENWRITING,
•     FILM MAKING,
•     ACTING,
•     PHOTOJOURNALISM,
•     COSMETICS,
•    FRAGRANCES,
•     EDITING,
•    PHOTOGRAPHY,
•    EVENT PLANNING,
•    EVENT MANAGEMENT,
•     COPY EDITING,
•     PROOFREADING,
•    AUTHOR EDITING,
•     INDEXING,
•    COPY WRITING,
•     WRITING,
•     CONSULTING,
•     TOUR GUIDING,
•    POST-SECONDARY EDUCATION,
ইত্যাদি
ফ্রীলান্সিং মার্কেটপ্লেসে হাজার হাজার  কাজ আপেক্ষা করছে আপনার জন্য । ফ্রীলান্সিং এ সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি, সেটি হল আত্মবিশ্বাস । আপনাকে নিজের উপর প্রচুর আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে । তার আগে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে। হুজুগে নয় বরং নিজেকেই প্রশ্ন করুন আপনার পছন্দের বিষয় কোনটি । তারপর প্রয়োজনীয় ট্রেনিং আর প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে শুরু করুন আজ থেকেই।
আপনি এখন ভাবতে থাকুন আদৌও ফ্রীলান্সিং পেশায় আসবেন কিনা?  আর আসতে চাইলে কোন বিষয়টা আপনি মন থেকে পছন্দ করছেন…।
চলবে…
লেখক: সিরাজুম মুনিরা

বিনামূল্যে এসইও প্রশিক্ষণ

বিনামূল্যে এসইও প্রশিক্ষণ

এসইও কী?
এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) হচ্ছে এমন কিছু পদ্ধতি, যার মাধ্যমে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের (যেমন : Google, Bing, Yahoo) রেজাল্ট পেজে আপনার সাইট/ব্লগের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায় এবং এর ফলে সাইটে কাঙ্ক্ষিত টার্গেটেড ট্রাফিক আনা সম্ভব হয়।
আরো সহজভাবে বললে, বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের (যেমন : Google, Bing, Yahoo) নির্ধারিত নিয়মনীতি অনুসরণ করে আপনার সাইট/ব্লগকে ওই সব সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে নিয়ে আসার প্রক্রিয়াটিকেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলে।
এসইও কেন দরকার?
আমরা আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে বা সেবাদানের লক্ষ্যে ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকি। কিন্তু এই ওয়েবসাইট তৈরির মূল উদ্দেশ্য থাকে কাঙ্ক্ষিত ট্রাফিক/ভিজিটর। কারণ, আপনার সাইটে যদি ট্রাফিক না আসে, তাহলে ওই সাইট থেকে আপনি কোনো প্রকার সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। আর সাইটে ট্রাফিক/ভিজিটর বেশি পেতে হলে এটিকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজের ওপরের দিকে নিয়ে আসতে হবে।
কেননা, অধিকাংশ ট্রাফিকই আসে সার্চ ইঞ্জিনে বিভিন্ন কি-ওয়ার্ডের মাধ্যমে সার্চ করে। আর এসব সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্কিংয়ে আসতে হলে আপনার সাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনের নিয়মনীতি অনুসরণ করে যথাযথভাবে অপটিমাইজড করতে হবে। তাহলেই আপনি সার্চ ইঞ্জিনগুলো থেকে ভালো মানের ট্রাফিক পেতে পারেন এবং আপনি লাভবান হতে পারবেন। কারণ, ট্রাফিক = প্রফিট। ট্রাফিক যত বাড়বে, আপনার আয়ও তত বৃদ্ধি পাবে।
বাইরের বিভিন্ন দেশে যেকোনো ছোট-বড় ব্যবসা বা ব্যক্তিগত কাজের জন্য ওয়েবসাইটকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাদের সব কাজই অনলাইনের মাধ্যমে হয়ে থাকে। আর এ কারণেই তারা যার যার নিজস্ব সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্কিংয়ে আনতে চায়। তখনই তাদের প্রয়োজন পড়ে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের। কারণ, এসইও ছাড়া কোনো সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে ভালো অবস্থানে নিয়ে আসা সম্ভব নয়।
আমাদের দেশেও এখন ছোট/বড় ব্যবসার জন্য বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অনেক ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। আর এসব সাইটের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে, অর্থাৎ সাধারণ জনগণের কাছে কাঙ্ক্ষিত কি-ওয়ার্ডের ভিত্তিতে এসব সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের র‍্যাঙ্কিংয়ে আনার জন্য এসইও দরকার।
আর এভাবেই ছোট/বড় সব সাইটের পরিচিতি ও ট্রাফিক বৃদ্ধির জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে বাংলাদেশেও অনেক গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে এবং যতই দিন যাচ্ছে, এর চাহিদা ততই বাড়ছে। কারণ, এসইও একটি চলমান বা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।
এসইও কাদের দরকার?
আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, এসইও কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ বা কেন এর চাহিদা এত বেশি। তাহলে এবার আসুন দেখা যাক, কাদের এই এসইও সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন।
বর্তমান যুগ অনলাইনের। এখন সবার কাছেই যেকোনো তথ্য বা সেবা পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে এই ইন্টারনেট। বাসায় ডেস্কটপ, ল্যাপটপ ছাড়াও আমরা অনেকেই এখন মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি এবং এর ব্যবহার ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা দৈনন্দিন বিভিন্ন চাহিদা পূরণের জন্য এই ডিভাইসগুলো ব্যবহার করে থাকি।
অনলাইন সেবার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি ঘরে বসেই পেয়ে যাই। যেভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, সেভাবে অনলাইনে সেবাদানকারী সাইটের সংখ্যাও বাড়ছে। কয়েকটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়ে যাবে।
মনে করি, আপনি একটি ছোট্ট বুটিক হাউস বা রেস্টুরেন্ট চালাচ্ছেন। আপনি চাইছেন, আপনার শহর বা এলাকার মধ্যে কেউ যদি আপনার এই সেবা অনলাইনে পেতে চায়, তাহলে সে যেন আপনার ওয়েবসাইটটিকে বুটিকস বা রেস্টুরেন্টকেন্দ্রিক যেসব কি-ওয়ার্ড আছে, এমন কিছু কি-ওয়ার্ডের জন্য আপনার সাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম দিকে পায়। তাহলে আপনার ব্যবসার পরিচিতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আপনার ব্যবসাকেও আরো উন্নতির পথে নিয়ে যাবে।
এখন বিষয়টি হচ্ছে, এটি কীভাবে সম্ভব যে লাখ লাখ ওয়েবসাইটের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট কি-ওয়ার্ডের জন্য আপনার সাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে নিয়ে আসবে। এর জন্য যা দরকার, তা হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি সাইট, যা একমাত্র যথাযথ এসইও এর দ্বারাই সম্ভব।
তাই যাদের এমন ছোট/বড় ব্যবসা আছে বা ই-কমার্স সাইট আছে বা সাইট করতে আগ্রহী, তাদের অবশ্যই এসইও জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। কারণ, এসইও ছাড়া কখনই একটি সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের র‍্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। আর সাইট যদি র‍্যাঙ্কিংয়ে না আসে, তাহলে আপনি ট্রাফিক পাচ্ছেন না আর ট্রাফিক না পেলে সেই সাইট থেকে কোনো প্রকার টাকা আসবে না।
এ ছাড়া এখন অনেকেই নিজের ব্যান্ডিং/পরিচিতির জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করেন এবং এর মাধ্যমে অনলাইন/ভার্চুয়াল জগতে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখেন। ধরুন, আপনার নিজের নামে আপনি একটি সাইট তৈরি করেছেন এবং সাইটটি যথাযথ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের দ্বারা সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি করেছেন। এখন যদি কেউ আপনাকে সার্চ ইঞ্জিনে (যেমন : গুগল) গিয়ে আপনার নাম লিখে সার্চ করে এবং আপনার সাইটটিকে যদি প্রথমে পায়, তাহলে আপনি নিজেই ভেবে দেখুন আপনার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু বেড়ে যাবে এবং এটি আপনার ব্র্যান্ডিং বা পরিচিতির ক্ষেত্রে কতটুকু ভূমিকা রাখবে।
সুতরাং শুধু ব্যবসার জন্যই নয়, নিজের ব্রান্ডিং/পরিচিতির বা বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে একটি ওয়েবসাইট থাকা দরকার। আর এই ওয়েবসাইটকে বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটা সহজ মাধ্যম হলো এসইও।
seo
কীভাবে এসইও শিখবেন?
এসইও শেখার শুরুটা অনেক সহজ। আপনার বেসিক কিছু জ্ঞান থাকলেই আপনি এসইও শিখতে পারবেন, যেমন—
প্রাথমিক কম্পিউটার জ্ঞান : আপনার কম্পিউটারের সাধারণ ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। কম্পিউটার সঠিকভাবে চালনা করতে জানতে হবে।
ইন্টারনেট জ্ঞান : আপনার প্রাথমিক ইন্টারনেট জ্ঞান থাকতে হবে। ইন্টারনেট কী এবং এটি ব্যবহার করে আমরা কী করতে পারি, এ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
ব্রাউজিং সম্পর্কে ধারণা : আপনাকে ইন্টারনেট ব্রাউজিং সম্পর্কে জানতে হবে। কীভাবে সহজেই আপনি ইন্টারনেট ব্রাউজিং করে সঠিক তথ্য বের করতে পারবেন, এ দক্ষতা থাকতে হবে।
ইংরেজি দক্ষতা : আমি আগেও বলেছি যে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে ভালো করতে হলে ইংরেজিতে ভালো দখল থাকতে হবে। আপনার ইংরেজি জ্ঞান ভালো হলে আপনি আরো ভালোভাবে এসইওর কাজ বুঝতে/করতে পারবেন। কেননা, আপনাকে এসইওর আপডেট সম্পর্কে জানতে হলে প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে আর এটি অবশ্যই ইংরেজিতে।
যদিও বললাম যে এসইও শেখাটা সহজ, তবে এর গভীরতা অনেক। কেননা, এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং আপনার নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে হলে সব সময় কাজ চালিয়ে যেতে হবে, নতুন নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে এবং এগুলোর সঠিক প্রয়োগ বুঝতে হবে।
কীভাবে এসইও ক্যারিয়ার শুরু করবেন?
এসইওতে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে আপনি যেকোনো আইটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে পারেন, যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ক্লায়েন্টকে এসইও সেবা প্রদান করে। এতে করে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে এবং আপনি বুঝতে পারবেন যে বর্তমানে এসইওর কাজ কীভাবে করা হয়ে থাকে।
এ ছাড়া একটি সাইটের সম্পূর্ণ এসইও কীভাবে করা হয়, এ সম্পর্কেও জানতে পারবেন। কেননা, আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে সম্পূর্ণ এসইওর কাজ নাও পেতে পারেন। তাই এখান থেকে একটি ভালো ধারণা লাভ করতে পারবেন।
কিন্তু একটি বড় সমস্যা হচ্ছে, এসব প্রতিষ্ঠান আপনাকে অভিজ্ঞতা ছাড়া কাজে নিতে চাইবে না। হয় আপনার এসইও কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, তা না হলে আপনার কোনো মানসম্মত প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেশন থাকতে হবে। আপনি যেখান থেকে ট্রেনিং নিচ্ছেন, এর গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু বা আপনাকে যিনি প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তাঁর জ্ঞানের পরিধি কতটুকু বা তিনি একজন প্রসিদ্ধ প্রশিক্ষক কি না, এ বিষয়গুলো লক্ষ করুন।
একটি ভালো মানের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিলে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যাবে, তাহলে এটি আপনার কাজ পেতে অনেক সাহায্য করবে।
আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করার মাধ্যমেও আপনার এসইও ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। বর্তমানে এমন অনেক ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেখানে অসংখ্য এসইও রিলেটেড কাজ পাবেন। এখান থেকে আপনার পছন্দ/যোগ্যতা অনুযায়ী কাজে বিড করে কাজটি করতে পারবেন। এখানে আপনি এসইওর বিভিন্ন অংশের ছোট/বড় অনেক কাজ পাবেন। এখানে কাজ করার মাধ্যমেও আপনি অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
বিনামূল্যে এসইও প্রশিক্ষণ
আপনি যদি মানসম্মত এসইও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে চান, তাহলে বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে Skills for Employment Investment Program (SEIP) প্রজেক্ট BASIS institute of Technology & Management (BITM)-এর মাধ্যমে এসইও কোর্সে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন এবং এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এখানে গিয়ে আপনি রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

চাকুরীই খুঁজবে আপনাকে

চাকুরীই খুঁজবে আপনাকে

11987205_622824877821304_1205549035148569085_nযারা ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ভাল দিক নির্দেশনা পাচ্ছেন না অথবা প্রশিক্ষনের জন্য জানা নেই কোথায় যাবেন তাদের জন্য ইনফোপিডিয়ার একটা লিখা প্রকাশ করলাম। আশা করছি লিখাটি আপনাদের উপকারে আসবে। লিখাটি পড়তে আপনাকে একটু সময় ব্যয় করতে হবে।
বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে শর্ত জুড়ে দেয়া হয়, প্রার্থীর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রথমেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় এই ‘অভিজ্ঞতা’। ভাইবা বোর্ডেও জানতে চাওয়া হয়, পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে কি না। কেবল চাকরি করাটাই কী হতে পারে অভিজ্ঞতা? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন অন্য কথা! বিভিন্ন পেশা পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিলে অভিজ্ঞতার অভাব অনেকটাই পূরণ হতে পারে।সাংবাদিকতা
সাংবাদিকতা অনেকের কাছেই স্বপ্নের পেশা। দিনে দিনে বেড়েই চলেছে এ পেশার ক্ষেত্র, সেই সঙ্গে বাড়ছে সম্মান। চ্যালেঞ্জিং এই পেশায় আসতে চান অনেকেই। এখন অনেক মেধাবীরা যুক্ত হচ্ছেন সাংবাদিকতা পেশায়। পেশাদারিত্ব থাকলে এ পেশায় উন্নতি করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। সাংবাদিকতা পেশায় আসতে চাইলে প্রশিক্ষণ দরকারি। সবচেয়ে ভালো হয় সরাসরি কোন প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে পারলে। সাংবাদিকতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠান-
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া
২৫৭/৮ এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন ঢাল, ঢাকা-১২০৫
ফোন: ৮৬০৭৯১২, ০১৭১৫৮২২৭৭৮।
প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি)
৩ সার্কিট হাউস রোড, ঢাকা-১০০০
ফোন: ৯৩৩০০৮১-৪।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট
১২৫/এ, দারুস সালাম রোড, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬
ফোন: ৯০০৭৪১০-৪ সংবাদ উপস্থাপনা
টেলিভিশনে সংবাদ উপস্থাপনা হাল সময়ে তুমুল জনপ্রিয় একটি পেশা। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা আগ্রহী হচ্ছেন এ পেশায়। পড়াশোনার পাশাপাশি বা পড়াশোনা শেষ করেও সংবাদ উপস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। তবে এর জন্য প্রশিণ দরকারি। শুদ্ধ উচ্চারণ, বাচনভঙ্গিও গুরুত্বপূর্ণ। আর ভালো সংবাদ উপস্থাপক হতে হলে অবশ্যই প্রশিণ নিতে হবে। এ বিষয়ে প্রশিণ দেয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠান-
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেকট্রনিক মিডিয়া
২৫৭/৮, এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন, ঢাকা
ফোন : ৮৬০৭৯১২, ০১৭১৫৮২২৭৭৮।
জবস এ ওয়ান ডটকম
বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা
ফোন : ৮১৪২২৮০, ০১৭২৬৬৯২০০০-২।
অদ্রি
আজিজ সুপার মার্কেট (৩য় তলা), শাহবাগ, ঢাকা
ফোন : ০১৭১১৪০৭৪৯৫।
তৈরি
২/৪ নবাব হাবিবুল্লাহ রোড (৪র্থ তলা), শাহবাগ, ঢাকা
ফোন: ০১৫৫২৪৪৯৯৪৭।
কল সেন্টার
কল সেন্টার হলো টেলিকমিউনিকেশনের মাধ্যমে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ওই কোম্পানির সুযোগ-সুবিধা, কার্যক্রম ইত্যাদি বিস্তারিত তথ্য গ্রাহকদের টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়াই কল সেন্টারের কাজ। বাংলাদেশ সরকার ২০০৮ সাল থেকে কল সেন্টার স্থাপনের লাইসেন্স দিতে শুরু করেছে। এটি শুধু আমাদের দেশ নয়, সারাবিশ্বের প্রোপটেই একটি সম্ভাবনাময় পেশা। পূর্ণকালীন চাকরির পাশাপাশি খন্ডকালীন চাকরিরও সুযোগ আছে কলসেন্টারে। এ বিষয়ে প্রশিণের জন্য খুব বেশি প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশে এখনও গড়ে উঠেনি। কিছু প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা-
ইনস্টিটিউট অব কল সেন্টার টেকনোলজি
১৩বি, সেন্টার পয়েন্ট, কনকর্ড (১১ তলা), ফার্মগেট, ঢাকা
ফোন: ৯১৩৯৬৩৩, ০৬৬৬-২৬১৭৭২৭।
হিরো মাইন্ডমাইন
বাড়ি-৩৫/বি, রোড-৯/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৯১৪৫১৩৮-৩৯।
উত্তরা শাখা- বাংলাদেশ আউটসোর্সিং সেন্টার, ২৫, সোনারগাঁ জনপথ, সেক্টর-৯, উত্তরা, ঢাকা
ফোন: ০১৮২০২২২২১১।
ওয়ান কল
যোগাযোগ : বাড়ি-১২১ (৩য় তলা), রোড নং-১৯/এ, ব্লক-ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন: ০১৭১৩১৯০০৪৫-৯।
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা
একটি প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, কর্মী নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা, সংগঠিতকরণ এবং বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় করাই মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কাজ। আর যিনি এ কাজটি করে থাকেন, তিনি মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক। বর্তমানে প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠানেই এই বিভাগ আছে এবং এ পেশার ক্ষেত্র বেড়েই চলেছে। তবে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি ওক সহজ নয়। এর জন্যই চাই প্রশিণ। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠান-
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম)
৪, সোবহানবাগ, মিরপুর রোড, ঢাকা
ফোন: ৮১১৭৪১০৫-৭।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট
৯, ইন্দিরা রোড, ফার্মগেট, ঢাকা
ফোন: ৯১৪২৪৬৪, ০১৮১৭০১১৪০৬।
বিয়াম ফাউন্ডেশন
৬৩ নিউ ইস্কাটন, ঢাকা
ফোন: ৯৩৩৩০১৪।
ইনস্টিটিউট অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট
কনকর্ড পয়েন্ট, ফার্মগেট, ঢাকা
ফোন: ৯১১৩৯৩২।
হোটেল ম্যানেজমেন্ট
হোটেল বা পর্যটন সেবার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য হোটেল ম্যানেজমেন্ট পেশার অনেক চাহিদা রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি হোটেলে জেনারেল ম্যানেজার, অ্যাকোমোডেশন ম্যানেজার, ক্যাটারিং, ফুড, বেভারেজ ম্যানেজার, এন্টারটেইনমেন্ট কো-অর্ডিনেটর, রেসিডেন্ট ম্যানেজার, ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজার, কনভেনশন সার্ভিসেস ম্যানেজার, অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার, এক্সিকিউটিভ হাউসকিপারসহ অনেক পদে চাকরির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মাধ্যমে ৬টি কোর্সের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। কোর্সগুলো হল-
১. ন্যাশনাল সার্টিফিকেট কোর্স ইন ফুড অ্যান্ড বেভারেজ: রেস্তোরাঁ প্রিপারেশন, টেবিল সাজানো, হাইজিন, স্যানিটেশন ইত্যাদি শেখানো হয়।
২. ন্যাশনাল সার্টিফিকেট কোর্স ইন ফ্রন্ট অফিস
অভ্যর্থনা প্রণালী, টেলিফোন ম্যানার্স, বিলিং ক্যাশ রেকর্ড ইত্যাদি এই কোর্সের অন্তর্ভুক্ত।
৩. ন্যাশনাল সার্টিফিকেট কোর্স ইন ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাকশন
দেশি, চাইনিজ, ইউরোপিয়ান, ইন্ডিয়ান ইত্যাদি খাদ্য প্রস্তুত, ডেকোরেশন, হাইজিন ইত্যাদি শেখানো হয়।
৪. ন্যাশনাল সার্টিফিকেট কোর্স ইন হাউসকিপিং অ্যান্ড লন্ড্রি
রুম ডেকোরেশন, বেড তৈরি, কিনিং, লন্ড্রি ইত্যাদি বিষয় প্রশিণ দেয়া হয়।
৫. ন্যাশনাল সার্টিফিকেট কোর্স ইন ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেশন
ট্রাভেল এজেন্সি অপারেশন, ট্যুর অপারেশন অ্যান্ড ট্যুর গাইডিং, ট্রাভেল সার্ভিস ইত্যাদি শেখানো হয়।
৬. ন্যাশনাল সার্টিফিকেট কোর্স অন বেকারি অ্যান্ড পেস্ট্রি
ফাস্ট ফুড শপ ও বেকারি পরিচালনার ক্ষেত্রে ডেজার্ট আইটেম প্রস্তুত প্রণালী, ডেকোরেশন ইত্যাদি শেখানো হয়।
যোগাযোগ : ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, ৮৩-৮৮ মহাখালী, ঢাকা-১২১২
ফোন: ৯৮০০২৮৮-৯৯।
এসব বিষয়ে প্রশিণ দেয় এমন আরও কিছু প্রতিষ্ঠান-
রাজমনি ঈশা খাঁ হোটেল ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
৮৯/৩ ভিআইপি রোড, কাকরাইল, ঢাকা
ফোন: ৯৩৩০১৪০-৪৪।
বাংলাদেশ হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
১৪৭/ডি, গ্রিন রোড, ঢাকা
ফোন: ৯১৪৩৬৫৪।
পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
এনেক্স ভবন, ১, দিলকুশা বা/এ, ঢাকা
ফোন: ৯৫৫২২২৯।
ভিডিও এডিটিং
নাটক বা সিনেমার জন্য ধারন করা বিভিন্ন দৃশ্য কাটছাঁট করে দৃশ্যের পর দৃশ্য সাজিয়ে পূর্ণ নাটক বা সিনেমায় রূপান্তরিত করাটাই হচ্ছে ভিডিও এডিটিং। যিনি এই কাজটি করেন তাকে ভিডিও এটিটর বলা হয়। সাউন্ড এফেক্ট, আলো ও রঙের সমন্বয়, ডাবিং প্রভৃতিও একজন ভিডিও এডিটরের কাজ। আসছে নতুন নতুন টিভি চ্যানেল, বাড়ছে ভিডিও এডিটরদের কাজের ক্ষেত্র। শুধু ইলেকট্রনিক মিডিয়া নয়, ভিডিও এডিটিং জানা থাকলে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থা ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পেতে পারেন। এ বিষয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণ দেয়। কিছু প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা-
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট
১২৫/এ দারুস সালাম রোড, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬
ফোন: ৯০০৭৪১০-৬।
ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
৬৪/৩ লেক সার্কাস (৪ ও ৫ তলা), কলাবাগান, ঢাকা
ফোন: ০১৭১১৪৫২২৪৬।
আনন্দ মাল্টিমিডিয়া
১৮৮, মতিঝিল সার্কুলার রোড, ঢাকা
ফোন: ৭১০১৩৫৪।
অ্যাপটেক এরিনা
বাড়ি-৪০৫, রোড-২৭, ধানমণ্ডি, ঢাকা
ফোন: ৯১১১২৫৩।
আনন্দ ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি
৮/৬, সেগুনবাগিচা, ঢাকা
ফোন: ৯৫৫৪৭৩১, ০১৭১১৮২২৬১৯।
ন্যাশনাল ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ
১৬/৩, লেক সার্কাস রোড, কলাবাগান, ঢাকা
ফোন: ৯১১৬৪৯০, ০১৮১৯২২৮২৪৭।
ফটোগ্রাফি
স্থির চিত্র অর্থাৎ ক্যামেরায় ছবি তোলা আপাত দৃষ্টিতে খুব সহজ মনে হতে পারে। কাজটি আসলে সহজ নয়। কোন ছবি কোন অ্যাঙ্গেলে, কতটুকু আলোয় তুলতে হবে- এ বিষয়েগুলো সম্পর্কে ধারণা না থাকলে ভালো ছবি তোলা সম্ভব নয়। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির জন্য প্রশিক্ষণ খুবই দরকারি একটি বিষয়। ভালো ছবি তোলা জানলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ তো রয়েছেই, নিজেরও হতে পারে একটি ফটোস্টুডিও। বিভিন্ন মিডিয়া ও বিজ্ঞাপনী সংস্থাতেও রয়েছে অনেক কাজের সুযোগ। ফটোগ্রাফি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা দেয়া হলো-
পাঠশালা
১৬, শুক্রাবাদ, পান্থপথ, ঢাকা
ফোন: ৯১২৯৮৪৭, ৯১৩৬৮৯৫।
বেগ আর্ট ইনস্টিটিউট অব ফটোগ্রাফি
৮৩, ল্যাবরেটরি রোড, ঢাকা
ফোন: ০১৭১৬-৬৬৩৭৫৭।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি
টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ফোন: ০১৭১১-৫৮৮১৪২।
চঞ্চল মাহমুদ ফটোগ্রাফি
বাড়ি নং-১, সড়ক নং-২, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৯৬৬০৬৫১।
ঢাকা ফটোগ্রাফিক ইনস্টিটিউট
২১৮, এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫
ফোন: ৯০১৪২১৩।
এয়ার হোস্টেস, কেবিন ক্রু
বিমানে যাত্রীদের সার্বণিক সেবার কাজটি যারা করে থাকেন, তারাই এয়ার হোস্টেস বা বিমানবালা। আর বিমানের পরিচ্ছন্নতা, আকাশে সি পকেট সম্পর্কে তথ্য দেয়া, ইমার্জেন্সি ইকুইপমেন্ট ও ফাস্ট এইড ঠিকঠাক আছে কি না ইত্যাদি কাজ যারা করে থাকেন, তাদের কেবিন ক্রু বলা হয়ে থাকে। রোমাঞ্চকর এ পেশায় বর্তমানে অনেক তরুণ-তরুণীই আগ্রহী হচ্ছেন। তবে এর জন্য নির্দিষ্ট বয়সসীমা, উচ্চতা ও দৃষ্টিশক্তির বিষয়গুলোও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখা হয়। যোগাযোগ করতে পারেন-
ওয়েস্ট উইন্ড বাংলাদেশ
৩/৬ লালমাটিয়া, ব্লক-এ, ঢাকা-১২০৭
ফোন: ৯১৪৩৩০৬, ০১৭২৬১০৩৮২৪।
বাংলাদেশ এভিয়েশন একাডেমি
স্যুট নং-১/বি, বাসা নং-৩২, পার্ক রোড, বারিধারা, ঢাকা-১২১২।
জবস এ ওয়ান
বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা
ফোন: ৮১৪৪৪৬০, ৮১৪২২৮০।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রশিণ ইনস্টিটিউট নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটিতে পাঁচটি অনুষদ রয়েছে। এর মাধ্যমে অনেক বিষয়ে হাতে-কলমে শিখে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। এগুলো হল-
১. শিল্পোদ্যোক্তা উন্নয়ন অনুষদ: (ক) উদ্যোক্তা উন্নয়ন (খ) ক্ষুদ্র শিল্প/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (গ) গ্রামীণ উদ্যোগ উন্নয়ন (ঘ) গ্রামীণ মহিলা উদ্যোক্তা উন্নয়ন।
২. শিল্প ব্যবস্থাপনা অনুষদ: (ক) শিল্প ব্যবস্থাপনা (খ) পণ্যমান ব্যবস্থাপনা (গ) ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট (ঘ) কুটির শিল্প ব্যবস্থাপনা (ঙ) উৎপাদন ব্যবস্থাপনা।
৩. সাধারণ ব্যবস্থাপনা অনুষদ: (ক) অফিস ব্যবস্থাপনা (খ) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (গ) ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ঘ) শিল্প প্রসারণ।
৪. অর্থ ব্যবস্থাপনা অনুষদ: (ক) বুককিপিং অ্যান্ড একাউন্টিং (খ) ক্ষুদ্র শিল্প অর্থায়ন (গ) উদ্যোক্তা উন্নয়ন (ঘ) কস্টিং অ্যান্ড প্রাইসিং।
৫. বিপণন ব্যবস্থাপনা অনুষদ: (ক) মার্কেটিং (খ) বাজার সমীক্ষা (গ) বিপণন ও বিক্রয় প্রসার (ঘ) প্রোডাক্ট ম্যানেজিং।
যোগাযোগ: দ্র ও কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট
বাড়ি নং-২৪/এ, সড়ক নং-১৩/এ, সেক্টর-৬, উত্তরা, ঢাকা
ফোন : ৮৯১৩৬৮৪।
ইন্স্যুরেন্স বিষয়ে প্রশিক্ষণ
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমি এ বিষয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য ডিপ্লোমা ও ট্রেনিং কোর্স করিয়ে থাকে। ডিপ্লোমা কোর্স আবার সার্টিফিকেট ও অ্যাসোসিয়েট দুই স্তরে বিভক্ত। সার্টিফিকেট স্তরগুলো হচ্ছে-
ক. রিক্স অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স
খ. কোম্পানি অ্যান্ড কন্ট্রাক্ট ল’ অ্যান্ড দেয়ার অ্যাপ্লিকেশন টু ইন্স্যুরেন্স
গ. প্রপার্টি অ্যান্ড পিকিউলারি ইনসিওরেন্স অথবা ইন্স্যুরেন্স অব দি পারসন
ঘ. বিজনেস এনভায়রনমেন্ট।
অ্যাসোসিয়েটশিপ স্তরগুলো হল-
ক. জীবন বীমা শাখা
খ. সাধারণ বীমা শাখা
১. লাইফ ইন্সুরেন্স প্র্যাকটিস অ্যান্ড অ্যাডমিনস্ট্রেশন
২. লাইফ অ্যাম্বুলেন্স ল’ অ্যান্ড ট্যাক্সেশন
৩. ম্যাথমেটিক্যাল বেসিস অব লাইফ ইন্স্যুরেন্স
৪. ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাসপেক্টস অব লং টার্ম বিজনেস অথবা ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং অব লাইফ ইন্স্যুরেন্স
৫. প্রিন্সিপল অ্যাক্ট প্র্যাকটিস অব ম্যানেজমেন্ট ইন ইন্স্যুরেন্স
৬. বিজনেস কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ।
সাধারণ বীমা শাখার বিষয়-
১. মেরিন ইন্স্যুরেন্স প্রিন্সিপল অ্যান্ড প্র্যাকটিস
২. মেরিন ইন্স্যুরেন্স ল’ অ্যান্ড কেইমস
৩. ফায়ার ইন্স্যুরেন্স ল অ্যান্ড কেইমস
৪. ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্স্যুরেন্স ল’ অ্যান্ড কেইমস
৫. প্রিন্সিপল অ্যান্ড প্র্যাকটিস অব ম্যানেজমেন্ট ইন্স্যুরেন্স
৬. বিজনেস কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ।
ট্রেনিং কোর্স: ইন্স্যুরেন্স একাডেমিতে সাধারণ ও জীবন বীমা শাখায় যে বিষয়গুলোতে প্রশিণ নেয় যায়, সেগুলো হল-
ক. সাধারণ বীমা ট্রেনিং কোর্স
১. প্র্যাকটিস অব ফায়ার ইন্স্যুরেন্স
২. ফান্ডামেন্টাল কোর্স অন জেনারেল ইনসিওরেন্স
৩. প্র্যাকটিস অব ইনসিওরেন্স ম্যানেজমেন্ট
৪. প্র্যাকটিস অব মোটর ইন্স্যুরেন্স
খ. জীবন বীমা ট্রেনিং কোর্স-
১. আন্ডার রাইটিং অ্যান্ড কেইমস ম্যানেজমেন্ট
২. বেসিক কোর্স অন লাইফ ইন্স্যুরেন্স
৩. সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং
যোগাযোগ : বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমি
৫৩, মহাখালী বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১২১২
ফোন: ৯৮৯৯২৯২, ৯৮৯৯২৯৩।
নার্সিং
সেবার প্রশ্ন আসলেই অগোচরে চলে আসে নার্স শব্দটি। উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসার সঙ্গে নার্সিং শব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। চিকিৎসা সাইকেলের ‘চক্রনাভি’ আখ্যা দেয়া হয়েছে নার্সকে। এ পেশায় বিশেষ করে মেয়েরা অনেক বেশি আগ্রহী। এই পেশায় দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে। যদিও অন্যান্য পেশার সঙ্গে নার্সিং পেশাও সম্মানজনক একটি পেশা হিসেবে স্বীকৃত। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে প্রশিণও দিচ্ছে। এরকম দুটি প্রতিষ্ঠান-
উত্তরা নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার
বাড়ি নং-১৬, আলাউল এভিনিউ, সেক্টর-৬, উত্তরা, ঢাকা
ফোন : ৮৯১১৮১৬।
ওয়াইডা হাসপাতাল
২৬৯, স্কুল রোড, ইব্রাহিমপুর, ঢাকা
ফোন : ৯৮৮৯১৬০-৬১।
ভাষা শিক্ষা কোর্স
বিভিন্ন বিদেশি ভাষা জানা থাকলে কাজের কোন অভাব হয় না, একথা হয়তো সবাই স্বীকার করবেন। অনেক প্রতিষ্ঠানই আছে, যারা বিদেশি ভাষা জানে, তাদের খুঁজে নেয়। পর্যটন, অনুবাদকেন্দ্রকে ঘিরেও তৈরি করে নিতে পারেন কর্মক্ষেত্র। আমাদের দেশে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আছে যারা বিভিন্ন ভাষার ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ
এখানে ফরাসি ভাষার ওপর প্রশিণ দেয়া হয়।
যোগাযোগ : ২৬ মিরপুর রোড, কর্নার হাউস, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৪৬১১৫৫৭, ৯৬৭৫২৪৯।
গ্যাটে ইনস্টিটিউট
এখানে জার্মান ভাষার ওপর প্রশিণ দেয়া হয়।
যোগাযোগ : জার্মান কালচারাল সেন্টার, বাড়ি নং-১০, রোড নং-৯ (নতুন), ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৯১২৬৫২৫-৬।
একুশে
কোরিয়ান, স্পোকেন ইংলিশ, আইইএলটিএস, ইতালীয়, জাপানি, জার্মানিসহ ৩০টি ভাষা শেখানো হয়।
যোগাযোগ : ১১/এ, ২/১, মিরপুর-১১, ঢাকা।
ফোন : ৮০৩৫৪০১, ০১৭১৬০২০২০৯।
ব্রিটিশ কাউন্সিল
ইংরেজি শিক্ষার জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠা ব্রিটিশ কাউন্সিল। এখানে জেনারেল ইংলিশ, ইংরেজি গ্রামার ও উচ্চারণ বিজনেস ইংলিশ ও আইইএলটিএস প্রিপারেশন কোর্স করানো হয়।
যোগাযোগ : ব্রিটিশ কাউন্সিল, ৫ ফুলার রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন : ৮৬১৮৯০৫-৭।
ব্রিটিশ কাউন্সিল টিচিং সেন্টার, ৭৫৪/বি সাতমসজিদ রোড, ঢাকা
ফোন: ৯১১৬১৭১।
এফএম ইনস্টিটিউট
ইংলিশ স্পোকেন, আইইএলটিএস কোর্স করানো হয়।
যোগাযোগ : এফএম টাওয়ার, ১/১ পূর্ব রাজাবাজার, ঢাকা
ফোন: ৯১৩০২৯০।
সাইফুরস
ইংরেজি শেখার উপর নানা ধরনের কোর্স করানো হয়।
যোগাযোগ : সাইফুরস, সুবাস্তু টাওয়ার (৩য় তলা), ৬৯/১ গ্রিন রোড, পান্থপথ, ঢাকা
ফোন: ৯৬৭৭২৭৭, ০১৮১৭১১০৬০০।
পাইলট
অনেকেরই মনেই স্বপ্ন উঁকিঝুকি দেয়- বড় হয়ে পাইলট হব, এরোপ্লেনে চড়ে আকাশে উড়ব। তবে স্বপ্ন দেখাটা যত সোজা, পাইলট হওয়াটা কিন্তু অতটা সহজ কোন ব্যাপার নয়। তবে অদম্য ইচ্ছে আর সেই অনুযায়ী প্রচেষ্টা থাকলে পাইলট হওয়া অসম্ভব কোন বিষয় নয়। আর বর্তমানে এ পেশার ক্ষেত্রও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। বর্তমানে বেশ কয়েকটি বেসরকারি এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ফাইট পরিচালনা করছে এবং তাদের চাহিদাও অনেক বেশি। যদি আপনার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন থাকে, তাহলে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। যদিও আমাদের দেশে এখন সেভাবে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে পারেন-
বাংলাদেশ ফাইং একাডেমি অ্যান্ড জেনারেল এভিয়েশন লিমিটেড
জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা
ফোন: ৮৯১৩৯০৯, ৮৯১৯০৩৯।
এয়ার পারাবত
পুরনো বিমানবন্দর, বেগম রোকেয়া সরণি, ঢাকা
ফোন: ৯৫৬৭০৫৬।
পোশাক শিল্প
বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত পোশাকশিল্প। এ খাত থেকেই সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসছে আমাদের দেশে। ফলে পোশাকশিল্পকে ঘিরে গড়ে উঠছে বিভিন্ন ফ্যাক্টরি ও বায়িং হাউস। এর ফলে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। ফ্যাশন ডিজাইন, মার্চেন্ডাইজিং ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনি এ পেশায় ভালো টাকা আয় করতে পারেন। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা-
বিআইএফটি
প্রশিক্ষণের বিষয়: ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড টেকনোলজি, অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড টেকনোলজি, ডিপ্লোমা কোর্স ইন ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড টেকনোলজি, পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং, ডিপ্লোমা কোর্স ইন নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড টেকনোলজি, নিটওয়্যার মার্চেন্ডাইজিং, সোয়েটার মার্চেন্ডাইজিং, ওভেন গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজিং, ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, কোয়ালিটি কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স প্রভৃতি বিষয়ে কোর্স করার সুযোগ রয়েছে।
যোগাযোগ : বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিআইএফটি)
এসআর টাওয়ার, ১০৫ উত্তরা, সেক্টর-৭, ঢাকা
ফোন: ৮৯১৯৯৮৬।
আরও কিছু প্রতিষ্ঠান
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজি
ডিপ্লোমা ইন অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে কোর্স।
ঢাকা।
ফোন: ০১৭১৩-১১৬৩১৩।
বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইনস্টিটিউট
চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স।
যোগাযোগ : বাড়ি নং-৪১১, রোড নং-২৯, নিউ ডিওএইচএস, মহাখালী, ঢাকা
ফোন: ৯৮৯২৬৩৭, ০৬৬৬২৬০৪৫৪৬।
লংকান কোথিং ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট
বিভিন্ন বিষয়ে ৩ মাস ও ১ মাস মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স।
যোগাযোগ : বাড়ি নং-১, রোড নং-১, সেক্টর-৬, উত্তরা, ঢাকা
ফোন: ০১৭১৩০৪৭১১৫।
এশিয়ান ফ্যাশন
প্রশিণ মেয়াদ ও ফি : ৪ মাস মেয়াদি, ৬ মাস মেয়াদি কোর্স ও ১ বছর মেয়াদি কোর্স।
যোগাযোগ : ৩৩, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ (২য় তলা), কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৬
ফোন : ৯১১৬৭৪২।
বাংলাদেশ ফ্যাশন ইনস্টিটিউট
২ মাস, ৪ মাস, ৬ মাস ও এবং ১ বছর মেয়াদি কোর্স।
যোগাযোগ : ৮৫, গ্রিন রোড (৩য় তলা), ঢাকা
ফোন : ৯১৩২১৫৯।
বিউটি পার্লার
মানুষকে সুন্দর করে সাজানোর কাজটিই করে থাকে বিউটিশিয়ানরা। আর এ পেশায় বিশেষ করে মেয়েদের কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে। কাজটা শিখতে পারলে কাজের কোন অভাব হবে না। আর নিজেরও তো হতে পারে একটি বিউটি পার্লার! এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠান-
গীতিস বিউটি পার্লার
১৪৬, শান্তিনগর, ঢাকা
ফোন: ৮৩৫১৪৬৮, ৮৩১৮৭১১।
বীথিস হারবাল
বাড়ি নং-৭, রোড নং-৪, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৯৬৬০২০৮, ৯৬৭২২৯০।
বীথিস হারবাল (ছেলেদের শাখা)
নাভানা টাওয়ার (৭ম তলা), গুলশান-১, ঢাকা
ফোন: ৮৮২৮৮৫৪, ৮৮১৩৯৫৫।
গৃহসুখন
১৩, গ্রিন স্কয়ার রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৮৬১৫২৪৬।
ফেম ইনস্টিটিউট
বাড়ি নং-৫৭ (২য় তলা), রোড নং-৭, সেক্টর-৪, উত্তরা, ঢাকা
ফোন: ০১৭১৫৩৪৩২৬০।
বাটিক-বুটিক-হস্তশিল্প
আমাদের দেশে মেয়েদের অনেকেই বাটিক বুটিক বা হস্তশিল্পের কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এ বিষয়ে দরকারি প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনিও নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারেন। রাজধানী শহর ঢাকা তো বটেই, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে জেলা শহরগুলোতে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠাটিতে প্রশিণের খরচও অনেক কম। বিসিকের নকশা কেন্দ্র ১১টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। জেনে নিন বিসিকের প্রশিক্ষণের বিস্তারিত-
ব্লক: ব্লক প্রিন্টিং, কাঠের ব্লক বা ছাপা পদ্ধতির চল এখনও আছে। এই প্রশিণে নকশা রিপিট ও রঙ তৈরি কাজ শেখানো হয়।
বাটিক: ইদানীং বাটিকের কাজ গ্রামেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ প্রশিণের জন্য নকশা ও ডাইং সম্পর্কে প্রশিক্ষণার্থীর পূর্ণ জ্ঞান এবং আগ্রহ থাকতে হবে।
স্ক্রিন প্রিন্ট: স্ক্রিন প্রিন্টিং শেখানো হয়। তবে নকশা তৈরি, অনুকরণ, কাটিং, রঙ তৈরি করার প্রাথমিক জ্ঞান থাকলে ভালো হয়।
চামড়ার প্রশিক্ষণ: চামড়ার বাটিক, ব্লক প্রিন্ট, অ্যাম্বুস প্রভৃতি পদ্ধতিতে প্রশিণ দিয়ে থাকে। অঙ্কন, সেলাই, ট্রেসিং প্রভৃতিতে অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো হয়।
পাটজাত দ্রব্য: নকশা কেন্দ্রের এই বিভাগটি পাটজাত দ্রব্যের নকশা ও উন্নত ধরনের হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
প্যাকেজিং: প্যাকেজিং বিভাগে বিভিন্ন ধরনের ঘাস, তালপাতা, কেয়াপাতা, আঁশ, ছোবড়া, খড় ইত্যাদি দিয়ে হরেক রকম নকশা ও বুননে বিভিন্ন ধরনের শপিং ব্যাগ, টুপি, ভ্যানিটি ব্যাগ প্রভৃতি হস্তশিল্প তৈরি করা হয়।
বুনন: বিভিন্ন ধরনের কাপড়, শীতল পাটি বুনন শেখানো হয়।
বাঁশ ও বেত: বাঁশ ও বেতজাত হস্তশিল্পের কাজ শেখানো হয়।
প্রশিক্ষণের সময়: তিন মাস মেয়াদে বছরে ৪টি সেশনে প্রশিণ দেয়া হয়। সেশনগুলো হলো- জানুয়ারি-মার্চ, এপ্রিল-জুন, জুলাই-সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর-ডিসেম্বর।
যোগাযোগ : বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন
১৩৭-১৩৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ফোন: ৯৫৫৩১১২।
এ ছাড়া আরও যেখানে প্রশিক্ষণ নেয়া যাবে-
বাংলাদেশ মহিলা সমিতি
৪ নাটক সরণি, বেইলি রোড, ঢাকা
ফোন: ৯৩৩৭০৫০।
গৃহসুখন
১৩ গ্রিন স্কয়ার, গ্রিন রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৯৬৬৭৩৬৬।
স্কাই-হাই ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন
বাড়ি ২৭/১, রোড ১৩/১, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন : ৮১২০০৫৪।
ঘরকন্যা
৬৯ কলাবাগান, ডলফিন গলি, ঢাকা
ফোন: ৮১২২৮৫৬, ৯১২১৬৪৯।
সাকসেস হরিয়েন্টাল
৩২, মিরপুর রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ০১৮১৯১৭৫৫৯১।
মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মোবাইল ফোন মেরামতকারীদের চাহিদাও। মোবাইল মেরামতের জন্য সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার শিখতে হয়। প্রথমে কোন ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত ২-৩ মাসের কোর্স করিয়ে থাকে। কোন মোবাইল সার্ভিস সেন্টারে কমপক্ষে ছয় মাস শিক্ষানবীশ হিসেবে থেকে কাজ করলে পরবর্তীতে অনেক সুবিধা হবে। আমাদের আশেপাশেই অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। তবে ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে কোর্সে ভর্তি হওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
আপনি তৈরি তো?
প্রশিণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিলেই যে খুব সহজে চাকরি হয়ে যাবে এমনটি কিন্তু নয়। আপনি কতটুকু শিখতে পেরেছেন বা নিজেকে কতটুকু তৈরি করতে পেরেছেন, তার উপরই অনেক কিছু নির্ভর

রবিবার, ২২ মে, ২০১৬

হঠাৎ গিলে ফেলা বস্তু সরাবে রোবট

হঠাৎ গিলে ফেলা বস্তু সরাবে রোবট



.খাবারের সঙ্গে ভুল করে অন্য কিছু গিলে ফেলেছেন? এ নিয়ে আতঙ্কে অস্থির হওয়ার দিন হয়তো এবার ফুরোল। কারণ, তিন দেশের একদল বিজ্ঞানী একটি ছোট্ট রোবট বা যন্ত্র বানিয়েছেন, যা পাকস্থলীতে গিয়ে সরিয়ে দেবে সেই অনাকাঙ্ক্ষিত জিনিসটি। তাঁদের আশা, ভবিষ্যতে পাকস্থলীর ক্ষত সারাতেও এই যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে।
চিকিৎসার কাজে রোবট বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির প্রচলন একেবারে নতুন নয়। তবে নতুন যন্ত্রটির বিশেষত্ব হলো, এটি ভাঁজ করা যায়। আর এত ছোট যে খুব সহজেই এঁটে যায় একটি ক্যাপসুলের ভেতর। ফলে পাকস্থলীতে প্রবেশের কাজটা এটির জন্য সহজ। এই অভিনব চিকিৎসা উপকরণ তৈরির কৃতিত্ব যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি), যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও জাপানের টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একদল বিজ্ঞানীর। এ কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন দানিয়েলা রাস। তাঁরা বলছেন, ছোট্ট যন্ত্রটি পাকস্থলীর ভেতর প্রবেশের পর এর ভাঁজ খুলে যায়। চুম্বকের মাধ্যমে দেহের বাইরে থেকেই চিকিৎসকেরা এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বোতাম আকৃতির জিনিসপত্র (যেমন ঘড়ি ও অন্যান্য যন্ত্রে ব্যবহৃত ব্যাটারি) গিলে ফেলার ঘটনা মাঝেমধ্যে ঘটে। কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর এমন ঘটনা প্রায় সাড়ে তিন হাজার।
কিন্তু নতুন রোবটটির সাহায্যে কোনো রকম অস্ত্রোপচার ছাড়াই এ রকম ব্যাটারি পাকস্থলী থেকে বের করা সম্ভব হবে বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।

উইন্ডোজ ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর


উইন্ডোজ ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর

উইন্ডোজ ফোনউইন্ডোজ ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য কিছুটা সুখবর দিতে পারে মাইক্রোসফট। নতুন উইন্ডোজ ১০ মোবাইল ওএস হালনাগাদের সঙ্গে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার সুবিধা যুক্ত করছে প্রতিষ্ঠানটি। জুলাই মাসে ডেস্কটপ ও মোবাইল সংস্করণের জন্য উইন্ডোজের হালনাগাদ সংস্করণ উন্মুক্ত করবে প্রতিষ্ঠানটি।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার ফাংশনটি ইতিমধ্যে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে অধিক জনপ্রিয়। কিন্তু উইন্ডোজ ফোনে এ ফিচারটির জন্য ব্যবহারকারীরা অনেক দিন ধরেই অপেক্ষা করেছেন। এর আগে উইন্ডোজ ১০ মোবাইল ও উইন্ডোজ ১০ সংস্করণের জন্য উইন্ডোজ হ্যালো নামের একটি ফিচার উন্মুক্ত করেছে মাইক্রোসফট, যাতে ফেসিয়াল রিকগনিশন পদ্ধতিতে ডিভাইস আনলক করা যায়। সম্প্রতি উইনহেক সম্মেলনে উইন্ডোজের হালনাগাদ সংস্করণের সঙ্গে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যুক্ত করার কথা বলা হয়। উইন্ডোজের হ্যালো ফাংশনের সঙ্গে এটি যুক্ত হবে।
এইচপির এলিট এক্স ৩ স্মার্টফোনটিতে সবার আগে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ফিচারসহ নতুন হালনাগাদ পাওয়া যাবে।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, সফটওয়্যারের ত্রুটি ঠিক করা ছাড়াও আরও বেশ কিছু নতুন ফিচার যুক্ত হবে উইন্ডোজের হালনাগাদ সংস্করণে।

নকিয়া ফিরছে, মাইক্রোসফট বেচছে!

নকিয়া ফিরছে, মাইক্রোসফট বেচছে!

অ্যান্ড্রয়েডচালিত নকিয়া ট্যাবনকিয়া ব্র্যান্ডের ফিরে আসার খবরটি নিশ্চয়ই শুনেছেন। আগামী বছরেই বাজারে ফিরে আসছে নকিয়া। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে বাজারে অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার-চালিত স্মার্টফোন ও ট্যাব পাওয়া যাবে। এ ছাড়া নকিয়া ব্র্যান্ডের ফিচার ফোনও বাজারে আসবে। নকিয়ার ব্র্যান্ড নাম ব্যবহার করে ফোন-ট্যাব তৈরি করবে ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান এইচএমডি।
নকিয়া ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন তৈরির জন্য ফিনল্যান্ডের এইচএমডি গ্লোবাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তি করেছে নকিয়া। ওই প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ব্র্যান্ড লাইসেন্স ও মেধাস্বত্ব ফি হিসেবে অর্থ নেবে নকিয়া। বুধবার নকিয়া ব্র্যান্ডের ফোন ও ট্যাবলেট তৈরির জন্য ১০ বছরের চুক্তি সই করেছে এইচএমডি।
একসময় বিশ্বের বৃহত্তম মোবাইল ফোন নির্মাতা নকিয়া স্মার্টফোনের উত্থানের যুগে ভুল পদক্ষেপের কারণে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের কাছে মার খেয়েছে। ২০১৪ সালে মাইক্রোসফটের কাছে মোবাইল ফোন বিভাগটি বিক্রি করে দেয় নকিয়া। তবে মোবাইল ফোনের পেটেন্ট নিজের কাছে রেখে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এখন সরাসরি ফোন তৈরিতে না নামলেও ব্র্যান্ড লাইসেন্সিংয়ের মাধ্যমে আবার নকিয়া নামটি ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে তারা। তবে মাইক্রোসফটের সঙ্গে চুক্তির কারণে আগামী বছরের আগে নকিয়া ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন বাজারে আসবে না।
এদিকে নকিয়াকে কিনে নেওয়া মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের ফিচার ফোনের ব্যবসাটি তারা ফক্সকনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এফআইএইচ ও এইচএমডির কাছে বেচে দেবে। চুক্তি অনুযায়ী, এইচএমডি ফিচার ফোনেও নকিয়ার ব্র্যান্ড নামটি ব্যবহার করতে পারবে।
কোথায় চলবে নকিয়ার ফোন?
দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু দেশে এখনো নকিয়া ব্র্যান্ডটির আকর্ষণ রয়েছে। ভারত ও চীনের বাজারকে লক্ষ্য করে নকিয়া ব্র্যান্ডের ফোন তৈরির পরিকল্পনা করছে এইচএমডি ও ফক্সকন।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিসিএস ইনসাইটের গবেষক বেন উড বলেন, হ্যান্ডসেট ব্যবসা থেকে কিছু আয় করার জন্য ভালো একটি চুক্তি করেছে বর্তমানে টেলিকম যন্ত্রাংশ নির্মাতা হিসেবে পরিচিত বর্তমান নকিয়া। হার্ডওয়্যারের দিক থেকে বিবেচনা করলে বর্তমানে নকিয়ার কোনো ঝুঁকি নেই। ফিচার ফোনের ক্ষেত্রে নকিয়া ব্র্যান্ডটি এখনো শক্তিশালী। তবে বর্তমান স্মার্টফোনের প্রতিযোগিতার বাজারে নকিয়া কী টিকবে? এ বিষয়টি পরিষ্কার নয়। নকিয়া তার জৌলুশ হারিয়ে ফেলেছে।
অবশ্য, নকিয়ার ফোন আনতে ও বাজারে চালাতে বিশাল খরচ করার পরিকল্পনা করেছে এইচএমডি। ফক্সকনের সঙ্গে চুক্তি করে ব্র্যান্ড ও নকশার ক্ষেত্রে আগামী তিন বছরে ৫০ কোটি ইউরো বিপণনে খরচ করার পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাজারে নকিয়া ব্র্যান্ডটির এখনো কিছু আকর্ষণ রয়েছে। তবে প্রতিযোগিতা তীব্র। নকিয়া নিজে এখন কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি। ঝুঁকি এখন চীনের ফক্সকনের। তারাই ফোন তৈরি, বিক্রি ও সরবরাহের কাজ করবে।
মাইক্রোসফট কী করবে? মাইক্রোসফটের সারফেস ফোন
মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ফোনের দুর্দশা যেন কাটছেই না। তবে ফিচার ফোন তৈরির বিভাগটি বিক্রি করে দিলেও এখনই স্মার্টফোনের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে না মাইক্রোসফট। ২০১৪ সাল থেকে স্মার্টফোনের দুনিয়ায় মাইক্রোসফট সংগ্রাম করলেও লুমিয়া ফোন তৈরি করে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মাইক্রোসফটের কর্মকর্তারা। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, স্মার্টফোনের বাজারে উইন্ডোজ ফোনের দখল ক্রমে কমছে। কয়েক বছর আগে ডেস্কটপের পাশাপাশি উইন্ডোজ ফোনের বাজারে দখল করে নেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল মাইক্রোসফট। ৭২০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করে নকিয়াকে কিনেছিল মাইক্রোসফট। কিন্তু নকিয়াকে কেনার পরও মাইক্রোসফটের স্মার্টফোনের বাজার দখল করার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। বরং দিন দিন সেই স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
বাজার বিশ্লেষকেরা প্রশ্ন তুলেছেন, মাইক্রোসফটের ফোন ব্যবসা থেকে সরে যাওয়ার সময় চলে এসেছে। মাইক্রোসফটের ফোন ব্যবসা থেকে সরে দাঁড়ানোর কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন বিশ্লেষকেরা। গত বছরের শেষ তিন মাসে বা বছরের শেষ প্রান্তিকে অ্যাপল যেখানে সাড়ে সাত কোটি ইউনিট আইফোন বিক্রি করেছে, সেখানে বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মাত্র ২৩ লাখ লুমিয়া ফোন বিক্রি করেছে মাইক্রোসফট, যা তার আগের প্রান্তিকের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। গত বছর উইন্ডোজ ফোনের বিক্রি তার আগের বছরে তুলনায় ৭৩ শতাংশ কমে গেছে। ফোন বিভাগ থেকে মাইক্রোসফটের মুনাফা কমেছে ৪৬ শতাংশ। ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্সের বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বে যত স্মার্টফোন বিক্রি হচ্ছে, তার মধ্যে প্রতি ১০০টির মধ্যে মাত্র দুটি ফোনে উইন্ডোজ সফটওয়্যার রয়েছে।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে স্মার্টফোনের বাজারে উইন্ডোজ ফোনের মার্কেটশেয়ার ১ শতাংশের নিচে চলে গেছে। উইন্ডোজ ফোনের নিচে আছে কেবল ব্ল্যাকবেরি, টাইজেনের মতো অপারেটিং সিস্টেম। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস শীর্ষে রয়েছে।
আসছে সারফেস
নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে আগামী বছর ‘সারফেস’ ব্র্যান্ড নাম দিয়ে নতুন স্মার্টফোন বাজারে ছাড়তে পারে মাইক্রোসফট। সারফেস হচ্ছে মাইক্রোসফটের জনপ্রিয় ট্যাবলেট কম্পিউটারের ব্র্যান্ড। ২০১৭ সালে এই হালনাগাদ সফটওয়্যার দিয়ে নতুন এই ফোন আনবে মাইক্রোসফট।
উইন্ডোজ বিভাগের প্রধান টেরি মেয়ারসন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিল্ড সম্মেলনে বলেন, ‘এ বছর উইন্ডোজ ফোন আমাদের প্রধান লক্ষ্য নয়; বরং মাইক্রোসফট বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ ও কাজের উপযোগী ফোন তৈরির পরিকল্পনা করছে।’ তথ্যসূত্র: রয়টার্স, ব্লুমবার্গ, উইন্ডোজ সেন্ট্রাল

গুগল আইওতে নতুন ১০ ঘোষণা

গুগল আইওতে নতুন ১০ ঘোষণা

১৮ মে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় গুগলের বাৎসরিক ডেভেলপার সম্মেলন গুগল আইও ২০১৬-এ প্রতিষ্ঠানটির সিইও সুন্দর পিচাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি তুলে ধরেন l এএফপিজানা কথা, গুগল ডেভেলপারদের বার্ষিক সম্মেলন আইওতে চমক আসবেই। এবারও তা-ই হয়েছে। তবে আইওর মূল বক্তব্যের আগে ঠিক কী করতে যাচ্ছে গুগল, তা নিয়ে হাজারো জল্পনা চলছিল প্রযুক্তির বিশ্বজুড়ে। কারণটা শুধু গুগল নয়, এর ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে সারা পৃথিবীর প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, প্রস্তুতি কিংবা বাজার।
গত বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় যখন আইওর মঞ্চে আসেন গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই, তখন যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্টেন ভিউয়ের শোরলাইন অ্যাম্ফিথিয়েটারে ছিলেন সাত হাজার অংশগ্রহণকারী। এ ঘোষণা সরাসরি শুনতে তাঁরা এসেছেন শতাধিক দেশ থেকে। আর সারা পৃথিবী থেকে এ বক্তব্য সরাসরি শুনছিলেন আরও কয়েক কোটি মানুষ। প্রত্যাশার ভার ধরে রাখতে পেরেছেন সুন্দর। তিনি বলেই ফেললেন, দশম আইওতে সবচেয়ে বেশি চমক নিয়ে আসছে গুগল। অন্তত ১০টা বড় ঘোষণা ছিল তাঁর বক্তব্য।
শুরুতেই পিচাই বলেন, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইল ফোনে যত তথ্য খোঁজা হয়েছে, তার মধ্যে ২০ শতাংশ ছিল ভয়েস বা কথানির্ভর। এর বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে গুগলের ভয়েস-সেবায় অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসছে ‘গুগল অ্যাসিসটেন্ট’ নামে।
চলতি বছরই গুগল আনছে বিনোদন ও তথ্যের নতুন যন্ত্র ‘গুগল হোম’। এই গ্রীষ্মে গুগল নিয়ে আসছে দুটি ম্যাসেঞ্জার সেবা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শক্তিতে নতুন ধরনের এক বার্তা আদান-প্রদানের অভিজ্ঞতা করিয়ে দিতে আসছে ‘অ্যালো’ নামের এই ম্যাসেঞ্জার। আর অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য অনেকটা অ্যাপলের ফেসটাইমের মতো ভিডিও চ্যাট-সুবিধা থাকবে ডুয়োতে। আসছে অ্যান্ড্রয়েডের পরবর্তী সংস্করণ ‘অ্যান্ড্রয়েড এন’।
অ্যান্ড্রয়েডে ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটিকে নতুন করে তুলে ধরবে ‘ডেড্রিম’ সিরিজের নানান সেবা। বাজারে আসবে নিজস্ব যন্ত্রও। স্মার্টঘড়িকে মোবাইল ফোনের যুক্ততা ছাড়াই আরও বেশি কার্যক্ষম করতে এবং আইফোন উপযোগী করতে গুগল নিয়ে আসছে ‘অ্যান্ড্রয়েড ওয়্যার ২.০’। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এখন কোনো অ্যাপ মোবাইল ফোনে না নামিয়েও ব্যবহার করতে পারবেন। এই সুবিধাকে গুগল ডাকছে ‘অ্যান্ড্রয়েড ইনস্ট্যান্ট অ্যাপস’ নামে। এ ছাড়া অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপারদের ক্লাউড প্রযুক্তির নানান সুবিধা নিয়ে আসছে ডেভেলপার টুল ‘ফায়ারবেস’ ও ‘অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও ২.২’।
গুগল আইও চলবে আজ ২১ মে পর্যন্ত। এই সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন গুগল ডেভেলপার গ্রুপ (জিডিজি) ঢাকার মাহবুব হাসান, জিডিজি সোনারগাঁয়ের ইশতিয়াক রেজা, উইমেন টেকমেকার্সের রাখসান্দা রুখাম এবং জিডিজি বাংলার পক্ষে এই প্রতিবদক। তিন দিনের এই সম্মেলনে শতাধিক বিষয় নিয়ে কর্মশালা, অভিজ্ঞতা বিনিময়, হাতে কলমে শিক্ষা ও আলোচনার আয়োজন থাকছে। এসব কর্মশালা পরিচালনা করছেন গুগলের শীর্ষ কর্মীরা।

প্রোগ্রামিংয়ে রাশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব

প্রোগ্রামিংয়ে রাশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব

           
আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্বে প্রোগ্রামিং নিয়ে ব্যস্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দল। ছয়টি সমস্যার সমাধান করেছে এ দলটি l আইসিপিসির ওয়েবসাইটরাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শ্রেষ্ঠত্ব দেখাল বিশ্ব প্রোগ্রামিংয়ের সবচেয়ে বড় আসরে। বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের ফুকেটে এসিএম আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্বে ১১টি সমস্যার সমাধান করে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায় এবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে চীনের সাংহাই জিয়াও তং বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এ দল দুটি যথাক্রমে ১১ ও ১০টি সমাধান দিতে পেরেছে। বাংলাদেশের দলগুলোর মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৬টি সমাধান দিয়ে ৫০তম স্থানে রয়েছে। দুটি করে সমস্যার সমাধান করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি রয়েছে ১১১ ও ১১৩তম স্থানে। পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় মোট ১৩টি প্রোগ্রামিং সমস্যা ছিল। এবারের প্রতিযোগিতায় ১২৮টি দল চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিল।
সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার পর থাইল্যান্ডের চুলালংকর্ন ইউনিভার্সিটি ১১ মিনিটের মাথায় প্রথম সমস্যার সমাধান করে। প্রতিটি সমস্যার সমাধানের জন্য ছিল ভিন্ন ভিন্ন রঙের বেলুন। প্রতিযোগিতার স্কোর বোর্ড বেশ কয়েকটি বড় পর্দায় দেখানো হচ্ছিল। প্রশিক্ষক, কর্মকর্তা ও অতিথিরা অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে স্কোর বোর্ডগুলোর সামনে ভিড় করেন। অনলাইনেও সরাসরি ফলাফল দেখার সুযোগ ছিল সবার জন্য।
সমাপনী অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল ৪টায়। এ সময়  আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরস্কৃত করা হয়। তারপরে দেওয়া হয় সোনা, রুপা ও ব্রোঞ্জ পদক। আগামী বছর চূড়ান্ত পর্ব হবে যুক্তরাষ্ট্রে।
বিস্তারিত ফলাফল: https://icpc.baylor.edu/scoreboard
পদক তালিকা 

স্যামসাং-আলীবাবার যৌথ উদ্যোগ




ফেসবুকের ভুয়া বন্ধু!

ফেসবুকের ভুয়া বন্ধু!

ফেসবুকে নজরদারি বাড়াতে ভুয়া অ্যাকাউন্ট করছে পুলিশবিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, ফেসবুকে অচেনা-অজানা কাউকে বন্ধু বানাবেন না। কারণ ফেসবুকে ছদ্মবেশী অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনার ওপর নজরদারি করা হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও এখন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে বন্ধুর ছদ্মবেশে তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছেন। সিএনএন এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতের একজন বিচারক গত সপ্তাহে রুল জারি করেছেন, এখন থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করে সন্দেহভাজন লোকজনের বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধান করতে পারবে। সন্দেহভাজন লোকজনের সঙ্গে এসব সাইটে বন্ধু হতে পারবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা অন্যান্য সাইটে তাঁর পোস্ট করা কনটেন্ট আদালতে উপস্থাপন করতে পারবেন।
ডিস্ট্রিক্ট জাজ উইলিয়াম মার্টিনির যুক্তি হচ্ছে, যেহেতু সন্দেহভাজন ব্যক্তি পুলিশ অফিসারকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেন এবং তখনই তিনি তাঁর অ্যাকাউন্টের ছবি বা অন্য তথ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের কাছে সোপর্দ করেন, তাই এ ধরনের তথ্য সংগ্রহের জন্য আলাদা করে আর সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করার দরকার নেই।
গত বছর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের হার বাড়িয়েছেন, যা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগের সাইট কর্তৃপক্ষকে সমস্যায় ফেলছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এখন গভীর সমস্যায় পড়েছে, কারণ ভুয়া অ্যাকাউন্টকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করলেই ফেসবুক ব্যবহারকারীর কাছ থেকে আইনসম্মত সার্চের অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে।
ফেসবুকের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা জো সুলিভান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ছদ্মবেশী এই কার্যকলাপ ফেসবুক ব্যবহারকারীর সততাকে হুমকির মুখে ফেলবে। ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অন্যের ওপর নজরদারি করা হলে বিশ্বাস নষ্ট হবে এবং ব্যবহারকারীরা ফেসবুক ব্যবহার করতে অনিরাপদ ও অস্বস্তি বোধ করবেন।’

এই নারী ফেসবুক ফ্রেন্ড হলে মুছে দিন!

এই নারী ফেসবুক ফ্রেন্ড হলে মুছে দিন!

মধু শাহের সব ফেসবুক প্রোফাইল ভুয়াঅনেকের সঙ্গে আপনার ফেসবুক বন্ধুত্ব থাকতে পারে। তবে সেই বন্ধু তালিকায় ভুয়া ফ্রেন্ড কেউ আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখুন। সম্প্রতি ফেসবুকে একজন নারীর নামে খোলা একটি ফেসবুক প্রোফাইল দ্রুত ছড়াচ্ছে। ওই ফেসবুক প্রোফাইলের নাম ‘মধু শাহ’। ওই নামে ৩৪ টির বেশি অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং সবগুলোই ভুয়া প্রোফাইল। ওই প্রোফাইলের ছবিগুলো এক হলেও স্থান ও প্রোফাইলের তথ্য ভিন্ন ভিন্ন।
ওই ভুয়া অ্যাকাউন্টটি থেকে স্প্যাম ছড়ানো ও ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ উঠেছে। যদি মধু শাহ নামের অপরিচিত কেউ আপনার ফেসবুক বন্ধু তালিকায় থাকে দ্রুত তাকে আনফ্রেন্ড করে দিতে পারেন।
এরকম অনেক ভুয়া প্রোফাইল ফেসবুক জুড়ে রয়েছে। ফেসবুকের যে আইডিগুলোতে ব্যবহারকারী তার নাম, পরিচয়, লিঙ্গ, ছবি, ব্যক্তিগত তথ্য, কর্মক্ষেত্র, পড়াশোনার স্থানসহ কোনো কোনো ব্যক্তিগত বিষয়ে ভুয়া বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকে, সেগুলোকে ফেক আইডি বলা হয়।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুকে ভুয়া আইডি খোলা ও অন্যকে প্রতারণা করাটা ব্যবহারকারীর খারাপ দিক; এটি ফেসবুকের খারাপ দিক নয়। ভুয়া আইডির বিড়ম্বনা থেকে স্বস্তি পেতে বন্ধুত্বের অনুরোধগুলো ভালো করে যাচাই-বাছাই করে দেখা উচিত। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, ফেসবুকে অচেনা-অজানা কাউকে বন্ধু বানাবেন না। কারণ ফেসবুকে ছদ্মবেশী অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনার ওপর নজরদারি করা হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও এখন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে বন্ধুর ছদ্মবেশে তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন:

সেলফির ভালো-মন্দ


.যাঁরা নিয়মিত সেলফি তোলেন, তাঁরা নিজেদের সম্পর্কে অতিমূল্যায়ন করেন। অর্থাৎ আসলে যতটা আকর্ষণীয়, তার চেয়েও বেশি সুন্দর মনে করেন নিজেদের। কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এ কথা জানিয়েছেন।
স্মার্টফোনের ক্যামেরায় নিজেই নিজের ছবি তোলার নাম সেলফি। সামাজিক যোগাযোগের অনলাইন মাধ্যমের বদৌলতে এখন এ রকম ছবির ছড়াছড়ি বিশ্বজুড়ে। নিজেদের সম্পর্কে তাৎক্ষণিক অন্যদের জানিয়ে দেওয়ার কাজে সেলফি খুবই কার্যকর। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের গবেষকেরা সেখানকার ১৯৮ জন ছাত্রছাত্রীর ওপর একটি জরিপ চালান, যাঁদের ১০০ জন নিয়মিত সেলফি তোলেন। তাঁদের সবাইকে একটি করে সেলফি তুলতে বলেন গবেষকেরা, তারপর বলেন প্রতিটি ছবিকে মূল্যায়ন করতে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশ করলে সেই সেলফি অন্যরা কতটা পছন্দ করবে, সেটাও জিজ্ঞেস করা হয়। ওই ১৯৮ জনের বাইরে আরও ১৭৮ জনের কাছে ছবিগুলো সম্পর্কে নিরপেক্ষ মতামত চাওয়া হয়। এতে দেখা যায়, সেলফিতে আসক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের বেশি আকর্ষণীয় মনে করেন। ছবিতে তাঁদের চেহারা অন্যদের চেয়ে পছন্দনীয় দেখায় বলে তাঁরা মত দেন।
এ গবেষণায় নেতৃত্ব দেন মনোবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল রে। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন সোশ্যাল সাইকোলজিক্যাল অ্যান্ড পারসোনালিটি সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, সেলফিপ্রিয় মানুষেরা সাধারণত নিজেদের ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলোর দিকে বেশি মনোযোগ দেন। তাঁরা মনে করেন, সেলফিতে তাঁদের বেশি আকর্ষণীয় দেখায়—অন্য কারও তুলে দেওয়া ছবির চেয়ে। কিন্তু নিরপেক্ষ মতামত বলছে, এসব সেলফির চেয়ে অন্যদের তুলে দেওয়া ছবিতেই তাঁদের বেশি ভালো দেখায়।

বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬

শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৬

CHANNEL 69

CHANNEL 69
http://snappy.appypie.com/media/appfile/8c6505c15261.apk

Live Radio Apps

 http://www.appsbar.com/WebApp/Facebook/?AppID=445799&Style=phone&Device=Facebook
https://www.appsbar.com/WebApp/Facebook/?AppID=445799&Style=phone&Device=Facebook