শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হওয়ার যোগ্যতা

freelancer in graphic designটাকাকে নয় কাজকে ভালোবাসতে হবে : ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার জন্য টাকার লোভ ত্যাগ করে কাজে দক্ষতা অর্জনের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। দক্ষ লোকদের সমাদর সব জায়গার মতোই ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে। সেজন্য সবার প্রথমে বিভিন্ন রিসোর্স থেকে কাজ শিখে সেগুলোর বাস্তবভিত্তিক কাজ করে দক্ষতা অর্জন করলেই অনলাইনে কাজের রেট এবং চাহিদা দুটি বৃদ্ধি পাবে। এরকম চাহিদাপূর্ণ অবস্থানে আসার জন্য অবশ্যই কিছুটা সময় দিতে হবে। মনে রাখবেন, অদক্ষ ব্যক্তিদের টাকার পেছনে দৌড়াতে হয়। কিন্তু দক্ষ ব্যক্তিদের পেছনে টাকা দৌড়ায়।
ফ্রিল্যান্সিংকে শুধু পার্টটাইম হিসেবে নয় ফুলটাইম ক্যারিয়ার ভাবা শুরু করতে হবে : সময় এসেছে ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে পার্টটাইম চাকরি না ভেবে ফুলটাইম হিসেবে নিতে হবে। তাহলে প্রত্যেকে কাজের ব্যাপারে আরও বেশি সচেতন হবে এবং দক্ষ হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হবে। তখন বিদেশী বায়াররা এদেশের ফ্রিল্যান্সিংদের কাজ দিতে আরও বেশি স্বস্তি পাবে।
ফ্রিল্যান্সিংকে পার্টটাইম ভাবার কারণে মূলত আমরা তিনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি : ১) দিনের সময়ের সর্বোচ্চ সময়টি ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য বরাদ্দ রাখতে পারছি না। সেজন্য দক্ষ যেমন হতে পারছি না, তেমনি কাজও বেশি করতে পারছি না। ২) যখন ফ্রিল্যান্সিংকে ফুলটাইম হিসেবে ভাবা শুরু হবে তখন আরও বেশি মানুষের সম্পৃক্ততা বাড়বে। বৈদেশিক মুদ্রা আরও বেশি দেশে ঢুকবে, যা সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে বড় সুফল নিয়ে আসবে। ৩) ফুলটাইম কাজ ভাবা শুরু করলে ফ্রিল্যান্সিং শুধু অনলাইন আয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, ধীরে ধীরে এটি তখন সম্মানজনক ক্যারিয়ার হিসেবে বিবেচিত হওয়া শুরু হবে। তখন প্রত্যেকের মধ্যে ভালো করার ব্যাপারে উৎসাহ বাড়বে।
যোগাযোগের দক্ষতা ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফলতা অনেক বাড়িয়ে দেয় : এক জরিপে দেখা গেছে, যাদের যোগাযোগ দক্ষতা বেশি তারা অন্যসব জায়গার মতো ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রেও সফল সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। যোগাযোগ দক্ষতা বলতে বোঝায় : বায়ারের বক্তব্য সঠিকভাবে বুঝতে পারা, বায়ারকে নিজের বক্তব্য সঠিকভাবে বোঝাতে পারা এবং সেইসঙ্গে বায়ারকে কনভেন্স করতে পারাটাই হচ্ছে যোগাযোগের মৌলিক দক্ষতা।
যোগাযোগের এ মৌলিক দক্ষতা থাকলে বায়ার কাজ দিয়ে স্বস্তি পায়। আর সেজন্য একবার কাজ করলে পরের কাজটির ক্ষেত্রেও যথাসম্ভব চেষ্টা করেন, একই ফ্রিল্যান্সারকেই কাজটি দেয়ার জন্য। কাজের দক্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তাহলে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে খুব দ্রুত সফল হওয়া যাবে।
ইংরেজিতে যত ভালো হবেন, তত বেশি সফল হবেন : ইংরেজি হচ্ছে যে কোনো ধরনের বায়ারের সঙ্গে যোগাযোগের মূল ভাষা। যে যত ভালো ইংরেজি পারে, সে তত বেশি ভালোভাবে বায়ারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে। কারণ বায়ারের নির্দেশনা বুঝতে তার অনেক বেশি সহজ হয়। বায়ারও যাকে দিয়ে কাজ করাবে, তার কথা জড়তা ছাড়া বুঝতে পারে। এ ধরনের ফ্রিল্যান্সারদের সঙ্গে বায়ার ?স্বাচ্ছন্দ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে দেখে দীর্ঘদিনের কাজের সম্পর্ক বজায় রাখে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, শুধু ভাষাগত সমস্যার কারণে কাজ দিয়ে সন্তুষ্ট করার পরও বায়ার এ ফ্রিল্যান্সারের কাছে আর নতুন কোনো কাজ নিয়ে ফিরে আসে না। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য তাই নিজেকে ইংরেজিতে ধীরে ধীরে দক্ষ করে তোলার দিকে নজর দিতে হবে।
যত বেশি কিছুতে যত বেশি দক্ষ হবেন, সফল হতে পারবেন তত বেশি : একজন ফ্রিল্যান্সারের কাছে একটি কাজের বাইরে অন্যান্য আরও কাজের সাপোর্টও পাওয়া যায়, তাহলে তার সঙ্গে বায়ারের দীর্ঘদিনের জন্য সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য সব কাজেই দক্ষতা তৈরি করতে পারলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে বায়ারদের কাছে নিজের চাহিদা বৃদ্ধি করা যায়। এক্ষেত্রে মাথাতে রাখতে হবে, সব কাজে সমান দক্ষতা অর্জন করাটা অনেক বেশি কষ্টকর। যেটা করতে হবে, কোনো একটিতে ভালো দক্ষ হতে হবে, বাকিগুলোতে মোটামুটি দক্ষ হলেই চলবে।
সবসময় নিজের আরও বেশি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নেশা থাকতে হবে : ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বহুদিন পর্যন্ত বায়ারদের কাছে নিজের চাহিদা ধরে রাখার জন্য সবসময় নতুন কিছু শেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কেউ যদি এসইওর কাজের মাধ্যমে আউটসোর্সিং করে থাকেন, তাহলে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় এসইও সম্পর্কিত লেখা পাওয়া যায়, এরকম ব্লগগুলোর পোস্ট নিয়মিত পড়া উচিত। নতুন যত আপডেট আসছে, সবকিছু জেনে সেগুলোতে নিজেকে দক্ষ করতে হবে।
যে যত বেশি গুগলের ওপর নির্ভরশীল, তার সফলতার সম্ভাবনা তত বেশি : কোনো সমস্যায় পড়লে সে বিষয়ে জানার জন্য কোনো ব্যক্তির কাছে প্রশ্ন না করে, সে বিষয়ে গুগলকে প্রশ্ন করা উচিত। গুগলের ওপর এ নির্ভরশীলতা জানার পরিধি অনেক বাড়িয়ে দেয়। গুগলে খোঁজ করলে অনেক উত্তর পাওয়া যাবে, যা চিন্তা শক্তিকে বাড়াবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফলতার জন্য শুরু থেকেই গুগলের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে হবে।
ইন্টারনেটের ওপর জীবনকে নির্ভরশীল করতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং সফল হবেন : ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলেই কাজ পেয়ে যায় না। এরকম সফলতার জন্য শুরুর দিকে কষ্ট অনেক বেশি করতে হয়। আর এজন্য ইন্টারনেটে দিনের বেশিরভাগ সময় ব্যয় করা উচিত। শুধু ফেসবুকে সময় ব্যয় না করে, বিভিন্ন ব্লগ, ফোরাম, ভিডিও কিংবা অনলাইনের অন্য জায়গাগুলো প্রতিদিনের বড় একটা সময় ব্যয় করার অভ্যাস নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে। এ জায়গাগুলোতে সারাবিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় ফ্রিল্যান্সাররা তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করে। এগুলো সত্যিকারভাবে অনেক নতুন কিছু শিখতে এবং সবকিছুর বিষয়ে আরও অ্যাডভান্স হতে সহযোগিতা করে।
প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ছাড়া কিছুতেই সফল হওয়া যায় না : যে কোনো কাজের সফলতার জন্য যেমন সবার প্রথমে দরকার ইচ্ছাশক্তি, ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রেও বিষয়টা ব্যতিক্রম নয়। প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি থাকলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফল হওয়ার ব্যাপারে যত প্রস্তুতিমূলক পরিশ্রম করা দরকার, সবকিছু করতে আগ্রহ থাকবে। সুতরাং কারও কথা শুনে হালকাভাবে লক্ষ্য নিয়ে নামলে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাটা ৯৫ ভাগ। কিন্তু যদি নিজের তীব্র ইচ্ছা থাকে এবং একাগ্রতা থাকে, তাহলেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হবেন।
ধৈর্য শক্তি এ সেক্টরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে ধৈর্য শক্তি বাড়িয়ে নেয়া উচিত। কাজ শিখতেও ধৈর্য নিয়ে শিখতে হবে। পরে শুরুতে কাজ পাওয়ার জন্য বহুদিন ধৈর্য সহকারে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়। এমন হতে পারে, কাজ শেখার পর ১ম কাজের অর্ডার পেতে ১ বছরও লেগে যেতে পারে। কিন্তু তারপরও ধৈর্য হারালে চলবে না। চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, নিজেকে দক্ষ করতে হবে, বায়ারের কাছে কাজ চাওয়ার ধরনে পরিবর্তন এনে দেখা যেতে পারে। হতাশ না হয়ে কাজ পাওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে ওপরের বিষয়গুলো নিজের ভেতরে নিয়ে আসার চেষ্টা শুরু করে দিতে হবে। আন্তর্জাতিকবাজারে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জে জিততে হলে নিজের মধ্যে বিশেষ কিছু থাকতেই হবে। কাজের দক্ষতার পাশাপাশি অধ্যবসায়, ধৈর্য এবং নতুন কিছু শেখার নেশা সফলদের কাতারে পৌঁছে দেবে।
সফল হতে জরুরি
* টাকাকে নয় কাজকে ভালোবাসতে হবে।
* ফ্রিল্যান্সিংকে শুধু পার্টটাইম হিসেবে নয়, ফুলটাইম ক্যারিয়ার ভাবা শুরু করতে হবে।
* কমিউনিকেশন দক্ষতা ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফলতা অনেক বাড়িয়ে দেয়।
* ইংরেজিতে যত ভালো হবেন, তত বেশি সফল হবেন।
* যত বেশি কিছুতে বেশি দক্ষ হবেন, সফল হতে পারবেন তত বেশি।
* সবসময় নিজের আরও বেশি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নেশা থাকতে হবে।
* যে যত বেশি গুগলের ওপর নির্ভরশীল, তার সফলতার সম্ভাবনা তত বেশি।
* ইন্টারনেটের ওপর জীবনকে নির্ভরশীল করতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং সফল হবেন।
* প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ছাড়া কিছুতেই সফল হওয়া যায় না।
* ধৈর্য শক্তি এ সেক্টরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চাকরিতো কারাবাস, উদ্যোক্তার মুক্তআকাশ

চাকরিতো কারাবাস, উদ্যোক্তার মুক্তআকাশ
u75691_815652_412955চাকরি ও কারাবাস/উদ্যোক্তা ও আকাশ:
জীবন-যাপনের জন্য আমাদেরকে কোন না কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এখন প্রশ্ন আমরা কোন অর্থনৈতিক জীবন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যাব? আমরা কি চাকরি করব? প্রশ্ন করি,আমরা চাকরি করি কেন ? সহজ একটিই উত্তর আর্থিক নিরাপত্তার কারণে। যেহেতু অর্থই পারিবারিক-সামাজিক-রাজনৈতিক সকল নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে সুতরাং কেন সেই অর্থ উপার্জনে চাকরি নয় ? চাকরি ছাড়াও নিজের উদ্যোগে ব্যবসা করে যারা অর্থ উপার্জন করছে তাদের সাথে একজন চাকরিজীবির ভিন্নতা কোথায় ? একটা ছোট্ট উদাহরণ টেনে ব্যাপারটা কিছুটা পরিষ্কার করা যেতে পারে। পাখি খাঁচায় এবং আকাশে দুই জায়গাতেই নিরাপদ। কিন্তু পাখি তার স্বভাবগুনেই আকাশমুখী। মানুষ কি আকাশমুখী নয় ? মানুষ কি জন্ম মাত্রই স্বাধীনতা চায় না ? উত্তরে বিরোধিতা করার কোন সুযোগ নেই, চায়। তাহলে চাকরি কি একজন মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছে খাঁচায় বন্দি রেখে ? শুনতে খারাপ লাগলেও আসলে এটাই সত্য। মানুষ তাহলে কেন মেনে নিচ্ছে এই বন্দিত্ব ? এসব নিয়ে আরো বিস্তর আলোচনা করা যাক…
নির্ভরশীলতা : নির্ভরশীলতা একটি জটিল রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজে কিছু করতে চায় না এবং পরজীবি থাকতে ভালোবাসে। পরের দাসত্ব মেনে নিয়ে অধীন থাকতে চায়। অর্থাৎ সে আসলে অন্যের প্রয়োজনে বেঁচে থাকে, অন্যের জীবনে বেঁচে থাকে, নিজের জীবনে বা নিজের প্রয়োজনে তার চাহিদা থাকেনা। এভাবে নিজেকে বঞ্চিত করে আপনি কতটুকু ভালো থাকতে পারেন ?
অনভিজ্ঞতাকে দূবর্লতা মনে করা : একজন মানুষ উদ্যোগি হয়ে কোন ব্যবসায় নামতে চাইলে নিজেকে অনভিজ্ঞ মনে করে সাহসিকতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়। এবং মেনে নেয় চাকরি জীবন। কিন্তু পথে না নেমেই কি কেউ পথ থেকে সঞ্চয় করতে পেরেছে? গৃহপালিত জীবন ব্যবস্থা : আমাদের পরিবার-সমাজ অনেক সময় পোষ্যতাকে প্রোমোট করে। তাদের চাওয়া পাওয়াই থাকে তুমি বড় হয়ে একজন চমৎকার পোষ্য হবে এবং আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে। আমাদের চিন্তা-চেতনাকে তারা তাদের আঁচলের চাবির মতো বেঁধে রাখতে চায়। পরিবার-সমাজের এইসব দারিদ্রতা-সংকীর্ণবোধ ভেঙ্গে আমরা কি দেয়ালের ওপাশে যাব না ? দায়িত্বকে চাপ
মনে করা : নিজে উদ্যোগি হয়ে কোন ব্যবসা শুরু করলে তাকে ঘিরে অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হয় এবং তার মাধ্যমে তাদের জীবন জীবিকা নিশ্চিত হয়। অনেকে এই দায়িত্বকে চাপ মনে করেন এবং চাকরি জীবন মেনে নেন। আর এভাবেই কমে আসছে কর্মসংস্থান। দেশে এখন তাই বেকার বৃদ্ধির মৌসুম। আমরা কি আমাদের আর আমাদের চারপাশের মানুষের জন্য কিছু করব না ?
ঝুঁকি মুক্ত থাকা : এটা সত্য যে চাকরি মাস অন্তর নির্দিষ্ট অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং একজন চাকরিজীবি নিজেকে ঝুঁকি মুক্ত মনে করেন। আবার এটাও সত্য সে অর্থ নির্দিষ্ট এবং সব সময় যথেষ্ট নয়। স্বপ্নকে বড় করে দেখুন- স্টিভ জবস্ যেটা বলতেন। আমরা কি চাকরিকে ঝুঁকি মুক্ত স্বীকার করে নির্দিষ্ট ফ্রেমে বাঁধা জীবন মেনে নেব ?
প্রভুত্ব স্বীকার করা : কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে চাকরি করতে গেলে আপনাকে হয়তো বার বার বলতে হবে ‘স্যরি বস’। এই ‘বস’ শব্দটি ব্রিটিশ কালচার থেকে এসেছে যার অর্থ প্রভু। তারা আমাদের এই উপমহাদেশে দুইশ বছরের বেশী প্রভুত্ব করেছে। আমরা আর কতদিন এই প্রভুত্বের কালচারে নিজেদেরকে বশীভূত রাখব ?
কাপুরুষতা : অন্যের বেঁধে দেয়া স্বপ্নে আপনি বসবাস করেন। অন্যের মতো করে আপনি মুখস্থ বলেন আপনার জীবন পাঠ। অথচ নিজের মতো করে স্বপ্ন দেখতে নিজের মতো করে জীবন পাঠ করার সাহস আপনার নেই। রোজ দিন একই সময় অফিস যাওয়া, একই সময় ফেরা, সন্তান উৎপাদন,বেঁচে থাকার জন্য খাওয়া এইসব নিরুত্তাপ দিন কেটে যায় অনেকেরই। কি লাভ ? আপনারও স্বপ্ন ছিল; গোপনে তাকে বেড়ে উঠতে দেন নি। আপনি কি হতে পারতেন না সেই সাহসি মানুষের নাম? এইসব প্রশ্নে এখন আর নিরুত্তর-নিরুত্তাপ থাকার সময় নেই। আর চাকরি নয়। নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে একটি স্বাধীন-স্বপ্নিল জীবনের পথ প্রসারিত হয়ে আছে আমাদের জন্য।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য প্রস্তুতি

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য প্রস্তুতি

freelancingফ্রিল্যান্সিং এবং ফ্রিল্যান্সার
বর্তমানে আমরা প্রায়ই ‘ফ্রিল্যান্সিং’ কথাটি শুনে থাকি এবং অনেকের কাছেই এর সঠিক অর্থটি অজানা। ছোট্ট এই শব্দটির অর্থ হচ্ছে, একজন ব্যক্তি যখন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়ে কিছু নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করে থাকেন। আর যে বা যাঁরা ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন, তাঁদের বলা হয় ফ্রিল্যান্সার।
একজন ফ্রিল্যান্সার একই সঙ্গে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করতে পারে এবং একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়ে থাকে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হচ্ছে যে, এখানে আপনি বাড়িতে থেকেও আপনার পছন্দমতো সময়ে কাজটি করতে পারবেন এবং আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী কাজ ঠিক করতে পারবেন। এখানে আপনি ফুলটাইম বা পার্টটাইমে কাজ করতে পারবেন। আপনার পারিশ্রমিক আপনি ক্লায়েন্টের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করে নিতে পারবেন। আর এসব কাজের পারিশ্রমিকও ভালো হয়ে থাকে।
অসুবিধাটি হচ্ছে, যেহেতু একটি আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে আপনার কাজটি পেতে হবে, এ ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যাও অনেক বেশি থাকে। তাই এখানে কোনো কাজ পেতে আপনাকে অনেক ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে টিকে থাকতে হবে। এখানে আপনি কাজটি দুইভাবে করতে পারেন—নির্দিষ্ট একটি বাজেটে এবং ঘণ্টায় একটি নির্দিষ্ট হারে পারিশ্রমিক নিয়ে।
ফ্রিল্যান্সিং শুরুর পূর্বপ্রস্তুতি
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাইলে আপনাকে প্রথমেই ঠিক করতে হবে যে, আপনি কোন বিষয়ে বা ক্যাটাগরিতে কাজ করতে চান এবং আপনি ওই নির্দিষ্ট বিষয়ে কতটা দক্ষ বা পারদর্শী। বিষয়টি এখানে এমন নয় যে আপনাকে অনেক ক্যাটাগরিতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে; বরং এটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি নিজে যে বিষয়টি বা বিভাগে কাজ করতে চাইছেন, সেটি সম্পর্কে আপনার জ্ঞানের পরিধি কতটুকু। হতে পারে আপনি একজন প্রোগ্রামার বা ওয়েব ডেভেলপার বা মার্কেটার অথবা অন্য কিছু। কিন্তু এখানে মুখ্য বিষয় হচ্ছে আপনাকে আপনার কাজ মার্কেটপ্লেসে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সামনে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে জানতে হবে। তাহলেই একমাত্র আপনি এখানে ভালো একটি পারিশ্রমিক নিয়ে টিকে থাকতে পারবেন।
আর এর পরেই যে বিষয়টি আপনাকে গুরুত্ব দিতে হবে, সেটি হচ্ছে ইংরেজি ভাষা। যদিও আমি আমার লেখায় এটিকে দ্বিতীয় স্থানে রেখেছি, তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি এটাই মনে করি যে, এটিই প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, আপনাকে যেকোনো বিষয়ে উচ্চশিক্ষা বা জ্ঞান লাভ করতে হলে ইংরেজি ভাষার কোনো বিকল্প নেই।
আর আপনি যে মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে যাচ্ছেন, এগুলো সবই আন্তর্জাতিক। যার অর্থ হচ্ছে আপনাকে ইংরেজি ভাষার মাধ্যমেই কাজ পেতে হচ্ছে এবং যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে আপনি কাজ করবেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অবশ্যই আপনাকে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করতে হবে।
যেহেতু আমরা জন্মগতভাবে বাংলাভাষী, তাই ইংরেজি ভাষা আমাদের অনেকের কাছে অনেক কঠিন একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আপনি নিজেকে যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে পরিচিত করতে চান, তাহলে আজ থেকেই ইংরেজি ভাষাকে গুরুত্ব দিন। প্রয়োজনে ফ্রিল্যান্সিং শুরুর আগে ইংরেজির ওপরে কোনো অতিরিক্ত চর্চা বা কোর্স করে নিতে পারেন। কারণ, এটিই আপনার অনেক বড় একটি প্লাস পয়েন্ট হবে।
এবার আসি আপনার নিজেকে আপডেট রাখার বিষয়ে। কারণ, আপনি যে বিভাগেই কাজ করেন না কেন, আপনাকে সেই বিভাগের সব তথ্য সম্পর্কে আপডেট থাকতে হবে। কেননা, এটি আপনাকে কাজ পেতে অনেক সাহায্য করবে। যখন আপনার ক্লায়েন্ট দেখবে যে আপনি সব নতুন তথ্য ও প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত আছেন, তখন সে আপনাকে বেশি প্রাধান্য দেবে। যেমন—আপনি যদি একজন অনলাইন মার্কেটার হন, তাহলে আপনাকে মার্কেটিংয়ের নতুন নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
এ ছাড়া আপনাকে ইন্টারনেট ব্যবহারে পারদর্শী হতে হবে। কেননা, যেকোনো তথ্য জানতে হলে আপনাকে ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে হবে। এমনকি আপনি যেসব মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন, এগুলো সবই অনলাইনে ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে আপনাকে কাজ করতে হবে।
এগুলোর পাশাপাশি আপনার মাইক্রোসফট অফিস অ্যাপ্লিকেশনগুলোর ব্যবহারও জানতে হবে। কেননা, যখন আপনি ক্লায়েন্টের কোনো কাজের রিপোর্ট দেবেন, তখন আপনাকে এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করে সুন্দরভাবে রিপোর্ট উপস্থাপন করতে হবে।
আপনারা অনেকেই ভাবছেন, এত বিষয়ে লক্ষ রেখে কাজ করা মনে হয় কষ্টসাধ্য। অথচ একটু লক্ষ করলেই দেখবেন, বাস্তবে আমি যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছি, প্রতিটিই বিষয়ের সঙ্গেই আমরা জড়িত বা কোনো না কোনোভাবে এগুলোর মধ্য থেকেই আমরা কাজ করি। যেমন ধরুন, ইংরেজি ভাষা শিক্ষা নিয়ে আপনি ছোটবেলা থেকে যখন পড়াশোনা শুরু করেছেন, তখন থেকেই ইংরেজি ছিল। আর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত আসতে আসতে আপনার ফ্রি রাইটিংয়ের দক্ষতা চলে আসে। এর পাশাপাশি বাড়তি হিসেবে যদি কিছু ইংরেজি আর্টিকেল পড়েন, তাহলে একই সঙ্গে যেমন ইংরেজি শেখা হবে, তেমনি ইন্টারনেট ব্যবহারেও আপনি পারদর্শী হয়ে উঠবেন।
তাই যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান, তাহলে উল্লেখিত বিষয়গুলো লক্ষ করলেই এবং কিছু সময় ব্যয় করলেই আপনি একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন।
আত্মবিশ্লেষণ এবং লক্ষ্য নির্ধারণ
আত্মবিশ্লেষণ বলতে আমি বোঝাতে চাইছি, নিজেকে নিয়ে ভাবা বা চিন্তা করা, ব্যক্তির অবস্থান ও তার চাহিদা এবং এগুলোর ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নির্ধারণ করা। মনে হচ্ছে, একটু কঠিন করেই বলে ফেললাম। যাক, একটি উদাহরণ দিলেই হয়তো পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
ধরুন, আপনি বর্তমানে কলেজপড়ুয়া একজন ছাত্রছাত্রী। আপনি আপনার পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়টুকু কী করবেন বা কীভাবে এই সময়টুকু কাজে লাগিয়ে আত্মনির্ভরশীল হবেন, এ নিয়ে ভাবছেন। তখন ফ্রিল্যান্সিং আপনার একটি পছন্দের বিষয় হতে পারে। আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার জন্য অনলাইনে অনেক লেখা পাবেন এবং আপনি এখান থেকে আপনার প্রাথমিক ধারণাটি পেতে পারেন। কিছুদিন এ বিষয়ে পড়াশোনা করলেই আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার অবসর সময়কে কীভাবে কাজে লাগিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন।
আমি এখানে ফ্রিল্যান্সিংকেই আপনার অবসর সময়ে এ জন্যই করতে বলছি যে, ভবিষ্যতে আপনি চাইলে এখান থেকেই নতুন কিছু শুরু করতে পারবেন। এখানে আপনি আপনার পছন্দের বিষয়ে কাজ করতে পারেন, আপনার ইচ্ছামতো সময়ে। এতে করে আপনার পড়াশোনারও খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়; বরং এটি আপনাকে আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করবে।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত সময় ও শ্রম দুটাই দিতে হবে, যা একজন কলেজপড়ুয়া ছাত্রছাত্রীর কাছে রয়েছে। সুতরাং আপনি যদি আগ্রহী হন, তাহলে লক্ষ্য স্থির করে মনোনিবেশ করুন। আশা করছি, একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর আপনি ধীরে ধীরে সাফল্য পেতে শুরু করবেন।
তবে আমি এটি বলছি না, আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংই করতে হবে। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো কাজই করতে পারবেন। আমি এখানে আপনাকে শুধু একটি উপায় বা পথ দেখালাম মাত্র। একজন ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনাকে ইংরেজি ভাষা নিয়েও পড়তে হবে, যা আপনার লেখাপড়ার জন্য উপকারী। এতে করে একই সঙ্গে আপনি আয়ও করছেন এবং আপনার ইংরেজি ভাষাও উন্নত হলো।

মার্কেটপ্লেস নির্ধারণ
বর্তমানে অনলাইনে বেশ কিছু আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে। নতুন যাঁরা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাইছেন, তাঁদের জন্য আমার মতে উপযুক্ত প্ল্যাটফর্মগুলো হচ্ছে—
১. আপওয়ার্ক (www.upwork.com)
২. ফ্রিল্যান্সার (www.freelancer.com)
৩. ফাইভার (www.fiverr.com)
‘আপওয়ার্ক’ এখন বর্তমানে বাংলাদেশে একটি বহুল পরিচিত ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস, যার পূর্বের নাম ছিল ‘ওডেস্ক’। এখানে আপনি একা বা গ্রুপ তৈরি করে কাজ করতে পারবেন। এখানে বিভিন্ন ক্রেতা (বায়ার) তাঁর চাহিদা অনুযায়ী কাজ অফার করে থাকেন এবং আপনি আপনার প্রস্তাব পেশ বা প্রপোজাল সাবমিটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কাজটি পেতে পারেন। ‘আপওয়ার্ক’-এ অনেক ছোট কাজ রয়েছে, প্রথম দিকে আপনাকে ওই সব কাজ করে একটা ভালো রেটিং অর্জন করতে হবে। আর তাহলেই আপনি পরবর্তী সময়ে বড় কাজগুলোর জন্য প্রপোজাল সাবমিট করতে এবং কাজ পেতে সক্ষম হবেন। এখানে সাধারণত আপওয়ার্ক মেসেজের মাধ্যমে আপনি বায়ারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবেন। কাজ শেষ হয়ে গেলে আপনি একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজটি সাবমিট করবেন এবং বায়ার আপনার কাজটি অনুমোদন দিলেই আপনি আপনার পারিশ্রমিক পেয়ে যাবেন।
‘ফ্রিল্যান্সার’ ডটকম বহুল জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। এটি একটি আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস, যেখানে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট হারে পারিশ্রমিক দিয়ে তাঁর কাঙ্ক্ষিত কাজটি করিয়ে নিতে পারে। এর মানে এই নয় যে, এখানে কাজের মূল্য বা পারিশ্রমিক কম। এখানে বিভিন্ন দেশের বায়ার বা ক্লায়েন্ট থাকে, যারা তাদের চাহিদা অনুযায়ী কাজের অফার দিয়ে থাকে এবং ফ্রিল্যান্সাররা ওই কাজের জন্য বিড করে কাজটি পেয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে দুই পক্ষের সম্মতিক্রমে একটি নির্দিষ্ট বাজেটে কাজটি করা হয়ে থাকে। এখানে আপনি ঘণ্টাপ্রতি বা নির্দিষ্ট বাজেটে কাজ করতে পারবেন।
‘ফাইভার’ মার্কেটপ্লেসটি ‘ফ্রিল্যান্সার’ এবং ‘আপওয়ার্ক’-এর তুলনায় ছোট; কিন্তু এটিও খুব জনপ্রিয় একটি মাইক্রোফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। এখানে কাজের ধরনটা একটু ভিন্ন। এখানে আপনি নিজে কী কাজ জানেন বা অভিজ্ঞ, এর ওপর ভিত্তি করে আপনাকে কাজ এর বর্ণনা দিতে হবে, এগুলোকে ‘গিগ’ বলে। এই মার্কেটপ্লেসে সব কাজেরই মূল্য পাঁচ ডলার করে। তাই বিষয়টি মাথায় রেখে আপনাকে আপনার গিগ তৈরি করতে হবে। এথানে ক্লায়েন্টেরও কিছু কাজ পাওয়া যায়, ক্লায়েন্ট তার চাহিদা অনুযায়ী কিছু কাজ দিয়ে থাকে। আপনি চাইলে তাকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে কাজ করতে পারেন। এখানে আপনি একই সঙ্গে অনেক গিগ চালাতে পারবেন।
ওপরের বর্ণিত যেকোনো মার্কেটপ্লেস থেকে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। তবে আপনাকে ধৈর্যশীল ও পরিশ্রমী হতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং শিখুন: কভার লেটার তৈরি ও সাক্ষাৎকার

ফ্রিল্যান্সিং শিখুন: কভার লেটার তৈরি ও সাক্ষাৎকার

কভার লেটার বলতে আমরা সাধারণত যেকোনো প্রকার জব অ্যাপ্লিকেশন লেটারকে বুঝি, যেখানে আপনি নিজেকে তুলে ধরেন, কাজের চাহিদা অনুযায়ী আপনার দক্ষতা কতটুকু এটি বর্ণনা করেন, আর যদি আপনার কোনো অভিজ্ঞতা থাকে সেটি বর্ণনা করে থাকেন এবং সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট বা বায়ারের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কাজ করার সুযোগ চেয়ে অনুরোধ জানান।
আপওয়ার্কেও এর ব্যতিক্রম নয়। এখানে আপনি কোনো একটি নির্দিষ্ট কাজ পাওয়ার জন্য আপনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার বর্ণনা দিয়ে ক্লায়েন্টের কাছে যে আবেদনপত্রটি প্রেরণ করে থাকেন, তাকেই কভার লেটার বলে।
সাধারণত কভার লেটারটি প্রথমে ওয়ার্ড ফাইলে লিখে চেক করে নিতে পারেন কোনো স্পেলিং বা গ্রামাটিক্যাল মিসটেক আছে কি না। যদি এ ধরনের কোনো সমস্যা না থাকে, তাহলে লেটারটি কপি করুন এবং আপওয়ার্কে পেস্ট করুন। আপওয়ার্কের হেল্প সেন্টারের মতামত অনুয়ায়ী, কভার লেটার ২০০ থেকে ২৫০ ওয়ার্ডের মধ্যে হলে ভালো।
কাজের বর্ণনা
আপনাকে যেকোনো কাজে বিড করার আগে এই কাজ সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে হবে। কাজের প্রধান প্রধান কি-ওয়ার্ডগুলো বের করতে হবে। আপনাকে বুঝতে হবে, ক্লায়েন্ট কোন বিষয়গুলো বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। আপনাকেও ওই বিষয়গুলো মাথায় রেখে কভার লেটার লিখতে হবে।
অনেক সময় ক্লায়েন্ট আপনাকে পরীক্ষা করার জন্য বর্ণনার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট শব্দ বা শব্দগুচ্ছকে আপনার কভার লেটারের মধ্যে ব্যাখ্যা করতে বলে। এটা দ্বারা সে বুঝতে চেষ্টা করে, আপনি যে কাজের জন্য বিড করছেন তার বর্ণনাটি ঠিকমতো পড়েছেন কি না।
ক্লায়েন্ট সম্পর্কে ধারণা
কাজে বিড করার আগে আপনাকে ক্লায়েন্টের সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু ধারণা নিতে হবে। যেমন ধরুন, ক্লায়েন্টের নাম, তার পূর্বের কাজগুলো সম্পর্কে জানা, ক্লায়েন্ট সাধারণত কেমন রেটে কাজ করিয়ে থাকে, ক্লায়েন্টের টাইমজোন ইত্যাদি।
কারণ, আপনি যদি ক্লায়েন্টের নাম উল্লেখ করে জবে বিড করেন, তাহলে সে বুঝতে পারে যে আপনি তার কাজটিকে গুরুত্বসহকারে দেখেছেন এবং তার সম্পর্কেও রিসার্চ করেছেন।
Freelancing_11

অতিরিক্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া
অনেক সময় ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজের সম্পর্কে কভার লেটারের বাইরে কিছু প্রশ্ন করে থাকে এবং আপনাকে কভার লেটার শুরু করার আগেই এ প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে গুছিয়ে নিতে হবে। এর মাধ্যমে ক্লায়েন্ট আপনার কাজের ধরন সম্পর্কে জানতে পারে বা আপনি এ কাজ করতে পারবেন কি না, এ সম্পর্কে ধারণা লাভ করে থাকে।
কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রমাণ দেওয়া
আপনি যে কাজের জন্য বিড করছেন, এ ধরনের কোনো কাজের যদি আপনার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে থাকে, তাহলে এটি আপনাকে নতুন কাজ পেতে অনেক সাহায্য করে। কারণ, ক্লায়েন্ট যখন দেখে যে আপনি এ ধরনের কাজ আগেও করেছেন, তখন সে আপনাকে কাজটি দিতে ভরসা পায়। কভার লেটার দেওয়ার সময় আপনি চাইলে আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা বা কাজ সম্পর্কিত কোনো ফাইল সংযুক্ত করে দিতে পারেন।
কাজের প্রাইস বা রেট নির্ধারণ
আপনাকে আপনার কাজের নির্দিষ্ট প্রাইস বা ঘণ্টাপ্রতি রেট কভার লেটারের ফরমে উল্লেখ করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট পূর্বে এ ধরনের কাজ কত রেটে করিয়েছেন, তা আপনি দেখে নিতে পারেন। তাহলে আপনি কত রেটে বিড করতে পারেন, সে সম্পর্কে একটি ধারণা পাবেন।
কভার লেটার লেখার নিয়ম
কভার লেটারের শুরুতে আপনি ক্লায়েন্টের নাম ধরে সম্বোধন করতে পারেন, যদি আপনি তার পূর্বের কাজগুলো থেকে তার নাম জেনে থাকেন। এর পর তার টাইমজোন অনুযায়ী তাকে শুভেচ্ছা জানান। যেমন : সকাল হলে ‘গুড মর্নিং’। কভার লেটারের শুরুতেই চেষ্টা করবেন কাজটি আপনি কীভাবে সম্পন্ন করবেন, এ প্রক্রিয়া বর্ণনা করতে। কখনই প্রথমে আপনি আপনার নিজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হবেন না। কারণ, ক্লায়েন্টের কাছে যখন আপনার এই অফার লেটার যায়, তখন সে পুরো অংশটা দেখতে পারে না।
Freelancing_22
তাই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে যেন প্রথম দুই লাইনের মধ্যেই আপনি এমন কিছু লিখবেন, যা ক্লায়েন্ট পড়ার পর আপনার পুরো লেখাটা পড়ার আগ্রহ পায়। সুতরাং আপনাকে চেষ্টা করতে হবে এই অল্প কথার মধ্যেই কাজের প্রক্রিয়াটি সহজে বর্ণনা করতে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ক্লায়েন্টকে আপনার কাজ করার সময় সম্পর্কে জানান। যেমন : আপনি প্রতি সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টা কাজ করবেন। এটি উল্লেখ করলে ক্লায়েন্ট একটি ধারণা পায় যে কত দিনে আপনি কাজটি করতে পারবেন বা সর্বোচ্চ কত সময় লাগতে পারে কাজটি শেষ করতে। এ ছাড়া আপনি এটি উল্লেখ করতে পারেন যে আপনি প্রতি সপ্তাহে তাকে কাজের একটি আপডেট রিপোর্ট দেবেন। যেখানে আপনি এক সপ্তাহে শেষ করা কাজের বর্ণনা দেবেন। এর পরে আপনি এই কাজ করার জন্য আপনার কতটুকু অভিজ্ঞতা আছে, আপনার দক্ষতা কোন বিষয়গুলোতে বেশি এ বিষয়গুলো এখানে তুলে ধরতে পারেন।
কখনই একই কভার লেটার কপি করে বারবার সেটি ব্যবহার করবেন না। তাহলে এটি স্প্যাম হিসেবে গণ্য হবে। সব সময়ই চেষ্টা করবেন প্রতিটি জবের জন্য ইউনিক কভার লেটার লিখতে।
মূল কথা, এই কভার লেটারের মাধ্যমেই আপনার ক্লায়েন্টকে বোঝাতে হবে যে, আপনি কাজটি সম্পর্কে পুরোপুরি বুঝতে পেরেছেন এবং আপনি কাজটি অনেক ভালোভাবে সম্পন্ন করে দিতে সক্ষম। আর আপনি যে তার এই কাজটি করতে কতটা আগ্রহী, এটি বোঝানোর মাধ্যমে কভার লেটারটি শেষ করুন। তাহলেই আপনি ইন্টারভিউর জন্য আশা করতে পারেন।
একটি সাক্ষাৎকার সফল করতে করণীয় বিষয়গুলো
আপনাকে যদি প্রাথমিকভাবে ক্লায়েন্ট নির্বাচন করেন, তাহলে সে আপনাকে ইন্টারভিউ অফার করবে। এই ইন্টারভিউ হতে পারে আপওয়ার্ক মেসেজের মাধ্যমে বা হতে পারে Skype মেসেঞ্জারের মাধ্যমে। তবে ইন্টারভিউ যেখানেই হোক না কেন, আপনাকে যেদিকে লক্ষ রাখতে হবে সে বিষয়গুলো হচ্ছে—
  • ক্লায়েন্টের টাইমজোন অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত রাখুন। ক্লায়েন্ট তার সময়মতো আপনাকে ইন্টারভিউর জন্য কল করবে এবং আপনাকে ওই সময়েই তার সঙ্গে ইন্টারভিউতে আসতে হবে। তা না হলে আপনি কাজটি হারাবেন।
  • ইন্টারভিউর আগে ক্লায়েন্ট সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন এবং তার বিজনেস বা প্রোডাক্ট সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা রাখুন। এটি আপনাকে ইন্টারভিউতে অনেকখানি এগিয়ে রাখবে।
  • যখন আপনার ক্লায়েন্ট ইন্টারভিউ নেবে, তখন তাকে সম্মান জানান। তার সঙ্গে ভদ্রতার সঙ্গে কথা বলুন এবং প্রফেশনালিজম বজায় রাখুন।
  • ইন্টারভিউর সময় সত্য কথা বলবেন। কখনই কোনো কারণে মিথ্যার আশ্রয় নেবেন না। ক্লায়েন্টের সব জিজ্ঞাসার সঠিক উত্তর দিতে চেষ্টা করুন।
  • সব সময় ইন্টারভিউর শেষে পজিটিভ কথা বলবেন। ক্লায়েন্টের কাছে কাজের ডেটলাইন সম্পর্কে জেনে নিন এবং সে অনুযায়ী একটি কর্মপরিকল্পনা তাকে দিন। ইন্টারভিউ শেষ হলে ক্লায়েন্টকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না।
  • আপনি ইন্টারভিউ শেষ হওয়ার পর ক্লায়েন্টের সঙ্গে নির্ধারিত কথা অনুযায়ী কাজ শুরু করুন। তবে আপনাকে হায়ারিং লেটার পাঠানোর পরে আপনি সম্পূর্ণভাবে কাজ শুরু করুন। কোনো কিছু জানতে হলে আপওয়ার্কের মাধ্যমে ক্লায়েন্টকে মেসেজ করুন।
  • সব সময় চেষ্টা করবেন ক্লায়েন্টকে কাজের আপডেট জানাতে। আপনি প্রতি সপ্তাহে তাকে আপনার কাজের একটি আপডেট রিপোর্ট দিন। এতে করে ক্লায়েন্ট বুঝতে পারবে, আপনি কীভাবে তার কাজটি করছেন এবং কাজটি ঠিকমতো সম্পন্ন হচ্ছে কি না।
এভাবে কিছু পূর্বপ্রস্তুতি এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে আপনি একটি ইন্টারভিউ সফলভাবে শেষ করতে পারবেন। সব সময় চেষ্টা করবেন, কাজের ডেটলাইনের আগেই কাজটি সাবমিট করতে। এবং কাজটি সুন্দর একটি রিপোর্ট আকারে আপনার ক্লায়েন্টের সামনে উপস্থাপন করুন (রিপোর্টটি হতে পারে একটি ওয়ার্ড বা এক্সেল ফাইল অথবা একটি পিডিএফ ফাইল)।
কাজ শেষ হয়ে গেলেও ক্লায়েন্টের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন। এতে করে ভবিষ্যতে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

ফ্রিল্যান্সারদের ঠিকানা এখন বিল্যান্সার

ফ্রিল্যান্সারদের ঠিকানা এখন বিল্যান্সার

বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত শ্রমনির্ভর। তবে তথ্যপ্রযুক্তির হাত ধরে পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে মেধানির্ভরতার দিকে। বাংলাদেশেও এই ধারা শুরু হয়েছে। জনপ্রিয় সব অনলাইন কাজের বাজারে (মার্কেটপ্লেস) বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষ দশের মধ্যে। বাংলাদেশি মুক্ত পেশাজীবীদের (ফ্রিল্যান্সার) কাজ যেখানে সারা বিশ্বে সমাদৃত, সেখানে আমাদের নিজস্ব অনলাইন কাজের বাজার নেই—মূলত এমন চিন্তা থেকেই ২০১৩ সালে ‘আমার ডেস্ক’ নামে যাত্রা শুরু করে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি দেশি অনলাইন মার্কেটপ্লেস। এখন এর নাম বিল্যান্সার (www.belancer.com)। এই ওয়েবসাইটে দেওয়া কাজগুলো বাংলাদেশের।
বিল্যান্সারের প্রতিষ্ঠাতা মো. শফিউল আলম বললেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য আমাদের নেই বললেই চলে। সবাই সেবা দিয়ে যাচ্ছে, যা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে বড় করছে। বিল্যান্সার চালু করার পেছনে এটাও বড় কারণ ছিল।’
ফ্রিল্যান্সিংয়ের এই সাইটের ব্যাপারে মানুষের আস্থা বাড়াতে শফিউল আলম কথা বলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে। তিনি আমার ডেস্কের বদলে বিল্যান্সার নাম নিয়ে নতুন করে যাত্রা শুরুর কথা বলেন—জানালেন শফিউল।
বাংলাদেশে ১০ লাখের মতো মুক্ত পেশাজীবী অনলাইন কাজের বাজারগুলোতে কাজ করে যাচ্ছেন। কিছুদিন আগেও কাজের টাকা লেনদেনের সহজ কোনো পথ ছিল না। বিল্যান্সারের সুবিধাটা এখানেই। কাজ করার পর টাকা পাওয়ার ব্যাপারটা সহজ হয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক অনলাইন কাজের বাজারগুলোর সব সুবিধাই আছে বিল্যান্সারে, কিছু কাজ অবশ্য এখনো চলছে। বায়ার এখানে কাজ দেবেন (পোস্ট), ফ্রিল্যান্সাররা সে কাজের জন্য আবেদন বা বিড করবেন। আবেদনের তালিকা থেকে দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং পোর্টফোলিও দেখে সেরা কর্মী বাছাই করবেন নিয়োগদাতা। কর্মীর প্রোফাইলে আগে করা কাজের তালিকা, তাতে নিয়োগদাতার দেওয়া পর্যালোচনা এবং আয়ের পরিমাণ উল্লেখ থাকে। ফলে সেরা কর্মী নির্বাচন করা সহজ হয়ে যায়।
নতুন কোনো কাজ পোস্ট করার সময় নিয়োগদাতার কাছ থেকে মোট কাজের সমপরিমাণ টাকা তাঁর বিল্যান্সার অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। কাজ বুঝে পেলে তিনি কর্মীকে তার কাজের জন্য সেখান থেকে টাকা পরিশোধ করে দিতে পারেন। এতে কর্মী ও নিয়োগদাতা, উভয়ই আর্থিক প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পান। বিল্যান্সারে আয়ের উৎস দুই পক্ষই। কর্মী ও নিয়োগদাতা উভয়ের কাছ থেকে ৫ শতাংশ কেটে রাখা হয়।
মুক্ত প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় বিল্যান্সারে জালিয়াতির আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। তা প্রতিরোধে কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তা-ই জানালেন শফিউল। বিল্যান্সার চালুর পর ওয়েবসাইটটি ছিল ত্রুটিপূর্ণ। আইসিটি বিভাগের সহায়তায় প্রায় ৩৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক ৫৫০টির বেশি ত্রুটি-বিচ্যুতি চিহ্নিত করে জানায়। ত্রুটিগুলো দূর করে ওয়েবসাইটটির নতুন সংস্করণ চালু করার কথা আছে আজ ১ জুন।
ওয়েবসাইটটির নিরাপত্তা যেন বিশ্বমানের হয়, সেদিকেও রাখা হচ্ছে কড়া নজর বলে জানালে শফিউল। আর অনলাইন সেবাকেন্দ্র তো আছেই। লেনদেনের নিরাপত্তার ব্যাপারে শফিউল বলেন, ‘হাইপারট্যাগ নামে আমাদের প্রতিষ্ঠান আগে থেকেই মোবাইল লেনদেন নিয়ে কাজ করছে। সে অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগাব।’
শফিউলের জন্ম ময়মনসিংহে, বেড়ে ওঠা সেখানেই। এসএসসির পাট চুকিয়েছেন ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে। এইচএসসি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করে পেশাজীবন শুরু করেন। সেসব দিনের কথা শফিউল নিজেই জানালেন, ‘বাংলায় মোবাইল গেম তৈরি করেছি অনেক আগে। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের সঙ্গে মোবাইল রেমিট্যান্স নিয়ে কাজ করি। বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক লেনদেন নিয়েও আমরা কাজ শুরু করেছি। আমরা আরেকটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম সারা দেশের ডাকঘরগুলোকে আমূল বদলে দিতে, সেটা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।’
বিল্যান্সার তৈরির পেছনে অনেকের মেধা-শ্রম আছে বলে জানালেন শফিউল। তাঁদের মধ্যে মোজাফফ্র চৌধুরী, শামসুল আরেফিন, শেকড় আহমেদ, আশিক আহমেদ, আজিজুর রহমান, রোহান রেজা, রহিম এম ইরতেজা, আনোয়ার হোসাইন, অনিন্দ্য আহমেদ, নাজমুস সাকিব, আসিব চৌধুরী, আশরাফুল আলম ও জিয়াউর রহমান উল্লেখযোগ্য। গত ১ মে নতুন পরীক্ষামূলক ওয়েবসাইট নিয়ে বিল্যান্সারের যাত্রা শুরু। এরই মধ্যে ১৫০টি কাজ পোস্ট হয়েছে। যেগুলোর আর্থিক মূল্যমান ৩০ লাখ টাকা। দিন দিন এই সাইটে বাড়ছে নতুন ফ্রিল্যান্সার ও কাজের সংখ্যা।
বিল্যান্সার যেভাবে ব্যবহার করবেন
প্রথমে www.belancer.com ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করে নিতে হবে। নিবন্ধনের পর হবে আপনার নিজের অ্যাকাউন্ট। এরপর কাজ পোস্ট করা বা কাজের জন্য আবেদন করা যাবে এক অ্যাকাউন্ট দিয়েই। কাজে আবেদনের জন্য ‘ব্রাউজ ওয়ার্ক’-এ ক্লিক করতে হবে। এরপর ওয়েবসাইটটিতে সব কাজের তালিকা দেখাবে। আর নির্দিষ্ট কাজের জন্য দক্ষ ফ্রিল্যান্সার পাওয়া যাবে ‘ফাইন্ড ফ্রিল্যান্সার’ অংশে। নতুন কাজ পোস্ট করতে লগ-ইন করে পোস্ট প্রোজেক্ট-এ ক্লিক করতে হবে। ফ্রিল্যান্সারের প্রোফাইলে আগে করা কাজের তালিকা, আগের নিয়োগদাতার দেওয়া পর্যালোচনা এবং পোর্টফোলিও দেখাবে, যা দেখে ফ্রিল্যান্সার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য যোগাযোগ করতে পারবেন ‘সাপোর্ট’ অংশে। সরাসরি যোগাযোগ (লাইভ চ্যাট) যেমন করা যাবে, তেমনই নিজের অভিযোগ জানিয়ে রাখার (টিকিট) সুযোগও আছে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের সেরা কিছু কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ফ্রিল্যান্সিংয়ের সেরা কিছু কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন…

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় পেশা। বাংলাদেশে কয়েক লক্ষ ছেলেমেয়ে এই পেশায় জড়িত । দিন দিন পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের গুরুত্ব বাড়ছে। আপনিও ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন? কিন্তু বুঝতে পারছেন না, কোনটা নিয়ে কাজ করবেন? আজ আমরা ফ্রিল্যান্সিং এ বর্তমানে জনপ্রিয় কিছু কাজের কথা বলব।
ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টঃ এই সময়ে বিশ্বের ছোট-বড় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ব্যক্তিগত ও সামাজিক প্রায় সব ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে । সবাই নিজের একটি ভার্চুয়াল ঠিকানা চাচ্ছেন। একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান একদিকে যেমন এর গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে, অপরদিকে বিভিন্ন শহরে বা দেশে অবস্থিত নিজ নিজ শাখার সাথে সহজে এবং কম খরচে যোগাযোগ করতে পারে। আর এ কারনেই ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে।
ওয়েব ডিজাইন হচ্ছে একটা ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে তা নির্ধারণ করা। ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে আপনার কাজ হবে একটা পূর্ণাঙ্গ ওয়েব সাইটের টেম্পলেট বানানো। যেমন ধরুন এটার লেআউট কেমন হবে, হেডারে কোথায় মেনু থাকবে, সাইডবার হবে কিনা, ইমেজগুলো কিভাবে থাকবে ইত্যাদি।
একটি সাধারণ ওয়েব পেইজ ডিজাইন করতে সাধারনত ব্যবহার হয় HTML, CSS এর মত মার্ক আপ ল্যাঙ্গুয়েজ। ভাল মানের ওয়েব পেইজ ডিজাইন করতে হলে আরও কিছু ল্যাঙ্গুয়েজ জানা লাগে, যেমন- JavaScript (Basic), JQuery, PHP, HTML5, CSS3 ইত্যাদি । ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে ওয়েবসাইটের জন্য এপ্লিকেশন তৈরী করা। যেমন লগিন সিস্টেম, নিউজলেটার সাইনআপ, ফাইল আপলোড করে ডেটাবেসে সেভ করা,ইমেজ ম্যানিপুলেশন, পেজিনেশন, যদি সাইটে বিজ্ঞাপন থাকে তাহলে প্রতিবার পেজ লোড হওয়ার সময় বিজ্ঞাপনের পরিবর্তন এগুলি এপ্লিকেশন, ওয়েব এপ্লিকেশন ইত্যাদি।
অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে ওয়েব ডিজাইনার এবং ওয়েব ডেভেলপারদের অনেক চাহিদা রয়েছে। অনলাইনে উপার্জনের যতগুলো মাধ্যম রয়েছে, তার মধ্যে ওয়েব সাইট ডিজাইন ও ডেভলপমেন্ট হচ্ছে সবচেয়ে চাহিদাপূর্ণ ক্ষেত্র। ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভেলপার হতে হলে আপনার প্রচুর ধৈর্য আর সময়ের দরকার ।
গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় পেশা। এ কাজটি একই সাথে আনন্দদায়ক এবং সৃজনশীল।নিজেকে আন্তর্জাতিক মানের ডিজাইনার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে পাড়ি দিতে হবে দীর্ঘ পথ, জানতে হবে নিত্য-নতুন কলা-কৌশল। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের অন্যতম একটি মাধ্যম হল গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইন এমনি একটি ক্ষেত্র, যার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে।
আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত মিডিয়াম লেবেল এর গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা Free lancer হিসাবে কাজ করে ঘণ্টা প্রতি ২০-৩০ ডলার আয় করতে পারে । যেসব কাজ পাবেন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলিতেঃ লোগো ডিজাইন,বিজনেস কার্ড ডিজাইন, ব্যানার/ পোস্টার ডিজাইন, বুক কাভার ডিজাইন, ওয়েব সাইটের জন্য পিএসডি তৈরি, স্টিকার ডিজাইন, প্রোডাক্ট হলোগ্রাম ডিজাইন, ইমেজ এডিটিংএন্ড রিসাইজ, ফটো রিটাচিং, স্কেচ তৈরি/ড্রয়িং করা ইত্যাদি।
অনলাইনে আয়ের মাধ্যম ডিজাইন প্রতিযোগিতা বিড করে কাজ যোগাড় ডিজাইন বিক্রি। কোথায় কাজ পাবেনঃ ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পত্রিকা/ম্যাগাজিন/প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অনলাইন মার্কেট প্লেইস প্রিন্টিং এবং ডিজাইনিং প্রতিষ্ঠান ডিজাইনের কাজের জন্য প্রয়োজন টুলস এবং সফটওয়্যার । গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য ব্যবহৃত দুটি সফটওয়্যার Adobe Photoshop এবং Adobe Illustrator । আর আপনার যদি আঁকাআঁকি করতে ভালো লাগে তাহলে সেটা অবশ্যই প্লাস পয়েন্ট।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ আপনি যদি অনলাইন থেকে কারো পন্য বিক্রি করে দিতে পারেন তাহলে আপনিও সেই পন্য থেকে কিছু টাকা কমিশন পাবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হতে হবে। আর আপনি যখন আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং স্কিল টা ব্যবহার করে অন্য কারও প্রডাক্ট অথবা সার্ভিস কমিশন ভিত্তিক প্রমোশন করবেন সেটা হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোডাক্ট মূলত ২ প্রকারের।
1. ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট। 
2. ডিজিটাল প্রোডাক্ট। 
ফিজিক্যাল প্রোডাক্টের জন্য আদর্শ মার্কেটপ্লেস গুলো হচ্ছে অ্যামাজন, ইবে ইত্যাদি। ডিজিটিাল প্রোডাক্টের জন্য আদর্শ মার্কেটপ্লেস গুলো হচ্ছে ক্লিকব্যাংক, জেভিযু, কমিশন জাংকশন ইত্যাদি।
13393121_562527883925628_926392514_nব্লগিংঃ ব্লগিং ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রায় একই বিষয়। ব্লগিং হচ্ছে আপনার আইডিয়া শেয়ারের অন্যতম মাধ্যম। ব্লগ থেকে আয়ের প্রধান উৎসটি হলো বিজ্ঞাপন। একটি ব্লগ খুলে আপনি যদি বেশ ভাল সংখ্যক ভিজিটর আনতে পারেন তাহলে আপনি ব্লগিং করেও বেশ ভাল অর্থ আয় করতে পারেন। এখানে, ভিজিটর হচ্ছে যারা আপনার ব্লগ পড়বে অর্থাৎ আপনার ব্লগের পাঠক। ব্লগ কে আপনি আপনার ডায়েরীর সাথে তুলনা করতে পারেন।
আপনি আপনার প্রতিদিনকার ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনা, কবিতা, গান, শখ,তথ্য প্রযুক্তি ইত্যাদি নিয়ে সম্পূর্ণ মুক্ত ভাবে লিখে রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি নিজেকে,আপনার চিন্তা-চেতনা, আপনার দেশ-সংস্কৃতি-কালচার শেয়ার করছেন সারা পৃথিবীর সাথে। এছাড়া আপনার পণ্য-দ্রব্য- লেখা ও তুলে ধরতে পারেন বিশ্ববাসীর কাছে। ব্লগিং ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে প্রতিমাসে ২ থেকে ১০ হাজার ডলার আয় করছেন এমন সফল ফ্রিল্যান্সার এর সংখ্যা এখন অনেক।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO):  সার্চ ইঞ্জিনগুলোর কাছে যেকোন কিছু (ওয়েবসাইট/ব্লগ/প্রোডাক্ট ইত্যাদি) জনপ্রিয় করে তোলাই হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর প্রধান প্রধান উদ্দেশ্য গুলো এ রকম
1. একটি সাইটকে সকলের কাছে সহজে পৌছে দেওয়া।
2. ওয়েব সাইটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করা।
3.সাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি করা।
4.তথ্য বিনিময় ও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার শক্ত আবস্থান তৈরি করা।
এসইও ২ ধরনের হয়। হোয়াইট হ্যাট এসইও (White Hat SEO): নিয়মনীতি না ভেঙ্গে যদি এসইও করা হয় ব্ল্যাক হ্যাট এসইও (Black Hat SEO):  সার্চ ইঞ্জিনের নিয়মনীতি ভেঙ্গে যে এসইও করা হয় এসইও এর মাধ্যমে সহজেই আয় করা যায় । কোন প্রোগ্রামিং ভাষা জানার তেমন দরকার নাই বিধায় এই কাজ অতি সহজে রপ্ত করে দ্রুত কাজ শুরু করা যায় বলে বিশ্বব্যাপী এই কাজে নিয়োজিত আছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।
ডাটা এন্ট্রিঃ শুধু মাত্র ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর শুরুটা করতে পারেন । ডাটা এন্ট্রি বলতে মুলত টাইপ করা বুঝায়। কাগজে লেখা আছে সেটা দেখে টাইপ করে ডিজিটাল ফাইল তৈরী করবেন। সময়ের সাথে সাথে ডাটা এন্ট্রির ধরনও অনেক পাল্টেছে। বর্তমানে ডাটা এন্ট্রি বলতে মুলত পিডিএফ ফাইল দেখে টাইপ করাই বুঝায়। ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য MS Word, MS Excelএবং MS PowerPoint জানা থাকতে হবে । তবে বিশেষ করে মাইক্রোসফট এক্সেল সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হয় । তবে typing speed এবং mouse handling speedএ firstথাকা টা খুব দরকার ।
ইংরেজীতে তে মোটামুটি দক্ষতা থাকতে হয়। তার সাথে রয়েছে ইন্টারনেটে সার্চ করে কোন একটি তথ্য খুঁজে পাবার দক্ষতা এবং বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট, ফোরাম, ওয়েব ডাইরেক্টরী সম্পর্কে ভাল ধারণা। যারা এখনো ভাবছেন কি করা যায়, দ্বিধা-দ্বন্দে দিন কাটাচ্ছেন, তারা যে কোন একটা বিষয় নিয়ে শুরু করে দিন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ। দেশে বিদেশে আপনার জন্য আনেক কাজের ক্ষেত্র প্রস্তুত রয়েছে।

ডলার আয় সহজ নয় তাই ফ্রিলাসিং না শিখে নয়

ডলার আয় সহজ নয় তাই ফ্রিলাসিং না শিখে নয়

‘আউটসোর্সিং’, ‘ফ্রিল্যান্স’, ‘আয় করুন বৈদেশিক মুদ্রা ঘরে বসেই’ ইত্যাদি শব্দ বা বাক্যের সঙ্গে এখন অনেকেই পরিচিত। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম। এই বিষয়গুলো নানা সময় নানাভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়ে থাকে। তরুণদের অনেকেই মনে করেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করলেই বুঝি কাঁড়ি কাঁড়ি ডলার আসতে থাকবে। কিন্তু আউটসোর্সিংয়ের কাজে সাফল্যের খবর যেমন জানা যায়, ব্যর্থতার খবর কম নয়। প্রকৃতপক্ষে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ে ব্যর্থতার ঘটনা অনেক বেশি। কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন ছাড়া অনলাইনে আয় করা সম্ভব নয়। শুরুর আউটসোর্সিং বিষয়টা সম্পর্কে জানতে হবে।
ফ্রিল্যান্সার:
ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশাজীবী এমন একজন যিনি নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে যুক্ত না থেকেই কাজ করেন। একজন ফ্রিল্যান্সার এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। আবার নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চাকরি বা পড়ালেখার পাশাপাশিও ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অন্যান্য কাজ করতে পারেন।
আউটসোর্সিং:
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যখন তার নিজের বা প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো বাইরের কাউকে দিয়ে করিয়ে নেয় তখন সেটি আউটসোর্সিং। প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কাজ আউটসোর্স করা হয়ে থাকে। এই কাজগুলো অপর কোনো প্রতিষ্ঠান করতে পারে অথবা একজন ফ্রিল্যান্সারও কাজটা করে দিতে পারেন। প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো আউটসোর্স করার অনেক ধরনের কারণ রয়েছে, দক্ষ লোককে দিয়ে কাজ করানো, কম মজুরির হার, কম সময়ে কাজ সম্পন্ন করা, সামগ্রিক ব্যয় কমানো, প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অন্যান্য কাজে নিয়োগ করাসহ আরও কারণ রয়েছে।
অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট (মার্কেটপ্লেস হিসেবে পরিচিত) যেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। আবার আউটসোর্সিং মানেই সব সময় যে অনলাইনে কাজ করা এমন নয়। ধরা যাক একটি তৈরি পোশাক কারখানায় শার্ট তৈরি করা হয় এবং শার্টের বোতামগুলো এই কারখানায় তৈরি করা হয় না। এগুলো সরবরাহ করা হয় অপর একটি প্রতিষ্ঠান থেকে। অর্থাৎ তৈরি পোশাক কারখানাটি বোতাম তৈরির আলাদা ব্যবস্থা না রেখে অন্য কারখানা থেকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারে।
অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ পাওয়ার পদ্ধতি:
ইন্টারনেটে বেশ কিছু মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের দক্ষ পেশাজীবীরা এখানে নিয়মিত কাজ করছেন। আবার বিষয়ভিত্তিক আলাদা আলাদা মার্কেটপ্লেসও রয়েছে। এই বাজারে কাজগুলোর বর্ণনা থাকে এবং যাঁরা কাজ করতে আগ্রহী তাঁরা কাজটি কত সময়ের মধ্যে এবং কত পারিশ্রমিকের বিনিময়ে করতে পারবেন তা উল্লেখ করে আবেদন করবেন। এরপর আলোচনার মাধ্যমে যিনি কাজটি করাবেন তিনি কোনো একজনকে নির্বাচন করবেন।
অনলাইন মার্কেটগুলোতে কাজের বর্ণনা সাধারণত ইংরেজিতে দেওয়া থাকে। অর্থাৎ ইংরেজি ভাষা জানেন এবং ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে, পৃথিবীর এমন যে কেউই এই কাজগুলো করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু আবেদন করলেই কাজ পাওয়া যাবে এমন না, এটি প্রায় সম্পূর্ণভাব নির্ভর করে দক্ষতার ওপর। দক্ষতা ছাড়া কাজের জন্য আবেদন করা হলে হয়তো কখনো যোগাযোগই করা হবে না।
অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ৫০০-এরও বেশি বিষয়ের কাজ পাওয়া যায়। যে বিষয় নিয়েই কাজ করা হোক না কেন, ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে। কাজের জন্য আবেদন করা থেকে শুরু করে কাজ পাওয়া, কাজের বিভিন্ন ধাপে এবং সম্পন্ন করার পর পর্যন্ত কাজদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। যোগাযোগের দুর্বলতা থাকলে কোনো কারণে কাজ পাওয়া গেলেও নিয়মিতভাবে অনলাইনে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।
কাজ শেখা ও দক্ষতা অর্জন:
‘আলাদাভাবে শেখার প্রয়োজন নেই, কাজ করতে করতে শেখা হবে’—ধারণাটি এ ক্ষেত্রে ভুল। কাজ শুরু করার আগে বিষয়টি সম্পর্কে সর্বোচ্চ দক্ষতা না থাকলেও অবশ্যই কাজটি সম্পন্ন করার মতো জ্ঞান থাকতে হবে। কাজের মাধ্যমে শেখা শুরু করলে প্রায় কখনোই নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রকল্প শেষ করা যায় না। নিজের আগ্রহ কোন দিকে রয়েছে, সেটা বুঝতে হবে প্রথমে এবং এরপর সেই বিষয়সংশ্লিষ্ট কাজগুলো খুঁজে বের করতে হবে মার্কেট থেকে। কাজের বর্ণনায় লেখা থেকেও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কী কী বিষয় শেখা প্রয়োজন সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
কাজ শেখার সব থেকে বড় উৎস হলো ইন্টারনেট। সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে খুঁজে নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব এবং এখান থেকেই শেখা শুরু করা যেতে পারে। অনলাইনে বিনা মূল্যে প্রায় সব বিষয় সম্পর্কেই জানা সম্ভব। নিয়মিত চর্চা করা হলে ধীরে ধীরে বিষয়টি সম্পর্কে দক্ষ হয়ে ওঠা সম্ভব। পাশাপাশি শেখার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া যেতে পারে। তবে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে বা কোনো কোর্স করার সঙ্গে সঙ্গেই কাজ পাওয়া শুরু হয়ে যাবে এমন নয়। নিয়মিত চর্চা চালিয়ে যাওয়া জরুরি। আবার প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলেও, পাশাপাশি নিজের আলাদাভাবে শেখার কাজটি চালিয়ে যেতে হয়।
আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করার ফলেই পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। কোনো বিষয়ে পারদর্শিতা না থাকলে কাজ পাওয়া বা উপার্জনের আশা করাটা ভুল। কত কম সময়ের মধ্যে কত বেশি পরিমাণ উপার্জন সম্ভব, এমন লক্ষ্যের পেছনে দৌড়ালে জয়লাভ করা যাবে না। দক্ষতা বাড়ানোর কাজ চালিয়ে যেতে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে কাজ পাওয়ার জন্য অনুসন্ধান করতে হবে।
লেখক: সফটওয়্যার প্রকৌশলী নাসির খান

ক্যারিয়ার গড়তে আউটসোসিং এর ক্ষেত্র চিনুন

ক্যারিয়ার গড়তে আউটসোসিং এর ক্ষেত্র চিনুন…

ফ্রীলান্সিং কিংবা আউটসোর্সিং যাই বলুন না কেন তরুন প্রজন্মের প্রায় বেশীরভাগের কাছে এ নিয়ে কৌতূহল দিন দিন বেড়েই চলছে । চাকরি নামক সোনার হরিণ দিনে দিনে দুর্মূল্য হয়ে ওঠায় তরুন থেকে বয়স্ক বিশেষ করে বেকারদের কাছে আগ্রহের বিষয়ে পরিনত হয়েছে।
আসুন আমরা প্রথমে শব্দ দুটোর সাথে পরিচিত হই।
আপাত দৃষ্টিতে ফ্রীলান্সিং এবং আউটসোর্সিং একই অর্থে ব্যবহার করা হলেও দুটোর মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে।
আউটসোর্সিং বলতে আমরা বুঝি ঘরে বসে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে কাজ করে আয় করা।
ফ্রীলান্সিং হচ্ছে স্বাধীন ভাবে কোন কাজ করা। মুক্ত পেশা। যেমন ধরুন, ব্যবসায় করা। এখানে আপনার কোন অফিসিয়াল প্রেসার নাই, আপনি নিজেই নিজের বস। এক্ষেত্রে শুধু ফ্রীলান্সিংকে একক ভাবে আউটসোর্সিং বলা চলে না। আবার নিজ দেশের কাজ বা স্থানীয় কাজকেও আউটসোর্সিং বলা যায় না।
তবে যেহেতু  ইন্টারনেটে  কাজ করা নিজের স্বাধীনতার উপর নির্ভর করে, তাই আউটসোর্সিং ও ফ্রীলান্সিং শব্দ দুটি একই অর্থে  ব্যবহার  করা হয়।
বর্তমানে আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্র সমুহঃ
13342205_560357414142675_1017321887_n
•    COMPUTER PROGRAMMING,
•    WEB DESIGN,
•     ‍ৃGRAPHIC DESIGN,
•    WEBSITE DEVELOPMENT,
•     VIDEO EDITING,
•     VIDEO PRODUCTION,
•     TRANSLATING,
•    ILLUSTRATING
•     MUSIC
•     JOURNALISM
•    PUBLISHING
•     SCREENWRITING,
•     FILM MAKING,
•     ACTING,
•     PHOTOJOURNALISM,
•     COSMETICS,
•    FRAGRANCES,
•     EDITING,
•    PHOTOGRAPHY,
•    EVENT PLANNING,
•    EVENT MANAGEMENT,
•     COPY EDITING,
•     PROOFREADING,
•    AUTHOR EDITING,
•     INDEXING,
•    COPY WRITING,
•     WRITING,
•     CONSULTING,
•     TOUR GUIDING,
•    POST-SECONDARY EDUCATION,
ইত্যাদি
ফ্রীলান্সিং মার্কেটপ্লেসে হাজার হাজার  কাজ আপেক্ষা করছে আপনার জন্য । ফ্রীলান্সিং এ সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি, সেটি হল আত্মবিশ্বাস । আপনাকে নিজের উপর প্রচুর আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে । তার আগে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে। হুজুগে নয় বরং নিজেকেই প্রশ্ন করুন আপনার পছন্দের বিষয় কোনটি । তারপর প্রয়োজনীয় ট্রেনিং আর প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে শুরু করুন আজ থেকেই।
আপনি এখন ভাবতে থাকুন আদৌও ফ্রীলান্সিং পেশায় আসবেন কিনা?  আর আসতে চাইলে কোন বিষয়টা আপনি মন থেকে পছন্দ করছেন…।
চলবে…
লেখক: সিরাজুম মুনিরা

বিনামূল্যে এসইও প্রশিক্ষণ

বিনামূল্যে এসইও প্রশিক্ষণ

এসইও কী?
এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) হচ্ছে এমন কিছু পদ্ধতি, যার মাধ্যমে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের (যেমন : Google, Bing, Yahoo) রেজাল্ট পেজে আপনার সাইট/ব্লগের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায় এবং এর ফলে সাইটে কাঙ্ক্ষিত টার্গেটেড ট্রাফিক আনা সম্ভব হয়।
আরো সহজভাবে বললে, বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের (যেমন : Google, Bing, Yahoo) নির্ধারিত নিয়মনীতি অনুসরণ করে আপনার সাইট/ব্লগকে ওই সব সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে নিয়ে আসার প্রক্রিয়াটিকেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলে।
এসইও কেন দরকার?
আমরা আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে বা সেবাদানের লক্ষ্যে ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকি। কিন্তু এই ওয়েবসাইট তৈরির মূল উদ্দেশ্য থাকে কাঙ্ক্ষিত ট্রাফিক/ভিজিটর। কারণ, আপনার সাইটে যদি ট্রাফিক না আসে, তাহলে ওই সাইট থেকে আপনি কোনো প্রকার সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। আর সাইটে ট্রাফিক/ভিজিটর বেশি পেতে হলে এটিকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজের ওপরের দিকে নিয়ে আসতে হবে।
কেননা, অধিকাংশ ট্রাফিকই আসে সার্চ ইঞ্জিনে বিভিন্ন কি-ওয়ার্ডের মাধ্যমে সার্চ করে। আর এসব সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্কিংয়ে আসতে হলে আপনার সাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনের নিয়মনীতি অনুসরণ করে যথাযথভাবে অপটিমাইজড করতে হবে। তাহলেই আপনি সার্চ ইঞ্জিনগুলো থেকে ভালো মানের ট্রাফিক পেতে পারেন এবং আপনি লাভবান হতে পারবেন। কারণ, ট্রাফিক = প্রফিট। ট্রাফিক যত বাড়বে, আপনার আয়ও তত বৃদ্ধি পাবে।
বাইরের বিভিন্ন দেশে যেকোনো ছোট-বড় ব্যবসা বা ব্যক্তিগত কাজের জন্য ওয়েবসাইটকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাদের সব কাজই অনলাইনের মাধ্যমে হয়ে থাকে। আর এ কারণেই তারা যার যার নিজস্ব সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্কিংয়ে আনতে চায়। তখনই তাদের প্রয়োজন পড়ে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের। কারণ, এসইও ছাড়া কোনো সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে ভালো অবস্থানে নিয়ে আসা সম্ভব নয়।
আমাদের দেশেও এখন ছোট/বড় ব্যবসার জন্য বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অনেক ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। আর এসব সাইটের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে, অর্থাৎ সাধারণ জনগণের কাছে কাঙ্ক্ষিত কি-ওয়ার্ডের ভিত্তিতে এসব সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের র‍্যাঙ্কিংয়ে আনার জন্য এসইও দরকার।
আর এভাবেই ছোট/বড় সব সাইটের পরিচিতি ও ট্রাফিক বৃদ্ধির জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে বাংলাদেশেও অনেক গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে এবং যতই দিন যাচ্ছে, এর চাহিদা ততই বাড়ছে। কারণ, এসইও একটি চলমান বা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।
এসইও কাদের দরকার?
আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, এসইও কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ বা কেন এর চাহিদা এত বেশি। তাহলে এবার আসুন দেখা যাক, কাদের এই এসইও সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন।
বর্তমান যুগ অনলাইনের। এখন সবার কাছেই যেকোনো তথ্য বা সেবা পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে এই ইন্টারনেট। বাসায় ডেস্কটপ, ল্যাপটপ ছাড়াও আমরা অনেকেই এখন মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি এবং এর ব্যবহার ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা দৈনন্দিন বিভিন্ন চাহিদা পূরণের জন্য এই ডিভাইসগুলো ব্যবহার করে থাকি।
অনলাইন সেবার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি ঘরে বসেই পেয়ে যাই। যেভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, সেভাবে অনলাইনে সেবাদানকারী সাইটের সংখ্যাও বাড়ছে। কয়েকটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়ে যাবে।
মনে করি, আপনি একটি ছোট্ট বুটিক হাউস বা রেস্টুরেন্ট চালাচ্ছেন। আপনি চাইছেন, আপনার শহর বা এলাকার মধ্যে কেউ যদি আপনার এই সেবা অনলাইনে পেতে চায়, তাহলে সে যেন আপনার ওয়েবসাইটটিকে বুটিকস বা রেস্টুরেন্টকেন্দ্রিক যেসব কি-ওয়ার্ড আছে, এমন কিছু কি-ওয়ার্ডের জন্য আপনার সাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম দিকে পায়। তাহলে আপনার ব্যবসার পরিচিতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আপনার ব্যবসাকেও আরো উন্নতির পথে নিয়ে যাবে।
এখন বিষয়টি হচ্ছে, এটি কীভাবে সম্ভব যে লাখ লাখ ওয়েবসাইটের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট কি-ওয়ার্ডের জন্য আপনার সাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে নিয়ে আসবে। এর জন্য যা দরকার, তা হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি সাইট, যা একমাত্র যথাযথ এসইও এর দ্বারাই সম্ভব।
তাই যাদের এমন ছোট/বড় ব্যবসা আছে বা ই-কমার্স সাইট আছে বা সাইট করতে আগ্রহী, তাদের অবশ্যই এসইও জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। কারণ, এসইও ছাড়া কখনই একটি সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের র‍্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। আর সাইট যদি র‍্যাঙ্কিংয়ে না আসে, তাহলে আপনি ট্রাফিক পাচ্ছেন না আর ট্রাফিক না পেলে সেই সাইট থেকে কোনো প্রকার টাকা আসবে না।
এ ছাড়া এখন অনেকেই নিজের ব্যান্ডিং/পরিচিতির জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করেন এবং এর মাধ্যমে অনলাইন/ভার্চুয়াল জগতে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখেন। ধরুন, আপনার নিজের নামে আপনি একটি সাইট তৈরি করেছেন এবং সাইটটি যথাযথ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের দ্বারা সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি করেছেন। এখন যদি কেউ আপনাকে সার্চ ইঞ্জিনে (যেমন : গুগল) গিয়ে আপনার নাম লিখে সার্চ করে এবং আপনার সাইটটিকে যদি প্রথমে পায়, তাহলে আপনি নিজেই ভেবে দেখুন আপনার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু বেড়ে যাবে এবং এটি আপনার ব্র্যান্ডিং বা পরিচিতির ক্ষেত্রে কতটুকু ভূমিকা রাখবে।
সুতরাং শুধু ব্যবসার জন্যই নয়, নিজের ব্রান্ডিং/পরিচিতির বা বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে একটি ওয়েবসাইট থাকা দরকার। আর এই ওয়েবসাইটকে বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটা সহজ মাধ্যম হলো এসইও।
seo
কীভাবে এসইও শিখবেন?
এসইও শেখার শুরুটা অনেক সহজ। আপনার বেসিক কিছু জ্ঞান থাকলেই আপনি এসইও শিখতে পারবেন, যেমন—
প্রাথমিক কম্পিউটার জ্ঞান : আপনার কম্পিউটারের সাধারণ ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। কম্পিউটার সঠিকভাবে চালনা করতে জানতে হবে।
ইন্টারনেট জ্ঞান : আপনার প্রাথমিক ইন্টারনেট জ্ঞান থাকতে হবে। ইন্টারনেট কী এবং এটি ব্যবহার করে আমরা কী করতে পারি, এ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
ব্রাউজিং সম্পর্কে ধারণা : আপনাকে ইন্টারনেট ব্রাউজিং সম্পর্কে জানতে হবে। কীভাবে সহজেই আপনি ইন্টারনেট ব্রাউজিং করে সঠিক তথ্য বের করতে পারবেন, এ দক্ষতা থাকতে হবে।
ইংরেজি দক্ষতা : আমি আগেও বলেছি যে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে ভালো করতে হলে ইংরেজিতে ভালো দখল থাকতে হবে। আপনার ইংরেজি জ্ঞান ভালো হলে আপনি আরো ভালোভাবে এসইওর কাজ বুঝতে/করতে পারবেন। কেননা, আপনাকে এসইওর আপডেট সম্পর্কে জানতে হলে প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে আর এটি অবশ্যই ইংরেজিতে।
যদিও বললাম যে এসইও শেখাটা সহজ, তবে এর গভীরতা অনেক। কেননা, এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং আপনার নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে হলে সব সময় কাজ চালিয়ে যেতে হবে, নতুন নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে এবং এগুলোর সঠিক প্রয়োগ বুঝতে হবে।
কীভাবে এসইও ক্যারিয়ার শুরু করবেন?
এসইওতে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে আপনি যেকোনো আইটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে পারেন, যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ক্লায়েন্টকে এসইও সেবা প্রদান করে। এতে করে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে এবং আপনি বুঝতে পারবেন যে বর্তমানে এসইওর কাজ কীভাবে করা হয়ে থাকে।
এ ছাড়া একটি সাইটের সম্পূর্ণ এসইও কীভাবে করা হয়, এ সম্পর্কেও জানতে পারবেন। কেননা, আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে সম্পূর্ণ এসইওর কাজ নাও পেতে পারেন। তাই এখান থেকে একটি ভালো ধারণা লাভ করতে পারবেন।
কিন্তু একটি বড় সমস্যা হচ্ছে, এসব প্রতিষ্ঠান আপনাকে অভিজ্ঞতা ছাড়া কাজে নিতে চাইবে না। হয় আপনার এসইও কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, তা না হলে আপনার কোনো মানসম্মত প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেশন থাকতে হবে। আপনি যেখান থেকে ট্রেনিং নিচ্ছেন, এর গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু বা আপনাকে যিনি প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তাঁর জ্ঞানের পরিধি কতটুকু বা তিনি একজন প্রসিদ্ধ প্রশিক্ষক কি না, এ বিষয়গুলো লক্ষ করুন।
একটি ভালো মানের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিলে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যাবে, তাহলে এটি আপনার কাজ পেতে অনেক সাহায্য করবে।
আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করার মাধ্যমেও আপনার এসইও ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। বর্তমানে এমন অনেক ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেখানে অসংখ্য এসইও রিলেটেড কাজ পাবেন। এখান থেকে আপনার পছন্দ/যোগ্যতা অনুযায়ী কাজে বিড করে কাজটি করতে পারবেন। এখানে আপনি এসইওর বিভিন্ন অংশের ছোট/বড় অনেক কাজ পাবেন। এখানে কাজ করার মাধ্যমেও আপনি অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
বিনামূল্যে এসইও প্রশিক্ষণ
আপনি যদি মানসম্মত এসইও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে চান, তাহলে বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে Skills for Employment Investment Program (SEIP) প্রজেক্ট BASIS institute of Technology & Management (BITM)-এর মাধ্যমে এসইও কোর্সে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন এবং এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এখানে গিয়ে আপনি রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

চাকুরীই খুঁজবে আপনাকে

চাকুরীই খুঁজবে আপনাকে

11987205_622824877821304_1205549035148569085_nযারা ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ভাল দিক নির্দেশনা পাচ্ছেন না অথবা প্রশিক্ষনের জন্য জানা নেই কোথায় যাবেন তাদের জন্য ইনফোপিডিয়ার একটা লিখা প্রকাশ করলাম। আশা করছি লিখাটি আপনাদের উপকারে আসবে। লিখাটি পড়তে আপনাকে একটু সময় ব্যয় করতে হবে।
বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে শর্ত জুড়ে দেয়া হয়, প্রার্থীর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রথমেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় এই ‘অভিজ্ঞতা’। ভাইবা বোর্ডেও জানতে চাওয়া হয়, পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে কি না। কেবল চাকরি করাটাই কী হতে পারে অভিজ্ঞতা? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন অন্য কথা! বিভিন্ন পেশা পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিলে অভিজ্ঞতার অভাব অনেকটাই পূরণ হতে পারে।সাংবাদিকতা
সাংবাদিকতা অনেকের কাছেই স্বপ্নের পেশা। দিনে দিনে বেড়েই চলেছে এ পেশার ক্ষেত্র, সেই সঙ্গে বাড়ছে সম্মান। চ্যালেঞ্জিং এই পেশায় আসতে চান অনেকেই। এখন অনেক মেধাবীরা যুক্ত হচ্ছেন সাংবাদিকতা পেশায়। পেশাদারিত্ব থাকলে এ পেশায় উন্নতি করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। সাংবাদিকতা পেশায় আসতে চাইলে প্রশিক্ষণ দরকারি। সবচেয়ে ভালো হয় সরাসরি কোন প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে পারলে। সাংবাদিকতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠান-
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া
২৫৭/৮ এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন ঢাল, ঢাকা-১২০৫
ফোন: ৮৬০৭৯১২, ০১৭১৫৮২২৭৭৮।
প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি)
৩ সার্কিট হাউস রোড, ঢাকা-১০০০
ফোন: ৯৩৩০০৮১-৪।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট
১২৫/এ, দারুস সালাম রোড, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬
ফোন: ৯০০৭৪১০-৪ সংবাদ উপস্থাপনা
টেলিভিশনে সংবাদ উপস্থাপনা হাল সময়ে তুমুল জনপ্রিয় একটি পেশা। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা আগ্রহী হচ্ছেন এ পেশায়। পড়াশোনার পাশাপাশি বা পড়াশোনা শেষ করেও সংবাদ উপস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। তবে এর জন্য প্রশিণ দরকারি। শুদ্ধ উচ্চারণ, বাচনভঙ্গিও গুরুত্বপূর্ণ। আর ভালো সংবাদ উপস্থাপক হতে হলে অবশ্যই প্রশিণ নিতে হবে। এ বিষয়ে প্রশিণ দেয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠান-
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেকট্রনিক মিডিয়া
২৫৭/৮, এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন, ঢাকা
ফোন : ৮৬০৭৯১২, ০১৭১৫৮২২৭৭৮।
জবস এ ওয়ান ডটকম
বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা
ফোন : ৮১৪২২৮০, ০১৭২৬৬৯২০০০-২।
অদ্রি
আজিজ সুপার মার্কেট (৩য় তলা), শাহবাগ, ঢাকা
ফোন : ০১৭১১৪০৭৪৯৫।
তৈরি
২/৪ নবাব হাবিবুল্লাহ রোড (৪র্থ তলা), শাহবাগ, ঢাকা
ফোন: ০১৫৫২৪৪৯৯৪৭।
কল সেন্টার
কল সেন্টার হলো টেলিকমিউনিকেশনের মাধ্যমে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ওই কোম্পানির সুযোগ-সুবিধা, কার্যক্রম ইত্যাদি বিস্তারিত তথ্য গ্রাহকদের টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়াই কল সেন্টারের কাজ। বাংলাদেশ সরকার ২০০৮ সাল থেকে কল সেন্টার স্থাপনের লাইসেন্স দিতে শুরু করেছে। এটি শুধু আমাদের দেশ নয়, সারাবিশ্বের প্রোপটেই একটি সম্ভাবনাময় পেশা। পূর্ণকালীন চাকরির পাশাপাশি খন্ডকালীন চাকরিরও সুযোগ আছে কলসেন্টারে। এ বিষয়ে প্রশিণের জন্য খুব বেশি প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশে এখনও গড়ে উঠেনি। কিছু প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা-
ইনস্টিটিউট অব কল সেন্টার টেকনোলজি
১৩বি, সেন্টার পয়েন্ট, কনকর্ড (১১ তলা), ফার্মগেট, ঢাকা
ফোন: ৯১৩৯৬৩৩, ০৬৬৬-২৬১৭৭২৭।
হিরো মাইন্ডমাইন
বাড়ি-৩৫/বি, রোড-৯/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৯১৪৫১৩৮-৩৯।
উত্তরা শাখা- বাংলাদেশ আউটসোর্সিং সেন্টার, ২৫, সোনারগাঁ জনপথ, সেক্টর-৯, উত্তরা, ঢাকা
ফোন: ০১৮২০২২২২১১।
ওয়ান কল
যোগাযোগ : বাড়ি-১২১ (৩য় তলা), রোড নং-১৯/এ, ব্লক-ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন: ০১৭১৩১৯০০৪৫-৯।
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা
একটি প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, কর্মী নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা, সংগঠিতকরণ এবং বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় করাই মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কাজ। আর যিনি এ কাজটি করে থাকেন, তিনি মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক। বর্তমানে প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠানেই এই বিভাগ আছে এবং এ পেশার ক্ষেত্র বেড়েই চলেছে। তবে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি ওক সহজ নয়। এর জন্যই চাই প্রশিণ। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠান-
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম)
৪, সোবহানবাগ, মিরপুর রোড, ঢাকা
ফোন: ৮১১৭৪১০৫-৭।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট
৯, ইন্দিরা রোড, ফার্মগেট, ঢাকা
ফোন: ৯১৪২৪৬৪, ০১৮১৭০১১৪০৬।
বিয়াম ফাউন্ডেশন
৬৩ নিউ ইস্কাটন, ঢাকা
ফোন: ৯৩৩৩০১৪।
ইনস্টিটিউট অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট
কনকর্ড পয়েন্ট, ফার্মগেট, ঢাকা
ফোন: ৯১১৩৯৩২।
হোটেল ম্যানেজমেন্ট
হোটেল বা পর্যটন সেবার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য হোটেল ম্যানেজমেন্ট পেশার অনেক চাহিদা রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি হোটেলে জেনারেল ম্যানেজার, অ্যাকোমোডেশন ম্যানেজার, ক্যাটারিং, ফুড, বেভারেজ ম্যানেজার, এন্টারটেইনমেন্ট কো-অর্ডিনেটর, রেসিডেন্ট ম্যানেজার, ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজার, কনভেনশন সার্ভিসেস ম্যানেজার, অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার, এক্সিকিউটিভ হাউসকিপারসহ অনেক পদে চাকরির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মাধ্যমে ৬টি কোর্সের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। কোর্সগুলো হল-
১. ন্যাশনাল সার্টিফিকেট কোর্স ইন ফুড অ্যান্ড বেভারেজ: রেস্তোরাঁ প্রিপারেশন, টেবিল সাজানো, হাইজিন, স্যানিটেশন ইত্যাদি শেখানো হয়।
২. ন্যাশনাল সার্টিফিকেট কোর্স ইন ফ্রন্ট অফিস
অভ্যর্থনা প্রণালী, টেলিফোন ম্যানার্স, বিলিং ক্যাশ রেকর্ড ইত্যাদি এই কোর্সের অন্তর্ভুক্ত।
৩. ন্যাশনাল সার্টিফিকেট কোর্স ইন ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাকশন
দেশি, চাইনিজ, ইউরোপিয়ান, ইন্ডিয়ান ইত্যাদি খাদ্য প্রস্তুত, ডেকোরেশন, হাইজিন ইত্যাদি শেখানো হয়।
৪. ন্যাশনাল সার্টিফিকেট কোর্স ইন হাউসকিপিং অ্যান্ড লন্ড্রি
রুম ডেকোরেশন, বেড তৈরি, কিনিং, লন্ড্রি ইত্যাদি বিষয় প্রশিণ দেয়া হয়।
৫. ন্যাশনাল সার্টিফিকেট কোর্স ইন ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেশন
ট্রাভেল এজেন্সি অপারেশন, ট্যুর অপারেশন অ্যান্ড ট্যুর গাইডিং, ট্রাভেল সার্ভিস ইত্যাদি শেখানো হয়।
৬. ন্যাশনাল সার্টিফিকেট কোর্স অন বেকারি অ্যান্ড পেস্ট্রি
ফাস্ট ফুড শপ ও বেকারি পরিচালনার ক্ষেত্রে ডেজার্ট আইটেম প্রস্তুত প্রণালী, ডেকোরেশন ইত্যাদি শেখানো হয়।
যোগাযোগ : ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, ৮৩-৮৮ মহাখালী, ঢাকা-১২১২
ফোন: ৯৮০০২৮৮-৯৯।
এসব বিষয়ে প্রশিণ দেয় এমন আরও কিছু প্রতিষ্ঠান-
রাজমনি ঈশা খাঁ হোটেল ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
৮৯/৩ ভিআইপি রোড, কাকরাইল, ঢাকা
ফোন: ৯৩৩০১৪০-৪৪।
বাংলাদেশ হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
১৪৭/ডি, গ্রিন রোড, ঢাকা
ফোন: ৯১৪৩৬৫৪।
পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
এনেক্স ভবন, ১, দিলকুশা বা/এ, ঢাকা
ফোন: ৯৫৫২২২৯।
ভিডিও এডিটিং
নাটক বা সিনেমার জন্য ধারন করা বিভিন্ন দৃশ্য কাটছাঁট করে দৃশ্যের পর দৃশ্য সাজিয়ে পূর্ণ নাটক বা সিনেমায় রূপান্তরিত করাটাই হচ্ছে ভিডিও এডিটিং। যিনি এই কাজটি করেন তাকে ভিডিও এটিটর বলা হয়। সাউন্ড এফেক্ট, আলো ও রঙের সমন্বয়, ডাবিং প্রভৃতিও একজন ভিডিও এডিটরের কাজ। আসছে নতুন নতুন টিভি চ্যানেল, বাড়ছে ভিডিও এডিটরদের কাজের ক্ষেত্র। শুধু ইলেকট্রনিক মিডিয়া নয়, ভিডিও এডিটিং জানা থাকলে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থা ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পেতে পারেন। এ বিষয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণ দেয়। কিছু প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা-
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট
১২৫/এ দারুস সালাম রোড, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬
ফোন: ৯০০৭৪১০-৬।
ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
৬৪/৩ লেক সার্কাস (৪ ও ৫ তলা), কলাবাগান, ঢাকা
ফোন: ০১৭১১৪৫২২৪৬।
আনন্দ মাল্টিমিডিয়া
১৮৮, মতিঝিল সার্কুলার রোড, ঢাকা
ফোন: ৭১০১৩৫৪।
অ্যাপটেক এরিনা
বাড়ি-৪০৫, রোড-২৭, ধানমণ্ডি, ঢাকা
ফোন: ৯১১১২৫৩।
আনন্দ ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি
৮/৬, সেগুনবাগিচা, ঢাকা
ফোন: ৯৫৫৪৭৩১, ০১৭১১৮২২৬১৯।
ন্যাশনাল ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ
১৬/৩, লেক সার্কাস রোড, কলাবাগান, ঢাকা
ফোন: ৯১১৬৪৯০, ০১৮১৯২২৮২৪৭।
ফটোগ্রাফি
স্থির চিত্র অর্থাৎ ক্যামেরায় ছবি তোলা আপাত দৃষ্টিতে খুব সহজ মনে হতে পারে। কাজটি আসলে সহজ নয়। কোন ছবি কোন অ্যাঙ্গেলে, কতটুকু আলোয় তুলতে হবে- এ বিষয়েগুলো সম্পর্কে ধারণা না থাকলে ভালো ছবি তোলা সম্ভব নয়। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির জন্য প্রশিক্ষণ খুবই দরকারি একটি বিষয়। ভালো ছবি তোলা জানলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ তো রয়েছেই, নিজেরও হতে পারে একটি ফটোস্টুডিও। বিভিন্ন মিডিয়া ও বিজ্ঞাপনী সংস্থাতেও রয়েছে অনেক কাজের সুযোগ। ফটোগ্রাফি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা দেয়া হলো-
পাঠশালা
১৬, শুক্রাবাদ, পান্থপথ, ঢাকা
ফোন: ৯১২৯৮৪৭, ৯১৩৬৮৯৫।
বেগ আর্ট ইনস্টিটিউট অব ফটোগ্রাফি
৮৩, ল্যাবরেটরি রোড, ঢাকা
ফোন: ০১৭১৬-৬৬৩৭৫৭।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি
টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ফোন: ০১৭১১-৫৮৮১৪২।
চঞ্চল মাহমুদ ফটোগ্রাফি
বাড়ি নং-১, সড়ক নং-২, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৯৬৬০৬৫১।
ঢাকা ফটোগ্রাফিক ইনস্টিটিউট
২১৮, এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫
ফোন: ৯০১৪২১৩।
এয়ার হোস্টেস, কেবিন ক্রু
বিমানে যাত্রীদের সার্বণিক সেবার কাজটি যারা করে থাকেন, তারাই এয়ার হোস্টেস বা বিমানবালা। আর বিমানের পরিচ্ছন্নতা, আকাশে সি পকেট সম্পর্কে তথ্য দেয়া, ইমার্জেন্সি ইকুইপমেন্ট ও ফাস্ট এইড ঠিকঠাক আছে কি না ইত্যাদি কাজ যারা করে থাকেন, তাদের কেবিন ক্রু বলা হয়ে থাকে। রোমাঞ্চকর এ পেশায় বর্তমানে অনেক তরুণ-তরুণীই আগ্রহী হচ্ছেন। তবে এর জন্য নির্দিষ্ট বয়সসীমা, উচ্চতা ও দৃষ্টিশক্তির বিষয়গুলোও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখা হয়। যোগাযোগ করতে পারেন-
ওয়েস্ট উইন্ড বাংলাদেশ
৩/৬ লালমাটিয়া, ব্লক-এ, ঢাকা-১২০৭
ফোন: ৯১৪৩৩০৬, ০১৭২৬১০৩৮২৪।
বাংলাদেশ এভিয়েশন একাডেমি
স্যুট নং-১/বি, বাসা নং-৩২, পার্ক রোড, বারিধারা, ঢাকা-১২১২।
জবস এ ওয়ান
বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা
ফোন: ৮১৪৪৪৬০, ৮১৪২২৮০।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রশিণ ইনস্টিটিউট নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটিতে পাঁচটি অনুষদ রয়েছে। এর মাধ্যমে অনেক বিষয়ে হাতে-কলমে শিখে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। এগুলো হল-
১. শিল্পোদ্যোক্তা উন্নয়ন অনুষদ: (ক) উদ্যোক্তা উন্নয়ন (খ) ক্ষুদ্র শিল্প/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (গ) গ্রামীণ উদ্যোগ উন্নয়ন (ঘ) গ্রামীণ মহিলা উদ্যোক্তা উন্নয়ন।
২. শিল্প ব্যবস্থাপনা অনুষদ: (ক) শিল্প ব্যবস্থাপনা (খ) পণ্যমান ব্যবস্থাপনা (গ) ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট (ঘ) কুটির শিল্প ব্যবস্থাপনা (ঙ) উৎপাদন ব্যবস্থাপনা।
৩. সাধারণ ব্যবস্থাপনা অনুষদ: (ক) অফিস ব্যবস্থাপনা (খ) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (গ) ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ঘ) শিল্প প্রসারণ।
৪. অর্থ ব্যবস্থাপনা অনুষদ: (ক) বুককিপিং অ্যান্ড একাউন্টিং (খ) ক্ষুদ্র শিল্প অর্থায়ন (গ) উদ্যোক্তা উন্নয়ন (ঘ) কস্টিং অ্যান্ড প্রাইসিং।
৫. বিপণন ব্যবস্থাপনা অনুষদ: (ক) মার্কেটিং (খ) বাজার সমীক্ষা (গ) বিপণন ও বিক্রয় প্রসার (ঘ) প্রোডাক্ট ম্যানেজিং।
যোগাযোগ: দ্র ও কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট
বাড়ি নং-২৪/এ, সড়ক নং-১৩/এ, সেক্টর-৬, উত্তরা, ঢাকা
ফোন : ৮৯১৩৬৮৪।
ইন্স্যুরেন্স বিষয়ে প্রশিক্ষণ
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমি এ বিষয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য ডিপ্লোমা ও ট্রেনিং কোর্স করিয়ে থাকে। ডিপ্লোমা কোর্স আবার সার্টিফিকেট ও অ্যাসোসিয়েট দুই স্তরে বিভক্ত। সার্টিফিকেট স্তরগুলো হচ্ছে-
ক. রিক্স অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স
খ. কোম্পানি অ্যান্ড কন্ট্রাক্ট ল’ অ্যান্ড দেয়ার অ্যাপ্লিকেশন টু ইন্স্যুরেন্স
গ. প্রপার্টি অ্যান্ড পিকিউলারি ইনসিওরেন্স অথবা ইন্স্যুরেন্স অব দি পারসন
ঘ. বিজনেস এনভায়রনমেন্ট।
অ্যাসোসিয়েটশিপ স্তরগুলো হল-
ক. জীবন বীমা শাখা
খ. সাধারণ বীমা শাখা
১. লাইফ ইন্সুরেন্স প্র্যাকটিস অ্যান্ড অ্যাডমিনস্ট্রেশন
২. লাইফ অ্যাম্বুলেন্স ল’ অ্যান্ড ট্যাক্সেশন
৩. ম্যাথমেটিক্যাল বেসিস অব লাইফ ইন্স্যুরেন্স
৪. ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাসপেক্টস অব লং টার্ম বিজনেস অথবা ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং অব লাইফ ইন্স্যুরেন্স
৫. প্রিন্সিপল অ্যাক্ট প্র্যাকটিস অব ম্যানেজমেন্ট ইন ইন্স্যুরেন্স
৬. বিজনেস কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ।
সাধারণ বীমা শাখার বিষয়-
১. মেরিন ইন্স্যুরেন্স প্রিন্সিপল অ্যান্ড প্র্যাকটিস
২. মেরিন ইন্স্যুরেন্স ল’ অ্যান্ড কেইমস
৩. ফায়ার ইন্স্যুরেন্স ল অ্যান্ড কেইমস
৪. ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্স্যুরেন্স ল’ অ্যান্ড কেইমস
৫. প্রিন্সিপল অ্যান্ড প্র্যাকটিস অব ম্যানেজমেন্ট ইন্স্যুরেন্স
৬. বিজনেস কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ।
ট্রেনিং কোর্স: ইন্স্যুরেন্স একাডেমিতে সাধারণ ও জীবন বীমা শাখায় যে বিষয়গুলোতে প্রশিণ নেয় যায়, সেগুলো হল-
ক. সাধারণ বীমা ট্রেনিং কোর্স
১. প্র্যাকটিস অব ফায়ার ইন্স্যুরেন্স
২. ফান্ডামেন্টাল কোর্স অন জেনারেল ইনসিওরেন্স
৩. প্র্যাকটিস অব ইনসিওরেন্স ম্যানেজমেন্ট
৪. প্র্যাকটিস অব মোটর ইন্স্যুরেন্স
খ. জীবন বীমা ট্রেনিং কোর্স-
১. আন্ডার রাইটিং অ্যান্ড কেইমস ম্যানেজমেন্ট
২. বেসিক কোর্স অন লাইফ ইন্স্যুরেন্স
৩. সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং
যোগাযোগ : বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমি
৫৩, মহাখালী বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১২১২
ফোন: ৯৮৯৯২৯২, ৯৮৯৯২৯৩।
নার্সিং
সেবার প্রশ্ন আসলেই অগোচরে চলে আসে নার্স শব্দটি। উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসার সঙ্গে নার্সিং শব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। চিকিৎসা সাইকেলের ‘চক্রনাভি’ আখ্যা দেয়া হয়েছে নার্সকে। এ পেশায় বিশেষ করে মেয়েরা অনেক বেশি আগ্রহী। এই পেশায় দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে। যদিও অন্যান্য পেশার সঙ্গে নার্সিং পেশাও সম্মানজনক একটি পেশা হিসেবে স্বীকৃত। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে প্রশিণও দিচ্ছে। এরকম দুটি প্রতিষ্ঠান-
উত্তরা নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার
বাড়ি নং-১৬, আলাউল এভিনিউ, সেক্টর-৬, উত্তরা, ঢাকা
ফোন : ৮৯১১৮১৬।
ওয়াইডা হাসপাতাল
২৬৯, স্কুল রোড, ইব্রাহিমপুর, ঢাকা
ফোন : ৯৮৮৯১৬০-৬১।
ভাষা শিক্ষা কোর্স
বিভিন্ন বিদেশি ভাষা জানা থাকলে কাজের কোন অভাব হয় না, একথা হয়তো সবাই স্বীকার করবেন। অনেক প্রতিষ্ঠানই আছে, যারা বিদেশি ভাষা জানে, তাদের খুঁজে নেয়। পর্যটন, অনুবাদকেন্দ্রকে ঘিরেও তৈরি করে নিতে পারেন কর্মক্ষেত্র। আমাদের দেশে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আছে যারা বিভিন্ন ভাষার ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ
এখানে ফরাসি ভাষার ওপর প্রশিণ দেয়া হয়।
যোগাযোগ : ২৬ মিরপুর রোড, কর্নার হাউস, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৪৬১১৫৫৭, ৯৬৭৫২৪৯।
গ্যাটে ইনস্টিটিউট
এখানে জার্মান ভাষার ওপর প্রশিণ দেয়া হয়।
যোগাযোগ : জার্মান কালচারাল সেন্টার, বাড়ি নং-১০, রোড নং-৯ (নতুন), ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৯১২৬৫২৫-৬।
একুশে
কোরিয়ান, স্পোকেন ইংলিশ, আইইএলটিএস, ইতালীয়, জাপানি, জার্মানিসহ ৩০টি ভাষা শেখানো হয়।
যোগাযোগ : ১১/এ, ২/১, মিরপুর-১১, ঢাকা।
ফোন : ৮০৩৫৪০১, ০১৭১৬০২০২০৯।
ব্রিটিশ কাউন্সিল
ইংরেজি শিক্ষার জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠা ব্রিটিশ কাউন্সিল। এখানে জেনারেল ইংলিশ, ইংরেজি গ্রামার ও উচ্চারণ বিজনেস ইংলিশ ও আইইএলটিএস প্রিপারেশন কোর্স করানো হয়।
যোগাযোগ : ব্রিটিশ কাউন্সিল, ৫ ফুলার রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন : ৮৬১৮৯০৫-৭।
ব্রিটিশ কাউন্সিল টিচিং সেন্টার, ৭৫৪/বি সাতমসজিদ রোড, ঢাকা
ফোন: ৯১১৬১৭১।
এফএম ইনস্টিটিউট
ইংলিশ স্পোকেন, আইইএলটিএস কোর্স করানো হয়।
যোগাযোগ : এফএম টাওয়ার, ১/১ পূর্ব রাজাবাজার, ঢাকা
ফোন: ৯১৩০২৯০।
সাইফুরস
ইংরেজি শেখার উপর নানা ধরনের কোর্স করানো হয়।
যোগাযোগ : সাইফুরস, সুবাস্তু টাওয়ার (৩য় তলা), ৬৯/১ গ্রিন রোড, পান্থপথ, ঢাকা
ফোন: ৯৬৭৭২৭৭, ০১৮১৭১১০৬০০।
পাইলট
অনেকেরই মনেই স্বপ্ন উঁকিঝুকি দেয়- বড় হয়ে পাইলট হব, এরোপ্লেনে চড়ে আকাশে উড়ব। তবে স্বপ্ন দেখাটা যত সোজা, পাইলট হওয়াটা কিন্তু অতটা সহজ কোন ব্যাপার নয়। তবে অদম্য ইচ্ছে আর সেই অনুযায়ী প্রচেষ্টা থাকলে পাইলট হওয়া অসম্ভব কোন বিষয় নয়। আর বর্তমানে এ পেশার ক্ষেত্রও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। বর্তমানে বেশ কয়েকটি বেসরকারি এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ফাইট পরিচালনা করছে এবং তাদের চাহিদাও অনেক বেশি। যদি আপনার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন থাকে, তাহলে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। যদিও আমাদের দেশে এখন সেভাবে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে পারেন-
বাংলাদেশ ফাইং একাডেমি অ্যান্ড জেনারেল এভিয়েশন লিমিটেড
জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা
ফোন: ৮৯১৩৯০৯, ৮৯১৯০৩৯।
এয়ার পারাবত
পুরনো বিমানবন্দর, বেগম রোকেয়া সরণি, ঢাকা
ফোন: ৯৫৬৭০৫৬।
পোশাক শিল্প
বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত পোশাকশিল্প। এ খাত থেকেই সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসছে আমাদের দেশে। ফলে পোশাকশিল্পকে ঘিরে গড়ে উঠছে বিভিন্ন ফ্যাক্টরি ও বায়িং হাউস। এর ফলে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। ফ্যাশন ডিজাইন, মার্চেন্ডাইজিং ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনি এ পেশায় ভালো টাকা আয় করতে পারেন। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা-
বিআইএফটি
প্রশিক্ষণের বিষয়: ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড টেকনোলজি, অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড টেকনোলজি, ডিপ্লোমা কোর্স ইন ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড টেকনোলজি, পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং, ডিপ্লোমা কোর্স ইন নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড টেকনোলজি, নিটওয়্যার মার্চেন্ডাইজিং, সোয়েটার মার্চেন্ডাইজিং, ওভেন গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজিং, ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, কোয়ালিটি কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স প্রভৃতি বিষয়ে কোর্স করার সুযোগ রয়েছে।
যোগাযোগ : বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিআইএফটি)
এসআর টাওয়ার, ১০৫ উত্তরা, সেক্টর-৭, ঢাকা
ফোন: ৮৯১৯৯৮৬।
আরও কিছু প্রতিষ্ঠান
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজি
ডিপ্লোমা ইন অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে কোর্স।
ঢাকা।
ফোন: ০১৭১৩-১১৬৩১৩।
বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইনস্টিটিউট
চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স।
যোগাযোগ : বাড়ি নং-৪১১, রোড নং-২৯, নিউ ডিওএইচএস, মহাখালী, ঢাকা
ফোন: ৯৮৯২৬৩৭, ০৬৬৬২৬০৪৫৪৬।
লংকান কোথিং ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট
বিভিন্ন বিষয়ে ৩ মাস ও ১ মাস মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স।
যোগাযোগ : বাড়ি নং-১, রোড নং-১, সেক্টর-৬, উত্তরা, ঢাকা
ফোন: ০১৭১৩০৪৭১১৫।
এশিয়ান ফ্যাশন
প্রশিণ মেয়াদ ও ফি : ৪ মাস মেয়াদি, ৬ মাস মেয়াদি কোর্স ও ১ বছর মেয়াদি কোর্স।
যোগাযোগ : ৩৩, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ (২য় তলা), কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৬
ফোন : ৯১১৬৭৪২।
বাংলাদেশ ফ্যাশন ইনস্টিটিউট
২ মাস, ৪ মাস, ৬ মাস ও এবং ১ বছর মেয়াদি কোর্স।
যোগাযোগ : ৮৫, গ্রিন রোড (৩য় তলা), ঢাকা
ফোন : ৯১৩২১৫৯।
বিউটি পার্লার
মানুষকে সুন্দর করে সাজানোর কাজটিই করে থাকে বিউটিশিয়ানরা। আর এ পেশায় বিশেষ করে মেয়েদের কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে। কাজটা শিখতে পারলে কাজের কোন অভাব হবে না। আর নিজেরও তো হতে পারে একটি বিউটি পার্লার! এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠান-
গীতিস বিউটি পার্লার
১৪৬, শান্তিনগর, ঢাকা
ফোন: ৮৩৫১৪৬৮, ৮৩১৮৭১১।
বীথিস হারবাল
বাড়ি নং-৭, রোড নং-৪, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৯৬৬০২০৮, ৯৬৭২২৯০।
বীথিস হারবাল (ছেলেদের শাখা)
নাভানা টাওয়ার (৭ম তলা), গুলশান-১, ঢাকা
ফোন: ৮৮২৮৮৫৪, ৮৮১৩৯৫৫।
গৃহসুখন
১৩, গ্রিন স্কয়ার রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৮৬১৫২৪৬।
ফেম ইনস্টিটিউট
বাড়ি নং-৫৭ (২য় তলা), রোড নং-৭, সেক্টর-৪, উত্তরা, ঢাকা
ফোন: ০১৭১৫৩৪৩২৬০।
বাটিক-বুটিক-হস্তশিল্প
আমাদের দেশে মেয়েদের অনেকেই বাটিক বুটিক বা হস্তশিল্পের কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এ বিষয়ে দরকারি প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনিও নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারেন। রাজধানী শহর ঢাকা তো বটেই, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে জেলা শহরগুলোতে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠাটিতে প্রশিণের খরচও অনেক কম। বিসিকের নকশা কেন্দ্র ১১টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। জেনে নিন বিসিকের প্রশিক্ষণের বিস্তারিত-
ব্লক: ব্লক প্রিন্টিং, কাঠের ব্লক বা ছাপা পদ্ধতির চল এখনও আছে। এই প্রশিণে নকশা রিপিট ও রঙ তৈরি কাজ শেখানো হয়।
বাটিক: ইদানীং বাটিকের কাজ গ্রামেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ প্রশিণের জন্য নকশা ও ডাইং সম্পর্কে প্রশিক্ষণার্থীর পূর্ণ জ্ঞান এবং আগ্রহ থাকতে হবে।
স্ক্রিন প্রিন্ট: স্ক্রিন প্রিন্টিং শেখানো হয়। তবে নকশা তৈরি, অনুকরণ, কাটিং, রঙ তৈরি করার প্রাথমিক জ্ঞান থাকলে ভালো হয়।
চামড়ার প্রশিক্ষণ: চামড়ার বাটিক, ব্লক প্রিন্ট, অ্যাম্বুস প্রভৃতি পদ্ধতিতে প্রশিণ দিয়ে থাকে। অঙ্কন, সেলাই, ট্রেসিং প্রভৃতিতে অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো হয়।
পাটজাত দ্রব্য: নকশা কেন্দ্রের এই বিভাগটি পাটজাত দ্রব্যের নকশা ও উন্নত ধরনের হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
প্যাকেজিং: প্যাকেজিং বিভাগে বিভিন্ন ধরনের ঘাস, তালপাতা, কেয়াপাতা, আঁশ, ছোবড়া, খড় ইত্যাদি দিয়ে হরেক রকম নকশা ও বুননে বিভিন্ন ধরনের শপিং ব্যাগ, টুপি, ভ্যানিটি ব্যাগ প্রভৃতি হস্তশিল্প তৈরি করা হয়।
বুনন: বিভিন্ন ধরনের কাপড়, শীতল পাটি বুনন শেখানো হয়।
বাঁশ ও বেত: বাঁশ ও বেতজাত হস্তশিল্পের কাজ শেখানো হয়।
প্রশিক্ষণের সময়: তিন মাস মেয়াদে বছরে ৪টি সেশনে প্রশিণ দেয়া হয়। সেশনগুলো হলো- জানুয়ারি-মার্চ, এপ্রিল-জুন, জুলাই-সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর-ডিসেম্বর।
যোগাযোগ : বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন
১৩৭-১৩৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ফোন: ৯৫৫৩১১২।
এ ছাড়া আরও যেখানে প্রশিক্ষণ নেয়া যাবে-
বাংলাদেশ মহিলা সমিতি
৪ নাটক সরণি, বেইলি রোড, ঢাকা
ফোন: ৯৩৩৭০৫০।
গৃহসুখন
১৩ গ্রিন স্কয়ার, গ্রিন রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৯৬৬৭৩৬৬।
স্কাই-হাই ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন
বাড়ি ২৭/১, রোড ১৩/১, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন : ৮১২০০৫৪।
ঘরকন্যা
৬৯ কলাবাগান, ডলফিন গলি, ঢাকা
ফোন: ৮১২২৮৫৬, ৯১২১৬৪৯।
সাকসেস হরিয়েন্টাল
৩২, মিরপুর রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ০১৮১৯১৭৫৫৯১।
মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মোবাইল ফোন মেরামতকারীদের চাহিদাও। মোবাইল মেরামতের জন্য সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার শিখতে হয়। প্রথমে কোন ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত ২-৩ মাসের কোর্স করিয়ে থাকে। কোন মোবাইল সার্ভিস সেন্টারে কমপক্ষে ছয় মাস শিক্ষানবীশ হিসেবে থেকে কাজ করলে পরবর্তীতে অনেক সুবিধা হবে। আমাদের আশেপাশেই অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। তবে ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে কোর্সে ভর্তি হওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
আপনি তৈরি তো?
প্রশিণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিলেই যে খুব সহজে চাকরি হয়ে যাবে এমনটি কিন্তু নয়। আপনি কতটুকু শিখতে পেরেছেন বা নিজেকে কতটুকু তৈরি করতে পেরেছেন, তার উপরই অনেক কিছু নির্ভর

রবিবার, ২২ মে, ২০১৬

হঠাৎ গিলে ফেলা বস্তু সরাবে রোবট

হঠাৎ গিলে ফেলা বস্তু সরাবে রোবট



.খাবারের সঙ্গে ভুল করে অন্য কিছু গিলে ফেলেছেন? এ নিয়ে আতঙ্কে অস্থির হওয়ার দিন হয়তো এবার ফুরোল। কারণ, তিন দেশের একদল বিজ্ঞানী একটি ছোট্ট রোবট বা যন্ত্র বানিয়েছেন, যা পাকস্থলীতে গিয়ে সরিয়ে দেবে সেই অনাকাঙ্ক্ষিত জিনিসটি। তাঁদের আশা, ভবিষ্যতে পাকস্থলীর ক্ষত সারাতেও এই যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে।
চিকিৎসার কাজে রোবট বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির প্রচলন একেবারে নতুন নয়। তবে নতুন যন্ত্রটির বিশেষত্ব হলো, এটি ভাঁজ করা যায়। আর এত ছোট যে খুব সহজেই এঁটে যায় একটি ক্যাপসুলের ভেতর। ফলে পাকস্থলীতে প্রবেশের কাজটা এটির জন্য সহজ। এই অভিনব চিকিৎসা উপকরণ তৈরির কৃতিত্ব যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি), যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও জাপানের টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একদল বিজ্ঞানীর। এ কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন দানিয়েলা রাস। তাঁরা বলছেন, ছোট্ট যন্ত্রটি পাকস্থলীর ভেতর প্রবেশের পর এর ভাঁজ খুলে যায়। চুম্বকের মাধ্যমে দেহের বাইরে থেকেই চিকিৎসকেরা এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বোতাম আকৃতির জিনিসপত্র (যেমন ঘড়ি ও অন্যান্য যন্ত্রে ব্যবহৃত ব্যাটারি) গিলে ফেলার ঘটনা মাঝেমধ্যে ঘটে। কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর এমন ঘটনা প্রায় সাড়ে তিন হাজার।
কিন্তু নতুন রোবটটির সাহায্যে কোনো রকম অস্ত্রোপচার ছাড়াই এ রকম ব্যাটারি পাকস্থলী থেকে বের করা সম্ভব হবে বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।

উইন্ডোজ ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর


উইন্ডোজ ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর

উইন্ডোজ ফোনউইন্ডোজ ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য কিছুটা সুখবর দিতে পারে মাইক্রোসফট। নতুন উইন্ডোজ ১০ মোবাইল ওএস হালনাগাদের সঙ্গে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার সুবিধা যুক্ত করছে প্রতিষ্ঠানটি। জুলাই মাসে ডেস্কটপ ও মোবাইল সংস্করণের জন্য উইন্ডোজের হালনাগাদ সংস্করণ উন্মুক্ত করবে প্রতিষ্ঠানটি।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার ফাংশনটি ইতিমধ্যে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে অধিক জনপ্রিয়। কিন্তু উইন্ডোজ ফোনে এ ফিচারটির জন্য ব্যবহারকারীরা অনেক দিন ধরেই অপেক্ষা করেছেন। এর আগে উইন্ডোজ ১০ মোবাইল ও উইন্ডোজ ১০ সংস্করণের জন্য উইন্ডোজ হ্যালো নামের একটি ফিচার উন্মুক্ত করেছে মাইক্রোসফট, যাতে ফেসিয়াল রিকগনিশন পদ্ধতিতে ডিভাইস আনলক করা যায়। সম্প্রতি উইনহেক সম্মেলনে উইন্ডোজের হালনাগাদ সংস্করণের সঙ্গে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যুক্ত করার কথা বলা হয়। উইন্ডোজের হ্যালো ফাংশনের সঙ্গে এটি যুক্ত হবে।
এইচপির এলিট এক্স ৩ স্মার্টফোনটিতে সবার আগে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ফিচারসহ নতুন হালনাগাদ পাওয়া যাবে।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, সফটওয়্যারের ত্রুটি ঠিক করা ছাড়াও আরও বেশ কিছু নতুন ফিচার যুক্ত হবে উইন্ডোজের হালনাগাদ সংস্করণে।

নকিয়া ফিরছে, মাইক্রোসফট বেচছে!

নকিয়া ফিরছে, মাইক্রোসফট বেচছে!

অ্যান্ড্রয়েডচালিত নকিয়া ট্যাবনকিয়া ব্র্যান্ডের ফিরে আসার খবরটি নিশ্চয়ই শুনেছেন। আগামী বছরেই বাজারে ফিরে আসছে নকিয়া। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে বাজারে অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার-চালিত স্মার্টফোন ও ট্যাব পাওয়া যাবে। এ ছাড়া নকিয়া ব্র্যান্ডের ফিচার ফোনও বাজারে আসবে। নকিয়ার ব্র্যান্ড নাম ব্যবহার করে ফোন-ট্যাব তৈরি করবে ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান এইচএমডি।
নকিয়া ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন তৈরির জন্য ফিনল্যান্ডের এইচএমডি গ্লোবাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তি করেছে নকিয়া। ওই প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ব্র্যান্ড লাইসেন্স ও মেধাস্বত্ব ফি হিসেবে অর্থ নেবে নকিয়া। বুধবার নকিয়া ব্র্যান্ডের ফোন ও ট্যাবলেট তৈরির জন্য ১০ বছরের চুক্তি সই করেছে এইচএমডি।
একসময় বিশ্বের বৃহত্তম মোবাইল ফোন নির্মাতা নকিয়া স্মার্টফোনের উত্থানের যুগে ভুল পদক্ষেপের কারণে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের কাছে মার খেয়েছে। ২০১৪ সালে মাইক্রোসফটের কাছে মোবাইল ফোন বিভাগটি বিক্রি করে দেয় নকিয়া। তবে মোবাইল ফোনের পেটেন্ট নিজের কাছে রেখে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এখন সরাসরি ফোন তৈরিতে না নামলেও ব্র্যান্ড লাইসেন্সিংয়ের মাধ্যমে আবার নকিয়া নামটি ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে তারা। তবে মাইক্রোসফটের সঙ্গে চুক্তির কারণে আগামী বছরের আগে নকিয়া ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন বাজারে আসবে না।
এদিকে নকিয়াকে কিনে নেওয়া মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের ফিচার ফোনের ব্যবসাটি তারা ফক্সকনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এফআইএইচ ও এইচএমডির কাছে বেচে দেবে। চুক্তি অনুযায়ী, এইচএমডি ফিচার ফোনেও নকিয়ার ব্র্যান্ড নামটি ব্যবহার করতে পারবে।
কোথায় চলবে নকিয়ার ফোন?
দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু দেশে এখনো নকিয়া ব্র্যান্ডটির আকর্ষণ রয়েছে। ভারত ও চীনের বাজারকে লক্ষ্য করে নকিয়া ব্র্যান্ডের ফোন তৈরির পরিকল্পনা করছে এইচএমডি ও ফক্সকন।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিসিএস ইনসাইটের গবেষক বেন উড বলেন, হ্যান্ডসেট ব্যবসা থেকে কিছু আয় করার জন্য ভালো একটি চুক্তি করেছে বর্তমানে টেলিকম যন্ত্রাংশ নির্মাতা হিসেবে পরিচিত বর্তমান নকিয়া। হার্ডওয়্যারের দিক থেকে বিবেচনা করলে বর্তমানে নকিয়ার কোনো ঝুঁকি নেই। ফিচার ফোনের ক্ষেত্রে নকিয়া ব্র্যান্ডটি এখনো শক্তিশালী। তবে বর্তমান স্মার্টফোনের প্রতিযোগিতার বাজারে নকিয়া কী টিকবে? এ বিষয়টি পরিষ্কার নয়। নকিয়া তার জৌলুশ হারিয়ে ফেলেছে।
অবশ্য, নকিয়ার ফোন আনতে ও বাজারে চালাতে বিশাল খরচ করার পরিকল্পনা করেছে এইচএমডি। ফক্সকনের সঙ্গে চুক্তি করে ব্র্যান্ড ও নকশার ক্ষেত্রে আগামী তিন বছরে ৫০ কোটি ইউরো বিপণনে খরচ করার পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাজারে নকিয়া ব্র্যান্ডটির এখনো কিছু আকর্ষণ রয়েছে। তবে প্রতিযোগিতা তীব্র। নকিয়া নিজে এখন কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি। ঝুঁকি এখন চীনের ফক্সকনের। তারাই ফোন তৈরি, বিক্রি ও সরবরাহের কাজ করবে।
মাইক্রোসফট কী করবে? মাইক্রোসফটের সারফেস ফোন
মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ফোনের দুর্দশা যেন কাটছেই না। তবে ফিচার ফোন তৈরির বিভাগটি বিক্রি করে দিলেও এখনই স্মার্টফোনের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে না মাইক্রোসফট। ২০১৪ সাল থেকে স্মার্টফোনের দুনিয়ায় মাইক্রোসফট সংগ্রাম করলেও লুমিয়া ফোন তৈরি করে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মাইক্রোসফটের কর্মকর্তারা। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, স্মার্টফোনের বাজারে উইন্ডোজ ফোনের দখল ক্রমে কমছে। কয়েক বছর আগে ডেস্কটপের পাশাপাশি উইন্ডোজ ফোনের বাজারে দখল করে নেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল মাইক্রোসফট। ৭২০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করে নকিয়াকে কিনেছিল মাইক্রোসফট। কিন্তু নকিয়াকে কেনার পরও মাইক্রোসফটের স্মার্টফোনের বাজার দখল করার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। বরং দিন দিন সেই স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
বাজার বিশ্লেষকেরা প্রশ্ন তুলেছেন, মাইক্রোসফটের ফোন ব্যবসা থেকে সরে যাওয়ার সময় চলে এসেছে। মাইক্রোসফটের ফোন ব্যবসা থেকে সরে দাঁড়ানোর কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন বিশ্লেষকেরা। গত বছরের শেষ তিন মাসে বা বছরের শেষ প্রান্তিকে অ্যাপল যেখানে সাড়ে সাত কোটি ইউনিট আইফোন বিক্রি করেছে, সেখানে বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মাত্র ২৩ লাখ লুমিয়া ফোন বিক্রি করেছে মাইক্রোসফট, যা তার আগের প্রান্তিকের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। গত বছর উইন্ডোজ ফোনের বিক্রি তার আগের বছরে তুলনায় ৭৩ শতাংশ কমে গেছে। ফোন বিভাগ থেকে মাইক্রোসফটের মুনাফা কমেছে ৪৬ শতাংশ। ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্সের বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বে যত স্মার্টফোন বিক্রি হচ্ছে, তার মধ্যে প্রতি ১০০টির মধ্যে মাত্র দুটি ফোনে উইন্ডোজ সফটওয়্যার রয়েছে।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে স্মার্টফোনের বাজারে উইন্ডোজ ফোনের মার্কেটশেয়ার ১ শতাংশের নিচে চলে গেছে। উইন্ডোজ ফোনের নিচে আছে কেবল ব্ল্যাকবেরি, টাইজেনের মতো অপারেটিং সিস্টেম। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস শীর্ষে রয়েছে।
আসছে সারফেস
নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে আগামী বছর ‘সারফেস’ ব্র্যান্ড নাম দিয়ে নতুন স্মার্টফোন বাজারে ছাড়তে পারে মাইক্রোসফট। সারফেস হচ্ছে মাইক্রোসফটের জনপ্রিয় ট্যাবলেট কম্পিউটারের ব্র্যান্ড। ২০১৭ সালে এই হালনাগাদ সফটওয়্যার দিয়ে নতুন এই ফোন আনবে মাইক্রোসফট।
উইন্ডোজ বিভাগের প্রধান টেরি মেয়ারসন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিল্ড সম্মেলনে বলেন, ‘এ বছর উইন্ডোজ ফোন আমাদের প্রধান লক্ষ্য নয়; বরং মাইক্রোসফট বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ ও কাজের উপযোগী ফোন তৈরির পরিকল্পনা করছে।’ তথ্যসূত্র: রয়টার্স, ব্লুমবার্গ, উইন্ডোজ সেন্ট্রাল

গুগল আইওতে নতুন ১০ ঘোষণা

গুগল আইওতে নতুন ১০ ঘোষণা

১৮ মে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় গুগলের বাৎসরিক ডেভেলপার সম্মেলন গুগল আইও ২০১৬-এ প্রতিষ্ঠানটির সিইও সুন্দর পিচাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি তুলে ধরেন l এএফপিজানা কথা, গুগল ডেভেলপারদের বার্ষিক সম্মেলন আইওতে চমক আসবেই। এবারও তা-ই হয়েছে। তবে আইওর মূল বক্তব্যের আগে ঠিক কী করতে যাচ্ছে গুগল, তা নিয়ে হাজারো জল্পনা চলছিল প্রযুক্তির বিশ্বজুড়ে। কারণটা শুধু গুগল নয়, এর ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে সারা পৃথিবীর প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, প্রস্তুতি কিংবা বাজার।
গত বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় যখন আইওর মঞ্চে আসেন গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই, তখন যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্টেন ভিউয়ের শোরলাইন অ্যাম্ফিথিয়েটারে ছিলেন সাত হাজার অংশগ্রহণকারী। এ ঘোষণা সরাসরি শুনতে তাঁরা এসেছেন শতাধিক দেশ থেকে। আর সারা পৃথিবী থেকে এ বক্তব্য সরাসরি শুনছিলেন আরও কয়েক কোটি মানুষ। প্রত্যাশার ভার ধরে রাখতে পেরেছেন সুন্দর। তিনি বলেই ফেললেন, দশম আইওতে সবচেয়ে বেশি চমক নিয়ে আসছে গুগল। অন্তত ১০টা বড় ঘোষণা ছিল তাঁর বক্তব্য।
শুরুতেই পিচাই বলেন, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইল ফোনে যত তথ্য খোঁজা হয়েছে, তার মধ্যে ২০ শতাংশ ছিল ভয়েস বা কথানির্ভর। এর বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে গুগলের ভয়েস-সেবায় অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসছে ‘গুগল অ্যাসিসটেন্ট’ নামে।
চলতি বছরই গুগল আনছে বিনোদন ও তথ্যের নতুন যন্ত্র ‘গুগল হোম’। এই গ্রীষ্মে গুগল নিয়ে আসছে দুটি ম্যাসেঞ্জার সেবা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শক্তিতে নতুন ধরনের এক বার্তা আদান-প্রদানের অভিজ্ঞতা করিয়ে দিতে আসছে ‘অ্যালো’ নামের এই ম্যাসেঞ্জার। আর অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য অনেকটা অ্যাপলের ফেসটাইমের মতো ভিডিও চ্যাট-সুবিধা থাকবে ডুয়োতে। আসছে অ্যান্ড্রয়েডের পরবর্তী সংস্করণ ‘অ্যান্ড্রয়েড এন’।
অ্যান্ড্রয়েডে ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটিকে নতুন করে তুলে ধরবে ‘ডেড্রিম’ সিরিজের নানান সেবা। বাজারে আসবে নিজস্ব যন্ত্রও। স্মার্টঘড়িকে মোবাইল ফোনের যুক্ততা ছাড়াই আরও বেশি কার্যক্ষম করতে এবং আইফোন উপযোগী করতে গুগল নিয়ে আসছে ‘অ্যান্ড্রয়েড ওয়্যার ২.০’। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এখন কোনো অ্যাপ মোবাইল ফোনে না নামিয়েও ব্যবহার করতে পারবেন। এই সুবিধাকে গুগল ডাকছে ‘অ্যান্ড্রয়েড ইনস্ট্যান্ট অ্যাপস’ নামে। এ ছাড়া অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপারদের ক্লাউড প্রযুক্তির নানান সুবিধা নিয়ে আসছে ডেভেলপার টুল ‘ফায়ারবেস’ ও ‘অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও ২.২’।
গুগল আইও চলবে আজ ২১ মে পর্যন্ত। এই সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন গুগল ডেভেলপার গ্রুপ (জিডিজি) ঢাকার মাহবুব হাসান, জিডিজি সোনারগাঁয়ের ইশতিয়াক রেজা, উইমেন টেকমেকার্সের রাখসান্দা রুখাম এবং জিডিজি বাংলার পক্ষে এই প্রতিবদক। তিন দিনের এই সম্মেলনে শতাধিক বিষয় নিয়ে কর্মশালা, অভিজ্ঞতা বিনিময়, হাতে কলমে শিক্ষা ও আলোচনার আয়োজন থাকছে। এসব কর্মশালা পরিচালনা করছেন গুগলের শীর্ষ কর্মীরা।

প্রোগ্রামিংয়ে রাশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব

প্রোগ্রামিংয়ে রাশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব

           
আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্বে প্রোগ্রামিং নিয়ে ব্যস্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দল। ছয়টি সমস্যার সমাধান করেছে এ দলটি l আইসিপিসির ওয়েবসাইটরাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শ্রেষ্ঠত্ব দেখাল বিশ্ব প্রোগ্রামিংয়ের সবচেয়ে বড় আসরে। বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের ফুকেটে এসিএম আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্বে ১১টি সমস্যার সমাধান করে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায় এবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে চীনের সাংহাই জিয়াও তং বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এ দল দুটি যথাক্রমে ১১ ও ১০টি সমাধান দিতে পেরেছে। বাংলাদেশের দলগুলোর মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৬টি সমাধান দিয়ে ৫০তম স্থানে রয়েছে। দুটি করে সমস্যার সমাধান করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি রয়েছে ১১১ ও ১১৩তম স্থানে। পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় মোট ১৩টি প্রোগ্রামিং সমস্যা ছিল। এবারের প্রতিযোগিতায় ১২৮টি দল চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিল।
সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার পর থাইল্যান্ডের চুলালংকর্ন ইউনিভার্সিটি ১১ মিনিটের মাথায় প্রথম সমস্যার সমাধান করে। প্রতিটি সমস্যার সমাধানের জন্য ছিল ভিন্ন ভিন্ন রঙের বেলুন। প্রতিযোগিতার স্কোর বোর্ড বেশ কয়েকটি বড় পর্দায় দেখানো হচ্ছিল। প্রশিক্ষক, কর্মকর্তা ও অতিথিরা অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে স্কোর বোর্ডগুলোর সামনে ভিড় করেন। অনলাইনেও সরাসরি ফলাফল দেখার সুযোগ ছিল সবার জন্য।
সমাপনী অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল ৪টায়। এ সময়  আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরস্কৃত করা হয়। তারপরে দেওয়া হয় সোনা, রুপা ও ব্রোঞ্জ পদক। আগামী বছর চূড়ান্ত পর্ব হবে যুক্তরাষ্ট্রে।
বিস্তারিত ফলাফল: https://icpc.baylor.edu/scoreboard
পদক তালিকা