IT IS HOT NEWS. Some information and news unknown to everyone. Which is only possible in F S S T S T L. SO keeps watching and keeps telling others.
শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬
ইউটিউবে যুক্ত হল নতুন টুলস
ইউটিউবে যুক্ত হল নতুন টুলস
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ইউটিউবে আপলোড করা ভিডিওর সংবেদনশীল অংশগুলোকে ঝাপসা করে দেওয়ার নতুন একটি অপশন যোগ করা হয়েছে।
তবে নতুন এই ফিচার এখন শুধু ডেস্কটপ ব্যবহারকারীরাই ব্যবহার করতে পারবেন। ইউটিউবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন এই ‘ভিডিও ক্রিয়েটর হাইড’ অপশনটির মাধ্যমে ভিডিও ফুটেজে থাকা লাইসেন্স প্লেট, ক্রেডিট কার্ডের নাম্বার, বিতর্কিত ছবি বা আপত্তিকর অংশগুলো ঝাপসা করে দেওয়া যাবে।
এর আগে ২০১২ সালে ভিডিওতে মুখমণ্ডল ঝাপসা করার একটি টুল যোগ হয়েছিল সাইটটিতে। এবার শুধু মুখ নয়, চাইলে ভিডিওর যেকোনো অংশই ঝাপসা করে দেওয়া যাবে।
যাঁরা ইউটিউবের ভিডিওর নতুন এই সুবিধা উপভোগ করতে চান, তাঁরা খুব সহজেই কাজটি সারতে পারবেন। আপলোডের পর ভিডিও এডিট করার সময় প্রথমে ‘এনহান্স টুল’ ট্যাবে যেতে হবে। সেখানে ‘ব্লারিং এফেক্টস’-এ গিয়ে সিলেক্ট করতে হবে ‘কাস্টম ব্লারিং’ অপশনে।
এরপর ভিডিওর ওপর একটি বক্স আসবে, যেটি ঝাপসা থাকবে। আপনি বক্সটি ভিডিওর যে অংশের ওপর রাখবেন, ভিডিওতে ওই অংশটুকু ঝাপসা হয়ে থাকবে। সাবজেক্টের সঙ্গে সঙ্গে ঝাপসা বক্সটিও সরবে।
এ ছাড়া ক্রিয়েটর নিজের ইচ্ছানুযায়ী বক্সটি সরাতে পারবেন, ছোট বা বড় করতে পারবেন এবং কখন বক্সটি থাকবে ও কখন থাকবে না, সেটিও নির্ধারণ করতে পারবেন।
আর ‘লক’ অপশনে ক্লিক করলে ঝাপসা বক্সটি আর সাবজেক্টের সঙ্গে নড়াচড়া করবে না, থাকবে একেবারে স্থির। এবং সবকিছু শেষে এডিটেড ভার্সনটির সঙ্গে আসল ভিডিওটিও প্রয়োজনে সেভ করা যাবে।
বৃষ্টির ওপর প্রভাব ফেলে চাঁদ
বৃষ্টির ওপর প্রভাব ফেলে চাঁদ!
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা দাবি করেছেন, চাঁদ যখন সরাসরি মাথার ওপর আসে, তখন পরিবেশের ওপর কিছুটা প্রভাব ফেলে, পৃথিবীতে বৃষ্টি কম হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট মাদারবোর্ডের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক তুবাসা কোহামা বলেন, ‘আমি যত দূর জানি, বৃষ্টিপাতের সঙ্গে চাঁদের সম্পর্কের প্রথম গবেষণা এটি।’কোহামা ও তাঁর গবেষক দল বায়ুমণ্ডলীয় তরঙ্গ বা চাপ ও তাপমাত্রার মতো বায়ুমণ্ডলীয় ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করছেন।
২০১৪ সালে তাঁরা একটি গবেষণার ফল প্রকাশ করেন যাতে বলা হয়, পৃথিবী পৃষ্ঠে বায়ুর চাপ চাঁদের দশার ওপরও নির্ভর করে। এটি ১৮৪৭ সালেবিজ্ঞানীরা প্রথম পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। সাম্প্রতিক গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন, বায়ুমণ্ডলীয় পরিবর্তনের জন্য পৃথিবীতে বৃষ্টিপাতের তারতম্য দেখা যায়। ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ।
গবেষকেরা জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি ও নাসার ১৫ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। গবেষকেরা দাবি করেছেন, চাঁদের কারণে মোট বৃষ্টিপাতের ১ শতাংশ তারতম্য দেখা দিতে পারে।
গবেষকেরা মুষলধারে বৃষ্টিসহ বিভিন্ন ধরনের বৃষ্টিপাতের ওপর চাঁদের দশার বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করছেন।
গুগল ক্রোম হ্যাকিং থেকে বাঁচাবে আপনাকে
গুগল ক্রোম হ্যাকিং থেকে বাঁচাবে আপনাকে
কিন্তু ভুয়া বাটনে ক্লিক করে আপনি যে শুধু বোকা হলেন তা নয়, সঙ্গে সঙ্গে এই একটি ক্লিকেই আপনার কম্পিউটারে ঢুকে যেতে পারে ভয়ংকর কোনো ম্যালওয়্যার, যার মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারের সব তথ্য চলে যাবে হ্যাকারদের কাছে।
গুগল এই ধরনের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সমস্যা দূর করার জন্য তাদের ক্রোম ব্রাউজারে নতুন একটি ফিচার যোগ করেছে, যার মাধ্যমে এখন থেকে আপনি এই ধরনের ভয়ংকর সাইটে ঢুকতে চাইলে গুগল আগেই আপনাকে সতর্ক করে দেবে। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলের একটি প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
নতুন এই আপডেটটি আসলে গুগলের ‘সেফ ব্রাউজিং ফিচার’-এর একটি নতুন সংযোজন, যেটি হয়তো আপনাআপনি পৌঁছে গেছে আপনার ক্রোম ব্রাউজারে। বেশ কয়েকদিন ধরেই গুগল চেষ্টা করছে তাদের ব্রাউজারের ব্যবহারকারীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।
আপনি এই সেবাটি পাচ্ছেন কি না তা নিশ্চিত করতে প্রথমে যান আপনার গুগল ক্রমের প্রেফারেন্সে, সেখানে সেটিংসে গিয়ে ক্লিক করুন অ্যাডভান্সে, অ্যাডভান্স সেটিংসের প্রাইভেসি অপশনে দেখবেন ‘প্রটেক্ট ইউ অ্যান্ড ইওর ডিভাইস ফ্রম ড্যাঞ্জারাস সাইট’ লেখার পাশে একটি ছোট বক্স আছে। ওই খানে ‘টিক’ দিয়ে নিশ্চিত করুন আপনার ব্রাউজিংয়ের নিরাপত্তা।
যদি আপনি এই সেবাটি নিশ্চিত করে থাকেন, তাহলে এর পর থেকে আপনি ভুয়া ডাউনলোড বাটনের কোনো বিপজ্জনক সাইটে প্রবেশ করতে গেলে ক্রোম এই ব্যাপারে একটি লাল রঙের ‘ওয়ার্নিং পেজ’ প্রদর্শন করবে।
সেই পেজেই প্রতারক সাইটের ব্যাপারে আপনাকে সতর্ক করা হবে। সাধারণত এই পেজগুলোতে আপনাকে টোপ ফেলে এমন কোনো ম্যালওয়্যার প্রবেশ করানো হবে, যার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার পাসওয়ার্ড, ফোন নম্বর কিংবা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চলে যাবে হ্যাকারদের হাতে।
এ রকম ঘটনা প্রায় সবার সঙ্গেই কমবেশি ঘটে থাকে। আপনি হয়তো কোনো ফ্রিওয়্যার অ্যাপ কিংবা কোনো কিছু ডাউনলোড করতে কোনো সাইটে ঢুকলেন। ঢুকে দেখলেন বড় বড় করে তিন-চার জায়গায় লেখা ‘ডাউনলোড,’ যার বেশির ভাগই আসলে ভুয়া বাটন।
কিন্তু ভুয়া বাটনে ক্লিক করে আপনি যে শুধু বোকা হলেন তা নয়, সঙ্গে সঙ্গে এই একটি ক্লিকেই আপনার কম্পিউটারে ঢুকে যেতে পারে ভয়ংকর কোনো ম্যালওয়্যার, যার মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারের সব তথ্য চলে যাবে হ্যাকারদের কাছে।
গুগল এই ধরনের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সমস্যা দূর করার জন্য তাদের ক্রোম ব্রাউজারে নতুন একটি ফিচার যোগ করেছে, যার মাধ্যমে এখন থেকে আপনি এই ধরনের ভয়ংকর সাইটে ঢুকতে চাইলে গুগল আগেই আপনাকে সতর্ক করে দেবে। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলের একটি প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
সেই পেজেই প্রতারক সাইটের ব্যাপারে আপনাকে সতর্ক করা হবে। সাধারণত এই পেজগুলোতে আপনাকে টোপ ফেলে এমন কোনো ম্যালওয়্যার প্রবেশ করানো হবে, যার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার পাসওয়ার্ড, ফোন নম্বর কিংবা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চলে যাবে হ্যাকারদের হাতে।
নতুন এই আপডেটটি আসলে গুগলের ‘সেফ ব্রাউজিং ফিচার’-এর একটি নতুন সংযোজন, যেটি হয়তো আপনাআপনি পৌঁছে গেছে আপনার ক্রোম ব্রাউজারে। বেশ কয়েকদিন ধরেই গুগল চেষ্টা করছে তাদের ব্রাউজারের ব্যবহারকারীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।
আপনি এই সেবাটি পাচ্ছেন কি না তা নিশ্চিত করতে প্রথমে যান আপনার গুগল ক্রমের প্রেফারেন্সে, সেখানে সেটিংসে গিয়ে ক্লিক করুন অ্যাডভান্সে, অ্যাডভান্স সেটিংসের প্রাইভেসি অপশনে দেখবেন ‘প্রটেক্ট ইউ অ্যান্ড ইওর ডিভাইস ফ্রম ড্যাঞ্জারাস সাইট’ লেখার পাশে একটি ছোট বক্স আছে। ওই খানে ‘টিক’ দিয়ে নিশ্চিত করুন আপনার ব্রাউজিংয়ের নিরাপত্তা।
যদি আপনি এই সেবাটি নিশ্চিত করে থাকেন, তাহলে এর পর থেকে আপনি ভুয়া ডাউনলোড বাটনের কোনো বিপজ্জনক সাইটে প্রবেশ করতে গেলে ক্রোম এই ব্যাপারে একটি লাল রঙের ‘ওয়ার্নিং পেজ’ প্রদর্শন করবে।
প্রতিটি গুগল ব্যবহারকারীর জানা দরকার এমন ১০টি ইউআরএল
প্রতিটি গুগল ব্যবহারকারীর জানা দরকার এমন ১০টি ইউআরএল
আপনি
একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারী বা স্মার্টফোন ব্যবহারকারী হলে নিশ্চয়ই আপনি
নেট ব্যবহার করে থাকেন। আর ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন কিন্তু গুগল এবং
গুগলের সেবাগুলোর সাথে পরিচিত নন তাতো আর হতে পারেনা। আর অনেকেই এমন আছেন
যারা গুগল ছাড়া কিছু বোঝেনও না। আর আপনিও যদি হয়ে থাকেন একজন গুগলের
ডাইহার্ড ফ্যান তবে আপনার জন্য আজ নিয়ে এলাম ১০টি এমন ইউআরএল যা আপনার কাজে
আসবেই আসবে! চলুন তাহলে, শুরু করা যাক।
১। আপনি গুগল ক্রোম ব্যবহার করার সময় যে সকল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে
থাকেন সেগুলো গুগল সংরক্ষণ করে রাখে। সেই পাসওয়ার্ড এবং ইউজার নেমগুলো আপনি
চাইলেই গুগল থেকে সহজেই পেয়ে যাবেন। এর জন্য আপনাকে যেতে হবে http://passwords.google.com ইউআরএলটিতে।২। আপনি যে সকল সাইটগুলোতে ভিজিট করে থাকেন সেই সাইটগুলোর উপর ভিত্তি করে আপনার একটি প্রোফাইল তৈরি করে থাকে। সেই প্রোফাইল এবং আপনার গুগল প্লাসের প্রোফাইলের উপত ভিত্তি করে গুগল আপনার বয়স, জেন্ডার, ইন্টারেস্ট সমূহ ইত্যাদি সংরক্ষণ করে রাখে সেই প্রোফাইলটিতে। আপনার প্রোফাইলটি দেখতে ভিজিট করতে পারেন https://www.google.com/ads/preferences ঠিকানায়।
৩। আপনি চাইলেই গুগল ইকোসিস্টেম থেকে আপনার সমস্ত তথ্য এক্সপোর্ট করতে পারবেন, গুগল এই সুবিধা প্রদান করে থাকে। আপনি খুব সহজেই আপনার গুগল ফটোস, কনট্যাক্ট, জিমেইল এমনকি আপনার ইউটিউবের ভিডিও (যদি থাকে) ফাইলগুলো পর্যন্ত আপনি ডাউনলোড করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে যেতে হবে https://www.google.com/takeout ঠিকানাটিতে।
৪। আপনার নিজস্ব কনটেন্ট যদি আপনি অন্য কোন সাইটে দেখে থাকেন তবে আপনি খুব সহজেই DMCA কমপ্লেইন করতে পারবেন। যার জন্য আপনাকে যেতে হবে https://support.google.com/legal ঠিকানাটিতে।
৫। আপনি কি জানেন আপনি যেখানেই যান আপনার ডিভাইসটির মাধ্যমে গুগল আপনার লোকেশন সংগ্রহ করে? কথাটি সত্য না মিথ্যা জানতে ভিজিট করুন https://maps.google.com/locationhistory ইউআরএলটি।
৬। নির্ধারিত গুগল অ্যাকাউন্ট করার সময় আপনার অ্যাকাউন্টে ইউজার নেমের শেষে @gmail.com ব্যবহারিত হয়। তবে আপনি যদি https://accounts.google.com/SignUpWithoutGmail ইউআরএলটি থেকে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে চান তাহলে গুগল ছাড়াই আপনি আপনার অ্যাকাউন্টটি ক্রিয়েট করতে পারবেন।
৭। গুগল এবং ইউটিউবে আপনি যে সার্চ টার্মই ব্যবহার করেন না কেন সেগুলো গুগল এবং ইউটিউব সংরক্ষণ করে রাখে। এছাড়াও কোন ওয়েবসাইটে যদি আপনি গুগলের অ্যাডগুলোতে ক্লিক করে থাকেন তবে সেই লগও গুগল সংরক্ষণ করে রাখে। তাই কি কি করেছেন যদি দেখতে চান তবে নিচের ইউআরএলগুলো কাজে আসবে।
https://history.google.com
https://history.google.com/history/audio
https://www.youtube.com/feed/history
৮। গুগলের টার্মস এবং কন্ডিশন অনুযায়ী আপনি যদি আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টে প্রতি ৯ মাসে একবার করে লগইন না করে থাকেন তবে আপনার অ্যাকাউন্টটি মুছে ফেলা হবে। এটি মূলত সমস্যা করে তাদের যাদের একের অধিক জিমেইল অ্যাকাউন্ট আছে। আপনারও যদি এরকম থাকে তবে আপনার প্রাইমারী মেইল অ্যাকাউন্টটিকে সেকন্ডারি মেইল অ্যাকাউন্টগুলোর ট্রাস্টেড কনট্যাক্ট হিসেবে যুক্ত করতে পারেন। ফলে, গুগল আপনার প্রাইমারী অ্যাকাউন্টে রিমাইন্ডার পাঠাতে থাকবে।
https://www.google.com/settings/account/inactive
৯। আপনার গুগল অ্যাকাউন্টে কেউ ঢুকছে কিনা সে বিষয়ে চিন্তিত? আপনি কিন্তু খুব সহজেই https://security.google.com/settings/security/activity ইউআরএলটির সাহায্যে আপনার অ্যাকতিভিটি লগ চেক করতে পারেন যেখানে কোন কোন ডিভাইস থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করা হয়েছিল এবং কোন কোন আইপি ব্যবহার করেছিল ফোনগুলো সেই তথ্য আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন।
১০। আপনি এ পর্যন্ত কোন কোন অ্যাপলিকেশনগুলোকে আপনার আক্যাউন্টে পারমিশন দিয়েছিলেন মনে নেই? https://security.google.com/settings/security/permissions এই ইউআরএলটি খুব সহজেই আপনাকে মনে করিয়ে দিতে সক্ষম।
ভিন্ন আইডিয়ায় রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা
ভিন্ন আইডিয়ায় রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা…..
এব্যবসায়ের জন্য শুরুতেই প্রস্তুত করতে হবে আপনার উদ্যোগী মনকেে নয়তো এমন হাজারটা আইডিয়া পড়ে রবে দেখতে পাবে না সফলতার মুখ। ব্যবসায়ের জায়গাটি নির্বাচন করতে হবে জনবহুল অফিস পাড়ায়। খাবার রান্না করা যাবে এমন এক থেকে দুইটি রুম ভাড়া নিতে হবে। বিকল্প ব্যবস্থা যদি আপনার বাসায় করতে পারেন তবে মন্দ কি। সাশ্রয় হবে আপনার রুম ভাড়ার পুরো অর্থটাই আর তা মাস শেষে যোগ হবে বাড়তি লাভের খাতায়। আপনার টার্গেট মার্কেট বা অফিস পাড়ার প্রত্যেকটি অফিস ভিজিট করা শুরু করুন। এবং কথা বলুন আপনার সেবাটি সম্পর্কে আপনার সাম্ভাব্য ক্রেতাদের সাথে। আস্থা দিন মান সম্মত সেবা প্রদানের। যোগাড় করতে থাকুন কাষ্টমার যারা আপনার তৈরী করা খাবার প্রতি দিন ক্রয় করবে মাসিক চুক্তিতে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার পৌছাতে পারবেন এমন সার্মথ্য রেখে কাংখিত সংখ্যার কাষ্টমার সংগ্রহ করতে থাকুন। সেই সাথে ঠিক কবে থেকে তাদের কাছে খাবার পৌছে দিবেন সেই নির্দিষ্ট তারিখটি জানিয়ে দিতে ভুল করবেন না।
এবার চলুন বাজার ঘুরে আসি। রান্না করার জন্য আপনাকে কিনতে হবে চুলা, হাড়ি, পাতিল, কড়ই, সহ প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র যা লাগবে রান্না করার কাজে। আর সেই সাথে যে সকল আইটেম সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আপনার ক্রেতাদের সেগুলোর বাজারটাও সেরে ফেলুন। এবার রান্না করা খাবার আপনার ক্রেতাদের নিকট পৌছে দেওয়ার পাত্রও কেনা দরকার। এক্ষেত্রে আপনি হটপট জাতীয় পাত্র ব্যবহার করলে বাড়তি সুবিধা পাবেন। সাথে আপনার কোয়ালিটির উপর একটা ভাল ধারনা জন্ম নিয়ে নিবে আপনার ক্রেতাদের।
এবার চলুন রান্না ঘরে যাওয়া যাক। রান্না ঘর সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন রেখে রান্না করার প্রস্তুতি নিয়ে নিন। কিন্তু রান্না কি আপনি করবেন। যদি শিখে নিতে পারেন তবে তো ভালই হয়। নিজে না পারলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভাল বাবুর্চী নিয়োগ দিন।
মনে রাখবেন আপনার খাবারের স্বাদ আর মানের উপর নির্ভর করছে আপনার ব্যবসার সফলতা। তাই এখানে রাখতে হবে সর্বোচ্চ নজরদারি আর সর্তকতা। খাবার সময়মত পৌছে দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক লোক আর পরিবহনের ব্যবস্থা করে ফেলুন।
আপনার খাবারের দাম এমন ভাবে নির্ধারন করুন যাতে ক্রেতা তার পাশের রেষ্টুরেন্ট রেখেই আপনার সেবাটি ক্রয় করে। এই ব্যবসায় শতভাগ সফল হওয়ার জন্য আপনাকে আরও একটি গোপন তথ্য দিয়ে দিই। সেটি হল আপনার ক্রেতাদের জন্য অসাধারন ভাল ব্যবহার যাতে আপনি বলতেই আপনার ক্রেতার সামনে ভেসে উঠবে এমন একটি মুখ যেখানে আপনার ক্রেতার সন্তুষ্টি মাখা।
দুপুরের খাবার সরবরাহের পাশাপাশি বিকেলের নাস্তা সরবরাহের ব্যবস্থা কিংবা ফাষ্টফুডও সরবরাহ করতে পারেন আপনার ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী। এছাড়াও বাড়তি আয়ের জন্য আপনি বিয়ে বাড়ি সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও খাবার সরবরাহ করতে পারেন।
এবার আসুন কত বিনিয়োগ লাগবে এ ব্যবসায়। ছোট আকারে করতে আপনি মাত্র দশ থেকে পনের হাজার টাকায় শুরু করতে পারবেন। আর পরবর্তীতে চাইলে আপনি এথানেই বিনিয়োগ করতে পারবেন লক্ষ লক্ষ টাকা। তবে সাবধান কখনও বাসি-পচা খাবার সরবরাহ করার চেষ্টাও করবেন না অতিরিক্ত লাভের আশায়। শুরুতেই বলেছিলাম এ ব্যবসায় খুবই লাভজনক। চলে এসছি সেই কাংখিত জায়গায় বলব লাভের কথা। দক্ষ হাতে আপনি ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারলে সকল খরচ বাদ দিয়ে ত্রিশ থেকে চল্লিশ শতাংশ মুনাফা বা লাভ করতে পারবেন আপনি।
বিজ্ঞাপন এজেন্সীর ব্যবসা করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়
বিজ্ঞাপন এজেন্সীর ব্যবসা করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় …
উৎপাদিত পণ্যের প্রচারের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত মাধ্যম হচ্ছে বিজ্ঞাপন। এবং বড় বড় কোম্পানী গুলো তাদের পণ্যের মূল্যের প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ বিজ্ঞাপন খাতে ব্যয় করে থাকে। টেলিভিশন, রেডিও, পত্রিকা, মাগ্যাজিন, বিলবোর্ড এর সাথে বর্তমানে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার আরও একটি নতুন ক্ষেত্র তৈরী হয়েছে। কিভাবে শুরু করবেন চলুন সে সম্পের্কে একটু জানার চেষ্টা করি। বিজ্ঞাপনী সংস্থা গুলো সাধারনত তৃতীয় পক্ষ হিসেবে কাজ করে থাকে। এর জন্য আপনাকে একটা বা দুইটা রুমের অফিস রুম ভাড়া নিতে হবে। আপনি নিজেই অথবা দু-চার জন কর্মী নিয়োগ দিয়েই শুরু করতে পারবেন এ ব্যবসাটি।
এজন্য আপনাকে অফিস ভাড়ার অগ্রিম এবং অফিস সজ্জা বাবদ সামান্য অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। মিডিয়া পাড়ায় এ ধরনের ব্যবসার ব্যপক সুযোগ রয়েছে। এর বাইরেও বিভাগীয় বা জেলা পর্যায়ে অফিস নিয়ে শুরু করতে পারবেন এ ব্যবসা।
যারা বিভিন্ন টেলিভিশন, রেডিও, পত্রিকা, মাগ্যাজিন বিলবোর্ড বা অনলাইনে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে ইচ্ছুক তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। তাদের কাছ থেকে বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করাই হচ্ছে আপনার কাজ। আর এর মাধ্যমে আপনি পাবেন কমিশন। যেখান থেকে আসবে আপনার আয়। সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিজ্ঞাপন প্রচারের কাজ পাওয়ার পাশাপাশি আপনি প্রেস রিলিজ প্রচারের কাজও পাবেন। যেখান থেকেও আপনার আয় হবে বড় একটা অর্থের।
এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই বিজ্ঞাপন প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সর্তকতার সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। তাদের বিজ্ঞাপনের মূল্য সম্পর্কে আপনার পূর্ন ও সঠিক ধারনা থাকতে হবে। সে অনুযায়ী আপনি ব্জ্ঞিাপন সংগ্রহ করে প্রচারের ব্যবস্থা করতে পারলেই আপনার ব্যবসায়ের দ্রুত প্রসার ঘটাতে পারবেন। এবং প্রচুর প্ররিমান আয়ও করতে পারবেন। যত বেশী পরিমান বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে প্রচারের ব্যবস্থা করতে পারবেন আয়ও তত বাড়বে।
এ জাতীয় কিছু বিজ্ঞাপনী এজেন্সী আপনি ঢাকার ফার্মগেট, কাওরান বাজার এলাকায় পাবেন। যদিও ঢাকা শহরের প্রায় জায়গাতেই এ ধরনের অনেক এজেন্সী আছে। এছাড়া বিভাগীয় ও জেলা শহরের প্রেসক্লাব ও মিডিয়া অফিস গুলোর আশপাশেই এ জাতীয় বিজ্ঞাপনী এজেন্সী পাবেন। তাদের সাথে সর্তকতার সাথে যোগাযোগ করলে ব্যবসায়ের কৌশল ও বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আমি আপনাদের আবারও স্মরন করিয়ে দিতে চাই এ ব্যবসায়ের সবচেয়ে বড় পুঁজি হচ্ছে যোগাযোগ, সম্পর্ক তৈরী ও ব্যবহার। ধৈয্য সহকারে এগিয়ে যেতে পারলে এ ব্যবসায় আপনি খুব সহজেই পেতে পারেন সফলতা।
আইটি ফার্মের ব্যাবসা খুলতে পারে আপনার সৌভাগ্যের দ্বার
আইটি ফার্মের ব্যাবসা খুলতে পারে আপনার সৌভাগ্যের দ্বার…
স্বাগতম আপনাদের সকলকে। আইটি ফার্মের ব্যবসা স্থাপনের জন্য আপনাকে সবার আগে দক্ষ আইটি কর্মী নিযোগের চিন্তা মাথায় রাখতে হবে। কারন তারাই হচ্ছে আপনার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। তাদের মেধা ও বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। আপনি যদি আইটি বিষয়ে পড়াশুনা করে থাকেন তবে আপনার এ ব্যবসায়ে সফলতা পেতে সহজ হবে। আইটি ব্যবসা ভিন্ন ভিন্ন খাত ধরে করতে পারবেন। আপনি চাইলে ছোট থেকে বিস্তৃত পরিসরে এ ব্যবসা করতে পারবেন। এক লক্ষ টাকা পুজিঁ থেকে শুরু করে কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন এ খাতে।
ছোট করে যদি শুরু করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি কম্পিউটার এর হার্ডওয়্যার মেরামত ও যন্ত্রাংশ বিক্রয় করতে পারেন। নেটওয়ার্কিং করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশও সাথে বিক্রয় করতে পারবেন। এখানে আপনি নষ্ট কম্পিউটার মেরামত থেকে শুরু করে মাউস, কিবোর্ড ,মনিটর, পিসি, সাউন্ড সিষ্টেম, নেটওয়াকিং কেবল, ওয়াইফাই, রাউডার সহ পেনড্রাইভ বিক্রয় করতে পারেন।
একটু বড় পরিসরে আসি এবার। আইটি ফার্ম করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে সে সম্পর্কে জানানোর ক্ষুদ্র চেষ্টায় প্রথমত আপনাকে সু সজ্জিত অফিস নিতে হবে। কাজ করার জন্য হাই কনফিগারেশন কম্পিউটার নিতে হবে। সাথে প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথ সংযোগ নিতে হবে। সফটওয়্যার তৈরীর জন্য দক্ষ, অভিজ্ঞ, সৃজনশীল সফটওয়্যার ইজ্ঞিনিয়ার নিয়োগ দিতে হবে।
আপনার প্রতিষঠান কি ধরনের সফটওয়্যার তৈরী ও বিক্রয় করবেন তার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা একেঁ নিন। প্রচার পরিচালনা চালান দেশে ও বিদেশে। দেশের ভেতর কাজ পেতে যোগাযোগ করুন বানিজ্যিক ও সেবা খাত সমূহের প্রতিষঠানে।
বিদেশের বিভিন্ন ধরনের প্রতিষঠানের কাজ পেতে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখুন সর্তকতার সাথে। বায়ার আপনার কাজে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলে আপনার কাজের অভাব হবে না বিদেশের বাজারে। বাংলাদেশ প্রতি বছর সফটওয়্যার রপ্তানি করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে। আর এ খাতে আপনার বিনিয়োগ স্থাপন করে আপনিও নিতে পারেন সে সুবর্ন সুযোগ।
সফটওয়্যার তৈরীর পাশাপাশি আপনি সফটওয়্যার উন্নয়নের কাজও করবেন। আর এখান থেকেও আপনি আয় করতে পারবেন একটা বড় অঙ্কের অর্থ। আর ইন্টারনেট থেকেই আপনি সংগ্রহ করতে পারবেন এ ধরনের কাজ। পাশাপাশি যাদের কাছে সফটওয়্যার বিক্রয় করবেন তাদের কাছ থেকেই পুনরায় আপডেটের কাজ পাবেন। বড় বড় প্রতিষঠান সমূহের নেটওয়াকিং এর কাজ করেবেন সাথে।
ছোট আকারে একটি সফটওয়্যার ফার্ম করতে প্রায় আট থেকে দশ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। এর বাইরে আপনি বিদেশ থেকে আইটি পন্যের আমদানি করে তা দেশের বাজারে বিক্রয়ের ব্যবসায়ও করতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্য আরও বড় ও বেশী পুজিঁর বিনিয়োগ করতে হবে আপনাকে। আর আমদানিক্রত আইটি পন্যের ব্যবসায় করতে গেলে আপনাকে পন্য মানের সাথে কোন প্রকার সামজ্ঞস্য করা চলবে না। অবশ্যই ভাল মানের প্রন্য আমদানি করতে হবে।
মার্কেটিং এন্ড সেলস যেকোন প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। সুতরাং এখানে আপনার কোন প্রকার ছাড় দেওয়ার সুযোগ নাই। পরিশ্রমী এবং দক্ষ লোক নিয়োগ দিতে ভুল করবেন না একটুও। মার্কেটিং প্লান সাজান এবং সে অনুযায়ী এগিয়ে যান কাংখিত লক্ষের দিকে।
মার্কেটিং এনড সেলস দক্ষতার সাথে পরিচালনা করে মান সম্মত সেবা প্রদানের নিশ্চয়তা প্রদান করতে পারলে আপনি খুব সহজেই আইটি ব্যবসায়ে সফল হতে পারবেন
কাপড় অথবা কাগজের হ্যান্ড ব্যাগ তৈরী দিয়েই শুরু হোক আপনার ব্যবসা
কাপড় অথবা কাগজের হ্যান্ড ব্যাগ তৈরী দিয়েই শুরু হোক আপনার ব্যবসা….
ইতিমধ্যেই
আপনাদের অনেকে আমার কাছে জানতে চেয়েছেন কাপড় অথবা কাগজের হ্যান্ড ব্যাগ
তৈরীর ব্যবসা সম্পর্কে। আর তাদের জন্য এ ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর
ক্ষুদ্র এ প্রচেষ্টা।
চলুন তাহলে… ভাবছেন কিভাবে শুরু করবেন…?
ব্যগ তৈরীর জন্য সর্বপ্রথমে একটা রুমের প্রয়োজন হবে। আর তাতে স্থাপন করতে হবে দুই থেকে তিনটি সেলাই মেশিন।
মেশিন যখন কিনেই ফেললেন তখন কিছু সেলাই তো করতে হবে। আর এজন্য দরকার হবে আপনি যে কাপড়ের ব্যাগ তৈরী করতে চান সে জাতীয় কাপড়।
সাথে সুতা তো লাগছেই সেলাই করতে। তাই উপযুক্ত সুতা বাছাইয়ের কাজটিও করতে হবে আপনাকে। ব্যাগের হাতল তৈরীর কাজে ব্যবহৃত ফিতা অথবা আলাদা ধরনের সুতাও সংগ্রহ করতে হবে। ব্যাগটি যদি জিপার সিষ্টেম করতে চান তাহলে আপনাকে জিপার সংগ্রহ করতে হবে।
কাগজের ব্যাগের ক্ষেত্রে কাগজ, আঠা, রিপিট সুতা ইত্যাদির প্রয়োজন পড়বে। এ জাতীয় ব্যাগের বাইরে সিমেন্টের ব্যাগ থেকেও তৈরী করতে পারেন হ্যান্ড ব্যাগ। অথবা নেটের ব্যাগও তৈরী করতে পারেন। যার চাহিদা কতটা ব্যাপক তা বাজার করতে গেলে বুঝবেন।
কাপড়ের তৈরী হ্যান্ড ব্যাগকে যদি আকর্ষনীয় রুপ দিতে চান তাহলে সুন্দর রংয়ে রাঙাতে স্ক্রিন প্রিন্ট মেশিনের প্রয়োজন পড়বে।
এ ব্যবসা করতে আপনার বিশেষ কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন পড়বে না। মাত্র দুই থেকে তিন দিন প্রশিক্ষন নিলেই আপনি নিজেই তৈরী করতে পারবেন।
এ ব্যবসা প্রাথমিক অবস্থায় ৫০,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকায় শুরু করতে পারবেন। ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চাইলে তখন বাড়তি পুঁজির প্রয়োজন পড়বে।
নিজে কাজ সম্পর্কে পুরোপুরি ভালভাবে জেনে নিতে পারলে কর্মীদের থেকে পূর্ন আউটপুট বুঝে পাবেন সাথে আপনার কর্মীরাও ফাঁকি দিতে পারবে না।
আপনার তৈরী করা হ্যান্ড ব্যাগ নিকটস্থ বাজেরর দোকান গুলোতে বিক্রয় করতে পারবেন। এছাড়াও ঢাকার চকবাজারে এ জাতীয় ব্যাগের পাইকারী বাজার রয়েছে। সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ জাতীয় পন্যের পাইকারী বাজার পাবেন আপনার তৈরী ব্যাগ বিক্রির জন্য।
তাহলে থেমে আছেন কেন…?
একটু সাহস করেই না হয় কাজে হাত দিয়ে ফেলুন যদি থাকে আত্মবিশ্বাস আর জীবনে সফলতা পাওয়ার অদম্য ইচ্ছা….
চলুন তাহলে… ভাবছেন কিভাবে শুরু করবেন…?
ব্যগ তৈরীর জন্য সর্বপ্রথমে একটা রুমের প্রয়োজন হবে। আর তাতে স্থাপন করতে হবে দুই থেকে তিনটি সেলাই মেশিন।
মেশিন যখন কিনেই ফেললেন তখন কিছু সেলাই তো করতে হবে। আর এজন্য দরকার হবে আপনি যে কাপড়ের ব্যাগ তৈরী করতে চান সে জাতীয় কাপড়।
সাথে সুতা তো লাগছেই সেলাই করতে। তাই উপযুক্ত সুতা বাছাইয়ের কাজটিও করতে হবে আপনাকে। ব্যাগের হাতল তৈরীর কাজে ব্যবহৃত ফিতা অথবা আলাদা ধরনের সুতাও সংগ্রহ করতে হবে। ব্যাগটি যদি জিপার সিষ্টেম করতে চান তাহলে আপনাকে জিপার সংগ্রহ করতে হবে।
কাগজের ব্যাগের ক্ষেত্রে কাগজ, আঠা, রিপিট সুতা ইত্যাদির প্রয়োজন পড়বে। এ জাতীয় ব্যাগের বাইরে সিমেন্টের ব্যাগ থেকেও তৈরী করতে পারেন হ্যান্ড ব্যাগ। অথবা নেটের ব্যাগও তৈরী করতে পারেন। যার চাহিদা কতটা ব্যাপক তা বাজার করতে গেলে বুঝবেন।
কাপড়ের তৈরী হ্যান্ড ব্যাগকে যদি আকর্ষনীয় রুপ দিতে চান তাহলে সুন্দর রংয়ে রাঙাতে স্ক্রিন প্রিন্ট মেশিনের প্রয়োজন পড়বে।
এ ব্যবসা করতে আপনার বিশেষ কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন পড়বে না। মাত্র দুই থেকে তিন দিন প্রশিক্ষন নিলেই আপনি নিজেই তৈরী করতে পারবেন।
এ ব্যবসা প্রাথমিক অবস্থায় ৫০,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকায় শুরু করতে পারবেন। ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চাইলে তখন বাড়তি পুঁজির প্রয়োজন পড়বে।
নিজে কাজ সম্পর্কে পুরোপুরি ভালভাবে জেনে নিতে পারলে কর্মীদের থেকে পূর্ন আউটপুট বুঝে পাবেন সাথে আপনার কর্মীরাও ফাঁকি দিতে পারবে না।
আপনার তৈরী করা হ্যান্ড ব্যাগ নিকটস্থ বাজেরর দোকান গুলোতে বিক্রয় করতে পারবেন। এছাড়াও ঢাকার চকবাজারে এ জাতীয় ব্যাগের পাইকারী বাজার রয়েছে। সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ জাতীয় পন্যের পাইকারী বাজার পাবেন আপনার তৈরী ব্যাগ বিক্রির জন্য।
তাহলে থেমে আছেন কেন…?
একটু সাহস করেই না হয় কাজে হাত দিয়ে ফেলুন যদি থাকে আত্মবিশ্বাস আর জীবনে সফলতা পাওয়ার অদম্য ইচ্ছা….
ভিন্ন্ আইডিয়ায় করতে পারেন ফাষ্টফুডের দোকান
ভিন্ন্ আইডিয়ায় করতে পারেন ফাষ্টফুডের দোকান
স্বাগতম আপনাদের সকলকে যারা উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে ফাষ্টফুড আমাদের প্রায় সকলের প্রিয় খাবারে পরিনত হয়ে পড়েছে। সময় আর ব্যস্ততার কারনেই ফাষ্টফুড আমাদের কাছে এত জনপ্রিয় হয়েছে কি?
সে যেকারনেই হোক আমাদের বেকারদের জন্য তা কিন্তু সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত হয়ে এসেছে। ইতি মধ্যেই এ ব্যবসায়ের সাথে নিজেকে জড়িয়ে সফলতার মুখ দেখেছেন অনেক উদ্যোক্তা।
এ ব্যবসা করতে আপনার সুুবিধামত একটি এলাকায় ব্যবসার স্থান নির্বাচন করতে পারেন। তবে অবশ্যই লোক সমাগম ঘটে এমন স্থান হতে হবে। না হলে ক্রেতা পাবেন না।
আপনার ব্যবসায়ের পরিধি ও পুঁজি বিবেচনা করে দোকানের আয়তন নির্ধারণ করবেন। দোকানের ডেকোরেশন অবশ্যই চমৎকার করে করার চিন্তা করবেন। এটি আপনি আপনার নিজের আইডিয়ায় অথবা ভাল কোন ডিজাইনার দিয়েও ডিজাইন করিয়ে নিতে পারেন।
আপনার দোকানের সুন্দর একটা নাম দিতে কিন্তু ভুল করবেন না।
দোকানের জন্য ফার্নিচার, ফ্রিজ, ওভেন, জুস মেকার কফি মেকার সহ খাদ্য তৈরীর বিভিন্ন ইলেকট্রিক মেশিন কিনতে হবে আপনাকে। আর সেই সাথে খাদ্য পরিবেশনের জন্য আকর্ষনীয় পাত্র কিন্তু চাই। খাদ্য পরিবেশনের জন্য সুন্দর বাচনভঙ্গি এবং আকর্ষনীয় চরিত্রের লোকবল নিয়োগ দিতে হবে আপনাকেই খুব দক্ষতা ও সর্তকতার সাথে।
ফাষ্টফুড হিসেবে রাখতে পারেন স্যান্ডউইচ, বার্গার, নানা ধরনের রোল, শর্মা, পিজা, চিকেন ফ্রাই নুডুলস সহ নানা ধরনের আকর্ষনীয় খাবার। এসব খাবার আগে থেকেই তৈরী করে দোকানে সাজিয়ে রাখতে হবে। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী গরম করে পরিবেশন করতে হবে। সেই সাথে চাহিদা অনুযায়ী জুস সাথে সাথে তৈরী করে পরিবেশন করতে হবে।
এ জাতীয় ব্যবসা করতে বিশ থেকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়ে। তবে কেউ যদি খূব ছোট আকারে শুরু করতে চান তবে এর থেকে কম মূলধন বিনিয়োগ করেও করতে পারবেন।
এবার এ ব্যবসায়ে আপনার উন্নতির জন্য একটু ভিন্ন আইডিয়া শেয়ার করি। আপনি আপনার দোকানের আসপাশের এলাকার কিছু নিয়মিত ক্রেতার বাসায় হোম ডেলিভারী করতে পারেন। সেই সাথে আশপাশের অফিসে বিকালের নাশতা হিসেবেও ডেলিভারী করতে পারেন। তবে এজন্য দক্ষ ডেলিভারী ম্যান নিয়োগ দিতে হবে আপনাকে। সার্ভিসটি বিনা ডেলিভারী চার্যে করতে পারলে বেশ সাড়া পাবেন।
আপনার মাথায় এ ব্যবসায়ের জন্য আমার থেকেও আরও কোন ভিন্ন আইডিয়া থাকতে পারে। যা আপনাকে নিয়ে যেতে পারবে সফলতার দিকে। নিজের সততা মেধা আর প্ররিশ্রমের সমন্বয় ঘটিয়ে হয়ে উঠুন সফলদের একজন।
ই-কমার্স ব্যবসায়ী হতে চান
ই-কমার্স ব্যবসায়ী হতে চান…?
দিন যত যাচ্ছে ততই অনলাইনে কেনাকাটার পরিমান বৃ্দ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে অনলাইন শপিং ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশে অনলাইনে কেনাকাটা কিছু শ্রেনীর মানুষদের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলেও অচিরেই এটি যে জনপ্রিয় হতে যাচ্ছে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়, কারন প্রতিনিয়তই ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। আর তাই দিন দিন ইকমার্স সাইটগুলোর জনপ্রিয়তাও বাড়ছে।
কিন্তু অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না ঠিক কিভাবে শুরু করবেন। অথবা শুরু করার চেষ্টা করছেন কিন্তু গাইডলাইনের অভাবে শুরু করতে পারছেন না চলুন তাহলে ধারনা নেওয়া যাক এ ব্যবসায়ে সফলতা নিশ্চিত করতে কি কি করা দরকার সে সম্পর্কে।
ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করতে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হল আপনি কোন ধরনের পন্য বিক্রি করবেন তা নির্দিষ্ট করা। পন্য নির্ধারন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই বিচক্ষন হতে হবে। কারন আপনার নির্ধারিত পন্যের এর চাহিদা কেমন হবে, পন্য বিক্রয় করে কেমন লাভ হবে, পন্য ক্রেতার নিকট পৌছানোর পরিবহন খরচ কেমন পরবে তা চিন্তা না করে যেমন খুশি তেমন সাজো এর মত পন্য সিলেক্ট করলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ব্যবসার শুরুতেই।
আবার নিজের বিন্দুমাত্র আইডিয়া নেই এরকম পন্য সিলেক্ট করা ও বোকামি। পন্য নির্বাচন করার আগে অবশ্যই আপনার প্রতিদ্ধন্দী কারা, তাদের মার্কেট পজিশন কোন স্তরে তা বিবেচনা করা উচিত। কখোনই এমন পন্য বিক্রির চেষ্টা করবেন না যেটি অন্য বিখ্যাত ইকমার্স ওয়েবসাইট দ্বারা মার্কেটের প্রায় ৭৫ শতাংশ চাহিদা পুরন করা হচ্ছে সফলতার সাথে। আর পন্য মানের সাথে কার্পণ্য করা চলবে না। সব সময় বাজারের সেরা পন্যটি আপনার ক্রেতার হাতে তুলে দেবার চেষ্টা রাখতে হবে।
পন্য নির্ধারনের পর নির্দিষ্ট করুন পন্যগুলো কোন কোন ক্যাটাগরীতে পড়ছে। ক্যাটাগরী নির্দিষ্ট করার সুবিধা হচ্ছে, পন্যগুলো কিনতে সুবিধা হবে এবং দাম নির্ধারন করতেও সুবিধা হবে। তাছাড়া আপনার ওয়েবসাইটে কাস্টোমাররা সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় পন্য গুলো খুজে নিতে পারবে।
কোন কোন পন্য বিক্রি করবেন তা নির্ধারন করার পর আপনি পন্য কীভাবে কাস্টোমারর হাতে পৌছাবেন তা ঠিক করুন। হোম ডেলিভারী দেবার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে কোন কুরিয়ার সার্ভিস/পরিবহন ব্যাবহার করবেন তা নির্ধারন করুন। হোম ডেলিভারী কোন কোন এলাকার জন্য রাখবেন তা নির্ধারন করুন। হোম ডেলিভারীর আগেই পেমেন্ট নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে হবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ওয়েবসাইট তৈরীতে হাত দেওয়ার আগে নির্ধারন করুন পেমেন্ট অপশন হিসেবে আপনি কোনগুলো রাখবেন। অর্থাৎ কোন কোন মাধ্যমে আপনার ক্রেতা আপনার পন্যের মূল্য পরিশোধ করতে পারবে।
মানুষ কোন পেমেন্ট অপশন ব্যাবহারে স্বাচ্ছন্দ্যতা বোধ করে তা বিবেচনা করে পেমেন্ট অপশন নির্ধারন করুন। পেমেন্ট অপশন হিসেবে ব্যাংক ট্রান্সফার, মোবাইল ব্যাকিং ব্যবস্থা বিকাশ, সহ পেজা, মানিবুকার রাখতে পারেন। তবে উপরের সবগুলো রাখতে হবে এমন না কারন কাস্টোমারের সেটিসফিকশন যেমন দরকারী তেমন নিজের সুবিধা অনুযায়ী কাজ করতে পারাটাও দরকারি।
একটা ইকমার্স ওয়েবসাইটের অন্যতম সৌন্দর্য হচ্ছে একটি সুন্দর ডোমেইন নেম। আপনার ইকমার্স ওয়েবসাইটের জন্য একটি সুন্দর এবং ইকমার্স রিলেটেড নাম সিলেক্ট করুন। যেমন ইকমার্সের জন্য আপনি যদি চিন্তা করেন অামি-তুমি-সে-ডটকম নাম রাখবেন তাহলে তা মানানসই হবে না, কেউ বুঝবেও না এটা কি ওয়েবসাইট। কিন্তু যদি ইবাজারডটকম রাখেন তবে সবাই বুঝবে এটি কিসের ওয়েবসাইট।
যেকোন ওয়েবসাইটের জন্য ভাল মানের হোস্টিং দরকার আর তা যদি হয় ইকমার্স ওয়েবসাইটের জন্য তাহলে তো কথাই নেই। তাই হোস্টিং কেনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সচেতন হতে হবে আপনাকে। ইকমার্স ওয়েবসাইট চালুর প্রথম দিকে ভালো শেয়ার্ড বা বিজনেস ক্লাস হোস্টিং ভাল হবে তবে সাইটের ট্রাফিক বাড়লে ভিপিএস বা ডেডিকেটেড এ মাইগ্রেট করাই উত্তম হবে।
কোন স্ক্রিপ্ট দিয়ে তৈরী করবেন অথবা কোন প্রোগামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এ তৈরী করবেন তা আগেই নির্ধারন করুন। যেহেতু এখানে অর্ডার রিসিভ এবং সিকিউরিটি মেইনটেইন করার ব্যাপার আছে তাই ইকমার্স ওয়েবসাইটটি করার সময় সর্তকতার সাথে এগুলো নির্ধারন করতে হবে। আপনার ইকমার্স ওয়েবসাইটের জন্য একটি ইউনিক টেম্পলেট ইউজ করার চেষ্টা করুন এবং নিজে না পারলে তা রেস্পন্সিভ ওয়েবডেভেলপার দিয়ে করুন। সেই সাথে ইকমার্স সাইটের জন্য মোবাইল ভার্সন রাখার চেষ্টা করুন।
এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে ইকমার্স ওয়েবসাইটের জন্য একটা ইউজার ফ্রেন্ডলী ইন্টারফেস সবচেয়ে দরকারী। তাই সাইটের ডিজাইন করার ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব ইউজার ফ্রেন্ডলী করে তৈরি করার চেষ্টা করুন। সেই সাথে আপনার ওয়ব সাইটটি সার্চইঞ্জিনে দ্রুত খুজে পাওয়ার জন্য করতে হবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও এর কাজও।
আপনার ইকমার্স ওয়েবসাইটটি চালু করার আগেই একটু জোরেশোরে প্রচারনা চালানোর চেষ্টা করুন। ইকমার্স ওয়েবসাইটটির ফিচার গুলো কেমন হবে, কেন অন্যদের থেকে আলাদা তা তুলে ধরার চেষ্টা করুন। প্রচারনার জন্য বাজেটের একটা অংশ রাখুন। কারন প্রচারেই প্রসার। প্রচারনার অংশ হিসেবে ফেসবুক প্রোমোট, বিলবোর্ড এডভার্টাইজিং ইত্যাদি রাখতে পারেন। তাছাড়া ইকমার্স ওয়েবসাইটটি উদ্বোধন উপলক্ষ্যে রাখতে পারেন বিশেষ ছাড় এবং উপহার সামগ্রীও।
ইকমার্স ব্যবসায়ের জন্য ডোমেইন, হোষ্টিং সার্ভার, ওয়েবসাইট ডিজাইন, এসইও অথবা এ সংক্রান্ত যে কোন তথ্যের প্রয়োজনে আপনি উদ্যোক্তার খোঁজে ডটকমের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৩৫-২৮৪৬১৭ নাম্বারে। আমরা চেষ্টা করব আপনাদের জন্য সঠিক দিক নির্দেশনা রাখার যাতে করে আপনি এগিয়ে যেতে পারেন ইকমার্স ব্যবসায়ে সাফল্যের পথে।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসার আইডিয়া
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসার আইডিয়া
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকার
কাজ করে চলেছে দ্রুত গতিতে। আর সেই পথে গতি এনেছে ইন্টারনেট।
তথ্যপ্রযুক্তির দিক থেকে বাংলাদেশ খুব বেশী এগোতে না পারলেও সাফল্য কিন্তু
কম নয়। মুক্তপেশা ফ্রিল্যান্সিং এ তরুনরা এগিয়ে চলেছে সমান তালে। সফটওয়্যার
রপ্তানীতেও বাংলাদেশ সাফল্য দেখিয়েছে। নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও
ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে তরুন প্রজন্ম এগিয়ে চলছে সমান তালে। যদিও উন্নত
বিশ্ব যখন ফাইভ জি নেটওয়ার্ক নিয়ে এগিয়ে চলছে সেখানে আমরা এখনও থ্রিজি সেবা
পৌছে দিতে পারি নাই প্রতিটি জেলা শহরে। আর এই পিছিয়ে পড়া থেকে এগিয়ে
যাওয়ার পথে তৈরী হয়েছে নতুন ব্যবসার সম্ভাবনা।
আমাদের
অনেকেরই হয়ত জানা নেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা সম্পর্কে। আমি মাসুদুর
রহমান আজ আপনাদের এ বিষয়ে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। সাথে থাকবেন আশা
রাখছি।কম টাকায় উচ্চ গতির ইন্টারনেট পাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। আনলিমিটেড প্যাকেজ, স্বল্প মূল্য এবং নিরবিচ্ছিন্ন সঠিক গতির নিশ্চয়তার কারণে অধিকাংশ মানুষ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করতে আগ্রহী। কিন্তু আমাদের দেশের খুব কম জায়গাতেই পাওয়া যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবসা যদিও অনেক কম ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু এব্যবসা সম্পর্কে জানার সীমাবদ্ধতার কারনে শুরু করতে পারছেন না অনেকেই।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা মূলত ইন্টারনেট ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা। বিভিন্ন ভাবেই মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। যেমন ওয়ারল্যাস, ওয়াইফাই, ওয়াইম্যাক্স, ব্রডব্যান্ড। এগুলোর মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সবচেয়ে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া যায় গ্রাহকদের।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবসা করতে সর্বপ্রথম ধারনা নিন আপনার নির্ধারিত ব্যবসায়িক এলাকায় কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা কেমন। যদি সন্তোষজনক হয় তাহলে শুরু করতে পারেন। ব্রডব্যান্ড ব্যবসা করার জন্য বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স নিতে হবে আপনাকে। লাইসেন্স করার জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। ফরমে বর্ণিত সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করে বিটিআরসি হেড অফিসে জমা দিতে হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আবেদন করার তিন মাসের মধ্যেই লাইসেন্স পেয়ে যাবেন আপনি। লাইসেন্স পাওয়ার পর আপনাকে কিনতে হবে ব্যান্ডউইথ।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসার জন্য সবার আগে প্রয়োজন হবে ব্যান্ডউইথ। আর ব্যান্ডউইথ আসে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে। তাই প্রথমে দেখতে হবে যে আপনার ব্যবসায়ীক এলাকায় অপটিক্যাল ফাইবার আছে কিনা। শুধু ফাইবার থাকলেই হবে না কানেকশন দেওয়ার পপস পোর্টও থাকতে হবে। বিটিসিএলের ফাইবার লাইনের পপস পোর্ট আছে শুধুমাত্র জেলা শহরগুলোতে। তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। মোবাইল অপারেটরদের ৩জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কারণে এখন গ্রাম পর্যায়েও অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছে গেছে। বেসরকারি আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) গুলো প্রায় সারাদেশে তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে। আপনাকে সেসব আইআইজি এর কাছ থেকে জেনে নিতে হবে আপনার এলাকায় তাদের অপটিক্যাল ফাইবারের পপস পোর্ট আছে কিনা।
কম দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে ও সারাদেশে নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে এমন কয়েকটি আইআইজি হল বিটিসিএল, ম্যাঙ্গো টেলিকম, সামিট কামিউনিকেশন, বাংলা ফোন, ভার্গো কামিউনিকেশন, ফাইবার এ্যাট হোম, নভোকম ও বিডি লিংক কামিউনিকেশন। আমাদের দেশে মোট ৩৬ টি ব্যান্ডউইথ প্রোভাইডার রয়েছে। আপনি এদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যে ব্যান্ডউইথ কিনে নিতে পারবেন।
যদি আপনার কাছাকাছি পোর্ট থাকে তাইলে ব্যবসা শুরু করতে আর বাধা নেই। কাছাকাছি না হয়ে একটু দূরে পোর্ট থাকলে সেখান থেকেও রেডিও লিংক করে আনতে পারবেন। আর যদি পপস পোর্টের দূরত্ব বেশি হয় তাইলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ নিতে পারবেন বা মাইক্রোওয়েভ দ্বারা কানেক্টেড মোবাইল টাওয়ারের বিটিএস থেকেও নিতে পারবেন ব্যান্ডউইথ। তবে এই দুই পদ্ধতিতেই ব্যান্ডউইথের দাম অনেক বেশি পরবে। বিভাগীয় শহরগুলিতে অনেক আইএসপি কম দামে সাবলাইন দিয়ে থাকে। তাদের থেকে ব্যান্ডউইথ নিয়েও ব্যবসা করতে পারবেন আপনি।
ব্রডব্যান্ড ব্যবসা করতে হলে আপনাকে কিছু যন্ত্রপাতি কিনতে হবে। সেগুলি হল স্পিড কন্ট্রোল করার জন্য মাইক্রোটিক রাউটার, মিডিয়া কনভার্টার, ক্যাবল, পিসি, বেজ ষ্টেশন স্থাপন করার জন্য সুইচ ও বক্স। সেই সাথে আপনাকে চব্বিশ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হবে মাইক্রোটিক রাউটার চালু রাখার জন্য।
প্রাথমিক ভাবে দুই লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলেই শুরু করতে পারবেন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ব্যবসা। পর্যায়ক্রমে ব্যবসার পরিধির উপর বিনিয়োগ বাড়াতে হবে আপনাকে। প্রাথমিক বিনিয়োগ থেকে আপনি প্রতি মাসে বিশ থেকে পঁচিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। ব্যবসার পরিধি বাড়ার সাথে সাথে আয়ের পরিমানও বাড়বে।
প্রথমেই বলেছি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায় ঝুঁকি অনেক কম। কারণ এই ব্যবসায় শুরুতেই একবার সব কিছু স্থাপন করে নিলে তারপর ব্যান্ডউইথ কেনা ছাড়া তেমন কোন খরচ নেই। বর্ষাকালটা যদিও ব্রডব্যান্ড ব্যবসার জন্য শত্রুতামুলক আচরন করে। কারন বজ্রপাতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।
আপনার ব্যবসায়িক এলাকায় আপনি যে ব্রডব্যান্ড ইন্টানেটের সার্ভিস নিয়ে এসেছেন সেটা তো মানুষকে জানাতে হবে। আর এর জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রচার করতে হবে। যেহেতু আপনি একটা এলাকা টার্গেট করে ব্যবসায় নামবেন সেহেতু মার্কেটিং এর জন্য আপনাকে তেমন বড় বাজেট রাখতে হবে না। লিফলেটে আপনার প্যাকেজ সমূহ, প্যাকেজ মূল্য, স্পিড, শর্তাদি ইত্যাদি বিস্তারিত লিখে আপনার টার্গেটকৃত এলাকায় বিতরণ করতে হবে। আগে থেকেই কোন আইএসপি থাকলে তাদের সাথে কম্পেয়ার করে রেট নির্ধারণ করতে হবে। এ ছাড়া সরাসরি বাসায় বাসায় গিয়ে, মাইকিং করে, ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে, পরিচিত মহলকে অনুরোধ করেও মার্কেটিং করতে পারেন।
এই ব্যবসা যেহেতু ব্যবহারকারী ভিত্তিক এবং এক ব্যবহারকারীর সাথে আরেক ব্যবহারকারী সম্পর্কযুক্ত থাকে তাই আপনার বর্তমান ব্যবহারকারীদের বিশেষ ডিসকাউন্টের অফার দিয়ে প্রভাবিত করেও উইজার বাড়াতে পারবেন। এ ছাড়াও এমন ঘোষণা দিতে পারেন প্রথম নির্দিষ্ট সংখ্যার কিছু ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট পাবেন। এতে করে দ্রুত কাস্টমার পাওয়া আপনার জন্য সহজ হবে।
এই ব্যবসায় আপনি কর্মী নিয়োগ দিতে চাইলে দেখতে হবে সে মাইক্রোটিক রাউটার কন্ট্রোলিং এর কাজ জানে কিনা, নতুন পোর্ট বানানো, সুইচ, কানেকশন দিতে পারে কিনা, যোগাযোগ দক্ষতা কেমন, মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা কেমন। এ ছাড়াও যোগ্যতা হিসেবে বাই সাইকেল চালানো জানলে বাড়তি সুবিধা পাবেন। কেননা দূর দূরান্তে গিয়ে লাইন ঠিক করতে হবে।
আপনার কাস্টমারদের সার্বক্ষণিক সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে আপনাকে। তারা খারাপ কিছু করলেও তাদের উপর রাগ করা যাবে না। গভীর রাতেও অনেকে ফোন করতে পারে আপনার সেবার জন্য। তাতে বিরক্ত হওয়া চলবে না আপনাকে।
দুই থেকে তিন হাজার টাকায় শুরু হোক মাশরুমের ব্যবসা
দুই থেকে তিন হাজার টাকায় শুরু হোক মাশরুমের ব্যবসা
‘‘মাশরুম” ব্যাঙের ছাতার মতো এক ধরণের ছত্রাক জাতীয় গাছ। মাশরুম ও ব্যাঙের ছাতা দেখতে একই রকম হলেও এদের মাঝে অনেক পার্থক্য আছে। প্রাকৃতিক পরিবেশে জন্ম নেওয়া কোন কোন মাশরুম বিষাক্ত হয় এবং সেগুলো খাওয়া যায় না। সূর্যের আলোয় প্রাকৃতিকভাবে খুব বেশি মাশরুম জন্মাতে পারে না তাই প্রাকৃতিক উপায়ে খাবারের জন্য বেশি করে মাশরুম পাওয়া যায় না। আমাদের দেশে অনেক স্থানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাশরুম চাষ করা হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষকরা মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। আমাদের দেশের অনেক জায়গায় বিশেষ করে ঢাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, মধুপুর প্রভৃতি স্থানে এখন ব্যবসায়িক ভিত্তিতে মাশরুম চাষ ও বাজারজাত করা হচ্ছে। মাশরুম চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বাড়তি আয় করাও সম্ভব। মাশরুম চাষ করতে আবাদী জমির প্রয়োজন হয় না।
বাজার সম্ভাবনা
আমাদের দেশের বড় বড় শহরগুলোর বিভিন্ন হোটেল ও চাইনিজ হোটেলগুলোতে মাশরুমের চাহিদা আছে। তাই আপাত দৃষ্টিতে মাশরুমের বাজার মূলত শহরে গড়ে উঠেছে। এছাড়া বিদেশে এর চাহিদা রয়েছে। মাশরুম শুকিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। এজন্য যেসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বিদেশে সবজি ও কাঁচামাল পাঠায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মাশরুম বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব।
প্রয়োজনীয় মূলধন
মাশরুম চাষ করার জন্য ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকার প্রয়োজন হবে। যদি ব্যক্তিগত পূঁজি না থাকে তাহলে মূলধন সংগ্রহের জন্য নিকট আত্মীয়স্বজন, ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের (এনজিও) সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এসব সরকারি ও বেসরকারি ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) শর্ত সাপেক্ষে ঋণ দিয়ে থাকে।
ব্যাংকঃ
সোনালী ব্যাংকঃ http://www.sonalibank.com.bd/
জনতা ব্যাংকঃ http://www.janatabank-bd.com/
রূপালী ব্যাংকঃ http://www.rupalibank.org/rblnew/
অগ্রণী ব্যাংকঃ http://www.agranibank.org/
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকঃ www.krishibank.org.bd/
এনজিও
আশাঃ http://asa.org.bd/
গ্রামীণ ব্যাংকঃ http://www.grameen-info.org/
ব্রাকঃ http://www.brac.net/
প্রশিকাঃ http://www.proshika.org/
আয়-ব্যয়
অয়েস্টার মাশরুমের পাপড়ি বেশি ছড়ানোর আগেই তুলে গোড়া থেকে সামান্য কেটে ফেলতে হবে। পলি প্রোপাইলিনের প্যাকেটে কয়েকটা ছিদ্র করে এর মধ্যে মাশরুমগুলো ভার মুখ বন্ধ করে এই প্যাকেট বাজারজাত করতে হবে। প্রতিটি বীজ বা স্পন থেকে প্রায় ২০০ গ্রাম মাশরুম পাওয়া যায়। সুতরাং ২০০টি বীজ বা স্পন থেকে প্রায় ৪০ কেজি মাশরুম পাওয়া সম্ভব হবে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি মাশরুমের দাম প্রায় ১২০ থেকে ১৫০ টাকা।
আমাদের দেশে সাধারণত খাবারের উপযোগী তিন জাতের মাশরুম চাষ হয় –
স্ট্র মাশরুম : ধানের খড়, শিমুল তুলা, ছোলার বেসন ও চাউলের কুড়া ইত্যাদি উপকরণ ব্যবহার করে স্ট্র মাশরুম চাষ করা হয়। আমাদের দেশে সাধারণত মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এর চাষ করা যায়।
ইয়ার মাশরুম: সাধারণত বর্ষাকালে প্রাকৃতিকভাবে আম গাছে ইয়ার মাশরুম পাওয়া যায়। ইয়ার মাশরুম দেখতে কালচে রঙের। ইয়ার মাশরুম সারাবছর চাষ করা গেলেও সাধারণত বর্ষাকালে এর ফলন ভালো হয়।
অয়েস্টার মাশরুম: আমাদের দেশে এই জাতের মাশরুম চাষ সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। সারাবছরই এই মাশরুম চাষ করা যায় তবে শীত ও বর্ষাকালে এর ফলন ভালো হয়। অয়েস্টার মাশরুম খুব সহজে চাষ করা যায় এবং এর জন্য খুব অল্প জায়গার প্রয়োজন হয়।
মাশরুম উৎপাদন কৌশল
চাষের উপযোগী স্থান
মাশরুম খোলা জায়গায় চাষ করা যায় না। তাই এর জন্য আবাদী জমির প্রয়োজন হয় না। মাশরুম চাষ করার জন্য ছায়াযুক্ত জায়গায় ছন বা বাঁশের চালা দিয়ে ঘর তৈরি করতে হয়। মাটির দেওয়াল দিয়েও ঘর তৈরি করা যায়। আবার বাঁশের বেড়াও দেওয়া যায়। ঘরের ভেতর যাতে আলো ঢুকতে না পারে সেজন্য বাঁশের বেড়ায় মাটি লেপে দিতে হয়।
অয়েস্টার মাশরুম চাষ পদ্ধতি
অয়েস্টার মাশরুম বীজ বা স্পন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ জোগাড় করে মাশরুম চাষ শুরু করা যাবে। ধাপে ধাপে মাশরুম চাষ করতে হয়।
১ম পদ্ধতি
মাশরুম চাষ কেন্দ্র থেকে মাশরুমের বীজ বা স্পন প্যাকেট সংগ্রহ করতে হবে। বীজ বা স্পনের দুই পাশে কিছুটা গোল করে কেটে চেঁছে নিতে হবে।
মাশরুমের প্যাকেট পানিতে ৩০ মিনিটের জন্য ডুবিয়ে রাখতে হবে। ৩০ মিনিট পরে পানি থেকে মাশরুমের প্যাকেট উঠিয়ে নিতে হবে।
অতিরিক্ত পানি ঝরানোর জন্য মাশরুমের প্যাকেট ৫ থেকে ১০ মিনিট উপুড় করে রাখতে হবে। পানি ঝরে গেলে ঘরের নির্ধারিত জায়গায় রেখে দিতে হবে। প্রতিদিন এর উপর তিন থেকে চারবার করে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
সাধারণত ৩ থেকে ৪ দিন পর কাটা জায়গা থেকে অঙ্কুর গজায়। অঙ্কুর গজানোর পর মাঝে মাঝে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
খাওয়ার উপযোগী মাশরুম উৎপন্ন হতে ৫ বা ৬ দিন সময় লাগে। খাবার উপযোগী মাশরুম উৎপন্ন হলে তা গোড়া থেকে তুলে নিতে হবে।
বীজের যে জায়গা কাটা হয়েছিল তা ব্লেড দিয়ে একটু চেঁছে দিতে হবে। এই বীজ থেকে আবার মাশরুম গজাবে।
একটা আধা কেজি ওজনের বীজ বা স্পন প্যাকেট থেকে ৩-৪ বার মাশরুম পাওয়া যায়। এতে মোট ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম মাশরুম পাওয়া যাবে।
২য় পদ্ধতি
মাশরুম চাষ কেন্দ্র থেকে বীজ বা স্পন সংগ্রহ করতে হবে। এক কেজি ওজনের একটি বীজের পলিথিন খুলে ভিতরের কম্পোস্ট গুঁড়ো করে নিতে হবে।
দুই কেজি পরিমাণ ধানের পরিষ্কার ও শুকনো খড় সংগ্রহ করতে হবে। খড়গুলোকে এক ইঞ্চি মাপে কেটে টুকরা করতে হবে।
পরিমাণ মতো পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। খড়গুলো জীবাণুমুক্ত করার জন্য ফুটন্ত পানিতে খড়ের টুকরোগুলো এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
খড়গুলো পানি থেকে তুলে চিপে পানি শূন্য করে একটি পাত্রে রাখতে হবে।
পাঁচটি পলিব্যাগ নিয়ে পলিব্যাগের ভেতরে প্রথমে কিছু খড় বিছিয়ে নিতে হবে। খড়ের উপর মাশরুম বীজের গুঁড়ো দিতে হবে। এভাবে একটি পলিব্যাগে চার স্তরে খড় আর মাশরুম বীজের গুঁড়ো বিছিয়ে দিতে হবে। শেষ স্তরে আবার খড় বিছিয়ে দিতে হবে।
খড় বিছানো শেষ হলে খুব শক্ত করে পলিব্যাগ বাঁধতে হবে। এভাবে প্রতিটি পলিব্যাগ বাঁধতে হবে।
পলিব্যাগের চার দিকে ১০-১২টি ছিদ্র করতে হবে। এরপর ব্যাগগুলোকে বীজে পরিণত হওয়ার জন্য ১৫-১৮ দিন রেখে দিতে হবে।
১৫-১৮ দিন পরে পলিব্যাগগুলো খুলে বীজের দলাগুলো বের করে নিতে হবে।
প্রতিটি বীজের দলা শিকায় করে ঝুলিয়ে রাখতে হবে এবং প্রতিদিন ৪-৫ বার করে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
৩-৪ দিন পর চারদিক দিয়ে মাশরুমের অঙ্কুর গজাতে শুরু করবে। ৪-৬ দিন পর খাওয়ার উপযোগী মাশরুম গোড়া থেকে তুলে নিতে হবে।
এভাবে মাশরুম চাষে লাভ বেশি হবে। কারণ প্রতিটি পলিব্যাগ থেকে প্রায় আধা কেজি মাশরুম পাওয়া যাবে। সুতরাং পাঁচটি ব্যাগ থেকে প্রায় আড়াই কেজি মাশরুম উৎপন্ন হবে।
সাবধানতা
বীজ বা স্পনে কোনভাবেই সূর্যের আলো পড়তে দেওয়া যাবে না। সবসময় ঘরটি ঠান্ডা রাখতে হবে। খুব বেশি গরম পড়লে ঘরের চারদিকে বস্তা ঝুলিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
মাশরুম ঘর ও ঘরের বাইরের চারদিক সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। অপরিচ্ছন্ন জায়গায় মাশরুম ফ্লাই নামের পোকা মাশরুমের ক্ষতি করে।
কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে না।
মাশরুমের উপকারিতা
মাশরুমে প্রচুর প্রোটিন, খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন আছে। তাই খাদ্য হিসেবে এটা খুবই পুষ্টিকর। এর উপকারিতাসমূহ হল-
রক্তে চিনির সমতা রক্ষা করে ফলে ডায়াবেটিক রোগী এবং যারা স্থুল বা স্বাস্থ্যবান তাদের জন্য উপযুক্ত খাবার।
মাশরুম দেহের ক্ষয়পূরণ, হাড় গঠন ও দাঁত মজবুত করে।
রক্তহীনতা, বেরিবোধ, হৃদরোগ, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
খাবারের উপযোগী মাশরুম
প্রশিক্ষণ
সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় ঢাকা জেলার সাভারে অবস্থিত ‘মাশরুম চাষ কেন্দ্র’ আছে। এছাড়া বাংলাদেশের নানা স্থানে “মাশরুম চাষ কেন্দ্রের” ১৬টি শাখা আছে। মাশরুম চাষ করে ব্যবসা করার জন্য এসব মাশরুম চাষ কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে নেওয়া যাবে। এছাড়া মাশরুম চাষ সম্পর্কে বাজারে অনেক বই পাওয়া যায়। এসব বই পড়ার মাধ্যমেও মাশরুম চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। এছাড়া অভিজ্ঞ কারও কাছ থেকে মাশরুম চাষের বিস্তারিত জেনে নিলে চাষ করতে সুবিধা হবে এবং উন্নতমানের মাশরুম পাওয়া সম্ভব হবে।
প্রশিক্ষন প্রদানকারী সংস্থা:
ব্রাকঃ http://www.brac.net/
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরঃ www.dyd.gov.bd
বিসিকঃ http://www.bscic.gov.bd/
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরঃ http://www.dwa.gov.bd/
মাশরুম মূল্যবান সবজি। বিদেশে এর যথেষ্ট চাহিদা আছে। মাশরুমের পুষ্টি ও ঔষধি গুণের কথা বলে সাধারণ মানুষকে মাশরুম খাওয়ার জন্য উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। তাহলে সাধারণ বাজারেও এর চাহিদা বাড়বে। আমাদের দেশে এখনও যে খাদ্য ঘাটতি আছে, মাশরুম কিছুটা হলেও তা পূরণ করতে পারে।
আর্বজনা সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত থেকে হতে পারে ব্যবসা
আর্বজনা সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত থেকে হতে পারে ব্যবসা
আবর্জনা থেকে যখন ব্যবসা তখন ব্যাপারটা অবাক করার মত হতে পারে আপনার কাছে। কিন্তু বাস্তবতা বলছে এর ব্যাপক সম্ভাবনার কথা। আর এই ব্যবসার মাধ্যমে আয়ের পথ খুলতে পারেন আপনি। হতে পারেন সম্ভাবনাময় ব্যবসার এক সফল উদ্যোক্তা।
আমাদের প্রতিদিনকার উৎপাদিত বর্জ্য আমরা নানা ভাবে ফেলে দেই। এই ফেলে দেওয়া বর্জ্য আমাদের জন্য বড় একটি সম্পদ। যার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হলে বড় অংকের অর্থ আয়ের পাশাপাশি দেশের কৃষি ক্ষেত্রে ফসলের উৎপাদনে আসতে পারে বড় ধরনের সফলতা। সেই সাথে আমরা পেতে পারি দূর্গন্ধমুক্ত সুন্দর পরিবেশ।
চলুন এবার জানার করি আপনার বর্জ্য ব্যবসা কিভাবে শুরু করতে পারেন সে সম্পর্কে। আপনার এলাকায় এ ব্যবসা গড়ে তোলার জন্য প্রাথমিক ভাবে যে কাজটি করতে হবে তা হল আপনি যে সকল বাসা থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করবেন তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থের বিনিময়ে আপনি তাদের বাসা বাড়ির আবর্জনা সংগ্রহের জন্য প্রস্তাবনা দিন। এভাবে আপনি আপনার কাংখিত কাষ্টমার খুঁজে নিতে পারবেন।
প্রতিদিনকার আবর্জনা পরিবহনের জন্য এবার আপনার দরকার হবে ক্যারিং ভ্যান। চার সাইডে লোহার শিট তৈরী দিয়ে বক্স ভ্যানগুলো আপনি পনের থেকে বিশ হাজার টাকায় তৈরী করে নিতে পারবেন। ময়লা আর্বজনা গুলো পরিবহনের জন্য আপনাকে লোক নিয়োগ দিতে হবে। যারা প্রতিদিন বাসায় বাসায় গিয়ে ময়লা আর্বজনা গুলো সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট ডাষ্টবিনে ফেলবে।
সংগ্রহকৃত আবর্জনা গুলো থেকে রিসাইক্লিন আবর্জনা যেমন: প্রাষ্টিকের ব্যবহার্য ভাঙা জিনিসপত্র, টিনের বা লোহার টুকরা, কাগজের কার্টুন, সহ আরও বিভিন্ন বস্তু যা ভাঙারী হিসেবে আর্থিক মূল্য আছে সেগুলো সংগ্রহ করে সেখান থেকে বাড়তি অর্থ উপার্জন করাও সম্ভব। এছাড়াও আমাদের বাসাবাড়িতে যে সকল আর্বজনা গুলো তৈরী হয় সেগুলোর প্রায় ৮৫ শতাংশ আবর্জনা প্রক্রিয়াজাত করে জৈবসার উৎপাদন করা সম্ভব।
আবর্জনা প্রক্রিয়াজাত করতে চাইলে আপনার একটি নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে আবর্জনা গুলো স্তুপকরে বাছাই করে একটা নির্দিষ্ট উপায়ে নির্দিষ্ট সময় পরে সেখান থেকে উৎপাদিত জৈবসার তৈরী করে বাজারজাত করতে পারবেন। আর এ প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত জৈবসার ফসলের ক্ষেতে ব্যবহার করলে তা থেকে ব্যাপক ফলন পাওয়া সম্ভব। যেখানে রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে ফসলের জমির উর্বরতা হ্রাস পায় সেখানে এই জৈবসার জমির উর্বরতা বাড়ায়।
আর্বজনা সংগ্রহ করার মাধ্যমে আপনি যতবেশী বাসা থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করতে পারবেন ততবেশী আয়ের পরিমানও বৃদ্ধি পাবে। এখানে এককালীন ব্যয় বলতে ক্যারিং ভ্যান তৈরীর খরচ আর ঝুকি সর্বনিন্ম পর্যায়ে। প্রতি মাসে বর্জ্য পরিবহন শ্রমিকের বেতন এবং ক্যারিং ভ্যান মেরামত ব্যাতীত আর তেমন কোন বড় আকারের দৃশ্যমান খরচ নেই। একটু সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারলে আপনার বেকারত্ব ঘুচিয়ে সাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি আরও অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করতে পারবেন।
বিজনেস প্লান তৈরী করবেন কিভাবে
বিজনেস প্লান তৈরী করবেন কিভাবে..?
উদ্যোক্তার খোঁজে ডটকম আজ আপনাদের জন্য ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বা প্লানিং সম্পর্কে একটি সুষ্পষ্ট ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করবে।
ব্যবসা কোন শর্টকাট ব্যবস্থা নয় যেখান থেকে রাতারাতি অনেক অর্থের মালিক হবেন। সুতরাং ব্যবসায়িক প্রোজেক্ট পরিচালনার জন্য কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ বছরের একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা করতে হবে। আপনার ব্যবসার উদ্দেশ্য এবং বিস্তারিত বর্ননা থাকতে হবে অর্থাৎ আপনি কেন, কোন উদ্দেশ্যে, কি লক্ষে ব্যবসা পরিচালনা করবেন তার বিস্তারিত জানা থাকতে হবে। সেই সাথে কেন ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য সফল করবেন এবং কিভাবে করবেন তাও সুর্নিদিষ্ট করতে হবে।
শুরুতেই আপনি নিজের কাছে প্রশ্ন করুন আপনি কে। আপনার কার্যক্ষমতা কতটুকু? কে কে আপনার ব্যবসার আংশীদার হতে পারে? আপনি বর্তমানে কি করেন? আপনি কি সবার থেকে আলাদা? যদি আলাদা হন তাহলে কেন আপনি অন্য সবার থেকে আলাদা? খুজে বের করার চেষ্টা করুন অন্যের থেকে বাড়তি কি যোগ্যতা আছে আপনার সেই সাথে খুঁজুন সীমাবদ্ধতা।
আপনি যে ব্যবসা করবেন বলে ভাবছেন কিংবা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অন্য কারা তা বর্তমানে করেছে? যে ব্যবসায় করবেন সে ব্যবসার পরিধি বা মার্কেট সাইজ কতটুকু হবে? এই ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে আপনার জন্য কি কি সুযোগ অপেক্ষা করছে সেই সাথে আপনার জন্য কি কি হুমকি অপেক্ষা করছে তাও আপনাকে খুজে বের করতে হবে। জানতে হবে বাজারে কারা আপনার প্রতিযোগী। আপনার প্রতিযোগীদের কৌশল ও তাদের আচরন সম্পর্কেও পুর্ন ধারনা নিতে হবে।
আপনি যে পন্য বা সেবাটি নিয়ে ব্যবসায় শুরু করবেন তার সাম্ভাব্য ক্রতা চিহিৃত করার সাথে সাথে তাদের চাহিদা পর্যালোচনা করতে হবে আপনাকে। এক্ষেত্রে আপনার সার্মথ্য এবং দুর্বলতা সমূহ কি কি তা জানার চেষ্টা করুন। কারন সে অনুযায়ী আপনাকে পরিকল্পনার গতিপথ নির্ধারন করতে হবে। আপনার প্রতিযোগীদের থেকে আপনার টার্গেট মার্কেট কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ তা জানার চেষ্টা করুন। কারন সে অনুযায়ী আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হবে।
আপনাকে সুষ্পষ্ট ভাবে ধারনা রাখতে হবে মার্কেট শেয়ার বা মার্কেটের কত অংশ আপনি দখল করবেন। মার্কেটে কি ধরনের নিয়ন্ত্রক বিদ্যমান আছে? এবং তারা কিভাবে অন্যান্যদের নিয়ন্ত্রন করছে। আপনি কি বিক্রি করবেন? অর্থাৎ আপনি যে পন্য বা সেবা বিক্রি করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটি কি? সেই সাথে যে পন্য বা সেবায় আপনি বিক্রয় করবেন তর নির্দিষ্ট লভ্যংশের হার কত? আপনার মেধা সম্পত্তি কতটুকু?
এ পর্যায়ে এসে আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত রিসার্চ এবং উন্নয়ন কার্যক্রম কি কি হবে তা সুস্পষ্ট ভাবে ব্যখ্যা করতে হবে। আপনার ব্যবসায়কে পরিচিত করার জন্য মার্কেটিং পরিকল্পনা কি? ব্যবসায়ের টার্গেট মার্কেটে অনুপ্রবেশের কৌশল কি? ক্রেতা বা টার্গেট মার্কেটে আপনার যোগাযোগ কৌশল কি? বিপনন কৌশল কি? মূল্য নির্ধারন কৌশল কি? পন্য বা সেবার বিক্রয় কৌশল কি? সেই সাথে এ্যাকশন প্লান বা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যা যা করা দরকার তা সুনির্দিষ্ট ভাবে চিহিৃত করতে হবে।
কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের কাঠামো কি হবে তার পরিকল্পনা করতে হবে আপনাকে। কর্মী সংগ্রহ কৌশল কি হবে? আপনার কর্মী বাহিনীকে দক্ষ করার কৌশল কি? নতুন কর্মীর ক্ষেত্রে যোগ্যতা উন্নয়ন পরিকল্পনা কি? আপনার পন্য তৈরীর জন্য যা যা দরকার তার কতটুকু আছে? কোথা থেকে কিভাবে সংগ্রহ হবে? প্রজেক্ট ব্যয় কত হবে? কত সময় দরকার হবে? কত আয় হবে? কি পরিমান ঝুঁকি নিতে হবে? ঝুঁকি কমানোর জন্য কি ব্যবস্থা করা করা হবে? অর্থায়ন কিভাবে হবে? ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন স্তর কিভাবে কাজ করবে? কিভাবে ম্যানেজ করবেন সবকিছু তা নির্দিষ্ট করতে হবে?
উপরের আলোচনার বিষয় সমুহ সুনির্দিষ্ট করে সংযুক্ত করে ব্যবসার প্লানিং বা পরিকল্পনা করতে পারলে ব্যবসায়ের সফলতার পথ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। সুন্দর একটি সাজানো গোছানো পথে হাঁটলে ব্যবসায়ের সমৃদ্ধিতো সময়ের ব্যাপার। আর তাই সুষ্ঠ পরিকল্পনা আপনাকে করতেই হবে।
মোটর গাড়ি মেরামত ব্যবসার আইডিয়া ও বিস্তারিত
মোটর গাড়ি মেরামত ব্যবসার আইডিয়া ও বিস্তারিত
মোটর গাড়ির সার্ভিসিং বা মেরামতের ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আমরা আজকের প্রচ্ছদটি সাজিয়েছি। মোটর গাড়ি সার্ভিসিং ব্যবসার জন্য আপনার সর্বপ্রথমে ব্যবসার স্থান নির্বাচন করতে হবে। সাধারনত শহর অঞ্চল এ ধরনের ব্যবসার জন্য উপযুক্ত স্থান। কারন অধিকাংশ ধনী মানুষেরা শহরাঞ্চলে বসবাস করে। বাসষ্টান্ড বা পেট্রোল পাম্পের আশপাশ এ ব্যবসার জন্য উপযুক্ত স্থান। এছাড়াও যেকোন জনবহুল গাড়ি পার্কিং এলাকা কিংবা হাইওয়ে রাস্তার পাশেও এ ব্যবসার জায়গা নির্ধারন করা যেতে পারে।
মোটর গাড়ি বলতে আপনি মোটর সাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মিনিবাস, বাস, ট্রাক ইত্যাদি গাড়ি মেরামতের জন্য নির্বাচন করতে পারেন। এ জাতীয় গাড়ির জন্য ইঞ্জিন ও বডির যাবতীয় কাজ সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে সবচেয়ে ভাল করতে পারবেন। আপনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হলে আপনার জন্য এ ব্যবসায়ের সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর সুযোগ পাবেন। আবার আপনি গাড়ি মেরামত না করতে পারলেও কাজ জানা লোক নিয়োগ করে এ ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারেন।
মোটরগাড়ি মেরামতের ব্যবসায়ের জন্য আপনাকে প্রাথমিক ভাবে ব্যবসায়ের ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। আপনার প্রতিষ্ঠানের সুন্দর একটি নাম দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করার পর দোকান বা জায়গা ভাড়া নিতে হবে। অবশ্যই ভাড়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট চুক্তিপত্র করে নিতে ভুল করবেন না। দোকানের সামনে খোলা জায়গা পেলে ভাল হয়। তাতে করে আপনি সেখানে গাড়ি রেখে কাজ করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন।
দোকান ভাড়া নেওয়া হয়ে গেলে আপনি এবার গাড়ি মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনে নিন। আপনার বিনিয়োগের একটি বড় অংশ ব্যয় হবে এ যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ক্ষেত্রে। এবার কাজের জন্য লোকবল নিয়োগ দিন। এক্ষেত্রে অবশ্যই অভিজ্ঞ লোক নিয়োগ দিন। কারন ব্যবসায়ের শুরুতে কম অভিজ্ঞ কিংবা অনভিজ্ঞ লোক নিয়োগ দিলে আপনাকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। আপনি কাজ জানলেও আপনার পাশাপাশি অভিজ্ঞ লোক নিয়োগ দিবেন কারনে আপনি কোন কারনে সমস্যায় পড়লে যাতে সমাধান পাওয়া সম্ভব হয়।
সাধারনত ইঞ্জিনের ত্রুটি কিংবা বডি বা ইঞ্জিনের বাইরের আবরনের ত্রুটি ও রংয়ের কাজ মোটর গাড়ির মালিকেরা করিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় আপনাকে কাজের জন্য গাড়ির মালিকদের জানানোর প্রয়োজন পড়বে। নতুন অবস্থায় ভাল সেবা দিতে পারলে স্থায়ী সেবা গ্রাহক পেয়ে যাবেন। আপনার প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ও সেবা সম্পর্কে প্রচার অব্যাহত রাখুন। বড় বড় প্রতিষ্ঠানের মালিক যাদের একাধিক গাড়ি আছে তাদেরকে আপনার গ্রাহকে পরিনত করার জন্য মার্কেটিং কৌশল গ্রহন করুন এবং সুসম্পর্ক তৈরী করুন। আপনার দোকানের বাইরেও সেবা প্রদান করার জন্য পরিকল্পনা করুন। প্রয়োজনে সেবা গ্রাহীতার বাড়িতে অথবা অফিসে উপস্থিত হয়ে সেবা প্রদান করুন।
মোটর গাড়ি মেরামত ব্যবসায় প্রাথমিক ভাবে দুই থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে শুরু করতে পারবেন। খুবই সল্প পরিসরে শুরু করতে চাইলে এক লক্ষ বা তার কম পরিমান টাকায়ও শুরু করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে আপনাকে মেরামতের কাজ জানতে হবে। এ ব্যবসায়ে প্রতিযোগীতা মোকাবেলা করার জন্য আপনাকে কৌশলী হতে হবে। গ্রাহকের সাথে সুসম্পর্ক ও সর্বোচ্চ মানের সেবা প্রদান নিশ্চিত করে ব্যবসায়ের সফলতা অর্জন করতে পারবেন খুব সহজেই।
একটু হিসেব করে চলতে পারলে এ ব্যবসায় থেকে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবেন। আর ব্যবসার সাথে বিশ্বাস ও সততার যোগসুত্র স্থাপন করতে পারলে আপনার সুনাম ও বৃদ্ধি পেতে থাকবে দিন দিন। সল্প পরিমান ঝুঁকি মোকাবেলা করে এ ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারবেন। সেই সাথে পরবর্তীতে ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে খুচরা যন্ত্রাংশ বিক্রয় করে আয় বাড়াতে পারবেন। লেগে থেকে পরিশ্রম করলে নিজে সাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি আরও অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবেন
আপনার ব্যবসার পরিকল্পনা কিভাবে তৈরি করবেন
আপনার ব্যবসার পরিকল্পনা কিভাবে তৈরি করবেন ?
ব্যবসায় পরিকল্পনার অন্যতম প্রথম পদেক্ষেপ হচ্ছে আপনার অভিষ্ট বাজার নির্ধারণ এবং কেন ক্রেতা আপনার পণ্য ক্রয় করবে তা নির্ধারন করা।
উদাহরনস্বরুপ, যে বাজারে আপনি আপনার পণ্য বা সেবা বিক্রি করবেন তা আপনার জন্য সর্বোত্তম কিনা? আপনার ব্যবসার সুযোগ-সুবিধাসমূহ এবং রীতিনীতিসমূহ স্বচ্ছ কিনা এবং সেগুলো কি ক্রেতা বা ভোক্তাদের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যর্পূন? যদি আপনি এই প্রশ্নগুলোর একটির ব্যাপারেও সন্দিহান থাকেন তবে একধাপ পিছিয়ে গিয়ে আপনার ব্যবসায় পরিকল্পনার কাঠামো পুর্নবিবেচনা করুন।
নিম্নোক্ত পরামর্শগুলো আপনার ব্যবসায়কে যেসব অফারসমূহ প্রদান করতে হবে তা বিশ্লেষন এবং এর জন্য সঠিক ও কাংঙ্খিত বাজার নির্ধারণ এবং নিজস্ব যথাযোগ্য মর্যাদা তৈরিতে সাহায্য করতে পারে।
নির্দিষ্ট করুন যা আপনাকে প্রদান করতে হবে
নিজেকে প্রশ্ন করুনঃ মূল পণ্য বা সেবার বাইরে আপনি সত্যিকার অর্থে কি বিক্রি করছেন? এই উদাহরনটি বিবেচনা করুনঃ আপনার শহরে বহু সংখ্যক রেস্তোরা রয়েছে যারা সবাই মৌলিক পণ্য- খাবার বিক্রি করছে। কিন্তু এরা প্রত্যেকেই ভিন্ন চাহিদা তৈরি এবং ভিন্ন শ্রেনীর ক্রেতা সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের ব্যবসায়িক লক্ষ্য অর্জন করছে।
একটি হতে পারে ফাস্টফুড রেস্তোরা, সম্ভবতো অন্যটি সাদামাটা ইটালিয়ান কিচেনে পিৎজা বিক্রি করা রেস্তোরা এবং অন্য আর একটি হতে পারে সামুদ্রিক খাবারের বিশেষায়িত রেস্তোরা যা উড-গ্রিলড মেন্যুর জন্য বিখ্যাত।
এই সকল রেস্তোরাগুলোই খাবার বিক্রি করে, কিন্তু তারা ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা সম্পন্ন ক্রেতাদের কাছে তাদের ভিন্ন ভিন্ন খাবার (ক্রেতাদের নিজস্ব চাহিদানুযায়ী) বিক্রি করছে। প্রকৃতপক্ষে তারা যা বিক্রি করছে তা হলো পণ্য, মূল্য, পরিবেশ এবং ব্র্যান্ড অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ।
যখন একটি ব্যবসায় শুরু করছেন, নিশ্চিত হয়ে নিন যে কি আপনার ব্যবসায়কে অদ্বিতীয় কর তুলবে? আপনার পণ্য বা সেবাকে পরিপূর্নতা দিতে কি প্রয়োজন? কি কি প্রক্রিয়া এবং পার্থক্য সৃষ্টিকারী উপাদান আপনার ব্যবসায়কে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আলাদাভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে সাহায্য করবে?
সকল ব্যবসায়ের সবজান্তা হবেন না- কৌশল শিখুন
আপনি কি বিক্রি করছেন তা স্বচ্ছভাবে নির্ধারন করা খুব গুরুত্বপূর্ন। আপনি সকল ব্যবসায়ের সবজান্তা হতে চাইবেন না কারন এতে ব্যবসায় উন্নয়নের উপর একটি খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। একটি ক্ষুদ্রতম ব্যবসায় হিসেবে আপনার পণ্য বা সেবাকে নিয়ন্ত্রনসাধ্য বাজারে যথাযথভাবে বিনস্ত্য করা প্রায়শই একটি সর্বোত্তম কৌশল বা নীতি হতে পারে। ছোট ছোট বিভাজন/অপারেশন পরবর্তীতে বিশেষায়িত পন্য বা সেবা অফার করতে পারে যা নির্দিষ্ট শ্রেনীর সম্ভাব্য ক্রেতাদের নিকট আকর্ষণীয় হবে।
আপনার ব্যবসার জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করুন
আপনার ব্যবসার জন্য যথাযোগ্য স্থান নির্বাচন করা ব্যবসায়ের সফলতার জন্য অত্যাবশকীয়। প্রায়শই ব্যবসার মালিকরা তাদের নিজস্ব ব্যবসায়িক জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে স্হান নির্বাচন করতে পারেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ন ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে বাজার পর্যালোচনা করে স্থান নির্বাচন করা হলে তা আরো বেশি ফলপ্রসু হতে পারে। আর এতে গুরুত্বপূর্ন ক্রেতাদের অজানা প্রয়োজনগুলো উন্মোচিত হয়। আপনার গবেষনা প্রক্রিয়াতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো চিহ্নিত করুনঃ
- কোন কোন এলাকায় আপনার প্রতিযোগীরা ইতিমধ্যে সুপ্রতিষ্ঠিত
- কোন এলাকাসমূহ আপনার প্রতিযোগীদের দ্বারা অবহেলিত
- আপনার ব্যবসার জন্য সম্ভাব্য সুযোগ সুবিধাসমূহ
ব্যবসায় পরিকল্পনার এই অধ্যায়টি আপনার ব্যবসায়ের সকল উপাদানগুলোর উপর একটি উচ্চ পর্যায়ের পুনর্বিবেচনার সুযোগ প্রদান করবে। ইহা একটি বর্ধিত এলিভেটর পিচ এর সমগোত্রীয় যা পাঠকদের এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদেরকে দ্রুত তাদের ব্যবসায়িক লক্ষ্য এবং এর অনন্য বিবৃতি বুঝতে সাহায্য করতে পারে।
আপনার কোম্পানীর বর্ণনায় যা অন্তভুক্ত করতে হবে
- আপনার ব্যবসায়ের প্রকৃতি বর্ণনা করুন এবং বাজারের যেসকল চাহিদাসমূহ মেটানোর চেষ্টা করছেন তার একটি তালিকা তৈরি করুন।
- ব্যাখা করুন কিভাবে আপনার পণ্য বা সেবা এসব চাহিদাসমূহ মেটাবে।
- আপনার কোম্পানী যেসকল নির্দিষ্ট ভোক্তা, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়কে সেবা প্রদান করছে এবং করবে তাদের একটি তালিকা তৈরি করুন।
- প্রতিযোগিতামূলক সুবিধাসমূহ বর্ণনা করুন যা আপনার প্রতিষ্ঠানকে সাফল্যমন্ডিত করবে বলে আপনি বিশ্বাস করেন। যেমন- আপনার অবস্থান, অভিজ্ঞ কর্মিবৃন্দ, দক্ষ কার্যবিধি অথবা সামর্থ্য যা আপনার ক্রেতাদের কাছে আপনার মূল্যায়ন এনে দেবে।
আপনার ব্যবসায়ের পরিকল্পনায় বাজার বিশ্লেষন অধ্যায়টি আপনার যেকোনো গবেষনালব্ধ বিষয় এবং সিদ্ধান্তের পাশাপাশি আপনার শিল্প এবং বাজার সংক্রান্ত জ্ঞান বৃদ্ধি করবে।
আপনার বাজার বিশ্লেষনে কি বিষয়সমূহ সংযুক্ত করতে হবে
শিল্পেরবর্ণনা এবং আউটলুক- বতর্মান আয়তন এবং ঐতিহাসিক বৃদ্ধির হার এর পাশাপাশি গতিধারা এবং বৈশিষ্ট্যসহ আপনার শিল্পকে বর্ণনা করুন। যেমন- জীবনচক্রের স্তর, পরিকল্পিত উৎপাদনহার ইত্যাদি। পরবর্তীতে, আপনার শিল্পের গুরুত্বর্পূন ক্রেতাদের তালিকা তৈরি করুন।
আপনার ব্যবসায়ের অভিষ্ট বাজার সর্ম্পকে তথ্য- আপনার ব্যবসায়ের অভিষ্ট বাজারকে একটি নিয়ন্ত্রনসাধ্য আকারে সংকুচিত করুন। অনেক ব্যবসায়-ই অসংখ্য অভিষ্ট বাজারে আবেদন তৈরি করতে গিযে ভুল করে। গবেষনা করুন এবং বাজার সম্পর্কে নিম্নোক্ত তথ্যসমূহ সংযুক্ত করুন।
পার্থক্যসৃষ্টিকারী বৈশিষ্ট্যসমূহ- আপনার সম্ভাব্য ক্রেতাদের জরুরী চাহিদসমূহ কি? সেগুলো কি পূরণ করা যাচ্ছে? ঐ শ্রেনীর সংখ্যাতত্ত্বগুলো কি এবং তারা কোথায় বাস করে? আপনার ব্যবসায়কে প্রভাবিত করতে পারে এমন কোনো ঋতুভিত্তিক অথবা চক্রাকার ক্রয়ের প্রবনতা সেখানে রয়েছে কিনা?
প্রাথমিক অভিষ্ট বাজারের আয়তন- আপনার বাজারের আয়তনের ব্যাপারে একটু বিস্তারিত বলতে গেলে যা বুঝায়, আপনার শিল্প থেকে বাজার বার্ষিক কি পরিমাণ পন্য বা সেবা ক্রয় করে থাকে তার কি তথ্য আপনি অর্ন্তভুক্ত করতে পেরেছেন? এই শ্রেনীর জন্য ভবিষৎ বাজার প্রবৃদ্ধি কি হবে?
বাজারের কতটুকু অংশ আপনি অর্জন করতে পারবেন?- নির্দিষ্ট ভৌগলিক এলাকার মধ্যে বাজারের শতকরা কতটুকু অংশ এবং ক্রেতার সংখ্যা আপনি অর্জন করতে পারবেন বলে আশা রাখেন? আপনার গণনার পক্ষে যুক্তি প্রর্দশন করুন।
মূল্য নির্ধারণ এবং মোট প্রান্তিক লক্ষসমূহ- মূল্য নির্ধারনী কাঠামো, মোট প্রান্তিক স্তর এবং মূল্য হ্রাসের পরিকল্পনা যা আপনি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা নির্দিষ্ট করুন।
যখন আপনাকে কোনো বাজার এর উপর পরীক্ষা বা গবেষনা সম্পন্ন করতে হবে এবং তথ্য সংযুক্ত করতে হবে তখন আপনি কেবল মাত্র এর ফলাফলের উপর গুরুত্ব দিবেন। এক্ষেত্রে অন্য সব বিস্তারিত বর্নণাগুলো পরিশিষ্ট অংশে সংযুক্ত করা উচিৎ।
প্রতিযোগিতামূলক বিশ্লেষণ- আপনার প্রতিযোগিতামূলক বিশ্লেষন আপনার প্রতিযোগিতাকে প্রোডাক্ট লাইন অথবা সেবা এবং বাজার বিভাজনের মাধ্যমে চিহ্নিত করা উচিৎ। প্রতিযোগিতামূলক চিত্রের নিন্মোক্ত বৈশিষ্টসমূহ নিরুপন করুনঃ
- বাজার বিভাজন
- সবলতা এবং দূর্বলতা
- আপনার প্রতিযোগীর তুলনায় আপনার অভিষ্ট বাজার কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?
- বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো বাধা আছে কি যা আপনাকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে?
- বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে আপনার “উইন্ডো অব অপরচ্যুনিটি” কি?
- সেখানে কি কোনো পরোক্ষ বা দ্বিতীয় কোনো প্রতিযোগী রয়েছে যা আপনার সাফল্যকে প্রভাবিত করতে পারে?
- বাজারে কি ধরনের বাধা রয়েছে (যেমন- পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি, উচ্চ বিনিয়োগ ব্যয়, মানসম্মত কর্মীর অভাব)?
সংগঠন এবং ব্যবস্থাপনা
সংগঠন এবং ব্যবস্থাপনার এই অংশে অন্তর্ভুক্ত করতে হবেঃ আপনার কোম্পানীর সাংগঠনিক কাঠামো, কোম্পানীর মালিকানার বিস্তারিত বিবরন, ব্যবস্থাপনা দলের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত এবং পরিচালকমন্ডলীদের যোগ্যতার বিবরন।
এছাড়াও আপনার ব্যবসায়ে কে কি করবে? তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড কি এবং কেন আপনি তাদেরকে আপনার ব্যবসায়ে বোর্ডসদস্য হিসেবে অথবা চাকুরিজীবি হিসেবে নিয়ে এসেছেন? তাদের দায়িত্বসমূহ কি? দু-একজনের কাছে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে কিন্তু যে ব্যক্তি আপনার ব্যবসায় পরিকল্পনা পড়ছে সে জানতেই চাইতে পারে কে দায়িত্বরত আছে?
সুতরাং তাদেরকে বলুন। প্রত্যেক বিভাগের বর্ননা এবং তাদের কার্যাবলীর বিস্তারিত বর্ননা দিন।
এই বিভাগে আপনার পরিচালনা পর্ষদে কারা আছেন (যদি আপনার কোনো উপদেষ্টা পর্ষদ থাকে) এবং তাদেরকে আপনি এখানে রাখার ব্যাপারে কেন আগ্রহী তা অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ। কি ধরনের বেতন কাঠামো এবং অন্যান্য সুবিধাদি আপনার কমকর্তা এবং কর্মচারীদের জন্য রেখেছেন? কি ধরনের উৎসাহমূলক ব্যবস্থা রেখেছেন? পদোন্নতিরপদ্ধতি কি হবে? আপনার পাঠকগনকে পুনঃনিশ্চিত করুন যে আপনার স্টাফরা কোম্পানীর জন্য তাদের পদবী থেকেও অনেক বেশী মূল্যবান।
সাংগঠনিক কাঠামো
সাংগঠনিক চার্ট এর সাথে বিস্তারিত বর্ণনা করা কোম্পানীর কাঠামোগত চিত্র তুলে ধরার একটি সহজ অথচ কার্যকরী পদ্ধতি। এটা প্রমাণ করবে যে, কোন কিছু আপনি সুযোগের অপেক্ষায় ফেলে রাখেননি, আপনার কোম্পানীতে কে কি করবে এবং কে সকল কাজকর্মের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে কর্মরত থাকবেন সেটা আপনি সঠিকভবেই ঠিক করেছেন। কোন কিছুতেই ফাকফোকর থাকবেনা এবং কোনো কিছুই তিন বা চার বার করা হবেনা। এটা একজন সম্ভাব্য উদ্যোক্তা অথবা চাকুরীজীবির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন।
মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য
এ অধ্যায়ে আইনি কাঠামোর সাথে সাথে আপনার ব্যবসায়ের উত্তরসূরী মালিকানার তথ্যও সংযুক্ত করা উচিৎ। আপনি কি আপনার ব্যবসা নিগমবদ্ধ/সমসংস্থাভুক্ত করিয়াছেন? যদি করে থাকেন, তবে এটা কি সি অথবা এস করপোরেশন? অথবা সম্ভবতো আপনি কারো সাথে অংশীদারি ব্যবসায় গঠন করেছেন। যদি তাই হয়, এটা কি সাধারন অথবা লিমিটেড অংশীদারি ব্যবসায়? অথবা হয়তো আপনিই এর একমাত্র সত্ত্বাধিকারী।
নিম্নোক্ত গুরুত্বপূর্ন মালিকানা সংক্রান্ত তথ্যগুলো আপনার ব্যবসায় পরিকল্পনার সাথে অর্ন্তুভুক্ত করা উচিৎঃ
- মালিকদের নাম
- শতকরা মালিকানার পরিমাণ
- কোম্পানীর সাথে সম্পৃক্ততার সীমারেখা
- মালিকানার ধরন (সাধারন স্টক, প্রিফারেড স্টক, সাধারন অংশীদার, সীমাবদ্ধ অংশীদার)
- অপরিশোধিত সমতুল্য ইক্যুইটি (অর্থাৎ, অপশনস, ওয়ারেন্টস, পরিবর্তনীয় ঋণ)
- সাধারন স্টক (অর্থাৎ অনুমোদিত অথবা জারিকৃত/ইস্যুকৃত)
- ব্যবস্থাপনার প্রোফাইল
- বিশেষজ্ঞগন একমত যে প্রতিষ্ঠিত একটি কোম্পানীর সফলতার অন্যতম একটি শক্তিশালী উপাদান হলো সক্ষমতা এবং ঐ কোম্পানীর মালিক অথবা ব্যবস্থাপনা দলের ট্রেক রেকর্ড বা কর্মপন্থা, সুতরাং আপনার পাঠকদের আপনার কোম্পানীর গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি এবং তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড সর্ম্পকে জানতে দিন। এবং এই গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত তথ্যসংবলিত জীবনবৃত্তান্ত আপনার পাঠকদের নিকট সরবরাহ করুনঃ
- নাম
- পদমর্যাদা (প্রাথমিক দায়িত্বসমূহসহ পদমর্যাদার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা অর্ন্তভুক্ত করুন)
- প্রাথমিক কর্তৃত্ব এবং দায়িত্বসমূহ
- শিক্ষাগত যোগ্যতা
- অনন্য অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতাসমূহ
- পূববর্তী চাকুরির বর্ণনা
- বিশেষ দক্ষতাসমূহ
- পূর্ব কর্মপন্থার ইতিবৃত্ত
- শিল্প স্বীকৃতি
- সামাজিক সম্পৃক্ততা
- কোম্পানীতে চাকুরির সময়কাল
- বেতন কাঠামো এবং স্তর (নিশ্চিত হয়ে নিন এগুলো যেন অবশ্যই খুব কম বা বেশি না হয়)
- নিশ্চিত হউন যে অর্জনগুলো পরিমাপ করা হয়েছে (যেমন- দশজন সদস্য বিশিষ্ট একটি বিক্রয় দল গঠন করা হয়েছে, পনের সদস্য বিশিষ্ট একটি বিভাগ গঠন করা হয়েছে, প্রথম ৬ মাসের মধ্যে ১৫% আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, প্রত্যেক বছরে ২টি করে খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র বেড়েছে, কাস্টমার সার্ভিসের উন্নয়ন হয়েছে এবং এতে কাস্টমার সংখ্যা ৬০% থেকে ৯০% হারে বেড়েছে)। আপনার আশেপাশের লোকজন কিভাবে আপনার নিজের দক্ষতার প্রশংসা করছে তাও তুলে ধরুন। আর যদি আপনি মাত্র শুরু করে থাকেন, তবে প্রত্যেকের অসাধারন অভিজ্ঞতা কিভাবে আপনার ব্যবসার সাফল্যের ক্ষেত্রে অবদান রাখবে তা তুলে ধরুন।
একটি অবৈতনিক উপদেষ্টামন্ডলীর প্রধান সুবিধা হলো এটা কোম্পানীর জন্য যে বিশেষজ্ঞ মতামত দিতে পারে তা আপনার কোম্পানী অন্য কোথা থেকে সরবরাহ করতে পারবেনা। একটি সুপরিচিত, সফল ব্যবসায়ের মালিকগন বা ব্যবস্থাপকগন এর তালিকা আপনার কোম্পানীর বিশ্বাসযোগ্যতা এবং ব্যবস্থাপনা দক্ষতার উপলদ্ধিকে বৃদ্ধি করতে সুদূর প্রসারী ফলাফল এনে দিতে পারে।
আপনার যদি পরিচালনা পর্ষদ থাকে, তবে আপনার ব্যবসায় পরিকল্পনার রুপরেখা উন্নয়নের সময় নিশ্চিতভাবে নিম্নোক্ত তথ্যসমূহ সংগ্রহ করে নিন।
- নামসমূহ
- পরিচালনা পর্ষদে অবস্থান
- কোম্পানীর সাথে সম্পৃক্ততার সীমারেখা
- ব্যাকগ্রাউন্ড/ইতিবৃত্ত
- কোম্পানীর সফলতার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক এবং ভবিষতব্য অবদান
আপনার ব্যবসায় পরিকল্পনার সাংগঠনিক এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ক অধ্যায়ের সমাপ্তির পর পরবর্তী ধাপ হলো বিদ্যমান ও সম্ভাব্য ক্রেতাদের প্রতি সুবিধাসমূহ গুরুত্বারোপ করে কোথায় আপনার পন্য অথবা সেবা’র বর্ণনা করবেন তা নির্ধারন করা। এক্ষেত্রে কেন আপনার পণ্যটি অভিষ্ট ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করবে তার উপর গুরুত্বারোপ করুন।
আপনার পণ্য বা সেবা’র এই অধ্যায়ে যা অর্ন্তভুক্ত করতে হবে
আপনার পণ্য বা সেবার বর্ণনা
আপনার পণ্য বা সেবার সুনির্দিষ্ট সুবিধাসমূহ ক্রেতাদের চাহিদার আলোকে সংযুক্ত করুন। ক্রেতাদের চাহিদা পূরনের জন্য আপনার পণ্য বা সেবার সক্ষমতা, যেকোনো অতিরিক্ত সুবিধা এবং পণ্যের বর্তমান উন্নয়নের ধারা (যেমন- ধারনা, মূলরুপ) ইত্যাদি বিষয়গুলো আপনার বর্ণনা করা উচিৎ।
আপনার পণ্যের জীবনচক্রের বা উৎপাদন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত বর্ণনা
আপনার পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া কোথায় হচ্ছে এর পাশাপাশি যেসব উপাদান এই উৎপাদন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে এই তথ্যসমূহ নিশ্চিতভবে অর্ন্তভুক্ত করুন।
সুনাম
যদি আপনার বিদ্যমান, অমিমাংসিত অথবা কোনো প্রত্যাশিত কপিরাইট অথবা সত্ত্বাধিকার থেকে থাকে তাহলে তাদের একটি তালিকা তৈরি করুন। এছাড়াও পণ্যের যে কোনো একটি প্রধান দিক যা বাণিজ্যিক গোপণীয়তা হিসেবে স্বীকৃত তা প্রকাশ করুন। সবশেষে, বিদ্যমান আইন চুক্তি সমূহের সাথে যে কোনো তথ্য অর্ন্তভুক্ত করুন যেমন- গোপণীয়তা চুক্তি অথবা অপ্রতিদ্বন্দ্বিতা চুক্তি।
গবেষনা এবং উন্নয়নমূলক কার্যাবলী (আর এন্ড ডি)
কোনো গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কার্যাদি যাতে আপনি অর্ন্তভুক্ত আছেন কিংবা ভবিষৎে অর্ন্তভুক্ত থাকার পরিকল্পনা করছেন তা আলোকপাত করুন। ভবিষৎ “আর এন্ড ডি” কার্যাবলী থেকে কতটুকু ফলাফল আপনি আশা করেন? শুধুমাত্র আপনার নিজের ব্যবসার “আর এন্ড ডি” সামর্থ্য নিয়েই বিশ্লেষন নয়, আপনার শিল্পের অন্যান্য সবার “আর এন্ড ডি” সামর্থ্য বিশ্লেষনও নিশ্চিত করুন।
আপনার বাজার বিশ্লেষন
একটি সফল ব্যবসায় পরিচালনা করার জন্য আপনাকে আপনার ক্রেতা, প্রতিযোগী এবং শিল্প সর্ম্পকে জানতে হবে। বাজার গবেষনা হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যা আপনাকে বাজারে কোন পণ্য বা সেবাগুলো চাহিদাপূর্ণ এবং কিভাবে পণ্য বা সেবাকে প্রতিযোগিতামূলক করা যায় তা বিশ্লেষন করতে সাহায্য করে। এছাড়াও বাজার গবেষনা আপনাকে মূল্যবান অর্ন্তদৃষ্টি সরবরাহ করে সাহায্য করতে পারেঃ
- ব্যবসায়ের ঝুকি কমাতে
- আপনার শিল্পের চলমান এবং আসন্ন সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করতে
- বিক্রয় সুযোগগুলো চিহ্নিত করতে
আপনার ব্যবসায় শুরু করার পূর্বে নিন্মোক্ত পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে বাজার গবেষণার মৌলিক বিষয়গুলো বুঝুন।
১. বাজার এবং শিল্পের সরকারী উৎসের তথ্য চিহ্নিত করা
সরকার ব্যবসা, শিল্প এবং অর্থনৈতিক অবস্থা সর্ম্পকে একটি তথ্যভান্ডার সরবরাহ করে থাকে যা বাজার গবেষণায় সহায়ক হতে পারে। এই উৎসগুলো আপনাকে ক্রেতা এবং প্রতিযোগীদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য সরবরাহ করেঃ
- আর্থিক সূচক
- চাকরির পরিসংখ্যান
- আয় এবং উপার্জন
বাণিজ্যিক দল, ব্যবসায়িক ম্যাগাজিন, শিক্ষা প্রথিষ্ঠান এবং অন্যান্য তৃতীয় পক্ষসমূহ ব্যবসায়িক গতিধার সর্ম্পকে তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষন এবং গবেষণা করে থাকে। আপনার অবস্থান এবং শিল্প সর্ম্পকে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য ইন্টারনেট এবং তথ্যপুঞ্জ ব্যবহার করুন।
৩. আন্তজার্তিক বাজারকে বুঝতে হবে
আজকের অর্থনীতি হচ্ছে একটি বৈশ্বিক বাজার। সুতরাং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিসমূহ বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা আপনার ব্যবসায়কে প্রভাবিত করবে।
জীবন বদলে নিতে এরকম একটি লেখাই যথেষ্ট
জীবন বদলে নিতে এরকম একটি লেখাই যথেষ্ট….
সুশান্ত পালের এ লেখাটি আপনারা অনেকেই পড়ে থাকবেন। তারপরও বলছি আবার একবার পড়ুন। ধন্যবাদ সুশান্ত দাদা আপনার অসম্ভব প্রেরণাদায়ক এ লেখাটির জন্য।
২৭ বছর বয়সে যখন হন্যে হয়ে ব্যাংকে চাকরি খুঁজছেন, তখন আপনারই বয়েসি কেউ একজন সেই ব্যাংকেরই ম্যানেজার হয়ে বসে আছেন। আপনার ক্যারিয়ার যখন শুরুই হয়নি, তখন কেউ কেউ নিজের টাকায় কেনা দামি গাড়ি হাঁকিয়ে আপনার সামনে দিয়েই চলে যাচ্ছে। কর্পোরেটে যে সবসময় চেহারা দেখে প্রমোশন দেয়, তা নয়। দিন বদলাচ্ছে, কনসেপ্টগুলো বদলে যাচ্ছে। শুধু বেতন পাওয়ার জন্য কাজ করে গেলে শুধু বেতনই পাবেন। কথা হল, কেন এমন হয়? সবচাইতে ভালটি সবচাইতে ভালভাবে করে কীভাবে? কিছু ব্যাপার এক্ষেত্রে কাজ করে। দুএকটি বলছি।
প্রথমেই আসে পরিশ্রমের ব্যাপারটা। যারা আপনার চাইতে এগিয়ে, তারা আপনার চাইতে বেশি পরিশ্রমী। এটা মেনে নিন। ঘুমানোর আনন্দ আর ভোর দেখার আনন্দ একসাথে পাওয়া যায় না। শুধু পরিশ্রম করলেই সব হয় না। তা-ই যদি হত, তবে গাধা হত বনের রাজা। শুধু পরিশ্রম করা নয়, এর পুরস্কার পাওয়াটাই বড় কথা। অনলি ইওর রেজাল্টস্ আর রিওয়ার্ডেড, নট ইওর এফর্টস্। আপনি এক্সট্রা আওয়ার না খাটলে এক্সট্রা মাইল এগিয়ে থাকবেন কীভাবে? সবার দিনই তো ২৪ ঘণ্টায়। আমার বন্ধুকে দেখেছি, অন্যরা যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন সে রাত জেগে আউটসোর্সিং করে। ও রাত জাগার সুবিধা তো পাবেই! আপনি বাড়তি কী করলেন, সেটাই ঠিক করে দেবে, আপনি বাড়তি কী পাবেন।
আপনি ভিন্নকিছু করতে না পারলে আপনি ভিন্নকিছু পাবেন না। বিল গেটস রাতারাতি বিল গেটস হননি। শুধু ভার্সিটি ড্রপআউট হলেই স্টিভ জবস কিংবা জুকারবার্গ হওয়া যায় না। আমার মত অনার্সে ২.৭৪ সিজিপিএ পেলেই বিসিএস আর আইবিএ ভর্তি পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়ে যাওয়া যাবে না। আউটলায়ার্স বইটি পড়ে দেখুন। বড় মানুষের বড় প্রস্তুতি থাকে। নজরুলের প্রবন্ধগুলো পড়লে বুঝতে পারবেন, উনি কতটা স্বশিক্ষিত ছিলেন। শুধু রুটির দোকানে চাকরিতেই নজরুল হয় না। কিংবা স্কুলকলেজে না গেলেই রবীন্দ্রনাথ হয়ে যাওয়া যাবে না। সবাই তো বই বাঁধাইয়ের দোকানে চাকরি করে মাইকেল ফ্যারাডে হতে পারে না, বেশিরভাগই তো সারাজীবন বই বাঁধাই করেই কাটিয়ে দেয়।
স্টুডেন্টলাইফে কে কী বলল, সেটা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। আমাদের ব্যাচে যে ছেলেটা প্রোগ্রামিং করতেই পারত না, সে এখন একটা সফটওয়্যার ফার্মের মালিক। যাকে নিয়ে কেউ কোনদিন স্বপ্ন দেখেনি, সে এখন হাজার হাজার মানুষকে স্বপ্ন দেখতে শেখায়। ক্যারিয়ার নিয়ে যার তেমন কোন ভাবনা ছিল না, সে সবার আগে পিএইচডি করতে আমেরিকায় গেছে। সব পরীক্ষায় মহাউত্সাহে ফেল করা ছেলেটি এখন একজন সফল ব্যবসায়ী। আপনি কী পারেন, কী পারেন না, এটা অন্যকাউকে ঠিক করে দিতে দেবেন না। পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পাননি? প্রাইভেটে পড়ছেন? কিংবা ন্যাশনাল ভার্সিটিতে? সবাই বলছে, আপনার লাইফটা শেষ? আমি বলি, আরে! আপনার লাইফ তো এখনো শুরুই হয়নি। আপনি কতদূর যাবেন, এটা ঠিক করে দেয়ার অন্যরা কে? লাইফটা কি ওদের নাকি? আপনাকে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতেই হবে কেন? কিংবা ডাক্তারি পাস করে কেন ডাক্তারিই করতে হবে?
আমার পরিচিত এক ডাক্তার ফটোগ্রাফি করে মাসে আয় করে ৬-৭ লাখ টাকা। যেখানেই পড়াশোনা করেন না কেন, আপনার এগিয়ে যাওয়া নির্ভর করে আপনার নিজের উপর। শুধু ‘ওহ শিট’, ‘সরি বেবি’, ‘চ্যাটিংডেটিং’ দিয়ে জীবন চলবে না। আপনি যার উপর ডিপেনডেন্ট, তাকে বাদ দিয়ে নিজের অবস্থানটা কল্পনা করে দেখুন। যে গাড়িটা করে ভার্সিটিতে আসেন, ঘোরাঘুরি করেন, সেটি কি আপনার নিজের টাকায় কেনা? ওটা নিয়ে ভাব দেখান কোন আক্কেলে? একদিন আপনাকে পৃথিবীর পথে নামতে হবে। তখন আপনাকে যা যা করতে হবে, সেসব কাজ এখনই করা শুরু করুন। জীবনে বড় হতে হলে কিছু ভাল বই পড়তে হয়, কিছু ভাল মুভি দেখতে হয়, কিছু ভাল মিউজিক শুনতে হয়, কিছু ভাল জায়গায় ঘুরতে হয়, কিছু ভাল মানুষের সাথে কথা বলতে হয়, কিছু ভাল কাজ করতে হয়।
জীবনটা শুধু হাহাহিহি করে কাটিয়ে দেয়ার জন্য নয়। একদিন যখন জীবনের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে, তখন দেখবেন, পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে, মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ছে। স্কিল ডেভেলাপমেন্টের জন্য সময় দিতে হয়। এসব একদিনে কিংবা রাতারাতি হয় না। “আপনার মত করে লিখতে হলে আমাকে কী করতে হবে? আমি আপনার মত রেজাল্ট করতে চাই। আমাকে কী করতে হবে?” এটা আমি প্রায়ই শুনি। আমি বলি, “অসম্ভব পরিশ্রম করতে হবে। নো শর্টকাটস্। সরি!” রিপ্লাই আসে, “কিন্তু পড়তে যে ভাল লাগে না। কী করা যায়?” এর উত্তরটা একটু ভিন্নভাবে দিই। আপনি যখন স্কুলকলেজে পড়তেন, তখন যে সময়ে আপনার ফার্স্ট বয় বন্ধুটি পড়ার টেবিলে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকত, সে সময়ে আপনি গার্লস স্কুলের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন। এখন সময় এসেছে, ও ওখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে আর আপনি পড়ার টেবিলে বসে থাকবেন। জীবনটাকে যে সময়ে চাবুক মারতে হয়, সে সময়ে জীবনটাকে উপভোগ করলে, যে সময়ে জীবনটাকে উপভোগ করার কথা, সে সময়ে জীবনটাকে উপভোগ করতে পারবেন না, এটাই স্বাভাবিক। এটা মেনে নিন। মেনে নিতে না পারলে ঘুরে দাঁড়ান। এখনই সময়!
বড় হতে হলে বড় মানুষের সাথে মিশতে হয়, চলতে হয়, ওদের কথা শুনতে হয়। এক্ষেত্রে ভার্সিটিতে পড়ার সময় বন্ধু নির্বাচনটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সাবকনশাস মাইন্ড আপনাকে আপনার বন্ধুদের কাজ দ্বারা প্রভাবিত করে। আমরা নিজেদের অজ্ঞাতসারেই আমাদের চাইতে ইনফেরিয়র লোকজনের সাথে ওঠাবসা করি, কারণ তখন আমরা নিজেদেরকে সুপিরিয়র ভাবতে পারি। এ ব্যাপারটা সুইসাইডাল। আশেপাশে কাউকেই বড় হতে না দেখলে বড় হওয়ার ইচ্ছে জাগে না। আরেকটা ভুল অনেকে করেন। সেটি হল, ধনীঘরের সন্তানদের সাথে মিশে নিজেকে ধনী ভাবতে শুরু করা। মানুষ তার বন্ধুদের দ্বারা প্রভাবিত হয়। উজাড় বনে তো শেয়ালই রাজা হয়। আপনি কী শেয়ালরাজা হতে চান, নাকি সিংহরাজা হতে চান, সেটি আগে ঠিক করুন।
বিনীত হতে জানাটা মস্ত বড় একটা আর্ট। যারা অনার্সে পড়ছেন, তাদের অনেকের মধ্যেই এটার অভাব রয়েছে। এখনো আপনার অহংকার করার মত কিছুই নেই, পৃথিবীর কাছে আপনি একজন নোবডি মাত্র। বিনয় ছাড়া শেখা যায় না। গুরুর কাছ থেকে শিখতে হয় গুরুর পায়ের কাছে বসে। আজকাল শিক্ষকরাও সম্মানিত হওয়ার চেষ্টা করেন না, স্টুডেন্টরাও সম্মান করতে ভুলে যাচ্ছে। আপনি মেনে নিন, আপনি ছোটো। এটাই আপনাকে এগিয়ে রাখবে। বড় মানুষকে অসম্মান করার মধ্যে কোন গৌরব নেই। নিজের প্রয়োজনেই মানুষকে সম্মান করুন।
সুশান্ত পাল
৩০ তম বিসিএস মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকারী
সাফল্যের আকাশ ছুয়ে দেখতে চান, লেগে থাকুন অটুট লক্ষে
সাফল্যের আকাশ ছুয়ে দেখতে চান, লেগে থাকুন অটুট লক্ষে…
আমরা সবাই জীবনে সফলতার জন্য মুখিয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের অনেকেরই নাই নির্দিষ্ট কোন লক্ষ। জীবনে কোন পর্যায়ে যেতে চাই, বড় হয়ে কি হতে চাই তা অধিকাংশ মানুষের কাছে জিজ্ঞাসা করলেই বলতে পারে না। কারন তদের নির্দিষ্ট কোন লক্ষই নাই। আবার অনেককে পেয়েছি যারা তাদের লক্ষের সাথে কোন ভাবেই কম্প্রোমাইজ করতে রাজি না। তাদের একটাই চাওয়া যা কিছুর বিনিময়ে হোক তাকে লক্ষে পৌছাতে হবে।
আমাদের অনেকের লক্ষ স্থির আবার অনেকের দোদুল্যমান। একটু ঝড়ো বাতাসেই শুকনা পাতার মত উড়ে যায়। ছোট বেলায় জীবনের লক্ষ কখনও ঠিক করে দেওয়া হয় আবার কখনও বা সিদ্ধান্ত নিজেকে নিতে বলা হলেও থাকে কয়েকটি বেঁধে দেওয়া পছন্দ অপছন্দের বিষয়। ফলাফল যে কাজটি করতে ভাল লাগে না তার সাথেই উঠাবসা করতে হয়। কিছুদিন পর শুরু হয় সেখান থেকে ছুঁটে পালানোর চেষ্টা। আর জীবনের লক্ষের স্থান হয় বাংলা বইয়ের রচনা অধ্যায়ে।
ছোট বেলায় যখন যেটা ভাল লাগত সেটাই হতে মনে চাইত। কখন বা বিমান চালানোর ইচ্ছা হত, কখনও আবার ঝালমুড়িওয়ালা আবার কখনও বাসের ড্রাইভার আবার কখনও বন্দুক হাতে পুলিশ হয়ে চোর ধরার প্রচেষ্টা। পড়াশুনার শুরুতে প্রায়ই মনে হত শিক্ষক হব। এমন অজস্র হওয়ার ইচ্ছা থেকে আসলে যে কি হব সেটাই বুঝতে না পারাটা হয়ে দাড়িয়েছে প্রধান সমস্যা।
সাইন্স, আর্টস, কমার্সের বাইরে বের হয়ে আমরা কেন চিন্তা করতে পারছি না। আমাদের তো আরও অনেক কিছু হওয়ার আছে। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ছাড়াও তো আরও পেশা আছে। আমাদের চিন্তা ভাবনার যতটুকু পেশার মধ্যেই আটকে থাকছে কেন। আমাদের চিন্তা শক্তির সবটুকু কাজে লাগিয়ে নিজের ইচ্ছাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে নিজের ভাল লাগার কাজকে কেন গ্রহন করতে পারছি না। হ্যা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারও দরকার আছে। তাই বলে যে সবাইকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য ছুটতে হবে সেটাও নয়।
লক্ষ নির্দিষ্ট করুন কি হতে চান। তারপর কাজ একটাই সেই লক্ষের পানে ছুটতে থাকুন। লক্ষে পৌছাতে হলে লেগে থাকার কোন বিকল্প নেই। আপনাকে খেলতে হলে ১২০ মিনিট খেলার মত দম নিয়ে মাঠে নামতে হবে। ৯০ মিনিটে খেলা শেষ নাও হতে পারে। ১০-১৫ মিনিট খেলে মাঠ থেকে বিদায় নেয় তো ভীরুর দল। আরে জয় পরাজয় তো পরের ব্যাপার আগে তো মাঠে খেলুন। সেই সাথে পায়ে বল রাখার চেষ্টা করুন যাতে গোলের সাফল্য আপনার কাছ থেকেই আসে।
ছোট বেলা থেকে আমাদেরকে নিজের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছে। কারও সাথে কোন কিছুর শেয়ার করার বিষয়টি শেখানো হয়নি। যার ফলাফল স্যাররা যা শিখিয়েছে তার বাইরে কিছু শিখতেও পারিনি। আমাদের মা-বাবা ছোট বেলা থেকে শিখাচ্ছে স্কুলে সবার থেকে ভাল করতে হলে কাউকে কিছু দেখানো যাবে না। হোমওয়ার্ক বা নোট কাউকে দেয়া যাবে না। ও যদি তোমার নোট পেয়ে যায় তো তোমার থেকে পরীক্ষায় ভাল করবে। তোমাকে হতে হবে সবার থেকে আলাদা।
কিন্তু এই আলাদা কিছুই যে তাকে নেতিবাচক দিকে টেনে নিচ্ছে তা কি কখনও ভেবে দেখেছি। বড় হয়েও সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। তার কর্মস্থলেও সে আলাদা হওয়ার চেষ্টায় থাকছে। কারও সাথে অফিসের কোন কাজের ব্যাপারেও শেয়ার করছে না। কোন কাজে প্রবলেমে পড়লেও তা নিজেই চেষ্টা করছে সমাধান করার। যা তার বস বা সহ কর্মীর সাথে শেয়ার করলে হয়ত সহজেই সমাধান করতে পারত। সেই সাথে নিজেকেও পরবর্তীতে চাকুরি হারানোর মতসমস্যায়ও পড়তে হত না।
পারিবারিক ভাবে জীবনের লক্ষ নির্দিষ্ট না করে দিয়ে তাকে সুযোগ দেওয়া উচিৎ তার লক্ষ নিয়ে কাজ করার। যে যার ভাল লাগার বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে পারলে সাফল্য তার সুনিশ্চিত। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা যে ছেলেটি হয়ত তার গ্রামের বাজারের বাইরে আসে নি সেই কিনা ছুটে বেড়িয়েছে বিশ্বের বড় বড় শহর গুলোতে তার লক্ষের শেষ সীমানায় পৌছাতে। যে সুপারির পাতার খোলে চড়ে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখেছে সেই তার লক্ষে পৌছে আকাশ ছুয়েছে।
জীবনে সাফল্য পাওয়া অনেক কঠিন কিছু নয়। যারা সফল হয় তারাও আপনার মত একই কাজ করে কিন্তু লেগে থেকে। তাদের ঘাড়ের ওপর দুইটা মাথা নয় একটাই। লক্ষটাকে স্থির রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যান। সাফল্য আপনার গলায় মালা হয়ে ঝুলবে। জীবনে করেকটা বছর পরিশ্রম করে কাটালে যদি বাকীটা জীবন ভাল থাকা যায় তবে লক্ষ স্থির না করে অবহেলায় সময় কাটানোই বোকামী
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)