রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

পানির নিচে প্রশিক্ষণ

পানির নিচে প্রশিক্ষণ
           
নাসার নভোচারীরা মঙ্গল গ্রহে যেতে সমুদ্রের গভীরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠ মানুষের বসবাসের জন্য কতই-না প্রতিকূল হতে পারে! সেই প্রতিকূলতাকে জয় করার স্বপ্ন দেখছে মানুষ। মঙ্গল জয় করার পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার নভোচারীরা নিচ্ছেন বিশেষ প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণ হচ্ছে সমুদ্রের অনেক গভীরে।
গভীর সমুদ্রের মতো মহাকাশের গভীরে নভোচারীদের যে বিষয়গুলোর সম্মুখীন হতে হবে, হাতে-কলমে এরই প্রশিক্ষণ চলছে আটলান্টিকের গভীরে। টানা ১৬ দিন হবে এ প্রশিক্ষণ। এই মিশনের নাম নাসা এক্সট্রিম মিশন অপারেশনস (নিমো)। এ প্রশিক্ষণে ২১টি বিশেষ অভিযান চালানো হবে। এই দলে বিভিন্ন দেশের নভোচারী রয়েছেন। ভবিষ্যতে যে যন্ত্রাংশ ও কায়দাগুলো মহাকাশে ব্যবহার করা হবে, এর পরীক্ষা চালাবেন তাঁরা। আটলান্টিকের নিচে তাঁদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ‘অ্যাকুয়ারিস’ নামের একটি বাসস্থান।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা কিজ ন্যাশনাল মেরিন স্যাংচুরি এলাকার আটলান্টিকের পৃষ্ঠ থেকে ৬২ ফুট নিচে এই অ্যাকুয়ারিসের অবস্থান। এখানে বসে বিভিন্ন গবেষণা চালানো হবে। এর মধ্যে আছে ডিএনএ সংশ্লেষ ও টেলিমেডিসিন ডিভাইস পরীক্ষা। এ ছাড়া যোগাযোগ ব্যাহত বা দেরি হলে কী করা যাবে, এতে এটাও পরীক্ষা করা হবে। তথ্যসূত্র: আইএএনএস।

মহাকাশ নিয়ে অ্যাপ তৈরির প্রশিক্ষণ

মহাকাশ নিয়ে অ্যাপ তৈরির প্রশিক্ষণ

            

সারা বিশ্ব থেকে মহাকাশ বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা প্রতিবছর স্মার্টফোনের জন্য অ্যাপলিকেশন (অ্যাপ) তৈরির প্রতিযোগিতা ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ’ আয়োজন করে। বাংলাদেশে প্রতিযোগিতাটির স্থানীয় পর্ব আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। দিকনির্দেশনার অভাবে প্রতিযোগীদের সম্ভাবনাময় প্রকল্পগুলো অসম্পূর্ণ যেন না থাকে, সেই লক্ষ্যে ‘স্পেস অ্যাপস প্রজেক্ট অ্যাকসিলারেটর’ নামের ছয় মাসের নির্দেশনামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে বেসিস ও স্পেস অ্যাপস বাংলাদেশ।
আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেসিস মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় হয়তো পাঁচটি দল বিজয়ী হবে, তবে এই প্রতিযোগিতা সামনে রেখে যে ৫০০ দল প্রস্তুতি নিয়ে বিশ্বমানের অ্যাপ তৈরির সক্ষমতা অর্জন করে, সেটাই আমাদের জন্য বড় পাওয়া।’
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিশুদের প্রোগ্রামিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন বেসিসের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কাজ হয়েছে কিন্তু সেখানে বেসিস নেই, এমন বিষয় খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আয়োজনের একাডেমিক পার্টনার ও ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, বেসিসের সাবেক সভাপতি শামীম আহসান, স্পেস অ্যাপস বাংলাদেশের প্রধান আরিফুল হাসান, বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রাসেল টি আহমেদসহ অনেকে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করে প্রাথমিকভাবে সারা দেশ থেকে সেরা চারটি দলকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হবে এই কার্যক্রম। পরবর্তী সময়ে সারা দেশের সম্প্রসারণ করা হবে। স্পেস অ্যাপস প্রজেক্ট অ্যাকসিলারেটরে যারা তাদের প্রকল্প যুক্ত করতে আগ্রহী, তাদের ৩১ আগস্টের মধ্যে স্পেস অ্যাপস বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে

http://spaceappsbd.org

 নিবন্ধন করতে হবে।
স্পেস অ্যাপস প্রজেক্ট অ্যাকসিলারেটরের সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে স্টুডেন্ট ইনোভেশন ফোরাম। পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, প্রিজম ইআরপি।

খুব কাছে পৃথিবীর মতো আরেক গ্রহ

খুব কাছে পৃথিবীর মতো আরেক গ্রহ

 
মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে এভাবে দেখা যায়। ছবি: রয়টার্স।পৃথিবীর অনুরূপ আরেকটি গ্রহের সন্ধান দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার গবেষকেরা। আমাদের ছায়াপথের এক প্রতিবেশী ছায়াপথে এটির অবস্থান।

ওই গ্রহটি যে দূরত্বে একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, তা প্রায় পৃথিবীর মতো হওয়ায় গ্রহটিতে প্রাণের উপযোগী পরিবেশ থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকেরা। গতকাল শুক্রবার জার্মান সাপ্তাহিক ডের স্পিগেল এ তথ্য জানিয়েছে।

ওই এক্সোপ্ল্যানেট বা পৃথিবীসদৃশ গ্রহটির কোনো নাম এখনো ঠিক হয়নি। তবে গ্রহটি যে নক্ষত্রটিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে, তা বেশ পরিচিত। এর নাম প্রক্সিমা সেনতুরি। এটি আলফা সেনতুরি সৌরজগতের অংশ।

নাম প্রকাশ না করা সূত্র উল্লেখ করে জার্মান ওই সাময়িকীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নামহীন ওই গ্রহে তরল পানির অস্তিত্ব থাকতে পারে। জীবনের উদ্ভবের জন্য পানি অতি গুরুত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত এত কম দূরত্বে পৃথিবীসদৃশ কোনো গ্রহের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

ওই সাময়িকীতে দাবি করা হয়, আগস্টের শেষ দিকে ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরির (ইএসও) গবেষকেরা নতুন এই গ্রহের কথা জানাবেন। ওই গ্রহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি।

অবশ্য বার্তা সংস্থা এএফপিকে ইএসওর মুখপাত্র রিচার্ড হুক বলেছেন, প্রতিবেদনটি সম্পর্কে তাঁরা জ্ঞাত। কিন্তু তাঁরা এ বিষয় নিশ্চিত বা অস্বীকার কোনোটিই করেননি। তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

এর আগে নাসা বেশ কয়েকবার পৃথিবীসদৃশ গ্রহ খুঁজে পাওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু সেসব গ্রহের অধিকাংশই তরল পানির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার উপযুক্ত নয়। সেগুলো হয় অতিরিক্ত উষ্ণ বা অতি শীতল বা আমাদের সৌরজগতের বৃহস্পতি-নেপচুনের মতো গ্যাস দিয়ে তৈরি। মঙ্গল বা পৃথিবীর মতো পাথুরে কোনো গ্রহ নয়।

গত বছর নাসা পৃথিবীর নিকটতম যমজ একটি গ্রহের খোঁজ পাওয়ার তথ্য জানান নাসার গবেষকেরা। কেপলার ৪৫২ বি নামের ওই গ্রহ পৃথিবী থেকে ৬০ শতাংশ বড়। সেখানে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, সমুদ্র, পৃথিবীর মতোই নক্ষত্রের আলো ও দ্বিগুণ মাধ্যাকর্ষণ শক্তি রয়েছে। সেখানে ৩৮৫ দিনে এক বছর হয়। কিন্তু ওই গ্রহ পৃথিবী থেকে ১ হাজার ৪০০ আলোকবর্ষ দূরে।

তাই ওই গ্রহে মানুষের পক্ষে অদূরভবিষ্যতেও পৌঁছানোর আশা করা যায় না। সে তুলনায় প্রক্সিমা সেনতুরির গ্রহটি পৃথিবী থেকে মাত্র ৪ দশমিক ২৪ আলোকবর্ষ দূরে। মহাজাগতিক হিসাবে এটি খুব কাছাকাছি হলেও মানুষের পক্ষে বর্তমান রকেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে পৌঁছানো সম্ভব নয়।

নাসার গোডার্ড স্পেস সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, নতুন গ্রহটি পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্বের ২ লাখ ৭১ হাজার গুণ বেশি দূরে অবস্থিত।

প্রক্সিমা সেনতুরি ১৯১৫ সালে আবিষ্কৃত হয়, যা আলফা সেনতুরির অংশ। এই গ্রহাণুপুঞ্জ দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে চোখে পড়ে। তথ্যসূত্র: এএফপি।

হারিয়ে গেল মঙ্গলযান!

FSS TSTL

হারিয়ে গেল মঙ্গলযান!

.মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা—নাসা তাদের নভোযান ‘মার্স ক্লাইমেট অর্বিটার’ নামের নভোযানের সাফল্য নিয়ে কতই না জল্পনা-কল্পনা করেছিল। সাড়ে ১২ কোটি ডলার মূল্যের সে নভোযান নাসার বিজ্ঞানীদের মঙ্গলগ্রহ নিয়ে সুখবর না দিলেও দিয়েছে ছোট ‘শিক্ষা’!
সামান্য ভুলেই যে কত ভয়ানক ঘটনা ঘটতে পারে, নাসা তখন টের পেয়েছিল। ঘটনাটি ১৯৯৯ সালের। ‘মার্স ক্লাইমেট অর্বিটার’ হারিয়ে যায়, যার পেছনে ছিল একটিমাত্র মানবিক ভুল। নভোযানটি উৎক্ষেপণের ২৮৬ দিন পরে এই ভুল ধরতে পারেন বিজ্ঞানীরা। ভুলটির কথা শুনে আপনার টনক নড়ে যেতে পারে।
নভোযানটি তৈরি করেছিলেন লকহিড মার্টিন নামের প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা। তাঁরা এটা তৈরি করেছিলেন ব্রিটিশ পরিমাপ একক অনুসরণ করে। ১৮ ইঞ্চিতে ১ কিউবিট, ৩ মাইলকে ১ লিগ হিসেবে নানান অঙ্ক কষতেন তাঁরা। উল্টোদিকে নাসার প্রকৌশলীরা হিসাব করতেন মেট্রিক পদ্ধতিতে। দুই দলের হিসাবের গন্ডগোলে মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথে প্রবেশের কয়েক ঘণ্টা আগেই হারিয়ে যায় অর্বিটার। ‘মানুষ মাত্রই ভুল করে’, এমন একটি প্রেসনোট দিয়ে সেবার নাসার অধিকর্তারা ক্ষমা পেয়েছিলেন। 

ধেয়ে আসছে চীনের মহাকাশ স্টেশন

FSS TSTL

ধেয়ে আসছে চীনের মহাকাশ স্টেশন

 
.নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধীরে ধীরে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে ‘তিয়ানগং-১’ নামের চীনের প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশ স্টেশন। গত কয়েক মাসে এ নিয়ে নানা খবর বের হলেও চীন তা এত দিন গুজব বলেই উড়িয়ে দিয়ে এসেছে। সেপ্টেম্বর মাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি স্বীকার করে নেন চীনের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রের বিশেষজ্ঞরা। ২০১৭ সাল নাগাদ পৃথিবীর বুকে তিয়ানগং-১ আছড়ে পড়বে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। বর্তমানে মহাকাশ স্টেশনটি নিজস্ব কক্ষপথে পৃথিবী থেকে প্রায় ২৩০ মাইল ওপরে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।
পৃথিবীর বুকে পতনের সময়ে মহাকাশ স্টেশনটির বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যাবে বলেও জানান           চীনের মনুষ্যবাহী মহাকাশ প্রকৌশল কার্যালয়ের উপপরিচালক উ পিং। তিয়ানগং-১-এর গতিবিধি    সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ করছে দেশটির মহাকাশ  গবেষণাকেন্দ্র। এটি কবে ও কোথায় পতিত হবে, তা পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
তিয়ানগং-১ নামের অর্থ ‘স্বর্গীয় প্রাসাদ’। ২০১১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় ৩৪ ফুট লম্বা এই মহাকাশ স্টেশন। এরপর অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী এর গতিবিধির ত্রুটি লক্ষ করলেও চীন সরকার তা আমলে নেয়নি। তিয়ানগং-১-এর কতটুকু অংশ এখন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলেনি চীন।
এদিকে গত সপ্তাহে চীন তাদের নতুন পরীক্ষামূলক মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগং-২ উৎক্ষেপণ করেছে।

ধেয়ে আসছে চীনের মহাকাশ স্টেশন

ধেয়ে আসছে চীনের মহাকাশ স্টেশন

           
.নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধীরে ধীরে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে ‘তিয়ানগং-১’ নামের চীনের প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশ স্টেশন। গত কয়েক মাসে এ নিয়ে নানা খবর বের হলেও চীন তা এত দিন গুজব বলেই উড়িয়ে দিয়ে এসেছে। সেপ্টেম্বর মাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি স্বীকার করে নেন চীনের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রের বিশেষজ্ঞরা। ২০১৭ সাল নাগাদ পৃথিবীর বুকে তিয়ানগং-১ আছড়ে পড়বে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। বর্তমানে মহাকাশ স্টেশনটি নিজস্ব কক্ষপথে পৃথিবী থেকে প্রায় ২৩০ মাইল ওপরে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।
পৃথিবীর বুকে পতনের সময়ে মহাকাশ স্টেশনটির বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যাবে বলেও জানান           চীনের মনুষ্যবাহী মহাকাশ প্রকৌশল কার্যালয়ের উপপরিচালক উ পিং। তিয়ানগং-১-এর গতিবিধি    সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ করছে দেশটির মহাকাশ  গবেষণাকেন্দ্র। এটি কবে ও কোথায় পতিত হবে, তা পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
তিয়ানগং-১ নামের অর্থ ‘স্বর্গীয় প্রাসাদ’। ২০১১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় ৩৪ ফুট লম্বা এই মহাকাশ স্টেশন। এরপর অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী এর গতিবিধির ত্রুটি লক্ষ করলেও চীন সরকার তা আমলে নেয়নি। তিয়ানগং-১-এর কতটুকু অংশ এখন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলেনি চীন।
এদিকে গত সপ্তাহে চীন তাদের নতুন পরীক্ষামূলক মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগং-২ উৎক্ষেপণ করেছে।

ধূমকেতুর বুকে রোসেটার সমাধি

ধূমকেতুর বুকে রোসেটার সমাধি

ধুমকেতু ৬৭পির পৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার মাত্র এক দশমিক দুই কিলোমিটার ওপর থেকে এ ছবিটি তোলে রোসেটা। ছবি: ইসাধূমকেতুর অনেক অজানা রহস্যের তথ্য জানিয়ে গেল রোসেটা নামের এক মহাকাশ যান। আজ ধূমকেতুর বুকে রোসেটাকে ‘ক্র্যাশ’ করালেন ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইসা) গবেষকেরা।
৬৭পি নামের ধূমকেতুর বিষয়ে তথ্য জানতে ২০০৪ সালের ২ মার্চ রোসেটা মহাকাশে পাঠানো হয়। বরফে আচ্ছাদিত ওই ধূমকেতুর পৃষ্ঠে আঘাত হেনে ভেঙে পড়ার মাধ্যমে ইতি ঘটে গেল এক যুগ ধরে গবেষকদের উৎসাহের কেন্দ্রে থাকা রোসেটা মিশনের।
জার্মানির ডার্মস্ট্যাটে মিশনটির নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে রোসেটার ইতি ঘটার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। গবেষকেরা দাবি করেছেন, যখন রোসেটার সঙ্গে রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখন বিষয়টি তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন। পরিকল্পনামাফিক এ সংঘর্ষ ঘটানোর আগে রোসেটা থেকে ওই ধূমকেতুর উচ্চ রেজল্যুশনের ছবি ও অন্যান্য পরিমাপ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
ইসার মিশন ব্যবস্থাপক প্যাট্রিক মার্টিন বলেন, ‘ধূমকেতু ৬৭পিতে রোসেটার ঐতিহাসিক অবতরণকে পূর্ণ সফলতা বলে ঘোষণা করছি। বিদায় রোসেটা। তুমি তোমার কাজ করেছ। এটা ছিল মহাকাশবিজ্ঞানের দারুণ অধ্যায়।’
রোসেটাগবেষকেরা আশা করছেন, গত দুই বছরে ধূমকেতু সম্পর্কে যে তথ্য মিলেছে, তা গবেষকদের পরবর্তী এক যুগ ব্যস্ত রাখবে।
চার কিলোমিটার প্রশস্ত হাঁস আকৃতির ওই ধূমকেতুর বুকে আছড়ে পড়ার আগে আজ শুক্রবার সকালে গবেষকেরা রোসেটার শেষ মুহূর্তগুলো শেষবারের মতো পর্যবেক্ষণ করেন। ধূমকেতুটি ক্রমশ সূর্য থেকে দূরে সরে যাওয়ায় সৌরশক্তি ব্যবহার করে চলা রোসেটার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ছিল। গবেষকেরা চাইলে রোসেটাকে নিষ্ক্রিয় করে রাখতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা এটিকে ধূমকেতুর বুকে আছড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।
গবেষক ম্যাট টেলর বলেন, রোসেটাকে যদি আবার সৌরমণ্ডলে আসা পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় রাখা হতো, তবে সেটি আর কাজ করত কি না, তার নিশ্চয়তা ছিল না।
২০০৪ সালে যাত্রা শুরুর ১০ বছর পর ২০১৪ সালের আগস্টে রোসেটা ওই ধূমকেতুর তথ্য পাঠাতে শুরু করে। ২০১৪ সালের নভেম্বরে রোসেটা থেকে ‘ফিলে’ নামের ছোট একটি রোবট ওই ধূমকেতুর বুকে অবতরণ করানো হয়।

সূর্যের চেয়েও গোল

সূর্যের চেয়েও গোল

সূর্যের চেয়েও গোলাকার নক্ষত্রআমাদের সৌরজগতে সবচেয়ে গোলাকৃতি বস্তু কোনটি? গবেষকেরা দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশের বিভিন্ন বস্তু ও গ্রহের কাঠামো নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁদের মতে, সৌরজগতের সবচেয়ে গোলাকৃতি সূর্যের। কিন্তু সম্প্রতি গবেষকেরা সূর্যের চেয়েও গোলাকার একটি নক্ষত্রের সন্ধান পেয়েছেন। পৃথিবী থেকে পাঁচ হাজার আলোকবর্ষ দূরের ওই নক্ষত্রকে গবেষকেরা নাম দিয়েছেন ‘কেপলার ১১১৪৫১২৩’। এটি আকারে সূর্যের দ্বিগুণ। জার্মানির ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট ফর সোলার সিস্টেম রিসার্চ ও জিটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে নক্ষত্রটি প্রায় চার বছর পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকেরা।

সূর্যের চেয়ে গোলাকার নক্ষত্র ‘কেপলার ১১১৪৫১২৩’সায়েন্স অ্যাডভান্সেস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ। ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, প্রতি ২৭ দিনে সূর্য আবর্তিত হয় এবং মেরু অঞ্চলের তুলনায় নিরক্ষরেখার দিকে ৬ দশমিক ২ মাইল বৃহৎ ব্যাসার্ধ আছে। পৃথিবীর ক্ষেত্রে এই পার্থক্য ১৩ মাইল। তবে ‘কেপলার ১১১৪৫১২৩’ নক্ষত্রটি সূর্যের চেয়ে দ্বিগুণ বড় হওয়ায় এটি আবর্তনের গতি ধীর। সূর্যের চেয়ে তিন গুণ ধীরগতিতে আবর্তিত হয় নক্ষত্রটি।

গবেষকেরা দাবি করেছেন, পৃথিবী, চাঁদ, সূর্যসহ মহাকাশের সব বস্তুর চেয়েও গোলাকার ‘কেপলার ১১১৪৫১২৩’ নক্ষত্রটি। কেন এমন গোলাকার? গবেষকেরা বলেন, ধীরগতির আবর্তন ও চৌম্বকক্ষেত্রের কারণেই নক্ষত্রটি এমন আকার পেয়েছে। তথ্যসূত্র: স্পেস ডটকম

নাসার নতুন ‘চমক’ কি এলিয়েন

নাসার নতুন ‘চমক’ কি এলিয়েন

 
হাবল টেলিস্কোপ ব্যবহার করে ইউরোপা উপগ্রহে অদ্ভুত কার্যক্রম লক্ষ করেছেন গবেষকেরা।মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা শিগগিরই নতুন একটি ‘চমক’ হাজির করতে যাচ্ছেন। এমন আভাস দিয়ে বলা হচ্ছে, এ চমক হতে পারে আমাদের এই সৌরজগতে এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীর গতিবিধি আবিষ্কারের তথ্য।
বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপার ছবি বিশ্লেষণ করে নাসার গবেষকেরা আসছে সোমবার নাগাদ ওই উপগ্রহপৃষ্ঠের নিচে থাকা সমুদ্র সম্পর্কে তথ্য জানাতে পারেন। ১ হাজার ৯০০ মাইল প্রশস্ত এই উপগ্রহের বরফাছাওয়া খোলসের নিচে বিশাল সমুদ্র থাকতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকেরা। এই সমুদ্র গবেষকেদের আরও বেশি আকৃষ্ট করছে ইউরোপার পাথুরে আবরণ। যার মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানোর মতো উপাদান থাকতে পারে।
হাবল টেলিস্কোপ ব্যবহার করে ইউরোপার নতুন এই ছবিগুলো তোলা হয়েছে। এর পাশাপাশি ইউরোপার রহস্য উদ্‌ঘাটনে সেখানে নভোযান পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন গবেষকেরা। ওই মিশনে নভোযান ১ হাজার ৭০০ মাইল থেকে শুরু করে ১৬ মাইল উচ্চতায় ৪৫ বার ইউরোপাকে চক্কর দেবে। ওই মিশনের ফলেই ইউরোপার বর্তমান অবস্থার কথা জানা যাবে।
গত মে মাসে নাসার প্লানেটারি ভূপ্রকৃতিবিদ স্টিভ ভ্যান্স বলেন, পৃথিবীর মতোই ইউরোপার সমুদ্রে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন চক্র সেখানকার সামুদ্রিক রসায়ন ও সেখানকার সম্ভাব্য জীবনের জন্য মূল চালিকা রূপ হতে পারে। তথ্যসূত্র: আইবিটাইমস

সূর্য বুড়ো হলে কেমন হবে পৃথিবীর চেহারা

সূর্য বুড়ো হলে কেমন হবে পৃথিবীর চেহারা

           
সূর্য এক সময় লাল দানবে রূপ নেবে। প্রতীকী ছবিবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে জ্যোতির্বিদেরা একটি মৃতপ্রায় প্রবীণ নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করেছেন। পৃথিবী থেকে ২০৮ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ওই নক্ষত্রটি। এর নাম এল ২ পাপিস। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই নক্ষত্রটি পর্যবেক্ষণের ফলে কয়েক বিলিয়ন বছরের মধ্যে সূর্য বুড়ো হলে পৃথিবীর অবস্থা কেমন হবে, সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
গবেষকেরা বলছেন, ১০ বিলিয়ন বছর বয়স (এক বিলিয়ন সমান ১০০ কোটি) এল ২ পাপিস নক্ষত্রটির। পাঁচ বিলিয়ন বছর আগে এই নক্ষত্রটি ঠিক আজকের সূর্যের মতো ছিল।
বেলজিয়ামের কেইউ লিউভেন ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমির অধ্যাপক লিন ডেসিন বলেন, এখন থেকে পাঁচ বিলিয়ন বছর পরে আমাদের সূর্য লাল দানব (রেড জায়ান্ট) নক্ষত্রে রূপান্তরিত হবে। এ সময় সূর্যের আকার বর্তমানের চেয়ে শতগুণ বেড়ে যাবে।
অধ্যাপক ডেসিন বলেন, শক্তিশালী নাক্ষত্রিক ঝড়ে সূর্যের তীব্র ভর কমে যাবে। এর বিবর্তন-প্রক্রিয়ার শেষে সাত বিলিয়ন বছর পরে এটি ক্ষুদ্র সাদা বামন তারায় রূপান্তরিত হবে। এ সময় এটি পৃথিবীর মতো ছোট আকার ধারণ করবে। কিন্তু এটি হবে আরও ভারী। এই সাদা বামন তারার এক চা-চামচ উপাদানের ভর দাঁড়াবে প্রায় পাঁচ টন। এই রূপান্তর প্রক্রিয়ায় সৌরজগতের গ্রহগুলোর ওপর নাটকীয় প্রভাব ফেলবে। বৃহস্পতি, শুক্রের মতো গ্রহগুলো বিশাল নক্ষত্রের মধ্যে হারিয়ে যাবে এবং ধ্বংস হবে।
ডেসিন বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে সূর্য আরও বড় ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। তাই এটি পৃথিবীকেও ধ্বংস করে ফেলবে।’
ডেসিন বলেন, পৃথিবীর পাথুরে অভ্যন্তর সূর্যের সেই লাল দানব দশায় টিকে থেকে সাদা বামন অবস্থা পর্যন্ত একে প্রদক্ষিণ করবে কি না, তা দেখার বিষয়। এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জ্যোতির্বিদেরা এল ২ পাপিসকে পর্যবেক্ষণ শুরু করেন। পৃথিবী থেকে মাত্র ২০৮ আলোকবর্ষ দূরের এই নক্ষত্রটি মহাজাগতিক হিসেবে খুব কাছের।
গবেষকেরা পর্যবেক্ষণের সময় এল ২ পাপিসের ৩০ কোটি কিলোমিটারের মধ্যে একটি বস্তু দেখেছেন, যা ওই নক্ষত্রটিকে আবর্তন করছে। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব এর অর্ধেক। গবেষকেরা তাই ভাবছেন, নক্ষত্রটি পর্যবেক্ষণ করে পাঁচ বিলিয়ন বছর পরে পৃথিবীর অবস্থা কেমন হবে তা জানা যাবে। তথ্যসূত্র: পিটিআই।

আপওয়ার্কে কাজের সাফল্য হিসাব করা হয় যেভাবে

আপওয়ার্কে কাজের সাফল্য হিসাব করা হয় যেভাবে

           
ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং কাজ পাওয়ার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট আপওয়ার্কে কীভাবে কাজের সাফল্যের (জব সাকসেস স্কোর) হিসাব করা হয়, এটা নিয়ে অনেকের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দেয়। আগে যখন ওডেস্ক এবং ইল্যান্স (ওডেস্ক ও ইল্যান্স মিলে বর্তমানে আপওয়ার্ক) ছিল, তখন শুধু গ্রাহকের মন্তব্যের (ফিডব্যাক) রেটিং গণনা করা হতো। আপওয়ার্ক হওয়ার পর থেকে আর শুধু ফিডব্যাক গণনা করা হয় না। এখন জব সাকসেস স্কোর হিসাব করা হয়। জব সাকসেস স্কোর অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। জব সাকসেস স্কোর = সব ফিডব্যাক (পাবলিক ও প্রাইভেট) + দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক, চুক্তির পুনরাবৃত্তি ‍+ কোনো কাজ ছাড়া চুক্তি, পর্যাপ্ত ফিডব্যাকের ঘাটতি। জব সাকসেস স্কোর = (চুক্তির সফল বাস্তবায়ন - নেতিবাচক ফলাফল)/মোট কাজের ফলাফল আপওয়ার্ক প্রতি ১৪ দিন পরপর রোববারে ৬ মাস, ১২ মাস এবং ২৪ মাসের জব সাকসেস স্কোর আলাদাভাবে হিসাব করে। যে স্কোরটি বেশি হয় সেটি ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইলে যোগ করে। জব সাকসেস স্কোর ৯০ বা তার চেয়ে বেশি হলে অনেক ভালো হিসেবে গণ্য হয়। ৭৫ বা এর কম হলে খারাপ হিসেবে গণ্য হয়। জব সাকসেস স্কোর ৭৫-এর চেয়ে কমে গেলে নতুন কাজ পেতে অনেক সমস্যা হয়।
দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি এবং চুক্তির পুনরাবৃত্তি স্কোর বাড়ায়: কোনো চুক্তি যদি অনেক দিন ধরে চলে এবং নিয়মিত কাজের পারিশ্রমিকের লেনদেন হয়, তবে স্কোর বাড়ায়। আবার একই গ্রাহক বারবার কাজ দিলেও স্কোর বাড়ে।
বাজে গ্রাহকের ফিডব্যাক গণনা করা হয় না: যেসব গ্রাহক সব ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গেই বাজে ব্যবহার করে এমন ক্লায়েন্টদের ফিডব্যাক গণনা করা হয় না এবং তাদের অ্যাকাউন্ট আপওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়।
লেনদেন হয় না এমন চুক্তি স্কোর কমিয়ে দেয়: কোনো একটা চুক্তির কাজ শুরু হওয়ার পর যদি পেমেন্ট লেনদেন না হয় তাহলে নির্দিষ্ট একটা সময় পর এটা স্কোর কমিয়ে দেয়। তাড়াতাড়ি এই কন্ট্রাক্টটি শেষ করে এই সমস্যা থেকে বাঁচা যায়।
ফিডব্যাক ছাড়া চুক্তি শেষ হলে কমে যায়: মাঝেমধ্যে ফিডব্যাক ছাড়া চুক্তি শেষ হলে কোনো সমস্যা হয় না, কিন্তু নিয়মিত ফিডব্যাক ছাড়া চুক্তি শেষ হলে স্কোর কমে যায়। গ্রাহককে অনুরোধ করে ফিডব্যাকসহ কন্ট্রাক্ট এন্ড করলে এই সমস্যা থেকে বাঁচা যায়।

পেপ্যাল নিয়ে ফ্রিল্যান্সাররা কী ভাবছেন

পেপ্যাল নিয়ে ফ্রিল্যান্সাররা কী ভাবছেন

           
অবশেষ বাংলাদেশে চালু হচ্ছে অনলাইন-ভিত্তিক অর্থ লেনদেনসেবা পেপ্যাল। পেপ্যালের সঙ্গে কিছুদিন আগে চুক্তি করেছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক। জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের পক্ষে উপমহাব্যবস্থাপক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা এ চুক্তিতে সই করেন। প্রথমে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে খসড়া চুক্তিতে সই করে তা পাঠানো হয় পেপ্যালের সদর দপ্তরে। সেখান থেকে পেপ্যালের পক্ষে চুক্তিতে সই করা হয়েছে বলেও সোনালী ব্যাংক জানিয়েছে। এর ফলে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং কাজে জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা। বাংলাদেশে পেপ্যাল চালু হওয়ার ব্যাপারে কথা বলেছেন কয়েকজন সফল ফ্রিল্যান্সার।
পেপ্যাল এলে ফ্রিল্যান্সারদের অর্জিত টাকা দেশে আনতে সুবিধা হবে l কৃতজ্ঞতা: লুমেক্স আইটি, ছবি: খালেদ সরকারপেপ্যাল এলে ফ্রিল্যান্সারদের অর্জিত টাকা দেশে আনতে সুবিধা হবে l কৃতজ্ঞতা: লুমেক্স আইটি, ছবি: খালেদ সরকারদেশে অর্থ আনার একটি অতিরিক্ত মাধ্যম যোগ হবেএমরাজিনা ইসলামফ্রিল্যান্সার। বেসিসের আউটসোর্সিং পুরস্কারপ্রাপ্তপেপ্যাল আসছে, এমন খবর আমরা আগেও অনেকবার শুনেছি। কিন্তু এবার মোটামুটি নিশ্চিত হতে পেরেছি পেপ্যাল আসছে। এটি আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য খুবই আনন্দের সংবাদ। কারণ, টাকা আনার একটি অতিরিক্ত মাধ্যম আমরা পেতে যাচ্ছি। কিন্তু আমি জানি না বাংলাদেশে পেপ্যাল কেমন ফি কাটবে। আমি বর্তমানে পেওনিয়ার মাস্টার কার্ডে এবং ওয়্যার ট্রান্সফারের মাধ্যমে সরাসরি ব্যাংক হিসাবে টাকা আনছি। পেওনিয়ারের চার্জের চেয়ে যদি পেপ্যালের চার্জ বেশি হয়, তবে পেপ্যালে টাকা আনব না। চার্জ কম রাখলে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনেক ভালো হবে। যেসব মাধ্যম আছে টাকা আনার, তার মধ্য থেকে পেপ্যালের পরিচিতি অনেক বেশি, এটি সব দেশে অ্যাকসেস আছে। তা ছাড়া অনলাইন কেনাকাটার জন্য পেপ্যাল খুবই ভালো একটি মাধ্যম হবে। খুব সহজেই কেনাকাটা করা যাবে। মাঝে আমি কিছুদিন একটা মার্কিন ওয়েবসাইটে ছবি বিক্রির জন্য দিয়েছিলাম। সেখানে শিল্পীরা তাঁদের আঁকা ছবি বিক্রি করতে পারেন। কিন্তু বিক্রির টাকা আনার একমাত্র মাধ্যম ছিল পেপ্যাল।
ই–কমার্স উদ্যোক্তাদের জন্য আশীর্বাদ
মাহফুজা সেলিম
ফ্রিল্যান্সার। বেসিসের আউটসোর্সিং পুরস্কারপ্রাপ্ত
পেপ্যাল একটি সহজ, নিরাপদ ও সর্বাধিক ব্যবহৃত অর্থ লেনদেনের মাধ্যম। অধিকাংশ বিদেশি ক্রেতা এতে লেনদেন করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। যখনই আমরা জানাই যে আমাদের দেশে পেপ্যাল কাজ করে না, তখন তাঁরা পাশের দেশ বা অন্য কোথাও থেকে কাজটি করিয়ে নেন। এটি হয়তো তাঁর মনে একধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যেখানে পেপ্যালের মতো একটি সাধারণ লেনদেনব্যবস্থা নেই, সেখানে কাজ করতে গিয়ে হয়তো নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। ক্লায়েন্টের সঙ্গে আমার চুক্তি হয়ে গেলেও তাঁকে আবার তৃতীয় একটি পেমেন্ট সিস্টেম খুঁজতে হয়, যেটিতে হয়তো ক্লায়েন্ট লেনদেন করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না।
আমার মনে হয়, পেপ্যাল এলে এই সমস্যাগুলো আর থাকবে না। দেশে প্রচুর ক্লায়েন্ট আসবেন, রেমিট্যান্স বাড়বে কয়েক গুণ। বর্তমানে আমরা যেসব লেনদেনমাধ্যম ব্যবহার করি, এগুলো তুলনামূলক ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। পেপ্যাল এলে এই সমস্যা দূর হবে। পেপ্যাল শুধু মুক্ত পেশাজীবীদের (ফ্রিল্যান্সার) জন্যই নয়, দেশের ই-কমার্স ও অনলাইন উদ্যোক্তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসবে।

এর-ওর কাছে যেতে হবে না
শাহরিনা ইয়াসমিন
ফ্রিল্যান্সার, বেসিসের আউটসোর্সিং পুরস্কারপ্রাপ্ত
পেপ্যাল সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয়। আন্তর্জাতিক বাজারে পেপ্যালের গুরুত্ব অনেক বেশি। বাংলাদেশে পেপ্যাল এলে শুধু ফ্রিল্যান্সাররা নন, আন্তর্জাতিক অনলাইন বাজার থেকে কেনাকাটা শুরু করে সবকিছুই সহজ হয়ে যাবে। অনলাইনে কোনো প্রশিক্ষণ নিতে গেলে পেপ্যালের দরকার হয়। প্রকল্প ব্যবস্থাপনার মতো প্রশিক্ষণ আন্তর্জাতিক কোনো ওয়েবসাইট থেকে নিতে হলে পেপ্যালের কোনো বিকল্প নেই। আমি যুক্তরাষ্ট্রে যখন থাকতাম, তখন পেপ্যাল ব্যবহার করেছি। আমার কাছে অনেকে যোগাযোগ করতেন প্রশিক্ষণের এই ফি দেওয়ার জন্য। অনেকে দেখা যায় শুধু পেপ্যাল বা এমন লেনদেনের মাধ্যমের জন্যই কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারছেন না। বাংলাদেশে পেপ্যাল এলে খুবই ভালো হবে বলে মনে করি। আমি এখন সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে অর্থ আনছি। তিন-চার বছর ধরে বেশ কটি ব্যাংক এই সুবিধা দিচ্ছে।

আর লজ্জা পেতে হবে না
ওবায়েদুল ইসলাম
আউটসোর্সিং প্রশিক্ষক
পেপ্যাল এলে সবচেয়ে বড় ব্যাপারটা হলো নিজের একটা ঠিকানা থাকবে। এর-ওর কাছে গিয়ে বায়না ধরতে হবে না। বাইরের অনেক ই-কমার্স সাইট আছে, যেগুলোতে পেপ্যাল ছাড়া কোনো লেনদেন হয় না। ইবেসহ বিভিন্ন সাইটে শুধু পেপ্যাল দিয়েই লেনদেন করা সম্ভব। পেপ্যাল এলে এই কেনাকাটাগুলো অনেক সহজ হবে। বড় কথা হলো, বাইরের ক্লায়েন্টের কাছে লজ্জা পেতে হবে না। কারণ, তাঁরা চান পেপ্যালে লেনদেন করতে। এখন ভয় হচ্ছে, কেমন চার্জ দিতে হবে? কী শর্ত আর কোন পরিমাণ অর্থ লেনদেন করতে পারব, এটা আসল বিষয়। লেনদেনে কোনো লিমিট দিয়ে দিলে সেটার খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। আমার চাওয়া হলো, সরকার এই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে যেন কাজ করে এবং ভ্যাটের পরিমাণ যেন খুব বেশি না হয়।

কেনাকাটা সহজ হবে
রাসেল আহমেদ
ফ্রিল্যান্সার, প্রধান কর্মকর্তা, আর আর ফাউন্ডেশন
পেপ্যাল বাংলাদেশে এলে লেনদেন অনেক সহজ হবে। আমি এখন সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ আনছি। এতে অবশ্য ফি একটু বেশি কাটছে। কিন্তু পেপ্যাল এলে অর্থ সরাসরি পাব। আর চার্জও তুলনামূলকভাবে কম হবে। বাইরের গ্রাহকেরা পেপ্যালে পেমেন্ট করতে চান। এই সমস্যাটি আর থাকবে না। তা ছাড়া এতে স্থানীয় ই-কমার্স সাইটগুলো লাভবান হবে। পেপ্যালের মাধ্যমে কেনাকাটাও সহজ হয়ে যাবে। পেপ্যাল ব্যাংকের মাধ্যমে আসছে, এখন দেখার ব্যাপার কী কী শর্ত দেয়।

পেপ্যাল নেই এমন উত্তরে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়
শাহ ইমরাউল কায়ীশ
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, টেকনো বিডি ওয়েব সলিউশন্স
পেপ্যাল বাংলাদেশে এলে সুবিধা অনেক। আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজ হবে। অনেক সাইট আছে, যেখানে পেপ্যাল ছাড়া কোনো কিছু কাজ করে না। একটা বিষয় দেখা যায় যে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা কিছু কিনতে চাইলে পেপ্যালের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করতে চান। পেপ্যাল নেই এমন উত্তরে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। পেপ্যালের নেটওয়ার্ক অনেক বড়। বাইরে থেকে খুব সহজেই পছন্দের পণ্য কেনা যাবে পেপ্যাল এলে। এখন দেখার বিষয় পেপ্যাল বাংলাদেশে কীভাবে আসে। তাদের মডেলটি কেমন হবে বাংলাদেশের জন্য।

এখন যে মাধ্যমে অর্থ আসে 
*  সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে (ওয়্যার ট্রান্সফার)
* পেওনিয়ার (মাস্টার কার্ড)

বাংলাদেশের ফারুক

           
গোলাম ফারুকবিশ্বের যেকোনো স্বীকৃতির তালিকায় বাংলাদেশি কারও নাম দেখলেই মন ভরে যায় গোলাম ফারুকের। সম্প্রতি তাঁর নিজের নামের পাশেই যোগ হয়েছে এমন এক অর্জন। গ্লোবাল ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম আপওয়ার্ক কিছুদিন আগে বিশ্বের সেরা ১১ জন ফ্রিল্যান্সার গ্রাফিক ডিজাইনারের তালিকা প্রকাশ করেছে। আগস্ট মাসের এই তালিকার ‘ইলাস্ট্রেশন ক্যাটাগরির’ দ্বিতীয় নামটিই তাঁর। এ ছাড়াও লোগো ডিজাইনার ও গ্রাফিক ডিজাইনারদের তালিকায় তাঁর অবস্থান চতুর্থ।
প্রায় ৬৫৩ ঘণ্টা কাজ করে ১২৩টি প্রজেক্ট সফলভাবে শেষ করার পর এই স্বীকৃতি পেয়েছেন ফারুক। ৩১ আগস্ট মুঠোফোনে কথা হচ্ছিল তাঁর সঙ্গে। বলছিলেন, ‘সারা বিশ্বের কয়েক লাখ ফ্রিল্যান্সারের মধ্য থেকে কাজের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে প্রতি মাসে এই তালিকা প্রকাশ করে আপওয়ার্ক।’ ফারুক আপওয়ার্কে প্রতিটি কাজের জন্য বর্তমানে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ডলার করে ফি নিচ্ছেন। তালিকার প্রথম পাঁচজনের মধ্যে সবচেয়ে কম ঘণ্টা কাজ করে শীর্ষে আছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিমিডিয়া ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিভাগের এই প্রভাষক।এমন ইলাস্ট্রেশন দিয়েই তিনি উঠে ​এসেছেন সেরাদের তালিকায়এমন ইলাস্ট্রেশন দিয়েই তিনি উঠে ​এসেছেন সেরাদের তালিকায়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে ১৯৯৬ সালে ড্রয়িং ও পেইন্টিংয়ের ওপর স্নাতকোত্তর করেছেন। শিক্ষাজীবন শেষ করেই গ্রে গ্লোবাল গ্রুপে যোগ দেন তিনি। বছর দশেক কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে শুরু করেন পেপার রাইম নামের একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা। ব্যস্ত পেশাজীবনকে পাশে রেখেই ২০১১ সাল থেকে চলছিল অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ। ফ্রিল্যান্সিং পোর্টাল ওডেস্কে প্রথম যখন একটা কুকুরের ডিজিটাল ছবি এঁকে কাজ শুরু করলেন, তখনো জানতেন না, একদিন এই ফ্রিল্যান্সিং করেই প্রতি মাসে তাঁর অ্যাকাউন্টে যোগ হবে দেড় থেকে দুই হাজার ডলার!
গোলাম ফারুকের করা ইলাস্ট্রেশনপ্রথমবার কুকুরের ছবি আঁকার কাজ পেয়েছিলেন আট ডলারে। তবে যিনি কাজ দিয়েছিলেন, তিনি ফারুকের ওপর খুশি হয়েই আরও ১০ ডলার উপহার দেন। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ ডলারের কাজও করেছেন গোলাম ফারুক। নানা ধরনের ইলাস্ট্রেশনে দক্ষতা আছে তাঁর। বলছিলেন, ‘ডিজিটাল পেনসিল স্কেচ, পেইন্টিং, জিআইএফ অ্যানিমেশন, টি-শার্টের নকশা, লেবেল ডিজাইনিং, লোগো ডিজাইনিং, ফটো এডিটিংসহ অনলাইনে যেসব কাজের চাহিদা বেশি, সবদিকেই কাজ করার আগ্রহ আমার।’ নিয়মিত এক ভারতীয়-মার্কিনের কাজ করে যাচ্ছেন তিনি, এই এক ক্লায়েন্টের জন্যই এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার ডলারের কাজ করেছেন।
শুধু দেশেই নয় বিদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান আর অনুষ্ঠানের জন্য কাজ করেছেন তিনি। ২০১০ সালে প্যারিস ফ্যাশন ফেয়ারে তাঁর নকশার স্টল ব্যবহার করা হয়েছিল। আর নিয়মিতই বিভিন্ন একক ও যৌথ শিল্প প্রদর্শনীতেও অংশ নেন তিনি।

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য গোলাম ফারুকের পাঁচ পরামর্শ১. সততা থাকতে হবে।
২. সময়ের মধ্যে কাজ দিয়ে দেওয়ার সুনাম অর্জন করে নিতে হবে।
৩. শক্তিশালী ও দৃষ্টিনন্দন পোর্টফোলিও বানানোটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৪. কাজ বুঝে, কাজ শিখে, তারপর অনলাইনে কাজের জন্য আবেদন করতে হবে।
৫. ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার পাশাপাশি ভালো যোগাযোগের ক্ষমতা থাকতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে

ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে

           
ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন কয়েকজন শিক্ষার্থীবর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও ফ্রিল্যান্সিং–বিষয়ক প্রশিক্ষণদাতা প্রতিষ্ঠান কোডারসট্রাস্টের সহপ্রতিষ্ঠাতা জন-কায়ো ফেবিগ সম্প্রতি এ কথা বলেন।
ফেবিগ বলেন, বিশ্বজুড়ে ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন। ২০২০ সাল নাগাদ ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২০ কোটিতে। কাজের সুবিধার কথা মাথায় রেখে প্রচলিত কাজ ছেড়ে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে ঢুকছেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছে। পাঁচ লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন। এই মার্কেটপ্লেসে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা বেশি। দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরিতে কাজ করছে কোডারসট্রাস্ট।
কোডারসট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর শুরুতেই প্রায় ২৫০ ডলার করে কাজ পাচ্ছেন ফ্রিল্যান্সাররা।
কোডারট্রাস্ট থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রাতুল রায়হান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির লারন অ্যান্ড আর্ন পাথ নামের একটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে তিনি কোডিং শেখেন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগাযোগ ও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি আয়ত্ত করেন। কোর্স চলাকালে সময়েই তিনি ২৫০ মার্কিন ডলারের একটি প্রকল্পে কাজ পান। বর্তমানে তাঁর মাসিক আয় এক হাজার ডলারের বেশি।
রাতুল বলেন, দক্ষ হয়ে তারপরই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসা উচিত। এ ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানোর প্ল্যাটফর্ম হতে পারে কোডারসট্রাস্ট।
কোডারসট্রাস্ট সম্পর্কে অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, সব সময় সহযোগিতার পাশাপাশি পুরো পেশাদার মানসিকতা তৈরি করে দিতে ও উৎসাহ দিতে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, ডেনমার্কভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কোডারসট্রাস্ট দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই সময়ের মধ্যে ৫০০ জনেরও বেশি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। কোডারসট্রাস্টের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা তাঁদের অনলাইন কাজ বিক্রি করতে পারেন এবং এখান থেকে শিখতেও পারেন। কোডারসট্রাস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানার লিংক (https://www.coderstrust.com/)। কোডারসট্রাস্টে বর্তমানে ওয়েব ডেভলপমেন্ট, অ্যান্ড্রয়েড, এসইও অ্যান্ড এসএমএমসহ মোট ছয়টি কোর্স চালু আছে। (বিজ্ঞপ্তি)

ফ্রিল্যান্সিং–বিষয়ক কর্মশালা

ফ্রিল্যান্সিং–বিষয়ক কর্মশালা

 

ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দিতে দুই ঘণ্টার একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে সফটটেক আইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। শুক্রবার বেলা তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত বাংলামোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। সবার জন্য উন্মুক্ত এই কর্মশালায় ফ্রিল্যান্সিং–বিষয়ক বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এর আয়োজকেরা।
সফটটেক আইটির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে তাদের এই কর্মশালা। এখানে ফ্রিল্যান্সিং বিষয় ছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেস বিষয়ে ধারণা দেওয়া হবে।

অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ

অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ

           

..ঘরে বসে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে ইশিখন ডটকম নামের একটি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান। ঢাকার ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকেরা এই প্রশিক্ষণ দেবেন।
ইশিখনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক যেসব কোর্স করতে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত কোর্স ফি প্রয়োজন হয় তা বিনা মূল্যে করানো হবে। এই কোর্সের মেয়াদ হবে তিন থেকে ৫ মাস। অনলাইন প্রশিক্ষণে লেকচারের পাশাপাশি নানা পদ্ধতিতে কাজ শেখানো হবে যা ফ্রিল্যান্সিং করতে কাজে লাগবে। ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিকস, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং, এসইও, ডেটা এন্ট্রির মতো যেকোনো একটি কোর্স ফি ছাড়াই করা যাবে। তবে এর জন্য অনলাইনে ৬০ নম্বরের একটি কম্পিউটার বেসিক ও ইংরেজি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। পাশ নম্বর ৩০। তবে ৪০ এর ওপরে নম্বর পেলেই কেবল বিনা মূল্যের কোর্সের জন্য আবেদন করা যাবে। যাঁরা পাশ করবে তাঁদের আবেদনফর্ম পূরণের জন্য ৩৫০ টাকা লাগবে। এ ছাড়া আর কোনো খরচ নেই। আবেদনের পর আবেদনকারীদের ইমেইলে ক্লাসে অংশ নেওয়ার পদ্ধতিসহ প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন।
ইশিখনের উদ্যোক্তারা জানান, এর আগে ইশিখন থেকে প্রায় ৫০০ নারী ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা বাড়াতে কাজ করছে ইশিখন। আবেদনের শেষ তারিখ ২৪ অক্টোবর। ইশিখনের ওয়েব ঠিকানা (http://eshikhon.com/free-course/ )থেকে আবেদন করা যাবে। (বিজ্ঞপ্তি)

ইন্টারনেটের খরচ কমাতে ভিডিওর ‘অটো প্লে’ বন্ধ রাখুন

ইন্টারনেটের খরচ কমাতে ভিডিওর ‘অটো প্লে’ বন্ধ রাখুন

            
ইন্টারনেটের ডেটা খরচ সাশ্রয়ের জন্য অনেকেই ওয়েবসাইটে ঢোকেন খুব হিসাব করে। তবে অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে নিজে নিজেই (অটো প্লে) ভিডিও চালু হয়ে যায়। এখন আবার ফেসবুকের নিউজফিডে মাউস স্ক্রল করলেই বন্ধুদের দেওয়া ভিডিওগুলো চালু হয়ে যায়। কখনো কখনো এটি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর ভিডিও চালু হলেই ডেটা খরচও বেড়ে যায়। ওয়েব দেখার সফটওয়্যারের (ব্রাউজার) সেটিংসে কিছু পরিবর্তন আনলে ভিডিওর স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হওয়া বন্ধ করা যায়।
ফেসবুক ভিডিও
ফেসবুকে শেয়ার করা ভিডিওতে মাউস স্ক্রল করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি চালু হয়ে যায়। এটি বন্ধ করতে চাইলে প্রথমে ফেসবুকে ঢুকুন (লগইন)। পরের ডান পাশের কোনায় তির চিহ্নে ক্লিক করে Settings নির্বাচন করুন। সেটিংস অংশে বাঁ পাশের তালিকা থেকে Videos-এ ক্লিক করুন। ভিডিও সেটিংসের Auto-Play Videos-এর ডানের কম্বো বক্স Default থেকে Off নির্বাচন করলে ফেসবুকের ভিডিও আর স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হবে না। এ ছাড়া অন্যান্য ওয়েবসাইটে চলা স্বয়ংক্রিয় ভিডিও বন্ধ করতে ব্রাউজারের সেটিংসে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।
গুগল ক্রোম
ক্রোম ব্রাউজার চালু করে অ্যাড্রেস বারে chrome://settings/content লিখে এন্টার করুন। Plugins অংশে Let me choose when to run plugin content নির্বাচন করে দিন। এবার আবারও অ্যাড্রেস বারে গিয়ে chrome://plugins লিখে এন্টার করুন। Adobe Flash Player-এর নিচের Always allowed to run-এর পাশে টিক চিহ্ন তুলে দিন।
মজিলা ফায়ারফক্স
মজিলা ফায়ারফক্স ব্রাউজার খুলে Ctrl+L চেপে অ্যাড্রেস বারে যান। এখানে about:addons লিখে এন্টার চাপুন। বাঁ দিকের তালিকার Plugins-এ ক্লিক করুন। প্লাগইনের তালিকা থেকে Shockwave Flash খুঁজে নিয়ে তার ডানের কম্বো বক্স থেকে Ask to Activate নির্বাচন করুন।
অপেরা
স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলা ভিডিও বন্ধ করতে অপেরা ব্রাউজার খুলুন। অ্যাড্রেস বারে about:config লিখে এন্টার চাপুন। এবার Preference editor থেকে Multimedia-তে ক্লিক করুন। Allow Autoplay-এর পাশের টিক চিহ্নটি দিয়ে সেভ বোতাম চাপুন।

নতুন মোবাইল ফোন

নতুন মোবাইল ফোন

জেলটা এফএইচ৬০ মডেলের দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির ফিচার ফোন বাজারে এনেছে ফোনস্কাই টেলিকমিউনিকেশন। এই ফোনে রয়েছে ২.৮ ইঞ্চি পর্দা, ৩২ মেগাবাইট অভ্যন্তরীণ মেমোরি, ৩২ মেগাবাইট র্যা ম, ১৬ গিগাবাইট পর্যন্ত অতিরিক্ত মেমোরি যোগ করার সুবিধা এবং ২৮০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। এ ছাড়া রয়েছে এফএম রেডিও, ভিডিও, কল রেকর্ডার, ব্লুটুথ, টর্চ সুবিধা। সোনালি, কালো ও লাল রঙে পাওয়া যাচ্ছে এই মুঠোফোন।

ব্রডব্যান্ড কানাডায় ‘মৌলিক সেবা’

ব্রডব্যান্ড কানাডায় ‘মৌলিক সেবা’

 
কানাডায় এখন থেকে ‘মৌলিক সেবা’ হিসেবে বিবেচিত হবে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ। কানাডীয় রেডিও-টেলিভিশন ও টেলিযোগাযোগ কমিশন গত বুধবার এ ঘোষণা দেয়। উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ কানাডাবাসীদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ইন্টারনেট সংযোগের আরও উচ্চগতির লক্ষ্য নির্ধারণই এমন ঘোষণার মূল কারণ। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে গ্রাম ও দূরবর্তী অঞ্চলগুলোয় উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে ৭৫ কোটি কানাডীয় ডলারের তহবিল গড়ে তুলবে এই কমিশন।
কমিশনের চেয়ারম্যান জিন-পিয়েরে ব্লেইজ গত বুধবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটা উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সহজ হবে না। অনেক অর্থ ব্যয় হবে। কিন্তু আমাদের আর কোনো পথ নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ, আমাদের সমৃদ্ধি, আমাদের সমাজ, সর্বোপরি প্রত্যেক নাগরিকের ভবিষ্যতের জন্য আমাদের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। এবং একবিংশ শতাব্দীর জন্য প্রত্যেক কানাডীয় নাগরিককে সংযুক্ত করতে হবে।’
এই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ডাউনলোডের গতি সেকেন্ডে কমপক্ষে ৪০০ মেগাবাইট এবং আপলোডের গতি প্রতি সেকেন্ডে অন্তত ৮০ মেগাবাইট হতে হবে, যা বর্তমানের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ।
সূত্র: সিনেট