অ্যান্টিবায়োটিকের চেয়েও শক্তিশালী
হালকা বিদ্যুৎপ্রবাহ সফলভাবে কাজে লাগিয়ে ওষুধরোধী হয়ে ওঠা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছেন গবেষকেরা। তাঁরা ভাবছেন, এ প্রযুক্তি হয়তো দীর্ঘস্থায়ী এবং গুরুতর ক্ষতের সংক্রমণ সারিয়ে তুলতে ব্যবহার করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ক্ষত নিরাময়ে অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে হালকা বিদ্যুৎপ্রবাহের সমন্বয়ে সিউডোমোনাস ইরুজিনোসা পিএও ১ ব্যাকটেরিয়া নির্মূলে সফল হন। ‘এনপিজে বায়োফ্লিমস অ্যান্ড মাইক্রোবায়োমিস’ সাময়িকীতে এ গবেষণা-বিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
ফুসফুসের রোগ সিসটিক ফিবরোসিসসহ বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী ক্ষয় রোগের জন্য এ ব্যাকটেরিয়া দায়ী। এ ছাড়া এ ব্যাকটেরিয়ার জন্য নিউমোনিয়াও হতে দেখা যায়।
গবেষকেরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষম হয়ে উঠছে ব্যাকটেরিয়া। বিশ শতকের অভূতপূর্ব ওষুধ অ্যান্টিবায়োটিক। কিন্তু এর অতি ব্যবহারে ব্যাকটেরিয়া এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে চিকিৎসকেরা যখন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন, তখন অনেক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু যেসব ব্যাকটেরিয়া স্মাইল লেয়ার নামের বায়োফ্লিম তৈরি করে তা অ্যান্টিবায়োটিকেও আর ধ্বংস হয় না। এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া কোষ তখন বেড়েই চলে ও দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত তৈরি করে।
গবেষকেরা এ ধরনের প্রতিরোধী কোষকে ঠেকাতে অ্যান্টিবায়োটিকের সমন্বয়ে বিদ্যুৎ পরিবাহী কার্বন ফাইবারে তৈরি একধরনের ইলেকট্রনিক ব্যান্ড-এইড ‘ই-স্ক্যাফল্ড’ তৈরি করেছেন। এটি একধরনের বৈদ্যুতিক প্রবাহ তৈরি করে, যা খুব স্বল্পমাত্রার হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড তৈরি করে। এতে ব্যাকটেরিয়া বায়োফ্লিম তৈরি করতে পারে না এবং ব্যাকটেরিয়া ডিএনএ ধ্বংস হয়। এতে অ্যান্টিবায়োটিক ভালো কাজ করে।
গবেষকেরা বলছেন, এই প্রযুক্তিতে যে বিদ্যুৎপ্রবাহ তৈরি হয়, তা সতর্কতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। তা না হলে সঠিক বিক্রিয়া হবে না। এ প্রক্রিয়ায় পাশের কোনো কোষের ক্ষতি হয় না। এই ইলেকট্রো-কেমিক্যাল চিকিৎসার বিরুদ্ধে ব্যাকটেরিয়া কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারে না।
গবেষকেরা তাঁদের এ প্রযুক্তির জন্য পেটেন্ট আবেদন করেছেন। এই প্রযুক্তি বাজারে ছাড়তে কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। তথ্যসূত্র: পিটিআই।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ক্ষত নিরাময়ে অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে হালকা বিদ্যুৎপ্রবাহের সমন্বয়ে সিউডোমোনাস ইরুজিনোসা পিএও ১ ব্যাকটেরিয়া নির্মূলে সফল হন। ‘এনপিজে বায়োফ্লিমস অ্যান্ড মাইক্রোবায়োমিস’ সাময়িকীতে এ গবেষণা-বিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
ফুসফুসের রোগ সিসটিক ফিবরোসিসসহ বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী ক্ষয় রোগের জন্য এ ব্যাকটেরিয়া দায়ী। এ ছাড়া এ ব্যাকটেরিয়ার জন্য নিউমোনিয়াও হতে দেখা যায়।
গবেষকেরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষম হয়ে উঠছে ব্যাকটেরিয়া। বিশ শতকের অভূতপূর্ব ওষুধ অ্যান্টিবায়োটিক। কিন্তু এর অতি ব্যবহারে ব্যাকটেরিয়া এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে চিকিৎসকেরা যখন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন, তখন অনেক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু যেসব ব্যাকটেরিয়া স্মাইল লেয়ার নামের বায়োফ্লিম তৈরি করে তা অ্যান্টিবায়োটিকেও আর ধ্বংস হয় না। এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া কোষ তখন বেড়েই চলে ও দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত তৈরি করে।
গবেষকেরা এ ধরনের প্রতিরোধী কোষকে ঠেকাতে অ্যান্টিবায়োটিকের সমন্বয়ে বিদ্যুৎ পরিবাহী কার্বন ফাইবারে তৈরি একধরনের ইলেকট্রনিক ব্যান্ড-এইড ‘ই-স্ক্যাফল্ড’ তৈরি করেছেন। এটি একধরনের বৈদ্যুতিক প্রবাহ তৈরি করে, যা খুব স্বল্পমাত্রার হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড তৈরি করে। এতে ব্যাকটেরিয়া বায়োফ্লিম তৈরি করতে পারে না এবং ব্যাকটেরিয়া ডিএনএ ধ্বংস হয়। এতে অ্যান্টিবায়োটিক ভালো কাজ করে।
গবেষকেরা বলছেন, এই প্রযুক্তিতে যে বিদ্যুৎপ্রবাহ তৈরি হয়, তা সতর্কতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। তা না হলে সঠিক বিক্রিয়া হবে না। এ প্রক্রিয়ায় পাশের কোনো কোষের ক্ষতি হয় না। এই ইলেকট্রো-কেমিক্যাল চিকিৎসার বিরুদ্ধে ব্যাকটেরিয়া কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারে না।
গবেষকেরা তাঁদের এ প্রযুক্তির জন্য পেটেন্ট আবেদন করেছেন। এই প্রযুক্তি বাজারে ছাড়তে কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। তথ্যসূত্র: পিটিআই।