রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

BPSC Senior Staff Nurse Job Exam Result Published

BPSC Senior Staff Nurse Job Exam Result Published now

http://www.bpsc.gov.bd/
http://www.bpsc.gov.bd/site/view/psc_exam/Non-Cadre%20Examination/%E0%A6%A8%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BEBPSC Senior Staff Nurse Exam Seat Plan published. The Senior Staff Nurse Exam date is 09 February, 2018. Candidates can see the exam seat plan in our site. The Senior Staff Nurse Exam will start on 10 am. Candidates must report in exam hall at 9.20 am. They will be given answer sheet at 9.30 am. In the answer sheet you must fill up the required fields. It is at just 10 am, you will get your question paper. We will update the Senior Staff Nurse Exam question solution here after exam.
http://bpsc.portal.gov.bd/sites/default/files/files/bpsc.portal.gov.bd/psc_exam/4bde9ab1_56a9_41b3_a671_fa1ca10a5037/nce_result_1802131435.pdf
Senior Staff Nurse Exam Result 2018 will be published soon after the exam. It is recruitment under health and family welfare ministry. BPSC Senior Nurse Job Exam Date Result. BPSC Senior Staff Nurse Job Circular 2017 published for total 4000 posts. This is non permanent job. Health and Family Welfare Ministry Senior Nurse Job Circular has been published on www.bpsc.gov.bd . Health and Family Welfare Ministry will take up for work 4000 Senior Staff Nurse this year. Health and Family Welfare Job Circular Published on 10 August, 2017. Online Application deadline of Senior Staff Nurse is over. Application fee was 500 taka. It is exam time. After job exam, we will wait for BPSC Senior Staff Nurse Exam Result 2018.

বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

Smart Electrical Engineering




http://app.appsgeyser.com/Smart%20Electrical%20Engineering_4206222                 
http://www.appsgeyser.com/4206222

>

                   

সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

এক্সপি ও ভিস্তাকে বিদায় জানাচ্ছে ফায়ারফক্স

এক্সপি ও ভিস্তাকে বিদায় জানাচ্ছে ফায়ারফক্স

            
উইন্ডোজ এক্সপিইতিমধ্যে অনেক ওয়েব ব্রাউজার মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ এক্সপি ও ভিস্তা অপারেটিং সিস্টেমকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করেছে। এখনো অবশ্য এই পুরোনো সিস্টেমে ফায়ারফক্স ব্রাউজার চলছে। এক্সপি প্রায় এক দশকেরও বেশি আগের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম।
আগামী বছর এক্সপি ও ভিস্তা থেকে সমর্থন তুলে নিতে যাচ্ছে মজিলা কর্তৃপক্ষ। আগামী মার্চে এক্সপি ও ভিস্তার জন্য সর্বশেষ ফিচার হালনাগাদ করবে মজিলা। এরপর আগামী সেপ্টেম্বর থেকে পুরোপুরি এক্সপি ও ভিস্তার জন্য সমর্থন বন্ধ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
সমর্থন তুলে নেওয়া মানে এক্সপিতে ফায়ারফক্স চালানো যাবে না, বিষয়টি তা নয়। সমর্থন তুলে নেওয়া অর্থ হচ্ছে, ফায়ারফক্সের জন্য আর কোনো নিরাপত্তা প্যাঁচ বা হালনাগাদ ফিচার আনবে না মজিলা। ফলে ওই ব্রাউজার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থেকে যাবে। তাই আধুনিক যুগের ইন্টারনেট সেবার অভিজ্ঞতা নিতে নতুন সংস্করণের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।

ব্ল্যাকবেরির ফোন তৈরি করবে টিসিএল

FSS TSTL

ব্ল্যাকবেরির ফোন তৈরি করবে টিসিএল

ব্ল্যাকবেরি ফোনব্ল্যাকবেরি ফোনচীনের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা টিসিএলের নামটি বেশ পরিচিত। কানাডার স্মার্টফোন নির্মাতা ব্ল্যাকবেরির ফোন তৈরি করতে যাচ্ছে চীনের এই প্রতিষ্ঠানটি। ব্ল্যাকবেরি সম্প্রতি স্মার্টফোনের হার্ডওয়্যার তৈরি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। শুধু সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্ল্যাকবেরি ব্র্যান্ড লাইসেন্সের মাধ্যমে অন্য প্রতিষ্ঠানকে স্মার্টফোন তৈরির কাজ দিচ্ছে। সম্প্রতি ব্ল্যাকবেরি নতুন স্মার্টফোন তৈরিতে টিসিএলের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
এই চুক্তির ফলে, এখন থেকে ব্ল্যাকবেরি ফোনের নকশা, উৎপাদন ও বিক্রি করবে টিসিএল। গ্রাহক সেবার দায়িত্বও থাকবে টিসিএলের। ব্ল্যাকবেরি দেবে সফটওয়্যার সেবা।
টিসিএলের প্রধান নির্বাহী নিকোলাস জিবেল বলেন, ‘ব্ল্যাকবেরি সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্বের মোবাইল বাজারে অবস্থান শক্তিশালী করতে পারবে টিসিএল।
টিসিএল ও ব্ল্যাকবেরির এই চুক্তিতে বাংলাদেশের বাজারের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। বৈশ্বিক পর্যায়ে ব্ল্যাকবেরি ফোনের উৎপাদন ও সরবরাহের বিষয়টি টিসিএল নিয়ন্ত্রণ করলেও ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বাজার তারা দেখবে না। অর্থাৎ, এই পাঁচটি বাজার ব্ল্যাকবেরির হাতে থাকবে। তথ্যসূত্র: টেক টাইমস।

ব্ল্যাকবেরির ফোন তৈরি করবে টিসিএল

ব্ল্যাকবেরির ফোন তৈরি করবে টিসিএল

            
ব্ল্যাকবেরি ফোনচীনের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা টিসিএলের নামটি বেশ পরিচিত। কানাডার স্মার্টফোন নির্মাতা ব্ল্যাকবেরির ফোন তৈরি করতে যাচ্ছে চীনের এই প্রতিষ্ঠানটি। ব্ল্যাকবেরি সম্প্রতি স্মার্টফোনের হার্ডওয়্যার তৈরি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। শুধু সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্ল্যাকবেরি ব্র্যান্ড লাইসেন্সের মাধ্যমে অন্য প্রতিষ্ঠানকে স্মার্টফোন তৈরির কাজ দিচ্ছে। সম্প্রতি ব্ল্যাকবেরি নতুন স্মার্টফোন তৈরিতে টিসিএলের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
এই চুক্তির ফলে, এখন থেকে ব্ল্যাকবেরি ফোনের নকশা, উৎপাদন ও বিক্রি করবে টিসিএল। গ্রাহক সেবার দায়িত্বও থাকবে টিসিএলের। ব্ল্যাকবেরি দেবে সফটওয়্যার সেবা।
টিসিএলের প্রধান নির্বাহী নিকোলাস জিবেল বলেন, ‘ব্ল্যাকবেরি সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্বের মোবাইল বাজারে অবস্থান শক্তিশালী করতে পারবে টিসিএল।
টিসিএল ও ব্ল্যাকবেরির এই চুক্তিতে বাংলাদেশের বাজারের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। বৈশ্বিক পর্যায়ে ব্ল্যাকবেরি ফোনের উৎপাদন ও সরবরাহের বিষয়টি টিসিএল নিয়ন্ত্রণ করলেও ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বাজার তারা দেখবে না। অর্থাৎ, এই পাঁচটি বাজার ব্ল্যাকবেরির হাতে থাকবে। তথ্যসূত্র: টেক টাইমস।

৮ জিবি র‍্যাম দিয়ে ফোন

৮ জিবি র‍্যাম দিয়ে ফোন

 
এইচটিসি ১১পরবর্তী ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনটিকে একটু বিশেষভাবে তৈরি করছে এইচটিসি। ‘এইচটিসি ১১’ নামের এই ফোনটিতে ৮ জিবি র‍্যাম ও স্ন্যাপড্রাগন ৮৩৫ প্রসেসর রাখতে পারে গুগল পিক্সেল ফোনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। কোয়ালকমের তৈরি স্ন্যাপড্রাগন ৮৩৫ নামের চিপটি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে ১০ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি। এর ফলে এটি শক্তিসাশ্রয়ী ও উন্নত কার্যক্ষমতা দেখাতে সক্ষম।

নকশার দিক থেকে এইচটিসির নতুন ফোনটি বর্তমানে বাজারে থাকা এইচটিসি ১০ স্মার্টফোনের মতো ধাতব কাঠামোর হবে, যাতে বেজেলহীন কোয়াড এইচডি ২কে ডিসপ্লে থাকবে। এর ইন্টারনাল স্টোরেজ হবে ২৫৬ গিগাবাইট। এর ডিসপ্লে প্যানেল হবে সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি মাপের।

প্রযুক্তিবিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এইচটিসির নতুন স্মার্টফোনটি নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্মার্টফোনটির পেছনে দুটি ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা সেন্সর ও সামনে ৮ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা থাকবে। এর ব্যাটারি হবে ৩ হাজার ৭০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের, যাতে কুইক চার্জার ৪.০ সমর্থন করবে। ২০১৭ সালের জুন মাসে এই ফোন বাজারে আসতে পারে।

সম্প্রতি এইচটিসি ১০ স্মার্টফোনটির জন্য অ্যান্ড্রয়েড নোগাট সংস্করণ সুবিধা হালনাগাদ করেছে এইচটিসি। গত অক্টোবরে এ ফোনটির দামও কমিয়েছে এইচটিসি, যা ৬৯৯ মার্কিন ডলার। এইচটিসি ১০ ফোনটি ৫ দশমিক ২ ইঞ্চি মাপের। এর পেছনে ১২ ও সামনে ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা আছে। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

বিল গেটসের চোখে সেরা তিন দক্ষতা

বিল গেটসের চোখে সেরা তিন দক্ষতা

 
বিল গেটস l এএফপিমাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস মনে করেন, ভবিষ্যতে চাকরির বাজারে সফল হওয়ার জন্য তিনটি বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। তা হলো বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও অর্থনীতি। সামনের দিনগুলোতে এসব বিষয়ে দক্ষ মানুষের চাহিদা বেশি থাকবে। বিজ্ঞান ও সংখ্যাভিত্তিক জ্ঞানে দক্ষতা না থাকলে ভবিষ্যতে উন্নতি করা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে লিংকড-ইনের নির্বাহী সম্পাদক ডেনিয়েল রথকে বিল গেটস বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বিজ্ঞান, গণিত ও অর্থনীতি বিষয়ে মৌলিক জ্ঞান ভবিষ্যতে চাকরির বাজারে চাহিদা বাড়িয়ে দেবে। এর জন্য যে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং জানতে হবে এমনটা নয়। শুধু জানতে হবে প্রকৌশলীরা কী করতে পারেন আর কী করতে পারেন না।’ তিনি আরও মনে করেন, এই বিষয়গুলোতে দক্ষ কর্মকর্তারাই যেকোনো প্রতিষ্ঠানের অবস্থা পরিবর্তন করতে পারেন।
গেটস সম্প্রতি ১০০ কোটি ডলারের একটি তহবিল গঠন করার ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের জন্য এই তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ করা হবে। এ ছাড়া তিনি এমন একটি বিনিয়োগকারীদের দলের নেতৃত্ব দেবেন, যাঁদের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার কোটি ডলার। এই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্র্যানসন, আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজস এবং আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা।
মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিল গেটস তাঁর আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আশা করেন, স্বাস্থ্য সচেতনতা, শিক্ষা ও শক্তিতে নতুন আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে আমেরিকা নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে।

গুগল চশমার নবজন্মের পেছনে ঢাকার কোম্পানি

গুগল চশমার নবজন্মের পেছনে ঢাকার কোম্পানি

           
.রোগীর দিকে তাকিয়ে তাকে জিজ্ঞেস না করেই চিকিৎসক জেনে যাচ্ছেন তার রোগবালাইয়ের অতীত ইতিহাস। জানছেন রোগীর সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল—রক্তচাপ, রক্তে চিনির পরিমাণ, রোগী এর আগে কী কী ওষুধ খেয়েছে ইত্যাদি। এ তথ্য ভেসে উঠছে চিকিৎসকের চোখে লাগানো এক বিশেষ ধরনের চশমার কাচে। চশমাটির নাম গুগল-গ্লাস।
এ এক অভিনব সেবা। বলা হচ্ছে, চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার চেহারা পাল্টে দিতে শুরু করেছে এই সেবা। আর এর পেছনে বুদ্ধি ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে অগমেডিক্স নামে যে কোম্পানি, সেটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ইয়ান শাকিল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান। বাংলাদেশেও প্রতিষ্ঠানটির একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান আছে। তা ছাড়া এই প্রযুক্তির গবেষণা ও উন্নয়নের কাজটি হয়েছে ঢাকায়। আর একে ঘিরে ভবিষ্যতে যে কর্মযজ্ঞের আয়োজন চলছে, সেটির প্রধান কেন্দ্র হতে যাচ্ছে ঢাকা। এ জন্য কোম্পানিটিতে নতুন বিপুল পরিমাণ অর্থ লগ্নি করতে শুরু করেছে সিলিকন ভ্যালির বিনিয়োগকারীরা। ইতিমধ্যে ১ কোটি ৯২ লাখ ডলার অর্থ লগ্নি করেছে ডিসিএম ভেঞ্চারস নামে একটি বড় মার্কিন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে শিগগিরই সাত হাজার তরুণ দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তিবিদ গড়ে তুলবে এই কোম্পানি।
শুরুতে এর সেবাগ্রহীতারা হচ্ছেন মূলত যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসক। তবে যেসব দেশে রোগীর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্যভান্ডার অনলাইনে সংরক্ষণ ও শেয়ার করা হয়, সেসব দেশে শিগগিরই এই সেবা ছড়িয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
গুগল-গ্লাস হলো টেক-জায়ান্ট গুগলের তৈরি করা একটি স্মার্ট চশমা, যার ভেতর দিয়ে তাকালে বাইরের দৃশ্যের পাশাপাশি দরকারি নানা রকম তথ্য ভেসে ওঠে কাচের পর্দায়। চশমাটি ইন্টারনেট বা ক্লাউডের সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং সেখান থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য দেয়।
চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় বিপ্লব
প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা দেশগুলোয় রোগীদের সব মেডিকেল তথ্য রাখা হচ্ছে কম্পিউটারে, ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ডে (ইএইচআর)। কিন্তু দেখা যায়, রোগী দেখার সময় একটা বড় অংশজুড়ে চিকিৎসককে ব্যস্ত থাকতে হয় কম্পিউটার ঘাঁটাঘাঁটিতে। আগের রেকর্ড দেখা, ডিজিটাল ডেটা দেখা, পরীক্ষণের ফলাফল দেখা এবং নতুন তথ্য-উপাত্ত ভুক্তি দেওয়ায় নেহাত কম সময় যায় না। আমেরিকার মতো যেসব দেশে স্বাস্থ্য উপাত্ত রাখা বাধ্যতামূলক, সেখানে রোগী দেখার সময়ের ২৫ শতাংশই চলে যায় কম্পিউটারে।
এর একটি চৌকস সমাধান নিয়ে এসেছে অগমেডিক্স। চিকিৎসকদের সামনে থেকে কম্পিউটার সরিয়ে ফেলেছে তারা। গুগল-গ্লাসকে ভিত্তি করে একটি নতুন সেবা অ্যাপ্লিকেশন (সফটওয়্যার) বানিয়েছে তারা।
গুগল-গ্লাস নামক বিশেষ চশমাটি ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এর মাধ্যমে রোগীকে পরীক্ষা করার সময় চিকিৎসক দূরদেশে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকা তাঁর ‘লিপিকারের’ (স্ক্রাইবার) সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। লিপিকারের কম্পিউটার যুক্ত থাকে রোগীর তথ্যভান্ডারের সঙ্গে। একজন লিপিকার রোগীর যাবতীয় রেকর্ডই কেবল দেখছেন না, বরং তা তৎক্ষণাৎ (রিয়েল টাইম) তাঁর চিকিৎসককে জানিয়ে দিতে পারছেন। তথ্যগুলো ভেসে উঠছে রোগীকে পরীক্ষায় ব্যস্ত চিকিৎসকের চশমার পর্দায়। আবার চিকিৎসক রোগী দেখে যেসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, সেগুলো তিনি মুখে বলামাত্র ওই চশমার মধ্য দিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে লিপিকারের কাছে। লিপিকার চার্ট-নোট (রোগীসংক্রান্ত) লিপিবদ্ধ করছেন। চশমাটি এখানে একটি দ্বিমুখী যোগাযোগের মাধ্যম। এ কারণে এটি প্রচলিত মেডিকেল ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে।
আমেরিকার প্রথম সারির দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, ‘এর মাধ্যমে একজন চিকিৎসক একই সময়ে আগের চেয়ে বেশি রোগী দেখতে পারেন। তাঁর দৈনিক দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় বাঁচে। সবচেয়ে বড় কথা, চিকিৎসকেরা রোগী দেখার মূল কাজে তাঁর পুরো সময় ব্যয় করতে পারছেন।’
যেভাবে বাংলাদেশ যুক্ত
যাঁদের হাতে এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয়েছে, সেই অগমেডিক্সের দুই সহপ্রতিষ্ঠাতার একজন ইয়ান শাকিল। তাঁর বাবা কাজী শাকিল হলেন ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিনের ভাই এবং মা দিয়ানে মেলোন একজন আমেরিকান। ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হওয়ার পর ইয়ান শাকিল ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেন। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার পর ২০১২ সালে পেলু ট্র্যান নামে আরেক আমেরিকান তরুণের সঙ্গে মিলে শাকিল প্রতিষ্ঠা করেন স্টার্টআপ কোম্পানি অগমেডিক্স।
আমেরিকায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা হলেও বাবার কারণে ছোটবেলা থেকে নিয়মিত বাংলাদেশে এসেছেন শাকিল। বাংলাদেশের সঙ্গে নাড়ির টানের কারণে এ দেশের তরুণদের কাজে লাগানোর চিন্তাও এসেছে। তাই গুগল চশমার সঙ্গে যুক্ত এই অ্যাপ্লিকেশন তৈরির কাজটি তিনি শুরু করেন ঢাকাতেই এবং নিবন্ধন করেন অগমেডিক্স (বাংলাদেশ) লিমিটেড নামের সম্পূর্ণ বাংলাদেশি একটি প্রতিষ্ঠান, যার মালিকানা শতভাগ সিলিকন ভ্যালির অগমেডিক্সের। বর্তমানে গুগল-গ্লাসের চিকিৎসকদের জন্য এই লিপিসেবাটি দেওয়া হয় ভারত, ডমিনিকান রিপাবলিক, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ থেকে। এরই মধ্যে আমেরিকার সহস্রাধিক চিকিৎসক এই সেবা ব্যবহার করছেন মাসে দেড় থেকে চার হাজার ডলারের বিনিময়ে।
ঢাকায় অগমেডিক্স
৪ ডিসেম্বর শাকিলের সঙ্গে কথা বলার জন্য হাজির হলাম ঢাকার পান্থপথের অগমেডিক্স কার্যালয়ে। সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অগমেডিক্স বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদুল হক। শাকিল বললেন, সিলিকন ভ্যালিতে তাঁদের অফিস থাকলেও গুগল চশমার এই অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের মূল কাজটি হয়েছে ঢাকাতেই এবং এটির বিকাশের কাজও এখানে হচ্ছে।
বাংলাদেশি সফটওয়্যার প্রকৌশলী ও প্রোগ্রামারদের প্রশংসা করে শাকিল বলেন, ‘এঁদের অনেকেই গুগল-ফেসবুক বা এ রকম বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহজে যুক্ত হতে পারেন। কিন্তু আমরা কৃতজ্ঞ যে তাঁরা আমাদের মতো স্টার্টআপের সঙ্গে কাজ করছেন। আমরাও তাঁদের অনেককে কোম্পানির শেয়ার দিচ্ছি।’
অগমেডিক্সের ঢাকার সফটওয়্যার প্রকৌশলীরা যে কাজটি করেছেন, বাণিজ্য বিষয়ক আমেরিকান বিখ্যাত ম্যাগাজিন ফাস্ট কোম্পানির ভাষায় সেটি হলো ‘গুগল-গ্লাসকে দ্বিতীয় জীবন দেওয়া।’ আর এই উদ্ভাবনী কাজের জন্য ফাস্ট কোম্পানি ২০১৬ সালে অগমেডিক্সকে স্বাস্থ্যসেবা খাতের সবচেয়ে উদ্ভাবনী কোম্পানি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
অগমেডিক্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইয়ান শাকিল। ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করে ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন সিলিকন ভ্যালিভিত্তিক এই স্টার্টআপ কোম্পানি
বাংলাদেশে এই কার্যক্রম চালানোর ইচ্ছে তাঁর কেন হলো, এই প্রশ্নের জবাবে হেসে দিয়ে শাকিল তাঁর পিতৃপরিচয় তুলে ধরেন। তারপর বাংলাদেশের এক বিরাট যুবসম্প্রদায়ের কথা তুলে ধরে বলেন, ঠিকমতো পরিচর্যা করতে পারলে এঁদের বিশ্বমানের কর্মী হিসেবে গড়ে তোলা মোটেই কঠিন নয়। এ জন্য শাকিল তরুণদের ইংরেজি ভাষা শিক্ষার ওপর জোর দেন।
অগমেডিক্সে বিনিয়োগ
৮ ডিসেম্বর নতুন করে ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার (১৯২ কোটি টাকা) বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে এই কোম্পানি। নতুনভাবে অগমেডিক্সে বিনিয়োগ করেছে মার্কিন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাককেসন ভেঞ্চার ও অরবিমেড। এই কোম্পানিগুলো আমেরিকায় চিকিৎসা খাতে প্রথম সারির বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। এর আগে রেডমাইল প্রুপ, ডিসিএম ভেঞ্চার, এমারজেন্স ক্যাপিটালসহ আমেরিকার বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্ক প্রায় ছয় কোটি ডলার (প্রায় ৪৭০ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করেছে অগমেডিক্সে। বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে যে সম্ভাবনা ইয়ান দেখেন, তার প্রতিধ্বনি পাওয়া গেল ডিসিএম ভেঞ্চার কোম্পানির অংশীদার পেটে মোরানের কথায়। ডিসিএম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন কোম্পানিতে প্রায় ৩৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে।
ইয়ান শাকিলইয়ান শাকিলএই প্রতিবেদকের কাছে পাঠানো এক বার্তা পেটে মোরান জানালেন, ১৯৯০ সালের দিকে মার্কিন বিনিয়োগকারীরা চীনের ইন্টারনেট উদ্যোক্তাদের মধ্যে যে স্বপ্ন ও সম্ভাবনা দেখেছিলেন, ঠিক তেমনটি এখন বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে দেখছেন তাঁরা। তিনি বলেছেন, ‘১৯৯৯ সালের দিকে আমরা চীনের ইন্টারনেট উদ্যোক্তাদের পেছনে বিনিয়োগ করেছি এবং তাঁরা অনেকেই এখনকার শীর্ষ কোম্পানিগুলো গঠন করেছেন। আমরা এখন সমমাত্রায় উদ্দীপ্ত যে অগমেডিক্সের মতো কোম্পানির পেছনে আমরা বিনিয়োগ করছি, যারা কার্যত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিপুল তরুণ জনগোষ্ঠী, ক্রমাগত শক্তিশালী হওয়া শিক্ষাব্যবস্থা, সংহত তথ্যপ্রযুক্তির অবকাঠামো এবং কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান—এসবই বাংলাদেশকে নব্বইয়ের দশকের তথ্যপ্রযুক্তিতে চীনের সমান্তরাল অবস্থানকেই তুলে ধরছে। আর সে জন্য আমরা মনে করছি এশিয়ায় বিনিয়োগের এক সম্ভাবনাময় দেশ হলো বাংলাদেশ।’
নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কেবল বাংলাদেশে তাদের সেবার পরিধি পাঁচ থেকে সাত হাজার জনে উন্নীত করতে চান ইয়ান। ঢাকায় অগমেডিক্স কর্মকর্তা আহমেদুল হক বললেন, এরই মধ্যে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ বাংলাদেশি তরুণদের স্ক্রাইবসেবায় দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার কর্মকাণ্ডে সহায়তা দিচ্ছে। শাকিল বললেন, বিশ্বের জন্য বাংলাদেশ থেকে স্ক্রাইবসেবা দেওয়ার কাজটার সবটুকু তাঁরা একা করতে চান না। এ জন্য অংশীদারদেরও তিনি সঙ্গে নেবেন। অগমেডিক্সের ক্লাউড ও সিস্টেম ব্যবহার করে বাংলাদেশি অন্য কোম্পানিও এই সেবা চালু করতে পারবে।
ইয়ান শাকিলের ইচ্ছা বছর খানেকের মধ্যে বাংলাদেশে তাঁর কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের একটি সভা ঢাকায় আয়োজন করা, যেখানে সিলিকন ভ্যালির বনেদি বিনিযোগকারীরা উপস্থিত থাকবেন। তাঁর ধারণা, অবকাঠামোগত সুবিধার চেয়ে বাংলাদেশের তরুণদের স্বীকৃত মেধার কথা ঠিকমতো তুলে ধরা উচিত। তাতে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নব্বইয়ের দশকের চীনের মতো বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারবে।

বাংলাদেশে ইনফিনিক্সের স্মার্টফোন

বাংলাদেশে ইনফিনিক্সের স্মার্টফোন

 
.বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইনফিনিক্স। ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে প্রথম স্মার্টফোন হিসেবে ‘ইনফিনিক্স নোট ৩’ প্রকাশ করা হয়। আগামীকাল বুধবার থেকে ই-কমার্স ওয়েব পোর্টাল দারাজ ডটকম ডটবিডি থেকে স্মার্টফোনটি কেনা যাবে। দারাজ ডটকম ডটবিডি ও ইনফিনিক্স বাংলাদেশের মধ্যে এ নিয়ে এক চুক্তি হয়েছে।
স্মার্টফোন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেঞ্জামিন দু ফোউসিয়ে, দারাজ গ্রুপের সহপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জোনাথন ডয়ের এবং ইনফিনিক্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার কুপার মা।
কুপার মা বলেন, ‘ছয় মাসের প্রস্তুতি শেষে আমরা বাংলাদেশে স্মার্টফোন ছাড়তে যাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে দারাজের মাধ্যমে বাজারে মুঠোফোন ছাড়লেও শিগগিরই আমরা যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মলে প্রথম শোরুম উদ্বোধন করব। এ ছাড়া দেশীয় এক মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা চলছে।’|
ছয় ইঞ্চি পর্দার ইনফিনিক্স নোট ৩ স্মার্টফোনে দ্রুত চার্জ এবং সহজে উত্তপ্ত না হওয়ার জন্য অ্যারোস্পেস কুলিং প্রযুক্তি যোগ করা হয়েছে। এতে সাড়ে চার হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, অ্যান্ড্রয়েড ৬.০ মার্শমেলো অপারেটিং সিস্টেম, পেছনে ১৩ মেগাপিক্সেল ও সামনে ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা থাকছে। এক বছরের ওয়ারেন্টির পাশাপাশি প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে যেকোনো কারণে পর্দা ভেঙে গেলে বিনা মূল্যে তা বদলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

কত দাম হবে নকিয়ার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের

কত দাম হবে নকিয়ার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের

এ রকম হতে পারে নকিয়া ডি১সিএ রকম হতে পারে নকিয়া ডি১সিবিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠেয় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যারচালিত নকিয়া ব্র্যান্ডের ফোন বাজারে আনার ঘোষণা দেবে এইচএমডি গ্লোবাল। নকিয়ার কাছ থেকে ব্র্যান্ড নাম ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স কিনেছে এইচএমডি গ্লোবাল। নকিয়ার নতুন ফোন বাজারে আসার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে বাজারে এ নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। সম্প্রতি নকিয়া পাওয়ার হাউস নামের একটি ওয়েবসাইট থেকে নকিয়ার নতুন ফোন ডি১সির দামের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

নকিয়া পাওয়ার হাউসের তথ্য অনুযায়ী, নতুন ফোনে এইচএমডি খুব কম লাভ করার চিন্তাভাবনা করছে বলে নকিয়ার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের দাম হবে কম। এর ভিত্তিমূল্য হতে পারে ১৫০ মার্কিন ডলার। ডি১সি মডেলের এই ফোনটিতে থাকবে পাঁচ ইঞ্চি মাপের ফুল এইচডি রেজুলেশন দেখাতে সক্ষম ডিসপ্লে, দুই জিবি র‍্যাম। এই ফোনটির আরেকটি সংস্করণের দাম হবে ২০০ ডলার। এতে থাকবে সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লে ও তিন জিবি র‍্যাম।

অবশ্য বাজারে ডি১সি ডিভাইসটি নিয়ে বেশ বিতর্ক আছে। কোনো কোনো ওয়েবসাইটে একে ট্যাবলেট কম্পিউটার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফোনটির অন্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ৬৪ বিটের কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৪৩০ অক্টাকোর প্রসেসর, ৩২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। অ্যান্ড্রয়েড নোগাট অপারেটিং সিস্টেমের ফোনটির পেছনে ১৩ ও সামনে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকবে।

২৭ ফেব্রুয়ারি মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে ফোনটির ঘোষণা দেবে নকিয়া। এ ছাড়া নতুন ফোন ঘিরে বাড়তি কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি নকিয়া কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন পরে নকিয়ার স্মার্টফোন দুনিয়ায় ফেরা হবে এই আয়োজন দিয়ে। তথ্যসূত্র: গ্যাজেটস নাউ।

যে দুই ফোন আনল নকিয়া

যে দুই ফোন আনল নকিয়া

           
ছবি: নকিয়া ১৫০ ও ১৫০ ডুয়াল সিম।মোবাইল ফোনের দুনিয়ায় ফিরে এল নকিয়া। মঙ্গলবার নকিয়া ব্র্যান্ডের দুটি মডেলের ফিচার ফোন উন্মুক্ত করেছে এইচএমডি গ্লোবাল। এই প্রতিষ্ঠানটি নকিয়ার ফোন তৈরি করছে। নকিয়া ১৫০ ও ১৫০ ডুয়াল সিম দুটি ফিচার ফোন। ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিক থেকেই এশিয়া, ইউরোপের বেশ কিছু বাজারে এ ফোন পাওয়া যাবে।

নকিয়া ১৫০ ও ১৫০ ডুয়াল সিম ফিচার ফোন হওয়ায় এতে ইন্টারনেট সুবিধা নেই। তবে এমপিথ্রি প্লেয়ার, এফএম রেডিও, ব্লুটুথ, এলইডি ফ্ল্যাশসহ ভিজিএ ক্যামেরা আছে। ফোন দুটিতে ২ দশমিক ৪ ইঞ্চি মাপের কিউভিজিএ ডিসপ্লে (২৪০ বাই ৩২০ পিক্সেল) থাকবে। এতে ব্যবহৃত হচ্ছে নকিয়া সিরিজ ৩০ ‍+ অপারেটিং সিস্টেম। এর দাম হবে ২৬ মার্কিন ডলার। দেশ ভিত্তিতে কর যুক্ত হয়ে বিক্রির দাম নির্ধারিত হবে।

এর ব্যাটারি লাইফ ২২ ঘণ্টা। এইচএমডি গ্লোবাল জানিয়েছে, ফিচার ফোনে স্নেক জেনজিয়া গেম থাকবে।

উল্লেখ্য, এত দিন নকিয়ার মোবাইল ফোন বিভাগটি মাইক্রোসফটের অধীনে ছিল। ফিনল্যান্ডের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান এইচএমডি গ্লোবাল নকিয়ার কাছ থেকে ব্র্যান্ড লাইসেন্স ও মাইক্রোসফটের কাছ থেকে নকিয়ার বেসিক ফোনের ব্যবসা কিনে নিয়েছে। আগামী বছর থেকে ফিচার ফোনের পাশাপাশি স্মার্টফোন তৈরি করবে এইচএমডি গ্লোবাল। নকিয়ার নামেই বাজারে পাওয়া যাবে সব ফিচার ও স্মার্টফোন। 

এশিয়া ও পূর্ব ইউরোপে এখনো নকিয়ার ফিচার ফোনের বাজার রয়েছে।
এক সময়ে মোবাইল ফোন বাজারের শীর্ষস্থানে ছিল নকিয়া। কিন্তু স্মার্টফোনের দুনিয়ায় রূপান্তরের ক্ষেত্রে পেছনে পড়ে যায় ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৪ সালে মাইক্রোসফটের কাছে ফোন ব্যবসা বিক্রি করে দেয়।

অ্যান্টিবায়োটিকের চেয়েও শক্তিশালী

অ্যান্টিবায়োটিকের চেয়েও শক্তিশালী

           
ক্ষত সারানোর প্রযুক্তিহালকা বিদ্যুৎপ্রবাহ সফলভাবে কাজে লাগিয়ে ওষুধরোধী হয়ে ওঠা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছেন গবেষকেরা। তাঁরা ভাবছেন, এ প্রযুক্তি হয়তো দীর্ঘস্থায়ী এবং গুরুতর ক্ষতের সংক্রমণ সারিয়ে তুলতে ব্যবহার করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ক্ষত নিরাময়ে অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে হালকা বিদ্যুৎপ্রবাহের সমন্বয়ে সিউডোমোনাস ইরুজিনোসা পিএও ১ ব্যাকটেরিয়া নির্মূলে সফল হন। ‘এনপিজে বায়োফ্লিমস অ্যান্ড মাইক্রোবায়োমিস’ সাময়িকীতে এ গবেষণা-বিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
ফুসফুসের রোগ সিসটিক ফিবরোসিসসহ বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী ক্ষয় রোগের জন্য এ ব্যাকটেরিয়া দায়ী। এ ছাড়া এ ব্যাকটেরিয়ার জন্য নিউমোনিয়াও হতে দেখা যায়।
গবেষকেরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষম হয়ে উঠছে ব্যাকটেরিয়া। বিশ শতকের অভূতপূর্ব ওষুধ অ্যান্টিবায়োটিক। কিন্তু এর অতি ব্যবহারে ব্যাকটেরিয়া এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে চিকিৎসকেরা যখন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন, তখন অনেক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু যেসব ব্যাকটেরিয়া স্মাইল লেয়ার নামের বায়োফ্লিম তৈরি করে তা অ্যান্টিবায়োটিকেও আর ধ্বংস হয় না। এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া কোষ তখন বেড়েই চলে ও দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত তৈরি করে।
গবেষকেরা এ ধরনের প্রতিরোধী কোষকে ঠেকাতে অ্যান্টিবায়োটিকের সমন্বয়ে বিদ্যুৎ পরিবাহী কার্বন ফাইবারে তৈরি একধরনের ইলেকট্রনিক ব্যান্ড-এইড ‘ই-স্ক্যাফল্ড’ তৈরি করেছেন। এটি একধরনের বৈদ্যুতিক প্রবাহ তৈরি করে, যা খুব স্বল্পমাত্রার হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড তৈরি করে। এতে ব্যাকটেরিয়া বায়োফ্লিম তৈরি করতে পারে না এবং ব্যাকটেরিয়া ডিএনএ ধ্বংস হয়। এতে অ্যান্টিবায়োটিক ভালো কাজ করে।
গবেষকেরা বলছেন, এই প্রযুক্তিতে যে বিদ্যুৎপ্রবাহ তৈরি হয়, তা সতর্কতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। তা না হলে সঠিক বিক্রিয়া হবে না। এ প্রক্রিয়ায় পাশের কোনো কোষের ক্ষতি হয় না। এই ইলেকট্রো-কেমিক্যাল চিকিৎসার বিরুদ্ধে ব্যাকটেরিয়া কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারে না।
গবেষকেরা তাঁদের এ প্রযুক্তির জন্য পেটেন্ট আবেদন করেছেন। এই প্রযুক্তি বাজারে ছাড়তে কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। তথ্যসূত্র: পিটিআই।

ফেসবুক স্মার্টফোনের শত্রু

ফেসবুক স্মার্টফোনের শত্রু

            
ফেসবুক দ্রুত চার্জ শেষ করে।স্মার্টফোনের ব্যাটারি শেষ হচ্ছে দ্রুত? বরাবরের মতোই ফেসবুককে দায়ী করতে পারেন। স্মার্টফোনের চার্জ দ্রুত শেষ করে ফেসবুক অ্যাপ। সম্প্রতি অ্যাভাস্ট সফটওয়্যার কর্তৃপক্ষ নতুন এক গবেষণায় এসব তথ্য পেয়েছে। ওই গবেষণায় অ্যাপ ব্যবহারের ফলে স্মার্টফোনের ব্যাটারির নেতিবাচক পারফরম্যান্স বিবেচনায় শীর্ষে রয়েছে ফেসবুক। এ ছাড়া ফেসবুকের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম রয়েছে ষষ্ঠ অবস্থানে, পেজেস ম্যানেজার নবম ও মেসেঞ্জার আছে দশম স্থানে। অর্থাৎ, শীর্ষ ১০টি চার্জ নিঃশেষকারী অ্যাপের মধ্যে চারটিই ফেসবুকের।
অ্যাভাস্টের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট গগন সিং বলেন, এ ধরনের পারফরম্যান্স চার্ট স্মার্টফোন ব্যবহারকারীকে তাদের অ্যাপ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে করণীয় বিষয়টি বুঝতে সাহায্য করে।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, প্রায় ৩০ লাখ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতি প্রান্তিকে তালিকা প্রকাশ করে অ্যাভাস্ট।
অ্যাভাস্টের তালিকায় চার্জখেকো অ্যাপের দ্বিতীয় অবস্থানে আছে লিপ সিনক্রিং অ্যাপ মিউজিক্যাল ডটলি। মাত্র দুই ঘণ্টায় এটি স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৬-এর চার্জ শেষ করে দেয়। তৃতীয় অবস্থানে আছে স্ল্যাপফেস নামের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম।
চতুর্থ অবস্থানে আছে স্কাইপের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চালু হওয়া হোয়াটসকল। এরপরে পঞ্চম স্থানে আছে ডেইলি মেইল অ্যাপ। তবে চার্জখেকো অ্যাপের শীর্ষ ১০-এর তালিকা থেকে বেরিয়ে গেছে হোয়াটসঅ্যাপ, সাউন্ডক্লাউড, উইচ্যাট, চ্যাটঅন ও বিবিসি আইপ্লেয়ার।

রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শ

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শ

           
সম্মেলনে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শ দেন সফল উদ্যোক্তারা l ছবি: প্রথম আলোগতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ডিজিটাল স্টার্টআপ সম্মেলন। এটি আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স ফর ফেয়ার কমপিটিশন। ​এই সম্মেলনে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শ দেন সফল উদ্যোক্তারা
মিলনায়তনজুড়ে উৎসুক তরুণের দল। আগে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা বসার জায়গা পেয়েছেন। বাকিরা যে যাঁর মতো দাঁড়িয়ে শুনছেন বক্তাদের কথা। কারণ, গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের মিলনায়তনে আয়োজিত ডিজিটাল স্টার্টআপ সম্মেলন শুরুর আগেই অংশগ্রহণকারীদের উপস্থিতিতে ভরে যায় পুরো কক্ষ। মনোযোগসহকারে শুনেছেন স্টার্টআপ গড়ে তোলার আদ্যোপান্ত।
সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই অধিবেশনে। প্রথম অধিবেশনে কথা বলেন দেশের ২০ জন উদ্যোক্তা। তাঁরা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং কীভাবে স্টার্টআপ বা নতুন ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে তুলতে হয় তা নিয়ে পরামর্শ দেন। দ্বিতীয় অধিবেশনে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ, স্টার্টআপ নীতিমালা-সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেন দেশীয় প্রযুক্তি নেতারা। বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স ফর ফেয়ার কমপিটিশনের (বাফকম) উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটি (ডিইউআইটিএস) এই সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে ডিইউআইটিএসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইমরান বলেন, স্বপ্নবান তরুণেরা এ সম্মেলনের মাধ্যমে সুযোগ পাবেন দেশের সফল উদ্যোক্তার মুখোমুখি হওয়ার। জানতে পারবেন স্টার্টআপের খুঁটিনাটি। বক্তারা তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সেসব পরামর্শ দিয়েছেন, তা এখানে তুলে ধরা হলো।
যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি থাকতে হবে
কোনো উদ্যোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার বলে জানিয়েছেন বিডি জবসের প্রতিষ্ঠাতা এ কে এম ফাহিম মাশরুর। এর ওপর অনেকটাই নির্ভর করবে সফলতা। বেশির ভাগ উদ্যোক্তাই তাঁদের বক্তব্যে এ কথায় জোর দেন। চাল-ডালের সহপ্রতিষ্ঠাতা জিয়া আশরাফ বলেন, অনেক সময় বিপদ আসতে পারে। কিন্তু পিছিয়ে পড়া যাবে না। এ জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে বাজারে আসতে হবে।
দরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা
যে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন তা যদি পূরণ না হয় তবে কি থেমে যাবেন? আপনার উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তবে উদ্যোগ না নেওয়াই ভালো। বরং উদ্যোগকে সফল করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করুন।
সহজ পথে সফলতা নয়
ব্যাপারটা এমন না যে উদ্যোগ গড়ে তোলা হলো আর সফলতা হাতে ধরা দেবে। রকমারি ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুল হাসান বলেন, সহজ পথে সফলতা আসে না। উদ্যোগের পেছনে সময় দিতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে। অন্য বক্তারাও পরিশ্রমের বিষয়টি তুলে ধরেন।
পড়তে হবে, জানতে হবে
মাহমুদুল হাসানের পাশাপাশি টিম ইঞ্জিনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সামিরা জুবেরী বলেন, পড়াশোনা ছাড়া সফল হওয়া সম্ভব নয়। চিন্তা করুন, মেধা ব্যবহার করুন।
সফল হওয়ার চার উপায়
ফিফোটেকের সিইও তৌহিদ হোসেন চারটি উপায় তুলে ধরেন সফল হওয়ার জন্য। ব্যবসা শুরুর আগে সেই কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। প্রথমত, উদ্যোগ গড়ে তোলার আগে দরকার অভিজ্ঞতা। এ জন্য অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে আগে কাজ করা যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, ব্যবসার বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে। তৃতীয়ত, অবকাঠামোগত উন্নয়ন দরকার। চতুর্থত, দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন।
সম্ভাবনা আছে, তবে খুঁজে বের করতে হবে
ব্যবসায়ে সফল হওয়ার অনেক উপাদান থাকে পারিপার্শ্বিক পরিবেশেই। কিন্তু সঠিক পথটি খুঁজে বের করতে হবে এবং বিশ্বাস রাখতে হবে কাজটি আপনি পারবেন।
পরামর্শক থাকা উচিত
সামিরা জুবেরী বলেন, সব উদ্যোক্তার পরামর্শক থাকা উচিত। যেকোনো বিপদে সাহায্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করতে পারেন তাঁরা। কিন্তু পরামর্শক হিসেবে কাউকে বেছে নেওয়ার আগে অনেক ভাবতে হবে। পরিবারের সদস্যও হতে পারেন পরামর্শক। পরিবারে কেউ না থাকলে ঘনিষ্ঠ কেউ বা পরিচিত কোনো সফল ব্যক্তির কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

মহাকাশ স্টেশনের দিনলিপি

মহাকাশ স্টেশনের দিনলিপি

মহাকাশ স্টেশনে গিটার বাজাচ্ছেন এক নভোচারীমহাকাশ স্টেশনে গিটার বাজাচ্ছেন এক নভোচারীদেব দুলাল গুহঘুম থেকে উঠে, আমরা প্রতিদিন রুটিন মোতাবেক এমন কিছু কাজ করি, যা করার জন্য আমাদের কোনো চিন্তাভাবনার দরকার হয় না। যেমন ধরুন, বালিশ থেকে মাথাটাকে উঁচু করে তোলা, তারপর খাট থেকে নেমে কয়েক পা হাঁটা। দিনের পর দিন একই কাজ একইভাবে করতে করতে সবাই অভ্যস্ত এতে। পৃথিবীর প্রায় সব মানুষের ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা এমন। তবে পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) থাকা ছয় নভোচারীদের বেলায় ব্যাপারটা আলাদা। আরও একজন নভোচারী শিগগিরই তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবেন। জেনে নেওয়া যাক আইএসএসে থাকা একজন নভোচারীর দিনলিপি কেমন হয়!
ঘুম থেকে ওঠামহাকাশ স্টেশনে সূর্যের আলো নয়, বরং
মিশন কন্ট্রোলের কৃত্রিম আলো দেখে হয় ঘুম থেকে জাগরণ, ভোর ছয়টায়। সেখানে ঘুমানোর মানে হলো হারমোনি মডিউলের স্লিপিং ব্যাগে ঢুকে চোখ বুজে পড়ে থাকা, আর সারা রাত ভেসে ভেসে কাটিয়ে দেওয়া! তাই ‘ওঠা’, ‘নামা’ শব্দগুলো এখানে আপেক্ষিক। জাগার পর, বাকি কাজগুলো পৃথিবীর মতোই। তবু সেখানে যেহেতু সবকিছু ওজনহীন, তাই একই রকম হয়েও তা আলাদা। যেমন ব্রাশ করতে গিয়ে পানি ব্রাশের ভেতর আটকে থাকতে পারে, পেস্ট বাতাসেই ভাসতে শুরু করতে পারে!
কাজে লেগে পড়া
কিছু খেয়েই এরপর কন্ট্রোলের সঙ্গে সভা করে যার যার কাজে নেমে পড়তে হয়। স্টেশনটার রুটিন মোতাবেক রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার দিকটি অধিকাংশ দিনই দেখতে হয়। সবকিছুই পূর্বপরিকল্পিত এবং নভোচারীদের নিজ নিজ কাজ ধাপে ধাপে সম্পন্ন করতে হয়।
শরীরচর্চা
মনে হতেই পারে শূন্যে ভেসে বেড়ানো তো মজার কাজ? না, শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যেহেতু সেখানে চলাফেরায় তেমন পরিশ্রম করতে হয় না, তাই পেশি ধীরে ধীরে কার্যক্ষমতা হারাতে থাকে, হাড় ক্ষয়ে যায়। এ জন্য দিনে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ঠিক রাখতে হয়। মহাকাশ স্টেশনে আছে ব্যায়ামের তিন ধরনের যন্ত্রপাতি—একটি ট্রেডমিল, একটি ব্যায়ামের বাইক এবং সম্প্রতি যুক্ত হওয়া ‘এআরইডি’।
দুপুরের খাবার
পৃথিবীর মতো সেখানেও সপ্তাহ আছে, ছুটির দিন আছে। সাধারণ দিনে প্রত্যেকেই ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে আলাদা জায়গায় কাজে যায়। তাই ছুটির দিন (রোববার) বাদে বাকি দিনগুলোতে একত্রে খাবার খাওয়ার সুযোগ তেমন হয় না। বাড়ির মতো সেখানেও সরিষা, মরিচ, কেচআপের বিভিন্ন ধরনের সস আছে, আছে লবণ ও মরিচ। কিন্তু এর সবই তরল, না হলে ওজনহীনতার কারণে তা স্টেশনময় ছড়িয়ে যেত! আছে টাটকা ফলও, যা প্রতিটি কার্গোর সঙ্গে পৃথিবী থেকে পাঠানো হয়। কিন্তু ফল পচনশীল, তাই তা দ্রুতই খেয়ে ফেলতে হয়।
গবেষণা
আইএসএস নিজেই একটি বিশাল গবেষণাগার। সেখানে আছে পাঁচটি ল্যাব মডিউল—রাশিয়ার দুটি, যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডেস্টিনি’, ইউরোপের ‘কলম্বাস’ ও অতিসম্প্রতি যুক্ত হওয়া জাপানের ‘কিবো’। স্টেশনের বাইরে উন্মুক্ত মহাশূন্যে পরীক্ষণের জন্যও আছে ব্যবস্থা। কঠোর শৃঙ্খলার ভেতর দিয়ে গবেষণা হয় বিভিন্ন পদার্থ ও জীবের, এমনকি ছোটখাটো বিস্ফোরণের ওজনহীনতা নিয়েও। পৃথিবী থেকে সুবিধাজনক স্থানে হওয়ায়, পৃথিবীর ওপর গবেষণা ও ছবি তোলার কাজটাও সেখানে হয়।
ভ্রমণে বের হওয়া
মাঝেমধ্যে স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। যেমন ধরুন স্টেশনের বাইরের কোনো অংশ মেরামতের কাজ। তখনই মহাশূন্যচারীকে ভ্রমণে বের হতে হয়, যাকে বলে এক্সট্রা-ভেহিকুলার অ্যাক্টিভিটি (ইভা)। নিঃসন্দেহে এটা মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা তাঁদের জন্য। তবে এতে ঝুঁকি প্রচুর। একটু এদিক-সেদিক হলেই আছে মহাশূন্যের বিশালতায় হারিয়ে যাওয়ার ভয়। তাই কেউ একা যান না, যান জোড়ায় জোড়ায়। এ জন্য যে পোশাকটি পরতে হয়, তার নির্দেশিকাটিই ১০০ পৃষ্ঠার। শুধু পোশাক পরতেই লেগে
যায় চার ঘণ্টা! এরপর টানা আট ঘণ্টার মতো কাজও করতে হয়।
অবসরে
দিনের কাজ শেষে অবসর বিকেলে নভোচারীরা যা খুশি করার স্বাধীনতা পান। চাইলে স্লিপিং স্টেশনে গিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলতে পারেন ফোনে, পাঠাতে পারেন বার্তা। ইচ্ছা হলে দেখতে পারেন ছবিও। তাঁদের জীবনধারার সঙ্গে সম্পর্কিত ছবি গ্রাভিটি দ্য মারটিয়ান সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে সেখানকার ছবির তালিকায়।
গিটার বাজিয়ে ও গানের ভিডিও বানিয়ে টুইটারে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন নভোচারী ক্রিস হ্যাডফিল্ড। সে থেকে অন্যরাও অবসর সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় কাটান, পৃথিবীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ও তাদের না-বলা গল্প শোনানোর জন্য।
তবে খুব সম্ভবত, ট্রাঙ্কুইলিটি মডিউলের গম্বুজ থেকে এমন সুন্দর পৃথিবীটাকে নিজের চোখের সামনে ঘুরতে দেখাটাই নভোচারীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। শুধু দেখাই নয়, বরং সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজটাও তাঁরা আনন্দ নিয়েই করেন।
বিবিসি ও নাসা অবলম্বনে 

বৃহস্পতির কক্ষপথে ঢুকে পড়েছে জুনো

বৃহস্পতির কক্ষপথে ঢুকে পড়েছে জুনো

           
বৃহস্পতির কক্ষপথে জুনোবৃহস্পতির কক্ষপথে জুনোবৃহস্পতির কক্ষপথ পরিভ্রমণ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার পাঠানো মনুষ্যবিহীন নভোযান জুনো। ২৭০ কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গতকাল সোমবার বৃহস্পতির কক্ষপথে ঢুকে পড়ে এ নভোযান। পাঁচ বছর আগে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এটি যাত্রা শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে ১১০ কোটি মার্কিন ডলার খরচে তৈরি জুনো নামের নভোযানটি বৃহস্পতি গ্রহ পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে পাঠায় নাসা। গবেষকেরা বলছেন, এর মাধ্যমে বৃহস্পতি গ্রহের অজানা অনেক তথ্য জানা সম্ভব হবে।
গতকাল আমাদের সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহের কক্ষপথে জুনোর সফল প্রবেশের পর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির গবেষকেরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। নাসার গবেষণাগারের ধারাবিবরণীতে বলা হয়, ‘বৃহস্পতিতে স্বাগতম’।
গবেষকেরা বলছেন, জুনোর এই মিশনে বৃহস্পতিকে ৩৭ বার প্রদক্ষিণ করার সুযোগ থাকবে। এরপর ২০১৮ সালে এটি বৃহস্পতির বুকে আছড়ে পড়বে।
অবশ্য বৃহস্পতিকে প্রদক্ষিণ করার হিসেবে জুনো প্রথম কোনো নভোযান নয়। এর আগে ১৯৮৯ সালে পাঠানো গ্যালিলিও নভোযানটিও বৃহস্পতি সম্পর্কে অনেক তথ্য জানিয়েছে। তবে জুনো আরও কাছ থেকে বৃহস্পতিকে জানার সুযোগ করে দেবে।
গ্যালিলিও বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপা, গ্যানিমিড ও ক্যালিস্টোর পৃষ্ঠে লোনা পানি থাকার প্রমাণ পেয়েছিল। নাসার গবেষকেরা বলছেন, জুনো গ্যালিলিওর চেয়ে বৃহস্পতির কাছাকাছি যেতে পারবে। এটি বৃহস্পতির ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ১০০ মাইল ওপরে থেকে তথ্য পাঠাতে পারবে।

নাসার প্লানেটারি সায়েন্সের পরিচালক জিম গ্রিন বলেন, ‘এই মিশন সফল করতে আমাদের সাধ্যমতো সব করেছি।’
আজ সকালে নাসার করা এক টুইটে বলা হয়েছে, সফল! ইঞ্জিন পোড়া থেমেছে। বৃহস্পতির অজানা রহস্য জানাতে জুনো এখন বৃহস্পতিকে প্রদক্ষিণ করা শুরু করেছে।
এক নজরে জুনোর অভিযান:
১. জুনো যাত্রা শুরু করে ৫ আগস্ট ২০১১, পৌঁছায় ৪ জুলাই ২০১৬।
২. এর ওজন ৩ দশমিক ৬ টন (ছোটখাটো হাতির সমান)।
৩. সাড়ে তিন মিটার আকারের এই নভোযানে ৯ মিটার দৈর্ঘ্যের সৌরপ্যানেল রয়েছে।
৪. এতে এক সেন্টিমিটার পুরু টাইটেনিয়ামের স্তর রয়েছে যাতে বৃহস্পতির তেজস্ক্রিয় বলয় পার হয়ে গ্রহটিকে ঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়।
বৃহস্পতি গ্রহএক নজরে বৃহস্পতিগ্রহ
বৃহস্পতি গ্রহ (ইংরেজি জুপিটার) সূর্য থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে পঞ্চম এবং আকার আয়তনের দিক দিয়ে সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ। বৃহস্পতিসহ আরও তিনটি গ্রহ, অর্থাৎ শনি, ইউরেনাস ও নেপচুনকে একসঙ্গে গ্যাসদানব বলা হয়। এটি পৃথিবীর আকাশে দৃশ্যমান তৃতীয় উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। বৃহস্পতি গ্রহের প্রাথমিক উপাদান হচ্ছে হাইড্রোজেন ও সামান্য পরিমাণ হিলিয়াম। এতে অপেক্ষাকৃত ভারী মৌলসমূহ দ্বারা গঠিত একটি কেন্দ্রও থাকতে পারে। খুব দ্রুত ঘূর্ণনের কারণে এর আকৃতি হয়েছে কমলাকৃতির গোলকের মতো, বিষুবের নিকটে ক্ষুদ্র, কিন্তু চোখে পড়ার মতো উল্লেখযোগ্য একটি স্ফীতি অংশ রয়েছে। এর ৬৩টি উপগ্রহ রয়েছে। এর মধ্যে চারটি উপগ্রহ বৃহৎ আকৃতির। এই চারটিকে গ্যালিলীয় উপগ্রহ বলা হয়। কারণ, ১৬১০ সালে গ্যালিলিও প্রথম এই চার উপগ্রহ আবিষ্কার করেছিলেন। সর্ববৃহৎ উপগ্রহ গ্যানিমেডের আকৃতি বুধ গ্রহের চেয়েও বেশি। বৃহস্পতির সবচেয়ে বড় চারটি উপগ্রহ হলো আয়ো, ইউরোপা, গ্যানিমিড ও ক্যালিস্টো।

পানির নিচে প্রশিক্ষণ

পানির নিচে প্রশিক্ষণ
           
নাসার নভোচারীরা মঙ্গল গ্রহে যেতে সমুদ্রের গভীরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠ মানুষের বসবাসের জন্য কতই-না প্রতিকূল হতে পারে! সেই প্রতিকূলতাকে জয় করার স্বপ্ন দেখছে মানুষ। মঙ্গল জয় করার পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার নভোচারীরা নিচ্ছেন বিশেষ প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণ হচ্ছে সমুদ্রের অনেক গভীরে।
গভীর সমুদ্রের মতো মহাকাশের গভীরে নভোচারীদের যে বিষয়গুলোর সম্মুখীন হতে হবে, হাতে-কলমে এরই প্রশিক্ষণ চলছে আটলান্টিকের গভীরে। টানা ১৬ দিন হবে এ প্রশিক্ষণ। এই মিশনের নাম নাসা এক্সট্রিম মিশন অপারেশনস (নিমো)। এ প্রশিক্ষণে ২১টি বিশেষ অভিযান চালানো হবে। এই দলে বিভিন্ন দেশের নভোচারী রয়েছেন। ভবিষ্যতে যে যন্ত্রাংশ ও কায়দাগুলো মহাকাশে ব্যবহার করা হবে, এর পরীক্ষা চালাবেন তাঁরা। আটলান্টিকের নিচে তাঁদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ‘অ্যাকুয়ারিস’ নামের একটি বাসস্থান।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা কিজ ন্যাশনাল মেরিন স্যাংচুরি এলাকার আটলান্টিকের পৃষ্ঠ থেকে ৬২ ফুট নিচে এই অ্যাকুয়ারিসের অবস্থান। এখানে বসে বিভিন্ন গবেষণা চালানো হবে। এর মধ্যে আছে ডিএনএ সংশ্লেষ ও টেলিমেডিসিন ডিভাইস পরীক্ষা। এ ছাড়া যোগাযোগ ব্যাহত বা দেরি হলে কী করা যাবে, এতে এটাও পরীক্ষা করা হবে। তথ্যসূত্র: আইএএনএস।