সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

আইফোনের চাহিদা আরও কমছে

আইফোন এক্সএস ম্যাক্সআইফোন এক্সএস ম্যাক্সবিশ্বজুড়ে আইফোনের চাহিদা কমছে। ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে আইফোনের চাহিদা আরও কমবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিটি রিসার্চের বিশ্লেষণে আইফোনের চাহিদা কমতে দেখা হেছে। বিশেষ করে ২০১৯ সালের প্রথম তিন মাসে আইফোন এক্সএস ম্যাক্সের চাহিদা কমবে।
চিটি রিসার্চ জানিয়েছে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে আইফোনের চাহিদার যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, প্রকৃতপক্ষে তা কমে যাবে। ওই সময় পাঁচ কোটি ইউনিটের পরিবর্তে সাড়ে চার কোটি ইউনিট আইফোনের চাহিদা থাকবে। এর মধ্যে সাড়ে ছয় ইঞ্চি মাপের আইফোন এক্সএস ম্যাক্সের চাহিদা ৪৮ শতাংশ কমবে।
Ispahani Tea
চিটির বিশ্লেষক উইলিয়াম ইয়াং বলেছেন, আইফোনের চাহিদা কমবে, যা সাপ্লাই চেইন ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর নয়।

আইফোন এক্সএস ম্যাক্স অ্যাপলের সবচেয়ে দামি ফোন। এর দাম শুরু হচ্ছে ১ হাজার ৯৯ মার্কিন থেকে।
এর আগেও আইফোনের চাহিদা কমার খবর প্রকাশ করেছিল প্রযুক্তিবিষয়ক সাইটগুলো। এর আগে ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপলের পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম জাপান ডিসপ্লে। প্রতিষ্ঠানটির মোট রাজস্বের অর্ধেকের বেশি আসে অ্যাপলের কাছে সরঞ্জাম বিক্রির মাধ্যমে। আইফোনের চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি তাদের রাজস্ব পূর্বাভাস কমিয়েছে। এ ছাড়া আইফোনের ফেসিয়াল রিকগনিশন সেন্সর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লুমেনটাম হোল্ডিংসও তাদের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রাজস্ব পূর্বাভাস কমিয়েছে।
ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্সের বিশ্লেষক উ জিন হো বলেন, অ্যাপলের ওপর তাঁদের পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি নির্ভরশীল। এর ফলে সাপ্লাই চেইনে ক্রমবর্ধমানভাবে ঝুঁকি বাড়ছে।
গত নভেম্বরে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাশ্রয়ী দামের আইফোন হিসেবে বাজারে আসা এক্সআর মডেলের চাহিদা কম। নতুন আইফোনের নির্মাতা ফক্সকন ও পেগাট্রনকে উৎপাদন কমাতে বলেছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি প্রয়োজনে ছোট প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত রেখেছে অ্যাপল। শুরুতে আইফোন এক্সআর মডেলের জন্য ৬০টি প্রডাকশন লাইন প্রস্তুত রেখেছিল ফক্সকন। কিন্তু চাহিদা কম থাকায় বর্তমানে ৪৫টি প্রডাকশন লাইনে কাজ হচ্ছে।
শুধু আইফোন এক্সআর মডেল নয়, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে যে নতুন তিন মডেলের আইফোনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, সব কটির উৎপাদন কমিয়েছে অ্যাপল।
ওয়াল স্ট্রিটের বিশ্লেষকেরা নতুন আইফোনের চাহিদা সম্পর্কে যে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, অ্যাপল তার চেয়েও কম ডিভাইস বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। বিষয়টি বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নির্মাতাদের জন্যও সতর্কবার্তা হিসেবে এসেছে। নতুন ফোনের চাহিদা কমে যাওয়ায় স্ক্রিন নির্মাতা জাপান ডিসপ্লে ইনকরপোরেশন তাদের পুরো বছরের পরিকল্পনা পরিবর্তন করেছে।

অ্যাপলের তিনটি মডেলের নতুন আইফোনের মধ্যে সবচেয়ে চাহিদা কম আইফোন এক্সআরের। অ্যাপল এ মডেলের আইফোনের উৎপাদন এক-তৃতীয়াংশ কমিয়েছে। গত অক্টোবর মাস থেকে এই মডেলের আইফোন বিক্রি শুরু করে অ্যাপল। সেপ্টেম্বর থেকে বিক্রি শুরু হয় আইফোন এক্সএস ও আইফোন এক্সএস ম্যাক্সের।

ফেসবুকে যে প্রতারণা বেড়েই চলেছে

ফেসবুকে যে প্রতারণা বেড়েই চলেছে
ফেসবুক মেসেঞ্জারে এভাবে বার্তা দিয়ে টাকা চাওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত।ফেসবুক মেসেঞ্জারে এভাবে বার্তা দিয়ে টাকা চাওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত।ফেসবুকের মেসেঞ্জারে কেউ টাকা চাইলে তার পরিচয় আগে নিশ্চিত হয়ে নিন। এখন সাইবার দুর্বৃত্তরা ফেসবুকে প্রতারণার ফাঁদ পেতে রেখেছে। সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে ঘনিষ্ঠ ও পরিচিতজনের ছদ্মবেশে ফেসবুক মেসেঞ্জারে টাকা চাওয়ার হার বেড়ে গেছে। ফেসবুকের এই স্ক্যাম ব্যবহারকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে।বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এত দিন এ ধরনের প্রতারণার ফাঁদে পড়ছিলেন। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে এ ধরনের প্রতারণা বেড়ে গেছে। যুক্তরাজ্যের দ্য সান ডটকো ডটইউকে অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবারের ঘনিষ্ঠজনের ছদ্মবেশে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। জরুরি প্রয়োজনের কথা বলে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে অর্থ চাইছে। তারপর যেকোনো মাধ্যমে জরুরি কিছু টাকা পাঠাতে বলছে।
প্রতিবদেনে বলা হয়, দুর্বৃত্তদের টাকা চাওয়ার ধরন একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম হয়। কারও কাছে বান্ধবীর ভান ধরে বা কারও কাছে পরিবারের সদস্যদের ছদ্মবেশ ধরে জরুরি প্রয়োজনের কথা বলা হচ্ছে। কোথাও কোথাও লটারিতে অংশ নেওয়ার কথা বলে বা কোথাও থেকে অর্থ পাওয়ার লোভ দেখিয়ে কিছু বিনিয়োগের কথাও বলা হচ্ছে।
কুইন্সল্যান্ডের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেহেতু পরিচিতজনের কাছ থেকে বার্তা আসে, তাই অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে যান। তাঁরা বিশ্বাস করে বসেন। কিন্তু এ ধরনের বার্তা পাঠায় স্ক্যামার বা সাইবার প্রতারকেরা। যে অ্যাকাউন্ট থেকে বার্তা পাঠানো হয়, সেটি তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বা ছবি ও তথ্য হাতিয়ে নিয়ে ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করে তারা এ অপকর্ম করে।
গত বছর শুধু অস্ট্রেলিয়া থেকেই রেকর্ড পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। গত বছর ১৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার সাইবার অপরাধীদের পকেটে গেছে। ফেসবুকের সাম্প্রতিক স্ক্যাম নিয়ে তাই দেশটিতে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকেই ফেসবুক মেসেঞ্জারে আলাপের সময় কার সঙ্গে কথা বলছেন, তা বুঝতে পারেন না। অনেক ক্ষেত্রে হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্ট থেকে দুর্বৃত্তরাও ছদ্মবেশে কথা বলতে পারে। অনেক সময় দুর্বৃত্তরা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে ই-মেইলে ভুয়া লিংক পাঠিয়ে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে বলে। পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়ে অন্য বন্ধুদের কাছে কৌশলে অর্থ চাইতে থাকে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ধরনের প্রতারণা ঠেকাতে তাদের নির্দিষ্ট টিম আছে। ফেসবুকের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে এ খাত ক্রমেই উন্নতি করে যাচ্ছে তারা।
প্রতারণা থেকে সুরক্ষা পেতে পরামর্শ 
Ispahani Tea
এ ধরনের প্রতারণা ঠেকাতে ফেসবুকে ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ যোগ করা যেতে পারে, যা অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি কঠিন করে তুলবে। ফেসবুকে এ সুবিধা থাকলেও তা ডিফল্ট আকারে নেই। ম্যানুয়ালি ঠিক করে নিতে হবে।


বন্ধু বা ঘনিষ্ঠ কারও পরিচয়ে টাকা চাইলে আগে তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে বা অন্য কোনো উপায়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নিন। তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে কি না, জেনে নিন।
যাঁদের কোনো অ্যাকাউন্ট নিয়ে সন্দেহ হবে, তাঁরা অবশ্যই ফেসবুককে অভিযোগ জানাবেন। কখনো নিশ্চিত না হয়ে অর্থ পাঠাবেন না।
ফেসবুকের কোনো পোস্ট বা বার্তা যদি কৌশলে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করে বা অর্থ চায়, তবে https://www.facebook.com/help/reportlinks এই লিংকে অভিযোগ করা যাবে।
যাঁদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হবে তাঁরা যাবেন এই লিংকে facebook.com/hacked
ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা পরীক্ষা করতে যেতে পারেন https://newsroom.fb.com/news/ 2015/07/enhancing-security-with-a-quick-checkup/
ফেসবুকের সেটিংস পরীক্ষা করতে যেতে পারেন facebook.com/settings
তথ্যসূত্র: এবিসি নিউজ।

ফেসবুকের বড় বড় কাজ পাচ্ছে ভারতীয় কোম্পানিগুলো

ফেসবুকের বড় বড় কাজ পাচ্ছে ভারতীয় কোম্পানিগুলো
  
ফেসবুকফেসবুকফেসবুকের এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তাদের প্ল্যাটফর্মে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দেশে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটিকে। তাদের এ সমস্যা সমাধানে এবার ভারতের কয়েকটি তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিকে কাজ দিচ্ছে ফেসবুক।
Ispahani Tea
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন থেকে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ফেসবুকের কনটেন্ট সম্পাদনার পাশাপাশি তথ্য বিশ্লেষণ বা ডেটা অ্যানালাইসিস, ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে মানি লন্ডারিংবিরোধী কার্যক্রম চালাবে। বিশ্বজুড়ে ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে গুজব ও প্রতারণা বেড়ে যাওয়ায় সমালোচনা ঠেকাতে ফেসবুক এ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনে ফেসবুক থেকে তথ্য নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে কাজে লাগানোর অভিযোগ ওঠে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার বিরুদ্ধে। পরে যা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। ওই ঘটনায় ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ফেসবুকের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও কনটেন্ট পর্যালোচনার জন্য ২০ হাজার কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানান জাকারবার্গ। 
ভারতে ভুয়া খবর ছড়ানো ঠেকাতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করে এবং এ বিষয়ে উদ্বেগ জানায় দেশটির সরকার। দেশটিতে ২৯ কোটি ৪০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ভারতের গ্যাজেটস নাউ ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এইচসিএল টেকনোলজিস, উইপ্রো ও টেক মাহিন্দ্রাকে কনটেন্ট মডারেশন বা ফেসবুকের বিভিন্ন কনটেন্ট সম্পাদনার জন্য কাজ দিতে যাচ্ছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এসব প্রতিষ্ঠানকে আউটসোর্সিং কাজ হিসেবে কনটেন্ট সম্পাদনার কাজ দেওয়া হতে পারে।
কয়েক মাস আগে ধরেই ভারতীয় কোম্পানি জেনপ্যাক্ট ও অ্যাকসেঞ্চারে সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে ফেসবুক। ভারতীয় একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ৪০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থমূল্যের চুক্তি করেছে ফেসবুক। শুরুতে প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটিয়ে এ সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছিল ফেসবুক। কিন্তু তাতে সমস্যা সমাধান না হওয়ায় এখন ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন কর্মীর মাধ্যমে ভুয়া খবর ধরার কাজ করতে চাইছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুকের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে অবশ্য ফেসবুক বা ভারতের কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বা কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১৮

Radio Tangail

Radio Tangail

Player Settings Tune In With Your Media Player Embed

all Time Music

YOUR ONE AND ONLY ENDTIME RADIO STATION PREPARING THE WAY FOR THE THE STATION WITH A DIFFERENCE!. THE DAY IS NEAR ROMANS 13:11 And do this, understanding the present time: The hour has already come for you to wake up from your slumber, because our salvation is nearer now than when we first believed. 12 The night is nearly over; the day is almost here. So let us put aside the deeds of darkness and put on the armor of light. 13 Let us behave decently, as in the daytime, not in carousing and drunkenness, not in sexual immorality and debauchery, not in dissension and jealousy. 14 Rather, clothe yourselves with the , and do not think about how to gratify the desires of the flesh. this is online radio Tangail this is online radio Tangail








রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

BPSC Senior Staff Nurse Job Exam Result Published

BPSC Senior Staff Nurse Job Exam Result Published now

http://www.bpsc.gov.bd/
http://www.bpsc.gov.bd/site/view/psc_exam/Non-Cadre%20Examination/%E0%A6%A8%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BEBPSC Senior Staff Nurse Exam Seat Plan published. The Senior Staff Nurse Exam date is 09 February, 2018. Candidates can see the exam seat plan in our site. The Senior Staff Nurse Exam will start on 10 am. Candidates must report in exam hall at 9.20 am. They will be given answer sheet at 9.30 am. In the answer sheet you must fill up the required fields. It is at just 10 am, you will get your question paper. We will update the Senior Staff Nurse Exam question solution here after exam.
http://bpsc.portal.gov.bd/sites/default/files/files/bpsc.portal.gov.bd/psc_exam/4bde9ab1_56a9_41b3_a671_fa1ca10a5037/nce_result_1802131435.pdf
Senior Staff Nurse Exam Result 2018 will be published soon after the exam. It is recruitment under health and family welfare ministry. BPSC Senior Nurse Job Exam Date Result. BPSC Senior Staff Nurse Job Circular 2017 published for total 4000 posts. This is non permanent job. Health and Family Welfare Ministry Senior Nurse Job Circular has been published on www.bpsc.gov.bd . Health and Family Welfare Ministry will take up for work 4000 Senior Staff Nurse this year. Health and Family Welfare Job Circular Published on 10 August, 2017. Online Application deadline of Senior Staff Nurse is over. Application fee was 500 taka. It is exam time. After job exam, we will wait for BPSC Senior Staff Nurse Exam Result 2018.

বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

Smart Electrical Engineering




http://app.appsgeyser.com/Smart%20Electrical%20Engineering_4206222                 
http://www.appsgeyser.com/4206222

>

                   

সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

এক্সপি ও ভিস্তাকে বিদায় জানাচ্ছে ফায়ারফক্স

এক্সপি ও ভিস্তাকে বিদায় জানাচ্ছে ফায়ারফক্স

            
উইন্ডোজ এক্সপিইতিমধ্যে অনেক ওয়েব ব্রাউজার মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ এক্সপি ও ভিস্তা অপারেটিং সিস্টেমকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করেছে। এখনো অবশ্য এই পুরোনো সিস্টেমে ফায়ারফক্স ব্রাউজার চলছে। এক্সপি প্রায় এক দশকেরও বেশি আগের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম।
আগামী বছর এক্সপি ও ভিস্তা থেকে সমর্থন তুলে নিতে যাচ্ছে মজিলা কর্তৃপক্ষ। আগামী মার্চে এক্সপি ও ভিস্তার জন্য সর্বশেষ ফিচার হালনাগাদ করবে মজিলা। এরপর আগামী সেপ্টেম্বর থেকে পুরোপুরি এক্সপি ও ভিস্তার জন্য সমর্থন বন্ধ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
সমর্থন তুলে নেওয়া মানে এক্সপিতে ফায়ারফক্স চালানো যাবে না, বিষয়টি তা নয়। সমর্থন তুলে নেওয়া অর্থ হচ্ছে, ফায়ারফক্সের জন্য আর কোনো নিরাপত্তা প্যাঁচ বা হালনাগাদ ফিচার আনবে না মজিলা। ফলে ওই ব্রাউজার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থেকে যাবে। তাই আধুনিক যুগের ইন্টারনেট সেবার অভিজ্ঞতা নিতে নতুন সংস্করণের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।

ব্ল্যাকবেরির ফোন তৈরি করবে টিসিএল

FSS TSTL

ব্ল্যাকবেরির ফোন তৈরি করবে টিসিএল

ব্ল্যাকবেরি ফোনব্ল্যাকবেরি ফোনচীনের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা টিসিএলের নামটি বেশ পরিচিত। কানাডার স্মার্টফোন নির্মাতা ব্ল্যাকবেরির ফোন তৈরি করতে যাচ্ছে চীনের এই প্রতিষ্ঠানটি। ব্ল্যাকবেরি সম্প্রতি স্মার্টফোনের হার্ডওয়্যার তৈরি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। শুধু সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্ল্যাকবেরি ব্র্যান্ড লাইসেন্সের মাধ্যমে অন্য প্রতিষ্ঠানকে স্মার্টফোন তৈরির কাজ দিচ্ছে। সম্প্রতি ব্ল্যাকবেরি নতুন স্মার্টফোন তৈরিতে টিসিএলের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
এই চুক্তির ফলে, এখন থেকে ব্ল্যাকবেরি ফোনের নকশা, উৎপাদন ও বিক্রি করবে টিসিএল। গ্রাহক সেবার দায়িত্বও থাকবে টিসিএলের। ব্ল্যাকবেরি দেবে সফটওয়্যার সেবা।
টিসিএলের প্রধান নির্বাহী নিকোলাস জিবেল বলেন, ‘ব্ল্যাকবেরি সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্বের মোবাইল বাজারে অবস্থান শক্তিশালী করতে পারবে টিসিএল।
টিসিএল ও ব্ল্যাকবেরির এই চুক্তিতে বাংলাদেশের বাজারের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। বৈশ্বিক পর্যায়ে ব্ল্যাকবেরি ফোনের উৎপাদন ও সরবরাহের বিষয়টি টিসিএল নিয়ন্ত্রণ করলেও ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বাজার তারা দেখবে না। অর্থাৎ, এই পাঁচটি বাজার ব্ল্যাকবেরির হাতে থাকবে। তথ্যসূত্র: টেক টাইমস।

ব্ল্যাকবেরির ফোন তৈরি করবে টিসিএল

ব্ল্যাকবেরির ফোন তৈরি করবে টিসিএল

            
ব্ল্যাকবেরি ফোনচীনের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা টিসিএলের নামটি বেশ পরিচিত। কানাডার স্মার্টফোন নির্মাতা ব্ল্যাকবেরির ফোন তৈরি করতে যাচ্ছে চীনের এই প্রতিষ্ঠানটি। ব্ল্যাকবেরি সম্প্রতি স্মার্টফোনের হার্ডওয়্যার তৈরি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। শুধু সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্ল্যাকবেরি ব্র্যান্ড লাইসেন্সের মাধ্যমে অন্য প্রতিষ্ঠানকে স্মার্টফোন তৈরির কাজ দিচ্ছে। সম্প্রতি ব্ল্যাকবেরি নতুন স্মার্টফোন তৈরিতে টিসিএলের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
এই চুক্তির ফলে, এখন থেকে ব্ল্যাকবেরি ফোনের নকশা, উৎপাদন ও বিক্রি করবে টিসিএল। গ্রাহক সেবার দায়িত্বও থাকবে টিসিএলের। ব্ল্যাকবেরি দেবে সফটওয়্যার সেবা।
টিসিএলের প্রধান নির্বাহী নিকোলাস জিবেল বলেন, ‘ব্ল্যাকবেরি সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্বের মোবাইল বাজারে অবস্থান শক্তিশালী করতে পারবে টিসিএল।
টিসিএল ও ব্ল্যাকবেরির এই চুক্তিতে বাংলাদেশের বাজারের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। বৈশ্বিক পর্যায়ে ব্ল্যাকবেরি ফোনের উৎপাদন ও সরবরাহের বিষয়টি টিসিএল নিয়ন্ত্রণ করলেও ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বাজার তারা দেখবে না। অর্থাৎ, এই পাঁচটি বাজার ব্ল্যাকবেরির হাতে থাকবে। তথ্যসূত্র: টেক টাইমস।

৮ জিবি র‍্যাম দিয়ে ফোন

৮ জিবি র‍্যাম দিয়ে ফোন

 
এইচটিসি ১১পরবর্তী ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনটিকে একটু বিশেষভাবে তৈরি করছে এইচটিসি। ‘এইচটিসি ১১’ নামের এই ফোনটিতে ৮ জিবি র‍্যাম ও স্ন্যাপড্রাগন ৮৩৫ প্রসেসর রাখতে পারে গুগল পিক্সেল ফোনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। কোয়ালকমের তৈরি স্ন্যাপড্রাগন ৮৩৫ নামের চিপটি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে ১০ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি। এর ফলে এটি শক্তিসাশ্রয়ী ও উন্নত কার্যক্ষমতা দেখাতে সক্ষম।

নকশার দিক থেকে এইচটিসির নতুন ফোনটি বর্তমানে বাজারে থাকা এইচটিসি ১০ স্মার্টফোনের মতো ধাতব কাঠামোর হবে, যাতে বেজেলহীন কোয়াড এইচডি ২কে ডিসপ্লে থাকবে। এর ইন্টারনাল স্টোরেজ হবে ২৫৬ গিগাবাইট। এর ডিসপ্লে প্যানেল হবে সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি মাপের।

প্রযুক্তিবিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এইচটিসির নতুন স্মার্টফোনটি নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্মার্টফোনটির পেছনে দুটি ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা সেন্সর ও সামনে ৮ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা থাকবে। এর ব্যাটারি হবে ৩ হাজার ৭০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের, যাতে কুইক চার্জার ৪.০ সমর্থন করবে। ২০১৭ সালের জুন মাসে এই ফোন বাজারে আসতে পারে।

সম্প্রতি এইচটিসি ১০ স্মার্টফোনটির জন্য অ্যান্ড্রয়েড নোগাট সংস্করণ সুবিধা হালনাগাদ করেছে এইচটিসি। গত অক্টোবরে এ ফোনটির দামও কমিয়েছে এইচটিসি, যা ৬৯৯ মার্কিন ডলার। এইচটিসি ১০ ফোনটি ৫ দশমিক ২ ইঞ্চি মাপের। এর পেছনে ১২ ও সামনে ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা আছে। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

বিল গেটসের চোখে সেরা তিন দক্ষতা

বিল গেটসের চোখে সেরা তিন দক্ষতা

 
বিল গেটস l এএফপিমাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস মনে করেন, ভবিষ্যতে চাকরির বাজারে সফল হওয়ার জন্য তিনটি বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। তা হলো বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও অর্থনীতি। সামনের দিনগুলোতে এসব বিষয়ে দক্ষ মানুষের চাহিদা বেশি থাকবে। বিজ্ঞান ও সংখ্যাভিত্তিক জ্ঞানে দক্ষতা না থাকলে ভবিষ্যতে উন্নতি করা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে লিংকড-ইনের নির্বাহী সম্পাদক ডেনিয়েল রথকে বিল গেটস বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বিজ্ঞান, গণিত ও অর্থনীতি বিষয়ে মৌলিক জ্ঞান ভবিষ্যতে চাকরির বাজারে চাহিদা বাড়িয়ে দেবে। এর জন্য যে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং জানতে হবে এমনটা নয়। শুধু জানতে হবে প্রকৌশলীরা কী করতে পারেন আর কী করতে পারেন না।’ তিনি আরও মনে করেন, এই বিষয়গুলোতে দক্ষ কর্মকর্তারাই যেকোনো প্রতিষ্ঠানের অবস্থা পরিবর্তন করতে পারেন।
গেটস সম্প্রতি ১০০ কোটি ডলারের একটি তহবিল গঠন করার ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের জন্য এই তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ করা হবে। এ ছাড়া তিনি এমন একটি বিনিয়োগকারীদের দলের নেতৃত্ব দেবেন, যাঁদের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার কোটি ডলার। এই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্র্যানসন, আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজস এবং আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা।
মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিল গেটস তাঁর আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আশা করেন, স্বাস্থ্য সচেতনতা, শিক্ষা ও শক্তিতে নতুন আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে আমেরিকা নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে।

গুগল চশমার নবজন্মের পেছনে ঢাকার কোম্পানি

গুগল চশমার নবজন্মের পেছনে ঢাকার কোম্পানি

           
.রোগীর দিকে তাকিয়ে তাকে জিজ্ঞেস না করেই চিকিৎসক জেনে যাচ্ছেন তার রোগবালাইয়ের অতীত ইতিহাস। জানছেন রোগীর সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল—রক্তচাপ, রক্তে চিনির পরিমাণ, রোগী এর আগে কী কী ওষুধ খেয়েছে ইত্যাদি। এ তথ্য ভেসে উঠছে চিকিৎসকের চোখে লাগানো এক বিশেষ ধরনের চশমার কাচে। চশমাটির নাম গুগল-গ্লাস।
এ এক অভিনব সেবা। বলা হচ্ছে, চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার চেহারা পাল্টে দিতে শুরু করেছে এই সেবা। আর এর পেছনে বুদ্ধি ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে অগমেডিক্স নামে যে কোম্পানি, সেটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ইয়ান শাকিল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান। বাংলাদেশেও প্রতিষ্ঠানটির একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান আছে। তা ছাড়া এই প্রযুক্তির গবেষণা ও উন্নয়নের কাজটি হয়েছে ঢাকায়। আর একে ঘিরে ভবিষ্যতে যে কর্মযজ্ঞের আয়োজন চলছে, সেটির প্রধান কেন্দ্র হতে যাচ্ছে ঢাকা। এ জন্য কোম্পানিটিতে নতুন বিপুল পরিমাণ অর্থ লগ্নি করতে শুরু করেছে সিলিকন ভ্যালির বিনিয়োগকারীরা। ইতিমধ্যে ১ কোটি ৯২ লাখ ডলার অর্থ লগ্নি করেছে ডিসিএম ভেঞ্চারস নামে একটি বড় মার্কিন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে শিগগিরই সাত হাজার তরুণ দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তিবিদ গড়ে তুলবে এই কোম্পানি।
শুরুতে এর সেবাগ্রহীতারা হচ্ছেন মূলত যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসক। তবে যেসব দেশে রোগীর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্যভান্ডার অনলাইনে সংরক্ষণ ও শেয়ার করা হয়, সেসব দেশে শিগগিরই এই সেবা ছড়িয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
গুগল-গ্লাস হলো টেক-জায়ান্ট গুগলের তৈরি করা একটি স্মার্ট চশমা, যার ভেতর দিয়ে তাকালে বাইরের দৃশ্যের পাশাপাশি দরকারি নানা রকম তথ্য ভেসে ওঠে কাচের পর্দায়। চশমাটি ইন্টারনেট বা ক্লাউডের সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং সেখান থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য দেয়।
চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় বিপ্লব
প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা দেশগুলোয় রোগীদের সব মেডিকেল তথ্য রাখা হচ্ছে কম্পিউটারে, ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ডে (ইএইচআর)। কিন্তু দেখা যায়, রোগী দেখার সময় একটা বড় অংশজুড়ে চিকিৎসককে ব্যস্ত থাকতে হয় কম্পিউটার ঘাঁটাঘাঁটিতে। আগের রেকর্ড দেখা, ডিজিটাল ডেটা দেখা, পরীক্ষণের ফলাফল দেখা এবং নতুন তথ্য-উপাত্ত ভুক্তি দেওয়ায় নেহাত কম সময় যায় না। আমেরিকার মতো যেসব দেশে স্বাস্থ্য উপাত্ত রাখা বাধ্যতামূলক, সেখানে রোগী দেখার সময়ের ২৫ শতাংশই চলে যায় কম্পিউটারে।
এর একটি চৌকস সমাধান নিয়ে এসেছে অগমেডিক্স। চিকিৎসকদের সামনে থেকে কম্পিউটার সরিয়ে ফেলেছে তারা। গুগল-গ্লাসকে ভিত্তি করে একটি নতুন সেবা অ্যাপ্লিকেশন (সফটওয়্যার) বানিয়েছে তারা।
গুগল-গ্লাস নামক বিশেষ চশমাটি ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এর মাধ্যমে রোগীকে পরীক্ষা করার সময় চিকিৎসক দূরদেশে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকা তাঁর ‘লিপিকারের’ (স্ক্রাইবার) সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। লিপিকারের কম্পিউটার যুক্ত থাকে রোগীর তথ্যভান্ডারের সঙ্গে। একজন লিপিকার রোগীর যাবতীয় রেকর্ডই কেবল দেখছেন না, বরং তা তৎক্ষণাৎ (রিয়েল টাইম) তাঁর চিকিৎসককে জানিয়ে দিতে পারছেন। তথ্যগুলো ভেসে উঠছে রোগীকে পরীক্ষায় ব্যস্ত চিকিৎসকের চশমার পর্দায়। আবার চিকিৎসক রোগী দেখে যেসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, সেগুলো তিনি মুখে বলামাত্র ওই চশমার মধ্য দিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে লিপিকারের কাছে। লিপিকার চার্ট-নোট (রোগীসংক্রান্ত) লিপিবদ্ধ করছেন। চশমাটি এখানে একটি দ্বিমুখী যোগাযোগের মাধ্যম। এ কারণে এটি প্রচলিত মেডিকেল ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে।
আমেরিকার প্রথম সারির দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, ‘এর মাধ্যমে একজন চিকিৎসক একই সময়ে আগের চেয়ে বেশি রোগী দেখতে পারেন। তাঁর দৈনিক দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় বাঁচে। সবচেয়ে বড় কথা, চিকিৎসকেরা রোগী দেখার মূল কাজে তাঁর পুরো সময় ব্যয় করতে পারছেন।’
যেভাবে বাংলাদেশ যুক্ত
যাঁদের হাতে এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয়েছে, সেই অগমেডিক্সের দুই সহপ্রতিষ্ঠাতার একজন ইয়ান শাকিল। তাঁর বাবা কাজী শাকিল হলেন ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিনের ভাই এবং মা দিয়ানে মেলোন একজন আমেরিকান। ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হওয়ার পর ইয়ান শাকিল ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেন। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার পর ২০১২ সালে পেলু ট্র্যান নামে আরেক আমেরিকান তরুণের সঙ্গে মিলে শাকিল প্রতিষ্ঠা করেন স্টার্টআপ কোম্পানি অগমেডিক্স।
আমেরিকায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা হলেও বাবার কারণে ছোটবেলা থেকে নিয়মিত বাংলাদেশে এসেছেন শাকিল। বাংলাদেশের সঙ্গে নাড়ির টানের কারণে এ দেশের তরুণদের কাজে লাগানোর চিন্তাও এসেছে। তাই গুগল চশমার সঙ্গে যুক্ত এই অ্যাপ্লিকেশন তৈরির কাজটি তিনি শুরু করেন ঢাকাতেই এবং নিবন্ধন করেন অগমেডিক্স (বাংলাদেশ) লিমিটেড নামের সম্পূর্ণ বাংলাদেশি একটি প্রতিষ্ঠান, যার মালিকানা শতভাগ সিলিকন ভ্যালির অগমেডিক্সের। বর্তমানে গুগল-গ্লাসের চিকিৎসকদের জন্য এই লিপিসেবাটি দেওয়া হয় ভারত, ডমিনিকান রিপাবলিক, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ থেকে। এরই মধ্যে আমেরিকার সহস্রাধিক চিকিৎসক এই সেবা ব্যবহার করছেন মাসে দেড় থেকে চার হাজার ডলারের বিনিময়ে।
ঢাকায় অগমেডিক্স
৪ ডিসেম্বর শাকিলের সঙ্গে কথা বলার জন্য হাজির হলাম ঢাকার পান্থপথের অগমেডিক্স কার্যালয়ে। সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অগমেডিক্স বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদুল হক। শাকিল বললেন, সিলিকন ভ্যালিতে তাঁদের অফিস থাকলেও গুগল চশমার এই অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের মূল কাজটি হয়েছে ঢাকাতেই এবং এটির বিকাশের কাজও এখানে হচ্ছে।
বাংলাদেশি সফটওয়্যার প্রকৌশলী ও প্রোগ্রামারদের প্রশংসা করে শাকিল বলেন, ‘এঁদের অনেকেই গুগল-ফেসবুক বা এ রকম বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহজে যুক্ত হতে পারেন। কিন্তু আমরা কৃতজ্ঞ যে তাঁরা আমাদের মতো স্টার্টআপের সঙ্গে কাজ করছেন। আমরাও তাঁদের অনেককে কোম্পানির শেয়ার দিচ্ছি।’
অগমেডিক্সের ঢাকার সফটওয়্যার প্রকৌশলীরা যে কাজটি করেছেন, বাণিজ্য বিষয়ক আমেরিকান বিখ্যাত ম্যাগাজিন ফাস্ট কোম্পানির ভাষায় সেটি হলো ‘গুগল-গ্লাসকে দ্বিতীয় জীবন দেওয়া।’ আর এই উদ্ভাবনী কাজের জন্য ফাস্ট কোম্পানি ২০১৬ সালে অগমেডিক্সকে স্বাস্থ্যসেবা খাতের সবচেয়ে উদ্ভাবনী কোম্পানি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
অগমেডিক্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইয়ান শাকিল। ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করে ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন সিলিকন ভ্যালিভিত্তিক এই স্টার্টআপ কোম্পানি
বাংলাদেশে এই কার্যক্রম চালানোর ইচ্ছে তাঁর কেন হলো, এই প্রশ্নের জবাবে হেসে দিয়ে শাকিল তাঁর পিতৃপরিচয় তুলে ধরেন। তারপর বাংলাদেশের এক বিরাট যুবসম্প্রদায়ের কথা তুলে ধরে বলেন, ঠিকমতো পরিচর্যা করতে পারলে এঁদের বিশ্বমানের কর্মী হিসেবে গড়ে তোলা মোটেই কঠিন নয়। এ জন্য শাকিল তরুণদের ইংরেজি ভাষা শিক্ষার ওপর জোর দেন।
অগমেডিক্সে বিনিয়োগ
৮ ডিসেম্বর নতুন করে ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার (১৯২ কোটি টাকা) বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে এই কোম্পানি। নতুনভাবে অগমেডিক্সে বিনিয়োগ করেছে মার্কিন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাককেসন ভেঞ্চার ও অরবিমেড। এই কোম্পানিগুলো আমেরিকায় চিকিৎসা খাতে প্রথম সারির বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। এর আগে রেডমাইল প্রুপ, ডিসিএম ভেঞ্চার, এমারজেন্স ক্যাপিটালসহ আমেরিকার বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্ক প্রায় ছয় কোটি ডলার (প্রায় ৪৭০ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করেছে অগমেডিক্সে। বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে যে সম্ভাবনা ইয়ান দেখেন, তার প্রতিধ্বনি পাওয়া গেল ডিসিএম ভেঞ্চার কোম্পানির অংশীদার পেটে মোরানের কথায়। ডিসিএম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন কোম্পানিতে প্রায় ৩৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে।
ইয়ান শাকিলইয়ান শাকিলএই প্রতিবেদকের কাছে পাঠানো এক বার্তা পেটে মোরান জানালেন, ১৯৯০ সালের দিকে মার্কিন বিনিয়োগকারীরা চীনের ইন্টারনেট উদ্যোক্তাদের মধ্যে যে স্বপ্ন ও সম্ভাবনা দেখেছিলেন, ঠিক তেমনটি এখন বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে দেখছেন তাঁরা। তিনি বলেছেন, ‘১৯৯৯ সালের দিকে আমরা চীনের ইন্টারনেট উদ্যোক্তাদের পেছনে বিনিয়োগ করেছি এবং তাঁরা অনেকেই এখনকার শীর্ষ কোম্পানিগুলো গঠন করেছেন। আমরা এখন সমমাত্রায় উদ্দীপ্ত যে অগমেডিক্সের মতো কোম্পানির পেছনে আমরা বিনিয়োগ করছি, যারা কার্যত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিপুল তরুণ জনগোষ্ঠী, ক্রমাগত শক্তিশালী হওয়া শিক্ষাব্যবস্থা, সংহত তথ্যপ্রযুক্তির অবকাঠামো এবং কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান—এসবই বাংলাদেশকে নব্বইয়ের দশকের তথ্যপ্রযুক্তিতে চীনের সমান্তরাল অবস্থানকেই তুলে ধরছে। আর সে জন্য আমরা মনে করছি এশিয়ায় বিনিয়োগের এক সম্ভাবনাময় দেশ হলো বাংলাদেশ।’
নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কেবল বাংলাদেশে তাদের সেবার পরিধি পাঁচ থেকে সাত হাজার জনে উন্নীত করতে চান ইয়ান। ঢাকায় অগমেডিক্স কর্মকর্তা আহমেদুল হক বললেন, এরই মধ্যে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ বাংলাদেশি তরুণদের স্ক্রাইবসেবায় দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার কর্মকাণ্ডে সহায়তা দিচ্ছে। শাকিল বললেন, বিশ্বের জন্য বাংলাদেশ থেকে স্ক্রাইবসেবা দেওয়ার কাজটার সবটুকু তাঁরা একা করতে চান না। এ জন্য অংশীদারদেরও তিনি সঙ্গে নেবেন। অগমেডিক্সের ক্লাউড ও সিস্টেম ব্যবহার করে বাংলাদেশি অন্য কোম্পানিও এই সেবা চালু করতে পারবে।
ইয়ান শাকিলের ইচ্ছা বছর খানেকের মধ্যে বাংলাদেশে তাঁর কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের একটি সভা ঢাকায় আয়োজন করা, যেখানে সিলিকন ভ্যালির বনেদি বিনিযোগকারীরা উপস্থিত থাকবেন। তাঁর ধারণা, অবকাঠামোগত সুবিধার চেয়ে বাংলাদেশের তরুণদের স্বীকৃত মেধার কথা ঠিকমতো তুলে ধরা উচিত। তাতে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নব্বইয়ের দশকের চীনের মতো বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারবে।

বাংলাদেশে ইনফিনিক্সের স্মার্টফোন

বাংলাদেশে ইনফিনিক্সের স্মার্টফোন

 
.বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইনফিনিক্স। ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে প্রথম স্মার্টফোন হিসেবে ‘ইনফিনিক্স নোট ৩’ প্রকাশ করা হয়। আগামীকাল বুধবার থেকে ই-কমার্স ওয়েব পোর্টাল দারাজ ডটকম ডটবিডি থেকে স্মার্টফোনটি কেনা যাবে। দারাজ ডটকম ডটবিডি ও ইনফিনিক্স বাংলাদেশের মধ্যে এ নিয়ে এক চুক্তি হয়েছে।
স্মার্টফোন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেঞ্জামিন দু ফোউসিয়ে, দারাজ গ্রুপের সহপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জোনাথন ডয়ের এবং ইনফিনিক্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার কুপার মা।
কুপার মা বলেন, ‘ছয় মাসের প্রস্তুতি শেষে আমরা বাংলাদেশে স্মার্টফোন ছাড়তে যাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে দারাজের মাধ্যমে বাজারে মুঠোফোন ছাড়লেও শিগগিরই আমরা যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মলে প্রথম শোরুম উদ্বোধন করব। এ ছাড়া দেশীয় এক মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা চলছে।’|
ছয় ইঞ্চি পর্দার ইনফিনিক্স নোট ৩ স্মার্টফোনে দ্রুত চার্জ এবং সহজে উত্তপ্ত না হওয়ার জন্য অ্যারোস্পেস কুলিং প্রযুক্তি যোগ করা হয়েছে। এতে সাড়ে চার হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, অ্যান্ড্রয়েড ৬.০ মার্শমেলো অপারেটিং সিস্টেম, পেছনে ১৩ মেগাপিক্সেল ও সামনে ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা থাকছে। এক বছরের ওয়ারেন্টির পাশাপাশি প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে যেকোনো কারণে পর্দা ভেঙে গেলে বিনা মূল্যে তা বদলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

কত দাম হবে নকিয়ার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের

কত দাম হবে নকিয়ার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের

এ রকম হতে পারে নকিয়া ডি১সিএ রকম হতে পারে নকিয়া ডি১সিবিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠেয় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যারচালিত নকিয়া ব্র্যান্ডের ফোন বাজারে আনার ঘোষণা দেবে এইচএমডি গ্লোবাল। নকিয়ার কাছ থেকে ব্র্যান্ড নাম ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স কিনেছে এইচএমডি গ্লোবাল। নকিয়ার নতুন ফোন বাজারে আসার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে বাজারে এ নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। সম্প্রতি নকিয়া পাওয়ার হাউস নামের একটি ওয়েবসাইট থেকে নকিয়ার নতুন ফোন ডি১সির দামের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

নকিয়া পাওয়ার হাউসের তথ্য অনুযায়ী, নতুন ফোনে এইচএমডি খুব কম লাভ করার চিন্তাভাবনা করছে বলে নকিয়ার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের দাম হবে কম। এর ভিত্তিমূল্য হতে পারে ১৫০ মার্কিন ডলার। ডি১সি মডেলের এই ফোনটিতে থাকবে পাঁচ ইঞ্চি মাপের ফুল এইচডি রেজুলেশন দেখাতে সক্ষম ডিসপ্লে, দুই জিবি র‍্যাম। এই ফোনটির আরেকটি সংস্করণের দাম হবে ২০০ ডলার। এতে থাকবে সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লে ও তিন জিবি র‍্যাম।

অবশ্য বাজারে ডি১সি ডিভাইসটি নিয়ে বেশ বিতর্ক আছে। কোনো কোনো ওয়েবসাইটে একে ট্যাবলেট কম্পিউটার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফোনটির অন্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ৬৪ বিটের কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৪৩০ অক্টাকোর প্রসেসর, ৩২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। অ্যান্ড্রয়েড নোগাট অপারেটিং সিস্টেমের ফোনটির পেছনে ১৩ ও সামনে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকবে।

২৭ ফেব্রুয়ারি মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে ফোনটির ঘোষণা দেবে নকিয়া। এ ছাড়া নতুন ফোন ঘিরে বাড়তি কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি নকিয়া কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন পরে নকিয়ার স্মার্টফোন দুনিয়ায় ফেরা হবে এই আয়োজন দিয়ে। তথ্যসূত্র: গ্যাজেটস নাউ।

যে দুই ফোন আনল নকিয়া

যে দুই ফোন আনল নকিয়া

           
ছবি: নকিয়া ১৫০ ও ১৫০ ডুয়াল সিম।মোবাইল ফোনের দুনিয়ায় ফিরে এল নকিয়া। মঙ্গলবার নকিয়া ব্র্যান্ডের দুটি মডেলের ফিচার ফোন উন্মুক্ত করেছে এইচএমডি গ্লোবাল। এই প্রতিষ্ঠানটি নকিয়ার ফোন তৈরি করছে। নকিয়া ১৫০ ও ১৫০ ডুয়াল সিম দুটি ফিচার ফোন। ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিক থেকেই এশিয়া, ইউরোপের বেশ কিছু বাজারে এ ফোন পাওয়া যাবে।

নকিয়া ১৫০ ও ১৫০ ডুয়াল সিম ফিচার ফোন হওয়ায় এতে ইন্টারনেট সুবিধা নেই। তবে এমপিথ্রি প্লেয়ার, এফএম রেডিও, ব্লুটুথ, এলইডি ফ্ল্যাশসহ ভিজিএ ক্যামেরা আছে। ফোন দুটিতে ২ দশমিক ৪ ইঞ্চি মাপের কিউভিজিএ ডিসপ্লে (২৪০ বাই ৩২০ পিক্সেল) থাকবে। এতে ব্যবহৃত হচ্ছে নকিয়া সিরিজ ৩০ ‍+ অপারেটিং সিস্টেম। এর দাম হবে ২৬ মার্কিন ডলার। দেশ ভিত্তিতে কর যুক্ত হয়ে বিক্রির দাম নির্ধারিত হবে।

এর ব্যাটারি লাইফ ২২ ঘণ্টা। এইচএমডি গ্লোবাল জানিয়েছে, ফিচার ফোনে স্নেক জেনজিয়া গেম থাকবে।

উল্লেখ্য, এত দিন নকিয়ার মোবাইল ফোন বিভাগটি মাইক্রোসফটের অধীনে ছিল। ফিনল্যান্ডের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান এইচএমডি গ্লোবাল নকিয়ার কাছ থেকে ব্র্যান্ড লাইসেন্স ও মাইক্রোসফটের কাছ থেকে নকিয়ার বেসিক ফোনের ব্যবসা কিনে নিয়েছে। আগামী বছর থেকে ফিচার ফোনের পাশাপাশি স্মার্টফোন তৈরি করবে এইচএমডি গ্লোবাল। নকিয়ার নামেই বাজারে পাওয়া যাবে সব ফিচার ও স্মার্টফোন। 

এশিয়া ও পূর্ব ইউরোপে এখনো নকিয়ার ফিচার ফোনের বাজার রয়েছে।
এক সময়ে মোবাইল ফোন বাজারের শীর্ষস্থানে ছিল নকিয়া। কিন্তু স্মার্টফোনের দুনিয়ায় রূপান্তরের ক্ষেত্রে পেছনে পড়ে যায় ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৪ সালে মাইক্রোসফটের কাছে ফোন ব্যবসা বিক্রি করে দেয়।