সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

‘থিওরি অব এভরিথিং’

সহজ ভাষায় বলতে হয় স্ট্রিং তত্ত্ব হচ্ছে সবকিছুর তত্ত্ব। বিবৃতিটাকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিকর বলেন বিজ্ঞানীরা। ছবি: সংগৃহীতসহজ ভাষায় বলতে হয় স্ট্রিং তত্ত্ব হচ্ছে সবকিছুর তত্ত্ব। বিবৃতিটাকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিকর বলেন বিজ্ঞানীরা। ছবি: সংগৃহীতপপুলার কালচারে একটা কথা প্রচলিত আছে যে ‘স্ট্রিং থিওরি ইজ দ্য থিওরি অব এভরিথিং’। অর্থাৎ সহজ ভাষায় বলতে হয়, স্ট্রিং তত্ত্ব হচ্ছে সবকিছুর তত্ত্ব। তবে এই বিবৃতি আমার সব সময় বিভ্রান্তিকর বলে মনে হয়। কেন? সেটা ব্যাখ্যা করা যাক।
আমার পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে ডাইনোসরের মহাভক্ত। একদিন সে আমার কাছে এল ডাইনোসর-বিষয়ক একটা বই হাতে নিয়ে। সেখান থেকে সে আমাকে একটা বিশেষ ডাইনোসরের ছবি দেখাল, যার নাকে একটা গোলাপি রঙের শুণ্ড (Snout) আছে। সে আমার কাছে জানতে চাইল, এটা কেন আছে? পাঠক নিশ্চয় অনুমান করতে পারছেন আমার থিওরি অব এভরিথিংয়ের জ্ঞান সেদিন তেমন কোনো কাজে আসেনি। তবে আমি বাচ্চাদের সঙ্গে যতটা সম্ভব সৎ থাকার চেষ্টা করি। তাই আমি ওকে কোনো মনগড়া কাল্পনিক উত্তর দিইনি। শুধু বলেছিলাম, আমি জানি না। সে এরপর চলে গেল তার মায়ের কাছে এবং প্রশ্নের বিভিন্ন ধরনের উত্তর পেল। তবে কোনো উত্তরই তার পছন্দ হলো না। শেষমেশ সে নিজে ভেবে একটা উত্তর দাঁড় করাল। ‘এই প্রজাতির ডাইনোসররা ফুল খুব পছন্দ করে। যেহেতু বেশির ভাগ ফুলই গোলাপি রঙের হয়, তাই এই ডাইনোসরদের গোলাপি রঙের শুণ্ড আছে।’
Ispahani Tea
এই যুক্তি আমার মেয়ের নিজের কাছেই খুব যুক্তিসংগত বলে মনে হলো। কাজেই পাঠক নিশ্চয় অনুধাবন করতে পারছেন, স্ট্রিং তত্ত্বকে কেন আমি থিওরি অব এভরিথিং বলতে চাই না।

স্ট্রিং থিওরি বলে আমাদের প্রকৃতির মৌলিক বিল্ডিং ব্লক হলো এক মাত্রার সুতা বা তন্তুর মতো বস্তু, যার দৈর্ঘ্য প্ল্যাঙ্কের দৈর্ঘ্যের কাছাকাছি। ছবি: সংগৃহীতস্ট্রিং থিওরি বলে আমাদের প্রকৃতির মৌলিক বিল্ডিং ব্লক হলো এক মাত্রার সুতা বা তন্তুর মতো বস্তু, যার দৈর্ঘ্য প্ল্যাঙ্কের দৈর্ঘ্যের কাছাকাছি। ছবি: সংগৃহীতআসলে এই বিভ্রান্তি সম্ভবত তৈরি হয়েছে আইনস্টাইনের শেষ দিকের গবেষণাকে কেন্দ্র করে। আইনস্টাইন চেষ্টা করেছিলেন পদার্থবিজ্ঞানের একটা সম্মিলিত তত্ত্ব দাঁড় করাতে। প্রশ্ন হলো, এই সম্মিলিত তত্ত্ব বলতে ঠিক কী বোঝায়? সহজ ভাষায় সম্মিলিত তত্ত্ব হলো সেই তত্ত্ব, যা অন্য অনেক খণ্ড খণ্ড তত্ত্ব বা ধারণাকে একটি তত্ত্বে একীভূত করতে পারে। পদার্থবিজ্ঞানের একটি সম্মিলিত তত্ত্ব বের করার যে প্রচেষ্টা, তার সর্বাধুনিক এবং সবচেয়ে সফল ফলাফল বলা যেতে পারে স্ট্রিং তত্ত্বকে।
স্ট্রিং তত্ত্ব মূলত তিনটি বিষয়কে একীভূত করতে চায়। এক. পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন তত্ত্ব; দুই. প্রকৃতির মৌলিক বলসমূহ এবং তিন. প্রকৃতির মৌলিক কণাসমূহ।
আমি আজ তিন নম্বর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চাইছি। কারণ, বিষয়টি স্ট্রিং তত্ত্বের কেন্দ্রীয় ভাবনা নিয়ে আলোকপাত করে। এ ছাড়া এটাই সম্ভবত স্ট্রিং তত্ত্বের জন্ম নিয়ে কথা বলার জন্য আদর্শ জায়গা।
ড. সাজিদ হকড. সাজিদ হকপদার্থবিজ্ঞান রিডাকশনাজম (খণ্ডতাবাদ) ব্যবহার করে। আমি এখানে প্রক্রিয়াগত খণ্ডতাবাদের কথা বলছি। মূল কথা, একটা বস্তুকে ভাঙতে থাকলে আমরা একসময় বিন্দুর মতো কণা পাব। কণাতত্ত্ব অনুযায়ী আমাদের প্রকৃতির মৌলিক বিল্ডিং ব্লক হচ্ছে এই কণা। লক্ষ করার বিষয় হলো এ ক্ষেত্রে আমরা একটা আদর্শীকরণ করি। এই কণাগুলোকে ধরি বিন্দুর মতো যার কোনো ‘মাত্রা’ নেই, শুধু ভর আছে। এখন ধরা যাক, একটা বিন্দু কণা সৃষ্ট মহাকর্ষীয় প্রভাব বলয়ের (পটেনশিয়াল) কথা, যা কিনা দূরত্বের প্রতি-সমানুপাতিক। এখান থেকে খুব দ্রুতই আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে দূরত্ব যখন শূন্য হয়ে যায়, তখন এই পরিমাপকটা অসীম হয়ে যায়। পদার্থবিজ্ঞান অসীম পছন্দ করে না। পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অসীম পাওয়ার অর্থ হচ্ছে এ ক্ষেত্রে ঠিক কী হচ্ছে, পদার্থবিজ্ঞান তা বুঝতে পারছে না।
তাহলে প্রশ্ন হলো এটা কি প্রমাণ করে যে সমীকরণটা ভুল? ঠিক তা না আসলে।
আরও গোড়া থেকে শুরু করা যাক। পদার্থবিজ্ঞানে আসলে আমরা কী করি? গণিত ব্যবহার করে আমরা কতগুলো পরিমাপক সংজ্ঞায়িত করি, যাদের কিছু গাণিতিক আর কিছু ভৌত। ভৌত পরিমাপকগুলো আমরা পরীক্ষাগারে মাপতে পারি। যখন আমরা পরিমাপ করি, তখন এটা জানা আবশ্যক যে পরিমাপের স্কেলটা কী। ম্যাকক্রোসকপিক ইভেন্টে আমরা আসলে মাইক্রোসকপিক্যালি পরিমাপকের সংজ্ঞাটা ব্যর্থ হলো কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করি না। কিন্তু দিন শেষে এটা একটা প্র্যাকটিক্যাল স্ট্যান্ড পয়েন্ট। ধরা যাক, আমরা আসলে জানতে চাই মাইক্রোসকপিক্যালি কী হচ্ছে? লক্ষ করুন যে ‘অসীম’টা আমরা পাচ্ছি, তা আসলে কণাকে বিন্দুর মতো চিন্তা করার জন্য হচ্ছে। এই সমস্যা থেকে বের হতে হলে আমাদের ধরে নিতে হবে, প্রকৃতির একটা সর্বনিম্ন দৈর্ঘ্য আছে। এটাকে আমরা প্ল্যাঙ্ক দৈর্ঘ্য বলি। এটি ১০ টু দ্য পাওয়ার-৩৩ সেন্টিমিটার (দশমিকের পর ৩২টা শূন্য তারপর এক) বা শক্তি এককে ১০ টু দ্য পাওয়ার ১৯ জিইভির (গিগা ইলেকট্রন ভোল্ট) সমান। এখানেই স্ট্রিং থিওরির ব্যুৎপত্তি। স্ট্রিং থিওরি বলে আমাদের প্রকৃতির মৌলিক বিল্ডিং ব্লক হলো এক মাত্রার সুতা বা তন্তুর মতো বস্তু, যার দৈর্ঘ্য প্ল্যাঙ্কের দৈর্ঘ্যের কাছাকাছি।
প্রকৃতির মৌলিক বিল্ডিং ব্লক হচ্ছে শুধুই এক ধরনের অতি ক্ষুদ্র তন্তু (স্ট্রিং)। এই তন্তুর বিভিন্ন ধরনের কম্পনের ফলে ভিন্ন ভিন্ন কণার উৎপত্তি হয়। ছবি: সংগৃহীতপ্রকৃতির মৌলিক বিল্ডিং ব্লক হচ্ছে শুধুই এক ধরনের অতি ক্ষুদ্র তন্তু (স্ট্রিং)। এই তন্তুর বিভিন্ন ধরনের কম্পনের ফলে ভিন্ন ভিন্ন কণার উৎপত্তি হয়। ছবি: সংগৃহীতকণাতত্ত্ব (আরও নির্দিষ্ট করে বললে স্টান্ডার্ড মডেল) থেকে আমরা দেখতে পাই, প্রকৃতিতে ৬০ টির মতো মৌলিক কণা আছে। এই সংখ্যা ‘কণা’কে আমাদের প্রাকৃতিক মৌলিক বিল্ডিং ব্লক দাবি করার জন্য বেশ বড়। মোদ্দা কথা হলো, যা মৌলিক তার সংখ্যা কম হওয়ায় যুক্তিযুক্ত। এই কণার চিড়িয়াখানা মৌলিক বিল্ডিং ব্লক ধারণার পরিপন্থী। ঠিক এই ব্যাপারে স্ট্রিং তত্ত্ব এগিয়ে আসে।
এই তত্ত্ব অনুযায়ী আমাদের প্রকৃতির মৌলিক বিল্ডিং ব্লক হচ্ছে শুধুই একধরনের অতি ক্ষুদ্র তন্তু (স্ট্রিং), আর কিছু না। এই তন্তুর বিভিন্ন ধরনের কম্পনের ফলে ভিন্ন ভিন্ন কণার উৎপত্তি হয়। এভাবেই স্ট্রিং সব কণাকে এক মালায় গাঁথে। আগেই বলা হয়েছে, এই স্ট্রিং খুবই ছোট (১০ টু দ্য পাওয়ার-৩২ বা শক্তি এককে ১০ টু দ্য পাওয়ার ১৪ গিগা ইলেকট্রন ভোল্ট)। পাঠকের সুবিধার্থে এই সংখ্যাগুলো সম্পর্কে একটু অন্যভাবে ধারণা দেওয়া যাক। আমরা সবাই আমাদের সৌরজগৎ সম্পর্কে জানি। আমাদের সৌরজগতের দৈর্ঘ্য (ব্যাস) কী হতে পারে, তার একটা ধারণা আমরা পাই পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব চিন্তা করলে। এখন এ ধরনের বিলিয়ন বিলিয়ন সৌরজগৎ মিলে একটা গ্যালাক্সি হয়। কাজেই তাঁর দৈর্ঘ্য কী হতে পারে, তা কল্পনা করাও কঠিন। এখন এ রকম প্রায় এক বিলিয়ন গ্যালাক্সির দৈর্ঘ্য আমাদের হাতের নখের দৈর্ঘ্যের তুলনায় যে রকম বড়, হাতের নখটা একটা স্ট্রিংয়ের তুলনায় সে রকমই বড়। কাজেই পর্যবেক্ষণ করার কোনো প্রশ্নই আপাতত আসে না।

ড. সাজিদ হক: শিক্ষক ও গবেষক, স্ট্রিং থিওরি অ্যান্ড কসমোলজি, ইউনিভার্সিটি অব উইন্ডসর, কানাডা
ই-মেইল: shajidhaque@gmail.com

২০১৯ সালে চমক দেবে যে ৬ ফোন

২০১৮ সালকে অভিনব ফিচার আর উদ্ভাবনী স্মার্টফোনের বছর বলা যায়। তবে ২০১৯ সালে স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে আরও বেশি অভিনব ফিচার ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি চোখে পড়বে। স্মার্টফোনে যুক্ত হবে অধিক শক্তিশালী প্রসেসর, উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমান সফটওয়্যার। স্মার্টফোনের বাজারে অ্যাপল, স্যামসাং ও গুগল নতুন চমক দেওয়ার জন্য তৈরি। নতুন বছরে চমক হয়ে আসতে পারে—এমন ৬টি ফোন সম্পর্কে জেনে নিন:
সম্ভাব্য নতুন আইফোনসম্ভাব্য নতুন আইফোন
আইফোন ১১
আইফোন এক্স বা টেনের পর কি আইফোন ১১? অ্যাপল এখনো এ রকম কোনো ঘোষণা দেয়নি। তবে নতুন বছর মানেই নতুন আইফোন। ২০১৯ সালেও নতুন আইফোন বাজারে ছাড়বে অ্যাপল। ২০১৮ সালে ‘বিশ্বের এক নম্বর স্মার্টফোন’ বাজারে আনার দাবি করেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক। গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় এক অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালের জন্য তিনটি নতুন মডেলের আইফোনের ঘোষণা দেন তিনি। নতুন এ আইফোন ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই প্রযুক্তি বিশ্বে গুঞ্জন ছিল। আইফোন এক্সএস, এক্সএস ম্যাক্স, আইফোন এক্সআর নামের তিনটি নতুন মডেলের আইফোন এনে চমক দেয় অ্যাপল। ২০১৯ সালেও নতুন আইফোন এনে চমক দেবে অ্যাপল। ২০১৯ সালের আইফোনের মডেলগুলোয় উন্নত ক্যামেরা আর বেজেলহীন ডিসপ্লেতে গুরুত্ব দিতে পারে মার্কিন প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
Ispahani Tea
সম্ভাব্য গ্যালাক্সি এস১০সম্ভাব্য গ্যালাক্সি এস১০
গ্যালাক্সি এস১০
আগামী বছর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্যামসাং বাজারে আনবে গ্যালাক্সি সিরিজের নতুন চমক। আগামী ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে গ্যালাক্সি সিরিজে ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন হিসেবে এস১০-এ এস১০ প্লাসের ঘোষণা দিতে পারে বিশ্বের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। নতুন স্মার্টফোনে উদ্ভাবনী ফিচারের পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তি ডিসপ্লে যুক্ত করবে স্যামসাং। কবে আসবে ভাঁজ করা স্মার্টফোন? এ প্রশ্ন অনেকেরই। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভাঁজ করা যাবে—এমন ফোন তৈরি করছে বলে অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন রয়েছে। কিন্তু এখনো সে ‘চমক’ বাজারে ছাড়েনি। তবে বিশ্লেষকেরা আশা করছেন, খুব বেশি দেরি নেই, আগামী বছরেই চমক দেবে স্যামসাং। ২০১৯ সালে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে ওই ফোনের ঘোষণা দিতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। অবশ্য ভাঁজ করা ওই স্মার্টফোন মডেল বাজারে আসার আগে স্যামসাংয়ের আরেকটি ‘চমক’ নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। সেটি হচ্ছে গ্যালাক্সি সিরিজে এস৯-এর পরবর্তী সংস্করণ, অর্থাৎ এস১০ মডেল। প্রতিষ্ঠানটির ডিসপ্লে উন্নয়ন ও উৎপাদন বিভাগ নতুন ধরনের ডিসপ্লে তৈরি করছে, যা শব্দ নির্গত করতে পারে। অর্থাৎ একে বলা হচ্ছে ‘সাউন্ড-এমিটিং’ ডিসপ্লে প্রযুক্তি। আগামী বছরের নতুন স্মার্টফোনে এ প্রযুক্তির ডিসপ্লে ব্যবহৃত হতে পারে। নতুন ডিসপ্লে প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে স্মার্টফোনে বেজেল কমানো যাবে এবং স্ক্রিনে আরও জায়গা বাড়বে। ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এস১০-এ এটি দেখা যেতে পারে।

ওয়ানপ্লাসের ৫জি ফোনওয়ানপ্লাসের ৫জি ফোন
ওয়ানপ্লাস ৫জি স্মার্টফোন
চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা ওয়ানপ্লাস আগামী বছর চমক নিয়ে হাজির হতে পারে। প্রতিবছরই স্মার্টফোন নির্মাতা ওয়ানপ্লাস দুটি করে ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ে। এ ফোনগুলোকে ফ্ল্যাগশিপ কিলার বলা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ওয়ানপ্লাস তাদের নতুন একটি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন রিলিজ করবে, যার নাম হবে ওয়ানপ্লাস ৭। ফোন অ্যারেনার প্রতিবেদনে অনুযায়ী, আগামী বছরের সম্ভাব্য ওয়ানপ্লাস ৭ স্মার্টফোনটি হবে পৃথিবীর প্রথম ৫জি নেটওয়ার্ক-সমর্থিত স্মার্টফোন। ২০১৮ সালে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে ওয়ানপ্লাসের প্রধান নির্বাহী পিট লাউ বলেন, মার্কিন টেলিকম প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৫জি স্মার্টফোন তৈরিতে কাজ করছেন তাঁরা।
নকিয়া ৯-এর পেছনে থাকবে ৫ ক্যামেরানকিয়া ৯-এর পেছনে থাকবে ৫ ক্যামেরা
নকিয়া ৯
২০১৮ সালটি নকিয়ার ব্র্যান্ডের জন্য দুর্দান্ত একটি বছর। এ বছর ফিনল্যান্ডের এইচএমডি গ্লোবাল নকিয়া ব্র্যান্ডের এক ডজন স্মার্টফোন বাজারে এনেছে। আগামী বছরে স্মার্টফোনের বাজারে আরও চমক দেখাতে চাইছে ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানটি। আগামী বছর নতুন ফ্ল্যাগশিপ ফোন হিসেবে নকিয়া ৯ বাজারে ছাড়বে এইচএমডি গ্লোবাল। এ ফোনের পেছনে ৫ ক্যামেরা সেটআপ থাকবে, যা বিশ্বের প্রথম। নকিয়ার হাত ধরেই ফোনের পেছনে ৫ ক্যামেরার শুরু হতে চলেছে আগামী বছর।
৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা শাওমি ফোন৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা শাওমি ফোন
শাওমি রেডমি প্রো ২
স্মার্টফোনের ক্যামেরা নিয়ে আগামী বছর চমক দেওয়ার অপেক্ষায় আছে চীনের আরেক স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমি। ফোনের পেছনে ৪৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে শাওমি। তাদের ফ্ল্যাগশিপ ফোন রেডমি প্রো ২ মডেলে যুক্ত হবে এ ফিচার। এই ফোনে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৬৭৫ মডেলের চিপসেট ব্যবহৃত হবে। নতুন রেডমি ফোনের একটি টিজার প্রকাশ করেছে শাওমি। এই টিজার অনুযায়ী, রেডমি প্রো ২ মডেলের ফোনের মূল আকর্ষণ হলো এর ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। চীনের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই টিজার অনুযায়ী, এই ফোনের ডিজাইনে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে চলেছে শাওমি। ফোনটির সেলফি ক্যামেরার ডিজাইনেও কিছু পরিবর্তন করা হতে পারে। ডুয়েল রিয়ার ক্যামেরার এ ফোনে উচ্চমানের ছবি তোলার জন্য থাকবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সমর্থন। থাকবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর আর ফেস আনলক ফিচার।

গুগল পিক্সেল ফোনগুগল পিক্সেল ফোন
গুগল পিক্সেল ফোন
অ্যাপলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে প্রতিবছর নতুন ফিচারের ফোন বাজারে ছাড়ছে গুগল। আগামী বছরেও দেখা যাবে গুগলের পিক্সেল ফোন। গুগল অবশ্য নতুন পিক্সেল ফোন সম্পর্কে এখনো কিছু জানায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর ক্যামেরা সুবিধা নিয়ে আগামী বছর নতুন পিক্সেল ফোন দেখা যাবে।

আইফোনের চাহিদা আরও কমছে

আইফোন এক্সএস ম্যাক্সআইফোন এক্সএস ম্যাক্সবিশ্বজুড়ে আইফোনের চাহিদা কমছে। ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে আইফোনের চাহিদা আরও কমবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিটি রিসার্চের বিশ্লেষণে আইফোনের চাহিদা কমতে দেখা হেছে। বিশেষ করে ২০১৯ সালের প্রথম তিন মাসে আইফোন এক্সএস ম্যাক্সের চাহিদা কমবে।
চিটি রিসার্চ জানিয়েছে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে আইফোনের চাহিদার যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, প্রকৃতপক্ষে তা কমে যাবে। ওই সময় পাঁচ কোটি ইউনিটের পরিবর্তে সাড়ে চার কোটি ইউনিট আইফোনের চাহিদা থাকবে। এর মধ্যে সাড়ে ছয় ইঞ্চি মাপের আইফোন এক্সএস ম্যাক্সের চাহিদা ৪৮ শতাংশ কমবে।
Ispahani Tea
চিটির বিশ্লেষক উইলিয়াম ইয়াং বলেছেন, আইফোনের চাহিদা কমবে, যা সাপ্লাই চেইন ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর নয়।

আইফোন এক্সএস ম্যাক্স অ্যাপলের সবচেয়ে দামি ফোন। এর দাম শুরু হচ্ছে ১ হাজার ৯৯ মার্কিন থেকে।
এর আগেও আইফোনের চাহিদা কমার খবর প্রকাশ করেছিল প্রযুক্তিবিষয়ক সাইটগুলো। এর আগে ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপলের পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম জাপান ডিসপ্লে। প্রতিষ্ঠানটির মোট রাজস্বের অর্ধেকের বেশি আসে অ্যাপলের কাছে সরঞ্জাম বিক্রির মাধ্যমে। আইফোনের চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি তাদের রাজস্ব পূর্বাভাস কমিয়েছে। এ ছাড়া আইফোনের ফেসিয়াল রিকগনিশন সেন্সর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লুমেনটাম হোল্ডিংসও তাদের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রাজস্ব পূর্বাভাস কমিয়েছে।
ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্সের বিশ্লেষক উ জিন হো বলেন, অ্যাপলের ওপর তাঁদের পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি নির্ভরশীল। এর ফলে সাপ্লাই চেইনে ক্রমবর্ধমানভাবে ঝুঁকি বাড়ছে।
গত নভেম্বরে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাশ্রয়ী দামের আইফোন হিসেবে বাজারে আসা এক্সআর মডেলের চাহিদা কম। নতুন আইফোনের নির্মাতা ফক্সকন ও পেগাট্রনকে উৎপাদন কমাতে বলেছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি প্রয়োজনে ছোট প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত রেখেছে অ্যাপল। শুরুতে আইফোন এক্সআর মডেলের জন্য ৬০টি প্রডাকশন লাইন প্রস্তুত রেখেছিল ফক্সকন। কিন্তু চাহিদা কম থাকায় বর্তমানে ৪৫টি প্রডাকশন লাইনে কাজ হচ্ছে।
শুধু আইফোন এক্সআর মডেল নয়, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে যে নতুন তিন মডেলের আইফোনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, সব কটির উৎপাদন কমিয়েছে অ্যাপল।
ওয়াল স্ট্রিটের বিশ্লেষকেরা নতুন আইফোনের চাহিদা সম্পর্কে যে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, অ্যাপল তার চেয়েও কম ডিভাইস বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। বিষয়টি বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নির্মাতাদের জন্যও সতর্কবার্তা হিসেবে এসেছে। নতুন ফোনের চাহিদা কমে যাওয়ায় স্ক্রিন নির্মাতা জাপান ডিসপ্লে ইনকরপোরেশন তাদের পুরো বছরের পরিকল্পনা পরিবর্তন করেছে।

অ্যাপলের তিনটি মডেলের নতুন আইফোনের মধ্যে সবচেয়ে চাহিদা কম আইফোন এক্সআরের। অ্যাপল এ মডেলের আইফোনের উৎপাদন এক-তৃতীয়াংশ কমিয়েছে। গত অক্টোবর মাস থেকে এই মডেলের আইফোন বিক্রি শুরু করে অ্যাপল। সেপ্টেম্বর থেকে বিক্রি শুরু হয় আইফোন এক্সএস ও আইফোন এক্সএস ম্যাক্সের।

ফেসবুকে যে প্রতারণা বেড়েই চলেছে

ফেসবুকে যে প্রতারণা বেড়েই চলেছে
ফেসবুক মেসেঞ্জারে এভাবে বার্তা দিয়ে টাকা চাওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত।ফেসবুক মেসেঞ্জারে এভাবে বার্তা দিয়ে টাকা চাওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত।ফেসবুকের মেসেঞ্জারে কেউ টাকা চাইলে তার পরিচয় আগে নিশ্চিত হয়ে নিন। এখন সাইবার দুর্বৃত্তরা ফেসবুকে প্রতারণার ফাঁদ পেতে রেখেছে। সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে ঘনিষ্ঠ ও পরিচিতজনের ছদ্মবেশে ফেসবুক মেসেঞ্জারে টাকা চাওয়ার হার বেড়ে গেছে। ফেসবুকের এই স্ক্যাম ব্যবহারকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে।বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এত দিন এ ধরনের প্রতারণার ফাঁদে পড়ছিলেন। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে এ ধরনের প্রতারণা বেড়ে গেছে। যুক্তরাজ্যের দ্য সান ডটকো ডটইউকে অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবারের ঘনিষ্ঠজনের ছদ্মবেশে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। জরুরি প্রয়োজনের কথা বলে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে অর্থ চাইছে। তারপর যেকোনো মাধ্যমে জরুরি কিছু টাকা পাঠাতে বলছে।
প্রতিবদেনে বলা হয়, দুর্বৃত্তদের টাকা চাওয়ার ধরন একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম হয়। কারও কাছে বান্ধবীর ভান ধরে বা কারও কাছে পরিবারের সদস্যদের ছদ্মবেশ ধরে জরুরি প্রয়োজনের কথা বলা হচ্ছে। কোথাও কোথাও লটারিতে অংশ নেওয়ার কথা বলে বা কোথাও থেকে অর্থ পাওয়ার লোভ দেখিয়ে কিছু বিনিয়োগের কথাও বলা হচ্ছে।
কুইন্সল্যান্ডের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেহেতু পরিচিতজনের কাছ থেকে বার্তা আসে, তাই অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে যান। তাঁরা বিশ্বাস করে বসেন। কিন্তু এ ধরনের বার্তা পাঠায় স্ক্যামার বা সাইবার প্রতারকেরা। যে অ্যাকাউন্ট থেকে বার্তা পাঠানো হয়, সেটি তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বা ছবি ও তথ্য হাতিয়ে নিয়ে ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করে তারা এ অপকর্ম করে।
গত বছর শুধু অস্ট্রেলিয়া থেকেই রেকর্ড পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। গত বছর ১৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার সাইবার অপরাধীদের পকেটে গেছে। ফেসবুকের সাম্প্রতিক স্ক্যাম নিয়ে তাই দেশটিতে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকেই ফেসবুক মেসেঞ্জারে আলাপের সময় কার সঙ্গে কথা বলছেন, তা বুঝতে পারেন না। অনেক ক্ষেত্রে হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্ট থেকে দুর্বৃত্তরাও ছদ্মবেশে কথা বলতে পারে। অনেক সময় দুর্বৃত্তরা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে ই-মেইলে ভুয়া লিংক পাঠিয়ে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে বলে। পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়ে অন্য বন্ধুদের কাছে কৌশলে অর্থ চাইতে থাকে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ধরনের প্রতারণা ঠেকাতে তাদের নির্দিষ্ট টিম আছে। ফেসবুকের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে এ খাত ক্রমেই উন্নতি করে যাচ্ছে তারা।
প্রতারণা থেকে সুরক্ষা পেতে পরামর্শ 
Ispahani Tea
এ ধরনের প্রতারণা ঠেকাতে ফেসবুকে ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ যোগ করা যেতে পারে, যা অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি কঠিন করে তুলবে। ফেসবুকে এ সুবিধা থাকলেও তা ডিফল্ট আকারে নেই। ম্যানুয়ালি ঠিক করে নিতে হবে।


বন্ধু বা ঘনিষ্ঠ কারও পরিচয়ে টাকা চাইলে আগে তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে বা অন্য কোনো উপায়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নিন। তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে কি না, জেনে নিন।
যাঁদের কোনো অ্যাকাউন্ট নিয়ে সন্দেহ হবে, তাঁরা অবশ্যই ফেসবুককে অভিযোগ জানাবেন। কখনো নিশ্চিত না হয়ে অর্থ পাঠাবেন না।
ফেসবুকের কোনো পোস্ট বা বার্তা যদি কৌশলে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করে বা অর্থ চায়, তবে https://www.facebook.com/help/reportlinks এই লিংকে অভিযোগ করা যাবে।
যাঁদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হবে তাঁরা যাবেন এই লিংকে facebook.com/hacked
ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা পরীক্ষা করতে যেতে পারেন https://newsroom.fb.com/news/ 2015/07/enhancing-security-with-a-quick-checkup/
ফেসবুকের সেটিংস পরীক্ষা করতে যেতে পারেন facebook.com/settings
তথ্যসূত্র: এবিসি নিউজ।

ফেসবুকের বড় বড় কাজ পাচ্ছে ভারতীয় কোম্পানিগুলো

ফেসবুকের বড় বড় কাজ পাচ্ছে ভারতীয় কোম্পানিগুলো
  
ফেসবুকফেসবুকফেসবুকের এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তাদের প্ল্যাটফর্মে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দেশে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটিকে। তাদের এ সমস্যা সমাধানে এবার ভারতের কয়েকটি তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিকে কাজ দিচ্ছে ফেসবুক।
Ispahani Tea
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন থেকে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ফেসবুকের কনটেন্ট সম্পাদনার পাশাপাশি তথ্য বিশ্লেষণ বা ডেটা অ্যানালাইসিস, ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে মানি লন্ডারিংবিরোধী কার্যক্রম চালাবে। বিশ্বজুড়ে ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে গুজব ও প্রতারণা বেড়ে যাওয়ায় সমালোচনা ঠেকাতে ফেসবুক এ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনে ফেসবুক থেকে তথ্য নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে কাজে লাগানোর অভিযোগ ওঠে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার বিরুদ্ধে। পরে যা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। ওই ঘটনায় ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ফেসবুকের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও কনটেন্ট পর্যালোচনার জন্য ২০ হাজার কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানান জাকারবার্গ। 
ভারতে ভুয়া খবর ছড়ানো ঠেকাতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করে এবং এ বিষয়ে উদ্বেগ জানায় দেশটির সরকার। দেশটিতে ২৯ কোটি ৪০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ভারতের গ্যাজেটস নাউ ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এইচসিএল টেকনোলজিস, উইপ্রো ও টেক মাহিন্দ্রাকে কনটেন্ট মডারেশন বা ফেসবুকের বিভিন্ন কনটেন্ট সম্পাদনার জন্য কাজ দিতে যাচ্ছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এসব প্রতিষ্ঠানকে আউটসোর্সিং কাজ হিসেবে কনটেন্ট সম্পাদনার কাজ দেওয়া হতে পারে।
কয়েক মাস আগে ধরেই ভারতীয় কোম্পানি জেনপ্যাক্ট ও অ্যাকসেঞ্চারে সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে ফেসবুক। ভারতীয় একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ৪০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থমূল্যের চুক্তি করেছে ফেসবুক। শুরুতে প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটিয়ে এ সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছিল ফেসবুক। কিন্তু তাতে সমস্যা সমাধান না হওয়ায় এখন ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন কর্মীর মাধ্যমে ভুয়া খবর ধরার কাজ করতে চাইছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুকের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে অবশ্য ফেসবুক বা ভারতের কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বা কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১৮

Radio Tangail

Radio Tangail

Player Settings Tune In With Your Media Player Embed

all Time Music

YOUR ONE AND ONLY ENDTIME RADIO STATION PREPARING THE WAY FOR THE THE STATION WITH A DIFFERENCE!. THE DAY IS NEAR ROMANS 13:11 And do this, understanding the present time: The hour has already come for you to wake up from your slumber, because our salvation is nearer now than when we first believed. 12 The night is nearly over; the day is almost here. So let us put aside the deeds of darkness and put on the armor of light. 13 Let us behave decently, as in the daytime, not in carousing and drunkenness, not in sexual immorality and debauchery, not in dissension and jealousy. 14 Rather, clothe yourselves with the , and do not think about how to gratify the desires of the flesh. this is online radio Tangail this is online radio Tangail








রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

BPSC Senior Staff Nurse Job Exam Result Published

BPSC Senior Staff Nurse Job Exam Result Published now

http://www.bpsc.gov.bd/
http://www.bpsc.gov.bd/site/view/psc_exam/Non-Cadre%20Examination/%E0%A6%A8%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BEBPSC Senior Staff Nurse Exam Seat Plan published. The Senior Staff Nurse Exam date is 09 February, 2018. Candidates can see the exam seat plan in our site. The Senior Staff Nurse Exam will start on 10 am. Candidates must report in exam hall at 9.20 am. They will be given answer sheet at 9.30 am. In the answer sheet you must fill up the required fields. It is at just 10 am, you will get your question paper. We will update the Senior Staff Nurse Exam question solution here after exam.
http://bpsc.portal.gov.bd/sites/default/files/files/bpsc.portal.gov.bd/psc_exam/4bde9ab1_56a9_41b3_a671_fa1ca10a5037/nce_result_1802131435.pdf
Senior Staff Nurse Exam Result 2018 will be published soon after the exam. It is recruitment under health and family welfare ministry. BPSC Senior Nurse Job Exam Date Result. BPSC Senior Staff Nurse Job Circular 2017 published for total 4000 posts. This is non permanent job. Health and Family Welfare Ministry Senior Nurse Job Circular has been published on www.bpsc.gov.bd . Health and Family Welfare Ministry will take up for work 4000 Senior Staff Nurse this year. Health and Family Welfare Job Circular Published on 10 August, 2017. Online Application deadline of Senior Staff Nurse is over. Application fee was 500 taka. It is exam time. After job exam, we will wait for BPSC Senior Staff Nurse Exam Result 2018.