ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার
ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার
অ- অ অ+
অতিরিক্ত ওজন হোক বা না হোক, আমরা সকলেই বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্তি পেতে চাই। আপনি অবশ্যই জুস ডিটক্স, সালাদ ডিটক্স সম্পর্কে শুনেছেন, কিন্তু আপনি কি আপেল সিডার ভিনেগার ডিটক্সের কথা শুনেছেন? কিছু মশলার সাথে আপেল সিডার ভিনেগার একটি মিশ্রণ হল নতুন শুদ্ধি যা লোকেদের ওজন কমানোর চেষ্টা করছে।
ডিটক্স জনগণের ওজন হ্রাস করতে, তাদের কোলেস্টেরল কমাতে, রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে, রক্তচাপকে হ্রাস করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং শরীরের পিএইচ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
১–২ টেবিল-চামচ কাঁচা ছাপানো আপেল সিডার ভিনেগার, ২৫০ মিলি বিশুদ্ধ পানি এবং ১- ২ টেবিল চামচ সুইটেনার্স (মধু, ম্যাপেল সিরাপ বা স্টেভিয়া) নিন। সুবিধার জন্য অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (সপ্তাহ বা মাস) নিয়মিত এটি গ্রহণ করতে হবে।
২০০৯ সালে পরিচালিত একটি জাপানি গবেষণায় ১৫৫ জনকে নিয়ে গবেষণা করা হয়েছিল। এই লোকদের তিনটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছিল যার একটি গ্রুপের একটি প্লাসবো ছিল, অন্য গ্রুপে ছিল ১ টেবিল চামচ এসিভি এবং তৃতীয় গ্রুপে ২ টেবিল চামচ এসিভি রয়েছে।
১২ সপ্তাহ পরে, এটি পাওয়া গেছে যে প্ল্যাসেবো ছিল এমন লোকেরা কোনও ওজন কমাতে পারেনি। যাদের ভিনেগার ছিল তারা অধ্যয়ন শেষে ২–৪ পাউন্ড কমিয়েছিলেন। আপেল সিডার ক্লিনসকে ব্যয় করা হয় বলে বলা হয়, যা আপনাকে ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে। ভিনেগারের অম্লতা কম পিএইচ এবং ধীরে ধীরে হজমকে সক্রিয় করতে পারে। ধীরে ধীরে হজম মানে পরিপূর্ণ হয়।
IT IS HOT NEWS. Some information and news unknown to everyone. Which is only possible in F S S T S T L. SO keeps watching and keeps telling others.
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯
আরবদের বহু বিবাহ প্রথা ও কিছু কথা
আরবদের বহু বিবাহ প্রথা ও কিছু কথা
আরবদের বহু বিবাহ প্রথা ও কিছু কথা
অ- অ অ+
বিয়ে একটি সামাজিক ও ধমীয় প্রথা। তবে একাধিক বিয়ে নিয়ে রয়েছে নানা মত। একাধিক বিয়ে নিয়ে কেউ সুখী আবার কেউ বা দুঃখী। যেমন, আমিরাতের (ইউএই) আরবদের একাধিক বিয়ে সংক্রান্ত ধ্যান-ধারণা কৌতুহলোদ্দীপক। একাধিক বিয়ে বা বউ নিয়ে তারা অত্যধিক সুখী না হলেও দুঃখী কাউকে দেখা যায় না। একাধিক বিয়ে নিয়ে আরবদের অনেকেই তেমন কিছু বলতে চান না। তবে অনেক ঘনিষ্ঠজনের কাছে প্রসঙ্গক্রমে বলেন অনেক কিছুই- সেসব থেকে জানা কিছু কিছু বিসয় তুলে ধরা হরো এখানে।
আমিরাতে বিয়ে করতে গেলে কনে পক্ষকে বিপুল পরিমাণ মোহরানার অর্থ দিতে হয়। এ কারণে বেশ কিছু আরব স্থানীয় আরব মেয়ের পরিবর্তে ভিনদেশি মেয়েদের বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। আর আরব মেয়েরাও এতে তেমন একটা পিছিয়ে নেই। অবশ্য এখন অনেকেই একাকী জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। তাদের মতে সতীনের সঙ্গে ঘর করার চেয়ে একা থাকাই ভালো। এ কারণে অনেক আরব মেয়ে বিয়ে করেননি।
আবার অনেকে বিয়ে করে কিছুদিন সংসার করে পিতৃগৃহে বা নিজ ঘরে বসে আছেন। এখানে তালাক দেওয়া-নেওয়ার ঘটনা প্রচুর। যাদের ঘরে তিন-চারটা মেয়ে রয়েছে, তাদের ২-১ জনের বিয়ে হলেও ঘুরে ফিরে আবার তাদের বাপের বাড়িতেই দেখা যায়।
আহমদ আল শামসির (ছদ্মনাম) বয়স ৩৪, একটা কম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, তার দুজন স্ত্রী এবং চারটি সন্তান। বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতেই বলে ওঠেন, “এখন পর্যন্ত দুটো। তবে চারটা পর্যন্ত করার ইচ্ছে। এখন দুইজনকে দুই ঘরে রাখি, ঝামেলা তেমন একটা হয় না।" কৌশলে সব কিছু ম্যানেজ করেন বলে জানান তিনি। তার বাবার, শ্বশুরের আর দাদারও দুটো করে বউ ছিল বলে জানান।
এস হারিবের (ছদ্মনাম) বয়স ৩২, একটি সরকারি অফিসের বিশেষ বিভাগের প্রধান। বিয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে জানান, বউ তার একটাই। তবে ছয়জন ছেলেমেয়ে। ২২ বছর বয়সে নিজের কাজিনকে বিয়ে করেন তিনি।
হারিব আরও জানান, তার বাবার তিন বউ, শ্বশুরের চার বউ। আর বিয়ে করবেন কিনা জানতে চাইলে জানান, অন্তত দুই থেকে তিনটি বিয়ে করবেন তিনি। তবে এখন নয়- তা হবে চল্লিশের পর।
তিনি আরো জানান, তার তিনটি মোবাইল, একটি মোবাইলে তিন চারজন গার্ল ফ্রেন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ। পরে হয়তো এদের কাউকে বিয়ে করতে পারেন বলে জানান। বউয়ের সঙ্গে এদের কোনো সমস্যা হবে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি জানান, এসব কিছু ম্যানেজ করতে হবেই। শুধু বাড়ি, গাড়ি আলাদা করে দিলেই হলো। তবে তার বউ নাকি নিশ্চিত তার আরো দুই তিনজন সতীন আসবে।
আবু জিদান (ছদ্ম নাম) অর্থাৎ জিদানের বাবার বয়স ৫২ বছর। তার ছেলের নাম জিদান তাই তাকে সবাই আবু জিদান বলেই ডাকেন। আরবে কোনো ব্যক্তিকে তার বড় ছেলের নামের আগে আবু যুক্ত করে ডাকার রেওয়াজ রয়েছে। আবু জিদান একজন চৌকস ব্যবসায়ী, ঘরে রয়েছে তিনজন বউ। আলাদা দুই বাড়িতে দুই বউকে, আর তৃতীয়জনকে রেখেছেন একটি ফ্লাটে। ছেলেমেয়েদের কথা জিজ্ঞেস করতেই মুচকি হেসে বলেন, “অনুমান করেন, কয়টি হবে?” বললাম, “১০ জন হবে।” মুচকি হেসে ‘হাঁ’ বললেন এ বুড়ো খোকা।
জানলাম, কয়েক মাস পূর্বে জর্ডান থেকে আরেকটি বিয়ে করে নিয়ে এসেছেন। তার আগে আনলেন মরক্কো থেকে একটি। কেন এসব করছেন- জিজ্ঞেস করলে বলেন, “মন তো আরো বেশি চায়।”
সালমা আলীর (ছন্দনাম) বয়স ৩৬। একটি সরকারি অফিসে ভালো চাকরি করতেন। চার সন্তান নিয়ে আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন তিনি। চাকরির সুবাদে আলাপ ও দেখা হত ২৬ বছরের যুবক আলীর সঙ্গে। প্রতিদিনের আলাপে ফেঁসে যান আলী। একদিন সালমা আলীর ঘরে বউ হয়ে আসেন। তাদের রয়েছে এখন চারটি ছেলেমেয়ে। আগের ঘরের ছেলেরাও মায়ের সঙ্গে থাকেন। সালমা জানেন, সুযোগ বুঝে আলীও কয়েকটি বিয়ে করবেন।
তবে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে একাধিক প্রেমের প্রবণতা প্রবল থাকলেও বিয়ের প্রবণতা অনেক কমেছে। আরবের অনেক শেখের উপযুক্ত ছেলেরাও এখনো বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান না। যাদের পেতে বা বিয়ে করতে অনেক মেয়েই পাগল। আরবের নতুন প্রজন্মও বোঝে, বিয়ে বা বহু বিবাহ সব সমস্যার সমাধান নয়। বহু বিবাহ তাদের রীতি; বাপ দাদারা করে এসেছেন, তাই তারা করেন। কিন্তু এখন অনেকেই এক বউ বা এক সংসারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। যদিও নারী আসক্তিটা তাদের কমবেশি রয়েছেই।
মন্তব্য
আরবদের বহু বিবাহ প্রথা ও কিছু কথা
অ- অ অ+
বিয়ে একটি সামাজিক ও ধমীয় প্রথা। তবে একাধিক বিয়ে নিয়ে রয়েছে নানা মত। একাধিক বিয়ে নিয়ে কেউ সুখী আবার কেউ বা দুঃখী। যেমন, আমিরাতের (ইউএই) আরবদের একাধিক বিয়ে সংক্রান্ত ধ্যান-ধারণা কৌতুহলোদ্দীপক। একাধিক বিয়ে বা বউ নিয়ে তারা অত্যধিক সুখী না হলেও দুঃখী কাউকে দেখা যায় না। একাধিক বিয়ে নিয়ে আরবদের অনেকেই তেমন কিছু বলতে চান না। তবে অনেক ঘনিষ্ঠজনের কাছে প্রসঙ্গক্রমে বলেন অনেক কিছুই- সেসব থেকে জানা কিছু কিছু বিসয় তুলে ধরা হরো এখানে।
আমিরাতে বিয়ে করতে গেলে কনে পক্ষকে বিপুল পরিমাণ মোহরানার অর্থ দিতে হয়। এ কারণে বেশ কিছু আরব স্থানীয় আরব মেয়ের পরিবর্তে ভিনদেশি মেয়েদের বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। আর আরব মেয়েরাও এতে তেমন একটা পিছিয়ে নেই। অবশ্য এখন অনেকেই একাকী জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। তাদের মতে সতীনের সঙ্গে ঘর করার চেয়ে একা থাকাই ভালো। এ কারণে অনেক আরব মেয়ে বিয়ে করেননি।
আবার অনেকে বিয়ে করে কিছুদিন সংসার করে পিতৃগৃহে বা নিজ ঘরে বসে আছেন। এখানে তালাক দেওয়া-নেওয়ার ঘটনা প্রচুর। যাদের ঘরে তিন-চারটা মেয়ে রয়েছে, তাদের ২-১ জনের বিয়ে হলেও ঘুরে ফিরে আবার তাদের বাপের বাড়িতেই দেখা যায়।
আহমদ আল শামসির (ছদ্মনাম) বয়স ৩৪, একটা কম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, তার দুজন স্ত্রী এবং চারটি সন্তান। বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতেই বলে ওঠেন, “এখন পর্যন্ত দুটো। তবে চারটা পর্যন্ত করার ইচ্ছে। এখন দুইজনকে দুই ঘরে রাখি, ঝামেলা তেমন একটা হয় না।" কৌশলে সব কিছু ম্যানেজ করেন বলে জানান তিনি। তার বাবার, শ্বশুরের আর দাদারও দুটো করে বউ ছিল বলে জানান।
এস হারিবের (ছদ্মনাম) বয়স ৩২, একটি সরকারি অফিসের বিশেষ বিভাগের প্রধান। বিয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে জানান, বউ তার একটাই। তবে ছয়জন ছেলেমেয়ে। ২২ বছর বয়সে নিজের কাজিনকে বিয়ে করেন তিনি।
হারিব আরও জানান, তার বাবার তিন বউ, শ্বশুরের চার বউ। আর বিয়ে করবেন কিনা জানতে চাইলে জানান, অন্তত দুই থেকে তিনটি বিয়ে করবেন তিনি। তবে এখন নয়- তা হবে চল্লিশের পর।
তিনি আরো জানান, তার তিনটি মোবাইল, একটি মোবাইলে তিন চারজন গার্ল ফ্রেন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ। পরে হয়তো এদের কাউকে বিয়ে করতে পারেন বলে জানান। বউয়ের সঙ্গে এদের কোনো সমস্যা হবে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি জানান, এসব কিছু ম্যানেজ করতে হবেই। শুধু বাড়ি, গাড়ি আলাদা করে দিলেই হলো। তবে তার বউ নাকি নিশ্চিত তার আরো দুই তিনজন সতীন আসবে।
আবু জিদান (ছদ্ম নাম) অর্থাৎ জিদানের বাবার বয়স ৫২ বছর। তার ছেলের নাম জিদান তাই তাকে সবাই আবু জিদান বলেই ডাকেন। আরবে কোনো ব্যক্তিকে তার বড় ছেলের নামের আগে আবু যুক্ত করে ডাকার রেওয়াজ রয়েছে। আবু জিদান একজন চৌকস ব্যবসায়ী, ঘরে রয়েছে তিনজন বউ। আলাদা দুই বাড়িতে দুই বউকে, আর তৃতীয়জনকে রেখেছেন একটি ফ্লাটে। ছেলেমেয়েদের কথা জিজ্ঞেস করতেই মুচকি হেসে বলেন, “অনুমান করেন, কয়টি হবে?” বললাম, “১০ জন হবে।” মুচকি হেসে ‘হাঁ’ বললেন এ বুড়ো খোকা।
জানলাম, কয়েক মাস পূর্বে জর্ডান থেকে আরেকটি বিয়ে করে নিয়ে এসেছেন। তার আগে আনলেন মরক্কো থেকে একটি। কেন এসব করছেন- জিজ্ঞেস করলে বলেন, “মন তো আরো বেশি চায়।”
সালমা আলীর (ছন্দনাম) বয়স ৩৬। একটি সরকারি অফিসে ভালো চাকরি করতেন। চার সন্তান নিয়ে আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন তিনি। চাকরির সুবাদে আলাপ ও দেখা হত ২৬ বছরের যুবক আলীর সঙ্গে। প্রতিদিনের আলাপে ফেঁসে যান আলী। একদিন সালমা আলীর ঘরে বউ হয়ে আসেন। তাদের রয়েছে এখন চারটি ছেলেমেয়ে। আগের ঘরের ছেলেরাও মায়ের সঙ্গে থাকেন। সালমা জানেন, সুযোগ বুঝে আলীও কয়েকটি বিয়ে করবেন।
তবে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে একাধিক প্রেমের প্রবণতা প্রবল থাকলেও বিয়ের প্রবণতা অনেক কমেছে। আরবের অনেক শেখের উপযুক্ত ছেলেরাও এখনো বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান না। যাদের পেতে বা বিয়ে করতে অনেক মেয়েই পাগল। আরবের নতুন প্রজন্মও বোঝে, বিয়ে বা বহু বিবাহ সব সমস্যার সমাধান নয়। বহু বিবাহ তাদের রীতি; বাপ দাদারা করে এসেছেন, তাই তারা করেন। কিন্তু এখন অনেকেই এক বউ বা এক সংসারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। যদিও নারী আসক্তিটা তাদের কমবেশি রয়েছেই।
মন্তব্য
অফিস পৌঁছাতে দেরি হলে অনীহা বাড়ে কাজে!
অফিস পৌঁছাতে দেরি হলে অনীহা বাড়ে কাজে!
অফিস পৌঁছাতে দেরি হলে অনীহা বাড়ে কাজে!
অ- অ অ+
বাড়ি থেকে সময়মতোই বের হচ্ছেন। তারপরও নির্দিষ্ট সময়ের পরে অফিসে পৌঁছাচ্ছেন। নিজেকে দোষারোপ করছেন। সে সঙ্গে অফিসও বাঁকা চোখে দেখছে আপনাকে। তা নিয়ে আপনি নিশ্চয়ই অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে থাকেন। ভাববেন না, আপনার মতো এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে যাদের অফিস পৌঁছানোর সময় এতটাই বেশি যে পৌঁছনোর পর অফিসের কাজ হয়ে ওঠে অসহ্য।
আবার দিনে দিনে যানজটের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তার জ্যাম টপকে অফিস পৌঁছানো এবং বাড়ি ফেরা অসম্ভভ ক্লান্তিকর। আর এই বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ একটি গবেষণা করেছে। তাতে দেখা গেছে, যতটা সময় ধরে কেউ অফিস পৌঁছান, তার জব স্যাটিসফেকশন ততটাই কম। অফিসের কাছে যার বাড়ি তার থেকে অনেকাংশেই কম অন্তত।
সম্প্রতি পশ্চিম ইংল্যান্ডের এক দল গবেষক অফিস পৌঁছানোর জন্য অতিবাহিত সময় এবং কাজের প্রতি ভালোবাসার মধ্যে একটি যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন। তাদের দাবি, প্রতি বাড়তি এক মিনিটে কর্মীর মানসিক চাপ বাড়তে থাকে এবং কাজের প্রতি অনীহা বাড়ে। বলা হচ্ছে, ২০ মিনিট বাড়তি সময় কাটিয়ে ফেললে তা কর্মীর মনে ১৯ শতাংশ বেতন কেটে নেওয়ার মতো প্রভাব ফেলে। এর ফলে কাজের কোনো আনন্দ উপভোগ করেন না কর্মচারী।
হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ’র রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউরোপের ছয়টি শহরের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের মত, পৌঁছাতে দেরির কারণে কর্মক্ষেত্রে যে মানসিক হয়রানি তৈরি হয় তার পরিমাণ অনেক বেশি নতুন বাড়িতে শিফট করা বা ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়ার চাইতে। আসলে, অফিস থেকে বাড়ি এবং বাড়ি থেকে অফিসে আসার সময় একজন মানুষকে তার 'চরিত্র' পরিবর্তন করতে হয়। তবে অনেক বেশি সময় ভ্রমণ করলে সমস্ত শক্তি ও এনার্জি নষ্ট হয়ে যায়। মানুষ অনেক বেশি বিরক্ত হয়ে পড়েন। সে কারণে ধীরে ধীরে জীবন উপভোগ করার ইচ্ছেটাই মরে যায়।
অফিস পৌঁছাতে দেরি হলে অনীহা বাড়ে কাজে!
অ- অ অ+
বাড়ি থেকে সময়মতোই বের হচ্ছেন। তারপরও নির্দিষ্ট সময়ের পরে অফিসে পৌঁছাচ্ছেন। নিজেকে দোষারোপ করছেন। সে সঙ্গে অফিসও বাঁকা চোখে দেখছে আপনাকে। তা নিয়ে আপনি নিশ্চয়ই অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে থাকেন। ভাববেন না, আপনার মতো এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে যাদের অফিস পৌঁছানোর সময় এতটাই বেশি যে পৌঁছনোর পর অফিসের কাজ হয়ে ওঠে অসহ্য।
আবার দিনে দিনে যানজটের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তার জ্যাম টপকে অফিস পৌঁছানো এবং বাড়ি ফেরা অসম্ভভ ক্লান্তিকর। আর এই বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ একটি গবেষণা করেছে। তাতে দেখা গেছে, যতটা সময় ধরে কেউ অফিস পৌঁছান, তার জব স্যাটিসফেকশন ততটাই কম। অফিসের কাছে যার বাড়ি তার থেকে অনেকাংশেই কম অন্তত।
সম্প্রতি পশ্চিম ইংল্যান্ডের এক দল গবেষক অফিস পৌঁছানোর জন্য অতিবাহিত সময় এবং কাজের প্রতি ভালোবাসার মধ্যে একটি যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন। তাদের দাবি, প্রতি বাড়তি এক মিনিটে কর্মীর মানসিক চাপ বাড়তে থাকে এবং কাজের প্রতি অনীহা বাড়ে। বলা হচ্ছে, ২০ মিনিট বাড়তি সময় কাটিয়ে ফেললে তা কর্মীর মনে ১৯ শতাংশ বেতন কেটে নেওয়ার মতো প্রভাব ফেলে। এর ফলে কাজের কোনো আনন্দ উপভোগ করেন না কর্মচারী।
হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ’র রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউরোপের ছয়টি শহরের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের মত, পৌঁছাতে দেরির কারণে কর্মক্ষেত্রে যে মানসিক হয়রানি তৈরি হয় তার পরিমাণ অনেক বেশি নতুন বাড়িতে শিফট করা বা ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়ার চাইতে। আসলে, অফিস থেকে বাড়ি এবং বাড়ি থেকে অফিসে আসার সময় একজন মানুষকে তার 'চরিত্র' পরিবর্তন করতে হয়। তবে অনেক বেশি সময় ভ্রমণ করলে সমস্ত শক্তি ও এনার্জি নষ্ট হয়ে যায়। মানুষ অনেক বেশি বিরক্ত হয়ে পড়েন। সে কারণে ধীরে ধীরে জীবন উপভোগ করার ইচ্ছেটাই মরে যায়।
শরীরের এই পাঁচ জায়গায় চুম্বনে বোঝা যায় প্রেম কতটা গভীর!
শরীরের এই পাঁচ জায়গায় চুম্বনে বোঝা যায় প্রেম কতটা গভীর!
শরীরের এই পাঁচ জায়গায় চুম্বনে বোঝা যায় প্রেম কতটা গভীর!
অ- অ অ+
প্রেমে চুম্বনের গুরুত্ব বিরাট। প্রেমিক বা প্রেমিকা একে অপরকে ঠিক কীভাবে চুম্বন করেন, তার উপরে বোঝা যায় সম্পর্কের গভীরতা কতটা।
প্রেম করলে চুম্বনের ইচ্ছা জাগবেই। কিন্তু শরীরের কোথায় চুম্বন, তা দেখে বোঝা যায় অনেক কিছু।
কারও প্রেমে পড়লে তাকে চুম্বন করতে ইচ্ছে করে। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক অনুভূতি। কিন্তু সেই চুম্বনের ধরন দেখলে বোঝা যায় প্রেমের অনুভূতিটা কতটা গভীর। প্রেমের মধ্যে একাধিক অনুভূতি মিশে থাকে— স্নেহ, মমতা, শরীরী আকর্ষণ— সবকিছু মিলিয়েই প্রেমের অনুভূতি গড়ে ওঠে।
যদি প্রেমের মধ্যে মানসিক যোগাযোগ কম আর শরীরী আকর্ষণের মাত্রা বেশি থাকে, তবে চুম্বন হবে এক রকম। আবার যদি প্রেমে স্নেহের মাত্রা বেশি থাকে, তবে চুম্বনের ধরনটা অনেকটাই অন্যরকম হবে। শুধু তাই নয়, প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার মুহূর্তে প্রেমিক ঠোঁট বাদ দিয়ে তার শরীরের কোন অঙ্গে বার বার চুম্বন করছে, সেটা দেখেও বোঝা যায় প্রেমের ধরনটা ঠিক কী রকম।
শরীরের বিশেষ ৫টি জায়গা এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ— কপাল, গাল, নাক, নাভি বা কোমর ও হাতের উল্টো দিক।
কপাল— কপালে চুম্বন অত্যন্ত গভীর প্রেমের লক্ষ্ণণ। প্রেমিক যদি বার বার কপালে চুম্বন করেন তবে বুঝতে হবে তাঁর অনুভূতি অত্যন্ত প্রবল এবং সম্পর্ক নিয়ে তিনি খুবই সিরিয়াস।
গাল— বার বার গালে চুম্বন প্রবল সখ্যতার লক্ষ্ণণ অর্থাৎ প্রেমে বন্ধুত্বের জায়গাটি খুব দৃঢ়। এই প্রবণতা এটাও বলে দেয় যে এই সম্পর্কে একজন আর একজনকে প্যাম্পার করতে পছন্দ করেন।
নাক— একে অপরের জন্য প্রবল স্নেহ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব থাকলে নাকে চুম্বন করার ইচ্ছেটা আসে।
নাভি বা কোমর— প্রেমিকার নাভি বা কোমরের কাছে চুম্বন যৌনতার প্রকাশ। যদি যৌনমিলন ছাড়াও এমনি সময়েও কোমরে বার বার চুম্বন করেন প্রেমিক তবে বুঝতে হবে তিনি প্রেমিকার প্রতি শারীরিকভাবে অত্যন্ত বেশি রকম আকৃষ্ট।
হাতের উল্টো পিঠ— এই চুম্বন পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে বেশি প্রচলিত। সেখানে এটি যে কোনও মেয়েকেই সম্মান জানানোর একটি ধরন। তা বাদ দিয়ে প্রেমের ক্ষেত্রে এর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। প্রেমিকার হাতে যাঁরা এভাবে চুম্বন করেন, তাঁদের প্রেমিকার প্রতি গভীর সম্মান রয়েছে।
শরীরের এই পাঁচ জায়গায় চুম্বনে বোঝা যায় প্রেম কতটা গভীর!
অ- অ অ+
প্রেমে চুম্বনের গুরুত্ব বিরাট। প্রেমিক বা প্রেমিকা একে অপরকে ঠিক কীভাবে চুম্বন করেন, তার উপরে বোঝা যায় সম্পর্কের গভীরতা কতটা।
প্রেম করলে চুম্বনের ইচ্ছা জাগবেই। কিন্তু শরীরের কোথায় চুম্বন, তা দেখে বোঝা যায় অনেক কিছু।
কারও প্রেমে পড়লে তাকে চুম্বন করতে ইচ্ছে করে। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক অনুভূতি। কিন্তু সেই চুম্বনের ধরন দেখলে বোঝা যায় প্রেমের অনুভূতিটা কতটা গভীর। প্রেমের মধ্যে একাধিক অনুভূতি মিশে থাকে— স্নেহ, মমতা, শরীরী আকর্ষণ— সবকিছু মিলিয়েই প্রেমের অনুভূতি গড়ে ওঠে।
যদি প্রেমের মধ্যে মানসিক যোগাযোগ কম আর শরীরী আকর্ষণের মাত্রা বেশি থাকে, তবে চুম্বন হবে এক রকম। আবার যদি প্রেমে স্নেহের মাত্রা বেশি থাকে, তবে চুম্বনের ধরনটা অনেকটাই অন্যরকম হবে। শুধু তাই নয়, প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার মুহূর্তে প্রেমিক ঠোঁট বাদ দিয়ে তার শরীরের কোন অঙ্গে বার বার চুম্বন করছে, সেটা দেখেও বোঝা যায় প্রেমের ধরনটা ঠিক কী রকম।
শরীরের বিশেষ ৫টি জায়গা এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ— কপাল, গাল, নাক, নাভি বা কোমর ও হাতের উল্টো দিক।
কপাল— কপালে চুম্বন অত্যন্ত গভীর প্রেমের লক্ষ্ণণ। প্রেমিক যদি বার বার কপালে চুম্বন করেন তবে বুঝতে হবে তাঁর অনুভূতি অত্যন্ত প্রবল এবং সম্পর্ক নিয়ে তিনি খুবই সিরিয়াস।
গাল— বার বার গালে চুম্বন প্রবল সখ্যতার লক্ষ্ণণ অর্থাৎ প্রেমে বন্ধুত্বের জায়গাটি খুব দৃঢ়। এই প্রবণতা এটাও বলে দেয় যে এই সম্পর্কে একজন আর একজনকে প্যাম্পার করতে পছন্দ করেন।
নাক— একে অপরের জন্য প্রবল স্নেহ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব থাকলে নাকে চুম্বন করার ইচ্ছেটা আসে।
নাভি বা কোমর— প্রেমিকার নাভি বা কোমরের কাছে চুম্বন যৌনতার প্রকাশ। যদি যৌনমিলন ছাড়াও এমনি সময়েও কোমরে বার বার চুম্বন করেন প্রেমিক তবে বুঝতে হবে তিনি প্রেমিকার প্রতি শারীরিকভাবে অত্যন্ত বেশি রকম আকৃষ্ট।
হাতের উল্টো পিঠ— এই চুম্বন পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে বেশি প্রচলিত। সেখানে এটি যে কোনও মেয়েকেই সম্মান জানানোর একটি ধরন। তা বাদ দিয়ে প্রেমের ক্ষেত্রে এর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। প্রেমিকার হাতে যাঁরা এভাবে চুম্বন করেন, তাঁদের প্রেমিকার প্রতি গভীর সম্মান রয়েছে।
ঊর্বশীর নগ্ন গোসলের ভিডিও ফাঁস
ঊর্বশীর নগ্ন গোসলের ভিডিও ফাঁস
ঊর্বশীর নগ্ন গোসলের ভিডিও ফাঁস
অ- অ অ+
আরও এক বলিউড অভিনেত্রীর এমএমএস কাণ্ড। 'সনম রে' সিনেমার শ্যুটিংয়ে এক গোসলের দৃশ্যে অভিনয়ের সময় ভিডিও ফাঁস হয়ে যায় ঊর্বশী রাউতেলার। দিব্যা খোসলা কুমার পরিচালিত এই সিনেমার শ্যুটিংয়ের ফাঁকে এই ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় বিরক্ত প্রযোজক সংস্থা। তবে কীভাবে এই দৃশ্যর ভিডিও ফাঁস হল তা নিয়ে মুখ খুলছেন না পরিচালক-প্রযোজকরা। যদিও এই ভিডিও যে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছিল, সেইখান থেকে ঊর্বশীর গোসলের কার্যত নগ্ন ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
ঊর্বশির পাশাপাশি 'সনম রে' সিনেমাটিতে আছেন পুলকিত শর্মা, ইয়ামি গৌতম। উত্তরাখণ্ডের ২১ বছরের মেয়ে ঊর্বশি ২০১২ সালে মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্সের খেতাব জেতেন। ২০১৩ সালে সানি দেওলের 'সিং সাব দ্য গ্রেট' সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সনম রে মুক্তি পাচ্ছে। তার আগে এই সিনেমার মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই ইউটিউবে রেকর্ড পরিমাণ হিট হয়েছে গানটি। তার আগে ঊর্বশীর এই এমএমএস কাণ্ড সিনেমার প্রচারে কতটা সাহায্য করে সেটাই দেখার।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি 'সনম রে' মুক্তি পাচ্ছে।
ঊর্বশীর নগ্ন গোসলের ভিডিও ফাঁস
অ- অ অ+
আরও এক বলিউড অভিনেত্রীর এমএমএস কাণ্ড। 'সনম রে' সিনেমার শ্যুটিংয়ে এক গোসলের দৃশ্যে অভিনয়ের সময় ভিডিও ফাঁস হয়ে যায় ঊর্বশী রাউতেলার। দিব্যা খোসলা কুমার পরিচালিত এই সিনেমার শ্যুটিংয়ের ফাঁকে এই ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় বিরক্ত প্রযোজক সংস্থা। তবে কীভাবে এই দৃশ্যর ভিডিও ফাঁস হল তা নিয়ে মুখ খুলছেন না পরিচালক-প্রযোজকরা। যদিও এই ভিডিও যে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছিল, সেইখান থেকে ঊর্বশীর গোসলের কার্যত নগ্ন ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
ঊর্বশির পাশাপাশি 'সনম রে' সিনেমাটিতে আছেন পুলকিত শর্মা, ইয়ামি গৌতম। উত্তরাখণ্ডের ২১ বছরের মেয়ে ঊর্বশি ২০১২ সালে মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্সের খেতাব জেতেন। ২০১৩ সালে সানি দেওলের 'সিং সাব দ্য গ্রেট' সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সনম রে মুক্তি পাচ্ছে। তার আগে এই সিনেমার মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই ইউটিউবে রেকর্ড পরিমাণ হিট হয়েছে গানটি। তার আগে ঊর্বশীর এই এমএমএস কাণ্ড সিনেমার প্রচারে কতটা সাহায্য করে সেটাই দেখার।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি 'সনম রে' মুক্তি পাচ্ছে।
অভিশপ্ত যৌন পর্যটন-১: মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে দেয়া গর্বিত জাতি ওরা
অভিশপ্ত যৌন পর্যটন-১: মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে দেয়া গর্বিত জাতি ওরা
অভিশপ্ত যৌন পর্যটন-১: মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে দেয়া গর্বিত জাতি ওরা
মেয়েদের জোরপূর্বক প্রবেশ করানো হয় সেক্স-ট্যুরিজমে, ইনসেটে ফাদার শে কুলেন
অ- অ অ+
মানবপ্রকৃতির নৈতিক স্খলনের অনেক উদাহরণ দেখা যায়। তবে বিস্তৃত পরিসরে বিকৃতব্যবস্থা পরিচালনার সর্বাপেক্ষা দুঃখজনক উপায়টি হয়ে উঠেছে 'সেক্স ট্যুরিজম'। এই বিদ্যমান বিষয়টি অনেক দেশেই সরকারের সমর্থন ও উৎসাহপুষ্ট হয়ে থাকে। এ ব্যবস্থা ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু করে রীতিমতো জাতীয় আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যৌন পর্যটনের সঙ্গে জড়িত। এর মাধ্যমে যেমন একটা অংশের হাতে অর্থ যাচ্ছে, তেমনি অন্য অংশের লাখ লাখ মানুষ শোষন আর বঞ্চনার শিকার হচ্ছে।
সেক্স ট্যুরিজম নিয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গী প্রকাশ করেছেন আইরিশ মিশনারি প্রিস্ট এবং প্রেডা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ফাদার শে কুলেন। যৌন-পর্যটনের নানা দিক উঠে এসেছে তার বিশ্লেষণে। আজ দেখুন তার প্রথম পর্ব।
বর্তমানে ফিলিপাইনের প্রায় ৫ লাখ মানুষ বিশাল পরিসরের যৌন পর্যটনের সঙ্গে জড়িত। আরো অন্যান্য দেশেই এমনটা ঘটছে। এই ইন্ডাস্ট্রি বছরে বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করছে। অথচ এর আড়ালে ভুক্তভোগীদের ভোগান্তির কোনো পরিসীমা নেই। লাখো মানুষের জীবন নিভে গেছে, ধ্বংস হয়েছে এবং পুরোপুরি নষ্টে পথে এগোচ্ছে।
অতি সুচারুভাবে গড়ে ওঠে এই অর্থ বানানোর দুনিয়া যৌন পর্যটন। এ বাণিজ্য ফুলেফেঁপে ওঠার পেছনে রয়েছে মধ্যবয়সী এবং বয়স্ক মানুষগুলোর চাহিদা, যাদের জীবনে নিজ দেশে যৌন পরিতৃপ্তি লাভের কোনো উপায় নেই। তারা সাধারণত ধনী। বিভিন্ন দেশে ঘুরেফিরে সেই চাহিদা পূরণ করেন। সাধারণত কম বয়সী নারী, এমনকি পুরুষের লোভেও অন্য দেশে চলে যান অতৃপ্তরা। এই খদ্দেরদের মনোরঞ্জনে অপেক্ষায় থাকতে হয় কম বয়সী, বিপদগ্রস্ত এবং দরিদ্র ঘরের মেয়েদের। দেখা যায়, এই পর্যটক পুরুষদের বেশিরভাগই ডিভোর্সপ্রাপ্ত, বিপত্নীক কিংবা অবিবাহিত। অথবা তারা স্ত্রী-পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। যৌনতার জন্যে পর্যটনরতদের মনে এই নারীদের প্রতি কোনো ধরনের শ্রদ্ধাবোধ নেই। তারা মেয়েদের বিক্রয়ের জন্যে রাখা ভোগ্যপণ্য হিসেবেই দেখেন। একান্ত ব্যক্তিগত ভোগের জন্যে তাদের পেতে চান। এখানে যৌন-পর্যটনের শিকার কোনো নারীর ভালো-মন্দের কিছুই দেখা হয় না।
এমন হাজারো কম বয়সী মেয়েকে এমন কাজে লাগানো হয়। তারা সবাই অশিক্ষিত হয়েই থাকে। অনেকের পরিচয় আর গোপন থাকে না। তখন দরিদ্র পরিবারও আর তাদের ফিরিয়ে নিতে চায় না। পুরোপুরি বাণিজ্যিকভাবে যৌনতা বিক্রিতে রাজি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোনো আয় আসে না। এক অর্থে তাদের কোনো মূল্য নেই। তাদের মূল্য নির্ধারিত হয় একমাত্র যৌনতা বিলানোর মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে, মানুষ হিসেবে তাদের মর্যাদা, গুরুত্ব এবং অধিকার শতভাগ লঙ্ঘিত হচ্ছে।
জড়িত নারীদের মূল্যমান আরো কমে আসে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ আর ধনকুবেরদের সংশ্লিষ্টতায়। সেক্স ট্যুরিজম থেকে আসা বিশাল অর্থের অংশ তাদের হাতেও যায়। এই খেলায় পুলিশও জড়িত থাকে। সুবিধাভোগীদের প্রত্যেকের লোভ, স্বার্থপরতা এবং বিকৃত কামনাই আসলে পুরো কারবারের হৃৎপিণ্ড হয়ে কাজ করে। এই বড় বড় নিয়ন্ত্রকদের অনেকেরই আবার ব্যক্তিগত দায়িত্বে কম বয়সী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক যৌনদাসী থাকে।
মানবতাকে বড় মূল্য দিতে হচ্ছে এখানে। যে মেয়েটা এর শিকার হচ্ছেন তার মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ভালো একটা জীবনের অধিকার নেই তাদের। শিক্ষালাভ কিংবা ক্যারিয়ার গড়ে তোলার কোনো স্বপ্ন নেই। যে জাতি পর্যটকদের জন্যে নিজের দেশের মেয়েদের বিক্রি করে দেয়, তাদের চেয়ে ঘৃণ্য কেউ নেই। এটা এক কলঙ্কিত আর দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজের উদাহরণ যারা বিশ্বজুড়ে কম বয়সের লাখো নারীকে এক অন্ধকার জীবনে ঠেলে দিয়েছে।
যৌন-পর্যটন আসলে সত্যিকার অর্থে পর্যটন সংশ্লিষ্ট কোনো আয়োজন নয়। এটা কেবলই যৌনদাসত্বের আধুনিক সংস্করণ। এখানে অপরাধী এবং অন্যায়কারীরা নারীদের মানবাধিকার খর্ব করে। যৌনতার আকাঙ্ক্ষায় পর্যটক হয়ে আসা মানুষগুলোর সাথে যৌনকর্মীদের মধ্যকার এই বচসা মূলত ক্ষমতা, নিয়ন্ত্রণ আর দমনের প্রদর্শন। নিজের বিকৃত রুচি চরিতার্থের জন্যে অন্যকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেন পর্যটকরা। এই মেয়েরা চাইলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন না। পরিবার আর তাদের গ্রহণ করে নেয় না। সমাজেও মুখ দেখানোর উপায় থাকে না। এ ধরনের নিপীড়ন যে অপরাধমূলক কাণ্ড, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এমন কাজে আসার পেছনে মেয়েদের যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে তা হলো চরম দারিদ্রতা। তাদের কাছে কোনো উৎস নেই, শিক্ষা অর্জনের পথ সরু এবং গ্রামে বসবাসরত এই মেয়েগুলো বাঁচার তাগিদে অর্থ উপার্জনের জন্যে যেকোনো কাজ করতে রাজি থাকেন। তবে এ পেশায় প্রবেশের পর বিষয়টা স্রেফ বেঁচে থাকার এবং একাকী টিকে থাকার হয়ে ওঠে। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তাদের পয়সার জন্যে অস্থির থাকতে হয়। এক কাপ ভাত আর সামান্য সবজির টাকা নিশ্চিত করাই তাদের একমাত্র দুশ্চিন্তা। অনেক সময় রেস্টুরেন্টের উচ্ছিষ্ট জোগাড় করে আবারো রান্না করে খেতে হয় তাদের।
যৌন-পর্যটনের সঙ্গে যে মেয়েরা জড়িয়ে পড়েন তাদের অনেকেই আবার নিজগৃহেই আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী কিংবা পরিবারের সদস্যের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন। তাদের বাঁচার জন্যে বাড়ি থেকে পালানো ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। রাস্তায় থাকা কিংবা যৌনকর্মী হিসেবে মেয়েদের খোঁজে ঘুরে বেড়ানো দালালদের খপ্পরে পড়তে বেশি সময় লাগে না। আর একবার যদি যৌন-পর্যটনের দালালদের কাছে তারা আটকে যায়, তবে আরো কোনো কথা নেই। এরা প্রথমেই অর্থ, খাবার আর আশ্রয় প্রদান করে। আর কী চাই তাদের! পরে স্থান হয় পতিতালয়, সেক্স বার এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্লাবে ঠাঁই হয়।
এ অবস্থা কেবল ফিলিপাইনেই নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ইউরোপের বিশাল আকারের কুখ্যাত সব পতিতালয়ে এভাবেই মেয়েরা আসে। এ বাণিজ্যকে যে সরকার এবং সমাজ মদদ দিচ্ছে, তারাও সমান অপরাধী। মেয়েদের অনেকেই একেবারে অপ্রাপ্তবয়স্ক। সেক্স ট্যুরিজমই মূলত শিশুদের যৌনকর্মে আনতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে।
যৌন-পর্যটন যেকোনো সমাজের লক্ষ্য ও বুনুন নষ্ট করে দেয়। নারীদের মর্যাদাহানী করে। ওই সমাজের তরুণ সমাজ এবং বাচ্চাদের অধঃপতন ঘটে। যারা এমন অপকর্ম জড়িয়ে থাকে তাদের কাছে কম বয়সী নারীদের দেহ বিক্রির পণ্য বলেই গণ্য হয়। তারা কখনোই মেয়েদের হৃদয় আর আত্মা, অনুভূতি, আকাঙ্ক্ষা এবং আশা নিয়ে বেঁচে থাকা কোনো প্রাণ বলে মনে করে না।
এই দালালরা মূলত মানব বণিক। দর-দামে মিললে মেয়েদের বিক্রি করে দেয়। অনেকেই এই কম বয়সীদের ধর্ষণসহ বিকৃত যৌনরুচি মেটাতে চায়। তাদের সন্ধানেই থাকে দালালরা। মানবাধিকার বিষয়ক আইন-কানুনের কোনো তোয়াক্কা নেই তাদের। মেয়েদের কুমারীত্বই তাদের মূল আকর্ষণের বিষয়।
ফিলিপাইনসহ বিশ্বের অনেক দেশেই পতিতাবৃত্তি অবৈধ। তবুও এমন অনেক স্থানেই তা ধুন্দুমার চলছে। সংশ্লিষ্ট ক্লাব এবং বারগুলো রক্ষা করে পুলিশ ও রাজনীতিবিদরা। এদের অনেকেই আবার নিজেই এ ধরনের ক্লাবের মালিক।
একবার আমি নিজেই বিদেশি পর্যটক হিসেবে খদ্দের সেজে একটা ক্লাবে গিয়েছিলাম, বলছেন লেখক। সেখানে ছোট একটা মঞ্চে ছয় টিনেজার দাঁড়িয়ে রয়েছে বিকিনি পরে। আমি ম্যানেজারকে বললাম, ওইখান থেকে একটা মেয়ের সঙ্গে যদি সময় কাটাতে চাই তবে এখানে তা নিরাপদে করা যাবে কি?
ওহ, স্যার। আপনাকে মোটেও চিন্তা করতে হবে না। আপনি এখানে পুরোপুরি নিরাপদ, জানান দিলেন ম্যানেজার।
তাই নাকি? কিন্তু কীভাবে?- লেখকের পাল্টা প্রশ্ন।
এই ক্লাবের মালিক একজন পুলিশ কর্মকর্তা, জানালেন ম্যানেজার।
অনেক সময়ই মানুষ তাদের মেয়েদের দোষারোপ করে এমন নোংরা কাজে জড়িয়ে পড়ার জন্যে। অথচ মেয়েদের এমন বিপদগ্রস্ত পরিস্থিতিতে ফেলার জন্যে এই মানুষগুলোর উদাসীনতাই অনেকভাবে দায়ী। এসবের বিরুদ্ধে গির্জা বা মানুষের মাঝে তীব্র প্রতিবাদ নেই। এরা অনায়াসেই হাজারো মানুষের দুর্ভোগ ও জীবন ধ্বংকে মেনে নিয়েছে। এক সময়কার এক গর্বিত জাতি ওরা, নিজেদের মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে ফেলতে দ্বিধা করেনি।
ভাষান্তর: সাকিব সিকান্দার
সূত্র: ম্যানিলা টাইমস
আগামীতে আসছে 'অভিশপ্ত যৌন পর্যটনের পরের পর্ব'
অভিশপ্ত যৌন পর্যটন-১: মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে দেয়া গর্বিত জাতি ওরা
মেয়েদের জোরপূর্বক প্রবেশ করানো হয় সেক্স-ট্যুরিজমে, ইনসেটে ফাদার শে কুলেন
অ- অ অ+
মানবপ্রকৃতির নৈতিক স্খলনের অনেক উদাহরণ দেখা যায়। তবে বিস্তৃত পরিসরে বিকৃতব্যবস্থা পরিচালনার সর্বাপেক্ষা দুঃখজনক উপায়টি হয়ে উঠেছে 'সেক্স ট্যুরিজম'। এই বিদ্যমান বিষয়টি অনেক দেশেই সরকারের সমর্থন ও উৎসাহপুষ্ট হয়ে থাকে। এ ব্যবস্থা ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু করে রীতিমতো জাতীয় আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যৌন পর্যটনের সঙ্গে জড়িত। এর মাধ্যমে যেমন একটা অংশের হাতে অর্থ যাচ্ছে, তেমনি অন্য অংশের লাখ লাখ মানুষ শোষন আর বঞ্চনার শিকার হচ্ছে।
সেক্স ট্যুরিজম নিয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গী প্রকাশ করেছেন আইরিশ মিশনারি প্রিস্ট এবং প্রেডা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ফাদার শে কুলেন। যৌন-পর্যটনের নানা দিক উঠে এসেছে তার বিশ্লেষণে। আজ দেখুন তার প্রথম পর্ব।
বর্তমানে ফিলিপাইনের প্রায় ৫ লাখ মানুষ বিশাল পরিসরের যৌন পর্যটনের সঙ্গে জড়িত। আরো অন্যান্য দেশেই এমনটা ঘটছে। এই ইন্ডাস্ট্রি বছরে বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করছে। অথচ এর আড়ালে ভুক্তভোগীদের ভোগান্তির কোনো পরিসীমা নেই। লাখো মানুষের জীবন নিভে গেছে, ধ্বংস হয়েছে এবং পুরোপুরি নষ্টে পথে এগোচ্ছে।
অতি সুচারুভাবে গড়ে ওঠে এই অর্থ বানানোর দুনিয়া যৌন পর্যটন। এ বাণিজ্য ফুলেফেঁপে ওঠার পেছনে রয়েছে মধ্যবয়সী এবং বয়স্ক মানুষগুলোর চাহিদা, যাদের জীবনে নিজ দেশে যৌন পরিতৃপ্তি লাভের কোনো উপায় নেই। তারা সাধারণত ধনী। বিভিন্ন দেশে ঘুরেফিরে সেই চাহিদা পূরণ করেন। সাধারণত কম বয়সী নারী, এমনকি পুরুষের লোভেও অন্য দেশে চলে যান অতৃপ্তরা। এই খদ্দেরদের মনোরঞ্জনে অপেক্ষায় থাকতে হয় কম বয়সী, বিপদগ্রস্ত এবং দরিদ্র ঘরের মেয়েদের। দেখা যায়, এই পর্যটক পুরুষদের বেশিরভাগই ডিভোর্সপ্রাপ্ত, বিপত্নীক কিংবা অবিবাহিত। অথবা তারা স্ত্রী-পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। যৌনতার জন্যে পর্যটনরতদের মনে এই নারীদের প্রতি কোনো ধরনের শ্রদ্ধাবোধ নেই। তারা মেয়েদের বিক্রয়ের জন্যে রাখা ভোগ্যপণ্য হিসেবেই দেখেন। একান্ত ব্যক্তিগত ভোগের জন্যে তাদের পেতে চান। এখানে যৌন-পর্যটনের শিকার কোনো নারীর ভালো-মন্দের কিছুই দেখা হয় না।
এমন হাজারো কম বয়সী মেয়েকে এমন কাজে লাগানো হয়। তারা সবাই অশিক্ষিত হয়েই থাকে। অনেকের পরিচয় আর গোপন থাকে না। তখন দরিদ্র পরিবারও আর তাদের ফিরিয়ে নিতে চায় না। পুরোপুরি বাণিজ্যিকভাবে যৌনতা বিক্রিতে রাজি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোনো আয় আসে না। এক অর্থে তাদের কোনো মূল্য নেই। তাদের মূল্য নির্ধারিত হয় একমাত্র যৌনতা বিলানোর মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে, মানুষ হিসেবে তাদের মর্যাদা, গুরুত্ব এবং অধিকার শতভাগ লঙ্ঘিত হচ্ছে।
জড়িত নারীদের মূল্যমান আরো কমে আসে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ আর ধনকুবেরদের সংশ্লিষ্টতায়। সেক্স ট্যুরিজম থেকে আসা বিশাল অর্থের অংশ তাদের হাতেও যায়। এই খেলায় পুলিশও জড়িত থাকে। সুবিধাভোগীদের প্রত্যেকের লোভ, স্বার্থপরতা এবং বিকৃত কামনাই আসলে পুরো কারবারের হৃৎপিণ্ড হয়ে কাজ করে। এই বড় বড় নিয়ন্ত্রকদের অনেকেরই আবার ব্যক্তিগত দায়িত্বে কম বয়সী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক যৌনদাসী থাকে।
মানবতাকে বড় মূল্য দিতে হচ্ছে এখানে। যে মেয়েটা এর শিকার হচ্ছেন তার মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ভালো একটা জীবনের অধিকার নেই তাদের। শিক্ষালাভ কিংবা ক্যারিয়ার গড়ে তোলার কোনো স্বপ্ন নেই। যে জাতি পর্যটকদের জন্যে নিজের দেশের মেয়েদের বিক্রি করে দেয়, তাদের চেয়ে ঘৃণ্য কেউ নেই। এটা এক কলঙ্কিত আর দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজের উদাহরণ যারা বিশ্বজুড়ে কম বয়সের লাখো নারীকে এক অন্ধকার জীবনে ঠেলে দিয়েছে।
যৌন-পর্যটন আসলে সত্যিকার অর্থে পর্যটন সংশ্লিষ্ট কোনো আয়োজন নয়। এটা কেবলই যৌনদাসত্বের আধুনিক সংস্করণ। এখানে অপরাধী এবং অন্যায়কারীরা নারীদের মানবাধিকার খর্ব করে। যৌনতার আকাঙ্ক্ষায় পর্যটক হয়ে আসা মানুষগুলোর সাথে যৌনকর্মীদের মধ্যকার এই বচসা মূলত ক্ষমতা, নিয়ন্ত্রণ আর দমনের প্রদর্শন। নিজের বিকৃত রুচি চরিতার্থের জন্যে অন্যকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেন পর্যটকরা। এই মেয়েরা চাইলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন না। পরিবার আর তাদের গ্রহণ করে নেয় না। সমাজেও মুখ দেখানোর উপায় থাকে না। এ ধরনের নিপীড়ন যে অপরাধমূলক কাণ্ড, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এমন কাজে আসার পেছনে মেয়েদের যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে তা হলো চরম দারিদ্রতা। তাদের কাছে কোনো উৎস নেই, শিক্ষা অর্জনের পথ সরু এবং গ্রামে বসবাসরত এই মেয়েগুলো বাঁচার তাগিদে অর্থ উপার্জনের জন্যে যেকোনো কাজ করতে রাজি থাকেন। তবে এ পেশায় প্রবেশের পর বিষয়টা স্রেফ বেঁচে থাকার এবং একাকী টিকে থাকার হয়ে ওঠে। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তাদের পয়সার জন্যে অস্থির থাকতে হয়। এক কাপ ভাত আর সামান্য সবজির টাকা নিশ্চিত করাই তাদের একমাত্র দুশ্চিন্তা। অনেক সময় রেস্টুরেন্টের উচ্ছিষ্ট জোগাড় করে আবারো রান্না করে খেতে হয় তাদের।
যৌন-পর্যটনের সঙ্গে যে মেয়েরা জড়িয়ে পড়েন তাদের অনেকেই আবার নিজগৃহেই আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী কিংবা পরিবারের সদস্যের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন। তাদের বাঁচার জন্যে বাড়ি থেকে পালানো ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। রাস্তায় থাকা কিংবা যৌনকর্মী হিসেবে মেয়েদের খোঁজে ঘুরে বেড়ানো দালালদের খপ্পরে পড়তে বেশি সময় লাগে না। আর একবার যদি যৌন-পর্যটনের দালালদের কাছে তারা আটকে যায়, তবে আরো কোনো কথা নেই। এরা প্রথমেই অর্থ, খাবার আর আশ্রয় প্রদান করে। আর কী চাই তাদের! পরে স্থান হয় পতিতালয়, সেক্স বার এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্লাবে ঠাঁই হয়।
এ অবস্থা কেবল ফিলিপাইনেই নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ইউরোপের বিশাল আকারের কুখ্যাত সব পতিতালয়ে এভাবেই মেয়েরা আসে। এ বাণিজ্যকে যে সরকার এবং সমাজ মদদ দিচ্ছে, তারাও সমান অপরাধী। মেয়েদের অনেকেই একেবারে অপ্রাপ্তবয়স্ক। সেক্স ট্যুরিজমই মূলত শিশুদের যৌনকর্মে আনতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে।
যৌন-পর্যটন যেকোনো সমাজের লক্ষ্য ও বুনুন নষ্ট করে দেয়। নারীদের মর্যাদাহানী করে। ওই সমাজের তরুণ সমাজ এবং বাচ্চাদের অধঃপতন ঘটে। যারা এমন অপকর্ম জড়িয়ে থাকে তাদের কাছে কম বয়সী নারীদের দেহ বিক্রির পণ্য বলেই গণ্য হয়। তারা কখনোই মেয়েদের হৃদয় আর আত্মা, অনুভূতি, আকাঙ্ক্ষা এবং আশা নিয়ে বেঁচে থাকা কোনো প্রাণ বলে মনে করে না।
এই দালালরা মূলত মানব বণিক। দর-দামে মিললে মেয়েদের বিক্রি করে দেয়। অনেকেই এই কম বয়সীদের ধর্ষণসহ বিকৃত যৌনরুচি মেটাতে চায়। তাদের সন্ধানেই থাকে দালালরা। মানবাধিকার বিষয়ক আইন-কানুনের কোনো তোয়াক্কা নেই তাদের। মেয়েদের কুমারীত্বই তাদের মূল আকর্ষণের বিষয়।
ফিলিপাইনসহ বিশ্বের অনেক দেশেই পতিতাবৃত্তি অবৈধ। তবুও এমন অনেক স্থানেই তা ধুন্দুমার চলছে। সংশ্লিষ্ট ক্লাব এবং বারগুলো রক্ষা করে পুলিশ ও রাজনীতিবিদরা। এদের অনেকেই আবার নিজেই এ ধরনের ক্লাবের মালিক।
একবার আমি নিজেই বিদেশি পর্যটক হিসেবে খদ্দের সেজে একটা ক্লাবে গিয়েছিলাম, বলছেন লেখক। সেখানে ছোট একটা মঞ্চে ছয় টিনেজার দাঁড়িয়ে রয়েছে বিকিনি পরে। আমি ম্যানেজারকে বললাম, ওইখান থেকে একটা মেয়ের সঙ্গে যদি সময় কাটাতে চাই তবে এখানে তা নিরাপদে করা যাবে কি?
ওহ, স্যার। আপনাকে মোটেও চিন্তা করতে হবে না। আপনি এখানে পুরোপুরি নিরাপদ, জানান দিলেন ম্যানেজার।
তাই নাকি? কিন্তু কীভাবে?- লেখকের পাল্টা প্রশ্ন।
এই ক্লাবের মালিক একজন পুলিশ কর্মকর্তা, জানালেন ম্যানেজার।
অনেক সময়ই মানুষ তাদের মেয়েদের দোষারোপ করে এমন নোংরা কাজে জড়িয়ে পড়ার জন্যে। অথচ মেয়েদের এমন বিপদগ্রস্ত পরিস্থিতিতে ফেলার জন্যে এই মানুষগুলোর উদাসীনতাই অনেকভাবে দায়ী। এসবের বিরুদ্ধে গির্জা বা মানুষের মাঝে তীব্র প্রতিবাদ নেই। এরা অনায়াসেই হাজারো মানুষের দুর্ভোগ ও জীবন ধ্বংকে মেনে নিয়েছে। এক সময়কার এক গর্বিত জাতি ওরা, নিজেদের মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে ফেলতে দ্বিধা করেনি।
ভাষান্তর: সাকিব সিকান্দার
সূত্র: ম্যানিলা টাইমস
আগামীতে আসছে 'অভিশপ্ত যৌন পর্যটনের পরের পর্ব'
স্তন ক্যান্সারের কারণ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, নতুন গবেষণায় দাবি
স্তন ক্যান্সারের কারণ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, নতুন গবেষণায় দাবি
স্তন ক্যান্সারের কারণ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, নতুন গবেষণায় দাবি
অ- অ অ+
স্তন ক্যানসার নিয়ে যখন সারা বিশ্ব সচেতন হওয়ার প্রয়াস চালাচ্ছে, তখনই আমেরিকার ‘ফ্রেড হোচিনসন ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার’-এর গবেষকরা সামনে আনলেন এর অন্যতম এক কারণ। পরিবার পরিকল্পনার ভাবনা তেমন করে শুরু না হলে অধিকাংশ মেয়েই বিয়ের পর জন্মনিয়ন্ত্রক পিল খাওয়ার অভ্যাস করেন। ঘন ঘন এই পিল খাওয়াই স্তন ক্যানসারের অন্যতম কারণ বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।
সম্প্রতি ওই ‘ফ্রেড হোচিনসন ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার’-এর গবেষকদের একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে আমেরিকার একটি হেলথ ম্যাগাজিনে। সেই তথ্য অনুসারে, ৪০-এর কমবয়সি মেয়েদের শরীরে স্তন ক্যানসার বাসা বাঁধার অন্যতম কারণ এই বার্থ কন্ট্রোল পিল বা গর্ভনিরোধক বড়ি। সঙ্গমের পরেই মুড়িমুড়কির মতো কথায় কথায় এই ওষুধ গ্রহণ করেন অনেক মেয়েই। অনেকেই খানিকটা সাবধান হয়ে কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পিল খোঁজেন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রায় সব রকম পিল ঘন ঘন ব্যবহারেই স্তন ক্যানসারের একটা ঝুঁকি থেকেই যায়।
২১ হাজার ৯৫২ জন মহিলাকে নিয়ে পরীক্ষা চালান গবেষকেরা। ১০ বছর ধরে টানা পরীক্ষা চালানোর পর তাঁরা ২০১০-এ গর্ভনিরোধক বড়িকে ‘ভিলেন’ হিসেবে সন্দেহ করেন। এ বার সেই ভিলেনকেই গ্রহণযোগ্যতা দিলেন তাঁরা। সাম্প্রতিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই ২১ হাজার ৯৫২ জনের মধ্যে ১১০২ জন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর অধিকাংশেরই এই ধরনের পিল খাওয়া অভ্যাস ছিল। এমনকি, গবেষণা চলাকালীন, টানা ১০ বছরে যাঁরা নতুন করে এই পিল নেওয়া শুরু করেছিলেন তাঁদের প্রায় ৬৪ শতাংশের ক্ষেত্রেই এই অসুখ দেখা দিয়েছে। আবার অনেকেই ১০ বছর আগে এই ওষুধ নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এত দিন কোনও লক্ষণও ধরা পড়েনি। কিন্তু ১০ বছর পর এই রোগ নতুন করে জানান দিচ্ছে।
ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সুকুমার সরকারের মতে, এই ধরনের পিল আসলে হরমোনের উপর খুবই প্রভাব ফেলে। সাধারণত ৪০-এর আগে এই অসুখ দানা বাঁধত না শরীরে। তবে আজকাল ৩০-এর পরেও দেখা দিচ্ছে । জন্মনিরোধক পিলগুলোর কমবেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকেই। ইস্ট্রোজেনের মাত্রার তারতম্য ঘটায় এই ওষুধ। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার জন্যও স্তন ক্যানসার দেখা দিতে পারে। তবে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা সরাসরি কতটা দায়ী তা নিয়ে সারা বিশ্বে এখনও সবিস্তার গবেষণা চলছে। কিন্তু তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা না হলেও গর্ভনিরোধর বড়িগুলো যে ভাবে হরমোনের তারতম্য ঘটায়, তা নিয়মিত নিলে ক্যানসারের শঙ্কা খুবই বাড়ে। তাই জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ঘন ঘন পিল নয়, বরং আস্থা রাখুন কন্ডোমে।
গর্ভনিরোধক বড়ি কখনওসখনও একান্তই নিতে হলে তা নেওয়ার নিয়ম, দু’টি বড়ির মধ্যে ন্যূনতম ব্যবধান কত হওয়া উচিত, হরমোনাল কোনও অসুখ আগে থেকেই থাকলে আদৌ এই ওষুধ চলবে কি না, এগুলো চিকিৎসকের থেকে জেনে তবেই এই ওষুধ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য
স্তন ক্যান্সারের কারণ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, নতুন গবেষণায় দাবি
অ- অ অ+
স্তন ক্যানসার নিয়ে যখন সারা বিশ্ব সচেতন হওয়ার প্রয়াস চালাচ্ছে, তখনই আমেরিকার ‘ফ্রেড হোচিনসন ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার’-এর গবেষকরা সামনে আনলেন এর অন্যতম এক কারণ। পরিবার পরিকল্পনার ভাবনা তেমন করে শুরু না হলে অধিকাংশ মেয়েই বিয়ের পর জন্মনিয়ন্ত্রক পিল খাওয়ার অভ্যাস করেন। ঘন ঘন এই পিল খাওয়াই স্তন ক্যানসারের অন্যতম কারণ বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।
সম্প্রতি ওই ‘ফ্রেড হোচিনসন ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার’-এর গবেষকদের একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে আমেরিকার একটি হেলথ ম্যাগাজিনে। সেই তথ্য অনুসারে, ৪০-এর কমবয়সি মেয়েদের শরীরে স্তন ক্যানসার বাসা বাঁধার অন্যতম কারণ এই বার্থ কন্ট্রোল পিল বা গর্ভনিরোধক বড়ি। সঙ্গমের পরেই মুড়িমুড়কির মতো কথায় কথায় এই ওষুধ গ্রহণ করেন অনেক মেয়েই। অনেকেই খানিকটা সাবধান হয়ে কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পিল খোঁজেন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রায় সব রকম পিল ঘন ঘন ব্যবহারেই স্তন ক্যানসারের একটা ঝুঁকি থেকেই যায়।
২১ হাজার ৯৫২ জন মহিলাকে নিয়ে পরীক্ষা চালান গবেষকেরা। ১০ বছর ধরে টানা পরীক্ষা চালানোর পর তাঁরা ২০১০-এ গর্ভনিরোধক বড়িকে ‘ভিলেন’ হিসেবে সন্দেহ করেন। এ বার সেই ভিলেনকেই গ্রহণযোগ্যতা দিলেন তাঁরা। সাম্প্রতিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই ২১ হাজার ৯৫২ জনের মধ্যে ১১০২ জন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর অধিকাংশেরই এই ধরনের পিল খাওয়া অভ্যাস ছিল। এমনকি, গবেষণা চলাকালীন, টানা ১০ বছরে যাঁরা নতুন করে এই পিল নেওয়া শুরু করেছিলেন তাঁদের প্রায় ৬৪ শতাংশের ক্ষেত্রেই এই অসুখ দেখা দিয়েছে। আবার অনেকেই ১০ বছর আগে এই ওষুধ নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এত দিন কোনও লক্ষণও ধরা পড়েনি। কিন্তু ১০ বছর পর এই রোগ নতুন করে জানান দিচ্ছে।
ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সুকুমার সরকারের মতে, এই ধরনের পিল আসলে হরমোনের উপর খুবই প্রভাব ফেলে। সাধারণত ৪০-এর আগে এই অসুখ দানা বাঁধত না শরীরে। তবে আজকাল ৩০-এর পরেও দেখা দিচ্ছে । জন্মনিরোধক পিলগুলোর কমবেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকেই। ইস্ট্রোজেনের মাত্রার তারতম্য ঘটায় এই ওষুধ। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার জন্যও স্তন ক্যানসার দেখা দিতে পারে। তবে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা সরাসরি কতটা দায়ী তা নিয়ে সারা বিশ্বে এখনও সবিস্তার গবেষণা চলছে। কিন্তু তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা না হলেও গর্ভনিরোধর বড়িগুলো যে ভাবে হরমোনের তারতম্য ঘটায়, তা নিয়মিত নিলে ক্যানসারের শঙ্কা খুবই বাড়ে। তাই জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ঘন ঘন পিল নয়, বরং আস্থা রাখুন কন্ডোমে।
গর্ভনিরোধক বড়ি কখনওসখনও একান্তই নিতে হলে তা নেওয়ার নিয়ম, দু’টি বড়ির মধ্যে ন্যূনতম ব্যবধান কত হওয়া উচিত, হরমোনাল কোনও অসুখ আগে থেকেই থাকলে আদৌ এই ওষুধ চলবে কি না, এগুলো চিকিৎসকের থেকে জেনে তবেই এই ওষুধ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য
স্মার্টফোনের কারণেই ওজন বাড়ে, ভুলগুলো করছেন না তো?
স্মার্টফোনের কারণেই ওজন বাড়ে, ভুলগুলো করছেন না তো?
অ- অ অ+
মোবাইল সঙ্গে নিয়ে বেশিরভাগ মানুষ ঘুমাতে যায়, খেতে বসে, হাঁটতে যায়, ঘুরতেও যায়। স্মার্টফোন ছাড়া এক মিনিটও যেন ভাবতেই পারেন না অনেকে। কিন্তু এই স্মার্টফোনের কারণে হাজার চেষ্টা করেও পাতলা হতে পারছেন না!
সব সময় সঙ্গে মোবাইল রাখা কিন্তু মোটেও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। যদি মনে করেন যে, সব সময় মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাসের কারণে শুধু আপনার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে, তা কিন্তু নয়। মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাস আপনাকে পাতলা হতে দিচ্ছে না।
কী নোটিফিকেশন এল, স্ট্যাটাস আপডেট করার পরেও এখনো কেন নোটিফিকেশন এল না, এই চিন্তা আমাদের পিছু ছাড়ে না। মোবাইল ফোন নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাটি আমাদের স্ট্রেস হরমোন বাড়িয়ে দেয়। এই স্ট্রেস হরমোনের কারণে ওজন বেড়ে যায়।
এছাড়া মোবাইল হাতে হাঁটতে বের হলে চোখ বারবার চলে যায় ফোনের স্ক্রিনের দিকে। ফলে হাঁটার বেগও অনেকটাই কমে যায়। যথেষ্ট জোরে না হাঁটলে ওজন কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।
খাওয়ার সময় চোখ মোবাইলের দিকে থাকলে আপনি কী খাচ্ছেন, কতটা খাচ্ছেন সেদিকে মনোযোগ দিতে পারবেন না। ফোনে মনোনিবেশ করতে গিয়ে আপনার অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার সম্ভাবনাও যথেষ্ট প্রবল। সে কারণে মোবাইল নিয়ে খেতে বসলে ডায়েট ঠিক থাকবে না।
বেশি রাত পর্যন্ত মোবাইল ঘাঁটাঘাটির অভ্যাস অনেকেরই আছে। ফোন দেখতে গিয়ে রাতে ঘুম ঠিক মতো হয় না। আর ঘুম ঠিক না হলে স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ হয়ে ওজন বাড়বে। রাতে ঠিক মতো ঘুমাতে না পারলে সকালে উঠে ওয়ার্ক আউটও করতে পারবেন না। এসব কারণে ওজন যাবে বেড়ে।
মন্তব্য
নতুন বছর থেকে যেসব ফোনে চলবে না হোয়াটসঅ্যাপ
নতুন বছর থেকে যেসব ফোনে চলবে না হোয়াটসঅ্যাপ
বেশ কিছু ফোনে ১ জানুয়ারি থেকে আর হোয়াটসঅ্যাপ করা যাবে না। কারণ ওই ফোনে যে অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে সেগুলো যথেষ্ট পুরনো- ফলে সেগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপ সাপোর্ট করবে না। এই তালিকায় ‘উইন্ডোজ’-এর সব ফোনের সঙ্গে রয়েছে কিছু ‘অ্যান্ড্রয়েড’ ও ‘আইওএস’ ফোনও।
হোয়াটসঅ্যাপ ঘোষণা করেছে, কোনও উইন্ডোজ ফোনেই ১ জানুয়ারি থেকে আর তাদের পরিষেবা মিলবে না। এখন আর উইন্ডোজ ফোন বেশি ব্যবহার হয় না। তাই অনেক অ্যাপ আগেই উইন্ডোজ ভার্সনে সাপোর্ট দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সেই অ্যাপগুলো আর কাজ করে না উইন্ডোজ ফোনে। ধীরে ধীরে উইন্ডোজ ফোন ব্যবহার বন্ধের পথে। তাই শেষ পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপও আর সাপোর্ট দিচ্ছে না বলে ঘোষণা করে দিল।
কিছু পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস-এওসাপোর্ট দেওয়া বন্ধ করতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ। অ্যান্ড্রয়েট ২.৩.৭ বা তার আগের ভার্সনে আর সাপোর্ট পাওয়া যাবে না। ফলে এখনও যদি কেউ এই পুরনো অপারেটিং সিস্টেমের ফোন ব্যবহার করেন, তবে তারা আর হোয়াটসঅ্যাপ করতে পারবেন না। অ্যান্ড্রয়েডের এই পুরনো ভার্সনগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ থেকে।
একই ভাবে ‘আইওএস ৮’ বা তার পুরনো ভার্সনের ফোনগুলোতেও আর মিলবে না হোয়াটসঅ্যাপ সাপোর্ট। ‘আইওএস ৮’২০১৫ সালের আগস্ট মাসে লঞ্চ করে। ফলে এখনও যাদের ডিভাইস এই অপারেটিং সিস্টেমেই চলছে তারা আর সেই ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা পাবেন না। এক্ষেত্রেও পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
বেশ কিছু ফোনে ১ জানুয়ারি থেকে আর হোয়াটসঅ্যাপ করা যাবে না। কারণ ওই ফোনে যে অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে সেগুলো যথেষ্ট পুরনো- ফলে সেগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপ সাপোর্ট করবে না। এই তালিকায় ‘উইন্ডোজ’-এর সব ফোনের সঙ্গে রয়েছে কিছু ‘অ্যান্ড্রয়েড’ ও ‘আইওএস’ ফোনও।
হোয়াটসঅ্যাপ ঘোষণা করেছে, কোনও উইন্ডোজ ফোনেই ১ জানুয়ারি থেকে আর তাদের পরিষেবা মিলবে না। এখন আর উইন্ডোজ ফোন বেশি ব্যবহার হয় না। তাই অনেক অ্যাপ আগেই উইন্ডোজ ভার্সনে সাপোর্ট দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সেই অ্যাপগুলো আর কাজ করে না উইন্ডোজ ফোনে। ধীরে ধীরে উইন্ডোজ ফোন ব্যবহার বন্ধের পথে। তাই শেষ পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপও আর সাপোর্ট দিচ্ছে না বলে ঘোষণা করে দিল।
কিছু পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস-এওসাপোর্ট দেওয়া বন্ধ করতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ। অ্যান্ড্রয়েট ২.৩.৭ বা তার আগের ভার্সনে আর সাপোর্ট পাওয়া যাবে না। ফলে এখনও যদি কেউ এই পুরনো অপারেটিং সিস্টেমের ফোন ব্যবহার করেন, তবে তারা আর হোয়াটসঅ্যাপ করতে পারবেন না। অ্যান্ড্রয়েডের এই পুরনো ভার্সনগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ থেকে।
একই ভাবে ‘আইওএস ৮’ বা তার পুরনো ভার্সনের ফোনগুলোতেও আর মিলবে না হোয়াটসঅ্যাপ সাপোর্ট। ‘আইওএস ৮’২০১৫ সালের আগস্ট মাসে লঞ্চ করে। ফলে এখনও যাদের ডিভাইস এই অপারেটিং সিস্টেমেই চলছে তারা আর সেই ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা পাবেন না। এক্ষেত্রেও পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
২৬ কোটি ৭১ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস
২৬ কোটি ৭১ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস
২৬ কোটি ৭১ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস
ফেসবুকের ২৬ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ৪৩৬ জন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে যার অধিকাংশই আমেরিকান নাগরিক। ফাঁস হওয়া এসব তথ্য স্প্যামিং ও ফিশিংয়ের মতো প্রতারণামূলক কাজে ব্যবহার হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠান কম্পারিটেকের তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বব ডিয়াচেঙ্কো সম্প্রতি ফেসবুক থেকে ফাঁস হওয়া তথ্যের ডেটাবেইস খুঁজে পান। ৪ ডিসেম্বর ওই ডেটাবেইস অনলাইনে ইনডেক্স করা হয়। পরে ওই ডেটাবেইস সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
ওই ডেটাবেইস সরিয়ে ফেলার আগ পর্যন্ত একটি হ্যাকার ফোরামে ডাউনলোডযোগ্য ফাইল হিসেবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল। ফাঁস হওয়া তথ্যের মধ্যে রয়েছে ফেসবুক আইডি, ফোন নম্বর ও পূর্ণ নাম।
২৬ কোটি ৭১ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস
ফেসবুকের ২৬ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ৪৩৬ জন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে যার অধিকাংশই আমেরিকান নাগরিক। ফাঁস হওয়া এসব তথ্য স্প্যামিং ও ফিশিংয়ের মতো প্রতারণামূলক কাজে ব্যবহার হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠান কম্পারিটেকের তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বব ডিয়াচেঙ্কো সম্প্রতি ফেসবুক থেকে ফাঁস হওয়া তথ্যের ডেটাবেইস খুঁজে পান। ৪ ডিসেম্বর ওই ডেটাবেইস অনলাইনে ইনডেক্স করা হয়। পরে ওই ডেটাবেইস সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
ওই ডেটাবেইস সরিয়ে ফেলার আগ পর্যন্ত একটি হ্যাকার ফোরামে ডাউনলোডযোগ্য ফাইল হিসেবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল। ফাঁস হওয়া তথ্যের মধ্যে রয়েছে ফেসবুক আইডি, ফোন নম্বর ও পূর্ণ নাম।
মেকআপ ছাড়া যেমন দেখায় সারা আলী খানকে
মেকআপ ছাড়া যেমন দেখায় সারা আলী খানকে
মেকআপ ছাড়া যেমন দেখায় সারা আলী খানকে
সারা আলি খান
শুটিংয়ের মাঝে এবার নতুন ছবি শেয়ার করলেন সারা আলি খান। যেখানে মেকআপ রুমে বসে পরপর দুটি ছবি শেয়ার করেন সাইফ-কন্যা। যে ছবি দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। ওই ছবিতে সারা আলি খান তুলে ধরেন, মেকআপ করার সময়ের লুক। সেই সঙ্গে মেক আপ তোলার পর সারাকে দেখতে কেমন লাগে, সেই ছবিও নিজেই তুলে ধরেন সারা।
ছবি দু’টি প্রকাশর পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। সারা বর্তমানে কুলি নাম্বার ওয়ান-এর সিক্যুয়েল নিয়ে ব্যস্ত। এই সিনেমায় বরুণ ধাওয়ানের বিপরীতে অভিনয় করছেন তিনি। কুলি নাম্বার ওয়ানের পাশাপাশি লভ আজকাল-এও দেখা যাবে সারাকে। পরিচালক ইমতিয়াজ আলির এই সিনেমায় সারার বিপরীতে রয়েছেন কার্তিক আরিয়ান।
প্রসঙ্গ, কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে নাকি বিচ্ছেদ হয়ে গেছে সারার। বিচ্ছেদের পরও শুটিং ফ্লোরে সারার সঙ্গে কার্তিকের যে কোনও বিভেদ দাগ কাটতে পারেনি, তা স্পষ্ট করে দেন বলিউডের এই জুটি। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েও হাসিমুখে কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নেন সারা আলি খান। সূত্র : জি নিউজ।
ছবি দু’টি দেখতে এখানে ক্লিক করুন...
মেকআপ ছাড়া যেমন দেখায় সারা আলী খানকে
সারা আলি খান
শুটিংয়ের মাঝে এবার নতুন ছবি শেয়ার করলেন সারা আলি খান। যেখানে মেকআপ রুমে বসে পরপর দুটি ছবি শেয়ার করেন সাইফ-কন্যা। যে ছবি দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। ওই ছবিতে সারা আলি খান তুলে ধরেন, মেকআপ করার সময়ের লুক। সেই সঙ্গে মেক আপ তোলার পর সারাকে দেখতে কেমন লাগে, সেই ছবিও নিজেই তুলে ধরেন সারা।
ছবি দু’টি প্রকাশর পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। সারা বর্তমানে কুলি নাম্বার ওয়ান-এর সিক্যুয়েল নিয়ে ব্যস্ত। এই সিনেমায় বরুণ ধাওয়ানের বিপরীতে অভিনয় করছেন তিনি। কুলি নাম্বার ওয়ানের পাশাপাশি লভ আজকাল-এও দেখা যাবে সারাকে। পরিচালক ইমতিয়াজ আলির এই সিনেমায় সারার বিপরীতে রয়েছেন কার্তিক আরিয়ান।
প্রসঙ্গ, কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে নাকি বিচ্ছেদ হয়ে গেছে সারার। বিচ্ছেদের পরও শুটিং ফ্লোরে সারার সঙ্গে কার্তিকের যে কোনও বিভেদ দাগ কাটতে পারেনি, তা স্পষ্ট করে দেন বলিউডের এই জুটি। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েও হাসিমুখে কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নেন সারা আলি খান। সূত্র : জি নিউজ।
ছবি দু’টি দেখতে এখানে ক্লিক করুন...
স্পর্শ ছাড়াই উড়ল হেলিকপ্টার (ভিডিও)
স্পর্শ ছাড়াই উড়ল হেলিকপ্টার (ভিডিও)
স্পর্শ ছাড়াই উড়ল হেলিকপ্টার (ভিডিও)
হাতের কোনো স্পর্শ ছাড়াই হেলিকপ্টারকে নিয়ে উড়েছে স্কাইরিস নামের একটি স্টার্টআপ। অটোমেশন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এই হেলিকপ্টার পরিচালনায় কোনো স্পর্শ প্রয়োজন নেই।
যদিও এর আগেও অনেকগুলো এয়ার ট্যাক্সিতে অটোমেশন প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখানো হয়েছে। এসব এয়ার ট্যাক্সি ওড়ানো সম্ভব হয়েছে বিদ্যুতের মাধ্যমে চার্জ দিয়ে। তবে অন্যগুলো থেকে ব্যতিক্রম ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক স্টার্টআপ স্কাইরিস। প্রচলিত হেলিকপ্টার রবিনসন আর-৪৪ এ তারা অটোমেশন প্রযুক্তিটি যুক্ত করে।
হেলিকপ্টারটি চালাতে ও স্থির রাখতে কাজ করে কয়েকটি সেন্সর। যাত্রাপথ, সময় ও উচ্চতা পরিমাপ করা হয় ফেডেরাল এভিয়েশন অ্যাডমিন্ট্রেশন সিস্টেম ও স্মার্ট হেলিপ্যাডের সেট করা সেন্সরের মাধ্যমে। সেন্সরগুলো আবহাওয়ার গতি প্রকৃতি, উড়ন্ত বস্তু কিংবা পাখি ও বাতাস ট্র্যাক করতে পারবে।
হাতের স্পর্শ ছাড়া হেলেকপ্টারটি কিভাবে উড়ছে তা দেখাতে ইউটিউবে দেড় মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, হেলিকপ্টারটিতে দুজন পাইলট বসে আছেন। তাদের একজন মার্ক গ্রোডেন। ২৯ বছর বয়সী এই ইঞ্জিনিয়ারই স্কাইরিস স্টার্টআপটির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও।
স্পর্শ ছাড়াই উড়ল হেলিকপ্টার (ভিডিও)
হাতের কোনো স্পর্শ ছাড়াই হেলিকপ্টারকে নিয়ে উড়েছে স্কাইরিস নামের একটি স্টার্টআপ। অটোমেশন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এই হেলিকপ্টার পরিচালনায় কোনো স্পর্শ প্রয়োজন নেই।
যদিও এর আগেও অনেকগুলো এয়ার ট্যাক্সিতে অটোমেশন প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখানো হয়েছে। এসব এয়ার ট্যাক্সি ওড়ানো সম্ভব হয়েছে বিদ্যুতের মাধ্যমে চার্জ দিয়ে। তবে অন্যগুলো থেকে ব্যতিক্রম ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক স্টার্টআপ স্কাইরিস। প্রচলিত হেলিকপ্টার রবিনসন আর-৪৪ এ তারা অটোমেশন প্রযুক্তিটি যুক্ত করে।
হেলিকপ্টারটি চালাতে ও স্থির রাখতে কাজ করে কয়েকটি সেন্সর। যাত্রাপথ, সময় ও উচ্চতা পরিমাপ করা হয় ফেডেরাল এভিয়েশন অ্যাডমিন্ট্রেশন সিস্টেম ও স্মার্ট হেলিপ্যাডের সেট করা সেন্সরের মাধ্যমে। সেন্সরগুলো আবহাওয়ার গতি প্রকৃতি, উড়ন্ত বস্তু কিংবা পাখি ও বাতাস ট্র্যাক করতে পারবে।
হাতের স্পর্শ ছাড়া হেলেকপ্টারটি কিভাবে উড়ছে তা দেখাতে ইউটিউবে দেড় মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, হেলিকপ্টারটিতে দুজন পাইলট বসে আছেন। তাদের একজন মার্ক গ্রোডেন। ২৯ বছর বয়সী এই ইঞ্জিনিয়ারই স্কাইরিস স্টার্টআপটির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও।
সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া ১০ অ্যাপ
সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া ১০ অ্যাপ
প্রতীকী ছবি
এই দশকে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া অ্যাপের তালিকা প্রকাশ করেছে ‘অ্যাপ অ্যানি’। সেখানে ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যে অ্যাপ বেশি ডাউনলোড করা হয় তার নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় থাকা অ্যাপগুলো হল-
১. ফেসবুক :
তালিকার সবার ওপরে যথারীতি রয়েছে ফেসবুক। গুগলের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম অর্কুট-কে এতটাই টক্কর দিতে শুরু করে যে, শেষপর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায় সেটি। ২০০৪ সালে প্রথম বাজারে আসে ফেসবুক। ২০১৯-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ফেসবুক ইউজারের সংখ্যা ২৪৫ কোটির বেশি। যা প্রতিদিন বাড়ছে।
২. ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার :
হোয়াটসঅ্যাপের থেকেও বেশি ডাউনলোড হয়েছে এই অ্যাপটি। ২০১১ সালে অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস প্ল্যাটফর্মে লঞ্চ করে। ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় থাকা যে কেউ এই অ্যাপের মাধ্যমে ইউজারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
৩. হোয়াটসঅ্যাপ :
ফেসবুকের সঙ্গে এ নিঃশ্বাসে যে অ্যাপটির নাম নেওয়া হয় সেটি হল হোয়াটসঅ্যাপ। টেক্সট ছাড়াও অডিও, ভিডিও, ছবি, ডকুমেন্ট ফাইল সেন্ড করা যায় এই প্ল্যাটফর্মে। প্রতিদিন এর ইউজারের সংখ্যা বাড়ছে।
৪. ইনস্টাগ্রাম :
ফেসবুকের এই অ্যাপটি সেলিব্রিটিদের পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছে। ২০১০ সালে লঞ্চ করে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম। এতে মূলত ছবি, ভিডিও শেয়ার হয়। অন্য অনেক ছবি শেয়ারিং অ্যাপের তুলনায় ইনস্টাগ্রামে ছবির মান অনেক ভালো হয়।
৫. স্ন্যাপচ্যাট :
২০১১ সালে বাজারে আসে এই অ্যাপ। ফটো শেয়ার ও এডিটিং করা যায় এই চ্যাটিং অ্যাপে।
৬. স্কাইপ :
এই টেলিকমিউনিকেশন অ্যাপ্লিকেশনটি তালিকায় ষষ্ঠ স্থান দখল করেছে। মূলত ভিডিও ও ভয়েজ কলিংয়ের জন্য ব্যবহার এই অ্যাপটি। হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে এই অ্যাপটি। ওই দু’টি অ্যাপেও একই সুবিধা পাওয়া যায়।
৭. টিকটক :
২০১৭ সালে চীনের বাইরের বাজারে আসে এই অ্যাপ। তারপর থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভিডিও শেয়ারিং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপটি। এই অ্যাপে ভিডিও এডিটও করা যায়। বাইটড্যান্স নামে এক সংস্থার অ্যাপটি তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে।
৮. ইউসি ব্রাউজার :
চীনের আলিবাবা গ্রুপের এই ব্রাউজিং অ্যাপ তালিকায় অষ্টম স্থান দখল করছে। এশিয়ার কিছু এলাকায় গুগল ক্রোমের থেকেও ইউসি ব্রাউজার বেশি ব্যবহার হয়। এমনটাই জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
৯. ইউটিউব : গুগলের এই প্ল্যাটফর্মটি ভিডিও শেয়ারের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় একটি অ্যাপ। ২০০৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি লঞ্চ করে ইউটিউব। তারপর থেকে এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।
১০. টুইটার : ২০০৬ সালে লঞ্চ করে মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম টুইটার। ২৮০ ক্যারেক্টারের মধ্যে রাখতে এই সোশ্যাল মিডিয়ার যে কোনও পোস্ট। ছবিও পোস্ট করা যায়। এখন সরকারিভাবে কিছু বলার সময় এই প্ল্যাটফর্মকে অনেকে ব্যবহার করেন।
প্রতীকী ছবি
এই দশকে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া অ্যাপের তালিকা প্রকাশ করেছে ‘অ্যাপ অ্যানি’। সেখানে ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যে অ্যাপ বেশি ডাউনলোড করা হয় তার নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় থাকা অ্যাপগুলো হল-
১. ফেসবুক :
তালিকার সবার ওপরে যথারীতি রয়েছে ফেসবুক। গুগলের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম অর্কুট-কে এতটাই টক্কর দিতে শুরু করে যে, শেষপর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায় সেটি। ২০০৪ সালে প্রথম বাজারে আসে ফেসবুক। ২০১৯-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ফেসবুক ইউজারের সংখ্যা ২৪৫ কোটির বেশি। যা প্রতিদিন বাড়ছে।
২. ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার :
হোয়াটসঅ্যাপের থেকেও বেশি ডাউনলোড হয়েছে এই অ্যাপটি। ২০১১ সালে অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস প্ল্যাটফর্মে লঞ্চ করে। ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় থাকা যে কেউ এই অ্যাপের মাধ্যমে ইউজারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
৩. হোয়াটসঅ্যাপ :
ফেসবুকের সঙ্গে এ নিঃশ্বাসে যে অ্যাপটির নাম নেওয়া হয় সেটি হল হোয়াটসঅ্যাপ। টেক্সট ছাড়াও অডিও, ভিডিও, ছবি, ডকুমেন্ট ফাইল সেন্ড করা যায় এই প্ল্যাটফর্মে। প্রতিদিন এর ইউজারের সংখ্যা বাড়ছে।
৪. ইনস্টাগ্রাম :
ফেসবুকের এই অ্যাপটি সেলিব্রিটিদের পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছে। ২০১০ সালে লঞ্চ করে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম। এতে মূলত ছবি, ভিডিও শেয়ার হয়। অন্য অনেক ছবি শেয়ারিং অ্যাপের তুলনায় ইনস্টাগ্রামে ছবির মান অনেক ভালো হয়।
৫. স্ন্যাপচ্যাট :
২০১১ সালে বাজারে আসে এই অ্যাপ। ফটো শেয়ার ও এডিটিং করা যায় এই চ্যাটিং অ্যাপে।
৬. স্কাইপ :
এই টেলিকমিউনিকেশন অ্যাপ্লিকেশনটি তালিকায় ষষ্ঠ স্থান দখল করেছে। মূলত ভিডিও ও ভয়েজ কলিংয়ের জন্য ব্যবহার এই অ্যাপটি। হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে এই অ্যাপটি। ওই দু’টি অ্যাপেও একই সুবিধা পাওয়া যায়।
৭. টিকটক :
২০১৭ সালে চীনের বাইরের বাজারে আসে এই অ্যাপ। তারপর থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভিডিও শেয়ারিং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপটি। এই অ্যাপে ভিডিও এডিটও করা যায়। বাইটড্যান্স নামে এক সংস্থার অ্যাপটি তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে।
৮. ইউসি ব্রাউজার :
চীনের আলিবাবা গ্রুপের এই ব্রাউজিং অ্যাপ তালিকায় অষ্টম স্থান দখল করছে। এশিয়ার কিছু এলাকায় গুগল ক্রোমের থেকেও ইউসি ব্রাউজার বেশি ব্যবহার হয়। এমনটাই জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
৯. ইউটিউব : গুগলের এই প্ল্যাটফর্মটি ভিডিও শেয়ারের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় একটি অ্যাপ। ২০০৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি লঞ্চ করে ইউটিউব। তারপর থেকে এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।
১০. টুইটার : ২০০৬ সালে লঞ্চ করে মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম টুইটার। ২৮০ ক্যারেক্টারের মধ্যে রাখতে এই সোশ্যাল মিডিয়ার যে কোনও পোস্ট। ছবিও পোস্ট করা যায়। এখন সরকারিভাবে কিছু বলার সময় এই প্ল্যাটফর্মকে অনেকে ব্যবহার করেন।
মার্কিন মহাকাশ বাহিনী' গঠন করলেন ট্রাম্প
মার্কিন মহাকাশ বাহিনী' গঠন করলেন ট্রাম্প
'মার্কিন মহাকাশ বাহিনী' গঠন করলেন ট্রাম্প
'মার্কিন মহাকাশ বাহিনী' নামে এবার নতুন বাহিনী গঠন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এই নতুন বাহিনীর অনুমোদন দিয়েছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান'র।
খবরে বলা হয়, নতুন এই বাহিনী মার্কিন বিমানবাহিনীর অধীনে কাজ করবে। ১৯৪৭ সালের পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কোনো সামরিক সেবা চালু করা হলো।
নতুন এই বাহিনী গঠন সম্পর্কে ওয়াশিংটনে এক সামরিক ক্যাম্পে এসে ট্রাম্প বলেছেন, নিকট ভবিষ্যতে মহাকাশই হবে নতুন যুদ্ধক্ষেত্র। আগামী কয়েক মাসে বাকি দেশগুলোর চেয়ে অনেকটা এগিয়ে যাব আমরা। নতুন এই মহাকাশ বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অন্য দেশের আগ্রাসন হ্রাস করতে সহায়তা করবে।
নতুন এই বাহিনীর জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে শুক্রবার। প্রথম বছরে নতুন এই বাহিনীর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর পুরো সামরিক বাহিনীর জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
নবগঠিত এই বাহিনী কিন্তু মহাশূন্যে গিয়ে সরাসরি যুদ্ধ করবে না। বরং মহাকাশে বিদ্যমান মার্কিন সম্পদগুলো রক্ষার প্রতি বিশেষ মনোযোগী হবে এই বাহিনী। যেমন যোগাযোগ ও পর্যবেক্ষণের জন্য স্থাপন করা শতাধিক মার্কিন স্যাটেলাইটের নিরাপত্তার দিকটি দেখভাল করবে এই বাহিনী।
'মার্কিন মহাকাশ বাহিনী' গঠন করলেন ট্রাম্প
'মার্কিন মহাকাশ বাহিনী' নামে এবার নতুন বাহিনী গঠন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এই নতুন বাহিনীর অনুমোদন দিয়েছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান'র।
খবরে বলা হয়, নতুন এই বাহিনী মার্কিন বিমানবাহিনীর অধীনে কাজ করবে। ১৯৪৭ সালের পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কোনো সামরিক সেবা চালু করা হলো।
নতুন এই বাহিনী গঠন সম্পর্কে ওয়াশিংটনে এক সামরিক ক্যাম্পে এসে ট্রাম্প বলেছেন, নিকট ভবিষ্যতে মহাকাশই হবে নতুন যুদ্ধক্ষেত্র। আগামী কয়েক মাসে বাকি দেশগুলোর চেয়ে অনেকটা এগিয়ে যাব আমরা। নতুন এই মহাকাশ বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অন্য দেশের আগ্রাসন হ্রাস করতে সহায়তা করবে।
নতুন এই বাহিনীর জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে শুক্রবার। প্রথম বছরে নতুন এই বাহিনীর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর পুরো সামরিক বাহিনীর জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
নবগঠিত এই বাহিনী কিন্তু মহাশূন্যে গিয়ে সরাসরি যুদ্ধ করবে না। বরং মহাকাশে বিদ্যমান মার্কিন সম্পদগুলো রক্ষার প্রতি বিশেষ মনোযোগী হবে এই বাহিনী। যেমন যোগাযোগ ও পর্যবেক্ষণের জন্য স্থাপন করা শতাধিক মার্কিন স্যাটেলাইটের নিরাপত্তার দিকটি দেখভাল করবে এই বাহিনী।
চিকিৎসাখাতে ব্যবহৃত পণ্যের দেশীয় উৎপাদন ও বিকাশের সম্ভাবনা
চিকিৎসাখাতে ব্যবহৃত পণ্যের দেশীয় উৎপাদন ও বিকাশের সম্ভাবনা
আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে দেশীয় পণ্যের প্রসার ও প্রচারে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছেন উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশে তৈরি পণ্য দেশ ও বিদেশে ডিজিটাল বাংলাদেশকে নতুন করে তুলে ধরছে। বিশেষ করে ইলেক্ট্রো ম্যানুফ্যাকচারিং সার্ভিসেস (ইএমএস) খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভাবনাকে মাথায় রেখেই ২০১৫ সালে মেইড ইন বাংলাদেশ প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সেলট্রন ইলেক্ট্রো ম্যানুফ্যাকচারিং সার্ভিসেস লিমিটেড প্রথমবারের মতো বাংলাদেশেই চিকিৎসাসেবায় ব্যবহৃত পণ্য উৎপাদন শুরু করে।
চিকিৎসাসেবায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতো সম্ভাবনাময় হওয়া সত্বেও আমদানি করে স্থানীয় বাজারে বিক্রিতে অনেক লাভ হওয়ায় কেউ উৎপাদনখাতে সরাসরি বিনিয়োগ করতে উৎসাহী নয়। কিন্তু স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে এই সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগের উদ্যোগ নেয় সেলট্রন ইলেক্ট্রো মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেড।
কঠোর পরিশ্রম আর সরকার ও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সৌহার্দপূর্ণ দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতায় কঠোর মাননিয়ন্ত্রণের যাচাই বাছাই শেষে চারটি মেডিকেল ইকুপমেন্ট তৈরির লাইসেন্স পায় সেলট্রন ইএমএস। বর্তমানে সফলতার সাথে বাংলাদেশেই তারা ১২ ও ৬ চ্যানেল ইসিজি মেশিন, ফটোথেরাপি, এক্সরে ভিউবক্স ও পেশেন্ট মনিটর তৈরি ও বাজারজাত করছে।
চিকিৎসাখাতে ব্যবহৃত পণ্য উৎপাদন অনেক সূক্ষ্ম ও জটিল একটি প্রযুক্তি। এখানে পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ, কারখানার সক্ষমতা ইত্যাদি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসকল বিষয়ে শতভাগ সক্ষমতা অর্জন করায় সেলট্রন অর্জন করেছে ISO সার্টিফিকেট। একইসাথে তারা জাপান সরকারের অনুমোদনও পেয়েছে।
বাংলাদেশে তৈরি ওষুধের বিপুল চাহিদা রয়েছে বিদেশে। ওষুধ শিল্পের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবায় ব্যবহৃত পণ্য উৎপাদনের এই উদ্যোগ চতুর্থ প্রজন্মের শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও স্বনির্ভরতার প্রতীক হিসেবে সেলট্রনের তৈরি প্রোডাক্টগুলোর ব্যান্ড নাম দেয়া হয়েছে অপরাজেয়।
দেশীয় পণ্য হওয়ার প্রথম দিকে গুণগত মান নিয়ে মানুষ প্রশ্ন তুললেও এখন পাল্টে গেছে সেই চিত্র। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল-নার্সিং হোম, ক্লিনিকে সেলট্রনের তৈরি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ব্যবহৃত হচ্ছে। কাঁচামালের সহজলভ্যতা, সস্তা শ্রম ও স্থানীয় বাজারের কারণে এসব পণ্যের দামও হাতের নাগালে।
সর্বস্তরের জনগণের আস্থা ও সহযোগিতা পেলে দেশীয় চাহিদা পূরণ করে একসময় প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ আফ্রিকার বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশেও বাংলাদেশে তৈরি মেডিকেল পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
৫০টি ‘বিপজ্জনক’ পাসওয়ার্ড!
৫০টি ‘বিপজ্জনক’ পাসওয়ার্ড!
৫০টি ‘বিপজ্জনক’ পাসওয়ার্ড!
প্রতীকী ছবি
২০১৯ সালেও সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান স্প্ল্যাশডাটা ৫০ লাখ ফাঁস হওয়া পাসওয়ার্ড বিশ্লেষণ করে দেখে ৫০টি পাসওয়ার্ডকে হ্যাকারদের সবচেয়ে শেয়ার করা পাসওয়ার্ড হিসেবে উল্লেখ করেছে। বিশেষজ্ঞরা এসব ‘বিপজ্জনক’ পাসওয়ার্ড এখনই ব্যবহার বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
সেই ৫০টি বিপজ্জনক পাসওয়ার্ডের তালিকা:
123456
123456789
qwerty
password
1234567
12345678
12345
iloveyou
111111
123123
abc 123
qwerty 123
1 q2 w3 e4 r
admin
qwertyuiop
654321
555555
lovely
7777777
welcome
888888
princess
dragon
password1
123 qwe
666666
1 qaz2 wsx
333333
michael
sunshine
liverpool
777777
1 q2 w3 e4 r5 t
donald
freedom
football
charlie
letmein
!@#$%^&*
secret
aa 123456
987654321
zxcvbnm
passw0 rd
bailey
nothing
shadow
121212
biteme
ginger
৫০টি ‘বিপজ্জনক’ পাসওয়ার্ড!
প্রতীকী ছবি
২০১৯ সালেও সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান স্প্ল্যাশডাটা ৫০ লাখ ফাঁস হওয়া পাসওয়ার্ড বিশ্লেষণ করে দেখে ৫০টি পাসওয়ার্ডকে হ্যাকারদের সবচেয়ে শেয়ার করা পাসওয়ার্ড হিসেবে উল্লেখ করেছে। বিশেষজ্ঞরা এসব ‘বিপজ্জনক’ পাসওয়ার্ড এখনই ব্যবহার বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
সেই ৫০টি বিপজ্জনক পাসওয়ার্ডের তালিকা:
123456
123456789
qwerty
password
1234567
12345678
12345
iloveyou
111111
123123
abc 123
qwerty 123
1 q2 w3 e4 r
admin
qwertyuiop
654321
555555
lovely
7777777
welcome
888888
princess
dragon
password1
123 qwe
666666
1 qaz2 wsx
333333
michael
sunshine
liverpool
777777
1 q2 w3 e4 r5 t
donald
freedom
football
charlie
letmein
!@#$%^&*
secret
aa 123456
987654321
zxcvbnm
passw0 rd
bailey
nothing
shadow
121212
biteme
ginger
নতুন গ্রহের সন্ধান, জল্পনা তুঙ্গে
নতুন গ্রহের সন্ধান, জল্পনা তুঙ্গে
নতুন গ্রহের সন্ধান, জল্পনা তুঙ্গে
অনেকটা তুলার বলের মতো বা হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার হাবল টেলিস্কোপে এ গ্রহের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
এ ব্যাপারে নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেপলার ৫১ মানের নক্ষত্রমণ্ডলীর মধ্যে অবস্থান করছে নতুন গ্রহটি।
কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জেসিকা লিবি-রবার্টস বলছিলেন, এটা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ছিল। আমরা বড় ওই কেপলার ৫১ তে পানির উপস্থিতির অনুসন্ধান করছিলাম। তখনই হঠাৎ এই পেঁজা তুলার বলের মতো দেখতে নতুন গ্রহটি আমাদের নজরে আসে।
৫১ মানের নক্ষত্রমণ্ডলীতে প্রধানত তিনটি বৃহদাকার গ্রহ রয়েছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, তুলার আস্তরণে ঢাকা ওই তিনটি গ্রহ। এর মধ্যে একটি গ্রহ ২০১২ সালে নাসার বিজ্ঞানীদের নজরে আসে।
সূত্র : ইনসাইডার
নতুন গ্রহের সন্ধান, জল্পনা তুঙ্গে
অনেকটা তুলার বলের মতো বা হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার হাবল টেলিস্কোপে এ গ্রহের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
এ ব্যাপারে নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেপলার ৫১ মানের নক্ষত্রমণ্ডলীর মধ্যে অবস্থান করছে নতুন গ্রহটি।
কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জেসিকা লিবি-রবার্টস বলছিলেন, এটা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ছিল। আমরা বড় ওই কেপলার ৫১ তে পানির উপস্থিতির অনুসন্ধান করছিলাম। তখনই হঠাৎ এই পেঁজা তুলার বলের মতো দেখতে নতুন গ্রহটি আমাদের নজরে আসে।
৫১ মানের নক্ষত্রমণ্ডলীতে প্রধানত তিনটি বৃহদাকার গ্রহ রয়েছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, তুলার আস্তরণে ঢাকা ওই তিনটি গ্রহ। এর মধ্যে একটি গ্রহ ২০১২ সালে নাসার বিজ্ঞানীদের নজরে আসে।
সূত্র : ইনসাইডার
সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯
খোঁজ মিলল ল্যান্ডার বিক্রমের
খোঁজ মিলল ল্যান্ডার বিক্রমের, চাঁদের মাটিতে ধ্বংসাবশেষ
খোঁজ মিলল ল্যান্ডার বিক্রমের, চাঁদের মাটিতে ধ্বংসাবশেষ
সংগৃহীত ছবি
অবশেষে খোঁজ মিলেছে চন্দ্রযান -২ এর ল্যান্ডার বিক্রমের। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা চাঁদের মাটিতে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের রেছে।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, নাসা'র উপগ্রহের এলআরও ক্যামেরায় ধরা পড়ছে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের ছবি।
নাসা'র প্রকাশ করা ছবিতে নীল ও সবুজ রঙ করে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করা হয়েছে। সংস্থা জানিয়েছে, নীল রঙ দিয়ে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, সবুজ রঙ দিয়ে বোঝানো হয়েছে বিক্রমের ভেঙেপড়া টুকরোর ধাক্কায় সরে যাওয়া চাঁদের মাটিকে।
উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে অবতরণের (সফট ল্যান্ডিং) সময়ে চন্দ্রযান ২ এর অরবিটারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রমের। চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার ওপরে সংকেত পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। এই বিক্রমের মধ্যেই ছিল রোভার প্রজ্ঞাণ। তখনই মনে করা হয়েছিল, চাঁদের বুকে কোথাও মুখ থুবড়ে পড়েছে বিক্রম।
খোঁজ মিলল ল্যান্ডার বিক্রমের, চাঁদের মাটিতে ধ্বংসাবশেষ
সংগৃহীত ছবি
অবশেষে খোঁজ মিলেছে চন্দ্রযান -২ এর ল্যান্ডার বিক্রমের। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা চাঁদের মাটিতে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের রেছে।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, নাসা'র উপগ্রহের এলআরও ক্যামেরায় ধরা পড়ছে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের ছবি।
নাসা'র প্রকাশ করা ছবিতে নীল ও সবুজ রঙ করে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করা হয়েছে। সংস্থা জানিয়েছে, নীল রঙ দিয়ে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, সবুজ রঙ দিয়ে বোঝানো হয়েছে বিক্রমের ভেঙেপড়া টুকরোর ধাক্কায় সরে যাওয়া চাঁদের মাটিকে।
উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে অবতরণের (সফট ল্যান্ডিং) সময়ে চন্দ্রযান ২ এর অরবিটারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রমের। চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার ওপরে সংকেত পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। এই বিক্রমের মধ্যেই ছিল রোভার প্রজ্ঞাণ। তখনই মনে করা হয়েছিল, চাঁদের বুকে কোথাও মুখ থুবড়ে পড়েছে বিক্রম।
রোবটে যুক্ত হচ্ছে স্পর্শের অনুভূতি
রোবটে যুক্ত হচ্ছে স্পর্শের অনুভূতি
রোবটের মধ্যে থাকবে স্পর্শের অনুভূতি। এমনই উদ্যোগ নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গত মাসে কৃত্রিম চামড়া উন্মোচন করা হয় যার মাধ্যমে রোবট স্পর্শের অনুভূতি বুঝতে পারবে এবং শারিরীকভাবে সাড়া দিতে পারবে। এতে মানুষের সঙ্গে রোবটের যোগাযোগও কার্যকরী হবে।
আন্তর্জাতিক রোবট ফেডারেশনের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে সারা বিশ্বে প্রতি ১০০০ কর্মচারীর মধ্যে ৮৫টি করে রোবট ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠানে। ২০২১ সালের মধ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠানে রোবট সরবরাহের হার ১৪ শতাংশ করে বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
অধ্যাপক গর্ডন চেং
মিউনিখের টেকনিকাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক গর্ডন চেং ও তার দল মানবিক রোবট তৈরির বিষয়ে কাজ করছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে যেসব রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে তার মধ্যে স্পর্শের বিষয়ে কোনো অনুভূতি কাজ করে না। স্পর্শের অনুভূতি রোবটকে আরও নিরাপদ করবে। এতে বস্তু, মানুষ ও রোবট নিজের ক্ষতি করা ছাড়াই সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে বলে আশা করছেন তিনি।
সূত্র: সিএনএন
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)