রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২০

স্ত্রীকে উৎসর্গ করে জাস্টিন বিবারের নতুন গান

স্ত্রীকে উৎসর্গ করে জাস্টিন বিবারের নতুন গান

  • Currently 0/5
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5

স্ত্রীকে উৎসর্গ করে জাস্টিন বিবারের নতুন গান
হেইলি ব্যাল্ডউইন-জাস্টিন বিবার

কানাডিয়ান পপস্টার জাস্টিন বিবার। প্রকাশ করতে যাচ্ছেন নতুন অ্যালবাম। কিছুদিন আগেই তিনি জানিয়েছিলেন পাঁচ বছর বিরতির পর এটি প্রকাশ করবেন তিনি। আর সে অনুযায়ী কাজও শুরু করে দেন তিনি। অবশেষে নতুন বছরে প্রকাশ করলেন অ্যালবামের ‘ইয়াম্মি’ শিরোনামের একটি গান। আর এই গানটি তিনি স্ত্রী হেইলি ব্যাল্ডউইনকে উৎসর্গ করেছেন। 
বিবারের নতুন একক গানটির দৈর্ঘ্য ৩ মিনিট ৩০ সেকেন্ড।  গানটির পুরো ভিডিও আসবে শনিবার দুপুর ১২টার পর। 
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর গানটির একটি টিজার প্রকাশ করেছিলেন বিবার। তখনই মূলত তার নতুন অ্যালবাম প্রকাশ সঙ্ক্রান্ত তথ্য ভক্তদের জানান তিনি।
২৫ বছর বয়সী এই তারকা জানিয়েছেন, ২০২০ সালে বিরতি ভেঙে নতুন অ্যালবাম নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছেন।
নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে খবরটি জানিয়ে জাস্টিন বিবার লেখেন, আমি এখন যেখানে আছি, আমার মনে হয় এর কারণে আগের অ্যালবামগুলির চেয়ে নতুনটি আলাদা হবে। আমি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় যেয়ে গানগুলোতে পারফর্ম করতে অপেক্ষা করছি।
‘মানুষ হিসেবে আমরা কেউই পরিপূর্ণ না। আমার অতীত, আমার ভুলগুলো এবং সমস্ত কিছুই আমি পার করে এসেছি। আমি বিশ্বাস করি, যেখানে আমার থাকার কথা ছিল, আমি ঠিক সেখানেই আছি। ঈশ্বর আমাকে যেখানে চাইবেন আমি ঠিক সেখানেই থাকবো’, যোগ করেন তিনি। 
নতুন অ্যালবাম নিয়ে ২০২০ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে সফরে যাবেন বিবার। তবে তিনি যুক্তরাজ্যের কবে শো করবেন তা ঘোষণা করেননি

শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২০

মানুষের চেয়েও বড় ডাক্তার গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!

মানুষের চেয়েও বড় ডাক্তার গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!

মানুষের চেয়েও বড় ডাক্তার গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!
ম্যামোগ্রামের (স্বল্পশক্তির  এক্স-রে) ছবি বিশ্লেষণ করে চিকিৎসকদের চেয়েও সফলভাবে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারে গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি। প্রাথমিক অবস্থায় কোনো লক্ষণ দেখা যায় না বলে বর্তমানে প্রায় ২০ শতাংশ ক্ষেত্রেই স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিটি কাজে লাগিয়ে এ হার কমিয়ে আনা গেছে মাত্র ৯.৪ শতাংশে। 
‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। স্তন ক্যান্সার শনাক্তে গত বছরের শেষ নাগাদ এআই  প্রযুক্তির নতুন পদ্ধতি তৈরি করে গুগল। এ জন্য ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষকদের সঙ্গে নিয়ে প্রায় ২৯ হাজার নারীর স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ ও ছবির সমন্বয়ে বিশেষ ধরনের অ্যালগরিদমও তৈরি করে গুগল হেলথ। আর এই অ্যালগরিদমের সাহায্যেই যেকোনো নারীর ম্যামোগ্রামের প্লেট পর্যালোচনা করে দ্রুত স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। 
শুধু তা-ই নয়, রোগীর শরীরে ক্যান্সারের পর্যায় সম্পর্কেও সঠিক ধারণা দিতে পারে। ফলে মাত্র এক বছরের মধ্যেই চিকিৎসকদের চেয়েও নির্ভুলভাবে অ্যাডভান্সড স্টেজের স্তন ক্যান্সার শনাক্তে সফল হয়েছে এই প্রযুক্তি

নতুন বছর শুরু এভাবেই

নতুন বছর শুরু এভাবেই

 নতুন বছর শুরু এভাবেই
নতুন বছর একসঙ্গে কাটালেন মালাইকা অরোরা এবং অর্জুন কাপুর। ৩১ ডিসেম্বর রাতে গোয়ায় গিয়ে মালাইকা অরোরার সঙ্গে পার্টি করেন অর্জুন কাপুর৷ অর্জুন, মালাইকার সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। পাশাপাশি নতুন বছরের শুরুতে অর্জুনের গালে চুম্বন করছেন মালাইকা, প্রকাশ্যে উঠে আসে সেই ছবিও। 
সম্প্রতি মুম্বাই ছেড়ে ছুটি কাটাতে উড়ে যান অর্জুন কাপুর৷ তবে  অর্জুন কোথায় যাচ্ছেন ছুটি কাটাতে, জানা যায়নি সেই খবর৷ তবে নতুন বছর মালাইকার সঙ্গে অর্জুন গোয়াতেই কাটাবেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়৷ সেই অনুযায়ী, মালাইকা এবং অমৃতার সঙ্গে পার্ট করেন অর্জুন কাপুর।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অর্জুন কাপুরের সিনেমা  পানিপথ। এই সিনেমায় সঞ্জয় দত্ত এবং কৃতি শ্যাননের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেন অর্জুন৷ তবে এই সিনেমায় অবিনয় নিয়েো সমালোচনা এবং কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় অর্জুনকে। যে সমালোচনার প্রেক্ষিতে মুখ খোলেন অর্জুন। 
তিনি বলেন, সমালোচনা এবং কটাক্ষের সঙ্গে তিনি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন৷ এখন কোনও কিছুকেই তিনি আর তেমনভাবে পাত্তা দেন না বলে স্পষ্ট জানান অর্জুন কাপুর।

ফাইভজি যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ

ফাইভজি যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ

১৬ জানুয়ারি ঢাকায় লাইভ প্রদর্শন করবে হুয়াওয়ে ও রবি



ফাইভজি যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ
সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর কাতারে নাম লেখাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বের যে গুটিকয় দেশ পঞ্চম প্রজন্মের (ফাইভজি) মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করছে তার মধ্যে বাংলাদেশও নাম লেখাতে যাচ্ছে। নতুন বছরে বাংলাদেশে কড়া নাড়ছে ফাইভজি। আর এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’তে ফাইভজির ডেমোনেস্ট্রেশন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য চলতি বছরের মধ্যেই তরঙ্গ নিলামের প্রস্তুতি নেওয়া এবং ২০২১ সালের শুরুতে ফাইভজি চালু করা।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের অগ্রগতি জানাতে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার আয়োজন করছে। মুজিববর্ষ পালনের উদ্যোগ হিসেবে এ মেলার অয়োজন করা হচ্ছে। মেলায় প্রাধান্য পাচ্ছে ফাইভজি।
মেলায় ফাইভজি প্রযুক্তিসহ এর ব্যবহার নিয়ে লাইভ দেখানো হবে বলে জানালেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘২০২০ সালে আমরা ফাইভজির সব কাঠামো গড়ে তুলব এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেব। আমাদের টার্গেট ২০২১ সালে এটি আনুষ্ঠানিক চালু করা। তবে আমরা চলতি বছরের ডিসেম্বর কিংবা পরের বছর জানুয়ারিতে চালু করার সর্বাত্মক চেষ্ট করব। 
আমরা ফাইভজি চালু করা বিশ্বের প্রথম ২০ দেশের তালিকায় থাকতে পারব বলে আশা করি। এ জন্য প্রাথমিকভাবে আমাদের যে গাইডলাইন দরকার, সেটি ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করা হবে এবং আমাদের ইচ্ছা জুনের মধ্যে তা চূড়ান্ত করা। বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে তরঙ্গ নিলামের প্রক্রিয়া শুরু করার ইচ্ছা আছে। ফাইভজির স্পেক্ট্রাম বরাদ্দ দেওয়া হলে ২০২০ সালের মধ্যেই ফাইভজি পরীক্ষামূলক চালু করব।’
জানা যায়, ফাইভজি নীতিমালা তৈরিতে গঠিত কমিটি আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রস্তুত করে বিটিআরসির কাছে জমা দেবে। এর আগে ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং রবির সহায়তায় দেশে প্রথমবারের মতো ফাইভজি পরীক্ষা ও সেবা প্রদর্শন করে প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। প্রদর্শনীতে ফাইভজির গতি ছিল ৩ দশমিক ৮৯ জিবিপিএস থেকে ৪ দশমিক ০৯ জিবিপিএস পর্যন্ত।
জানা যায়, ফাইভজি চালু করেছে এমন দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। এ ছাড়া সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে এবং সুইডেন ফাইভজি নেটওয়ার্ক গ্রহণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। ২০২৩ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০০ কোটি ফাইভজি গ্রাহক তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফাইভজি মোবাইল ফোনে শুধু দ্রুতগতির নেটওয়ার্কই এনে দেবে না, চালকবিহীন গাড়ি, ড্রোন, ইন্টারনেট অব থিংসসহ নানা প্রযুক্তিও এগিয়ে যাবে এর সুবাদে। এরই মধ্যে ফাইভজি সমর্থিত স্মার্টফোন বাজারে ছেড়েছে স্যামসাং, হুয়াওয়েসহ শীর্ষ স্মার্টফোন নিমার্তা কম্পানিগুলো।  
সূত্র জানায়, ১৬ জানুয়ারি ফাইভজির প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার উদ্বোধন করবেন এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।  
মেলায় ১০০টি স্টল, মিনি প্যাভিলিয়ন ও প্যাভিলিয়ন থাকবে। এতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সব সংস্থা—ডাক বিভাগ, বিটিআরসি, বিটিসিএল, টেলিটক, সাবমেরিন কেবল কম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কম্পানি লিমিটেড, টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এ ছাড়া আইএসপি প্রতিষ্ঠান, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি পণ্য উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফোন অপারেটরসহ অনেক প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।
মেলায় টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে তাদের ফাইভজি টাওয়ারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হবে। এতে অপারেটর হিসেবে যোগ দেবে রবি। কয়েকটি স্মার্টফোনে ফাইভজির সেবা পরখ করে দেখা যাবে।  
মেলার আয়োজক আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় ফাইভজির একটি ডেমোনেস্ট্রেশন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে ফাইভজির লাইভ এক্সপেরিয়েন্স পাওয়া যাবে। বিটিএস থেকে শুরু করে সমর্থনযোগ্য ডিভাইসে দর্শনার্থীরা ফাইভজি টেস্ট করে যেতে পারবে। এতে হুয়াওয়ে ফিজিক্যাল ডেমোনেস্ট্রেশন করবে। রবি, গ্রামীণফোনসহ অন্য মোবাইল অপারেটররা অংশ নিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আইএসপি খাত থেকে ট্রিপল প্লে সার্ভিস থাকবে। এ ছাড়া জেডটিই এবং নোকিয়ার ফাইভজি প্যাভিলিয়ন ও দেশের ডিভাইস উত্পাদনকারী শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলো থাকবে।’
আমিনুল হাকিম জানান, মেলায় ৩৫ থেকে ৪০টি আইএসপি প্রতিষ্ঠান, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, ট্রিপল প্লে (এক কেবলে ল্যান্ডফোনের লাইন, ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ), মোবাইল অ্যাপস, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ও প্রযুক্তি ইত্যাদি প্রদর্শন করবে। ওয়ালটন, স্যামসাং, সিম্ফনির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উত্পাদিত পণ্য দেখাবে, দেশি সফটওয়্যার কম্পানিগুলো তাদের তৈরি সফটওয়্যার ও সেবা উপস্থাপন করবে। টেলিকম অপারেটরগুলো তাদের ভয়েস, ইন্টারনেট ও মূল্য সংযোজিত সেবা (ভ্যাস) দেখাবে। এ ছাড়া জেডটিই, হুয়াওয়ে, নকিয়া, এরিকসন ফাইভজি প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। দেখাবে লাইভ অনুষ্ঠানসহ এর ব্যবহার উপযোগিতা।  
বলা হচ্ছে, ফাইভজি বিশ্বব্যাপী বহু মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনবে। ফোরজির চেয়েও ৪০ গুণ দ্রুতগতির ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা দেবে ফাইভজি। এর মাধ্যমে স্বচালিত কার থেকে রোবটের কার্যক্রম সহজ হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘ফাইভজি কথা বলা বা ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য। জীবনযাপনের জন্য ছোট্ট ঢেউ নয়। এর সঙ্গে দেশের মানুষ ও শিল্পকে সংশ্লিষ্ট করতে কাজ করছে সরকার। তাই আমরা এবার বরাবরের মতো ট্রেন মিস করব না।’

নতুন বছরে বন্ধু হবে ‘নিয়ন’

নতুন বছরে বন্ধু হবে ‘নিয়ন’

নতুন বছরে বন্ধু হবে ‘নিয়ন’
প্রিয় বন্ধুর মতোই মন খুলে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে ‘নিয়ন’ নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি আনতে যাচ্ছে স্যামসাং। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কণ্ঠস্বর নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল সহকারী সেবাগুলোর তুলনায় বেশ আলাদা এই প্রযুক্তি। কারণ শুধু ব্যবহারকারীদের নির্দেশ মানা নয়; বরং তাদের সঙ্গে আলাপচারিতাও চালাতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিটি। বন্ধুর মতো নিজের মতামত জানানোর পাশাপাশি অনুভূতিও প্রকাশ করতে পারে। আর তাই আগামী দিনে ‘নিয়ন’ই হবে মানুষের প্রিয় বন্ধু। 
সব কিছু ঠিক থাকলে ৭ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অনুষ্ঠেয় কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস প্রদর্শনীতে নিজেদের তৈরি এই প্রযুক্তি তুলে ধরবে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে মুখের কথায় ডিভাইসের বিভিন্ন সেবা ও অ্যাপ নিয়ন্ত্রণের সুযোগ দিতে কণ্ঠস্বর নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল সহকারী ‘বিক্সবি’ চালু করে স্যামসাং।

সেলফি ক্যামেরা দিয়ে টাইপিং স্যামসাংয়ের স্মার্টফোনে!

সেলফি ক্যামেরা দিয়ে টাইপিং স্যামসাংয়ের স্মার্টফোনে!

সেলফি ক্যামেরা দিয়ে টাইপিং স্যামসাংয়ের স্মার্টফোনে!

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে স্মার্টফোনের সামনের ক্যামেরা ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর আঙুলের নড়াচড়া বুঝে নিয়ে টাইপিংয়ের কাজ করে দেবে স্মার্টফোন! সেলফিটাইপ নামে এমনই একটি প্রোজেক্ট সামনে এনেছে স্যামসাং।
নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফোনের সেলফি ক্যামেরা ব্যবহার করে টাইপ করা যাবে। এ পদ্ধতিতে কিউডব্লিউইআরটিওয়াই কিবোর্ডের মাধ্যমে টাইপ করা যাবে।
স্যামসাং জানিয়েছে, সেলফিটাইপ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে আলাদা হার্ডওয়্যারের প্রয়োজন হবে না। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এমনকি ল্যাপটপের সামনের ক্যামেরা ব্যবহার করে কাজ করবে সেলফিটাইপ।
২০১২ সালে প্রথম সি-ল্যাব শুরু করেছিল স্যামসাং। এর ফলে কম্পানির কর্মীরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এমন যে কোনো প্রজেক্টে তারা কাজ করতে পারেন। বিগত কয়েক বছর ধরেই কনজিউমার ইলেকট্রনিক শো (সিইএস) ইভেন্টে বিভিন্ন সি-ল্যাব প্রোজেক্ট গোটা বিশ্বের সামনে আনছে দক্ষিণ কোরিয়ার এ কম্পানি।
সেলফিটাইপ ছাড়াও ২০২০ সালের সিইএস ইভেন্টে আরও একগুচ্ছ নতুন প্রযুক্তি আনবে স্যামসাং। এর মধ্যে অন্যতম হলো চুল ঝরা কমাতে ব্যবহার করার জন্য ‘বিকন’ এবং কৃত্রিম উপায়ে সূর্যের আলো তৈরি করতে পারে এমন প্রযুক্তি ‘সানিসাইড’ প্রোজেক্ট।
এছাড়াও স্যাসসাং একটি নতুন সেন্সর চালু করবে। নতুন এই সেন্সর ব্যবহার করে অতিবেগুনী রশ্মি মাপা যাবে। ওয়্যারেবেল ডিভাইসে এই সেন্সর ব্যবহার হতে পারে। এর ফলে অতিবেগুনী রশ্মি থেকে বিকিরণ থেকে দূরে থাকা যাবে।

কলব্যাক করলেই বিপদ যে নম্বরে!

কলব্যাক করলেই বিপদ যে নম্বরে!

কলব্যাক করলেই বিপদ যে নম্বরে!
আপনি হয়তো প্রায়ই মোবাইল ফোনে অজানা নম্বর থেকে মিসডকল আসলে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে কলব্যাক করেন। কিন্তু এর ফলে আপনি যে কতবড় বিপদে পড়তে পারেন তা কি আপনার জানা আছে!  যেই নম্বর থেকে কলটি আসলো তার কোড যদি হয় +২২৬ অথবা +২৩২ এমন কোনো নম্বর, তাহলে আর আপনার রক্ষা নেই।
এমন নম্বরে আপনি কল ব্যাক করে দেখলেন কেউ একজন কল রিসিভ করেছে, কিন্তু কোনো কথা বলছে না। আর আপনিও হয়তো বিরক্ত হয়ে লাইন কেটে দিলেন। আর এভাবেই আপনি পড়ে গেলেন এক মহা বিপদের ফাঁদে। কারণ এরপর আপনার প্রিপেইড অ্যাকাউন্ট চেক করলে দেখবেন যে ব্যাল্যান্স পুরো শেষ, এক পয়সাও নেই!
এরকম ঘটনা আজকাল প্রায়ই হচ্ছে। আর এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে নতুন এক প্রতারণার ফাঁদ। একটা প্রযুক্তি আছে যার নাম ‘ওয়ান রিং স্ক্যাম’।
এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম বিষয়ক সংস্থা এফএফসিতে একটি বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যিনি কল করছেন, তিনি অটোমেটিক ডায়াল অপশন ব্যবহার করেন, যার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আন্দাজে একের পর এক নম্বরে ডায়াল করা হয়। এবং রিং বাজলেই কেটে যায় ফোন। আর স্বাভাবিকভাবেই ভিন্ন ধাঁচের নম্বর থেকে কল এলে তা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হতেই পারে কারও কাছে।
আরো বলা হয়, তবে যখনই আপনি কলব্যাক করছেন, তখনই উচ্চ রেটের আন্তর্জাতিক হটলাইনের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে আপনাকে। বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্কদের কোনো সাইটের সঙ্গে সংযোগ ঘটে। কলব্যাক করার পর তা অন্যপাশ থেকে তা রিসিভ হবে ঠিকই। তবে হয় বিশেষ কোনো মিউজিক শুনতে পাবেন অথবা কোনো শব্দই পাবেন না। এসব কল রিসিভ হওয়া মাত্রই শুধু হাইরেটে অর্থ কাটবে তাই নয়, যতক্ষণ আপনি অপেক্ষায় থাকবেন আপনার অ্যাকাউন্ট খালি হতেই থাকবে।
অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, আফ্রিকা ভিত্তিক কয়েকটি দল এসব কলের মাধ্যমে ফোনের অর্থ ও স্টোরেজ থেকে ডেটা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই মোবাইল ফোন বাবহারকারীদের এই ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। ভুলেও কলব্যাক করা যাবে না অপরিচিত এই ধরণের নম্বরে।

বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০২০

Bangladesh Homeopathic Board DHMS Exam Routine 2019

Bangladesh Homeopathic Board DHMS Exam Routine 2019
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড ডিএইচএমএস পরীক্ষার রুটিন 2019
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড ডিএইচএমএস পরীক্ষার রুটিন 2019



বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড ডিএইচএমএস পরীক্ষার রুটিন 2019
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড ডিএইচএমএস পরীক্ষার রুটিন 2019

Bangladesh Homeopathic Board was establish since 1972. This board has been leading a important role to Homeopathic study. Every year they are publish Bangladesh Homeopathic Board DHMS Exam Routine in their website. This year also publish DHMS exam routine. Now you can collect your routine from here. We are also published DHMS exam result on our site. So, you can easily collect your result from our site. Lets see Bangladesh Homeopathic Board DHMS Exam Routine 2019.

বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

মহাকাশে মিলল এলিয়েনের সন্ধান! (ভিডিওসহ)

মহাকাশে মিলল এলিয়েনের সন্ধান! (ভিডিওসহ)



অ- অ অ+

সম্প্রতি স্পেসএক্স স্যাটেলাইট লাইভ স্ট্রিমের নতুন একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে যে, একটি ইউএফও (আন আইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট) ফ্যালকন-৯ নামের একটি রকেটের নীচে পরিভ্রমণ করছে। স্যাটেলাইট জেসিএসএটি -১৮/ ক্যাসিফিক-১ মহাকাশে প্রেরণ করার সময় এটা দৃশ্যমান হয়েছে।

ভিডিওটি ফুটেজটি ইউটিউবে ধারণ করেছেন উইলইয়েজে। তিনি তাঁর পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে লিখেছেন, সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশন কমপ্লেক্স ৪০ (এসএলসি -৪০) থেকে স্পেসএক্স মহাকাশে প্রেরণ করা হয়েছে। উপগ্রহটি লিফট অফের প্রায় ৩৩ মিনিটের পরে স্থাপন করা হয়েছিল।

তিনি জানান, ভিডিওটিতে একটি উজ্জ্বল অস্বাভাবিক বস্তুর গতি এবং দিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। এর মাধ্যমে মহাকাশযানটির ঘূর্ণনের অভিমুখের পরিবর্তনকে ব্যাখ্যা করা যায়। স্থলভাগে অবস্থিত বস্তুগুলি দিক পরিবর্তন করে বলে মনে হয়। এটি গতির পরিবর্তনের ব্যাখ্যা দেয় না। পৃথিবীর আবর্তন একই গতিতে চলেছে।

ইউএফও বিশেষজ্ঞ স্কট ওয়ারিংও ভিডিওটি দেখেছেন। এ বিষয়ে তিনি তার ওয়েবসাইটে লিখেছেন, এই ভিডিওটিতে ৩.০২ তে যান এবং আপনি স্পেসএক্স উপগ্রহের নীচে এবংএকটি বাঁকা ট্র্যাজেক্টোরির শ্যুটে প্রায় এক মিটার জুড়ে একটি বিশাল সাদা ডিস্ক দেখতে পাবেন। মহাকাশে কোনও বস্তুর তার পথ বাঁকানোর কোনও উপায় নেই। কেবলমাত্র বুদ্ধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বা জীবিত জীবই এ জাতীয় বক্রতা অর্জন করতে পারে।

তাঁর অভিমত, এটি ১০০ ভাগ প্রমাণ যে, এলিয়েনরা স্পেসএক্স মিশনটি এত কাছ থেকে দেখছে যে তারা সেটা স্পর্শ করতে পারে।

তিনি বলেন, এটা (এলিয়েনের বিষয়ে) ১০০ ভাগ প্রমাণ।

রহস্যজনক ওই ফুটেজের বিষয়টি স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের মনেও প্রশ্ন তৈরি করেছিল। ইলন মাস্ক দীর্ঘকাল ধরে মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপনের ইচ্ছা পোষণ করে আসছেন।

ওয়ারিং প্রশ্ন রাখেন, ইলন (এসআইসি) কেন এটিকে জনসাধারণের কাছ থেকে গোপন রাখছেন?

আদিম মানুষের সঙ্গে সেক্স করেছিল আধুনিক মানুষ

আদিম মানুষের সঙ্গে সেক্স করেছিল আধুনিক মানুষ


আদিম মানুষের সঙ্গে সেক্স করেছিল আধুনিক মানুষ
অ- অ অ+

আদিম মানুষের সঙ্গে সেক্স করেছিল আধুনিক সভ্য মানুষ। গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
আজ থেকে প্রায় ১ লাখ বছর আগে। এমনটাই ঘটেছিল। এর আগেও আদিম মানুষের সঙ্গে সেক্সের বিষয়টি গবেষণায় উঠে এসেছিল। তখন ভাবা হয়েছিল ৪৭,০০০ থেকে ৬৫,০০০ হাজার বছর আগে এমনটা হয়েছিল। কিন্তু, সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে সে ভাবনা ভুল।
দীর্ঘদিন ধরে DNA নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়। তারপরই আদিম মানুষের সঙ্গে সেক্সের বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হন গবেষকরা। আফ্রিকা থেকে আধুনিক সভ্য মানুষ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার আগেই ঘটেছিল এ ঘটনা

দীপিকাকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদলেন শ্রীদেবীর স্বামী

দীপিকাকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদলেন শ্রীদেবীর স্বামী


দীপিকাকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদলেন শ্রীদেবীর স্বামী
অ- অ অ+

বলিউডের রানি খ্যাত শ্রীদেবীর চির বিদায়ের দুই বছর হতে যাচ্ছে। কিন্তু স্ত্রীর শোকে এখনো কাতর শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর। সম্প্রতি দিল্লিতে শ্রীদেবীর বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে কেঁদে ফেললেন তিনি। বনিকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে দেখে জড়িয়ে ধরে তাকে সান্ত্বনা দিলেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন।

অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, দীপিকা পাড়ুকোন বলছেন, আজও শ্রীদেবীকে মনে পড়ে। এমনকি তার কাজের অনুপ্রেরণার পেছনেও কাপুরদের অবদান অনেকটা। ছবি মুক্তি পেলেই এই পরিবার থেকে শুভেচ্ছাবার্তা আসে।

দীপিকা বলেন, আমি মনে করি আজকের এই সন্ধ্যা আমার জন্য বিটার সুইট। আমরা তাকে মিস করি। তবে একই সঙ্গে, আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করি যে কাপুর পরিবার আমাকে এই সুযোগ দিয়েছে।

দীপিকা যখন এসব কথা বলছিলেন, তখন তার পাশে বসেছিলেন বনি কাপুর। তিনি অভিনেত্রীর কথা শুনে আবেগে ভেঙে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে জড়িয়ে ধরেন দীপিকা। সান্ত্বনা দেন।

বইটি লিখেছেন সত্যার্থ নায়ক। এর মুখবন্ধ লিখেছেন কাজল। সেখানে তিনি লিখেছেন, শ্রীদেবীর সুপারস্টারডাম দেখে বড় হয়েছেন তিনি। বড়পর্দায় শ্রীদেবীর ম্যাজিক মোহিত করেছিল তাকে। অভিনয়ের তিনি যেন একটি প্রতিষ্ঠান। শ্রীদেবীই তার প্রিয় আইকন।

শ্রীদেবীর জীবনের গল্প বড়পর্দায় তুলে আনতে চলেছেন বনি কাপুর। শোনা যাচ্ছে, তার কাজও নাকি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছিল, বায়োপিকে শ্রীদেবীর ভূমিকায় অভিনয় করতে নাকি দীপিকা পাড়ুকোনকেই দেখা যাবে।

নববী চিকিৎসা সুস্বাদু মধুর স্বাস্থ্যগুণ

নববী চিকিৎসা
সুস্বাদু মধুর স্বাস্থ্যগুণ
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

সুস্বাদু মধুর স্বাস্থ্যগুণ
অ- অ অ+

আধুনিক যুগে চিকিৎসাবিজ্ঞান উন্নতির শীর্ষ চূড়ায় পৌঁছে গেছে। কিন্তু এসব চিকিৎসাসামগ্রীর মূল উপাদান খাদ্যদ্রব্য। মহান আল্লাহ প্রকৃতিতে মানুষের সুস্থ থাকার উপাদানগুলো রেখে দিয়েছেন। প্রাকৃতিক ওষুধের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো—কালিজিরা, পেঁয়াজ, রসুন ও মধু। মধু হচ্ছে সুস্বাদু গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যনির্যাস। এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মধু একটি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। মধুর নিরাময়শক্তি বিস্ময়কর। এ বিষয়ে কোরআনের ভাষ্য এমন : ‘তোমার রব মৌমাছিকে তার অন্তরে ইঙ্গিত দিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন, গৃহনির্মাণ করো পাহাড়ে, বৃক্ষে ও মানুষ যে গৃহনির্মাণ করে, তাতে। এরপর প্রত্যেক ফল থেকে কিছু কিছু আহার করো। অতঃপর তোমার রবের সহজ পথ অনুসরণ করো। তার পেট থেকে নির্গত হয় বিবিধ বর্ণের পানীয়, যাতে মানুষের জন্য রয়েছে আরোগ্য। অবশ্যই তাতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৬৮-৬৯)

বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায়, রাসুল (সা.) মধু ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কোরআন ও মধু দিয়ে ব্যাধি নিরাময়ের ব্যবস্থা করবে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৪৫২)

মহানবী (সা.)-এর কাছে এক সাহাবি এসে তার ভাইয়ের পেটের অসুখের কথা বললে রাসুল (সা.) তাকে মধু পান করানোর পরামর্শ দেন এবং এতে সে সুস্থ হয়ে ওঠে। (বুখারি, হাদিস : ৫৩৬০)

আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মিষ্টি ও মধু খুব ভালোবাসতেন। (বুখারি, হাদিস : ৫২৭০)

মধুর মধ্যে রয়েছে অনেক রোগের প্রতিষেধক। মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। ফুলের পরাগের মধুতে থাকে ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ, ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ, ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ সুক্রোজ এবং ৫ থেকে ১২ শতাংশ মন্টোজ। আরো থাকে ২২ শতাংশ অ্যামাইনো এসিড, ২৮ শতাংশ খনিজ লবণ এবং ১১ শতাংশ এনকাইম। এতে চর্বি ও প্রোটিন নেই। ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ ক্যালরি।

মধুতে রয়েছে ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স। এটি ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এক চা চামচ খাঁটি মধু ভোরবেলা পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর হয়।

মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে বলে এটি রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক। কারণ এতে থাকে খুব বেশি পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ।

ফুসফুসের যাবতীয় রোগে মধু উপকারী। যদি একজন অ্যাজমা (শ্বাসকষ্ট) রোগীর নাকের কাছে মধু ধরে শ্বাস টেনে নিতে বলা হয়, তাহলে সে স্বাভাবিক ও গভীরভাবে শ্বাস টেনে নিতে পারবে। অনেকে মনে করে, এক বছরের পুরনো মধু শ্বাসকষ্টের রোগীর জন্য বেশ ভালো।

মধু অনিদ্রার ভালো ওষুধ। রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি গভীর ঘুম ও সম্মোহনের কাজ করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া মধুতে ডুবিয়ে দিলে মারা যায়। মধু ইস্টের (ণবধংঃ) বংশবৃদ্ধি ঘটতে দেয় না। এ কারণে খাঁটি মধু বোতলজাত করে অনেক দিন রাখা যায়। মধু একটি উৎকৃষ্ট প্রিজারভেটিভ বা সংরক্ষক। চিকিৎসাশাস্ত্রের অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদে ঔষধি গুণ বেশি দিন ধরে রাখার জন্য ওষুধের সঙ্গে অ্যালকোহল বা রেক্টিফায়েড স্পিরিট মেশানো হয়। ইউনানিতে এর পরিবর্তে মেশানো হয় মধু। মিয়ানমারের বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা শব দাহ করার আগে মধুতে ডুবিয়ে রেখে সংরক্ষণ করতেন। মিসরে গিজেহ পিরামিডের গহ্বর মধু দ্বারা পূর্ণ করা ছিল। সারা পৃথিবীতে কাশির ওষুধ ও অন্যান্য মিষ্টিদ্রব্য তৈরি করতে প্রতিবছর কমপক্ষে ২০০ টন মধু ব্যবহৃত হয়। খুসখুসে কাশিতে মধুর সঙ্গে লেবুর রস উপশমদায়ক। মাতাল রোগীকে স্থিরাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে মধু কার্যকর ভূমিকা রাখে। (আদ-দিমাশকি, আত-তিব্বুন নববী, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২৭)

এ ছাড়া যক্ষ্মা, বহুমূত্র, হৃদেরাগ, ব্লাডপ্রেসার, বাত, যৌন সমস্যা ইত্যাদি রোগে নিয়মিত মধু সেবন করায় উপশম হয়।

এই শীতে জয়েন্টে ব্যথা হলে

এই শীতে জয়েন্টে ব্যথা হলে...
ডা. জি এম জাহাঙ্গীর হোসেন

এই শীতে জয়েন্টে ব্যথা হলে...
অ- অ অ+

শীতকালে জোড়া বা বাতের ব্যথা মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পায়। বয়স্ক লোকজন, বিশেষ করে যাঁরা আর্থ্রাইটিস, রিওমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও অস্ট্রিওআর্থ্রাইটিসের মতো হাড়ক্ষয় রোগে ভুগছেন, তাঁদের কষ্ট বহুলাংশে বেড়ে যায়। এ ছাড়া পেশি, লিগামেন্ট, হাড় ও স্নায়ুর ব্যথা তীব্র হয়। তাই এ সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

কারণ
♦ শীতকালে স্বাভাবিক নড়াচড়া কম হয় এবং বায়ুর চাপ কম থাকে বলে মানুষের টিস্যুগুলো ফুলে যায়। ফলে জয়েন্ট বা জোড়া জমে যায়; তখন ব্যথার উদ্রেক করে।

♦ শীতের প্রকোপে রক্তনালির খিঁচুনি ও সংকোচন হলে জোড়া, পেশি ও হাড়ে রক্ত চলাচল আগের চেয়ে বেশ কমে যায়; তখন ব্যথা-বেদনা বেড়ে যায়।

♦ শীতে স্নায়ুর সহ্যক্ষমতা কম থাকে এবং অল্পতেই উত্তেজিত হয় বিধায় ব্যথার অনুভূতি বেড়ে যায়।

লক্ষণ
শীতকালে জয়েন্টগুলো, বিশেষ করে ঘাড়, কোমর ও হাঁটুতে ব্যথা বেশি বাড়ে। এ ছাড়া কটি, গোড়ালি, কাঁধ, কনুই ও কবজিতে ব্যথা হয়, জমে যায়। হাত সামনে-পেছনে নেওয়া ও হাত দিয়ে কিছু তোলাও কষ্টকর হয়। হাঁটু ও কোমর সোজা অবস্থা থেকে ভাঁজ করতে এবং বসতে-উঠতে ভীষণ অসুবিধা হয়।

চিকিৎসা
♦ কুসুম কুসুম গরম পানির সেঁক (ময়েস্ট হিট) আর্থ্রাইটিসের ব্যথার জন্য খুবই কার্যকর। এর পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথা ও আর্থ্রাইটিসের অন্যান্য ওষুধ সেবন করতে হবে।

♦ ব্যথানাশক জেল বা মলম দিয়ে হালকাভাবে জোড়ায় ম্যাসাজ করলে ব্যথা নিরাময় হয়।

♦ ব্যথা নিরাময়ে জয়েন্টে ইনজেকশন (স্টেরয়েড ও হায়ালুরোনিক এসিড) পুশেরও প্রয়োজন হয়।

প্রতিরোধে করণীয়
♦ যথেষ্ট গরম কাপড় পরিধান করে শীত থেকে হাড় জোড়াকে রক্ষা করতে হবে।

♦ এক অবস্থায় (বসা, দাঁড়ানো) আক্রান্ত জোড়াকে বেশিক্ষণ রাখা যাবে না।

♦ সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা কম করতে হবে। প্রয়োজনে হাতে স্টিক, পায়ে কুশনযুক্ত জুতা এবং গোড়ালি, হাঁটু, কোমর, ঘাড়, কাঁধ, কনুই ও কবজিতে সাপোর্ট বা ব্রেচ ব্যবহার করতে হবে।

♦ হালকা ব্যায়াম জোড়া ব্যথা উপশমে বেশ ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে শীতকালে কঠোর ব্যায়াম আক্রান্ত জোড়ায় রক্ত চলাচল কমিয়ে ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। জোড়ার স্বাভাবিক নড়াচড়া এবং পেশি, টেনডন ও লিগামেন্টের নমনীয়তা জোড়াকে ব্যথামুক্ত রাখে।

♦ শীতকালে উপযুক্ত খাদ্যদ্রব্য গ্রহণে আর্থ্রাইটিস বা বাত ব্যথার তীব্রতা কমে আসে। এ জন্য সতেজ শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া উচিত। গাজর, শসা, মুলা ইত্যাদি সবজি ব্যথা সৃষ্টিকারী পদার্থকে শরীর থেকে সহজেই বের করে দেয়।

♦ ফলের রস সেবন জোড়াকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

♦ সকালে খালি পেটে রসুন খেলে রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জোড়ায় রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে বলে ব্যথা অনেকাংশে কম অনুভূত হয়।

♦ আদা ও লেবুর রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সকালে এবং রাতে সেবন করলে আর্থ্রাইটিস ব্যথা আস্তে আস্তে কমে আসে।

♦ এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘ডি’, ‘এ’ ও ‘সি’ সেবন করতে হবে। এতদসত্ত্বেও ব্যথা উপশম না হলে উপযুক্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

লেখক : হাড়, ট্রমা ও জোড়া বিশেষজ্ঞ এবং অর্থ্রোস্কোপিক সার্জন
বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল, শ্যামলী, ঢাকা।

ঈমান জাগানিয়া গল্প বনি ইসরাঈলের তিন ব্যক্তির পরীক্ষা নিতে ফেরেশতা পাঠালেন আল্লাহ

ঈমান জাগানিয়া গল্প
বনি ইসরাঈলের তিন ব্যক্তির পরীক্ষা নিতে ফেরেশতা পাঠালেন আল্লাহ
মুহাম্মাদ হেদায়াতুল্লাহ

বনি ইসরাঈলের তিন ব্যক্তির পরীক্ষা নিতে ফেরেশতা পাঠালেন আল্লাহ
অ- অ অ+

আল্লাহ তাআলা মানুষকে নানাভাবে পরীক্ষা করেন। কাউকে পরীক্ষা করেন রোগ-ব্যাধি ও বিপদ-আপদ দিয়ে, আবার কাউকে করেন সম্পদ-প্রাচুর্য দিয়ে। তবে সর্বাবস্থায় একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টিদায়ক কাজে অবিচল থাকা। সুখ-দুঃখ যেকোনো পরিস্থিতি হোক, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা চাই। সুসময় হলে তা অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা করবে। আর কঠিন সময়ের সম্মুখীন হলে তা থেকে পরিত্রাণের দোয়া করবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা কৃতজ্ঞ হলে আমি তোমাদের অবশ্যই বাড়িয়ে দেব, আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠিন।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)

প্রিয়নবী (সা.) মুমিনকে প্রাচুর্য ও বিপদের সময় কৃতজ্ঞতা ও ধৈর্যের শিক্ষা দিয়েছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের ব্যাপারটা বিস্ময়কর। তার সব কাজে কল্যাণ নিহিত। মুমিন ছাড়া অন্যদের ক্ষেত্রে এমন নয়। মুমিন আনন্দের মুহূর্তে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। এতে তার কল্যাণ হয়। আবার বিপদের মুহূর্তে সে ধৈর্য ধারণ করে। এটাও তার কল্যাণ বয়ে আনে।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৯৯৯)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, বনি ইসরাঈলের মধ্যে তিনজন লোক ছিল। তাদের একজন ছিল কুষ্ঠরোগী, অপরজনের টাকমাথা এবং অন্যজন অন্ধ। মহান আল্লাহ তাদের পরীক্ষা করতে চাইলেন। তাদের কাছে একজন ফেরেশতা পাঠালেন।

কুষ্ঠরোগীর কাছে এসে ফেরেশতা বলল, তোমার সবচেয়ে পছন্দের বস্তু কী? সে বলল, সুন্দর রং ও সুন্দর চামড়া এবং যে রোগের কারণে মানুষ আমাকে ঘৃণা করে তা থেকে মুক্তি লাভ করা। ফেরেশতা তার দেহ মুছে দিল। এতে তার গায়ের রোগ দূর হয়। তাকে সুন্দর রূপও দেওয়া হলো। অতঃপর ফেরেশতা জিজ্ঞেস করল, কোন সম্পদ তোমার কাছে খুব প্রিয়? সে বলল, উট অথবা গরু (বর্ণনাকারীর সন্দেহ আছে)। তাকে ১০ মাসের গর্ভবতী একটি উটনি দেওয়া হয়। ফেরেশতা বলল, আল্লাহ তোমাকে এতে বরকত দিন।

অতঃপর ফেরেশতা টেকো মাথার লোকের কাছে এলো। তাকে জিজ্ঞেস করল, তোমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কী? সে বলল, সুন্দর রং এবং টাক অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া, যার কারণে মানুষ আমাকে ঘৃণা করে। ফেরেশতা তার মাথা মুছে দিল। তার টাক ভালো হয়ে গেল। তার মাথায় সুন্দর চুল গজাল। ফেরেশতা প্রশ্ন করল, কোন সম্পদ তোমার কাছে খুব প্রিয়? সে বলল, গরু। তাকে একটি গর্ভবতী গাভি দেওয়া হলো। তিনি বললেন, আল্লাহ তোমাকে এতে বরকত দান করুন।

অতঃপর ফেরেশতা অন্ধ ব্যক্তির কাছে এলো। তাকে জিজ্ঞেস করল, তোমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কী? সে বলল, আল্লাহ যেন আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন, যেন আমি মানুষকে দেখতে পারি। ফেরেশতা তার চোখ স্পর্শ করল। তার চোখের দৃষ্টি আল্লাহ ফিরিয়ে দিলেন। ফেরেশতা জিজ্ঞেস করল, কোন ধরনের সম্পদ তোমার কাছে খুব প্রিয়? সে বলল, ছাগল। তাকে বেশি বাচ্চা দেয় এমন ছাগি দেওয়া হলো।

অল্প দিনের ভেতর উট, গাভি ও ছাগলের বাচ্চা হলো। প্রত্যেকের একেকটি প্রান্তর ভরে গেল উট, গরু ও ছাগল দিয়ে। অতঃপর আগের ফেরেশতা কুষ্ঠরোগীর কাছে প্রথম বেশ ধারণ করে এসে বলল, আমি একজন অসহায় ব্যক্তি। এবারের ভ্রমণে আমার সব কিছু ফুরিয়ে গেছে। এখন আল্লাহ ও তোমার সহায়তা ছাড়া এমন কেউ নেই, যার সাহায্যে আমি গন্তব্যে পৌঁছতে পারব। মহান আল্লাহর নামে তোমার কাছে আমি একটা উট চাচ্ছি, যিনি তোমাকে সুন্দর রং, সুন্দর অবয়ব ও অঢেল সম্পদ দিয়েছেন। তা দিয়ে আমি গন্তব্যে পৌঁছতে পারব। এ কথা শুনে কুষ্ঠরোগী বলল, আমার অনেক ঋণ হয়েছে। ফেরেশতা বলল, তোমাকে তো আমি চিনি। তুমি কুষ্ঠরোগী ছিলে, মানুষ তোমাকে ঘৃণা করত, তাই না? তুমি তো নিঃস্ব ছিলে, আল্লাহ তোমাকে প্রাচুর্য দিয়েছেন। কুষ্ঠরোগী বলল, এই সম্পদ তো আমি উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি। তিনি বললেন, তুমি মিথ্যাবাদী হলে আল্লাহ যেন তোমাকে আগের মতো করে দেন। অতঃপর ফেরেশতা টাক মাথার ব্যক্তির কাছেও আগের বেশ ধারণ করে এলো। ফেরেশতা তার কাছেও প্রথম ব্যক্তির মতো সাহায্যের আবেদন করল। সে-ও আগের ব্যক্তির মতো উত্তর দেয়। তাই ফেরেশতা তাকে বলল, তুমি মিথ্যাবাদী হলে আল্লাহ যেন তোমাকে আবার আগের মতো করে দেন।

অতঃপর ফেরেশতা অন্ধ ব্যক্তির কাছে আগের বেশে এসে বলল, আমি একজন অসহায় পথিক। আমার সফরের সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। এখন গন্তব্যে পৌঁছতে আল্লাহ ও তোমার সহায়তা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আল্লাহর নামে তোমার কাছে একটি ছাগল চাচ্ছি, যিনি তোমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। লোকটি বলল, হ্যাঁ, আমি তো অন্ধ ছিলাম, আল্লাহ আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। কাজেই তোমার ইচ্ছামতো তুমি নিয়ে যাও। আর যা ইচ্ছা রেখে যাও। আল্লাহর শপথ! আজ তুমি যা নেবে তাতে তোমাকে কোনো বাধা দেব না। ফেরেশতা বলল, তোমার সম্পদ তোমার কাছে থাক। তোমাদের সবাইকে পরীক্ষা করা হয়েছে। তোমার প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট আছেন এবং তোমার অপর দুজন সঙ্গীর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন। (বুখারি, হাদিস : ৩৪৬৪, মুসলিম, হাদিস : ২৯৬৪)

অতএব, একজন মুমিনের প্রাচুর্যের সময় সাধ্যমতো অন্যের সহায়তায় এগিয়ে আসা উচিত। কারণ অর্থ-বিত্ত সবই মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ। আমাকে তা দিয়েছেন সঠিক ব্যবহারের জন্য। কাজেই সহায়-সম্পদ ও অর্থবিত্তের অন্যায় ব্যবহার হলে আল্লাহ তা ছিনিয়ে নেবেন।

দুর্লভ সূর্যগ্রহণে কুসুফ নামাজ অনুষ্ঠিত হবে আমিরাতে


দুর্লভ সূর্যগ্রহণে কুসুফ নামাজ অনুষ্ঠিত হবে আমিরাতে


দুর্লভ সূর্যগ্রহণে কুসুফ নামাজ অনুষ্ঠিত হবে আমিরাতে
অ- অ অ+

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুর্লভ সূক্ষ্ম সূর্যগ্রহণ দৃশ্যমান হওয়ার সাথে সাথে সারা দেশের মসজিদে সালাতে কুসুফ অনুষ্ঠিত হবে।

আরব আমিরাতের ইসলামিক বিষয় ও যাকাত কর্তৃপক্ষের জেনারেল অথরিটি জানিয়েছে যে ২৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টা ৪০ মিনিটে আবুধাবীর শেখ জায়েদ মসজিদ এবং অন্যান্য প্রধান মসজিদে 'কুসুফ' নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

বিরল এই সুর্যগ্রহণটি সর্বশেষে ১৮৪৭ সালে হয়েছিল। ইসলামী গবেষক ড. শেখ মোহাম্মদ আশমাউয়ের মতে, যখন সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ ঘটে, তখন মহানবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুসুফের নামাজ পড়তেন।
নবীজির সময়, যখন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল, তখন তিনি উদ্বিগ্নভাবে মসজিদে ছুটে গেলেন এবং তাঁর চাদরটি পেছনে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং লোকদের নামাজে নিয়ে গেলেন। তিনি যখন গ্রহণের ঘটনা ঘটে তখন লোকদের প্রার্থনা করার আদেশ করেছিলেন।

মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, গ্রহণগুলি মানুষের ধার্মিক হওয়ার জন্য অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে।

এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাসিন্দারা আমিরাত স্পেস এজেন্সি কর্তৃক বেশ কয়েকটি পর্যবেক্ষকের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় বিনামূল্যে বিভিন্ন ইভেন্টে বিরল সূর্যগ্রহণ দেখতে পারবেন। দেখার স্টেশনগুলো আল দাফরার মদিনাত জায়েদের নিকটে লিওয়া হিলস হোটেলে, কসর আল সরব মরুভূমি রিসর্ট এবং আবুধাবিতে মেরিনা মলে। দুবাইয়ের মুশরিফ পার্কের আল থুরায়া জ্যোতির্বিজ্ঞান কেন্দ্রেও আংশিক গ্রহণ দেখতে পারবেন বাসিন্দারা।

হাদিসের নির্দেশনা কতটুকু খাবেন? ইসলাম যা বলে

হাদিসের নির্দেশনা
কতটুকু খাবেন? ইসলাম যা বলে
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

কতটুকু খাবেন? ইসলাম যা বলে
অ- অ অ+

বিজ্ঞানের উৎকর্ষের এই যুগে চিকিৎসাবিজ্ঞান সদর্পে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞান জীবনযাত্রা সহজ ও সাবলীল করেছে। কিন্তু নানা কারণে মানুষের মধ্যে রোগব্যাধি ও অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। শরীরের রোগ প্রতিরোধের উপাদানগুলো দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ছে। ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, ব্লাড প্রেসার, শ্বাসকষ্ট, অনিদ্রা ইত্যাদি রোগ আধুনিক মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। এর সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নতুন নতুন ভাইরাস ও অদ্ভুত রোগব্যাধি। এসব রোগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডাক্তার ও হাসপাতালের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু মানুষ আসলে কী পরিমাণ সুস্থ হচ্ছে বা সুস্থ থাকতে পারছে বা মানুষ কতটা ডাক্তারের ওপর আস্থা রাখতে পারে—সেটি এক অমীমাংসিত অধ্যায়। এসব রোগ ও রোগীর কূলকিনারা করতে না পেরে বর্তমানে এ কথার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে যে কম আহার করুন, বেশিদিন বাঁচুন। আর মানুষকে বারবার এ কথা বলা হচ্ছে যে বেশি খেলে বহু রোগ সৃষ্টি হয়। প্রফেসর রিচার বার্ড এই মর্মে একটি তালিকাও প্রণয়ন করেছেন। তিনি লিখেছেন, বেশি খেলে কী কী ক্ষতি হতে পারে—

১. মস্তিষ্কের ব্যাধি, ২. চক্ষুরোগ, ৩. জিব ও গলার রোগ, ৪. বক্ষ ও ফুসফুসের ব্যাধি, ৫. হূদেরাগ, ৬. যকৃত্ ও পিত্তের রোগ, ৭. ডায়াবেটিস, ৮. উচ্চ রক্তচাপ, ৯. মস্তিষ্কের শিরা ফেটে যাওয়া, ১০. দুশ্চিন্তাগ্রস্ততা, ১১. অর্ধাঙ্গ রোগ, ১২. মনস্তাত্ত্বিক রোগ, ১৩. দেহের নিম্নাংশ অবশ হয়ে যাওয়া। (‘সান’ উইকলি, সুইডেন)

গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে যে এই তালিকা প্রকৃতপক্ষে মৃত্যুর তালিকা, যা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু মহানবী (সা.)-এর জীবনচরিত ও হাদিসের প্রতি লক্ষ করুন। তাঁর খাদ্যবিধি পাঠ করুন। তিনি বলেছেন, ‘পেটের এক-তৃতীয়াংশ আহারের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানির জন্য আর এক-তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৩৪৯)

পেটের এক-তৃতীয়াংশ পানি দিয়ে পূর্ণ করতে বলার কারণ হলো, পানির মধ্যেও বহুবিধ উপকারিতা রয়েছে—

পানির উপকারিতা নিম্নরূপ
শরীরে পানির অভাব পূরণ করা, রক্তের তরলতা বজায় রাখা, শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় দূষিত জিনিস নির্গত করতে সাহায্য করা, খাদ্যদ্রব্য হজম করতে সাহায্য করা, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা, শরীরের অম্ল-ক্ষারের স্বাভাবিকতা ঠিক রাখা, হরমোন তৈরি করতে অনেক ক্ষেত্রে সাহায্য করা।

একজন ঈমানদার শুধু নামাজ-রোজায়ই তাঁর জীবনকে সীমাবদ্ধ রাখেন না; তাঁর আহার-বিহার, নিদ্রা-জাগরণ—সব কিছুই রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনাদর্শ মোতাবেক পরিচালিত হতে হবে।

মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রহ.) নাফে (রহ.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ইবনে ওমর (রা.) ততক্ষণ পর্যন্ত আহার করতেন না, যতক্ষণ না তাঁর সঙ্গে খাওয়ার জন্য একজন মিসকিনকে ডেকে আনা হতো। একবার আমি তাঁর সঙ্গে বসে খাওয়ার জন্য এক ব্যক্তিকে নিয়ে এলাম। লোকটি খুব বেশি পরিমাণে আহার করল। তিনি বলেন, নাফে! এমন মানুষকে আমার কাছে নিয়ে আসবে না। আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, মুমিন এক পেটে খায়। আর কাফির সাত পেটে খায়। (মুসলিম, হাদিস : ২০৬০, মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৫২২০)

বর্তমানে মিক্সড ফুড, পাঁচমিশালি সবজির প্রতি জোর দেওয়া হয়। বিশেষভাবে সকালের নাশতায় পাঁচমিশালি সবজি রাখার তাগিদ দেওয়া হয়। এ ধরনের খাবারের পুষ্টিগুণই শুধু বেশি নয়, বরং স্বাদেও অসাধারণ। এ বিষয়ে একটি হাদিস স্মরণীয়। সালামাহ (রহ.) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে এক যুদ্ধে গিয়েছিলাম। আমাদের মধ্যে খাদ্যের অভাব দেখা দিল। অবশেষে আমাদের কিছু সওয়ারির বাহন জবাই করার কথা ইচ্ছা করেছিলাম। তখন নবী করিম (সা.)-এর নির্দেশে আমরা আমাদের খাদ্যদ্রব্য একত্র করলাম। আমরা একটি চামড়া বিছালাম এবং তাতে লোকদের খাদ্যদ্রব্য জমা করা হলো। বর্ণনাকারী বলেন, আমি সেটির প্রশস্ততা অনুমান করার জন্য দাঁড়ালাম এবং আমি আন্দাজ করলাম, সেটি একটি ছাগল বসার স্থানের সমান। আর আমরা সংখ্যায় ছিলাম চৌদ্দ শ জন। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা সবাই তৃপ্তির সঙ্গে খেলাম। তারপর আমাদের নিজ নিজ খাদ্য রাখার থলে পূর্ণ করে নিলাম...।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ৪৩৬৯, ইফা)

এই হাদিসের ভাষ্য মতে, পাঁচমিশালি অল্প খাবার বহু মানুষের জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়।

মহান আল্লাহ আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থেকে তাঁর ইবাদত করার তাওফিক দান করুন।

উপকারী দোয় শত্রুর অনিষ্ট থেকে বাঁচার দোয়া



শত্রুর অনিষ্ট থেকে বাঁচার দোয়া
অ- অ অ+

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম ওয়া নাউজুবিকা মিং শুরুরিহিম।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমরা তাদের মোকাবিলায় তোমাকে যথেষ্ট ভাবছি এবং তাদের অনিষ্ট থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাইছি।’

উপকার : আবু বুরদা ইবনে আবদুল্লাহ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তার পিতা তাকে বর্ণনা করেন যে, নবী (সা.) কোনো সম্প্রদায় দ্বারা ক্ষতির আশঙ্কা করলে এই দোয়া পড়তেন।

জ্বলন্ত আগুনে উল্টো ঘি ঢাললেন ভারতীয় সেনাপ্রধান




জ্বলন্ত আগুনে উল্টো ঘি ঢাললেন ভারতীয় সেনাপ্রধান
অ- অ অ+

বিতর্কিত মন্তব্য করে ফের খবরের শিরোনাম হলেন ভারতীয় সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত। তাঁর বক্তব্য, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ভারত প্রত্যুত্তর দেওয়ার জন্য তৈরি।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং এনআরসি নিয়ে ভারতে এখন অশান্তি তুঙ্গে। আগুন ছড়াচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারতে। ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরুতে। অশান্ত হায়দরাবাদ। ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে কাশ্মীর। এমন পরিস্থিতিতে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে আগুন যেন উস্কে দিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। বললেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে যে কোনো সময় যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ভারত প্রত্যুত্তর দেওয়ার জন্য তৈরি।

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা কোনো নতুন কথা নয়। গত কয়েক মাসে ভারত একাধিকবার দাবি করেছে যে, পাক সীমান্তরক্ষী বাহিনী অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালিয়েছে। পাকিস্তানও একাধিকবার একই দাবি করেছে। কিন্তু ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে কাশ্মীর পরিস্থিতি যে দিকে মোড় নিয়েছে, তাতে সীমান্তে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ভারত সরকার বার বার দাবি করছে কাশ্মীর শান্ত। কিন্তু কাশ্মীরীদের এক বড় অংশের দাবি সেখানে পরিস্থিতি ভয়াবহ। ১৩৪ দিন ধরে কাশ্মীর কার্যত অবরুদ্ধ। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। হাসপাতাল থেকে ব্যবসা কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এরই মধ্যে সেনাপ্রধানের মন্তব্যে কাশ্মীর উপত্যকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে।

যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভারতীয় সেনাপ্রধানের এই মন্তব্যের জেরে সত্যি সত্যি যদি সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ে তাতে এই মুহূর্তে ভারতের পক্ষে তা সামলানো তত সহজ হবে না। কারণ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিক্ষোভের জেরে সেনা বাহিনীর একটি বড় অংশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে উত্তর পূর্ব ভারতে। দেশের ভিতরেও প্রায় সর্বত্র বিক্ষোভ চলছে। এই মুহূর্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি সামলানো মুশকিল।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, দেশের ভিতর দিকে দিকে বিক্ষোভ থেকে চোখ ঘোরানোর জন্যই কি এমন মন্তব্য করলেন রাওয়াত?

আগামী ৩১ ডিসেম্বর জেনারেল রাওয়াতের অবসর নেওয়ার কথা। তবে তার পরে তিনি দেশের নিরপত্তা প্রধান হতে পারেন। এই প্রথম এমন একটি পদ তৈরি করেছে সরকার। সেই পদে বসার কথা জেনারেল রাওয়াতের।

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বললাম, তুমি মুসলিম : এলিজাবেথ ভ্যালেনসিয়া

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বললাম, তুমি মুসলিম : এলিজাবেথ ভ্যালেনসিয়া


আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বললাম, তুমি মুসলিম : এলিজাবেথ ভ্যালেনসিয়া
প্রতীকী ছবি

অ- অ অ+

‘ইসলামের শাশ্বত বাণী আমার জীবনে আমূল পরিবর্তন এনেছে। আমার কাছে জীবনটা আগে থেকেই বিষাদময় মনে হতো। নিজেকে অনেক সময় অনেক কষ্ট দিতাম। মা-বাবা আমার প্রয়োজনের সবই সরবরাহ করতেন। তার পরও তাঁদের প্রতি ক্রোধান্বিত হতাম। জীবনটা আমার কাছে বরাবর বিষাদময় মনে হতো। স্কুলে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করতাম, যেন তারা অপরিচিত। মনে হতো, আমি যেমন নিজেকে চিনি না, তেমনি তাদেরও আমি চিনি না।

আমি আমার সাথিদের চেয়ে পড়াশোনায় বেশ ভালো ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমি ক্লাস ফাঁকি দিতে শুরু করলাম, ফলাফল খারাপ করলাম। তখন মিথ্যা বলা শুরু করলাম এবং ক্রমেই নিজের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হতে লাগলাম। বয়ফ্রেন্ডরাও আমাকে অপছন্দ করতে লাগল। সার্বিক দিক দিয়ে জ্বালা-যন্ত্রণা ক্রমে আমাকে অসহনীয় করে তুলল। আমার স্কুলের বন্ধু, মা-বাবা ও দাদা-দাদির কাছে বলতে শুরু করলাম আমার মানসিক অবস্থা। আমি অস্থির হয়ে ভাবতে শুরু করলাম আমি কী করব? তারপর হঠাৎ করেই একদিন মানসিক অবস্থা পরিবর্তনে আমি প্রার্থনা-উপাসনায় মনোযোগ দিলাম। কিন্তু ক্রমেই আমার মনের অবস্থা আরো কৌতূহলী, উচ্ছল হতে লাগল। বেড়ে গেল অনুসন্ধিৎসা। খুঁজতে লাগলাম কার উপাসনা করছি আমি। কোনো সমাধান পেলাম না। আমার সমস্যা আরো প্রকট হলো। আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা হলো। আমার যেসব বান্ধবীর বয়ফ্রেন্ড ছিল, তাদের হিংসা করতাম।

এরই মধ্যে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে স্কুল বন্ধ হলো। ৪ নভেম্বর শনিবার আমি একজনের দেখা পেলাম। তিনি আমাকে এক কপি পবিত্র কোরআন শরিফ উপহার দিলেন। আমি অধীর আগ্রহে পবিত্র কোরআন পাঠ করে তিন মাসে শেষ করলাম। এটিই ছিল আমার জীবনের প্রথম একাধারে পাঠ করে শেষ করা কিতাব। কোরআনের প্রতিটি শব্দ ও বাক্য আমাকে আবেগতাড়িত করল। আমার অনুভূতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার করল।

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০১ সাল। সেদিন আমি হঠাৎ কিছুটা বিষণ্নতায় ছিলাম। মনে মনে কোনো মুসলমান বন্ধুর টেলিফোন আশা করছিলাম। সেদিন আমি আমার স্কুল ফ্রেন্ড, বয়ফ্রেন্ড এমনকি মা-বাবার সম্পর্কের টানাপড়েন সইতে পারছিলাম না। প্রচণ্ড মানসিক দ্বন্দ্বে আমি ভুগছিলাম। সব প্রশংসা আল্লাহ পাকের, দরুদ ও সালাম নবীর ওপর। এই কঠিন সময়ে আমার মন পরিবর্তন হলো। আমি দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় মসজিদে হামজায় গিয়ে সেখান থেকে কিছু মুসলমানের ফোন নম্বর সংগ্রহ করলাম। এক দম্পতির সঙ্গে ফোনে কথা বললাম। উল্লেখ করলাম যে আমি বেশ কিছুদিন ধরে ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করছি। ১৩ বছর বয়স্ক এক মুসলিম মেয়েকেও পেলাম। আমি বললাম, মুসলমান হতে চাই। কিন্তু কিভাবে হতে হয়? সে বলল, এটা খুবই সহজ ব্যাপার। অন্তর থেকে মনোযোগসহকারে ঘোষণা দিতে হবে, স্বীকার করতে হবে, আল্লাহ এক ও একমাত্র উপাস্য। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর বান্দা ও রাসুল। মুসলিম মেয়েটি জিজ্ঞেস করল, আমি এ ঘোষণা তার বাবা ও বাবার সহযোগীর সামনে দিতে প্রস্তুত কি না? আমি রাজি হলাম। দুজন সাক্ষীর সামনেই আমি তাওহিদের মহান বাণী মনে-প্রাণে স্বীকার করে গ্রহণ করলাম। আনন্দে আমি মনভরে, প্রাণভরে কিছু সময় ধরে কাঁদলাম। আমি সেই মুসলিম বোনকে ইসলাম গ্রহণের কাহিনি শোনালাম। সবাই অভিবাদন জানাল, দোয়া করল আল্লাহর দরবারে। আমি তারপর গোসল করলাম। আয়নার সামনে দাঁড়ালাম, নিজেকে বললাম, তুমি মুসলমান। তুমি মুসলমান, ভুলে যেয়ো না, এই মুহূর্ত থেকে তুমি একজন মুসলিম নারী।

আমি দ্রুত নামাজ, রোজাসহ শরিয়তের বিধানাবলি শিখতে আরম্ভ করলাম। প্রয়োজনীয় সুরাগুলো মুখস্থ করলাম। স্কুলে যাওয়ার ফাঁকে আমি মাঝেমধ্যে মসজিদে যাওয়া শুরু করলাম। ইসলামী বইপুস্তক অধ্যয়ন শুরু করলাম। আস্তে আস্তে আমার মনের দৃঢ়তা বাড়তে থাকল। এরই মধ্যে আমি একদিন বাবার সঙ্গে ইসলাম সম্পর্কে আলোচনা করলাম। এ ব্যাপারে আলোচনায় কারো সঙ্গে আমার ভয় হতো না। ইসলামের কথা বলতে না বলতেই আমার ক্যাথলিক খ্রিস্টান পিতার ইসলাম সম্পর্কে ভুল ভাঙল।