রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২০

এয়ার ফোন গিলে ফেলল ৭ বছরের বালক অতঃপর...

এয়ার ফোন গিলে ফেলল ৭ বছরের বালক অতঃপর...

এয়ার ফোন গিলে ফেলল ৭ বছরের বালক! অতঃপর...

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার আটলান্টায় সাত বছরের এক বালক অ্যাপলের ‘এয়ার পড’ গিলে ফেলেছে। তাকে ভর্তি করা হয়েছে আটলান্টার একটি শিশু হাসপাতালে।
চিকিৎসকরা এক্স-রে করে দেখেন শিশুর পেটে যে অবস্থায় ‘এয়ার পড’টি রয়েছে, আশঙ্কার কারণ নেই। অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন নেই। প্রাকৃতিকভাবেই এয়ার পডটি শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। এরপরই শিশুকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
শিশুর মা কায়রা স্ট্রাউড জানান, এয়ার ফোন পেটে থাকালীন কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়নি। নিয়ম মতো খাওয়া দাওয়া করছে। কিন্তু এই ঘটনায় তাঁর ছেলে লজ্জিত বলে স্ট্রাউড জানান। তবে, এমন ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে তাইওয়ানের এক ব্যক্তি এয়ার পড গিলে ফেলেন। ব্যাটারিতে চার্জ থাকা পর্যন্ত সক্রিয় ছিল এয়ার ফোনটি।

হিংস্র হাঙরের সঙ্গে ডুবুরির নাচ ভাইরাল! (ভিডিও)

হিংস্র হাঙরের সঙ্গে ডুবুরির নাচ ভাইরাল! (ভিডিও)

হিংস্র হাঙরের সঙ্গে ডুবুরির নাচ ভাইরাল! (ভিডিও)

পানির মধ্যে থাকা হিংস্র হাঙরকে দূর থেকে দেখতে বেশ ভাল লাগে। কিন্তু সেই হিংস্র হাঙরের কাছে যাওয়ার সাহস কী সকলের থাকে? সেই অসম সাহসের কাজ করে দেখালেন এক স্কুবা ডাইভার। তবে শুধু হাঙরের কাছেই যাননি, রীতিমতো তাকে জড়িয়ে ধরে নাচও করেছেন। পানির তলায় হিংস্র হাঙরের সঙ্গে সেই ডাইভারের নাচ দেখে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের চোখ কপালে ওঠার মতো।
ভাইরাল হওয়া ১৩ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, পানির তলায় নেমেছেন ওই স্কুবা ডাইভার। সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রচুর মাছ। তারই মধ্যে একটি হাঙরকে জড়িয়ে ধরে বলরুম ডান্স করছেন তিনি। তার এক হাত হাঙরের পিঠে। অপর হাতে ধরে আছেন হাঙরের একটি পাখনা। সেই ভাবেই চলছে নাচ। যদিও এই ঘটনা কোনো সমুদ্রের তলায় ঘটেনি। ঘটেছে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে। সেখানকার প্ল্যানেট নেপচুন ওসিয়ানেরিয়ামের অ্যাকোয়ারিয়ামের ভিতর হাঙরের সঙ্গে নেচেছেন ওই ডাইভার

নববর্ষে ১.৮ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হলো টুনা মাছ

নববর্ষে ১.৮ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হলো টুনা মাছ


নববর্ষে ১.৮ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হলো টুনা মাছ!

নতুন বছরের শুরুতেই জাপানের টোকিওতে একটি টুনা মাছ রেকর্ড মূল্যে বিক্রি হয়েছে। টোকিওর তোয়ুসু মাছের বাজারে টুনা মাছটি বিক্রি হয়েছে ১৯৩.২ মিলিয়ন ইয়েনে (১.৮ মিলিয়ন ডলার), যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড।
২৭৬ কেজি ওজনের ওই টুনাটি জাপানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের ওমা বন্দর থেকে ধরা হয়। প্রতি কেজি টুনা বিক্রি করা হয়েছে ৭ লাখ ইয়েনে। টোকিওভিত্তিক সুশি রেস্টুরেন্ট চেইন সুশিজানমাইয়ের কিয়োমুরা মাছটি কিনে নিয়েছে।
সূত্র: জাপান টাইমস

ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া লটারির টিকিটে কোটি টাকা

ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া লটারির টিকিটে কোটি টাকা

ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া লটারির টিকিটে কোটি টাকা
সংগৃহীত ছবি

ডাস্টবিনে লটারির যে টিকিট একবার ফেলে দেওয়া হয়েছিলো, সেই টিকিটেই এলো এক কোটি টাকা পাওয়ার খবর। রাতারাতি কোটিপতি বনে গেলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক সবজি বিক্রেতা। ঘটনাটি ঘটেছে ২ জানুয়ারি।
ভাঙড়ের কাশীপুরের সর্দারপাড়ার বাসিন্দা সাদেক মোল্লা নতুন বছরে নাগাল্যান্ড রাজ্য লটারির ৬ টাকা মূল্যের ৫টি টিকিট কেনেন। সেই টিকিট কেটেই রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন। একটি টিকিটে প্রথম পুরস্কারের ১ কোটি টাকা ছাড়াও বাকি চারটি টিকিটে ১ লক্ষ টাকা করে পেয়েছেন। তাকে দেখতে এখন ভিড় করছে বহু মানুষ। স্থানীয় লটারির দোকানেও হঠাৎ বিক্রি বেড়ে গেছে।
গরিব পরিবারের ছেলে সাদেক বহু কষ্টে ছোটখাট দোতলা বাড়ি করেছেন। গত বৃহস্পতিবার বাড়ি ফেরার পথে দমদমের কাঠগোলা এলাকা থেকে নাগাল্যান্ড রাজ্য লটারি ৫টি টিকিট কেনেন সাদেক। পরে বিক্রেতার কাছে খেলার ফলাফল জানতে চান। পুরস্কার পাননি বলেই শোনেন। পরে কাশীপুরের একটি টিকিটের দোকানে গিয়েও ফলাফল জানতে না পেরে টিকিট ডাস্টবিনে ফেলে বাড়ি ফেরেন।
পর দিন ওই টিকিট বিক্রেতা তাকে জানান, ১ কোটি টাকা জিতেছেন সাদেক। তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে কাশীপুর বাজারে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া টিকিট পাগলের মতো খুঁজতে থাকেন। পরে পানিতে ভেজা টিকিটগুলো খুঁজেও পান তিনি। আনন্দে চিৎকার করতে করতে দমদমে ছুটে যান। 
সাদেক ইতিমধ্যেই একটি গাড়ি বুক করে ফেলেছেন। বন্ধুবান্ধব, পরিচিতদের মধ্যে মিষ্টি, বিরিয়ানি বিতরণ করছেন। তিনি বলেন, ‘ছোট থেকে অনেক কষ্ট করেছি। অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু টাকার অভাবে তা পূরণ করতে পারছিলাম না। লটারি টিকিট কেটে আগে কয়েকবার সামান্য কিছু টাকা জিতেছিলাম। এ বার এমন কাণ্ড ঘটবে, ভাবতেও পারিনি।’

এক বছর পর ফুসফুস থেকে বের হলো পেনের ঢাকনা!

এক বছর পর ফুসফুস থেকে বের হলো পেনের ঢাকনা!
পেনের এই অংশ আটকে ছিল। ছবিঃ সংগৃহীত।

কয়েক বছর আগে পেনের একটি ঢাকনা গিলে ফেলেছিল আট বছরের ছেলেটি। সেই ঘটনার তিন মাস পর থেকে শিশুটির চিকিৎসা শুরু হলেও পেনের ঢাকনা গিলে ফেলাটাই যে তার অসুস্থতার কারণ, তা ধরা যায়নি। অবশেষে গত শনিবার ব্রঙ্কোস্কোপি করে অসুখের কারণ বুঝতে পারে চিকিৎসকরা। জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করে পেনের ঢাকনা বার করা হলেও সঙ্কট কাটেনি তার। বলছিলাম ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের নেপালগঞ্জের বাসিন্দা রহমান মালিকের কথা। 
পড়াশোনা করার সময়ই আচমকা পেনের ঢাকনা গিলে ফেলেছিল রহমান। পরিবারের সদস্যদের সামনেই ঘটনাটি ঘটেছিল কয়েক বছর আগে। সে সময়ে তাৎক্ষণিক কোনও শারীরিক অসুবিধা না হওয়ায় বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি তার পরিবার। কিন্তু দুইমাস পর থেকেই রহমানের কাশি শুরু হয়। 
তার মামা আব্দুল জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো একাধিক বার বুকের পরীক্ষা করানো হলেও কিছু ধরা পড়েনি। আট মাস পরে রক্তবমি শুরু হয় শিশুটির। হাসপাতালে ভর্তির পর অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে রক্তবমি বন্ধ হলে তিন সপ্তাহ পরে রহমানকে ছুটি দেওয়া হয়।
কিছুমাস পর একই সমস্যা দেখা দিলে ফের রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির ব্রঙ্কোস্কোপি করে চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন, ফুসফুসের বাঁ দিকে ‘ফরেন পার্টিকল’ কিছু একটা আটকে রয়েছে। তৎক্ষণাৎ সেই ‘ফরেন পার্টিকল’ বার করতে অস্ত্রোপচার শুরু করেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচার সফলও হয়। কিন্তু বারো ঘণ্টা পরেও রোগীর জ্ঞান না ফেরায় চিকিৎসকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
অস্ত্রোপচারের পর আব্দুল বলেন, ‘‘সকালে ভাগ্নের শারীরিক অবস্থা এত খারাপ ছিল যে, ভেন্টিলেটরে দিতে হয়। এখন আইসিইউ-এ রয়েছে। জ্ঞান ফিরলেও বিপদ পুরোপুরি কাটেনি। পেনের ঢাকনার জন্যই যে এটা হচ্ছিল, সেটা আগে বুঝতে পারলে ভাল হত।’’
চিকিৎসকরা জানান, ‘‘মাসের পর মাস কাশি। কফের সঙ্গে রক্ত উঠছে। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েও সারছে না। এ রকম হলে একবার ব্রঙ্কোস্কোপি করে দেখা উচিত শরীরে কোনও ফরেন পার্টিকল রয়েছে কি না। সচেতনতার অভাবে অনেক সময়ে অহেতুক জটিলতা তৈরি হয়। সেটা কাম্য নয়।’’

নিজের মেয়েকে বিয়ে করলেন মা! এরপর...

নিজের মেয়েকে বিয়ে করলেন মা! এরপর...

নিজের মেয়েকে বিয়ে করলেন মা! এরপর...

নিজের মেয়েকে বিয়ে করায় শাস্তি হিসেবে দুই বছর কারাগারে কাটাতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার এক নারীকে। ৪৫ বছর বয়সী প্যাট্রিসিয়া অ্যান স্প্যানকে এই কাজের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। 
সমকামিতা বৈধ হলেও ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের আইনে খুব নিকট আত্মীয়দের এই ধরনের যৌনাচার নিষিদ্ধ। ওকলাহোমায় সমকামী বিয়ে বৈধতা পাওয়ার পর ২০১৬ সালে প্যাট্রিসিয়া তার ২৬ বছর বয়সী মেয়ে মিস্টি ভেলভেট ডন স্প্যানকে বিয়ে করেছিলেন।
প্যাট্রিসিয়ার গর্ভে মিস্টির জন্ম; তবে মিষ্টি ছোট থাকতেই তার মার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। ২০১৪ সালে মা-মেয়ের পুনর্মিলন হয়। এর দুই বছরের মাথায় বিয়ে করেন তারা। শিশুদের পরিচর্যা নিয়ে কাজ করে আসা সংস্থা ডিপার্টমেন্ট অব হিউমেন সার্ভিস প্রথম মা-মেয়ের বিয়ের বিষয়টি ধরেন। পরে তা আদালতে গড়ায়।
রাজ্যের সংবাদপত্র ওকলাহোমান জানিয়েছে, মিষ্টি গত অক্টোবরে এই বিয়ে বাতিল করেছিলেন। তাতে তিনি যুক্তি দেখান, তাকে ভুল তথ্য দিয়ে প্রতারিত করা হয়েছিল। 
মিষ্টি বলেন, তার মা তাকে বলেছিলেন, এই ধরনের বিয়েতে আইনি কোনও বাধা নেই। বিষয়টি নিয়ে তিনজন আইনজীবীর সাথে কথা বলে নিশ্চিত হওয়ার কথা মেয়েকে বলেছিলেন প্যাট্রিসিয়া, যা মিথ্যা ছিল বলে এখন বুঝতে পারছেন মিষ্টি। তবে একই অপরাধে শাস্তি এড়াতে পারেননি মিষ্টিও। তাকে ১০ বছরে পর্যবেক্ষণ ও কাউন্সিলিংয়ের মধ্যে থাকতে হবে।
গত মঙ্গলবার থেকে কারাজীবন শুরু হওয়া প্যাট্রিসিয়াকেও মুক্তির পর আট বছর পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। বিয়ের ক্ষেত্রে প্যাট্রিসিয়ার যুক্তি ছিল, মিষ্টির জন্ম সনদে যেহেতু মা হিসেবে তার নাম নেই, সেহেতু এই বিয়ে বৈধ বলেই তিনি মনে করছিলেন। মেয়ের আগে ছেলেকেও বিয়ে করেছিলেন প্যাট্রিসিয়া। তার ছেলে পরে এই বিয়ে বাতিল করে দেয়।

দুলাভাইকে বিয়ের পর...

দুলাভাইকে বিয়ের পর...

দুলাভাইকে বিয়ের পর...

বাবার দুই স্ত্রী। এক পক্ষের মেয়ের স্বামীর সঙ্গে বিয়ে করে আরেক পক্ষের মেয়ে। এতে পরিবারের সম্মতি ছিল না। তবে বেশি ক্ষুব্ধ ছিল সৎ মা। অবশেষে কৌশলে বাড়ি ডেকে সেই মেয়েকে এবার শাস্তি দিল পরিবার। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের মালদহের ইংরেজবাজার শহরের কৃষ্ণপল্লি এলাকায়। ঘটনায় অসুস্থ অবস্থায় ওই তরুণী প্রিয়াঙ্কা সিংহকে ভর্তি করা হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ওই দিনই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর অভিযুক্ত সৎ মা বিশাখা করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইংরেজবাজার শহরের কৃষ্ণপল্লি এলাকার বাপুজি কলোনি বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা। তাঁর বাবা রতন কর পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁর দুই স্ত্রী রয়েছেন এবং তাঁরা এক বাড়িতেই থাকেন। তাঁদের তিন ছেলে–মেয়ে রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ইংরেজবাজারের যদুপুর গ্রামের বাসিন্দা স্বপন সিংহের সঙ্গে বিয়ে হয় রতনের বড় মেয়ের। তাঁদের দুই ছেলেমেয়ে রয়েছে। অভিযোগ, পারিবারিক কারণে স্বপন প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন। তার পরেই স্বপন বছর খানেক আগে বিয়ে করেন প্রিয়াঙ্কাকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিবাদ হয়। এমনকি, ওই তরুণীর সঙ্গে পরিবারের লোকেরা যোগাযোগ বন্ধ করে দেন বলে দাবি।
পুলিশ জেনেছে, ওই দিন বিকালে ওই তরুণী কৃষ্ণপল্লি এলাকায় ঘুরতে যান। অভিযোগ, সেই সময়ে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সৎ মা বিশাখাদেবী ও বাবা রতন তাঁকে বাড়িতে ডাকেন। তার পরেই কাঁচি দিয়ে তাঁর চুলের একাংশ কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে যায় এলাকা জুড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় সৎ মা বিশাখাদেবীকেও। তবে আর এক অভিযুক্ত রতন অবশ্য এখনও ফেরার বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘‘বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পরই আমি বিয়ে করেছি। আমার সৎ মা বিয়েতে রাজি ছিল না। তাই বিয়ের পর থেকে আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হত না। এদিন টাকা দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। তার পরেই আমার মাথার চুলের একাংশ কেটে দেওয়া হয়। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’’
আটক বিশাখাদেবী বলেন, ‘‘আমার স্বামীর দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান প্রিয়াঙ্কা। বোনের বিবাহবিচ্ছেদের পরে দুলাভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে করে সে। আমরা ওই বিয়েতে রাজি ছিলাম না। তাই এখন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে।’’ সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

স্ত্রী ও কাজের মেয়েকে নিয়ে একসাথে অনাচার চালাত কার্লোস

স্ত্রী ও কাজের মেয়েকে নিয়ে একসাথে অনাচার চালাত কার্লোস


স্ত্রী ও কাজের মেয়েকে নিয়ে একসাথে অনাচার চালাত কার্লোস!

অবৈধ মুদ্রা, হুন্ডি ও মাদক ব্যবসা, অসামাজিক কর্মকাণ্ডসহ অন্ধকার জগতের ডন ছিলেন সালেহ আহমেদ ওরফে কার্লোস। ঘরে রয়েছে তার এগার নম্বর বউ। কাজের মেয়েও শয্যাসঙ্গী। পর্নো ছবি ছেড়ে স্ত্রী ও কাজের মেয়েকে নিয়ে একসঙ্গে অনাচার চালাতো কার্লোস। বিকৃত যৌনাচারই ছিল তার নেশা। লেডিস কসমেটিক্স দিয়ে নিজে সেজে থাকতো। ঠোঁটে লিপিস্টিক, চোখে কাজল মেখে সবসময় সাজগোজ করে থাকতো। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বেডে শুয়ে এসব কথা জানান, কার্লোসের নির্যাতনের শিকার তার বাসার এক কাজের মেয়ে। 
অন্ধকার জগতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে বদলে যান কার্লোস। রাতারাতি বনে যান কোটিপতি। দামি দামি গাড়ি হাঁকিয়ে অবৈধ কর্মকাণ্ড নির্বিঘ্নে করতেন। ব্যবহার করতেন জাতীয় সংসদের মনোগ্রামসংবলিত স্টিকার। অঢেল টাকার সুবাদে কার্লোসের বিভিন্ন পার্টিতে যোগ দিতেন শোবিজ জগতের নামিদামি মডেল ও অভিনেত্রীরা। এদের নিয়ে দেশ-বিদেশে ঘুরতেন। উপভোগ করতেন। গত বুধবার তদন্তসংশ্লিষ্টরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। 
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, গৃহকর্মীকে নির্যাতনের ঘটনায় গত শুক্রবার কার্লোসকে পরীবাগের ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে এক দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছিল। মঙ্গলবার তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি জেলহাজতে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে কার্লোস তার অন্ধকার জগতের নানা চমকপ্রদ তথ্য জানান। 
সূত্র বলছে, ঢাকার পরিচিত মহলে তিনি নিজেকে সামুদ্রিক পণ্য ও কোমল পানীয়র ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিতেন। বিদেশিরা তাকে চেনেন ঢাকার ইয়াবা ডন হিসেবে। কিন্তু এক গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা তার সবকিছু ওলটপালট করে দেয়। খুবই মর্মান্তিক ও স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফলে তার শেষ রক্ষা হয়নি। ৩০ জুন গ্রেফতার হন কার্লোস। এর পরই বেরিয়ে আসতে শুরু করে অন্ধকার জগতের নানা কাহিনী। কয়েক দিন আগে রেইন ট্রি হোটেলের আলোচিত ধর্ষণ মামলাকে কেন্দ্র করে নড়েচড়ে ওঠে গোটা মিডিয়াপাড়া। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ইয়াবা ডন কার্লোসের নতুন অধ্যায় বের হতে শুরু করেছে। 
রাজধানীর শাহবাগের পরীবাগে ৩/৩এ দিগন্ত টাওয়ারের ৭এম থেকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গৃহকর্মীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তাকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে কার্লোস তার বেপরোয়া জীবনযাপনের চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। এই কার্লোস ‘অস্তিত্ব’ সিনেমার প্রযোজক ছিলেন। এ ছাড়া তার রঙিন জীবনের তথ্যও বের হতে শুরু করেছে। তার প্রোডাকশন হাউস ‘ড্রিম বক্স’-এর ব্যানারে অস্তিত্ব ছবিটি নির্মিত হয়। 
জানা যায়, বাংলা সিনেমায় টাকা লগ্নি করার পেছনে তার উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। সিনেমা বানানোর আড়ালে দেশের প্রতিষ্ঠিত ও নামকরা অভিনেত্রী থেকে শুরু করে উঠতি মডেলদের নিয়ে তিনি দেশ-বিদেশে ঘুরতেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কার্লোস আরও জানান, এদের মধ্যে আছেন মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া বিপাশা, তানভিয়া জামান মিথিলা এবং আরেকজন বিতর্কিত মডেল পিয়াসা। এর মধ্যে ফ্যাশন হাউস এক্সটেসির মডেল তানভিয়া জামান মিথিলার সঙ্গে তার লিভটুগেদার চলছিল বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে। এ বিষয়ে একটি গণমাধ্যমকে মিথিলা বলেন, ‘আমি তাকে চিনি। একটি ছবিতে অভিনয় করা প্রসঙ্গে তার সঙ্গে কথা হয়েছিল। এর বাইরে কিছুই নয়। ’ এসব মডেল-অভিনেত্রীর একান্ত সান্নিধ্য উপভোগ ছাড়াও ব্যাংককের বড় বড় ডিস্কোয় কার্লোস মধ্যমণির আসন দখল করে রাখতেন। বিশেষ করে থাইল্যান্ডের পর্যটননগরী পাতায়ার রাশিয়ান ক্যাবারে ড্যান্সারদের নাচ দেখে তিনি দুই হাতে ডলারের বান্ডেল ছুড়ে দিতেন। 
এ ছাড়া ঢাকার গুলশান-১-এ ‘মিরেজ’ নামের একটি সিসা বারে নিয়মিত আড্ডা জমাতেন কার্লোস। নায়িকাদের অনেককে নিয়ে তিনি বিদেশ গিয়েছেন। এদের কয়েকজনের সঙ্গে লিভটুগেদারও করছিলেন। এদিকে রাজধানীর পরীবাগের ফ্ল্যাটে চিত্রনায়িকা সাবিনা রিমাকে নিয়ে কার্লোস লিভটুগেদার করছিলেন বছরখানেক ধরে। গত শুক্রবার যৌন উত্তেজক ইনজেকশন নিয়ে কার্লোস একই সঙ্গে বাসার গৃহকর্মী ও সাবিনা রিমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। নির্যাতন শেষে গৃহকর্মীকে সাত তলার ছাদে নিয়ে নিচে ফেলে দেন। পুলিশ গুরুতর আহত গৃহকর্মীর সঙ্গে সাবিনা রিমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে সাবিনা রিমা হাসপাতাল থেকে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যান। 

গত ৩০শে জুনও কার্লোস নেশাগ্রস্ত হওয়ার এক পর্যায়ে কাজের মেয়ের ওপর নির্যাতন চালায়। হত্যা করতে পরীবাগের দিগন্ত টাওয়ারের নিজ বাসার সাত তলা থেকে ফেলে দেয়। বাসার অপর কাজের লোক ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধা এবং তার স্ত্রীকেও বেধড়ক মারপিট করে। নির্যাতনে কাজের মেয়েটির ডান হাত-পা এবং কোমর ভেঙে গেছে। নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গেয়ে এক পর্যায়ে কেঁদে ফেলেন কাজের মেয়েটি। কাজের মেয়েটি জানান, তিনি আগে গার্মেন্ট ও কয়েকটি বাসায় কাজ করেছেন। বছরখানেক আগে স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর থেকে থাকতেন রিকশাচালক বাবার সংসারে। এই অবস্থায় নাজমা নামের এক মহিলা তাকে ওই বাসায় কাজ দেয়। নাজমা তাকে জানিয়েছিলো, প্রতিমাসে তাকে ১৫ হাজার টাকা দেয়া হবে। সে মোতাবেক গত মাসের ১৬ তারিখে তিনি কার্লোসের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে যোগ দেন। ওইদিনই তার মোবাইলফোন কেড়ে নেয়া হয়। বাইরে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিষেধ করা হয়। বাসাটিতে সালেহ আহম্মেদ, তার স্ত্রী ও বৃদ্ধা এক কাজের বুয়া থাকতেন। দ্বিতীয় দিনই তাকে দিয়ে নানা ধরনের কুরুচিপূর্ণ কাজ করায়। এসব দেখে ভয় পেয়ে কাজ ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তাকে যেতে দেয়া হয়নি। উল্টো মারধর করে। 
এই গৃহকর্মী বলেন, কার্লোস সব সময় ঘরের দরজা বন্ধ করে নেশা করতো। মেয়ে সেজে থাকতো। তার প্রসাধনরুম বিদেশি কসমেটিকস-এ ভর্তি। সেগুলো দিয়ে সাজগোজ করতো। মেয়েদের অন্তর্বাস পরে থাকতো। যখন খাবার সময় হতো তখন দরজায় নক করতো। দরজা খুলে খাবার নিয়ে নিতো। ওই ঘরে প্রবেশ অন্য সবার জন্য নিষেধ ছিল। ডাক পড়লেই কেবল যেতে পারতো। তবে কোনো কোনো দিন ডাইনিংরুমে এসেও খাবার খেতো। যখন যেটা দরকার হতো, সেটা তার ড্রাইভারসহ আরো যারা আছে তাদের হুকুম করতো, সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো সামনে হাজির হয়ে যেতো। প্রতিদিন অন্তত ৫টি করে ডাব খেতো। 
গৃহকর্মী আরো বলেন, যখন নেশা বেশি করতো তখন তার ডাক পড়তো। স্ত্রী ও তাকে দিয়ে একসঙ্গে মাস্টারবেশন করাতো। প্রথমদিকে এসব কাজে রাজি না হওয়ায় তাকে বেধড়ক মারধর করা হতো। হাতুড়ি পেটা করতো। এছাড়া, প্রায় দিনই নতুন নতুন মেয়ে তার বাসায় আসতো। গৃহকর্মী বলেন, ঈদের পরদিন পাশের আরেকটি ভবনে বসবাসরত সালেহ আহম্মেদ কার্লোসের বাবার বাসায় তাকে কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সে ওই পরিবারের লোকজনের কাছে তাকে ছেড়ে দেয়ার আকুতি জানায়। এ কথা শুনে ক্ষেপে যায় কার্লোস। তাকে বেধড়ক মারপিট করে বলে, ‘তোকে কিনে এনেছি, এখান থেকে বের হতে পারবি না।’ ঈদের পরদিন এই গৃহকর্মী তার ড্রাইভার সিদ্দিকের কাছেও আকুতি জানায়, সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য। পরে এ বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আবারো মারধর করে কার্লোস। 
সর্বশেষ ৩০শে জুনের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে গৃহকর্মী বলেন, ‘ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সে ঘরের বাইরে বের হয়ে খেতে চায়। কিন্তু খাওয়ার সময় ডাবের পানি না পেয়ে মারধর করতে থাকে। ওইদিন এতটাই ক্ষিপ্ত হয় যে, বৃদ্ধা কাজের বুয়া মনোয়ারা, তার স্ত্রী এবং তাকে মারতে মারতে আধমরা করে ফেলে। হাতুড়ি দিয়ে পেটায়। ভয়ে স্ত্রী নিচে নামলে ড্রাইভারকে ফোন করে ধরে আনে। এরপর একটা রড বের করে আমার হাতে দিয়ে তার স্ত্রীকে পেটাতে বলে। কিন্তু আমি তা না করলে তার স্ত্রীর হাতে ওই রড দিয়ে আমাকে পেটাতে বলে। পরে সে নিজেই ওই রড দিয়ে পেটায়। এতে আমার হাত ভেঙে যায়। কোমরের হাড় ভেঙে যায়। তখন আমি চোখে-মুখে অন্ধকার দেখি। এর একপর্যায়ে চুল ধরে টেনে হেঁচড়ে আমাকে বেলকনি থেকে ফেলে দেয়। এরপর আর কিছু মনে নেই বলে তিনি জানান।’ পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তার স্ত্রীও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তিনি সেখান থেকে অন্য একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। 
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। গত ১লা জুলাই বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ তার বাসা থেকে নির্যাতনে ব্যবহৃত হাতুড়ি উদ্ধার করে। এছাড়া পুলিশ ওই বাসা থেকে বেশকিছু গোপন তথ্য পায়। পরে বাসাটি তারা সিলগালা করে দেয়।
সূত্র জানায়, কার্লোস সব সময় একাধিক অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন করেন। তার ফ্ল্যাটেও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আছে। একটি রিভলবার ও একটি পিস্তল তিনি সব সময় সঙ্গে রাখেন। এসব অস্ত্র দেখিয়ে মানুষকে ভয় দেখাতেন। কার্লোসের তিনটি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে। কিন্তু এসব গাড়ির বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে প্রতিটি গাড়িতেই জাতীয় সংসদের মনোগ্রাম ব্যবহার করতেন। গাড়িগুলোর মধ্যে একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ, একটি ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো ও একটি নিশান পাজেরো জিপ। তিনটি গাড়িই সাদা। এর মধ্যে শনিবার মার্সিডিজ বেঞ্জ জব্দ করেছে র‌্যাব-৩। বাকি দুটি গাড়ির সন্ধানে অভিযান চলছে। বিদেশে তিনি কার্লোস নামে পরিচিত। বিদেশিরা তাকে ঢাকার ইয়াবা ডন হিসেবেই চেনেন। অস্ট্রেলিয়ায় থাকার সময় তিনি এক অস্ট্রেলীয় নারীকে বিয়ে করেন। সেখানে তার এক সন্তানও রয়েছে। কিন্তু মাদকাসক্ত কার্লোস স্ত্রী-সন্তানের ওপর নির্যাতন চালাতেন। পুলিশের কাছে এ-সংক্রান্ত অভিযোগ গেলে অস্ট্রেলীয় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। একপর্যায়ে ২০১৪ সালে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়। অস্ট্রেলিয়া থেকে বহিষ্কারের পর সিঙ্গাপুরে আস্তানা গাড়েন। সেখানেও এক নারীর সঙ্গে তিনি সম্পর্কে জড়ান। পরে ওই নারী জানতে পারেন, কার্লোস মাদক ব্যবসায়ী। এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। সিঙ্গাপুর সরকারও কার্লোসকে নিষিদ্ধ করে। এরপর দেশে এসে অভিজাত সমাজে চলাফেরা শুরু করেন। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে শাহবাগে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন কার্লোস। সে সময় জাতীয় সংসদের মনোগ্রাম ব্যবহৃত একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ জিপ গাড়ি, ইয়াবা, অবৈধ মুদ্রা, মোটা অঙ্কের নগদ টাকা তার কাছ থেকে জব্দ করা হয়। কিন্তু তিনি থামেননি। তার অপরাধের মাত্রা বেড়েই চলছিল। কার্লোসের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এসব কর্মকর্তার অনেককে তিনি বিদেশে বেড়াতে নিয়ে যান। সেখানে কার্লোসের টাকায় তারা ফুর্তি করতেন।
এ ছাড়া ডিএমপির গুরুত্বপূর্ণ থানার ওসিদের সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখতেন। প্রতি মাসে তাদের বখশিশ পৌঁছে দিতেন। বিনিময়ে তারাই কার্লোসের ইয়াবা নেটওয়ার্ক সুরক্ষিত রাখতেন।

ফের মুখ খুললেন সানি, বললেন পুরুষদেরও নির্যাতন করা হয়

ফের মুখ খুললেন সানি, বললেন পুরুষদেরও নির্যাতন করা হয়

‘ফের মুখ খুললেন সানি, বললেন পুরুষদেরও নির্যাতন করা হয়’
সানি লিওন

আবারও ‘#মিটু’ নিয়ে মুখ খুললেন সানি লিওন। বললেন, শুধু নারীরাই নয়, পুরুষদেরও যৌন নির্যাতন করা হয়! এর মধ্যদিয়ে প্রায় দু’বছর পর #মিটু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। খবর দ্য শিলং টাইমস এর।
সানি বলেন, #মিটু আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বিরাট পরিবর্তন এনেছে। একই সঙ্গে অনেকেই এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন, তবে নারীদের পাশপাশি পুরুষরাও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন। তারা কখনও সেই বিষয়ে কথা বলেন না। কিন্তু এই নিয়ে তাদের মুখ খোলা দরকার বলেও জানান তিনি।
এই অভিনেত্রী পুরুষদের আরও জানান, চুপ করে থাকলে তাদের সাহস আরও বাড়বে এবং এই জঘন্য কাজ তারা ক্রমাগত করবে। তাই এই বিষয়ে মুখ খুলুন। আমার মতে অনেকেটাই পরিবর্তন এসেছে।

প্রেম-পরকীয়া-যৌনতায় সাবালক হয়ে আসছে ‘হ্যালো’ (ভিডিও

প্রেম-পরকীয়া-যৌনতায় সাবালক হয়ে আসছে ‘হ্যালো’ (ভিডিও)


প্রেম-পরকীয়া-যৌনতায় সাবালক হয়ে আসছে ‘হ্যালো’ (ভিডিও)
সংগৃহীত ছবি

একের পর এক মুক্তি পাচ্ছে থ্রিলার। এবার বাংলা ওয়েব সিরিজেও আসছে এক নতুন থ্রিলার, ‘হ্যালো’। হইচই ওয়েবসাইটের এই ওয়েব সিরিজে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে জয় সেনগুপ্ত, রাইমা সেন, প্রিয়াঙ্কা সরকারকে।
সামনেই দুর্গাপুজো। আর এই ওয়েব সিরিজের প্রেক্ষাপটও উত্তর কলকাতার একটি বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজো। সে বাড়ির বড় বউ নন্দিতা এই পুজোর সমস্ত দায়িত্ব একা হাতে সামলায়। কিন্তু হঠাৎই তাঁর মোবাইলে আসে একটা এমএমএস। আর এক লহমায় বদলে যায় তার জীবন। কারণ এই এমএমএস আসলে প্রেমিকার সঙ্গে তার স্বামীর সেক্স ভিডিও। নন্দিতার চরিত্রে এই প্রথম কোনও ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে রাইমা সেনকে। জয় সেনগুপ্ত ও রাইমা সেন এই গল্পে স্বামী-স্ত্রী। জয় জড়িয়ে পড়েন এক পরকীয়া সম্পর্কে। তিনি বুঝতে পারেন কেউ তার পিছনে গোয়েন্দা লাগিয়েছে। যে গোয়েন্দা একদিকে যেমন তার পরকীয়ার কথা পৌঁছে দেয় তাঁর স্ত্রীর কাছে, অন্যদিকে তাঁর স্ত্রীকে এনে দেয় বেশ কিছু তথ্যও। কিন্তু এই গোয়েন্দাকে অ্যাপোয়েন্ট করলেন ক? সেই নিয়েই এই থ্রিলার।
অনির্বান মল্লিকের পরিচালনায় এই প্রথম বাংলা ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে রাইমা সেন, প্রিয়াঙ্কা সরকার ও জয় সেনগুপ্তকে। হইচই ওয়েবসাইট লঞ্চ করবে পুজোর ঠিক আগে। আর সেই সাইটেই মুক্তি পাবে এই থ্রিলার। আর তার আগেই মুক্তি পেল ট্রেলার।

স্ত্রীকে উৎসর্গ করে জাস্টিন বিবারের নতুন গান

স্ত্রীকে উৎসর্গ করে জাস্টিন বিবারের নতুন গান

  • Currently 0/5
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5

স্ত্রীকে উৎসর্গ করে জাস্টিন বিবারের নতুন গান
হেইলি ব্যাল্ডউইন-জাস্টিন বিবার

কানাডিয়ান পপস্টার জাস্টিন বিবার। প্রকাশ করতে যাচ্ছেন নতুন অ্যালবাম। কিছুদিন আগেই তিনি জানিয়েছিলেন পাঁচ বছর বিরতির পর এটি প্রকাশ করবেন তিনি। আর সে অনুযায়ী কাজও শুরু করে দেন তিনি। অবশেষে নতুন বছরে প্রকাশ করলেন অ্যালবামের ‘ইয়াম্মি’ শিরোনামের একটি গান। আর এই গানটি তিনি স্ত্রী হেইলি ব্যাল্ডউইনকে উৎসর্গ করেছেন। 
বিবারের নতুন একক গানটির দৈর্ঘ্য ৩ মিনিট ৩০ সেকেন্ড।  গানটির পুরো ভিডিও আসবে শনিবার দুপুর ১২টার পর। 
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর গানটির একটি টিজার প্রকাশ করেছিলেন বিবার। তখনই মূলত তার নতুন অ্যালবাম প্রকাশ সঙ্ক্রান্ত তথ্য ভক্তদের জানান তিনি।
২৫ বছর বয়সী এই তারকা জানিয়েছেন, ২০২০ সালে বিরতি ভেঙে নতুন অ্যালবাম নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছেন।
নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে খবরটি জানিয়ে জাস্টিন বিবার লেখেন, আমি এখন যেখানে আছি, আমার মনে হয় এর কারণে আগের অ্যালবামগুলির চেয়ে নতুনটি আলাদা হবে। আমি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় যেয়ে গানগুলোতে পারফর্ম করতে অপেক্ষা করছি।
‘মানুষ হিসেবে আমরা কেউই পরিপূর্ণ না। আমার অতীত, আমার ভুলগুলো এবং সমস্ত কিছুই আমি পার করে এসেছি। আমি বিশ্বাস করি, যেখানে আমার থাকার কথা ছিল, আমি ঠিক সেখানেই আছি। ঈশ্বর আমাকে যেখানে চাইবেন আমি ঠিক সেখানেই থাকবো’, যোগ করেন তিনি। 
নতুন অ্যালবাম নিয়ে ২০২০ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে সফরে যাবেন বিবার। তবে তিনি যুক্তরাজ্যের কবে শো করবেন তা ঘোষণা করেননি

শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২০

মানুষের চেয়েও বড় ডাক্তার গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!

মানুষের চেয়েও বড় ডাক্তার গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!

মানুষের চেয়েও বড় ডাক্তার গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!
ম্যামোগ্রামের (স্বল্পশক্তির  এক্স-রে) ছবি বিশ্লেষণ করে চিকিৎসকদের চেয়েও সফলভাবে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারে গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি। প্রাথমিক অবস্থায় কোনো লক্ষণ দেখা যায় না বলে বর্তমানে প্রায় ২০ শতাংশ ক্ষেত্রেই স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিটি কাজে লাগিয়ে এ হার কমিয়ে আনা গেছে মাত্র ৯.৪ শতাংশে। 
‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। স্তন ক্যান্সার শনাক্তে গত বছরের শেষ নাগাদ এআই  প্রযুক্তির নতুন পদ্ধতি তৈরি করে গুগল। এ জন্য ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষকদের সঙ্গে নিয়ে প্রায় ২৯ হাজার নারীর স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ ও ছবির সমন্বয়ে বিশেষ ধরনের অ্যালগরিদমও তৈরি করে গুগল হেলথ। আর এই অ্যালগরিদমের সাহায্যেই যেকোনো নারীর ম্যামোগ্রামের প্লেট পর্যালোচনা করে দ্রুত স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। 
শুধু তা-ই নয়, রোগীর শরীরে ক্যান্সারের পর্যায় সম্পর্কেও সঠিক ধারণা দিতে পারে। ফলে মাত্র এক বছরের মধ্যেই চিকিৎসকদের চেয়েও নির্ভুলভাবে অ্যাডভান্সড স্টেজের স্তন ক্যান্সার শনাক্তে সফল হয়েছে এই প্রযুক্তি

নতুন বছর শুরু এভাবেই

নতুন বছর শুরু এভাবেই

 নতুন বছর শুরু এভাবেই
নতুন বছর একসঙ্গে কাটালেন মালাইকা অরোরা এবং অর্জুন কাপুর। ৩১ ডিসেম্বর রাতে গোয়ায় গিয়ে মালাইকা অরোরার সঙ্গে পার্টি করেন অর্জুন কাপুর৷ অর্জুন, মালাইকার সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। পাশাপাশি নতুন বছরের শুরুতে অর্জুনের গালে চুম্বন করছেন মালাইকা, প্রকাশ্যে উঠে আসে সেই ছবিও। 
সম্প্রতি মুম্বাই ছেড়ে ছুটি কাটাতে উড়ে যান অর্জুন কাপুর৷ তবে  অর্জুন কোথায় যাচ্ছেন ছুটি কাটাতে, জানা যায়নি সেই খবর৷ তবে নতুন বছর মালাইকার সঙ্গে অর্জুন গোয়াতেই কাটাবেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়৷ সেই অনুযায়ী, মালাইকা এবং অমৃতার সঙ্গে পার্ট করেন অর্জুন কাপুর।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অর্জুন কাপুরের সিনেমা  পানিপথ। এই সিনেমায় সঞ্জয় দত্ত এবং কৃতি শ্যাননের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেন অর্জুন৷ তবে এই সিনেমায় অবিনয় নিয়েো সমালোচনা এবং কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় অর্জুনকে। যে সমালোচনার প্রেক্ষিতে মুখ খোলেন অর্জুন। 
তিনি বলেন, সমালোচনা এবং কটাক্ষের সঙ্গে তিনি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন৷ এখন কোনও কিছুকেই তিনি আর তেমনভাবে পাত্তা দেন না বলে স্পষ্ট জানান অর্জুন কাপুর।

ফাইভজি যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ

ফাইভজি যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ

১৬ জানুয়ারি ঢাকায় লাইভ প্রদর্শন করবে হুয়াওয়ে ও রবি



ফাইভজি যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ
সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর কাতারে নাম লেখাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বের যে গুটিকয় দেশ পঞ্চম প্রজন্মের (ফাইভজি) মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করছে তার মধ্যে বাংলাদেশও নাম লেখাতে যাচ্ছে। নতুন বছরে বাংলাদেশে কড়া নাড়ছে ফাইভজি। আর এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’তে ফাইভজির ডেমোনেস্ট্রেশন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য চলতি বছরের মধ্যেই তরঙ্গ নিলামের প্রস্তুতি নেওয়া এবং ২০২১ সালের শুরুতে ফাইভজি চালু করা।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের অগ্রগতি জানাতে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার আয়োজন করছে। মুজিববর্ষ পালনের উদ্যোগ হিসেবে এ মেলার অয়োজন করা হচ্ছে। মেলায় প্রাধান্য পাচ্ছে ফাইভজি।
মেলায় ফাইভজি প্রযুক্তিসহ এর ব্যবহার নিয়ে লাইভ দেখানো হবে বলে জানালেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘২০২০ সালে আমরা ফাইভজির সব কাঠামো গড়ে তুলব এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেব। আমাদের টার্গেট ২০২১ সালে এটি আনুষ্ঠানিক চালু করা। তবে আমরা চলতি বছরের ডিসেম্বর কিংবা পরের বছর জানুয়ারিতে চালু করার সর্বাত্মক চেষ্ট করব। 
আমরা ফাইভজি চালু করা বিশ্বের প্রথম ২০ দেশের তালিকায় থাকতে পারব বলে আশা করি। এ জন্য প্রাথমিকভাবে আমাদের যে গাইডলাইন দরকার, সেটি ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করা হবে এবং আমাদের ইচ্ছা জুনের মধ্যে তা চূড়ান্ত করা। বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে তরঙ্গ নিলামের প্রক্রিয়া শুরু করার ইচ্ছা আছে। ফাইভজির স্পেক্ট্রাম বরাদ্দ দেওয়া হলে ২০২০ সালের মধ্যেই ফাইভজি পরীক্ষামূলক চালু করব।’
জানা যায়, ফাইভজি নীতিমালা তৈরিতে গঠিত কমিটি আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রস্তুত করে বিটিআরসির কাছে জমা দেবে। এর আগে ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং রবির সহায়তায় দেশে প্রথমবারের মতো ফাইভজি পরীক্ষা ও সেবা প্রদর্শন করে প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। প্রদর্শনীতে ফাইভজির গতি ছিল ৩ দশমিক ৮৯ জিবিপিএস থেকে ৪ দশমিক ০৯ জিবিপিএস পর্যন্ত।
জানা যায়, ফাইভজি চালু করেছে এমন দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। এ ছাড়া সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে এবং সুইডেন ফাইভজি নেটওয়ার্ক গ্রহণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। ২০২৩ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০০ কোটি ফাইভজি গ্রাহক তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফাইভজি মোবাইল ফোনে শুধু দ্রুতগতির নেটওয়ার্কই এনে দেবে না, চালকবিহীন গাড়ি, ড্রোন, ইন্টারনেট অব থিংসসহ নানা প্রযুক্তিও এগিয়ে যাবে এর সুবাদে। এরই মধ্যে ফাইভজি সমর্থিত স্মার্টফোন বাজারে ছেড়েছে স্যামসাং, হুয়াওয়েসহ শীর্ষ স্মার্টফোন নিমার্তা কম্পানিগুলো।  
সূত্র জানায়, ১৬ জানুয়ারি ফাইভজির প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার উদ্বোধন করবেন এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।  
মেলায় ১০০টি স্টল, মিনি প্যাভিলিয়ন ও প্যাভিলিয়ন থাকবে। এতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সব সংস্থা—ডাক বিভাগ, বিটিআরসি, বিটিসিএল, টেলিটক, সাবমেরিন কেবল কম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কম্পানি লিমিটেড, টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এ ছাড়া আইএসপি প্রতিষ্ঠান, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি পণ্য উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফোন অপারেটরসহ অনেক প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।
মেলায় টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে তাদের ফাইভজি টাওয়ারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হবে। এতে অপারেটর হিসেবে যোগ দেবে রবি। কয়েকটি স্মার্টফোনে ফাইভজির সেবা পরখ করে দেখা যাবে।  
মেলার আয়োজক আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় ফাইভজির একটি ডেমোনেস্ট্রেশন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে ফাইভজির লাইভ এক্সপেরিয়েন্স পাওয়া যাবে। বিটিএস থেকে শুরু করে সমর্থনযোগ্য ডিভাইসে দর্শনার্থীরা ফাইভজি টেস্ট করে যেতে পারবে। এতে হুয়াওয়ে ফিজিক্যাল ডেমোনেস্ট্রেশন করবে। রবি, গ্রামীণফোনসহ অন্য মোবাইল অপারেটররা অংশ নিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আইএসপি খাত থেকে ট্রিপল প্লে সার্ভিস থাকবে। এ ছাড়া জেডটিই এবং নোকিয়ার ফাইভজি প্যাভিলিয়ন ও দেশের ডিভাইস উত্পাদনকারী শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলো থাকবে।’
আমিনুল হাকিম জানান, মেলায় ৩৫ থেকে ৪০টি আইএসপি প্রতিষ্ঠান, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, ট্রিপল প্লে (এক কেবলে ল্যান্ডফোনের লাইন, ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ), মোবাইল অ্যাপস, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ও প্রযুক্তি ইত্যাদি প্রদর্শন করবে। ওয়ালটন, স্যামসাং, সিম্ফনির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উত্পাদিত পণ্য দেখাবে, দেশি সফটওয়্যার কম্পানিগুলো তাদের তৈরি সফটওয়্যার ও সেবা উপস্থাপন করবে। টেলিকম অপারেটরগুলো তাদের ভয়েস, ইন্টারনেট ও মূল্য সংযোজিত সেবা (ভ্যাস) দেখাবে। এ ছাড়া জেডটিই, হুয়াওয়ে, নকিয়া, এরিকসন ফাইভজি প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। দেখাবে লাইভ অনুষ্ঠানসহ এর ব্যবহার উপযোগিতা।  
বলা হচ্ছে, ফাইভজি বিশ্বব্যাপী বহু মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনবে। ফোরজির চেয়েও ৪০ গুণ দ্রুতগতির ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা দেবে ফাইভজি। এর মাধ্যমে স্বচালিত কার থেকে রোবটের কার্যক্রম সহজ হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘ফাইভজি কথা বলা বা ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য। জীবনযাপনের জন্য ছোট্ট ঢেউ নয়। এর সঙ্গে দেশের মানুষ ও শিল্পকে সংশ্লিষ্ট করতে কাজ করছে সরকার। তাই আমরা এবার বরাবরের মতো ট্রেন মিস করব না।’

নতুন বছরে বন্ধু হবে ‘নিয়ন’

নতুন বছরে বন্ধু হবে ‘নিয়ন’

নতুন বছরে বন্ধু হবে ‘নিয়ন’
প্রিয় বন্ধুর মতোই মন খুলে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে ‘নিয়ন’ নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি আনতে যাচ্ছে স্যামসাং। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কণ্ঠস্বর নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল সহকারী সেবাগুলোর তুলনায় বেশ আলাদা এই প্রযুক্তি। কারণ শুধু ব্যবহারকারীদের নির্দেশ মানা নয়; বরং তাদের সঙ্গে আলাপচারিতাও চালাতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিটি। বন্ধুর মতো নিজের মতামত জানানোর পাশাপাশি অনুভূতিও প্রকাশ করতে পারে। আর তাই আগামী দিনে ‘নিয়ন’ই হবে মানুষের প্রিয় বন্ধু। 
সব কিছু ঠিক থাকলে ৭ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অনুষ্ঠেয় কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস প্রদর্শনীতে নিজেদের তৈরি এই প্রযুক্তি তুলে ধরবে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে মুখের কথায় ডিভাইসের বিভিন্ন সেবা ও অ্যাপ নিয়ন্ত্রণের সুযোগ দিতে কণ্ঠস্বর নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল সহকারী ‘বিক্সবি’ চালু করে স্যামসাং।

সেলফি ক্যামেরা দিয়ে টাইপিং স্যামসাংয়ের স্মার্টফোনে!

সেলফি ক্যামেরা দিয়ে টাইপিং স্যামসাংয়ের স্মার্টফোনে!

সেলফি ক্যামেরা দিয়ে টাইপিং স্যামসাংয়ের স্মার্টফোনে!

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে স্মার্টফোনের সামনের ক্যামেরা ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর আঙুলের নড়াচড়া বুঝে নিয়ে টাইপিংয়ের কাজ করে দেবে স্মার্টফোন! সেলফিটাইপ নামে এমনই একটি প্রোজেক্ট সামনে এনেছে স্যামসাং।
নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফোনের সেলফি ক্যামেরা ব্যবহার করে টাইপ করা যাবে। এ পদ্ধতিতে কিউডব্লিউইআরটিওয়াই কিবোর্ডের মাধ্যমে টাইপ করা যাবে।
স্যামসাং জানিয়েছে, সেলফিটাইপ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে আলাদা হার্ডওয়্যারের প্রয়োজন হবে না। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এমনকি ল্যাপটপের সামনের ক্যামেরা ব্যবহার করে কাজ করবে সেলফিটাইপ।
২০১২ সালে প্রথম সি-ল্যাব শুরু করেছিল স্যামসাং। এর ফলে কম্পানির কর্মীরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এমন যে কোনো প্রজেক্টে তারা কাজ করতে পারেন। বিগত কয়েক বছর ধরেই কনজিউমার ইলেকট্রনিক শো (সিইএস) ইভেন্টে বিভিন্ন সি-ল্যাব প্রোজেক্ট গোটা বিশ্বের সামনে আনছে দক্ষিণ কোরিয়ার এ কম্পানি।
সেলফিটাইপ ছাড়াও ২০২০ সালের সিইএস ইভেন্টে আরও একগুচ্ছ নতুন প্রযুক্তি আনবে স্যামসাং। এর মধ্যে অন্যতম হলো চুল ঝরা কমাতে ব্যবহার করার জন্য ‘বিকন’ এবং কৃত্রিম উপায়ে সূর্যের আলো তৈরি করতে পারে এমন প্রযুক্তি ‘সানিসাইড’ প্রোজেক্ট।
এছাড়াও স্যাসসাং একটি নতুন সেন্সর চালু করবে। নতুন এই সেন্সর ব্যবহার করে অতিবেগুনী রশ্মি মাপা যাবে। ওয়্যারেবেল ডিভাইসে এই সেন্সর ব্যবহার হতে পারে। এর ফলে অতিবেগুনী রশ্মি থেকে বিকিরণ থেকে দূরে থাকা যাবে।

কলব্যাক করলেই বিপদ যে নম্বরে!

কলব্যাক করলেই বিপদ যে নম্বরে!

কলব্যাক করলেই বিপদ যে নম্বরে!
আপনি হয়তো প্রায়ই মোবাইল ফোনে অজানা নম্বর থেকে মিসডকল আসলে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে কলব্যাক করেন। কিন্তু এর ফলে আপনি যে কতবড় বিপদে পড়তে পারেন তা কি আপনার জানা আছে!  যেই নম্বর থেকে কলটি আসলো তার কোড যদি হয় +২২৬ অথবা +২৩২ এমন কোনো নম্বর, তাহলে আর আপনার রক্ষা নেই।
এমন নম্বরে আপনি কল ব্যাক করে দেখলেন কেউ একজন কল রিসিভ করেছে, কিন্তু কোনো কথা বলছে না। আর আপনিও হয়তো বিরক্ত হয়ে লাইন কেটে দিলেন। আর এভাবেই আপনি পড়ে গেলেন এক মহা বিপদের ফাঁদে। কারণ এরপর আপনার প্রিপেইড অ্যাকাউন্ট চেক করলে দেখবেন যে ব্যাল্যান্স পুরো শেষ, এক পয়সাও নেই!
এরকম ঘটনা আজকাল প্রায়ই হচ্ছে। আর এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে নতুন এক প্রতারণার ফাঁদ। একটা প্রযুক্তি আছে যার নাম ‘ওয়ান রিং স্ক্যাম’।
এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম বিষয়ক সংস্থা এফএফসিতে একটি বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যিনি কল করছেন, তিনি অটোমেটিক ডায়াল অপশন ব্যবহার করেন, যার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আন্দাজে একের পর এক নম্বরে ডায়াল করা হয়। এবং রিং বাজলেই কেটে যায় ফোন। আর স্বাভাবিকভাবেই ভিন্ন ধাঁচের নম্বর থেকে কল এলে তা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হতেই পারে কারও কাছে।
আরো বলা হয়, তবে যখনই আপনি কলব্যাক করছেন, তখনই উচ্চ রেটের আন্তর্জাতিক হটলাইনের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে আপনাকে। বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্কদের কোনো সাইটের সঙ্গে সংযোগ ঘটে। কলব্যাক করার পর তা অন্যপাশ থেকে তা রিসিভ হবে ঠিকই। তবে হয় বিশেষ কোনো মিউজিক শুনতে পাবেন অথবা কোনো শব্দই পাবেন না। এসব কল রিসিভ হওয়া মাত্রই শুধু হাইরেটে অর্থ কাটবে তাই নয়, যতক্ষণ আপনি অপেক্ষায় থাকবেন আপনার অ্যাকাউন্ট খালি হতেই থাকবে।
অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, আফ্রিকা ভিত্তিক কয়েকটি দল এসব কলের মাধ্যমে ফোনের অর্থ ও স্টোরেজ থেকে ডেটা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই মোবাইল ফোন বাবহারকারীদের এই ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। ভুলেও কলব্যাক করা যাবে না অপরিচিত এই ধরণের নম্বরে।

বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০২০

Bangladesh Homeopathic Board DHMS Exam Routine 2019

Bangladesh Homeopathic Board DHMS Exam Routine 2019
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড ডিএইচএমএস পরীক্ষার রুটিন 2019
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড ডিএইচএমএস পরীক্ষার রুটিন 2019



বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড ডিএইচএমএস পরীক্ষার রুটিন 2019
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড ডিএইচএমএস পরীক্ষার রুটিন 2019

Bangladesh Homeopathic Board was establish since 1972. This board has been leading a important role to Homeopathic study. Every year they are publish Bangladesh Homeopathic Board DHMS Exam Routine in their website. This year also publish DHMS exam routine. Now you can collect your routine from here. We are also published DHMS exam result on our site. So, you can easily collect your result from our site. Lets see Bangladesh Homeopathic Board DHMS Exam Routine 2019.