সোমবার, ২ মার্চ, ২০২০

কিডনির পাথরসহ আরও যেসব রোগ সারায় লেবুর খোসা

কিডনির পাথরসহ আরও যেসব রোগ সারায় লেবুর খোসা

কিডনির পাথরসহ আরও যেসব রোগ সারায় লেবুর খোসা

লেবু একটি অতিপরিচিত জিনিস। প্রায় প্রতিটি মানুষই লেবু পছন্দ করেন। কিন্তু জানেন কি লেবুর রস খেলে যতটা শারীরিক উপকার পাওয়া যায়, তার থেকে অনেক বেশি পাওয়া যায় লেবুর খোসা খেলে। আসুন জেনে নিই লেবুর খোসার উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধের উন্নতি
লেবুর খোসায় উপস্থিত ডায়েটারি ফাইবার এবং ভিটামিন-সি শরীরে প্রবেশ করলে দেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে সংক্রমণের মতো রোগও দূরে থাকতে বাধ্য হয়।
দূরে থাকে কিডনি পাথরের মতো রোগ
নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে শরীরে সাইট্রিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যার প্রভাবে কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা একদম কমে যায়।
ক্যান্সারে উপকারী
লেবুর খোসায় উপস্থিত সয়ালভেসস্ট্রল কিউ ৪০ এবং লিমোনেন্স নামে দুটি উপাদান ক্যান্সার সেলের ধ্বংসে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ ছাড়া লেবুর খোসা খেলে ব্যাকটেরিয়াল এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।
ভালো থাকে মুখগহ্বর
লেবুর খোসায় উপস্থিত ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড মাড়ি থেকে রক্তপড়া, জিঞ্জিভাইটিসসহ একাধিক রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
দেহের ওজনের নিয়ন্ত্রণ
প্যাকটিন নামে একটি উপাদান প্রচুর মাত্রায় থাকায় লেবুর খোসা নিয়মিত খেলে ওজন কমে। কারণ এই উপাদানটি শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত চর্বিকে ঝরিয়ে ফেলতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি
লেবুর খোসায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের নিচে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
স্ট্র্রেসের মাত্রা কমে
লেবুর খোসায় উপস্থিত সাইট্রাস বায়ো-ফ্লেভোনয়েড স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

চুল পড়া রোধে করণীয়

চুল পড়া রোধে করণীয়

চুল পড়া রোধে করণীয়

চুল মানুষের সৌন্দর্যের অন্যতম আকর্ষণ। তবে বর্তমান সময়ে চুল পড়া সমস্যা বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যায় ভুগেছেন অনেকেই। যারা এই সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তাদের জন্য রয়েছে ঘরোয়া সমাধান। ঘরোয়া কিছু নিয়ম মানলেই আপনার চুল পড়া অনেক কমে যাবে।
চুলের গোড়ায় গরম তেল ম্যাসেজ :
গরম তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী। এ ক্ষেত্রে নারকেল ও বাদামের তেলের জুড়ি নেই। তেল গরম করার পরে ধীরে ধীরে আপনার আঙ্গুলের দ্বারা মাথার খুলিতে ম্যাসেজ করুন। এই ম্যাসেজ চুলের গোড়ায় রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে, শিকড়ে শক্তি বাড়ায় ও চুল পড়া রোধ করে।
পেঁয়াজ রস
পেঁয়াজে উচ্চ মাত্রায় সালফার থাকে। পেঁয়াজের রস মাথায় নতুন চুল গজাতেও চুল পড়া বন্ধে সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
সবুজ চা
সবুজ চায়ে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা চুল পড়া রোধ ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এক কাপ গরম পানিতে দুই ব্যাগ চা মিশিয়ে নিন। হালকা গরম থাকা অবস্থায় মাথায় লাগান। এক ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
আমলকি  
চুল পড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ভিটামিন সি’র অভাব। আমলকিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে। আমলকি চুলপড়া বন্ধ, চুলের খুশকি দূর করে। আমলকির রস নারকেলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ার লাগালে উপকার পাওয়া যায়।  
নিমপাতা
নিমপাতাকে বলা হয় সকল রোগের মহৌষধ। তেমনি এই চুলপড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজাতে নিমপাতার জুড়ি নেই। নিম পাতা গরম পানিতে দিয়ে পেস্ট করে চুলে লাগানোর ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। দুই সপ্তাহের মধ্যেই দেখবেন আপনার চুল পড়া অনেক অংশে কমে গেছে। 

ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে যেসব খাবার

ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে যেসব খাবার


ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে যেসব খাবার

দিন দিন ক্যান্সার যেমন বাড়ছে, পাশাপাশি বাড়ছে এই রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা। প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় না। সচেতন রোগীর প্রাথমিক অবস্থায় রোগ ধরা পড়লে যথাযথ চিকিৎসায় ক্যান্সার পুরোপুরি সেরে যেতে পারে অথবা নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক সহজ হয়। কাজেই ক্যান্সার মানেই মৃত্যু নয়।
ক্যান্সারের সাধারণ কিছু লক্ষণ : ১) অল্প অল্প বা বেশি জ্বর হওয়া, রাতে ঠান্ডা লাগা বা ঘেমে যাওয়া, ২) স্বাভাবিকের চাইতে বা অতীতের চাইতে ক্ষুধা কমে যাওয়া, ৩) শরীরের যে কোনও জায়গায় চাকা বা দলা দেখা দেয়া। কখনও এই চাকায় ব্যাথা হতে পারে, কখনও ব্যাথা নাও হতে পারে, ৪) দীর্ঘস্থায়ী কাশি থাকা, কোনও কিছুতেই না সারা। কিংবা অনেকদিন যাবত গলা ভাঙ্গা থাকা, ৫) মলত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন আসা। ঘন ঘন ডায়রিয়া,কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা মলের সাথে রক্ত যাওয়া, ৬) বিনা কারণেই খুব ক্লান্ত বোধ করা, ৭) অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে যাওয়া।
ক্যান্সার প্রতিরোধক খাদ্য সমূহ:
সবুজ শাক-সবজি : পালং শাক, কেইল, কলার্ড গ্রীন, রোমেইন ও আরুগুলা লেটুস, ওয়াটার ক্রেস (হেলেঞ্চা শাক) সহ দেশীয় সবুজ শাক-পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও মিনারেলগুলো, এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং এনজাইম। এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এছাড়াও আছে গ্লুকোসাইনোলেটস, এন্টিব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিভাইরাল উপাদান এবং নিষ্ক্রিয় কার্সিনোজেনস। যা টিউমার সৃষ্টি রোধ, ক্যান্সার কোষ ধ্বংস ও ক্যান্সার স্থানান্তরণে বাধা প্রদান করে। কাজেই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ শাক-পাতা থাকা আবশ্যকীয়।
হলুদ: হলুদে বিদ্যমান ‘কারকিউমিন’ প্রদাহজনিত সমস্যা বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানব দেহের টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দেহকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলে। শরীরকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করতে চাইলে কাঁচা হলুদ খেতে পারেন অথবা মাছ ও মাংসের তরকারিতে প্রয়োজন মতো ব্যাবহার করতে পারেন।
অর্গানিক মাংস : কোনো প্রকার স্টেরয়েড, হরমোন ও এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ ছাড়া পালিত মুরগির কলিজা এবং তৃণভোজী গরুর মাংস ক্যান্সার রোগীর খাদ্য তালিকায় থাকা বাঞ্চনীয়। কারণ এই পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারে ভিটামিন বি ১২ আছে উচ্চ মাত্রায়। সেলেনিয়াম, জিংক ও বি ভিটামিন রক্ত পরিশোধন, হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি ছাড়াও হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য : প্রক্রিয়াকরণ দুগ্ধজাত খাবার যেমন টক দই হলো প্রোবায়োটিক বা ভালো ব্যাক্টেরিয়ার উত্তম উৎস। প্রোবায়োটিক টিউমার বৃদ্ধি রোধ করে। গরু ও ছাগলের দুধ এবং পনিরে রয়েছে সালফার প্রোটিন ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা ক্যান্সার রোগীর খাদ্য তালিকায় রাখা জরুরি। দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি আছে। এই ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে ক্যালসিয়াম রেকটাল সহ নানা রকমের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এছাড়াও ব্রেস্ট এবং ওভারিয়ান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
মাছ : গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, মাছের ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড -এন্টিইনফ্ল্যামেটরি, এন্টিটিউমার ও এন্টিক্যান্সার বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও বিষাক্ততা কমাতে ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ফলদায়ক ভূমিকা রাখে। তৈলাক্ত মাছ খাদ্য তালিকায় রাখুন।
গ্রীন টি : ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর প্রধান কারণ মেটাস্ট্যাসিস বা ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়া। গ্রীন টিতে আছে পলিফেনোলিক কম্পাউন্ড, ক্যাটেচিন, গ্যালোক্যাটেচিন এবং ইজিসিজি (এন্টিঅক্সিডেন্ট)। যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, টিউমার বৃদ্ধি রোধ ও ক্যান্সার স্থানান্তরণ অর্থাৎ মেটাস্ট্যাসিস রুখে মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন গ্রীন টি পান করুন।
মাশরুম: উচ্চ পুষ্টিসম্পন্ন মাশরুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মাশরুম রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
স্বাস্থ্যকর অপরিশোধিত ভোজ্য তেল: নারকেল তেল, তিসির তেল এবং এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল অন্ত্রে পুষ্টি যোগায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। জলপাই তেলে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস যা প্রদাহ কমায়। এমনকি ব্রেস্ট ও কলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
বাদাম ও বীজসমূহ : চিনাবাদাম ভিটামিন-ই এর সব থেকে ভালো উৎস। ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ চিনাবাদাম কোলন, ফুসফুস, যকৃত এবং অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। সকালে কিংবা বিকালের নাস্তায় চিনাবাদাম রাখুন।

ভ্রমণ যাত্রায় যা খাবেন আর যা খাবেন না

ভ্রমণ যাত্রায় যা খাবেন আর যা খাবেন না

ভ্রমণ যাত্রায় যা খাবেন আর যা খাবেন না
► মডেল : আদর ও তমা ► ছবি : ম্যাক্স ব্যাগ
ভ্রমণে বের হওয়ার আগে প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে। ভ্রমণকে আরও আনন্দময় করতে ভ্রমণকালে স্বাস্থ্যকর খাবারের একটা ফর্দ তুলে ধরা যাক।

ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে। কেউ যাত্রা করেন বাসে, লঞ্চে, ট্রেনে, গাড়িতে বা ফ্লাইটে। বেশ কিছু মানুষের যাত্রার সময় বেশ কয়েক ধরনের সমস্যা দেখা যায় যেমন- মাথা ঘুরানো, বমি বমি ভাব, অনেকের পেটের সমস্যা হয় মাঝ রাস্তায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার খাওয়ার জন্য। তাই কোথাও যাওয়ার আগে বুঝে খাবার গ্রহণ করতে হয় এবং বেশ কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হয়।

যাত্রার সময় যেসব খাবার খাবেন সেগুলো দেওয়া হলো-
১. যাত্রাপথে যাওয়ার আগে অল্প পরিমাণে তেল ও মসলাযুক্ত খাবার খাবেন। এতে করে আপনার পেট ঠান্ডা থাকবে এবং খাবার সহজে হজম হবে।
২. যাত্রাপথে পানির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। অনেকেই ভ্রমণের সময় পানি পান করতে চায় না। এতে করে শরীর ডি-হাইড্রেটেড হয়ে যায়। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
৩. গুরুপাক ও অতিরিক্ত ভারী মসলা জাতীয় খাবার ও ভাজাপোড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ এসব খাবার যাত্রার সময় অথবা যাত্রা শুরু করার আগে গ্রহণ করলে বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং অ্যাসিডিটি বাড়ে।
৪. রাস্তার কাছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হাতে বানানো ঝাল-মুড়ি, আচার, কাসন্দি দিয়ে মাখানো ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে করে জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৫. যাত্রাপথে সঙ্গে সেদ্ধ ডিম, রুটি, শুকনো খাবার, কেক, বিস্কুট, বাদাম, খেজুর, শসা, ডার্ক চকলেট ইত্যাদি রাখবেন। এতে আপনার পেটও ভরে যাবে ক্লান্তিভাবও কাটবে।
৬. যাদের যাত্রাপথে বমি হয় তারা যাত্রার পূর্বে আদা চা পান করবেন এতে করে বমি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
৭. যে কোনো কার্বোনেটেড বেভারেজ, চিপস ও  কেমিক্যালযুক্ত প্রসেসড জ্যুস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ এতে করে অনেক সময় অতিরিক্ত ইউরিন হতে পারে।
৮. যাত্রাপথে সর্বদা স্যালাইন রাখবেন। এতে করে আপনার পেটের সমস্যা থাকলেও বা ক্লান্তিভাব হলেও স্যালাইন অনেক ভালো কাজ করবে শরীরের জন্য।

চুল পড়বে কম, পালাবে খুশকিও

চুল পড়বে কম, পালাবে খুশকিও

চুল পড়বে কম, পালাবে খুশকিও!
প্রতীকী ছবি

শ্যাম্পু করার সময় অথবা আঁচড়ানোর সময় হাতে উঠে আসছে এক মুঠো চুল। তারই সঙ্গে আছে খুশকির সমস্যাও। এই সমস্যা আপনার একার নয়। বরং ঘরে ঘরে অনেককেই এমন মুশকিলে পড়তে হয়। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই পেতে পারেন রেশমি ঘন চুল। আটকাতে পারেন চুল পড়াও।
শুষ্ক চুলে প্রাণ ফেরানোই হোক বা চুল পড়া রোধ, তেলের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। খুশকির সমস্যার সমাধানেও রয়েছে তেলের ভূমিকা। চুলের গোড়া মজবুত করতে হট অয়েল ট্রিটমেন্টে’র জুড়ি মেলা ভার। হট অয়েল ট্রিটমেন্ট চুলের যতেœর সবচেয়ে কার্যকর উপায়। কিন্তু কীভাবে করবেন?
এই যত্ন বাড়িতেই করতে পারবেন সহজে। সপ্তাহে তিন দিন নারকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে গরম করে দিন। মিশ্রণটি দিয়ে চুলে ও মাথার ত্বকে লাগিয়ে আঙুলের ডগা দিয়ে আলতো মাসাজ করুন। সারা রাত চুল বেঁধে রেখে সকালে শ্যাম্পু করে নিলেই মিলবে রেশমের মতো নরম চুল। কমবে চুল পড়ার সমস্যাও। তেলের পুষ্টি চুলের গোড়ায় পৌঁছে চুলের হারানো স্বাস্থ্যও ফিরিয়ে আনবে। 

শিশুদের মধ্যে স্থুলতার মূল কারণ ঘুমের সময়: গবেষণা

শিশুদের মধ্যে স্থুলতার মূল কারণ ঘুমের সময়: গবেষণা


শিশুদের মধ্যে স্থুলতার মূল কারণ ঘুমের সময়: গবেষণা
প্রতীকী ছবি

জীবনযাত্রার মান বদলে গেছে। অনেক ব্যস্ত হয়ে গেছে বর্তমান জনজীবন। তাই চিকিত্‍সকরা বলেন, প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমালে জীবনযাত্রার মান সুস্থ আর সুন্দর হয়। কিন্তু বর্তমান সমাজে একটি বড় সমস্যা হল, স্থুলতা বা মোটা হওয়া।
বর্তমানে বহু শিশুদের ক্ষেত্রেই ওবেসিটি বা স্থুলতা দেখা দিচ্ছে। স্কুলের গণ্ডিতেই তাদের শরীরে চর্বি জমে যাচ্ছে। কেন এটা হচ্ছে, এই নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা নানা গবেষণা চালিয়েছেন।
স্থুলতার জন্য বহু শিশুর নানা রোগও দেখা শরীরে বাসা বাঁধছে অল্প বয়সে। যার ফলে চিন্তায় পড়ছেন মা-বাবারা। এ ক্ষেত্রে শিশুদের ঘুমের সময়কেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন চিকিত্‍সা বিজ্ঞানীরা।
ব্রিটেনে সম্প্রতি শিশুদের ওবেসিটি নিয়ে একটি গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যাতে দেখা যাচ্ছে, শিশুদের মধ্যে স্থুলতার মূল কারণ ঘুমের সময়।
নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১ থেকে ৬ বছর বয়সি শিশুরা রাত ৯টার পরে ঘুমাতে যাচ্ছে, তাদের মধ্যে স্থুলতার হার বেশি।
সুইডেনের শিশু বিশেষজ্ঞ ক্লওদে মার্কাস জানাচ্ছেন, যে সব শিশুরা রাতে দেরিতে শুতে যাচ্ছে বা ঘুমাচ্ছে, তাদের মধ্যে অল্প বয়সেই মোটা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ এই শিশুদের মেটাবলিজম রেট কমে যায়। ফলে শরীরে মেদ জমতে থাকে।

ডিম আমিষ না নিরামিষ, জানালেন বিজ্ঞানীরা

ডিম আমিষ না নিরামিষ, জানালেন বিজ্ঞানীরা


ডিম আমিষ না নিরামিষ, জানালেন বিজ্ঞানীরা

ডিম স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারি তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু ডিম আমিষ না নিরামিষ-এই বিতর্কের কারণে আমিষ ভেবে অনেকে ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। কারণ, ডিম মুরগির শরীর থেকে তৈরি হয়। এই যুক্তিতেই একাংশের মত ডিম আমিষ। তবে পাল্টা যুক্তিও রয়েছে।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ডিমের ৩টি অংশ থাকে। ডিমের খোসা, কুসুম ও সাদা অংশ। ডিমের সাদা অংশ শুধু প্রোটিন দিয়ে তৈরি। আর কুসুমে রয়েছে প্রোটিন, কোলেস্টেরল ও ফ্যাট। বাজারে খাওয়ার জন্য যে ডিম বিক্রি হয় তা অনিষিক্ত। তার মধ্যে কোনও ভ্রুণ থাকে না। অর্থাৎ এই ডিম খেলে জীবহত্যার দায়ে দুষ্ট হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
এছাড়া পুষ্টিবিদদের মতে, আমিষ বা নিরামিষ না ভেবে নিয়মিত একটি করে ডিম খাওয়া জরুরি। কারণ এতে শরীর সুস্থ ও রোগমুক্ত থাকতে সহায়তা করে। 

যেভাবে সহজে দূর করবেন গলায় আটকা মাছের কাঁটা

যেভাবে সহজে দূর করবেন গলায় আটকা মাছের কাঁটা


যেভাবে সহজে দূর করবেন গলায় আটকা মাছের কাঁটা
প্রতীকী ছবি

মাছ একটি প্রিয় খাবার। সব বয়সের মানুষই কমবেশি মাছ পছন্দ করেন। তবে প্রিয় এই খাবারটি খেতে গেলে অনেক সময় বিপত্তিও ঘটে। তাছাড়া কাঁটার ভয়ে অনেকে সুস্বাদু এই খাবারকে এড়িয়েও চলেন।
ইলিশ সুস্বাদু মাছ হলেও অনেকে দূরে সরিয়ে রাখেন শুধুমাত্র অতিরিক্ত কাঁটার ভয়ে। খেতে খেতে হঠাৎ গলায় কাঁটা বিঁধে গেলেই সর্বনাশ! তবে এই সমস্যার সমাধানও রয়েছে।
গলায় বিঁধে যাওয়া মাছের কাঁটা দূর করার সহজ ৫ উপায় রয়েছে। আসুন জেনে নিই গলায় বিঁধে যাওয়া মাছের কাটা দূর করার ৫ উপায়-
১. এক দলা সাদা ভাত খেতে পারেন। নরম ছোট কাঁটা হলে এতে অনেক সময় নেমেও যায়।
২. গলায় কাঁটা বিঁধলে অল্প অলিভ অয়েল খেয়ে নিন। অলিভ অয়েল অন্য তেলের তুলনায় বেশি পিচ্ছিল। তাই গলা থেকে কাঁটা পিছলে নেমে যাবে সহজেই।
৩. হালকা গরম পানিতে একটু লেবু নিংড়ে সেই পানি খেতে পারেন। লেবুর অ্যাসিডিক ক্ষমতা কাঁটাকে নরম করে দিতে সক্ষম।
৪. পানির সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে নিন। ভিনেগার গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটাকে নরম করে। তাই পানির সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে খেলে কাঁটা সহজেই নেমে যায়।
৫. লবণও কাঁটা নরম করে। তবে শুধু লবণ না খেয়ে পানিতে লবণ মেশিয়ে নিন। প্রথমে একটু পানি সামান্য উষ্ণ গরম করে নিয়ে সেই পানিতে বেশ খানিকটা লবণ মিশিয়ে নিন। এই উষ্ণ লবণপানি খেলে গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটা সহজেই নেমে যাবে

প্রতিদিন ২০ মিনিট ব্যায়ামে ৭ উপকার

প্রতিদিন ২০ মিনিট ব্যায়ামে ৭ উপকার

প্রতিদিন ২০ মিনিট ব্যায়ামে ৭ উপকার

রাতে ঘুমের সমস্যা রয়েছে অনেকের। আবার রাতে ঘুম না হওয়ার কারণে ওষুধ খেয়ে থাকেন। আর ঘুমের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, যা মারাত্মক।
ঘুম নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। রাতে ভালো ঘুমাতে চাইলে প্রতিদিন ২০ মিনিট হাঁটুন। প্রতিদিন ২০ মিনিট হাঁটলে আপনাকে ঘুমকে খুঁজতে হবে না, ঘুমই খুঁজে নেবে আপনাকে!
আসুন জেনে নিই প্রতিদিন ২০ মিনিট ব্যায়াম করলে যেসব উপকার পাবেন-
১. এক গবেষণায় দেখা গেছে– যারা নিয়মিত ২০ মিনিট ব্যায়াম করেন, তারা অন্যদের চেয়ে ৫০ শতাংশ কম মানসিক চাপে ভোগেন।
২. গবেষণায় আরও বলা হয়, শরীরে স্ট্রেস হরমোন করটিসোলের পরিমাণ কমিয়ে দেয় ব্যায়াম। ব্যায়াম শরীরকে আরাম দেয়। তাই যোগাসন, ডিপ ব্রিদিং ও মেডিটেশন করলেও ভালো ফল পাবেন।
৩. শরীরচর্চা করলে ‘ন্যাচারাল ফিল গুড’ হরমোন নিঃসৃত হয়। এতে মন ফুরফুরে থাকে।
৪. শরীরচর্চার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। ফিট ও সুস্থ থাকতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
৫. ক্ষুধা বাড়ে শরীরচর্চা করলে। ফলে খাবারের অনিয়ম দূর হয়।
৬. ব্যায়াম সারাদিন কর্মক্ষম রাখবে ও এনার্জি দেবে। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়ে যায় ব্যায়াম করলে।
৭. সকালে ঘুম থেকে উঠেই ২০ মিনিট ব্যায়াম করুন। পুরো দিনের জন্য এনার্জি স্টোর হয়ে যাবে।

চুল পড়া প্রতিরোধে রসুন

চুল পড়া প্রতিরোধে রসুন

চুল পড়া প্রতিরোধে রসুন

আপনার কি চুল পড়ে যাচ্ছে?
চুল পড়া রোধে পেঁয়াজের রস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেই সঙ্গে রসুনও অনেকটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এটি শুধু চুল পড়া ঠেকায় না, মাথার ত্বকের ইনফেকশন ও খুশকি দূর করতে সহায়ক। শুধু তাই নয়, রসুন নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
বিশেষজ্ঞদের মত, তেলের মতো করে চুলে ও মাথার ত্বকে রসুনের রস লাগালে অনেক দ্রুত নতুন চুল গজায়। রসুনের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এলিসিন যা রক্তে হিমোগ্লোবিন সঞ্চালন বাড়িয়ে দিয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া রসুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কপার যা চুলকে ঘন ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে।
রসুনের রস ব্যবহার পদ্ধতি
প্রথম ধাপ: প্রথমে রসুন পেস্ট করে এর রস বের করে নিতে হবে। এরপর একটি এয়ার টাইট বোতলে তা সংরক্ষণ করতে হবে। যাতে যখন প্রয়োজন তখন তেলের মতো করে এই রস চুলে ব্যবহার করা যায়।
দ্বিতীয় ধাপ: চুল শুষ্ক হলে গোলাপজলের পানিতে তা আধাঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। গোলাপজল চুলের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে। এই আধাঘণ্টা পর ভালো করে চুলে ও মাথার তালুতে রসুনের রস লাগাতে হবে।
তৃতীয় ধাপ: চুলে রসুনের রস লাগিয়ে আধাঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। এরপর চিরুনি দিয়ে তা আঁচড়াতে হবে। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এবার চুলে ভালো করে মাইল্ড শ্যাম্পু লাগিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এর ১৫ মিনিট পর কন্ডিশনার লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
কতদিন বা কয় দিন পরপর ব্যবহার করবেন?
১.অতিরিক্ত হারে চুল পড়লে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন রসুনের রস ব্যবহার করতে পারেন। এতে এক মাসের মধ্যে মাথায় নতুন চুল গজাতে পারে।
২.মাথার তালুতে ক্ষত থাকলে রসুনের রস ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এটি ব্যবহারে ক্ষত আরও বেড়ে যেতে পারে।
৩. মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে চুলে তেল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে শুধু রসুনের রস লাগাতে হবে।

দুধের সঙ্গে কখনোই এই ৯ টি খাবার মেশাবেন না

দুধের সঙ্গে কখনোই এই ৯ টি খাবার মেশাবেন না


দুধের সঙ্গে কখনোই এই ৯ টি খাবার মেশাবেন না

শরীর সুস্থ রাখতে কী খাব এবং কখন খাব, এই বিষয়ে আমরা সবাই চিন্তা-ভাবনা করি। কিন্তু যখন একটি খাবারের সঙ্গে অন্য একটি খাবার মিশিয়ে খাওয়া হয়, তখন তা ঠিকমতো হল কিনা, সেটা নিয়ে আমরা বেশিরভাগই খুব একটা চিন্তা করে না। 
যেমন অনেক কিছুর সঙ্গে আমরা দুধ মিশিয়ে খাই। পছন্দের কুকিজ হোক বা কোনো ফলের সঙ্গে আমরা দুধ খেয়ে থাকি। কিন্তু এই অভ্যেস কি আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত। 
আয়ুর্বেদিক বলছে, দুধের সঙ্গে যে কোনো খাবার মোটেও মেশানো যায় না। যে কোনো খাবারের সঙ্গে দুধ খেলে তা স্বাস্থ্য বিপর্যয় ঘটাতে পারে। যেমন অনেকে দুধ আর কলা একসঙ্গে খান, আবার অনেকে দুধ আর ডিম একসঙ্গে খান। এর কোনোটিই ঠিক নয় বলে জানান ভারতের আয়ুর্বেদিক আচার্য ডা. প্রতাপ চৌহান। 
একসঙ্গে মেশানো যায় না, এমন দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে তা হজমের সমস্যা করতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। কোন কোন খাবারের সঙ্গে দুধ খাওয়া ঠিক নয়, তার তালিকা দেখে নিন।
কলা, চেরি, যে টকজাতীয় খাবার (কমলা, লেবু, বাতাপি লেবু, তেঁতুল, আমলা, গ্রিন আপেল, তাল, আনারস), ইয়েস্ট আছে এমন যে কোনো খাবার, ডিম, মাংস, মাছ, খিচুড়ি, ইয়োগার্ট, বিনস, মুলা।
টাটকা গরুর দুধ খাওয়া শরীরের পক্ষে সবচেয়ে ভালো। এর মধ্যে মধু বা গুড় মিশিয়ে নিতে পারেন।

প্রেমিকের কাছে পর্নোতারকা পাঠালেন প্রেমিকা, অতঃপর.. (ভিডিও)

প্রেমিকের কাছে পর্নোতারকা পাঠালেন প্রেমিকা, অতঃপর.. (ভিডিও)

প্রেমিকের কাছে পর্নোতারকা পাঠালেন প্রেমিকা, অতঃপর.. (ভিডিও)
সংগৃহীত ছবি
প্রেমিকের সততা পরীক্ষা করতে প্রেমিকা এক পর্নোতারকাকে পাঠিয়েছিলেন সাহায্য নিয়েছিলেন এক নারী। কিন্তু পরবর্তীতে এই কাজের জন্যই তার মধ্যে জেগেছে ঈর্ষা, সেই সঙ্গে তৈরি হয়েছে অস্বস্তিবোধও। এই ঘটনাটি  ‘টু ক্যাচ এ চিটার’ শিরোনামের একটি শোতে প্রচারের জন্য ভিডিওটি ধারণ করা হয়। পরে সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়।
ইউটিউবে প্রকাশিত সেই ভিডিওটিতে দেখা যায়, ওই প্রেমিকা পর্নোতারকা ভ্যালেরি হোয়াইটকে তার প্রেমিকের কাছে পাঠান। ভ্যালেরি ওই তরুণীর প্রেমিককে তার দিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন। প্রেমিক ওই যুবকের কাছে ফোন নম্বর চান ভ্যালেরি। কিন্তু যুবক ভ্যালেরিকে নিজের ফোন নম্বর দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু এর পরও দমে যাননি ভ্যালেরি। তিনি যুবকের বাড়িতে থাকতে চান। এক পর্যায়ে তিনি ওই যুবকের যৌনাঙ্গে স্পর্শ করতে চান। কিন্তু যুবক ভ্যালেরির কাছ থেকে সরে গিয়ে নিজের গাড়িতে উঠতে যান। সে সময় ভ্যালেরিও গাড়ি পর্যন্ত হেঁটে যান
একপর্যায়ে ভ্যালেরি সেই যুবকের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি সমকামীদের মতো নন, তাই তো?’ তার প্রতিউত্তরে ওই যুবক ভ্যালেরির উদ্দেশে বলেন, তার মেয়েবন্ধু আছে। ।
এ সময় সম্পূর্ন দৃশ্যটি একটি মনিটরে দেখতে থাকেন সেই যুবকের প্রেমিকা। এতে তিনি অস্বস্তিবোধ করেছেন। তিনি মনে করছেন, পর্নোতারকাকে তার প্রেমিক পাগল করে দিয়েছে। সে সত্যিই সত্যিই তার প্রেমিককে তার কাছ থেকে বাগাতে চেয়েছিল।
 

সানি লিওনের যে ভিডিওটি সবচেয়ে বেশিবার দেখা হয়

সানি লিওনের যে ভিডিওটি সবচেয়ে বেশিবার দেখা হয়

সানি লিওনের যে ভিডিওটি সবচেয়ে বেশিবার দেখা হয়!
ফাইল ছবি

নীল ছবির দুনিয়া ছেড়ে বলিপাড়ায় পা রেখেছেন বেশ কয়েক বছর হলো। বরাবরই তাকে নিয়ে চর্চায় এতটুকু খামতি হয় না। নীল ছবির অতীত থেকে বর্তমান দুনিয়ার গ্ল্যামার, বিতর্ক থেকে ব্যবসা, উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট থেকে আইটেম সং- সব মিলিয়ে নিঃসন্দেহে এক ধাঁধার নাম সানি লিওন।
সম্প্রতি জানা যায়, তার একটি ভিডিওই সবচেয়ে বেশিবার দেখেছেন সাড়া বিশ্বের মানুষ।
যদি ভাবা হয় আসলে নীল ছবির ভিডিওতেই এখনও বাজিমাত করে চলেছেন সানি লিওন, তবে ভুল। কেননা নীল দুনিয়া তিনি একেবারেই ছেড়েছেন। আর তাই তার খোঁজ নতুন নতুন সাফল্যের।
সম্প্রতি এক স্বপ্নপূরণের মাইলস্টোনে পৌঁছেছেন সানি লিওন। সেই ‘কাল হো না হো’ দেখা থেকেই শাহরুখের সঙ্গে কাজ করার স্বপ্ন তার। এতদিনে তা খানিকটা পূরণ হয়েছে। শাহরুখের আগামী ছবি রইস-এ ‘লায়লা ও লায়লা’ গানে দেখা যাবে। আইটেম সং হলেও সানি সকলের নজর কেড়ে নিয়েছেন এবং ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশিবার ভিডিওর রেকর্ডও ছুঁয়ে ফেলেছে তার গানের ভিডিও।
এ কথা খুশি মনে ফ্যানদের নিজেই জানিয়েছেন সানি লিওন।
ইন্টারনেটে গানটি মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভিডিও দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন সানির ফ্যানরা। সেই সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন শাহরুখ ফ্যানরা। দুয়ে মিলে ভিডিওটির জনপ্রিয়তা ছিল আকাশছোঁয়া। ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে ‘মোস্ট ওয়াচড ভিডিও’র মধ্যে সানির গানের ভিডিও প্রথম স্থানটি দখল করে নেয়।
ভিডিও :


লিপ ইয়ার কেন হয়

লিপ ইয়ার কেন হয়


লিপ ইয়ার কেন হয়?
প্রতীকী ছবি

লিপ ইয়ার। যে বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ২৯ দিন থাকে, সেই বছরটাকেই লিপ ইয়ার বলা হয়- আমরা অধিকাংশ মানুষ এটাই জানি। কিন্তু লিপ ইয়ারের গল্প এটুকু নয়। লিপ ইয়ারের প্রয়োজনীয়তা কী, তা কি জানেন?
আসলে আমরা বছর গণনা করি ৩৬৫ দিনে। কিন্তু পৃথিবীর সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে আসতে ৩৬৫ দিনের কিছু বেশি সময় লাগে। এই সময়টা হলো ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। অর্থাৎ, আমরা প্রতি বছরে কয়েক ঘণ্টা কম হিসাব করি। এই কয়েক ঘণ্টার তাহলে কী হবে?
এই ভাবনা থেকেই এসেছে লিপ ইয়ার। প্রতি চার বছরে আমাদের এই না হিসাব করা সময়টা মিলে প্রায় একদিন হয়ে যায়। সেজন্য চার বছর পর পর একটা বছরে একটা দিন বাড়তি হিসাব করা হয়। সেই বছরে থাকে ৩৬৬ দিন। এই বাড়তি দিনটাই হল ২৯ ফেব্রুয়ারি। আর এরকম বছরকেই বলা হয় লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ।
কোন কোন বছর লিপ ইয়ার হয়?
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে যেই বছরগুলো ৪ দিয়ে বিভাজ্য, সেগুলোই লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আছে। পৃথিবী সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে আসতে ঠিক ৩৬৫.২৫ দিন নেয় না, কিছুটা কম সময় নেয়। তাই চার বছর পর পর বছরে একদিন বেশি হিসাব করলে প্রতি চারশ বছরে তিনদিন বেশি হয়ে যায়। এই সমস্যার সমাধান করতে যেসব বছর ১০০ দ্বারা বিভাজ্য, কিন্তু ৪০০ দ্বারা নয়- তাদের লিপ ইয়ার হিসেবে গণনা করা হয় না।
২০২০ সালটা কিন্তু লিপ ইয়ার, এবং আজ এই বছরের বিশেষ এবং অতিরিক্ত দিন- ২৯ ফেব্রুয়ারি। আবার এই দিনটা আসবে ঠিক চার বছর পর, ২০২৪ সালে।

প্লেনের ভেতর শান্তির কবুতর অশান্তি ছড়ালো! ভিডিও ভাইরাল

প্লেনের ভেতর শান্তির কবুতর অশান্তি ছড়ালো! ভিডিও ভাইরাল

প্লেনের ভেতর শান্তির কবুতর অশান্তি ছড়ালো! ভিডিও ভাইরাল

শান্তির কবুতর অশান্তি ছড়ালো প্লেনের মধ্যে। এ কারণে আধ ঘণ্টা দেরিতে উড়াল দেয় ভারতের আহমেদাবাদ-জয়পুর গো এয়ারের প্লেন। কবুতরটি ধরতে প্লেনের ভেতরের হইচইয়ের ভিডিও এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শনিবার গো এয়ারের ওই প্লেন আহমেদাবাদ ছাড়ার কিছুক্ষণ আগে উদয় হয় কবুতরটি। প্লেনের ভেতরে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত, প্রাণ ভয়ে উড়তে শুরু করে কবুতরটি। যাত্রীরা তাদের ধরার চেষ্টা করলে আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। 
প্লেনের ভেতরের হইচইয়ের ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন রাকেশ ভগত নামে এক যাত্রী। টুইটারে তিনি লিখেছেন, বাস্তবিকই বড় পাখির মধ্যে ছোট পাখি। আহমেদাবাদ-জয়পুর ফ্লাইট ৩০ মিনিট লেটে উড়াল দিল।
প্রশান্ত নামে অন্য এক যাত্রী লিখেছেন, ‘প্লেনের ভেতরে উড়ে বেড়াচ্ছে একটি পায়রা’। যাত্রীরা উঠে দাঁড়িয়ে পায়রাটিকে ধরতে যাওয়ায় প্রবল হইচই শুরু হয়ে যায় প্লেনের মধ্যে। অনেক বলতে থাকেন প্লেনের পেছনের দরজা খুলে দেওয়া হোক। ওখান থেকে বেরিয়ে যাবে পায়রাটি।


অ্যান্টার্কটিকার বুকে রক্তমাখা তুষারের ছবি ভাইরাল! অতঃপর...

অ্যান্টার্কটিকার বুকে রক্তমাখা তুষারের ছবি ভাইরাল! অতঃপর...

অ্যান্টার্কটিকার বুকে রক্তমাখা তুষারের ছবি ভাইরাল! অতঃপর...
সংগৃহীত ছবি

সাদা বরফ হয়ে গেছে লাল! যেন চাপ-চাপ রক্তের ছোপ। যত দূর চোখ যায় একই ছবি। অ্যান্টার্কটিকার এ ছবি দেখতে কজনই বা অভ্যস্ত! যেন সেখানে একখণ্ড মঙ্গলগ্রহ। তুষারের বুক বেয়ে নেমে আসা রক্তস্রোত হিমশীতল জমাট বেঁধে গিয়েছে! অ্যান্টার্কটিকার এ ছবি এখন ভাইরাল নেটরাজ্যে।
তবে এই কৌতূহলের রহস্য ভেদ করেছে ইউক্রেনের শিক্ষা ও বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়। কিছুদিন আগে তারাই এই অদ্ভুত ছবি ছেড়েছিল ফেসবুকে। শেয়ার হতে হতে ভাইরাল সেই লাল বরফের ছবি।
সেই ছবিতে দেখা গেছে, প্রাক্তন ব্রিটিশ গবেষণাগারের চারপাশের তুষার ক্রমে লালবর্ণ ধারণ করছে। ইউক্রেনের বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, এই লাল মাইক্রোস্কোপিক অ্যালগি বা শেত্তলার কারণে। হিমশীতল তাপমাত্রাতেও এই শ্যাওলারা দিব্য বেঁচে থাকতে পারে।
ট্যুইটারে এই ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, অ্যান্টার্কটিকার রক্তলাল বরফ জলবায়ু পরিবর্তনের অশুভ লক্ষণ। যদিও ইউক্রেনের বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় তা বলছে না। এই মন্ত্রণালয়ের দাবি, অ্যান্টার্কটিকায় গ্রীষ্মের মাসগেলোতে পরিবেশ অনুকূল থাকার কারণেই এই মাইক্রোস্কোপিক শ্যাওলার জন্ম হয়।
তারা আরও জানাচ্ছে, লালবর্ণের কারণে তুষার থেকে কম সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়। ফলে, বরফ দ্রুত গলে যায়। যার জন্য শ্যাওলাকে আরও উজ্জ্বল দেখায়।
জানা গেছে, ক্ল্যামিডোমোনাস নিভালিস নামের এই শৈবালগুলোর কোষগুলোতে একটি লাল ক্যারোটিন স্তর থাকে। যা এই শ্যাওলাকে অতিবেগুনি বিকিরণের হাত থেকে রক্ষা করে। সেইসঙ্গে তুষারে লাল দাগ তৈরি করে। এই লাল রঙের কারণেই, তুষার কম সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে, দ্রুত গলে যায়।

''মোটা'' বলে বিয়ে ভেঙে যাওয়া সেই পাত্রীই সেরা সুন্দরী

''মোটা'' বলে বিয়ে ভেঙে যাওয়া সেই পাত্রীই সেরা সুন্দরী

''মোটা'' বলে বিয়ে ভেঙে যাওয়া সেই পাত্রীই সেরা সুন্দরী!
তিন বছর আগের কথা। তখনও খুব জাঙ্ক ফুড খেতেন যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা জেন আটকিন। ফলে স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি ওজন। এতে করে তাকে বেশ দৃষ্টিকটু দেখাতো। এর ফলে প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক এবং বিয়ে-দুটিই ভেঙে যায় তার। সম্প্রতি, সেই তিনিই জিতে নিলেন গ্রেট ব্রিটেন সুন্দরীর শিরোপা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর খুব কষ্ট পেয়েছিলেন জেন। সেই শুরু। এরপর ওজন ঝরাতে জিমে ভর্তি হন। ডায়েট মেনে শুরু করেন খাওয়া-দাওয়া। দুই বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেই চিনতে পারেননি জেন। তারপর নাম দেন গ্রেট ব্রিটেন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায়। এবার ছিনিয়ে নিলেন সেরার মুকুটও।
ইংলন্ডের লেস্টার শহরে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় জিতে জেনার উচ্ছ্বসিত মন্তব্য, "আমি এখনও আমার জয় নিয়ে অবাক হই। ভাষায় বোঝাতে পারছি না আমি কত খুশি। আজ যেন সব অপমানের জবাব দেওয়া হল।'' 
জেন আরও বলেন, "মিস গ্রেট ব্রিটেন শিরোপা জয়ের সঙ্গে সঙ্গে আমার জীবন অনেকটাই বদলেছে। যদিও আমি ভেতরে ভেতরে একই আছি। আমার জেদই আমাকে আজ এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে।" 

পর্নস্টারের পরামর্শ

পর্নস্টারের পরামর্শ

পর্নস্টারের পরামর্শ!

মাত্র একটি টুইট। আর তাতেই তোলপাড় নেট-দুনিয়ায়।
২০১১ সালের পরে আর সেভাবে পর্নোগ্রাফিতে দেখা যায়নি ব্রি অলসনকে। ততদিনে তিনি নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, যা অনেক পর্নস্টারেরই স্বপ্ন। কিন্তু এই ব্রি অলসনই মেয়েদের প্রতি পাঠালেন সতর্কবার্তা। বলে দিলেন, ভুলেও পর্ন-দুনিয়ায় কেউ যেন পা না-রাখেন।
কী বলেছেন ব্রি? পড়লে চমকে উঠতে হয়। গ্ল্যামার আর সাফল্যের হাসির আড়ালে কত যন্ত্রণার আখ্যান লুকিয়ে রয়েছে, তা ব্রি-র টুইটে পরিষ্কার।
তিনি লিখেছেন, ''পর্ন করলে তুমি সমাজ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়বে। তোমার মানবাধিকার রয়েছে। কিন্তু, সেটিকে একপাশে সরিয়ে রেখেই সমাজ তোমার মানবাধিকার কেড়ে নিতে উদ্যত হবে।''
ব্রি লিখেছেন, ''পর্ন খারাপ, এ কথা আমি বলছি না। কিন্তু বাকিরা তোমার সঙ্গে কীভাবে আচরণ করছে, সেটাই তোমার জীবনের প্রধান বিষয়। যদি মনে কর, মেয়েদের কোনও আড্ডায় যোগদান করবে, তা হলে স্রেফ পেশার জন্যই তুমি সেখানে ঠাঁই পাবে না।''
এর পরেই বলেছেন সাংঘাতিক সেই কথা।
বলেছেন, সমাজে পর্নস্টারদের সন্তানরা এককোনে পড়ে থাকে নিঃসঙ্গ হয়ে। তোমরা কি চাও যে, তোমাদের সন্তানরা স্কুলে যাক আর সর্বদা তাদের খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে শৈশবটাই কেড়ে নেওয়া হোক? বাড়িতে তোমার সঙ্গে বাচ্চাদের থাকতে দেওয়া হবে না।
মনে করা হবে, একবার যখন পর্নস্টারের তকমা তোমার গায়ে লেগে গেছে, তখন তুমি বাড়িতেও সবসময়ে যৌনতার হাট খুলে বসে আছ। আর এই সমস্যাটা এককভাবে মেয়েদের ক্ষেত্রেই হয়।''

কেমন বন্ধুদের থেকে দূরে থাকবেন

কেমন বন্ধুদের থেকে দূরে থাকবেন


কেমন বন্ধুদের থেকে দূরে থাকবেন?
প্রতীকী ছবি

স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, নাচ-গান শেখার স্কুল, আড্ডা, খেলার সঙ্গী, অফিসে অনেকের সঙ্গেই আপনার বন্ধুত্ব নামক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু যাদের সঙ্গে আপনি জীবনের অনেকটা সময় কাটাচ্ছেন তারা কি সত্যিই আপনার বন্ধু? নাকি আপনার অজান্তে আপনার সে ক্ষতি করছে?
যারা আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলে, এমন ক্ষতিকর বন্ধুর কাছ থেকে দূরেই থাকতে হবে। জীবন ছোট, আর তাতে ভালো বন্ধু সত্যিই দুর্লভ। তাই ভালোভাবে থাকতে হলে ভালো বন্ধু খুঁজে বের করুন এবং বিষাক্ত বন্ধুত্ব ত্যাগ করুন। কেমন বন্ধুদের থেকে দূরে থাকবেন? রইল কয়েকটি পরামর্শ-
কথা না রাখা বন্ধু-
কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা, গেট টুগেদার বা পিকনিকে উপস্থিত থাকার আশ্বাস দিলেও শেষ মুহূর্তে কথা রাখতে পারে না কেউ কেউ। এরা আপনার সময়ের মূল্য দিতে পারে না বেশিরভাগ সময়।

সুবিধাবাদী বন্ধু-
আপনার বন্ধু তালিকায় এমন একাধিক বন্ধুকে হয়তো পেয়ে যাবেন, যারা মূলত স্বার্থের জন্যই আপনার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখছে। দেখা যায় এদের নিয়ে কোথাও খেতে বসলে সব সময় আপনাকেই খাবারের বিল দিতে হচ্ছে। তার ওয়ালেট সঙ্গে নেই বা বেশ সংকটে দিন কাটছে, এ ধরনের অজুহাত এ ধরনের বন্ধুরা দেয় বেশি। এমন বন্ধুর কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।
প্রতিযোগী বন্ধু-
কেরিয়ারের জন্য অনেকেই কঠোর পরিশ্রম করেন। তবে আপনার কাছেরই কিছু বন্ধু থাকতে পারে, যারা সবসময় প্রতিযোগিতা করে আপনার থেকে এগিয়ে থাকার জন্য। এরা নিজেদের কার্যসিদ্ধির জন্য বেশিরভাগ সময় প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদে যিনি রয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করে। এদেরকে বন্ধুতালিকা থেকে ছেঁটে ফেলুন।
নিয়ন্ত্রক বন্ধু-
কিছু বন্ধু আছে, যারা সবসময় আপনাকে বা অন্য বন্ধুদের চিন্তাধারা, সিদ্ধান্ত এমনকী কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। এরা সব সময় সুপিরিয়র বা ইন্টেলেকচুয়াল বন্ধুর মতো আচরণ করে। অন্যদের নিয়ন্ত্রণ করতে বা দিক নির্দেশনা দিতেই পছন্দ করে। একটা পর্যায়ে এমন বন্ধুরা আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও আপনাকে কোনও কাজ করতে বাধ্য করবে। তাই এসব বন্ধুর কাছ থেকে দূরে থাকুন।
পরচর্চাকারী বন্ধু-
কিছু বন্ধু থাকে, যারা সব সময় অন্যদের নিয়ে সমালোচনা বা পরচর্চা করতে পছন্দ করে। এমনকী অন্যদের নিয়ে গল্প সাজাতেও তাদের জুড়ি নেই। আপনার পিছনে ছুরি বসানোর কাজটিও তারা ভালোভাবে করে যায়। এদের কাছ থেকে দূরে থাকুন।