সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০২০

করোনা সতর্কতায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

করোনা সতর্কতায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা4


করোনা সতর্কতায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
ফাইল ছবি

আগামী বুধবার (১৮মার্চ) থেকে দেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। করোনাভাইরাসের সতর্কতায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
সোমবার বিকেলে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি হবে। গণমাধ্যমকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চীনের উহান থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। প্রতিদিনই বিশ্বব্যাপী করোনায় মানুষ আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছে।

সাফল্যের শীর্ষে নেদারল্যান্ডস, করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি আবিষ্কার

সাফল্যের শীর্ষে নেদারল্যান্ডস, করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি আবিষ্কার


সাফল্যের শীর্ষে নেদারল্যান্ডস, করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি আবিষ্কার

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে অ্যান্টিবডি আবিষ্কার হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের ইরাসমাস মেডিকেল সেন্টার ও আটরেচট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই অ্যান্টিবডি আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন।
শনিবার আবিষ্কার, নতুন উদ্যোগ এবং প্রযুক্তি বিষয়ক ইউরোপীয় প্ল্যাটফর্ম ‘ইননোভেশন অরিজিনস’-এর একটি প্রতিবেদনে এ খবর দেওয়া হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০জন বিজ্ঞানীর সমন্বয়ে গঠিত দল গবেষণাপত্রটি তৈরি করেছে। এটি বর্তমানে শীর্ষস্থানীয় জার্নাল ‘নেচার’-এর পিয়ার রিভিউর জন্য প্রস্তুত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোটারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল ‘ইরাসমাস ম্যাগাজিন’ প্রথম এ চাঞ্চল্যকর সংবাদটি দিয়েছে।

করোনা সতর্কতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

করোনা সতর্কতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা


করোনা সতর্কতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

চীনের উহান থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এই প্রাণঘাতী করোনার সতর্কতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে এ ঘোষণা দেন উপাচার্য। 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৮ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস-পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত থাকবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল চালু থাকবে।

করোনা আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে দুই শিশু, এক নারী


করোনা আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে দুই শিশু, এক নারী
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা

করোনা আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে দুই শিশু, এক নারী



দেশে নতুন করে আরও তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন শিশু ও একজন নারী। এই তিনজন একই পরিবারের সদস্য।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট  (আইইডিসিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার দুপুরে আইইডিসিআর’র পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
এ নিয়ে দেশে মোট ৮ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হল।
এর মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

রবিবার, ৮ মার্চ, ২০২০

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন শনাক্ত

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন শনাক্ত


বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন শনাক্ত

বাংলাদেশে প্রথম তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আরো তিনজনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। রবিবার দুপুরে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, গতকাল (শনিবার) তাদের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী এবং দু’জন পুরুষ রয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন ইতালি ফেরত বাংলাদেশি রয়েছেন। ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর জানিয়েছে, আক্রান্ত তিনজন রোগীর অবস্থায়ই স্থিতিশীল। তারা ভালো আছেন। তবে আইসোলেশনে থাকবেন।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এরই মধ্যে এক লাখ ছাড়িয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ।
১০২টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের উহানে প্রথম এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। আড়াই মাসের কম সময়ের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেক দেশে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। 

শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০২০

F S S T S T L: পেটের চর্বি কমায় যে ৫ খাবার

F S S T S T L: পেটের চর্বি কমায় যে ৫ খাবার: পেটের চর্বি কমায় যে ৫ খাবার প্রতীকী ছবি প্রতিনিয়ত ওজনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেটের চর্বি। পেটের এই অতিরিক্ত চর্বি কম... FSS TSTL

অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকেরা সবুজ বা নীল অ্যাপ্রন কেন পরেন জানেন

অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকেরা সবুজ বা নীল অ্যাপ্রন কেন পরেন জানেন


অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকেরা সবুজ বা নীল অ্যাপ্রন কেন পরেন জানেন?

সাধারণত সাদা রঙের অ্যাপ্রন পরেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু অস্ত্রোপচার করার সময় দেখা যায় উল্টো।
সাদার পরিবর্তে সবুজ বা নীল রঙের অ্যাপ্রন পরে থাকতে দেখা যায় চিকিৎসকদের।
টেলিভিশন বা ফিল্মে অনেক সময় সবুজ অ্যাপ্রনই পরে থাকতে দেখা যায় তাদের। কেন জানেন?
আসলে ভিন্ন রঙের অ্যাপ্রন পরার পিছনে রয়েছে মনস্তাত্ত্বিক বিষয়।
অস্ত্রোপচার মানেই রক্তাক্ত ব্যাপার। যত ছোটখাটো অস্ত্রোপচার হোক না কেন, রোগীর রক্তপাত হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।
সেই অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকদের অ্যাপ্রনে রক্তের দাগ লাগবেই। যদি চিকিৎসকেরা সাদা রঙের অ্যাপ্রন পরেন, তাহলে তাতে রক্তের দাগ দেখতে খুবই খারাপ লাগে।
এমনকি অপারেশন টেবিলে শুয়ে থাকা রোগীও সেটা দেখে আতঙ্কিত হয়ে উঠতে পারেন।
বিজ্ঞানসম্মতভাবে, সবুজ বা নীল আসলে লালের পরিপূরক রং। সবুজ বা নীল রঙের উপর লাল রং মিশিয়ে দিলে, তা কালো হয়ে যায়।
সবুজ বা নীল অ্যাপ্রনের উপর কালো রং খারাপ মানসিক প্রভাব ফেলে না। রক্ত বলে মনে না হওয়ায় রোগীও মানসিক ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন না।
সে কারণে শুধু অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকদের অ্যাপ্রনই নয়, হাসপাতালের পর্দা থেকে শুরু করে রোগীর বিছানার চাদরও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সবুজ বা নীল রঙের হয়ে থাকে।

পেটের চর্বি কমায় যে ৫ খাবার

পেটের চর্বি কমায় যে ৫ খাবার

পেটের চর্বি কমায় যে ৫ খাবার
প্রতীকী ছবি

প্রতিনিয়ত ওজনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেটের চর্বি। পেটের এই অতিরিক্ত চর্বি কমাতে অনেক কিছুই করে থাকেন আপনি।
পুষ্টিবিদদের মতে, পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে শুধু শরীরচর্চা করলেই হবে না, খাওয়ার প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
কিছু খাবার রয়েছে, যা আপনার পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমাবে। আসুন জেনে নিই এমন কিছু খাবার সম্পর্কে-
মাশরুম
পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে চাইলে খেতে পারেন প্রোটিনে ঠাসা মাশরুম। মাশরুম রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি কমায় মাশরুম।
সবুজ শাক
শাক ও সবুজ পাতা পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমায়। পুষ্টিবিদদের মতে, যেসব খাবারে পেটে ও শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে খেতে পারেন শাক। হজমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসক শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন।
গাজর
চর্বি কমাতে খাবারে গাজর খেতে পারেন। গাজরের রস নিয়ম মেনে খেতে পারলে কমবে ভুঁড়ি। ওজন ঝরিয়ে চেহারা উজ্জ্বল করবে।
ব্রকোলি
ব্রকোলিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ফাইবারের পরিমাণ প্রচুর। ফটোকেমিক্যালে ভর্তি এই সবজিতে বিভিন্ন খনিজ লবণ ও ভিটামিন থাকে। তাই অতিরিক্ত চর্বি কমাতে ব্রকোলি খেতে পারেন।
শসা
শসার বেশিরভাগই ফাইবার আর পানি। তাই ডিটক্সিফিকেশন তো হয়ই সঙ্গে ফাইবারের আধিক্যে খিদেও কমায়। শরীরের চর্বি কমাতে খেতে পারেন শসা।

সোমবার, ২ মার্চ, ২০২০

কিডনির পাথরসহ আরও যেসব রোগ সারায় লেবুর খোসা

কিডনির পাথরসহ আরও যেসব রোগ সারায় লেবুর খোসা

কিডনির পাথরসহ আরও যেসব রোগ সারায় লেবুর খোসা

লেবু একটি অতিপরিচিত জিনিস। প্রায় প্রতিটি মানুষই লেবু পছন্দ করেন। কিন্তু জানেন কি লেবুর রস খেলে যতটা শারীরিক উপকার পাওয়া যায়, তার থেকে অনেক বেশি পাওয়া যায় লেবুর খোসা খেলে। আসুন জেনে নিই লেবুর খোসার উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধের উন্নতি
লেবুর খোসায় উপস্থিত ডায়েটারি ফাইবার এবং ভিটামিন-সি শরীরে প্রবেশ করলে দেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে সংক্রমণের মতো রোগও দূরে থাকতে বাধ্য হয়।
দূরে থাকে কিডনি পাথরের মতো রোগ
নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে শরীরে সাইট্রিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যার প্রভাবে কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা একদম কমে যায়।
ক্যান্সারে উপকারী
লেবুর খোসায় উপস্থিত সয়ালভেসস্ট্রল কিউ ৪০ এবং লিমোনেন্স নামে দুটি উপাদান ক্যান্সার সেলের ধ্বংসে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ ছাড়া লেবুর খোসা খেলে ব্যাকটেরিয়াল এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।
ভালো থাকে মুখগহ্বর
লেবুর খোসায় উপস্থিত ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড মাড়ি থেকে রক্তপড়া, জিঞ্জিভাইটিসসহ একাধিক রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
দেহের ওজনের নিয়ন্ত্রণ
প্যাকটিন নামে একটি উপাদান প্রচুর মাত্রায় থাকায় লেবুর খোসা নিয়মিত খেলে ওজন কমে। কারণ এই উপাদানটি শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত চর্বিকে ঝরিয়ে ফেলতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি
লেবুর খোসায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের নিচে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
স্ট্র্রেসের মাত্রা কমে
লেবুর খোসায় উপস্থিত সাইট্রাস বায়ো-ফ্লেভোনয়েড স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

চুল পড়া রোধে করণীয়

চুল পড়া রোধে করণীয়

চুল পড়া রোধে করণীয়

চুল মানুষের সৌন্দর্যের অন্যতম আকর্ষণ। তবে বর্তমান সময়ে চুল পড়া সমস্যা বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যায় ভুগেছেন অনেকেই। যারা এই সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তাদের জন্য রয়েছে ঘরোয়া সমাধান। ঘরোয়া কিছু নিয়ম মানলেই আপনার চুল পড়া অনেক কমে যাবে।
চুলের গোড়ায় গরম তেল ম্যাসেজ :
গরম তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী। এ ক্ষেত্রে নারকেল ও বাদামের তেলের জুড়ি নেই। তেল গরম করার পরে ধীরে ধীরে আপনার আঙ্গুলের দ্বারা মাথার খুলিতে ম্যাসেজ করুন। এই ম্যাসেজ চুলের গোড়ায় রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে, শিকড়ে শক্তি বাড়ায় ও চুল পড়া রোধ করে।
পেঁয়াজ রস
পেঁয়াজে উচ্চ মাত্রায় সালফার থাকে। পেঁয়াজের রস মাথায় নতুন চুল গজাতেও চুল পড়া বন্ধে সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
সবুজ চা
সবুজ চায়ে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা চুল পড়া রোধ ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এক কাপ গরম পানিতে দুই ব্যাগ চা মিশিয়ে নিন। হালকা গরম থাকা অবস্থায় মাথায় লাগান। এক ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
আমলকি  
চুল পড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ভিটামিন সি’র অভাব। আমলকিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে। আমলকি চুলপড়া বন্ধ, চুলের খুশকি দূর করে। আমলকির রস নারকেলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ার লাগালে উপকার পাওয়া যায়।  
নিমপাতা
নিমপাতাকে বলা হয় সকল রোগের মহৌষধ। তেমনি এই চুলপড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজাতে নিমপাতার জুড়ি নেই। নিম পাতা গরম পানিতে দিয়ে পেস্ট করে চুলে লাগানোর ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। দুই সপ্তাহের মধ্যেই দেখবেন আপনার চুল পড়া অনেক অংশে কমে গেছে। 

ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে যেসব খাবার

ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে যেসব খাবার


ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে যেসব খাবার

দিন দিন ক্যান্সার যেমন বাড়ছে, পাশাপাশি বাড়ছে এই রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা। প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় না। সচেতন রোগীর প্রাথমিক অবস্থায় রোগ ধরা পড়লে যথাযথ চিকিৎসায় ক্যান্সার পুরোপুরি সেরে যেতে পারে অথবা নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক সহজ হয়। কাজেই ক্যান্সার মানেই মৃত্যু নয়।
ক্যান্সারের সাধারণ কিছু লক্ষণ : ১) অল্প অল্প বা বেশি জ্বর হওয়া, রাতে ঠান্ডা লাগা বা ঘেমে যাওয়া, ২) স্বাভাবিকের চাইতে বা অতীতের চাইতে ক্ষুধা কমে যাওয়া, ৩) শরীরের যে কোনও জায়গায় চাকা বা দলা দেখা দেয়া। কখনও এই চাকায় ব্যাথা হতে পারে, কখনও ব্যাথা নাও হতে পারে, ৪) দীর্ঘস্থায়ী কাশি থাকা, কোনও কিছুতেই না সারা। কিংবা অনেকদিন যাবত গলা ভাঙ্গা থাকা, ৫) মলত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন আসা। ঘন ঘন ডায়রিয়া,কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা মলের সাথে রক্ত যাওয়া, ৬) বিনা কারণেই খুব ক্লান্ত বোধ করা, ৭) অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে যাওয়া।
ক্যান্সার প্রতিরোধক খাদ্য সমূহ:
সবুজ শাক-সবজি : পালং শাক, কেইল, কলার্ড গ্রীন, রোমেইন ও আরুগুলা লেটুস, ওয়াটার ক্রেস (হেলেঞ্চা শাক) সহ দেশীয় সবুজ শাক-পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও মিনারেলগুলো, এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং এনজাইম। এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এছাড়াও আছে গ্লুকোসাইনোলেটস, এন্টিব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিভাইরাল উপাদান এবং নিষ্ক্রিয় কার্সিনোজেনস। যা টিউমার সৃষ্টি রোধ, ক্যান্সার কোষ ধ্বংস ও ক্যান্সার স্থানান্তরণে বাধা প্রদান করে। কাজেই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ শাক-পাতা থাকা আবশ্যকীয়।
হলুদ: হলুদে বিদ্যমান ‘কারকিউমিন’ প্রদাহজনিত সমস্যা বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানব দেহের টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দেহকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলে। শরীরকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করতে চাইলে কাঁচা হলুদ খেতে পারেন অথবা মাছ ও মাংসের তরকারিতে প্রয়োজন মতো ব্যাবহার করতে পারেন।
অর্গানিক মাংস : কোনো প্রকার স্টেরয়েড, হরমোন ও এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ ছাড়া পালিত মুরগির কলিজা এবং তৃণভোজী গরুর মাংস ক্যান্সার রোগীর খাদ্য তালিকায় থাকা বাঞ্চনীয়। কারণ এই পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারে ভিটামিন বি ১২ আছে উচ্চ মাত্রায়। সেলেনিয়াম, জিংক ও বি ভিটামিন রক্ত পরিশোধন, হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি ছাড়াও হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য : প্রক্রিয়াকরণ দুগ্ধজাত খাবার যেমন টক দই হলো প্রোবায়োটিক বা ভালো ব্যাক্টেরিয়ার উত্তম উৎস। প্রোবায়োটিক টিউমার বৃদ্ধি রোধ করে। গরু ও ছাগলের দুধ এবং পনিরে রয়েছে সালফার প্রোটিন ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা ক্যান্সার রোগীর খাদ্য তালিকায় রাখা জরুরি। দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি আছে। এই ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে ক্যালসিয়াম রেকটাল সহ নানা রকমের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এছাড়াও ব্রেস্ট এবং ওভারিয়ান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
মাছ : গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, মাছের ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড -এন্টিইনফ্ল্যামেটরি, এন্টিটিউমার ও এন্টিক্যান্সার বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও বিষাক্ততা কমাতে ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ফলদায়ক ভূমিকা রাখে। তৈলাক্ত মাছ খাদ্য তালিকায় রাখুন।
গ্রীন টি : ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর প্রধান কারণ মেটাস্ট্যাসিস বা ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়া। গ্রীন টিতে আছে পলিফেনোলিক কম্পাউন্ড, ক্যাটেচিন, গ্যালোক্যাটেচিন এবং ইজিসিজি (এন্টিঅক্সিডেন্ট)। যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, টিউমার বৃদ্ধি রোধ ও ক্যান্সার স্থানান্তরণ অর্থাৎ মেটাস্ট্যাসিস রুখে মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন গ্রীন টি পান করুন।
মাশরুম: উচ্চ পুষ্টিসম্পন্ন মাশরুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মাশরুম রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
স্বাস্থ্যকর অপরিশোধিত ভোজ্য তেল: নারকেল তেল, তিসির তেল এবং এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল অন্ত্রে পুষ্টি যোগায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। জলপাই তেলে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস যা প্রদাহ কমায়। এমনকি ব্রেস্ট ও কলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
বাদাম ও বীজসমূহ : চিনাবাদাম ভিটামিন-ই এর সব থেকে ভালো উৎস। ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ চিনাবাদাম কোলন, ফুসফুস, যকৃত এবং অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। সকালে কিংবা বিকালের নাস্তায় চিনাবাদাম রাখুন।

ভ্রমণ যাত্রায় যা খাবেন আর যা খাবেন না

ভ্রমণ যাত্রায় যা খাবেন আর যা খাবেন না

ভ্রমণ যাত্রায় যা খাবেন আর যা খাবেন না
► মডেল : আদর ও তমা ► ছবি : ম্যাক্স ব্যাগ
ভ্রমণে বের হওয়ার আগে প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে। ভ্রমণকে আরও আনন্দময় করতে ভ্রমণকালে স্বাস্থ্যকর খাবারের একটা ফর্দ তুলে ধরা যাক।

ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে। কেউ যাত্রা করেন বাসে, লঞ্চে, ট্রেনে, গাড়িতে বা ফ্লাইটে। বেশ কিছু মানুষের যাত্রার সময় বেশ কয়েক ধরনের সমস্যা দেখা যায় যেমন- মাথা ঘুরানো, বমি বমি ভাব, অনেকের পেটের সমস্যা হয় মাঝ রাস্তায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার খাওয়ার জন্য। তাই কোথাও যাওয়ার আগে বুঝে খাবার গ্রহণ করতে হয় এবং বেশ কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হয়।

যাত্রার সময় যেসব খাবার খাবেন সেগুলো দেওয়া হলো-
১. যাত্রাপথে যাওয়ার আগে অল্প পরিমাণে তেল ও মসলাযুক্ত খাবার খাবেন। এতে করে আপনার পেট ঠান্ডা থাকবে এবং খাবার সহজে হজম হবে।
২. যাত্রাপথে পানির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। অনেকেই ভ্রমণের সময় পানি পান করতে চায় না। এতে করে শরীর ডি-হাইড্রেটেড হয়ে যায়। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
৩. গুরুপাক ও অতিরিক্ত ভারী মসলা জাতীয় খাবার ও ভাজাপোড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ এসব খাবার যাত্রার সময় অথবা যাত্রা শুরু করার আগে গ্রহণ করলে বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং অ্যাসিডিটি বাড়ে।
৪. রাস্তার কাছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হাতে বানানো ঝাল-মুড়ি, আচার, কাসন্দি দিয়ে মাখানো ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে করে জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৫. যাত্রাপথে সঙ্গে সেদ্ধ ডিম, রুটি, শুকনো খাবার, কেক, বিস্কুট, বাদাম, খেজুর, শসা, ডার্ক চকলেট ইত্যাদি রাখবেন। এতে আপনার পেটও ভরে যাবে ক্লান্তিভাবও কাটবে।
৬. যাদের যাত্রাপথে বমি হয় তারা যাত্রার পূর্বে আদা চা পান করবেন এতে করে বমি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
৭. যে কোনো কার্বোনেটেড বেভারেজ, চিপস ও  কেমিক্যালযুক্ত প্রসেসড জ্যুস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ এতে করে অনেক সময় অতিরিক্ত ইউরিন হতে পারে।
৮. যাত্রাপথে সর্বদা স্যালাইন রাখবেন। এতে করে আপনার পেটের সমস্যা থাকলেও বা ক্লান্তিভাব হলেও স্যালাইন অনেক ভালো কাজ করবে শরীরের জন্য।

চুল পড়বে কম, পালাবে খুশকিও

চুল পড়বে কম, পালাবে খুশকিও

চুল পড়বে কম, পালাবে খুশকিও!
প্রতীকী ছবি

শ্যাম্পু করার সময় অথবা আঁচড়ানোর সময় হাতে উঠে আসছে এক মুঠো চুল। তারই সঙ্গে আছে খুশকির সমস্যাও। এই সমস্যা আপনার একার নয়। বরং ঘরে ঘরে অনেককেই এমন মুশকিলে পড়তে হয়। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই পেতে পারেন রেশমি ঘন চুল। আটকাতে পারেন চুল পড়াও।
শুষ্ক চুলে প্রাণ ফেরানোই হোক বা চুল পড়া রোধ, তেলের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। খুশকির সমস্যার সমাধানেও রয়েছে তেলের ভূমিকা। চুলের গোড়া মজবুত করতে হট অয়েল ট্রিটমেন্টে’র জুড়ি মেলা ভার। হট অয়েল ট্রিটমেন্ট চুলের যতেœর সবচেয়ে কার্যকর উপায়। কিন্তু কীভাবে করবেন?
এই যত্ন বাড়িতেই করতে পারবেন সহজে। সপ্তাহে তিন দিন নারকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে গরম করে দিন। মিশ্রণটি দিয়ে চুলে ও মাথার ত্বকে লাগিয়ে আঙুলের ডগা দিয়ে আলতো মাসাজ করুন। সারা রাত চুল বেঁধে রেখে সকালে শ্যাম্পু করে নিলেই মিলবে রেশমের মতো নরম চুল। কমবে চুল পড়ার সমস্যাও। তেলের পুষ্টি চুলের গোড়ায় পৌঁছে চুলের হারানো স্বাস্থ্যও ফিরিয়ে আনবে। 

শিশুদের মধ্যে স্থুলতার মূল কারণ ঘুমের সময়: গবেষণা

শিশুদের মধ্যে স্থুলতার মূল কারণ ঘুমের সময়: গবেষণা


শিশুদের মধ্যে স্থুলতার মূল কারণ ঘুমের সময়: গবেষণা
প্রতীকী ছবি

জীবনযাত্রার মান বদলে গেছে। অনেক ব্যস্ত হয়ে গেছে বর্তমান জনজীবন। তাই চিকিত্‍সকরা বলেন, প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমালে জীবনযাত্রার মান সুস্থ আর সুন্দর হয়। কিন্তু বর্তমান সমাজে একটি বড় সমস্যা হল, স্থুলতা বা মোটা হওয়া।
বর্তমানে বহু শিশুদের ক্ষেত্রেই ওবেসিটি বা স্থুলতা দেখা দিচ্ছে। স্কুলের গণ্ডিতেই তাদের শরীরে চর্বি জমে যাচ্ছে। কেন এটা হচ্ছে, এই নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা নানা গবেষণা চালিয়েছেন।
স্থুলতার জন্য বহু শিশুর নানা রোগও দেখা শরীরে বাসা বাঁধছে অল্প বয়সে। যার ফলে চিন্তায় পড়ছেন মা-বাবারা। এ ক্ষেত্রে শিশুদের ঘুমের সময়কেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন চিকিত্‍সা বিজ্ঞানীরা।
ব্রিটেনে সম্প্রতি শিশুদের ওবেসিটি নিয়ে একটি গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যাতে দেখা যাচ্ছে, শিশুদের মধ্যে স্থুলতার মূল কারণ ঘুমের সময়।
নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১ থেকে ৬ বছর বয়সি শিশুরা রাত ৯টার পরে ঘুমাতে যাচ্ছে, তাদের মধ্যে স্থুলতার হার বেশি।
সুইডেনের শিশু বিশেষজ্ঞ ক্লওদে মার্কাস জানাচ্ছেন, যে সব শিশুরা রাতে দেরিতে শুতে যাচ্ছে বা ঘুমাচ্ছে, তাদের মধ্যে অল্প বয়সেই মোটা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ এই শিশুদের মেটাবলিজম রেট কমে যায়। ফলে শরীরে মেদ জমতে থাকে।

ডিম আমিষ না নিরামিষ, জানালেন বিজ্ঞানীরা

ডিম আমিষ না নিরামিষ, জানালেন বিজ্ঞানীরা


ডিম আমিষ না নিরামিষ, জানালেন বিজ্ঞানীরা

ডিম স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারি তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু ডিম আমিষ না নিরামিষ-এই বিতর্কের কারণে আমিষ ভেবে অনেকে ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। কারণ, ডিম মুরগির শরীর থেকে তৈরি হয়। এই যুক্তিতেই একাংশের মত ডিম আমিষ। তবে পাল্টা যুক্তিও রয়েছে।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ডিমের ৩টি অংশ থাকে। ডিমের খোসা, কুসুম ও সাদা অংশ। ডিমের সাদা অংশ শুধু প্রোটিন দিয়ে তৈরি। আর কুসুমে রয়েছে প্রোটিন, কোলেস্টেরল ও ফ্যাট। বাজারে খাওয়ার জন্য যে ডিম বিক্রি হয় তা অনিষিক্ত। তার মধ্যে কোনও ভ্রুণ থাকে না। অর্থাৎ এই ডিম খেলে জীবহত্যার দায়ে দুষ্ট হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
এছাড়া পুষ্টিবিদদের মতে, আমিষ বা নিরামিষ না ভেবে নিয়মিত একটি করে ডিম খাওয়া জরুরি। কারণ এতে শরীর সুস্থ ও রোগমুক্ত থাকতে সহায়তা করে। 

যেভাবে সহজে দূর করবেন গলায় আটকা মাছের কাঁটা

যেভাবে সহজে দূর করবেন গলায় আটকা মাছের কাঁটা


যেভাবে সহজে দূর করবেন গলায় আটকা মাছের কাঁটা
প্রতীকী ছবি

মাছ একটি প্রিয় খাবার। সব বয়সের মানুষই কমবেশি মাছ পছন্দ করেন। তবে প্রিয় এই খাবারটি খেতে গেলে অনেক সময় বিপত্তিও ঘটে। তাছাড়া কাঁটার ভয়ে অনেকে সুস্বাদু এই খাবারকে এড়িয়েও চলেন।
ইলিশ সুস্বাদু মাছ হলেও অনেকে দূরে সরিয়ে রাখেন শুধুমাত্র অতিরিক্ত কাঁটার ভয়ে। খেতে খেতে হঠাৎ গলায় কাঁটা বিঁধে গেলেই সর্বনাশ! তবে এই সমস্যার সমাধানও রয়েছে।
গলায় বিঁধে যাওয়া মাছের কাঁটা দূর করার সহজ ৫ উপায় রয়েছে। আসুন জেনে নিই গলায় বিঁধে যাওয়া মাছের কাটা দূর করার ৫ উপায়-
১. এক দলা সাদা ভাত খেতে পারেন। নরম ছোট কাঁটা হলে এতে অনেক সময় নেমেও যায়।
২. গলায় কাঁটা বিঁধলে অল্প অলিভ অয়েল খেয়ে নিন। অলিভ অয়েল অন্য তেলের তুলনায় বেশি পিচ্ছিল। তাই গলা থেকে কাঁটা পিছলে নেমে যাবে সহজেই।
৩. হালকা গরম পানিতে একটু লেবু নিংড়ে সেই পানি খেতে পারেন। লেবুর অ্যাসিডিক ক্ষমতা কাঁটাকে নরম করে দিতে সক্ষম।
৪. পানির সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে নিন। ভিনেগার গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটাকে নরম করে। তাই পানির সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে খেলে কাঁটা সহজেই নেমে যায়।
৫. লবণও কাঁটা নরম করে। তবে শুধু লবণ না খেয়ে পানিতে লবণ মেশিয়ে নিন। প্রথমে একটু পানি সামান্য উষ্ণ গরম করে নিয়ে সেই পানিতে বেশ খানিকটা লবণ মিশিয়ে নিন। এই উষ্ণ লবণপানি খেলে গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটা সহজেই নেমে যাবে

প্রতিদিন ২০ মিনিট ব্যায়ামে ৭ উপকার

প্রতিদিন ২০ মিনিট ব্যায়ামে ৭ উপকার

প্রতিদিন ২০ মিনিট ব্যায়ামে ৭ উপকার

রাতে ঘুমের সমস্যা রয়েছে অনেকের। আবার রাতে ঘুম না হওয়ার কারণে ওষুধ খেয়ে থাকেন। আর ঘুমের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, যা মারাত্মক।
ঘুম নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। রাতে ভালো ঘুমাতে চাইলে প্রতিদিন ২০ মিনিট হাঁটুন। প্রতিদিন ২০ মিনিট হাঁটলে আপনাকে ঘুমকে খুঁজতে হবে না, ঘুমই খুঁজে নেবে আপনাকে!
আসুন জেনে নিই প্রতিদিন ২০ মিনিট ব্যায়াম করলে যেসব উপকার পাবেন-
১. এক গবেষণায় দেখা গেছে– যারা নিয়মিত ২০ মিনিট ব্যায়াম করেন, তারা অন্যদের চেয়ে ৫০ শতাংশ কম মানসিক চাপে ভোগেন।
২. গবেষণায় আরও বলা হয়, শরীরে স্ট্রেস হরমোন করটিসোলের পরিমাণ কমিয়ে দেয় ব্যায়াম। ব্যায়াম শরীরকে আরাম দেয়। তাই যোগাসন, ডিপ ব্রিদিং ও মেডিটেশন করলেও ভালো ফল পাবেন।
৩. শরীরচর্চা করলে ‘ন্যাচারাল ফিল গুড’ হরমোন নিঃসৃত হয়। এতে মন ফুরফুরে থাকে।
৪. শরীরচর্চার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। ফিট ও সুস্থ থাকতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
৫. ক্ষুধা বাড়ে শরীরচর্চা করলে। ফলে খাবারের অনিয়ম দূর হয়।
৬. ব্যায়াম সারাদিন কর্মক্ষম রাখবে ও এনার্জি দেবে। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়ে যায় ব্যায়াম করলে।
৭. সকালে ঘুম থেকে উঠেই ২০ মিনিট ব্যায়াম করুন। পুরো দিনের জন্য এনার্জি স্টোর হয়ে যাবে।

চুল পড়া প্রতিরোধে রসুন

চুল পড়া প্রতিরোধে রসুন

চুল পড়া প্রতিরোধে রসুন

আপনার কি চুল পড়ে যাচ্ছে?
চুল পড়া রোধে পেঁয়াজের রস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেই সঙ্গে রসুনও অনেকটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এটি শুধু চুল পড়া ঠেকায় না, মাথার ত্বকের ইনফেকশন ও খুশকি দূর করতে সহায়ক। শুধু তাই নয়, রসুন নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
বিশেষজ্ঞদের মত, তেলের মতো করে চুলে ও মাথার ত্বকে রসুনের রস লাগালে অনেক দ্রুত নতুন চুল গজায়। রসুনের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এলিসিন যা রক্তে হিমোগ্লোবিন সঞ্চালন বাড়িয়ে দিয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া রসুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কপার যা চুলকে ঘন ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে।
রসুনের রস ব্যবহার পদ্ধতি
প্রথম ধাপ: প্রথমে রসুন পেস্ট করে এর রস বের করে নিতে হবে। এরপর একটি এয়ার টাইট বোতলে তা সংরক্ষণ করতে হবে। যাতে যখন প্রয়োজন তখন তেলের মতো করে এই রস চুলে ব্যবহার করা যায়।
দ্বিতীয় ধাপ: চুল শুষ্ক হলে গোলাপজলের পানিতে তা আধাঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। গোলাপজল চুলের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে। এই আধাঘণ্টা পর ভালো করে চুলে ও মাথার তালুতে রসুনের রস লাগাতে হবে।
তৃতীয় ধাপ: চুলে রসুনের রস লাগিয়ে আধাঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। এরপর চিরুনি দিয়ে তা আঁচড়াতে হবে। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এবার চুলে ভালো করে মাইল্ড শ্যাম্পু লাগিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এর ১৫ মিনিট পর কন্ডিশনার লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
কতদিন বা কয় দিন পরপর ব্যবহার করবেন?
১.অতিরিক্ত হারে চুল পড়লে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন রসুনের রস ব্যবহার করতে পারেন। এতে এক মাসের মধ্যে মাথায় নতুন চুল গজাতে পারে।
২.মাথার তালুতে ক্ষত থাকলে রসুনের রস ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এটি ব্যবহারে ক্ষত আরও বেড়ে যেতে পারে।
৩. মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে চুলে তেল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে শুধু রসুনের রস লাগাতে হবে।

দুধের সঙ্গে কখনোই এই ৯ টি খাবার মেশাবেন না

দুধের সঙ্গে কখনোই এই ৯ টি খাবার মেশাবেন না


দুধের সঙ্গে কখনোই এই ৯ টি খাবার মেশাবেন না

শরীর সুস্থ রাখতে কী খাব এবং কখন খাব, এই বিষয়ে আমরা সবাই চিন্তা-ভাবনা করি। কিন্তু যখন একটি খাবারের সঙ্গে অন্য একটি খাবার মিশিয়ে খাওয়া হয়, তখন তা ঠিকমতো হল কিনা, সেটা নিয়ে আমরা বেশিরভাগই খুব একটা চিন্তা করে না। 
যেমন অনেক কিছুর সঙ্গে আমরা দুধ মিশিয়ে খাই। পছন্দের কুকিজ হোক বা কোনো ফলের সঙ্গে আমরা দুধ খেয়ে থাকি। কিন্তু এই অভ্যেস কি আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত। 
আয়ুর্বেদিক বলছে, দুধের সঙ্গে যে কোনো খাবার মোটেও মেশানো যায় না। যে কোনো খাবারের সঙ্গে দুধ খেলে তা স্বাস্থ্য বিপর্যয় ঘটাতে পারে। যেমন অনেকে দুধ আর কলা একসঙ্গে খান, আবার অনেকে দুধ আর ডিম একসঙ্গে খান। এর কোনোটিই ঠিক নয় বলে জানান ভারতের আয়ুর্বেদিক আচার্য ডা. প্রতাপ চৌহান। 
একসঙ্গে মেশানো যায় না, এমন দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে তা হজমের সমস্যা করতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। কোন কোন খাবারের সঙ্গে দুধ খাওয়া ঠিক নয়, তার তালিকা দেখে নিন।
কলা, চেরি, যে টকজাতীয় খাবার (কমলা, লেবু, বাতাপি লেবু, তেঁতুল, আমলা, গ্রিন আপেল, তাল, আনারস), ইয়েস্ট আছে এমন যে কোনো খাবার, ডিম, মাংস, মাছ, খিচুড়ি, ইয়োগার্ট, বিনস, মুলা।
টাটকা গরুর দুধ খাওয়া শরীরের পক্ষে সবচেয়ে ভালো। এর মধ্যে মধু বা গুড় মিশিয়ে নিতে পারেন।