বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০২০

করোনাকে পরাজিত করেছেন ৮৫ হাজার মানুষ, সচেতনতা ও চিকিৎসায় মিলবে সাড়া

করোনাকে পরাজিত করেছেন ৮৫ হাজার মানুষ, সচেতনতা ও চিকিৎসায় মিলবে সাড়া

করোনাকে পরাজিত করেছেন ৮৫ হাজার মানুষ, সচেতনতা ও চিকিৎসায় মিলবে সাড়া

কভিড-১৯ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ফলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘মহামারির চেয়েও ভয়ঙ্কর’ বলে ব্যাখ্যা করেছে। এ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখের বেশি মানুষ। এ পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস। তবে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৮৫ হাজার ৭৪৫ ব্যক্তি। 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন বয়সের মোট ৪৫ জনের উপর পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে এর টিকা। প্রায় ছ’সপ্তাহ ধরে চলবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ। মার্কিন প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘MRNA 1273’ নামের এই টিকার প্রয়োগ শুরু করেছেন আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ’ (NIH)-এর অধীন ‘দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস’ (NIAID)-র বিজ্ঞানীরা এবং তার সহযোগী বায়োটেকনোলজি সংস্থা মডার্না আইএনসি। 
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডঃ আসিফ ইকবাল (রেসপিরেটোরি ক্রিটিক্যাল কেয়ার) জানান, এই ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধার পরও প্রায় এক সপ্তাহ কোনও লক্ষণই প্রকাশ পায় না। ৪-১০ দিন কোনও রকম উপসর্গই লক্ষ্য করা যায় না। সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিন সাতেক পর থেকে হঠাৎ করেই জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথা ব্যথা শুরু হয়। তাই এ ক্ষেত্রে তার পরামর্শ, প্রত্যেকেরই ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণগুলির অপেক্ষা না করে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিৎ।
ডঃ ইকবাল জানান, করোনাভাইরাসের আকৃতি অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় বড়। বাতাসের মাধ্যমেও এই ভাইরাসের সংক্রমিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। আমাদের হাঁচি-কাশি থেকে নির্গত ড্রপলেটসে থাকা ভাইরাস-কণা বাতাসে ৩০ মিনিটের বেশি সক্রিয় থাকতে পারে না। আপাতত নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধপত্র, যে কোনও কারণে জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথা ব্যথায় ভুগছেন এমন রোগীকে ‘আইসোলেশন’-এ রেখে বিশেষ পর্বেক্ষণে রাখা হচ্ছে। 

করোনা প্রতিরোধে আলোচনায় 'সেফ হ্যান্ড চ্যালেঞ্জ

করোনা প্রতিরোধে আলোচনায় 'সেফ হ্যান্ড চ্যালেঞ্জ

করোনা প্রতিরোধে আলোচনায় 'সেফ হ্যান্ড চ্যালেঞ্জ'

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া জরুরি। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত নিয়মাবলিতে এই বিষয়টিগুলির উল্লেখ রয়েছে। ১৩ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই সেফ হ্যান্ড চ্যালেঞ্জই এখন সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চায়। নেটদুনিয়ায় এখন ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছে #SafeHands Challenge।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক নিজেও অংশ নিয়েছেন এ সেফ হ্যান্ড চ্যালেঞ্জে। সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেছেন তারকারাও। নেটদুনিয়ায় একে-অপরের দিকে সেফ হ্যান্ড চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে ১১ ধাপে সঠিক পদ্ধতিতে হাত ধুয়ে কিংবা অ্যালকোহল-যুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে সেই ভিডিও পোস্ট করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একজন চ্যালেঞ্জ শেষ করে অন্যকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। এরইমধ্যেই এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন ক্রিকেট কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকার, বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোনসহ আরও অনেকে। 

আজ ভালো কিছু খবর দিয়ে দিনটি শুরু করি

''আজ ভালো কিছু খবর দিয়ে দিনটি শুরু করি''

খুজিস্তা নূর-ই নাহরীন

''আজ ভালো কিছু খবর দিয়ে দিনটি শুরু করি''

১) চীনের উহানে আর নতুন কোন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী নেই। অর্থাৎ তাঁরা করোনাকে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
২) করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় জাপানে তৈরি একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ওষুধ পুরোপুরি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেছে চীন। জাপানের ফাভিপিরাভির (favipiravir) নামের ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সম্প্রতি ওষুধটি উহান ও শেনঝেন অঞ্চলের অন্তত ৩৪০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়।
৩) কিউবার আবিষ্কার 'ইন্টারফেরন আলফা টু-বি’ ওষুধটিও করোনার ক্ষেত্রে কার্যকর বলা হচ্ছে।
৪ ) অ্যামেরিকান ডাক্তার এবং ভারতের ডাক্তার দেবী শেঠির মতে যাদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বেশি অপেক্ষাকৃত তরুণ তাদের এমনিতেই সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৭ দিনের মধ্যে ।
৫) ভারতে দিল্লীর একজন ডাক্তার বলেছেন, দুটি ভিন্ন ধর্মী ওষুধের মাধ্যমে এই রোগকে প্রতিহিত করা সম্ভব।
৬ ) জার্মানি, কানাডা, অ্যামেরিকা হ উন্নত দেশগুলোতে রাত-দিন নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এই ওষুধ আবিষ্কারের। অনেকের ঘোষণাটুকু দেওয়ার অপেক্ষা।
৭) চীন থেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক দল বাংলাদেশে আসার প্রস্তুতি নিয়েছে।
৮) উন্নত দেশগুলো ইতিমধ্যেই যারা এই রোগ নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তাঁরাও যথেষ্ট সাহায্য সহযোগিতা করবেন আশা করা যায়।
৯) এই রোগ যেহেতু রেস্পিরেটরি ডিসট্রেস বা শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা ঘটায় এই জন্য আজমা, হৃদরোগ কিডনিসহ জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং বয়োবৃদ্ধদের জন্য মারাত্মক হুমকি।
১০) জ্বর, সর্দি, কাশি গলা ব্যথা মানেই কিন্তু করোনা নয়, এগুলো এমনিতেই আমাদের দেশে সিজনাল রোগ। কিন্তু সঙ্গে শ্বাস কষ্ট, ডায়রিয়া কিংবা বমি হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, করোনা টেস্ট করাতে হবে।
১১) সব দেশে সবাই বলছে যেহেতু রোগ প্রতিরোধক কোন ওষুধ বের হয়নি এই জন্য পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাসসহ শরীরচর্চার মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখুন। সিগারেট এবং মাদক যা ফুসফুস এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর তা থেকে এই ক্রান্তিকালে বিরত থাকুন।
বিদেশ ফেরত রোগীদের মাধ্যমে যারা ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন আমাদের দেশে তাঁদের এই রোগ ছড়াতে আরও এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। সেই পর্যন্ত সময় আছে পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নার্স, ডাক্তারদের পোশাকসহ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, ভেন্টিলেটর, নেবুলাইজার সমস্ত যন্ত্রপাতি আমদানি করা কিংবা সংগ্রহে রাখা।
ইকমো (ECMO)। পুরো কথায় -- "Extracorporeal Membrane Oxygenation" মানুষের শরীরে যখন হার্ট অথবা ফুসফুস কাজ করতে পারে না, তখন ইকমো অথবা ইসিএমও নামের এই মেশিনটির ব্যবহার অবশ্যম্ভাবী। করোনাভাইরাস আক্রান্ত বিশ্বের সবদেশেই এই মেশিন ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশে একমাত্র স্কয়ার হাসপাতালেই ECMO নামক মেশিনটা আছে। আর কোনো হাসপাতালে নেই। খুবই ব্যয়বহুল এই মেশিন অন্যান্য হাসপাতালগুলোর জন্য কেন কেনা হয়নি তা প্রশ্নের উদ্রেক করে।
অবশ্যই করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা হাসপাতালের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে অন্য রোগে ভর্তি হওয়া রোগীরা করোনায় আক্রান্ত না হতে পারে।
ইতালি, স্পেন, আমেরিকা, সৌদি আরব ফেরত রোগীরা মফঃস্বলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেয়ে আত্মীয়-স্বজনের সাথে আনন্দ ফুর্তিতে মেতে রোগ ছড়াচ্ছে তাদের আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি। কেবল ঢাকা শহর নয় অন্যান্য ছোট শহরগুলোতে করোনার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা রাখা জরুরি।
সর্ব ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা তিনি আমাদের দোয়া কবুল করুন, আমাদের দেশসহ পৃথিবীর সকল দেশের রোগাক্রান্ত মানুষের প্রতি দয়াশীল হন, আমাদের ক্ষমা করুন।

করোনাভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধছে যেভাবে

করোনাভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধছে যেভাবে

করোনাভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধছে যেভাবে

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট, জ্বর, মাথা ব্যথা, হাঁচি, কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়— এ কথা আমরা এখন মোটামুটি সকলেই জানি। কিন্তু কীভাবে শরীরে বাসা বাঁধছে এই ভাইরাস? কোন পথে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ? আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
কেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে শ্বাসকষ্ট হয়?
টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় একদল গবেষকের দাবি, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কোষগুলো ফুলে ওঠে। ভাইরাস অণুগুলো ফেটে চারপাশের অন্যান্য কোষগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। সংক্রমণ দ্রুত ব্রঙ্কিওল টিউবে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় শুরু হয় গলাব্যথা আর শুকনো কাশি। সংক্রমণ আরও বাড়লে ভাইরাসের অণুগুলো ক্রমশ ছড়িয়ে ফুসফুসের মিউকাস মেমব্রেনে। ফুসফুসের দুই পা‌শের পেরিফেরিয়াল অংশ থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে শ্বাসানালীর উপরে ট্রাকিয়ার দিকে। সংক্রমণ ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়লে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। শরীর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণের কাজটাও সঠিকভাবে হয় না। ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ক্রমশ দুর্বল ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
আক্রান্তদের পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এই ভাইরাসের সংক্রমণে ফুসফুসে দুই পা‌শের পেরিফেরিয়াল অংশে হালকা, পালতা আস্তরণ দেখা যায়। সংক্রমণ যত বাড়ে, ওই আস্তরণ ততই ঘন হয়। 
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, এই ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধার পরও প্রায় এক সপ্তাহ কোনো লক্ষণই প্রকাশ পায় না। সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিন সাতেক পর থেকে হঠাৎ করেই জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথা ব্যথা শুরু হয়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রত্যেকেরই ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণগুলোর অপেক্ষা না করে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিৎ। 

সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০২০

নির্ভয়ে ২৩০০ ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে বিস্মিত করল কাজুজা (ভিডিও)

নির্ভয়ে ২৩০০ ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে বিস্মিত করল কাজুজা (ভিডিও)


নির্ভয়ে ২৩০০ ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে বিস্মিত করল কাজুজা (ভিডিও)

সুইজারল্যান্ডে প্রায় ২৩০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের বেস থেকে জাম্প দিয়ে বিস্মিত করেছে কাজুজা নামের একটি কুকুর। এত উঁচু থেকে নিচের দিকে পড়ছে তাও কোনো ভয়-ডর নেই। মালিক ব্রুনো ভ্যালেন্টের সঙ্গে বর্ডারকুলি প্রজাতির কুকুর কাজুজার প্যারাগ্লাইডিং দেখে বিস্মিত নেট দুনিয়া। বেস জাম্পের আগে কাজুজার মালিক ব্রুনোকে বলতে শোনা গিয়েছে, দেখুন আমি একটু চিন্তায় আছি। কিন্তু কাজুজাকে দেখুন কেমন নিশ্চিন্ত।
প্রায় এমন অ্যাডভেঞ্চার করতে দেখা যায় কাজুজাকে। ব্রুনো জানা, ওকে আমি রাস্তা থেকে বাড়িতে তুলি। সেই সময় ওর বয়স কয়েক দিন। আমি যখন বেস জাম্পে আসা শুরু করি, ওকেও সঙ্গী বানাই। কারণ ওর দেখাশুনা করবে এমন লোক ছিল না। সেই থেকে এভাবে আমার সঙ্গেই বেস জাম্প দেয় কাজুজা। প্রায় ৪০টি জাম্পে আমায় সঙ্গ দিয়েছে কাজুজা।
মালিকের সঙ্গে কাজুজার অ্যাডভেঞ্চারের ভিডিও ধারণ করা জকি সমার বলেছেন, কাজুজা অত্যন্ত ভাগ্যবান। সে সুপ্রশিক্ষিত এবং নিজের মালিককে প্রচণ্ড বিশ্বাস করে। 

গর্ভবতী সেজে ‘নিষিদ্ধ’ দ্রব্য পাচারের চেষ্টা, অতঃপর... (ভিডিও)

গর্ভবতী সেজে ‘নিষিদ্ধ’ দ্রব্য পাচারের চেষ্টা, অতঃপর... (ভিডিও)


গর্ভবতী সেজে ‘নিষিদ্ধ’ দ্রব্য পাচারের চেষ্টা, অতঃপর... (ভিডিও)

গর্ভবতী সেজে ‘নিষিদ্ধ’ দ্রব্য নিয়ে জেলে দেখা করতে গিয়েছিলেন স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না, ওই মহিলাকে নিষিদ্ধ দ্রব্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্রাজিলে বেলো হরাইজন্তের কাছে এক জেলখানার ঘটনা এটি। এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। 
জানা গেছে, বেলো হরাইজন্ত সংলগ্ন নেলসন হাঙ্গেরিয়া জেলে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যান এক যুবতী। গেট দিয়ে ঢোকার সময় কারারক্ষীদের জানান, তিনি গর্ভবতী। নিয়ম অনুযায়ী গর্ভবতী মহিলাদের স্ক্যান করা হয় না। কারারক্ষীরাই তল্লাশি করে ভেতরে যেতে দেন। তাই ওই যুবতীকে স্ক্যান না করে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কারারক্ষীরা। মহিলার দেওয়া বিভিন্ন কাগজপত্র পরীক্ষা করে তাঁদের সন্দেহ হয়। মহিলার কথাতেও অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তারপর শুরু হয় দেহ তল্লাশি।
দেহ তল্লাশি শুরু হতেই একে একে বের হতে থাকে লুকানো ‘ধন সম্পদ’। মহিলার পোশাকে এমনকি, অন্তর্বাসের মধ্যে লুকিয়ে রাখা একের পর এক নিষিদ্ধ জিনিসপত্র বের হতে থাকে। কী ছিল না তার মধ্যে, ১২টি মোবাইল ফোন সঙ্গে চার্জার, সিম কার্ড, হেডফোন, চুইংগাম, একগুচ্ছ ওষুধ, টাকা এবং একটি হাতুড়ি। এই সব দ্রব্য ওই মহিলার জাম্পশুট ও অন্তর্বাসের মধ্যে লুকিয়ে এবং কোমরে টেপ দিয়ে আটকে রাখা ছিল।
এত পরিমাণ নিষিদ্ধ জিনিসপত্র বেরিয়ে পড়ার পর আর মহিলার পার পাওয়ার কোনও রাস্তা ছিল না। তিনি জেরায় জানিয়েছেন, স্বামী ও স্বামীর বন্ধুদের জন্য এই সব জিনিস জেলের ভিতরে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এমন ঘটনা প্রথম নয় এর আগেও অনেক মহিলা ‘গর্ভবতী’ সেজে এমন ভাবে জেলে পাচারের চেষ্টা করেছেন। ধরা পড়ার পর তাঁদের ভেসপাসিয়ানো জেলে রাখা হয়। এই যুবতীকেও সেই সব ‘গর্ভবতী’-দের সঙ্গে রাখা হয়েছে।


ষষ্ঠ শ্রেণিতে ফেল করা ছেলেটাই সামলাচ্ছে ৪০০ কোটি টাকার ব্যবসা

ষষ্ঠ শ্রেণিতে ফেল করা ছেলেটাই সামলাচ্ছে ৪০০ কোটি টাকার ব্যবসা


ষষ্ঠ শ্রেণিতে ফেল করা ছেলেটাই সামলাচ্ছে ৪০০ কোটি টাকার ব্যবসা!

বোর্ডের পরীক্ষা চলছে ভারতজুড়ে। কারও খুব ভাল পরীক্ষা হচ্ছে, তো কেউ আবার পরীক্ষা হল থেকে বেরিয়েই কাঁচুমাচু মুখ নিয়ে বাড়ি ফিরছে। আর সবচেয়ে ভয়ানক অবস্থা হবে ফলাফল প্রকাশের দিন। কারও বাড়ি মিষ্টির প্যাকেটে ভরে যাবে, আর কেউ খারাপ ফলাফলের জন্য হয়তো হতাশায় ডুবে যাবেন।
কিন্তু একটা পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়া মানেই জীবনে ব্যর্থ হওয়া নয়। আমাদের চারপাশেই এমন অনেকে রয়েছেন, যারা স্কুলের পরীক্ষায় একেবারেই ভাল ফল করে উঠতে পারেননি, কিন্তু আজ তারাই জীবনে প্রকৃত সাফল্য অর্জন করেছেন। ক্লাসে প্রথম হওয়া সেই সহপাঠীকেও অনেক পেছনে ফেলে এসেছেন।
এমন একজন হলেন ভারতীয় যুবক পিসি মোস্তফা। যিনি ভীষণ সাধারণ মানের পড়ুয়া ছিলেন স্কুলে। নিজের ইচ্ছাশক্তির জোরে এবং আত্মবিশ্বাসের উপর ভর করে আজ তাকে সারা দেশ চেনে।
কেরালার ওয়ানাডের এক প্রত্যন্ত এলাকায় তার জন্ম। পরিবারের কেউই পড়াশোনা করেননি। মোস্তাফাই পরিবারের প্রথম সন্তান যিনি স্কুলে ভর্তি হন। তবে দারিদ্র এবং সঠিক পরিবেশের অভাব তার পড়াশোনায় প্রথম থেকেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
ষষ্ঠ শ্রেণিতেই ফেল করে বসেন। তার পরিবারের যা অবস্থা ছিল, তাতে ফেল করা মানেই ভবিতব্য ছিল বাবা কোনো না কোনো কাজে তাকে লাগিয়ে দেবেন। তেমনটাই হয়েছিল। একটা ছোট কারখানায় দিনমজুরের কাজে লাগিয়ে দেন বাবা। সেই ছোট বয়সেই নিজের ভবিষ্যত্টা দেখে নিয়েছিলেন মোস্তাফা।
পড়াশোনা ছাড়া যে একটা ভাল জীবন পাওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব নয়, তা বেশ বুঝতে পেরেছিলেন। কিছু দিন কাজ করার পরই তিনি নিজেকে দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়ার মনোস্থির করেন। না, এবার আর থেমে থাকেননি। খুব মন দিয়ে পড়াশোনা করতে শুরু করেন।
স্কুল পাশ করে কালিকটের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে ফেলেন। প্রথমে বেঙ্গালুরুর মোটোরোলা কোম্পানিতে কাজ পান তিনি। তারপর সেখান থেকে প্রমোশন পেয়ে ব্রিটেনে চলে যান কয়েক বছরের জন্য।
জীবনটা গুছিয়ে ফেলেছিলেন মোস্তাফা। বর্তমানও ঝকঝকে করে ফেলেছিলেন কঠোর পরিশ্রমে। কিন্তু তাতেও মন মানছিল না তার। কোনো ভাবে এটাকেই জীবনের সাফল্য ভেবে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারছিলেন না। তার উপর দেশের প্রতি টানটাও ভুলতে পারছিলেন না। আর বিদেশি খাবারও মুখে সই ছিল না।
কয়েক বছর পর বিদেশের পাঠ চুকিয়ে দেশে ফিরে আসেন মোস্তাফা। বেঙ্গালুরু থেকে এমবিএ করেন। তখনই নিজের ব্যবসা শুরু করার কথা মাথায় আসে তার। বেঙ্গালুরুর থিপাসানদ্রাতে তার আত্মীয়দের একটি দোকান ছিল। মাঝে মধ্যেই সেখানে বসে গল্পগুজবে কাটিয়ে দিতেন।
খুব অবাক হয়ে দেখতেন, প্রতিদিনই ইডলি এবং দোসার ব্যাটার মহিলারা দোকান থেকে কিনে নিয়ে যান। ইডলি-দোসার এই ব্যাটারের চাহিদাও প্রচুর। সে যত খারাপ মানেরই হোক না কেন, দোকানে রোজ শেষ হয়ে যেত সেগুলো। তা থেকেই প্যাকেজড ফুড ব্যবসার কথা মাথায় আসে তার।
প্রথমে মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। খুড়তুতো ভাইদের সঙ্গে মিলে ইডলি-দোসা বানানোর ব্যাটার তৈরির ব্যবসা শুরু করে দেন। একটা ছোট দোকান নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন প্রথমে। কিছু ব্যাটার বানিয়ে আশেপাশের মহিলাদের মধ্যে প্যাকেট করে বিতরণ করেন।
প্রথমে চালের গুঁড়া কিনে ব্যাটার বানাতে শুরু করেন। রাতারাতি হিট হয়ে যায় পরিকল্পনা। প্রথমে ব্যাটার খুব একটা ভাল না বানাতে পারলেও, যত দিন যায় আদর্শ ব্যাটার বানাতে শুরু করেন তারা।
২০০৮ সালে তারা ৫০ বর্গ ফুটের একটা ছোট রান্নাঘর ভাড়া নেন তিনি। সঙ্গে কেনেন একটা গ্রাইন্ডার। স্কুটারে করে ব্যাটারগুলো বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে শুরু করেন তারা। একটু জনপ্রিয় হলে কোম্পানির নাম দেন বেস্ট ফুড প্রাইভেট লিমিটেড। পরে নাম বদলে রাখেন আইডি স্পেশাল ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড।
২০১০ সাল নাগাদ তাদের ব্যবসা ৪ কোটি ছুঁয়ে ফেলে। ততদিনে ৪০ জন কর্মচারীও নিয়োগ করে ফেলেছেন মোস্তাফা। যদিও তখনও শুধুমাত্র বেঙ্গালুরুতেই এই ব্যাটার সরবরাহ করতেন তিনি।
এখন ৫০ কেজি ব্যাটার সরবরাহ করে তার কোম্পানি। সঙ্গে যোগ হয়েছে ৪০ হাজার চাপাটি, দু’লাখ পরোটা, দু’হাজার টমেটো এবং ধনেপাতার চাটনির প্যাকেট।
এই মুহূর্তে আটটি শহরে পৌঁছে গিয়েছে তার কোম্পানি। দেশে বেঙ্গালুরু, মাইসুরু, ম্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বাই, হায়দরাবাদ, পুণে এবং বিদেশে শারজাতেও রয়েছে তার সংস্থা। ডেলিভারির জন্য কোম্পানির নিজস্ব ২০০টা গাড়ি রয়েছে। কর্মচারীর সংখ্যা ৬৫০।
আর এখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে ফেল করা সেই ছেলেটার ব্যবসা কোথায় পৌঁছে গিয়েছে? ২০১৯-২০ সালে কোম্পানি ৩৫০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা টার্নওভার আশা করছে।

নিউইয়র্কে ৭ বাংলাদেশিসহ আক্রান্ত ৭২৯

নিউইয়র্কে ৭ বাংলাদেশিসহ আক্রান্ত ৭২৯

নিউইয়র্কে ৭ বাংলাদেশিসহ আক্রান্ত ৭২৯



করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় নিউইয়র্ক, কানেকটিকাট এবং নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের সকল পাবলিক স্কুলে ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি ৫০ জনের অধিক লোকসমাগমের বিরুদ্ধে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। 
নিউইয়র্ক সিটির স্কুলগুলো ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলেও অপর রাজ্যদ্বয়ে দুই সপ্তাহের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। একইসাথে এই ৩ রাজ্যে বেশ কয়েকটি সিটিতে কার্ফু জারি করা হয়েছে এবং রেস্টুরেন্ট, বার ও ক্লাবের ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক ক্রেতার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। 
নিউইয়র্ক সিটির থিয়েটার পাড়ায় গত শুক্রবার থেকেই তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। এর ফলে টাইমস স্কোয়ারসহ চায়না টাউন ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে গত ৩ দিন থেকে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নিউইয়র্ক সিটিতে ৫ জনের মৃত্যু এবং ৩২৯ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন ৭ জন। এতে দুই নারীও রয়েছেন। এসব পরিবারের দেড় ডজন সদস্যকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। 
নিউইয়র্ক সিটি সংলগ্ন লং আইল্যান্ডের এক ব্যক্তি (৫২) কয়েকদিন আগে হাসপাতালে ভর্তির পর ১৪ মার্চ তার ছোটভাইয়ের স্ত্রীকেও হাসপাতালে নেয়া হয়েছে একই কারণে। উভয়েরই পজিটিভ রেজাল্ট পাওয়ায় এই দুই পরিবারের শিশু সন্তানসহ সকলকেই কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
এর আগে, লং আইল্যান্ডের এক ব্যবসায়ী, নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনের এক নারী, ওজনপার্কের মধ্য বয়েসী আরেক ব্যক্তি এবং কুইন্সের এক ট্যাক্সি ড্রাইভারকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল হলেও বয়স এবং ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত থাকায় চিকিৎসকরা শংকামুক্ত হতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। 
এদিকে, সর্বশেষ সংবাদ অনুযায়ী নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ৭২৯ জন আক্রান্ত হবার তথ্য জানিয়েছেন রাজ্য গভর্ণর। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় যে কোন সময় পুরো এলাকায় কার্ফু জারির শংকায় সকলেই খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রি মজুদ করছেন। মুদির দোকানসহ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলো চাল, আটা, ডাল, তেল, মরিচ, লবন, টিস্যু পেপারসহ সকল পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে সকলেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে উচ্চমূল্যেই সবকিছু ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন। 
এদিকে, করোনার পরিপ্রেক্ষিতে অধিকাংশ অফিস-আদালতের কর্মকর্তা/কর্মচারীদেরকে ঘরে বসে অনলাইনে কাজের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশেষ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যেতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। লোকজনকে বাস, রেলসহ ভীড় হয় এমন পরিবহন পরিহারের আহবান জানিয়েছেন রাজ্য কর্তৃপক্ষ। 
উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্ত লোকজনকে কমপক্ষে দুই সপ্তাহের সবেতন ছুটি মঞ্জুর এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণের একটি বিল কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে গত শনিবার ভোর রাতে পাশ হয়েছে। অনুরূপ একটি বিল শীঘ্রই সিনেটে পাশ হবে বলে সকলে আশা করছেন। এরফলে স্বল্প আয়ের লোকজন এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা স্বস্তিবোধ করলেও আক্রান্তদের বেঁচে না থাকার শংকা পুরো কমিউনিটিকে আচ্ছন্ন করেছে। 
এদিকে, কমিউনিটির সকল সংগঠনের কার্যক্রম স্থবিরতায় আক্রান্ত হয়েছে। সবকিছু বাতিল করা হয়েছে। মসজিদ, মন্দির এবং গীর্জার পরিবর্তে ঘরেই নামাজ/উপাসনা/প্রার্থনার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। উল্লেখ্য, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর শতততম জন্মবার্ষিকীর দিন এবং পরবর্তী পুরো বছরে নিউইয়র্কসহ সারা আমেরিকায় শতাধিক কর্মসূচির প্রস্তুতি ছিল। সবকিছু স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। 

কুয়েতে বদলে গেছে আজান, বাড়িতেই নামাজ পড়ার আহ্বান

কুয়েতে বদলে গেছে আজান, বাড়িতেই নামাজ পড়ার আহ্বান

কুয়েতে বদলে গেছে আজান, বাড়িতেই নামাজ পড়ার আহ্বান
সংগৃহীত ছবি

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কুয়েতে ২৯ মার্চ পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার থেকে এ ছুটি কার্যকর হয়েছে। দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, মসজিদে শুধু আজান হবে তবে মুসল্লিরা নামাজ পড়বেন যার যার বাসায়।
ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আজানের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে শোনা যায়, আজানে ‘হাইয়া আ'লাস সালাহ’ (নামাজে জন্য আসো) এর পরিবর্তে মুয়াজ্জিন বলছেন ‘আস্সালাতু ফি বুয়ুতিকুম’। অর্থাৎ ‘নামাজ বাড়িতে (পড়ুন)।’
মুয়াজ্জিন আজানে মধ্যে ‘আস্সলাতু ফি বুয়ুতিকুম’ বলার পর যথারীতি ‘আল্লাহ আকবর, আল্লাহ আকবর’ এবং ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলে আজান শেষ করেন।
তুরস্কের আনাদুলো এজেন্সির খবরে জানা যায়, নামাজ পড়তে মসজিদগুলোতে যাতে কেউ না যান সেজন্য আজানের মধ্যে অপরিচিত এ শব্দটি প্রচার করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো কোনো মসজিদে আজানের শুরু বা শেষে বিষয়টি বলে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেক মসজিদে ‘হাইয়া আলাস সালাহ’র পরিবর্তে ‘আস্সালাতু ফি বুয়ুতিকুম’ কথাটি বলা হচ্ছে।
কুয়েতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

করোনাভাইরাস: স্মার্টফোন দিনে কয়বার জীবাণুমুক্ত করা উচিত

করোনাভাইরাস: স্মার্টফোন দিনে কয়বার জীবাণুমুক্ত করা উচিত


করোনাভাইরাস: স্মার্টফোন দিনে কয়বার জীবাণুমুক্ত করা উচিত

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে স্মার্টফোন থেকেও। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তবে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে স্মার্টফোনকে জীবাণুমুক্ত করার একটি সময়সীমাও জানা গেছে।
ডাক্তাররা বলছেন, প্রতি ৯০ মিনিট অন্তর অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ফোন জীবাণুমুক্ত করা উচিত।
দিল্লির ফোর্টিস এসকর্টস হাসপাতালের প্রধান রবি শেখর ঝা আইএএনএসকে বলেন, প্রচলিত স্প্রিট দিয়ে ফোন জীবাণুমুক্ত করা সবচেয়ে ভালো উপায়। এটি ছাড়া অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ব্যবহার করা যেতে পারে।
যারা বেশি ব্যস্ত থাকেন, তারা ৯০ মিনিট পরপর ফোন জীবাণুমুক্ত করতে না পারলে দিনে কমপক্ষে দুইবার করতে পারেন।
ইনস্যুরেন্স টুগো নামের একটি সংস্থার জরিপে দেখা গেছে, প্রতি ২০ জন ব্যবহারকারীর মধ্যে মাত্র একজন ফোন পরিষ্কার করেন; তাও ছয় মাসে একবার! নভেল করোনাভাইরাসের দিনগুলোতে এই অভ্যাস খুব বিপজ্জনক হতে পারে।
জার্নাল অব হসপিটাল ইনফেকশনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় জার্মানির গবেষকেরা জানিয়েছেন, মোবাইলে করোনাভাইরাসের জীবাণু কয়েক দিন বেঁচে থাকে।
এ গবেষণাকে আমলে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ (এনআইএইচ) জানিয়েছে, কপার জাতীয় পদার্থের ওপর কভিড-১৯ ভাইরাসটি চার দিন বেঁচে থাকতে পারে! তিন দিন থাকে প্লাস্টিক এবং স্টেইনলেস স্টিলের ওপর।
এ দুটি গবেষণা থেকে বোঝা যায় মোবাইল নভেল করোনাভাইরাসের বেশ ‘প্রিয়’ জায়গা। কেননা শক্ত কাগজে এটি এক দিনের বেশি বাঁচতে পারে না। বাতাসেও তার সুবিধা হয় না, এখানে টিকতে পারে তিন থেকে চার ঘণ্টা। সেখানে প্লাস্টিক, স্টিল, কপারে কয়েক দিন!
মোবাইল থেকে করোনা যেন আক্রমণ করতে না পারে, সেজন্য সৌদি আরবের প্রাইম হাসপাতালের চিকিৎসক শ্যাম রাজমোহন গালফ নিউজের সঙ্গে আলাপকালে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন, ‘মোবাইল অন্যের কাছে দেওয়া যাবে না। যখন একাধিক মানুষ ফোনটি ব্যবহার করবেন, তখন সতর্ক হতে হবে। কোনো কাপড়ে উদ্বায়ী পদার্থের পরিষ্কারক লাগিয়ে মালিশ করা যেতে পারে।’
অনেকেই দিনে গড়ে শতবারের বেশি মোবাইল স্পর্শ করেন। করোনাভাইরাস থেকে সতর্ক থাকতে সাধারণ স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মানতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে নিয়মিত ভালো করে হাত ধোয়া। পারলে হালকা গরম পানি ও সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়া। বারবার মুখে হাত দেওয়া যাবে না। যেসব জিনিস নিয়মিত স্পর্শ করা হয়, তা জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। টয়লেটে কোনওভাবেই ফোন নেওয়া যাবে না।
ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ও স্যামসাং কর্তৃপক্ষ ফোন পরিষ্কারের ক্ষেত্রে কোনও ডিটারজেন্ট, অ্যালকোহল বা অ্যামোনিয়াভিত্তিক পরিষ্কারকদ্রব্য ব্যবহার করতে নিষেধ করে। অ্যাপল জানায়, অ্যারোসল স্প্রে ও ব্লিচের ক্ষেত্রে এখনও এ সমস্যা হতে পারে। তবে অ্যাপলের সাপোর্ট পেজ বেশকিছু পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। সেখানে নতুন একটি বিভাগ যুক্ত করে কীভাবে অ্যাপল পণ্য পরিষ্কার করতে হবে, এর দিকনির্দেশনা দিয়েছে। অ্যাপলের প্রকাশ করা ওই নোট অনুযায়ী, অ্যাপল পণ্য ব্যবহারকারীরা তাদের আইফোনে ‘ক্লোরক্স ডিসইনফেকটিং ওয়াইপস’ বা একই ধরনের পণ্য ব্যবহার করতে পারেন।
স্যামসাংয়ের ক্ষেত্রেও ভেজা কাপড় ও হালকা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ফোন পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে। তবে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। অনেক দোকানেই ফোন ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রবান্ধব স্যানিটাইজার বিক্রি করা হয়। ফোন জীবাণুমুক্ত রাখতে এসব পণ্যেও ভরসা রাখা যায়।

ইন্টারভিউ দিতে টিভির অনুষ্ঠানে হাজির করোনাভাইরাস

ইন্টারভিউ দিতে টিভির অনুষ্ঠানে হাজির করোনাভাইরাস


ইন্টারভিউ দিতে টিভির অনুষ্ঠানে হাজির করোনাভাইরাস!

করোনার ভয়ে গোটা বিশ্ব থরহরি কাঁপছে। সেই করোনাভাইরাসের সরাসরি সাক্ষাৎকার নিলেন এক সাংবাদিক! অবাক হচ্ছেন? মিশরের এক টিভি চ্যানেলে সেই সাক্ষাৎকার সরাসরি সম্প্রচারও হলো। ইউটিউবে সেই ভিডিও আপলোড হতেই ভাইরাল হয়ে যায়।
মিশরের আল হায়াহ্‌ চ্যানেলে সম্প্রতি একটি শো শুরু করেছেন সাংবাদিক জাবের আল কারমুতি। অনুষ্ঠানের নাম ‘হোয়াট ইজ দ্য টক অ্যাবাউট?’ প্রতি সোমবার সম্প্রচার হয় এই অনুষ্ঠান। এই সপ্তাহে, করোনাভাইরাসের মতো দেখতে একটি মুখোশ পরে এক ব্যক্তি জাবেরের সঙ্গে কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে ‘করোনাভাইরাস’ বলেন, তাকে নিয়ে অযথা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে তাঁর কারণে যা ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী’। সাংবাদিক জাবের ‘করোনা’-র কাছে জানতে চান, কীভাবে ভাইরাসের প্রকোপ আটকানো যাবে? 
উত্তরে করোনা বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ভালো করে বার বার হাত ধুতে হবে। সেই সঙ্গে সিঁড়ির রেলিং-এর মতো জায়গায় বেশি হাত না দিতেও পরামর্শ দিয়েছেন ‘করোনা’। তার পরামর্শ, 'হাঁচি, কাশির সময় মুখ ঠিক ভাবে ঢাকা দিতে হবে’।
মজার ছলে তৈরি করা এই সাক্ষাৎকারটি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ইউটিউবে ভিডিওটি এখনই প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার বার দেখা হয়েছে।

করোনা সতর্কতায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

করোনা সতর্কতায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা4


করোনা সতর্কতায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
ফাইল ছবি

আগামী বুধবার (১৮মার্চ) থেকে দেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। করোনাভাইরাসের সতর্কতায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
সোমবার বিকেলে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি হবে। গণমাধ্যমকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চীনের উহান থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। প্রতিদিনই বিশ্বব্যাপী করোনায় মানুষ আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছে।

সাফল্যের শীর্ষে নেদারল্যান্ডস, করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি আবিষ্কার

সাফল্যের শীর্ষে নেদারল্যান্ডস, করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি আবিষ্কার


সাফল্যের শীর্ষে নেদারল্যান্ডস, করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি আবিষ্কার

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে অ্যান্টিবডি আবিষ্কার হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের ইরাসমাস মেডিকেল সেন্টার ও আটরেচট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই অ্যান্টিবডি আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন।
শনিবার আবিষ্কার, নতুন উদ্যোগ এবং প্রযুক্তি বিষয়ক ইউরোপীয় প্ল্যাটফর্ম ‘ইননোভেশন অরিজিনস’-এর একটি প্রতিবেদনে এ খবর দেওয়া হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০জন বিজ্ঞানীর সমন্বয়ে গঠিত দল গবেষণাপত্রটি তৈরি করেছে। এটি বর্তমানে শীর্ষস্থানীয় জার্নাল ‘নেচার’-এর পিয়ার রিভিউর জন্য প্রস্তুত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোটারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল ‘ইরাসমাস ম্যাগাজিন’ প্রথম এ চাঞ্চল্যকর সংবাদটি দিয়েছে।

করোনা সতর্কতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

করোনা সতর্কতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা


করোনা সতর্কতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

চীনের উহান থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এই প্রাণঘাতী করোনার সতর্কতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে এ ঘোষণা দেন উপাচার্য। 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৮ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস-পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত থাকবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল চালু থাকবে।

করোনা আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে দুই শিশু, এক নারী


করোনা আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে দুই শিশু, এক নারী
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা

করোনা আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে দুই শিশু, এক নারী



দেশে নতুন করে আরও তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন শিশু ও একজন নারী। এই তিনজন একই পরিবারের সদস্য।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট  (আইইডিসিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার দুপুরে আইইডিসিআর’র পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
এ নিয়ে দেশে মোট ৮ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হল।
এর মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

রবিবার, ৮ মার্চ, ২০২০

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন শনাক্ত

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন শনাক্ত


বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন শনাক্ত

বাংলাদেশে প্রথম তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আরো তিনজনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। রবিবার দুপুরে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, গতকাল (শনিবার) তাদের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী এবং দু’জন পুরুষ রয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন ইতালি ফেরত বাংলাদেশি রয়েছেন। ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর জানিয়েছে, আক্রান্ত তিনজন রোগীর অবস্থায়ই স্থিতিশীল। তারা ভালো আছেন। তবে আইসোলেশনে থাকবেন।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এরই মধ্যে এক লাখ ছাড়িয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ।
১০২টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের উহানে প্রথম এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। আড়াই মাসের কম সময়ের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেক দেশে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। 

শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০২০

F S S T S T L: পেটের চর্বি কমায় যে ৫ খাবার

F S S T S T L: পেটের চর্বি কমায় যে ৫ খাবার: পেটের চর্বি কমায় যে ৫ খাবার প্রতীকী ছবি প্রতিনিয়ত ওজনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেটের চর্বি। পেটের এই অতিরিক্ত চর্বি কম... FSS TSTL

অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকেরা সবুজ বা নীল অ্যাপ্রন কেন পরেন জানেন

অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকেরা সবুজ বা নীল অ্যাপ্রন কেন পরেন জানেন


অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকেরা সবুজ বা নীল অ্যাপ্রন কেন পরেন জানেন?

সাধারণত সাদা রঙের অ্যাপ্রন পরেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু অস্ত্রোপচার করার সময় দেখা যায় উল্টো।
সাদার পরিবর্তে সবুজ বা নীল রঙের অ্যাপ্রন পরে থাকতে দেখা যায় চিকিৎসকদের।
টেলিভিশন বা ফিল্মে অনেক সময় সবুজ অ্যাপ্রনই পরে থাকতে দেখা যায় তাদের। কেন জানেন?
আসলে ভিন্ন রঙের অ্যাপ্রন পরার পিছনে রয়েছে মনস্তাত্ত্বিক বিষয়।
অস্ত্রোপচার মানেই রক্তাক্ত ব্যাপার। যত ছোটখাটো অস্ত্রোপচার হোক না কেন, রোগীর রক্তপাত হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।
সেই অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকদের অ্যাপ্রনে রক্তের দাগ লাগবেই। যদি চিকিৎসকেরা সাদা রঙের অ্যাপ্রন পরেন, তাহলে তাতে রক্তের দাগ দেখতে খুবই খারাপ লাগে।
এমনকি অপারেশন টেবিলে শুয়ে থাকা রোগীও সেটা দেখে আতঙ্কিত হয়ে উঠতে পারেন।
বিজ্ঞানসম্মতভাবে, সবুজ বা নীল আসলে লালের পরিপূরক রং। সবুজ বা নীল রঙের উপর লাল রং মিশিয়ে দিলে, তা কালো হয়ে যায়।
সবুজ বা নীল অ্যাপ্রনের উপর কালো রং খারাপ মানসিক প্রভাব ফেলে না। রক্ত বলে মনে না হওয়ায় রোগীও মানসিক ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন না।
সে কারণে শুধু অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকদের অ্যাপ্রনই নয়, হাসপাতালের পর্দা থেকে শুরু করে রোগীর বিছানার চাদরও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সবুজ বা নীল রঙের হয়ে থাকে।

পেটের চর্বি কমায় যে ৫ খাবার

পেটের চর্বি কমায় যে ৫ খাবার

পেটের চর্বি কমায় যে ৫ খাবার
প্রতীকী ছবি

প্রতিনিয়ত ওজনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেটের চর্বি। পেটের এই অতিরিক্ত চর্বি কমাতে অনেক কিছুই করে থাকেন আপনি।
পুষ্টিবিদদের মতে, পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে শুধু শরীরচর্চা করলেই হবে না, খাওয়ার প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
কিছু খাবার রয়েছে, যা আপনার পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমাবে। আসুন জেনে নিই এমন কিছু খাবার সম্পর্কে-
মাশরুম
পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে চাইলে খেতে পারেন প্রোটিনে ঠাসা মাশরুম। মাশরুম রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি কমায় মাশরুম।
সবুজ শাক
শাক ও সবুজ পাতা পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমায়। পুষ্টিবিদদের মতে, যেসব খাবারে পেটে ও শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে খেতে পারেন শাক। হজমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসক শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন।
গাজর
চর্বি কমাতে খাবারে গাজর খেতে পারেন। গাজরের রস নিয়ম মেনে খেতে পারলে কমবে ভুঁড়ি। ওজন ঝরিয়ে চেহারা উজ্জ্বল করবে।
ব্রকোলি
ব্রকোলিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ফাইবারের পরিমাণ প্রচুর। ফটোকেমিক্যালে ভর্তি এই সবজিতে বিভিন্ন খনিজ লবণ ও ভিটামিন থাকে। তাই অতিরিক্ত চর্বি কমাতে ব্রকোলি খেতে পারেন।
শসা
শসার বেশিরভাগই ফাইবার আর পানি। তাই ডিটক্সিফিকেশন তো হয়ই সঙ্গে ফাইবারের আধিক্যে খিদেও কমায়। শরীরের চর্বি কমাতে খেতে পারেন শসা।