সোমবার, ৪ মে, ২০২০

করোনার মধ্যেই জেনে নিন যে ৬ উপসর্গ হতে পারে ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ

করোনার মধ্যেই জেনে নিন যে ৬ উপসর্গ হতে পারে ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ

করোনার মধ্যেই জেনে নিন যে ৬ উপসর্গ হতে পারে ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ


বর্তমানে বিশ্বব্যাপী চলছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক।  এই ভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব।  তবে করোনার এই সংকটকালেও সতর্ক থাকা উচিত অন্যান্য রোগ নিয়ে।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই নিয়ে দুশ্চিন্তাও তাই কম নয়। অনেকেরই ধারণা ক্যান্সার হলে আর বাঁচা সম্ভব নয়। কিন্তু জানেন কি, যদি এই মারণব্যাধি ধরা পড়ে প্রাথমিক পর্যায়ে, তাহলে অনেকটাই সম্ভব এর থেকে রক্ষা পাওয়া। 
আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করতে চাইলে দেখে নিন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো-
১. দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি:
আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে ক্লান্তিবোধ করেন অথবা অবসাদে ভোগেন তবে সেটা অনেক রোগের কারণই হতে পারে, হতে পারে ক্যান্সারও। মলাশয়ের ক্যান্সার বা রক্তে ক্যান্সার হলে সাধারণত এমন উপসর্গ দেখা যায়। তাই এরকম হলে দ্রুত পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।
২. দ্রুত ওজন কমে যাওয়া:
কোনও কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে দ্রুতগতিতে যদি ওজন কমতে থাকে সেটা কিন্তু সত্যিই চিন্তার কারণ। এটা ক্যান্সারের অন্যতম উপসর্গ। তাই নজর দিন ওজনের দিকে।
৩. দীর্ঘদিনের ব্যথা:
কোনও কারণ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে শরীরের কোনও অংশে যদি ব্যথা হয় আর তাতে ওষুধও যদি কাজ না করে, তাহলে কিন্তু এই নিয়ে ভাবনার যথেষ্ট কারণ আছে। শরীরের কোন জায়গায় ব্যথা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করছে রোগীর ব্রেইন টিউমার বা মলাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে কি না।
৪. অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ড:
আপনি যদি শরীরের কোনও অংশে অস্বাভাবিক কোনও মাংসপিণ্ড দেখতে পান অথবা মাংস জমাট হতে দেখেন কিংবা এ ধরনের পরিবর্তন বুঝতে পারেন, তবে এটা কিন্তু ক্যান্সারের উপসর্গ হতে পারে। তাই দেরি না করে পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।
৫. ঘন ঘন জ্বর:
এটা যেকোনও রোগের উপসর্গ হতে পারে। ক্যান্সার শরীরে জেঁকে বসলে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এতে দেখা দেয় ঘন ঘন জ্বর।  ঘন ঘন জ্বর ব্লাড ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ।
৬. অকারণে রক্তক্ষরণ:
যদি কাশির সময় রক্তক্ষরণ হয়, তবে এটা ক্যান্সারের একটা বড় লক্ষণ। এছাড়া যোনিপথ বা মলদ্বার থেকে রক্তক্ষরণসহ এ ধরনের অন্যান্য অস্বাভাবিকতাও ক্যান্সারের উপসর্গ। 

ইফতারে যা খাবেন

ইফতারে যা খাবেন


ইফতারে যা খাবেন



পবিত্র মাহে রমজানে সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতারে বিশেষ আয়োজন করা হয়। এই তালিকায় থাকে বিভিন্ন ধরণের ফল থেকে ভাজা পোড়া খাবারও। সারাদিন উপোষ থাকার পর তাই ইফতার নিয়ে একটু চিন্তিত থাকেন অনেকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ইফতারে কি খাবেন।
১. ইফতারের শুরুতে চিনি ও লেবু সমৃদ্ধ শরবত খাওয়া ভালো। তবে লেবুর পরিমাণ কম রাখতে হবে। এরপর, পাকা বিভিন্ন ফল যেমন, পাকা আম, খেজুর, কলা খাওয়া যেতে পারে। পরবর্তীতে মুড়ি, ছোলা, চানাচুরসহ অন্যান্য স্ন্যাকস জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে।
২. অনেকেই ইফতারের খাবার একত্রিত করে মেখে খেতে পছন্দ করেন। তবে খেয়াল রাখবেন যাতে মরিচ ও পিয়াজের পরিমান বেশি না হয়। কারণ অধিক স্বাদের জন্য বেশি পরিমাণ মরিচ-পিয়াজ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
৩. ইফতারের শুরুতে অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফল বিশেষ করে, কাঁচা আম, আপেল, তেঁতুল, লেবু, বাতাবি লেবু, কামরাঙ্গা ইফতারের শুরুতে না খাওয়া ভালো। ইফতারের শেষ দিকে এসব ফল খেতে হবে। এতে করে শরীরে সৃষ্ট ফ্রি রেডিকেল (শরীরের কোষের বর্জ্য) কমে গিয়ে শরীর চাঙ্গা হবে।
৪. সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতারে অধিক ভাজা ও তেল সমৃদ্ধ খাবার পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি হতে পারে বদহজম ও পেট ব্যাথা। তাই ইফতারে যতদূর সম্ভব এসব খাবার বর্জন করতে হবে।
৫. কম মশলাযুক্ত খাবার খেতে হবে। অধিক মশলাযুক্ত খাবার পেটে গ্যাস্ট্রিকের কারণে সৃষ্ট ক্ষত বাড়িয়ে তোলে এবং যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেয়।
৬. ইফতারে খাওয়ার মাঝে পানি পান থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে হজমে সহায়ক উপাদান সঠিকভাবে নিঃসৃত হবে।
৭. ইফতারে খালি পেটে চা-কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। চা-কফি পেটে গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৮. ইফতারের দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর প্রতিদিনের অভ্যাস অনুযায়ী খাবার খাওয়া যাবে। এ সময় ভাত, ডাল, মাছ, মাংস, সবজিসহ অন্যান্য খাবার খাওয়া যাবে। তবে, পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, যেন স্বাভাবিকের থেকে বেশি না হয়।

করোনা চিকিৎসায় চিকিৎসকদের সাহায্য করবে রোবট

করোনা চিকিৎসায় চিকিৎসকদের সাহায্য করবে রোবট


করোনা চিকিৎসায় চিকিৎসকদের সাহায্য করবে রোবট
সংগৃহীত ছবি


করোনা রোগীদের চিকিৎসা করাতে যেয়ে সারা বিশ্বেই নার্স, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে। অনেকে ইতিমধ্যে মারাও গেছেন। করোনা যুদ্ধে সেই সামনের সারির যোদ্ধাদের সাহায্যার্থে এবার আসতে চলেছে যন্ত্রমানব বা রোবট। 
যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনের একটা রোবট প্রস্তুতকারী সংস্থা বস্টন ডায়ানামিক্স সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, তাদের তৈরি স্পট রোবট এবার করোনা চিকিৎসার সময় সাহায্য করতে পারবে চিকিৎসক এবং নার্সদের। এর ফলে কম চিকিৎসক এবং নার্স নিয়ে কাজ করা সম্ভব হবে হাসপাতালে এবং সংক্রমণের হারও কমবে। 
ইতোমধ্যেই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রিঘ্যাম অ্যান্ড উইমেন্স হাসপাতালে গত এক সপ্তাহ ধরে এই স্পট রোবট কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভালো ফলও পাওয়া যাচ্ছে বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে। 
আপাতত স্পট রোবট করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে রোগীদের প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। ঠিক মতো কাজ দিলে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজেও তাদের প্রস্তুত করা হবে। এবং বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য আরও বেশি সংখ্যায় বাজারে ছাড়া হবে।

মাত্র ৩৭ দিনে ভেন্টিলেটর নির্মাণ করল নাসা

মাত্র ৩৭ দিনে ভেন্টিলেটর নির্মাণ করল নাসা

মাত্র ৩৭ দিনে ভেন্টিলেটর নির্মাণ করল নাসা



কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাইপ্রেশার ভেন্টিলেটর তৈরি করল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। 
নাসার ‘জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি’র ডিরেক্টর মাইকেল ওয়াটকিন্স বলেন, ‘আমরা মহাকাশ যান নির্মাণে দক্ষ। আমরা চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি করি না। তবে উন্নত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আমাদের দখল ও লাগাতার পরীক্ষা-নিরীক্ষা-সহ যে কোনো যন্ত্রের প্রোটটাইপ নির্মাণে আমাদের দক্ষতা এই কাজে আমাদের মদদ করেছে। এহেন বিপর্যয়ে দেশের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা সামগ্রী নির্মাণের গুরুত্ব আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা বুঝতে পেরেছেন। এবং এটাকে নিজের কর্তব্য বলেই মনে করছেন তারা।’            
ইতিমধ্যেই নাসার তৈরি ভেন্টিলেটর কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহারও শুরু করে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। তাতে সাফল্যও মিলছে। 
নাসার প্রযুক্তিতে তৈরি ভেন্টিলেটর সমাদৃত হচ্ছে আমেরিকার চিকিৎসক মহলেও। নিউ ইউর্ক, নিউ জার্সি, ক্যালিফোর্নিয়া-সহ একাধিক শহরের হাসপাতালগুলিতে চাহিদা মতো ভেন্টিলেটর ছিল না বলে বিস্তর অভিযোগ উঠছিল। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর এমন নিদারুণ চেহারা প্রকাশ্যে আসতেই ভেন্টিলেটর তৈরির প্রকল্প হাতে নেয় নাসার গবেষকেরা। মাত্র ৩৭ দিনের মধ্যেই আধুনিক ভেন্টিলেটরে তৈরি করে ফেলে সংস্থাটি। 
চলতি সপ্তাহে নিউ ইয়র্কের স্কুল অব মেডিসিনে নাসার ভেন্টিলেটর পরীক্ষামূলক ব্যবহার করেন চিকিৎসকেরা। আক্রান্তদের প্রাণ সংশয় ঠেকাতে চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রথাগত ভেন্টিলেটরের সঙ্গে টেক্কা দিচ্ছে নাসার ভেন্টিলেটরগুলি।

সামরিক বাহিনীর জন্য ৬জি চালু করছে চীন

সামরিক বাহিনীর জন্য ৬জি চালু করছে চীন


সামরিক বাহিনীর জন্য ৬জি চালু করছে চীন


বিশ্বের বেশিরভাগ গ্রাহক এখনো ৫জি ওয়্যারলেস পরিসেবাই গ্রহণ করতে পারেনি। অথচ চীনের জন্য তা পুরোনো হয়ে গেছে। সেনাবাহিনীর ব্যবহারের জন্য ৬জি প্রযুক্তি চালু করতে যাচ্ছে চীন। ২৬ এপ্রিল ব্রিটিশ দৈনিক দ্য এক্সপ্রেস এ খবর প্রকাশ করেছে। 
চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৬জি প্রযুক্তি চালুর ব্যাপারে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে। চীনের সাধারণ গ্রাহকদের আগে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এটি আগে ব্যবহার শুরু করবেন।
চলতি মাসের শুরুর দিকে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) নিয়ন্ত্রিত ন্যাশনাল ডিফেন্স নিউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়, যদি যুদ্ধক্ষেত্রে ৬জি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তাহলে ৫জির তুলনায় অনেক বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে।

ফেসবুকে যেভাবে চালু করবেন ‘কেয়ার ইমোজি’

ফেসবুকে যেভাবে চালু করবেন ‘কেয়ার ইমোজি’

ফেসবুকে যেভাবে চালু করবেন ‘কেয়ার ইমোজি’


নতুন ইমোজি চালু করেছে ফেসবুক যার নাম ‘কেয়ার ইমোজি’। প্লে স্টোর থেকে ফেসবুক অ্যাপ আপডেট করে নিলেই যে কেউ উপভোগ করতে পারবেন এই ইমোজি।
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে মানুষজন আগের চেয়ে বেশি সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম নির্ভর হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন রিঅ্যাকশন ইমোজি নিয়ে হাজির হয়েছে ফেসবুক। ফেইসবুক অ্যাপ ও মেসেঞ্জার অ্যাপে নতুন এ ইমোজি ব্যবহার করা যাচ্ছে।
ফেসবুক, মেসেঞ্জারে যোগ করার জন্য এরই মধ্যে হার্টের আদলে একাধিক ‘কেয়ার’ ইমোজি প্রস্তুত করা হয়েছে। কঠিন করোনাকালে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার পরিজনের প্রতি আরও সহজে সহানুভূতি ও সমর্থন জানানোর লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে যেসব ইমোজি রয়েছে তাতে লাইক, লাভ, স্যাড, ওয়াও, হাহা ও অ্যাংরি অনুভূতি প্রকাশ করা যায়। এসবের সঙ্গে এবার যোগ হল ‘কেয়ার’ ইমোজি বাটন।
নতুন ইমোজি ব্যবহার করতে চাইলে প্লে স্টোরে গিয়ে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার অ্যাপ অ্যাপডেট করে নিন।

‘কোয়াড ক্যামেরা ব্যাটারি কিং’ রিয়েলমি ৫আই এখন পিকাবুতে

‘কোয়াড ক্যামেরা ব্যাটারি কিং’ রিয়েলমি ৫আই এখন পিকাবুতে

‘কোয়াড ক্যামেরা ব্যাটারি কিং’ রিয়েলমি ৫আই এখন পিকাবুতে


বিশ্বের দ্রুতবর্ধমান স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি আনুষ্ঠানিকভাবে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের মোবাইল বাজারে প্রবেশ করে। প্রথমে টেক-ট্রেন্ডসেটার ব্র্যান্ডটি দুটি স্মার্টফোন-সি২ এবং ৫আই উন্মোচন করে। 
এদিকে, আগামী মে মাসের ৭ তারিখ থেকে রিয়েলমি দেশের জনপ্রিয় অনলাইন শপ পিকাবুতে মাত্র ১২,৯৯০ টাকায় পাওয়া যাবে রিয়েলমি ৫আই।
স্মার্টফোনের ক্রমবর্ধমান বাজারের সাথে পাল্লা দিয়ে রিয়েলমি ৫আই স্মার্টফোনটিতে প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণদের জন্য সকল রকমের সুবিধা আছে। দীর্ঘ সাধারণ ছুটির মধ্যে কাজ বা বিনোদনে স্মার্টফোনের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। রিয়েলমি ৫আই-এ থাকা ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি দীর্ঘ সময়ের জন্য কাজে সর্বোচ্চ পারফর্মেন্সের পাশাপাশি দীর্ঘ সময় বিনোদনে ভূমিকা রাখবে। যেকোনো কাজে সেরা পারফর্মেন্স নিশ্চিত করবে ফোনটিতে থাকা ১১ ন্যানোমিটারের শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন ৬৬৫ চিপসেট, যা দিবে ২.০ গিগাহার্টজ অপারেটিং গতি। চমৎকার স্মুথ গেমিং এর অন্য রয়েছে ৩য় জেনারেশনের কোয়ালকম এআই ইঞ্জিন। আর ফোনের পেছনে রয়েছে চমকপ্রদ কোয়াড-ক্যামেরা যা দিয়ে খুব সহজেই আলট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, পোর্ট্রেট, আলট্রা-ম্যাক্রো ফোটোগ্রাফি করা যাবে। নাইটস্কেপ ২.০ এর সাহায্যে রাতের আঁধারেও ওয়াইড ছবি তোলা যাবে। আর অত্যাধুনিক ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশনে আরো স্থিতিশীল ভিডিও করা যাবে।
এ ব্যাপারে রিয়েলমি বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং ডিরেক্টর নিয়ন শি বলেন, “আমরা সব সময় প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণ প্রজন্মের সকল প্রযুক্তিগত চাহিদা পূরণের আধুনিক সব ফিচারের সমন্বয়ে ট্রেন্ডসেটিং সব স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসছি। এর ফলে তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীলতার আরো বিকাশ ঘটবে।
সানরাইজ ডিসাইনে অ্যাকুয়া ব্লু ও ফরেস্ট গ্রিন এ দুটি রঙ-এ মে ৭ তারিখ পিকাবুতে রিয়েলমি ৫আই স্মার্টফোনটি মাত্র ১২,৯৯০ টাকায় পাওয়া যাবে। গ্রাহকরা ৫০০ টাকা ছাড় অথবা ৬ মাসের ০% ইন্টারেস্টে ইএমআই সুবিধা পাবেন।

পোশাক নয়, শপিং ব্যাগ চ্যালেঞ্জে মেতেছে ইন্সটাগ্রাম

পোশাক নয়, শপিং ব্যাগ চ্যালেঞ্জে মেতেছে ইন্সটাগ্রাম!

পোশাক নয়, শপিং ব্যাগ চ্যালেঞ্জে মেতেছে ইন্সটাগ্রাম!

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কোয়ারেন্টাইন পিলো চ্যালেঞ্জের পর এবার ইন্সটাগ্রামের নতুন ক্রেজ ‘শপিং ব্যাগ চ্যালেঞ্জ’। ইন্সটাগ্রামের এই অদ্ভুত ট্রেন্ডকে অনেকে ‘পেপার ব্যাগ চ্যালেঞ্জ’ও বলছেন।
শপিংয়ের সময় পাওয়া বিভিন্ন রঙের পেপার ব্যাগকেই কেউ টপ তো কেউ স্কার্টের মতো করে পরে ছবি তুলছেন। ছবিতে #ShoppingBagChallenge হ্যাশট্যাগ জুড়ে পোস্ট করে দিচ্ছেন ইন্সটাগ্রামে।
  
ইন্সটাগ্রামের এই অদ্ভুত চ্যালেঞ্জে সামিল হয়েছেন সাবেক মিস ভিয়েতনাম কি ডুয়েন থেকে রুশ ইনস্টা মডেল লিলি এর্মাকের মতো অনেকেই।
 

ব্যবহারকারীর সুরক্ষা বৃদ্ধিতে ভাইবারের ‘ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজেস’ ফিচার

ব্যবহারকারীর সুরক্ষা বৃদ্ধিতে ভাইবারের ‘ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজেস’ ফিচার


ব্যবহারকারীর সুরক্ষা বৃদ্ধিতে ভাইবারের ‘ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজেস’ ফিচার

সহজে ও বিনামূল্যে যোগাযোগে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মেসেজিং অ্যাপ রাকুতেন ভাইবার তাদের সকল ধরনের চ্যাটে ‘ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজেস’ ফিচারটি যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। এ ফিচারের মাধ্যমে বার্তাগ্রহীতা প্রেরকের বার্তা দেখার পরপরই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্তাটি ডিলিট হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে স্বয়ংক্রিয় গণনা শুরু হবে।
এর আগে শুধুমাত্র সিক্রেট চ্যাটেই এ সুবিধা ছিল। কিন্তু শিগগিরই ব্যবহারকারীরা টেক্সট, ছবি, ভিডিও অথবা অন্যান্য ফাইল পাঠানোর ক্ষেত্রে সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টা, এমনকি দিনের সময়সীমাও নির্ধারণ করতে পারবেন। যেকোন ‘ওয়ান-অন-ওয়ান’ চ্যাট করার ক্ষেত্রে ‘ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজেস’ সুবিধা বিশ্বের সবচেয়ে সুরক্ষিত মেসেজিং অ্যাপ হওয়ার পথে ভাইবারকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।  
‘ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজেস’ ফিচারটি ব্যবহার করতে হলে একজন ব্যবহারকারীকে প্রথমে চ্যাটের নিচে থাকা ‘ক্লক’ আইকনে ট্যাপ করতে হবে এবং তারপর বার্তা মুছে ফেলার সময়সীমা নির্বাচিত করতে হবে। তারপর টেক্সট লিখে প্রাপকের কাছে বার্তা পাঠাতে হবে। 
বিগত কয়েক বছর ধরেই গ্রাহকদের ডাটা সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিজেদের অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছে ভাইবার। গ্রাহকদের নিরাপত্তার জন্য মেসেজিং অ্যাপগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম ২০১৫ সালে সকল চ্যাট অপশনে ‘ডিলিট মেসেজ’ ফিচারটি চালু করে প্রতিষ্ঠানটি, ভাইবার ২০১৬ সালে নিয়ে আসে ডিফল্ট এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন এবং ২০১৭ সালে চালু করে হিডেন এবং সিক্রেট চ্যাট ফিচার। ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা বিষয়ক চলমান প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে রেগুলার চ্যাটে ‘ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজেস’ ফিচারটি চালু করার ঘোষণা দিয়েছে ভাইবার।  
এ নিয়ে ভাইবারের চিফ অপারেটিং অফিসার অফির ইয়াল বলেন, 'ওয়ান-অন-ওয়ান চ্যাটের ক্ষেত্রে ‘ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজেস’ ফিচারটি চালু করার ঘোষণা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। ২০১৭ সালে ‘সিক্রেট’ চ্যাট নিয়ে আসার অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা গ্রাহকদের গোপনীয়তা রক্ষার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এ ফিচার নিয়ে চিন্তা করি। সে ভাবনা থেকেই আমাদের মনে হয়, প্রাপক ‘ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজেস’- এর স্ক্রিনশট নিলে নোটিফিকেশন পাঠানোর বিষয়টি রেগুলার চ্যাটেও যুক্ত করা দরকার। ভাইবারের নতুন এই সংযোজন বিশ্বব্যাপী আমাদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত মেসেজিং অ্যাপ হওয়ার পথে একধাপ এগিয়ে নিয়েছে।’ 
ভিডিও: https://clck.ru/N4iey।

মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০

করোনায় ক্যান্সার রোগীদের করণীয়

করোনায় ক্যান্সার রোগীদের করণীয়

ডা. আফরিন সুলতানা

করোনায় ক্যান্সার রোগীদের করণীয়


ক্যান্সার সবার কাছেই একটি আতঙ্কের নাম, সেই সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে নতুন আতঙ্ক ‘করোনাভাইরাস’। বিশ্বব্যাপী এ করোনা মহামারিতে ক্যান্সার রোগী ও তার স্বজনেরা পড়েছেন মহা বিপাকে, কী করবেন তারা। এ পরিস্থিতিতে ডাক্তারাও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন এ বিশেষ পরিস্থিতিতে ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে। আমরা ইতিমধ্যে সবাই জেনে গেছি, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি তাদেরই বেশি, যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যেমন- অ্যাজমা, COPD, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ হৃদযন্ত্রের রোগ এবং ক্যান্সার আক্রান্ত বা ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন রোগীরা। কারণ কিছু ক্যান্সার আছে যা সরাসরি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়, যেমন- লিউকেমিয়া, লিমফোমা ইত্যাদি। ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা যেমন- কেমোথেরাপি, বোন মেরো ট্রান্সপ্ল্যান্ট ইত্যাদি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই এ অবস্থায় গুরুত্ব দিতে হবে করোনা সংক্রমণ যাতে রোধ করা যায় সেই বিষয়ে।
কী করবেন : শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখবেন- অন্তত ৬ ফুট, কারও সঙ্গে করমর্দন বা কোলাকুলি করা যাবে না। নিয়মিত দুই হাত সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার রাখবেন। হাত দিয়ে নাক মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকবেন। ব্যবহার্য জিনিসপত্র এবং আসবাবপত্র জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। পরিবারের কোনো সদস্যের করোনা রোগের উপসর্গ দেখা দিলে তাদের থেকে দূরে থাকবেন ও মাস্ক ব্যবহার করবেন।
ঘরের বাইরে যাবেন না, পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজনে চেষ্টা করবেন আপনার ঘরে এসে স্যাম্পল নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে। সেটা সম্ভব না হলে, বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। এর মাঝে কারো করোনা রোগের উপসর্গ দেখা দিলে যেমন-জ্বর, শুকনা কাশি, সর্দি, মাথাব্যথা, গায়ে ব্যথা বা ডায়রিয়া, অনতিবিলম্বে হটলাইট নাম্বারে যোগাযোগ করবেন এবং RT-PCR Test এর মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে করোনা সংক্রমণ আছে কিনা।
মানসিক চাপমুক্ত থাকুন : সারাক্ষণ নিউজ দেখা থেকে বিরত থাকুন এবং ভালো লাগে এমন কাজে মনোনিবেশ করুন। মেডিটেশন একটা ভালো উপায় হতে পারে অথবা পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ভালো সময় কাটান। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা এমনিতে দুশ্চিন্তা ও হতাশায় ভোগেন, তার ওপর এ আতঙ্ক তাদের মনোবল নষ্ট করে দিতে পারে। তাই পরিবারের সবার সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা : এ বিশেষ পরিস্থিতিতে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রেও এসেছে পরিবর্তন। আমরা সবসময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু এ সময়ে আমাদের চেষ্টা থাকছে, তাদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো যেহেতু এ রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই কম। তাই আমরা জোর দিচ্ছি টেলিমেডিসিনের ওপর। আপনার সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন এখন আপনার করণীয় কি? অনেক ক্ষেত্রে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা ১-৩ মাস পর্যন্ত পেছানো সম্ভব। সেক্ষেত্রে ক্যান্সার এর ধরন ও কী পর্যায়ে রয়েছে সেটার ওপর নির্ভর করে শিরার মাধ্যমে দেওয়া কেমোথেরাপির পরিবর্তে মুখে খাওয়া যায় এমন কেমোথেরাপি ওষুধ দেওয়া সম্ভব হয়। তবে লিউকেমিয়া, লিমফোমা ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। রেডিওথেরাপি চিকিৎসা যাদের রোগমুক্তির জন্য অনতিবিলম্বে অত্যবশ্যকীয় যেমন- হেডনেক ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার ইত্যাদি ক্ষেত্রে ছাড়া অথবা যারা অলরেডি থেরাপি নিচ্ছেন তাদের ছাড়া, বাকিদের জন্য পুনঃনির্ধারণ করা হচ্ছে। সার্জারির ক্ষেত্রে আমাদের চেষ্টা থাকছে, অন্যান্য চিকিৎসার মাধ্যমে সময়টা পিছিয়ে নেওয়ার, তবে অনেক ক্ষেত্রে যেমন- ক্যান্সার দ্বারা অন্ত্র বাধাগ্রস্ত হলে, আমাদের ইমারজেন্সি অপারেশন করতে হয়। ক্যান্সার রোগীরা এ পরিস্থিতিতে ফোনে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
লেখক : সার্জারি বিশেষজ্ঞ, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।

রবিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২০

Coronavirus covid 19












Coronavirus Update (Live): 1,203,188 Cases and 64,747 Deaths from COVID-19 Virus Outbreak - Worldometer




























<!--[if lt IE 9]>


<![endif]















-->






















COVID-19 Coronavirus Pandemic
Last updated: April 05, 2020, 06:49 GMT

Coronavirus Cases:

1,203,188

Deaths:

64,747

Recovered:

246,760

Active Cases
891,681
Currently Infected Patients
847,585 (95%)
in Mild Condition
44,096 (5%)
Serious or Critical
Show Graph
Show Statistics
Closed Cases
311,507
Cases which had an outcome:
246,760 (79%)
Recovered / Discharged
64,747 (21%)
Deaths
Show Graph
Show Statistics


The charts above are updated after the close of the day in GMT+0. Latest data is provisional, pending delayed reporting and adjustments from China's NHC.

Confirmed Cases and Deaths by Country, Territory, or Conveyance

The coronavirus COVID-19 is affecting 206 countries and territories around the world and 2 international conveyances. The day is reset after midnight GMT+0.

Country,
Other
Total
Cases
New
Cases
Total
Deaths
New
Deaths
Total
Recovered
Active
Cases
Serious,
Critical
Tot Cases/
1M pop
Deaths/
1M pop
Total
Tests
Tests/

1M pop
World 1,203,188 +1,735 64,747 +59 246,760 891,681 44,096 154 8.3
-->

শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০২০

শিশুশিল্পী অপর্ণার কণ্ঠে জোয়ান বায়েজের ‘বাংলাদেশ’ গান

শিশুশিল্পী অপর্ণার কণ্ঠে জোয়ান বায়েজের ‘বাংলাদেশ’ গান


শিশুশিল্পী অপর্ণার কণ্ঠে জোয়ান বায়েজের ‘বাংলাদেশ’ গান
জোয়ান বায়েজ ও অপর্ণা

যুক্তরাষ্ট্রের মানবতাবাদী সংগীতশিল্পী জোয়ান বায়েজ। ১৯৪১ সালের ৯ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া এ শিল্পী বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে আছেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হায়েনারা যখন ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের ওপর, তখন বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার জন্যে যেসব বিদেশি বন্ধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাদের অন্যতম জোয়ান বায়েজ।
বাংলাদেশে চালানো গণহত্যার ওপর জোয়ান বায়েজ লিখেছিলেন একটি অনবদ্য গান। ‘দ্য স্টোরি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক গানটি তারই কণ্ঠে আলোড়ন তুলেছিল তখন। কালজয়ী গানটি পরে ১৯৭২ সালে চান্দস মিউজিক থেকে ‘সং অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। সেই অমর গানে মোট ২২ বার ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন জোয়ান বায়েজ।
কিংবদন্তি সেই শিল্পীর ‘বাংলাদেশ’ গানটিতে এবার কণ্ঠ দিয়েছে নিউইয়র্ক প্রবাসী ১১ বছরের শিশু অপর্ণা আমিন। লং আইল্যান্ডের গোথাম এভিনিউ স্কুলের সিক্সথ গ্রেডের এই শিক্ষার্থীর কণ্ঠে গানটি এরই মধ্যে বেশ প্রশংসা পেয়েছে। গানটি প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘ফ্রেন্ডস অব ফ্রিডম’। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস সামনে রেখে এ নিয়ে একটি মিউজিক ভিডিও তৈরি করা হয়েছে, যা পরিচালনা করেছেন অপর্ণার বাবা লেখক ও সাংবাদিক শামীম আল আমিন। ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ছিলেন অপর্ণার মা ইয়োগা আর্টিস্ট ও ফিটনেস এক্সপার্ট আশরাফুন নাহার লিউজা।
জোয়ান বায়েজের ‘বাংলাদেশ’ গানটি যন্ত্রসংগীতের মাধ্যমে কাভার করেছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী বাপ্পা মজুমদার। শিল্পীর সম্মতি নিয়ে সেই মিউজিকটি ব্যবহার করা হয়েছে অপর্ণার গানে। সব ধরনের সহায়তা দিয়েছেন কানাডাপ্রবাসী শিল্পী পাপ্পু আহমেদ, বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী বাবু সরকার ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার ডালিম। মিউজিক ভিডিওটি সম্পাদনা করেছেন তানজির ইসলাম রানা। গানটির মিউজিক ভিডিওটি চিত্রায়ণ করা হয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। সেইসঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের আর্কাইভ ফুটেজ।
এ প্রসঙ্গে পরিচালক শামীম আল আমিন বলেন, বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা, সূর্যসেন হল, জগন্নাথ হল এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গানটির জন্য কাজ করেছি। আর নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের টাইমস স্কয়ার, অ্যাস্টোরিয়া পার্কসহ কয়েকটি স্পটে দৃশ্যধারণ করা হয়েছে। আশা করছি কাজটি দর্শকদের মনে দাগ কাটবে।
ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর আশরাফুন নাহার লিউজা বলেন, এই গানটির মধ্য দিয়ে জোয়ান বায়েজের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চেয়েছি আমরা। সেই সাথে প্রবাসে বেড়ে ওঠা আগামী প্রজন্মের হৃদয় স্পর্শ করতে চেয়েছি। তাদের জানাতে চাই, বাংলাদেশের প্রতি তাদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। দেশকে জানতে হবে, ভালোবাসতে হবে।
অপর্ণা আমিন জানায়, বাবা মায়ের কাছ থেকে জোয়ান বায়েজের গানটির কথা আমি শুনি। এরপর আগ্রহ নিয়ে গানটা করার চেষ্টা করি। জোয়ান বায়েজ আমেরিকার গ্রেট সিঙ্গার। উনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে হেল্প করার জন্যে গান গেয়েছেন, এজন্যে আমি গর্বিত। আমেরিকায় থাকলেও, আমি বাংলাদেশকে সবসময় খুব মিস করি। 

করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুসের করুণ দশা, দেখুন থ্রিডি ভিডিওতে

করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুসের করুণ দশা, দেখুন থ্রিডি ভিডিওতে

করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুসের করুণ দশা, দেখুন থ্রিডি ভিডিওতে

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। বিশ্বব্যাপী ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে সোয়া ৫  লাখেরও বেশি মানুষকে আক্রান্ত করেছে এই ভাইরাস। এতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষের।
করোনাভাইরাসের সাধারণ উপসর্গ হল জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি বা গলাব্যথা। শেষ পর্যন্ত এই ভাইরাস ফুসফুসে আঘাত হানে। এতে রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এমনকি এতে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৮০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের হালকা লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। আবার অনেকের এসব উপসর্গ নাও দেখা যেতে পারে।
মাত্র ২০ শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হয়। এদের মধ্যে ১৪ শতাংশের অবস্থা হতে পারে গুরুতর। ছয় শতাংশ রোগীর অবস্থা হয় সংকটপূর্ণ এবং তারা হারিয়ে ফেলতে পারেন ফুসফুসের কার্যক্ষমতা।
কোনও ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার ফুসফুসের অবস্থা কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়, তার একটি থ্রিডি ভিডিও প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের বক্ষ সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. কেইথ মর্টম্যান। পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ছবিগুলো তোলা হয়। খবর সিএনএন’র।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ছবিগুলো তোলার কয়েকদিন আগেও আগে ওই ব্যক্তির ফুসফুস একদম ঠিক ছিল।
ডা. মর্টম্যান বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস তার ফুসফুসের বিরাট অংশজুড়ে বিস্তার করেছে। ছবিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, ঘাসের মেঘে (টিস্যুগুলো দেখতে ঘাসের মতো দেখাচ্ছে) ছেয়ে গেছে তার ফুসফুস। (হালকা হলদেটে) সবুজ ঘাসের মতো দেখতে এগুলো আসলে নষ্ট টিস্যু।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ওই ব্যক্তি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার পর অন্য একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়। সেখানে তার সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি ও একটু শ্বাসকষ্ট ছাড়া অন্য কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
তাকে ওই হাসপাতালে ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে কৃত্তিম শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এতেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভর্তি করা হয় জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি (জিডব্লিউইউ) হাসপাতালে।
পরে ডা. মর্টম্যান ও তার টিমের সদস্যরা ওই ব্যক্তির ফুসফুস স্ক্যান করে তা ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে থ্রিডি-তে রূপ দেন। এতেই ধরা পড়ে তার ফুসফুসের করুণ হাল।

বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০২০

ইরানের ১৯ প্রদেশে প্রবল বন্যা: চলছে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা

ইরানের ১৯ প্রদেশে প্রবল বন্যা: চলছে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা

ইরানের ১৯ প্রদেশে প্রবল বন্যা: চলছে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা

ইরানজুড়ে প্রবল বর্ষণের কারণে বিভিন্ন এলাকায় আকষ্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। দেশের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসহাক জাহাঙ্গিরি বন্যা দুর্গত প্রদেশগুলোর উদ্ধার ও ত্রাণ সংস্থাগুলোকে পূর্ণ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইরানের যেসব প্রদেশে বন্যা দেখা দিয়েছে সেগুলো হচ্ছে পূর্ব আজারবাইজান, বুশেহর, চাহারমাহাল-বাখতিয়ারি, দক্ষিণ খোরাসান, খোরাসান রাজাভি, উত্তর খোরাসান, খুজিস্তান, সেমনান, সিস্তান-বালুচিস্তান, ফার্স, কাজভিন, কোম, কেরমান, কুহকিলুয়েহ-বুয়েরআহমান, গুলিস্তান, গিলান, মাজান্দারান, মধ্যপ্রদেশ ও হরমুজগান।
ইসহাক জাহাঙ্গিরি দুর্গত কয়েকটি প্রদেশের গভর্নরকে ফোন করে প্রয়োজনীয় উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালানোর পাশাপাশি দুর্গতদের সেবায় সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া, পানিতে তলিয়ে যাওয়া এলাকাগুলোর ফসল ও অবকাঠামোর ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ারও নির্দেশ দেন ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, ইরানের রেডক্রিসেট সোসাইসির ত্রাণ ও উদ্ধার কমিটির প্রধান কর্মকর্তা মুর্তজা সালিমি জানিয়েছেন, তার কর্মীরা বন্যা দুর্গত ১৯টি প্রদেশে ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে। সারাদেশের ৬১টি শহর ও গ্রাম এবং ৯টি পাহাড়ি এলাকায় ১০০টি উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে জরুরি খাদ্য, ওষুধ ও ত্রাণ বিতরণ চলছে বলেও জানিয়েছেন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির এই কর্মকর্তা।
এদিকে, ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী মোহাম্মাদ ইসলামি বলেছেন, বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোর রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষদের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো মেরামতের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে  বলেও জানান তিনি।
ইরানে যখন ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও নতুন করে ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে তখন দেশটিতে বন্যা দেখা দিয়েছে।