শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০

উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে হতে পারে যেসব ভয়ানক ক্ষতি

উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে হতে পারে যেসব ভয়ানক ক্ষতি

উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে হতে পারে যেসব ভয়ানক ক্ষতি

পেটে ভর দিয়ে উপুড় হয়ে শোয়া বা আধশোয়া হয়ে বই পড়া, ল্যাপটপ-মোবাইল চালান অনেকে। সাময়িকভাবে আরাম মনে হলেও এ অভ্যাসের কারণে মেরুদণ্ড, শ্বাসপ্রশ্বাস, শরীরের বিশ্রাম ও ঘুমের ওপরও প্রভাব পড়তে পারে।
পেটে ভর দিয়ে শুয়ে বিভিন্ন কাজ করলে ক্ষতির শিকার হতে পারে মেরুদণ্ড এবং অন্ত্র। এ ছাড়াও মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বাঁক বদলে গিয়ে ঘাড়-পিঠে ব্যথা হতে পারে।
পেটের ভরে শোওয়ার সময় ঘাড় প্রসারিত হয়ে দুই কাঁধ কানের কাছাকাছি পৌঁছায়। শরীরের বেশির ভাগ ভর পড়ে দুই হাতের ওপর। এই অবস্থায় বিভিন্ন হাড়ের জোড়ায় অস্বাভাবিক চাপ পড়ে। এটি প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হলে দীর্ঘ মেয়াদে ভয়ানক ক্ষতি হতে পারে।
শরীরে সব অঙ্গের স্বাভাবিক কার্যাবলির নিয়ন্ত্রক স্নায়ুতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে মেরুদণ্ড। স্নায়ুতন্ত্রে কোনো সমস্যা দেখা দিলে পুরো শরীরই অচল হয়ে পড়তে পারে। আর পেটে ভর দিয়ে শুয়ে থাকায় এই ঝুঁকিটাই বাড়তে থাকে।
এভাবে শুয়ে থাকলে পিঠের নিচের অংশেও অস্বাভাবিক চাপ পড়ে। পিঠের নিম্নাংশে সমস্যা থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য ও মলত্যাগজনিত নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
এছাড়া পেটে ভর দিয়ে শুয়ে থাকার সময় শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পেশিগুলোর ওপর শরীরের ভার পড়ে। ফলে শ্বাসপ্রশ্বাস পরিপূর্ণ হতেও বাধার সৃষ্টি হয়।
করণীয়
চেয়ারে বা বিছানায় আরাম করে বসে মোবাইল-ল্যাপটপ ব্যবহারের অভ্যাস করুন।
বসার সময় যেন পিঠের ওপর টানা চাপ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
দেখার জন্য মাথা না ঝুঁকিয়ে বরং ডিভাইসটি চোখের সমান্তরালে নিয়ে আসুন।

কোনটা স্বাস্থ্যসম্মত, কম ঝাল নাকি বেশি ঝালের মরিচ

কোনটা স্বাস্থ্যসম্মত, কম ঝাল নাকি বেশি ঝালের মরিচ

কোনটা স্বাস্থ্যসম্মত, কম ঝাল নাকি বেশি ঝালের মরিচ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজির অধীনে পরিচালিত ‘ল্যাবরেটরি অব ইউকারেউটিক জিন এক্সপ্রেশন অ্যান্ড ফাংশন’ এবং চিটাগাং রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর চিলড্রেন সার্জারি (ক্রিকস) যৌথভাবে এক সমীক্ষা চালায়।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার প্রবণতা ও উপকূলীয় মানুষের শুটকি খাওয়ার কারণে ক্যান্সার বেশি হচ্ছে বলে সমীক্ষায় ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে বছরে অন্তত দুই লাখ মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হন। আর চট্টগ্রামে বছরে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হন। তার মধ্যে মহিলারা জরায়ু এবং ব্রেস্ট ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। অপরদিকে পুরুষরা ফুসফুস এবং মলদ্বারের ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
দক্ষিণ চট্টগ্রাম এবং বৃহত্তর কক্সবাজার এলাকায় ব্রেস্ট, জরায়ু এবং খাদ্যনালীর ক্যান্সারের রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
সমীক্ষায় প্রকাশ করা হয় ডিটিটিযুক্ত শুঁটকি ও অতিরিক্ত ঝাল মরিচ এর প্রধান কারণ।
কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার কারণে জিহ্বার স্বাদকোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়। অত্যন্ত ঝাল খাওয়ার অভ্যাস স্মৃতিলোপ ঘটাতে পারে এবং অ্যালঝেইমার্স রোগের সম্ভাবনাও দেখা দেয়।
এপেন্ডিসাইটিস হওয়ার মূল কারণ অতিরিক্ত ঝাল, এটি খাদ্যনালী সংকুচিত করে খাদ্যনালীর প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত করে যার ফলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত ঝাল খেলে একটা সময়ের পরে খাবার আর হজম হতে চায় না এবং পরবর্তীতে পাকস্থলীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই আসুন সুস্থ, সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য আমরা খাদ্যাভাস পরিবর্তন করি এবং অতিরিক্ত ঝাল মরিচ গুঁড়া পরিহার করে কম ঝালের মরিচ গুঁড়া খাওয়ার অভ্যাস করি।
বি. দ্র. যাদের বেশি ঝাল খাওয়ার অভ্যাস তারা রান্নায় কাঁচা মরিচ ব্লেন্ড করে খেতে পারেন।

খুশকির সমস্যায় অব্যর্থ ৪ ভেষজ সমাধান

খুশকির সমস্যায় অব্যর্থ ৪ ভেষজ সমাধান


খুশকির সমস্যায় অব্যর্থ ৪ ভেষজ সমাধানচুলের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে খুশকি একটা বিরাট সমস্যা। আগে শুধুমাত্র শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়াতেই খুশকির সমস্যা দেখা দিত বা বৃদ্ধি পেত। কিন্তু বর্তমানে মাত্রাতিরিক্ত দুষণের ফলে মোটামুটি সারা বছর এই সমস্যা লেগেই থাকে। 
অত্যধিক চুল ঝরা, রুক্ষ চুল, বিভিন্ন ধরনের স্ক্যাল্প ইনফেকশন জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দায়ি এই খুশকি। তাই খুশকির সমস্যার সমাধানে সঠিক সময়ে তৎপর না হলে মাথা ভরা চুল ঝরে গেছে অল্পদিনের মধ্যেই।
খুশকি থেকে রেহাই পেতে বাজারে নানা ধরনের শ্যাম্পু ও লোশন পাওয়াই যায়। কিন্তু সেগুলিতে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের প্রভাবে কখনও কখনও উল্টে চুলেরই ক্ষতি হয়। তাহলে উপায়?
আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন বেশ কয়েকটি কার্যকরী ভেষজ উপাদান সম্পর্কে যেগুলি খুশকির সমস্যা দ্রুত সমাধানদূর করতে একেবারে অব্যর্থ। আর এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলির দামও সামান্য। তাই অল্প খরচে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই খুশকির সমস্যার সমাধান করুন।
১) পিয়াজের রস-
দু'টো পেঁয়াজ ভাল করে বেটে এক মগ পানিতে মিশিয়ে নিন। মাথায় এই পিয়াজের রস ভাল করে লাগিয়ে মালিশ করুন। কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দু’বার পিয়াজের রস মাথায় মাখলে খুশকির সমস্যায় দ্রুত উপকার পাবেন।
২) নারকেল তেল-
নারকেল তেল খুশকির প্রকোপ কমাতে খুবই কার্যকরী। এছাড়া চুলে গোড়া ময়েশ্চারাইজ করে খুশকি এবং স্ক্যাল্প ইনফেকশনের সম্ভাবনাও অনেক কমিয়ে দেয়। সপ্তাহে দু’বার চুলের গোড়ায় সামান্য উষ্ণ নারকেল তেলের মালিশ করলে দ্রুত উপকার পাবেন।
৩) টকদই-
খুশকির সমস্যা থেকে বাচঁতে টকদই খুব কার্যকরী। খুশকি দূর করতে টকদই মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ১০ মিনিট রেখে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। খুশকির সমস্যা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে দু’বার এই ভাবে চুলে টকদই ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪) লেবুর রস-
দুই টেবিল-চামচ লেবুর রস অল্প পানির সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ২-৫ মিনিট ম্যাসাজ করার পর চুল ধুয়ে নিন। খুশকির সমস্যা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে দু’বার এই ভাবে চুলে লেবু ব্যবহার করা যাবে।

লকডাউনে যেভাবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবেন

লকডাউনে যেভাবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবেন

করোনাভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রায় দু’মাস ধরে ঘরবন্দি সাধারণ মানুষ। বাড়িতে থেকেই কাটাতে হচ্ছে বেশির ভাগ সময়। বন্ধ হয়ে গেছে দৈনন্দিন শরীরচর্চা বা হাঁটাচলাও। বাড়িতে থেকেই স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা যতটা সম্ভব শরীরচর্চা করছেন।
লকডাউনে আমাদের দৈনন্দিন কার্যকলাপ যে ভাবে কমে গেছে, তাতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্যের উপর। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু ঘন ঘন হাত ধুলেই হবে না, শরীর সুস্থ রাখাও অত্যন্ত জরুরী। এই সময় বাড়িতে থেকেই বাড়িয়ে তুলতে হবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তবে ঘরবন্দি অবস্থায় কীভাবে ঘরে বসে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবেন, জেনে নেওয়া যাক-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমের প্রয়োজন। লকডাউনে বেশি রাত অবধি জেগে দেরী করে ঘুম থেকে উঠার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ। যা শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। শুধু লকডাউনেই নয় শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম এবং ভোর বেলা ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস করা উচিত। ঘুম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। ডায়াবেটিস, স্থূলত্ব, হৃদরোগ এবং রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও পর্যাপ্ত ঘুমের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
এমন পরিস্থিতিতে একটি নির্দিষ্ট রুটিন ঠিক করে নিন। ঘুম থেকে ওঠার দুই ঘন্টার মধ্যে পেট ভরে প্রাতঃরাশ করুন। এর সঙ্গে  প্রতি ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পরপর হালকা খাবার খান। দুপুরের খাবার বেলা ১২ টা থেকে ১ টার মধ্যে সেরে ফেলুন। সন্ধ্যা বেলা কম চিনিযুক্ত চা সঙ্গে চিড়া অথবা সুজির মতো হালকা খাবার খেয়ে নিন।
রাত ৯ টার মধ্যে রাতের খাবার সেরে ফেলুন। সেই সঙ্গে সারা দিনে নিয়ম করে প্রচুর জল পান করুন। এর ফলে শরীরের থেকে টক্সিন দূর হবে এবং শরীরে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে শরীর সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। এর সঙ্গে যারা প্রতিদিন যোগা বা অন্যান্য শারীরিক কসরত করে থাকেন তা নিয়মিত অভ্যাসে রাখুন। প্রতিদিন নিয়ম করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধ্যান বা মেডিটেশন করুন। এর ফলে আপনার মনও শান্ত থাকবে সেই সঙ্গে মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করবে।

করোনায় মাস্ক ব্যবহারে কমেছে লিপস্টিক বিক্রি!

করোনায় মাস্ক ব্যবহারে কমেছে লিপস্টিক বিক্রি!

করোনায় মাস্ক ব্যবহারে কমেছে লিপস্টিক বিক্রি!

নারীদের সবচেয়ে পছন্দের মেকআপ সঙ্গী হল লিপস্টিক। অন্য কোনও সাজগোজ না করলেও ঠোঁটজোড়া একটু রাঙিয়ে নিতে ভালোবাসেন তারা। কিন্তু সেই ঠোঁটের সাজে বাধ সেধেছে করোনাভাইরাস।
করোনার কারণে এখন বাইরে বের হলেই পরতে হবে মাস্ক। তাই অনেকটা বিপাকে পড়েছেন নারীরা। পছন্দের লিপস্টিকে ঠোঁট রাঙাতে পারছেন না তারা। এই অবস্থায় কমেছে লিপস্টিকের ব্যবহার। লিপস্টিক বিক্রিতেও তার উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মেকআপ কোম্পানিগুলোও সেই কারণে লিপস্টিকের বদলে আই মেকআপের দিকে নজর দিচ্ছে। মাস্কে মুখ ঢাকা থাকলেও খোলা থাকছে চোখদুটো। তাই বাইরে বেরনোর আগে সেটাকেই সুন্দর করে সাজাতে চাইছেন নারীরা। লিপস্টিক, লিপলাইনার, লিপজেলের পরিবর্তে এখন বাজারে বেশি করে আইলাইনার, মাসকারা, আইশ্যাডো নিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিভিন্ন কসমেটিকস কোম্পানি।
কসমেটিক্স কোম্পানিগুলোর হিসেবে প্রতিবেশি দেশ ভারতে এমনিতেই চোখের মেকআপ সামগ্রী বেশি বিক্রি হয়। দেশটিতে সারা বছর মেকআপ সামগ্রী যা বিক্রি হয়, তার ৩৬ শতাংশই আই মেকআপ। তবে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের নারীরাও। করোনার কারণে ঠোঁট ঢাকা পড়লেও মনে করা হচ্ছে এবার চোখকে সুন্দর করে সাজানোর প্রবণতা আরও বাড়বে নারীদের।

বাথরুমেই কেন স্ট্রোক বেশি হয়?

বাথরুমেই কেন স্ট্রোক বেশি হয়?


বাথরুমেই কেন স্ট্রোক বেশি হয়?
প্রতীকী ছবি
স্ট্রোক সাধারণত বাথরুমেই বেশি হয়ে  কে। কারণ, বাথরুমে ঢুকে গোসল করার সময় আমরা প্রথমেই মাথা এবং চুল ভেজাই, যা একমই উচিত নয়। এটি একটি ভুল পদ্ধতি।
এইভাবে প্রথমেই মাথায় পানি দিলে রক্ত দ্রুত মাথায় উঠে যায়।  এতে কৈশিক ও ধমনী একসঙ্গে ছিড়ে যেতে পারে। ফলস্বরূপ ঘটে স্ট্রোক, অতঃপর মাটিতে পড়ে যাওয়া।
কানাডার মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্ট্রোক বা মিনি স্ট্রোকের কারণে যে ধরনের ঝুঁকির কথা আগে ধারণা করা হতো, প্রকৃতপক্ষে এই ঝুঁকি দীর্ঘস্থায়ী এবং আরও ভয়াবহ।
বিশ্বের একাধিক গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী, গোসলের সময় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।
এজন্য কিছু নিয়ম মেনে গোসল করা উচিত। সঠিক নিয়ম মেনে গোসল না করলে হতে পারে মৃত্যুও। 
গোসল করার সময় প্রথম মাথা এবং চুল ভেজানো একদম উচিত নয়। কেননা, মানুষের শরীরে রক্ত সঞ্চালন একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় হয়ে থাকে।  শরীরের তাপমাত্রা বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছু সময় লাগে। 
চিকিৎসকদের মতে, মাথায় প্রথমেই পানি দিলে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত সঞ্চালনের গতি বহু গুণ বেড়ে যায়।  সে সময় বেড়ে যেতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকিও। তাছাড়া, মাত্রাতিরিক্ত রক্তচাপের কারণে ছিড়ে যেতে পারে মস্তিষ্কের ধমনী।
গোসলের সঠিক নিয়ম:
প্রথমে পায়ের পাতা ভেজাতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে উপরের দিকে কাধ পর্যন্ত ভেজাতে হবে।
তারপর মুখে পানি দিতে হবে।  সবার শেষে মাথায় পানি দেওয়া উচিত।
এই পদ্ধতি যাদের উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টরেল এবং মাইগ্রেনের সমস্যা আছে তাদের অবশ্যই পালন করা উচিত।

পোস্ট পর্যালোচনার জন্য বিচারক প্যানেল গঠন করল ফেসবুক

পোস্ট পর্যালোচনার জন্য বিচারক প্যানেল গঠন করল ফেসবুক

পোস্ট পর্যালোচনার জন্য বিচারক প্যানেল গঠন করল ফেসবুক
ব্যবহারকারীদের পোস্ট পর্যালোচনার জন্য একটি বিচারক প্যানেল গঠন করেছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সংস্থা ফেসবুক। 
প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ গত বুধবার এই প্যানেল গঠনের ঘোষণা দিয়ে বলেছে ,স্বাধীন এই প্যানেল ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে বিতর্কিত পোস্ট পর্যালোচনা করে তা মুছে ফেলা হবে নাকি থাকবে সে বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। 
অর্থাৎ ফেসবুকের প্লাটফর্মে স্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা পালন করবে প্যানেলটি।  এ কারণেই এই প্রশাসক প্যানেলকে ‘ফেসবুকের সুপ্রিম কোর্ট’ বা ফেসবুকে সর্বোচ্চ আদালত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
এ নিয়ে মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, “প্রতিদিন আমাদের নীতিমালা প্রয়োগ করার পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহে লাখ লাখ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। তবে আমি মনে করি না, আমাদের মতো প্রাইভেট কোম্পানিগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিজেরা নিতে পারি।”
এ দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন দেশের বিচারক, মানবাধিকারকর্মী, শান্তিতে নোবেলজয়ী একজন, সাংবাদিক ও ডেনমার্কের সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী। 
তবে করোনা সংক্রমণের ভয়ে দেশে দেশে গণজমায়েত আর ভ্রমণের উপর বিধিনিষেধ চলছে। তাই কবে নাগাদ এই প্যানেল বিচার কাজ শুরু করতে পারবে তা স্পষ্ট নয়।

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়া জরুরি

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়া জরুরি

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়া জরুরি
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকলে বিভিন্ন রোগ ও সংক্রমণ থেকে বাঁচা যায়। ভিটামিন সি শরীরের এই ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।


যেসব খাবারে পাওয়া যায়
বিভিন্ন ফল ও সবজিতে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যেমন ফলের মধ্য়ে আছে কিউই, লেবু, কমলা, পেঁপে, পেয়ারা, আঙুর, জাম্বুরা, আমলকী, আমড়া, স্ট্রবেরি। আর সবজির মধ্যে ব্রাসেলস স্প্রাউট, ব্রকোলি, মরিচ এসব। তবে মনে রাখতে হবে ভিটামিন সি তাপ-সংবেদনশীল। তাই রান্নার সময় একটু সতর্ক থাকতে হবে।
উপকারিতা
শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে ভিটামিন সি। সাধারণ সর্দি-কাশিতেও এটি অনেক উপকারী। এছাড়া ত্বক, দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সহায়তা করে ভিটামিন সি।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, টিউমার, ক্যানসারসহ নানান কঠিন অসুখের জন্য দায়ী ফ্রি-র‌্যাডিক্য়াল, যা ফরমালিন ও কীটনাশকযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে। এছাড়া দূষিত পরিবেশে বসবাস, অনেক বেশি ফাস্টফুড খাওয়া, মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণেও শরীরে ফ্রি-র‌্যাডিক্য়াল তৈরি হয়। ভিটামিন সি-র মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এসব ফ্রি-র‌্যাডিক্য়ালের ক্ষতিকর প্রভাব প্রশমিত করতে পারে।
কোলাজেন তৈরি
আমাদের শরীরের মাংসপেশী, হাড়, রক্তনালী, পরিপাকতন্ত্র ও ত্বকে কোলাজেন প্রোটিন রয়েছে। এটি কোষের স্বাস্থ্য ও স্থিতিস্থাপকতা ঠিক রাখে। বয়স হলে কোলাজেনের পরিমাণ কমতে থাকে। তাই তখন ত্বক ঝুলে যেতে শুরু করে। ভিটামিন সি এই কোলাজেন তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
লড়াই
সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে শরীরে ভিটামিন সি দরকার। কারণ শরীরের কোনও অংশে সংক্রমণ দেখা দিলে সেখানে রোগ-প্রতিরোধী কোষ পাঠাতে সহায়তা করে ভিটামিন সি।
স্কার্ভি থেকে মুক্তি
ভিটামিন সি-এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হতে পারে। সম্ভাব্য প্রাণঘাতী এই রোগের লক্ষণগুলো হচ্ছে ক্ষত তাড়াতাড়ি না শুকানো, চুল ও দাঁত পড়া, কালশিটে দাগ পড়া ও জয়েন্টে ব্যাথা। স্কার্ভি থেকে বাঁচতে প্রতিদিন ১০ মিলিগ্রাম সমপরিমাণ ভিটামিন সি খাওয়া যথেষ্ট।
প্রতিদিন কতটুকু খাওয়া উচিত?
জার্মানির পরামর্শক সংস্থার হিসেবে একজন পুরুষের দৈনিক ১১০ মিলিগ্রাম ও একজন নারীর ৯৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে প্রতিদিন ৪০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়ার পরামর্শ দেন।

সব সময় বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ পেলেন টুইটার কর্মীরা

সব সময় বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ পেলেন টুইটার কর্মীরা

সব সময় বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ পেলেন টুইটার কর্মীরা
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বিশ্বজুড়ে সব কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজ করার আদেশ দিয়েছিল মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার। তবে এবার সব সময় বাড়ি থেকে কর্মীদের কাজ করার সুযোগ দিল প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জ্যাক ডরসি। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান'র।
টুইটারের একজন মুখপাত্র জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর টুইটার প্রথম কোম্পানি যারা বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেয়। তবে টুইটার আর অফিসে কাজ করার সিদ্ধান্তে এখনই ফিরে যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে টুইটারের যাকে প্রয়োজন তাকে ডেকে নিয়ে কাজ পরিচালনা করবে। এছাড়া কর্মীরা যতদিন চাইবেন ততদিন বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন। এমন ঘোষণা তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিইও জ্যাক ডরসি বলেন, সেপ্টেম্বরের আগে টুইটার তার অফিস খুলবে না। এ বছর অফিস খুললেও মানুষ সম্পর্কিত কোন কাজ হবে না। ২০২১ সালে কি পরিকল্পনা হবে তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, টুইটার গত ২ মার্চ থেকে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার উৎসাহ দিচ্ছে। ১১ মার্চ থেকে বিশ্বজুড়ে এটি বাধ্যতামূলক করেছে টুইটার। এমনকি বাড়িতে অফিস বসানোর জন্য যে খরচ লাগবে সেগুলোও বহন করার ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০২০

করোনাভাইরাস এবং ক্যান্সার

করোনাভাইরাস এবং ক্যান্সার

অধ্যাপক পারভীন শাহিদা আখতার

  • Currently 0/5
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
করোনাভাইরাস এবং ক্যান্সার


বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস কোভিড-১৯। প্রধানত আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে এলেই, তার হাঁচি, কাশির মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। এটি অতি মাত্রায় ছোঁয়াছে রোগ। আক্রান্ত ব্যক্তির সংর্স্পশ আসা মাত্রই করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। এ ভাইরাস আক্রান্ত স্থানে হাত পড়লে তা সংক্রামিত হয়। পরবর্তীতে সংক্রামিত হাত চোখে মুখে নাকে লাগলে রোগ দেহে প্রবেশ করে এবং আক্রান্ত হয়। দেহের সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত স্থান হলো ফুসফুস। নিউমোনিয়া হয়। এ নিউমোনিয়াকে বলে নবেল করোনা আক্রান্ত নিউমোনিয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী, এ ধরনের নিউমোনিয়া হলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে ৪.৩%।
উপসর্গ
আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলেই বা আক্রান্ত স্থান স্পর্শ করলেই সাথে সাথেই উপসর্গ শুরু হয় না। দুই সপ্তাহ এ রোগ সুপ্ত অবস্থায় থাকে। সাধারণ উপসর্গগুলো হলো অন্যান্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মত। যেমন, জ্বর, সর্দি কাঁশি,  হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ, গলা ব্যথা, খাবারের স্বাদ কমে যাওয়া, পাতলা পায়খানা, গা, হাত, পা ব্যথা। ফুসফুস বেশী মাত্রায় আক্রান্ত হতে থাকলে বুকে চাপ, ব্যথা অনুভব, শ্বাসকষ্ট, ঠোঁট, মুখ নীল বর্ণ ও চৈতন্য হারানো। 
কভিড-১৯ এর জন্য অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি 
বয়স্ক ব্যক্তি (৬৫ বছর ঊর্ধ), ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী রোগ (হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, সিওপিডি) আছে,  হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনির জটিলতা, ক্যান্সার আছে এমন ব্যক্তি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে এ রোগ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ক্যান্সার এবং ক্যান্সার চিকিৎসা উভয়ই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তবে সকল ক্যান্সার রোগী সমান ঝুঁকিপূর্ণ নয়। ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে বেশী ঝুঁকিপূর্ণ হলো
রক্তরোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত (লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা, মাল্টিপল মায়লোমা)
কেমোথেরাপি চিকিৎসারত 
রক্তে শ্বেতকণিকার সংখ্যা স্বাভাবিক মাত্রার নিচে নেমে আসা
খাবারে পুষ্টির ঘাটতি থাকা
এ সময় ক্যান্সারের উপসর্গ থাকা অর্থাৎ ক্যান্সারের সম্ভাব্য রোগী, ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়া এবং ক্যান্সার চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। আতঙ্কের মাত্রা বেড়ে যায়। ক্যান্সার চিকিৎসার সার্থকতা বিপরীতে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি বিবেচনায় ক্যান্সার চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসার রুটিনের পরিবর্তন করা উচিত। 
তবে সকল ক্যান্সার রোগীকে করোনাভাইরাস ও প্রতিরোধ সম্পর্কে প্রাথমিক স্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষা থাকতে হবে যাতে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়া মাত্রই পরীক্ষা করা যায়, চিকিৎসা নেয়া ও পৃথক থাকা যায়। করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য করোনাভাইরাস প্রতিরোধের সাধারন বিষয়গুলো যেমন মুখে মাস্ক ব্যবহার করা, বাড়িতে থাকা, বারবার সাবান দিয়ে নিয়মমত হাত ধোয়া, চোখে মুখে হাত না লাগানো, ব্যক্তি সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা (হাত ধরা, কোলাকুলি), কমপক্ষে মিটার দূরত্ব বজায় রাখা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা আবিস্কৃত হয়নি। তাই এ মুহূর্তে রোগ মুক্তির একমাত্র উপায় শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে:
যথেষ্ট পরিমাণ বিশ্রাম নেয়া। কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো। 
ব্যয়াম করা 
মুক্ত বাতাসে হাঁটা
পুষ্টিকর এবং সুষম খাবার গ্রহণ (মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বাদাম, শস্যদানা,  শাকসবজি, ফলমূল, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া) 
পানি এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ পানীয় পান করা
ধূমপান ও পানের সাথে সাদাপাতা জর্দা কোনভাবে গ্রহণ না করা
দেহের রক্তচাপ, রক্তের সুগার, ফুসফুসের প্রদাহ জনিত রোগ এবং কিডনি কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখা
সর্বোপরি মানসিক চাপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে। তাই সব সময় যতটা সম্ভব নিরুদ্বেগ ও স্বচ্ছন্দ জীবন যাপন করা।
 
লেখক: মেডিকেল অনকোলজিস্ট,
শান্তি ক্যান্সার ফাউন্ডেশন
সাবেক বিভাগীয় প্রধান, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

সোমবার, ৪ মে, ২০২০

লকডাউনে সুস্থ ও সবল থাকতে যা করবেন

লকডাউনে সুস্থ ও সবল থাকতে যা করবেন

লকডাউনে সুস্থ ও সবল থাকতে যা করবেন



কভিড-১৯ করোনাভাইরাসের এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। তাই প্রতিরোধই একমাত্র উপায়। লকডাউনের এ সময়টাতে সবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখার ওপর মনোনিবেশ করা উচিত। এ জন্য যা করতে পারেন: 
১. সক্রিয় থাকুন
ঘরে আছেন, তাই বলে বসে থাকবেন না। ঘরের কাজকর্ম করতে করতে ৫ হাজার কদম হাঁটার টার্গেট করুন। ইয়োগা, প্ল্যাংক, স্কিপিং, স্পট জগিংসহ নানা ধরনের ঘরোয়া ব্যয়াম করতে পারেন। সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করুন। এতে আপনার অনেক ধরনের উপকার হবে। ঘুম ভালো হবে, ওজনও বাড়বে না। ঘরে বসে থাকতে থাকতে যে একঘেয়েমি তৈরি হয়েছে সেটাও দূর হবে। 
২. খেতে পারেন শুকনো ফল
এসময় যতটা সম্ভব বাইরে কম বের হওয়াই ভালো। এক্ষেত্রে তার পুষ্টি চাহিদা পূরণে ভালো উৎস হতে পারে শুকনো ফল। ডুমুর, খেঁজুর, অ্যাপ্রিকোটসহ নানা শুকনো ফল স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী।
৩.  ভালো চর্বি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ
বাতাম, বীজ, নারিকেল তেল, ঘি ভালো চর্বির উৎস। এ ধরনের খাবার আপনার মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি খসখসে ত্বককেও সুরক্ষা দেবে।
৪. সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন সি ও ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন। 
৫.  শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালীর করার উপায় আমাদের রান্নাঘরেই আছে। আদা, গোলমরিচ, হলুদ, দারুচিনি এগুলো খুবই উপকারী। ভালো ঘুমে সাহায্য করে হলুদ ও দুধের মিশ্রণ। এটি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া ওষধি হিসেবে তুলসির জুড়ি মেলা ভার। 
৬. গরম পানির ভাপ
করোনার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ শ্বাসকষ্ট। কিন্তু অন্য কারণেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। অনেকে আবার দীর্ঘদিন ধরেই এ ধরনের সমস্যায় ভোগেন। শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যা থাকলে সকালে উঠার পর প্রথম কাজই হতে পারে গরম পানির ভাপ নেওয়া। দিনে ১/২বার এটি করতে পারেন।

লকডাউনে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে এই সব বনৌষধি

লকডাউনে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে এই সব বনৌষধি


লকডাউনে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে এই সব বনৌষধি

লকডাউনে গৃহবন্দি থাকার সময়েও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানোর জন্য আমাদের নানা রকমের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলাটাই সবচেয়ে জরুরি। তাতে ওষুধ লাগবে না, যে কোনও ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ আমাদের শরীর আপনাআপনিই প্রতিরোধ করতে পারবে। আর সেই প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্য নিয়মিতভাবে কয়েকটি বনৌষধি আমাদের খাওয়া প্রয়োজন। 
রসুন
এক্ষেত্রে প্রথমেই বলতে হয় রসুনের কথা। রসুন আমাদের অনেক রকমের শারীরিক সমস্যা থেকে দূরে রাখে। গন্ধটা খুব কটূ হলেও এ উপকারিতা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের। সব বাড়িরই রান্নাঘরে রসুন থাকে। হয়তো তার উপকারিতার সব দিক জেনে বা না জেনেই। রসুনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যাকটেরিয়া বিনাশী এবং প্রদাহ প্রতিরোধী খুব কমই আছে।
আদা
এমন কিছু যৌগ থাকে আদায়, যা আমাদের রক্তের শ্বেত কণিকার সংখ্যা বাড়ায়। আর শ্বেত কণিকাই আমাদের শরীরে ঢুকে পড়া ভাইরাস আর ব্যাকটেরিয়াদের মারে। আদা মেশানো চা খুব উপকারী। নুন দিয়ে কাঁচা আদা খাওয়াও খুব ভাল।চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দেহের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে এই সময় নিয়মিত আদা, রসুন খাওয়া উচিত।
গুলঞ্চ
বহু দিন ধরেই আয়ুর্বেদের বিভিন্ন ওষুধে গুলঞ্চের ব্যবহার চালু আছে। এগুলি আমাদের শরীরের বিষকে বের করে দিতে সাহায্য করে। রক্ত শোধন করে। আর শত্রু ব্যাকটেরিয়াদের বিরুদ্ধে জোর লড়াই চালাতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, গুলঞ্চ খেলে আমাদের হজম ও প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে। স্বাস্থ্য ভাল থাকে। গ্লাসে ১৫ থেকে ৩০ মিলিমিটারের মতো গুলঞ্চের রস নিয়ে রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খাওয়া উচিত।
মেথি, কুমড়ার বীজ
মেথি, কুমড়া বীজ খাওয়াও খুব উপকারী। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে থাকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। দু’টিই আমাদের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। আমাদের প্রদাহ কমায়। প্রদাহ ঠেকানোর জন্য দেহে যে ব্যবস্থা রয়েছে, তাকে সক্রিয় করে তোলে।
মেথি
কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক (দস্তা), লৌহ এবং ভিটামিন-ই। কুমড়োর বীজ আমাদের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। কুমড়োর বীজ যেমন ভাইরাস বিনাশী, তেমনই তা ছত্রাকজনিত বিভিন্ন রোগও রুখতে পারে। তা কোষের বৃদ্ধিতেও সহায়ক। এমনকি, যারা অনিদ্রাজনিত অসুখে ভোগেন, তাদের পক্ষেও খুব উপকারী কুমড়ার বীজ। 
সূর্যমুখী বীজ
নানা ধরনের পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সূর্যমুখী বীজে প্রচুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন-ই, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও। এই বীজে থাকে সেলেনিয়াম, যা কয়েক ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক। বাড়ায় দেহের প্রতিরোধক্ষমতাও। ত্বক ভাল রাখতেও সাহায্য করে সূর্যমুখী বীজ।
হলুদ
হলুদ দেহের প্রতিরোধক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে। এটির উপাদান রক্তের শ্বেত কণিকার সংখ্যাও বাড়ায়। যা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস মারতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়।
দারুচিনি
বহু দিন ধরে খাবারদাবারে দারুচিনি ব্যবহারের চল রয়েছে, এর নানা ধরনের গুণের জন্য। প্রদাহ রুখতে এর বড় ভূমিকা রয়েছে। পারে নানা ধরনের সংক্রমণ রুখতে। নষ্ট কোষগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতেও এ ভূমিকা রয়েছে। 

করোনা প্রতিরোধে ফুসফুস সুস্থ রাখতে জোর দিবেন যেসব খাবারে

করোনা প্রতিরোধে ফুসফুস সুস্থ রাখতে জোর দিবেন যেসব খাবারে

করোনা প্রতিরোধে ফুসফুস সুস্থ রাখতে জোর দিবেন যেসব খাবারে
প্রতীকী ছবি

বিশ্বজুড়ে মহামারি রূপ নিয়েছে করোনাভাইরাস। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। করোনাভাইরাসের সাধারণ উপসর্গ হল জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি বা গলাব্যথা। শেষ পর্যন্ত এই ভাইরাস ফুসফুসে আঘাত হানে। এতে রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এমনকি এতে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। 
নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া করার পাশাপাশি কয়েকটি বিশেষ খাবার খেলে ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষ করে যাদের ফুসফুস একটু দুর্বল। 
পিয়াজ ও রসুন: প্রদাহের প্রবণতা কমায়। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগায়। ‘জার্নাল অব ক্যানসার এপিডেমিওলজি’ ও ‘বায়োমার্কারস অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এ প্রকাশিত প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যে সব ধূমপায়ী কাঁচা রসুন খান ফুসফুসের বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায় তাদের।
আদা: প্রদাহ কমায়। অল্প করে আদা কুচি নিয়মিত খেলে ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
হলুদ: হলুদের কারকিউমিন প্রদাহ কমায়। বেঙ্গালুরুতে ৭৭ জন হাঁপানি ও সিওপিডি রোগীকে ৩০ দিন ধরে কারকিউমিন ক্যাপসুল খাইয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, তাঁদের কষ্ট অনেক কমে গেছে।
ফল ও সবজি: আপেল, পেয়ারা, শসা, সবেদা এই সব ফল ফুসফুসের যত্নের জন্য খুবই ভাল। আপেল ও বাতাবি লেবুর ফ্ল্যাভেনয়েড ও ভিটামিন সি নিশ্চিতভাবে কার্যকারিতা বাড়ায় ফুসফুসের। গাজর, কুমড়ো, বেল পেপারে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি। সারা শরীরের পাশাপাশি ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই সব সবজি। কাজেই এদেরও রাখতে হবে পাতে।
বিভিন্ন ধরনের বিন ও বীজ: এই সব খাবারে অন্যান্য উপকারের পাশাপাশি আছে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম। ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে এর ভূমিকা আছে। তিষির বীজে আছে ভিটামিন ই, বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আখরোটের ওমেগা থ্রি কার্যকারিতা বাড়ায় ফুসফুসের।

করোনা মহামারীর মধ্যেই 'দ্বিতীয় পৃথিবী'র সন্ধান

করোনা মহামারীর মধ্যেই 'দ্বিতীয় পৃথিবী'র সন্ধান

করোনা মহামারীর মধ্যেই 'দ্বিতীয় পৃথিবী'র সন্ধান


সারাবিশ্বে চলছে করোনা মহামারী। এরই মধ্যে নাসা দাবি করছে খোঁজ মিলেছে দ্বিতীয় পৃথিবীর। আকারে একেবারে পৃথিবীর মতোই। 
নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী থেকে ৩০০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে ওই গ্রহ। নাসার কেপলার টেলিস্কোপের সাহায্যে যে সব গ্রহের অবস্থান এখনও পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়েছে তার মধ্যে পৃথিবীর সঙ্গে সবথেকে বেশি মিল রয়েছে এই গ্রহটির। এটি পৃথিবী থেকে মাত্র ১.০৬ গুন বড়। পৃথিবীতে যতটা সূর্যের আলো পৌঁছায়, নতুন এই গ্রহে তার নক্ষত্র থেকে সেই আলোর ৭৫ ভাগ আলো পৌঁছায়। 
মহাকাশবিদরা জানাচ্ছেন, এই গ্রহে নাকি রয়েছে হ্যাবিটেবল জোন। হ্যাবিটেবল জোন হল পাথুরে গ্রহের সেই অংশ যেখানে জল ধারণের ক্ষমতা রয়েছে।
নাসার সায়েন্স মিশনের ডিরেক্টরেট অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর থমাস জারবিউকেন বলেন, এই আবিষ্কারে আসা যাচ্ছে যে তারাদের ভিড়ে লুকিয়ে আছে এক দ্বিতীয় পৃথিবী। 

করোনার মধ্যেই জেনে নিন যে ৬ উপসর্গ হতে পারে ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ

করোনার মধ্যেই জেনে নিন যে ৬ উপসর্গ হতে পারে ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ

করোনার মধ্যেই জেনে নিন যে ৬ উপসর্গ হতে পারে ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ


বর্তমানে বিশ্বব্যাপী চলছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক।  এই ভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব।  তবে করোনার এই সংকটকালেও সতর্ক থাকা উচিত অন্যান্য রোগ নিয়ে।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই নিয়ে দুশ্চিন্তাও তাই কম নয়। অনেকেরই ধারণা ক্যান্সার হলে আর বাঁচা সম্ভব নয়। কিন্তু জানেন কি, যদি এই মারণব্যাধি ধরা পড়ে প্রাথমিক পর্যায়ে, তাহলে অনেকটাই সম্ভব এর থেকে রক্ষা পাওয়া। 
আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করতে চাইলে দেখে নিন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো-
১. দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি:
আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে ক্লান্তিবোধ করেন অথবা অবসাদে ভোগেন তবে সেটা অনেক রোগের কারণই হতে পারে, হতে পারে ক্যান্সারও। মলাশয়ের ক্যান্সার বা রক্তে ক্যান্সার হলে সাধারণত এমন উপসর্গ দেখা যায়। তাই এরকম হলে দ্রুত পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।
২. দ্রুত ওজন কমে যাওয়া:
কোনও কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে দ্রুতগতিতে যদি ওজন কমতে থাকে সেটা কিন্তু সত্যিই চিন্তার কারণ। এটা ক্যান্সারের অন্যতম উপসর্গ। তাই নজর দিন ওজনের দিকে।
৩. দীর্ঘদিনের ব্যথা:
কোনও কারণ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে শরীরের কোনও অংশে যদি ব্যথা হয় আর তাতে ওষুধও যদি কাজ না করে, তাহলে কিন্তু এই নিয়ে ভাবনার যথেষ্ট কারণ আছে। শরীরের কোন জায়গায় ব্যথা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করছে রোগীর ব্রেইন টিউমার বা মলাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে কি না।
৪. অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ড:
আপনি যদি শরীরের কোনও অংশে অস্বাভাবিক কোনও মাংসপিণ্ড দেখতে পান অথবা মাংস জমাট হতে দেখেন কিংবা এ ধরনের পরিবর্তন বুঝতে পারেন, তবে এটা কিন্তু ক্যান্সারের উপসর্গ হতে পারে। তাই দেরি না করে পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।
৫. ঘন ঘন জ্বর:
এটা যেকোনও রোগের উপসর্গ হতে পারে। ক্যান্সার শরীরে জেঁকে বসলে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এতে দেখা দেয় ঘন ঘন জ্বর।  ঘন ঘন জ্বর ব্লাড ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ।
৬. অকারণে রক্তক্ষরণ:
যদি কাশির সময় রক্তক্ষরণ হয়, তবে এটা ক্যান্সারের একটা বড় লক্ষণ। এছাড়া যোনিপথ বা মলদ্বার থেকে রক্তক্ষরণসহ এ ধরনের অন্যান্য অস্বাভাবিকতাও ক্যান্সারের উপসর্গ। 

ইফতারে যা খাবেন

ইফতারে যা খাবেন


ইফতারে যা খাবেন



পবিত্র মাহে রমজানে সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতারে বিশেষ আয়োজন করা হয়। এই তালিকায় থাকে বিভিন্ন ধরণের ফল থেকে ভাজা পোড়া খাবারও। সারাদিন উপোষ থাকার পর তাই ইফতার নিয়ে একটু চিন্তিত থাকেন অনেকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ইফতারে কি খাবেন।
১. ইফতারের শুরুতে চিনি ও লেবু সমৃদ্ধ শরবত খাওয়া ভালো। তবে লেবুর পরিমাণ কম রাখতে হবে। এরপর, পাকা বিভিন্ন ফল যেমন, পাকা আম, খেজুর, কলা খাওয়া যেতে পারে। পরবর্তীতে মুড়ি, ছোলা, চানাচুরসহ অন্যান্য স্ন্যাকস জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে।
২. অনেকেই ইফতারের খাবার একত্রিত করে মেখে খেতে পছন্দ করেন। তবে খেয়াল রাখবেন যাতে মরিচ ও পিয়াজের পরিমান বেশি না হয়। কারণ অধিক স্বাদের জন্য বেশি পরিমাণ মরিচ-পিয়াজ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
৩. ইফতারের শুরুতে অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফল বিশেষ করে, কাঁচা আম, আপেল, তেঁতুল, লেবু, বাতাবি লেবু, কামরাঙ্গা ইফতারের শুরুতে না খাওয়া ভালো। ইফতারের শেষ দিকে এসব ফল খেতে হবে। এতে করে শরীরে সৃষ্ট ফ্রি রেডিকেল (শরীরের কোষের বর্জ্য) কমে গিয়ে শরীর চাঙ্গা হবে।
৪. সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতারে অধিক ভাজা ও তেল সমৃদ্ধ খাবার পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি হতে পারে বদহজম ও পেট ব্যাথা। তাই ইফতারে যতদূর সম্ভব এসব খাবার বর্জন করতে হবে।
৫. কম মশলাযুক্ত খাবার খেতে হবে। অধিক মশলাযুক্ত খাবার পেটে গ্যাস্ট্রিকের কারণে সৃষ্ট ক্ষত বাড়িয়ে তোলে এবং যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেয়।
৬. ইফতারে খাওয়ার মাঝে পানি পান থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে হজমে সহায়ক উপাদান সঠিকভাবে নিঃসৃত হবে।
৭. ইফতারে খালি পেটে চা-কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। চা-কফি পেটে গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৮. ইফতারের দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর প্রতিদিনের অভ্যাস অনুযায়ী খাবার খাওয়া যাবে। এ সময় ভাত, ডাল, মাছ, মাংস, সবজিসহ অন্যান্য খাবার খাওয়া যাবে। তবে, পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, যেন স্বাভাবিকের থেকে বেশি না হয়।

করোনা চিকিৎসায় চিকিৎসকদের সাহায্য করবে রোবট

করোনা চিকিৎসায় চিকিৎসকদের সাহায্য করবে রোবট


করোনা চিকিৎসায় চিকিৎসকদের সাহায্য করবে রোবট
সংগৃহীত ছবি


করোনা রোগীদের চিকিৎসা করাতে যেয়ে সারা বিশ্বেই নার্স, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে। অনেকে ইতিমধ্যে মারাও গেছেন। করোনা যুদ্ধে সেই সামনের সারির যোদ্ধাদের সাহায্যার্থে এবার আসতে চলেছে যন্ত্রমানব বা রোবট। 
যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনের একটা রোবট প্রস্তুতকারী সংস্থা বস্টন ডায়ানামিক্স সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, তাদের তৈরি স্পট রোবট এবার করোনা চিকিৎসার সময় সাহায্য করতে পারবে চিকিৎসক এবং নার্সদের। এর ফলে কম চিকিৎসক এবং নার্স নিয়ে কাজ করা সম্ভব হবে হাসপাতালে এবং সংক্রমণের হারও কমবে। 
ইতোমধ্যেই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রিঘ্যাম অ্যান্ড উইমেন্স হাসপাতালে গত এক সপ্তাহ ধরে এই স্পট রোবট কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভালো ফলও পাওয়া যাচ্ছে বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে। 
আপাতত স্পট রোবট করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে রোগীদের প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। ঠিক মতো কাজ দিলে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজেও তাদের প্রস্তুত করা হবে। এবং বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য আরও বেশি সংখ্যায় বাজারে ছাড়া হবে।

মাত্র ৩৭ দিনে ভেন্টিলেটর নির্মাণ করল নাসা

মাত্র ৩৭ দিনে ভেন্টিলেটর নির্মাণ করল নাসা

মাত্র ৩৭ দিনে ভেন্টিলেটর নির্মাণ করল নাসা



কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাইপ্রেশার ভেন্টিলেটর তৈরি করল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। 
নাসার ‘জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি’র ডিরেক্টর মাইকেল ওয়াটকিন্স বলেন, ‘আমরা মহাকাশ যান নির্মাণে দক্ষ। আমরা চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি করি না। তবে উন্নত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আমাদের দখল ও লাগাতার পরীক্ষা-নিরীক্ষা-সহ যে কোনো যন্ত্রের প্রোটটাইপ নির্মাণে আমাদের দক্ষতা এই কাজে আমাদের মদদ করেছে। এহেন বিপর্যয়ে দেশের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা সামগ্রী নির্মাণের গুরুত্ব আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা বুঝতে পেরেছেন। এবং এটাকে নিজের কর্তব্য বলেই মনে করছেন তারা।’            
ইতিমধ্যেই নাসার তৈরি ভেন্টিলেটর কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহারও শুরু করে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। তাতে সাফল্যও মিলছে। 
নাসার প্রযুক্তিতে তৈরি ভেন্টিলেটর সমাদৃত হচ্ছে আমেরিকার চিকিৎসক মহলেও। নিউ ইউর্ক, নিউ জার্সি, ক্যালিফোর্নিয়া-সহ একাধিক শহরের হাসপাতালগুলিতে চাহিদা মতো ভেন্টিলেটর ছিল না বলে বিস্তর অভিযোগ উঠছিল। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর এমন নিদারুণ চেহারা প্রকাশ্যে আসতেই ভেন্টিলেটর তৈরির প্রকল্প হাতে নেয় নাসার গবেষকেরা। মাত্র ৩৭ দিনের মধ্যেই আধুনিক ভেন্টিলেটরে তৈরি করে ফেলে সংস্থাটি। 
চলতি সপ্তাহে নিউ ইয়র্কের স্কুল অব মেডিসিনে নাসার ভেন্টিলেটর পরীক্ষামূলক ব্যবহার করেন চিকিৎসকেরা। আক্রান্তদের প্রাণ সংশয় ঠেকাতে চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রথাগত ভেন্টিলেটরের সঙ্গে টেক্কা দিচ্ছে নাসার ভেন্টিলেটরগুলি।

সামরিক বাহিনীর জন্য ৬জি চালু করছে চীন

সামরিক বাহিনীর জন্য ৬জি চালু করছে চীন


সামরিক বাহিনীর জন্য ৬জি চালু করছে চীন


বিশ্বের বেশিরভাগ গ্রাহক এখনো ৫জি ওয়্যারলেস পরিসেবাই গ্রহণ করতে পারেনি। অথচ চীনের জন্য তা পুরোনো হয়ে গেছে। সেনাবাহিনীর ব্যবহারের জন্য ৬জি প্রযুক্তি চালু করতে যাচ্ছে চীন। ২৬ এপ্রিল ব্রিটিশ দৈনিক দ্য এক্সপ্রেস এ খবর প্রকাশ করেছে। 
চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৬জি প্রযুক্তি চালুর ব্যাপারে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে। চীনের সাধারণ গ্রাহকদের আগে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এটি আগে ব্যবহার শুরু করবেন।
চলতি মাসের শুরুর দিকে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) নিয়ন্ত্রিত ন্যাশনাল ডিফেন্স নিউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়, যদি যুদ্ধক্ষেত্রে ৬জি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তাহলে ৫জির তুলনায় অনেক বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে।