শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০

স্থূলতার সমাধান ও সাধারণ কিছু টিপস

স্থূলতার সমাধান ও সাধারণ কিছু টিপস

স্থূলতার সমাধান ও সাধারণ কিছু টিপস
চৌধুরী তাসনীম হাসিন

মহামারীর এই দিনগুলোতে বা এর বাইরে নিজেকে সুস্থ রাখতে আমাদের দরকার বাড়তি সচেতনতা। চলুন জেনে নেই স্থূলতার সমাধান ও সাধারণ কিছু টিপস :
* পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী একটি ফিটনেস রুটিন এবং ডায়েট চার্ট মেনটেইন করুন।
* নিজেই ক্যালরি কাউন্ট করার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ পুষ্টিবিদের ডায়েট চাটের বাইরে কখন এবং কি পরিমাণ বাড়তি খাবার খেয়ে ফেলছেন তার চার্ট রাখুন। যা আপনার Maditation বাড়াতে সাহায্য করবে।
* Exerise-এর মাধ্যমে কতটুকু Calorie বার্ন করছেন আর কতটুকু Calorie শরীরে ঢুকছে তার একটি তুলনামূলক হিসাব রাখুন।
* প্রতি সপ্তাহে ১ দিন অথবা মাসে ২ দিন ওজন কমানোর খাদ্য তালিকা না মেনে স্বাভাবিক খাদ্যতালিকা মেনে চলুন। এতে সপ্তাহের বাকি দিনগুলো সহজেই নিজেকে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
* ঘুম থেকে উঠে বিছানায় শুয়েই কিছু হালকা ব্যায়াম করুন।
* চেষ্টা করুন প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১০ মিনিট করে ব্যায়ামের সময় বাড়াতে।
* ব্যায়াম করার সময় একজন উৎসাহী সঙ্গী জোগাড় করুন।
* যতটা সম্ভব লিফট ব্যবহার কম করুন এবং গাড়ি বাড়ি বা অফিস থেকে একটু দূরে রেখে কিছুটা হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছান।
* রাতের খাবারের অন্তত ২ ঘণ্টা পর ঘুমোতে যান এবং চেষ্টা করুন সে সময় একটু হাঁটাহাঁটি করতে।
* দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করুন।
* দৈনিক খাদ্যতালিকার বাইরে হঠাৎ কখনো খিদে পেলে সালাদ বা ফল জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন।

তেজপাতার ৫ ঔষধি গুণ

তেজপাতার ৫ ঔষধি গুণ

তেজপাতার ৫ ঔষধি গুণ
বিরিয়ানি হোক কিংবা পোলাও, তাতে অবশ্যই তেজপাতার ছোয়া থাকতে হবে। তেজপাতা ছাড়া রান্নার কথা চিন্তা করাই মুশকিল। শুধু রান্নায় নয়, তেজপাতা আরও নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। খাবার স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি ঔষধি গুণ থাকার কারণেও তেজপাতা কদর রয়েছে বিশ্বের বহু দেশে।
জেনে নিন তেজপাতা কোন কোন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
১. ঠান্ডা-কাশিতে 
ঠান্ডাজনিত যেকোনো রোগ, ফ্লু ও অন্যান্য সংক্রমণ রোধে লড়াই করে তেজপাতা। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হলে, পানিতে দু-তিনটি তেজপাতা দিয়ে ১০ মিনিট গরম করুন। এই পানিতে ভেজানো একটি কাপড় বুকের ওপর রাখুন। ফ্লু, ঠান্ডা ও কাশি থেকে আরাম পাওয়া যাবে। জ্বর সারাতেও সহায়তা করে তেজপাতা।
২. বদহজমে
তেজপাতা হজমক্রিয়া বাড়াতে সহায়তা করে। হজমক্রিয়ায় সমস্যা থাকলে তা সারিয়ে তোলে। বুক জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তেজপাতা দিয়ে গরম করা এক গ্লাস পানি পান করুন। স্বস্তি পাবেন।
৩. ডায়াবেটিসে
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় তেজপাতার কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তেজপাতায় রক্তে শর্করা বা চিনি, কোলেস্টেরল কমাতে ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সহায়তা করে। সর্বোচ্চ ফল পেতে তেজপাতা গুঁড়ো করে টানা এক মাস খেতে পারেন। তেজপাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হৃৎপিণ্ডের কার্যক্রম ভালো রাখে।
৪. ব্যথা উপশমে
তেজপাতার তেল বাতের ব্যথা, মচকানো, কোনো কিছুর চাপ লেগে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে বা যেকোনো সাধারণ বা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা উপশম করে। মাইগ্রেন ও মাথাব্যথায় কপালি তেজপাতার তেল মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।
৫. হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক রোধে 
তেজপাতায় এমন সব ভেষজ উপাদান আছে, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো রোগ প্রতিরোধ হৃদযন্ত্রকে রাখে নিরাপদ। বাড়ায় হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা।

মহামারীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় দারুচিনি

মহামারীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় দারুচিনি

মহামারীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় দারুচিনি!
ফাইল ছবি
দারুচিনিকে এতদিন আমরা খাবারেই ব্যবহার করে এসেছি। গরম মশলার অপরিহার্য পদ এই দারুচিনি। খাবারের সুগন্ধ বাড়াতেও এর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু এই দারুচিনিই যে আপনার শরীরের যাবতীয় ভাইরাস ধুয়ে মুছে সাফ করে দিতে পারে, তা কি জানতেন? গবেষণা ঠিক এই তথ্যই দিচ্ছে।
প্রাচীনকালে বহু ভাইরাস ধ্বংস করে দেওয়ার নজির দেখিয়েছে দারুচিনি। তাই সুগন্ধি এই পদকে শুধু খাবারে ব্যবহার করলেই চলবে না। গবেষকরা বলছেন, করোনারকালেও প্রতিষেধক হিসেবে কাজে আসতে পারে দারুচিনি। তবে খাবারের সঠিক পদ্ধতিটি জানতে হবে। কোন সময়ে, ঠিক কী ভাবে দারুচিনি খেলে তা শরীরের জন্য কাজে আসবে, জানতে হবে সে পদ্ধতিও। আবার বেশি পরিমাণে দারুচিনি খেয়ে ফেললেও হিতের বিপরীত হতে পারে। সেই দারুচিনি কীভাবে মানুষের শরীর ভালো করার কাজ করেছে? আর তা সঠিক ভাবে খাওয়ার পদ্ধতিটিই বা কী? চলুন জেনে নেই-
১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু ধ্বংস করতে কাজে এসেছিল দারুচিনি
১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারীর সময়ে যারা দারুচিনির কারখানায় কাজ করতেন, তাদের প্রায় কেউই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। অর্থাৎ খাওয়া তো অবশ্যই, দারুচিনির সংস্পর্শে থাকাটাও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, সেই সময় স্প্যানিশ ফ্লু নির্মূল করার অন্যতম সেরা ওষুধ ছিল দারুচিনির গুঁড়া। কেউ কেউ আবার দুধে সামান্য পরিমাণ দারুচিনি তেল ব্যবহার করেই সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে এইচআইভি, অ্যাডিনোভাইরাস ও হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের বিরুদ্ধেও দারুচিনি ব্যাপক ভাবে কার্যকারিতা দেখিয়েছে।
করোনায় যেভাবে উপকারী দারুচিনি
বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও বিশ্বের বেশ কিছু দেশে প্রতিষেধক হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে দারুচিনি। বিশেষ করে ডাক্তার থেকে শুরু করে গবেষকরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুচিনি খেতে বলছেন। তবে এখনও পর্যন্ত দারুচিনি করোনাভাইরাস ধ্বংস করতে পারে কি না, সেই বিষয়ে কোনও প্রমাণ না মিললেও ডাক্তাররা বলছেন সংক্রমণের তীব্রতা প্রতিরোধ করতে পারে দারুচিনি। তবে তা ঠিকঠাক পদ্ধতি মেনে খেতে হবে। আর কোন সময়ে খাওয়া হচ্ছে, এবং কতটা পরিমাণে দারুচিনি খাওয়া হচ্ছে তার উপরেও নির্ভর করছে এর গুণাগুণ।
​শরীর ভালো রাখতে কীভাবে সাহায্য করে দারুচিনি
দারুচিনি আসলে শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আমাদের শারীরিক প্রতিরক্ষার জন্য প্রদাহ গুরুত্বপূর্ণ হলেও প্রয়োজনাতিরিক্ত প্রদাহে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। আর সেটার পরিমাণই মূলত কমিয়ে দিতে পারে দারুচিনি। এই দারুচিনির মধ্যেই রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পলিফেনল ও প্রোঅ্যান্থোসায়ানাইডিন, যা কোনও ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। এছাড়াও দারুচিনি মেদ ঝরাতেও কাজে আসে। শ্বাসতন্ত্রের রোগ এবং হার্টের রোগ নির্মূল করতেও খুবই সহায়ক দারুচিনি। দারুচিনির অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল প্রপার্টি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
দারুচিনি খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি
দারুচিনিকে পানিতে সিদ্ধ করে অথবা গরম পানিতে দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে এর সঠিক উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দারুচিনির তেল ব্যবহার করা উচিত নয়। সিনামন অয়েল এত বেশি শক্তিশালী যে এক বা দুই ফোঁটার বেশি খেলে শরীরের ভেতর পুড়ে যেতে পারে। কোনও খাবারে ঠিক কতটা পরিমাণ সিনামন অয়েল মিশিয়ে খেলে শরীরের কোনও ক্ষতি হবে না, তা জানতে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

অল্প বয়সে চুল পাকাদের এই পাতা ব্যবহারেই সমাধান


অল্প বয়সে চুল পাকাদের এই পাতা ব্যবহারেই সমাধান
কর্মব্যস্ত জীবন। অবসাদ। স্ট্রেস। আর তার ফল অল্প বয়সেই চুল পেকে যাওয়া। অনেক ক্ষেত্রেই জিনগত কারণে অর্থাৎ পারিবারিক সূত্রে অল্পবয়সে চুল পেকে যাওয়ার ধাঁচ রয়েছে। কারও ক্ষেত্রে চুল পাকার মূলে রয়েছে পেটের সমস্যা। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। কিন্তু স্ট্রেস, ড্রায়ারের ব্যবহার, স্টাইলিং প্রোডাক্টের ব্যবহার, রোদে বেশি ঘোরাঘুরির কারণেও চুল পেকে যায়। এটি সহজেই আটকানো যেতে পারে।
প্রাথমিক পর্যায়ে অকালপক্কতা নিরাময়ের জন্য একটি পাতা অত্যন্ত কাজে আসে। সেটি কারি পাতা। এই কারি পাতা যদি চুলের গোড়ায় লাগানো যায়, তা পুষ্টি বৃদ্ধি করে। নতুন চুলও গজায়। চুলের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। তাই নিজেকে খানিকটা সময় দিতেই পারেন। বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন কারি পাতার হেয়ার মাস্ক।
এই হেয়ার মাস্কের জন্য প্রয়োজন
• দু টেবিল চামচ নারকেল তেল
•  ১০-১২টি কারি পাতা
পদ্ধতি
• নারকেল তেল গরম করে নিতে হবে প্রথমে। এরপরই বার্নার বন্ধ করে পাতাগুলো দিয়ে দিতে হবে। পাতার গন্ধ ও পুষ্টিগুণ যাতে পুরোপুরি তেলের সঙ্গে মিশে যায়, সেই সময়টুকু দিতে হবে। অন্তত ২০ মিনিট। এর পর তেল পুরোপুরি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ তেল ভাল করে মাথার চুলে ও চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করতে হবে।
• সারারাত সেই তেল মাথায় রেখে পরদিন শ্যাম্পু করা যেতে পারে। একই সঙ্গে পানি পাতিলেবু দিয়ে কন্ডিশনিংও করে নিতে হবে।
• ছুটির দিনে হাতে সময় অনেকটাই বেশি। সেক্ষেত্রে এই তেল মেখে তার পর কাজকর্ম সেরে গোসলের সময় মাথা ধুয়ে নিলেও উপকার মিলবে।
• আরও একটু বেশি ফল পেতে ধোওয়ার আগে চুলে ভিটামিন-ই তেল ব্যবহার করতে পারেন। চুল নরম হবে।
• বাড়িতে কারি পাতা থাকলে আজ থেকেই শুরু করে ফেলুন চুলের য্ত্ন নেওয়া।

এই পাঁচ রকম খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়

এই পাঁচ রকম খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়

এই পাঁচ রকম খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়!
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী না হলে অল্প অসুস্থতাতেও মানুষ খুব সহজে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোগের আক্রমণও জোরালো হয়। এক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন-যাপনের পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করছেন চিকিৎসকরা। তবে এমন পাঁচ রকম খাবার আছে যা দুর্বল করে দিতে পারে আপনার শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা।
মদ্যপান: 
মদ্যপানের অভ্যাস স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, এ কথা সকলেই জানেন। হেলথ ডট কম-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, যারা নিয়মিত মদ্যপান করেন তাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের চেয়ে দুর্বল হয়ে যায়। ফলে বেড়ে যায় একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি।
অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস: 
পুষ্টিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি বা ওই জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে। মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে। বেড়ে যেতে পারে ওজনও। আর ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকিও বেড়ে যাবে।
অতিরিক্ত লবন খাওয়ার অভ্যাস: 
মিষ্টির মতো অতিরিক্ত লবন খাওয়ার অভ্যাসও শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর! অতিরিক্ত মাত্রায় লবন খেলে বাড়ে রক্তচাপ। অতিরিক্ত লবন খাওয়ার অভ্যাসের ফলে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা মাথা চাড়া দিতে পারে। বাড়ে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকিও! অন্তত এমনটাই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত লবন খাওয়ার অভ্যাস শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে।
অতিরিক্ত ক্যাফিন জাতিয় পানীয় পানের অভ্যাস: 
অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যাফিন জাতীয় পানীয় পানের অভ্যাস শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে চা, কফি পানের অভ্যাস ঘুমের ব্যঘাত ঘটায়। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে হজমের সমস্যাসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
অতিরিক্ত সোডা বা এনার্জি ড্রিঙ্ক পানের অভ্যাস: 
অতিরিক্ত মাত্রায় সোডা বা এনার্জি ড্রিঙ্ক পানের অভ্যাস শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সোডা বা এনার্জি ড্রিঙ্ক পানের অভ্যাস স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, দুর্বল করে দেয় স্বাভাবিক হজম ক্ষমতা। ফলে হজমের সমস্যাসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

কিসমিস ভেজানো পানিতে এত উপকার

কিসমিস ভেজানো পানিতে এত উপকার

কিসমিস ভেজানো পানিতে এত উপকার?

কিসমিস শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায়। শুকনো কিসমিস খাওয়ার পরিবর্তে ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি। কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন কিসমিসের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই। এছাড়া কিসমিস হৃদয় ভালো রাখে। নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরল। কিসমিসে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ আছে। আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা সহজে রোগমুক্তির কারণ। আর আছে প্রচুর আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার।
ভেজানো কিসমিসের উপকারিতা-
কিসমিস খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় সারারাত কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভোরে সেটা খান। ভেজানো কিসমিসে থাকে আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার।  হাই ব্লাডপ্রেসারের সমস্যা থাকলেও এটি তা নিয়ন্ত্রণে রাখে। 
১. ব্লাড প্রেসার
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি কিসমিস। এর মধ্যে থাকা পটাসিয়াম হাই ব্লাড প্রেসার বশে রাখে।
২. রক্ত স্বল্পতা কমায়
রক্ত স্বল্পতা কমাতে কিসমিস যথেষ্ট উপকারি। নিয়মিত খেলে এর মধ্যে থাকা আয়রন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। এছাড়াও এর মধ্যে আছে তামা যা রক্তে লাল রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
৩. হজমশক্তি বাড়ায়
সুস্থ থাকার জন্য ভালো হজমশক্তি জরুরি। এক্ষেত্রে কিসমিস হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রোজ রাতে এক গ্লাস পানিতে কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভোরে সেই কিসমিস খান। নিজেই তারপর তফাত খেয়াল করুন দিন পনেরো পরেই।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়াতে চান তবে ভেজা কিসমিস এবং তার পানি নিয়মিত খান। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫. বিষমুক্ত শরীর
শরীরকে দূষণমুক্ত করতে কিসমিস খান নিয়মিত। চারিদিকের দূষণে আপনি যখন জেরবার তখন সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিস খেলে শরীর বিষমুক্ত হবে। ভেজানো কিসমিসের পাশাপাশি কিসমিস ভেজানো পানিও খেতে পারেন।
৬. কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়
নিয়মিত কিসমিস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। আপনি যদি পেটের সমস্যায় নিয়মিত ভোগেন তাহলে প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ভেজানো কিসমিস খান। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পান তারা ওষুধের বদলে নিয়মিত কিসমিস খেয়ে দেখতে পারেন।

করোনাকে হারাতে ঘরে বসেই ভিটামিন ডি-র ঘাটতি কমানোর উপায়

করোনাকে হারাতে ঘরে বসেই ভিটামিন ডি-র ঘাটতি কমানোর উপায়

করোনাকে হারাতে ঘরে বসেই ভিটামিন ডি-র ঘাটতি কমানোর উপায়
একজন ব্যক্তির শরীরে প্রতিদিন ৬০০ আইইউ ভিটামিন ডি প্রয়োজন। সূর্যালোক এবং সুষম খাবার থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তবে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি শরীরে গেলে তা কিডনি ও হার্টের ক্ষতি করতে পারে।
 
করোনাভাইরাসের কারণে দেশব্যাপী লকডাউনের কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল হয়ে চলছে আনলক ওয়ান পর্ব। তবু এক জায়গায় অনেক মানুষের জমায়েত বা অকারণে বাড়ির বাইরে বিনাকারণে ঘুরাঘুরি করতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সময় সংক্রমণ এড়াতে যেমন ঘরে থাকা প্রয়োজন, তেমনই দরকার রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি-এর পাশাপাশি ভিটামিন ডি-ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ভিটামিন হাড় মজবুত করার সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও উন্নত করে। ভিটামিন ডি-এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উৎস হল সূর্যালোক। কিন্তু বাড়ির বাইরে না বের হলে গায়ে রোদ লাগবে কী করে? তাই এই সময় শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

ভিটামিন ডি-র ঘাটতি :
শরীরের ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা দিলে তার একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সমীক্ষা বলছে আমাদের দেশের ৭০-৯০ শতাংশ মানুষই ভিটামিন ডি'র অভাবে ভোগেন। শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি থাকলে ক্যানসার, হাইপারটেনশন এবং ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। ঘরে বসে কী ভাবে ভিটামিন ডি বাড়াবেন দেখে নিন।
​রোদ লাগান : 
প্রত্যেক ব্যক্তি প্রতিদিন ৬০০ আইইউ ভিটামিন ডি প্রয়োজন। সুষম আহার ও সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। বাড়ির বাইরে না বের হলেও বারান্দায় বসে দিনে অন্তত আধঘণ্টা হাত, পা ও মুখে রোদ লাগান। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে রোদ লাগাতে হবে। ছাদে বসেও গায়ে রোদ লাগাতে পারেন।
​সামুদ্রিক মাছ খান :
সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। তাই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় টুনা, স্যালমন, সার্ডিনের মতো মাছ অবশ্যই রাখবেন। এছাড়া রোজ ডিমের কুসুম ও দুধ খাবেন। অরেঞ্জ জ্যুস, মাশরুম, সেরালও খাদ্যতালিকায় রাখা খুব প্রয়োজনীয়। এই সব খাবার রোজ খেলে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হবে না।
​কড লিভার অয়েল :
আপনি যদি মাছ খেতে ভালো না বাসেন, বা মাছের গন্ধ যদি সহ্য করতে না পারেন তাহলে প্রতিদিন কড লিভার অয়েল খান। প্রতিদিন এক চামচ করে কড লিভার অয়েল খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা যায় না। এক চা চামচ কড লিভার অয়েল আপনার প্রতিদিনের প্রয়োজনের ৫৬ শতাংশ ভিটামিন ডি সরবরাহ করে।
​ভেগান ডায়েট : 
যারা ভেগান ডায়েট মেনে খাওয়া দাওয়া করেন, তাদের শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা যাওয়া খুবই সাধারণ সমস্যা। ভেগানরা অ্যানিম্যাল প্রোডাক্ট খান বা বলে এই সমস্যা দেখা দেয়। আপনারা সয় মিল্ক, আমন্ড মিল্ক খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি শরীরে গেলে কিডনি ও হার্টের ক্ষতি হতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন ডি-র থেকে কিডনিতে স্টোন হতে পারে। তাই আপনার কতটা ভিটামিন ডি-র প্রয়োজন তা ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করুন।

শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়াবেন

শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়াবেন


শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়াবেন
প্রতীকী ছবি
করোনা প্রতিরোধে ক্ষমতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়েনোর বিকল্প নাই। যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বেশি, সে তত ভালো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হবে এবং সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে। তাই প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের স্বাস্থ্যকর এবং ফিট থাকার জন্য একটি ভালো ডায়েটের প্রয়োজন। কারণ, এটি শিশুকে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করবে।
শিশুর পুষ্টির ব্যাপারে ভীষণ ঝামেলায় পড়তে হয়। মনের মতো না হলে অনেক কিছুই খেতে চায় না তারা। তাদের ঝোঁক বেশি থাকে জাঙ্ক ফুডের দিকে। এতে স্বাভাবিকভাবেই সম্পূর্ণ পুষ্টি না পাওয়ার কারণে নানা রকম রোগ তাদের তাড়া করে। শিশুকে এমন খাবার খাওয়ান যেগুলো তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে এবং একই সঙ্গে পুষ্টির ঘাটতি মেটাবে। 
শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যেসব খাবারগুলো খাওয়ানো জরুরি।
মাতৃদুগ্ধ
ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে তার প্রয়োজনীয় উপাদান হলো মাতৃদুগ্ধ। শিশুরা তাদের স্তন্যপান থেকেই প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করে, তাই মাতৃদুগ্ধের কোন বিকল্প হয় না। 
দই
দই খাওয়া বাচ্চাদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল অসুস্থতা প্রতিরোধে সহায়ক। দই প্রো-বায়োটিক পূর্ণ, যা দেহের খারাপ ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করতে সহায়তা করে এবং বাচ্চার ইমিউন সিস্টেমকে বাড়িয়ে তোলে। 
ডিম
ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলস্ এবং প্রোটিন, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। 
সবুজ শাকসবজি
অনেক বাচ্চাই শাকসবজি খেতে পছন্দ করে না। কিন্তু এই সময়ে তাদের সুস্থ রাখতে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে প্রত্যেক দিনের খাবারের তালিকায় রাখুন শাকসবজি। ফুলকপি, ব্রকলি, পালং শাক, মেথি শাক ইত্যাদি রাখলে আরও ভালো।
বাদাম
বাদাম যা বাচ্চার শরীরের অনেক চাহিদাকে পূরণ করতে সহায়ক। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন খেজুর, পেস্তা বাদাম, কাজু বাদাম, আখরোট ইত্যাদি। এগুলি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। 
রসুন
রসুনে অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি শরীরের শ্বেত রক্ত কোষের উৎপাদন করতে সাহায্য করে। যা বাচ্চাদের অনাক্রম্যতা বাড়ানোর জন্য খুবই উপকারি। পাশাপাশি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ফল
সুস্থ এবং ফিট থাকতে প্রতিদিন ফল খাওয়া প্রয়োজন। ফলে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং অন্যান্য চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন বেরি জাতীয় ফল, আপেল, কমলালেবু, তরমুজ, আঙুর, ডালিম ইত্যাদি খাওয়ান।

গোলমরিচের এত গুণ

গোলমরিচের এত গুণ


গোলমরিচের এত গুণ!

গোলমরিচ একটি অতিপরিচিত জিনিস। অনেক খাবারেই গোলমরিচের ব্যবহার আছে। উপকারের দিক থেকে এর জুড়ি মেলা ভার। মিশকালো গোলমরিচের ওষধি গুণ শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে আর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
গোলমরিচের গুণাগুণ
১. অতিরিক্ত ওজন তো আজকাল প্রায় অনেকেরই সমস্যা। শরীর থেকে বাড়তি ফ্যাট টেনে নিতে গরম পানিতে গোলমরিচ খুব উপকারী। ক্যালোরি পুড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে গোলমরিচ।
২. ঠাণ্ডা লাগলে গরম দুধে গোলমরিচ কষ্ট থেকে উপশম দেয়। যাদের প্রায়ই ঠাণ্ডা লাগে বা ঘন ঘন হাঁচি হয়, তারা যদি কয়েকটা গোলমরিচ রোজ চিবিয়ে খেয়ে নেন, উপকার পাবেনই পাবেন। 
৩. কচি নিমপাতার সঙ্গে তিন-চারটি গোলমরিচ সকালে খালি পেটে চিবিয়ে খেলে সুগারও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪. আপনার কি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে? সকালবেলা অনেকটা সময় যুদ্ধ করতে হয়? এক কাপ হালকা গরম পানিতে লেবুর রস আর গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে টানা কয়েক দিন খেলে গ্যাস-এর সমস্যা কমে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
৫. আপনার যদি ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থাকে, আপনাকে মৃদু গরম পানির সঙ্গে গোলমরিচ খেতেই হবে। ফলে শরীরে ক্লান্তি জমতে পারে না। 
৬. ত্বককে মসৃণ রাখে গোলমরিচ।
৭. খুব হালকা গরম পানিতে গোলমরিচের গুঁড়া ফেলে একটু নেড়ে নিয়ে হালকা হালকা চুমুক দিয়ে খেলে শরীরে শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ে। কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায়। শরীরে পানির মাত্রা কমতে পারে না। সকাল বেলা এটা যদি খেয়ে নেন, আপনি সারা দিন মুক্তি পাবেন অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে।
এতগুলো সুফল যখন আছেই, তখন আর দেরি না করে গোল গোল ছোট দানাগুলোকে সকাল থেকেই সঙ্গী করে ফেলুন।

সুখের সঙ্গে টাকার সম্পর্ক, কী বলছে গবেষণা

সুখের সঙ্গে টাকার সম্পর্ক, কী বলছে গবেষণা


সুখের সঙ্গে টাকার সম্পর্ক, কী বলছে গবেষণা?
প্রতীকী ছবি

টাকা থাকলেই কি সুখ কেনা যায়? অনেকেই বলবেন, হ্যাঁ যায়। আবার একদল বলেন, টাকার সঙ্গে মনের শান্তি, স্বস্তির কোনো সম্পর্ক নেই। এই নিয়ে তর্ক চলে। বহুদিন ধরে। আসলে কি টাকা থাকলেই সুখ কেনা যায়?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল সোশ্যাল সার্ভে (জিএসএস) একটি গবেষণার ফল প্রকাশ করেছে সম্প্রতি। তাতে জানানো হয়েছে, টাকা আর সুখের সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭২ সাল থেকে ৪৪ হাজার মানুষের উপর এই গবেষণা করা হয়েছে। 

গত সপ্তাহে 'ইমোশন'নামের একটি পত্রিকায় ওই গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে লেখা হয়েছে, ৩০ বছরের বেশি মানুষের সুখ নির্ভর করে তার উপার্জনের উপর। মনের শান্তি থেকে শুরু করে স্বস্তি, সবটাই অর্থের উপর নির্ভরশীল। 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সব থেকে দীর্ঘদিন ধরে চলা গবেষণাগুলির মধ্যে এটি একটি। অর্থ সুখ কিনতে পারে না- এমন প্রবাদকে চ্যালেঞ্জ করতেই এই গবেষণা করা হয়েছিল। গবেষণায় সুখের কয়েকটি স্তর ধরা পড়়েছে। এছাড়া গত দশকের থেকে বর্তমানে সুখের সঙ্গে উপার্জনের সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ় বলে জানানো হয়েছে।

মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকরী ঘি

মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকরী ঘি

মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকরী ঘি
মাইগ্রেন কেবল একটি সাধারণ ধরণের মাথাব্যথা নয়। এটি আরও তীব্র এবং বারবার ফিরে আসে, বিশেষত কেবল মাথার একপাশে অনুভূত হয়। আপনি বা আপনার কাছের কেউ যদি মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে এটি নিশ্চয়ই জানেন, মাইগ্রেন সহ্য করা কতটা কষ্টকর!
হরমোন পরিবর্তন, স্ট্রেস এবং অ্যালকোহল গ্রহণ- এমন একাধিক কারণে মাইগ্রেন বাড়তে পারে এবং তিন ঘণ্টা থেকে কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। বেশিরভাগ মানুষ কিছুটা স্বস্তির জন্য ওষুধের দিকে ঝোঁকেন, তবে কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে, যা আপনাকে মাইগ্রেন থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে।
দীর্ঘদিন থেকেই ঘি আমাদের খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে আছে। ঘি ডার্ক সার্কেল, ঠোঁট ফাটা, শুষ্ক ত্বক এবং শুষ্ক চুলের চিকিৎসাও ব্যবহৃত হয়। মজার বিষয় হল, এটি মাইগ্রেনের চিকিৎসার একটি কার্যকরী প্রতিকার।
মাইগ্রেনের চিকিৎসার জন্য কীভাবে ঘি ব্যবহার করবেন:
ঘি গলিয়ে নিন এবং নাকের ছিদ্রে ২-৩ ফোঁটা গরম ঘি দিন। মাইগ্রেন বা মাথাব্যথার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি দিনে দুইবার এটি করতে পারেন।
মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আরও কয়েকটি জিনিস আপনি করতে পারেন:
* প্রচুর পানি পান করুন। ডিহাইড্রেশন মাথা ব্যথার বড় কারণ।
* প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান। নিদ্রাহীনতা মাইগ্রেনের সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
* প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়াম করুন।
* প্রতিদিন একই সময়ে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। খাবারের সময় ওঠানামা মাইগ্রেন বাড়িয়ে তুলতে পারে।

জেনে নিন ত্বক ও চুলের নানা সমস্যায় আমলকীর জাদুকরী গুণাগুণ

জেনে নিন ত্বক ও চুলের নানা সমস্যায় আমলকীর জাদুকরী গুণাগুণ

জেনে নিন ত্বক ও চুলের নানা সমস্যায় আমলকীর জাদুকরী গুণাগুণ!
আমলকী একটি অতিপরিচিত এক বস্তু। এটি জাদুকরী গুণাগুণ ত্বক ও চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে সহজেই। 
আসুন জেনে নেওয়া যাক রূপচর্চায় ভেষজ গুণসম্পন্ন আমলকী ব্যবহারের কিছু টিপস-
ব্রণের দাগ দূর করতে: প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণের দাগ দূর করতে সহায়তা করে আমলকী। আমলকীর রস মুখে মেখে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে নিতে হবে ঊষ্ণ পানিতে। অনুভূতিপ্রবণ ত্বক হলে আমলকীর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন সামান্য পানি। ভালো ফলের জন্য ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত।
মুক্তি মিলবে মরা ত্বক থেকে: স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পাওে আমলকীর রস। এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বক সজীব ও টানটান করতে সহায়তা করে। এক চামচ আমলা পাউডার গরম পানিতে মিশিয়ে তৈরি করা পেস্টে মুখ স্ক্রাব করতে হবে। স্ক্রাব করার পাঁচ মিনিট পর মুখ ধুয়ে নিলেই হলো। এই পেস্টের সঙ্গে সামান্য হলুদ মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
চুল পড়া রোধে: চুল পড়া বন্ধ করতে আমলকী বেশ কার্যকর। প্রয়োজনীয় পরিমাণ শুকনো আমলকী পানিতে নিয়ে গরম করম করতে হবে। আমলকী ভালোভাবে সেদ্ধ হলে তা চটকে পেস্ট করে নিতে হবে। এই পেস্ট চুলের গোড়া ও পুরো চুলে লাগিয়ে কিছু সময় রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করতে হবে এই প্যাক। ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর জন্য শুধু আমলকীর রসও ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রে আমলকীর রস চুলে লাগিয়ে আধাঘণ্টা রেখে ধুয়ে নিতে হবে।
আমলকীর তেল তৈরির ঘরোয়া পদ্ধতি: তেল তৈরির জন্য প্রয়োজন টাটকা আমলকী ও নারকেল তেল। প্রথমে এক কাপ আমলকী ভালোভাবে ধুয়ে বিচি ছাড়িয়ে নিয়ে মিক্সারে গুড়ো করে নিতে হবে। এতে পানি ব্যবহার করা যাবে না।
এরপর একটি পাত্রে এক কাপ নারকেল তেল চুলায় গরম করতে দিতে হবে। তেল গরম হলে এতে দিয়ে দিতে হবে আমলকীর গুড়ো।
আমলকীর গুড়ো মিশ্রিত নারকেল তেল ফুটে ওঠার ১০-১৫ মিনিট পর তেল চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে কাঁচের জারে রাখতে হবে।
এই তেল চুলের গোড়া ও চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর চুল ধুয়ে নিতে হবে ভালো ব্র্যান্ডের মাইল্ড শ্যাম্পুর সাহায্যে।

জেনে নিন কাঁঠালের বিচির গুণাগুণ

জেনে নিন কাঁঠালের বিচির গুণাগুণ


জেনে নিন কাঁঠালের বিচির গুণাগুণ
বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। এটি শুধু বাংলাদেশে নয়,  এশিয়াজুড়েই খুব জনপ্রিয় একটি ফল। দেশে কাঁঠালের এখন ভর মৌসুম চলছে। প্রোটিন, ভিটামিন ও পটাসিয়াম সমৃদ্ধ এই ফল গরমে শরীর সুস্থ রাখার পক্ষে একেবারে আদর্শ। 

তবে শুধু ফলেই নয়, গুণ রয়েছে বিচিতেও। গবেষণা বলছে, কাঁঠালের বিচি খেলে শরীরের কোনও ক্ষতি তো হয়ই না, উল্টো অনেক উপকার হয়। কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে থায়ামিন, রাইবোফ্লেবিন নামে দুটি উপাদান, যা দেহে এনার্জির ঘাটতি দূর করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের তথ্যানুযায়ী, প্রতি ১০০ গ্রাম আহার উপযোগী কাঁঠালের বিচিতে শক্তি পাওয়া যায় ৯৮ ক্যালরি। এতে কার্বোহাইড্রেট ৩৮.৪ গ্রাম, প্রোটিন ৬.৬ গ্রাম, ফাইবার ১.৫ গ্রাম, চর্বি ০.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ০.০৫ থেকে ০.৫৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ০.১৩ থেকে ০.২৩ মিলিগ্রাম, আয়রন ১.২ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ২ মিলিগ্রাম ও পটাসিয়াম ৪.০৭ মিলিগ্রাম রয়েছে।
কাঁঠালের বিচি ভিটামিন বি-১ ও ভিটামিন বি-১২ এর ভালো উৎস। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, থায়ামিন, নায়াসিন, লিগন্যান, আইসোফ্ল্যাভোন ও স্যাপোনিনের মতো ফাইটো ক্যামিক্যালস।
কাঁঠালের বিচি বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায়। তারকারি হিসেবে কিংবা ভর্তা করেও খাওয়া যায়। অনেকেরই পছন্দ কাঁঠাল বিচির হালুয়া। যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন পুষ্টিগুণ একই।

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ঢেঁড়শ

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ঢেঁড়শ


রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ঢেঁড়শ
ঢেঁড়শ
ঢেঁড়শে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সি রয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত আয়োডিন, ভিটামিন এ এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে। ফলে ঢেঁড়শ চাষ করলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক উপকারিতাও রয়েছে। কমবেশি সারা বছরই খাওয়া হলেও ঢেঁড়শের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেরই হয়তো জানা নেই। পুষ্টিগুণে ভরপুর এ সবজির রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা-
ঢেঁড়শের স্বাস্থ্য উপকারিতা:
শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে: ঢেঁড়শে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটোরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। অ্যাজমার লক্ষণ বৃদ্ধি প্রতিরোধে এবং অ্যাজমার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ঢেঁড়শ বেশ উপকারী।
কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়: ঢেঁড়শের উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেলসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে।
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ ছাড়া আরও প্রয়োজনীয় মিনারেল যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ; যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়: ঢেঁড়শের মধ্যে রয়েছে সলিউবল ফাইবার (আঁশ) পেকটিন; যা রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলকে কমাতে সহায়তা করে এবং অ্যাথেরোসক্লোরোসিস প্রতিরোধ করে।
ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে: ঢেঁড়শ ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে শরীরের টিস্যু পুনর্গঠনে ও ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
বিষণ্ণতা দূর করে: ঢেঁড়শ বিষণ্ণতা, দুর্বলতা এবং অবসাদ দূর করতে সহায়তা করে।
দৃষ্টি ভালো রাখে: ঢেঁড়শে আছে বেটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, লিউটিন; যা চোখের গ্লুকোমা, চোখের ছানি প্রতিরোধে সহায়তা করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কার্যকরী উপায়

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কার্যকরী উপায়


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কার্যকরী উপায়
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী না হলে অল্প অসুস্থতাতেও মানুষ খুব সহজে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোগের আক্রমণও জোরালো হয়। মানুষ কীভাবে সুস্থ থাকতে পারে এবং কোন উপায়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে, সেটি নিয়ে নানামুখী গবেষণা হয়েছে বিশ্বজুড়ে। এক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন-যাপনের পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে, মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। প্রতিদিনই এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আমাদের দেশের পরিস্থিতিও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায় আমাদের উচিত প্রতিরোধের দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া এবং এ জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো।  
মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্ভর করে ভিটামিন এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট-এর উপর।
দুগ্ধজাত খাবার
দুগ্ধজাত খাবারগুলো বিজ্ঞানের ভাষায় প্রোবায়েটিকস হিসেবে পরিচিত। যেমন- দই, ঘোল, ছানা ইত্যাদি।
মানুষের পাকস্থলিতে যে আবরণ আছে, সেটার ভেতরে বেশ কিছু উপকারী জীবাণু কার্যকরী হয়।দুগ্ধজাত খাবারগুলোর পাকস্থলীতে উপকারী জীবাণুকে বাঁচিয়ে রাখে। ভিটামিন ডি এর জন্য দিনের কিছুটা সময় শরীরে রোদ লাগাতে হবে। এটা খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনাচরণের সাথে সম্পৃক্ত।
 
ভিটামিন 'বি' এবং 'সি' জাতীয় খাবার
এই ভিটামিনগুলো পানির সাথে মিশে যায়। এগুলো শরীরে জমা হয়না। এই ভিটামিনগুলো পানিতে মিশে যাওয়ার কারণে প্রস্রাবের সাথে বেরিয়ে যায়।
শরীরের নার্ভ-এর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই দুই ধরণের ভিটামিন কাজ করে।
শরীরের ভেতরে বিক্রিয়ার কারণে যেসব সেল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেগুলো সারিয়ে তুলতে কাজ করে ভিটামিন সি।
দুধ এবং কলিজার মধ্যে ভিটামিন বি আছে। টক জাতীয় যে কোন ধরণের ফল- লেবু, আমলকী, কমলা, বাতাবিলেবু এবং পেয়ারাতে ভিটামিন সি আছে। 
নিয়মিত ব্যায়াম অথবা শারীরিক পরিশ্রম
নিয়মিত ব্যায়াম অথবা অন্য যে কোন ধরণের শারীরিক পরিশ্রম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে শারীরিক পরিশ্রমের সম্পর্ক আছে। একজন মানুষ যখন শারীরিক পরিশ্রম করে তখন শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করে।
শরীরের মাংসপেশি এবং হৃদযন্ত্র অনেক কার্যকরী হয়। একই সাথে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।
ফলে শরীরের দূরতম প্রান্ত পর্যন্ত অক্সিজেন পৌঁছবে। তখন শরীরের কোষগুলোতে শক্তি উৎপাদন শুরু হবে। 

করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ১০টি কার্যকর উপায় নিচে আলোচনা করা হলো। 
খাদ্যভ্যাস: সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল খান। ফলের রসের পরিবর্তে গোটা ফল চিবিয়ে খেলে ভালো। এতে পুষ্টি সাথে ফাইবারও পাওয়া যাবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন, ৮ থেকে ১০ গ্লাস। ফাস্টফুড, তেল-চর্বি ও মসলা জাতীয় খাবার যতটুকু সম্ভব পরিহার করুন।
ভিটামিনস ও মিনারেল: রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভিটামিন সি: প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে টক জাতীয় ফল, যেমন- লেবু, কমলা, মাল্টা, আমড়া, জাম্বুরা ইত্যাদি। এ ছাড়াও বাজারে ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায়, যা ফ্লু উপসর্গে আপনি দিনে ১-২ বার চুষে খেতে পারেন। তবে প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া ভিটামিন সি-এর কার্যকারিতা বেশি।
ভিটামিন ডি: এর প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে সূর্যরশ্মি। যা সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শরীরের কিছু অংশ উন্মুক্ত করে (যেমন মুখমণ্ডল, হাত বা ঘাড় ইত্যাদি) আপনি কাজে লাগাতে পারেন। এ ছাড়াও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন- ডিমের কুসুম, মাছের তেল, ওমেগা, গরুর কলিজা, চিজ এগুলো খেতে পারেন।
জিংক: ফ্লু বা সর্দি-কাশি উপসর্গে জিংকের বেশ উপকারিতা রয়েছে। জিংক-সমৃদ্ধ খাবারগুলো হচ্ছে আদা, রসুন, ডাল, বিন্স, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ ইদ্যাদি। বাজারে লজেন্স আকারে জিংক সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন ২-৩ ঘণ্টা পর পর।
৩. মধু: মধুতে এমন কিছু জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান রয়েছে, যেমন হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, নাইট্রিক অক্সাইড)। তাই ফ্লু উপসর্গে মধু বেশ উপকারী। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সাবধানে খেতে হবে।
৪. প্রোবায়োটিকস: যেমন দই, চিজ ইত্যাদি খাবারে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৫. মানসিক চাপমুক্ত থাকুন: অতিরিক্ত মানসিক চাপে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে ফেলে। তাই মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। টিভি, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে খবরগুলো আপনাকে মানসিক চাপে ফেলছে, সেগুলো থেকে দূরে থাকুন। পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে ভালো সময় কাটান, গান শুনুন, বই পড়ুন, মুভি দেখুন বা নতুন কিছু শিখতে মনোনিবেশ করুন। মেডিটেশন একটি খুব ভালো উপায় মনকে শান্ত রাখার।
৬. শরীরচর্চা: শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শরীরচর্চা অপরিহার্য। বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন আমরা সবাই ঘরে অবস্থান করছি। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট এবং বাচ্চাদের অন্তর ১ ঘণ্টা শরীরচর্চা করা উচিত। ঘরে থেকে আপনি যা করতে পারেন হাঁটাহাটি, সাইক্লিং, ইয়োগা, ওয়েট শিফ্টিং, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা, এমনকি নফল নামাজ পরাও আপনার শরীর চর্চার উপায় হতে পারে।
৭. ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা: বিশেষ করে ধূমপান, সরাসরি আপনার শ্বাসতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যেহেতু করোনা ভাইরাস শ্বাসতন্ত্রের রোগ, এতে সংক্রমের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই ধূমপান বাদ দিন।
৮. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা: শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অটুট রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার বিকল্প নেই। খাবার পরিমিত খান ও শরীরিকভাবে সচল থাকুন।
৯. ঘুম: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রতিদিন অন্তত ৮ ঘণ্টা করে ঘুমনোর চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুবই জরুরি। 
১০. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: আমরা যদি করোনা ভাইরাস রোগের সংক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচাতে চাই নিজের ও আশপাশের পরিবেশের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। নির্দিষ্ট সময় পর পর হাত সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্যবহার্য জিনিপত্র জীবাণুনাশক পদার্থ দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। দরজার হাতল, সুইচ, লিফ্টের বাটন জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার রাখুন ও মাস্ক ব্যবহার করুন।

কোষ্ঠকাঠিন্যে থেকে নিস্তার পেতে ৩ অব্যর্থ ঘরোয়া উপায়

কোষ্ঠকাঠিন্যে থেকে নিস্তার পেতে ৩ অব্যর্থ ঘরোয়া উপায়


কোষ্ঠকাঠিন্যে থেকে নিস্তার পেতে ৩ অব্যর্থ ঘরোয়া উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপরিকল্পিত ডায়েট, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যা বংশানুক্রমিক। সময়মতো যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে এই সমস্যা কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই সময় থাকতেই এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি।
ওষুধপত্রের চেয়ে প্রকৃতিতে থাকা উপাদান এক্ষেত্রে অনেক বেশি কাজে দেয়। ভয় থাকেনা কোনও রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ারও। এবার জেনে নিন ৩টি আয়ুর্বেদিক উপায় যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্য দূর করতে একেবারে অব্যর্থ-
  
প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে একটি খোসাসহ গোটা আপেল খেয়ে নিন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় উপকার পাবেন।
  
রাতে ঘুমাতে যাবার আগে এক কাপ সামান্য উষ্ণ পানি খান। এই ভাবে উষ্ণ গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস হজমের সহায়তা করবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করবে।
  
একটি বড় এলাচ এক কাপ গরম দুধে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালবেলা এই এলাচটি থেঁতো করে দুধের সঙ্গেই খেয়ে ফেলুন। মারাত্মক রকমের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় সকালে আর রাতে একই ভাবে এলাচ-দুধ খান। উপকার পাবেন।

হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে টমেটো

হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে টমেটো


হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে টমেটো
করোনা আবহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বলছেন প্রত্যেকে। আমেরিকার আর্কাইভ অব বায়োফিজিক্স অ্যান্ড বায়োকেমিস্ট্রির গবেষণা বলছে, টমেটোতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। ফলে এগুলি মুক্ত মূলকের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে। এ ছাড়াও টমেটোতে ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম। একটি মাঝারি আকারের টমেটোতে থাকে মাত্র ২৫ ক্যালরি। টমেটো ফাইবার সমৃদ্ধ একটি সবজি। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-১২, ফোলেট, ক্রোমিয়াম এ সবই থাকে এতে। তাই পুষ্টিবিদরাও এই সবজি পাতে রাখতে বলছেন।

এই সবজিতে থাকে নানা রকমের ক্যারটিনয়েড। লাইকোপেন এবং বিটা-ক্যারোটিন। এই ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসগুলি ক্রনিক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়়াও এতে রয়েছে পটাসিয়াম। এটা মাঝারি আকৃতির টমেটোতে থাকে ৩০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম। এক কাপ টমেটোর রসে যার পরিমাণ ৫৩৪ মিলিগ্রাম। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং পেশীর কার্যকলাপের সঙ্গেও সম্পর্ক রয়েছে এই সবজির।
রক্ত চলাচলের ক্ষেত্রে জরুরি ভূমিকা রয়েছে লাইকোপেনের। এটি লিপিড পারঅক্সিডেশন কমায়। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) ও ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণও কমায় এটি। টমেটোর বিটা-ক্যারোটিন মেটাবলিক সিনড্রোমের সম্ভাবনা কমায়। এই দু’টি অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ছাড়াও নারিনজেনিন এবং ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড থাকে টোম্যাটোতে। যেগুলি ফ্রি র‌্যাডিকালের গতিবিধি কমায়।
 
জার্নাল অব দ্য ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট বলছে, প্রস্টেট, ফুসফুস, পাকস্থলী, কোলন, রেক্টাম, খাদ্যনালী, মুখগহ্বর, স্তন, সার্ভিক্সের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় টমেটোয় উপস্থিত লাইকোপেন। ‘’টোম্যাটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, কোলনের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। ক্যানসার প্রতিরোধী টমেটো রোজ খাওয়া যেতে পারে। তবে প্রচুর পরিমাণে নয়। কিডনির অসুখ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে টমেটো। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যার ক্ষেত্রেও এই সবজি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৪ দিনে বিমানবাহী রণতরীর আগুন নেভালো মার্কিন বাহিনী

৪ দিনে বিমানবাহী রণতরীর আগুন নেভালো মার্কিন বাহিনী


৪ দিনে বিমানবাহী রণতরীর আগুন নেভালো মার্কিন বাহিনীচার দিনের চেষ্টায় মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস বনোহোম রিচার্ডের আগুন নেভাভে সক্ষম হয়েছে দেশটির নৌবাহিনী। অগ্নি নির্বাপন বাহিনীর চার শতাধিক সদস্য রাত-দিন চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছে বলে এর আগে খবর এসেছিল।
আগুন নেভাতে বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার ও জাহাজ ব্যবহার করা হয়েছে।
এই অগ্নিকাণ্ডে রণতরীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোনো কোনো সূত্র বলছে, চার দিন ধরে আগুনে জ্বলার কারণে এটিকে হয়তো আর মেরামতের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করে তোলা যাবে না।
মেরামতের জন্য শিপইয়ার্ডে অবস্থান করার সময় এতে আগুন লাগে। মেরামত শেষে রণতরীটির এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান নিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে যাওয়ার কথা ছিল বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
গত রবিবার সান ডিয়াগো শিপইয়ার্ডে ইউএসএস বনোহোম রিচার্ডে প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটে, এরপর তাতে আগুন ধরে যায়। আগুন ধরার পর অন্তত ৬৩ জন আহত হয়েছে।
আগুন দ্রুতগতিতে জাহাজের টাওয়ারসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এসব তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন নৌ কর্মকর্তা রিয়ার এডমিরাল ফিলিপ সোবেক।
ইউএসএস বোনোহোম রিচার্ডে নৌবাহিনীর এক হাজার সদস্য থাকার কথা কিন্তু মেরামতের জন্য শিপইয়ার্ডে অবস্থান করায় জাহাজটিতে মাত্র ১৬০ জন ক্রু ছিলেন।
মার্কিন নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাহাজে আগুন লাগার পর গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

ভিক্ষে করে জমানো লাখ রুপি রোদে শুকাতে দিলেন বৃদ্ধা

ভিক্ষে করে জমানো লাখ রুপি রোদে শুকাতে দিলেন বৃদ্ধা


ভিক্ষে করে জমানো লাখ রুপি রোদে শুকাতে দিলেন বৃদ্ধা
মন্দিরে মন্দিরে ভিক্ষা করে দিন কাটে তার। কয়েকদিন আগে ভাঙা বাড়িতে বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়ে। পরে ঘর পরিষ্কার করে জমানো টাকা রোদে শুকাতে দেন তিনি। এরপরই গ্রামের সবার চোখে পড়েন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালার কোট্টায়ামে। খবর নিউজ ১৮’র।
জানা যায়, ২৫ বছর ধরে ভিক্ষে করে ওই বৃদ্ধা যা টাকা পেয়েছেন তা সবই এক পোটলায় রেখেছেন। রোদে শুকাতে দিলে পুলিশ সে টাকা গুনে ব্যাংকে তার নামে অ্যাকাউন্ট খুলে জমা দিয়ে দেয়। দেখা যায় ওই পোটলায় নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া নোটও ছিল। প্রায় ৩২ হাজার রুপির মতো অচল নোট পাওয়া যায়। বাকি ১ লাখ ১০ হাজার সচল রুপি পাওয়া যায়। না খেয়ে ২৫ বছর ধরে এই টাকা সঞ্চয় করেছেন ওই বৃদ্ধা। নিজেও জানতেন না কত রুপি জমেছে!