বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০২০

ট্রাম্প সরকারের রোষানলে পড়া টিকটক ক্রয়ে মাইক্রোসফটের উদ্যোগ

ট্রাম্প সরকারের রোষানলে পড়া টিকটক ক্রয়ে মাইক্রোসফটের উদ্যোগ


ট্রাম্প সরকারের রোষানলে পড়া টিকটক ক্রয়ে মাইক্রোসফটের উদ্যোগ
চীনের মালিকানাধীন ভিডিও অ্যাপ টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা/নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতেই টিকটকের ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে মার্কিন কোম্পানি মাইক্রোসফটসহ বিভিন্ন কোম্পানি। নিউ ইয়র্ক টাইমসসহ বেশ কিছু মার্কিন সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।
তবে মার্কিন কোম্পানিগুলোর সাথে চীনা কোম্পানি টিকটকের সে আলোচনার কতদূর অগ্রগতি হয়েছে তা জানা যায়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স লিমিটেডের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো।
এই আর্থিক লেনদেন বিলিয়ন ডলারের হবে বলেই ধারণা। 
সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও অভিযোগ করেন, মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে টিকটক। এ নিয়ে বলতে গিয়ে ভারতে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন তিনি। এর মধ্যেই শুক্রবার ট্রাম্প ঘোষণা দেন, আমেরিকায় টিকটকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা অনেকগুলো বিষয় নিয়ে ভাবছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী তা এখনো জানা যায়নি।

মঙ্গলগ্রহে কয়টি অভিযান সফল হয়েছে

মঙ্গলগ্রহে কয়টি অভিযান সফল হয়েছে

মঙ্গলগ্রহে কয়টি অভিযান সফল হয়েছে?
প্রায়ই বলা হয়ে থাকে যে মঙ্গলগ্রহে যত অভিযান হয়েছে তার প্রায় অর্ধেকই ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু ঠিক কতগুলো অভিযান সফল আর কতগুলো ব্যর্থ তার সঠিক খতিয়ান দেয়া কঠিন। কিন্তু কেন?
অভিযানের সংখ্যার একটা হিসাব হয়ত বিজ্ঞানীরা সহজেই দিতে পারবেন, শতকরা হিসাবও তারা দেবেন, কিন্তু সাফল্য আর ব্যর্থতা কোন্ মাপকাঠিতে হিসাব করা হবে সেটা নিয়েই বিজ্ঞানী মহলে রয়েছে আসল জটিলতা।
যেমন: ব্রিটিশ নভোযান বিগল-২ মঙ্গলের আবহাওয়া মণ্ডলে সফলভাবে ঢুকতে সক্ষম হয়েছিল ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। মঙ্গলের পৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণও করেছিল নভোযানটি। কিন্তু কয়েক বছর আগে জানা যায়, সফলভাবে পৌঁছনর সেই খবর বাড়িতে অর্থাৎ পৃথিবীতে পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হয় নভোযানটি। তাহলে এই অভিযান সফল না ব্যর্থ?
নাসার মার্স রিকনোসেন্স অরবিটার নামে পর্যবেক্ষণ নভোযানের পাঠানো ছবি থেকে দেখা যায় বিগল- টু নভোযানটির "পাপড়ি"র মত যে অংশগুলো অবতরণের সময় খুলে যাবার কথা ছিল সেগুলো খুলতে ব্যর্থ হয়। ওই পাপড়ির মত অংশগুলোতে সংযুক্ত ছিল সোলার প্যানেল। সেগুলো না খোলায় যোগাযোগ অ্যান্টেনাগুলো বন্ধ থাকে এবং পৃথিবীর সাথে নভোযানের যোগাযোগ পথ বন্ধ হয়ে যায়।
বিগল টু-নভোযান প্রসঙ্গে বলা হয় এই মহাকাশ মিশন মঙ্গলের পৃষ্ঠে অবতরণের সময় শুধু কিছু ঘষা খাওয়ার চিহ্ণ রেখে গেছে - এছাড়া এর কোন সাফল্য নেই। কিন্তু যানটি যে অক্ষত অবস্থায় অবতরণ করেছিল সেটাকে কি অন্তত আংশিক সাফল্য হিসাবেও ধরা যায়? বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ আছে।
কিংবা ধরুন রাশিয়ার মার্স-থ্রি নভোযানের কথা। মঙ্গল গ্রহে প্রথম সফলভাবে অবতরণ করেছিল এই নভোযানটি ১৯৭১ সালের দোসরা ডিসেম্বর। সেটাই মঙ্গলে প্রথম কোন নভোযানের অবতরণ। অবতরণের পরই সাথে সাথে সোভিয়েত নভোযানটি সেখান থেকে ছবি পাঠাতে শুরু করে পৃথিবীতে। মিশনের নিয়ন্ত্রকরা এই সাফল্যে তখন উল্লসিত হয়ে উঠেছিলেন।
কিন্তু মঙ্গলের পৃষ্ঠে মাত্র দু মিনিট যেতে না যেতেই নভোযানের কলকব্জা বিকল হয়ে যায়। সেই সময় একটা ভয়ঙ্কর রকম ধূলোর ঝড় বইছিল। ধারণা করা হয় নভোযানের কলকব্জা অকেজো হয়ে যাওয়ার কারণ ছিল ওই ধূলিঝড়।
কোন কোন বিজ্ঞানী মনে করেন ওই ধূলিঝড়ের কারণেই নভোযানের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা বিকল হয়ে যায় এবং পৃথিবীর সাথে নভোযানের যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়।
সোভিয়েত ইউনিয়ন এরপর আরও পাঁচবার মঙ্গলগ্রহে নভোযান পাঠানোর পর তাদের অভিযান আসল সাফল্যের মুখ দেখে।
তাহলে মার্স-থ্রি: সফল নাকি ব্যর্থ? এ নিয়েও সর্বসম্মত মতৈক্য হয়নি।
আরও একটি বিষয় আছে: মঙ্গল গ্রহে অভিযান আসলে কোন্ গুলোকে বলা হবে? ১৯৮৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন দুটি নভোযান পাঠায় -তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল মঙ্গলের দুটি চাঁদ ফোবোস এবং ডেইমোস সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা। যদিও পাশাপাশি গ্রহটি পর্যবেক্ষণ করে তথ্য আনাও ওই মিশনের অন্যতম আরেকটি লক্ষ্য ছিল।
একটি ভুলের কারণে ফোবোস-১ মঙ্গলের কাছে পৌঁছতে পারেনি। কয়েক মাস পর ফোবোস সম্পর্কে তথ্য আনতে আরেকটি নভোযান পাঠানো হয়েছিল, সেটিও মহাকাশে হারিয়ে যায়। ২০১১ সালেও ফোবোসে আরেকটি মিশন পাঠানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
অনেকেই প্রশ্ন তোলেন ফোবোসে পাঠানো নভোযানগুলো তো পাঠানো হয়েছিল মঙ্গলের চাঁদে। ফলে সেগুলোকে মঙ্গলের গবেষণা মিশন হিসাবে গণ্য করা কি সঠিক? অন্যরা বলেন - না মঙ্গল গ্রহ নিয়ে অভিযানের তালিকাতেই তাদের নাম ওঠানো উচিত। এ প্রশ্নের উত্তরও অস্পষ্ট। আপনার কি মনে হয়?
এছাড়া কিছু মিশন যেমন নাসার ডন এবং ইউরোপীয়ান মহাকাশ সংস্থার রোসেটা নভোযান তাদের "আসল" গন্তব্যে যাবার পথে মঙ্গল গ্রহকে ছুঁয়ে গেছে। তাহলে সেগুলোর নাম কোন্ তালিকায় ওঠা উচিত?
মঙ্গল অভিযান নিয়ে এরকম নানা ধোঁয়াশার কারণেই সম্ভবত মহাকাশ পর্যবেক্ষকদের কেউ কেউ বলেন "প্রায় অর্ধেক" অভিযান সফল হয়েছে আর বাকি অর্ধেক ব্যর্থ।
কিন্তু কোনগুলো আসল মঙ্গল গ্রহে অভিযান ছিল, আর কোনগুলো মঙ্গলের আশেপাশে কাজ করার জন্য পাঠানো হয়েছিল, সেটা নিয়ে তারা স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেন না।
তবে যেসব মিশনের নাম ব্যর্থ অভিযানের তালিকায় উঠেছে, সেগুলোর ব্যর্থতার কারণ ছিল মূলত কারিগরি ত্রুটি, সফটওয়্যারের সমস্যা এবং কোন কোন ক্ষেত্রে নিছক দুর্ভাগ্য।
তবে ১৯৯৮ সালে নাসা যখন মার্স ক্লাইমেট অরবিটার মিশন নামে একটি নভোযান মঙ্গল গ্রহে পাঠায়, তখন কোন্ পদ্ধতিতে তথ্য হিসাব করা হবে তা নিয়ে ঘটে এক নজিরবিহীন বিভ্রাট।। নভোযানের তথ্য মেট্রিক পদ্ধতিতে নথিভুক্ত হবে নাকি সনাতনী পদ্ধতিতে, মঙ্গলের কক্ষপথে নভোযানটি ঢোকার মুখে তা গুলিয়ে যায়।
ধারণা করা হয় এরপর, নভোযানটি হয় মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়া মণ্ডলে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়, নয়ত তথ্যবিভ্রাটে পড়ে সেটি সূর্যের কক্ষপথে ঢুকে পড়তে বাধ্য হয় এবং ধ্বংস হয়ে যায়।
অনেকে আবার মনে করেন, এই অভিযানের জন্য যে ব্যয় বরাদ্দ ছিল তার বাইরে আরও অতিরিক্ত কাজ করার চেষ্টা করা হয়েছিল এই অভিযানে। নাসার মূলমন্ত্র তখন ছিল তিনটি- দ্রুত কাজ, উন্নত কাজ ও সস্তায় কাজ। বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে ঠাট্টা করে বলতেন তিনটা একসাথে মেলানো অসম্ভব- যে কোন দুটো বেছে নেয়া উচিত।
তা সত্ত্বেও এবং কিছু ব্যর্থতার কথা বাদ দিলেও, মঙ্গল গ্রহ অভিযানে আমেরিকার সাফল্যের রেকর্ডই সবচেয়ে ভাল।
মঙ্গল গ্রহে ১৯৯৯ সালের পর নাসা যেসব নভোযান পাঠিয়েছে তার সবগুলোই শুধু যে সফল হয়েছে, তাই নয়, যে উদ্দেশ্যে সেগুলো পাঠানো হয়েছিল তার বাইরেও অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহে সেই মিশনগুলো অনেকদিন পর্যন্ত কাজ করে গেছে।
এই মুহূর্তে নাসা মঙ্গলে পাঠিয়েছে নভোযান পারসিভিয়ারেন্স। সংযুক্ত আরব আমীরাত আর চীনও মঙ্গলে তাদের নভোযান পাঠিয়েছে। এদের নাম সাফল্যের তালিকায় উঠবে না কি ব্যর্থ অভিযানের তালিকায়, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

ওয়াইফাই স্পিড বাড়ানোর উপায়

ওয়াইফাই স্পিড বাড়ানোর উপায়


ওয়াইফাই স্পিড বাড়ানোর উপায়!
তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় ইন্টারনেট এখন প্রায় নিত্যপ্রয়োজনীয়। অফিস হোক বা বাড়ি, সোশ্যাল মিডিয়া বা মেইল চেক করা, সব ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের প্রয়োজন। তাই বাড়িতে এখন ওয়াইফাই রাউটার বসানোর চাহিদা বাড়ছে। কারণ, একদিকে যেমন একাধিক ডিভাইস এক সঙ্গে কানেক্ট করা যায়, তেমন ঘরের যে কোন প্রান্তে বসে ইন্টারনেট সার্ফিং করা যায়। 
তবে রাউটার বসালেও বেশ কিছু কারণে ইন্টারনেটের স্পিড ভালো মেলে না। এই ৫টি বিষয় মাথায় রাখলে সহজেই ওয়াই-ফাই স্পিড অনেকটা বাড়িয়ে নেওয়া যায়। দেখুন সেই ৫টি উপায় কী কী...
১. রাউটার বাড়ির মাঝখানে রাখুন: 
সাধারণত কানেকশন নেওয়ার সময় তারের পরিমাণ কম রাখার জন্য জানালার পাশে ঘরের এক কোনে রাউটার রেখে দেওয়াই দস্তুর। সবচেয়ে ভালো কভারেজ পেতে রাউটারকে বাড়ির মাঝের ঘরে রাখুন। মনে রাখবেন, ওয়াই-ফাই ওমনি-ডাইরেকশনালি ছড়ায়। অর্থাৎ, চোঙ থেকে আওয়াজ যে ভাবে বার হয় অনেকটা সে রকমই রাউটারকে কেন্দ্র করে সিগনাল ছড়াতে থাকে। তাই এক কোনও রাখলে অর্ধেক সিগনাল বাড়ির বাইরে চলে যাবে। ফলে স্পিড এমনিতেই কম পাবেন।
২. চোখের উচ্চতায় রাখুন: 
মাটি থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় রাউটারটি বসালে সিগনাল সবচেয়ে ভালো মেলে। মোটামোটি নিজের চোখের উচ্চতায় রাউটার রাখুন। সিগনালে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন কোনও ডিভাইসের সঙ্গে রাউটার রাখবেন না। যেমন, কর্ডলেস ফোনের বেস, অন্য কোনও রাউটার, প্রিন্টার, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি।
৩.  কম ডিভাইস কানেক্ট করুন:
 
বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান বা পার্টি রয়ছে। বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়রা সকলেই আসছেন। ঠিক করলেন, বাড়ির ওয়াই-ফাই সকলের ব্যবহারের জন্য কানেক্ট করে দেবেন। সেই সঙ্গে নিজেও টুকটাক কাজ করে নেবেন। মনে রাখবেন এক সঙ্গে বেশি জিভাইস কানেক্ট করলে ওয়াই-ফাই স্পিড অত্যন্ত কমে যাবে। এখন বেশ কিছু রাউটারে ডিভাইস ব্লক করার অপশন রয়েছে। যদি দেখেন কোনও নির্দিষ্ট ডিভাইস বেশি ব্যান্ডউইডথ টেনে নিচ্ছে, তাকে ব্লক করুন। শুধুমাত্র ইন্টারনেট সার্ফ করার জন্য ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতে বলুন। যদি কেউ কিছু ডাউনলোড করতে চান, তাঁকে অপেক্ষা করতে বলুন বা নিষেধ করুন।
৪. রিপিটার কানেক্ট করুন: 
ওয়াই-ফাই স্পিড বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দেবে রিপিটার। বাজারে এবং অনলাইন শপিং সাইটে বহু রিপিটার পেয়ে যাবেন। দাম মোটামোটি ১০০০ টাকা থেকে শুরু। কনফিগার করাও খুব সহজ। বাড়িতে যদি পুরনো কোনও ভালো রাউটার থাকে সেটাও রিপিটার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এর জন্য সেটিং পেজে গিয়ে কনফিগার করতে হবে।
৫. USB রাউটার ব্যবহার করুন: 
রাউটার কেনার আগে দেখে নিন তাতে USB পোর্ট আছে কিনা। চেষ্টা করুন USB পোর্টযুক্ত রাউটার কিনতে। কারণ USB পোর্ট থাকলে তাতে এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভ কানেক্ট করতে পারেন। এটা নেটওয়র্ক স্টোরেজের মতো কাজ করতে সমস্ত কানেক্টেড ডিভাইজের জন্য। অথবা প্রিন্টারও কানেক্ট করতে পারেন। এতে কোনও একটি ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্ট করার প্রয়োজন পড়বে না। নেটওয়র্কে থাকা যে কোনও ডিভাইস থেকে প্রিন্ট দেওয়া যাবে। সাধারণত দেখা যায়, এ ধরনের রাউটার বেশ শক্তিশালী হয়। তাতে সিগনালও বেশ ভালো পাওয়া যায়।

সোমবার, ২০ জুলাই, ২০২০

৮৩ বছরের জন্য সাবস্ক্রিপশন ফ্রি দিচ্ছে নেটফ্লিক্স

৮৩ বছরের জন্য সাবস্ক্রিপশন ফ্রি দিচ্ছে নেটফ্লিক্স

৮৩ বছরের জন্য সাবস্ক্রিপশন ফ্রি দিচ্ছে নেটফ্লিক্স!
দারুণ এক অফার ঘোষণা করেছে নেটফ্লিক্স। ৮৩ বছরের জন্য বিনামূল্যে নেটফ্লিক্সের সব প্রোগ্রাম উপভোগ করতে পারবেন ইউজাররা! কিন্তু তার জন্য একটি শর্ত পূরণ করতে হবে। 
গত সপ্তাহে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য ওল্ড গার্ড’ ছবিটি। এটি আসলে একটি নেটফ্লিক্স অরিজিনাল শো। আর এই শো’কেই বিশেষভাবে সেলিব্রেট করতে গ্রাহকদের নেটফ্লিক্স অ্যাকাউন্ট ‘অমর’ করে ফেলার অফার দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য আপনাকে ‘দ্য ওল্ড গার্ড’ ভিডিও গেমটি খেলে শত্রুপক্ষকে হারাতে হবে। এবং নিজেকে ‘অমর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই হল শর্ত।

আর ভিডিও গেমপ্রেমীদের কাছে এমন অফার নিঃসন্দেহে লোভনীয়। কারণ গেমিংও যেমন উপভোগ করা যাবে, তেমনই তাতে জয়ী হলে একেবারে ৮৩ বছর নিখরচায় নেটফ্লিক্সের পর্দায় চোখ রাখা যাবে।
তবে অফারটি সীমিত। ইতিমধ্যেই অফারটি শুরু হয়ে গেছে। আজ ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে খেললে তবেই এই আকর্ষণীয় ফ্রি সাবস্ক্রিপশনের মালিক হওয়া যাবে। তবে তার জন্য আপনাকে সর্বোচ্চ স্কোর করতে হবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, অফারটি এখনো বাংলাদেশি বা ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য আনেনি নেটফ্লিক্স। আপাতত মার্কিন মুলুকের ইউজাররাই এই দুর্দান্ত সুযোগ পাচ্ছেন।

মঙ্গলের পথে আমিরাতের মহাকাশ যান ‘মিশন হোপ’

মঙ্গলের পথে আমিরাতের মহাকাশ যান ‘মিশন হোপ’

মঙ্গলের পথে আমিরাতের মহাকাশ যান ‘মিশন হোপ’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঐতিহাসিক একটি মহাকাশযান জাপান থেকে উৎক্ষেপণের পর এখন মঙ্গল গ্রহের পথে।
বিবিসি জানায়, মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ে পরীক্ষা করতে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিচ্ছে ‘মিশন হোপ’।

প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এর আগে দুবার প্রস্তুতির পরেও এ মিশনের উৎক্ষেপণ স্থগিত করা হয়েছিল।
মহাকাশযানটি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে পৌঁছাবে, যা কাকতালীয়ভাবে আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী।
মিশনটির বৈজ্ঞানিক দলের প্রধান সারাহ আল হামিরি মহাকাশযানটির সফল উৎক্ষেপণের পর স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, তার দেশের ওপর এর প্রভাব অনেকটাই ৫১ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের চাঁদে পা রাখার মতো। সেটিও ২০ জুলাই হয়েছিল।
সারাহ বলেন, ‘আজি আমি আনন্দিত যে আরব আমিরাতের শিশুরা ২০ জুলাই ঘুম থেকে উঠে তাদের নিজস্ব অভিযানটি দেখতে পাবে, যা নতুন একটি বাস্তবতা। এটি তাদের নতুন কিছু করতে উদ্বুদ্ধ করবে।’
আরব আমিরাতের এ মিশনটিসহ এ মাসেই তিনটি মিশন রওনা দিতে যাচ্ছে মঙ্গলে।
মহাকাশযান ডিজাইন ও নির্মাণ করার ক্ষেত্রে আরব আমিরাতের অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই। তারা এমন একটি কাজে হাত দিয়েছে যা এর আগে কেবল যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপ ও ভারত করতে পেরেছে।
তবে আরব আমিরাতের উচ্চাভিলাষ তাদেরকে চ্যালেঞ্জটি নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, মঙ্গল থেকে কীভাবে বাতাস কমে গেল কিংবা পানির বিষয়টি বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
তবে ‘মিশন হোপ’ আসলে পরিণত হবে অনুপ্রেরণার বাহন হিসেবে যা আরব আমিরাতসহ পুরো আরব অঞ্চলের তরুণদের বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে আকৃষ্ট করবে।
দেশটির সরকার বলছে, এ মহাকাশযাত্রা তেমন কিছু প্রকল্পের অংশ যা দেশটিকে তেল-গ্যাস নির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞানভিত্তিক সমাজের দিকে নিয়ে যাবে।

শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০

করোনাভাইরাস: মাস্ক পরার কথা মনে করাবে ফেসবুক

করোনাভাইরাস: মাস্ক পরার কথা মনে করাবে ফেসবুক


করোনাভাইরাস: মাস্ক পরার কথা মনে করাবে ফেসবুক
করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড পুরো বিশ্ব। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরতদের মাস্ক পরার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক।
সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি বিবৃতিতে ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় আমরা ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রামের ওপরে একটি এলার্ট রাখবো যাতে সবাইকে মুখ ঢাকার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া যায়।
ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয় যে করোনা প্রতিরোধে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পরামর্শ এবং বিভিন্ন পাবলিক হেলথ এজেন্সির লিংকও ব্যবহারকারীদের দেয়া হবে।
ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের ব্যবহারকারীদের জন্য এই সুবিধা দেয়ার চিন্তা রয়েছে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

লিঙ্কডইন ব্যবহারকারীদের উপর নজরদারি! তথ্য পাচারের শঙ্কা

লিঙ্কডইন ব্যবহারকারীদের উপর নজরদারি! তথ্য পাচারের শঙ্কা


লিঙ্কডইন ব্যবহারকারীদের উপর নজরদারি! তথ্য পাচারের শঙ্কা
ব্যক্তিগত তথ্য, সার্চ হিস্টরি ইত্যাদির উপর নজরদারি বা তথ্য হাতানোর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে একাধিক চীনা প্রতিষ্ঠানর বিরুদ্ধে। এবার একই অভিযোগ উঠেছে মার্কিন ব্যবসা এবং কর্মসংস্থান ভিত্তিক অনলাইন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা লিঙ্কডইন-এর বিরুদ্ধে! ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ রবিবার এ খবর প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, এই মার্কিন সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যে নজরদারির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। লিঙ্কডইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যবহারকারীদের আইফোন বা ম্যাকবুকপ্রো ব্যবহারকারীদের ক্লিপবোর্ড অ্যাকসেস করে তাঁদের ব্যক্তিগত মেসেজে পর্যন্ত আড়ি পেতেছে এই অ্যাপ।  
সম্প্রতি আইফোন ব্যবহারকারী এক লিঙ্কডইন ইউজারই টুইট করে গোটা বিষয়টি সামনে এনেছেন। যদিও এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে লিঙ্কডইন এটিকে একটি যান্ত্রিক ত্রুটি হিসাবেই ব্যাখ্যা করেছে। সংস্থা জানিয়েছে, দ্রুত নতুন আপডেটের মাধ্যমে এই ত্রুটি শুধরে নেওয়া হবে।

এবার বেলুনে পৌঁছে যাবে ৪জি ইন্টারনেট, বাতাসে ছুটবে নেট

এবার বেলুনে পৌঁছে যাবে ৪জি ইন্টারনেট, বাতাসে ছুটবে নেট

এবার বেলুনে পৌঁছে যাবে ৪জি ইন্টারনেট, বাতাসে ছুটবে নেট!
প্রযুক্তির উৎকর্ষের এ এক অসাধারণ সংযোজন। উঁচু উঁচু ওয়ারলেস টাওয়ার নয়। প্লেন বা কোনো স্পেসক্রাফ্টও নয়। রকেট! তাও নয়। ইন্টারনেট জগতে বাজিমাত করে দেবে বেলুন! বাতাসে ভেসেই ছড়িয়ে দেবে ইন্টারনেট সিগন্যাল। বিরাট এলাকা জুড়ে তৈরি হবে ইন্টারনেট সিগন্যালের বলয়। ছুটবে ৪জি স্পিডে। প্রত্যন্ত এলাকা যেখানে টাওয়ার বসানো প্রায় অসম্ভব, সেখানে বাতাসে ভাসতে ভাসতেই ইন্টারনেট পৌঁছে দেবে হিলিয়াম গ্যাসে ভরা এই বেলুন।
এমন উন্নত প্রযুক্তিই এনেছে গুগলের নিয়ন্ত্রণাধীন লুন এলএলসি। গুগলেরই মূল সংস্থা অ্যালফাবেটের অধীনস্থ লুন ইন্টারনেট অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকাগুলোতে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে। বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তর অর্থাৎ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে বেলুন উড়িয়ে ইন্টারনেট সিগন্যালের বলয় তৈরি করার এই প্রকল্পের নাম 'লুন ইন্টারনেট প্রজেক্ট'। নিউজিল্যান্ড, আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকার পরে এবারে এই প্রজেক্ট কেনিয়াতে।
৪জি ইন্টারনেট বেলুনের টেস্টিং শুরু হয়ে গেছে কেনিয়ার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে। প্রায় ৫০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ইন্টারনেট সিগন্যালের বলয় তৈরি করবে এই বেলুনগুলো। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার বা ১২.৪ মাইল উচ্চতায় ভেসে বেড়াবে। এখনো পর্যন্ত ৩৫ হাজার গ্রাহক এই ইন্টারনেট বেলুনের সুবিধা পেয়েছেন।
লুনের চিফ একজিকিউটিভ অ্যালাস্টার ওয়েস্টগ্রাথ বলেছেন, ৪জি স্পিডে কাজ করবে এই ইন্টারনেট। ভয়েস কল থেকে ভিডিও কল সবই করা যাবে। ফাইল ডাউনলোড, ইমেল, স্ট্রিম ভিডিও, নেট সার্ফিং সবই করা যাবে কোনো রকম বাফারিং ছাড়াই। এখনো পর্যন্ত কেনিয়ার নানা এলাকায় বেলুন থেকে ভেসে আসা ইন্টারনেটের ডাউনলোড স্পিড পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮.৯ এমবিপিএস (মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডে)। আপলোডের স্পিড প্রায় ৪.৭ এমবিপিএস।
ইন্টারনেট বেলুন কীভাবে কাজ করে?
বাতাসে বেলুন ভাসিয়ে গোটা পৃথিবীতেই ইন্টারনেট সিগন্যালের বলয় তৈরি করার চেষ্টা গুগলের দীর্ঘদিনের। ২০০৮ সাল থেকেই এই ইন্টারনেট বেলুনের প্রকল্প শুরু হয়ে গেছে। হিলিয়াম গ্যাসে ভরা বেলুন যা চলবে সৌরশক্তিতে। ট্রোপোস্ফিয়ারে যেহেতু বাতাসের গতি বেশি, ঝড়-বৃষ্টি, বিদ্যুতের চমক এই স্তরেই দেখা যায়, তাই এর ওপরের অপেক্ষাকৃত শান্ত স্তর স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বেলুন ভাসানোর জন্য। ১৮ থেকে ২৫ কিলোমিটার উচ্চতায় এই বেলুন ওয়ারলেস নেটওয়ার্কের মতো কাজ করবে। যেখানে বেলুন ভাসবে তার নীচে অন্তত ৪০ কিলোমিটার ব্যাসের পরিধি জুড়ে ইন্টারনেটের সিগন্যাল পাওয়া যাবে। যতবেশি বেলুন বেশি জায়গায় জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হবে, ততবেশি ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক পরস্পরের সঙ্গে জুড়ে গিয়ে ইন্টারনেট সিগন্যালের বড় বলয় তৈরি করবে। বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা মিলবে। নিরবচ্ছিন্নভাবে।
কিভাবে কাজ করবে এই বেলুন?
এই বেলুন তৈরি হয়েছে পলিইথিলিন প্লাস্টিক দিয়ে। এতে হিলিয়াম গ্যাস ভরা থাকবে। ১০ কিলোগ্রাম ওজনের একটা ছোট সার্কিট বক্স থাকবে বেলুনে। আর থাকবে কন্ট্রোল সিস্টেম, রেডিও অ্যান্টেনা, এবং একটি ইউবিকুইটি নেটওয়ার্ক 'রকেট এম২'। বেলুনের এই কন্ট্রোল সিস্টেম চলবে সৌরশক্তিতে। সূর্যের আলোয় প্রায় ১০০ ওয়াট শক্তি তৈরি হবে যা আন্যান্য বেলুনগুলোর মধ্যেও নেটওয়ার্ক তৈরি করবে। শক্তি স্টোর করে রাখার জন্য হাই-কোয়ালিটি ব্যাটারি থাকে যা রাতেও কাজ করবে। এর 'প্যাচ অ্যান্টেনা' ভূমি থেকে ২০ কিলোমিটার উচ্চতায় ইন্টারনেট সিগন্যালের বলয় তৈরি করবে।
এবার ইন্টারনেট পেতে গেলে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের যে জায়গায় বেলুন ভাসানো হবে সেখানকার বাতাসের মতিগতি বুঝতে হবে। অর্থাৎ বাতাসের বেগ এবং তার অভিমুখ জানতে হবে। সেই ডেটা লুনকে সরবরাহ করবে ন্যাশনাল ওসেনিক অ্যান্ড অ্যাটমস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ)। যে গ্রাহকরা বেলুন ইন্টারনেটের সুবিধা নেবেন তাদের বাড়িতে ইন্টারনেট অ্যান্টেনা লাগানো থাকবে। সিগন্যাল বেলুন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে গ্রাউন্ড স্টেশনে। এখানে থাকবে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) যা সিগন্যাল পৌঁছে দেবে ঘরে ঘরে।
২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে এই ইন্টারনেট বেলুনের পরিষেবা চালু করেছিল গুগল। পরের বছর ব্রাজিলে এই ইন্টারনেট বেলুনের টেস্টিং হয়। শ্রীলঙ্কাতে ২০১৫ সাল থেকেই ইন্টারনেট বেলুন পরিষেবা চালু করেছেন গুগলের লুন। নিউজিল্যান্ডের পরে শ্রীলঙ্কাই দ্বিতীয় দেশ যেখানে এখনো ইন্টারনেট বেলুনের মাধ্যমে নেট পরিষেবা দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায়।

স্বামী-স্ত্রীর ফোনে নজরদারির অ্যাপ-বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করল গুগল

স্বামী-স্ত্রীর ফোনে নজরদারির অ্যাপ-বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করল গুগল


স্বামী-স্ত্রীর ফোনে নজরদারির অ্যাপ-বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করল গুগল
স্ত্রী বা স্বামীর ফোনে নজর রাখতে অ্যাপ! এই সব বিজ্ঞাপন এবার নিষিদ্ধ করল গুগল। গুগলের এই নয়া পলিসি ১১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
গুগল তাদের নয়া পলিসি আপডেটে জানিয়ে দিয়েছে, এমন কোনো প্রডাক্ট বা পরিষেবার বিজ্ঞাপন তারা দেবে না, যার সাহায্যে কোনও ব্যবহারকারীকে না জানিয়ে তার উপর নজরদারি চালানো হয়। 
সঙ্গী বা সঙ্গিনীর স্মার্টফোনে আড়িপাতা যায়, এমন কোনো প্রযুক্তির বিজ্ঞাপন তারা আর দেবে না। এই নতুন নিয়ম জিপিএস ট্র্যাকারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
সংস্থা জানিয়েছে, বেসরকারি গোয়েন্দা পরিষেবা বা প্রযুক্তি যা অনেক সময় মা-বাবারা তাদের অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের ওপর নজর রাখতে ব্যবহার করেন, সেই সব বিজ্ঞাপন বন্ধ করা হচ্ছে না।
২০১৮ সালে 'ইকোসিস্টেম অফ ইন্টিমেট পার্টনার সার্ভেইল্যান্স স্পাইওয়্যার' নামে একটি সমীক্ষায় জানা যায়, স্ত্রীর ফোন ট্র্যাক করা বা স্বামীর ফোনে নজরদারি চালানোর মতো কয়েক হাজার গুগল অ্যাড আসলে খারাপ উদ্দেশ্যে ফোনে নজরদারি চালানোর জন্য তৈরি হয়। এই সংস্থাগুলোর উদ্দেশ্য থাকে ব্যবহারকারীর ফোনের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা।
সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত ও গোপন রাখা গুগলের বরাবরের নীতি। নতুন সার্চ ওয়ার্ড পরীক্ষা করে পলিসি ফের পরিবর্তন করা হবে।

ফেসবুকের নতুন ফিচার 'অ্যাভাটার', যেভাবে ব্যবহার করবেন

ফেসবুকের নতুন ফিচার 'অ্যাভাটার', যেভাবে ব্যবহার করবেন

ফেসবুকের নতুন ফিচার 'অ্যাভাটার', যেভাবে ব্যবহার করবেন

অ্যানিমেশন ফিচার চালু করেছে ফেসবুক। যার কাজ হলো অ্যানিমেটেড ছবি তৈরি করা। এ ফিচারের মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নিজের অ্যানিমেটেড অ্যাভাটার বা চরিত্র তৈরি করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে একটি চরিত্র ডিজাইন করার জন্য কয়েকটি মুখ এবং আউটফিটের বিকল্প থাকছে।
ব্যবহারকারীরা এ ফিচারে পাবেন নানা রকমের চুলের স্টাইল, মুখের শেপ এবং দারুণ দারুণ ড্রেসের বিকল্প। এ ফিচারটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ফেস স্টিকার তৈরি করে তা তাদের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবে।
যেভাবে অ্যাভাটার ব্যবহার করবেন-
ফেসবুক অ্যাপটি খুলে যে কোনো কমেন্ট বক্সে গিয়ে ইমোজি বাটনে ক্লিক করতে হবে।
কমেন্ট বক্স থেকে Create Your Avatars এ ক্লিক করতে হবে।
এবার অ্যাভাটার ক্লিক করলে নতুন পেজ খুলে যাবে। এখানে অ্যাভাটার অপশনে ক্লিক করে নিজের পছন্দ মতো কার্টুন ফেস বেছে নেওয়া যাবে। তার চোখ, নাক, ঠোঁট, চুল, ভ্রু, গোঁফ- সবই নিজের ইচ্ছে মতো সাজিয়ে নেওয়া যাবে।
ব্যবহারকারী নিজের পছন্দমতো পোশাকও বেছে নিতে পারবে।
অ্যাভাটার প্রস্তুত হয়ে গেলে নিজের তৈরি অ্যাভাটারটি প্রোফাইল ছবি হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পর চীনা কোম্পানি হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ করল ব্রিটেন

যুক্তরাষ্ট্রের পর চীনা কোম্পানি হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ করল ব্রিটেন


যুক্তরাষ্ট্রের পর চীনা কোম্পানি হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ করল ব্রিটেন
চীনের সঙ্গে ক্রমশ বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর সম্পর্কের অবনতি ঘটছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন চীনের সঙ্গে আর সুসম্পর্ক নেই তাদের। এবার ব্রিটেন চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েকে তাদের ফাইভজি নেটওয়ার্ক থেকে নিষিদ্ধ করেছে।
এর ফলে ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে ব্রিটেনের মোবাইল সরবরাহকারীরা হুয়াওয়ের ফাইভজি সরঞ্জাম ক্রয় করতে পারবে না। পাশাপাশি ২০২৭ সালের পর থেকে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর ফাইভজি কিট তাদের নেটওয়ার্ক থেকে সরিয়ে দিতে হবে। 
ডিজিটাল সেক্রেটারি ওলিভার ডাউডেন ব্রিটেনের সংসদের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। 
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রও একই পন্থা অবলম্বন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, হুয়াওয়ে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। যদিও হুয়াওয়ে বরাবরই এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

কাজ করছে না হোয়াটসঅ্যাপ, ভোগান্তিতে ব্যবহারকারীরা

কাজ করছে না হোয়াটসঅ্যাপ, ভোগান্তিতে ব্যবহারকারীরা

কাজ করছে না হোয়াটসঅ্যাপ, ভোগান্তিতে ব্যবহারকারীরা

অনেক ব্যবহারকারীই অভিযোগ করেছেন জনপ্রিয় চ্যাট অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ কাজ করছে না। তাদের অভিযোগ, তারা অ্যাপটির সংযোগ পাচ্ছেন না এবং নতুন ম্যাসেজ দেখতে পারছেন না। স্বাধীন বিপর্যয় পর্যালোচনাকারী সংস্থা ডাউন ডিটেক্টর মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপ কাজ না করার খবর নিশ্চিত করেছে। বিশ্বজুড়ে দশ হাজার ব্যবহারকারী হোয়াটস অ্যাপ চালাতে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। 

ব্রিটেনের স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের দিকে অনেকগুলো অভিযোগ একসাথে নথিভুক্ত করা হয়। যেসব ব্যবহারকারী অ্যাপসটি কাজ করছে না বলে অভিযোগ করেছেন তাদের ৮৮ শতাংশ  হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে যুক্ত হতে পারছেন না,৮ শতাংশ ম্যাসেজ পাচ্ছেন না এবং ১ শতাংশ নিজের ফেসবুকে লগ ইন করতে পারছে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অনেকেই জানিয়েছেন, অ্যাপসটি চালু করার সময় কানেক্টিং স্ক্রিন এসে আটকে যাচ্ছে এবং রিফ্রেশ করলেও নতুন মেসেজ আসছে না।
ডাউন ডিটেক্টর জানিয়েছে, মূলত যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ব্যবহারকারীরা সমস্যায় পড়েছেন বেশি। যুক্তরাজ্য থেকেই অন্তত ৬ হাজার রিপোর্ট পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর বিশ্বজুড়ে মোট অভিযোগকারীর সংখ্যা ৭৫ হাজারের বেশি। এর মধ্যে কেউ কেউ বলছে রাত থেকে আবার সমস্যা সমাধান হয়েছে তবে অন্যরা এখনো সমস্যায় ভুগছে। হোয়াটসঅ্যাপ কাজ না করায় বিষয়টি নিয়ে অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপের টুইটার অ্যাকাউন্টে অভিযোগ জানাচ্ছেন।

হ্যাকের শিকার ওবামা-বাইডেনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের টুইটার অ্যাকাউন্ট

হ্যাকের শিকার ওবামা-বাইডেনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের টুইটার অ্যাকাউন্ট


হ্যাকের শিকার ওবামা-বাইডেনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের টুইটার অ্যাকাউন্ট
বারাক ওবামা, জেফ বেজস, জো বাইডেনাসহ বিশ্বখ্যাত বেশ কয়েকজনের টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাকের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও অ্যাকাউন্ট হ্যাকের শিকার হয়েছেন মার্কিন র‍্যাপসংগীত শিল্পী কেনি ওয়েস্ট, দক্ষিণ আফ্রিকান প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এলন মাস্ক, মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রতিযোগী জো বাইডেন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, অনলাইন জায়ান্ট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস, বিলিওনিয়ার ওয়ারেন বাফেট, নিউইয়র্ক সিটির সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গের অ্যাকাউন্টও হ্যাকের শিকার হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৫ জুলাই) এই ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার এই খবর সামনে আসে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে  টুইটার কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে অ্যাকাউন্টগুলোর সুরক্ষা দেয়ার প্রতিশ্রতিও দিয়েছে সংস্থাটি। 
এ বিষয়ে তদন্ত ও অ্যাকাউন্ট সুরক্ষার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়ে টুইটারের অফিসিয়াল সাপোর্ট অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জো বাইডেনের হ্যাক করা অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট দেয়া হয়েছিল, নিচের লিংকে তোমরা তোমাদের সব বিটকয়েন দাও, আমি তা দ্বিগুন করে দিবো। যদি তোমরা ১ হাজার ডলার দাও, তাহলে ২ হাজার ডলার ফিরিয়ে দেয়া হবে। এবং এজন্য সময় লাগবে মাত্র ৩৯ মিনিট।
মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিলগেটসের হ্যাক করা অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট বার্তায় জানানো হয়, সবাই তাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি দেয়ার কথা বলছিল। যেখানে বলা হচ্ছিল তুমি ১ হাজার ডলার দিলে ঘণ্টাখানেক পরে ২ হাজার ডলার ফিরিয়ে দেয়া হবে।

স্থূলতার সমাধান ও সাধারণ কিছু টিপস

স্থূলতার সমাধান ও সাধারণ কিছু টিপস

স্থূলতার সমাধান ও সাধারণ কিছু টিপস
চৌধুরী তাসনীম হাসিন

মহামারীর এই দিনগুলোতে বা এর বাইরে নিজেকে সুস্থ রাখতে আমাদের দরকার বাড়তি সচেতনতা। চলুন জেনে নেই স্থূলতার সমাধান ও সাধারণ কিছু টিপস :
* পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী একটি ফিটনেস রুটিন এবং ডায়েট চার্ট মেনটেইন করুন।
* নিজেই ক্যালরি কাউন্ট করার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ পুষ্টিবিদের ডায়েট চাটের বাইরে কখন এবং কি পরিমাণ বাড়তি খাবার খেয়ে ফেলছেন তার চার্ট রাখুন। যা আপনার Maditation বাড়াতে সাহায্য করবে।
* Exerise-এর মাধ্যমে কতটুকু Calorie বার্ন করছেন আর কতটুকু Calorie শরীরে ঢুকছে তার একটি তুলনামূলক হিসাব রাখুন।
* প্রতি সপ্তাহে ১ দিন অথবা মাসে ২ দিন ওজন কমানোর খাদ্য তালিকা না মেনে স্বাভাবিক খাদ্যতালিকা মেনে চলুন। এতে সপ্তাহের বাকি দিনগুলো সহজেই নিজেকে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
* ঘুম থেকে উঠে বিছানায় শুয়েই কিছু হালকা ব্যায়াম করুন।
* চেষ্টা করুন প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১০ মিনিট করে ব্যায়ামের সময় বাড়াতে।
* ব্যায়াম করার সময় একজন উৎসাহী সঙ্গী জোগাড় করুন।
* যতটা সম্ভব লিফট ব্যবহার কম করুন এবং গাড়ি বাড়ি বা অফিস থেকে একটু দূরে রেখে কিছুটা হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছান।
* রাতের খাবারের অন্তত ২ ঘণ্টা পর ঘুমোতে যান এবং চেষ্টা করুন সে সময় একটু হাঁটাহাঁটি করতে।
* দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করুন।
* দৈনিক খাদ্যতালিকার বাইরে হঠাৎ কখনো খিদে পেলে সালাদ বা ফল জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন।

তেজপাতার ৫ ঔষধি গুণ

তেজপাতার ৫ ঔষধি গুণ

তেজপাতার ৫ ঔষধি গুণ
বিরিয়ানি হোক কিংবা পোলাও, তাতে অবশ্যই তেজপাতার ছোয়া থাকতে হবে। তেজপাতা ছাড়া রান্নার কথা চিন্তা করাই মুশকিল। শুধু রান্নায় নয়, তেজপাতা আরও নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। খাবার স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি ঔষধি গুণ থাকার কারণেও তেজপাতা কদর রয়েছে বিশ্বের বহু দেশে।
জেনে নিন তেজপাতা কোন কোন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
১. ঠান্ডা-কাশিতে 
ঠান্ডাজনিত যেকোনো রোগ, ফ্লু ও অন্যান্য সংক্রমণ রোধে লড়াই করে তেজপাতা। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হলে, পানিতে দু-তিনটি তেজপাতা দিয়ে ১০ মিনিট গরম করুন। এই পানিতে ভেজানো একটি কাপড় বুকের ওপর রাখুন। ফ্লু, ঠান্ডা ও কাশি থেকে আরাম পাওয়া যাবে। জ্বর সারাতেও সহায়তা করে তেজপাতা।
২. বদহজমে
তেজপাতা হজমক্রিয়া বাড়াতে সহায়তা করে। হজমক্রিয়ায় সমস্যা থাকলে তা সারিয়ে তোলে। বুক জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তেজপাতা দিয়ে গরম করা এক গ্লাস পানি পান করুন। স্বস্তি পাবেন।
৩. ডায়াবেটিসে
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় তেজপাতার কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তেজপাতায় রক্তে শর্করা বা চিনি, কোলেস্টেরল কমাতে ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সহায়তা করে। সর্বোচ্চ ফল পেতে তেজপাতা গুঁড়ো করে টানা এক মাস খেতে পারেন। তেজপাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হৃৎপিণ্ডের কার্যক্রম ভালো রাখে।
৪. ব্যথা উপশমে
তেজপাতার তেল বাতের ব্যথা, মচকানো, কোনো কিছুর চাপ লেগে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে বা যেকোনো সাধারণ বা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা উপশম করে। মাইগ্রেন ও মাথাব্যথায় কপালি তেজপাতার তেল মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।
৫. হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক রোধে 
তেজপাতায় এমন সব ভেষজ উপাদান আছে, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো রোগ প্রতিরোধ হৃদযন্ত্রকে রাখে নিরাপদ। বাড়ায় হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা।

মহামারীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় দারুচিনি

মহামারীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় দারুচিনি

মহামারীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় দারুচিনি!
ফাইল ছবি
দারুচিনিকে এতদিন আমরা খাবারেই ব্যবহার করে এসেছি। গরম মশলার অপরিহার্য পদ এই দারুচিনি। খাবারের সুগন্ধ বাড়াতেও এর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু এই দারুচিনিই যে আপনার শরীরের যাবতীয় ভাইরাস ধুয়ে মুছে সাফ করে দিতে পারে, তা কি জানতেন? গবেষণা ঠিক এই তথ্যই দিচ্ছে।
প্রাচীনকালে বহু ভাইরাস ধ্বংস করে দেওয়ার নজির দেখিয়েছে দারুচিনি। তাই সুগন্ধি এই পদকে শুধু খাবারে ব্যবহার করলেই চলবে না। গবেষকরা বলছেন, করোনারকালেও প্রতিষেধক হিসেবে কাজে আসতে পারে দারুচিনি। তবে খাবারের সঠিক পদ্ধতিটি জানতে হবে। কোন সময়ে, ঠিক কী ভাবে দারুচিনি খেলে তা শরীরের জন্য কাজে আসবে, জানতে হবে সে পদ্ধতিও। আবার বেশি পরিমাণে দারুচিনি খেয়ে ফেললেও হিতের বিপরীত হতে পারে। সেই দারুচিনি কীভাবে মানুষের শরীর ভালো করার কাজ করেছে? আর তা সঠিক ভাবে খাওয়ার পদ্ধতিটিই বা কী? চলুন জেনে নেই-
১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু ধ্বংস করতে কাজে এসেছিল দারুচিনি
১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারীর সময়ে যারা দারুচিনির কারখানায় কাজ করতেন, তাদের প্রায় কেউই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। অর্থাৎ খাওয়া তো অবশ্যই, দারুচিনির সংস্পর্শে থাকাটাও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, সেই সময় স্প্যানিশ ফ্লু নির্মূল করার অন্যতম সেরা ওষুধ ছিল দারুচিনির গুঁড়া। কেউ কেউ আবার দুধে সামান্য পরিমাণ দারুচিনি তেল ব্যবহার করেই সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে এইচআইভি, অ্যাডিনোভাইরাস ও হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের বিরুদ্ধেও দারুচিনি ব্যাপক ভাবে কার্যকারিতা দেখিয়েছে।
করোনায় যেভাবে উপকারী দারুচিনি
বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও বিশ্বের বেশ কিছু দেশে প্রতিষেধক হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে দারুচিনি। বিশেষ করে ডাক্তার থেকে শুরু করে গবেষকরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুচিনি খেতে বলছেন। তবে এখনও পর্যন্ত দারুচিনি করোনাভাইরাস ধ্বংস করতে পারে কি না, সেই বিষয়ে কোনও প্রমাণ না মিললেও ডাক্তাররা বলছেন সংক্রমণের তীব্রতা প্রতিরোধ করতে পারে দারুচিনি। তবে তা ঠিকঠাক পদ্ধতি মেনে খেতে হবে। আর কোন সময়ে খাওয়া হচ্ছে, এবং কতটা পরিমাণে দারুচিনি খাওয়া হচ্ছে তার উপরেও নির্ভর করছে এর গুণাগুণ।
​শরীর ভালো রাখতে কীভাবে সাহায্য করে দারুচিনি
দারুচিনি আসলে শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আমাদের শারীরিক প্রতিরক্ষার জন্য প্রদাহ গুরুত্বপূর্ণ হলেও প্রয়োজনাতিরিক্ত প্রদাহে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। আর সেটার পরিমাণই মূলত কমিয়ে দিতে পারে দারুচিনি। এই দারুচিনির মধ্যেই রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পলিফেনল ও প্রোঅ্যান্থোসায়ানাইডিন, যা কোনও ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। এছাড়াও দারুচিনি মেদ ঝরাতেও কাজে আসে। শ্বাসতন্ত্রের রোগ এবং হার্টের রোগ নির্মূল করতেও খুবই সহায়ক দারুচিনি। দারুচিনির অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল প্রপার্টি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
দারুচিনি খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি
দারুচিনিকে পানিতে সিদ্ধ করে অথবা গরম পানিতে দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে এর সঠিক উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দারুচিনির তেল ব্যবহার করা উচিত নয়। সিনামন অয়েল এত বেশি শক্তিশালী যে এক বা দুই ফোঁটার বেশি খেলে শরীরের ভেতর পুড়ে যেতে পারে। কোনও খাবারে ঠিক কতটা পরিমাণ সিনামন অয়েল মিশিয়ে খেলে শরীরের কোনও ক্ষতি হবে না, তা জানতে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

অল্প বয়সে চুল পাকাদের এই পাতা ব্যবহারেই সমাধান


অল্প বয়সে চুল পাকাদের এই পাতা ব্যবহারেই সমাধান
কর্মব্যস্ত জীবন। অবসাদ। স্ট্রেস। আর তার ফল অল্প বয়সেই চুল পেকে যাওয়া। অনেক ক্ষেত্রেই জিনগত কারণে অর্থাৎ পারিবারিক সূত্রে অল্পবয়সে চুল পেকে যাওয়ার ধাঁচ রয়েছে। কারও ক্ষেত্রে চুল পাকার মূলে রয়েছে পেটের সমস্যা। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। কিন্তু স্ট্রেস, ড্রায়ারের ব্যবহার, স্টাইলিং প্রোডাক্টের ব্যবহার, রোদে বেশি ঘোরাঘুরির কারণেও চুল পেকে যায়। এটি সহজেই আটকানো যেতে পারে।
প্রাথমিক পর্যায়ে অকালপক্কতা নিরাময়ের জন্য একটি পাতা অত্যন্ত কাজে আসে। সেটি কারি পাতা। এই কারি পাতা যদি চুলের গোড়ায় লাগানো যায়, তা পুষ্টি বৃদ্ধি করে। নতুন চুলও গজায়। চুলের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। তাই নিজেকে খানিকটা সময় দিতেই পারেন। বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন কারি পাতার হেয়ার মাস্ক।
এই হেয়ার মাস্কের জন্য প্রয়োজন
• দু টেবিল চামচ নারকেল তেল
•  ১০-১২টি কারি পাতা
পদ্ধতি
• নারকেল তেল গরম করে নিতে হবে প্রথমে। এরপরই বার্নার বন্ধ করে পাতাগুলো দিয়ে দিতে হবে। পাতার গন্ধ ও পুষ্টিগুণ যাতে পুরোপুরি তেলের সঙ্গে মিশে যায়, সেই সময়টুকু দিতে হবে। অন্তত ২০ মিনিট। এর পর তেল পুরোপুরি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ তেল ভাল করে মাথার চুলে ও চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করতে হবে।
• সারারাত সেই তেল মাথায় রেখে পরদিন শ্যাম্পু করা যেতে পারে। একই সঙ্গে পানি পাতিলেবু দিয়ে কন্ডিশনিংও করে নিতে হবে।
• ছুটির দিনে হাতে সময় অনেকটাই বেশি। সেক্ষেত্রে এই তেল মেখে তার পর কাজকর্ম সেরে গোসলের সময় মাথা ধুয়ে নিলেও উপকার মিলবে।
• আরও একটু বেশি ফল পেতে ধোওয়ার আগে চুলে ভিটামিন-ই তেল ব্যবহার করতে পারেন। চুল নরম হবে।
• বাড়িতে কারি পাতা থাকলে আজ থেকেই শুরু করে ফেলুন চুলের য্ত্ন নেওয়া।

এই পাঁচ রকম খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়

এই পাঁচ রকম খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়

এই পাঁচ রকম খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়!
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী না হলে অল্প অসুস্থতাতেও মানুষ খুব সহজে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোগের আক্রমণও জোরালো হয়। এক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন-যাপনের পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করছেন চিকিৎসকরা। তবে এমন পাঁচ রকম খাবার আছে যা দুর্বল করে দিতে পারে আপনার শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা।
মদ্যপান: 
মদ্যপানের অভ্যাস স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, এ কথা সকলেই জানেন। হেলথ ডট কম-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, যারা নিয়মিত মদ্যপান করেন তাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের চেয়ে দুর্বল হয়ে যায়। ফলে বেড়ে যায় একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি।
অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস: 
পুষ্টিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি বা ওই জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে। মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে। বেড়ে যেতে পারে ওজনও। আর ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকিও বেড়ে যাবে।
অতিরিক্ত লবন খাওয়ার অভ্যাস: 
মিষ্টির মতো অতিরিক্ত লবন খাওয়ার অভ্যাসও শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর! অতিরিক্ত মাত্রায় লবন খেলে বাড়ে রক্তচাপ। অতিরিক্ত লবন খাওয়ার অভ্যাসের ফলে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা মাথা চাড়া দিতে পারে। বাড়ে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকিও! অন্তত এমনটাই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত লবন খাওয়ার অভ্যাস শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে।
অতিরিক্ত ক্যাফিন জাতিয় পানীয় পানের অভ্যাস: 
অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যাফিন জাতীয় পানীয় পানের অভ্যাস শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে চা, কফি পানের অভ্যাস ঘুমের ব্যঘাত ঘটায়। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে হজমের সমস্যাসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
অতিরিক্ত সোডা বা এনার্জি ড্রিঙ্ক পানের অভ্যাস: 
অতিরিক্ত মাত্রায় সোডা বা এনার্জি ড্রিঙ্ক পানের অভ্যাস শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সোডা বা এনার্জি ড্রিঙ্ক পানের অভ্যাস স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, দুর্বল করে দেয় স্বাভাবিক হজম ক্ষমতা। ফলে হজমের সমস্যাসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

কিসমিস ভেজানো পানিতে এত উপকার

কিসমিস ভেজানো পানিতে এত উপকার

কিসমিস ভেজানো পানিতে এত উপকার?

কিসমিস শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায়। শুকনো কিসমিস খাওয়ার পরিবর্তে ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি। কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন কিসমিসের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই। এছাড়া কিসমিস হৃদয় ভালো রাখে। নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরল। কিসমিসে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ আছে। আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা সহজে রোগমুক্তির কারণ। আর আছে প্রচুর আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার।
ভেজানো কিসমিসের উপকারিতা-
কিসমিস খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় সারারাত কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভোরে সেটা খান। ভেজানো কিসমিসে থাকে আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার।  হাই ব্লাডপ্রেসারের সমস্যা থাকলেও এটি তা নিয়ন্ত্রণে রাখে। 
১. ব্লাড প্রেসার
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি কিসমিস। এর মধ্যে থাকা পটাসিয়াম হাই ব্লাড প্রেসার বশে রাখে।
২. রক্ত স্বল্পতা কমায়
রক্ত স্বল্পতা কমাতে কিসমিস যথেষ্ট উপকারি। নিয়মিত খেলে এর মধ্যে থাকা আয়রন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। এছাড়াও এর মধ্যে আছে তামা যা রক্তে লাল রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
৩. হজমশক্তি বাড়ায়
সুস্থ থাকার জন্য ভালো হজমশক্তি জরুরি। এক্ষেত্রে কিসমিস হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রোজ রাতে এক গ্লাস পানিতে কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভোরে সেই কিসমিস খান। নিজেই তারপর তফাত খেয়াল করুন দিন পনেরো পরেই।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়াতে চান তবে ভেজা কিসমিস এবং তার পানি নিয়মিত খান। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫. বিষমুক্ত শরীর
শরীরকে দূষণমুক্ত করতে কিসমিস খান নিয়মিত। চারিদিকের দূষণে আপনি যখন জেরবার তখন সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিস খেলে শরীর বিষমুক্ত হবে। ভেজানো কিসমিসের পাশাপাশি কিসমিস ভেজানো পানিও খেতে পারেন।
৬. কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়
নিয়মিত কিসমিস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। আপনি যদি পেটের সমস্যায় নিয়মিত ভোগেন তাহলে প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ভেজানো কিসমিস খান। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পান তারা ওষুধের বদলে নিয়মিত কিসমিস খেয়ে দেখতে পারেন।