শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

পুরুষের বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী ভুঁড়ি, দাবি গবেষকদের

পুরুষের বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী ভুঁড়ি, দাবি গবেষকদের

পুরুষের বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী ভুঁড়ি, দাবি গবেষকদের

পুরুষের বন্ধ্যাত্বের জন্য ভুঁড়িকেই অন্যতম প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করা হচ্ছে। ভুল খাদ্যাভ্যাস, খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম এবং অবৈজ্ঞানিক উপায়ে জীবনযাপনের কারণে দিন দিন পেটে জমা মেদই বাবা হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে দাবি গবেষকদের। 

সম্প্রতি কোপেনহাগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এক দল পুরুষদের মধ্যে একটি পরীক্ষা চালান। মোট ১৫ জন ওবেসিটিতে আক্রান্ত পুরুষের স্পার্ম নিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা দেখেন, ওবেসিটিতে আক্রান্ত পুরুষদের শুক্রাণুর জিনে খিদে নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বেশ দুর্বল হয়। স্পার্ম কাউন্টও কমে যায় এই ভুঁড়ি ও ওবেসিটি থেকেই। সেই সংখ্যা এতটাই কমের দিকে থাকে যে সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রশ্নচিহ্ন উঠে আসে।

পুরুষদের নানা শারীরিক কসরত ও নিয়মের মধ্যে রেখে ওবেসিটি তাড়ানোর পরে দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা করেন বিজ্ঞানীরা। তাতে দেখা যায়, স্পার্ম কাউন্ট যেমন বেড়েছে তেমনই স্পার্ম ঘন ও শক্তিশালী হয়েছে।

শুধু তাই-ই নয়, এর আগেও ২০১৬ সালে আর একটি পরীক্ষা করেছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই গবেষকরা। তাতে দেখা গিয়েছিল, ওবেসিটি আক্রান্ত বাবার স্পার্মের সঙ্গে সন্তানের শরীরে প্রবেশ করে মোটা হওয়ার জিন। এমন বাবার সন্তানরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মোটা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বেশির ভাগই ওবেসিটিতে আক্রান্ত। দ্বিতীয় পর্যায়ে এমন ছয়জন পুরুষের উপর গবেষণা চালানো হয়, যারা প্রত্যেকেই ওজন কমানোর জন্য সার্জারি করিয়েছেন। সার্জারির এক বছর পর তাদের স্পার্মের ডিএনএ-তে প্রায় ৫ হাজার রকম গঠনগত পরিবর্তনও হয়েছে। বেড়েছে খিদের উপর নিয়ন্ত্রণ। এবং অস্ত্রোপচারের পর নেওয়া এদের দ্বিতীয় সন্তানরাও ওবেসিটি মুক্ত।

কোপেনহাগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ‘‘চলতি ধারণা বলে, গর্ভবতী নারীদের নিজেদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হয়। মদ, ধুমপান থেকে শত হাত দূরে থাকতে হয়। কিন্তু আমাদের গবেষণা বলছে শুধু হবু মা নয়, সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য সাবধানে চলতে হয় হবু বাবাকেও।’’

স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ মার্থা হাজরার মতে, এই বিষয় নিয়ে এর আগেও নানা গবেষণা চলেছে। পুরুষ-নারী নির্বিশেষে ওবেসিটি সন্তান উৎপাদনের পথে অন্যতম বাধা। তবে অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষরা এই বিষয়ে খানিকটা উদাসীন থাকেন, সন্তান উৎপাদনের পথে যে তারাও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন এই সহজ বিজ্ঞান সম্পর্কে অনেকেই সচেতন নন। পেটের অতিরিক্ত মেদের কারণে পিতৃত্বের বা মাতৃত্বের স্বাদ থেকে বঞ্চিত থেকেছেন এমন দম্পতির সংখ্যাও কম নয়।’’

জেনে নিন সন্তানের উচ্চতা বাড়ানোর ৬টি কৌশল

  জেনে নিন সন্তানের উচ্চতা বাড়ানোর ৬টি কৌশল 


জেনে নিন সন্তানের উচ্চতা বাড়ানোর ৬টি কৌশল
সব মা-বাবাই চান তাদের সন্তান হৃষ্টপুষ্ট থাকুক, হোক লম্বা আর শক্তিশালী। কারণ এসবই সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ। শিশু সঠিকভাবে বাড়ছে কি না সেদিকে নজর রাখতে হবে মা-বাবাকেই। মা-বাবার তুলনায় যদি সন্তানের বৃদ্ধির গতি বেশি মনে হয় তবু তার বয়সী অন্য শিশুদের সঙ্গে তুলনা করে দেখুন। এমনও হতে পারে সে তার সমবয়সীদের তুলনায় লম্বা নয়।

সন্তানের উচ্চতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জিন। এটি একমাত্র ফ্যাক্টর নয় যা উচ্চতাকে প্রভাবিত করে। আশপাশের পরিবেশ, খাবার, শরীরচর্চা- এসবও শিশুর উচ্চতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জেনে নিন আপনার সন্তানের উচ্চতা বাড়ানোর ৬টি সহজ উপায়:-

সামগ্রিক বৃদ্ধির জন্য সুষম খাদ্য
সন্তানের উচ্চতা বাড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হল শরীরে সঠিক পুষ্টি পৌঁছানো। সুষম ডায়েটে সঠিক অনুপাতে প্রোটিন, শর্করা, চর্বি এবং ভিটামিনের মিশ্রণ হওয়া উচিত।

এছাড়াও আপনার সন্তানকে জাঙ্ক ফুড এবং কোমল পানীয় থেকে দূরে রাখুন। মাঝে মাঝে অল্প খেলে সমস্যা নেই; কিন্তু কোনওভাবেই যেন প্রতিদিন এসব না খায়।

জিঙ্ক আপনার সন্তানের বৃদ্ধিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। সুতরাং, চিনাবাদাম এবং স্কোয়াশ বীজের মতো দস্তা-সমৃদ্ধ খাবারগুলো তাদের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। ভারসাম্যযুক্ত ডায়েট আপনার সন্তানের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য সঠিক পুষ্টি সরবরাহ করবে না। তবে তাকে ভেতর থেকে আরও শক্তিশালী করবে।

শরীরচর্চা
অল্প বয়স থেকেই আপনার সন্তানকে কিছু সাধারণ শরীরচর্চা শেখানো উচিত। এটি তার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে সহজতর করবে। প্রসারিত মেরুদণ্ডকে দীর্ঘায়িত করতে এবং আপনার সন্তানের শারীরিক গঠন উন্নত করতে সহায়তা করে।

হ্যাংগিং
উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য হ্যাংগিং কয়েক দশক ধরে পরিচিত এক উপায়। এটি মেরুদণ্ডকে দীর্ঘায়িত করতে সহায়তা করে যা লম্বা হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। নিয়মিত হ্যাংগিং ছাড়াও আপনি আপনার সন্তানকে পুলআপ এবং চিনআপস করতেও বলতে পারেন। এ দুটি শরীরচর্চাই পিঠ এবং বাহুর পেশি শক্তিশালী করে তোলে।

স্কিপিং
স্কিপিং বা দড়ির লাফ একটি মজাদার শরীরচর্চা যা শিশুদের কাছে আরও বেশি খেলার মতো অনুভূত হয়, এটি হৃদপিণ্ডসহ পুরো দেহে কাজ করে এবং উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি একটি আশ্চর্যজনক কার্ডিও ওয়ার্কআউট, যা আপনার সন্তানকে সক্রিয় এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়তা করে।

সাঁতার
সাঁতার আরেকটি স্বাস্থ্যকর এবং মজার শরীরচর্চা যা আপনার সন্তানের সামগ্রিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি একটি পুরো শরীরের ব্যায়াম যা শরীরের সব পেশিতে কাজ করে। নিয়মিত সাঁতার কাটলে মেরুদণ্ড শক্তিশালী হয় এবং উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।

ভালো ঘুম
রাতে একটি ভালো ঘুম কেবল বড়দের জন্য নয়, শিশুদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সন্তানকে সুস্থ এবং শক্তিশালী রাখার জন্য প্রতি রাতে তার অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।

যেভাবে সহজেই দূরে রাখা যায় ক্যান্সারকে

 যেভাবে সহজেই দূরে রাখা যায় ক্যান্সারকে


যেভাবে সহজেই দূরে রাখা যায় ক্যান্সারকে
ক্যান্সার একটি মারণব্যাধি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে বিশ্বের ৯.৬ মিলিয়ন মানুষ ক্যান্সারের কবলে প্রাণ হারিয়েছেন। প্রত্যেক বছর নতুন করে ক্যান্সার আক্রান্ত হচ্ছেন তিন লাখ মানুষ।

অথচ প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় কিছুটা রদবদল করতে পারলে দূরে সরিয়ে রাখা যায় ক্যান্সারকে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক ক্যান্সার প্রতিরোধসহ আমাদের সামগ্রিকভাবে ভাল রাখতে সাহায্য করে এমন কিছু ফল ও সবজি সম্পর্কে। 

অবশ্য তালিকা মিলিয়ে নিয়ম করে প্রত্যেক দিনই যে এসব সবজি ও ফল খেতে হবে তা নয়, চেষ্টা করবেন প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় মৌসুমী সবজি ও ফল রাখার।

যেমন- কলা: সারা বছর পাওয়া যায়। অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে প্রতিদিন কলা খাওয়া যেতে পারে। সেলেনিয়ামের সক্রিয় যৌগের এক শক্তিশালী উৎস এই ফল। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে মজবুত করার পাশাপাশি ক্যান্সার কোষ বিনষ্ট করতে পারে ।

আপেল: দাম বেশি হলেও সারা বছরই এই ফল বাজারে মিলবে। এতে আছে প্রোসায়ানিডিনস, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে কার্যকর।

ডালিম বা বেদানা: এই ফলে থাকে ফলিফেনল নামে এক যৌগ, যা ক্যান্সার সৃষ্টকারী কোষ ধ্বংস করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে।  

কালো আঙুর: এতে আছে রেসভেরাট্রল, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে সামগ্রিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

কমলালেবু: এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ক্যান্সার ফাইটার। কমলালেবুর কোয়ায় থাকা ২_হাইড্রক্সিফ্ল্যাভনয়েড (২_এইচএফ) স্তন ও ফুসফুস ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে কার্যকর ভূমিকা নেয়।

কমলালেবুর রস নয়, লেবুর কোয়া চিবিয়ে খেলে তবেই ২_হাইড্রক্সিফ্ল্যাভনয়েড পাওয়া যাবে। সারা বছর কমলা লেবু পাওয়া যায় না। তাই যেকোনও লেবু, তা সে বাতাবি লেবু হোক বা পাতিলেবু, খেলে সামগ্রিক ইমিউনিটি জোরদার হয়।

টমেটো: এতে লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যান্সারের মহাশত্রু। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় টমেটো রাখতে ভুলবেন না।  

ব্রকোলি: আসলে বিলেতি এই সবজি এখন আমাদের দেশেও সূলভ। এই সবুজ রঙের সবজিটি ইনডোল-৩ কারবিনোল নামক ফাইটোকেমিক্যালসের এক অন্যতম ভাণ্ডার। এই উপাদানটি ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে পারে।

বিট: এতে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিটা সায়ানিন, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়।

নটে শাক: যার বিজ্ঞানসম্মত নাম অ্যামারান্থাস ভিরিডি‌ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্যান্সাররোধক।

বিট বা ব্রকোলি না পেলেও সূলভে বাজারে লাল বা সবুজ নটে শাক পাবেন। সপ্তাহে ৩/ ৪ দিন এই শাক খেলে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হবে।  

তবে শুধু ক্যানসার রোধক খাবার খেলেই চলবে না, সিগারেটসহ তামাককে জীবন থেকে বিদায় জানাতে হবে। ওজন ঠিক রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করা জরুরি। সেই সঙ্গে মন ভাল রাখাও জরুরি। কেননা, মানসিক চাপ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে কমলা

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে কমলা


ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে কমলা
জনপ্রিয় একটি ফল কমলা। কমলা এখন বিদেশি কোনো ফল নয়। ১০০ গ্রাম কমলাতে আছে ভিটামিন বি ০.৮ মিলিগ্রাম, সি ৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩০০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৩ মিলিগ্রাম। 

প্রতিদিন যতটুকু ভিটামিন সি প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই একটি কমলা থেকে সরবরাহ হতে পারে। কমলায় আছে শক্তি সরবরাহকারী চর্বিমুক্ত ৮০ ক্যালোরি, যা শক্তির ধাপগুলোর জন্য জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। কমলায় আছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা ক্যান্সার প্রতিরোধক, স্বাস্থ্যকর, রক্ত প্রস্তুতকারক এবং ক্ষত আরোগ্যকারী হিসেবে খুবই উপকারী। 

কমলা 'বি' ভিটামিন ফোলেটের খুব ভালো উৎস, যা জন্মগত ত্রুটি এবং হৃদরোগের জন্য ভালো কাজ করে। প্রতিদিনকার প্রয়োজনীয় পটাসিয়ামের সাত ভাগ পূরণ করা সম্ভব কমলা দিয়ে, যা শরীরের তরলের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রয়োজন।
কমলাতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্রি-র‌্যাডিকাল ড্যামেজ করে। ফলে ত্বকের সজীবতা বজায় থাকে। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিভিন্ন ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়তা করে। কমলায় উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন সেল ড্যামেজ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম থাকায় ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। পটাসিয়াম ইকেট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখে এবং কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম ভালো রাখতে সহায়তা করে। কমলাতে উপস্থিত লিমিয়েড মুখ, ত্বক, ফুসফুস, পাকস্থলীকে কোমল রাখে এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় ওজন কমাতেও সহায়তা করে।

সর্দি-কাশির সমস্যার সেরা সমাধান চকলেট : গবেষণা

সর্দি-কাশির সমস্যার সেরা সমাধান চকলেট : গবেষণা


সর্দি-কাশির সমস্যার সেরা সমাধান চকলেট : গবেষণা
মাঝে মধ্যে কয়েক পশলা বৃষ্টি আর তার দৌলতে ঘন ঘন তাপমাত্রার পরিবর্তনের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। ঠান্ডা-গরমে জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। তার উপর রয়েছে করোনার আতঙ্ক। এই সময় খুসখুসে কাশিতে অনেকেরই জীবন একদম অতিষ্ট হয়ে ওঠে।

এই সব সাধারণ অথচ কষ্টকর মৌসুমী সমস্যায় আমরা প্রায় সকলেই অ্যান্টিবায়টিক বা কাফ সিরাপের দ্বারস্থ হই। কিন্তু অ্যান্টিবায়টিকের প্রভাবে মুখে আর কোনও স্বাদ থাকে না, শরীরও দুর্বল হয়ে পড়ে। আর কাফ সিরাপে খুসখুসে কাশি সারতেও বেশ সময় লেগে যায়। তাই আপনি যদি চকলেট ভালবাসেন আর বাড়িতে চকোলেট থাকে, তাহলে অ্যান্টিবায়টিক বা কাফ সিরাপের আর প্রয়োজন হবে না। সর্দি-কাশির সমস্যায় চকলেট খেলেই কাজ দেবে।

অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই দাবি একদল ব্রিটিশ গবেষকদের। ইংল্যান্ডের ‘ইউনিভার্সিটি অব হাল’-এর হৃদরোগ ও শ্বাসযন্ত্র বিভাগের প্রধান অ্যালিন মরিস জানান, সর্দি-কাশির সমস্যা নিরাময়ে ওষুধের অন্যতম উপাদান কোকোয়া। তার মতে, বাজারে উপলব্ধ ডার্ক চকোলেটে কোকোয়ার পর্যাপ্ত উপস্থিতি সর্দি-কাশির সমস্যা নিরাময়ের ক্ষেত্রে সহজ সমাধান হতে পারে।

অধ্যাপক মরিসের মতে, চকোলেটে থাকা কোকোয়ার মধ্যে থিওব্রমিন নামে এক বিশেষ ধরনের উপাদান থাকে, যা খুসখুসে কাশির জন্য দায়ি পাতলা শ্লেষ্মাকে ঘন আঠালো আস্তরণে পরিনত করে। ফলে সমস্যা মিটে যায়। এছাড়াও চকোলেট গলার ভিতরে একটা আঠালো আস্তরণ তৈরি করে। ফলে আক্রান্ত স্নায়ুপ্রান্তগুলি ঢাকা পড়ে গিয়ে গলা খুসখুসের সমস্যা বন্ধ হয়ে যায়।

লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের বিজ্ঞানীদের মতে, সর্দি-কাশির ওষুধে ব্যবহৃত কোডিনের চেয়ে চকোলেটে থাকা কোকোয়ায় সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়। তাদের মতে, সাধারণ ওষুর চেয়ে কোকোয়া বেশি আঠালো হয়। তাই এটি গলার মধ্য তুলনামূলক পুরু আস্তরণ তৈরি করতে সক্ষম হয়। ফলে ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সর্দি-কাশির সমস্যা অনেকটাই সেরে যাবে।


মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০

কখন, কীভাবে রোদ থেকে বেশি পাবেন ভিটামিন ‘ডি’

কখন, কীভাবে রোদ থেকে বেশি পাবেন ভিটামিন ‘ডি’


কখন, কীভাবে রোদ থেকে বেশি পাবেন ভিটামিন ‘ডি’?

ভিটামিন ‘ডি’শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় একটি উপাদান। এর ঘাটতিতে অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। হাড়ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ-স্ট্রোক, প্রজনন সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম ও দৈহিক স্থূলতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভিটামিন ডি’র ঘাটতি থাকতে পারে।
ভিটামিন ‘ডি’ এর ঘাটতি বর্তমানে সারাবিশ্বের একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক সমস্যা।
ভিটামিন ‘ডি’র অন্যতম উৎস সূর্যের আলো। এছাড়া বিভিন্ন খাবারেও ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। তবে দেহের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি আসে সূর্যালোক থেকে। বাকি ২০ শতাংশ আসে বিভিন্ন খাবার থেকে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক- দিনের কোন সময়, কীভাবে সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ‘ডি’ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় এবং কারা সূর্য থেকে বেশি পরিমাণে এই ভিটামিন সংগ্রহ করতে পারে?
দিনের কোন সময় সূর্য থেকে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়?
দিনের ঠিক মাঝামাঝি সময়ে যখন সূর্য আকাশের সবচেয়ে উঁচু স্থানে অবস্থান করে, তখন শরীরের ত্বক সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ উৎপন্ন করে। তবে দীর্ঘ সময় প্রচণ্ড রোদে অবস্থান করলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
রোদে যেভাবে থাকলে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়
শরীরের যত বেশি অংশ খোলা রেখে রোদে থাকবেন তত বেশি ভিটামিন ‘ডি’ সূর্য থেকে পাওয়া যাবে। যেমন: শুধু হাত-মুখ খোলা রেখে রোদে অবস্থান করার চেয়ে পিঠসহ শরীরের অন্যান্য অংশ খোলা রাখলে আরও বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।
কারা সূর্য থেকে দ্রুত ভিটামিন ‘ডি’ পায়?
ত্বকের রং সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরিকে প্রভাবিত করে। ত্বকের রং যত গাঢ় (যদি ত্বকে বেশি মেলানিন থাকে), তা সূর্যালোক থেকে অতিবেগুনি রশ্মি প্রবেশে তত বেশি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। অর্থাৎ গায়ের রং যত কালো, তাকে তত বেশি সময় রোদে থাকতে হবে।
শ্বেত বর্ণের মানুষের শরীরের কৃষ্ণ বর্ণের মানুষের চেয়ে দ্রুত ভিটামিন ‘ডি’ উৎপন্ন হয়।

কাঁচা পেঁপের এত গুণ

কাঁচা পেঁপের এত গুণ


কাঁচা পেঁপের এত গুণ!
কাঁচা পেঁপে একটি বারোমাসি ফল। এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। নানা রোগের মহৌষুধ হিসেবে কাজ করে এই ফল।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা পেঁপের গুণাগুণ সম্পর্কে:-
১. কাঁচা পেঁপে দেহের সঠিক রক্ত সরবরাহে কাজ করে। দেহে জমা থাকা সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে যা হৃৎপিণ্ডের রোগের জন্য দায়ী। নিয়মিত পেঁপে খেলে উচ্চ রক্ত চাপের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
২. পেঁপেতে থাকা আঁশ ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি বা অম্লতা, পাইলস ও ডায়রিয়া দূর করতে পারে। মানুষের শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে পেঁপে দারুণ কার্যকর।
৩. যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারা কাঁচা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস শুরু করুন। খেতে পারেন কাঁচা পেঁপের জুসও। কাঁচা পেঁপে বা এর জুস রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। আর এটি শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ায়।
৪. কাঁচা পেঁপেতে নানা রকম প্রাকৃতিক এনজাইম থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি এনজাইম হচ্ছে সাইমোপ্যাপিন ও প্যাপিন। এই দুটি এনজাইম প্রোটিন চর্বি ও কার্বোহাইড্রেট ভাঙতে সাহায্য করে।
৫. নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেলে ত্বকের সমস্যা দূর হয়। বিশেষ করে ব্রণ এবং ত্বকের ওপর নানা দাগ দূর করতে পারে কাঁচা পেঁপে। মৃত কোষ সমস্যা দূর করতে পারে পেঁপে।
৬. যাদের পেটে গোলমাল দেখা দেয়, তারা সালাদ হিসেবে কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন। 
৭. প্রতিদিন দুপুর ও রাতে খাবারের পর এক টুকরো কাঁচা পেঁপে ভালো করে চিবিয়ে খান। তারপর এক গ্লাস পানি খেলে সকালে পেট পরিষ্কার হয়। এতে গ্যাস্ট্রিক ও বদহজমের সমস্যাও দূর হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করে আমলকি

কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করে আমলকি


কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করে আমলকি
আমলকি ভেষজ গুণে অনন্য একটি ফল। এর ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও আমলকি রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে দারুণ সাহায্য করে। আমলকির গুণাগুণের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এখন আমলকির নির্যাস ব্যবহার করা হয়।
আমলকিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে তিন গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলালেবুর চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।
 
চলুন জেনে নিই আমলকি খাওয়ার ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে-
১. আমলকি চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি
গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এটি চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।
২. আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।
৩. এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকি গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।
৪. আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকির আচার হজমে সাহায্য করে।
৫. প্রতিদিন সকালে আমলকির রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
৬. আমলকির রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ। চোখ চুলকানি বা পানি পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। আমলকি চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 
৭. প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে। আমলকির টক ও তেতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।
৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকি অনেক উপকারী। ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকির জুস উপকারী।
৯. শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে। এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকির আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে। শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।
১০. ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।

সহজ ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন হাঁটু, কনুইয়ের কালচে দাগ

সহজ ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন হাঁটু, কনুইয়ের কালচে দাগ


সহজ ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন হাঁটু, কনুইয়ের কালচে দাগ

আমরা প্রায় সকলেই মুখের ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকি। কিন্তু নিয়মিত পরিচর্যায় মুখের উজ্জ্বলতা বাড়লেও কনুইয়ের কালচে দাগ তোলার ব্যপারে আমরা অনেকেই উদাসীন। কনুইয়ের এই কালচে ভাব বেমানান আর দৃষ্টিকটূ। এই দাগ সহজে যেতেও চায় না। 
তবে এমন কয়েকটি ঘরে তৈরি প্যাক রয়েছে যেগুলি কাজে লাগিয়ে হাঁটু বা কনুইয়ের কালচে দাগ সহজেই দূর করা যায়। আসুন আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক-
১) চিনি আর পাতিলেবুর প্যাক:

উপকরণ: ১টি পাতিলেবু আর ১ চামচ চিনির রস।
পদ্ধতি: ১ চামচ চিনি পানিতে গুলিয়ে রস করে নিন। এবার ১টি পাতিলেবুকে সমান দু’ভাগে কেটে ফেলুন। এই অর্ধেক পাতিলেবুর মধ্যে চিনির রস দিয়ে কনুইয়ে ১০ মিনিট ভাল করে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এই ভাবে সপ্তাহে ২-৩ দিন করলে দ্রুত ফল পাবেন। এই পদ্ধতিতে ঘাড়, পিঠ বা হাঁটুর কালচে ভাবও দূর করা সম্ভব।

২) দই, বেসন ও পাতিলেবুর প্যাক:
উপকরণ: ১ চামচ বেসন, ১ চামচ টকদই, ১ চামচ পাতিলেবুর রস আর ১ চামচ চিনি।
পদ্ধতি: সবকটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে কনুইয়ে অন্তত ১০ মিনিট মালিশ করুন। তারপর ৫ মিনিট রেখে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এই ভাবে সপ্তাহে ২ দিন করলে দ্রুত ফল পাবেন।

৩) চিনি আর অলিভ অয়েল:
উপকরণ: ১ চামচ চিনি আর ১ চামচ অলিভ অয়েল।
পদ্ধতি: চিনির সঙ্গে অলিভ অয়েল ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে কনুইয়ে ১০ মিনিট ভাল করে মালিশ করুন। তারপর ৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক আপনি স্ক্রাবিং করার জন্য হাত-পায়ের যে কোনও অংশেই ব্যবহার করতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে উপাদানগুলির পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে হবে।

এক বছর মাংস না খেলে কেমন হবে শারীরিক অবস্থা

এক বছর মাংস না খেলে কেমন হবে শারীরিক অবস্থা


এক বছর মাংস না খেলে কেমন হবে শারীরিক অবস্থা!

প্রতিদিন না হলেও কারও কারও সপ্তাহে তিন-চার দিন মাছ-মাংস ডায়ের্ট চার্টে থাকে। তবে কখনও যদি কেউ টানা একবছর মাংস না খায় তাহলে কী হতে পারে তা কি কখনও ভেবেছেন? চলুন আজ জেনে নিব যদি টানা একবছর কেউ মাংস না খায় তবে তার শারীরিক অবস্থা কেমন হবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এক বছর মাংস না খেয়ে শুধু ভাত-ডাল শাকসবজি, ফলমূলের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকা যায়, তবে অন্তত ওজন গড়ে দশপাউন্ড করে কমে যাবে। 
কোলেস্টেরল, রক্তচাপ, হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেক নিয়ন্ত্রণে থাকবে। দেখা যাচ্ছে শাকাহারিদের মধ্যে এই রোগের সম্ভাবনা অনেক কম। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কয়েক গুণ কমবে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু এর একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর প্রসেসড মিট। যারা বেকন, সসেজ, সালামিতে ডুবে রয়েছেন তাদের ডায়াবিটিস, ক্যানসার সম্ভাবনা খুবই বেশি। কাজেই মাংস থেকে দূরে থাকলে এই ভয়গুলো থেকেও মুক্তি। 

ফুসফুস ভাল রাখে যে খাবার

ফুসফুস ভাল রাখে যে খাবার


ফুসফুস ভাল রাখে যে খাবার
ফুসফুস সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে খাদ্য। বয়স বাড়ার কারণে, অত্যধিক পরিবেশ দূষণ এবং বিভিন্ন অসুখ-বিসুখের ফলে যাদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে গেছে, তাদের খাবারের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
আমেরিকান লাং অ্যাসোসিয়েশনের বরাত দিয়ে স্বাস্থ্য ও জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। কারণ কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার পরিপাকের সময় বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড তৈরি করে এবং উপকারী ফ্যাট জাতীয় খাবার পরিপাকের সময় কার্বন ডাই-অক্সাইড কম পরিমাণে তৈরি করে। ফলে সুস্থ থাকে ফুসফুস।
চলুন, রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ফুসফুসকে সুস্থ রাখার জন্য কী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত তা দেখে নেওয়া যাক।
পানি
ফুসফুসের স্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখতে প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার বা তার বেশি পানি পান করুন। এতে ফুসফুসের রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকে এবং শ্লেষ্মা পাতলা থাকে। ফলে দূষিত পদার্থ ও জীবাণু হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বের করে দিতে সুবিধা হয়।
গ্রিন টি
গ্রিন টি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি পানীয়। এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ফুসফুসের প্রদাহ কমায় ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। ২০১৭ সালের এক গবেষণার প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোরিয়ার এক হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন দুই কাপ করে গ্রিন টি পান করতেন। অন্যদের তুলনায় সেই ১০০০ জনের ফুসফুসের কার্যকারিতা অনেক ভালো ছিল। তাই রোজ দুই কাপ করে গ্রিন টি পান করুন।
মাছ
গবেষণায় দেখা গেছে, ফ্যাটি এসিডযুক্ত সামুদ্রিক মাছ ফুসফুসের কার্যক্ষমতাকে অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে। ম্যাকারেল, ট্রাউট, হেরিংয়ের মতো মাছ সিওপিডি রোগের চিকিৎসায় সহায়তা করতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব রচেস্টার স্কুল অব মেডিসিন অ্যান্ড ডেন্টিস্ট্রির গবেষকদের মতে, মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ফুসফুসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। তাই সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন পাতে মাছ রাখুন।
কাঁচা হলুদ
হাজারেরও বেশি বছর ধরে এশিয়ায় হলুদের ব্যবহার শুধু মশলা হিসেবেই নয়, ঔষধি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কারকিউমিন ফুসফুসকে দূষিত পদার্থের প্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমায়। রোজ সকালে কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেতে পারেন। শুধু হলুদ না খেতে চাইলে মধু ও হলুদ একসঙ্গেও খেতে পারেন।
রসুন ও আদা
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খেতে পারেন আদা ও রসুন। এগুলোতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ফুসফুসকে ভালো রাখতে এবং ফুসফুস থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ফুসফুসের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
ব্রকলি
ব্রকলিতে থাকা সালফোরাফেন, অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করে এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। তাই রোজকার খাবারের পাতে অবশ্যই রাখুন ব্রকলি।
তুলসী পাতা
তুলসী পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ফুসফুসের সুরক্ষার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে। বাতাসে ভেসে থাকা দূষিত পদার্থ নিঃসরণ করতে তুলসী পাতা সহায়তা করে। তাই রোজ সকালে তুলসী পাতা চিবিয়ে বা এক টেবিল চামচ রস বের করে খেতে পারেন।
ফল ও শাকসবজি
বেদানা, আপেল, আঙুর, কমলালেবু, পেয়ারা, গাজর, বিনস, শসা, কুমড়ো ইত্যাদি ফল ও শাকসবজি ফুসফুসের স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এগুলোতে থাকা ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ফ্ল্যাভোনয়েড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই রোজ শাকসবজি খান এবং খাবারের পরে ফল খান।
এছাড়া অলিভ অয়েল, বাদাম ও বীজজাতীয় খাবার, পেঁয়াজ, দুধ ও ডিম ইত্যাদি খাবার ফুসফুসের যত্ন নিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

ওজন কমায় পেঁপে

ওজন কমায় পেঁপে

ওজন কমায় পেঁপে
পেঁপে স্বাদে অতুলনীয়। পেঁপে খেলে ওজন কমে, ত্বক পরিষ্কার হয়। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আর নানা উপকারী উপাদানে ভরপুর পেঁপে খেলে একদিকে স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকে, তেমনি চুল আর ত্বকের জন্যও উপকারী। খাবারে তাই পেঁপে রাখাটা জরুরি।
ওজন কমায় পেঁপে
মাঝারি আকারের একটি পেঁপেতে মাত্র ১২০ ক্যালরি থাকে। এ ছাড়া এর যে পাচক তন্তু থাকে, তা হজমে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিসে উপকারী
পেঁপে খেতে মিষ্টি স্বাদের হলেও এতে চিনির পরিমাণ কম থাকে। এক কাপ টুকরো করা পেঁপেতে ৮ দশমিক ৩ গ্রাম চিনি থাকে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধক উপাদান আছে পেঁপেতে।
চোখের জন্য দরকারি
পেঁপেতে আছে ক্যারোটিনাইডস নামের উপাদান, যা চোখের জন্য উপকারী। পেঁপেতে টমেটো বা গাজরের চেয়েও বেশি ভিটামিন এ আছে। এ ছাড়া চোখের মিউকাস মেমব্রেনকে সবল করতে ও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে যে ধরনের উপাদান দরকার, পেঁপেতে তা অধিক পরিমাণে থাকে।

ত্বকের সুরক্ষায়
ভিটামিন ‘এ’ আর প্যাপিন নামের উপাদান আছে পেঁপেতে, যা শরীরের ত্বকের মৃত কোষগুলো সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। শরীরের নিষ্ক্রিয় প্রোটিন ভেঙে ফেলে এবং কম মাত্রায় সোডিয়াম ত্বককে আর্দ্র রাখে।
হজমি গুণ
পেঁপেতে প্যাপিন এনজাইম থাকায় তা খাদ্যের বিপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এটি মাংস নরম করতেও ব্যবহৃত হয়। এতে তন্তু ও পানির পরিমাণ বেশি থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০২০

ধনীদের মহাকাশ ভ্রমণের জন্য তৈরি হলো যে বিলাসবহুল মহাকাশযান

ধনীদের মহাকাশ ভ্রমণের জন্য তৈরি হলো যে বিলাসবহুল মহাকাশযান


ধনীদের মহাকাশ ভ্রমণের জন্য তৈরি হলো যে বিলাসবহুল মহাকাশযান
মহাকাশ পর্যটন ব্যবসাকে ধনীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে বিলাসবহুল মহাকাশযান তৈরি করল ভার্জিন গ্যালাক্টিক হোল্ডিং ইনকর্পোরেশন। মহাকাশ পরিবহনে পরিচিত নাম, ভার্জিন গোষ্ঠীরই একটি শাখা ভার্জিন গ্যালাক্টিক মহাকাশ পর্যটনশিল্প পরিচালনা করে। 
এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের নতুন ভার্জিন গ্যালাক্টিক মহাকাশযান বা ভিএসএস ইউনিটি'র উদ্বোধন করেছে এই কোম্পানি। ভার্জিনের প্রতিষ্ঠাতা তথা ব্রিটেনের নব শিল্পোদ্যোগী রিচার্ড ব্র‌্যানসন বললেন, ‘‌যখন প্রথমে আমরা ভার্জিন গ্যালাক্টিক শুরু করেছিলাম, তখন আমরা বিশ্বাস করতাম গ্রাহকদের অভিজ্ঞতার উপর, তারপর আমরা মহাকাশযান তৈরি করলাম।’‌
এই মহাকাশযানের কেবিনটিই তাদের পর্যটক টানার মূল আকর্ষণবিন্দু বলে মনে করছে ভার্জিন গ্যালাক্টিক। তবে এই মহাকাশ ভ্রমণ শুধুমাত্র ধনীদের পক্ষেই সম্ভব। কারণ এর টিকিটের দাম জন প্রতি ২,৫০,০০০ মার্কিন ডলার। কেবিনের ভিতর প্রত্যেক পর্যটক পরস্পরকে বিরক্ত না করে নিভৃতে এবং নিরাপদে বসে ব্রহ্মাণ্ডের রহস্য দেখতে পারবেন। চলতি বছরের শেষেই মহাকাশ পর্যটকদের প্রথম দল নিয়ে যেতে ইচ্ছুক ভার্জিন গ্যালাক্টিক। 
পর্যটকদের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয় সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে ওয়াল ডিজনি কোম্পানির এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে তাদের নতুন সিইও হিসেবে নিয়োগ করেছে ভার্জিন গ্যালাক্টিক। ভিএসএস ইউনিটি একটি বিশাল বিমানে করে মহাকাশে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে। আকাশের ৪৫,০০০ ফুট উচ্চতায় বিমানের ক্যারিয়ার মহাকাশযানটি ফেলবে শূন্যে। তারপর এর রকেট ইঞ্জিন চালু হয়ে যাবে। এতে দুজন পাইলট ছাড়া ছয়জন যাত্রী যেতে পারেন। পৃথিবী থেকে ৬৮ মাইল উপরে। নাসার গণনা অনুযায়ী পৃথিবী থেকে ওই দূরত্বই মহাকাশ।

নতুন গেমিং মোড নিয়ে এলো পাবজি মোবাইল

নতুন গেমিং মোড নিয়ে এলো পাবজি মোবাইল

নতুন গেমিং মোড নিয়ে এলো পাবজি মোবাইল
রহস্যময় এক পুরনো সভ্যতার থিমে সম্পূর্ণ নতুন গেম ইভেন্ট এবং আকর্ষণীয় পুরস্কারসহ প্লেয়ারদের জন্য একটি নতুন এনশিয়েন্ট সিক্রেট মোড আপডেট উন্মোচন করেছে পাবজি মোবাইল। একইভাবে নতুন অ্যারিনা গেমপ্লে- টিম গান গেম এবং হিট অ্যারিনা প্লেলিস্টের লাইব্রেরি ম্যাপে নতুন ফাস্ট-পেসড কন্টেন্ট নিয়ে আসা হয়েছে। প্লেয়াররা আজ থেকেই নতুন এই মোড এবং আপডেটের এক্সপেরিয়েন্স নিতে পারবেন।
এনশিয়েন্ট সিক্রেট স্পেশাল মোড 
নতুন এই এনশিয়েন্ট সিক্রেট থিমের গেমপ্লেটি মোড সিলেকশন স্ক্রিনের মাধ্যমে মূল মেন্যু থেকে বাছাই করা যাবে। যারা নতুন এই মোডটি অ্যাক্টিভেট করবেন তারা একটি অতিপ্রাকৃত শব্দে মিরামার এবং ইরাঙ্গেল এর ওপর ‘এনশিয়েন্ট সিক্রেট’ ভবন তৈরি হওয়া দেখতে ও উপভোগ করতে পারবেন। দুইতলা বিশিষ্ট বিশাল ভবনের গ্রাউন্ড-লেভেলে শুরু হয় এই গেমটি, এরপর প্লে সার্কেল অনুযায়ী গেমটি চলতে থাকে। ঐতিহাসিক এই কাঠামোতে আরও বেশ কিছু মজার ফিচারের অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে। যার মধ্যে রয়েছে- 
* নিউ বস ব্যাটেল: দ্বিতীয় তলার একটি বদ্ধ রুমে একজন গোপন বস অপেক্ষা করে, যার কাছে আছে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে আসা প্লেয়ারদের জন্য মূল্যবান সব পুরস্কার।
* স্মল রুইন্স এনভায়রনমেন্ট: প্লেয়াররা ছোট্ট ধ্বংসাবশেষে ঢুকবে, যা ম্যাপজুড়ে ছড়িয়ে থাকে এবং এতে লুকানো আছে বক্স ও ধাঁধা।  
* কঠিন ধাঁধা: প্লেয়াররা এখন থেকে এই নতুন ইন্টারেক্টিভ এনশিয়েন্ট স্লেট (কঠিন) পাজল এর মাধ্যমে নিজেদের বুদ্ধিমত্তা যাচাই করতে পারবে। 
নতুন এই পরিবেশে প্লেয়ারদের মুগ্ধ করার জন্য চমৎকার এবং স্টাইলিশ ফারাও এক্স-স্যুট সেট আনলক করার সুযোগ রাখা হয়েছে। আরও থাকছে ওয়ারিয়র অব রা, ওয়ারিয়র অব নাট, আন্ডারওয়ার্ল্ড গাইড এবং মমি কস্টিউম। এই প্রথমবারের মতো প্লেয়াররা ছয় লেভেল পর্যন্ত আউটফিট আপগ্রেড করার সুযোগ পাবেন। সঙ্গে মিলবে আরও বেশ কিছু সুবিধা যেমন: আউটফিট পরিবর্তনের জন্য আপগ্রেড, এক্সক্লুসিভ এন্ট্রি ইমোটস, আউটফিট-এক্সক্লুসিভ লবি ইমোটস, টিমমেট ইন্টেরাকশন ইমোটস অ্যান্ড আইটেম শেয়ারিং, স্প্যান আইল্যান্ড অ্যান্ড কিল এনাউন্সমেন্ট স্পেশাল এফেক্ট। 
প্রতিটা আউটফিটে একটি অনন্য এবং এক্সক্লুসিভ ট্রেজার ক্রিয়েট আছে যা প্লেয়ার চাইলে অতিরিক্ত পুরস্কার হিসেবে আনলক করতে পারে। এখানে অন্যান্য আউটফিটের পরিবর্তে ফারাও কয়েন, গোল্ডেন ফারাও এক্স-স্যুট আপগ্রেড করার জন্য ম্যাটেরিয়েল সহ আরও অনেক কিছু আছে। প্লেয়াররা ইউসি অথবা সিলভার ফ্র্যাগমেন্ট ব্যবহার করে লাকি ড্র করতে পারে।
নিউ অ্যারিনা গেমপ্লে
অল-নিউ টিম গান গেমটি শুরু হয় অস্ত্রশস্ত্রসহ রণক্ষেত্র আকারে, যেখানে চারজন প্লেয়ারের বিরুদ্ধে চারজন প্লেয়ার যুদ্ধ করে। এই মোডে অ্যারেনা শুরু হওয়ার সাথে সাথে কিছু স্টার্টিং ওয়েপন পাওয়া যাবে। প্লেয়াররা প্রতিপক্ষকে পরাজিত করার সাথে সাথে তাদের অস্ত্রগুলো ধীরে ধীরে আপগ্রেড হতে থাকবে। শেষের ওয়েপন হবে পাবজি মোবাইলের বিখ্যাত প্যান এবং যে দল আগে প্যান জোগাড় করতে পারবে, সেই দল ম্যাচ জিতবে। টিম গান গেমটি খেলা যাবে প্রতি সপ্তাহান্তে শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত ।
প্লেয়াররা নতুন লাইব্রেরি ম্যাপে টিম গান গেমটি উপভোগ করতে পারবে। পাবজি মোবাইল প্রথমবারের মতো ইনডোর ম্যাপ নিয়ে এসেছে, যেখানে লাইব্রেরির তিনটি আক্রমণ রুটের সঙ্গে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ বিন্যাস রেখেছে যেমন, বাম, ডান ও কেন্দ্র। প্ল্যাটফর্মগুলোতে দরজায় বা বুকশেলফের পিছনে কৌশলগত অবস্থানের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি খেলোয়াড়দের সাধারণ অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে একটি লড়াইয়ের সুযোগ করে দেয়।
নতুন টিম গান গেম মোড ও লাইব্রেরি ম্যাপ ছাড়াও নতুন কন্টেন্ট আপডেটে আরও বেশকিছু ফিচার রাখা হয়েছে, যেমন:
* নিউ অ্যারিনা অ্যাটাচমেন্ট: দ্য ব্যারেল এক্সটেন্ডার মাজেল সংযুক্তিতে এখন আরও যুক্ত হতে পারে বেশকিছু স্নাইপার রাইফেলস, রাইফেলস এবং সাব-মেশিন গান। এটি আগ্নেয়াস্ত্রের কার্যকারীতার পরিসর বাড়িয়ে তোলে।
* অ্যারিনা ফায়ারআর্ম ড্যামেজ রিডাকশন অ্যাডজাস্টমেন্ট: আগ্নেয়াস্ত্রের ক্ষয়ক্ষতি নির্ভর করে অস্ত্রের ধরন এবং কার্যকর দূরত্বের উপর, যা মূলত শটগান, সাব-মেশিন গান, রাইফেল, স্নাইপার রাইফেল এই ক্রমে সাজানো হয়েছে।

দুই মাস পর নাসার বিজ্ঞানীদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনল স্পেসএক্স

দুই মাস পর নাসার বিজ্ঞানীদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনল স্পেসএক্স

দুই মাস পর নাসার বিজ্ঞানীদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনল স্পেসএক্স
প্রায় দুই আগে মহাকাশে গিয়েছিলেন নাসার দুই বিজ্ঞানী। তারা ইলন মাস্কের ব্যক্তিগত রকেট কোম্পানি স্পেসএক্সে মহাকাশে যান। দুই মাস পর নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরেছেন নাসার ওই দুই মহাকাশচারী। রবিবার বিজ্ঞানীরা ফ্লোরিডায় পানিতে অবতরণ করেন। খবর সিএনএন’র।
কোনও ব্যক্তিগত কোম্পানির রকেটে এভাবে মহাকাশে যাওয়া নাসার ইতিহাসে বিরল। 
আমেরিকা থেকে সবশেষ ৯ বছর আগে কোনও মার্কিন ক্রু মহাকাশে যান।
বব বেহনকেন এবং ডগ হারলি এই অভিযানে নতুন ক্যাপসুল সিস্টেমের যেমন ট্রায়াল দিয়েছেন তেমনি নাসার নতুন ব্যবসায়িক পরিকল্পনাকেও বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছেন।
স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক মহাকাশজয় করার পর এভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, ‘এই মুহূর্তটার জন্যই আমি প্রার্থনা করেছিলাম। আমেরিকার কী শক্তি আছে, সেটা মানুষ দেখল।’
এই মিশনে দুই বিজ্ঞানী ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলের সব পার্ট পরীক্ষা করে দেখেছেন। নাসার ইতিহাসে এই প্রথম কক্ষপথে থাকা অবস্থায় মহাকাশচারীরা স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগন পরীক্ষা করলেন।
ড্রাগন ক্যাপসুল অটোমেডেট মহাকাশযান। অর্থাৎ এটি আপনাআপনি স্টেশনে নিজস্ব পথ খুঁজে নিয়েছে।
এই ড্রাগনের কোনও কন্ট্রোল স্টিক নেই; সব ফ্লাইট টাচস্ক্রিন প্যানেলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়।

ফেসবুকে চালু হচ্ছে মিউজিক ভিডিও সেকশন

ফেসবুকে চালু হচ্ছে মিউজিক ভিডিও সেকশন


ফেসবুকে চালু হচ্ছে মিউজিক ভিডিও সেকশন
ফেসবুককে ইউজারের কাছে আরও উপভোগ্য এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে চালু হচ্ছে নতুন মিউজিক ভিডিও সেকশন। যুক্তরাষ্ট্রের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা চলতি সপ্তাহে নতুন এ ফিচারের সুবিধা পাবেন।
ফেসবুকের ওয়াচ প্ল্যাটফর্মের জন্য এই নতুন অফিসিয়াল সেকশনের কথা শনিবারই ঘোষণা করেছে সংস্থা। ফেসবুকের এই বিভাগটি শুধু মিউজিক ভিডিও বা ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের জন্যই চালু করা হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত এই বিভাগটিতে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল ইউটিউবের। এ বার ইউটিউব-এর সঙ্গে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছে ফেসবুক। ইতিমধ্যে একাধিক মিউজিক সংস্থার সঙ্গে সত্ত্ব সংক্রান্ত চুক্তি সেরে ফেলেছে ফেসবুক।
শুধু সিনেমার গানই নয়, গজল, ধর্মীয় সঙ্গীত, ভজন, পপ-সহ লক্ষাধিক জনপ্রিয় গান রয়েছে এই তালিকায়। এখন সংস্থার প্ল্যাটফর্মে থাকা বিশ্বব্যাপী অসংখ্য মানুষ ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম মাধ্যমগুলিতে তাদের পছন্দের গান শুনতে পাবেন।
মিউজিক ভিডিওর জন্য আমেরিকার সনি মিউজিক, ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপ, ওয়ার্নার মিউজিক গ্রুপ, বিএমজি-সহ একাধিক সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলেছে ফেসবুক। ফেসবুকের ওয়াচ প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের জন্যই এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে। 

ট্রাম্প সরকারের রোষানলে পড়া টিকটক ক্রয়ে মাইক্রোসফটের উদ্যোগ

ট্রাম্প সরকারের রোষানলে পড়া টিকটক ক্রয়ে মাইক্রোসফটের উদ্যোগ


ট্রাম্প সরকারের রোষানলে পড়া টিকটক ক্রয়ে মাইক্রোসফটের উদ্যোগ
চীনের মালিকানাধীন ভিডিও অ্যাপ টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা/নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতেই টিকটকের ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে মার্কিন কোম্পানি মাইক্রোসফটসহ বিভিন্ন কোম্পানি। নিউ ইয়র্ক টাইমসসহ বেশ কিছু মার্কিন সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।
তবে মার্কিন কোম্পানিগুলোর সাথে চীনা কোম্পানি টিকটকের সে আলোচনার কতদূর অগ্রগতি হয়েছে তা জানা যায়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স লিমিটেডের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো।
এই আর্থিক লেনদেন বিলিয়ন ডলারের হবে বলেই ধারণা। 
সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও অভিযোগ করেন, মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে টিকটক। এ নিয়ে বলতে গিয়ে ভারতে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন তিনি। এর মধ্যেই শুক্রবার ট্রাম্প ঘোষণা দেন, আমেরিকায় টিকটকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা অনেকগুলো বিষয় নিয়ে ভাবছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী তা এখনো জানা যায়নি।

মঙ্গলগ্রহে কয়টি অভিযান সফল হয়েছে

মঙ্গলগ্রহে কয়টি অভিযান সফল হয়েছে

মঙ্গলগ্রহে কয়টি অভিযান সফল হয়েছে?
প্রায়ই বলা হয়ে থাকে যে মঙ্গলগ্রহে যত অভিযান হয়েছে তার প্রায় অর্ধেকই ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু ঠিক কতগুলো অভিযান সফল আর কতগুলো ব্যর্থ তার সঠিক খতিয়ান দেয়া কঠিন। কিন্তু কেন?
অভিযানের সংখ্যার একটা হিসাব হয়ত বিজ্ঞানীরা সহজেই দিতে পারবেন, শতকরা হিসাবও তারা দেবেন, কিন্তু সাফল্য আর ব্যর্থতা কোন্ মাপকাঠিতে হিসাব করা হবে সেটা নিয়েই বিজ্ঞানী মহলে রয়েছে আসল জটিলতা।
যেমন: ব্রিটিশ নভোযান বিগল-২ মঙ্গলের আবহাওয়া মণ্ডলে সফলভাবে ঢুকতে সক্ষম হয়েছিল ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। মঙ্গলের পৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণও করেছিল নভোযানটি। কিন্তু কয়েক বছর আগে জানা যায়, সফলভাবে পৌঁছনর সেই খবর বাড়িতে অর্থাৎ পৃথিবীতে পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হয় নভোযানটি। তাহলে এই অভিযান সফল না ব্যর্থ?
নাসার মার্স রিকনোসেন্স অরবিটার নামে পর্যবেক্ষণ নভোযানের পাঠানো ছবি থেকে দেখা যায় বিগল- টু নভোযানটির "পাপড়ি"র মত যে অংশগুলো অবতরণের সময় খুলে যাবার কথা ছিল সেগুলো খুলতে ব্যর্থ হয়। ওই পাপড়ির মত অংশগুলোতে সংযুক্ত ছিল সোলার প্যানেল। সেগুলো না খোলায় যোগাযোগ অ্যান্টেনাগুলো বন্ধ থাকে এবং পৃথিবীর সাথে নভোযানের যোগাযোগ পথ বন্ধ হয়ে যায়।
বিগল টু-নভোযান প্রসঙ্গে বলা হয় এই মহাকাশ মিশন মঙ্গলের পৃষ্ঠে অবতরণের সময় শুধু কিছু ঘষা খাওয়ার চিহ্ণ রেখে গেছে - এছাড়া এর কোন সাফল্য নেই। কিন্তু যানটি যে অক্ষত অবস্থায় অবতরণ করেছিল সেটাকে কি অন্তত আংশিক সাফল্য হিসাবেও ধরা যায়? বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ আছে।
কিংবা ধরুন রাশিয়ার মার্স-থ্রি নভোযানের কথা। মঙ্গল গ্রহে প্রথম সফলভাবে অবতরণ করেছিল এই নভোযানটি ১৯৭১ সালের দোসরা ডিসেম্বর। সেটাই মঙ্গলে প্রথম কোন নভোযানের অবতরণ। অবতরণের পরই সাথে সাথে সোভিয়েত নভোযানটি সেখান থেকে ছবি পাঠাতে শুরু করে পৃথিবীতে। মিশনের নিয়ন্ত্রকরা এই সাফল্যে তখন উল্লসিত হয়ে উঠেছিলেন।
কিন্তু মঙ্গলের পৃষ্ঠে মাত্র দু মিনিট যেতে না যেতেই নভোযানের কলকব্জা বিকল হয়ে যায়। সেই সময় একটা ভয়ঙ্কর রকম ধূলোর ঝড় বইছিল। ধারণা করা হয় নভোযানের কলকব্জা অকেজো হয়ে যাওয়ার কারণ ছিল ওই ধূলিঝড়।
কোন কোন বিজ্ঞানী মনে করেন ওই ধূলিঝড়ের কারণেই নভোযানের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা বিকল হয়ে যায় এবং পৃথিবীর সাথে নভোযানের যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়।
সোভিয়েত ইউনিয়ন এরপর আরও পাঁচবার মঙ্গলগ্রহে নভোযান পাঠানোর পর তাদের অভিযান আসল সাফল্যের মুখ দেখে।
তাহলে মার্স-থ্রি: সফল নাকি ব্যর্থ? এ নিয়েও সর্বসম্মত মতৈক্য হয়নি।
আরও একটি বিষয় আছে: মঙ্গল গ্রহে অভিযান আসলে কোন্ গুলোকে বলা হবে? ১৯৮৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন দুটি নভোযান পাঠায় -তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল মঙ্গলের দুটি চাঁদ ফোবোস এবং ডেইমোস সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা। যদিও পাশাপাশি গ্রহটি পর্যবেক্ষণ করে তথ্য আনাও ওই মিশনের অন্যতম আরেকটি লক্ষ্য ছিল।
একটি ভুলের কারণে ফোবোস-১ মঙ্গলের কাছে পৌঁছতে পারেনি। কয়েক মাস পর ফোবোস সম্পর্কে তথ্য আনতে আরেকটি নভোযান পাঠানো হয়েছিল, সেটিও মহাকাশে হারিয়ে যায়। ২০১১ সালেও ফোবোসে আরেকটি মিশন পাঠানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
অনেকেই প্রশ্ন তোলেন ফোবোসে পাঠানো নভোযানগুলো তো পাঠানো হয়েছিল মঙ্গলের চাঁদে। ফলে সেগুলোকে মঙ্গলের গবেষণা মিশন হিসাবে গণ্য করা কি সঠিক? অন্যরা বলেন - না মঙ্গল গ্রহ নিয়ে অভিযানের তালিকাতেই তাদের নাম ওঠানো উচিত। এ প্রশ্নের উত্তরও অস্পষ্ট। আপনার কি মনে হয়?
এছাড়া কিছু মিশন যেমন নাসার ডন এবং ইউরোপীয়ান মহাকাশ সংস্থার রোসেটা নভোযান তাদের "আসল" গন্তব্যে যাবার পথে মঙ্গল গ্রহকে ছুঁয়ে গেছে। তাহলে সেগুলোর নাম কোন্ তালিকায় ওঠা উচিত?
মঙ্গল অভিযান নিয়ে এরকম নানা ধোঁয়াশার কারণেই সম্ভবত মহাকাশ পর্যবেক্ষকদের কেউ কেউ বলেন "প্রায় অর্ধেক" অভিযান সফল হয়েছে আর বাকি অর্ধেক ব্যর্থ।
কিন্তু কোনগুলো আসল মঙ্গল গ্রহে অভিযান ছিল, আর কোনগুলো মঙ্গলের আশেপাশে কাজ করার জন্য পাঠানো হয়েছিল, সেটা নিয়ে তারা স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেন না।
তবে যেসব মিশনের নাম ব্যর্থ অভিযানের তালিকায় উঠেছে, সেগুলোর ব্যর্থতার কারণ ছিল মূলত কারিগরি ত্রুটি, সফটওয়্যারের সমস্যা এবং কোন কোন ক্ষেত্রে নিছক দুর্ভাগ্য।
তবে ১৯৯৮ সালে নাসা যখন মার্স ক্লাইমেট অরবিটার মিশন নামে একটি নভোযান মঙ্গল গ্রহে পাঠায়, তখন কোন্ পদ্ধতিতে তথ্য হিসাব করা হবে তা নিয়ে ঘটে এক নজিরবিহীন বিভ্রাট।। নভোযানের তথ্য মেট্রিক পদ্ধতিতে নথিভুক্ত হবে নাকি সনাতনী পদ্ধতিতে, মঙ্গলের কক্ষপথে নভোযানটি ঢোকার মুখে তা গুলিয়ে যায়।
ধারণা করা হয় এরপর, নভোযানটি হয় মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়া মণ্ডলে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়, নয়ত তথ্যবিভ্রাটে পড়ে সেটি সূর্যের কক্ষপথে ঢুকে পড়তে বাধ্য হয় এবং ধ্বংস হয়ে যায়।
অনেকে আবার মনে করেন, এই অভিযানের জন্য যে ব্যয় বরাদ্দ ছিল তার বাইরে আরও অতিরিক্ত কাজ করার চেষ্টা করা হয়েছিল এই অভিযানে। নাসার মূলমন্ত্র তখন ছিল তিনটি- দ্রুত কাজ, উন্নত কাজ ও সস্তায় কাজ। বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে ঠাট্টা করে বলতেন তিনটা একসাথে মেলানো অসম্ভব- যে কোন দুটো বেছে নেয়া উচিত।
তা সত্ত্বেও এবং কিছু ব্যর্থতার কথা বাদ দিলেও, মঙ্গল গ্রহ অভিযানে আমেরিকার সাফল্যের রেকর্ডই সবচেয়ে ভাল।
মঙ্গল গ্রহে ১৯৯৯ সালের পর নাসা যেসব নভোযান পাঠিয়েছে তার সবগুলোই শুধু যে সফল হয়েছে, তাই নয়, যে উদ্দেশ্যে সেগুলো পাঠানো হয়েছিল তার বাইরেও অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহে সেই মিশনগুলো অনেকদিন পর্যন্ত কাজ করে গেছে।
এই মুহূর্তে নাসা মঙ্গলে পাঠিয়েছে নভোযান পারসিভিয়ারেন্স। সংযুক্ত আরব আমীরাত আর চীনও মঙ্গলে তাদের নভোযান পাঠিয়েছে। এদের নাম সাফল্যের তালিকায় উঠবে না কি ব্যর্থ অভিযানের তালিকায়, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

ওয়াইফাই স্পিড বাড়ানোর উপায়

ওয়াইফাই স্পিড বাড়ানোর উপায়


ওয়াইফাই স্পিড বাড়ানোর উপায়!
তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় ইন্টারনেট এখন প্রায় নিত্যপ্রয়োজনীয়। অফিস হোক বা বাড়ি, সোশ্যাল মিডিয়া বা মেইল চেক করা, সব ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের প্রয়োজন। তাই বাড়িতে এখন ওয়াইফাই রাউটার বসানোর চাহিদা বাড়ছে। কারণ, একদিকে যেমন একাধিক ডিভাইস এক সঙ্গে কানেক্ট করা যায়, তেমন ঘরের যে কোন প্রান্তে বসে ইন্টারনেট সার্ফিং করা যায়। 
তবে রাউটার বসালেও বেশ কিছু কারণে ইন্টারনেটের স্পিড ভালো মেলে না। এই ৫টি বিষয় মাথায় রাখলে সহজেই ওয়াই-ফাই স্পিড অনেকটা বাড়িয়ে নেওয়া যায়। দেখুন সেই ৫টি উপায় কী কী...
১. রাউটার বাড়ির মাঝখানে রাখুন: 
সাধারণত কানেকশন নেওয়ার সময় তারের পরিমাণ কম রাখার জন্য জানালার পাশে ঘরের এক কোনে রাউটার রেখে দেওয়াই দস্তুর। সবচেয়ে ভালো কভারেজ পেতে রাউটারকে বাড়ির মাঝের ঘরে রাখুন। মনে রাখবেন, ওয়াই-ফাই ওমনি-ডাইরেকশনালি ছড়ায়। অর্থাৎ, চোঙ থেকে আওয়াজ যে ভাবে বার হয় অনেকটা সে রকমই রাউটারকে কেন্দ্র করে সিগনাল ছড়াতে থাকে। তাই এক কোনও রাখলে অর্ধেক সিগনাল বাড়ির বাইরে চলে যাবে। ফলে স্পিড এমনিতেই কম পাবেন।
২. চোখের উচ্চতায় রাখুন: 
মাটি থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় রাউটারটি বসালে সিগনাল সবচেয়ে ভালো মেলে। মোটামোটি নিজের চোখের উচ্চতায় রাউটার রাখুন। সিগনালে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন কোনও ডিভাইসের সঙ্গে রাউটার রাখবেন না। যেমন, কর্ডলেস ফোনের বেস, অন্য কোনও রাউটার, প্রিন্টার, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি।
৩.  কম ডিভাইস কানেক্ট করুন:
 
বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান বা পার্টি রয়ছে। বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়রা সকলেই আসছেন। ঠিক করলেন, বাড়ির ওয়াই-ফাই সকলের ব্যবহারের জন্য কানেক্ট করে দেবেন। সেই সঙ্গে নিজেও টুকটাক কাজ করে নেবেন। মনে রাখবেন এক সঙ্গে বেশি জিভাইস কানেক্ট করলে ওয়াই-ফাই স্পিড অত্যন্ত কমে যাবে। এখন বেশ কিছু রাউটারে ডিভাইস ব্লক করার অপশন রয়েছে। যদি দেখেন কোনও নির্দিষ্ট ডিভাইস বেশি ব্যান্ডউইডথ টেনে নিচ্ছে, তাকে ব্লক করুন। শুধুমাত্র ইন্টারনেট সার্ফ করার জন্য ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতে বলুন। যদি কেউ কিছু ডাউনলোড করতে চান, তাঁকে অপেক্ষা করতে বলুন বা নিষেধ করুন।
৪. রিপিটার কানেক্ট করুন: 
ওয়াই-ফাই স্পিড বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দেবে রিপিটার। বাজারে এবং অনলাইন শপিং সাইটে বহু রিপিটার পেয়ে যাবেন। দাম মোটামোটি ১০০০ টাকা থেকে শুরু। কনফিগার করাও খুব সহজ। বাড়িতে যদি পুরনো কোনও ভালো রাউটার থাকে সেটাও রিপিটার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এর জন্য সেটিং পেজে গিয়ে কনফিগার করতে হবে।
৫. USB রাউটার ব্যবহার করুন: 
রাউটার কেনার আগে দেখে নিন তাতে USB পোর্ট আছে কিনা। চেষ্টা করুন USB পোর্টযুক্ত রাউটার কিনতে। কারণ USB পোর্ট থাকলে তাতে এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভ কানেক্ট করতে পারেন। এটা নেটওয়র্ক স্টোরেজের মতো কাজ করতে সমস্ত কানেক্টেড ডিভাইজের জন্য। অথবা প্রিন্টারও কানেক্ট করতে পারেন। এতে কোনও একটি ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্ট করার প্রয়োজন পড়বে না। নেটওয়র্কে থাকা যে কোনও ডিভাইস থেকে প্রিন্ট দেওয়া যাবে। সাধারণত দেখা যায়, এ ধরনের রাউটার বেশ শক্তিশালী হয়। তাতে সিগনালও বেশ ভালো পাওয়া যায়।