মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মহাকাশে মাইনিং রোবট পাঠাচ্ছে চীন

মহাকাশে মাইনিং রোবট পাঠাচ্ছে চীন

মহাকাশে মাইনিং রোবট পাঠাচ্ছে চীন

সব কিছু ঠিক মতন চললে চীন এই বছর নভেম্বর মাসে মহাকাশে তাদের মাইনিং রোবট পাঠাতে চলেছে। পৃথিবীতে এখনও পর্যন্ত যে সব দেশ মহাকাশ গবেষণা করে চলেছে, চীনই তাদের মধ্যে প্রথম এই পদক্ষেপ করছে।

বেইজিংয়ের এক বেসরকারি কোম্পানি অরিজিন স্পেস ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গেছে। এই প্রোজেক্টের রোবটটিকে বলা হচ্ছে অ্যাস্টেরয়েড মাইনিং রোবট। কিন্তু আদতে কোনও রকম মাটি খোঁড়াখুঁড়ির কাজে একে ব্যবহার করা হবে না। এই মিশনটির মূল লক্ষণ গ্রহাণু পর্যবেক্ষণ।

অরিজিন স্পেস'র তরফে রোবটটির নাম রাখা হয়েছে এনইও-১। এই এনইও-১ খবর অনুযায়ী, সম্ভবত চাইনিজ লং মার্চ রকেটের একটি সেকেন্ডারি পেলোড হতে চলেছে। এক সাক্ষাৎকারে অরিজিন স্পেস'র কো-ফাউন্ডার য়ু তিউয়ানহং জানান, অন্যান্য স্পেসক্রাফ্টের তুলনায় এই স্পেসক্রাফটটি অনেক হালকা হতে চলেছে। এর ওজন হবে মাত্র ৩০ কেজি। এই প্রোজেক্টের লক্ষ্য স্পেসক্রাফ্ট অরবিট্যাল ম্যানুভার, মহাজাগতিক তাপমাত্রা- এই সব বিষয় পরীক্ষা করে তুলে ধরা।

এনইও-১ মিশনের ভালো-মন্দ নিয়ে অবশ্য এখনই জোর দিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। একে তো এই প্রথম এ রকম উদ্যোগ নেওয়া হতে চলেছে, তার উপরে আবার ফলাফলের বিষয়টিও অনিশ্চিত। তবে অরিজিন স্পেস জানিয়েছে, এই মিশন যদি সাফল্য পায়, তাহলে নতুন বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হতে  পারে।

এ বছরেই বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের হাতে থাকবে স্মার্টফোন

এ বছরেই বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের হাতে থাকবে স্মার্টফোন

এ বছরেই বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের হাতে থাকবে স্মার্টফোন!


চলতি বছর বিশ্বে সক্রিয় স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা তিন দশমিক পাঁচ বিলিয়নে উন্নীত হবে বলে জানা গেছে। যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ। 

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিউজু বলছে বৈশ্বিক মোবাইল বাজার নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের এক-চতুর্থাংশের বেশি চীনের নাগরিক। ইন্টারনেট অবকাঠামোগত উন্নতির কারণে মধ্য-দক্ষিণ এশিয়া, সাব-সাহারান আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার মতো অঞ্চলে স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়বে। 

চলতি বছরের শেষের দিকে ২শ’ মিলিয়ন সক্রিয় স্মার্টফোন ফাইভ জি ব্যবহারে প্রস্তুত হবে। যা বিশ্বে সক্রিয় স্মার্টফোনের পাঁচ শতাংশ। এছাড়া, ২০২৩ সাল নাগাদ ফাইভ জি ব্যবহারে উপযুক্ত স্মার্টফোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে চার দশমিক আট বিলিয়নে। যা মোট সংখ্যার ৪২ দশমিক সাত শতাংশ। 

চলতি বছর মোবাইল গেমারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে দুই দশমিক পাঁচ বিলিয়নে। একইসাথে এবছর মোবাইল গেমিং খাত থেকে আয় বেড়ে দাঁড়াবে ৭৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সাল নাগাদ এই আয় একশ’ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

সাবধান! নতুন বিপদ 'কাপল চ্যালেঞ্জ'

সাবধান! নতুন বিপদ 'কাপল চ্যালেঞ্জ'

সাবধান! নতুন বিপদ 'কাপল চ্যালেঞ্জ'


মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন বিষয় ট্রেন্ডিং হয়ে ওঠে। ঠিক যেমন সম্প্রতি ফেসবুকের নতুন ট্রেন্ড হয়েছে #‌CoupleChallenge। অনেকেই নিজের পার্টনারের সঙ্গে ছবি পোস্ট করছেন। সঙ্গে দিচ্ছেন এই হ্যাশট্যাগ। কিন্তু জানেন কী এতে অজান্তেই ডেকে আনছেন নিজের বিপদ?‌ শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই কিন্তু আশঙ্কা করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।

সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, #‌CoupleChallenge এই হ্যাশট্যাগে দিনে প্রচুর সংখ্যক মানুষ নিজের পার্টনারের সঙ্গে ছবি পোস্ট করছেন। তবে সব ভালোর যেমন খারাপ দিক থাকে, তেমনি এরও রয়েছে। আর সেটা হল, ওই ছবিগুলোকে নানা অসৎ কাজে ব্যবহার করতে পারে সাইবার অপরাধীরা। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় Public ‌করে কোনও কিছু পোস্ট করলে গোটা বিশ্বে যে কেউ তা দেখতে পারে। প্রয়োজনে সেই ছবি ডাউনলোড করে বিশেষভাবে সম্পাদনা (‌Morphed) ‌করে পর্ন ওয়েবসাইট, সাইবার অপরাধমূলক কাজ করাও অসম্ভব নয়। আর তাই এই ধরনের হেনস্তা থেকে বাঁচতেই সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চ্যালেঞ্জ নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। কিংবা সাবধানতা অবলম্বন করে পোস্ট করুন। প্রয়োজনে সেটিংসে গিয়ে অডিয়েন্স অপশনটি ‘‌Friends’‌ করে রাখুন।

সম্প্রতি ভারতের পুণে পুলিশের পক্ষ থেকে টুইট করে সাধারণ মানুষকে সাবধানও করা হয়েছে। টুইটে লেখা হয়েছে, ‘‌‘#‌CoupleChallenge এ ছবি পোস্ট করার আগে দু’‌বার ভাবুন।‌ এই চ্যালেঞ্জ বিপদের কারণও হতে পারে।’‌’‌ সেই সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করা হয়। এদিকে, অনেক জায়গা থেকেই ইতিমধ্যে নাকি অভিযোগও আসছে, এমনটাই জানিয়েছেন অনেক পুলিশ কর্মকর্তা।

চাঞ্চল্যকর তথ্য, মঙ্গল গ্রহে আরও তিনটি হ্রদের সন্ধান

চাঞ্চল্যকর তথ্য, মঙ্গল গ্রহে আরও তিনটি হ্রদের সন্ধান


চাঞ্চল্যকর তথ্য, মঙ্গল গ্রহে আরও তিনটি হ্রদের সন্ধান

মঙ্গল গ্রহের মাটির নীচে তিনটি হ্রদ পেয়েছেন মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। হ্রদগুলো বরফে আচ্ছন্ন মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন। দু’বছর আগেও মঙ্গল গ্রহের দক্ষিণ মেরুতে এক বিরাট লবনাক্ত পানির হ্রদের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।

সায়েন্স ম্যাগাজিন নেচার অ্যাস্ট্রোনমিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গল গ্রহে পানি তরল অবস্থায় পাওয়া যাওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৮ সালে যে হ্রদটি মঙ্গল গ্রহের দক্ষিণে আবিষ্কার হয়, সেটি বরফ দিয়ে আচ্ছাদিত। এটি প্রায় ২০ কিলোমিটার প্রশস্ত। এখন পর্যন্ত মঙ্গল গ্রহে পাওয়া সবচেয়ে বৃহত্তম হ্রদ এটিই।

রোম বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী আলাইনা পেটিনেল্লি জানিয়েছেন, তারা দু’বছর আগে আবিষ্কৃত হ্রদের চারপাশে আরও তিনটি হ্রদ আবিষ্কার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলগ্রহে পানি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

বিয়ের ১৮টি আজব রীতি

বিয়ের ১৮টি আজব রীতি


বিয়ের ১৮টি আজব রীতি!
সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রথম সোপান হলো পরিবার। পারিবারিক জীবন শুরু হয় বিয়ের মাধ্যমেই। এজন্য মানব সভ্যতা বিকাশে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। একজন পুরুষ এবং একজন নারীর মাঝে একসাথে বসবাস করার শরীয়ত মোতাবেক যে বন্ধন স্থাপিত হয়, তারই নাম বিবাহ।

বিয়ে নিয়ে অসংখ্য অজানা, অদ্ভুত রীতি ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্বের, এমনকী আমাদের দেশের আনাচে কানাচেও! বিয়ে নিয়ে সেসব অদ্ভুত রীতি জেনে নিন-

১. বিয়ের কনের পরনে সাদা শাড়ি? আমরা ভাবতে পারিনা ঠিকই, কিন্তু ইংরেজদের বিয়ের গাউন হয় সাদা রঙেরই। তাদের কাছে সাদা কুমারিত্বের প্রতীক।

২. নাচ-গান হই-হুল্লোড় ছাড়া আমাদের বিয়ে অসম্পূর্ণ। কিন্তু ডেনমার্কে বিয়ের অনুষ্ঠান হয় আড়ম্বরহীন। কারণ তাদের ভয়, জাঁকজমক দেখে আশরীরীরা নাকি ছুটে আসবে।

৩. বিয়ের দিন, ওয়েলশ-এর পুরুষরা নিজের হাতে কাঠ কেটে, একটি চামচ তৈরি করে উপহার দেন বউকে।

৪. চীনের 'তুজা' প্রজাতির মেয়েরা বিয়ের মাসখানেক আগে থেকেই রোজ ১ ঘণ্টা করে কান্না প্র্যাকটিস করেন। বিয়ের পর নিজের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় কাঁদতে হবে না! আর তাদের এই প্র্যাকটিস সেশনে উৎসাহ যোগান মা, ফুফু, দিদিরা। তারাও মেয়েটির সাথে তালে তাল মিলিয়ে কাঁদতে বসেন।

৫. বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগে মাসাই পাত্রদের সিংহের সাথে যু্দ্ধ করে, কনেকে উপহার দিতে হয় সেই মৃত সিংহের ছাল । (অবশ্য পাত্র যদি নিজে প্রাণে বাঁচেন তো!)

৬. হবু শ্যালকের জন্য পাত্রী খোঁজার পরই একজন পিগমি যুবক বিয়ের আসনে বসতে পারবেন। সেই পাত্রী আবার হতে হবে তারই কোনও আত্মীয়া।

৭. মঙ্গোলিয়ার 'দাউর' প্রজাতির মধ্যে প্রচলিত--বিয়ে পাকা করতে বর-কনের প্রথম কাজ হলো, ধারালো ছুরি দিয়ে যৌথভাবে একটি জ্যন্ত মোরগ ছানাকে বলি দেওয়া।

৮. উত্তর ভারতের 'খগ' প্রজাতিতে বিয়ের আগে দু'পক্ষের আনা দু'টি মোরগের জিভ কেটে পাত্র-পাত্রীর কুষ্ঠী বিছার করা হয়।

৯. অাসামের 'গোরো' প্রজাতিতে যে-পাত্র সবথেকে বেশি সংখ্যক খুলি দিয়ে গাঁথা মালা উপহার দিতে পারবে কনেকে, সেই জয়ী!

১০. উত্তর প্রদেশের 'খস' প্রজাতিতে বাড়ির একটি ছেলে বিয়ে করলেই, তার ভাইয়েরাও সেই মেয়েটিকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন। একে বলে 'দৌপদী বিবাহ'।

১১. কোরিয়ায় বিয়ের রাতে নতুন বরের পুরুষত্ব জাগিয়ে তুলতে তার বন্ধুদের কাজ হলো- বরের পা বেঁধে, মাছের লেজ ও পাখনা দিয়ে পায়ের পাতায় আঘাত করা।

১১. কঙ্গোতে বিয়ের আসরে উপস্থিত থাকেন একজন কৌতুক অভিনেতা। তিনি নিমন্ত্রিতদের হাসাবেন, তারা হাসবেনও। কিন্তু বর-কনের হাসা মানা!

১২. ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ায় বিয়ের শেষে অতিথিরা সারি বেঁধে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়েন। তাদের উপর দিয়ে অবলীলায় হেঁটে যান নবদম্পতি।

১৩. বিয়ের আচার অনুষ্ঠানের পর একটি কাচের পাত্র ভেঙে ফেলেন ইতালিয় নবদম্পতি। তারপর সেই ভাঙা পাত্রটির প্রতিটি খণ্ড গুনে গুনে কুড়িয়ে তুলতে হয়। যত গুলো টুকরো, ততবছর তাঁদের বিবাহিত জীবনের মেয়াদ! এমনটাই মনে করেন ইতালিয়রা।

১৪. উত্তর বোর্নিওতে বিয়ের পর বর বউকে তিন দিন, তিন রাত একটি ঘরে একসঙ্গে বন্ধ করে রাখা হয়। এই সময়ে তাদের বাথরুমে প্রবেশ করাও নিষেধ।

১৫. প্রায় একই হাল হয় সুইডেনে সদ্যবিবাহিতদের। বিয়ের পর বাসর রাতে কেউ কারও পাশ ছেড়ে উঠতে পারবেন না। বর উঠলে, বাসরে থাকা অন্য পুরুষেরা কনেকে চুমু খাবেন, আর কনে উঠলে নারীরা চুমু খাবেন বরকে।

১৬. বিয়ের আগে সাধারণত মেয়েরা ওজন কমাতে চান। কিন্তু আফ্রিকার এক অঞ্চলের বাসিন্দারা মনে করেন, মেয়ে যত মোটা, তত সুন্দরী! তাই কিছুদিন আগে পর্যন্তও সেখানে বিয়ের কনেকে পৃথুলাকায় করে তুলতে ছিল বিশেষ 'ফ্যাট ফার্ম'।

১৭. মালয়েশিয়ায় বিয়ের অনুষ্ঠানের সব ধাপেই থাকে সন্তান ধারণের ইঙ্গিত। বিয়ের আগে, বরের পক্ষ থেকে কনের জন্য পাঠানো হয় খাবার ও উপহার। বিয়েতে নিমন্ত্রিতদের দেওয়া হয় রঙিন ডিম, যা সন্তানধারণেরই চিহ্ন।

১৮. বিয়ে টিকিয়ে রাখতে দক্ষিণ সুদানের বিবাহিতাদের দু'টি সন্তান জন্ম দেওয়া আবশ্যক।

এক কোয়া রসুনে দূরে থাকবে ১৮টি রোগ

এক কোয়া রসুনে দূরে থাকবে ১৮টি রোগ

এক কোয়া রসুনে দূরে থাকবে ১৮টি রোগ!

কাঁচা রসুনের গুণের তুলনা করতে শব্দ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। একে মহৌষধি বললেও ভুল হবে না। বহু বয়স্ক মানুষই কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস বজায় রাখেন। কতটা লাভবান হন তারা, জানলে আপনিও হাঁটবেন এই পথেই।

চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, কাঁচারসুন রক্তের উচ্চচাপ দূর করে। কোলেস্টরেল কমায়। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায় রসুন খেলে।

নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থাকলে দিনের বেলায় এক/দুই কোয়া কাঁচা রসুন খেলে ম্যাজিকের মতো ফল পাওয়া যাবে। খারাপ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে কাঁচা রসুন।

যক্ষা থেকে রক্ষা করে কাঁচা রসুন। নিয়মিত খেলে বাড়ে হজম শক্তি। চিকিৎসকরা দেখিয়েছেন, কাঁচা রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসারকে দূরে রাখে।

কোষ্ঠকাঠিন্য কমে, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা দূর হয় কাঁচা রসুন খেলে। কাঁচা রসুন দাঁতের ব্যথায় কাজ দেয়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। কৃমি ধ্বংস করে।

অনিদ্রা, আঁচিলের সমস্যা দূর করে কাঁচা রসুন। ত্বককেও তরতাজা রাখে। রক্ষা করে চর্মরোগের হাত থেকে।

কামনা বাড়াতে ভায়াগ্রা নয়, আমলকি খান

কামনা বাড়াতে ভায়াগ্রা নয়, আমলকি খান 


কামনা বাড়াতে ভায়াগ্রা নয়, আমলকি খান
আমলকির রয়েছে নানা গুণ। এর পাতা ও ছাল থেকে তৈরি পরীক্ষামূলক ওষুধে কিছু রোগ নিরাময়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমলকি শারীরিক সুস্থতা, চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি অার ত্বক ভালো রাখার পাশাপাশি রিপ্রডাক্টিভ হেল্থ বা প্রজনন ক্ষমতারও উন্নতি ঘটায়। সেইসঙ্গে কামনা বাড়িয়ে দেয়। ফলে সেক্স লাইফের উন্নতি ঘটে। আমলকিতে থাকা ভিটামিন 'সি' পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট বাড়িয়ে দেয়।

যারা যৌনক্ষমতা বাড়াতে চায় তাদের মধ্যে ভায়াগ্রার প্রতি আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু পুষ্টিবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ভায়াগ্রা নয়, নিয়মিত আমলকি খান। কিছুদিনের মধ্যেই আপনার লিবিডো অনেকটা বেড়ে যাবে। আমলকি কিভাবে যৌনজীবন উষ্ণ এবং রঙিন করতে সাহায্য করে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। 

- আমলকিতে আয়রন আর জিঙ্ক থাকে। ফলে এই ফল খেলে যৌনশক্তি ও পুরুষত্বেরও (sexual vigor and virility) উন্নতি ঘটে।

- নারীদের মধ্যে যারা সাদা স্রাব (white discharge) সমস্যায় ভোগেন‚ তারা নিয়মিত আমলকি শুকিয়ে তা গুঁড়ো করে মধু দিয়ে খান। উপকার পাবেন।

- পুরুষরা আমলকির জুস সকালে খালি পেটে বা সন্ধ্যায় খেতে পারেন।

- যৌনজীবন উষ্ণ এবং রঙিন করতে  দুধে আমলকি পাউডার মিশিয়ে খেতে পারেন।

শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

জাপানে যাত্রীসহ উড়ন্ত গাড়ির সফল পরীক্ষা

জাপানে যাত্রীসহ উড়ন্ত গাড়ির সফল পরীক্ষা
জাপানে যাত্রীসহ উড়ন্ত গাড়ির সফল পরীক্ষা

একাধিক কল্পবিজ্ঞানের গল্পে দেখা যায় উড়ন্ত গাড়ির কথা। যা দেখে আকর্ষিত হয় অল্পবয়সী কিশোর কিশোরী। কিন্তু সব ঠিক থাকলে আর কল্প বিজ্ঞান নয়, বাস্তবের মাটিতেও দেখা যাবে এই উড়ন্ত গাড়ি। সম্প্রতি জাপানে পরীক্ষামূলক ভাবে এই ফ্লাইং কারের পরীক্ষা করা হয়েছে। আর এরপর থেকেই আশা করা হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে আর বেশি দেরি নেই এই গাড়ি চোখে দেখতে।
যদিও বিশ্বের একাধিক দেশের বেশ কিছু সংস্থা এই ধরনের গাড়ির প্রটোটাইপ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু জাপানে সফল ভাবে করা হয়েছে এই পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষার ফলে আগামী দিনের প্রযুক্তি সম্পর্কে আঁচ পাওয়া গেল। এই প্রকল্পে জাপানের 'স্কাইড্রাইভ' সংস্থার সঙ্গে অন্য বেশ কিছু সংস্থা অংশ নিয়েছিল বলেও জানা গেছে। যদিও তিন বছর আগে তাদের এই চেষ্টা সফল না হওয়াতে আরও মনোযোগ দিয়ে এই কাজে ব্যস্ত হয়েছিল। অবশেষে তাদের এই সাফল্য গোটা বিশ্বের সামনে খুলে দিল আগামীর পরিবহনের এক নয়া নকশা।
জানা গেছে, এই পরীক্ষার জন্য জাপানের ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের তরফ থেকেও আর্থিক অনুদান পাওয়া গিয়েছিল। আর মনে করা হচ্ছে তার ফলে কিছুটা হলেও সহজ হয়েছিল এই পরীক্ষা। কিছুদিন আগেই সংস্থার তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে দেখা গেছে, মোটরবাইকের মত দেখতে হলেও এটি মাটির কয়েক ফুট উচুতে উড়ছে। আর চালকের আসনে ছিলেন এক ব্যাক্তি। আর তার পরেই শুরু হয়েছে আকর্ষণ।
বিশ্বে এই মুহূর্তে বেশ কয়েকবার এই ফ্লাইং কারের একাধিক প্রকল্পের চেষ্টা করা হলেও সাফল্য এসেছিল খুব কম। আর এই সাফল্যর পরে এই তালিকাতে উঠে এল জাপানের 'স্কাইড্রাইভ'। ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যাতে এটি পন্য হিসেবে বাজারে আনা যায় তার চেষ্টা চলছে। ২০২৩ সালের মধ্যে যাতে এটি পন্য হিসেবে আনা যায় তার জন্য পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এখন দেখার বিষয় কত তাড়াতাড়ি বাস্তবে আসে এই ফ্লাইং কার।

Refresh your living space with our best-selling cleaning supplies!

পিরামিডের দ্বিগুণ আকারের গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে: নাসা

পিরামিডের দ্বিগুণ আকারের গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে: নাসা


পিরামিডের দ্বিগুণ আকারের গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে: নাসা
আবারও পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে একটি গ্রহাণু। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, মিশরের গিজার গ্রেট পিরামিডের আকারের চেয়ে দ্বিগুণ বড় এই গ্রহাণু আগামী রবিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল চারটার দিকে পৃথিবীর ঘা ঘেঁষে চলে যাবে। 

নাসা আরও জানিয়েছে, এই গ্রহাণুটির উচ্চতা প্রায় ৮৮৬ ফুট। এই গ্রহাণুর নাম ৪৬৫৮২১ (২০১০এফআর)। ১০ বছর আগে এটি প্রথম নজরে এসেছিল নাসার।

প্রসঙ্গত, পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসা গ্রহাণু-ধুমকেতুদের ‘নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট’ বা এনইও হিসেবে চিহ্নিত করে নাসা। এই গ্রহাণুটিও সেই গোত্রে পড়ছে। এটি সূর্য থেকে ১৯.৪৫ কোটি কিমি দূরে রয়েছে। 

তবে এই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের কোনও সম্ভাবনা আছে কি না, সে প্রসঙ্গে সকলকে আশ্বস্ত করেছেন ‘সেন্টার ফর নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ’-এর গবেষকরা। তারা জানিয়ে দিয়েছেন, ভয়ের কোনও কারণ নেই। পৃথিবীর ধার ঘেঁষে এই গ্রহাণুটি চলে যাবে। এর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের কোনওরকম সম্ভাবনা নেই।

সাধারণত এই ধরনের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের সম্ভাবনা কমই থাকে। তবে কখনও কখনও অন্য গ্রহের সঙ্গে মহাকর্ষীয় টানের কারণে তারা আচমকাই অনেকটা কাছে চলে আসে। তাছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে গ্রহাণুর মতো ছোট মহাজাগতিক বস্তু সূর্যের আলো শুষে উত্তপ্ত হয়ে তাপ নির্গত করে। এর ফলেও তাদের গতিবিধিতে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। একে ‘ইয়ার্কোভস্কি এফেক্ট’ বলে।

নাসা জানিয়েছে, এই ধরনের আগন্তুক গ্রহাণু অতীতে বহুবার পৃথিবীতে আছড়‌ে পড়েছে এবং পৃথিবীর বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 

প্রসঙ্গত, প্রাগৈতিহাসিক কালে পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করা ডাইনোসরদের অবলুপ্তির পিছনেও এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুর আছড়ে পড়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক অতীতে বহুবারই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে মানব সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার নানা জল্পনা ও গুজব শোনা গিয়েছে।

পুরুষের বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী ভুঁড়ি, দাবি গবেষকদের

পুরুষের বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী ভুঁড়ি, দাবি গবেষকদের

পুরুষের বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী ভুঁড়ি, দাবি গবেষকদের

পুরুষের বন্ধ্যাত্বের জন্য ভুঁড়িকেই অন্যতম প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করা হচ্ছে। ভুল খাদ্যাভ্যাস, খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম এবং অবৈজ্ঞানিক উপায়ে জীবনযাপনের কারণে দিন দিন পেটে জমা মেদই বাবা হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে দাবি গবেষকদের। 

সম্প্রতি কোপেনহাগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এক দল পুরুষদের মধ্যে একটি পরীক্ষা চালান। মোট ১৫ জন ওবেসিটিতে আক্রান্ত পুরুষের স্পার্ম নিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা দেখেন, ওবেসিটিতে আক্রান্ত পুরুষদের শুক্রাণুর জিনে খিদে নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বেশ দুর্বল হয়। স্পার্ম কাউন্টও কমে যায় এই ভুঁড়ি ও ওবেসিটি থেকেই। সেই সংখ্যা এতটাই কমের দিকে থাকে যে সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রশ্নচিহ্ন উঠে আসে।

পুরুষদের নানা শারীরিক কসরত ও নিয়মের মধ্যে রেখে ওবেসিটি তাড়ানোর পরে দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা করেন বিজ্ঞানীরা। তাতে দেখা যায়, স্পার্ম কাউন্ট যেমন বেড়েছে তেমনই স্পার্ম ঘন ও শক্তিশালী হয়েছে।

শুধু তাই-ই নয়, এর আগেও ২০১৬ সালে আর একটি পরীক্ষা করেছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই গবেষকরা। তাতে দেখা গিয়েছিল, ওবেসিটি আক্রান্ত বাবার স্পার্মের সঙ্গে সন্তানের শরীরে প্রবেশ করে মোটা হওয়ার জিন। এমন বাবার সন্তানরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মোটা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বেশির ভাগই ওবেসিটিতে আক্রান্ত। দ্বিতীয় পর্যায়ে এমন ছয়জন পুরুষের উপর গবেষণা চালানো হয়, যারা প্রত্যেকেই ওজন কমানোর জন্য সার্জারি করিয়েছেন। সার্জারির এক বছর পর তাদের স্পার্মের ডিএনএ-তে প্রায় ৫ হাজার রকম গঠনগত পরিবর্তনও হয়েছে। বেড়েছে খিদের উপর নিয়ন্ত্রণ। এবং অস্ত্রোপচারের পর নেওয়া এদের দ্বিতীয় সন্তানরাও ওবেসিটি মুক্ত।

কোপেনহাগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ‘‘চলতি ধারণা বলে, গর্ভবতী নারীদের নিজেদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হয়। মদ, ধুমপান থেকে শত হাত দূরে থাকতে হয়। কিন্তু আমাদের গবেষণা বলছে শুধু হবু মা নয়, সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য সাবধানে চলতে হয় হবু বাবাকেও।’’

স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ মার্থা হাজরার মতে, এই বিষয় নিয়ে এর আগেও নানা গবেষণা চলেছে। পুরুষ-নারী নির্বিশেষে ওবেসিটি সন্তান উৎপাদনের পথে অন্যতম বাধা। তবে অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষরা এই বিষয়ে খানিকটা উদাসীন থাকেন, সন্তান উৎপাদনের পথে যে তারাও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন এই সহজ বিজ্ঞান সম্পর্কে অনেকেই সচেতন নন। পেটের অতিরিক্ত মেদের কারণে পিতৃত্বের বা মাতৃত্বের স্বাদ থেকে বঞ্চিত থেকেছেন এমন দম্পতির সংখ্যাও কম নয়।’’

জেনে নিন সন্তানের উচ্চতা বাড়ানোর ৬টি কৌশল

  জেনে নিন সন্তানের উচ্চতা বাড়ানোর ৬টি কৌশল 


জেনে নিন সন্তানের উচ্চতা বাড়ানোর ৬টি কৌশল
সব মা-বাবাই চান তাদের সন্তান হৃষ্টপুষ্ট থাকুক, হোক লম্বা আর শক্তিশালী। কারণ এসবই সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ। শিশু সঠিকভাবে বাড়ছে কি না সেদিকে নজর রাখতে হবে মা-বাবাকেই। মা-বাবার তুলনায় যদি সন্তানের বৃদ্ধির গতি বেশি মনে হয় তবু তার বয়সী অন্য শিশুদের সঙ্গে তুলনা করে দেখুন। এমনও হতে পারে সে তার সমবয়সীদের তুলনায় লম্বা নয়।

সন্তানের উচ্চতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জিন। এটি একমাত্র ফ্যাক্টর নয় যা উচ্চতাকে প্রভাবিত করে। আশপাশের পরিবেশ, খাবার, শরীরচর্চা- এসবও শিশুর উচ্চতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জেনে নিন আপনার সন্তানের উচ্চতা বাড়ানোর ৬টি সহজ উপায়:-

সামগ্রিক বৃদ্ধির জন্য সুষম খাদ্য
সন্তানের উচ্চতা বাড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হল শরীরে সঠিক পুষ্টি পৌঁছানো। সুষম ডায়েটে সঠিক অনুপাতে প্রোটিন, শর্করা, চর্বি এবং ভিটামিনের মিশ্রণ হওয়া উচিত।

এছাড়াও আপনার সন্তানকে জাঙ্ক ফুড এবং কোমল পানীয় থেকে দূরে রাখুন। মাঝে মাঝে অল্প খেলে সমস্যা নেই; কিন্তু কোনওভাবেই যেন প্রতিদিন এসব না খায়।

জিঙ্ক আপনার সন্তানের বৃদ্ধিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। সুতরাং, চিনাবাদাম এবং স্কোয়াশ বীজের মতো দস্তা-সমৃদ্ধ খাবারগুলো তাদের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। ভারসাম্যযুক্ত ডায়েট আপনার সন্তানের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য সঠিক পুষ্টি সরবরাহ করবে না। তবে তাকে ভেতর থেকে আরও শক্তিশালী করবে।

শরীরচর্চা
অল্প বয়স থেকেই আপনার সন্তানকে কিছু সাধারণ শরীরচর্চা শেখানো উচিত। এটি তার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে সহজতর করবে। প্রসারিত মেরুদণ্ডকে দীর্ঘায়িত করতে এবং আপনার সন্তানের শারীরিক গঠন উন্নত করতে সহায়তা করে।

হ্যাংগিং
উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য হ্যাংগিং কয়েক দশক ধরে পরিচিত এক উপায়। এটি মেরুদণ্ডকে দীর্ঘায়িত করতে সহায়তা করে যা লম্বা হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। নিয়মিত হ্যাংগিং ছাড়াও আপনি আপনার সন্তানকে পুলআপ এবং চিনআপস করতেও বলতে পারেন। এ দুটি শরীরচর্চাই পিঠ এবং বাহুর পেশি শক্তিশালী করে তোলে।

স্কিপিং
স্কিপিং বা দড়ির লাফ একটি মজাদার শরীরচর্চা যা শিশুদের কাছে আরও বেশি খেলার মতো অনুভূত হয়, এটি হৃদপিণ্ডসহ পুরো দেহে কাজ করে এবং উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি একটি আশ্চর্যজনক কার্ডিও ওয়ার্কআউট, যা আপনার সন্তানকে সক্রিয় এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়তা করে।

সাঁতার
সাঁতার আরেকটি স্বাস্থ্যকর এবং মজার শরীরচর্চা যা আপনার সন্তানের সামগ্রিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি একটি পুরো শরীরের ব্যায়াম যা শরীরের সব পেশিতে কাজ করে। নিয়মিত সাঁতার কাটলে মেরুদণ্ড শক্তিশালী হয় এবং উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।

ভালো ঘুম
রাতে একটি ভালো ঘুম কেবল বড়দের জন্য নয়, শিশুদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সন্তানকে সুস্থ এবং শক্তিশালী রাখার জন্য প্রতি রাতে তার অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।

যেভাবে সহজেই দূরে রাখা যায় ক্যান্সারকে

 যেভাবে সহজেই দূরে রাখা যায় ক্যান্সারকে


যেভাবে সহজেই দূরে রাখা যায় ক্যান্সারকে
ক্যান্সার একটি মারণব্যাধি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে বিশ্বের ৯.৬ মিলিয়ন মানুষ ক্যান্সারের কবলে প্রাণ হারিয়েছেন। প্রত্যেক বছর নতুন করে ক্যান্সার আক্রান্ত হচ্ছেন তিন লাখ মানুষ।

অথচ প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় কিছুটা রদবদল করতে পারলে দূরে সরিয়ে রাখা যায় ক্যান্সারকে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক ক্যান্সার প্রতিরোধসহ আমাদের সামগ্রিকভাবে ভাল রাখতে সাহায্য করে এমন কিছু ফল ও সবজি সম্পর্কে। 

অবশ্য তালিকা মিলিয়ে নিয়ম করে প্রত্যেক দিনই যে এসব সবজি ও ফল খেতে হবে তা নয়, চেষ্টা করবেন প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় মৌসুমী সবজি ও ফল রাখার।

যেমন- কলা: সারা বছর পাওয়া যায়। অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে প্রতিদিন কলা খাওয়া যেতে পারে। সেলেনিয়ামের সক্রিয় যৌগের এক শক্তিশালী উৎস এই ফল। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে মজবুত করার পাশাপাশি ক্যান্সার কোষ বিনষ্ট করতে পারে ।

আপেল: দাম বেশি হলেও সারা বছরই এই ফল বাজারে মিলবে। এতে আছে প্রোসায়ানিডিনস, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে কার্যকর।

ডালিম বা বেদানা: এই ফলে থাকে ফলিফেনল নামে এক যৌগ, যা ক্যান্সার সৃষ্টকারী কোষ ধ্বংস করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে।  

কালো আঙুর: এতে আছে রেসভেরাট্রল, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে সামগ্রিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

কমলালেবু: এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ক্যান্সার ফাইটার। কমলালেবুর কোয়ায় থাকা ২_হাইড্রক্সিফ্ল্যাভনয়েড (২_এইচএফ) স্তন ও ফুসফুস ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে কার্যকর ভূমিকা নেয়।

কমলালেবুর রস নয়, লেবুর কোয়া চিবিয়ে খেলে তবেই ২_হাইড্রক্সিফ্ল্যাভনয়েড পাওয়া যাবে। সারা বছর কমলা লেবু পাওয়া যায় না। তাই যেকোনও লেবু, তা সে বাতাবি লেবু হোক বা পাতিলেবু, খেলে সামগ্রিক ইমিউনিটি জোরদার হয়।

টমেটো: এতে লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যান্সারের মহাশত্রু। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় টমেটো রাখতে ভুলবেন না।  

ব্রকোলি: আসলে বিলেতি এই সবজি এখন আমাদের দেশেও সূলভ। এই সবুজ রঙের সবজিটি ইনডোল-৩ কারবিনোল নামক ফাইটোকেমিক্যালসের এক অন্যতম ভাণ্ডার। এই উপাদানটি ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে পারে।

বিট: এতে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিটা সায়ানিন, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়।

নটে শাক: যার বিজ্ঞানসম্মত নাম অ্যামারান্থাস ভিরিডি‌ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্যান্সাররোধক।

বিট বা ব্রকোলি না পেলেও সূলভে বাজারে লাল বা সবুজ নটে শাক পাবেন। সপ্তাহে ৩/ ৪ দিন এই শাক খেলে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হবে।  

তবে শুধু ক্যানসার রোধক খাবার খেলেই চলবে না, সিগারেটসহ তামাককে জীবন থেকে বিদায় জানাতে হবে। ওজন ঠিক রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করা জরুরি। সেই সঙ্গে মন ভাল রাখাও জরুরি। কেননা, মানসিক চাপ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে কমলা

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে কমলা


ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে কমলা
জনপ্রিয় একটি ফল কমলা। কমলা এখন বিদেশি কোনো ফল নয়। ১০০ গ্রাম কমলাতে আছে ভিটামিন বি ০.৮ মিলিগ্রাম, সি ৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩০০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৩ মিলিগ্রাম। 

প্রতিদিন যতটুকু ভিটামিন সি প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই একটি কমলা থেকে সরবরাহ হতে পারে। কমলায় আছে শক্তি সরবরাহকারী চর্বিমুক্ত ৮০ ক্যালোরি, যা শক্তির ধাপগুলোর জন্য জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। কমলায় আছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা ক্যান্সার প্রতিরোধক, স্বাস্থ্যকর, রক্ত প্রস্তুতকারক এবং ক্ষত আরোগ্যকারী হিসেবে খুবই উপকারী। 

কমলা 'বি' ভিটামিন ফোলেটের খুব ভালো উৎস, যা জন্মগত ত্রুটি এবং হৃদরোগের জন্য ভালো কাজ করে। প্রতিদিনকার প্রয়োজনীয় পটাসিয়ামের সাত ভাগ পূরণ করা সম্ভব কমলা দিয়ে, যা শরীরের তরলের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রয়োজন।
কমলাতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্রি-র‌্যাডিকাল ড্যামেজ করে। ফলে ত্বকের সজীবতা বজায় থাকে। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিভিন্ন ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়তা করে। কমলায় উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন সেল ড্যামেজ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম থাকায় ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। পটাসিয়াম ইকেট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখে এবং কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম ভালো রাখতে সহায়তা করে। কমলাতে উপস্থিত লিমিয়েড মুখ, ত্বক, ফুসফুস, পাকস্থলীকে কোমল রাখে এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় ওজন কমাতেও সহায়তা করে।

সর্দি-কাশির সমস্যার সেরা সমাধান চকলেট : গবেষণা

সর্দি-কাশির সমস্যার সেরা সমাধান চকলেট : গবেষণা


সর্দি-কাশির সমস্যার সেরা সমাধান চকলেট : গবেষণা
মাঝে মধ্যে কয়েক পশলা বৃষ্টি আর তার দৌলতে ঘন ঘন তাপমাত্রার পরিবর্তনের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। ঠান্ডা-গরমে জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। তার উপর রয়েছে করোনার আতঙ্ক। এই সময় খুসখুসে কাশিতে অনেকেরই জীবন একদম অতিষ্ট হয়ে ওঠে।

এই সব সাধারণ অথচ কষ্টকর মৌসুমী সমস্যায় আমরা প্রায় সকলেই অ্যান্টিবায়টিক বা কাফ সিরাপের দ্বারস্থ হই। কিন্তু অ্যান্টিবায়টিকের প্রভাবে মুখে আর কোনও স্বাদ থাকে না, শরীরও দুর্বল হয়ে পড়ে। আর কাফ সিরাপে খুসখুসে কাশি সারতেও বেশ সময় লেগে যায়। তাই আপনি যদি চকলেট ভালবাসেন আর বাড়িতে চকোলেট থাকে, তাহলে অ্যান্টিবায়টিক বা কাফ সিরাপের আর প্রয়োজন হবে না। সর্দি-কাশির সমস্যায় চকলেট খেলেই কাজ দেবে।

অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই দাবি একদল ব্রিটিশ গবেষকদের। ইংল্যান্ডের ‘ইউনিভার্সিটি অব হাল’-এর হৃদরোগ ও শ্বাসযন্ত্র বিভাগের প্রধান অ্যালিন মরিস জানান, সর্দি-কাশির সমস্যা নিরাময়ে ওষুধের অন্যতম উপাদান কোকোয়া। তার মতে, বাজারে উপলব্ধ ডার্ক চকোলেটে কোকোয়ার পর্যাপ্ত উপস্থিতি সর্দি-কাশির সমস্যা নিরাময়ের ক্ষেত্রে সহজ সমাধান হতে পারে।

অধ্যাপক মরিসের মতে, চকোলেটে থাকা কোকোয়ার মধ্যে থিওব্রমিন নামে এক বিশেষ ধরনের উপাদান থাকে, যা খুসখুসে কাশির জন্য দায়ি পাতলা শ্লেষ্মাকে ঘন আঠালো আস্তরণে পরিনত করে। ফলে সমস্যা মিটে যায়। এছাড়াও চকোলেট গলার ভিতরে একটা আঠালো আস্তরণ তৈরি করে। ফলে আক্রান্ত স্নায়ুপ্রান্তগুলি ঢাকা পড়ে গিয়ে গলা খুসখুসের সমস্যা বন্ধ হয়ে যায়।

লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের বিজ্ঞানীদের মতে, সর্দি-কাশির ওষুধে ব্যবহৃত কোডিনের চেয়ে চকোলেটে থাকা কোকোয়ায় সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়। তাদের মতে, সাধারণ ওষুর চেয়ে কোকোয়া বেশি আঠালো হয়। তাই এটি গলার মধ্য তুলনামূলক পুরু আস্তরণ তৈরি করতে সক্ষম হয়। ফলে ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সর্দি-কাশির সমস্যা অনেকটাই সেরে যাবে।


মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০

কখন, কীভাবে রোদ থেকে বেশি পাবেন ভিটামিন ‘ডি’

কখন, কীভাবে রোদ থেকে বেশি পাবেন ভিটামিন ‘ডি’


কখন, কীভাবে রোদ থেকে বেশি পাবেন ভিটামিন ‘ডি’?

ভিটামিন ‘ডি’শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় একটি উপাদান। এর ঘাটতিতে অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। হাড়ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ-স্ট্রোক, প্রজনন সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম ও দৈহিক স্থূলতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভিটামিন ডি’র ঘাটতি থাকতে পারে।
ভিটামিন ‘ডি’ এর ঘাটতি বর্তমানে সারাবিশ্বের একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক সমস্যা।
ভিটামিন ‘ডি’র অন্যতম উৎস সূর্যের আলো। এছাড়া বিভিন্ন খাবারেও ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। তবে দেহের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি আসে সূর্যালোক থেকে। বাকি ২০ শতাংশ আসে বিভিন্ন খাবার থেকে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক- দিনের কোন সময়, কীভাবে সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ‘ডি’ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় এবং কারা সূর্য থেকে বেশি পরিমাণে এই ভিটামিন সংগ্রহ করতে পারে?
দিনের কোন সময় সূর্য থেকে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়?
দিনের ঠিক মাঝামাঝি সময়ে যখন সূর্য আকাশের সবচেয়ে উঁচু স্থানে অবস্থান করে, তখন শরীরের ত্বক সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ উৎপন্ন করে। তবে দীর্ঘ সময় প্রচণ্ড রোদে অবস্থান করলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
রোদে যেভাবে থাকলে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়
শরীরের যত বেশি অংশ খোলা রেখে রোদে থাকবেন তত বেশি ভিটামিন ‘ডি’ সূর্য থেকে পাওয়া যাবে। যেমন: শুধু হাত-মুখ খোলা রেখে রোদে অবস্থান করার চেয়ে পিঠসহ শরীরের অন্যান্য অংশ খোলা রাখলে আরও বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।
কারা সূর্য থেকে দ্রুত ভিটামিন ‘ডি’ পায়?
ত্বকের রং সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরিকে প্রভাবিত করে। ত্বকের রং যত গাঢ় (যদি ত্বকে বেশি মেলানিন থাকে), তা সূর্যালোক থেকে অতিবেগুনি রশ্মি প্রবেশে তত বেশি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। অর্থাৎ গায়ের রং যত কালো, তাকে তত বেশি সময় রোদে থাকতে হবে।
শ্বেত বর্ণের মানুষের শরীরের কৃষ্ণ বর্ণের মানুষের চেয়ে দ্রুত ভিটামিন ‘ডি’ উৎপন্ন হয়।

কাঁচা পেঁপের এত গুণ

কাঁচা পেঁপের এত গুণ


কাঁচা পেঁপের এত গুণ!
কাঁচা পেঁপে একটি বারোমাসি ফল। এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। নানা রোগের মহৌষুধ হিসেবে কাজ করে এই ফল।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা পেঁপের গুণাগুণ সম্পর্কে:-
১. কাঁচা পেঁপে দেহের সঠিক রক্ত সরবরাহে কাজ করে। দেহে জমা থাকা সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে যা হৃৎপিণ্ডের রোগের জন্য দায়ী। নিয়মিত পেঁপে খেলে উচ্চ রক্ত চাপের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
২. পেঁপেতে থাকা আঁশ ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি বা অম্লতা, পাইলস ও ডায়রিয়া দূর করতে পারে। মানুষের শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে পেঁপে দারুণ কার্যকর।
৩. যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারা কাঁচা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস শুরু করুন। খেতে পারেন কাঁচা পেঁপের জুসও। কাঁচা পেঁপে বা এর জুস রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। আর এটি শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ায়।
৪. কাঁচা পেঁপেতে নানা রকম প্রাকৃতিক এনজাইম থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি এনজাইম হচ্ছে সাইমোপ্যাপিন ও প্যাপিন। এই দুটি এনজাইম প্রোটিন চর্বি ও কার্বোহাইড্রেট ভাঙতে সাহায্য করে।
৫. নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেলে ত্বকের সমস্যা দূর হয়। বিশেষ করে ব্রণ এবং ত্বকের ওপর নানা দাগ দূর করতে পারে কাঁচা পেঁপে। মৃত কোষ সমস্যা দূর করতে পারে পেঁপে।
৬. যাদের পেটে গোলমাল দেখা দেয়, তারা সালাদ হিসেবে কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন। 
৭. প্রতিদিন দুপুর ও রাতে খাবারের পর এক টুকরো কাঁচা পেঁপে ভালো করে চিবিয়ে খান। তারপর এক গ্লাস পানি খেলে সকালে পেট পরিষ্কার হয়। এতে গ্যাস্ট্রিক ও বদহজমের সমস্যাও দূর হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করে আমলকি

কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করে আমলকি


কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করে আমলকি
আমলকি ভেষজ গুণে অনন্য একটি ফল। এর ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও আমলকি রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে দারুণ সাহায্য করে। আমলকির গুণাগুণের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এখন আমলকির নির্যাস ব্যবহার করা হয়।
আমলকিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে তিন গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলালেবুর চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।
 
চলুন জেনে নিই আমলকি খাওয়ার ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে-
১. আমলকি চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি
গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এটি চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।
২. আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।
৩. এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকি গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।
৪. আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকির আচার হজমে সাহায্য করে।
৫. প্রতিদিন সকালে আমলকির রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
৬. আমলকির রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ। চোখ চুলকানি বা পানি পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। আমলকি চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 
৭. প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে। আমলকির টক ও তেতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।
৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকি অনেক উপকারী। ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকির জুস উপকারী।
৯. শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে। এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকির আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে। শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।
১০. ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।

সহজ ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন হাঁটু, কনুইয়ের কালচে দাগ

সহজ ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন হাঁটু, কনুইয়ের কালচে দাগ


সহজ ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন হাঁটু, কনুইয়ের কালচে দাগ

আমরা প্রায় সকলেই মুখের ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকি। কিন্তু নিয়মিত পরিচর্যায় মুখের উজ্জ্বলতা বাড়লেও কনুইয়ের কালচে দাগ তোলার ব্যপারে আমরা অনেকেই উদাসীন। কনুইয়ের এই কালচে ভাব বেমানান আর দৃষ্টিকটূ। এই দাগ সহজে যেতেও চায় না। 
তবে এমন কয়েকটি ঘরে তৈরি প্যাক রয়েছে যেগুলি কাজে লাগিয়ে হাঁটু বা কনুইয়ের কালচে দাগ সহজেই দূর করা যায়। আসুন আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক-
১) চিনি আর পাতিলেবুর প্যাক:

উপকরণ: ১টি পাতিলেবু আর ১ চামচ চিনির রস।
পদ্ধতি: ১ চামচ চিনি পানিতে গুলিয়ে রস করে নিন। এবার ১টি পাতিলেবুকে সমান দু’ভাগে কেটে ফেলুন। এই অর্ধেক পাতিলেবুর মধ্যে চিনির রস দিয়ে কনুইয়ে ১০ মিনিট ভাল করে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এই ভাবে সপ্তাহে ২-৩ দিন করলে দ্রুত ফল পাবেন। এই পদ্ধতিতে ঘাড়, পিঠ বা হাঁটুর কালচে ভাবও দূর করা সম্ভব।

২) দই, বেসন ও পাতিলেবুর প্যাক:
উপকরণ: ১ চামচ বেসন, ১ চামচ টকদই, ১ চামচ পাতিলেবুর রস আর ১ চামচ চিনি।
পদ্ধতি: সবকটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে কনুইয়ে অন্তত ১০ মিনিট মালিশ করুন। তারপর ৫ মিনিট রেখে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এই ভাবে সপ্তাহে ২ দিন করলে দ্রুত ফল পাবেন।

৩) চিনি আর অলিভ অয়েল:
উপকরণ: ১ চামচ চিনি আর ১ চামচ অলিভ অয়েল।
পদ্ধতি: চিনির সঙ্গে অলিভ অয়েল ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে কনুইয়ে ১০ মিনিট ভাল করে মালিশ করুন। তারপর ৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক আপনি স্ক্রাবিং করার জন্য হাত-পায়ের যে কোনও অংশেই ব্যবহার করতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে উপাদানগুলির পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে হবে।

এক বছর মাংস না খেলে কেমন হবে শারীরিক অবস্থা

এক বছর মাংস না খেলে কেমন হবে শারীরিক অবস্থা


এক বছর মাংস না খেলে কেমন হবে শারীরিক অবস্থা!

প্রতিদিন না হলেও কারও কারও সপ্তাহে তিন-চার দিন মাছ-মাংস ডায়ের্ট চার্টে থাকে। তবে কখনও যদি কেউ টানা একবছর মাংস না খায় তাহলে কী হতে পারে তা কি কখনও ভেবেছেন? চলুন আজ জেনে নিব যদি টানা একবছর কেউ মাংস না খায় তবে তার শারীরিক অবস্থা কেমন হবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এক বছর মাংস না খেয়ে শুধু ভাত-ডাল শাকসবজি, ফলমূলের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকা যায়, তবে অন্তত ওজন গড়ে দশপাউন্ড করে কমে যাবে। 
কোলেস্টেরল, রক্তচাপ, হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেক নিয়ন্ত্রণে থাকবে। দেখা যাচ্ছে শাকাহারিদের মধ্যে এই রোগের সম্ভাবনা অনেক কম। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কয়েক গুণ কমবে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু এর একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর প্রসেসড মিট। যারা বেকন, সসেজ, সালামিতে ডুবে রয়েছেন তাদের ডায়াবিটিস, ক্যানসার সম্ভাবনা খুবই বেশি। কাজেই মাংস থেকে দূরে থাকলে এই ভয়গুলো থেকেও মুক্তি।