সোমবার, ৫ অক্টোবর, ২০২০

মহাকাশে নতুন টয়লেট পাঠাচ্ছে নাসা

মহাকাশে নতুন টয়লেট পাঠাচ্ছে নাসা

মহাকাশে নতুন টয়লেট পাঠাচ্ছে নাসা
মহাকাশে শূন্য-অভিকর্ষের (জিরো-গ্র্যাভিটি) নতুন টয়লেট পাঠাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

টাইটানিয়াম স্পেস টয়লেটটি আরও দূরবর্তী অঞ্চলে মিশনে সাহায্য করবে। শূন্য অভিকর্ষ অঞ্চলে শরীরের বর্জ্য নিঃসরণের জন্য এখানে ব্যবহার করা হচ্ছে ভ্যাকুয়াম সিস্টেম। গোপনীয়তা রক্ষায় পৃথিবীর পাবলিক টয়লেটের মতোই কিউবিকলের মধ্যে এটি থাকবে। এর ওজন ৪৫ কেজি, উচ্চতায় ২৮ ইঞ্চি। বর্তমান টয়লেটের চেয়ে ৬৫ ভাগ ছোট ও ৪০ ভাগ হালকা।

বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টয়লেটটি ‘ভ্যাকুয়াম সিস্টেম’ বিশেষভাবে নকশা করা হয়েছে। যাতে নারী নভোচারীরা আগের চেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। গত বৃহস্পতিবার উৎক্ষেপণের তিন মিনিট আগে কারিগরি ত্রুটির কারণে টয়লেটটি মহাকাশ স্টেশনে পাঠানোর মিশন স্থগিত করা হয়। তবে প্রকৌশলীরা যদি ত্রুটিগুলো সারাতে পারেন তবে আবারও চেষ্টা চলবে।

নাসার প্রজেক্ট ম্যানেজার মেলিসা ম্যাককিনলে জানান, অনেকটা সময় নিয়ে ইউনিভার্সেল ওয়াস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইউডব্লিউএমএস) টয়লেটটির নকশা করা হয়েছে। কমোড সিট ও ইউরিন ফ্যানেল আগের তুলনায় পরিমার্জিত। নারী নভোচারীরা আরও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।

ফাঁস হয়ে গেল আইফোন-১২ এর ফিচার-দাম

ফাঁস হয়ে গেল আইফোন-১২ এর ফিচার-দাম


ফাঁস হয়ে গেল আইফোন-১২ এর ফিচার-দাম!আগামী ১৩ অক্টোবর অ্যাপলের বহুল প্রতিক্ষীত ‘আইফোন-১২’ এর উন্মোচন হবে। অ্যাপলের গ্যাজেট সংক্রান্ত খবরের এক বিশ্বস্ত রিপোর্টার জন প্রসার আজ টুইটার হ্যান্ডলে এ খবর ফাঁস করে দিয়েছেন। 

যদিও অ্যাপলের তরফে এখন পর্যন্ত আইফোন-১২ সম্পর্কে কোনো কিছু শোনা যায়নি। বিষয়টি তারা গোপনই রেখেছে, এমনকি কবে ঘোষণা হতে পারে সে সম্পর্কেও কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু আইফোন-১২ এর ফিচার, মডেল ভেরিয়েন্ট এবং দাম সম্পর্কে তথ্য দিয়ে টুইট করে দিয়েছেন জন।

টুইটারে তিনি জানিয়েছেন, ১৩ অক্টোবর অফিসিয়াল অ্যানাউন্সমেন্ট হবে। তবে তার আগে অক্টোবরের ৫ তারিখ থেকেই ডিস্ট্রিবিউটারদের কাছে আইফোন-১২ পাঠানো শুরু হয়ে যাবে। আইফোন-১২ এর মোট চারটি মডেলের কথা জানিয়েছেন জন।

জনের দেওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে, আইফোন-১২ এর সব থেকে ছোট স্ক্রিনের মডেলটির নাম রাখা হয়েছে আইফোন-১২ মিনি। এটাই এই মডেলের অফিসিয়াল নাম। যাতে থাকছে ৫.৪ ইঞ্চির স্ক্রিন। ৬৪ জিবি, ১২৮ জিবি এবং ২৫৬ জিবি-র ভার্সনে পাওয়া যাবে এই মডেলটি।

পরের ভার্সন আইফোন-১২ যেটি ৬.১ ইঞ্চি স্ক্রিন সাইজে বাজারে আসছে। এটিও ৬৪ জিবি, ১২৮ জিবি এবং ২৫৬ জিবি-র ভার্সনে পাওয়া যাবে।

এছাড়াও আইফোন-১২ প্রো’ এবং আইফোন-১২ প্রো ম্যাক্স’ ভার্সনও আসছে। যাদের স্টোরেজ ক্যাপাসিটি ১২৮ জিবি থেকে শুরু।

জন জানিয়েছেন, আইফোন-১২ মিনিতে ব্যবহার হয়েছে ‘(বিওইওএলইডি) সুপার রেটিনা ডিসপ্লে’, ৪ জিবি র‍্যাম। ১২৮ জিবি স্টোরেজ ভার্সনের দাম রাখা হয়েছে ৬৪৯ মার্কিন ডলার, ২৫৮ জিবি ভার্সনের দাম ৭৪৯ মার্কিন ডলার। এতে ব্যবহার হয়েছে ‘এ ১৪ বায়োনিক চিপ’, রয়েছে ডুয়াল ক্যামেরা। ৫ জি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করবে আইফোন-১২। হাল্কা এবং মজবুতের জন্য রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম বডি।

আইফোন-১২ মিনি ছাড়াও বাকি ভার্সনগুলিতেও ‘(বিওইওএলইডি) সুপার রেটিনা ডিসপ্লে’, ‘এ ১৪ বায়োনিক চিপ’, ৫ জি নেটওয়ার্ক, অ্যালুমিনিয়াম বডি ব্যবহার হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে থাকবে উন্নত ক্যামেরা।

এর আগে অ্যাপলের সেপ্টেম্বরের ‘টাইম ফ্লাইজ’ অনুষ্ঠানে আইফোন নিয়ে কোনো ঘোষণা হয়নি। সেই অনুষ্ঠানে সংস্থার সিইও টিম কুক জানান, ১৫ সেপ্টেম্বরের অনুষ্ঠানে তাদের ‘ফোকাস’ মূলত আইপ্যাড ও অ্যাপল ওয়াচের উপর। আইফোন-১২ এর কথা অনুষ্ঠানে না এলেও, অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৬, আইপ্যাড এয়ার, জেনারেশন-৮ আইপ্যাড, বেশ কিছু পরিষেবা ভবিষ্যতে আসবে বলে জানানো হয় ‘টাইম ফ্লাইজে’। 

তারপরও আইফোন-১২ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো ঘোষণা না হলেও জনের টুইট সাড়া ফেলে দিয়েছে অ্যাপল গ্যাজেট-প্রেমীদের মধ্যে।

নতুন টয়লেট মহাকাশে পাঠাচ্ছে নাসা

নতুন টয়লেট মহাকাশে পাঠাচ্ছে নাসা

নতুন টয়লেট মহাকাশে পাঠাচ্ছে নাসা
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) শূন্য-অভিকর্ষের (জিরো-গ্র্যাভিটি) টয়লেট পাঠাচ্ছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টয়লেটটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পাঠানো হচ্ছে। নাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টয়লেটের ‘ভ্যাকুয়াম সিস্টেম’ বিশেষভাবে নকশা করা হয়েছে। যাতে নারী নভোচারীরা আগের চেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

কারিগরি ত্রুটির কারণে গত বৃহস্পতিবার উৎক্ষেপণের তিন মিনিট আগে টয়লেটটি মহাকাশ স্টেশনে পাঠানোর মিশন স্থগিত করা হয়। তবে প্রকৌশলীরা যদি ত্রুটি গুলো সারাতে পারেন তবে আবারও চেষ্টা চলবে।

নাসা জানাচ্ছে, টাইটানিয়াম স্পেস টয়লেটটি আরও দূরবর্তী অঞ্চলে মিশনে সাহায্য করবে। শূন্য অভিকর্ষ অঞ্চলে শরীরের বর্জ্য নিঃসরণের জন্য এখানে ব্যবহার করা হচ্ছে ভ্যাকুয়াম সিস্টেম। গোপনীয়তা রক্ষায় পৃথিবীর পাবলিক টয়লেটের মতোই কিউবিকলের মধ্যে এটি থাকবে। এর ওজন ৪৫ কেজি, উচ্চতায় ২৮ ইঞ্চি। বর্তমান টয়লেটের চেয়ে ৬৫ ভাগ ছোট ও ৪০ ভাগ হালকা।

টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে নাসার নভোচারী জেসিকা মেয়ার এই টয়লেটকে ‘ভ্যাকুয়াম সিস্টেম’ বলে উল্লেখ করেছেন। 

নাসার প্রজেক্ট ম্যানেজার মেলিসা ম্যাককিনলে জানান, কমোড সিট ও ইউরিন ফ্যানেল আগের তুলনায় পরিমার্জিত। নারী নভোচারীরা আরও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। অনেকটা সময় নিয়ে ইউনিভার্সেল ওয়াস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইউডব্লিউএমএস) টয়লেটটির নকশা করা হয়েছে।

গুগলে কি কি সার্চ করবেন না

গুগলে কি কি সার্চ করবেন না

গুগলে কি কি সার্চ করবেন না
বর্তমান নেট দুনিয়ায় যেমন আমাদের অনেক কাজ সহজ হয়ে গেছে। গুগল সার্চ করে চাইলেই যেকোন বিষয়ে যথেষ্ট ধারণা নিতে পারবেন। কিন্তু আপনি না জেনে গুগলে এমন কোন কিছু সার্চ করলেন যার মাধ্যমে আপনার ক্ষতি হতে পারে।

চলুন দেখে নেওয়া যাক গুগলে কি কি সার্চ করবেন না:

১. সঠিক URLনা জানলে ব্যাঙ্কের নাম করে নেট ব্যাংকিংয়ের জন্য ওয়েব সাইট সার্চ করবেন না। আপনি যে ব্যাঙ্কে লেনদেন করেন তাদের অনলাইন ঠিকানা জেনে রাখা উচিত। ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটের আদলে অনেক ‘ফিশিং সাইট’ও রয়েছে। তাই জানা না থাকলে ভুল করে এই সাইটে ঢুকে আপনার গোপন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের আইডি-পাসওয়ার্ড নথিভুক্ত করলেই বিপদ নিশ্চিত।

২. স্ক্যামারাদের সবচেয়ে বড় লক্ষণ থাকে সরকারি ওয়েবসাইট। লাইসেন্সের আবেদন বা অনলাইনে সরকারি ডেথ সার্টিফিকেট খুঁজতেও গুগলে সার্চ করবেন না। গুগল সার্চে পাওয়া অনেক ওয়েবসাইট যথাযথ মনে হলেও তা থেকে প্রতারণার শিকার হতে পারেন।

৩. গুগলে কখনও কোনো সংস্থার কাস্টমার কেয়ার নম্বর সার্চ করাও উচিত নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুল নম্বর থাকে এখানে। বহু ক্ষেত্রে এইসব নম্বরে ফোন করলে আপনার মারাত্মক বিপদ হতে পারে। বরং নির্দিষ্ট সাইটের ‘কন্ট্যাক্টে’ গিয়ে কাস্টমার কেয়ারের নম্বর জোগাড় করুন। অনলাইনে বিভিন্ন ভুয়া নাম্বারও থাকে। সেইসব নাম্বারে ফোন করে অনেকে প্রতারিতও হয়েছেন।

৪. কোন রোগের জন্য কী ওষুধ এসব জানার জন্য গুগলকে ভরসা করা একেবারেই নিরাপদ নয়। মনে রাখবেন, সবসময় রোগের কী লক্ষণ সে বিষয়ে সঠিক উত্তর দেয় না গুগল। বিশেষ করে করোনা নিয়ে ওষুধের কোন নাম সার্চ করা যথাযথ নয়।

৫. বিনিয়োগ করলেই খুব শিগগিরই বড়লোক হয়ে যাবেন আপনি, এরকম পার্সোনাল ফাইন্যান্স ও স্টক মার্কেটের কথা গুগলের কাছে ভুলেও জানতে চাইবেন না।

৬. জালিয়াতি চক্র আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। অফুরন্ত সুবিধার সঙ্গে অ্যান্টি ভাইরাসের বিজ্ঞাপন দেখে সেটি ডাউনলোড করা নিরাপদ নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনার অজান্তেই ডিভাইসে ঢুকে পড়বে বিপদজনক ভাইরাস।

চাঞ্চল্যকর তথ্য, মঙ্গল গ্রহে আরও তিনটি হ্রদের সন্ধান

 চাঞ্চল্যকর তথ্য, মঙ্গল গ্রহে আরও তিনটি হ্রদের সন্ধান

চাঞ্চল্যকর তথ্য, মঙ্গল গ্রহে আরও তিনটি হ্রদের সন্ধান
মঙ্গল গ্রহের মাটির নীচে তিনটি হ্রদ পেয়েছেন মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। হ্রদগুলো বরফে আচ্ছন্ন মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন। দু’বছর আগেও মঙ্গল গ্রহের দক্ষিণ মেরুতে এক বিরাট লবনাক্ত পানির হ্রদের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।

সায়েন্স ম্যাগাজিন নেচার অ্যাস্ট্রোনমিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গল গ্রহে পানি তরল অবস্থায় পাওয়া যাওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৮ সালে যে হ্রদটি মঙ্গল গ্রহের দক্ষিণে আবিষ্কার হয়, সেটি বরফ দিয়ে আচ্ছাদিত। এটি প্রায় ২০ কিলোমিটার প্রশস্ত। এখন পর্যন্ত মঙ্গল গ্রহে পাওয়া সবচেয়ে বৃহত্তম হ্রদ এটিই।

রোম বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী আলাইনা পেটিনেল্লি জানিয়েছেন, তারা দু’বছর আগে আবিষ্কৃত হ্রদের চারপাশে আরও তিনটি হ্রদ আবিষ্কার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলগ্রহে পানি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্বর্ণের হরফে কুরআন লিখেছেন আজারবাইজানের এই নারী

স্বর্ণের হরফে কুরআন লিখেছেন আজারবাইজানের এই নারী

স্বর্ণের হরফে কুরআন লিখেছেন আজারবাইজানের এই নারী!
স্বর্ণের হরফে লেখা কুরআনের সঙ্গে তুনজালে মেমেদজাদে।
কুরআন মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ। ২০১৫ সালে এই  পবিত্র ধর্মগ্রন্থের সবচেয়ে পুরনো পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে যায়।

এর পরের বছর স্বর্ণের অক্ষরে কুরআন লিখে ইতিহাস গড়েন আজারবাইজানের এক নারী শিল্পী। তার নাম তুনজালে মেমেদজাদে।

১৬৪ ফুটের স্বচ্ছ কালো সিল্কের ওপর স্বর্ণ এবং রুপা দিয়ে কোরআন লিখেছেন তিনি। এতে সময় লেগেছে প্রায় ৩ বছর। সিল্কের ওপর স্বর্ণের হরফে কুরআন এই প্রথম লেখা হল বলে জানান ৩৩ বছর বয়সী এই শিল্পী।

স্বর্ণের হরফে লেখা এই কুরআনের দৈর্ঘ্য ১১.৪ ফুট। আর প্রস্থ ১৩ ফুট।

প্রত্যেকটি হরফ নিজের হাতে লিখেছেন মেমেদজাদে। প্রতিটি পাতায় ফুটে উঠেছে ইসলামের শিল্পকলা। তুরস্কের প্রেসিডেন্সি অব রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স দিয়ানেট থেকে স্বর্ণের হরফে লেখা এই কুরআনের প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়। 

৭ মাস পর ওমরা পালনে খুলে দেয়া হচ্ছে পবিত্র মক্কা মদিনা

৭ মাস পর ওমরা পালনে খুলে দেয়া হচ্ছে পবিত্র মক্কা মদিনা

৭ মাস পর ওমরা পালনে খুলে দেয়া হচ্ছে পবিত্র মক্কা মদিনা
সৌদি আরব পবিত্র ওমরা পালনের জন্য আগামীকাল রবিবার থেকে মক্কা এবং মদীনার পবিত্র স্থানগুলো উন্মুক্ত করে দেবে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে ৭ মাস বন্ধ থাকার পর সৌদি সরকার এসব পবিত্র স্থান উন্মুক্ত করে দিচ্ছে।

প্রতিবছর বিশ্বের লাখ লাখ মুসলমান ওমরা পালন করে থাকেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে তা বন্ধ ছিল।

ওমরা পালনের বিষয়টি তিন ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপে থাকবে শুধুমাত্র সৌদি আরবে বসবাসরত নাগরিকেদর ওমরা পালনের সুযোগ। এ সময় প্রতিদিন ছয় হাজার মানুষ ওমরা পালনের সুযোগ পাবেন।

সৌদি আরবের হজ বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ বেনতেন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে খুবই সতর্কতার সাথে এবং সুনির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে ওমরা পালন করা হবে। 

তিনি জানান, ওমরা পালনকারীদেরকে কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত করা হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই ওমরা পালনকারীদেরকে পবিত্র কাবা তাওয়াফ করতে হবে।

আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে প্রতিদিন ওমরা পালনকারীর সংখ্যা ১৫ হাজারে বাড়ানো হবে এবং সর্বোচ্চ ৪০ হাজার মানুষকে কাবা শরীফে নামাজ আদায় করতে দেয়া হবে।

এরপর ১ নভেম্বর থেকে বিদেশি নাগরিকদের ওমরা পালনের সুযোগ দেয়া হবে। এ সময় থেকে প্রতিদিন ২০ হাজার মানুষ ওমরা পালন করতে পারবেন এবং মসজিদের ভেতরে ৬০ হাজার মানুষকে নামাজ পড়ার অনুমতি দেয়া হবে।

সীমিত পরিসরে ওমরাহ পালন শুরু, প্রথম ধাপে ৬ হাজার

সীমিত পরিসরে ওমরাহ পালন শুরু, প্রথম ধাপে ৬ হাজার


সীমিত পরিসরে ওমরাহ পালন শুরু, প্রথম ধাপে ৬ হাজার
সীমিত পরিসরে ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি সরকার পবিত্র মক্কা এবং মদিনাকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের মহামারীর কারণে গত সাত মাস ধরে ওমরাহ পালন বন্ধ ছিল।

রবিবার থেকে ওমরা পালন শুরু হয়েছে তবে সবক্ষেত্রে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রথম দিনে মাত্র ছয় হাজার মুসল্লি ওমরাহ পালন করছেন। আগামী পহেলা নভেম্বর থেকে বিদেশি মুসলমানদের জন্য ওমরাহ পালনের সুযোগ উন্মুক্ত করা হবে।

প্রথম দিনে সৌদি আরবে বসবাসরত নাগরিকরা ওমরাহ পালন করেন। এ সময় পবিত্র কাবা শরীফকে কেন্দ্র করে মুসল্লিদেরকে তাওয়াফ করতে দেখা যায়। পবিত্র মদিনা শহরে মসজিদে নববীও পরিদর্শন করেন তারা। তবে সবক্ষেত্রেই মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ওমরার জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে পবিত্র কাবা, তার আগে ধোয়া মোছার কাজ চলছে

গত সপ্তাহে সৌদি হজ বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ৪ অক্টোবর থেকে ওমরাহ শুরু হবে এবং তিন ধাপে তা পূর্ণমাত্রা পাবে। প্রথম ধাপে ছয় হাজার মুসল্লি ওমরাহ করার সুযোগ পাবেন এবং শেষ পর্যায়ে তা ৬০ হাজারে বাড়ানো হবে।

গত বছর সারা বিশ্ব থেকে এক কোটি ৯০ লাখ মানুষ ওমরাহ পালন করেছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে এবার তা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

টিকটকের বিকল্প নিয়ে হাজির ইউটিউব

টিকটকের বিকল্প নিয়ে হাজির ইউটিউব


টিকটকের বিকল্প নিয়ে হাজির ইউটিউব

টেক দুনিয়ায় বিকল্পের যেন অভাব নেই। ঠিক তেমনি টিকটকের বিকল্পও চলে এলো ভারতের বাজারে। টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার পর যে ভারতের টিকটকার্সরা যে শূণ্যতায় পড়েছিলো, সেটা পূরণ করতেই হাজির হলো গুগলের ইউটিউব। নিজেদের টিকটক সংস্করণ ‘শর্টস’-এর বেটা সংস্করণ পরীক্ষা করবে প্রতিষ্ঠানটি।

জানা গেছে, গুগলের শর্টস ভিডিওর দৈর্ঘ্য হবে সর্বোচ্চ ১৫ সেকেন্ড। ইউটিউবের অন্যান্য ভিডিওর মতো এতেও যুক্ত করা যাবে প্রতিষ্ঠানটিরই অনুমোদিত আলাদা আলাদা মিউজিক। চাইলে কয়েকটি ফুটেজ যুক্ত করেও একটি ভিডিও বানানোর সুযোগ থাকছে এখানে।

অফিসিয়ালি প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দিয়েছে, সেসব নির্মাতা নিজের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও ধারণ করতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্যই ইউটিউবের এই ‘শর্টস’ প্ল্যাটফর্মটি।

একই নম্বর ব্যবহার করে একসঙ্গে ৪ ডিভাইস থেকে করা যাবে WhatsApp, জানেন কীভাবে

একই নম্বর ব্যবহার করে একসঙ্গে ৪ ডিভাইস থেকে করা যাবে WhatsApp, জানেন কীভাবে

একই নম্বর ব্যবহার করে একসঙ্গে ৪ ডিভাইস থেকে করা যাবে WhatsApp, জানেন কীভাবে?
সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও আধুনিক হচ্ছে WhatsApp। আসছে নতু নতুন ফিচার। অথচ দুইয়ের বেশি ডিভাইস থেকে এই অ্যাপ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে একই ব্যবহারকারীকে একাধিক নম্বরে হোয়াটস অ্যাপ খুলতে হচ্ছে। এবার সেই বাধাও কাটিয়ে ফেলছে এই মেসেজিং অ্যাপ। বাজারে আনছে নতুন ফিচার।

জানা গেছে, শিগগিরই একই অ্যাকাউন্টে দুইয়ের বেশি স্মার্টফোনে ব্যবহার করতে পারবেন WhatsApp ইউজাররা। রিপোর্ট অনুযায়ী, একইসঙ্গে চারটি ডিভাইস থেকে এই চ্যাট অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে। এই ফিচার্স যুক্ত করার শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। শুধুমাত্র Android বা iOS নয়, ডেস্কটপেও এই নয়া ফিচার ব্যবহার করা যাবে।

আন্তর্জাতিক মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্রস প্ল্যাটফর্ম সিংকিং (Cross Platform Syncing) ফিচার্সে বেশকিছু পরিবর্তন এনেছে WhatsApp। এই পরিবর্তনের ফলেই একসঙ্গে চারটি স্মার্টফোন বা চারটি ডিভাইস থেকে WhatsApp-এ লগ ইন করতে পারবেন ইউজাররা। কবে থেকে মিলবে এই আকর্ষণীয় ফিচার্স? একেবারে শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। তবে চ্যাট হিস্ট্রি, চ্যাট মিউট করার ফিচার্স এবং মেসেজ ডেলিভারির মতো ফিচার্সের কাজ সেরে ফেলেছে তারা।

কীবে চারটি ডিভাইসে একসঙ্গে কাজ করবে  WhatsApp? বিস্তারিতভাবে না জানালেও টুইটারে একটি ছবি শেয়ার করেছে WABetaInfo। যেটা দেখে টেকস্যাভিদের ধারণা…
প্রথমে ডিভাইসটিকে ওয়াইফাই দিয়ে কানেক্ট করতে হবে। 
কন্টিনিউ অপশন আসবে, তাতে ট্যাপ করতে হবে।
লগইন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

আরও জানা গেছে, ডেস্কটপের জন্য বিশেষ ইউজার ইন্টারফেস বা UI-কেও আরও আপডেট করছে হোয়াটসঅ্যাপ। নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়ে একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছে WABetaInfo। 

নয়া UI লাইভ হলে ডিভাইস টু ডিভাইস ডেটা শেয়ারিং লাইভ হতে পারে। সব মিলিয়ে খুব শিগগিরই গ্রাহকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় বেশকিছু ফিচার আনছে WhatsApp।

মহাকাশে মাইনিং রোবট পাঠাচ্ছে চীন

মহাকাশে মাইনিং রোবট পাঠাচ্ছে চীন

মহাকাশে মাইনিং রোবট পাঠাচ্ছে চীন

সব কিছু ঠিক মতন চললে চীন এই বছর নভেম্বর মাসে মহাকাশে তাদের মাইনিং রোবট পাঠাতে চলেছে। পৃথিবীতে এখনও পর্যন্ত যে সব দেশ মহাকাশ গবেষণা করে চলেছে, চীনই তাদের মধ্যে প্রথম এই পদক্ষেপ করছে।

বেইজিংয়ের এক বেসরকারি কোম্পানি অরিজিন স্পেস ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গেছে। এই প্রোজেক্টের রোবটটিকে বলা হচ্ছে অ্যাস্টেরয়েড মাইনিং রোবট। কিন্তু আদতে কোনও রকম মাটি খোঁড়াখুঁড়ির কাজে একে ব্যবহার করা হবে না। এই মিশনটির মূল লক্ষণ গ্রহাণু পর্যবেক্ষণ।

অরিজিন স্পেস'র তরফে রোবটটির নাম রাখা হয়েছে এনইও-১। এই এনইও-১ খবর অনুযায়ী, সম্ভবত চাইনিজ লং মার্চ রকেটের একটি সেকেন্ডারি পেলোড হতে চলেছে। এক সাক্ষাৎকারে অরিজিন স্পেস'র কো-ফাউন্ডার য়ু তিউয়ানহং জানান, অন্যান্য স্পেসক্রাফ্টের তুলনায় এই স্পেসক্রাফটটি অনেক হালকা হতে চলেছে। এর ওজন হবে মাত্র ৩০ কেজি। এই প্রোজেক্টের লক্ষ্য স্পেসক্রাফ্ট অরবিট্যাল ম্যানুভার, মহাজাগতিক তাপমাত্রা- এই সব বিষয় পরীক্ষা করে তুলে ধরা।

এনইও-১ মিশনের ভালো-মন্দ নিয়ে অবশ্য এখনই জোর দিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। একে তো এই প্রথম এ রকম উদ্যোগ নেওয়া হতে চলেছে, তার উপরে আবার ফলাফলের বিষয়টিও অনিশ্চিত। তবে অরিজিন স্পেস জানিয়েছে, এই মিশন যদি সাফল্য পায়, তাহলে নতুন বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হতে  পারে।

এ বছরেই বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের হাতে থাকবে স্মার্টফোন

এ বছরেই বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের হাতে থাকবে স্মার্টফোন

এ বছরেই বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের হাতে থাকবে স্মার্টফোন!


চলতি বছর বিশ্বে সক্রিয় স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা তিন দশমিক পাঁচ বিলিয়নে উন্নীত হবে বলে জানা গেছে। যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ। 

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিউজু বলছে বৈশ্বিক মোবাইল বাজার নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের এক-চতুর্থাংশের বেশি চীনের নাগরিক। ইন্টারনেট অবকাঠামোগত উন্নতির কারণে মধ্য-দক্ষিণ এশিয়া, সাব-সাহারান আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার মতো অঞ্চলে স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়বে। 

চলতি বছরের শেষের দিকে ২শ’ মিলিয়ন সক্রিয় স্মার্টফোন ফাইভ জি ব্যবহারে প্রস্তুত হবে। যা বিশ্বে সক্রিয় স্মার্টফোনের পাঁচ শতাংশ। এছাড়া, ২০২৩ সাল নাগাদ ফাইভ জি ব্যবহারে উপযুক্ত স্মার্টফোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে চার দশমিক আট বিলিয়নে। যা মোট সংখ্যার ৪২ দশমিক সাত শতাংশ। 

চলতি বছর মোবাইল গেমারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে দুই দশমিক পাঁচ বিলিয়নে। একইসাথে এবছর মোবাইল গেমিং খাত থেকে আয় বেড়ে দাঁড়াবে ৭৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সাল নাগাদ এই আয় একশ’ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

সাবধান! নতুন বিপদ 'কাপল চ্যালেঞ্জ'

সাবধান! নতুন বিপদ 'কাপল চ্যালেঞ্জ'

সাবধান! নতুন বিপদ 'কাপল চ্যালেঞ্জ'


মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন বিষয় ট্রেন্ডিং হয়ে ওঠে। ঠিক যেমন সম্প্রতি ফেসবুকের নতুন ট্রেন্ড হয়েছে #‌CoupleChallenge। অনেকেই নিজের পার্টনারের সঙ্গে ছবি পোস্ট করছেন। সঙ্গে দিচ্ছেন এই হ্যাশট্যাগ। কিন্তু জানেন কী এতে অজান্তেই ডেকে আনছেন নিজের বিপদ?‌ শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই কিন্তু আশঙ্কা করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।

সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, #‌CoupleChallenge এই হ্যাশট্যাগে দিনে প্রচুর সংখ্যক মানুষ নিজের পার্টনারের সঙ্গে ছবি পোস্ট করছেন। তবে সব ভালোর যেমন খারাপ দিক থাকে, তেমনি এরও রয়েছে। আর সেটা হল, ওই ছবিগুলোকে নানা অসৎ কাজে ব্যবহার করতে পারে সাইবার অপরাধীরা। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় Public ‌করে কোনও কিছু পোস্ট করলে গোটা বিশ্বে যে কেউ তা দেখতে পারে। প্রয়োজনে সেই ছবি ডাউনলোড করে বিশেষভাবে সম্পাদনা (‌Morphed) ‌করে পর্ন ওয়েবসাইট, সাইবার অপরাধমূলক কাজ করাও অসম্ভব নয়। আর তাই এই ধরনের হেনস্তা থেকে বাঁচতেই সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চ্যালেঞ্জ নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। কিংবা সাবধানতা অবলম্বন করে পোস্ট করুন। প্রয়োজনে সেটিংসে গিয়ে অডিয়েন্স অপশনটি ‘‌Friends’‌ করে রাখুন।

সম্প্রতি ভারতের পুণে পুলিশের পক্ষ থেকে টুইট করে সাধারণ মানুষকে সাবধানও করা হয়েছে। টুইটে লেখা হয়েছে, ‘‌‘#‌CoupleChallenge এ ছবি পোস্ট করার আগে দু’‌বার ভাবুন।‌ এই চ্যালেঞ্জ বিপদের কারণও হতে পারে।’‌’‌ সেই সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করা হয়। এদিকে, অনেক জায়গা থেকেই ইতিমধ্যে নাকি অভিযোগও আসছে, এমনটাই জানিয়েছেন অনেক পুলিশ কর্মকর্তা।

চাঞ্চল্যকর তথ্য, মঙ্গল গ্রহে আরও তিনটি হ্রদের সন্ধান

চাঞ্চল্যকর তথ্য, মঙ্গল গ্রহে আরও তিনটি হ্রদের সন্ধান


চাঞ্চল্যকর তথ্য, মঙ্গল গ্রহে আরও তিনটি হ্রদের সন্ধান

মঙ্গল গ্রহের মাটির নীচে তিনটি হ্রদ পেয়েছেন মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। হ্রদগুলো বরফে আচ্ছন্ন মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন। দু’বছর আগেও মঙ্গল গ্রহের দক্ষিণ মেরুতে এক বিরাট লবনাক্ত পানির হ্রদের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।

সায়েন্স ম্যাগাজিন নেচার অ্যাস্ট্রোনমিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গল গ্রহে পানি তরল অবস্থায় পাওয়া যাওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৮ সালে যে হ্রদটি মঙ্গল গ্রহের দক্ষিণে আবিষ্কার হয়, সেটি বরফ দিয়ে আচ্ছাদিত। এটি প্রায় ২০ কিলোমিটার প্রশস্ত। এখন পর্যন্ত মঙ্গল গ্রহে পাওয়া সবচেয়ে বৃহত্তম হ্রদ এটিই।

রোম বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী আলাইনা পেটিনেল্লি জানিয়েছেন, তারা দু’বছর আগে আবিষ্কৃত হ্রদের চারপাশে আরও তিনটি হ্রদ আবিষ্কার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলগ্রহে পানি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

বিয়ের ১৮টি আজব রীতি

বিয়ের ১৮টি আজব রীতি


বিয়ের ১৮টি আজব রীতি!
সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রথম সোপান হলো পরিবার। পারিবারিক জীবন শুরু হয় বিয়ের মাধ্যমেই। এজন্য মানব সভ্যতা বিকাশে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। একজন পুরুষ এবং একজন নারীর মাঝে একসাথে বসবাস করার শরীয়ত মোতাবেক যে বন্ধন স্থাপিত হয়, তারই নাম বিবাহ।

বিয়ে নিয়ে অসংখ্য অজানা, অদ্ভুত রীতি ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্বের, এমনকী আমাদের দেশের আনাচে কানাচেও! বিয়ে নিয়ে সেসব অদ্ভুত রীতি জেনে নিন-

১. বিয়ের কনের পরনে সাদা শাড়ি? আমরা ভাবতে পারিনা ঠিকই, কিন্তু ইংরেজদের বিয়ের গাউন হয় সাদা রঙেরই। তাদের কাছে সাদা কুমারিত্বের প্রতীক।

২. নাচ-গান হই-হুল্লোড় ছাড়া আমাদের বিয়ে অসম্পূর্ণ। কিন্তু ডেনমার্কে বিয়ের অনুষ্ঠান হয় আড়ম্বরহীন। কারণ তাদের ভয়, জাঁকজমক দেখে আশরীরীরা নাকি ছুটে আসবে।

৩. বিয়ের দিন, ওয়েলশ-এর পুরুষরা নিজের হাতে কাঠ কেটে, একটি চামচ তৈরি করে উপহার দেন বউকে।

৪. চীনের 'তুজা' প্রজাতির মেয়েরা বিয়ের মাসখানেক আগে থেকেই রোজ ১ ঘণ্টা করে কান্না প্র্যাকটিস করেন। বিয়ের পর নিজের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় কাঁদতে হবে না! আর তাদের এই প্র্যাকটিস সেশনে উৎসাহ যোগান মা, ফুফু, দিদিরা। তারাও মেয়েটির সাথে তালে তাল মিলিয়ে কাঁদতে বসেন।

৫. বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগে মাসাই পাত্রদের সিংহের সাথে যু্দ্ধ করে, কনেকে উপহার দিতে হয় সেই মৃত সিংহের ছাল । (অবশ্য পাত্র যদি নিজে প্রাণে বাঁচেন তো!)

৬. হবু শ্যালকের জন্য পাত্রী খোঁজার পরই একজন পিগমি যুবক বিয়ের আসনে বসতে পারবেন। সেই পাত্রী আবার হতে হবে তারই কোনও আত্মীয়া।

৭. মঙ্গোলিয়ার 'দাউর' প্রজাতির মধ্যে প্রচলিত--বিয়ে পাকা করতে বর-কনের প্রথম কাজ হলো, ধারালো ছুরি দিয়ে যৌথভাবে একটি জ্যন্ত মোরগ ছানাকে বলি দেওয়া।

৮. উত্তর ভারতের 'খগ' প্রজাতিতে বিয়ের আগে দু'পক্ষের আনা দু'টি মোরগের জিভ কেটে পাত্র-পাত্রীর কুষ্ঠী বিছার করা হয়।

৯. অাসামের 'গোরো' প্রজাতিতে যে-পাত্র সবথেকে বেশি সংখ্যক খুলি দিয়ে গাঁথা মালা উপহার দিতে পারবে কনেকে, সেই জয়ী!

১০. উত্তর প্রদেশের 'খস' প্রজাতিতে বাড়ির একটি ছেলে বিয়ে করলেই, তার ভাইয়েরাও সেই মেয়েটিকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন। একে বলে 'দৌপদী বিবাহ'।

১১. কোরিয়ায় বিয়ের রাতে নতুন বরের পুরুষত্ব জাগিয়ে তুলতে তার বন্ধুদের কাজ হলো- বরের পা বেঁধে, মাছের লেজ ও পাখনা দিয়ে পায়ের পাতায় আঘাত করা।

১১. কঙ্গোতে বিয়ের আসরে উপস্থিত থাকেন একজন কৌতুক অভিনেতা। তিনি নিমন্ত্রিতদের হাসাবেন, তারা হাসবেনও। কিন্তু বর-কনের হাসা মানা!

১২. ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ায় বিয়ের শেষে অতিথিরা সারি বেঁধে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়েন। তাদের উপর দিয়ে অবলীলায় হেঁটে যান নবদম্পতি।

১৩. বিয়ের আচার অনুষ্ঠানের পর একটি কাচের পাত্র ভেঙে ফেলেন ইতালিয় নবদম্পতি। তারপর সেই ভাঙা পাত্রটির প্রতিটি খণ্ড গুনে গুনে কুড়িয়ে তুলতে হয়। যত গুলো টুকরো, ততবছর তাঁদের বিবাহিত জীবনের মেয়াদ! এমনটাই মনে করেন ইতালিয়রা।

১৪. উত্তর বোর্নিওতে বিয়ের পর বর বউকে তিন দিন, তিন রাত একটি ঘরে একসঙ্গে বন্ধ করে রাখা হয়। এই সময়ে তাদের বাথরুমে প্রবেশ করাও নিষেধ।

১৫. প্রায় একই হাল হয় সুইডেনে সদ্যবিবাহিতদের। বিয়ের পর বাসর রাতে কেউ কারও পাশ ছেড়ে উঠতে পারবেন না। বর উঠলে, বাসরে থাকা অন্য পুরুষেরা কনেকে চুমু খাবেন, আর কনে উঠলে নারীরা চুমু খাবেন বরকে।

১৬. বিয়ের আগে সাধারণত মেয়েরা ওজন কমাতে চান। কিন্তু আফ্রিকার এক অঞ্চলের বাসিন্দারা মনে করেন, মেয়ে যত মোটা, তত সুন্দরী! তাই কিছুদিন আগে পর্যন্তও সেখানে বিয়ের কনেকে পৃথুলাকায় করে তুলতে ছিল বিশেষ 'ফ্যাট ফার্ম'।

১৭. মালয়েশিয়ায় বিয়ের অনুষ্ঠানের সব ধাপেই থাকে সন্তান ধারণের ইঙ্গিত। বিয়ের আগে, বরের পক্ষ থেকে কনের জন্য পাঠানো হয় খাবার ও উপহার। বিয়েতে নিমন্ত্রিতদের দেওয়া হয় রঙিন ডিম, যা সন্তানধারণেরই চিহ্ন।

১৮. বিয়ে টিকিয়ে রাখতে দক্ষিণ সুদানের বিবাহিতাদের দু'টি সন্তান জন্ম দেওয়া আবশ্যক।

এক কোয়া রসুনে দূরে থাকবে ১৮টি রোগ

এক কোয়া রসুনে দূরে থাকবে ১৮টি রোগ

এক কোয়া রসুনে দূরে থাকবে ১৮টি রোগ!

কাঁচা রসুনের গুণের তুলনা করতে শব্দ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। একে মহৌষধি বললেও ভুল হবে না। বহু বয়স্ক মানুষই কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস বজায় রাখেন। কতটা লাভবান হন তারা, জানলে আপনিও হাঁটবেন এই পথেই।

চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, কাঁচারসুন রক্তের উচ্চচাপ দূর করে। কোলেস্টরেল কমায়। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায় রসুন খেলে।

নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থাকলে দিনের বেলায় এক/দুই কোয়া কাঁচা রসুন খেলে ম্যাজিকের মতো ফল পাওয়া যাবে। খারাপ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে কাঁচা রসুন।

যক্ষা থেকে রক্ষা করে কাঁচা রসুন। নিয়মিত খেলে বাড়ে হজম শক্তি। চিকিৎসকরা দেখিয়েছেন, কাঁচা রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসারকে দূরে রাখে।

কোষ্ঠকাঠিন্য কমে, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা দূর হয় কাঁচা রসুন খেলে। কাঁচা রসুন দাঁতের ব্যথায় কাজ দেয়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। কৃমি ধ্বংস করে।

অনিদ্রা, আঁচিলের সমস্যা দূর করে কাঁচা রসুন। ত্বককেও তরতাজা রাখে। রক্ষা করে চর্মরোগের হাত থেকে।

কামনা বাড়াতে ভায়াগ্রা নয়, আমলকি খান

কামনা বাড়াতে ভায়াগ্রা নয়, আমলকি খান 


কামনা বাড়াতে ভায়াগ্রা নয়, আমলকি খান
আমলকির রয়েছে নানা গুণ। এর পাতা ও ছাল থেকে তৈরি পরীক্ষামূলক ওষুধে কিছু রোগ নিরাময়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমলকি শারীরিক সুস্থতা, চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি অার ত্বক ভালো রাখার পাশাপাশি রিপ্রডাক্টিভ হেল্থ বা প্রজনন ক্ষমতারও উন্নতি ঘটায়। সেইসঙ্গে কামনা বাড়িয়ে দেয়। ফলে সেক্স লাইফের উন্নতি ঘটে। আমলকিতে থাকা ভিটামিন 'সি' পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট বাড়িয়ে দেয়।

যারা যৌনক্ষমতা বাড়াতে চায় তাদের মধ্যে ভায়াগ্রার প্রতি আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু পুষ্টিবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ভায়াগ্রা নয়, নিয়মিত আমলকি খান। কিছুদিনের মধ্যেই আপনার লিবিডো অনেকটা বেড়ে যাবে। আমলকি কিভাবে যৌনজীবন উষ্ণ এবং রঙিন করতে সাহায্য করে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। 

- আমলকিতে আয়রন আর জিঙ্ক থাকে। ফলে এই ফল খেলে যৌনশক্তি ও পুরুষত্বেরও (sexual vigor and virility) উন্নতি ঘটে।

- নারীদের মধ্যে যারা সাদা স্রাব (white discharge) সমস্যায় ভোগেন‚ তারা নিয়মিত আমলকি শুকিয়ে তা গুঁড়ো করে মধু দিয়ে খান। উপকার পাবেন।

- পুরুষরা আমলকির জুস সকালে খালি পেটে বা সন্ধ্যায় খেতে পারেন।

- যৌনজীবন উষ্ণ এবং রঙিন করতে  দুধে আমলকি পাউডার মিশিয়ে খেতে পারেন।

শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

জাপানে যাত্রীসহ উড়ন্ত গাড়ির সফল পরীক্ষা

জাপানে যাত্রীসহ উড়ন্ত গাড়ির সফল পরীক্ষা
জাপানে যাত্রীসহ উড়ন্ত গাড়ির সফল পরীক্ষা

একাধিক কল্পবিজ্ঞানের গল্পে দেখা যায় উড়ন্ত গাড়ির কথা। যা দেখে আকর্ষিত হয় অল্পবয়সী কিশোর কিশোরী। কিন্তু সব ঠিক থাকলে আর কল্প বিজ্ঞান নয়, বাস্তবের মাটিতেও দেখা যাবে এই উড়ন্ত গাড়ি। সম্প্রতি জাপানে পরীক্ষামূলক ভাবে এই ফ্লাইং কারের পরীক্ষা করা হয়েছে। আর এরপর থেকেই আশা করা হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে আর বেশি দেরি নেই এই গাড়ি চোখে দেখতে।
যদিও বিশ্বের একাধিক দেশের বেশ কিছু সংস্থা এই ধরনের গাড়ির প্রটোটাইপ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু জাপানে সফল ভাবে করা হয়েছে এই পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষার ফলে আগামী দিনের প্রযুক্তি সম্পর্কে আঁচ পাওয়া গেল। এই প্রকল্পে জাপানের 'স্কাইড্রাইভ' সংস্থার সঙ্গে অন্য বেশ কিছু সংস্থা অংশ নিয়েছিল বলেও জানা গেছে। যদিও তিন বছর আগে তাদের এই চেষ্টা সফল না হওয়াতে আরও মনোযোগ দিয়ে এই কাজে ব্যস্ত হয়েছিল। অবশেষে তাদের এই সাফল্য গোটা বিশ্বের সামনে খুলে দিল আগামীর পরিবহনের এক নয়া নকশা।
জানা গেছে, এই পরীক্ষার জন্য জাপানের ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের তরফ থেকেও আর্থিক অনুদান পাওয়া গিয়েছিল। আর মনে করা হচ্ছে তার ফলে কিছুটা হলেও সহজ হয়েছিল এই পরীক্ষা। কিছুদিন আগেই সংস্থার তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে দেখা গেছে, মোটরবাইকের মত দেখতে হলেও এটি মাটির কয়েক ফুট উচুতে উড়ছে। আর চালকের আসনে ছিলেন এক ব্যাক্তি। আর তার পরেই শুরু হয়েছে আকর্ষণ।
বিশ্বে এই মুহূর্তে বেশ কয়েকবার এই ফ্লাইং কারের একাধিক প্রকল্পের চেষ্টা করা হলেও সাফল্য এসেছিল খুব কম। আর এই সাফল্যর পরে এই তালিকাতে উঠে এল জাপানের 'স্কাইড্রাইভ'। ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যাতে এটি পন্য হিসেবে বাজারে আনা যায় তার চেষ্টা চলছে। ২০২৩ সালের মধ্যে যাতে এটি পন্য হিসেবে আনা যায় তার জন্য পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এখন দেখার বিষয় কত তাড়াতাড়ি বাস্তবে আসে এই ফ্লাইং কার।

Refresh your living space with our best-selling cleaning supplies!

পিরামিডের দ্বিগুণ আকারের গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে: নাসা

পিরামিডের দ্বিগুণ আকারের গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে: নাসা


পিরামিডের দ্বিগুণ আকারের গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে: নাসা
আবারও পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে একটি গ্রহাণু। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, মিশরের গিজার গ্রেট পিরামিডের আকারের চেয়ে দ্বিগুণ বড় এই গ্রহাণু আগামী রবিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল চারটার দিকে পৃথিবীর ঘা ঘেঁষে চলে যাবে। 

নাসা আরও জানিয়েছে, এই গ্রহাণুটির উচ্চতা প্রায় ৮৮৬ ফুট। এই গ্রহাণুর নাম ৪৬৫৮২১ (২০১০এফআর)। ১০ বছর আগে এটি প্রথম নজরে এসেছিল নাসার।

প্রসঙ্গত, পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসা গ্রহাণু-ধুমকেতুদের ‘নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট’ বা এনইও হিসেবে চিহ্নিত করে নাসা। এই গ্রহাণুটিও সেই গোত্রে পড়ছে। এটি সূর্য থেকে ১৯.৪৫ কোটি কিমি দূরে রয়েছে। 

তবে এই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের কোনও সম্ভাবনা আছে কি না, সে প্রসঙ্গে সকলকে আশ্বস্ত করেছেন ‘সেন্টার ফর নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ’-এর গবেষকরা। তারা জানিয়ে দিয়েছেন, ভয়ের কোনও কারণ নেই। পৃথিবীর ধার ঘেঁষে এই গ্রহাণুটি চলে যাবে। এর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের কোনওরকম সম্ভাবনা নেই।

সাধারণত এই ধরনের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের সম্ভাবনা কমই থাকে। তবে কখনও কখনও অন্য গ্রহের সঙ্গে মহাকর্ষীয় টানের কারণে তারা আচমকাই অনেকটা কাছে চলে আসে। তাছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে গ্রহাণুর মতো ছোট মহাজাগতিক বস্তু সূর্যের আলো শুষে উত্তপ্ত হয়ে তাপ নির্গত করে। এর ফলেও তাদের গতিবিধিতে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। একে ‘ইয়ার্কোভস্কি এফেক্ট’ বলে।

নাসা জানিয়েছে, এই ধরনের আগন্তুক গ্রহাণু অতীতে বহুবার পৃথিবীতে আছড়‌ে পড়েছে এবং পৃথিবীর বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 

প্রসঙ্গত, প্রাগৈতিহাসিক কালে পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করা ডাইনোসরদের অবলুপ্তির পিছনেও এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুর আছড়ে পড়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক অতীতে বহুবারই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে মানব সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার নানা জল্পনা ও গুজব শোনা গিয়েছে।