মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১

যে গ্রামে কেউ কাপড় পরে না!

যে গ্রামে কেউ কাপড় পরে না

যে গ্রামে কেউ কাপড় পরে না!
একমাত্র নগ্ন হতে রাজি হলেই সে কিনতে পারবে জমি। অন্যথায় জমিও মিলবে না, মিলবে না বাড়ি-ঘর বা বসবাসের সুযোগ। অবাক হচ্ছেন? যুক্তরাজ্যের হার্টফোর্ডশায়ারে অবস্থিত স্পিলপ্লাজ নামক গ্রামে এমনই রীতি! কারণও আছে, ওই গ্রামে কেউ কাপড়ই পরে না। তাই সেখানে থাকতে চাইলে তাদের মতো করেই থাকতে হবে আপনাকে।

নগ্ন বিচের কথা শোনা গেছে, নগ্ন অবকাশযাপন কেন্দ্রের কথাও অনেকের জানা, কিন্তু নগ্ন গ্রাম! হ্যা, দক্ষিণ আমেরিকায় ঘনজঙ্গলে কিছু আদিবাসী আছে যারা এখনও সভ্যতার ছোঁয়া পায়নি। তাদের ব্যাপার হলে ভিন্ন কথা ছিল। কিন্তু সভ্যতার পথপ্রদশক বলে যারা নিজেদের দাবি করে সেই যুক্তরাজ্যে এমন গ্রামের কথা শুনলে অনেকেই হয়ত অবাক হবেন। তবে গ্রামবাসী অবশ্য নগ্নতার মধ্যে অসভ্যতার কিছু দেখেন না। আর যেখানে ইউরোপ-আমেরিকার সামনের সারির সভ্য দেশগুলোর শিক্ষিতরা নগ্নতার দাবিতে আন্দোলন করছেন, রাস্তার মধ্যে কাপড় খুলে ব্যানার হাতে টিভি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন সেখানে ওই গ্রামবাসীকে অসভ্য বলার সুযোগই বা কোথায়? তারা তো নিজেদের মতো করে থাকছেন, কারও বাড়া ভাতে ছাই দিচ্ছেন না। এটা ওই গ্রামেরই মানুষের কথা।

মজার ব্যাপার হচ্ছে- ওই গ্রামের মানুষ বেশ সচেতন ও সৌখিন। তারা গায়ে কাপড়ের কোন পোশাক না পরলেও রোদ থেকে চোখ বাঁচাতে সানগ্লাস ঠিকই ব্যবহার করেন। গলায় স্বর্নের চেইন এমনকি আঙ্গুলে আংটিও পরেন শখ করে। গ্রামের ভেতর বেশ সমৃদ্ধ বারও আছে। শুধু পোশাকই নেই গায়ে।

মোর-৪ নামের একটি টিভি চ্যানেল সেই গ্রামের বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা নিয়ে একটি ধারাবাহিক ডকুমেন্টরি তৈরি করছে। এর ফলেই নতুন করে আলোচনায় চলে আসে স্পিলপ্লাজ।

শোনা গেছে, ওই গ্রামের সবাই বস্ত্রহীন। প্রথম দর্শনে একে আর দশটি গ্রামের মতোই মনে হবে। ছবির মতো সুন্দর, বেশ পরিপাটি। কিন্তু আপনার ধারণা পাল্টাতে শুরু করবে যখন আপনি এই গ্রামের কোনো বাসিন্দার দেখা পাবেন। এই গ্রামের বাসিন্দারা গ্রামটিকে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে পুরনো নগ্নতাবাদী অঞ্চল বলে দাবি করেন। তারা এতটাই নগ্নতাবাদী যে আপনি যদি তাদের মতের সাথে একমত না হন তাহলে সেই গ্রামের কেউ আপনার কাছে জায়গা-জমি, বাড়ি-ঘর কিছুই বিক্রি করবে না।

এই গ্রামের বাসিন্দা ৮৫ বছর বয়সী ইছিয়ুট রিচার্ডসন বলেন, আমি বুঝি না এটা নিয়ে এত হৈচৈ করার কি আছে। আমি তো অন্য গ্রামের সাথে এই গ্রামের কোনো পার্থক্য দেখি না। ওরা যেভাবে জীবন ধারণ করে আমরাও সেইভাবে করি। সকালে ঘুম থেকে উঠি, দিনের কাজ শুরু করি, বাজারে যাই, পানশালায় যাই, দুধওয়ালা, পোষ্টম্যানরা আমাদের বাড়িতে আসে। সবই তো স্বাভাবিত, অস্বাভাবিক তো কিছু দেখি না। আমরা শুধু বস্ত্রহীন থাকি, এই যা।

মঙ্গলে নীল-হলুদ এলাকার বিস্ময়কর ছবি প্রকাশ

মঙ্গলে নীল-হলুদ এলাকার বিস্ময়কর ছবি প্রকাশ

মঙ্গলে নীল-হলুদ এলাকার বিস্ময়কর ছবি প্রকাশমঙ্গলের উত্তরমেরুর বিস্তীর্ণ এলাকা। নানা রকম তার রঙ। সেই ছবি সামনে আনল নাসা। এ যেন লাল গ্রহে নীল-হলুদের সমুদ্র। মঙ্গল-এর নর্দান পোলার ক্যাপ জুড়ে এই দৃশ্য। অবশ্য এই ছবি প্রকাশের একটি উপলক্ষ আছে। Mars Odyssey orbiter-এর ২০ বছর পূর্ণ হল।

নাসা জানিয়েছে, তারা যে ছবি তুলেছে সেটা এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলের। প্রায় ১৯ মাইল জুড়ে। এই মঙ্গলের বুকে বালিবাতাসের সমুদ্র ছেয়ে রয়েছে প্রায় টেক্সাসের মতো আয়তনের এক এলাকা জুড়ে। ছবিতে যে রঙ দেখা যাচ্ছে, তা অবশ্য ওরিজিনাল নয়। কেননা, তাপমাত্রার সঙ্গে সঙ্গেই বদলে যায় এই এলাকার রঙ। নীল অঞ্চলটা শীতল, সূর্যতপ্ত অঞ্চলটা হলুদ।

নাসা জানিয়েছে, ছবিটি ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে তোলা। Odyssey-র অ্যানিভার্সারি উপলক্ষে এই ছবি পেয়ে উল্লসিত মহাকাশপ্রেমী মানুষ।

Mars Odyssey orbiter এক ধরনের robotic spacecraft। এই স্পেসক্র্যাফ্টটি মঙ্গলকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। এতে রয়েছে একটি 'থার্মাল ইমেজার'। এর কাজ হল, মঙ্গলে পানি বা বরফের অস্তিত্ব খুঁজে বের করা ও তা চিহ্নিত করা।

এখনও পর্যন্ত এটিই মঙ্গল নিয়ে কাজ করা সবচেয়ে পুরনো স্পেসক্র্যাফ্ট। ২০০১ সালে এটি কাজ করেছিল

সোমবার, ৫ এপ্রিল, ২০২১

আম-পুদিনার শরবত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

আম-পুদিনার শরবত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

আম-পুদিনার শরবত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
কাঁচা আম সকলের কাছেই পছন্দনীয় এবং খেতেও সুস্বাদু। আচার, ভর্তা, শরবত বিভিন্নভাবেই খেতে এটি সমান জনপ্রিয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে 'ভিটামিন সি' যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। করোনা মহামারি সংক্রমণ রোধে ভিটামিন সি খুবই কার্যকরি। 

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ছাড়াও বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে ভিটামিন সি। তাই এর ঘাটতি পূরণে খাদ্য তালিকায় কাঁচা আম রাখা সবচেয়ে সহজলভ্য।

কাঁচা আম বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া গেলেও এর সঠিক পুষ্টিগুন পেতে শরবত খাওয়ার বিকল্প নেই। গরমে এক গ্লাস কাঁচা আমের শরবত খেলে যেন মুহূর্তেই শরীরে স্বস্তি দেয়। বিভিন্নভাবে কাঁচা আমের শরবত তৈরি করা যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ একটি উপায় হলো 'কাঁচা আম ও পুদিনা পাতা' দিয়ে তৈরি শরবত। 

পুদিনা পাতা তাপ নিয়ন্ত্রণ করে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এর রস পিষে দু'তিন ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে পান করলে ক্লান্তিভাব দূর হয়। নিয়মিত পুদিনা পাতা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে বুকে কফ জমতে পারেনা। এতে থাকা ‘মেন্থল’ পেশিকে শিথিল করার মাধ্যমে শরীরের ব্যথা কমায়।

দীর্ঘদিন আয়রনের ঘাটতিতে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়

দীর্ঘদিন আয়রনের ঘাটতিতে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়

দীর্ঘদিন আয়রনের ঘাটতিতে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়
আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মূল উপাদান গঠন করে। শরীরের আয়রনের পরিমাণ কমে গেলে রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া দেখা দেয়। অধিক রক্তশূন্যতার জন্য রক্ত নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। মহিলাদের পিরিয়ডে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও গর্ভবতী মায়েদের রক্তশূন্যতার সমস্যা বেশি থাকলেও নারী-পুরুষ ভেদে সকলের আয়রন ঘাটতি হতে পারে।

আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো ক্লান্তি। কারণ তখন শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রনের অভাবে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে পারে না। পর্যাপ্ত হিমোগ্লোবিন ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন টিস্যু এবং পেশিতে পৌঁছায় না। শরীর ক্লান্তবোধ করে।

শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম হলে ত্বক ফ্যাকাশে দেখায়। এমন সমস্যায় অনেকের মুখ, মাড়ি, ঠোঁট, নিচের চোখের পাতা এবং নখও ফ্যাকাশে দেখায়।

দীর্ঘদিন এ সমস্যার চিকিৎসা করা না হলে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ, হৃদরোগজনিত জটিলতা দেখা দিতে পারে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। সময়মতো চিকিৎসা করানো না হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি বাড়ে।

ত্বক-চুলের ক্ষতি রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাবে কোষগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ কম হয়। ত্বক, চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, চুল পড়া এবং নখ ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।

বার্ধক্যজনিত সমস্যা এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে সজনে ডাটা

বার্ধক্যজনিত সমস্যা এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে সজনে ডাটা

বার্ধক্যজনিত সমস্যা এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে সজনে ডাটা
সজনে এমন একটি গাছ যার ডাটা, পাতা ও ফুল সবই খাওয়ার উপযোগী ও উপকারি। এটি সস্তা এবং বহুল পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি সবজি।

সজনে শরীরের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পুষ্টিবর্ধক হিসেবে কাজ করে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এতে প্রায় ৯০টিরও বেশি এবং ৪৬ রকমের এন্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান। শরীরের ওজন কমাতেও ব্যায়ামের পাশাপাশি এটি বেশ কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে।

সজনের এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যকৃত ও কিডনি সুস্থ রাখতে এবং রূপের সৌন্দর্য বর্ধক হিসেবেও কাজ করে থাকে। এতে প্রায় ৯০টিরও বেশি এবং ৪৬ রকমের এন্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান।

এছাড়াও ৩৬টির মত এন্টি-ইনফ্ল্যামমেটরি বৈশিষ্ট্য আছে যা অকাল বার্ধক্যজনিত সমস্যা দূর করে এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এটি শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।

নিয়মিত দৈনিক সেবন শরীরের ডিফেন্স মেকানিজমকে শক্তিশালী এবং ‘ইমিউনিটি স্টিমুল্যান্ট’ করে। শরীরের ওজন কমাতেও ব্যায়ামের পাশাপাশি এটি বেশ কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে।

কোভিড ব্যবস্থাপনায় যে দুটি বিষয় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ

কোভিড ব্যবস্থাপনায় যে দুটি বিষয় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ

কোভিড ব্যবস্থাপনায় যে দুটি বিষয় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণএক. যদিও কোভিড ওয়ার্ডগুলিতে তিল ধরনের ঠাঁই নাই অনেক রোগী সুস্থ হবার পরেও অযথাই পড়ে থাকে তার টেস্ট নেগেটিভ হল কিনা সেটা দেখার জন্য। অনেক সময় চাপে বাধ্য হয়ে, অনেক সময় অবোধগম্য কারণে ডাক্তাররাও তাকে আবারও টেস্ট করতে পাঠায়। শুধু একবার নয় বারবার যতদিন টেস্ট নেগেটিভ না আসে। অথচ সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরও নেগেটিভ আসতে ৪০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে কারো কারো। এই টেস্ট নেগেটিভ হওয়াটা ডিসচার্জ হওয়ার জন্য জরুরি নয়। বিশেষ করে যারা কেবিনে থাকে এবং যাদের প্রভাবশালীর রেফারেন্স থাকে তাদের কারো কারো সামনে টেস্ট নেগেটিভ হওয়ার আগেই বাসায় যান বলাটা অনেকটাই দুঃসাহসের পর্যায়ে চলে যায়। যিনি অনেক কষ্টে অনেককে ধরাধরি করে একটি সোনার হরিণ কেবিন/বেড ম্যানেজ করলেন তিনি সুস্থ হওয়ার পরও সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক একটা কারণে টেস্ট নেগেটিভ হলে তারপরে যাবে বলে বেড দখল করে বসে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে অনেক সিরিয়াস রোগী যার আসলেই ভর্তি ও অক্সিজেন দরকার তারা ফেরত যাচ্ছে। আমরা এমনই স্বার্থপর একটা জাতি। 

কোভিড রাউন্ডের সময় আমি যতই বোঝাই পরবর্তী কোভিড টেস্টগুলি একেবারেই অপ্রয়োজনীয়, সুস্থ হওয়ার পরেও টেস্ট পজিটিভ আসতে পারে, এজন্য আপনার সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না, আপনি অন্য সবদিক দিয়ে বাড়ি যাবার মতো অবস্থায় আছেন, তাছাড়া এই অপ্রয়োজনীয়' টেস্টগুলির কারণে যাদের আসলেই রোগ ডায়াগনোসিসের জন্য টেস্ট করার প্রয়োজন তারা বঞ্চিত হচ্ছে-  তারা সেটা বুঝতে চায় না। বলে বাসায় লোকজন আছে নেগেটিভ না হলে কীভাবে যাই? লক্ষণ দেখা দেওয়ার দুই সপ্তাহ পরে সে অন্য কারো জন্য আর কোনো হুমকি নয়- সেটা বোঝালেও বুঝেনা। বেশি বুঝাতে গেলে বেশিরভাগ রোগীই সত্য মিথ্যা যাই হোক মেডিকেলের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অথবা মেডিকেলের বাইরের কোনো প্রভাবশালী মহল/কর্মকর্তাদের রেফারেন্স দিয়ে বলে আমি তার আত্মীয় রোগী। সো কাউন্সেলিং ডিসমিস। 

দুঃখজনক ব্যাপার হলো গত এক বছর ধরে একইভাবে রোগীদের একটা বিরাট অংশ সবাই টেস্ট করে করে তারপরে বাড়ি যাচ্ছে, এই অবস্থার কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। তারা একটা ডেড স্পেস এর মতো জায়গা দখল করে রাখছে। দূর থেকে মনে হবে রোগী,  আসলে তার অনেক আগেই বাসায় ফিরে যাওয়ার কথা ছিল, শুধু গায়ের জোরে দখল করে রেখেছে এই গো ধরে যে নেগেটিভ হওয়ার আগে সে যাবে না।

কোভিড টেস্ট পজিটিভ হলে রোগ সেরে যাওয়ার পরও দীর্ঘদিন (৪০ দিন পর্যন্ত) পরবর্তীতে টেস্ট পজিটিভ আসতে পারে। ভাইরাসের ভগ্নাংশের জন্য পরবর্তীতে পজিটিভ হয়, আসল ভাইরাসের জন্য নয়। তাই দ্বিতীয়বার বা বারবার কোভিড টেস্ট করানোর কোনই প্রয়োজন নেই। এই অযথা টেস্টের কারণে অনেকে প্রথমবারে টেস্ট করারও সুযোগ পায় না।

দুই. ভেন্টিলেটর নয়, কোভিড রোগীদের জন্য আমাদের মূল মনোযোগ দেয়া উচিত রোগীকে যাতে ভেন্টিলেটর পর্যন্ত যেতে না হয় সেদিকে। আমাদের দরকার অক্সিজেন, অক্সিজেন আর অক্সিজেন। অক্সিজেন কীভাবে আরও বেশি মাত্রায় দেয়া যায় সেসব যন্ত্রপাতি। যেমন আরও আরও সেন্ট্রাল অক্সিজেন, High Flow nasal Cannula। 

ওয়ার্ডগুলি সয়লাব করে দিতে হবে Highflow Nasal Cannula (HFNC) দিয়ে। HFNC এর অভাবে চাহিদা মাফিক পর্যাপ্ত অক্সিজেনের স্বল্পতায় কারো লিভার, কিডনি, ব্রেন নষ্ট হয়ে যেন আইসিইউতে কল পাঠাতে না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে আগে। এতে করে যে রোগীরা ICU তে যাওয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি করছেন তাদের বেশিরভাগই আসলে ওয়ার্ডেই ম্যানেজ হয়ে যাবে।
তারপরও কিছু রোগী থাকবে যাদের মাল্টি অর্গান ফেলিওর হবে, ভেন্টিলেটর লাগবে কিন্তু সংখ্যাটা যাবে অনেক কমে। এই HFNC, পাইপলাইনে অক্সিজেন- এসবের পিছনে অর্থ খরচের চেয়ে সর্বোত্তম খরচ এ মুহূর্তে আর কোনটিতেই হতে পারে না।

কোভিড রোগীদের বেলায় Invasive ventilation তেমন জীবনরক্ষাকারী নয় আসলে। শতকরা হার এককের ঘরে, কখনো কখনো শূন্য।

When pt develops indications of invasive ventilaton that also almost indicates death ahead with or without this machine.
So prevention (HFNC in wards) is better than Cure ( Ventilator in ICU).


লেখক: এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (চেস্ট),
বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০২১

অ্যাপোফিস' গ্রহাণু থেকে আগামী একশ বছর নিরাপদ থাকবে পৃথিবী : নাসা

অ্যাপোফিস' গ্রহাণু থেকে আগামী একশ বছর নিরাপদ থাকবে পৃথিবী : নাসা

'অ্যাপোফিস' গ্রহাণু থেকে আগামী একশ বছর নিরাপদ থাকবে পৃথিবী : নাসা
২০০৪ সালে গ্রহাণু 'অ্যাপোফিস' আবিষ্কার করে পৃথিবীর জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করেছিল নাসা। ২০৩৬ সালের মধ্যে পৃথিবীকে ধাক্কা দিতে পারে বলে জানানো হয়। পরে একশ বছরের মধ্যে গ্রহাণুর ধাক্কা থেকে পৃথিবী নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। 

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকরা বলছিলেন, 'অ্যাপোফিস নামক একটি গ্রহাণু পৃথিবীকে ধাক্কা মারতে পারে। তবে সেই শঙ্কা পরবর্তী একশ বছরের মধ্যে নেই বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।'

এরপর জানানো হয়, ২০৬৮ সালে গ্রহাণুটি পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগার মতো ঝুঁকি রয়েছে। আরও  বিশ্লেষণের পর এবার নাসার গবেষকরা বলছেন, আগামি একশ বছরের মধ্যে গ্রহাণুটি  পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগার কোনো শঙ্কা নেই

ভুয়া এই অ্যাপ থেকে সাবধান, চুরি হতে পারে ব্যক্তিগত তথ্য

ভুয়া এই অ্যাপ থেকে সাবধান, চুরি হতে পারে ব্যক্তিগত তথ্য


ভুয়া এই অ্যাপ থেকে সাবধান, চুরি হতে পারে ব্যক্তিগত তথ্য
অডিও চ্যাটের জন্য ক্লাবহাউস অ্যাপের (clubhouse app)টির ইউজার সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে এই অ্যাপটি মোবাইলে ইনস্টল করা থাকলে তা অতর্কিতেই আপনার হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ও ফেসবুকে হানা দিচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই যা চিন্তায় ফেলছে এই সব সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের।

মূলত, Clubhouse-এর মতো হুবহু দেখতে একটি অ্যাপ বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে। যা ভুলবশত ক্লাবহাউস অ্যাপ ভেবে ডাউনলোড করে ফেলছেন স্মার্টফোন ইউজাররা। আর তার মধ্যে দিয়েই মোবাইলে ঢুকে পড়ছে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভুয়া এই অ্যাপটির মাধ্যমে ব্ল্যাকরক ম্যালওয়্যার (Blackrock malware) প্রবেশ করে সহজেই হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ফেসবুকের তথ্য হ্যাক করে নিতে পারছে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য অ্যাপেও এটি চুপিসারে থাবা বসাতে পারে। যেখান থেকে অনায়াসেই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব।

সাইবার অপরাধীরা নানাভাবে ইউজারদের ভুয়া ক্লাবহাইস অ্যাপটি ডাউনলোড করানোর চেষ্টা করছে। ESET গবেষক লুকাস স্টেফাঙ্কোর জানাচ্ছেন, বিপদজনক এই ম্যালওয়্যারটি অডিও চ্যাট অ্যাপের ছদ্মবেশে অ্যান্ড্রয়েড (Android) ফোনে হানা দিচ্ছে। যা ই-ওয়ালেট, শপিং সাইট, সোশ্যাল মিডিয়ার মতো ৪৫৮টি অ্যাপ হ্যাক করতে সক্ষম। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এও দেখা গিয়েছে, গুগল প্লে স্টোর (Google Play Store) থেকে সাধারণত তা ফোনে আসছে না। আসছে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। অর্থাৎ ইউজাররা ওয়েবসাইট থেকে লিঙ্কটি পেয়েই তা ইনস্টল করছেন। কিন্তু মজার বিষয় হল, আসল clubhouse অ্যাপটি শুধু আইফোন ইউজারদের জন্যই এসেছে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এই অ্যাপটি ব্যবহার করা যায় না।
 
তাই যে কোনও সাইট থেকে অচেনা অ্যাপ ডাউনলোড না করারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের জন্য বিষয়টি আরও সহজ। যেহেতু ক্লাবহাউস অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েডের জন্য তৈরিই হয়নি, তাই এর মতো দেখতে কোনও অ্যাপ ভুলেও ইনস্টল করবেন না। সম্প্রতি ক্লাবহাউজ জানিয়েছে, কয়েক মাস পর অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনের জন্যও চালু হবে তাদের অ্যাপ।

বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১

অভিনব প্রযুক্তির সাথে বাজারে এলো গ্যালাক্সি এ৫২ ও এ৭২ Samsung Galaxy A52 5G

অভিনব প্রযুক্তির সাথে বাজারে এলো গ্যালাক্সি এ৫২ ও এ৭২ Samsung Galaxy A52 5G


অভিনব প্রযুক্তির সাথে বাজারে এলো গ্যালাক্সি এ৫২ ও এ৭২
শক্তিশালী উদ্ভাবন সবার কাছে পৌঁছে দিতে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি লিমিটেড বাজারে নিয়ে এসেছে গ্যালাক্সি এ৫২ ও এ৭২। স্যামসাং গ্যালাক্সি এ সিরিজের সর্বশেষ এই সংযোজনের অসাধারণ ক্যামেরা ফিচার ব্যবহারকারীদের নিজেকে প্রকাশ করতে যেমন সাহায্য করবে, মসৃণ স্ক্রলিংয়ের সাথে স্বচ্ছ ভিউইয়িং অভিজ্ঞতা করবে মুগ্ধ। পানিরোধক বৈশিষ্ট্য এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারিসহ গ্যালাক্সির অভিনব ফিচার থাকায় ব্যবহারকারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে পারবে এই হ্যান্ডসেটসমূহ। 

এই গ্যালাক্সি এ সিরিজ গ্যালাক্সি বাডস প্রো, গ্যালাক্সি স্মার্টট্যাগ এবং গ্যালাক্সি ট্যাবের মতো ডিভাইসগুলো সংযোগের সাথে ব্যবহারকারীদের বিস্তৃত গ্যালাক্সি ইকোসিস্টেমে অ্যাক্সেস প্রদান করে, যা তাদের মোবাইল ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। 

স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের মোবাইল কমিউনিকেশন বিজনেসের সভাপতি ও প্রধান ড. টিএম রোহ বলেন, ‘গ্রাহকদের চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তাকে বিবেচনায় রেখে পণ্য উদ্ভাবনে স্যামসাং সব সময় সচেষ্ট। তাই, গ্যালাক্সির উদ্ভাবন সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে আমরা গ্যালাক্সি এ সিরিজ নিয়ে এসেছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘গ্যালাক্সি ব্র্যান্ডের ফিলোসফি অনুযায়ী এ৫২ এবং এ৭২-এ রয়েছে সর্বাধুনিক উদ্ভাবন, সেবা ও বৈশিষ্ট্য, যা মিলবে অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে।’

স্যামসাং ইতোমধ্যে তাদের ক্যামেরার মান আরও উন্নত করেছে এবং গ্যালাক্সি এ৫২ এবং এ৭২ এর ক্ষেত্রেও এর ব্যাত্যয় ঘটেনি। নতুন গ্যালাক্সি এ সিরিজের আকর্ষণীয় এবং অভিনব প্রযুক্তির ক্যামেরা ব্যবহারকারীদের আরও মজাদার এবং ব্যতিক্রমী ভিডিও ধারণে সক্ষম করবে। ৬৪ মেগা পিক্সেলের হাই-রেজ্যুলেশন কোয়াড ক্যামেরার মাধ্যমে তারা সহজে তুলতে পারবে স্পষ্ট ছবি ও ভিডিও। 

এছাড়াও, ব্যবহারকারীরা ৪কে ভিডিও স্ন্যাপের মাধ্যমে ৪কে ভিডিও থেকে তাদের প্রিয় মুহূর্তগুলো ৮ মেগা পিক্সেলের হাই-রেজ্যুলেশন ছবিতে পরিণত করতে পারবে মুহূর্তের মধ্যে। এর স্ক্রিন অপ্টিমাইজার ৩০ ক্যাটাগরির ছবি ও ব্যাকগ্রাউন্ড (যেমন- খাবার, ল্যান্ডস্কেপ এবং পোষা প্রাণী) যথাযথ সেটিংসে ধারণ করতে ব্যবহার করে এআই। ব্যবহারকারীরা চলমান নাচের ট্রেন্ড কিংবা স্কেটবোর্ডের নতুন কৌশল যা-ই ধারণ করুক, ওআইএস (অপটিক্যাল ইমেজ স্টেবিলাইজার) নিশ্চিত করে ছবি ও ভিডিওর তীক্ষ্ণতা এবং স্থিতিশীলতা। মাল্টি-ফ্রেম প্রসেসিং ব্যবহারের কারণে নাইট মোড দিয়ে অন্ধকারেও উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার ছবি তোলা যায়। তাই, গুরুত্বপূর্ণ কোন মুহুর্ত হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।  

স্বচ্ছ ডিসপ্লে আর নান্দনিক ডিজাইনের সাথে স্যামসাং তাদের ব্যবহারকারীদের লাইফস্টাইলে যোগ করে নতুন মাত্রা। স্যামসাংয়ের জনপ্রিয় সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লেতে ব্যবহারকারীরা এখন উপভোগ করতে পারবে তাদের প্রিয় অনুষ্ঠান। ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের সাথে গ্যালাক্সি এ৫২ এবং এ৭২ স্ক্রলিংয়ের অভিজ্ঞতাকে করে তুলবে আরও আনন্দদায়ক। বাড়তি ৮০০ নিটস লুমিনেন্সের কারণে ঘরের বাইরেও সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট দেখা এবং স্ক্রল করা যাবে। 

স্যামসাং গ্যালাক্সি ইকোসিস্টেম – স্মার্টথিংস, স্মার্টথিংস ফাইন্ড, গ্যালাক্সি স্মার্টট্যাগ, মিউজিক শেয়ার, বাডস টুগেদার, কুইক শেয়ার এবং প্রাইভেট শেয়ারের সংযোগ এবং সুবিধা নতুন গ্যালাক্সি এ সিরিজ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও বাড়িয়ে তুলবে। 

স্যামসং গ্যালাক্সি এ সিরিজে রয়েছে গ্যালাক্সির সকল উল্লেখযোগ্য ফিচার- আইপি৬৭ রেটিংযুক্ত পানি ও ধুলিকণা রোধক, স্যামসাং নক্স, ওয়ান ইউআই ৩ এবং আরও অনেক কিছু। 

বিশাল শক্তিসম্পন্ন ব্যাটারির কারণে মানুষ যেকোন সময় ছবি তুলতে এবং মোবাইল ব্যবহার করতে পারে ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ার চিন্তা ছাড়া। এ৫২-তে রয়েছে ৪,৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং এ৭২-তে রয়েছে ৫,০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, যা দুই দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। 

সকল ডিভাইসে রয়েছে ডলবি এটমসের স্টেরিও স্পিকার এবং ১টিবি পর্যন্ত এক্সটারনাল মেমোরি।
 
নতুন গ্যালাক্সি এ৫২ এবং এ৭২ অওসাম ব্লু, অওসাম ব্ল্যাক এবং অওসাম হোয়াইট রঙে পাওয়া যাবে। 

ভুলেও গুগলে সার্চ করবেন না যে ৫টি জিনিস

ভুলেও গুগলে সার্চ করবেন না যে ৫টি জিনিস


ভুলেও গুগলে সার্চ করবেন না যে ৫টি জিনিস
সার্চ ইঞ্জিনের শীর্ষে থাকা গুগলের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠে না। তবে, সাধারণ ইন্টারনেট ইউজারদের গুগল সার্চের মধ্য দিয়ে ফাঁদ পাতে প্রতারকরা। দেখা যায় নিজের প্রয়োজনে সার্চ করতে গিয়ে উল্টে বিপদে পড়েন অনেকে। তাই গুগল সার্চে অন্তত ৫টি জিনিসের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

১. ব্যাংকিং সংক্রান্ত যে কোনও লিঙ্ক : গুগল সার্চ করে কোনও ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে সাবধান। ডুপ্লিকেট ভুয়া ওয়েবসাইট থেকে সর্বস্বান্ত হতে পারেন। তাই ব্যাংকিং-এর ক্ষেত্রে অবশ্যই সরাসরি ওয়েব অ্যাড্রেস টাইপ করে খুলুন। অথবা সেই ব্যাঙ্কেরই তৈরি অ্যাপ ব্যবহার করুন। অনলাইন লেনদেনের সময় থাকুন সতর্ক।

২. অ্যাপ ও সফটওয়্যার : অনেকেই বিভিন্ন অ্যাপ ও সফটওয়্যার সরাসরি গুগল সার্চ করে খোঁজেন। এমন কিছু অ্যাপও থাকে যা গুগল প্লে স্টোরে থাকে না। কিন্তু এভাবে ডট এপিকে ফাইল ডাউনলোডের ক্ষেত্রে সবসময়েই ঝুঁকি থেকে যায়। অজানা সাইট থেকে অ্যাপের আকারে ডাউনলোড হতে পারে ম্যালওয়্যার। ইনস্টল করার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার প্রাইভেসির দফারফা। স্মার্টফোনের বারোটাও বাজতে পারে।

৩. ওষুধ ও চিকিৎসা : গুগল সার্চ ব্যবহার করে ডাক্তারি না করাই ভাল। টুকটাক শরীর খারাপের প্রাথমিক চিকিৎসা ইত্যাদি দেখতেই পারেন। তবে শরীর খারাপের ক্ষেত্রে গুগল সার্চ করে কোনও ওয়েবসাইট দেখে ডাক্তারি করা মোটেও বিচক্ষণ কাজ নয়। গুগল-এ সার্চ করে হঠাৎ কোনও ওষুধ, সাপ্লিমেন্টও কেনা অনুচিত।

৪. শেয়ার বাজার, ট্রেডিং-এর বুদ্ধি : গুগল-এ এ সম্মন্ধে সার্চ করলেই হাজারো ওয়েবসাইট ভরা পরামর্শ পাবেন। কিন্তু নির্দিষ্ট ও নামী কিছু ওয়েবসাইট ছাড়া শেয়ার বাজার সংক্রান্ত বুদ্ধি না নেওয়াই শ্রেয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন ভুয়া সংস্থা 'ট্রেডিং'-এর নাম করে প্রতারণার ফাঁদ পেতে থাকে। তাই এই বিষয়ে গুগল সার্চের উপর বেশি নির্ভর না করাই ভাল।

৫ .কাস্টমার কেয়ার নম্বর : ধরুন আপনি অনলাইন কোনও জিনিস কিনেছিলেন। সেটি রিটার্ন করায় রিফান্ড পাবেন। কিন্তু ২ দিন পরেও টাকা ফেরত পাননি। এমন সময়ে কিন্তু ভুলেও গুগল করে সেই সংস্থার কাস্টমার কেয়ার নম্বর খুঁজতে যাবেন না। অনলাইন বিপনন সংস্থার আদলেই নকল ওয়েবসাইট খোলে প্রতারকরা। সেখানে থাকে ভুয়া নম্বর। সেই নম্বরে ফোন করলেই পড়তে হবে ফাঁদে।

বাজারে এলো রিয়েলমি নারজো ৩০এ

বাজারে এলো রিয়েলমি নারজো ৩০এ

বাজারে এলো রিয়েলমি নারজো ৩০এস্মার্টফোন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তরুণরা বিবেচনায় রাখেন স্মার্টফোনটির গেমিং সুবিধা। তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি বাজারে নিয়ে এসেছে তাদের গেমিং নারজো সিরিজের নতুন সংযোজন নারজো ৩০এ। 

৪ জিবি র‌্যাম এবং ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজযুক্ত নারজো ৩০এ লেজার ব্ল্যাক এবং লেজার ব্লু রঙে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১২,৯৯০ টাকায়। 

নিচে ফোনটির ফিচার ও স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো।  

দুর্দান্ত গেমিংয়ের জন্য শক্তিশালী প্রসেসর 
হেভি গেমিংয়ে পারদর্শী এবং সকল প্রয়োজনীয় ফিচারসমৃদ্ধ, নারজো ৩০এ বাজারের ‘গেমিং বিস্ট’। স্মার্টফোনে যে দু'টো জিনিস একজন গেমার চান, সেগুলো হচ্ছে শক্তিশালী প্রসেসর আর বিশাল স্ক্রিন। উভয়ই রয়েছে নারজো ৩০এ-তে, যার ফলে দীর্ঘ সময় বিরামহীনভাবে গেম খেলা যাবে। 

শক্তিশালী হেলিও জি৮৫ প্রসেসরের সাথে নারজো ৩০এ-তে সর্বোচ্চ ২.০ গিগাহার্টজ পর্যন্ত অক্টাকোর রয়েছে। এর সাথে শক্তিশালী এআরএম মালি-জি৫২ জিপিইউ দিবে এক ব্যতিক্রমী গেমিং অভিজ্ঞতা। 

আপগ্রেডেড হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার অপটিমাইজেশনের ফলে ফোনের তাপমাত্রা থাকবে নিয়ন্ত্রণে। ফলে ব্যবহারকারীরা হেভি গেমিং উপভোগ করতে পারবেন অনায়াসে। নারজো ৩০এ দিয়ে দীর্ঘক্ষণ খেলা যাবে পাবজি, কল অব ডিউটি এমনকি অ্যাসফাল্ট নাইনের মতো হেভি গেম কোন প্রকার ল্যাগ ছাড়াই। এছাড়া, নারজো ৩০এ স্মার্টফোনটির ৬.৫ ইঞ্চি ২০:৯ স্ক্রিন দিবে বিশাল ফিল্ড অব ভিউ, যার ফলে বড় স্ক্রিনে আরও প্রশস্ত ফিল্ড অব ভিউ’তে নিরবচ্ছিন্ন গেমিং অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

সুবিশাল ব্যাটারি লাইফের সাথে ৪৬ দিনের স্ট্যান্ডবাই 
নারজো ৩০এ এর ৬,০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি স্ট্যান্ডবাই মোডে থাকতে পারে ৪৬ দিন, আর ফোনটির ১৮ ওয়াটের টাইপ-সি ফাস্ট চার্জিং -এর ফলে ফোন চার্জ হয় অবিশ্বাস্য গতিতে। এতে রয়েছে অ্যাপ কুইক ফ্রিজ ও স্ক্রিন ব্যাটারি অপটিমাইজেশনের মতো দারুণ কিছু ফিচার। কম ব্যবহৃত অ্যাপ, ফ্রিজ করে দিবে অ্যাপ কুইক ফ্রিজ ফিচার এবং স্ক্রিন ব্যাটারি অপটিমাইজেশন ব্যাটারির দীর্ঘস্থায়িত্ব বাড়াবে।  
 
এছাড়া, সুপার পাওয়ার সেভিং মোডে ব্যবহারকারীরা দীর্ঘক্ষণ ব্যাটারি ব্যবহারে সবচেয়ে ব্যবহৃত ৬টি অ্যাপ নির্বাচন করতে পারবেন। এ মোড অন করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ৮০ মিনিট হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন মাত্র ৫ শতাংশ ব্যাটারি ব্যবহারের মাধ্যমে।  

ডায়াগোনাল স্ট্রাইপ ডিজাইনের সাথে রিয়েলমি ইউআই 
অ্যান্ড্রয়েড ১০ -এর ভিত্তিতে তৈরি রিয়েলমি ইউআই তৈরি করা হয়েছে তরুণ ক্রেতাদের পছন্দ ও নান্দনিকতার কথা বিবেচনা করে। প্রচলিত ডিজাইনের বাইরে রিয়েলমি নারজো ৩০এ- তে রয়েছে ডায়াগোনাল স্ট্রাইপ ডিজাইন, যা একটি স্টাইলিশ লুক দেয়।

এর সাথে থ্রি-ফিঙ্গার সিলেক্টেড স্ক্রিনশট, ডুয়াল মোড মিউজিক শেয়ার এবং ইনস্ট্যান্ট ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর তরুণ ব্যবহারকারীদের মুগ্ধ করবে। রঙের বিবেচনায়, রিয়েলমি ইউআই অথেনটিক কালার স্কিম তৈরিতে ব্যবহার করেছে হাই-স্যাচুরেশন ও হাই-ব্রাইটনেস কালার, যা ব্যবহারকারীকে দিবে প্রাণবন্ত অভিজ্ঞতা। স্ক্রিন ফ্লুয়েন্সি উন্নত করতে এতে রয়েছে অত্যাধুনিক কোয়ান্টাম অ্যানিমেশন ইঞ্জিন। 

এআই ডুয়াল ক্যামেরায় অসাধারণ ফটোগ্রাফি অভিজ্ঞতা
নারজো ৩০এ-তে রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেল ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা। এতে আরও রয়েছে সুপার নাইটস্কেপ মোড, নাইট ফিল্টার এবং ক্রোমা বুস্ট। স্মার্টফোনটির ১৩ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরার সাথে ২.২ অ্যাপারচারের লেন্স রাতের বেলা ছবি তোলার ক্ষেত্রে নিশ্চিত করবে অতিরিক্ত আলো আর সুপার নাইটস্কেপ মোডে ট্রাইপড ছাড়াই তোলা যাবে ছবি। নারজো ৩০এ নিয়ে এসেছে নাইট ফিল্টার—সাইবারপাঙ্ক, ফ্লেমিঙ্গো ও মডার্ন গোল্ড—যা আলাদাভাবেই স্মার্টফোনের ছবিকে দিবে নতুন মাত্রা। 

এছাড়া, ক্রোমা বুস্ট ফিচার দিবে আরও উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় ছবি। ডিভাইসটির ৮ মেগা পিক্সেলের হাই-ডেফিনিশন ফ্রন্ট ক্যামেরায় থাকছে এআই বিউটি, পোর্ট্রেট মোডসহ অন্যান্য আকর্ষণীয় ফিচার।

দুটি চীনা টেলিকম প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র

দুটি চীনা টেলিকম প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র


দুটি চীনা টেলিকম প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্রসম্প্রতি ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন (এফসিসি) চীনের টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠান ইউনিকম আমেরিকা ও প্যাসিফিক নেটওয়ার্কের যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

দুই দশক আগে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করার অনুমোদন পায় এই দুটি চীনা টেলিকম ফার্ম। তবে গত বুধবার (১৭ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা তিনটি চীনা টেলিযোগাযোগ কোম্পানির অপারেটিং লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছিল। সংস্থাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।  

এফসিসি কমিশনার জিওফ্রে স্টার্কস জানান, 'কোম্পানিগুলো এই পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের তাদের অনুমোদন সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগ দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে। অনেক চীনা টেলিকম সংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে পরিচালিত ডাটা সেন্টারের মালিক। ফলে সম্ভাব্য জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলা করার জন্য বর্তমানে এফসিসির কর্তৃত্বের অভাব রয়েছে।'

এছাড়াও ২০১৯ সালের মে মাসে এফসিসি সর্বসম্মতিক্রমে আরেকটি চীনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিযোগাযোগ কোম্পানি চায়না মোবাইলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দেয়।

নিলাম হলো দুনিয়ার প্রথম 'টুইট', সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ চমকপ্রদ

নিলাম হলো দুনিয়ার প্রথম 'টুইট', সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ চমকপ্রদ

নিলাম হলো দুনিয়ার প্রথম 'টুইট', সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ চমকপ্রদ!
দেড় দশকেরও আগে চালু হয়েছিল টুইটার। ২০০৬ সালের ২২ মার্চ প্রথম টুইটটি করেছিলেন টুইটারের সিইও জ্য়াক ডোরসে। এতদিন পর নিলাম করা হল সেই টুইট।

দুনিয়ার প্রথম টুইটটি নিলাম করে উঠেছে ১৮ কোটিরও বেশি টাকা। ওই অর্থ কোনও দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করবেন বলে জানিয়েছেন ডোরসে। ওই টুইটটি কিনেছেন সিনা স্টাভি নামে এক ব্যক্তি। তিনি ব্রিজ ওরাকেল নামে একটি কোম্পানির সিইও।

দুনিয়ার প্রথম টুইটে টুইটারের সিইও লিখেছিলেন, 'just setting up my twttr’'। এতদিন পর এক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিলাম করার সিদ্ধান্ত নেন ডোরসে। ওই প্রতিষ্ঠানটির তরফে জানানো হয়েছে, এই টুইটটি খুবই মূল্যবান। কারণ যিনি এটি করেছিলেন এটিতে রয়েছে তার সাক্ষর।

১৩০ কোটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ফেসবুক

১৩০ কোটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ফেসবুক

১৩০ কোটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ফেসবুক
গুজব বা যে কোনও ধরনের ভুল তথ্য প্রচার বন্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে মোট ১৩০ কোটি ফেক (ভুয়া) অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সোমবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মটিতে গুজব বা যে কোনও ধরনের ভুল তথ্য প্রচার বন্ধে ৩৫ হাজারেরও বেশি কর্মী দিনরাত পরিশ্রম করছেন।

এক ব্লগপোস্টে ফেসবুক জানিয়েছে, তারা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে কোভিড-১৯ রোগ এবং ভ্যাকসিন-সম্পর্কিত ১ কোটি ২০ লাখের বেশি ভুয়া তথ্য সম্বলিত পোস্টও সরিয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারির মধ্যে ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ভ্যাকসিন-সম্পর্কিত অসংখ্য ভুয়া তথ্য ও ষড়যন্ত্রতত্ত্ব ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০২১

The Malmö Student Union Councilor As announced Sheikh Farid Uddin Ahmed

The Malmö Student Union Councilor As announced Sheikh Farid Uddin Ahmed.

The Union Election 2021 is over and we have a result! Thank you to all who voted! Here is the new Union Council for Malmö Student Union:

A BIG THANK YOU to all of you who voted in the union election! This is your new union council that will represent you for a year to give all students at Mau the best possible study time.

The Student Union Malmö Council 2021/2022

He is a Bangladeshi citizen. We are proud of Him achievement.
 

মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০২১

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যকর ডায়েটে টমেটো

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যকর ডায়েটে টমেটো


উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যকর ডায়েটে টমেটো
হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপে ধমনির বিরুদ্ধে রক্তের ঘনত্ব খুব বেশি থাকে। ফলে রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয় এবং রক্তনালিগুলোতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রণ করা না হয় তবে এটি স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। 

প্রতিদিনকার ডায়েটে কিছু সংযোজন-বিয়োজন করলে উচ্চ রক্তচাপে ভালো ফল পাওয়া যায়। অতি সুলভ মূল্যে হাতের কাছে অনেক ফল ও শাকসবজি আছে, যা হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। টমেটো একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েটে অত্যন্ত কার্যকর। প্রতিদিন সালাদ খাবার অভ্যাস করুন।

একটি ১০০ গ্রামের টমেটোতে ২৩৭ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে, যা সোডিয়ামের খারাপ প্রভাবগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। সালাদের  গাজরও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন এ, সি এবং কে-১ প্রচুর পরিমাণে আছে। 

গবেষণার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, লবণ ছাড়া টমেটো উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে কলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করবে। কার্ডিওভাসকুলার রোগের হাত থেকেও রক্ষা করবে । সম্প্রতি জাপানে এক গবেষণাতে দেখা গেছে, প্রতিদিন টমেটো খেলে হাইপার টেনশনও কমে যায়। 

টমেটোতে কিছু বায়োঅ্যাক্টিভ কম্পাউন্ড রয়েছে। ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, ক্যারোটেনয়েড, গামা-অ্যামিনোবিউটারিক অ্যাসিড। শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যেও এই উপাদানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়াও এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। 

শুধু উচ্চ রক্তচাপ নয়, নিয়মিত টমেটো খেলে ত্বক এবং চোখের সমস্যা মেটাতেও সাহায্য করবে।  মেটাবলিজমও বুস্ট করে ফলে সারাদিন পরিশ্রম করার এনার্জি পাওয়া যায়।

মঙ্গলবার, ৯ মার্চ, ২০২১

পেয়ারার বীজসহ খেলে এতো উপকার জানলে অবাক হবেনই!

 পেয়ারার বীজসহ খেলে এতো উপকার জানলে অবাক হবেনই!

দেশী-বিদেশি সব জাতের পেয়ারার মওসুম চলছে। তবে সারা বছরই থাই পেয়ারা পাওয়া যায়। পেয়ারা খায় না এমন লোক খুব কমই পাওয়া যাবে। এর পুষ্টিগুণ যে অনেক তা সবারই জানা। কিন্তু অনেকেই পেয়ারার শাঁসটুকু খেয়ে বীজ ফেলে দেন। তাতে আসল পুষ্টিই বাদ পড়ছে।

খাদ্য বিশেষজ্ঞরা পেয়ারা বীজসহ খাওয়ার কথা বলেন। পেয়ারা বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম। পেয়ারা স্বাস্থ্যকর চামড়া, শরীর ও চুলের জন্য ভীষণই উপকারী। বরাবরই পেয়ারা খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।

পুষ্টিকর এই পেয়ারাতে রয়েছে ভিটামিন সি, ক্যারোটিনয়েডস, ফোলেট, পটাশিয়াম, আঁশ এবং ক্যালসিয়াম। একশ' গ্রাম পেয়ারায় দুইশ' মিলিগ্রাম ভিটামিন সি আছে অর্থাত্‍ পেয়ারায় কমলার চেয়ে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। পেয়ারার খোসায় রয়েছে কমলায় চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ভিটামিন সি।

এই ফলে লৌহ উপাদানও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান। পুষ্টিমানের বিবেচনায় কমলার মান যেখানে ১৮৬ পয়েন্ট সেক্ষেত্রে পেয়ারার পুষ্টি মূল্যমান ৪২১ পয়েন্ট। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধক।

১০০ গ্রাম পেয়ারায় আছে- পানি ৮৬.১০ গ্রাম, শক্তি ৫১ কি.ক্যালোরী, প্রোটিন ০.৮২ গ্রাম, আঁশ ৫.৪ গ্রা. ফসফরাস ২৫ মি.গ্রা. সোডিয়াম ৩ মি.গ্রা. ভিটামিন এ ৭৯২ আই ইউ থাকে। তদুপরি পেয়ারাতে আছে ম্যাঙ্গানিজ, সেলিনিয়াম, ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩ ইত্যাদি মূল্যবান খনিজ ও ভিটামিন।

রোগ প্রতিরোধে পেয়ারার অনেক গুণ রয়েছে। পেয়ারার বীজে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ পলিআন-সেচুরেটেড ফ্যাটি এসিড ও আঁশ বিদ্যমান। পেয়ারা পাতার রস ক্যান্সার প্রতিরোধী এবং সংক্রমণ, প্রদাহ, ব্যথা জ্বর, বহুমূত্র, আমাশয় প্রভৃতি রোগে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

পুষ্টিকর এই সবুজ ফলটিকে ঘিরে ছোট ছোট নরম বীজের যে স্তর থাকে তাও কিন্তু সমান উপকারে আসে। অনেকেই অবশ্য বীজ পছন্দ করেন না এবং সাধারণত মসৃণ শাঁসটুকু খেয়ে বীজ ফেলে দেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, যে বীজ ফেলে দিচ্ছেন সেগুলোই পুষ্টির আকর! বীজ ফেলে দিয়ে কেন আপনি পুষ্টি থেকে পিছিয়ে থাকবেন?

কী আছে পেয়ারা বীজে? এবার তা দেখে নিন-

রক্তচাপ কমায়
উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে মোকাবিলা করা জন্য ডাক্তাররা অবশ্যই এই ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন। পেয়ারা বীজে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম (কলার থেকে ৬০% বেশি) থাকে যা শরীরে রক্তের প্রবাহ এবং চাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে
পেয়ারাতে ফাইবার বেশি এবং কোলেস্টেরল শূন্য। এই ফলের বীজের সেরা গুণ হলো তা শরীরের কার্বোহাইড্রেটগুলো হ্রাস করে যা অতিরিক্ত ওজনের বৃদ্ধি ঘটায় না। ভিটামিন এবং খনিজের সঠিক মিশ্রণ দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা রাখে।

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি
পেয়ারা বীজে ফাইবার বেশি থাকায় তা হজমের সহায়ক হয় ও পেট পরিষ্কার করে। বীজগুলো যদি সরাসরি গিলে খাওয়া যায় তবে অ্যাসিডিটির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে
পেয়ারা বীজে আছে প্রচুর প্রোটিন। এই বীজ চিনি এবং চিনি যৌগের একটি প্রধান অংশ ভাঙতে এবং মিষ্টি খাবার হজম করতে সাহায্য করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ বীজ শরীরের ইনসুলিন মাত্রা কমে যেতে বাধা দেয়। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দিলে পেয়ারা এবং এর বীজ একটি চমত্‍কার খাদ্য বিকল্প।

জাপানিদের মতো দীর্ঘায়ু চান, আজই বন্ধ করতে হবে কিছু খাবার

জাপানিদের মতো দীর্ঘায়ু চান, আজই বন্ধ করতে হবে কিছু খাবার

দীর্ঘায়ুর জন্য জাপানের মানুষ বিশ্বজুড়ে খ্যাত হয়ে রয়েছে। জাপানিরা জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স আমেরিকা, ব্রিটেন ও কানাডার চেয়ে বেশি দিন বেঁচে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘায়ু হওয়ার পেছনে জাপানিদের ডায়েটের বিশেষ ভূমিকা আছে। 'ইন্টারন্যাশনাল কম্পেরিশন' এর এই রিপোর্টটি গত বছর ইউরোপীয় জার্নাল অফ ক্লিনিক নিউট্রিশনে ছাপা হয়েছিল।

মানুষের দীর্ঘায়ু বুঝতে 'ন্যাশনাল সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ অ্যান্ড মেডিসিন' ১৫ বছর ধরে ৮০ হাজার পুরুষ ও মহিলাদের খাদ্যাভ্যাসের পদ্ধতি এবং অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করেছে। এই গবেষণায় দেখা গেছে জাপানিরা ২০০৫ সালে জারি করা স্বাস্থ্যকর ডায়েটের গাইডলাইন কড়া ভাবে মেনে চলে।

এই গাইডলাইনে বলা হয়েছিল, প্রতিদিনকার খাবারে পাঁচ থেকে সাতটি শস্যদানা থাকবে। এ ছাড়া ছয় থেকে সাত রকম সবজি থাকতে হবে। এছাড়া দিনে ২-৩ বার মাছ/মাংস খেতেও বলা হয়েছিল। নানা ধরণের ফল এবং দুধ দিনে দুবার খেতে বলা হয়। এছাড়া এই গাইডলাইনে দেখা গিয়েছে, এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম ছিল এবং হাই শর্করার খাবার ছিল।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, বেশি শস্য, শাকসব্জি, ফলমূল, মাংস, মাছ, ডিমের মতো খাবার এবং সীমিত অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় মানুষের আয়ু বাড়িয়ে তুলতে সহায়ক। এই মন্ত্রে আসলে জাপানিরা বিশ্বাস করে। তাঁরা মনে প্রাণে এটা মেনেও চলে।

সমীক্ষা বুলছে, জাপানিরা প্লেটের নেওয়ার চেয়ে বাটিতে খাবার খেতে বেশি পছন্দ করেন। খুব ধীরে ধীরে খায় তাঁরা। একই সঙ্গে খাবার সময় টিভি বা মোবাইল দেখা তাঁদের না পসন্দ। খাবার সময় তাঁরা খাবারের দিকেই মন দেন।

এছাড়া হাই কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার যা কিনা আমরা বেশিরভাগ সময় খাই, জাপানিরা ঠিক এগুলিই এড়িয়ে চলে। সস, মাখন, ঘি, ক্রিম, পনির, কেক এসব খাবারে প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, এগুলি এড়িয়ে চলা উচিত্‍। একই সঙ্গে হাই সুগারের খাবার খাওয়াও এড়িয়ে চলতে হবে।

চা পান করা - জাপানিরা চা পান করতে খুব পছন্দ করে। গ্রিন টি পাতা থেকে তৈরি এক প্রকার চা তাঁরা খায়। এই চা পুষ্টিকর এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। এই চা প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হজমকে ঠিক রাখে এবং ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ প্রতিরোধ করে।

নিয়মিত অনুশীলন - নিয়মিত অনুশীলন আপনাকে দীর্ঘজীবন পেতে সহায়তা করে। জাপানিরা বেশিক্ষণ বসতে পছন্দ করেন না। তারা প্রচুর হাঁটেন। বেশিরভাগ মানুষ হাঁটতে হাঁটতে বা সাইকেলেই কলেজ বা অফিস যান।

রোজ খেজুর খেলে মুক্তি মিলবে এই রোগ গুলো থেকে

 রোজ খেজুর খেলে মুক্তি মিলবে এই রোগ গুলো থেকে

সুস্বাদু আর বেশ পরিচিত একটি ফল, যা ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয় চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মিলি গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। খেজুর শক্তির একটি ভালো উত্‍স। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। আছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা ভিটামিন বিসিক্স মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন খেজুর।
আয়রনে ভরপুর খেজুর খেতে পারেন প্রতিদিন। অন্তত দুটি খেজুর যদি প্রতিদিন খান তবে অনেক রোগ কাছেও ঘেঁষবে না। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের সবই রয়েছে খেজুরে।

আসুন জেনে নিন খেজুরের উপকারিতা-

১. খেজুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়া। খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।

২. ফাইবারও মিলবে খেজুরে। তাই এই ফল ডায়েটে রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে।

৩. প্রতিটি খেজুরে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

৪. রক্তস্বল্পতায় ভোগা রোগীরা প্রতিদিন খেজুর খেতে পারেন। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যতটুকু আয়রন প্রয়োজন, তার প্রায় ১১ ভাগ পূরণ করে খেজুর।

৫. যারা চিনি খান না তারা খেজুর খেতে পারেন। চিনির বিকল্প খেজুরের রস ও গুড়।

৬. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় রাতে পানিতে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। পর দিন সকালে খেজুর ভেজানো পানি পান করুন। দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য।

৭. খেজুরে থাকা নানা খনিজ হৃদস্পন্দনের হার ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

৮. খেজুরে লিউটেন ও জিক্সাথিন থাকায় তা রেটিনা ভালো রাখে।