শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১

হঠাৎ দেশে কেন বেড়ে গেল এত ইউটিউবার

হঠাৎ দেশে কেন বেড়ে গেল এত ইউটিউবার

যৌনতা, রূপচর্চা, স্পোর্টস ও বিনোদন কনটেন্টগুলোর ভিউ বেশি

হঠাৎ দেশে কেন বেড়ে গেল এত ইউটিউবার
কয়েক মিনিটের ভিডিও ভিউ বাড়লে হাজার থেকে লাখ টাকা ইনকাম। ঘরে বসেই যদি এমন সহজ আয়ের উৎস হাতের কাছে থাকে তাহলে আর চিন্তা কিসের। দেশে ফেসবুক, টিকটক, লাইকির মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোর জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি জনপ্রিয় এখন মার্কিন ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। অনেকের কাছে এটি অর্থ আয়ের জন্য একটি অন্যতম মাধ্যম হিসাবে গড়ে উঠছে। 

একসময় ইউটিউবে তথ্যনির্ভর, রুচিশীল মার্জিত কনটেন্ট থাকলেও অর্থ আয়ের ভিড়ে এখন অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটররা হাঁটছেন ভিন্ন পথে। কেউ কেউ ভাইরাল টপিক নিয়ে ভুয়া তথ্য দিয়ে কনটেন্ট তৈরি করে ভিউ বাড়াতে অর্থ আয়ের চেষ্টা করছেন। আবার কেউ কেউ উষ্ণতা বাড়াতে ঝুঁকছেন পর্নোগ্রাফি কনটেন্টের দিকে। কেউ কেউ আশ্রয় নিচ্ছেন প্রতারণার। কখনো সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও খ্যাতিমান ব্যক্তি বা তারকাদের নিয়ে আপত্তিকর ও বানোয়াট ভিডিও ছাড়া হচ্ছে ইউটিউবে। পরে দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের চাঁদা। প্রশ্ন উঠছে হঠাৎ কেন বেড় গেল এতো ইউটিউবার?

মহামারী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় এখনো বিধিনিষেধ মেনেই চলতে হচ্ছে সবাইকে। এতে কিছু ক্ষেত্রে এর অযৌক্তিকতা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সমাজের এক অংশের মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে। এর জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোও ব্যবহার করা হচ্ছে। দেখা গেছে, ইউটিউবে ঝুঁকে পড়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় তিনগুণ। তবে ভিউ ও অর্থ কামানোর প্রতিযোগিতায় এই মাধ্যমের সঠিক ব্যবহারের চেয়ে অপব্যবহারই বেশি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় তরুণদের বড় একটা অংশ ইউটিউব মুখী হয়েছেন। যাদের কেউ কেউ অবসর সময় পার করতে, কেউ কেউ ইউটিউব তারকা হয়ে উঠতে এবং অনেকেই আবার অর্থ উপার্জন করতে এই মাধ্যমে ব্যাপক হারে তৎপর হয়েছেন। প্রতিনিয়ত ভিউ ও অর্থ কামানোর নেশায় তাদের মধ্যে বেশির ভাগই মাধ্যমটির সঠিক ব্যবহার করছেন না, মেতে উঠছেন অসুস্থ প্রতিযোগিতায়।

তাদের মতে, ইউটিউবে অপচর্চাটা বেশি হচ্ছে। যার ক্ষতিকর প্রভাব সমাজ ও রাষ্ট্রের ওপর পড়ছে। বিনোদন ও প্রচার মাধ্যম হিসেবে ইউটিউবে প্রতিনিয়ত গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ। যে কোনো বিষয়বস্তুকে অতিরঞ্জিত করার প্রতিযোগিতায় নিয়োজিত সেসব ইউটিউবাররা ভিউ আর অর্থ উপার্জনের দৌড়ে ব্যস্ত। এতে দরকারি ও মানসম্মত কন্টেন্টগুলো হারিয়ে যাচ্ছে গুজব আর মিথ্যাচারের ভিড়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সেন্সরশিপ ও প্রয়োজনীয় নজরদারির অভাবে ইউটিউবের এই অপচর্চা বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কেননা, একদিকে মহামারী থেকে তৈরি সংকট ও অন্যদিকে আধুনিক বিশ্বায়ন মানুষকে ঘরমুখী করে দিচ্ছে। বিনোদন, সংস্কৃতি চর্চা, শিক্ষা ও কর্ম-সবই এখন অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়েছে। শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ সব শ্রেণির মানুষই এতে অভ্যস্ত। 

ইউটিউবে দেখা যায়, সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে যে কোনো কনটেন্টকে আকর্ষণীয় করে তুলতে চটকদার নানা উপকরণ যুক্ত করা হচ্ছে। সেখানে সেন্সরশিপ না থাকায় সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে মূলধারার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। যে কেউই যে কারো চরিত্রহরণ করে ভিউ আর অর্থ কামাতে ব্যস্ত। বিনোদন কনটেন্টগুলোর ক্ষেত্রেও অপসংস্কৃতির ছড়াছড়ি। আবার এসব কনটেন্ট ইউটিউব ছাপিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভিডিও শেয়ারিং সাইটে ছড়িয়ে পড়ছে। ফেসবুকেও এগুলোর ছড়াছড়ি।

প্রতারণার মাধ্যম হিসেবেও ইউটিউবকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কখনো সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও খ্যাতিমান ব্যক্তি বা তারকাদের নিয়ে আপত্তিকর ও বানোয়াট ভিডিও বানিয়ে ছাড়া হচ্ছে ইউটিউবে। পরে দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের চাঁদা। এ নিয়ে জিডি করেছেন অনেকে। 

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইটি বিভাগের অধ্যাপক কে এম আককাছ আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সরকারি কোনো নীতিমালা নেই। আছে অবাধ স্বাধীনতা, তাই অনেকে অর্থ আয়ের পথ হিসেবে ইউটিউবের দিকে ঝুঁকছে। ইচ্চে মতো চ্যানেল খুলে মনগড়া ভিডিও আপলোড করছে। অনেক শিশু কিশোর লাইভ গেইম চ্যানেলগুলোতে আসক্ত হচ্ছে। এখনকার কনটেন্টগুলোতে ক্রিয়েটিভির কিছু চোখে পড়ে না। মূলত ধর্ম, যৌনতা, রূপচর্চা, স্পোর্টস, বিনোদন রিলেটেড কনটেন্টগুলোর ভিউ বেশি লক্ষ্য করা যায়। 

তিনি বলেন, সাইবার ক্রাইম আগের থেকে অনেক বেড়েছে। ক্ষোভের কারণে মানহানি বা চাঁদাবাজি করতেও মনগড়া কনটেন্ট তৈরি করতে দেখা যাচ্ছে। আবার সরকার বিরোধী অনেক ভিত্তিহীন কনটেন্টও তৈরি হচ্ছে। বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নে দেশের বাইরে থেকে কনটেন্ট তৈরি করে তা টাকা দিকে ছড়িয়ে দেওয়া (প্রমোশন/বুস্ট) হচ্ছে।

অধ্যাপক কে এম আককাছ আলী আরও বলেন, দীর্ঘদিন লকডাউনের কারণে অনেকেই বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে এইদিকে আসছেন। কেউ কেউ অবসর সময়টাকে কাজে লাগাচ্ছে। আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরাও ভিডিও কনটেন্ট তৈরিতে ঝুঁকছেন। তবে ইউটিউব কনটেন্টের জন্য সরকারের উচিত নীতিমালা তৈরি করে দেওয়া। ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েটরদের বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত। যাতে বে-আইনি কিছু করলেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়। 

বাংলাদেশের তরুণদের অনেকেই এখন পেশাদারভাবে ইউটিউব এবং ফেসবুকের জন্য কনটেন্ট তৈরি করছেন। এসব ভিডিও দেখা হচ্ছে অসংখ্যবার। বাংলাদেশের একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর সৌভিক আহমেদ বলেন, এখন তো অনেক ইউটিউবার বেড়ে গেছে। আমরা যারা ছিলাম তারা কিন্তু এখনো কাজ করছি, তবে কম। এখন যারা নতুন তারাও নতুন নতুন আইডিয়া শেয়ার করছে, কন্টেন্ট ক্রিয়েট করছে। কেউ রান্না নিয়ে, কেউ বা শর্টফিল্ম, আবার কেউ গেম শো, মজার অনুষ্ঠান বা বিভিন্ন অনুষ্ঠান বানাচ্ছে। 

তিনি বলেন, এখনকার সময়ের সবাই অনেক বেশি ইয়াং ও ডেডিকেটেড। এখনকার ট্রেন্ড, কন্সেপ্ট এখনকার মতো; আগের মতো হবে না। তবে এখনকার সময়ে অনেক রকম ইউটিউবার হয়েছে যারা কন্সেপ্টের বিষয়ে ক্লিয়ার না। কি করবে আর কি বানাবে সেটা সম্পর্কে অজ্ঞ। ফলে বাজে কিছু কনটেন্ট নির্মিত হচ্ছে। তবে আমরা বরাবরই আশাবাদী।

বৃহস্পতিবার, ৩ জুন, ২০২১

বিশ্বের প্রাচীনতম ট্যাটু আঁকার যন্ত্র আবিষ্কার

বিশ্বের প্রাচীনতম ট্যাটু আঁকার যন্ত্র আবিষ্কার

বিশ্বের প্রাচীনতম ট্যাটু আঁকার যন্ত্র আবিষ্কার
ট্যাটু (tatoo) আর্ট (art) যে বহু পুরোনো তা সকলেরই জানা। আজও বহু আদিবাসী রয়েছে যারা সভ্য জগতের থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন তাদের শরীরে উল্কি আঁকতে দেখা যায়।

সম্প্রতি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো ট্যাটু কিট আবিস্কৃত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এই ট্যাটু কিট খ্রিস্টপূর্ব ৫৫২০ থেকে ৩৬২০ সালের মধ্যেকার কোনও একটি সময়ের।

খননকারীরা এই ট্যাটু কিট খুঁজে পেয়েছিলেন আসলে ১৯৮৫ সালে। তখন তারা ন্যাশভিলে একটি ব্রিজ তৈরির কাজ করছিলেন। সেই সময়ে তারা এটিকে সাধারণ কোনও যন্ত্র ভেবেছিল। তিন দশকের বেশি সময় ধরে এটি এইভাবেই পড়েছিল।

ডেটার উলফ আবার এগুলোকে ওষুধের বান্ডিল ভেবেছিল। জু আর্কিওলজিস্ট তানেয়া পেরেসের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হবার পরে ধারণা সম্পূর্ণ বদলে যায়। গবেষণায় উঠে আসা অন্য তথ্য। তারা বুঝতে পারেন এটা অন্য জিনিস। শেষে তারা বলেন ওটা ট্যাটু কিট।

জানা গেছে ট্যাটু কিটের মধ্যে ছিল টার্কির হাড় দিয়ে তৈরি সূচ, পাথর, অর্ধেক শাঁস যুক্ত রঙ রাখার জায়গা। রেডিও কার্বন স্টাডির মাধ্যমে জানা গেছে ট্যাটু জন্য ব্যবহৃত সূচগুলো ৫৫২০ থেকে ৩৬২০ সালের মধ্যেকার কোনও একটি সময়ের। এই আবিষ্কার এটাও বলছে যে নর্থ আমেরিকার মানুষরা পূর্ববর্তী ধারণার আরও হাজার বছর আগে থেমেই ট্যাটু আঁকার কাজ করত।

ওটজি নামে বিখ্যাত মমির দেহ থেকে থেকে পাওয়া গিয়েছিল সব থেকে পুরোনো ট্যাটু। বলা হয়েছিল মমিটি ৫২৫০ বছরের পুরনো। তার দেহ থেকে মিলেছিল ৬১টি ট্যাটু।

১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অস্ট্রিয়ার ওটজাল পর্বতমালায় মিলেছিল এক প্রাকৃতিক মমির সন্ধান। স্থানের নামানুসারে মমির নাম রাখা হয়েছিল ওটজি।

মমির খোঁজ মেলার পর থেকেই ওটির উদ্ধার কার্যের সঙ্গে যুক্ত যারা ছিল তাদের সবার সঙ্গে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে। বেশিরভাগই আকষ্মিক ভাবে মারা গিয়েছিল। তাই অনেকেই মমিটিকে অভিশপ্ত বলতে শুরু করে।

ওটজিকে প্রথম দেখতে পেয়েছিলেন জার্মানির পর্যটক হেলমুট সাইমন। ২০০৪ সালে হাইকিংয়ের সময় পড়ে গিয়ে মারা যান। ওটজিকে প্রথম দেখতে পাওয়ার স্থানের কাছেই তার মৃত্যু হয়েছিল। হেলমুটের মৃতদেহ উদ্ধারকারী দলের প্রধান ছিলেন ওয়ারনেক। হেলমুটের শেষ কৃত্যের এক ঘণ্টার মাথায় হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তিনি।

ওটজির দেহ পরীক্ষা করেছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদ কনরাড স্পিন্ডলার। মারা যান মাল্টিপল সেক্লরোসিসে। ওই মমির ফরেনসিক টিমের প্রধান ছিলেন রেইনার হেন। মারা যান সড়ক দুর্ঘটনায়। তুষারধসে মারা যান রেইনকে মমির কাছে নিয়ে যাওয়া পর্বতারোহী কার্ট ফ্রিৎজ। ওটজি উদ্ধারের ভিডিও করেছিলেন অস্ট্রিয়ার সাংবাদিক রেইনার হোয়েলজল। তিনিও ব্রেন টিউমারে মারা যান। সব ঘটনাই ছিল আকষ্মিক।

৭৫০ বর্গকিলোমিটার বরফ গলে গেছে আইসল্যান্ডের

৭৫০ বর্গকিলোমিটার বরফ গলে গেছে আইসল্যান্ডের

৭৫০ বর্গকিলোমিটার বরফ গলে গেছে আইসল্যান্ডের
বিপুল পরিমাণে বরফ হারাচ্ছে ‘বরফভূমি’। সম্প্রতি এক রিপোর্টে উঠে এসেছে, নয় নয় করেও হিমবাহের মোট ক্ষেত্রের প্রায় ৭৫০ বর্গকিলোমিটার বরফ গলে গেছে আইসল্যান্ডের। শতাংশের নিরিখে যা স্থলভাগের প্রায় ৭ শতাংশ। উষ্ণায়নের জেরে গত ২০ বছরে হিমবাহের দেশ আইসল্যান্ডের এই পরিণতি বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আইসল্যান্ডে গোটা স্থলভাগের ১০ শতাংশেরও বেশি জুড়ে রয়েছে হিমবাহ। ফলে হিমবাহ ক্ষয়ের জেরে ২০১৯ সালে দেশের আয়তন কমে দাঁড়িয়েছে ১০,৪০০ বর্গকিমি। এমনটাই দাবি আইসল্যান্ডিক সায়েন্টিফিক জার্নাল ‘জোকাল’-এ প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রের।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ১৮৯০ সাল থেকেই উল্লেখযোগ্য হারে হিমবাহ অঞ্চলের হ্রাস নজরে আসে। তবে ২০০০ সাল থেকে এই হার দ্রুত বেড়েছে। হিমবাহ বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যা পরিস্থিতি তাতে ২২০০ সালের মধ্যে আইসল্যান্ডের বরফ স্তর সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হওয়ার আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে। 

গত এপ্রিলে ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, বিশ্বের কমপক্ষে ২,২০,০০০টি হিমবাহের প্রায় সবক’টিই খুব দ্রুত হারে গলছে। যার জেরে বিশ্ব জুড়েই বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর।

২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে করা পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, এই সময়ে হিমবাহ ক্ষয়ের মাত্রা তড়তড়িয়ে বেড়েছে।

শুক্র গ্রহে অভিযান চালাবে নাসা

শুক্র গ্রহে অভিযান চালাবে নাসা


শুক্র গ্রহে অভিযান চালাবে নাসাশুক্র গ্রহের পরিবেশ ও ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য জানার জন্য দুটি নতুন অভিযান পরিচালনা করার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (ন্যাশনাল অ্যারোনেটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)। বুধবার নাসার প্রশাসক বিল নেলসন এই ঘোষণা দেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিটি অভিযানে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি ডলার। ২০২৮ এবং ২০৩০ সালে এই অভিযান দুটি পরিচালনা করা হবে।

গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে শুক্র গ্রহে কোনো অভিযান পরিচালনা হয়নি বলে জানান নাসার প্রশাসক বিল নেলসন। ১৯৯০ সালে শুক্রে সর্বশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। সেই অভিযানে যে নভোযানটি পাঠিয়েছিল নাসা, তার নাম ম্যাগেলান।

বিল নেলসন বলেন, শুক্র গ্রহে অভিযানের বিষটিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমভাগে শুক্রের পরিবেশ ও বায়ুমণ্ডল সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ডাভিনকি প্লাস। এই ধাপে গ্রহটির বাহ্যিক পরিবেশ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও পর্যালোচনার পাশাপাশি পরিবেশের সৃষ্টি ও বিবর্তন সংক্রান্ত তথ্যও সংগ্রহের চেষ্টা করা হবে। এর সঙ্গে এও অনুসন্ধান করা হবে যে, গ্রহটিতে কখনো সমুদ্র বা পানির অন্য কোনো উৎস ছিল কি না।

তিনি আরও বলেন, অভিযানের দ্বিতীয় ধাপটির নাম ভেরিতাস। এই ধাপে শুক্রের ভূমিরূপ বা ভূতাত্ত্বিক অবস্থা বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এই গ্রহটির উদ্ভব, বিকাশ এবং ঠিক কোন কোন কারণে শুক্র পৃথিবী থেকে এত ভিন্ন তা জানার চেষ্টা করা হবে দ্বিতীয় ধাপে। দ্বিতীয় ধাপে মনোযোগ দেওয়া হবে গ্রহটির ভূতাত্ত্বিক অবস্থার ওপর।

বৃহস্পতিবার, ২০ মে, ২০২১

সামান্য মদপানেও মস্তিষ্কের ক্ষতি : গবেষণা

সামান্য মদপানেও মস্তিষ্কের ক্ষতি : গবেষণা

সামান্য মদপানেও মস্তিষ্কের ক্ষতি 

মদপানের কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে মদপানের প্রচলন যত বাড়ছে ততই মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব হচ্ছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের পরিচালিত এই গবেষণার প্রতিবেদন গত ১২ মে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে জানানো হয়, গবেষণার জন্য তারা ব্রিটেনের ২৫ হাজার মদ পানকারী ব্যক্তির মস্তিস্কের মেডিক্যাল স্ক্যান পর্যালোচনা করেন।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ক্লিনিকাল রিসার্চার আনিয়া টোপিওয়ালার মতে, গবেষকরা দেখেন যে মদপান করার ফলে মস্তিষ্কের ধূসর অংশের ক্ষতি হয়। মস্তিষ্কের এই অঞ্চল একটি অতি গুরত্বপূর্ণ অংশ, এখানে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রস্তুত হয়।

আনিয়া টোপিওয়ালা বলেন, ‘মানুষ যত মদপান করে ততই তাদের মস্তিষ্কের ধূসর অংশের পরিমান কমে যায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘বয়স বাড়ার সাথে সাথে মস্তিষ্কের আকার ছোট হয়ে আসে এবং আরো মারাত্মক অবস্থায় ব্যক্তির স্মৃতিভ্রংশ দেখা দেয়। মস্তিষ্কের আকার ছোট হয়ে গেলে স্মৃতির পরীক্ষায় তার কর্মক্ষমতা দুর্বল হয়।'

টোপিওয়ালা বলেন, 'যদিও এতে অ্যালকোহলের প্রভাব সীমিত (শূণ্য দশমিক আট ভাগ), তথাপি অন্য পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকি থেকে এর প্রভাব বেশি।'

বয়সের বাড়ার বিপরীতে অন্য কোনো কারণে মস্তিষ্কের আকার ছোট হয়ে আসা ও স্মৃতিভ্রংশ তৈরি হওয়াকে 'পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকি' হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, যে কোনো ধরনের মদপান মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। বিভিন্ন প্রকার মদ, পান করার ধরন ও অন্য স্বাস্থ্যগত অবস্থা মদপানে মস্তিষ্কের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।

স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ কোনো 'মদ' গবেষকরা খুঁজে পাননি। ওয়াইন, স্পিরিট বা বিয়ার, সব ধরনের মদই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

অপরদিকে অল্প মদপানেও পানকারী মস্তিষ্কের ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকতে পারেন না।

চিকিৎসা সাময়িকী দ্যা ল্যানসেটে ২০১৮ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় তথ্য প্রকাশিত হয়েছে যে মদপানের কারণে প্রতি দশজনের মধ্যে একজন মানুষ মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছেন। মদ বিভিন্ন রোগের সূচনা করে। এর ফলে পানকারীর অকাল মৃত্যুর বিপুল ঝুঁকি থাকে।

এতে বলা হয়, ২০১৬ সালে সারাবিশ্বে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের মধ্যে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনের মদপানের কারণে মৃত্যু হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের মাদক বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান গবেষক স্যাডি বনিফেস বলেন, 'বছরের পর বছর মনে করা হতো যে বেশি মদ পানেই মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। এখন সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মদপানের নিরাপদ কোনো মাত্রা নেই, অল্প মদপানও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। আসলে মদ শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রতঙ্গকে ক্ষতি করে আর বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে।'

শনিবার, ১৫ মে, ২০২১

A virtual tip jar is being added to Twitter

A virtual tip jar is being added to Twitter


A virtual tip jar is being added to Twitter
Authorities are constantly trying to make Twitter more popular. Twitter is bringing new facilities for the users. The virtual Tip Jar system is going to be added to Twitter in a few days. Twitter users who can add to their own profile.

Using this tip jar will increase each other's financial income opportunities on Twitter. That is, if a person wants to support another person on Twitter in any way other than just like, share or retweet, they need to use this tip jar.

This tip jar was originally created to support any social or other initiative economically. Initially, the use of these tip jars was restricted to certain individuals or groups. One group will include journalists, various creators, non-profit organizations and experts.

If the sun dies, what will happen to the earth? (Video)

If the sun dies, what will happen to the earth? (Video)

If the sun dies, what will happen to the earth?  (Video)
The core of our solar system is the sun. And we have this beautiful earth as the number three planet of this solar system or solar system. And as such, the sun is the closest star to us. And the sun is the source of all the energy on this earth. The sun is the lifeblood of the earth. But have you ever wondered what would happen to the earth if the sun died or was destroyed? What if the sun suddenly disappears from this solar system? 

There is no substitute for the sun to keep all kinds of animals and plants alive on earth. The existence of life on our earth is largely due to the sun. The sun radiates light on the earth from above and keeps the earth's temperature at a tolerable level. And as a result, we are able to perform all our biological activities in a very healthy way, starting from organisms to plants. Just for the sun, all kinds of plants are ensuring their own food supply by converting solar light into chemical energy through photosynthesis and photosynthesis and leaving oxygen in the atmosphere for us. So friends, let us know what will happen if this sun disappears or disappears from us?

The sun is about 333,000 times heavier than the earth, and it produces the equivalent of 100 billion hydrogen bombs per second. And with its strong gravitational force, it holds the eight planets, including the Earth, in their orbits. Then think about what would happen to us if there was no sun!
According to scientists, if the sun suddenly disappears, all the planets in the solar system will be lost in space. Besides, it is not uncommon for them to clash.

The sun is also our main source of light. But the matter of light is a little different. Because even after traveling at such a high speed, it takes about 8 minutes for light from the sun to reach the earth after covering a huge distance. So the funny thing is that right now, when the sun disappears, it will take 6 minutes to see it with our eyes. I mean after 6 minutes I will understand that there is no sun. Of course, before that the planets will fall apart and a tumultuous event will take place.

However, if there is no other accident, just the lack of light will not be an immediate problem for us. Because there will be electricity and the stars will still give some light. Even Jupiter can be seen for about 1 hour (because it will take some time for the sun's light to be reflected from Jupiter. Due to this time difference, the Sun will be lost, but the light from the previous moment will be visible to Jupiter at this time).
But disaster will happen on earth after 6 minutes. Because, there will be no photosynthesis without sunlight.

So small plants will die within a few days of not being able to make food. And the big ones might last a few more days. There is a bigger problem than this. We know that the sun is also our source of heat. And it goes without saying how much heat is needed. Within a week of the sun disappearing, the earth's temperature will drop to 0 degrees Celsius. And at the end of a sunless year, the earth's surface temperature will stand at minus 63 degrees Celsius.

Think about it, which creature would exist in this ice-cold state? However, scientists believe that the animals in the hydrothermal vent can survive without the sun.

In that case, the surface water of the earth will turn into ice and the whole earth will look like a piece of ice. But underground, the "core" of the earth's interior will still produce heat. If someone finds a convenient shelter here, then his luck can be said to be a bit happy, but what to eat!

If there is no sun, the earth will continue to run straight towards zero due to the lack of gravitational force. Now the earth is moving around the sun at a speed of about 6000 miles per hour. As such, if it did not collide with anything else, the Earth would cover a distance equal to the length of the entire Milky Way galaxy in the first 1 billion years, and this would be the case for eternity (?), But is it really so? There are about 100 billion suns in our galaxy, and 1 billion black holes. One of them will never put the earth back in its orbit (or swallow it up) so who can say!

All in all, if the sun were to disappear, all normal creatures, including humans, would begin to perish; Earth will then turn into a huge ice planet; Yet microbes, such as the deepest in the world, will survive. Maybe if it didn't collide with any planet, Earth would move into the orbit of another star a million years later; And then because of the heat, the earth will start to melt again, and return to its original form. Then perhaps these microns under the sea will create new species again, just as the first creatures on earth began to form.

A historic achievement in space, this time a Chinese rover touched the ground of Mars

A historic achievement in space, this time a Chinese rover touched the ground of Mars

A historic achievement in space, this time a Chinese rover touched the ground of Mars
History averages China. Beijing's Mars rover Tiangwen-1's Jurong rover landed on Mars late Saturday night. This success in their first mission to the Red Planet undoubtedly put China next to the world's leading space missions. Incidentally, this spacecraft has been orbiting Mars since last February. 

Accompanied by a rover, the Tianwen-1 lander spent "seven minutes of panic" and landed safely on Mars on a parachute. It landed in the pre-determined 'Utopia Planicia' region. 

China's state-run Xinhua news agency has given the green light to the news of the landing, according to the China National Space Administration.

Jurong will visit there on at least 90 Mars days. It will collect various samples in the long run. The structure of the surface of Mars will be examined. Will look for ice. If there is an important issue, it will be closely monitored. China has high hopes for the Mars mission. Chi Wang, head of the country's space research agency, claims that this mission is going to be the best mission to Mars so far. He claimed that they would observe the weather of the fourth planet of the solar system, starting from the surface and the details. This will lead to more new information about the red planet.

Incidentally, Tianwen-1 entered the orbit of Mars last February. In the same month, two spacecraft from the United States and the United Arab Emirates entered the orbit. U.S. Rover Perseverance has made a name for itself on Mars. But according to China's plan, its rover would separate and land on the planet's surface as it orbits Mars for three months. 

Beijing wants to reach many milestones in space exploration in the next few years. Already sending people into space, successes like space missions to the moon are in their crown. This time, in the first mission, Beijing landed a rover on the ground of Mars and practically beat Russia and America in a 'space race'. Sources: Space, New York Times, CNN, Xinhua, NBC News

বুধবার, ১২ মে, ২০২১

ওয়ার্ক ফ্রম হোমে নিজেকে রাখুন শতভাগ কর্মক্ষম

ওয়ার্ক ফ্রম হোমে নিজেকে রাখুন শতভাগ কর্মক্ষম

ওয়ার্ক ফ্রম হোমে নিজেকে রাখুন শতভাগ কর্মক্ষম
করোনাভাইরাস সঙ্কট বদলে দিয়েছে আমাদের নিত্য জীবনের সকল হিসাব-নিকাশ। প্রতিনিয়তই আমরা নিজেদের খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছি নতুন স্বাভাবিকতার সাথে।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত বছর মার্চ থেকে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণার পর বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত। তবে এতে থেমে থাকেনি কর্ম চঞ্চলতা। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান এ সময় ঘোষণা করে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম।’ ঘরে বসে পেশাগত দায়িত্ব পালনের প্রবণতা এই এক বছরে সবার কাছে বেশ স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কিন্তু পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ না করায় ঘর-অফিস ভারসাম্য করে নিজেকে কর্মক্ষম রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।  

ঘরে থেকে অফিসের কাজ করার ফলে কাজের ধরণে এসেছে পরিবর্তন। তাই প্রথমেই প্রয়োজন কাজের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা। ঘরের একটি নিরিবিলি জায়গায় অফিসের কাজ করার জন্য নিজের ডেস্ক বানিয়ে নিতে পারেন। কাজের প্রয়োজনীয় সকল অনুসঙ্গ (যেমন- ল্যাপটপ, মাউস, ডায়েরি, পানির বোতল ইত্যাদি) হাতের নাগালে রাখতে হবে। 

মিটিং থেকে শুরু করে অফিসের অনেক কাজ এখন অনলাইনে করতে হচ্ছে বলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট কানেকশন, মানসম্পন্ন ক্যামেরা ও শক্তিশালী ব্যাটারি ও ভালো পারফরমেন্সের স্মার্টফোন এবং হেডফোন সাথে থাকা অত্যন্ত জরুরি।

ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের পাশাপাশি একাধিক কাজ একসাথে এবং তাৎক্ষণিকভাবে করার সহজ সমাধান স্মার্টফোন। স্মার্টফোনে খুব কম সময়ে ই-মেইল দেওয়া যায় এবং সহজে ভিডিও কল করা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন অ্যাপের মোবাইল সংস্করণ স্মার্টফোনে চালানো অধিক স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক। 

আউটলুক অ্যাপে কোনো ই-মেইলে মোবাইল নাম্বার থাকলে সেটি হাইপারলিংক হয়ে থাকে এবং মোবাইলে এক ট্যাপেই সে নাম্বারে কল করা যায় ফলে কাজের গতি বাড়ে।                               

কাজের গতি বৃদ্ধি ছাড়াও অফিসের দরকারি কল মোবাইলে আসে বিধায় মোবাইল সব সময় চালু রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই ভালো পারফর্মেন্সের পাশাপাশি প্রয়োজন সুবিশাল ব্যাটারিযুক্ত স্মার্টফোন। এক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন সদ্য বাজারে আসা স্যামসাং গ্যালাক্সি এম৬২-কে, যা অফিসের সকল কাজ করার জন্য বিশেষ উপযোগী। 

ডিভাইসটিতে ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ক্ষমতার বিশাল ব্যাটারি থাকায় চার্জ না দিয়েও দীর্ঘ সময় নিশ্চিন্তে ফোনটি চালানো যায় এবং এতে দ্রুতগতিসম্পন্ন এক্সিনোস ৯৮২৫ (৭এনএম) প্রসেসর থাকায় মোবাইলে যেকোন কাজ করা যাবে দ্রুততার সাথে। 

কাজের ফাঁকে ফাঁকে নিজেকে বিরতি দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এসময় আপনি বন্ধু বা পরিবারের কারও সাথে কথা বলতে পারেন কিংবা হালকা ব্যায়াম করে নিতে পারেন। ব্যায়াম আমাদের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। 

আমরা সাধারণত অফিসে একটি নির্ধারিত কর্মঘণ্টা অনুসারে কাজ করে থাকি। বাড়িতে বসে কাজ করার সময়ও নিজ কর্মঘণ্টার এই সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে স্মার্টফোন আপনাকে সহায়তা করবে। স্যামসাং স্মার্টফোনের স্যামসাং হেলথ অ্যাপে আপনি দরকারি ব্যায়াম খুঁজে পাবেন সহজেই। 

স্ট্যানফোর্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৬,০০০ কর্মীর মাঝে ওয়ার্ক ফ্রম হোম কর্মক্ষমতা বাড়িয়েছে ১৩ শতাংশ। এছাড়াও কর্মীরা বলেছেন, এর ফলে তাদের কর্ম সন্তুষ্টি বৃদ্ধি পেয়েছে। রুটিন-মাফিক নিয়ম মেনে চললে বাসা থেকে কাজ করার বেশ স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক। আর তা না হলে, কর্মক্ষমতা কমার সাথে সাথে মানসিক শান্তি ও বিশ্রামের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে যাবে। তাই করোনাকালীন সময়ে বাসা থেকে অফিসের কাজ পরিচালনায় শতভাগ কর্মক্ষমতা নিশ্চিতে অনুসরণ করতে পারেন এই বিষয়গুলো। 

ফেসবুকের নতুন ফিচার ‘নেইবারহুড’

ফেসবুকের নতুন ফিচার ‘নেইবারহুড’

ফেসবুকের নতুন ফিচার ‘নেইবারহুড’
‘নেইবারহুড’ নামে নতুন একটি ফিচার নিয়ে এসেছে ফেসবুক। গত বছর থেকে ফিচারটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে ফেসবুক। বর্তমানে কানাডার ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য সীমিত পরিসরে ফিচারটি চালু করা হয়েছে। শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রে চালু হবে এ ফিচার। ফেসবুক অ্যাপের মধ্যেই থাকা এই ফিচারের মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী তার প্রতিবেশীদের পাশাপাশি স্থানীয় বিভিন্ন কমিউনিটি বা গ্রুপের সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ করতে পারবেন।

ফিচারটি চালু করতে, একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীকে তার ফেসবুক অ্যাপে লগইন থাকা অবস্থায় একটি নেইবারহুড আইডি খুলতে হবে। এই আইডি ও তার মূল আইডি আলাদা আলাদা থাকবে। এই নেইবারহুড আইডি দিয়ে নিজেই একটি নেইবারহুড নেটওয়ার্ক তৈরি করে অন্যদের সেখানে যুক্ত করা যাবে। আবার একই নেইবারহুড আইডি দিয়ে অন্য নেইবারহুড নেটওয়ার্কে যোগ দেওয়া যাবে।

কোনো ব্যবহারকারীর কোনো পোস্ট বা মন্তব্য নেইবারহুড নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে সেগুলো মুছে দেবে ফেসবুক। আবার একজন নেইবারহুড ব্যবহারকারী চাইলে অন্য কোনো আইডিকে নেইবারহুড ফিচারে ব্লক করে দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে ব্লক হওয়া ব্যক্তির কাছে কোনো ধরনের নোটিফিকেশন দেবে না ফেসবুক।

বন্ধ হচ্ছে গুগল ফটোসের ফ্রি সেবা

বন্ধ হচ্ছে গুগল ফটোসের ফ্রি সেবা

বন্ধ হচ্ছে গুগল ফটোসের ফ্রি সেবা!এতদিন সমস্ত ফটো ডিভাইস থেকে মুছে ফেলার পরেও গুগল ফটোসের অনলাইন ফ্রি ক্লাউড স্টোরেজে রাখা যেত। কিন্তু আনলিমিটেড স্টোরেজের সেই সুবিধা শেষ হতে যাচ্ছে আগামী ১লা জুন থেকে।

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, ১ জুন থেকে শুধুমাত্র ১৫ জিবি ক্লাউড স্টোরেজ বিনা মূল্যে পাবেন গ্রাহকরা। তার বেশি হয়ে গেলেই টাকা দিয়ে স্টোরেজ কিনতে হবে।

১৫ জিবি পেরিয়ে গেলে গুগলে ক্লাউডে ফটো সেভ করতে গেলে প্রতি মাসে ১৪৬ টাকা দিতে হবে। পুরো বছরের একেবারে সাবস্ক্রিপশন নিতে গেলে ১৪৬৪ টাকা দিতে হবে।

উল্লেখ্য, এই চার্জ কেবল নতুন ফটো-ভিডিও সেভ করার জন্য। অর্থাৎ আপনার পুরনো ফটো-ভিডিও আগের মতোই সেভড্ থাকবে। 

টুইটার আনছে রিভিউ অপশন

টুইটার আনছে রিভিউ অপশন


টুইটার আনছে রিভিউ অপশন
এবার রিভিউ অপশন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টুইটার। টুইটারকে আরও স্বাধীন করার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা।

নতুন ফিচারটি আসছি সপ্তাহ থেকেই চালু হবে। ফলে এখন থেকে কেউ আক্রমণাত্মক বা ক্ষতিকর টুইট করলে সেটিকে আবার যাচাই করে দেখার নোটিফিকেশন প্রদান করা হবে। টুইটারের মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজ টুইটের ধরন বুঝেই এ নোটিফিকেশন পাঠাবে। নোটিফিকেশনের সঙ্গে টুইট এডিট করা, ডিলিট করা অথবা কোনো পরিবর্তন ছাড়াই পাঠানোর অপশন দেয়া হবে।

জানা গেছে এই নতুন ফিচারটি শুরুতেই চালু করা হবে আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য। দ্বিতীয় ধাপে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্যও এটি উন্মুক্ত করা হবে।

টুইটার জানিয়েছে, এ ফিচারের মাধ্যমে তারা আক্রমণাত্মক ও ক্ষতিকর টুইটের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সক্ষম হবে।

যে অ্যাপসগুলো কখনই মোবাইলে রাখবেন না

যে অ্যাপসগুলো কখনই মোবাইলে রাখবেন না


যে অ্যাপসগুলো কখনই মোবাইলে রাখবেন নাদৈনন্দিন নানা প্রয়োজনে আমরা বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস মোবাইলে ইন্সটল করি। তবে এই অ্যাপসগুলোর কিছু থাকে যাতে ম্যালওয়্যার বহন করে থাকে। 

আপনি যদি স্যামসাং, হুয়াওয়ে ইত্যাদির মতো অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে থাকেন তবে আজকের উল্লেখিত এই অ্যাপসগুলো অতি দ্রুত আপনার ফোন থেকে আনইন্সটল করে দেয়া উচিত। 

সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা ট্রেন্ড মাইক্রো আবিষ্কার করেছে যে ৯ টি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে এমন ম্যালওয়্যার রয়েছে যা ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে অপরাধীদের কম্পিউটারে সরবরাহ করে।

অ্যান্ড্রয়েড এই অ্যাপসগুলো গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যায়। কিন্তু এই অ্যাপসগুলো নিরাপদ কিনা তা যাচাইয়ের কোনো ব্যবস্থা প্লে স্টোর এর পক্ষ থেকে রাখা হয়নি। তবে অ্যাপল সব সময়ই এ ব্যাপারে খুবই সতর্ক। কারণ আপনি কোন অ্যাপস ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন এবং তা আপনার ফোনের জন্য নিরাপদ কিনা সেটা যাচাই করা খুবই জরুরই একটি ব্যাপার। এই অ্যাপসগুলো কোন কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত তা প্রথমেই আমাদের খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ অনেক সময়ই এই অ্যাপসগুলোকে সাধারণ অ্যাপস এর মত রূপ দেয়া হলেও প্রকৃতপক্ষে তা ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস হিসেবে কাজ করে।

অ্যাপস:
১। Shoot Clean

২। Shoot Clean Lite

৩। Super Clean

৪। Speed Clean

৫। Rocket Cleaner

৬। Rocket Cleaner Lite

৭। Quick Games

৮। H5 Game box

৯। LinkWorldVPN

উল্লেখিত এই ৯ টি অ্যাপ্লিকেশন ৪ লক্ষ ৭০ হাজার বার ডাউনলোড করা হয়েছে। বর্তমানে গুগল প্লে স্টোর থেকে এগুলো সরিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনার ফোন থেকে এগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে অদৃশ্য হয়ে যাবে। এটার জন্য আপনাকে নিজেই ফোন থেকে আনইন্সটল করতে হবে।

রকেটের কবরস্থান 'পয়েন্ট নিমো'

রকেটের কবরস্থান 'পয়েন্ট নিমো'


রকেটের কবরস্থান 'পয়েন্ট নিমো'
'পয়েন্ট নিমো' দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের একটি এলাকা। ১৯৭১ সাল থেকে এখানে শায়িত আছে প্রায় ২৬০টি রকেটের ধ্বংসাবশেষ। নিমো শব্দের অর্থ ‘কেউ নেই।' এই স্থানটি পৃথিবীর ভূমি থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। এর আড়াই হাজার কিলোমিটার এলাকার মধ্যেই নেই কোনো ভূখণ্ড। তাই এখানে রকেটগুলো পড়লে মানবজাতির কোনো সমস্যা হয় না।

রকেট মহাশূন্যে পাঠানো যেমন জটিল, তেমনই এর প্রত্যাবর্তনটাও জটিল। প্রচণ্ড গতি নিয়ে যখন এটি ফিরে আসে তখন ঘর্ষণে এটি বিস্ফোরিত হয়ে যায়। ফলে ছোট রকেটগুলোর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া না গেলেও বড়গুলো বিস্ফোরণের পর ছড়িয়ে পরে পৃথিবীতে। এগুলো যাতে মানুষের ক্ষতি না করে তাই নিয়ন্ত্রিতভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করান বিজ্ঞানীরা। 

রকেট সায়েন্স শিক্ষার্থী শাহ জালাল জোনাক বলেন, 'রকেট বানানোর আগেই সিদ্ধান্ত হয়ে যায়- এটি পৃথিবীতে আর ফিরে আসবে কি আসবে না। সেভাবেই পরিকল্পনা আগায়।'

তবে গত ৬ দশকে প্রায় ৫২টি রকেট প্রত্যাবর্তন করেছে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। এর মধ্যে গত রোববার (৯ মে) আছড়ে পড়েছিল চীনের লং মার্চ-৫বি ওয়াই২ রকেটটি মালদ্বীপের ওপর দিয়ে ভারত মহাসাগরের আরব সাগর অংশে আছড়ে পড়ে। গত বছরও চীনের আরেকটি রকেট পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছিল। তাই চীনের দায়িত্বশীলতা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে।

এক মিনিটে মোবাইলে পর্নসাইট বন্ধ করুন

এক মিনিটে মোবাইলে পর্নসাইট বন্ধ করুন


এক মিনিটে মোবাইলে পর্নসাইট বন্ধ করুন

গেম, কার্টুন, ইউটিউব ইত্যাদি অজুহাতে মোবাইল এখন অপ্রাপ্তবয়স্কদের হাতে জায়গা করে নিয়েছে। এদিক সেদিক ক্লিক করতেই অজান্তে নানান অ্যাডাল্ট সাইট ওপেন হয়ে যাচ্ছে। যা খুবই বিব্রতকর এবং বাচ্চাদের মানসিক বিকাশের জন্য খুবই ভয়ঙ্কর।

বিব্রত পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে ছোট্ট একটি সেটিংস করে নিতে পারেন। এই সেটিংস করা থাকলে আপনার মোবাইল দিয়ে কখনোই আজেবাজে সাইট চালু হবে না।

অটোমেটিক অ্যাডাল্ট সাইট ব্লক হয়ে যাবে। সার্চ করলেও বাজে সাইট খুঁজে পাবেন না। আপনার ঘরের মোবাইলগুলোতে সেটিংসটি করে রাখুন। কিছুটা হলেও নিশ্চিন্তে থাকা যাবে। নিজে করুন, অন্যকে জানিয়ে দিন। আগামী প্রজন্ম সুস্থ মস্তিষ্কে বড় হয়ে উঠুক।

সেটিংস বিস্তারিত:

আসুন জেনে নেই, কীভাবে ফোনের সেটিংস থেকে সকল প্রকার পর্নসাইট একবারে বন্ধ করে দেবেন। এটি করলে গুগলে সার্চ করে কোনো পর্নসাইট খুঁজে পাওয়া যাবে না।

শুরুতে আপনাকে ফোনের সেটিংসের  wireless connections অপশনে যেতে হবে। সেখানে যাওয়ার পর, Private DNS অপশনটিতে যেতে হবে। তবে বলে রাখা ভালো যে, কিছু কিছু ফোনে Private DNS অপশনটি অন্য জায়গায়ও থাকতে পারে। পর্নসাইট বন্ধ করার জন্য এই Private DNS অপশনটিই প্রয়োজন। তাই, আপনার ফোনের সেটিংস থেকে Private DNS অপশনটি খুঁজে বের করুন। এরপর, Private DNS অপশনটিতে ক্লিক করার পর তিনটি অপশন পাবেন। এর মধ্যে একটি অপশনে ক্লিক করলে এডিট করা যায়। যেটিতে এডিট করা যায়, সেটিতে adult-filter-dns.cleanbrowsing.org লিখে সেভ করে দিন।

এতটুকু করলেই সমস্ত পর্নসাইট আপনার ফোন থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। কোনো রকম পর্নসাইট আর আপনার ফোন থেকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

নিচে একটি ফোনে করে দেখানো হয়েছে। এই ফোনটিতে এডিট অপশনটি Designated Private DNS নামে দেওয়া ছিল। কিছু কিছু ফোনে এটি Private DNS provider hostname নামেও থাকে। সূত্র: Police Cyber Support for Women..

করোনাযুদ্ধে ভারতকে ১৫ মিলিয়ন ডলার সাহায্য করল টুইটার

করোনাযুদ্ধে ভারতকে ১৫ মিলিয়ন ডলার সাহায্য করল টুইটার


করোনাযুদ্ধে ভারতকে ১৫ মিলিয়ন ডলার সাহায্য করল টুইটার
জ্যাক প্যাট্রিক ডোরসি।

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবার ভারতের পাশে টুইটার। মারণরোগ ঠেকাতে ভারতকে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য করল জনপ্রিয় এই মাইক্রোব্লগিং সাইট।

সংস্থার সিইও জ্যাক প্যাট্রিক ডোরসি সোমবার টুইট করে জানান, আর্থিক সাহায্যের পুরোটাই তিনটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। এক সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও বাকি দুই সংস্থার এক একটিকে ২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে এই সুসংবাদ পেয়ে জানানো হয়েছে, ‘টুইটারের এই অনুদান জীবনদায়ী সরঞ্জাম কেনার জন্য ব্যবহৃত হবে। ওই টাকা দিয়ে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ভেন্টিলেটর, বাই PAP, CPAP মেশিন কিনে তা সরকারি হাসপাতাল ও কোভিড-১৯ কেয়ার সেন্টার ও হাসপাতালগুলোতে বিতরণ করা হবে।’

অনুদান পেয়ে আরেক সংস্থা জানায়, তারা প্রথম সারির যোদ্ধাদের জন্য পিপিই কিট, মাস্কসহ অক্সিজেন জোগানের ব্যবস্থা করবে। একইসাথে জনসাধারণের টিকাকরণের জন্যও কাজ করবে। অনুদান পেয়ে বিভিন্ন মেডিকেল সরঞ্জাম কিনে তা প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে বলে এগিয়ে এসেছে তৃতীয় সংস্থাটি।

মোবাইল গেম ইন্ডাস্ট্রিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ফ্রি ট্রেনিং

মোবাইল গেম ইন্ডাস্ট্রিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ফ্রি ট্রেনিং


মোবাইল গেম ইন্ডাস্ট্রিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ফ্রি ট্রেনিং
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ‘মোবাইল গেম’ ডেভেলপমেন্টের উপর ফ্রি ট্রেনিং শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। দেশের সবকয়টি বিভাগে ২৬টি ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে ৫ মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ২০০০ প্রশিক্ষণার্থী সুযোগ পাবেন। 

কম্পিউটার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা সম্পূর্ণকারী বা কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা এ প্রশিক্ষণ কোর্সে আবেদন করতে পারবেন। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে ৪টি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এ কর্মসূচির আওতায় আগামী জুন মাস থেকে গেমিং প্রশিক্ষণ শুরু হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। 

দেশের শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান লজিক্যাল ট্রায়াঙ্গেল এবং ওয়ান আইসিটি লিমিটেড সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। 

ওয়ান আইসিটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে দক্ষ জনশক্তির কোনো বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং উদ্যোগ গ্রহণ করে যাচ্ছেন। 

তিনি বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ট্রেনিং প্রদানের মাধ্যমে গেম ইন্ডাস্ট্রির জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হবে এবং তাদের কর্মসংস্থানের জন্য আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাবো।  

লজিক্যাল ট্রায়াঙ্গেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল হাসান বলেন, এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীরা গেমের কনসেপ্ট ডিজাইন, ক্যারেক্টার ডিজাইন, অ্যানিমেশন, লেভেল তৈরি প্রভৃতি থেকে শুরু করে গেম রিলিজ পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপের বিষয়ের কাজ শিখতে পারবেন। এ প্রশিক্ষণে কর্মসূচিতে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করবেন গেম ইন্ডাস্ট্রির সব অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা। 

তথ্যপ্রযুক্তির এ বিশেষ শাখায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দক্ষ পেশাজীবী হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে সরকারের দেওয়া এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। আগ্রহীরা www.gameapptraining.com ওয়েবসাইটে ভিজিট করে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১

তেলাপোকার ভয়ে ১৮ বার বাসা বদল করেও রেহাই নেই, অতঃপর

তেলাপোকার ভয়ে ১৮ বার বাসা বদল করেও রেহাই নেই, অতঃপর

তেলাপোকার ভয়ে ১৮ বার বাসা বদল করেও রেহাই নেই, অতঃপর…
কেউ কেউ তেলাপোকা ভয় পান। তাই চোখের সামনে দেখলে কী করবেন বুঝতে পারেন না। চেঁচামিচি লাফালাফি শুরু করে দেন।তেলাপোকার ভয় নিয়ে একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। তেলাপোকা দেখলে ভীষণ ভয় স্ত্রীর। আর সেই ভয়ের কারণেই এক দম্পতি তিন বছরে ১৮ বার বাসা বদলেছেন। ২০১৭ সালে বিয়ের পর স্বামী প্রথম জানলেন স্ত্রী তেলাপোকা ভয় পান। স্ত্রীর তেলাপোকা ভীতি কাটানোর জন্য স্বামী একাধিক মনোবিদকেও দেখিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেলাপোকা দেখে মাত্রাতিরিক্ত এই ভয় আসলে একটি রোগ। একে বলা হয় ‘কাটসারিডফোবিয়া’। নির্দিষ্ট চিকিৎসা করালে এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 

রান্না ঘরে একদিন তেলাপোকা দেখে এমন চিৎকার করেছিলেন স্ত্রী যে, প্রকৌশলী স্বামী একেবারে হতভম্ব হয়ে যান। কিছুক্ষণ পরই স্ত্রীর চিৎকারের কারণ বুঝতে পারেন তিনি। যেখানেই যান, তেলাপোকা যেন পিছু ছাড়ে না। আর এই ক্ষুদ্র প্রাণীটিকে দেখা মাত্রই স্ত্রী আর সেই বাসায় থাকতে চান না। চলে নতুন বাসার খোঁজ-খবর। কিন্তু কয়েকদিন পরপরই এই বাসা বদলাতে গিয়ে স্বামী বেচারা বেশ ‘ক্লান্ত’। এবার তাই বিচ্ছেদ চাইছেন তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার কাউন্সেলিংও করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। তিনি এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করবেন বলেই ঠিক করেছেন। স্বামীর অভিযোগ, তার স্ত্রী চিকিৎসা করাতে বা ওষুধ খেতে রাজি না।

বেতনসহ ছুটি আদায় করতে একই স্ত্রীকে ৪ বার বিয়ে, ৩ বার ডিভোর্স

বেতনসহ ছুটি আদায় করতে একই স্ত্রীকে ৪ বার বিয়ে, ৩ বার ডিভোর্স

বেতনসহ ছুটি আদায় করতে একই স্ত্রীকে ৪ বার বিয়ে, ৩ বার ডিভোর্স!
অফিস থেকে বেতনসহ ছুটি আদায় করার জন্য একই স্ত্রী’কে তিন বার ডিভোর্স দিয়ে চার বার বিয়ে করলেন তাইওয়ানের রাজধানী তাইপের এক ব্যক্তি। শেষ বার বিয়ের ৩৭ দিনের মাথায় স্ত্রী’কে ডিভোর্স দেন ওই ব্যক্তি। তার একটাই উদ্দেশ্য, বৈতনিক ছুটিকে আরও দীর্ঘায়িত করা।

গত বছরের ৬ এপ্রিল বিয়ে করেন ব্যাংক পেশায় কর্মরত ওই ব্যক্তি। তখন তিনি ৮ দিনের বৈতনিক ছুটি পান।

ছুটি শেষ হওয়ার কিছু দিনের মাথায় স্ত্রী’কে ডিভোর্স দেন ওই ব্যক্তি। তারপর ফের বিয়ের জন্য ছুটির আবেদন করেন এবং একই মেয়েকে বিয়ে করেন। এভাবে মোট তিন বার স্ত্রী’কে ডিভোর্স দেন ওই ব্যক্তি। আর মোট বিয়ে করেন চার বার।

আসলে ব্যাংকের কাছে আবেদন করেও অতিরিক্ত সবেতন ছুটি পাচ্ছিলেন না ওই ব্যক্তি। বারবার আবেদন করেও প্রত্যাখ্যাত হন তিনি।এরপরেই বিয়ের ফন্দি আঁটেন। চার বার বিয়ে করার জন্য ৩২ দিনের সবেতন ছুটির আবেদন করেন তিনি।

কিন্তু চতুর্থবারে বিষয়টি ব্যাংকের নজরে আসে। খোঁজ নিয়ে কর্তৃপক্ষ জানতে পারে ছুটি পেতে ওই ব্যক্তি একই নারীকে বারবার বিয়ে করছেন আবার ডিভোর্স দিচ্ছেন। এরপরই ব্যাংক ওই ব্যক্তিকে ফের ছুটি দিতে অস্বীকার করে।

তবে ওই ব্যক্তির ভাষ্য, তিনি আইন লঙ্ঘন করে কিছু করেননি। এরপর ব্যাংকের বিরুদ্ধে তাইপে সিটি লেবার ব্যুরোতে অভিযোগ করেন তিনি।

তদন্তে দেখা যায়, ওই ব্যক্তির উদ্দেশ্য অসৎ হলেও তিনি আইনের বাইরে কিছু করেননি। তাইওয়ানের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কোনো কর্মচারী বিয়ে করলে ব্যাংক তাকে আট দিনের বৈতনিক ছুটি দিতে বাধ্য। ব্যাংক তা পালন না করে আইন ভেঙেছে। এ অপরাধে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ২০ হাজার তাইওয়ান মুদ্রা (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ হাজার টাকা) জরিমানা করা হয়।