রবিবার, ১২ জুন, ২০২২

ভাইভার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি

ভাইভার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি


ইন্টার্ভিউ রুমে ঢুকার সময় ভিতরে ঢুকার অনুমতি নিবেন। ইন্টার্ভিউ বোর্ডের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন, বসতে বলার পর বসবেন। আপনার সার্টিফিকেট, থিসিস কপি, পাবলিকেশন যদি থাকে নিয়ে যাবেন। একটু স্মার্ট হয়ে যাবেন। ফরমাল পোশাকে ইন করে, সু পরে যাবেন। নার্ভাস এড়াতে বাসায় কিছু প্রাকটিস করে যাবেন, প্রয়োজনে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বা বন্ধু/পরিবারের অন্যদের সাথে ইন্টার্ভিউ প্র্যাকটিস করতে পারেন। আর একটা বিষয় মনে রাখবেন, ভালো, মার্জিত, পরিস্কার এবং কমফোর্টেবল পোশাকে আপনার আত্নবিসশাস বাড়িয়ে দিবে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সেদিন করবেন না। মৌখিক পরীক্ষার জন্যে অন্যান্য প্রস্ত্ততি, শারীরিক-মানসিকভাবে ফিট থাকুন।

ভাইবা ড্রেসঃ
ভাইবা বোর্ড আপনার পোশাক, অ্যাপিয়ারেন্স,এক্সপ্রেশন, এটিকেট এবং ম্যানার এই বিষয়গুলো সম্পর্কে খুব নজর দিয়ে থাকেন। তাই একজন যোগ্য প্রার্থী  হিসেবে আপনি ভাইবার জন্য উপযুক্ত ফরমাল ড্রেস নির্বাচনে মনোযোগী হবেন।

ছেলেদের ড্রেসঃ

শার্ট: সাদা ফুল শার্ট। সাদার উপরে যেকোন স্ট্রাইপ হলেও চলবে। অন্য রঙের মানানসই শার্টও পরতে পারেন। শার্টে একটি পকেট থাকলে ভালো হয়। পকেটে একটি কলম রাখবেন। টাই পরতে পারেন।

প্যান্ট: কালো রঙের ফরমাল প্যান্ট পরিধান করুন।

হাত ঘড়ি,বেল্ট ও জুতা: চামড়ার ফিতার ফরমাল হাত ঘড়ি,জুতা ও প্যান্টের সাথে ম্যাচ করে কালো রঙের চামড়ার বেল্ট পরিধান করুন। কাল রঙের,রাবারের সোলযুক্ত ফরমাল সু পরিধান করবেন।

পাঞ্জাবি-পায়জামা: যারা পাঞ্জাবি-পায়জামা পরেন তারা সাদা রঙের পায়জামা – পাঞ্জাবি পরতে পারেন।

*ভাইবার ৫-৬ দিন আগে চুল কাটিয়ে নিন।
*ভাইবার ২-১ দিন আগে নখ ছোট করে নিন।
*ভাইবার আগের দিন/ভাইবার দিন সকালে শেভ করে নিন।

মেয়েদের ড্রেসঃ
মার্জিত রঙের শাড়ি পরিধান করতে পারেন। তবে শাড়ি যেন অতিমাত্রায় কারুকার্যমন্ডিত ও চকমকে না হয় সেদিকটা খেয়াল রাখুন। আপনি চাইলে সালোয়ার কামিজও পরিধান করতে পারেন। তবে তা যেন মার্জিত রং ও ডিজাইনের হয় সেদিকটা বিবেচনায় রাখুন।অর্থাৎ, আপনি শাড়ি কিংবা সালোয়ার কামিজ যেটাই পরেন তা ম্যাচিং করে পরিধান করুন।তবে নিয়োগের ভাইবা সাধারণত শাড়ি পরার পরামর্শ রইল।

*মার্জিত মাপের কানেরর দুল এবং চেইন পরিধান করবেন।
*চুল বেনী করে রাখুন।
*পায়ের জুতা, শাড়ি/স্যালোয়ার কামিজের সাথে ম্যাচিং করে পরিধান করুন। তবে হাই হিল না পরাই ভালো।
*হালকা মেক-আপ এবং মার্জিত রঙের হালকা লিপস্টিক নিতে পারেন।

ভাইভার সময় সাথে একটি কলম রাখুন।

পরীক্ষার দিনের পূর্ব প্রস্তুতিঃ
১.নির্ধারিত সময়ের বেশ আগেই প্রস্তুতি সেরে ফেলতে হবে।
২.যেসব কাগজপত্র বোর্ডের সামনে পেশ করতে হবে সেগুলো, প্রবেশপত্র(রিটেনেরটা), সকল সর্টিফিকেটের মূলকপি এবং মার্কশীট এবং অন্যান্য কাগজপত্র যেমন এনআইডি, নাগরিক সনদ সহ সবকিছুর মূলকপি ও ফটোকপি এবং নিজের ছবি পূর্বেই গুছিয়ে একটি ফাইলে রাখুন।
৩. ইংরেজিতে একটা কথা আছে, “First impression is the last impression.” অর্থাৎ প্রথম দেখার ধারণা চিরস্থায়ী। তাই খুবই পরিপাটি হয়ে বোর্ডে উপস্থিত হবেন।
৪. নির্দিষ্ট সময়ের অন্তত এক ঘন্টা আগে বোর্ডে পৌছাবেন।
৫. আপনার সিরিয়াল পরে থাকলে যাদের ভাইবা হয়ে যাবে তাদের কাছ থেকে অনুভূতি শুনতে পারেন। তবে আপনার কাছে কোন প্রশ্ন কঠিন মনে হলে  বিচলিত হবেন না। কারণ আপনার কাছে ওই প্রশ্ন নাও জানতে চাইতে পারে। তবে অন্য কেউ পারলে জেনে নিতে পারেন।

ভাইবা বোর্ডে করণীয়ঃ

১. দরজা খুলে (আস্তে শব্দ যেন না হয়) মাথাটা একটু ভিতরে ঢুকিয়ে বলবেন, আসতে পারি স্যার। একটু সামনে যেয়ে থেমে নমস্কার/সালাম দিবেন। তারপর সামনে গিয়ে চেয়ারের পাশে দাড়াবেন। বসতে বললে ধন্যবাদ দিয়ে বসবেন। খেয়াল রাখবেন চেয়ারে যেন শব্দ না হয়।
২. যে স্যার প্রশ্ন করবেন তার দিকে তাকিয়ে চোখে চোখ রেখে উত্তর দিবেন। কথা বলার সময় হাত-পা নাড়াবেন না। অন্য কোন মুদ্রাদোষ থাকলে পরিহার করবেন। টেবিলের উপর হাত রাখবেন না।
৩. কথা বলার সময় আঞ্চলিকতা পরিহার করবেন।
৪. ঘাবড়াবেন না, রাগবেন না, বিরক্তি প্রকাশ করবেন না, তর্ক করবেন না, নার্ভাসনেস দেখাবেন না।
৫. জানা না থাকলে স্মার্টলি হাসিমুখে সরি স্যার,জানা নেই বলুন বা বলুন এই মূহুর্তে মনে পড়ছে না স্যার।
৬. আপনি বিনয়ের অবতার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করুন। দেখবেন আপনি যদি কিছু নাও পারেন বোর্ড আপনাকে হতাশ করবে না।
৭. নাচ, গান, আবৃত্তি, অভিনয় এগুলোতে আপনার দক্ষতা না থাকলে বলবেন পারি না স্যার। তবে আপনি পারেন এমন কোনো কিছুর কথা স্মার্টলি বলবেন।
৮. আপনার ভাইবা শেষ হলে আপনাকে আসতে বললে উঠে দাড়িয়ে সালাম/নমস্কার দিয়ে সার্টিফিকেটগুলো নিয়ে চলে আসবেন।

এবার আসা যাক ভাইভায় কি ধরনের প্রশ্ন হতে পারে। ভাইভায় সাধারণত দুই ধরণের প্রশ্ন হয় জেনারেল ও ডিপার্টমেন্টাল। যেমনঃ

জেনারেল প্রশ্ন যেমন হতে পারেঃ
১। আপনার নিজের সম্পর্কে ৫ মিনিট বলুন।
২। ইংরেজিতে আপনার নিজের সম্পর্কে বলুন।
৩। আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু সমালোচনা করুন।
৪। আপনার নিজ জেলার নাম কি? নিজের জেলা সম্পর্কে ১মিনিট বলুন।
৫। আপনার জেলার বিখ্যাত কয়েকজন লোকের নাম বলুন। তারা কেন বিখ্যাত?
৬। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যা জানেন বলেন।
৭। আপনার পরিবার সম্পর্কে বলুন।
৮। বলুন আমরা আপনাকে কেন এই চাকরিটা দিব?
৯। আপনি বিয়ে করেছেন কিনা? কেন করেননি/কেন করেছেন?
১০। বিবাহ সম্পর্কে আপনার চিন্তাভাবনা কি?
১১। আপনার আরো পড়াশুনা করার কোন ইচ্ছা আছে কি না?
১২। কেন আর পড়াশুনার ইচ্ছা নেই?
১৩। এর আগে কোথায় জব করেছেন সেখানে কি ধরনের কাজ করতেন?
১৪। আপনি বর্তমানে যেখানে কাজ করছেন সেখানকার কাজের পরিবেশ ও আপনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কিছু বলুন। সেখান থেকে চলে যেতে চাচ্ছেন কেন?
১৫। আপনার সিভি দেখে মনে হচ্ছে আপনি এর আগে অনেকগুলি জব করে ছেড়ে দিয়েছেন! কি ব্যাপার বলুনতো? জবের মাঝখানে গ্যাপ কেন?
১৬। আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী কত Salary আশা করেন?
১৭। —- এর থেকে কম Salary দেয়া হলে এখানে যোগদান করবেন?
১৮। আপনি কোন ইউনিভার্সিটি/কলেজ থেকে পাশ করেছেন? সাবজেক্ট কি ছিল? থিসিস কি ছিল?
১৯। আপনার কোন পাবলিকেশন আছে? কেন কোন পাবলিকেশনে অংশ নেননি?
২০। কম্পিউটারে আপনি দক্ষ কেমন? কি কি পারেন?
২১। আজ বাংলা কত তারিখ?
২২। এখানে যখন যেখানে প্রয়োজন সেখানে কাজ করতে হবে আপনি কি তাতে রাজি?
২৩। এই —টা কার? এটা টেবিলের উপরে রেখেছেন কেন?
২৪। এক্সেলের একটি ওয়ার্কশীট তৈরি করে তার এভারেজ, মিনিমাম, ম্যাক্সিমাম ভ্যালু বের করে দেখান। একটি নতুন সারি/কলাম ঢুকাতে কি করবেন?
২৫। বাংলা টাইপ পারেন? ইংরেজি ও বাংলায় আপনার টাইপিং স্পিড কত?
২৬। আপনি কি ফেসবুক ব্যবহার করেন? কেন?
২৭। আমাদের এই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কি জানেন?
২৮। আপনার নামের অর্থ কি জানেন?
২৯। আপনার প্রিয় শখ কি?
৩০। এই পোস্টের জন্য আপনাকে কেন আমাদের পছন্দ করা উচিত?

ডিপার্টমেন্ট এর প্রশ্ন যেমন হতে পারেঃ
1. পাওয়ার ফ্যাক্টর কি?
2. পাওয়ার ফ্যাক্টর বেশী হলে ভাল না কম হলে ভাল?
3. পাওয়ার ফ্যাক্টর ইমপ্রুভমেন্টে কেন করি?
4. ভোল্টেজ এবং কারেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি?
5. পিএলসি কি? কেন পিএলসি ব্যাবহার করি?
6. সার্ভো ড্রাইভ মোটর কি?
7. সার্কিট ব্রেকারে আগুন লাগলে কিভাবে নিভাবেন?
8. একটি কক্ষে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগলে আপনি প্রথমে কি করবেন?
9. সাধারণত পিটির সেকেন্ডারি ভোল্টেজ কত হয়?
10. একটি সিটির রেশিও বলুন।
11. আমরা সিটি/পিটি কেন ব্যবহার করি?
12. রিলে কি? কেন ব্যবহার করি? একটি ব্যবহার খেত্র বলেন।
13. বাংলাদেশে সর্বোচ্চ জেনারেশন ভোল্টেজ কত?
14. বাংলাদেশে পাওয়ার সিস্টেমে কোথায় কত ভোল্টেজ?
15. পিজিসিবি, ইজিসিবি, ডিপিডিসি এর কাজ কি?
16. ইন্ডাকশন মোটরে স্টার/ডেল্টা চালু পদ্ধতি কেন ব্যবহার করা হয়?
17. কোন সিম্বল ছাড়া একটি অ্যামমিটার, একটি ভোল্টমিটার দেয়া হল কোনটি অ্যামমিটার/ভোল্টমিটার বাহির করতে পারবেন? কিভাবে?
18. আর্থিং ও নিউট্রাল কি?
19. কতগুলি রেজিস্টর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলতে পারে মাল্টিমিটার ছাড়া এগুলির মান বের করে দেখান। কি পারবেন না?
20. মাইক্রোকন্ট্রোলার ও মাইক্রোপ্রসেসর এর মধ্যে পার্থক্য কি?
21. AVR কি? এটি কিভাবে কাজ করে সংক্ষেপে বলেন?
22. ৪ টি ১২ ভোল্ট এর ব্যাটারি দিয়ে ২৪ ভোল্ট করতে চাইলে, ডায়াগ্রাম একে দেখান।
23. ফুল চার্জে ব্যাটারির ইলেক্ট্রোলাইট এর স্পেসিফিক গ্রাভিটি কত থাকে?
24. ১ হর্স পাওয়ার সমান কত ওয়াট?
25. সিঙ্গেল ফেজ ভোল্টেজ ২৩০ ভোল্ট হলে কেন লাইন ভোল্টেজ ৪০০ ভোল্ট হয়?
26. ট্রান্সমিশন লাইনে স্যাগের কি প্রভাব?
27. কখন একটি সার্কিটে ইম্পিড্যান্স রেজিস্ট্যান্সের সমান হবে?
28. পোলারিটি আর নন পোলারিটি ক্যাপাসিটরের মধ্যে পার্থক্য কি?
29. একটি ৩-ফেজ মোটরকে রিভার্স ঘুরাবেন কিভাবে?
30. বুখলজ রিলে কেন ব্যবহার করা হয়?
31. ডিফারেন্সিয়াল প্রটেকশন কেন ব্যবহার করা হয়? কোথায় ব্যবহার করা হয়?
32. ট্রান্সফরমার শর্ট সার্কিট প্রটেকশনের জন্য কি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়?
33. কেন নিউট্রাল লাইনে শক লাগেনা?
34. তিন ফেজ মোটর স্টার্ট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টার্ট নেয় না গোঁ গোঁ শব্দ করে, সম্ভাব্য তিনটি কারন বলেন।
35. IEEE কি?
36. সেন্সর ও ট্রান্সডিউসারের মধ্যে পার্থক্য কি?
37. CFL এর পূর্ন নাম কি?
38. AWG/SWG কি?
39. সিঙ্গেল ফেজ মেটর বা ফ্যান চালু করতে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয় কেন?
40. ট্রান্সফরমার এর তেলের নাম কী?
41. একটি ডেল্টা -স্টার সংযুক্ত ট্রান্সফরমারের সেকেন্ডারিতে পাওয়ার, প্রাইমারি থেকে কত গুন কম বা বেশি হবে?
42. ফেজ সিকুয়েন্স কি?
43. ইনভার্টার দ্বারা কি করা হয়?
44. ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স কি মিটার দ্বারা মাপা হয়?
45. ট্রান্সফরমার হামিং কেন হয়?
46. বাসার সকল লোড অফে থাকা সত্বেও মিটার ঘুরে। কোথায় সমস্যা হতে পারে?
47. থ্রি-পিন প্লাগে আর্থ বা গ্রাউন্ড পিনটি বাকী দুইটি পিনের চেয়ে লম্বা থাকে কেন?
48. ট্রান্সফরমারের বারডেন কি?
49. সিস্টেম লস কি?
50. একটি রিলেতে NO/NC বলতে কি বুঝেন?
51. একই কন্ডাক্টরে যথাক্রমে AC ও DC ব্যবস্থায় ভোল্টেজ প্রেরন করলে লাইন রেজিস্ট্যান্স কোনটায় বেশি হবে?
52. IPP কি?
53. বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পাওয়ার প্ল্যান্ট কোনটি?
54. কোল জেনারেশন পাওয়ার প্লান্টে কিভাবে কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়?
55. প্রাইম মুভার কি?
56. ভোল্টেজ কি?
57. ওহমের সূত্রটি বলেন।
58. ট্রানজিয়েট কি?
59. এক্সাইটার কোথায় এবং কেন ব্যবহার করা হয়?
60. মোবাইল চার্জারে AC না DC কোনটি ব্যবহার হয়?
61. AutoCAD 2D & 3D এর কাজ পারেন ?
62.ট্রান্সমিশন লাইনের ভোল্টেজ বেশি হওয়ার বা কম হওয়ার কারন কি?
63. ভোল্টেজ বেশি কম হলে কিভাবে ভোল্টেজ লেভেল ঠিক করা যায়?
64. 400 ভোল্টের জন্য কতো kw  লোড পর্যন্ত পারমিট, 11kV এর জন্য কত kw আর ৩৩kv এর জন্য কত kw লোড পর্যন্ত পারমিট?
65. বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে ব্যবহৃত ইকুইপমেন্ট কি কি?
66. ক্যাপাসিটর ব্যাংক এর কাজ কি?
67. পাশাপাশি ডিস্ট্রিবিউশন ও গ্রিড সাবস্টেশান থাকলে; ডিস্ট্রিবিউশন সাবস্টেশান চেনার উপায় কি?
68. সিস্টেম লস কয়টি?
69. সবচেয়ে ভালো অর্থনৈতিক পাওয়ার ফ্যাক্টরের মানে কি?
70. পাওয়ার ফ্যাক্টরের মান কমে গেলে কি হয়?
71. কনজাম্পশন লস কি?
72. সিস্টেম লস কি?
73. বিলিং লস কি?
74. অকারগরি লস কোথায় বেশি দেখা যায়?
75. পরিবহন লস কিভাবে কমানো যায়?
76. কারিগরি সিস্টেম লস কি কি?
77. কালেকশন লস কি?
78. ভাল সুইচগিয়ারের বৈশিষ্ট্য গুলি কী কী?
79. সুইচগিয়ার কাকে বলে?
80. বৈদ্যুতিক ফল্ট বলতে কী বুঝ?
81. সিমেট্রিকাল ফল্ট কি?
82. আনসিমিট্রিকাল ফল্ট কি?
83. বৈদ্যুতিক সিস্টেমে ফল্ট সংঘটিত হওয়ার কারন কী
84. সাবট্রানজিয়েন্ট কারেন্ট কী?
85. বাসবার কী?
86. সাব-স্টেশন কাকে বলে?
87. পাওয়ার লাইন ক্যারিয়ার (PLC) কি?
88. Q-ফ্যাক্টর কি?
89. লোড ফ্যাক্টর কি?
90. প্লান্ট ফ্যাক্টর কি?
91. ডিমান্ড ফ্যাক্টর কি?
92. ফরম ফ্যাক্টর কি?
93. পিক ফ্যাক্টর কি?
94. স্কিন ইফেক্ট কি?
95. করোনা ইফেক্ট কি?
96. প্রক্সিমিটি ইফেক্ট কি?
97. ফ্যারান্টি ইফেক্ট কি?
98. ডি.সি মোটর কী?
99. ব্যাক ই. এম. এফ কী?
100. টর্ক কাকে বলে?
101. ডি.সি মোটর কত প্রকার ও কী কী?
102. ডি.সি মোটরের গতি নিয়ন্ত্রন করা যায়?
103. ডি.সি মোটরে স্টারটিং কারেন্ট এর মান উচ্চ কেন?
104. ডি.সি মোটর এ স্টারটিং এর বেলায় স্টারটার ব্যাবহার এর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখা কর?
105. অল্টানেটর বলতে কী বুঝ?
106. ভোল্টেজ রেগুলেশন কখন ধনাত্মক হয়?
107. এক্সাইটার কাকে বলে?
108. কয়েল পিচ কী?
109. পাইলট এক্সাইটার বলতে কী বুঝায়?
110. অল্টারনেটর কে সিনক্রোনাস জেনারেটর বলা হয় কেন?
111. নন -স্যালিয়ান্ট পোল রোটর কোথায় ব্যাবহার করা হয়?
112. ফুল পিচ ওয়াইন্ডীং বলতে কী বুঝ?
113. পোল পিচ কী?
114. অল্টারনেটর এর প্রধান লস কোনগুলি?
115. ACCC, ACSR কী?

এছাড়াও পাওয়ার সেক্টর সম্পর্কিত নতুন তথ্য গুলো সংগ্রহ করে পড়তে হবে।

লেখাটির কিছু অংশ অন্য জায়গা থেকে সংগৃহীত করে পরিমার্জিত করা হয়েছে। তাই তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

পরিশেষে বলতে চাই যারা ভাইবা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন এবং উপরে বর্ণিত পড়ার পরিধি যাদের কাছে বোঝা মনে হচ্ছে তাদের জন্য আমার আশার বাণী হলো আপনি কিছু না পড়লেও ভাইবাতে পাশ করবেন যদি মারাত্মক কোনো বেয়াদবি না করেন। কারণ আপনি পারবেন না এমন প্রশ্ন খুব কমই জিজ্ঞাসা করা হবে। কারণ ভাইভায় আপনার নাম- পরিচয় এর বাইরে আপনার একাডেমিক জ্ঞান যাচাই করবে, তবে ভাইবায় ভালো করলে জব পাওয়ার পসিবিলিটি বাড়বে এটা একটা ব্যাপার।

তাই একটু পড়ালেখা করাই ভালো হবে। সর্বোপরি আল্লাহর প্রার্থনা করুন, আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, ইতিবাচকভাবে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করুন জবটা আপনার হবে।দেখবেন ভাইবা আপনার এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে। সবসময় একটা কথা মনে রাখবেন কিছু পাবার চেষ্টা করলে আল্লাহ আপনাকে তা পাইয়ে শুধু থাকতে হবে আপনার ইচ্ছা, একাগ্রতা ও অধ্যবসায়।

মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২

চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নতুন ওয়েবসাইট নিয়ে এলো গুগল

চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নতুন ওয়েবসাইট নিয়ে এলো গুগল

চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নতুন ওয়েবসাইট নিয়ে এলো গুগল

ইন্টারভিউ ওয়ার্মআপ

https://grow.google/certificates/interview-warmup/

 নামে নতুন ওয়েবসাইট নিয়ে এসেছে সার্চ ইঞ্জিন গুগল। মূলত চাকরির সাক্ষাত্কারের জন্য প্রার্থীদের প্রস্তুতি গ্রহণে এটি চালু করা হয়েছে। 

প্রতিষ্ঠানটি মেশিন লার্নিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। ফলে ওয়েবসাইটটি থেকে প্রার্থীরা সাক্ষাত্কারের জন্য সহজ নির্দেশনা পাওয়ার মাধ্যমে চাকরির জন্য নিজেদের তৈরি করতে পারবে।

একজন ব্যবহারকারী যখন ওয়েবসাইটে অনুশীলন শুরুর বাটনে ক্লিক করবে, তখন গুগল মোট ছয়টি ক্যাটাগরিযুক্ত একটি পেজ দেখাবে। সেখান থেকে ব্যবহারকারী তার পছন্দের ক্যাটাগরি নির্বাচন করবে। একবার নির্বাচনের পর ব্যবহারকারীকে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়ে গেলে গুগলের পক্ষ থেকে উত্তরগুলো মূল্যায়ন করা হবে এবং ইনসাইট দেখানো হবে। ব্যবহারকারী চাইলে একবারে সব প্রশ্নের উত্তর দেখতে পারবে।

কপি-পেস্ট ফিচার যুক্ত হলো গুগল ড্রাইভে

কপি-পেস্ট ফিচার যুক্ত হলো গুগল ড্রাইভে কপি-পেস্ট ফিচার যুক্ত হলো গুগল ড্রাইভে

গুগল ড্রাইভে নতুন আপডেট এসেছে। যুক্ত হলো কাট, কপি ও পেস্ট ফিচার। ফলে এখন থেকে কি-বোর্ড কমান্ডের মাধ্যমে এ ফিচারগুলো ব্যবহার করা যাবে। 

গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীরা এই নতুন ফিচারটির সুবিধা পাবেন। ড্রাইভের ব্যবহারকারীরা বর্তমানে কন্ট্রোল বা কমান্ড কি-এর সঙ্গে সি, এক্স ও ভি বাটন চেপে কপি, কাট বা পেস্টের মাধ্যমে তাদের ফাইল স্থানান্তর করতে পারবেন। আগামী ৪ জুন থেকে ফিচারটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ফিচারটি যুক্ত করার দিক থেকে গুগল পিছিয়ে থাকলেও সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্টটি জানায়, ফিচারটি পরিপূর্ণভাবে কার্যকর থাকবে। ফিচারটি বেসিক শর্টকাটে যুক্ত করা হবে। তবে অন্যান্য ট্যাবেও এটি কাজ করবে।

ব্যবহারকারী যদি কোনো ফাইল কপি করেন এবং ই-মেইল বা গুগল ডকে সেটি পেস্ট করতে চান তাহলে সেখানে ফাইলের শিরোনাম ও লিংক যুক্ত হয়ে যাবে। গুগল ড্রাইভের স্টোরেজে একই ফাইলের দুটি সংস্করণ রাখতে না চাইলে ব্যবহারকারীরা সহজেই শর্টকাট পেস্ট করতে পারবেন। 

ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা থেকে সরে দাঁড়ালেন শেরিল স্যান্ডবার্গ

ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা থেকে সরে দাঁড়ালেন শেরিল স্যান্ডবার্গ

ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা থেকে সরে দাঁড়ালেন শেরিল স্যান্ডবার্গ

শেরিল স্যান্ডবার্গ-মার্ক জাকারবার্গ

ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তার পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন শেরিল স্যান্ডবার্গ। ২০০৮ সালে তিনি ফেসবুকে যোগদান করেন। সম্প্রতি ফেসবুকের মূল কোম্পানির নাম পাল্টে রাখা হয় মেটা। ১৪ বছর শেরিল ফেসবুকের নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকায় ছিলেন।

বৃহস্পতিবার ফেসবুকে শেরিল মেটার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। মেটার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তার পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও শেরিল পরিচালক পর্ষদে থাকবেন বলে জানা গেছে। শেরিল জানিয়েছেন, তিনি মানুষের কল্যাণে বেশি সময় দিতে চান। 

মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ শেরিলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ফেসবুকে জাকারবার্গ লিখেছেন, একটি যুগের অবসান হলো। ২০০৮ সালে শেরিল যখন ফেসবুকে যোগদান করে তখন আমার বয়স মাত্র ২৩ বছর। কোম্পানি কীভাবে চালাতে হয় আমার ধারণাই ছিল না। ফেসবুককে ছোট স্টার্টআপ থেকে সত্যিকারের সংস্থায় পরিণত করতে সংগ্রাম করছিলাম। শেরিল আমাদের বিজ্ঞাপন ব্যবসার রূপরেখা তৈরি করেছিল। গুণী লোকদের নিয়োগ দিয়েছে, কোম্পানি কীভাবে চালাতে হয় শিখিয়েছে। সারা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের জন্য সে সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আজকে মেটা যে পর্যায়ে দাঁড়িয়ে তার জন্য শেরিল কৃতিত্বের দাবিদার।

স্মার্টফোনে ভাইরাস আছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

স্মার্টফোনে ভাইরাস আছে কিনা যেভাবে বুঝবস্মার্টফোনে ভাইরাস আছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

প্রতীকী ছবি

দৈনন্দিন ব্যবহারে যেকোনো সময় ভাইরাসের শিকার হতে পারে আপনার স্মার্টফোনটি। প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি দিনের বেশিরভাগ সময়ই ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত থাকে। যার কারণে মোবাইল ফোনটি সহজেই ভাইরাসে প্রভাবিত হতে পারে।

ফোনে ভাইরাস আছে কি না তা জানা অত্যন্ত জরুরি। কারণ ইতিমধ্যে মোবাইলটি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ব্যক্তিগত অনেক তথ্যই আপনার অজান্তে চলে যেতে পারে হ্যাকারদের হাতে। বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলো ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ব্যক্তিগত তথ্য ও মোবাইল ফোনকে সুরক্ষিত রাখতে আগে থেকেই জেনে নিন ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আপনার মোবাইলে ঠিক কী কী সমস্যা দেখা দিতে শুরু করবে।

১. ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথমেই আপনার মোবাইল ফোনে যে অসঙ্গতি দেখা দেবে তাহলো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ডাটা বা ইন্টারনেট প্যাক খরচ হওয়া।

২. হোম স্ক্রিন বার বার বদলে যাওয়া ফোন ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একটি লক্ষণ।

৩. ফোনের ব্যাটারি খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হলে বুঝবেন আপনার ফোনটি ভাইরাসে আক্রান্ত।

৪. অনেক ফোনে সন্দেহজনক বিজ্ঞাপন আসা শুরু হয়। বার বার এই ধরনের বিজ্ঞাপন আপনার কাজে বাধা দিতে শুরু করে।

৫. একই অসঙ্গতি মোবাইলে বার বার লক্ষ্য করলে এটিও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একটি লক্ষণ হতে পারে।

৬. প্রয়োজনীয় কাজ করার সময় ফোনের স্বাভাবিক গতি আর পাবেন না। প্রায়ই ফোন হ্যাং সমস্যায় ভুগতে শুরু করবে।

ফোনে এমন সমস্যা দেখা দিলে ভাইরাস ঠেকাতে আপনি কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন। যেমন-

১. যদি মোবাইলে কোনো নতুন অ্যাপ ইনস্টল করে থাকেন তবে তা ভাইরাস ফাইন্ডিং অ্যাপ দিয়ে দ্রুত চেক করুন। যদি চেক করার পর তা লাল রং দেখাতে থাকে তবে অ্যাপ আনইনস্টল করুন। এরপর ফোনের সেটিংস থেকে আপনার ব্রাউজার ক্যাশ পরিষ্কার করুন। নিয়মিত অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপসের মাধ্যমে মোবাইল স্ক্যানিং করুন। ব্যবহৃত সফটওয়্যার আপডেট করুন। ফোনের গতি বাড়াতে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস ও ছবি মোবাইল থেকে ডিলিট করুন।

যদি তারপরও মোবাইলে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যাগুলো লক্ষ্য করেন তবে ব্যাটারি ড্রেন ঠিক করতে ও মেরামত করতে ফ্যাক্টরি রিসেট করুন। তবে এই কাজটি করার আগে অবশ্যই আপনার মোবাইলের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো ব্যাক আপ করে নেবেন। তা না হলে রিসেট করার কারণে এই প্রয়োজনীয় ফাইল আপনি আর খুঁজে পাবেন না।

ইউটিউব অ্যান্ড্রয়েডে নতুন পেয়ারিং ফিচার আনল গুগল

ইউটিউব অ্যান্ড্রয়েডে নতুন পেয়ারিং ফিচার আনল গুগল

ইউটিউব অ্যান্ড্রয়েডে নতুন পেয়ারিং ফিচার আনল গুগল

ইউটিউব ব্যবহারকারীদের উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদানে নতুন নতুন পরিবর্তন আনতে কাজ করছে গুগল। ইউটিউব টেলিভিশন বা টিভি অ্যাপ চালুর পর থেকেই এ বিষয়ে নানা উন্নত সেবা নিয়ে এসেছে টেক জায়ান্টটি। এর অংশ হিসেবে এবার পেয়ারিংয়ে আনল নতুন ফিচার। 

আগে শুধু অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহার করে ইউটিউব টিভি অ্যাপ যুক্ত করা যেত। নতুন আপডেটের অংশ হিসেবে এখন থেকে ব্যবহারকারীরা তাদের টিভির সঙ্গে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ডিভাইস যুক্ত করতে পারবেন। ফলে টেলিভিশনে কনটেন্ট দেখার সময় ব্যবহারকারীরা তাদের স্মার্টফোনে ইউটিউব ব্রাউজ করতে পারবেন।

নতুন আপডেটের আগে পর্যন্ত ডিভাইসের সঙ্গে টিভি অ্যাপ যুক্ত করার জন্য লিংক কোড ব্যবহার করতে হতো। এখন থেকে ব্যবহারকারীরা তাদের গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সহজেই টিভি অ্যাপে ডিভাইস যুক্ত করতে পারবেন।

টিকটককে টেক্কা দিতে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে নতুন টুল

টিকটককে টেক্কা দিতে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে নতুন টুল

 টিকটককে টেক্কা দিতে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে নতুন টুল

ফেসবুকের মালিকানাধীন কোম্পানি মেটা বৃহস্পতিবার এক ব্লগ পোস্টে নতুন ঘোষণা দিয়েছে। সেই ঘোষণায় তারা জানিয়েছেন, রিলসে নতুন ক্রিয়েটর টুলস আনছে তারা। ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে রিলসে এ সুবিধা পাওয়া যাবে বিশ্বব্যাপী। টিকটককে টেক্কা দিতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নতুন টুলস আনায় ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের শর্ট ক্লিপ এডিট করতে টিকটকের সাহায্য নিতে হবে না। রিলস ব্যবহার করে গ্রাহকদের মৌলিক কন্টেন্ট তৈরিতে উৎসাহ দিতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে মেটা। 

রিলসে এখন থেকে ৯০ সেকেন্ডের ভিডিও আপ করা যাবে। পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম স্টোরির মতো ভিডিওতে ব্যবহার করা যাবে বাহারি স্টিকার। 

রবিবার, ৫ জুন, ২০২২

স্মার্টফোনে ভাইরাস আছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

প্রতীকী দৈনন্দিন ব্যবহারে যেকোনো সময় ভাইরাসের শিকার হতে পারে আপনার স্মার্টফোনটি। প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি দিনের বেশিরভাগ সময়ই ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত থাকে। যার কারণে মোবাইল ফোনটি সহজেই ভাইরাসে প্রভাবিত হতে পারে।

স্মার্টফোনে ভাইরাস আছে কিনা যেভাবে বুঝবেন



ফোনে ভাইরাস আছে কি না তা জানা অত্যন্ত জরুরি। কারণ ইতিমধ্যে মোবাইলটি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ব্যক্তিগত অনেক তথ্যই আপনার অজান্তে চলে যেতে পারে হ্যাকারদের হাতে। বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলো ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ব্যক্তিগত তথ্য ও মোবাইল ফোনকে সুরক্ষিত রাখতে আগে থেকেই জেনে নিন ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আপনার মোবাইলে ঠিক কী কী সমস্যা দেখা দিতে শুরু করবে।

১. ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথমেই আপনার মোবাইল ফোনে যে অসঙ্গতি দেখা দেবে তাহলো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ডাটা বা ইন্টারনেট প্যাক খরচ হওয়া।

২. হোম স্ক্রিন বার বার বদলে যাওয়া ফোন ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একটি লক্ষণ।

৩. ফোনের ব্যাটারি খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হলে বুঝবেন আপনার ফোনটি ভাইরাসে আক্রান্ত।

৪. অনেক ফোনে সন্দেহজনক বিজ্ঞাপন আসা শুরু হয়। বার বার এই ধরনের বিজ্ঞাপন আপনার কাজে বাধা দিতে শুরু করে।

৫. একই অসঙ্গতি মোবাইলে বার বার লক্ষ্য করলে এটিও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একটি লক্ষণ হতে পারে।

৬. প্রয়োজনীয় কাজ করার সময় ফোনের স্বাভাবিক গতি আর পাবেন না। প্রায়ই ফোন হ্যাং সমস্যায় ভুগতে শুরু করবে।

ফোনে এমন সমস্যা দেখা দিলে ভাইরাস ঠেকাতে আপনি কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন। যেমন-

১. যদি মোবাইলে কোনো নতুন অ্যাপ ইনস্টল করে থাকেন তবে তা ভাইরাস ফাইন্ডিং অ্যাপ দিয়ে দ্রুত চেক করুন। যদি চেক করার পর তা লাল রং দেখাতে থাকে তবে অ্যাপ আনইনস্টল করুন। এরপর ফোনের সেটিংস থেকে আপনার ব্রাউজার ক্যাশ পরিষ্কার করুন। নিয়মিত অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপসের মাধ্যমে মোবাইল স্ক্যানিং করুন। ব্যবহৃত সফটওয়্যার আপডেট করুন। ফোনের গতি বাড়াতে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস ও ছবি মোবাইল থেকে ডিলিট করুন।

যদি তারপরও মোবাইলে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যাগুলো লক্ষ্য করেন তবে ব্যাটারি ড্রেন ঠিক করতে ও মেরামত করতে ফ্যাক্টরি রিসেট করুন। তবে এই কাজটি করার আগে অবশ্যই আপনার মোবাইলের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো ব্যাক আপ করে নেবেন। তা না হলে রিসেট করার কারণে এই প্রয়োজনীয় ফাইল আপনি আর খুঁজে পাবেন না।

পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ কোনটি? এবং তার নিষ্পত্তির ফলাফল কেমন ছিল?

১৯৮৫ সাল। লন্ডনে অবস্থিত নেদারল্যান্ডস দূতাবাস অদ্ভুত একটি চিঠি পায়। চিঠিটি লেখেছেন ইংল্যান্ডের স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রদেশ সিসিলি দ্বীপপুঞ্জের কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইতিহাসবিদ রয় ডানকান। তিনি জানান, তাদের এলাকায় একটি লোকগল্প প্রচলিত যে, অনেক অনেক বছর আগে ডাচরা সিসিলিবাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং কাগজে-কলমে যুদ্ধটা এখনও চলছে। ডালকান জানান তিনি ঘাঁটাঘাঁটি করে লোকগল্পটির সত্যতার ব্যাপারে কিছু তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন। তিনি এর পুরো রহস্য উন্মোচনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের প্রতি আহ্বান জানান। ডাচ দূতাবাস খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে ঘটনা সত্য। ঘটনাটি ঘটে ইংল্যান্ডের গৃহযুদ্ধের (১৬৪২-১৬৫১) সময়। রাণী প্রথম এলিজাবেথ যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন ডাচরা ইংল্যান্ডের কাছ থেকে অনেক সাহায্য-সহযোগিতা পেয়েছিল। কৃতজ্ঞতাস্বরূপ, নেদারল্যান্ডস ছিল ইংল্যান্ডের বন্ধু রাষ্ট্র। ইংল্যান্ডে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে ডাচরা নিরপেক্ষ ভূমিকা গ্রহণ করে। রয়ালিস্টিক বাহিনী বা পার্লামেন্টারিয়ান বাহিনী কোন পক্ষকেই সেই সময় তারা সমর্থন দেয় নি।

যে দল জিতবে তাদের পক্ষেই তারা যাবে- এমনই ছিল ডাচদের মনোভাব। যুদ্ধে একসময় পার্লামেন্টারিয়ানদের আধিপত্য বিস্তার হতে থাকে। রাজা চার্লসের অনুগত রয়ালিস্টিক বাহিনী পিছু হটতে থাকে, হাতছাড়া হতে থাকে একের পর এক শহর। পার্লামেন্টারিয়ানদের জয় নিশ্চিত দেখে ডাচরা পার্লামেন্টারিয়ানদের সমর্থন দেয়। রাজা ও রাজপরিবারের অনুগত রয়ালিস্টিক বাহিনী এই সিদ্ধান্তকে বিবেচনা করে নিখাদ বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে। পার্লামেন্টারিয়ান বাহিনীর দাপটে রয়ালিস্টিক বাহিনী বলতে গেলে ইংল্যান্ড ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। রয়ালিস্টদের সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটি ছিল ইংল্যান্ডের সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা কর্নওয়াল ( Cornwall) থেকে ৪৫ কি.মি. পশ্চিমে অবস্থিত ছোট্ট দ্বীপপুঞ্জ সিসিলি। গৃহযুদ্ধের শেষ বছর (১৬৫১) সিসিলিতে অবস্থানরত রয়ালিস্টদের যুদ্ধজাহাজের আক্রমণে ডাচ নেভির একটি জাহাজ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

এ ঘটনার পর ডাচ অ্যাডমিরাল মার্টেন হারপারর্টজোন ট্রুম্প ৩০ মার্চ, ১৬৫১ তারিখে সিসিলিতে আসেন এবং রয়ালিস্টদের কাছে ক্ষতিপূরন দাবি করেন। স্বাভাবিকভাবেই রয়ালিস্টরা সে দাবী প্রত্যাক্ষান করে। ক্ষুব্ধ ডাচ অ্যাডমিরাল সিসিলির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। যদিও সিসিলি ছিল ইংল্যান্ডের অধীন, কিন্তু অ্যাডমিরাল ট্রুম্প ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা না করে শুধু সিসিলির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। কারণ, সিসিলি বাদে ইংল্যান্ডের অন্যান্য অংশ তখন পার্লামেন্টারিয়ানদের নিয়ন্ত্রণে ছিল, যাদেরকে ডাচরা সমর্থন দিয়েছিল। যুদ্ধ ঘোষণা করে অ্যাডমিরাল ট্রুম্প একটিও গুলি বা গোলা না ছুড়ে জাহাজ নিয়ে দেশে ফিরে যান। সে বছরই, রয়ালিস্টদের হটিয়ে পার্লামেন্টারিয়ানরা সিসিলিতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। ফলে, রয়ালিস্টদের সাথে আর ডাচদের যুদ্ধ করার সুযোগ হয় না। একসময় ডাচরা তাদের এই যুদ্ধের কথা ভুলেই যায়। লোকগল্প হিসেবে এই যুদ্ধের কথা সিসিলিবাসীর প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। মূল ঘটনার সাথে যুক্ত হয় নানা কাহিনি, নানা রং - কেটে যায় প্রায় তিনশ বছর।

নেদারল্যান্ডসের লন্ডন দূতাবাস আনুষ্ঠানিকভাবে এই যুদ্ধের কথা স্বীকার করে নিলে রয় ডানকান লন্ডনে অবস্থিত ডাচ কূটনীতিককে সিসিলিতে আমন্ত্রণ জানান শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ১৯৮৬ সালের ১৭ এপ্রিল ডাচ রাষ্ট্রদূত রেইন হাইডিকপার হেলিকপ্টারে করে লন্ডন থেকে সিসিলি আসেন এবং শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অবসান হয় একটি রক্তপাতহীন যুদ্ধের, রচিত হয় নতুন একটি ইতিহাসের। এ যুদ্ধই পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ। যুদ্ধ চলে একটানা ৩৩৫ বছর। গুলি বা গোলা ছোড়া হয় নি একটিও। আহত বা নিহত হয় নি একজনও। চুক্তি স্বাক্ষর করতে গিয়ে ডাচ রাষ্ট্র দূত হেসে মজা করে বলেন, “গত ৩৩৫ বছর যাবত সিসিলিয়ানরা আতঙ্কে থাকত কখন জানি নেদারল্যান্ডস সিসিলি আক্রমণ করে বসে!” এই চুক্তি স্বাক্ষরের বিরুদ্ধে অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন, এই চুক্তিস্বাক্ষরের কোন প্রয়োজন ছিল না। একটি দেশ কখনও আরেকটি দেশের একটি অংশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে না। তাছাড়া অ্যাডমিরাল ট্রুম্প সিসিলির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য নেদারল্যান্ডসের উচ্চপর্যায় থেকে অনুমতিপ্রাপ্ত ছিলেন না। তাই রাগের মাথাতেই হোক বা রয়ালিস্টদের ভয় দেখানোর জন্যই হোক, অ্যাডমিরাল ট্রুম্পের এই যুদ্ধ ঘোষণা আইনত কার্যকর হয় নি। আর আইনত যুদ্ধ যদি শুরু হয়েও থাকে তবু এটা ১৬৫৪ সালে অবসান হয়ে যাবার কথা। কারণ, ইংল্যান্ড-হল্যান্ড যুদ্ধের পর ১৬৫৪ সালে ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের মাঝে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। সিসিলি যেহেতু ইংল্যান্ডের অধীন তাই সিসিলির ক্ষেত্রেও শান্তিচুক্তিটি কার্যকর হবে। তবে এই চুক্তি স্বাক্ষরের কারণে একটি ইতিহাস নতুন করে জানার মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সিসিলিয়ানদের মাঝে রং-চং মিশিয়ে যে গুজব আর লোকগল্প চালু ছিল তার অবসান হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের দিন সিসিলির কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রয় ডালকান বলেন, “গত কয়েক শতক ধরে সিসিলিয়ানদের মাঝে একটা হাস্যকর গুজব চালু ছিল, এই চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে তার অবসান হল।”

হ্যাকিং-এর কাজ করতে কোন ধরণের পিসি লাগবে?

প্রথমেই বলি - হ্যাকিং এর জন্য সাধারণ একটি কম্পিউটার দিয়েও অনেক কাজ করা সম্ভব। Manually বিভিন্ন টুলস সেটাপ দেয়া সম্ভব। তবে কিছু হ্যাকিং টেকনিক এপ্লাইয়ে দ্রুত গতি বা উচ্চ ক্ষমতার প্রয়োজন পড়ে। সেজন্য নূন্যতম যেরকম কম্পিউটার হওয়া উচিত :

১. প্রসেসর : অন্তত core i5 হলে ভাল হয়। i7 বা তার বেশি হলে আরও ভাল। AMD এর প্রসেসর ও নিতে পারেন চাইলে। সেক্ষেত্রেও Ryzen 5 বা তার বেশি কোনটা নিতে পারেন।

২. RAM : নূন্যতম ৮ জিবি থাকা ভাল। তবে ১২-১৬ জিবি বা তার বেশি RAM হলে ভাল। অনেক লোড নিতে পারে কম্পিউটার।

৩. স্টোরেজ : SSD স্টোরেজ অবশ্যই থাকা চাই। অন্তত ২৫৬ জিবি বা এর কাছাকাছি থাকা দরকার। HDD স্টোরেজ যত ইচ্ছা রাখতে পারেন সাথে।

৪. গ্রাফিক্স মেমোরি : গেমিং কম্পিউটারের মতো খুব বেশি মেমোরি দরকার নেই। তবে ২ - ৪ জিবি মেমোরি থাকা ভাল। এতে করে কিছু টুলস রান করতে সুবিধা হয়।

আমি নির্দিষ্ট করে কোন কম্পিউটার মডেল বা সাইটের লিংক দিতে চাই না কারণ সেটাকে কেউ কেউ বিজ্ঞাপন বলে মনে করতে পারে। তবে উপরে লেখা কনফিগারেশন দেখে অনলাইনেই বিভিন্ন কম্পিউটার মডেল খুঁজে পাবেন। এরপর সেগুলোর রিভিউ ভিডিও দেখবেন ইউটিউবে। রিভিউ ভিডিও দেখে কম্পিউটারের পারফরম্যান্স কেমন হচ্ছে সেটা বুঝে তারপর কম্পিউটার কিনে ফেলবেন।


ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিবরণ কেউ বলতে পারবেন?

Wi-Fi, WiFi বা Wifi এর পূর্নরূপ Wireless Fidelity। এই নামকরণের মধ্যে তেমন কিছু নেই, শুধুমাত্র মার্কেটিং টার্ম।

ওয়াইফাই টিভি, রেডিও, সেলফোন এর মতোই রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করে ডেটা ট্রান্সমিট করে। রেডিও ওয়েভ হচ্ছে ইলেক্ট্রোম্যাগ্নেটিক ওয়েভ, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ আলোর বেগে চলে ভ্যাকিউমে এবং পৃথিবীতে আলোর বেগের চেয়ে সামান্য কম বেগে চলে। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ১ কিলো হার্জ থেকে ১০০ গিগাহার্জ পর্যন্ত। যা আমাদের ভিজিবল স্পেকট্রামের বাইরে তাই আমরা ওয়াইফাই তরঙ্গ দেখতে পাইনা।

ওয়াইফাই ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য ২.৪ গিগাহার্জ এবং ৫ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে যা মোবাইল, টিভি, রেডিও, ওয়াকি টকি এসব থেকে অনেক বেশি। ২.৪ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সিতে কাভারেজ বেশি পাওয়া যায় কিন্তু গতি কম পাওয়া যায় তবে ৫ গিগাহার্জে কাভারেজ কম থাকলেও গতি অনেক বেশি পাওয়া যায়। ২.৪ গিগাহার্জের সর্বোচ্চ ত্বাত্তিক দূরত্ব ৮২০ ফুট, গতি ৬০০ এম্বিপিএস এবং ৫ গিগাহার্জের সর্বোচ্চ ত্বাত্তিক দূরত্ব ৩৯০ ফুট, গতি ১৩০০ এম্বিপিএস। তবে বাস্তবে দূরত্ব এবং গতি দুটোই অনেক কম পাওয়া যায়।

ওয়াইফাই ফ্রিকোয়েন্সি অন্য সব রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মতোই বাঁধা প্রাপ্ত হয় অন্য যেকোনো রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির সাথে। ইট, পাথর, কংক্রিট, গ্লাস, কাঠ এসব ভেদ করতে পারলেও সিগন্যাল দুর্বল হয়ে যায়। তাই ডেটা লস বাড়ে এবং সিগন্যাল স্ট্রেন্থ কমে যায়।

ওয়াইফাই এর কিছু ভার্সন এবং স্টান্ডার্ড আছে। যেমন 802.11b, 802.11a, 802.11g, 802.11n, 802.11ac, 802.11ax, 802.11be. ক্রমান্বয়ে এই ভার্সন গুলোতে ওয়াইফাই এর রেঞ্জ, স্পিড এবং সিকিউরিটি উন্নত করা হয়েছে। ওয়াইফাই ভার্সন এবং স্টান্ডার্ড সহ ফিচার গুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হলে এক্সেস পয়েন্ট বা রাউটার এবং ক্লায়েন্ট ডিভাইস গুলো তা সমর্থন করতে হবে।

ওয়াইফাই রাউটার সাধারণত যেকোনো ডিজিটাল বাইনারি ডেটাকে এনালগ রেডিও ওয়েভে কনভার্ট করে এবং কাভারেজের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়। তাই এই ডিভাইস কে এক্সেস পয়েন্ট বলা হয়। কিন্তু আমাদের হোম রাউটারে একসাথে সুইচ, রাউটার, এক্সেসপয়েন্ট, ফায়ারওয়াল সব একসাথে থাকে তাই তারপরেও একে সহজে বুঝার জন্য রাউটার বলা হয়। এক্সেস পয়েন্টে আমাদের ক্লায়েন্ট ডিভাইস গুলো কানেক্ট হয় এবং এক্সেস পয়েন্টের থেকে আসা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ক্যাপচার করে। এবার রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি কনভার্ট করা হয় ইলেকট্রিকাল বাইনারি সিগন্যালে আর আমরা জানি আমাদের সব ডিজিটাল ডিভাইস কাজ করে বাইনারিতে।

এক্সেস পয়েন্ট বা রাউটার এতগুলো ক্লায়েন্টের মধ্যে কিভাবে বুঝে কার ডেটা কাকে দিতে হবে?
প্রথম যখন আমরা এক্সেস পয়েন্টের সাথে কানেক্ট হওয়ার জন্য আমাদের ডিভাইস থেকে ওয়াইফাই সার্চ করি তখন আমারা ওয়াইফাই এর নাম দেখতে পাই। যাকে বলা হয় SSID. এই SSID রাউটার সবসময় ব্রডকাস্ট করতে থাকে। যখন কোন ডিভাইস সেই SSID তে কানেক্ট হওয়ার জন্য রিকোয়েস্ট পাঠায় তখন রাউটার এর নির্দিস্ট পাসওয়ার্ড দিতে হয়। পাসওয়ার্ড সঠিক হলে রাউটার সেই ডিভাইসের আইপি এবং ম্যাক এড্রেস সেইভ করে নেয়। পরবর্তিতে ডেটা ট্রান্সমিট করার সময় আবার আইপি দিয়ে ব্রডকাস্ট করে। ক্লায়েন্ট গুলো নিজেদের আইপির ডাক পেলে ডেটা রিসিভ করে নেয়।

এক্সেস পয়েন্টের চ্যানেল এবং উইথ কি?
ওয়াইফাই তার ফ্রিকোয়েন্সিকে অনেকগুলো ভাগে ভাগ করে এবং সেগুলোতে সুবিধা অনুযায়ী শিফট করে। এসব ভাগকে বলা হয় চ্যানেল আর উইথ হচ্ছে চ্যানেল গুলো কতটুকু প্রসস্থ সেটা। সহজে বুঝার জন্য মনে করুন ওয়াইফাই থেকে আসা ফ্রিকোয়েন্সি হচ্ছে একটা হাইওয়ে। চ্যানেল হচ্ছে সেই হাইওয়ের লেন এবং উইথ হচ্ছে লেন গুলো কতটুকু চওড়া।
এক্সেস পয়েন্ট সব সময় চেষ্টা করে সেই লেন ব্যবহার করতে যে লেনে ভিড় কম সে এবং বেশি ডেটা কম সময়ে পাঠানো যায়। তবে এলগোরিদম সবসময় অপ্টিমাম সলুশান দিতে পারেনা তাই কেউ চাইলে তার লোকেশনের আশেপাশের সিগন্যাল এনালাইজ করে চ্যানেল এবং উইথ কাস্টমাইজ করতে পারে।

ওয়াইফাই ভালো নাকি কেবল কানেকশন ভালো?
অবশ্যই কেবল কানেকশন ভালো। ওয়াইফাই তে প্যাকেট লস বেশি হয় বার বার কনভার্শন কারণে, সিগন্যাল দুর্বল হলে ল্যাটেন্সি বেড়ে যায়। বেশি কায়েন্ট কানেক্ট হলে রাউটার সবাইকে সার্ভ করতে সময় বেশি নেয়। আর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো সিকিউরিটি। রাউটার হ্যাক করা সম্ভব। হ্যাক করে প্যাকেট এনালাইজ করা সম্ভব। কাস্টম ডিএনএস বসিয়ে সব ক্লায়েন্টের লগ দেখা সম্ভব। যদিও ম্যাক্সিমাম ডেটা এনক্রিপ্টেড থাকে কিন্তু এর মানে এই না যে ক্র্যাক করা যায়না। তবে সময় এবং দক্ষতার প্রয়োজন।

ওয়াইফাই কি শরীরের ক্ষতি করে?
একদমই না। ওয়াইফাই নন আয়োনাইজিং রেডিয়েশন নির্গত করে যা কোনো প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর না। উপরের ছবিতে দেখবেন ভিজিবল আলোর চেয়েও ওয়াইফাই কতটা দূর্বল। যদি ওয়াইফাই রেডিয়েশন আমাদের ক্ষতি করতো তাহলে আমরা সাধারণ লাইট বাল্ব এর রেডিয়েশনে মরে যেতাম।

কিভাবে একই নেটওয়ার্কে কানেক্টেড থাকা অন্য ডিভাইসকে অ্যাক্সেস করা যায়?

একই নেটওয়ার্ক এর অধীনে থাকা এক বা একাধিক ডিভাইসকে এক্সেস করতে হ্যাকাররা মূলত দুই রকমের পদক্ষেপ নিতে পারে।

১. MiTM : এই এটাকের পূর্ন নাম Man in The Middle এটাক। এখানে হ্যাকার দুইটি কম্পিউটারের মাঝে বসে তথ্য চুরি বা পরিবর্তনের কাজ করে।

২. সিস্টেম দুর্বলতাঃ হ্যাকাররা কখনো সরাসরি সিস্টেমের দুর্বলতা কাজে লাগাতে পারে। কিছু বিশেষ ধরনের সিস্টেম দুর্বলতা দেখা যায় যারা একদম সরাসরি এক্সেস নেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। সব রকমের সিস্টেম দুর্বলতা দিয়ে কিন্তু আবার সিস্টেম এক্সেস নেয়া যায় না।

হ্যাকিং দীর্ঘ এবং জটিল প্রক্রিয়া। লিখে বিস্তারিত বোঝান যায় না পুরোপুরি। তাই যথাসম্ভব বুঝিয়ে লিখেছি।

সাইবার নিরাপত্তা-হ্যাকিং!

আসসালামু আলাইকুম।সাইবার নিরাপত্তা-হ্যাকিং মঞ্চে সবাইকে স্বাগতম।

মঞ্চ পরিচিতি: তথ্য প্রযুক্তির এই ডিজিটাল যুগে আমরা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে নানা কারণে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হই।সাইবার জগৎ আমাদের সামনে যেমন বিশাল জ্ঞান ভাণ্ডার খুলে দিয়েছে ঠিক তেমনি আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যসমূহকে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলেছে।কিন্ত একটু সতর্ক থাকলেই সাইবার জগতে নিজেকে নিরাপদ রাখা যায়।

আবার হ্যাকার মানেই ঘৃণ্য অপরাধী নয়।একজন ইথিক্যাল হ্যাকার সাইবার জগতকে নিরাপদ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

যেসব বিষয়বস্ত মঞ্চে যোগ করা যাবে:

  • বিভিন্ন হ্যাকিং টুলের সাথে পরিচয়(শুধুই পরিচিতি ) করানো যাবে।
  • কুখ্যাত-বিখ্যাত হ্যাকারদের কীর্তি নিয়ে আলোচনা করা যাবে।
  • কম্পিউটার ভাইরাস নিয়ে আলোচনা করা যাবে
  • সাইবার জগতে নিজেকে নিরাপদ রাখার উপায়,গুরুত্ব, সাইবার আইন নিয়ে আলোচনা করা যাবে।
  • ইথিক্যাল হ্যাকারদের ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা করা যাবে।
  • কোনো ক্ষতিকর ওয়েবসাইট কিংবা লিংক শেয়ার করা যাবে না।

সত্যিকারের ভালবাসা কেমন হওয়া উচিত? আপনার সংগ্রহে থাকা ছবিগুলি দিয়ে কি তা প্রমাণ করতে পারবেন?

সত্যিকারের ভালবাসা কেমন হওয়া উচিত তা নিচের ছবিগুলো দেখলেই খুব সহজে বোঝা যায়।

ফেসবুকে 'ভালবাসার গল্প' নামের একটি গ্রুপে একজন ভাই তার সত্যিকারের ভালবাসার চিত্র এইভাবে-ই উপস্থাপন করেনঃ

১) ঘুম ভালবাসা স্বামী😊

২) এমন কেয়ার ক'জনের ভাগ্যে জোটে!

৩) ছুটির দিনে দুষ্টুমির শেষধাপ😊

৪) এই ব্যাংকের ম্যানেজার আমি, আর ও মালিক🥰

৫) ভুল করাই আমার স্বভাব হে প্রিয়া।❤

৬) কখনো কখনো একটু কেয়ার অনেক অনুভূতির জন্ম দেয় 👌

৭) সব প্রিয়ার একটা ছেলেমানুষীভাব থাকবেই😁

৮) কিনে দে, কিনে দে আমাই রেশমি চুড়ি🥰

৯) সবমেয়ের কমন পছন্দ ফুসকা, কেন?🤔

১০) কারন পকেটের খবর তার চেয়ে আর কেউ ভাল জানে না😃

১১) বেঁচে থাকুক ভালবাসা❤

চারিপাশের এত কৃত্রিম ভালবাসার মাঝে এমন সত্যিকারের ভালবাসা সত্যিই স্যালুটের দাবিদার। ছবিগুলো এতটাই ভাল লেগেছিল যে সেভ করে রেখেছিলাম। আর আজ তা আপনাদের দেখাতে পেরে খুব ভাল লাগলো।

আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন, ধন্যবাদ।