সোমবার, ২২ আগস্ট, ২০২২

যৌবন ধরে রাখতে চাইলে যে খাবার গুলো খাওয়া উচিত ছেলেদের ?

যৌবন ধরে রাখতে চাইলে যে খাবার গুলো খাওয়া উচিত ছেলেদের ?


যৌবন ধরে রাখতে চাইলে যে খাবার গুলো খাওয়া উচিত ছেলেদের ?

যৌবন ধরে রাখতে আমরা কি না করি। সকলেই চায় আজীবন যৌবন ধরে রাখতে। সুস্থ-সবল থাকতে এবং তারুণ্য ও যৌবন ধরে রাখতে হলে পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই।

নিজেদের সুস্থ-সবল রাখতে পুষ্টিকর জাতীয় খাবারের দিকে নজর দেয়া দরকার। কিছু কিছু খাবার আছে যা নিয়ম মেনে খেলে আপনার যৌবন থাকবে আজীবন। চলুন জেনে নেয়া যাক, যৌবন ধরে রাখবে যে ১৫টি খাবার।

যৌবন ধরে রাখবে যে ১৫টি খাবার:

১. দই:

দই আমাদের অনেকের পছন্দের একটি খাবার। দই মেদ বা ভুড়ি ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। সেইসাথে যারা যৌবন ধরে রাখবেন তারা নিয়মিত দই খাবেন। দই এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম আছে যা শরীরের গঠন ভালো রাখে এবং হাড়ের ক্ষয়-রোধ করতে সাহায্য করে।

বয়সজনিত রোগগুলো প্রতিরোধে দই সহায়তা করে। এছাড়া দই ত্বককে দাগমুক্ত রাখে। তাই যৌবন ধরে রাখতে হলে নিয়মিত দই খাবেন।

২. সামুদ্রিক মাছ:

যৌবন ধরে রাখতে সামুদ্রিক মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দীর্ঘ দিন যৌবন ধরে রাখতে হলে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় লাল মাংস পরিবর্তে সামুদ্রিক মাছ রাখুন। সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে এবং যৌবন ধরে রাখবে দীর্ঘ দিন।

৩. পালং শাক:

পালং শাক মধ্যে প্রচুর পরিমাণে লুটেইন রয়েছে, যা শরীরের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ এবং যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন পালং শাক খাওয়ার ফলে ত্বক ও চোখের বয়সজনিত সমস্যা কমে যায়। পাশাপাশি পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকায় শরীরের নানা রকম অসুবিধা দূর করে এবং শরীরে পুষ্টি ও শক্তির যোগায়।

৪. কলা:

কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, বি ও সি এবং পটাশিয়াম। পটাশিয়ামের অভাবে ত্বক রুক্ষতার মতো হয়, কলা পটাশিয়ামের অভাব পূরণ করে দেয় এবং ত্বক রুক্ষতা দূর হয়ে যায়।

কলা ভিটামিন-বি ও পটাশিয়াম মানবদেহের যৌনরস উৎপাদন বৃদ্ধি করে। সেই সাথে কলায় রয়েছে ব্রোমেলিয়ানও যা শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে।

৫. আমলা:

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় আমলাকে পুরুষের শারীরিক সক্ষমতা মন্ত্র হিসেবে বলা হয়। পুরুষের শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে আমলা দারুণ কার্যকর।

৬. ফলমূল:

ফলমুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা শরীরের পুষ্টি জোগায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যৌবন ধরে রাখতে হলে নিয়মিত ফলমুল খাবেন।

৭. সবুজ শাক-সবজি:

সবুজ শাক-সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা শরীরের চাহিদা মেটার পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সবুজ শাকসবজি খেলে আপনার যৌবন থাকবে তর তাজা।

৮. কমলালেবু:

শরীরের জন্য কমলালেবু খুবই উপকারী। কারণ কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে। ত্বক টানটান ও উজ্জ্বল রাখতে কমলালেবু সহায়তা করে।

৯. অলিভ অয়েল:

অলিভ অয়েল আপনার যৌবনকে ধরে রাখতে সহায়তা করে। রান্নার মধ্যে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে শরীরের মধ্যে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায় এবং শরীরে মেদ জমে না। পাশাপাশি দৈনিক ঘুমানোর আগে ত্বকে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করলে ত্বকের বলিরেখা পরে না সহজেই। ফলে দীর্ঘ দিন যৌবন ধরে রাখতে সহায়তা করে।

১০. ডার্ক চকলেট:

ডার্ক চকলেট যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। ডার্ক চকলেটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা শরীরের পুষ্টি জোগাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত ছোট এক টুকরা ডার্ক চকলেট খেলে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ যৌবন ধরে রাখতে পারবেন।

১১. স্ট্রবেরি:

স্ট্রবেরি আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কারণ- স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-সি থাকে। যা আপনার ত্বককে সতেজ রাখতে সহায়তা করে।

১২. রসুন:

রসুনে আছে এলিসিন নামক উপাদান ইন্দ্রিয় গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে তোলে। দৈহিক কোনো সমস্যা থাকলে রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

১৩. গাজর ও টমেটো:

গাজর ও টমেটো ত্বকের ও শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষত যৌবন ধরে রাখার ক্ষেত্রে এই সবজিগুলো খুবই উপকারী। গাজর ও টমেটোয় প্রচুর পরিমাণে ফাইটো-নিউট্রিয়েন্ট ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। পাশাপাশি রয়েছে বিটা ক্যারোটিন ও লুটেইন, যা শরীরের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।

১৪. আঙ্গুর:

যৌবন ধরে রাখতে আঙ্গুরের কোনো জুড়ি নেই। আঙ্গুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। আঙ্গুর প্রতিদিন খেলে ত্বক ও দেহ সুন্দর ও সুস্থ-সবল থাকে।

১৫. মিষ্টি কুমড়ার বিচি:

মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে প্রচুর পরিমাণে সাইটোস্টেরোল থাকে। মিষ্টি কুমড়ার বিচি পুরুষদের দেহের মধ্যে টেসটোস্টেরন হরমোনের ভারসাম্যতা রক্ষা করে। এটির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি এসিড পুরুষদের শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। পুরুষদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক মিষ্টি কুমড়ার বিচি।

সুতরাং, নিজেদর যৌবন ধরে রাখতে হলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার। উপরের খাবারগুলো আপনার যৌবনকে ধরে রাখবে আজীবন। তাই প্রতিনিয়ত পুষ্টিকর জাতীয় খাবার খান আর সর্বদা নিজেকে হাসি-খুশি মধ্যে রাখুন, চিন্তা-ভাবনা কোনোভাবেই ধারের কাছে ভিড়তে দেবেন না।

মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০২২

বউ-এর মুখ ঝামটা থেকে বাঁচার জন্য কোনও ঘরোয়া উপায় আছে কি?

তোমার প্রশ্ন শুনেই বুঝেছি বিয়ের আগে তুমি আমার সেই জগৎখ্যাত ক্র্যাশ কোর্সটি করোনি। কত পিছিয়ে আছে এই দেশ ! এই ভুলগুলো যে কেন কর তোমরা ?

ঠিক আছে আমি অল্প করে , হালকা করে বলে দিচ্ছি । বিন পয়সায় বেশী উপায় বলা যাবে না।

উপায়গুলো ভীষণ সোজা। একদম সিম্পল । নিয়মবিধি গুলো যদি মেনে চল তাহলে তোমার সংসারে মৃদুমন্দ মলয় পবন বইবে সর্বক্ষণ ।

  1. বিয়ের দিন থেকেই মনে এই বিশ্বাসটা রাখবে যে তোমার সাথে লেতিপেতি কোন মেয়ের বিয়ে হয়নি। একজন দেবীর সাথে তোমার বিয়ে হয়েছে। ওনার মধ্যে লক্ষী সরস্বতী একত্রে বাস করছেন।
  2. মনে রাখবে প্রজাপতি ব্রহ্মার নজর যখন তোমার ওপর পড়েছে তাহলে সেটা মঙ্গলের জন্যই পড়েছে। উনি চাইছেন তুমি একজন উৎকৃষ্ট মানবে পরিণত হও…তোমার খামতিগুলো ঠিক করার জন্য বিশেষ একজনকে স্ত্রী হিসেবে তোমার কাছে উনি পাঠিয়েছেন ।
  3. তোমার শিক্ষাদীক্ষা যাই হোক না কেন.. তুমি তোমার স্ত্রীর সামনে একখানা হাবাচন্ডী হয়ে থাকবে। দেখাবে যেন তুমি কিছুই জানো না, কিছুই শেখোনি। স্ত্রীর অপেক্ষায় ছিলে কবে সে এসে তোমাকে শিখিয়ে পড়িয়ে নেবে।
  4. বিভিন্ন বিষয়ে স্ত্রী তোমার চক্ষু উন্মোচন করবে। তুমি সেগুলো দেখে, শুনে, জেনে আনন্দ প্রকাশ করবে।
  5. তোমার রাগ তুমি একটা সিন্দুকে ঢুকিয়ে তালা মেরে চাবিখানাকে দরিয়া মে ফেক দো।
  6. প্রশংসা করতে শেখো…মানে অন্য কারো না, শুধু নিজের বৌয়ের। শব্দ ভান্ডার তৈরী কর। বৌকে সারাক্ষণ সুন্দর লাগছে, ভাল লাগছে , দুর্দান্ত রান্না বলতে থাকলে বৌয়েরা বোর হয়ে যায়। তাই বিভিন্ন ভাষা থেকে প্রশংসা সুলভ শব্দগুলো চয়ন করে একটা খাতায় লিখে রেখে মুখস্থ করো।
  7. অফিস থেকে বা কাজ থেকে ফিরে কখনও বলবে না যে তুমি পরিশ্রান্ত। বরং বৌকে জিজ্ঞাসা করবে…." তুমি খুব পরিশ্রান্ত না গো ? আমি আর অফিসে কি কাজ করি ? আমি তো শুয়ে বসে কাটিয়ে দিই। কাজ তো করো তুমি। "
  8. বৌয়ের ভুল ধরতে যেও না। ওরা ভুল করতে পারেনা এই দৃঢ় বিশ্বাসটা মনে গেঁথে রাখবে।
  9. শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ .. স্নান করে পবিত্র হয়ে এটা একশ আটবার জপ করবে।
  10. বৌয়ের মুখে মুখে কক্ষনো তর্ক করতে যাবে না। তুমি লাস্টে সেইতো হেরেই যাবে। তারচেয়ে মুখে সেলোটেপ আটকে চুপটি করে বসে থাকো। ঝড়কে বইতে দাও। প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে কি কোন মানুষ আটকাতে পারে ?

আমার এই পয়েন্টগুলো যদি তুমি মেনে চল তাহলে বৌয়ের মুখ ঝামটা শোনার তোমার প্রয়োজনই পড়বে না। তোমার সংসার সুখে সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে।

বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০২২

কেউই চিনত না হলেন বিশ্বতারকা

কেউই চিনত না হলেন বিশ্বতারকা


কেউই চিনত না হলেন বিশ্বতারকা

সেলসম্যানের কাজ করতেন কেএফসির মালিক কর্নেল স্যান্ডার্স

স্যান্ডার্সকে পুরো পৃথিবী চেনে তার কেএফসি রেস্টুরেন্ট ব্যবসার কারণে। কেএফসির পুরো নাম কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেন। কর্নেল হারল্যান্ড ডেভিড স্যান্ডার্স কেএফসি বা কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেনের প্রতিষ্ঠাতা। কেএফসি প্রতিষ্ঠার আগে যিনি জগতের এমন কোনো কাজ নেই যার সঙ্গে নিজেকে জড়াননি। খুব ছেলেবেলায় স্কুল থেকে ঝরে পড়েন ডেভিড। এরপর কাজ করেছেন ক্ষেতমজুরের, ট্রেনের ফায়ারম্যান, সেলসম্যান, আইনজীবী, গাড়ির টায়ার বিক্রেতা বা ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী হিসেবে। শুধু কি তাই? শখের বশে বেশ কিছুদিন ধাত্রী বিশারদের কাজও করেছেন। নাম লিখিয়েছিলেন রাজনীতিতেও। শেষমেশ তিনি নেমে পড়েন রেস্টুরেন্ট বিজনেসে। পাঁচ বছর বয়সে তার বাবা মারা গেলে মা পরে আবার বিয়ে করেন। সে সময় দরিদ্রতার কারণে তিনি গৃহহীন ছিলেন।

 

দরিদ্রতার কারণে খাবার কুড়িয়ে খেতে হয়েছে চার্লি চ্যাপলিনকে

শৈশব সম্পর্কে চার্লি চ্যাপলিন বলেন, যদি ভাগ্য সহায় না হতো, তাহলে আমি লন্ডনের পথে পথে চুরি করে বেড়াতাম। আর বেওয়ারিশ লাশ হয়ে কবরে যেতে হতো। মা ও ভাইয়ের সঙ্গে দক্ষিণ লন্ডনের একটি শহরে বিভিন্ন বাড়িতে ভাড়া থাকতেন চ্যাপলিন। ভাড়া দিতে না পারায় প্রায়ই তাদের বাসা থেকে বের করে দেওয়া হতো। এভাবে তাড়া খাওয়ার চাইতে চ্যাপলিন পার্কের বেঞ্চিতে ঘুমাতেই বেশি পছন্দ করতেন। চার্লি একটি মুদির দোকানেও কিছুদিন কাজ করেছিলেন। সেখানে কাজ চলে যাওয়ার পরে কাজ নিয়েছিলেন একটি ডাক্তারখানায়। সেখানেও কাজ চলে যাওয়ার পরে লোকের বাড়ির বাসন মাজার কাজে লেগে পড়েন চার্লি। এক কাচের কারখানা, রঙের দোকান, লোহার দোকান, ছাপাখানা, খেলনা কারখানা, কাঠচেরাই কল, কাগজ বিক্রি ইত্যাদি নানা কাজের মধ্যে তিনি যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন। বাল্যকাল কেটেছে তার অত্যন্ত দরিদ্রতার মধ্য দিয়ে।  ফুটপাতে রাত কাটানো এমনকি পচা খাবার কুড়িয়েও খেতে হয়েছে তাকে। অবশ্য কর্মগুণে ও অভিনয় প্রতিভা দিয়ে তিনি মানুষের মন কেড়ে নেন। অর্থ ও সম্মান দুটিই কুড়ান।

 

বাড়ি না থাকায় পথে পথে ঘুরতে হয়েছিল হ্যালি বেরিকে

অভিনয় জীবনের দুই যুগেরও বেশি সময় পার করেছেন ‘বেরিনস্টার বল’ খ্যাত অস্কারজয়ী অভিনেত্রী হ্যালি বেরি। কৃষ্ণাঙ্গী এই অভিনেত্রী এখনো অভিনয়শৈলীর মাধ্যমে অজস্র তরুণের মন হরণ করে নিচ্ছেন। ভক্তরা তাকে ডাকে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ বলে। তবে এ অভিনেত্রীর জীবনেও দরিদ্রতার চাবুক লেগেছে। দুটি ব্যর্থ বিয়ে, কিছু ব্যর্থ প্রেমের সম্পর্কের পর আত্মহত্যা করতে বসেছিলেন তিনি। অবশ্য এসবকে ছাপিয়ে যায় তার অতীত। একটা সময় ছিল যখন রাত কাটানোর মতো একটা ছাদ ছিল না তার। সে সময় তিনি অভিনয়ে নামেননি। এত জনপ্রিয়তা ও টাকা কোনোটাই ছিল না। রিডার ডায়জেস্টকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ সত্যটি প্রকাশ করেন। বাড়ি না থাকায় তাকে পথে পথে ঘুরতে হয়েছিল। অস্কারজয়ী এ খ্যাতিমান আফ্রো-আমেরিকান অভিনেত্রী ২৪ বছরের ক্যারিয়ারে অর্ধশতাধিক দর্শকনন্দিত ছবিতে অভিনয় করেছেন।  ২০০৮ সালে তিনি ‘মনস্টার বল’ ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য অস্কার জয় করেন। অভিনয়গুণে তিনি একাধারে অ্যামি অ্যাওয়ার্ড, গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেন।

 

থাকার ঘর ছিল না স্টিভ জবসের

প্রযুক্তি জগতের বাদশাহ বলে মানা হতো তাকে। তিনি স্টিভ জবস। অ্যাপলের সঙ্গে যার নাম জড়িয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবককে পার্সোনাল কম্পিউটার বিপ্লবের পথিকৃৎ বলা হয়। অনেকে এটাও বলেন, বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে  প্রভাবশালী ও প্রতিভাবান প্রযুক্তি ভাবনার অধিকারী ছিলেন তিনি। তিনি স্টিভ ওজনিয়াক এবং রোনাল্ড ওয়েনের সঙ্গে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে অ্যাপল কম্পিউটার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অ্যাপল ইনকরপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

এ ছাড়া পিক্সার অ্যানিমেশন স্টুডিওস-এরও প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। টাকা আর সাফল্য শব্দ দুটিকে তিনি জয় করে নেন। এত বিত্ত ও প্রাচুর্য যে মানুষটিকে ডুবিয়ে দিয়েছিল সেই মানুষটিও এক সময় ছিলেন গৃহহীন। তিনি নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে, শিক্ষার্থী থাকাকালীন তার দৈন্যদশা ছিল। সে সময় থাকার একটি ঘরও তার ছিল না। তাই রাত কাটাতে হতো সহপাঠীর কক্ষের মেঝেতে। পকেটে টাকা ছিল না বলে প্রতি রবিবার সাত মাইল হেঁটে এক চার্চে যেতেন ভালোমন্দ কিছু খেতে।

 

ডেনিয়েল ক্রেইগের পকেট ছিল ফাঁকা

হলিউড কাঁপানো অভিনেতা ডেনিয়েল ক্রেইগকে অনেকেই চেনেন হালের জেমস বন্ড হিসেবে। ২০০৫ সালে জেমস বন্ড সিরিজের জন্য প্রস্তাব পান হলিউড অভিনেতা ডেনিয়েল ক্রেইগ। তখন তার বয়স ছিল ৩৭ বছর। ক্যারিয়ার নিয়ে অনেকটা বিপাকেও ছিলেন তিনি। হিট করার মতো কোনো গল্প মনে মনে খুঁজে ফিরছিলেন তিনি। এমন সময় জেমস বন্ড থেকে হঠাৎই অফার আসে তার কাছে। অভিনয়ের সুযোগ পাওয়া মাত্রই রাজি হয়ে যান তিনি। সেই শুরু। টানা এক যুগ এ সিরিজের প্রতিটি মুভিতে দেখা গেছে তাকে। তার সর্বশেষ বন্ড সিনেমাটিও মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করে নেয় খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে। এখন ব্যক্তিগত সম্পদের পাহাড় জমালেও একসময় এই বন্ডের পকেটে কানাকড়িও ছিল না। সেই দুঃসময়ের কথা ডেনিয়েল বারবার বলেছেন। ডেনিয়েল ক্রেইগ তখন সিনেমার জগতে নাম লেখাননি। কাজ নেই। শহরের পথে পথে ঘুরতেন। ভালো০ খেতে পেতেন না। ঘুমানোর জায়গা ছিল না বলে রাত কাটাতেন পার্কে। গৃহহীন তারকার খেতাবটি তাই তার কপালেও জুটেছে।

 

জেলে পরিবারের সন্তান সনাথ জয়সুরিয়া

সনাথ তিরান জয়সুরিয়া, শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেট দলের সুপারস্টার। খ্যাতিমান তারকা হলেও তার ছেলেবেলা কেটেছিল গরিবি হালতে। শ্রীলঙ্কার মাতারায় একটি জেলে পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। বাবা দানস্তান সাগরে মাছ ধরে জীবিকানির্বাহ করতেন। দারিদ্র্যের টানাপড়েনে পরিবার এতটাই অসহায় ছিল যে, বাবা ছেলেকে নিয়ে মাছ ধরতে যেতেন। সেদিন কি কেউ ভেবেছিল যে, সেই জেলের ছেলেই হবে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট সুপারস্টার? ছোট থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তার আগ্রহ ছিল প্রখর। ৯ বছর বয়সে টেনিস বল হাতে নিয়ে মাঠে ছুটে যেতেন। ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় সনাথ জয়সুরিয়া। সময়ের পরিক্রমায় তিনি এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। ক্রিকেটীয় জীবনে যেমন হ্যারিকেন ছিলেন ব্যক্তিজীবনেও ছিলেন দুরন্ত। জাতিসংঘের গুডউইল দূত হয়েছেন। ২০১০ সালে মূলধারার রাজনীতিতে যোগ দেন। পোস্টাল সার্ভিসের প্রতিমন্ত্রী হন।  তিনি শ্রীলঙ্কার জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

ডান্স রুমে ঘুমাতেন জেনিফার লোপেজ

জেনিফার লোপেজ একাধারে অভিনেত্রী, সংগীত শিল্পী, বিনোদন তারকা, ব্যবসায়িক উদ্যোক্তা ও প্রযোজক। এ ল্যাতিন তারকা সবচেয়ে বেশি নাম কুড়িয়েছেন সংগীতে। লাইভ কনসার্টগুলোতে তার গানের সঙ্গে নাচ বেশ জনপ্রিয়। জেনিফার লোপেজ ১৯৮৬ সালে মাই লিটল গার্ল নামক ছবির ছোট্ট একটি চরিত্রের মাধ্যমে বিনোদন জগতে প্রবেশ করেন। তিনি ১৯৯১ সালে ‘ইন লিভিং কালার’ শিরোনামের এক অনুষ্ঠানে নাচের মাধ্যমে বিনোদন জগতে যাত্রা শুরু করেন। সিনেমা জগতেও তার দাপট রয়েছে। চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জেনিফার লোপেজ লাতিন আমেরিকার প্রথম অভিনেত্রী হিসেবে ১০ লাখ ডলার পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২৫০ মিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছে বহু আগেই। এখনো তার আয়ের ক্ষেত্রগুলো দিয়ে বাতাসের বেগে টাকা আসছে। অথচ এক সময় ছিল পুরো বিপরীত চিত্র। জনপ্রিয়তা পাওয়ার আগে চরম অর্থ সংকটে ভুগতে হয়েছে তাকে। মাকে নিয়ে ঘুমিয়েছেন ডান্স রুমে। সেখানে সোফায় গাদাগাদি করে শুতে হতো তাকে। শুরুর দিকে মা না চাইলেও এক সময় নাচেই প্রতিষ্ঠা পান তিনি।

 

ঘরে ঠিকমতো খাবার মিলত না জিম ক্যারির

সবচেয়ে ধনী কমেডি অভিনেতা জিম ক্যারি। এ কানাডিয়ান-আমেরিকান কমেডি অভিনেতা গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডের জন্য পাঁচবার মনোনীত হয়েছেন এবং জয় করেছেন দুবার। তার অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা এবং প্রখর ব্যক্তিত্বের কারণে তাকে হলিউডের অন্যতম বড় তারকা বিবেচনা করা হয়। ১৯৯০ সালে স্কেচ কমেডি ইন লিভিং কালার মুভিতে প্রথম আবির্ভূত হন জিম। ১৯৯৭ সালে লায়ার লায়ার মুভিতে অভিনয় করে দারুণভাবে প্রশংসিত হন ক্যারি। এ মুভিটি তাকে সেরা অভিনেতা ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড এনে দেয়। এখন ১৫০ মিলিয়ন ডলারের মালিক হলেও এক সময় তার পরিবার দরিদ্রতায় ডুবে ছিল। বাবার চাকরি ছিল না, ঘরে ঠিকমতো খাবার মিলত না তার। বাড়ি নেই বলে ভ্যানে করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরে বেড়াত তার পরিবার।

 

রেস্টুরেন্ট গার্ল শাকিরার বিশ্বজুড়ে খ্যাতি

সিনেমার নায়িকা বা মডেল নন, তবে মঞ্চ কাঁপান কণ্ঠে রিদমিক গান আর কঠিন নাচের কম্বিনেশন দিয়ে। প্রজন্মের হার্টথ্রব শাকিরা। ছোটবেলাতেই দারিদ্র্যের ঝড় হয়তো তাকে উড়িয়ে দিতে পারত। কিন্তু কঠিন লক্ষ্যভেদী এই নারী জয় করেছেন সব কষ্টকে। এক সময় রেস্টুরেন্টে কাজ করলেও আজ বিশ্বতারকা। শাকিরা ইসাবেল মেবারাক রিপোল। গানের জাদুতে পৃথিবী বিখ্যাত শাকিরা। কলম্বিয়ার বারানকিলাতে জন্মেছেন ১৯৭৭ সালে। কলম্বিয়ান এই গায়িকা একই সঙ্গে গীতিকার, সুরকার, সংগীত প্রযোজক, নৃত্যশিল্পী ও জনহিতৈষী হিসেবেও খুব পরিচিত। স্কুল জীবনে সরাসরি উপস্থাপনার মাধ্যমে নিজের প্রতিভার প্রকাশ ঘটাতে শুরু করেন। সেখানে তার নিজস্ব বেলি ড্যান্সিংয়ের সঙ্গে কণ্ঠে সার্থকভাবে রক অ্যান্ড রোল, ল্যাটিন, পূর্ব মধ্যপ্রাচ্যের সংগীত ফুটিয়ে তুলতেন। শাকিরার মাতৃভাষা স্প্যানিস হলেও, তিনি অনর্গল ইংরেজি, পর্তুগিজ এবং ইতালীয় ভাষায় কথা বলতে পারেন। বিত্তশালী পরিবারে জন্ম হলেও হঠাৎই তাদের পরিবারে নেমে আসে চরম অনিশ্চয়তা। তখন শাকিরার বয়স মাত্র আট বছর। ব্যবসায় ধস নামলে শাকিরার বাবা অর্থাভাবে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন। ভরণপোষণের দায়িত্ব ছেড়ে দেন আত্মীয়দের ওপর। কিছুদিন পর শাকিরা নিজ শহরে ফিরে এসে দেখেন তাদের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। শাকিরার গান-নাচ সব থেমে যাওয়ার উপক্রম। শত প্রতিকূলতার মাঝেও তিনি নিজের আত্মবিশ্বাস অটুট রেখে সংগীতচর্চা অব্যাহত রাখেন। গানের টানে শাকিরা নিজ শহর বারানকিলা থেকে চলে যান রাজধানী শহর বোগোটায়। শুরুতে নিজের খরচ চালানোর জন্য বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে তাকে। বার, রেস্টুরেন্টসহ বেশ কিছু জায়গায় পার্টটাইম কাজ করেছেন।

পাশাপাশি ঘরে ও বন্ধুদের সামনে অব্যাহত রেখেছেন গান শোনানো। কলম্বিয়ার স্থানীয় প্রযোজকদের সহায়তায় শাকিরার সংগীত জীবনের প্রথম দুটি অ্যালবাম প্রকাশ পায়। দুর্ভাগ্য যে, সেগুলো কলম্বিয়ার বাইরে খুব একটা পরিচিতি পায়নি। পরবর্তীতে শাকিরা নিজেই অ্যালবাম প্রযোজনার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৫ সালে প্রকাশ করেন অ্যালবাম ‘পিয়েস দেসকালসোস’। এই অ্যালবামই তাকে লাতিন আমেরিকা ও স্পেনে খ্যাতি এনে দেয়। শ্রোতাদের কাছে তাকে একজন রহস্যময় সংগীতশিল্পী হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু ১৯৯৮ সালে ‘দোন্দে এস্তান লোস লাদ্রোনেস’ অ্যালবামটি শিল্পী হিসেবে তার গুরুত্ব বাড়াতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। এই অ্যালবামটির জন্য তিনি রোলিং স্টোন, অল মিউজিক গাইড এবং বিলবোর্ড ম্যাগাজিনের সংগীত সমালোচকদের কাছ থেকে উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া পান। তিনি দুই বার গ্র্যামি পুরস্কার, সাতবার ল্যাটিন গ্র্যামি পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছিলেন। বিএমআইয়ের তথ্যানুসারে, তিনি ব্যবসায়িকভাবে সফল দ্বিতীয় ল্যাটিন আমেরিকান নারী শিল্পী; যার অ্যালবাম বিশ্বে পাঁচ কোটি কপি বিক্রীত। এ ছাড়াও তিনি দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সুযোগ পাওয়া একমাত্র শিল্পী যিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিলবোর্ড হট ১০০, কানাডিয়ান বিলবোর্ড হট ১০০, অস্ট্রেলিয়ান এআরআইএ চার্ট ও ইউকে সিঙ্গেলস চার্টে প্রথম স্থান পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। হলিউড ওয়াক অফ ফেইমে একজন তারকা হিসেবে শাকিরা পুরস্কৃত হয়েছেন।

তার বেড়ে ওঠা

মাত্র চার বছর বয়সে শাকিরা প্রথম কবিতা লিখেন, যার শিরোনাম ছিল ‘লা রোসা দে ক্রিস্টাল’। অর্থাৎ স্ফটিকের গোলাপ। সেই বয়সেই স্থানীয় মিডল ইস্টার্ন রেস্টুরেন্টে প্রথমবার ডোম্বেক শোনেন এবং টেবিলের ওপর উঠে নাচতে শুরু করেন। সাত বছর বয়সে বাবাকে একটি টাইপরাইটারে গল্প লিখতে দেখে আগ্রহী হন। বড়দিনের উপহার হিসেবে একটি টাইপরাইটার চেয়ে নেন। তখন থেকেই তিনি কবিতা লেখা চালিয়ে যান। তার কবিতাগুলো ক্রমেই গানে রূপ নেয়। দুই বছর বয়সে শাকিরার এক বড় সৎভাই মারা গেলে শোকাতুর বাবাকে চার বছর কালো চশমা পরে থাকতে দেখেছেন। সেটা নিয়ে শাকিরা আট বছর বয়সে প্রথম গান লেখেন ‘তুস গ্রাফাস ওসকুরাস’ অর্থ তোমার কালো চশমা। তিনি স্কুলের সহপাঠী ও শিক্ষকদের গান শোনাতে ভালোবাসতেন। প্রতি শুক্রবারে তার শেখা বেলি ড্যান্সিংয়ের ধাপগুলো স্কুলে করে দেখাতেন। এভাবেই তিনি লাইভ পারফরম্যান্সের প্রতি নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করেন। কিন্তু দরিদ্র পরিবারে নিজের প্রতিভার চর্চায় বেগ পেতে হয়। বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে জীবিকা অর্জন করেছেন।

সোমবার, ২৭ জুন, ২০২২

পুরুষের জন্য মেথির উপকারিতা কী?

আলাদা করে পুরুষের জন্য মেথীর উপকারিতা বলতে সেক্স পাওয়ার বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা ও পুরুষের বীর্যের শুক্রানু বাড়ানোর ক্ষেত্রে বেশ উপকারী হচ্ছে মেথী।

মেথী রাতে পানিতে ভিজিয়ে সকালে মেথীসহ পানি খালি পেটে খেলে পুরুষের বীর্যের শুক্রানু বাড়ে তবে ৩ মাস নাগাতার খেতে হবে। যাদের বাচ্চা কাচ্চা হচ্ছে না পুরুষের সমস্যার কারনে তারা তাদের শুক্রানু বাড়াতে ৩ মাস মেথী গোটা বা গুড়া পানিতে রাতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খান। শুক্রানু বেড়ে যাবে। এই পরীক্ষাটি করা হয়েছিলো ২০১৭ সালে ৫০ জন পুরুষের উপরে যারা বন্ধ্যাত্বে ভুগছিলো। তারা ৩ মাস মেথীর পানি খায়। তাদের মধ্যে ৮৫% পুরুষের শুক্রানু বেড়ে যায়।

এছাড়া, সেক্স পাওয়ার বাড়ানো মানে টেস্টেটোরেন হরমোন বাড়ানোর ক্ষেত্রে মেথী কার্যকরী। এই হরমোন কম থাকলে পুরুষের সেক্স করার ইচ্ছে কমে যায়, বউকে রাতে আদর করতে ইচ্ছে করে না। তাই এই হরমোন বাড়াতে মেথী বেশ কার্যকরী। যাদের সেক্স হরমোন কম এবং রাতে খাট কাপাতে পারেন না বা ইচ্ছে করে না তাদের উচিত নিয়মিত মেথী পানি খাওয়া।

এতে কি আছে যাতে সেক্স হরমোন বাড়ে?

সেপোনিন ও সেপোজেনিন এই দুই উপাদান হচ্ছে সেক্স ভিটামিন। যা পর্যাপ্ত পরিমানে পাবেন মেথী গুড়াতে।

বাজার থেকে মেথী গুড়া কিনতে পারেন কিন্তু সবচেয়ে ভালো হয় গোটা মেথী নিজেই ব্লেন্ডারে গুড়া করে নেয়া। বাজারের গুড়া মেথী ভেজাল হতে পারে। তাই গোটা মেথী কিনে গুড়া করে মেথীর পানি খান ৩ মাস নিয়মিত। ভালো রেজাল্ট পাবেন।

২০৩০ সালের মধ্যে সবচেয়ে চাহিদাপূর্ণ পেশা কোনগুলো হবে?

আগামি দশ বছর অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে সবচেয়ে চাহিদাপূর্ণ পেশা সম্পর্কে উল্লেখ করতে হলে এই তিনটি সেক্টর বিশেষ ভাবে উল্লেখ করতে হবে।

  • স্বাস্থ্য
  • তথ্য-প্রযুক্তি
  • শিক্ষা

এই সেক্টর গুলোর সাথে সম্পৃক্ত এবং ভবিষ্যতে বেশি চাহিদা থাকবে এমন আরো কিছু পেশাসম্পর্কে উল্লেখ করা হলো

  1. প্রকৌশল-স্থাপনা।
  2. ওয়েব ডেবলপার।
  3. চিকিৎসা এবং নার্সিং।
  4. সেলস ও মার্কেটিং।
  5. সাইবার সিকিউরিটি নিনজা।
  6. মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট।
  7. অনলাইন টিউটর।
  8. ব্যংকিং এন্ড ফিন্যান্স।
  9. ডিজিটাল মার্কেটিং।
  10. রেজিস্ট্রার নার্সিং।
  11. সফটওয়্যার ডেবলফার।
  12. ট্রেইনার এবং শিক্ষকতা।
  13. উদ্ভাবন ও ডিজাইনিং।
  14. কনষ্ট্রাকশন শ্রমিক।
  15. টেলিকম।
  16. ডাটা ডিটেকটিভ

17. কম্পিউটার সম্পৃক্ত সকল পেশা সমুহ।

এমন কিছু মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা কী যা মানুষ জানে না?

এমন কিছু মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা কী যা মানুষ জানে না?

শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করা ও বাচ্চার জন্ম দেওয়ার জন্য মানুষ সংসার করে না।

সংসার একটা অভ্যেস, যা একসাথে থাকতে থাকতে গড়ে ওঠে, একে অপরের সাথে কথা বলতে বলতে, একে অপরকে সহ্য করতে করতে এই অভ্যেস গড়ে ওঠে।

সংসার মানে হলো একসাথে থাকতে থাকতে একে অপরের গায়ের গন্ধটা আত্মস্থ করে নেওয়া। সংসার মানে হলো মানুষটা মুখের সামনে এসে দাঁড়ালেই মানুষটার মনের ভেতর কি চলছে, সেটা বুঝে ফেলা।

সংসার মানে হলো বর অফিস থেকে ফিরলে এক গ্লাস জল রোজই মুখের সামনে তুলে ধরা।

সংসার মানে হলো ছেঁড়া বোতাম সেলাই করতে করতে নিজেদের ভেতর ভুল বোঝাবুঝি গুলো মাঝেমধ্যে সেলাই করে নেওয়া।

সংসার মানে হলো এডজাস্টমেন্ট, "তোমার আমার" থেকে আমাদের হয়ে ওঠা। সংসার মানে মাছের ঝোলে নুন বেশি হলেও চুপচাপ হাসিমুখে খেয়ে ফেলা, সংসার মানে হলো রোজই বিছানার উপর রাখা নিজের পার্টনারের ভেজা টাওয়ালটা মেলে দেওয়া।

সংসার মানে হলো বিয়ের ডেট, একে অপরের জন্মদিনের তারিখ ভুলে গেলেও মানিয়ে নেওয়া।

সংসার মানে গাঢ় নীল রং নিজের পছন্দ না হওয়া সত্ত্বেও পার্টনারের পছন্দ বলে একদিন নীল রঙের পাঞ্জাবিটা পরে ফেলা, আবার তেমনি শাড়ি পরতে একটুও ভালো না লাগলেও এক দুটো দিন নিজের পার্টনারের পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে একটা লাল টকটকে শাড়ি পরে পার্টনারের সামনে এসে দাঁড়ানো।

সংসার হলো একটা প্রতিজ্ঞা, যার ভেতর মান, অভিমান, রাগ, ক্ষোভ, দুঃখ, ব্যথা সবই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে একে অপরের মুখের সামনে ভাতের থালা তুলে দেওয়ার প্রতিজ্ঞাটা একে অপরকে করতে হবে।

সংসার মানে হলো মাসের শেষে টাকাপয়সার হিসেব করতে করতে একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে বলা "আজ তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমাবো, আজ আমায় একটু ঘুম পাড়িয়ে দাও"

সংসার মানে হলো মাঝরাতে বরকে ঘুম থেকে তুলে শিশির ভেজা রাস্তায় হাঁটতে যাওয়ার বায়না ধরা।

সংসার করা সহজ, কিন্তু একটা সংসারকে প্রতি মুহূর্তে যাপন করা সহজ নয়

সংসার মানে হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও একবার অন্তত ফোন করে জিজ্ঞেস করা "খেয়েছো"

সংসারে ওঠানামা, ভাঙাগড়া থাকবেই, কিন্তু হাঁপিয়ে গেলে চলবে না, একে অপরকে মানিয়ে নিতে হবে, একে অপরের সমস্যায় পাশে থাকতে হবে, একে অপরকে সাহস যোগাতে হবে

সংসারে কেউ কারোর থেকে ছোট বা বড় হয় না, দুজনেই দুজনের পরিপূরক হয়, তাই সংসার করতে গেলে একে অপরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করা বড্ড জরুরি....🌸

সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২

রাউটারের সমস্যা সমাধান

রাউটারের সমস্যা সমাধান

বর্তমানে ঘরে ঘরে ব্যবহৃত হয় ওয়াইফাই রাউটার। যা থেকে একাধিক ডিভাইস যুক্ত করা সম্ভব। তবে মাঝেমধ্যেই রাউটারে সমস্যা হয়। এ সমস্যার সমাধান সম্ভব খুব সহজেই। জেনে নিন রাউটারের সমস্যা সমাধানের উপায়-

রাউটারের সমস্যা সমাধান

* রাউটার সেট করার সময় মাঝেমধ্যেই আইপি সেটিংসে সমস্যা হয়। ফলে ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা হতে পারে। রাউটার থেকে ইন্টারনেট সংযোগ না হলে আইপি সেটিং ভালোভাবে দেখুন। প্রয়োজনে নতুন করে রাউটার কনফিগার করুন।

* ইন্টারনেট ওএফসি বা অপটিক্যাল ফাইবার কেবলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। কোনো ওএফসি কেবল সরাসরি রাউটারের ভিতর কানেক্ট থাকে না। ওএফসির সঙ্গে অন্য একটি মডেমের কানেক্ট থাকে। সেখান থেকে রাউটারের কানেক্ট করা হয়। সে ক্ষেত্রে ওএফসিতে কোনো সমস্যা তৈরি হলে ইন্টারনেট কানেক্ট হতে সমস্যা হয়। তাই এফসি কেবল চেক করতে পারেন।

* অনেক সময় ডাটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়। সে ক্ষেত্রেও ইন্টারনেট স্পিড কমে যেতে পারে। এমনকি ইন্টারনেট সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে মডেম পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হবে কিছুক্ষণ। তারপর আবারও চালু করতে হবে।

* অনেক সময় ওয়াইফাই-এর ক্ষেত্রে সমস্যা হলে রাউটার থেকে ইন্টারনেট সংযোগ করতে সমস্যা তৈরি হয়। এ জন্য ফোন বা অন্য কোনো ডিভাইস থেকে ওয়াইফাই ফরগট করে আবারও কানেক্ট করতে হবে।

* আইএসপি বা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারের কোনো প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য ইন্টারনেট সংযোগ ব্যাহত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সরাসরি আইএসপির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

ম্যাকবুক সিরিজে আরও ডিভাইস যুক্ত করার পরিকল্পনায় অ্যাপল

ম্যাকবুক সিরিজে আরও ডিভাইস যুক্ত করার পরিকল্পনায় অ্যাপলম্যাকবুক সিরিজে আরও ডিভাইস যুক্ত করার পরিকল্পনায় অ্যাপল

বৈশ্বিক ডেভেলপার সম্মেলনে অ্যাপল এমটু চিপ যুক্ত ম্যাকবুক এয়ার উন্মোচন করেছে। তবে এ লাইনআপে এটিই প্রথম ও শেষ ডিভাইস নয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী কুপারটিনোর প্রযুক্তি জায়ান্টটি আরো দুটি ম্যাকবুক এয়ার বাজারজাতের বিষয়ে কাজ করছে। খবর এনগ্যাজেট।

১৫ ইঞ্চির ডিভাইসগুলো ২০২৩ সালের বসন্তে বাজারে আনা হবে। ধারণা করা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ছোট আকারের ল্যাপটপ ক্যাটাগরিতে ফিরে যাবে। ম্যাকবুকের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি ১২ ইঞ্চির একটি ল্যাপটপ উৎপাদনে কাজ করছে বলে জানা গেছে। ২০২৩-এর শেষে বা ২০২৪-এর শুরুতে এটি বাজারে আসতে পারে।

সূত্রের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালের শেষ দিকে এমটু প্রো ও এমটু ম্যাক্স চিপসংবলিত ১৪ ও ১৬ ইঞ্চির দুটি ম্যাকবুক প্রো উৎপাদনে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে। সংশ্লিষ্টদের ধারণা ২০২৩ সালের শুরুতে এগুলো বাজারজাত করা হতে পারে।

পুরুষদের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল: এতে কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?

পুরুষদের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল: এতে কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?







জন্ম নিয়ন্ত্রণ বা প্রজনন নিয়ন্ত্রণ হল গর্ভধারণ প্রতিরোধের পদ্ধতি। এক্ষেত্রে এক বা একাধিক কর্মপ্রক্রিয়া রয়েছে। এর মধ্যে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকাও একটি প্রক্রিয়া।

আমরা জানি, জন্ম নিয়ন্ত্রণের ওষুধ সাধারণত নারীরাই খেয়ে থাকেন। তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই পুরুষদের জন্যও এই ওষুধ তৈরির চেষ্টা চলছিল। একই সঙ্গে চেষ্টা চলছিল পুরুষদের জন্য এই পিল বাজারে আনার।

অনেকদিন পরীক্ষানিরীক্ষার পর অবশেষে জানা গেছে, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধ। এই পিলের প্রভাবে পুরুষদের মিলনের ইচ্ছাও কমে যায় না।

সম্প্রতি পুরুষদের জন্য দুটি গর্ভনিরোধক পিল তৈরি করেছেন গবেষকরা। পরীক্ষামূলকভাবে পিল দুটি ব্যবহারের পর তারা বলছেন, এই ওষুধের তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। 

নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের এই জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ দুটি তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। 

নতুন ওষুধ দুটির নাম ডিএমএইউ এবং ১১বিটা-এমএনটিডিসি। ওষুধগুলো প্রোজেস্টোজেনিক অ্যান্ড্রোজেন নামক ওষুধের সমগোত্রীয়। 

নতুন পিল দুটি টেস্টোস্টেরনের মাত্রা হ্রাস করে শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দেয়। নারীদের তুলনায় পুরুষের বিকল্প গর্ভনিরোধকের সংখ্যা খুবই কম। এই দুটি ওষুধ আবিষ্কারের ফলে অপরিকল্পিত গর্ভধারণ রুখতে ছেলেরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন বলে দাবি গবেষকদের।

গবেষণায় অংশগ্রহণকারী পুরুষদের মধ্যে ৭৫ শতাংশের বেশি পুরুষ পুনরায় এই ওষুধ ব্যবহার করার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন।

গবেষকদের মতে, এই পিল দুটি ব্যবহার করা হলে অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের সমস্যা আরও কমবে।

রবিবার, ১২ জুন, ২০২২

ভাইভার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি

ভাইভার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি


ইন্টার্ভিউ রুমে ঢুকার সময় ভিতরে ঢুকার অনুমতি নিবেন। ইন্টার্ভিউ বোর্ডের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন, বসতে বলার পর বসবেন। আপনার সার্টিফিকেট, থিসিস কপি, পাবলিকেশন যদি থাকে নিয়ে যাবেন। একটু স্মার্ট হয়ে যাবেন। ফরমাল পোশাকে ইন করে, সু পরে যাবেন। নার্ভাস এড়াতে বাসায় কিছু প্রাকটিস করে যাবেন, প্রয়োজনে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বা বন্ধু/পরিবারের অন্যদের সাথে ইন্টার্ভিউ প্র্যাকটিস করতে পারেন। আর একটা বিষয় মনে রাখবেন, ভালো, মার্জিত, পরিস্কার এবং কমফোর্টেবল পোশাকে আপনার আত্নবিসশাস বাড়িয়ে দিবে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সেদিন করবেন না। মৌখিক পরীক্ষার জন্যে অন্যান্য প্রস্ত্ততি, শারীরিক-মানসিকভাবে ফিট থাকুন।

ভাইবা ড্রেসঃ
ভাইবা বোর্ড আপনার পোশাক, অ্যাপিয়ারেন্স,এক্সপ্রেশন, এটিকেট এবং ম্যানার এই বিষয়গুলো সম্পর্কে খুব নজর দিয়ে থাকেন। তাই একজন যোগ্য প্রার্থী  হিসেবে আপনি ভাইবার জন্য উপযুক্ত ফরমাল ড্রেস নির্বাচনে মনোযোগী হবেন।

ছেলেদের ড্রেসঃ

শার্ট: সাদা ফুল শার্ট। সাদার উপরে যেকোন স্ট্রাইপ হলেও চলবে। অন্য রঙের মানানসই শার্টও পরতে পারেন। শার্টে একটি পকেট থাকলে ভালো হয়। পকেটে একটি কলম রাখবেন। টাই পরতে পারেন।

প্যান্ট: কালো রঙের ফরমাল প্যান্ট পরিধান করুন।

হাত ঘড়ি,বেল্ট ও জুতা: চামড়ার ফিতার ফরমাল হাত ঘড়ি,জুতা ও প্যান্টের সাথে ম্যাচ করে কালো রঙের চামড়ার বেল্ট পরিধান করুন। কাল রঙের,রাবারের সোলযুক্ত ফরমাল সু পরিধান করবেন।

পাঞ্জাবি-পায়জামা: যারা পাঞ্জাবি-পায়জামা পরেন তারা সাদা রঙের পায়জামা – পাঞ্জাবি পরতে পারেন।

*ভাইবার ৫-৬ দিন আগে চুল কাটিয়ে নিন।
*ভাইবার ২-১ দিন আগে নখ ছোট করে নিন।
*ভাইবার আগের দিন/ভাইবার দিন সকালে শেভ করে নিন।

মেয়েদের ড্রেসঃ
মার্জিত রঙের শাড়ি পরিধান করতে পারেন। তবে শাড়ি যেন অতিমাত্রায় কারুকার্যমন্ডিত ও চকমকে না হয় সেদিকটা খেয়াল রাখুন। আপনি চাইলে সালোয়ার কামিজও পরিধান করতে পারেন। তবে তা যেন মার্জিত রং ও ডিজাইনের হয় সেদিকটা বিবেচনায় রাখুন।অর্থাৎ, আপনি শাড়ি কিংবা সালোয়ার কামিজ যেটাই পরেন তা ম্যাচিং করে পরিধান করুন।তবে নিয়োগের ভাইবা সাধারণত শাড়ি পরার পরামর্শ রইল।

*মার্জিত মাপের কানেরর দুল এবং চেইন পরিধান করবেন।
*চুল বেনী করে রাখুন।
*পায়ের জুতা, শাড়ি/স্যালোয়ার কামিজের সাথে ম্যাচিং করে পরিধান করুন। তবে হাই হিল না পরাই ভালো।
*হালকা মেক-আপ এবং মার্জিত রঙের হালকা লিপস্টিক নিতে পারেন।

ভাইভার সময় সাথে একটি কলম রাখুন।

পরীক্ষার দিনের পূর্ব প্রস্তুতিঃ
১.নির্ধারিত সময়ের বেশ আগেই প্রস্তুতি সেরে ফেলতে হবে।
২.যেসব কাগজপত্র বোর্ডের সামনে পেশ করতে হবে সেগুলো, প্রবেশপত্র(রিটেনেরটা), সকল সর্টিফিকেটের মূলকপি এবং মার্কশীট এবং অন্যান্য কাগজপত্র যেমন এনআইডি, নাগরিক সনদ সহ সবকিছুর মূলকপি ও ফটোকপি এবং নিজের ছবি পূর্বেই গুছিয়ে একটি ফাইলে রাখুন।
৩. ইংরেজিতে একটা কথা আছে, “First impression is the last impression.” অর্থাৎ প্রথম দেখার ধারণা চিরস্থায়ী। তাই খুবই পরিপাটি হয়ে বোর্ডে উপস্থিত হবেন।
৪. নির্দিষ্ট সময়ের অন্তত এক ঘন্টা আগে বোর্ডে পৌছাবেন।
৫. আপনার সিরিয়াল পরে থাকলে যাদের ভাইবা হয়ে যাবে তাদের কাছ থেকে অনুভূতি শুনতে পারেন। তবে আপনার কাছে কোন প্রশ্ন কঠিন মনে হলে  বিচলিত হবেন না। কারণ আপনার কাছে ওই প্রশ্ন নাও জানতে চাইতে পারে। তবে অন্য কেউ পারলে জেনে নিতে পারেন।

ভাইবা বোর্ডে করণীয়ঃ

১. দরজা খুলে (আস্তে শব্দ যেন না হয়) মাথাটা একটু ভিতরে ঢুকিয়ে বলবেন, আসতে পারি স্যার। একটু সামনে যেয়ে থেমে নমস্কার/সালাম দিবেন। তারপর সামনে গিয়ে চেয়ারের পাশে দাড়াবেন। বসতে বললে ধন্যবাদ দিয়ে বসবেন। খেয়াল রাখবেন চেয়ারে যেন শব্দ না হয়।
২. যে স্যার প্রশ্ন করবেন তার দিকে তাকিয়ে চোখে চোখ রেখে উত্তর দিবেন। কথা বলার সময় হাত-পা নাড়াবেন না। অন্য কোন মুদ্রাদোষ থাকলে পরিহার করবেন। টেবিলের উপর হাত রাখবেন না।
৩. কথা বলার সময় আঞ্চলিকতা পরিহার করবেন।
৪. ঘাবড়াবেন না, রাগবেন না, বিরক্তি প্রকাশ করবেন না, তর্ক করবেন না, নার্ভাসনেস দেখাবেন না।
৫. জানা না থাকলে স্মার্টলি হাসিমুখে সরি স্যার,জানা নেই বলুন বা বলুন এই মূহুর্তে মনে পড়ছে না স্যার।
৬. আপনি বিনয়ের অবতার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করুন। দেখবেন আপনি যদি কিছু নাও পারেন বোর্ড আপনাকে হতাশ করবে না।
৭. নাচ, গান, আবৃত্তি, অভিনয় এগুলোতে আপনার দক্ষতা না থাকলে বলবেন পারি না স্যার। তবে আপনি পারেন এমন কোনো কিছুর কথা স্মার্টলি বলবেন।
৮. আপনার ভাইবা শেষ হলে আপনাকে আসতে বললে উঠে দাড়িয়ে সালাম/নমস্কার দিয়ে সার্টিফিকেটগুলো নিয়ে চলে আসবেন।

এবার আসা যাক ভাইভায় কি ধরনের প্রশ্ন হতে পারে। ভাইভায় সাধারণত দুই ধরণের প্রশ্ন হয় জেনারেল ও ডিপার্টমেন্টাল। যেমনঃ

জেনারেল প্রশ্ন যেমন হতে পারেঃ
১। আপনার নিজের সম্পর্কে ৫ মিনিট বলুন।
২। ইংরেজিতে আপনার নিজের সম্পর্কে বলুন।
৩। আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু সমালোচনা করুন।
৪। আপনার নিজ জেলার নাম কি? নিজের জেলা সম্পর্কে ১মিনিট বলুন।
৫। আপনার জেলার বিখ্যাত কয়েকজন লোকের নাম বলুন। তারা কেন বিখ্যাত?
৬। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যা জানেন বলেন।
৭। আপনার পরিবার সম্পর্কে বলুন।
৮। বলুন আমরা আপনাকে কেন এই চাকরিটা দিব?
৯। আপনি বিয়ে করেছেন কিনা? কেন করেননি/কেন করেছেন?
১০। বিবাহ সম্পর্কে আপনার চিন্তাভাবনা কি?
১১। আপনার আরো পড়াশুনা করার কোন ইচ্ছা আছে কি না?
১২। কেন আর পড়াশুনার ইচ্ছা নেই?
১৩। এর আগে কোথায় জব করেছেন সেখানে কি ধরনের কাজ করতেন?
১৪। আপনি বর্তমানে যেখানে কাজ করছেন সেখানকার কাজের পরিবেশ ও আপনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কিছু বলুন। সেখান থেকে চলে যেতে চাচ্ছেন কেন?
১৫। আপনার সিভি দেখে মনে হচ্ছে আপনি এর আগে অনেকগুলি জব করে ছেড়ে দিয়েছেন! কি ব্যাপার বলুনতো? জবের মাঝখানে গ্যাপ কেন?
১৬। আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী কত Salary আশা করেন?
১৭। —- এর থেকে কম Salary দেয়া হলে এখানে যোগদান করবেন?
১৮। আপনি কোন ইউনিভার্সিটি/কলেজ থেকে পাশ করেছেন? সাবজেক্ট কি ছিল? থিসিস কি ছিল?
১৯। আপনার কোন পাবলিকেশন আছে? কেন কোন পাবলিকেশনে অংশ নেননি?
২০। কম্পিউটারে আপনি দক্ষ কেমন? কি কি পারেন?
২১। আজ বাংলা কত তারিখ?
২২। এখানে যখন যেখানে প্রয়োজন সেখানে কাজ করতে হবে আপনি কি তাতে রাজি?
২৩। এই —টা কার? এটা টেবিলের উপরে রেখেছেন কেন?
২৪। এক্সেলের একটি ওয়ার্কশীট তৈরি করে তার এভারেজ, মিনিমাম, ম্যাক্সিমাম ভ্যালু বের করে দেখান। একটি নতুন সারি/কলাম ঢুকাতে কি করবেন?
২৫। বাংলা টাইপ পারেন? ইংরেজি ও বাংলায় আপনার টাইপিং স্পিড কত?
২৬। আপনি কি ফেসবুক ব্যবহার করেন? কেন?
২৭। আমাদের এই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কি জানেন?
২৮। আপনার নামের অর্থ কি জানেন?
২৯। আপনার প্রিয় শখ কি?
৩০। এই পোস্টের জন্য আপনাকে কেন আমাদের পছন্দ করা উচিত?

ডিপার্টমেন্ট এর প্রশ্ন যেমন হতে পারেঃ
1. পাওয়ার ফ্যাক্টর কি?
2. পাওয়ার ফ্যাক্টর বেশী হলে ভাল না কম হলে ভাল?
3. পাওয়ার ফ্যাক্টর ইমপ্রুভমেন্টে কেন করি?
4. ভোল্টেজ এবং কারেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি?
5. পিএলসি কি? কেন পিএলসি ব্যাবহার করি?
6. সার্ভো ড্রাইভ মোটর কি?
7. সার্কিট ব্রেকারে আগুন লাগলে কিভাবে নিভাবেন?
8. একটি কক্ষে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগলে আপনি প্রথমে কি করবেন?
9. সাধারণত পিটির সেকেন্ডারি ভোল্টেজ কত হয়?
10. একটি সিটির রেশিও বলুন।
11. আমরা সিটি/পিটি কেন ব্যবহার করি?
12. রিলে কি? কেন ব্যবহার করি? একটি ব্যবহার খেত্র বলেন।
13. বাংলাদেশে সর্বোচ্চ জেনারেশন ভোল্টেজ কত?
14. বাংলাদেশে পাওয়ার সিস্টেমে কোথায় কত ভোল্টেজ?
15. পিজিসিবি, ইজিসিবি, ডিপিডিসি এর কাজ কি?
16. ইন্ডাকশন মোটরে স্টার/ডেল্টা চালু পদ্ধতি কেন ব্যবহার করা হয়?
17. কোন সিম্বল ছাড়া একটি অ্যামমিটার, একটি ভোল্টমিটার দেয়া হল কোনটি অ্যামমিটার/ভোল্টমিটার বাহির করতে পারবেন? কিভাবে?
18. আর্থিং ও নিউট্রাল কি?
19. কতগুলি রেজিস্টর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলতে পারে মাল্টিমিটার ছাড়া এগুলির মান বের করে দেখান। কি পারবেন না?
20. মাইক্রোকন্ট্রোলার ও মাইক্রোপ্রসেসর এর মধ্যে পার্থক্য কি?
21. AVR কি? এটি কিভাবে কাজ করে সংক্ষেপে বলেন?
22. ৪ টি ১২ ভোল্ট এর ব্যাটারি দিয়ে ২৪ ভোল্ট করতে চাইলে, ডায়াগ্রাম একে দেখান।
23. ফুল চার্জে ব্যাটারির ইলেক্ট্রোলাইট এর স্পেসিফিক গ্রাভিটি কত থাকে?
24. ১ হর্স পাওয়ার সমান কত ওয়াট?
25. সিঙ্গেল ফেজ ভোল্টেজ ২৩০ ভোল্ট হলে কেন লাইন ভোল্টেজ ৪০০ ভোল্ট হয়?
26. ট্রান্সমিশন লাইনে স্যাগের কি প্রভাব?
27. কখন একটি সার্কিটে ইম্পিড্যান্স রেজিস্ট্যান্সের সমান হবে?
28. পোলারিটি আর নন পোলারিটি ক্যাপাসিটরের মধ্যে পার্থক্য কি?
29. একটি ৩-ফেজ মোটরকে রিভার্স ঘুরাবেন কিভাবে?
30. বুখলজ রিলে কেন ব্যবহার করা হয়?
31. ডিফারেন্সিয়াল প্রটেকশন কেন ব্যবহার করা হয়? কোথায় ব্যবহার করা হয়?
32. ট্রান্সফরমার শর্ট সার্কিট প্রটেকশনের জন্য কি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়?
33. কেন নিউট্রাল লাইনে শক লাগেনা?
34. তিন ফেজ মোটর স্টার্ট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টার্ট নেয় না গোঁ গোঁ শব্দ করে, সম্ভাব্য তিনটি কারন বলেন।
35. IEEE কি?
36. সেন্সর ও ট্রান্সডিউসারের মধ্যে পার্থক্য কি?
37. CFL এর পূর্ন নাম কি?
38. AWG/SWG কি?
39. সিঙ্গেল ফেজ মেটর বা ফ্যান চালু করতে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয় কেন?
40. ট্রান্সফরমার এর তেলের নাম কী?
41. একটি ডেল্টা -স্টার সংযুক্ত ট্রান্সফরমারের সেকেন্ডারিতে পাওয়ার, প্রাইমারি থেকে কত গুন কম বা বেশি হবে?
42. ফেজ সিকুয়েন্স কি?
43. ইনভার্টার দ্বারা কি করা হয়?
44. ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স কি মিটার দ্বারা মাপা হয়?
45. ট্রান্সফরমার হামিং কেন হয়?
46. বাসার সকল লোড অফে থাকা সত্বেও মিটার ঘুরে। কোথায় সমস্যা হতে পারে?
47. থ্রি-পিন প্লাগে আর্থ বা গ্রাউন্ড পিনটি বাকী দুইটি পিনের চেয়ে লম্বা থাকে কেন?
48. ট্রান্সফরমারের বারডেন কি?
49. সিস্টেম লস কি?
50. একটি রিলেতে NO/NC বলতে কি বুঝেন?
51. একই কন্ডাক্টরে যথাক্রমে AC ও DC ব্যবস্থায় ভোল্টেজ প্রেরন করলে লাইন রেজিস্ট্যান্স কোনটায় বেশি হবে?
52. IPP কি?
53. বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পাওয়ার প্ল্যান্ট কোনটি?
54. কোল জেনারেশন পাওয়ার প্লান্টে কিভাবে কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়?
55. প্রাইম মুভার কি?
56. ভোল্টেজ কি?
57. ওহমের সূত্রটি বলেন।
58. ট্রানজিয়েট কি?
59. এক্সাইটার কোথায় এবং কেন ব্যবহার করা হয়?
60. মোবাইল চার্জারে AC না DC কোনটি ব্যবহার হয়?
61. AutoCAD 2D & 3D এর কাজ পারেন ?
62.ট্রান্সমিশন লাইনের ভোল্টেজ বেশি হওয়ার বা কম হওয়ার কারন কি?
63. ভোল্টেজ বেশি কম হলে কিভাবে ভোল্টেজ লেভেল ঠিক করা যায়?
64. 400 ভোল্টের জন্য কতো kw  লোড পর্যন্ত পারমিট, 11kV এর জন্য কত kw আর ৩৩kv এর জন্য কত kw লোড পর্যন্ত পারমিট?
65. বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে ব্যবহৃত ইকুইপমেন্ট কি কি?
66. ক্যাপাসিটর ব্যাংক এর কাজ কি?
67. পাশাপাশি ডিস্ট্রিবিউশন ও গ্রিড সাবস্টেশান থাকলে; ডিস্ট্রিবিউশন সাবস্টেশান চেনার উপায় কি?
68. সিস্টেম লস কয়টি?
69. সবচেয়ে ভালো অর্থনৈতিক পাওয়ার ফ্যাক্টরের মানে কি?
70. পাওয়ার ফ্যাক্টরের মান কমে গেলে কি হয়?
71. কনজাম্পশন লস কি?
72. সিস্টেম লস কি?
73. বিলিং লস কি?
74. অকারগরি লস কোথায় বেশি দেখা যায়?
75. পরিবহন লস কিভাবে কমানো যায়?
76. কারিগরি সিস্টেম লস কি কি?
77. কালেকশন লস কি?
78. ভাল সুইচগিয়ারের বৈশিষ্ট্য গুলি কী কী?
79. সুইচগিয়ার কাকে বলে?
80. বৈদ্যুতিক ফল্ট বলতে কী বুঝ?
81. সিমেট্রিকাল ফল্ট কি?
82. আনসিমিট্রিকাল ফল্ট কি?
83. বৈদ্যুতিক সিস্টেমে ফল্ট সংঘটিত হওয়ার কারন কী
84. সাবট্রানজিয়েন্ট কারেন্ট কী?
85. বাসবার কী?
86. সাব-স্টেশন কাকে বলে?
87. পাওয়ার লাইন ক্যারিয়ার (PLC) কি?
88. Q-ফ্যাক্টর কি?
89. লোড ফ্যাক্টর কি?
90. প্লান্ট ফ্যাক্টর কি?
91. ডিমান্ড ফ্যাক্টর কি?
92. ফরম ফ্যাক্টর কি?
93. পিক ফ্যাক্টর কি?
94. স্কিন ইফেক্ট কি?
95. করোনা ইফেক্ট কি?
96. প্রক্সিমিটি ইফেক্ট কি?
97. ফ্যারান্টি ইফেক্ট কি?
98. ডি.সি মোটর কী?
99. ব্যাক ই. এম. এফ কী?
100. টর্ক কাকে বলে?
101. ডি.সি মোটর কত প্রকার ও কী কী?
102. ডি.সি মোটরের গতি নিয়ন্ত্রন করা যায়?
103. ডি.সি মোটরে স্টারটিং কারেন্ট এর মান উচ্চ কেন?
104. ডি.সি মোটর এ স্টারটিং এর বেলায় স্টারটার ব্যাবহার এর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখা কর?
105. অল্টানেটর বলতে কী বুঝ?
106. ভোল্টেজ রেগুলেশন কখন ধনাত্মক হয়?
107. এক্সাইটার কাকে বলে?
108. কয়েল পিচ কী?
109. পাইলট এক্সাইটার বলতে কী বুঝায়?
110. অল্টারনেটর কে সিনক্রোনাস জেনারেটর বলা হয় কেন?
111. নন -স্যালিয়ান্ট পোল রোটর কোথায় ব্যাবহার করা হয়?
112. ফুল পিচ ওয়াইন্ডীং বলতে কী বুঝ?
113. পোল পিচ কী?
114. অল্টারনেটর এর প্রধান লস কোনগুলি?
115. ACCC, ACSR কী?

এছাড়াও পাওয়ার সেক্টর সম্পর্কিত নতুন তথ্য গুলো সংগ্রহ করে পড়তে হবে।

লেখাটির কিছু অংশ অন্য জায়গা থেকে সংগৃহীত করে পরিমার্জিত করা হয়েছে। তাই তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

পরিশেষে বলতে চাই যারা ভাইবা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন এবং উপরে বর্ণিত পড়ার পরিধি যাদের কাছে বোঝা মনে হচ্ছে তাদের জন্য আমার আশার বাণী হলো আপনি কিছু না পড়লেও ভাইবাতে পাশ করবেন যদি মারাত্মক কোনো বেয়াদবি না করেন। কারণ আপনি পারবেন না এমন প্রশ্ন খুব কমই জিজ্ঞাসা করা হবে। কারণ ভাইভায় আপনার নাম- পরিচয় এর বাইরে আপনার একাডেমিক জ্ঞান যাচাই করবে, তবে ভাইবায় ভালো করলে জব পাওয়ার পসিবিলিটি বাড়বে এটা একটা ব্যাপার।

তাই একটু পড়ালেখা করাই ভালো হবে। সর্বোপরি আল্লাহর প্রার্থনা করুন, আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, ইতিবাচকভাবে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করুন জবটা আপনার হবে।দেখবেন ভাইবা আপনার এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে। সবসময় একটা কথা মনে রাখবেন কিছু পাবার চেষ্টা করলে আল্লাহ আপনাকে তা পাইয়ে শুধু থাকতে হবে আপনার ইচ্ছা, একাগ্রতা ও অধ্যবসায়।