বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩

মেয়েদের সাথে কথা বলার ভয় কাটিয়ে তোলার উপায়

মেয়েদের সাথে কথা বলার ভয় কাটিয়ে তোলার উপায়

আসা করি মেয়েদের সাথে কথা বলার ভয়ের কারন গুলি বুঝেছেন। এখন আমরা ভয় কাটানোর উপায় জানবো——


১/ আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলেন

মেয়েদের সাথে কথা বলার সময় নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং তার সাথে কথা বলেন। একদম স্বাভাবিক, যেরকম অন্যদের সাথে বলেন। ঠিক সেভাবে মেয়েটির সাথে বলার চেষ্টা করুন। কথা বলার আগে ভেবে নিন," যা হবে দেখা যাবে, আগে তো বলি।" এভাবে অভ্যাস করতে করতে ১দিন আপনি যেকোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে পারবেন।

২/ চোখে চোখ রেখে কথা বলুন

যে কোনো মেয়ের সাথে কথা বলার সময় তার চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। যার ফলে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে আর মেয়েটি ভাববে আপনার প্রচুর আত্মবিশ্বাস আছে। তাই সে আপনার সাথে কথা বলতে আগ্রহী হবে।

৩/ মুখে হাসি রেখে কথা বলুন

সর্বদা কথা বলার সময় মুখে হাসি রেখে কথা বলুন। কখনো দুঃখীত হয়ে নতুন মেয়ের সাথে কথা বলতে যাবেন না। কারণ আমরা মেয়েরা সর্বদা হাসিখুশি ছেলে পছন্দ করি। যদি আপনি কথা বলার সময় মুখে হাসি রেখে কথা বলেন তবে মেয়েটি আপনার প্রতি আকর্ষিত হবে এবং আপনার প্রতি কথা বলতে আগ্রহী হবে।

ভয় কাটানোর সহজ উপায়

মেয়েদের সাথে কথা বলার ভয় কাটিয়ে তোলার ১টা সহজ উপায় হলো মেয়েটি কোনো ছেলে বন্ধুর সাথে আপনি প্রথমে বন্ধুত্ব করেন এবং ধীরে ধীরে মেয়েটার সম্পর্কে সব কিছু জেনে নিন। সে কি করতে ভালোবাসে, তার পছন্দের জিনিস কি, তার লক্ষ্য কি, সে কেমন বন্ধু পছন্দ করে…… এগুলো আগে জানার চেষ্টা করেন।

তারপর দেখবেন আপনি খুব সহজে নির্দিষ্ট মেয়ের সাথে কথা বলতে পারছেন এবং এর জন্য আপনার কোনো ভয় লাগছে না।

উপসংহার- আশা করি উপরের তথ্য থেকে," মেয়েদের সাথে কথা বলতে ভয় পাই" প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। এখন উপরের কথামতো ভয় কাটানোর উপায়গুলো চর্চা করতে থাকেন। আর ধীরে ধীরে নতুন মেয়েদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন।

মেয়েদের সাথে কথা বলতে ভয় লাগে কেন? এর সমাধান কী?

মেয়েদের সাথে কথা বলতে ভয় পাওয়ার কারণ:


মেয়েদের সাথে কথা বলতে ভয় পাওয়ার বিশেষ কারণ আছে। এসব কারণেই কিছু কিছু ছেলেরা মেয়েদের সাথে কথা বলতে ভয় পায়। আসুন কারণ গুলা জেনে নিই-

১/ কি কথা বলবো?

কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে যাওয়ার আগে সর্বপ্রথম সে মনে মনে ভাবতে থাকে যে, সেখানে গিয়ে তার সাথে কি কথা বলবে, আর ছেলেটি ভেবে পায় না যে সে মেয়েটির সাথে কি কথা বলবে। এই ১টি প্রশ্নের জন্য সে মেয়ের সাথে কথা বলতে ভয় পায়।

২/ মেয়েটি আমার সাথে কথা বলবে?

মেয়েটির সাথে কথা বলার টপিক যদি মাথায় চলেও আসে, তারপরও চিন্তা আসে মেয়েটা কি আমার সাথে কথা বলবে? যদি সে আমাকে ইগনোর করে, তাহলে আমার অনেক অপমান হবে। এটা ভেবেও অনেক সময় ছেলেরা মেয়েদের সাথে কথা বলতে পারেনা।

৩/ খুব বড় পরিবারের মেয়ে

প্রথমে ২টি প্রশ্নের সমাধান হয়ে যাওয়ার পরেও আরেকটা চিন্তা মাথায় আসে। এটি হলো," হতে পারে মেয়েটি বড় লোকের মেয়ে, সে কি আমার সাথে কথা বলবে? "

এখানে ছেলেটি মেয়েটার থেকে অনেক নীচু ভেবে নেয় এবং নেগেটিভ চিন্তাধারার জন্য মেয়েদের সাথে কথা বলতে পারেনা।

৪/ কথা বলতে লজ্জা লাগে

অনেক ছেলে আছে যারা মেয়েদের সাথে কথা বলতে লজ্জা পায়। লজ্জা পাওয়ার কারণ গুলো একেক ছেলের একেক রকম।

৫/ অনেক ছেলে ঘাবড়ে যায়

অনেক ছেলে মেয়েদের সামনে যাওয়া মাত্র আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে এবং ঘাবড়ে যায়। ফলে ছেলেটার মাথা কাজ করে না এবং কি বলবে ভেবে না পেয়ে চুপ করে থাকে। কিছুক্ষণ পরে মেয়েটির কাছ থেকে পালিয়ে যায়😁😁।

রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩

স্তনের ঝুলে পড়া রোধে করণীয় কী?

নারীদের জন্য সবচেয়ে বিব্রতকর একটি সমস্যা হচ্ছে স্তনের আকৃতি নষ্ট হয়ে যাওয়া বা স্তন ঝুলে যাওয়া।বয়স, ওজন, যত্নের অভাব ইত্যাদি কারণগুলোর জন্য মেয়েরা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়।কিছু নিয়ম মেনে চললে ঝুলে যাওয়া স্তনের সঠিক শেইপ ফিরে পেতে পারেন।

(১) ডিমের কুসুম এবং শসার প্যাক
একটি ডিমের কুসুম এবং ৩ টেবিল চামচ শসার রস মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিতে হবে। এই প্যাকটি গোসলের আধা ঘন্টা আগে স্তনের চারপাশে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহ প্রতিদিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলে আপনি নিজেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

(২) সঠিক খাবার
স্তনের সঠিক শেইপ ফিরে পাবার জন্য আপনার প্রতিদিনের খাবারের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ব্রেস্ট টাইট করার জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। তাই আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় দুধ, ডিম এবং ডাল অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করবেন। এছাড়াও খনিজ ভিটামিন এবং ক্যালসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ দরকার যা আপনি বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, গাজর, পটল এবং ব্রকলি জাতীয় খাবার থেকে পেতে পারেন। প্রতিদিন এই খাবারগুলো খেলে ঝুলে যাওয়া স্তনের সঠিক শেইপ ফিরে পাবেন।

(৩) সাঁতার কাটা
প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট সাঁতার কাটুন। এতে আপনার স্তনের পেশি শক্ত হবে এবং সঠিক শেইপ ফিরে আসবে। তাই স্তনের সঠিক শেইপ ফিরে পেতে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট সাঁতার কাটুন।

(৪) বরফ ঘষা বা আইস রাব
এটি করতে আপনার অস্বস্থি লাগতে পারে কিন্তু এটি খুবই কার্যকরী একটি প্রক্রিয়া। কয়েক কিউব বরফ নিন এবং আপনার স্তনের চারপাশে প্রায় ১-২ মিনিটের জন্য বৃত্তাকার গতিতে ম্যাসাজ করুন। এটি আপনার স্তনের পেশী শক্ত করতে এবং এর আশেপাশের সেলুলাইটের সাথে লড়াই করতে সহায়তা করবে। প্রতিদিন নিয়ম করে কেবলমাত্র ১-২ মিনিট এই প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করলে আপনার ঝুলে যাওয়া স্তনের সঠিক শেইপ ফিরে পাবেন।

(৫) ম্যাসাজ করা
প্রতিদিনের ম্যাসাজে আপনার স্তনের পেশীগুলোকে শক্ত করবে। অলিভ ওয়েল কিংবা অ্যালোভেরা জেল দিয়ে প্রতিদিন ৫-৬ মিনিট আপনার স্তনের আশেপাশে ম্যাসাজ করুন। এটি আপনার রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করবে এবং আপনার ঝুলে যাওয়া স্তন ফিরে পাবে সঠিক শেইপ।


(৬) প্রচুর পানি পান
স্তনের সঠিক শেইপ ফিরে পেতে প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ লিটার পানি পান করুন। শরীরে যখন জলের অভাব দেখা দেয় তখন ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। ত্বকের চামড়া ঝুলে যায় এবং কুঁচকানো দেখায়। পানির অভাবে সবথেকে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয় ত্বক এবং স্তন। তাই স্তনের সঠিক শেইপ ফিরে পেতে প্রচুর পানি পান করুন।

(৭) ব্রা সিলেকশন
দীর্ঘক্ষণ ব্রা পড়ে থাকলে স্তনের শেইপ নষ্ট হয়ে যায়। তাই দীর্ঘক্ষণ ব্রা পড়ে থাকবেন না। আবার ব্রা পড়া একেবারেই ত্যাগ করা যাবেনা। দীর্ঘক্ষণ ব্রা পড়া যেমন ক্ষতিকর আবার একেবারে না পড়াও ক্ষতির কারণ। ব্রা সিলেকশনে একটু সচেতন হোন।

(৮) এক্সারসাইজ করুন
কিছু এক্সারসাইজ আছে যা প্রতিদিন করলে আপনার ঝুলে পড়া স্তন সঠিক শেইপ ফিরে পাবে। সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী হলো পুশ-আপ। এছাড়াও চেস্ট প্রেস, ডাম্বল ফ্লাইস, টি-প্লাঙ্কস, এলবো স্কুইজ ইত্যাদির সাহায্যেও ঝুলে পড়া স্তন সঠিক শেইপ ফিরে পাবে। প্রতিদিন নিয়ম করে ১০-১২ বার এই এক্সারসাইজগুলো করলেই হবে।

মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

তুরস্কে ভূমিকম্প: ভারী বৃষ্টি-তুষারপাতে ব্যাহত উদ্ধার কাজ

তুরস্কে ভূমিকম্প: ভারী বৃষ্টি-তুষারপাতে ব্যাহত উদ্ধার কাজ

তুরস্কে ভূমিকম্প: ভারী বৃষ্টি-তুষারপাতে ব্যাহত উদ্ধার কাজ

ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ধ্বংসস্তুপের নীচে আটকা পড়াদের উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

সোমবারের ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়ানোর পথে। আহতের সংখ্যাও ১৫ হাজারের বেশি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নাটকীয়ভাবে মৃতের সংখ্যা ধারনার চেয়েও বেশি বাড়তে পারে।

৭.৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পের পরবর্তী দিনেও অব্যাহত আছে উদ্ধারকাজ। তবে তীব্র শীত ও বৃষ্টির কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।

বিভিন্ন বিশ্ব গণমাধ্যমের খবর বলছে, ধ্বংসস্তুপের নীচ থেকে আটকা পড়াদের সাহায্য আকুতি ও চিৎকার শোনা যাচ্ছে। 

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, অনেকেই বাঁচার আকুতি জানালেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে যেতে পারছে না। দেনিজ নামের ওই বাসিন্দা বলেছেন, ‘তারা বলছে আমাদের বাঁচাও কিন্তু আমরা তাদের বাঁচাতে পারছি না।’

বিদ্যুৎ নেই, সাথে বৃষ্টি ও ঠাণ্ডার কারণে আটকে পড়া অনেককেই উদ্ধার করা সম্ভব নাও হতে পারে বলে শঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

 

তুরস্কে আঘাত হানা ভূমিকম্প ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী: জাতিসংঘ

তুরস্কে আঘাত হানা ভূমিকম্প ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী: জাতিসংঘ

তুরস্কে আঘাত হানা ভূমিকম্প ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী: জাতিসংঘ

সোমবার তুরস্কের স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়

জাতিসংঘ জানিয়েছে, তুরস্কের দক্ষিণ অঞ্চলে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বয়ক কমিটি (ইউএনওসিএইচএ) বলেছে, ১৯৩৯ সালের পর এটা সর্বোচ্চ শক্তিশালী ভূমিকম্প।

এক বিবৃতিতে ইউএনওসিএইচএ বলেছে, মানবিক সহায়তার জন্য বিশ্বস্বাস্থ্যসহ কয়েকটি সংস্থার অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। জাতিসংঘসহ অংশীদারেরা সরেজমিনে পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং পীড়িত অঞ্চলে জরুরি তহবিলের বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে।

সোমবার তুরস্কের স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্র। ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। ভূমিকম্পের পর অর্ধশতাধিক পরাঘাত (আফটারশক) হয়।

সর্বশেষ তথ্যানুসারে,  ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৪৯শ জন হয়েছে।

তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সংস্থার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার জানানো হয়, দেশটিতে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৯২১ জন। আহত ১৫ হাজার ৮৩৪ জন।

অন্যদিকে, সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪৪৪ জনের নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। আহত ৩ হাজার ৪১১ জন।

তুরস্কে এখন পর্যন্ত ১০০টি আফটারশক রেকর্ড

তুরস্কে এখন পর্যন্ত ১০০টি আফটারশক রেকর্ড

তুরস্কে এখন পর্যন্ত ১০০টি আফটারশক রেকর্ড: সিএনএন

সংগৃহীত ছবি

তুরস্কে শক্তিশালী ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত ১০০টি আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে। এসব আফটারশকের মাত্রা ছিল ৪ বা তার বেশি।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) এর তথ্যানুসারে, স্থানীয় সময় সোমবার সকালে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর থেকে ৪.০ বা তার বেশি মাত্রার অন্তত ১০০টি আফটারশক হয়েছে।

মূল ভূমিকম্পের সময় যত বাড়ে, আফটারশকের ফ্রিকোয়েন্সি এবং তীব্রতাও কমতে থাকে। তবে ৫ থেকে ৬ প্লাস মাত্রার আফটারশক এখনও ঘটতে পারে এবং মূল ভূমিকম্পের সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। আফটারশকগুলো উদ্ধারকারী দল এবং ধ্বংসস্তুপে আটকা পড়া জীবিতদের জন্য একটি ক্রমাগত হুমকির কারণ হয়ে থাকে।

রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চার হাজার ৩৭২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শুধু তুরস্কেই মারা গেছে দুই হাজার ৯২১ জন। আর আহত হয়েছে ১৫ হাজার ৮৩৪ জন। তুরস্কের দুর্যোগ সেবা বিভাগের প্রধান ইউনুস সেজের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে, একই ঘটনায় প্রতিবেশী সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪১ জনে। দেশটিতে আহত হয়েছে তিন হাজার ৫৩১ জন।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাস প্রদেশে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিগত একশ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে তুরস্কে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প এটি।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্যানুযায়ী, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮ এবং এর উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ২৪.১ কিলোমিটার গভীরে।

তবে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৪ এবং উৎপত্তিস্থল ছিল পাজারচিক জেলায়। এটি ঘটে ৭ কিলোমিটার গভীরে।

আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিয়ারবাকির ও গাজিয়ানটেপসহ অন্যান্য দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশ এবং লেবানন ও সিরিয়া, সাইপ্রাসসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতেও এই ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরে আফটারশকগুলো কয়েক ঘণ্টা এবং এমনকি কয়েক দিনও অব্যাহত থাকতে পারে।

Earthquake ruins Turkey Syria

Earthquake ruins Turkey Syria

2600 bodies were recovered, 8000 were injured, many were buried


Earthquake ruins Turkey Syria

Rescue operations from collapsed buildings in the Syrian town of Jandaris - AFP

After almost 84 years, a terrible earthquake has struck the Middle Eastern countries of Turkey and Syria. Yesterday morning, the first phase of the 7.8 magnitude earthquake started in the Turkish city of Gaziantep on the Syrian border. After 12 hours, Turkey was shaken by another earthquake. According to the latest reports, the duration of the first earthquake was 40 seconds. At least more than two and a half thousand buildings and structures collapsed instantly in the earthquake. The Turkish city was destroyed. Sleeping people were buried under the collapsed buildings. According to reports till evening, 2600 dead bodies have been recovered from the rubble. More than 8 thousand people were rescued in serious condition. Most of the casualties occurred in Turkey. President Md. Abdul Hamid and Prime Minister Sheikh Hasina expressed grief over the incident. Sources: BBC, Reuters, CNN, The Guardian, Al Jazeera. According to reports, The first earthquake occurred yesterday at 4:17 am local time. The epicenter of the earthquake was in the Turkish city of Gaziantep on the border with Syria. The magnitude of the earthquake was 7.8 on the Richter scale. After almost 84 years, Turkey was shaken by such a strong earthquake. Later in the afternoon, another 7.5 magnitude earthquake hit the same area. All in all, the situation is dire. Bad weather is hampering rescue operations. The weather forecast says that there is a risk of heavy rain in the earthquake affected areas of Turkey. And the temperature may drop to 3-4 degrees. Meanwhile, Turkey's Vice President Fuat Oktay said that at least 1,718 buildings collapsed in Turkey due to the 7.8-magnitude earthquake. He said, Many people are trapped in the rubble. Moreover, more than 900 buildings have collapsed in Gaziantep and Kahramanmaras provinces of Turkey. In the meantime, Syrian President Bashar al-Assad held an urgent meeting with the cabinet members regarding the damage and the necessary measures. At least 900 people were killed in the quake in government-controlled areas of the country, according to Syrian state television. Another 1500 people were injured. These areas include Aleppo, Hama, Cities like Latakia and Tartus. In addition, at least 147 people were killed and more than 340 injured in the earthquake in rebel-held areas of Syria. Many families are still trapped under the rubble. So the number of casualties could be more. A second earthquake struck southeastern Turkey. The epicenter of this earthquake was near the city of Kharmanmaras. The latest earthquake was also felt in Damascus. However, details of the damage were not immediately available. According to the news, thousands of people are buried under the rubble. Rescuers continue to search through the rubble of the collapsed building. 45 countries, including Western military alliance NATO, European Union, have offered cooperation to Turkey.

Buildings collapsed in Turkey's Adana area and turned into rubble, crying with dead bodies -AFP

The death toll is increasing suddenly : More than 1,200 people died in the earthquake that hit Turkey and Syria. On the other hand, thousands have died in Syria. The tremors of the earthquake lasting 40 seconds also reached Lebanon and Cyprus. This is the strongest earthquake in Turkey since 1999. According to reports, the bodies of the injured are coming out of the rubble. For this reason, it is assumed that this number can increase a lot. The number of casualties in both countries is increasing. Turkish President Recep Tayyip Erdogan called the incident the biggest disaster in Turkey in the last 84 years. According to Erdogan, about 3,000 houses were destroyed in the earthquake in Turkey. Many people are still trapped under the rubble.

মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৩

কিছু অবাক করা সাইকোলজিক্যাল হ্যাক কী?

কিছু অবাক করা সাইকোলজিক্যাল হ্যাক কী?

01. আপনাকে কেউ কিছু প্রশ্ন করছে, অথচ আপনি কিছুই বুঝতে পারলেন না, তাহলে আপনি এক কাজ করুন, আপনি কোনো কথা না বলে, তার চোখের দিকে, যতক্ষণ পর্যন্ত তার কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা না যায় ততক্ষণ পর্যন্ত, তাকিয়ে থাকুন। এরফলে সেই ব্যক্তি আপনাকে সেই প্রশ্নটি আরও বিস্তারিত ভাবে বলবে, অথবা সেটি স্কিপ করবে।

02. আপনার উপড়ে কেউ রাগ করেছে? না কোনো কথা বাড়াবেন না আর। একদম চুপচাপ থাকুন। এরফলে সেই ব্যক্তি আরও রেগে যাবে ঠিকই, কিন্তু কিছুক্ষণ পর সে নিজেই খুব লজ্জা পাবে।

03. কোনো মানুষকে গিফট দেওয়ার সময় আমরা প্রথমেই তাকে বলে ফেলি যে, আমি তোমার জন্য একটি বিশেষ গিফট নিয়ে এসেছি, কিন্তু পরবর্তীতে যখন সে গিফট টি দেখে তখন সে আর সেরকম সন্তুষ্ট হয়না। কারণ আপনি আগেই তাকে বলে ফেলেছেন আপনি তার জন্য একটি বিশেষ গিফট নিয়ে এসেছেন, তাই তার মন আগে থেকেই বড় কিছু পাওয়ার আশায় প্রস্তুত হয়ে থাকছে, তাই সে আর বিশেষ খুশি হয়না। কিন্তু এর পরিবর্তে আপনি যদি বলেন, আমি তোমার জন্য একটি অতি সাধারণ গিফট নিয়ে এসেছি। কিন্তু পড়ে যখন আপনি তাকে গিফট দিবেন, দেখবেন সে গিফট দেখে অনেক খুশি হবে, কারণ আপনি তাকে বলেছেন অতি সাধারণ গিফট দেবেন। তাই তার মন কোনো অতি সাধারণ জিনিসের কথা ভাবে। কিন্তু পড়ে যখন আপনি তাকে গিফট দিবেন, দেখবেন গিফট যেরকমই হোকনা কেন সে অনেক খুশি হবে

04. কেউ আপনার সাথে কথা বলেই যাচ্ছে, থামার কোনো লক্ষণ নেই, অথচ আপনি আর তার কথা শুনতে চান না, তাহলে এক কাজ করুন, আপনার হাঁতে (কলম,পেন্সিল, চাবি) বা কাছে যা আছে তা মাটিতে ফেলে দিন, এরপর ঝুঁকে সেটিকে তুলে নিন, দেখবেন কিছুক্ষণের জন্য সেই ব্যক্তি থেমে যাবে, এরপর সে আর আগের মত কথা বলার পরিস্থিতিতে থাকবে না, তার কথা অনেকটা ছোট হয়ে যাবে। বিশ্বাস না হলে আজই করে দেখুন।

05. কেউ আপনার কাছে সাহায্য চাইলে তাকে যথাসাধ্য সাহায্য করুন। এরফলে সেই ব্যক্তি আপনার উপর ভরসা বাড়াবে, এবং পরবর্তীতে আপনাকেও সে সাহায্য করার রাস্তা খুজবে, যার ফলে আখেরে লাভ কিন্তু আপনারই। তবে স্থান-কাল-পাত্র বুঝেই সাহায্য করুন।

06. কেউ আপনাকে পছন্দ করে কিনা জানতে চান, তাহলে আপনাকে একটি জিনিস লক্ষ্য করতে হবে, যখন কয়েকজন একসাথে থাকবে তখন যদি কোনো কারণে সবাই একসাথে হাঁসে, সেইসময় আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে কে, হাঁসতে হাঁসতে কয়েক সেকেন্ডের জন্য হলেও আপনার দিকে দেখছে। যে ব্যক্তি আপনাকে দেখছে সে আসলে আপনাকে অনেকটাই পছন্দ করে।

এভাবে আপনি কে কাকে পছন্দ করে সেটিও যাচাই করতে পাড়বেন, এক্ষেত্রে হাসার সময় সেই মানুষ দুটি একে-অপরের দিকে দেখবে।

07. যদি কেউ আপনার দিকে দেখছে, তাহলে আপনি আশেপাশের দেওয়ালে লাগানো ঘড়ি বা আপনার হাত ঘড়িটির দিকে যদি তাকান, আপনি দেখবেন যে, সেই ব্যক্তিটিও সেই দেওয়াল ঘড়িটির দিকে দেখছে, অথবা তার হাত ঘড়ির দিকে দেখছে।

08. বাজারে গেছেন, জিনিসপত্রের দর কষাকষি করছেন? এখানে আমরা বেশিরভাগ জনই বিশেষ ভুল করে ফেলি, আমরা সরাসরি দোকানদারকে বলে ফেলি, আরেকটু দাম কমান না। কিন্তু এখানেই আমরা ভুল করে বসি, আমরা এখানে একটি নেতিবাচক শব্দ ‘না’ ব্যবহার করে ফেলি, আর মানুষ এই শব্দ শুনতে খুব একটা স্বচ্ছন্দ নয়। যার ফলে দোকানী সরাসরি বলে দেয় ‘না আর কম করা যাবে না।‘ এর পরিবর্তে আপনি যদি বলেন- “আপনি আরেকটু কমাতে পাড়বেন।“ অথবা “আমি আশা করছি আপনি হয়ত আরেকটু কমাবেন।“ আর গলার স্বর হবে একটু কোমল। যার ফলে সেই দোকানীর মনে একটি ইতিবাচক সাড়া পড়বে। অর্থাৎ মুখে সবসময় পজিটিভ ভাব রাখার চেষ্টা করুন।

09. রাস্তায় কয়েকজন বা দুইজন একসাথে চলছেন, কিন্তু আপনার কাছে থাকা ব্যাগটা তাদের কিছু সময়ের জন্য ধরতে বলবেন অথচ বলতে পাড়ছেন না, কারণ যদি ব্যাগ ধরতে না চায়! তাহলে গল্প শুরু করুন, গল্প বলতে বলতে আপনার ব্যাগ কোনো কথা না বলে তাদের হাঁতে দিয়ে দিন, দেখবেন অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারাও কোনো কথা না বলে আপনার ব্যাগটি ধরে নিবে।

10. এরকম অনেক মানুষ আছেন, যারা আপনার ড্রেস বা জুতো বা ঘড়ি দেখেই সেগুলির সম্পর্কে জানতে চান, কিন্তু আপনি সেগুলোর ব্যাপারে বিশেষ মত প্রকাশ করতে চাননা। এক্ষেত্রে আপনি divert psychology trick ব্যবহার করতে পাড়েন। আপনাকে এরকম প্রশ্ন কেউ করলে আপনি উল্টে তাকে বলুন, “বাঃ তোমার ঘড়ি টা তো দারুন”, অথবা “এই ড্রেসে তোমাকে দারুন লাগছে”, “বাঃ তোমাকে আজ অনেক কিউট লাগছে” ইত্যাদি ইত্যাদি। এরফলে দেখবেন সেই ব্যক্তিটি নিজের প্রশংসা শুনে আপনাকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা প্রশ্ন গুলি নিমেষেই ভুলে যাবে।

11. কেউ কথা বলার সময় সত্য বলছে কি না মিথ্যে তা যাচাই করার জন্য, আপনাকে সেই বক্তার হাতের দিকে নজর দিতে হবে। যদি দেখেন যে, কথা বলার সময় সে তার হাত অনেক নাড়াচ্ছে, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে, সে যা বলছে তা সত্য বা অনেকটাই সত্য। কিন্তু যদি দেখেন সে হাত নাড়াচ্ছে না তাহলে আপনি ধরে নিতে পাড়েন যে সে যা বলছে তা মিথ্যে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

12. অনেক সময় দেখা যায়, কোনো মিটিং বা কয়েকজন বন্ধু মিলে যখন গল্প করছেন, তখন আপনার দিকে বক্তা কিছুতেই দেখছে না, অথচ আপনি চান বক্তা আপনার দিকে দেখুক। এরজন্য আপনি যে সাইকোলজি ট্রিকটি অনুসরণ করবেন সেটি অনেকটা এরকম- আপনি বক্তার কথার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাথা নাড়ান, দেখবেন কিছুক্ষণ পর বক্তা আপনার দিকেই দেখবে, কারণ বক্তা ভাববে আপনি তার কথা একদম গুরুত্ব সহকারে শুনছেন।

13. একজন মানুষ তখনই সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় লাগে যখন সে তার নিজের প্যাশন বা নিজের ভালো লাগার বিষয়ে বলতে থাকে, আর কোনো মানুষের আসল সৌন্দর্য দেখার এটাই হল শ্রেষ্ঠ সময়।

14. অনেক মানুষের সামনে কথা বলতে গেলে কথা আঁটকে যায়? অথচ আপনি সেই আলোচ্য বিষয়ে খুব ভালো জানেন, কিন্তু বলতে পাড়ছেন না? তাহলে এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনাকে প্রতিদিন কিছুটা সময় নতুন নতুন কোনো লেখা পড়ার দিকে দিতে হবে, তারপর নিজের মন থেকে গল্প বা কবিতা অথবা ক্রিয়েটিভ কিছু লেখার চেষ্টা করুন এরফলে আপনার শব্দের জোগান ভালো থাকবে, আর অনর্গল কথা বলার জন্য আপনাকে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলা প্র্যাকটিস করতে হবে। কিছুদিন প্র্যাকটিস করুন, পরিবর্তন নিজেই বুঝতে পাড়বেন।

স্তনের ঝুলে পড়া রোধে করণীয় কী?



শারীরিক গঠন ফিট না থাকলে মন খারাপ হতেই পারে। নারীর ক্ষেত্রে এই মন খারাপের কারণ হতে পারে স্তন ঝুলে যাওয়া নিয়ে। অল্প বয়সেই অনেক নারীর স্তন ঝুলে যাওয়ার সমস্যায় পড়তে হয়। এর অনেকগুলো কারণও আছে। তবে কারণ ও সমাধান জানা থাকলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।



স্তন ঝুলে যাওয়ার কারণ:শরীরের গঠনের তারতম্যের কারণে স্তন ঝুলে যেতে পারে। শরীর মোটা থেকে চিকন বা চিকন থেকে মোটা হওয়ার কারণে স্তন ঝুলে যেতে পারে। অনেক সময় অতিরিক্ত ব্যয়ামও স্তন ঝুলে যাওয়ার একটি কারণ।

সন্তান জন্মদানের কারণে অর্থাৎ প্রসূতিকালীন স্তনের আকার বড় হয়ে যাওয়ার কারণে স্তন ঝুলে যায়। আবার স্তন অতিরিক্ত বড় ও ভারী হওয়ার কারণেও ঝুলে যেতে পারে।

বয়সের কারণে স্বাভাবিকভাবেই স্তন ঝুলে যায়। অপ্রতুল স্তন-সার্পোটের কারণেও স্তন ঝুলে যায়। ধূমপানের চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা দুর্বল করে দেয় যা স্তন ঝুলে যেতে সাহায্য করে।

মেডিসিন:-

1)

ডোজ:-10 ফোটা 1/2 কাপ জলসহ। (কাঁচের গ্লাস /চিনামাটির কাপে খাবেন) দিনে দুইবার । (3–6 মাস )

ব্যাহিক প্রয়োগ :- নারকেল তেল পরিমান মতো + sabal serrulata-Q পরিমান মতো (নারকেল তেল 20 ড্রপ + মেডিসিন 10 ড্রপ)।

=} রাত্রে ব্রেস্টে মালিশ করে , টাইট ড্রেস পরে ঘুমাতে হবে।

—————————————————————————————

2)

ডোজ:- দুই চামচ করে দিনে তিনবার। (6 মাস)

সকালে দুটো ডিম সেদ্ধ খেতে হবে।

—————————————————————————

যদি ঝুলে গিয়েই থাকে, তাহল তাকে ফিট রাখার উপায়ও আছে। জেনে নিন কয়েকটি উপায়:

সঠিক ব্রা ব্যবহার: আপনি অবশ্যই এমন ব্রা পরুন যা আপনার স্তনকে সম্পুর্ন সাপোর্ট দেয়। লক্ষ রাখতে হবে আপনার ব্রা অবশ্যই আপনার সাথে সাবলীল ভাবে চলতে পারে- অর্থাৎ চলার সময় আপনার ব্রা লেইস যেন কাঁধ থেকে খসে না পড়ে অথবা বন্ধনি অতিরিক্ত টাইট কিংবা অতিরিক্ত লুজ না হয়। যখন ব্রা সাইজ নেবার জন্য মাপতে যাবেন, অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আপনার পুরাতন ব্রা পরনে থাকতে হবে এবং সে অবস্থায় স্তনের ঠিক নিচে মাপ নিচ্ছেন। এছাড়া কিছু ব্যায়ামও করতে পারেন-

মেডিসিন বল স্ল্যাম: দু’হাতে একটা মেডিসিন বলকে ধরুন। মাথার ওপরে বলটা ধরে তুলুন। হাঁটু সামান্য ভাঁজ করতে পারেন। এবার বলটাকে যত জোরে সম্ভব মাটিতে আছড়ে ফেলুন। আবার তুলে তিনটে সেটে করে মোট তিনবার করুন। আপনি বলটাকে যখন মাটিতে আছড়ে ফেলবেন,তখনই কিন্তু আপনার বুকের ব্যায়াম হয়। যত জোরে আছড়ে ফেলবেন,ততই বেশি আপনার পেশী কাজ করবে। তাই বুকের পেশীকে টোন করতে এই ব্যায়ামটা করেই ফেলুন নিয়ম করে।

পুশ আপস: ঝুলে যাওয়া স্তনকে আবার তার টোনড শেপে ফিরিয়ে আনতে পুশ আপস কিন্তু বেশ কার্যকরী। উপুড় হয়ে সোজা হয়ে শোন। হাত দুটো বগলের পাশে ভাঁজ করে রাখুন। পেটটা টান করে রাখবেন। এবার হাতের ওপর ভর দিয়ে পুশ আপস করুন। যতবার পারেন,ততবারই করবেন। নিয়ম করে করুন। আপনার স্তনকে টোনড করতে শুধু নয়, কাঁধের পেশীকে শক্তিশালী করতেও এই পুশ আপস দারুণ কাজ দেয়।বাড়িতে বসে খুব সহজেই করতে পারবেন।

ট্রাইসেপ ডিপস: একটা বেঞ্চে বসে হাত দুটো আপনার পাশে রাখুন। পা ছড়িয়ে টান করে রাখুন। এবার হাতদুটো আগের জায়গাতেই রেখে বেঞ্চ থেকে নিজেকে তুলুন। আস্তে আস্তে কনুই ভাঁজ করে নিজেকে মেঝের কাছে নিয়ে যান। এভাবে যতক্ষণ পারবেন করুন। আস্তে আস্তে সময় বাড়াবেন। এভাবে নিয়মিত করবেন। এই ব্যায়াম আপনার ট্রাইসেপের ওপর জোর দিলেও বুকের পেশী আর হাতের মাসলকেও কিন্তু টোনড রাখতে সাহায্য করে। আর বাড়িতে করাও খুব সোজা।

ডাম্বেল ফ্লাইস: সোজা হয়ে শুয়ে পরুন। এবার হাতদুটোকে কনুই ভাঁজ করে বুকের কাছে এনে রাখুন। দু’হাতে দুটো ডাম্বেল যেন থাকে। বেশি ওজন তোলার দরকার নেই। হাঁটু ভাঁজ করে রাখবেন। এবার হাতদুটো ছড়িয়ে সোজা করে আস্তে করে খুলুন। আবার আগের ভাঁজ করা অবস্থায় আনুন। এভাবে যতক্ষণ পারবেন করুন। বুকের পেশীকে টান করে ঝোলা স্তনকে নিজের শেপে ফিরিয়ে আনতে এই ব্যায়াম ট্রাই করুন।

মেডিসিন বল পুশ আপস: পুশ আপ পোজিশনে শোন। তবে এবার মাটিতে হাত রাখার বদলে হাত দুটো একটা মেডিসিন বলের ওপরে রাখুন। এবার পুশ আপ করতে শুরু করুন। একটা হাত মাটিতে আর একটা হাত বলের ওপরে আধা মিটার দূরত্বে রেখে পুশ আপ করুন। ১০-২০ বার করে তিনটি বা চারটি সেটে কমপ্লিট করুন। নিয়ম করে করবেন। ঝুলে যাওয়া স্তনকে টোনড অ্যান্ড ফিট করার জন্য এটি পারফেক্ট ব্যায়াম। আর ঘরে বসেই সহজে করতে পারবেন। তাহলে এবার দেরি না করে আজ থেকেই শুরু করুন নিজেকে পারফেক্ট শেপে ফিরিয়ে আনার অভিযান।

জাপানে স্থায়ী হওয়া কতটা যুক্তিসংগত

জাপানে স্থায়ী হওয়া কতটা যুক্তিসংগত

(ভাল বা খারাপদিক বা কী কী বিষয়ে চিন্তা করা লাগবে স্থায়ী হওয়ার আগে)

প্রথমেই ধন্যবাদ ৮৯৯+ আপভোটের জন্য

আমার মামা জাপানে ৬ বছর বসবাসরত, আমিও ২ বছর আগে জাপানে গিয়েছিলাম। শীঘ্রই গোটা পরিবার নিয়ে সেখানে বাস করবো। আমার মামার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতার বিচারে জাপানে স্থায়ী হওয়া যুক্তিসংগত ; ভালো ও খারাপ দিক বিচার করে।

চরম সত্য ভালো দিকঃ ( আমার বিচারে)

  • গোটা  বছরে কোনো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম একবারও বাড়ে নি।
  • ৯৯% দুর্নীতিমুক্ত, এ জন্যই তো ওখানে ১৬ বছরের অধিক হলে ছাত্র-ছাত্রীরা কাজ করতে পারে। কাজের জন্য আজীবন ঘুরতে হয় না। আপনি কোনো রেসটুরেন্টে গেলে দেখবেন যে অনেক ভদ্র, কম বয়সী, সুন্দরী মেয়ে আপনাকে সার্ভ করছেন। ওরা আসলে কোনো না কোনো স্কুল —কলেজের শিক্ষার্থী। এটা ওদের পার্ট টাইম জব।
  • আমার কাছে সবচেয়ে পছন্দের জিনিস হচ্ছে, রাস্তাঘাট বিশেষ করে যখন বৃষ্টি পড়ে তখন ইহা যেন আয়না হয়ে আপনার কাছে ধরা দেয়। এতো পরিষ্কার, এতো স্বচ্ছ। আবহাওয়া এতো সুন্দর! প্রকৃতি এতো সুন্দর বলার বাহিরে! নদী এতো পরিষ্কার। প্রকৃতিপ্রেমীকরাই উপভোগ করতে পারবে।
  • সাম্যতা সব জায়গায়। যাই কাজ করুন না কেন কেউ অসম্মান করবে না। আপনাকে জিজ্ঞেসাও করবে না আপনার চাকরি। বিয়ের সময় মেয়ের অভিভাবকই যদি এ প্রশ্ন জিজ্ঞেস না করে, আর কে করবে? যে ব্যক্তিকে আপনি আজকে স্যার বললেন ওই ব্যক্তিই কোনো না কোনো ক্ষেত্রে আপনাকে স্যার বলবে।
  • একটা পুলিশও সরকারি টাকা বাদে কোনো টাকা নেই না। অদ্ভুত বিষয়! তারা যদি একটু গোপন রাখতো তাহলেই কিন্তু তারা সুদ, ঘোষ নিতে পারে। কিন্তু কেন জানি কেউ করে না, একজনও না।
  • আমার মামার দীর্ঘ ৬ বছরে তিনি ১৪ বার গাড়ির হর্ন শুনেছেন টোকিওর মতো ব্যস্ত শহরে। পাখির গুনগুনানি শুনেছেন ৬ বছর প্রত্যেক ভোরে।
  • অপরাধমুক্ত নয়, কিন্তু উল্লেখযোগ্য কম অপরাধ। জাপানের পত্রিকায় অপরাধের স্থান মাসে বড়জোর একবার মেলে। আর বাংলাদেশের....
  • আপনি কাউকে চর দিলেও কেউ খামাখা তার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আপনার সাথে তর্ক করবে না
  • নীরব দেশ। সব জায়গায় চুপচাপ। কেউ আপনাকে এসে বাধা দিবে না, কেউ আপনার কাছে এসে কথা পাড়ি দিবে না।
  • খুব শৃঙ্খল জাতি
  • পোশাক, রঙ, সবকিছুর স্বাধীনতা, যখন ইচ্ছা রাস্তা থেকে বের হয়ে খেলতে পারবেন। যা ইচ্ছা করেন কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, এতে যেন অপরের অধিকার হস্তক্ষেপ না হয়। বাংলাদেশে এমন স্বাধীনতা দিলেই রাস্তা হয়ে উঠবে চোর, ডাকাত, নগ্ন নারির বাসস্থান।
  • শুধু বিনয়, বিনয় আর বিনয়।
  • ওই সমাজে পুরুষ নারীদের পিছনে দৌড়ায় না, নারী দৌড়ায় পুরুষের পিছনে। তার জন্যই না ঘটে ধর্ষণ, না ঘটে নারী নির্যাতন। বিয়ের প্রস্তাবও দেয় মেয়ের পক্ষ থেকে।
  • সব কিছু অনেক কিউট।

চরম সত্য মন্দ দিকগুলো

  • লিখিত নিয়মের চেয়ে অলিখিত নিয়ম অনেক বেশি। অর্থাৎ যে নিয়ম ভাংলে আপনাকে আইনি ভাবে শাস্তি দেয়া হবে না কিন্তু সমাজ থেকে পাবেন তীব্র নিন্দা। ( যেমন- পাবলিক ট্রান্সপোর্টে কথা না বলা, রাস্তায় কোনো কিছু না ফেলা, উচ্চস্বরে না হাসা, প্রাণখুলে কথা না বলা)
  • চাকরি জীবনে আপনাকে গোটা সময় চাকরির কাজেই থাকতে হবে। বউ-বাচ্চার খোঁজখবর নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। সকাল ভোরে উঠে কাজে যাওয়া আর রাত ৯-১০ টায় ক্লান্ত শরীর নিয়ে আসে। এজন্যই তো ওই দেশে ডিভোর্সের সংখ্যা অনেক বেশি। যেমন- ওই দেশের একজন ইংলিশ শিক্ষকের মাসিক বেতন ৩-৬ লাখ কাজ করতে হবে ১৪-১৮ ঘণ্টা । যেখানে অন্যান্য উন্নত রাষ্ট্রের বেতন প্রায় দ্বিগুণ এবং কাজঘণ্টাও কম।
  • আপনি যত বছরই থাকেন না কেন, তাদের সংস্কৃতিতে আপনি আজীবন ভিনগ্রহী থাকবেন।
  • তাদের কাছে তাদের জাতিই বেস্ট। বাকিরা যেন বৈরাগী। তাদের বাহ্যিক আচরণে তা বোঝা যায় না, কিন্তু এটা শুধু আপনি অনুভবই করতে পারবেন।

বাস, আরো কিছু বলার ছিল লেখার পরিধি অনেক বড় হয়ে গেছে। তাই আর বললাম না, মেইন পয়েন্টগুলা বলে দিলাম।

২০২৬ বিশ্বকাপ হোস্ট করার জন্য আমেরিকার ১০ টি স্টেডিয়াম

 ২০২৬ বিশ্বকাপ হোস্ট করার জন্য আমেরিকার ১০ টি স্টেডিয়াম