শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩

পুরুষ বহু স্ত্রী নিয়ে বসবাস করলেও নারী কেন বহু স্বামী নিয়ে বাস করতে পারেনা? এটা আল্লাহর কেমন বিধান? আল্লাহ তাহলে নারী জাতির সাথে অন্যায় করছেন কি?

সুন্দর প্রশ্ন! এটার উত্তর জানার জন্য যেতে হবে রাশিয়া নামক একটা দেশে।

রাশিয়া পুরুষ স্বল্পতার অনেক কারণ রয়েছে।যথাঃ👇

১।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিপুল সংখ্যক রাশিয়ান পুরুষের মৃত্যু ও সেসময় থেকে চলে আসা ভারসাম্যহীনতা।

২।রাশিয়ানদের নিম্নজন্মহার

৩।সমাজব্যবস্থায় নারী পুরুষকে সমান গুরুত্ব দেয়া

৪।নারীদের দীর্ঘায়ু ও অধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

৫।মদ্যপানের জন্য বিপুল সংখ্যক পুরুষের মৃত্যু।

শুধুমাত্র রাশিয়া নয় সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিটি সাবেক রাষ্ট্রেই নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় বেশি।

সৌদি আরব,ওমান,দুবাইয়ে পুরুষাধিক্যের কারণ প্রবাসী শ্রমিক।

https://www.washingtonpost.com/news/worldviews/wp/2015/08/19/see-where-women-outnumber-men-around-the-world-and-why/
Russia is suffering from shortage of men for over a century - Good Times
In many parts of the world, men still dominate the population compared to women. However, the same cannot be said for Russia where women outnumber men by 10 million! According to the 2018 Russian Federal State Statistics Service (Rosstat), there are about 78.8 million of women in Russia compared to men whose population is millions […]
In Russia, Men Die Young, Leaving Women With Bad Choices
In Russia, Men Die Young, Leaving Women With Bad Choices - PassBlue
Why are there so many more women in Russia than men?
For a long time now the number of women in Russia has far outweighed that of men. What is behind this demographic phenomenon?
Redirect Notice

এখন এই অতিরিক্ত নারীদের কি করবেন?

এখন প্রশ্ন থাকতে পারে সার্বিকভাবে নারীদের সংখ্যা তো পুরুষদের তুলনায় কম।হ্যাঁ বিষয়টি সত্যি।কিন্তু মানবসভ্যতার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত নারীর সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় বেশি ছিলো।এর পিছনে কারণে বিভিন্ন সংঘাত ও জীবিকার প্রয়োজনে পুরুষদের বাইরে প্রতিকূল পরিবেশে মৃত্যু ও নারীদের অধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।স্বাভাবিকভাবেই নারীরা সন্তান লালন পালনের জন্য ঘরে থাকতো বলে তাদের মৃত্যুহার কম ছিলো।

উদাহরণ হিসেবে বর্তমান সিরিয়াকেই দেখুন।চলমান যুদ্ধে বিপুল সংখ্যক পুরুষ মারা যাওয়ায় নারীর সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশি হয়ে গেসে।

Syria's 'era of women': War leaves streets empty of men
After seven years of conflict, women heavily outnumber men in Syria, bringing sadness and opportunity to those who remain

আফ্রিকার দেশ ইরিত্রিয়াতেও যুদ্ধে প্রচুর পুরুষ মারা যাওয়ায় পুরুষদের বহুবিবাহকে বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে পুরুষ সংকটের কারণে👇

Redirect Notice

ইরিত্রিয়ায় প্রতিটি পুরুষকে দুইটি নারীকে বিয়ে করা বাধ্যতামূলক।

কিন্তু বর্তমানে নারীদের সংখ্যা কমলো কিভাবে?

উত্তর হচ্ছে ভ্রুণহত্যার মতো মহান টেকনোলজির আবিষ্কার ও প্রাচ্যের মানুষদের মহান মানসিকতা।

ভারতের জনসংখ্যা ১৩৫ কোটি,চীনের ১৪৫ কোটি,বাংলাদেশের ১৬ কোটি আর পাকিস্তানের ২১ কোটি।সর্বোমোট ৭৫০ কোটি জনসংখ্যার ৩৫০ কোটি মানুষই চারটা দেশে বাস করে।আর এই চারটা দেশেই নারীর তুলনায় পুরুষকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়।

এমন কত দম্পতি আছে বাংলাদেশে ১টা পুত্র সন্তানের জন্য ৪-৫টা কন্যাসন্তান জন্ম দিয়ে ফেলে।

আর ভারতের ভ্রুণহত্যা বন্ধে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে "বেটি বাচাও" কর্মসূচি নিতে হয়েছে পরিস্থিতি এতোটাই বাজে।

চীনে এক সন্তান নীতির জন্য সবাই পুত্র সন্তান নিতে মারিয়া।হুমায়ুন আহমেদ চীনে ঘুরতে গেলে তাদের দলে এক পুত্র শিশু আরেক কন্যা শিশু ছিলো,কিন্তু সবাই ব্যস্ত পুত্র শিশুকে কোলে নিতে।আর কন্যা শিশুকে যেন কেউ দেখলোই না।চীনে একটি সন্তান যেন পুত্র হয় তাই তারা মেয়ে হলে গর্ভপাত করে পুত্র সন্তানের জন্য চেষ্টা করে।ফলাফল চীনে চার কোটি ছেলে বেশি নারীর তুলনায়,যা বিয়ের ক্ষেত্রে ব্যপক সমস্যার সৃষ্টি করছে।

বর্তমান সময় বাদ দিলে সমগ্র মানবজাতির ইতিহাসেই নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় বেশি ছিলো।কারণ👇

১।বিভিন্ন যুদ্ধে পুরুষের মৃত্যু

২।ব্যবসা,যাতায়াত শিকার ও ভ্রমণে প্রতিকূল পরিবেশে পুরুষের মৃত্যু

৩।নারীদের শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

৪।তাছাড়া নারীর তুলনায় পুরুষের আত্মহত্যার প্রবণতা ৪গুণ বেশি।

৫।মদ্যপান থেকে ধুমপান ইত্যাদি কারণে পুরুষের অধিক মৃত্যু।

তাহলে কি ভ্রুণহত্যা বন্ধ হয়ে গেলেই নারীর সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশি হয়ে যাবে?

হ্যাঁ সত্যি!

বাস্তবে প্রমাণ দেখতে চান?

India has more women than men for first time, survey finds
Survey of 650,000 households finds falling reproductive rate, suggesting population boom is ending
Redirect Notice
India now has more women than men but sex ratio at birth still low
NFHS 2019-2021 indicates that India has made significant strides in the last five years - in 2015-16, the sex ratio was just 991

ভারতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেবার কারণে এখন নারীর সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেড়ে গেছে(যদিও নারীর জন্মহার এখনো কম)☝️

নর্ডিক ও ইউরোপের দেশগুলোতে নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় বেশি কারণ সেখানে ভ্রুণহত্যা হয় না।

তাহলে ১৪০০ বছর আগে কেন মহানবী(স) চারটি বিয়ের অনুমতি দিলেন?

উত্তর সহজ। তখন নারী ও পুরুষের অনুপাত ছিলো ৪ঃ১।বিশ্বাস হচ্ছে না?সত্যি।কেন?কারণ👇

১।পুরুষেরা বাণিজ্য করতে গিয়ে (প্রতিকূল পরিবেশে) মারা যেত।মহানবী(স) এর পিতাও কিন্তু বাণিজ্য করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মারা যান।

২।মরু ডাকাতের কাছে হত্যার শিকার হতো,গোত্রের মধ্যকার যুদ্ধে মারা যেতো।

৩।মজার বিষয় প্রাক ইসলামী যুগে মক্কার ক্যালেন্ডারে "রজম" নামক এক মাস ছিলো।রজম মানে নিষিদ্ধ।কি নিষিদ্ধ? যুদ্ধ।আসলে মক্কাবাসী সারাবছর যুদ্ধই করতো।তো তারা ভাবলো সারাবছর এভাবে যুদ্ধ করলে অন্যান্য কাজ করবে কখন?তাই তারা রজম মাসের প্রত্যাবর্তন করে যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করার জন্য।এই মাস সরানো যেতো।যুদ্ধের ফলাফল অমীমাংসিত হলে তার রজমের মাসকে ১ মাস সরিয়ে দিতো।তাহলে ভাবুন এসব গোত্রভিত্তিক যুদ্ধে কত পুরুষ মৃত্যুবরণ করতো।

এসকল কারণে মক্কায় পুরুষে অভাব ছিলো আর নারীর সংখ্যা ছিলো পুরুষের চারগুণ।

তখন অনেকেই ১০টা-১১টা বিয়ে করতো।এক্ষেত্রে ভারসাম্য আনতেই চারটি বিবাহে সীমাবদ্ধ করা হয়।

তাছাড়া ইসলামে তালাক প্রদানের মাধ্যমে স্বামী স্ত্রী বিচ্ছিন্ন হয়ে পুনরায় বিয়ে করতে পারে।এজন্য সমাজে বিয়ের জন্য পাত্রপাত্রীর প্রবাহ যথাযথ থাকে।সমাজে সবাই বহুবিবাহ করলে নারী পুরুষ সংখ্যা সমান হলেও চক্রাকারে বিয়ের সার্কেল চলায় নারী পুরুষ উভয়ই বহুবিবাহের জন্য পর্যাপ্ত পাত্রপাত্রী পায়।

প্রশ্ন থাকতে পারে একটি বিয়ে কি ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয়?

মহানবী(স) খাদিজা(রা) বেচে থাকতে দ্বিতীয় বিয়ে করেননি।আলী(রা) ও ফাতেমা(রা) বেচে থাকতে দ্বিতীয় বিয়ে করেননি।

পুরো আয়াতটা দেখি,

"আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীমদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা। [সুরা নিসা - ৪:৩]"

যদি বলা হয় চারটি বিয়ের আইন এতিমদের জন্য সীমাবদ্ধ তাও ভুল হবে না।আর কুরআনে পূর্বেই সতর্ক করে দেয়া হয়েছে সকল স্ত্রীর সাথে ন্যায়সংগত আচরণ করার জন্য।

ইসলামে চারটি বিয়ে অনুমোদিত,বাধ্যতামূলক নয়।

নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির কাছে দুইজন স্ত্রী আছে; সে ব্যক্তি যদি তাদের মধ্যে সমতা না রাখে তবে কেয়ামতের দিন সে ব্যাক্তি তার দেহের এক পার্শ্ব ভাঙ্গা অবস্থায় উপস্থিত হবে।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)

সুরা নিসার ১২৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা সকল স্ত্রীদের প্রতি সমান আচরণের বিষয়ে সতর্ক করে ও বহুবিবাহে অনুৎসাহিত করে দিয়ে বলেন, ‘তোমরা কখনো স্ত্রীদের মধ্যে সুবিচার করতে পারবে না যদিও তোমরা তা কামনা করো।’

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, ‘ফজরের নামাজের পর নবী কারিম (সা.) নামাজের স্থানে বসে থাকতেন। সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত লোকেরাও তার চারপাশে বসে থাকত। অতঃপর তিনি তার প্রত্যেক স্ত্রীর কাছে যেতেন, তাদের সালাম দিতেন, তাদের জন্য দোয়া করতেন আর যার দিন থাকত তার কাছে গিয়ে বসতেন।’ (তাবরানি, হাদিস : ৮৭৬৪)

তাছাড়া যৌনতার দিক থেকে👇

১।নারীর তুলনায় পুরুষের যৌনচাহিদা বেশি

২।নারীদের গর্ভাবস্থা থেকে সন্তান প্রসবের পর প্রায় ২ মাস পর্যন্ত যৌনসক্ষম থাকে না।

৩।মাসিকের দিনগুলো যৌনসক্ষম থাকে না।

৪।মেনপোজের পর যৌনসক্ষম থাকে না।

৫।নারীরা দ্রুত বার্ধক্য এর স্বীকার হয়।

৬।যেহুতু নারীদের সন্তান লালন পালনে ব্যস্ত থাকতে হয় ও ভরণপোষণ আয় সন্তান লালন পালনের সাথে করা কষ্টকর এজন্য তাদের স্বামী মারা গেলে সে অন্য ব্যক্তিকে বিয়ে করে নিজের ও সন্তানের খরচ চালাতে পারে।

আচ্ছা নারীদের তাহলে কেন একাধিক বিয়ের সুযোগ নেই?কারণ নারীরা চারজন ছেলের যৌনচাহিদা পূরণ নাও করতে পারে ও সন্তানের পিতাকে তা নির্ধারণ করা যাবে না।কেন ডিএনএ টেস্ট তো আছে।

হুম ডিএনএ টেস্ট তো আছে কিন্তু টয়লেট কি আছে?

Water and toilet access on the rise, but 1 in 4 people still live without basic toilets | WaterAid Australia
New data reveals that 2.1 billion people gained access to a decent toilet and 1.8 billion people gained access to basic water access between 2000 and 2017. Despite this progress, the world is still not on track to have reached universal access to basic water, sanitation and hygiene services by 2030, as outlined by the United Nations Sustainable Development Goals.
Why more than half of the world’s population can't access a safe and hygienic toilet | ASCO Group
For World Toilet Day, we dicuss why more than half of the world's population don't have access to a safe and hygienic toilett and what the solution is.
Infographic: 494 Million People Still Defecate Outdoors
This chart shows the share of the population practicing open defecation in 2020.

পৃথিবীর মানুষের কাছে টয়লেট নেই আর আপনি ডিএনএ টেস্ট নিয়ে পড়ে আছেন?ও সরি ইসলাম ধনীদের ধর্ম নয়।আর ইসলামে ক্লাস সিস্টেম নেই যে ধনীরা ডিএনএ টেস্ট করে বেড়াবে আর গরিবরা ইসলাম ধর্ম পালনে ব্যর্থ হবে।ইসলাম ধনী ও দরিদ্রের জন্য একই।কোনো কাস্ট,ক্লাস,বর্ণ,বৈষম্য,উচুজাত,নিচুজাত ইসলামে স্থান পায় না।

(একটা ছোট্ট তথ্য পৃথিবীর ৪০% মানুষের কাছে বর্তমানে ইন্টারনেট সংযোগ নেই)

সুতরাং মেয়েদের মাল্টিপ্লাগ হবার প্রয়োজন নেই।

মনে রাখতে হবে ইসলাম পৃথিবীর একমাত্র ধর্ম যে ধর্মে সসীম সংখ্যক (চারটি) বিয়ে করা যায়।পৃথিবীর বাকি ৪২০০টি ধর্মই অসীম সংখ্যক বিবাহের অনুমতি দেয়।আমি কোনো উদাহরণ টানলাম না।আব্রাহামিক ও নন আব্রাহিক ধর্মেই অসীম সংখ্যক বিয়ে করা যায় ও একই সাথে অসীম সংখ্যক স্ত্রী রাখা যায়।তাছাড়া কোন কোন ইতিহাসবিখ্যাত ব্যক্তির একাধিক স্ত্রী ছিলো তা উল্লেখ করলাম না।

আর হ্যাঁ ইসলাম পৃথিবীর একমাত্র ধর্ম যে ধর্মে একটি বিবাহে উৎসাহ দেয়া হয়েছে ও বহুবিবাহকে অনুৎসাহিত করা হয়েছে।

আল্লাহ ভালো জানেন।

ভয়েজার ১ থেকে তোলা পৃথিবীর একটি ছবি Pale Blue Dot

Pale Blue Dot

ভয়েজার ১ থেকে তোলা পৃথিবীর একটি ছবি, যেটা ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৯০ সালে তোলা হয়। পৃথিবী থেকে ৬ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে। যা পরবর্তীতে Pale Blue Dot নামে পরিচিতি পায় ।

১৯৯০ সাল, ১৪ই ফেব্রুয়ারি। ততদিনে কার্ল সেগান একজন জীবন্ত কিংবদন্তী। ভয়েজার-১ যখন আমাদের সৌরজগত ছেড়ে আরো বাইরে চলে যাচ্ছিলো, তখন সেগান নাসাকে অনুরোধ করলেন, যাতে যাওয়ার আগে পৃথিবীর একটা ছবি তোলা হয় ঐ দূরত্ব থেকে। বিশাল সেই দূরত্ব থেকে ভয়েজার-১ এর তোলা পৃথিবীর ঐ ছবি দেখে Carl Sagan এটার নাম দিয়েছিলেন Pale Blue Dot (আবছা নীল বিন্দু)। আর সাথে তার বিখ্যাত সেই উক্তি Pale Blue Dot Speech:

এই সুবিশাল দূরত্ব থেকে পৃথিবীকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে হওয়ার কথা না। কিন্তু আমাদের জন্য ব্যাপারটা একটু আলাদা।

বিন্দুটার দিকে আরেকবার দৃষ্টিপাত করুন। এটা এখানে। এটাই পৃথিবী। আমাদের বাসস্থান। আমরা এটাই। এখানেই ওরা সবাই যাদের আমরা ভালবেসেছি, যাদের আমরা চিনি, যাদের কথা আমরা শুনেছি, তাদের সবাই এখানেই তাদের জীবন কাটিয়েছে। আমাদের সারা জীবনের যত আনন্দ এবং কষ্ট, হাজার হাজার ধর্ম, আদর্শ আর অর্থনৈতিক মতবাদ, যত শিকারী আর লুন্ঠনকারী, যত সাহসী এবং কাপুরুষ, সভ্যতার নির্মাতা আর ধ্বংসকারী, যত রাজা এবং প্রজা, প্রেমে বিভোর সকল তরুণ-তরুণী, সকল বাবা-মা, স্বপ্নে বিভোর শিশু, আবিষ্কারক এবং অনুসন্ধানকারী, সকল নীতিবান শিক্ষক এবং দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, যত "সুপারস্টার" যত "উচ্চপদস্থ নেতা", মানব ইতিহাসের সকল সাধু এবং পাপী সবাই তাদের জীবন কাটিয়েছে - সূর্যের আলোয় ভেসে থাকা ধুলোর এই ছোট্ট কণাটিতে।

অসীম এই মহাবিশ্বে খুব ছোট্ট একটা মঞ্চ আমাদের এই পৃথিবী। ভাবুন তো, সেই সীমাহীন হিংস্রতার কথা ছোট্ট এই বিন্দুর আরো ছোট্ট এক প্রান্তের মানুষ যা ঘটিয়েছ অন্য প্রান্ত জয় করবে বলে,কি দ্বন্দ্ব তাদের নিজেদের মাঝে, কতই না অধীর একে অন্যকে হত্যা করার জন্য, কি প্রকট তাদের জিঘাংসা। ভাবুন তো, সেনাপতি আর দিগ্বিজয়ী বীরের দল কত রক্তই না ঝরিয়েছে ক্ষুদ্র এই বিন্দুর ক্ষুদ্র একটা অংশ জয় করে ক্ষণিকের জন্য মহান হবার আশায়।

আমাদের নাক উঁচুভাব, আমাদের কাল্পনিক অহমিকা মহাবিশ্বের মধ্যে আমরাই সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছি, সেই বিভ্রম প্রশ্নবিদ্ধ হয় এই ঝাপসা এই নীল আলোর দিকে তাকালে।

আমাদের এই গ্রহ মহাজাগতিক অন্ধকারের মধ্যে নিতান্তই ক্ষুদ্র একটা বিন্দু। আমাদের অজ্ঞানতায়, এই বিশালতায় এমন কোন ইঙ্গিত নেই যে, কেউ আসবে আমাদেরকে নিজেদের হাত থেকে রক্ষা করতে।

আমাদের জানামতে, পৃথিবীই একমাত্র বাসযোগ্য গ্রহ। অন্য কোথাও, অন্তত নিকট ভবিষ্যতে, আমাদের প্রজাতি আস্তানা গাড়তে পারবে না। ভ্রমণ? সম্ভব। বসতি, এখনো নয়।ভালো লাগুক আর নাই লাগুক, এই মুহূর্তে পৃথিবীই আমাদের একমাত্র আশ্রয়।

বলা হয়ে থাকে, জ্যোতির্বিজ্ঞান আমাদের বিনয়ী করে তোলে, চরিত্র গঠনে সাহায্য করে। মানুষের অহংকারকে ধুলিসাৎ করার জন্য দূর থেকে তোলা ছোট্ট পৃথিবীর এই ছবিটার চেয়ে ভালো উদাহরণ আর হয় না। আমার মতে, এটা মনে করিয়ে দেয় কতটা জরুরি পরস্পরের প্রতি আরেকটু সহানুভূতিশীল হওয়া, এই ছোট্ট নীল বিন্দুটাকে সংরক্ষণ করা, উপভোগ করা, আমাদের একমাত্র বাড়ি তো এটাই, তাই না?

বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩

দলগত বিবাহ কী?

Polyandry culture: A wife with many husbands-


তিব্বতের এক স্ত্রীর তিন ভ্রাতা স্বামীর সাথে জীবন : তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে তিব্বত মালভূমিতে সমুদ্রতল থেকে ৪৫০০ মিটার উচ্চতায় সাকিয়া নামের গ্রামে ৩০ বছর বয়স্কা মহিলা পেমা তার তিন স্বামী এবং ৫ সন্তানের সাথে বসবাস করেন। তার স্বামীরা তিন ভাইও বটে অর্থাৎ তিন ভাই মিলে একটি মেয়েকে বিবাহ করেছেন।

বড় ভাই অর্থাৎ বড় স্বামী যার বয়স ৩২ বছর গ্রাম্য ডাক্তার হিসাবে কাজ করেন। মেজ স্বামী বয়স ২৭ বছর, মেষপালক যিনি সারাদিন পাহাড়ে মেষ চড়ান। ছোট স্বামীর বয়স ২৫। তিনি লাসা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন নিয়ে লাসাতেই চাকরি করেন এবং ছুটি পেলেই পরিবারের সাথে সময় কাটাতে সাকিয়ায় চলে আসেন।

সবচেয়ে ছোট স্বামী সকালবেলা স্ত্রীকে তিব্বতের ঐতিহ্যবাহী বহু স্তর বিশিষ্ট বর্নিল পোশাক পরতে সহায়তা করেন। তারপর তিনি ছেলেমেয়েদের চাইনিজ ভাষা শিক্ষা দেন এবং ফাঁকে ফাঁকে স্ত্রীকে গৃহকর্মে সহায়তা করেন।

পেমা সকালবেলা তিন স্বামী এবং ৫ সন্তানকে নাস্তা পরিবেশন করেন। সকলের খাওয়া শেষ হওয়ার পর তিনি নাস্তা করেন। পেমা পাঁচ সন্তানের দেখাশোনা করেন, রান্নাবান্না গৃহকর্ম করেন, কাপড় বুনেন, পানি সংগ্রহ করেন।

সন্ধ্যা হতেই বাকি দুই স্বামীও নিজ নিজ কাজ সেরে গৃহে ফিরে আসেন। তিন স্বামী মিলে স্ত্রীকে রাতের খাবার তৈরি করতে সহায়তা করেন। সকলে একসাথে বসে ডিনার খান এরপর তারা গৃহে তৈরি বিয়ার পান করেন। বিয়ার পান করতে করতে বড় স্বামী সুন্দর এবং সুখী জীবনের জন্য গান গেয়ে প্রার্থনা করেন।

প্রার্থনা শেষে ছেলেমেয়েদেরকে ঘুমোতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্ত্রী তার নিজ কক্ষে চলে যান। একজন স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে শুতে যান এবং সেই সময়ে তার জুতো জোড়া ঘরের দরজার সামনে রাখা থাকে যেন ভুলক্রমে অন্যকোন ভাই ঘরে প্রবেশ না করে। " - Tasi Delek, Tibet Vista.

'Nothing is wrong in the nature, only the human and religion say good or bad' - An unknown philosopher.

সকল ভ্রাতা মিলে একটি মেয়েকে বিবাহের কারণ: সমুদ্র সমতল থেকে গড়ে প্রায় ৪৫০০ মিটার উঁচুতে থাকা এভারেস্ট এবং কে২ পর্বতমালা বেষ্টিত তিব্বত মালভূমিতে জীবন খুবই কঠিন। প্রচন্ড ঠান্ডায় আর চরম বৈরী আবহাওয়ায় খাদ্য সংগ্রহ কঠিন, চাষাবাদ বা গৃহনির্মাণের জন্য পরিবারগুলোর খুব সামান্য পরিমাণ জমি থাকে। কোন পরিবারের প্রতিটি ছেলে যদি আলাদা বিয়ে করে তবে গৃহ নির্মাণ এবং খাদ্যের সংস্থান অসম্ভব হবে। তাই টিকে থাকার জন্য হাজার হাজার বছর আগে তিব্বতের সমাজপতিরা পরিবারের সকল ভাই মিলে একটি মেয়েকে বিবাহের প্রথা চালু করেন যেন পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ না হয়ে যায় আর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং পরিবারের সকলেই টিকে থাকতে পারে।

তবে গত শতকের আশির দশকে শুরু হওয়া চীনের এক সন্তান নীতি তিব্বতীদের জন্য অভিশাপ বয়ে এনেছিল কারণ কোন পরিবারের সকল ভাই মিলে একটি মেয়েকে বিয়ে করে এক সন্তান নিলে মাত্র ২/৩ জেনারেশনে তিব্বতীরা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।


বিয়ের পর প্রথম মিলন করার আগে স্ত্রী কে কীভাবে সহবাসের কথা বলবো, আর কীভাবে বলা উচিত?



শুধু Quora তে নয়। বাস্তবেও তরুণদের কাছে এমন প্রশ্ন পাওয়া যায়। মজার ব্যাপার, যাদের অভিজ্ঞতা আছে, তারা সাধারণত এই প্রশ্নের উত্তর দেয় না। ওদিকে, খুব আগ্রহের সাথে, অনভিজ্ঞ তরুণরা এমন প্রশ্নের উত্তর দেয়। তারা, বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ দিয়ে, বিষয়টা জটিল করে ফেলে।

একবার, একটি মাখন এর টুকরো গরম করবেন। দেখবেন, ওটা গলে গেছে। সেই ক্ষেত্রে, এই কথা জিজ্ঞাসা করা লাগে না - "প্রিয় মাখন, তুমি কি গলবে?"

একবার, একটি লোহার টুকরো, চুম্বক এর পাশে রাখবেন। দেখবেন, ওটা চুম্বক এর সাথে লেগে গেছে। সেই ক্ষেত্রে, এই কথা জিজ্ঞাসা করা লাগে না - "প্রিয় লোহা, তুমি কি চুম্বক এর কাছে যাবে?"

নারী ও পুরুষ, নির্জনে একসাথে রাখলে, এমনিতেই একে অপরকে আকর্ষণ করে, এমনিতেই গলে যায়।

তাই, "কিভাবে বলবো", এটা নিয়ে চিন্তা করবেন না। কিছু বলতে হবে না। এমনিতেই, কখন, কিভাবে, শুরু হয়ে যাবে, আপনি টেরই পাবেন না।

কিছু বলতে হবে না, আপনার অজান্তে এমনিতেই শুরু হবে।

জীবনের কঠিন সত্যিগুলি কী কী?

আগামী ভবিষ্যৎ ও বিয়ে :

Normally boys সেক্সুয়ালি এডাল্ট হয় ১৫/১৭ এর মধ্যেই বা তার আগেই।

মেয়েরা ১৫ এর আগেই।

সেখানে আমরা মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্ধারণ করেছি ১৮ বছর ও ছেলেদের ২১ বছর। কিন্তু সিস্টেম করে দিয়েছি আবার অন্য রকম। ছেলেদের চাকরির বয়স সীমা ৩২ বছর। গ্রাজুয়েশান শেষ করতে করতে বয়স হয়ে যায় ২৬/২৭ বছর।

গড় আয়ু যদি ৬৫ হয়- তাহলে ৩২ বছর বয়স পযর্ন্ত সে অন্যের টাকায় চলবে। এর পর স্বাবলম্বী হয়ে মানে জব পেয়ে বিয়ে করবে ৩২ এর পর।

যে ছেলেটা সেক্সুয়ালি এডাল্ট হইলো ১৭ তে। সে বিয়ে করলো আরো ১৫ বছর পর।

এই ১৫ বছর সে কি করবে?

পাড়ায় যাবে না? প্রেমিকাকে নিয়ে লিটনের ফ্লাটে যাবে না? পার্কের চিপায় প্রেমিকার শরীরে হাত দিবে না?

দাঁতে দাঁত চেপে নিজেকে পাথর বানিয়ে রাখবে?

কতটুকু পসিবল? লজিক্যালি কতটুকু পসিবল? বোথ ফর বয়েজ অ্যান্ড গার্লস?

এই দেশে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ না। কিন্তু মদ সহ ধরা পড়লে পুলিশ কে চা পানি খাওয়াইতে hoy!

একটা ছেলে ১৭ বছর অপেক্ষা করবে ১৭ বছরের আগের ক্ষুধা মিটানোর জন্য। যেহেতু আমরা জীব পাথর না। আমাদের ফিজিক্যাল চাহিদা আছে। তাই বলে ১৭ বছর অপেক্ষা করবে একটা ছেলে/মেয়ে ?

আপনি বা কেউ কি বিলিভ করেন যে কেউ অপেক্ষা করে?

অপেক্ষা করে না দেখেই এই দেশে রেস্টুরেন্টে প্রাইভেট জোন লাগে। মিরপুর মাজার রোডে ছোট ছোট খুপরি ঘর ওয়ালা রেস্টুরেন্ট লাগে। পার্কে ছাতা ওয়ালা প্রাইভেসি লাগে। সবই এই সমাজ জানে। একসেপ্ট করে। এক্সেপ্ট না করলে এসব বন্ধ হয়ে যেত। এসবই আমরা মেনে নিচ্ছি। শুধু ছেলে স্টাব্লিশড না হওয়া পযর্ন্ত বিয়ে মেনে নিতে পারতেছি না।

আপনি যদি এই দেশের সুপার সাকসেসফুল কোন বিজনেস ম্যান এর জিবনী পড়েন, দেখবেন তারা সাকসেসফুল হয়েছে অনেক পরে। অন্তত ৪০/৪৫/৫০ বছর বয়সে। আপনি কি তত দিন অপেক্ষা করবেন?মেয়ে তাদের সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য ?

আমাদের পিতামাতাগণ সব কিছু ইসলাম অনুয়ায়ী করেন। খালি এই একটা বিষয়ে উনারা ইসলাম মানেন না। সেটা হইলো বিয়ে। পাত্র ভালো জব করে না দেখে উনারা বিয়ে দেন না। সমাজ বলে আগে প্রতিষ্ঠিত হওতার পর বিয়ে কর!

কুরআন বলে আগে বিয়ে করো,গরীব হলে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আল্লাহ্‌র!🌸 -(সূরা নূর)❤️

অথচ ইসলাম বলেছে সাবালক হইলেই বিয়ে দিয়ে দাও।

"বউ কে খাওয়াবি কি? "

এটা হচ্ছে আমাদের দেশের বিয়ের সব চেয়ে বড় বাঁধা।

বউ কি হাতি? নাকি ঘোড়া? তার তো ১০ কেজি বিচুলি লাগে না ডেইলি। তাইনা?

মেয়েদের সাথে কথা বলার ভয় কাটিয়ে তোলার উপায়

মেয়েদের সাথে কথা বলার ভয় কাটিয়ে তোলার উপায়

আসা করি মেয়েদের সাথে কথা বলার ভয়ের কারন গুলি বুঝেছেন। এখন আমরা ভয় কাটানোর উপায় জানবো——


১/ আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলেন

মেয়েদের সাথে কথা বলার সময় নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং তার সাথে কথা বলেন। একদম স্বাভাবিক, যেরকম অন্যদের সাথে বলেন। ঠিক সেভাবে মেয়েটির সাথে বলার চেষ্টা করুন। কথা বলার আগে ভেবে নিন," যা হবে দেখা যাবে, আগে তো বলি।" এভাবে অভ্যাস করতে করতে ১দিন আপনি যেকোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে পারবেন।

২/ চোখে চোখ রেখে কথা বলুন

যে কোনো মেয়ের সাথে কথা বলার সময় তার চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। যার ফলে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে আর মেয়েটি ভাববে আপনার প্রচুর আত্মবিশ্বাস আছে। তাই সে আপনার সাথে কথা বলতে আগ্রহী হবে।

৩/ মুখে হাসি রেখে কথা বলুন

সর্বদা কথা বলার সময় মুখে হাসি রেখে কথা বলুন। কখনো দুঃখীত হয়ে নতুন মেয়ের সাথে কথা বলতে যাবেন না। কারণ আমরা মেয়েরা সর্বদা হাসিখুশি ছেলে পছন্দ করি। যদি আপনি কথা বলার সময় মুখে হাসি রেখে কথা বলেন তবে মেয়েটি আপনার প্রতি আকর্ষিত হবে এবং আপনার প্রতি কথা বলতে আগ্রহী হবে।

ভয় কাটানোর সহজ উপায়

মেয়েদের সাথে কথা বলার ভয় কাটিয়ে তোলার ১টা সহজ উপায় হলো মেয়েটি কোনো ছেলে বন্ধুর সাথে আপনি প্রথমে বন্ধুত্ব করেন এবং ধীরে ধীরে মেয়েটার সম্পর্কে সব কিছু জেনে নিন। সে কি করতে ভালোবাসে, তার পছন্দের জিনিস কি, তার লক্ষ্য কি, সে কেমন বন্ধু পছন্দ করে…… এগুলো আগে জানার চেষ্টা করেন।

তারপর দেখবেন আপনি খুব সহজে নির্দিষ্ট মেয়ের সাথে কথা বলতে পারছেন এবং এর জন্য আপনার কোনো ভয় লাগছে না।

উপসংহার- আশা করি উপরের তথ্য থেকে," মেয়েদের সাথে কথা বলতে ভয় পাই" প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। এখন উপরের কথামতো ভয় কাটানোর উপায়গুলো চর্চা করতে থাকেন। আর ধীরে ধীরে নতুন মেয়েদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন।

মেয়েদের সাথে কথা বলতে ভয় লাগে কেন? এর সমাধান কী?

মেয়েদের সাথে কথা বলতে ভয় পাওয়ার কারণ:


মেয়েদের সাথে কথা বলতে ভয় পাওয়ার বিশেষ কারণ আছে। এসব কারণেই কিছু কিছু ছেলেরা মেয়েদের সাথে কথা বলতে ভয় পায়। আসুন কারণ গুলা জেনে নিই-

১/ কি কথা বলবো?

কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে যাওয়ার আগে সর্বপ্রথম সে মনে মনে ভাবতে থাকে যে, সেখানে গিয়ে তার সাথে কি কথা বলবে, আর ছেলেটি ভেবে পায় না যে সে মেয়েটির সাথে কি কথা বলবে। এই ১টি প্রশ্নের জন্য সে মেয়ের সাথে কথা বলতে ভয় পায়।

২/ মেয়েটি আমার সাথে কথা বলবে?

মেয়েটির সাথে কথা বলার টপিক যদি মাথায় চলেও আসে, তারপরও চিন্তা আসে মেয়েটা কি আমার সাথে কথা বলবে? যদি সে আমাকে ইগনোর করে, তাহলে আমার অনেক অপমান হবে। এটা ভেবেও অনেক সময় ছেলেরা মেয়েদের সাথে কথা বলতে পারেনা।

৩/ খুব বড় পরিবারের মেয়ে

প্রথমে ২টি প্রশ্নের সমাধান হয়ে যাওয়ার পরেও আরেকটা চিন্তা মাথায় আসে। এটি হলো," হতে পারে মেয়েটি বড় লোকের মেয়ে, সে কি আমার সাথে কথা বলবে? "

এখানে ছেলেটি মেয়েটার থেকে অনেক নীচু ভেবে নেয় এবং নেগেটিভ চিন্তাধারার জন্য মেয়েদের সাথে কথা বলতে পারেনা।

৪/ কথা বলতে লজ্জা লাগে

অনেক ছেলে আছে যারা মেয়েদের সাথে কথা বলতে লজ্জা পায়। লজ্জা পাওয়ার কারণ গুলো একেক ছেলের একেক রকম।

৫/ অনেক ছেলে ঘাবড়ে যায়

অনেক ছেলে মেয়েদের সামনে যাওয়া মাত্র আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে এবং ঘাবড়ে যায়। ফলে ছেলেটার মাথা কাজ করে না এবং কি বলবে ভেবে না পেয়ে চুপ করে থাকে। কিছুক্ষণ পরে মেয়েটির কাছ থেকে পালিয়ে যায়😁😁।

রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩

স্তনের ঝুলে পড়া রোধে করণীয় কী?

নারীদের জন্য সবচেয়ে বিব্রতকর একটি সমস্যা হচ্ছে স্তনের আকৃতি নষ্ট হয়ে যাওয়া বা স্তন ঝুলে যাওয়া।বয়স, ওজন, যত্নের অভাব ইত্যাদি কারণগুলোর জন্য মেয়েরা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়।কিছু নিয়ম মেনে চললে ঝুলে যাওয়া স্তনের সঠিক শেইপ ফিরে পেতে পারেন।

(১) ডিমের কুসুম এবং শসার প্যাক
একটি ডিমের কুসুম এবং ৩ টেবিল চামচ শসার রস মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিতে হবে। এই প্যাকটি গোসলের আধা ঘন্টা আগে স্তনের চারপাশে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহ প্রতিদিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলে আপনি নিজেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

(২) সঠিক খাবার
স্তনের সঠিক শেইপ ফিরে পাবার জন্য আপনার প্রতিদিনের খাবারের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ব্রেস্ট টাইট করার জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। তাই আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় দুধ, ডিম এবং ডাল অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করবেন। এছাড়াও খনিজ ভিটামিন এবং ক্যালসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ দরকার যা আপনি বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, গাজর, পটল এবং ব্রকলি জাতীয় খাবার থেকে পেতে পারেন। প্রতিদিন এই খাবারগুলো খেলে ঝুলে যাওয়া স্তনের সঠিক শেইপ ফিরে পাবেন।

(৩) সাঁতার কাটা
প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট সাঁতার কাটুন। এতে আপনার স্তনের পেশি শক্ত হবে এবং সঠিক শেইপ ফিরে আসবে। তাই স্তনের সঠিক শেইপ ফিরে পেতে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট সাঁতার কাটুন।

(৪) বরফ ঘষা বা আইস রাব
এটি করতে আপনার অস্বস্থি লাগতে পারে কিন্তু এটি খুবই কার্যকরী একটি প্রক্রিয়া। কয়েক কিউব বরফ নিন এবং আপনার স্তনের চারপাশে প্রায় ১-২ মিনিটের জন্য বৃত্তাকার গতিতে ম্যাসাজ করুন। এটি আপনার স্তনের পেশী শক্ত করতে এবং এর আশেপাশের সেলুলাইটের সাথে লড়াই করতে সহায়তা করবে। প্রতিদিন নিয়ম করে কেবলমাত্র ১-২ মিনিট এই প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করলে আপনার ঝুলে যাওয়া স্তনের সঠিক শেইপ ফিরে পাবেন।

(৫) ম্যাসাজ করা
প্রতিদিনের ম্যাসাজে আপনার স্তনের পেশীগুলোকে শক্ত করবে। অলিভ ওয়েল কিংবা অ্যালোভেরা জেল দিয়ে প্রতিদিন ৫-৬ মিনিট আপনার স্তনের আশেপাশে ম্যাসাজ করুন। এটি আপনার রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করবে এবং আপনার ঝুলে যাওয়া স্তন ফিরে পাবে সঠিক শেইপ।


(৬) প্রচুর পানি পান
স্তনের সঠিক শেইপ ফিরে পেতে প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ লিটার পানি পান করুন। শরীরে যখন জলের অভাব দেখা দেয় তখন ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। ত্বকের চামড়া ঝুলে যায় এবং কুঁচকানো দেখায়। পানির অভাবে সবথেকে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয় ত্বক এবং স্তন। তাই স্তনের সঠিক শেইপ ফিরে পেতে প্রচুর পানি পান করুন।

(৭) ব্রা সিলেকশন
দীর্ঘক্ষণ ব্রা পড়ে থাকলে স্তনের শেইপ নষ্ট হয়ে যায়। তাই দীর্ঘক্ষণ ব্রা পড়ে থাকবেন না। আবার ব্রা পড়া একেবারেই ত্যাগ করা যাবেনা। দীর্ঘক্ষণ ব্রা পড়া যেমন ক্ষতিকর আবার একেবারে না পড়াও ক্ষতির কারণ। ব্রা সিলেকশনে একটু সচেতন হোন।

(৮) এক্সারসাইজ করুন
কিছু এক্সারসাইজ আছে যা প্রতিদিন করলে আপনার ঝুলে পড়া স্তন সঠিক শেইপ ফিরে পাবে। সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী হলো পুশ-আপ। এছাড়াও চেস্ট প্রেস, ডাম্বল ফ্লাইস, টি-প্লাঙ্কস, এলবো স্কুইজ ইত্যাদির সাহায্যেও ঝুলে পড়া স্তন সঠিক শেইপ ফিরে পাবে। প্রতিদিন নিয়ম করে ১০-১২ বার এই এক্সারসাইজগুলো করলেই হবে।

মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

তুরস্কে ভূমিকম্প: ভারী বৃষ্টি-তুষারপাতে ব্যাহত উদ্ধার কাজ

তুরস্কে ভূমিকম্প: ভারী বৃষ্টি-তুষারপাতে ব্যাহত উদ্ধার কাজ

তুরস্কে ভূমিকম্প: ভারী বৃষ্টি-তুষারপাতে ব্যাহত উদ্ধার কাজ

ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ধ্বংসস্তুপের নীচে আটকা পড়াদের উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

সোমবারের ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়ানোর পথে। আহতের সংখ্যাও ১৫ হাজারের বেশি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নাটকীয়ভাবে মৃতের সংখ্যা ধারনার চেয়েও বেশি বাড়তে পারে।

৭.৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পের পরবর্তী দিনেও অব্যাহত আছে উদ্ধারকাজ। তবে তীব্র শীত ও বৃষ্টির কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।

বিভিন্ন বিশ্ব গণমাধ্যমের খবর বলছে, ধ্বংসস্তুপের নীচ থেকে আটকা পড়াদের সাহায্য আকুতি ও চিৎকার শোনা যাচ্ছে। 

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, অনেকেই বাঁচার আকুতি জানালেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে যেতে পারছে না। দেনিজ নামের ওই বাসিন্দা বলেছেন, ‘তারা বলছে আমাদের বাঁচাও কিন্তু আমরা তাদের বাঁচাতে পারছি না।’

বিদ্যুৎ নেই, সাথে বৃষ্টি ও ঠাণ্ডার কারণে আটকে পড়া অনেককেই উদ্ধার করা সম্ভব নাও হতে পারে বলে শঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

 

তুরস্কে আঘাত হানা ভূমিকম্প ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী: জাতিসংঘ

তুরস্কে আঘাত হানা ভূমিকম্প ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী: জাতিসংঘ

তুরস্কে আঘাত হানা ভূমিকম্প ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী: জাতিসংঘ

সোমবার তুরস্কের স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়

জাতিসংঘ জানিয়েছে, তুরস্কের দক্ষিণ অঞ্চলে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বয়ক কমিটি (ইউএনওসিএইচএ) বলেছে, ১৯৩৯ সালের পর এটা সর্বোচ্চ শক্তিশালী ভূমিকম্প।

এক বিবৃতিতে ইউএনওসিএইচএ বলেছে, মানবিক সহায়তার জন্য বিশ্বস্বাস্থ্যসহ কয়েকটি সংস্থার অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। জাতিসংঘসহ অংশীদারেরা সরেজমিনে পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং পীড়িত অঞ্চলে জরুরি তহবিলের বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে।

সোমবার তুরস্কের স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্র। ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। ভূমিকম্পের পর অর্ধশতাধিক পরাঘাত (আফটারশক) হয়।

সর্বশেষ তথ্যানুসারে,  ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৪৯শ জন হয়েছে।

তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সংস্থার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার জানানো হয়, দেশটিতে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৯২১ জন। আহত ১৫ হাজার ৮৩৪ জন।

অন্যদিকে, সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪৪৪ জনের নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। আহত ৩ হাজার ৪১১ জন।

তুরস্কে এখন পর্যন্ত ১০০টি আফটারশক রেকর্ড

তুরস্কে এখন পর্যন্ত ১০০টি আফটারশক রেকর্ড

তুরস্কে এখন পর্যন্ত ১০০টি আফটারশক রেকর্ড: সিএনএন

সংগৃহীত ছবি

তুরস্কে শক্তিশালী ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত ১০০টি আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে। এসব আফটারশকের মাত্রা ছিল ৪ বা তার বেশি।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) এর তথ্যানুসারে, স্থানীয় সময় সোমবার সকালে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর থেকে ৪.০ বা তার বেশি মাত্রার অন্তত ১০০টি আফটারশক হয়েছে।

মূল ভূমিকম্পের সময় যত বাড়ে, আফটারশকের ফ্রিকোয়েন্সি এবং তীব্রতাও কমতে থাকে। তবে ৫ থেকে ৬ প্লাস মাত্রার আফটারশক এখনও ঘটতে পারে এবং মূল ভূমিকম্পের সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। আফটারশকগুলো উদ্ধারকারী দল এবং ধ্বংসস্তুপে আটকা পড়া জীবিতদের জন্য একটি ক্রমাগত হুমকির কারণ হয়ে থাকে।

রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চার হাজার ৩৭২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শুধু তুরস্কেই মারা গেছে দুই হাজার ৯২১ জন। আর আহত হয়েছে ১৫ হাজার ৮৩৪ জন। তুরস্কের দুর্যোগ সেবা বিভাগের প্রধান ইউনুস সেজের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে, একই ঘটনায় প্রতিবেশী সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪১ জনে। দেশটিতে আহত হয়েছে তিন হাজার ৫৩১ জন।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাস প্রদেশে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিগত একশ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে তুরস্কে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প এটি।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্যানুযায়ী, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮ এবং এর উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ২৪.১ কিলোমিটার গভীরে।

তবে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৪ এবং উৎপত্তিস্থল ছিল পাজারচিক জেলায়। এটি ঘটে ৭ কিলোমিটার গভীরে।

আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিয়ারবাকির ও গাজিয়ানটেপসহ অন্যান্য দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশ এবং লেবানন ও সিরিয়া, সাইপ্রাসসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতেও এই ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরে আফটারশকগুলো কয়েক ঘণ্টা এবং এমনকি কয়েক দিনও অব্যাহত থাকতে পারে।

Earthquake ruins Turkey Syria

Earthquake ruins Turkey Syria

2600 bodies were recovered, 8000 were injured, many were buried


Earthquake ruins Turkey Syria

Rescue operations from collapsed buildings in the Syrian town of Jandaris - AFP

After almost 84 years, a terrible earthquake has struck the Middle Eastern countries of Turkey and Syria. Yesterday morning, the first phase of the 7.8 magnitude earthquake started in the Turkish city of Gaziantep on the Syrian border. After 12 hours, Turkey was shaken by another earthquake. According to the latest reports, the duration of the first earthquake was 40 seconds. At least more than two and a half thousand buildings and structures collapsed instantly in the earthquake. The Turkish city was destroyed. Sleeping people were buried under the collapsed buildings. According to reports till evening, 2600 dead bodies have been recovered from the rubble. More than 8 thousand people were rescued in serious condition. Most of the casualties occurred in Turkey. President Md. Abdul Hamid and Prime Minister Sheikh Hasina expressed grief over the incident. Sources: BBC, Reuters, CNN, The Guardian, Al Jazeera. According to reports, The first earthquake occurred yesterday at 4:17 am local time. The epicenter of the earthquake was in the Turkish city of Gaziantep on the border with Syria. The magnitude of the earthquake was 7.8 on the Richter scale. After almost 84 years, Turkey was shaken by such a strong earthquake. Later in the afternoon, another 7.5 magnitude earthquake hit the same area. All in all, the situation is dire. Bad weather is hampering rescue operations. The weather forecast says that there is a risk of heavy rain in the earthquake affected areas of Turkey. And the temperature may drop to 3-4 degrees. Meanwhile, Turkey's Vice President Fuat Oktay said that at least 1,718 buildings collapsed in Turkey due to the 7.8-magnitude earthquake. He said, Many people are trapped in the rubble. Moreover, more than 900 buildings have collapsed in Gaziantep and Kahramanmaras provinces of Turkey. In the meantime, Syrian President Bashar al-Assad held an urgent meeting with the cabinet members regarding the damage and the necessary measures. At least 900 people were killed in the quake in government-controlled areas of the country, according to Syrian state television. Another 1500 people were injured. These areas include Aleppo, Hama, Cities like Latakia and Tartus. In addition, at least 147 people were killed and more than 340 injured in the earthquake in rebel-held areas of Syria. Many families are still trapped under the rubble. So the number of casualties could be more. A second earthquake struck southeastern Turkey. The epicenter of this earthquake was near the city of Kharmanmaras. The latest earthquake was also felt in Damascus. However, details of the damage were not immediately available. According to the news, thousands of people are buried under the rubble. Rescuers continue to search through the rubble of the collapsed building. 45 countries, including Western military alliance NATO, European Union, have offered cooperation to Turkey.

Buildings collapsed in Turkey's Adana area and turned into rubble, crying with dead bodies -AFP

The death toll is increasing suddenly : More than 1,200 people died in the earthquake that hit Turkey and Syria. On the other hand, thousands have died in Syria. The tremors of the earthquake lasting 40 seconds also reached Lebanon and Cyprus. This is the strongest earthquake in Turkey since 1999. According to reports, the bodies of the injured are coming out of the rubble. For this reason, it is assumed that this number can increase a lot. The number of casualties in both countries is increasing. Turkish President Recep Tayyip Erdogan called the incident the biggest disaster in Turkey in the last 84 years. According to Erdogan, about 3,000 houses were destroyed in the earthquake in Turkey. Many people are still trapped under the rubble.