বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১২

2012

ছবিটি ওপেন করে সবাই একটু কষ্ট করে লেখাটি পড়ুন... এড়িয়ে যাবেন না দয়া করে...

অত্যন্ত তথ্যবহুল এবং যুক্তি সম্পন্ন একটি পোস্ট। একটু বড় হলেও দয়া করে পুরোটা পড়ুন এবং শেয়ার করুন। কারন এটি প্রতিটি মানবের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।- Admin

mobile share link > http://on.fb.me/HOe7yQ

জানি সময় একটু বেশি লাগবে। কিন্তু কথা দিচ্ছি, পোস্টটা পড়লে আপনার-ও খারাপ লাগবে। একটু হলেও নিজেকে সংশোধন করা যাবে। (মুসলমানদের জন্য)
================================
২০১২ এবং ইসলাম তথা ১৪৩৩ আরো কিছু অজানা তথ্য: প্লিজ পড়ুন

ইসলাম যেখানে একঈশ্বর এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সত্যতাতে বিশ্বাস করতে হয় সেখানে বস্তুবাদ কিংবা ত্রিতত্ত্ববাদ (Trinity) কিংবা বহুঈশ্বরবাদ এর কোনো স্থান নেই | নিশ্চয়ই আল্লাহ মহান |

আমি এখানে আগে মায়ান এবং বর্তমান সম্পর্কে কিছু বলব. তা না হলে ২০১২ নিয়ে স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যাবে না |

পৃথিবীতে বরফ যুগের ম্যামোথ থেকে শুরু করে ডাইনোসোর এরা প্রত্যেকেই ধ্বংস হয়েছে . পৃথিবীতে কোনো কিছুই স্থায়ী নয় এমনকি --- আমরাও না .
২০১২ নিয়ে আমরা অনেকেই কমবেশ জানি | অনেকেই জানি সুপার হিট ফীল্ম 2012 এর কথা | কিন্তু এই ফীল্মও ২০১২ এর সতর্ক বাণী স্বরূপই তৈরী করা হয়েছিল যা কিনা পরে মুভী ইন্ড্রাস্ট্রিতে ফীল্ম হিসেবেই প্রকাশ পায় | 2012 এর তৈরির পিছনে মায়ান ক্যালেন্ডার এর ভূমিকা ছিল | মায়ান ক্যালেন্ডারে ২০১২ এর পর আর ২০১৩ আসে নি, তারা আবার ১, ২, ৩ এভাবে গুনে গিয়েছে | তারা ২০১২ এ বিশাল ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে যাতে কিনা সভ্যতার ধ্বংস হবে এবং নতুন সভ্যতার উত্থান হবে | অনেকেই বলেন ২০১২ তে নাকি পৃথিবী ধ্বংস হবে. এটা একটা ভুল ধারনা | ২০১২ তে যদি কিছু হয় তাহলে বড় রকমের বিপর্যয় হতে পারে (আল্লাহ ভালো জানেন) যার ফলে পৃথিবীর ৯০% মানুষই মারা যাবে . মায়ানরা যেটা দেখেছিল তা ছিল একটি গ্রহ | তারা দেখেছিল এই বিশাল গ্রহটি তাদেরকে আচ্ছাদিত করছে. এর তুমুল গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স এর প্রভাবে সুনামি আঘাত হানার ফলে ওদের সভ্যতা ধ্বংস হল | তাই তারা এই গ্রহটির নাম দিয়েছিল নিবিরু(Nibiru) বা ধ্বংসকারী. খুব ছোট অংকের মাধ্যমে তারা গ্রহের আসা যাওয়ার গণনা করতে পারত | ওরা এতটাই উন্নত ছিল যে ওরা জানত পৃথিবীর কক্ষপথ অনেকটা গোলাকার | তারা আরো জানত পৃথিবীর সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে আসতে ৩৬৫ দিন লাগে যা আমরা কয়েক শতক আগেও জানতাম না | ওদের মধ্যে যে কেউ ভবিষ্যত গণনা করতে পারত | স্বল্প সংখ্যক যারা বেচেছিল তারাই তাদের ভবিষ্যত গণনা করে বলেছিল এই নিবিরু আবার ২০১২ তে আসবে যার ফলে ভয়াবহ দুরঅবস্থার দেখা দিবে | অনেকে ধারনা করেন এই আদিম মায়ানরাই হল কুরআন এ বর্নিত নুহ নবীর উম্মত যাদেরকে আল্লাহ মহাপ্লাবন দ্বারা ধ্বংস করেছিলেন | যাই হোক এ নিয়ে বলতে শুরু করলে সারা দিন লেগে যাবে.
এখন আধুনিক সভ্যতার প্লানেট এক্স আবিষ্কার এবং নাসা আমেরিকা ইউরোপ এর ষড়যন্ত্রের কথা বলব. প্ল্যানেট এক্স (নিবিরু) জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ১৯৮৩ এর গোড়ার দিকে সৌর সিস্টেম এর বাহির এর দিকে আবিষ্কার করে | ১৯৮৩ সালে নাসার ইরাস (IRAS-ইনফ্রা অ্যাস্ট্রোনমিকাল উপগ্রহ) সৌরজগত এর শেষ দিকে বৃহষ্পতি এর মত বড় কিছুর উপস্থিতির কথা বলে | যা ১৯৮৩ এর টাইমস পত্রিকায় উল্লেখ করা হয় |
লিংক= http://m.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2F3.bp.blogspot.com%2F-xXP7Jh9SWhs%2FTsvmP3a3CkI%2FAAAAAAAAACU%2FabJw_t6xuFM%2Fs1600%2FClues%2BGet%2Bwarm%2Bin%2Bthe%2Bsearch%2Bof%2Bplanet%2Bx%2B%252528real%2Bphoto%2B1%2Bfrom%2BNY%2Btimes%2B30-01-1983%252529.gif&h=8AQEWVAZg


সর্বপ্রথম ১৯৭২ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জোসেফ ব্র্যাডি আবিষ্কার করেন কোনো অপরিচিত গ্রহ (প্ল্যানেট এক্স) হ্যালির ধুমকেতুর কক্ষপথের মহাকর্ষিক সমস্যার কারণ | জোতির্বিজ্ঞানিদের গাণিতিক হিসাব এটা প্রমান করে যে, এই অপরিচিত গ্রহের ভর পৃথিবীর ৫ গুণ বেশি | এ সম্পর্কে মহাকাশ বিজ্ঞানী যেচারিয়া সিচিন (Zecharia Sitchin) এর একটি বক্তব্য না বললেই নয় ১৯৭৮ সালে তিনি বলেন, “আমাদের সৌরজগতে ৯টি গ্রহ নয় যা সর্বজন কর্তৃক গৃহীত বরং ১০ টি গ্রহ |”

এই বিশাল বস্তর কারণেই যে প্লুটো এর অরবিট পরিবর্তিত হয় এবং প্লুটো তার গ্রহের মর্যাদা হারায় পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা তা কোনো অজানা কারণে আংশিক প্রকাশ করেন | (বর্তমানে প্লুটোকে Kuiper belt এর অংশ বলা হয়) অনেকে একে বাদামী তারা বলেছেন অনেকে বলেছেন ব্যর্থ তারা | অনেকে বলেছেন ধুমকেতু | অনেকে বলেছেন ১০তম গ্রহ অনেকে ১২তম গ্রহ | তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হল এর ভর বৃহষ্পতির চেয়েও বেশী | এর অরবিটও অন্য ধরনের | এর এক অরবিট সম্পন্ন হয় প্রায় তিন হাজার ছয়শ বছর এ | যদি এর আমাদের আরো তিন হাজার ছয়শ বছর আগে নুহ (আঃ) এসে থাকেন তাহলে এর পরের বার পৃথিবী ভ্রমন অতি নিকটেই | আমি আবারো বলছি যে এটি এর আগেও কখনো পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষ করে নি এই বার আসলেও করবে না | এর তুমুল গ্র্যাভিটির কারণেই পৃথিবীর নর্থ পোল আর সাউথ পোল ঘুরে যাবে ফলে সুর্য পশ্চিম দিকে উঠবে যা ইসলাম আমাদের ১৪০০ বছর আগেই বলে দিয়েছে | এর ফলে পৃথিবীর ৯০% মানুষ মারা যাবে বলে ধারণা করা হয় (আল্লাহই ভালো জানেন) | নর্থ পোল সাউথ পোল ইতিমধ্যে সরতে শুরু করেছে | ২০০৪ সালে সূর্যে বেশ কয়েকটি সৌরকলঙ্ক(Dark Spot) সৃষ্টি হয় এর ফলে যে সৌরঝড় (Sun Storm) এবং যে পরিমাণ রেডিয়েশন হয়েছিল তা আমাদের ম্যাগনেটিক পোলগুলো সহ্য করতে পারে নি | আর ঐ দিন পৃথিবীর সুমাত্রাতে ৯.২ রিকটার স্কেলের ভয়াবহ ভূমিকম্পসহ ভয়াবহ কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছিল, ঐ দিন ইন্দোনেশিয়াতে সুনামি হয়েছিল | এ থেকে বুঝা যায় সৌরকলঙ্কের সাথে পৃথিবীর ভূমিকম্পের সম্পর্ক রয়েছে | এই রেডিয়েশন আমাদের মাটির অভ্যন্তরের আন্দোলনকে সক্রিয় করে |

আসছে ২০১২ সবচেয়ে বেশি সৌরঝড় এর বছর |

এখন আমি আমেরিকার নাসার এবং ইউরোপ এর ষড়যন্ত্রের কথা বলব |

প্ল্যানেট এক্স আবিষ্কার এর পর নাসা ও ইসা(ESA- European Space Agency) প্রথমে নিবিরু এর সত্যিকারের ছবি প্রকাশ করলেও তারা এখন এ ব্যাপারে নিশ্চুপ |
এখন গুগল স্কাই এ নিবিরু তথা প্ল্যানেট এক্স এর অবস্থান কালো অংশ দিয়ে ঢাকা| যে কেউ দেখলে বুঝবে এখানে কিছু ছিল যা তারা দেখতে দিচ্ছেনা | কেউ কি ভেবে দেখছেন ওরা কী লুকাতে চাচ্ছে ? ওরা এটা ভাবছে যে এটা জানালে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে কিন্তু ওরা না জানিয়ে আরো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে |

এখন আমেরিকা এবং বিভিন্ন এলাকার গোপন বাজেট এর কথা বলি | আমেরিকা তাদের অনেক নিরাপদ জায়গায় আন্ডারগ্রাউন্ড বেস (যার সংখ্যা আনুমানিক ভাবে ১৩২ এর চেয়েও বেশী) বানাচ্ছে | নিরাপদ এই কারণে বললাম কারণ এই সকল এলাকায় ভূমিকম্প বা যেকোনো দূর্যোগ মুক্ত বলে তাদের ধারনা | (কিন্তু এখন এসব এলাকাতেও ভূমিকম্প হতে পারে) যেটি একটি গোপন প্রযেক্ট | এমনকি আমেরিকান মানুষদেরও সেখানে প্রবেশাধিকার নেই | এর নাম হলো ডামবস প্রযেক্ট (D.U.M.Bs.- Deep Underground Military Bases)| এই বেস গুলোতে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার মজুদ রাখা সহ সেখানে বৈজ্ঞানিক ভাবে মাটির নিচে খাবার উত্পাদন করার ব্যবস্থা করেছে | এটি একটি সম্মিলিত প্রযেক্ট | বিভিন্ন উন্নত দেশ এর সাথে গোপন ভাবে যুক্ত | রাশিয়া-আমেরিকা চিরন্তন শত্রু হওয়া সত্ত্বেও ওরাও এটার সদস্য | সাথে আছে ইউরোপ এর বিভিন্ন দেশ |
ওরাই বলেছে “আমরা আসন্ন মহাদূর্যোগ এ সবাইকে বাঁচাতে পারব না, আমরা শুধু তাদেরকেই বাঁচাব যাদেরকে আমাদের দরকার ” | এমনকি SPT(south pole telescope) এর সব উপাত্ত গোপন রাখা হয়েছে.

এখন আমি পবিত্র আল কুরআন এর গাণিতিক কোড টার্ম ১৪৩৩(২০১২) এর কথা বলব সাথে ইমাম মাহদি আসার কিছু হাদীস বলব |

১৪৩৩ পবিত্র কুরআন এর ম্যাথম্যাটিকাল কোড

পবিত্র কুরআন এর ম্যাথম্যাটিকাল কোডের কথা বলতে হলে আগে আমাদের প্রাইম নাম্বার সম্পর্কে জানতে হবে | সবাই জানেন প্রাইম নাম্বার কি | তাও বলি যে সকল নাম্বার 1 এবং ঐ নাম্বার ছারা আর কোনো নাম্বার দিয়ে ভাগ যায় না তাদেরকে প্রাইম নাম্বার বলে | যেমন : ১,২,৩,৫,৭,১১,১৩,১৭,১৯,২৩... লক্ষ্য করুন এই ডিফারেন্স কিন্তু অনিয়মিত | আবার এক বিশেষ ধরনের প্রাইম নাম্বার আছে যাকে অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার বলা হয় | অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার সেই সকল বিশেষ প্রাইম নাম্বার যেগুলোর সংখ্যামানের যোগফলও প্রাইম নাম্বার হয় |

একটা উদাহরন দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে যেমন : ১১ একটি অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার | (১+১=২ | ২ একটি প্রাইম নাম্বার) | আল্লাহ তা আলা কুরআনেও এই সব নাম্বার ব্যবহার করেছেন | পবিত্র কুরআনের শুরুর সূরা ফাতিহাতে ৭ টি আয়াত, ২৯ টি শব্দ, ১৩৯ টি বর্ণ আছে যার সবগুলিই অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার | এমনকি এগুলোকে বাম দিক থেকে বা ডান দিক থেকে যেকোনো দিক থেকে এদের পাশাপাসি বসালে তাও অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার হয় |
|||৭২৯১৩৯ বা ১৩৯২৯৭ ||| ৭+২+৯+১+৩+৯=31 |||

পবিত্র কুরআনের অসংখ্য স্থানে অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার এর কথা বলা হয়েছে |

এখন আমি ২০১২ তে আসি :

পবিত্র কুরআনের সূরা আর-রহমান এ ৩১ বার বিভিন্ন আয়াতে “ফাবিআয়্যি আলা ইরাব্বিকু মা তুকাজ্জিবান” বলা হয়েছে | যার অর্থ “তোমরা (জ্বীন ও মানব জাতি) তোমার প্রতিপালকের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে”
১৩, ১৬, ১৮, ২১, ২৩, ২৫, ২৮, ৩০, ৩২, ৩৪, ৩৬, ৩৮, ৪০, ৪২,৪৫, ৪৭, ৪৯, ৫১, ৫৩, ৫৫, ৫৭, ৫৯, ৬১, ৬৩, ৬৫, ৬৭, ৬৯, ৭১, ৭৩, ৭৫, ৭৭

এখন এসকল আয়াতসমূহ যোগ করা হলে যা পাওয়া যায় তা হল 1433 |
১৩+ ১৬ + ১৮ + ২১ + ২৩ + ২৫ + ২৮ + ৩০ + ৩২ + ৩৪ + ৩৬ + ৩৮ + ৪০ + ৪২ + ৪৫ + ৪৭ + ৪৯ + ৫১ + ৫৩ + ৫৫ + ৫৭ +৫৯ + ৬১ + ৬৩ +৬৫ + ৬৭ + ৬৯ + ৭১ + ৭৩ + ৭৫ + ৭৭ = ১৪৩৩

এখন লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ১৪৩৩ একটি প্রাইম নাম্বার এমনকি এর যোগফলও প্রাইম নাম্বার (১+৪+৩+৩=১১) |

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সূরা আর রহমানের শব্দ সংখ্যা ৩৫৫ | এর মাধ্যমে একে বারে আগামী বছর চিহ্নিত হচ্ছে কারণ ১৪৩৩ হল লিপ ইয়ার | আর হিজরী লিপ ইয়ার হয় ৩৫৫ দিন এ |
আরো আশ্চর্যের বিষয় হল পবিত্র কুরআনের ১৪৩৩ নাম্বার আয়াত বর্ণ গুনে গুনে এমনকি শব্দ গুনে গুনে দেখলেও প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আযাব এবং শাস্তির কথা লক্ষ্য করা যায় |
১৪৩৩ তম আয়াত হল পবিত্র কুরআনের সূরা ইউনুস এর ৬৯ নং আয়াত |

সূরা ইউনুস (১০-৬৯)“বলে দাও, যারা এরূপ করে তারা অব্যাহতি পায় না।“
আবার বর্ণ গুনে গুনে ১৪৩৩তম হয় সূরা বাকারাঃ(২:৮৬)
“এরাই পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবন ক্রয় করেছে। অতএব এদের শাস্তি লঘু হবে না এবং এরা সাহায্যও পাবে না”।
আবার শব্দ গুনে গুনে ১৪৩৩ তম হয় সূরা বাকারাঃ(২:২৪)

“আর যদি তা না পার-অবশ্য তা তোমরা কখনও পারবে না, তাহলে সে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে অবিশ্বাসীদের জন্য” |
এখন গোলাকার এই পৃথিবীকে ৩৬০˚ দ্রাঘিমাংশ (উল্লম্ব অর্ধবৃত্ত) এবং ১৮০˚ অক্ষাংশে (অনুভূমিক পূর্ণবৃত্ত) ভাগ করা যায় | আবারও সৃষ্টিকর্তা সূরা আর রহমানে ৩১ বার বর্নিত আয়াতের মাধ্যমে এর কথা বলছেন যার পরিসর ০˚ থেকে ৯০˚ এর মধ্যে |

১৩˚ ১৬˚ ১৮˚ ২১˚ ২৩˚ ২৫˚ ২৮˚ ৩০˚ ৩২˚ ৩৪˚ ৩৬˚ ৩৮˚ ৪০˚ ৪২˚ ৪৫˚ ৪৭˚ ৪৯˚ ৫১˚ ৫৩˚ ৫৫˚ ৫৭˚ ৫৯˚ ৬১˚ ৬৩˚ ৬৫˚ ৬৭˚ ৬৯˚ ৭১˚ ৭৩˚ ৭৫˚ ৭৭˚ এখন এই বারবার পুনরাবৃত্তি হওয়া আয়াতসমূহ দুই ধরনের অস্তিত্বশীল বস্তুর (মানুষ ও জ্বিন) কথা বলে তাই এই ল্যাটিটিউড নাম্বারগুলো যদি উত্তরাঞ্চলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলীয় উভয় গোলার্ধের জন্য প্রয়োগ করা হয়, (১৩ নর্থ ১৩ সাউথ এভাবে পৃথিবীর মানচিত্রে বসানো হলে) তাহলে তা পবিত্র ভূমি মক্কা, জেরুজালেম, মদীনা, ছাড়া পৃথিবীর সব ঘনবসতিপূর্ণ প্রায় ৯০০০০ এলাকাকে চিহ্ণিত করে | তবে একটা জিনিস লক্ষ রাখতে হবে তা হল কুরআনুযায়ী পৃথিবীর কেন্দ্র মক্কা যা বিজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত | তাই এক্ষেত্রে আমাদের মক্কাকে কেন্দ্র ধরে হিসাব করতে হবে |

হাদীসে ২০১২ এবং ঈমাম মাহদি সম্পর্কে আসি :

এ বিষয়ে অনেকেই একমত যে ইমাম মাহদির জম্ম হয়ে গিয়েছে | হাদীসে ঈমাম মাহদি আসার আলামত হিসেবে পৃথিবীর চরম বিপর্যয়, দুর্ভোগ এবং মহাদুর্যোগের কথার উল্লেখ আছে |
সব হাদীস না বলে আমি কয়েকটা হাদীস বলব |

“পৃথিবী ততক্ষন পর্যন্ত এর পরিঃশেষ হবে না যতক্ষন পর্যন্ত না আমার পরিবার (বংশ) থেকে একজনের আবির্ভাব হবে এবং সারা পৃথিবীতে ন্যায়ের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে ” |
ইমাম মাহদির আগমনের আরেকটি লক্ষন হলো দুইশিংযুক্ত একটি তারার (আপনি চাইলে একে প্লানেট এক্স বলতে পারেন) আগমন যার লম্বা লেজ থাকবে এবং সারা আকাশকে আলোকিত করবে এর কারণে উপকূলবর্তী স্থানসমূহ ডুবে যাবে |
ঘনঘন ভূমিকম্প হবে |
মহানবী (সঃ) আরো বলেন,
“তোমরা ততক্ষন পর্যন্ত ইমাম মাহদিকে দেখতে পাবে না যতক্ষন পর্যন্ত না ১৫ রমজান শুক্রবার পৃথিবীর পূর্ব, পশ্চিম এবং অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলাতে তিনটি ভয়াবহ ভূমিধ্বস হবে যা কোনো চোখ এ পর্যন্ত দেখে নি” |
তারপর আয়েশা (রঃ) জিজ্ঞেস করলেন “যদিও পৃথিবীতে কিছু ভালো মানুষ থাকবে তাও কি এ ঘটবে?”
মহনবী (সঃ) বললেন, “যখন খারাপের সংখ্যাই বেশি হবে এবং পৃথিবীতে অন্যায় অবিচার বেড়ে যাবে এবং বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে |”
এই ভূমিধ্বস ঐ স্থানের সকলকে গিলে ফেলবে |
http://m.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2Fwww.islamicfinder.org%2FdateConversion.php&h=fAQFOZRqY

এই সাইটে গিয়ে ১৫ রমজান ১৪৩৩ লিখে দেখুন তাহলে ইংরেজী সণে যে তারিখ পাওয়া যায় তা হল ৩ আগস্ট ২০১২ শুক্রবার | আল্লাহই ভালো জানেন কি হবে না হবে তবে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত |

ইমাম মাহদি আসার আরো লক্ষন হলো বিশৃঙ্খলা ও বিদ্রোহ দেখা দিবে এক জায়গায় বিদ্রোহ হতেই অন্য স্থানে বাতাসের গতিতে তা ছড়িয়ে পড়বে | রমজান মাসে ২ টি গ্রহন হবে যদিও এই লক্ষনটি পূর্ণ হয়ে গিয়েছে হিজরী ১৪০২ সণে |ইরাক-ইরান যুদ্ধ ইমাম মাহদি আসার লক্ষন | দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে | সোমালিয়া সহ আরো কয়েকটি দেশে ১.৫ কোটিরও অধিক মানুষ দুর্ভিক্ষ কবলিত |
জেরুজালেম ইহুদিদের দখলে চলে যাবে, মানুষ মিথ্যা কথাকে সুদ গ্রহনকে সকল ধরনের গানবাজনাকে হালাল বলে মনে করবে, অযোগ্য ও অসত্ ব্যক্তিরা রাষ্ট্রপ্রধান হবে , দেশে দেশে বিদ্রোহ দেখা দিবে, সত্য বিলুপ্ত হবে, ধর্মপ্রচার করা কঠিন হয়ে যাবে, ধর্মের কথা বললে মানুষ খারাপ বলে মনে করবে, দিন খুব দ্রুত যাবে বলে মনে হবে এগুলি সবই হলো ইমাম মাহদি আসার লক্ষন | এছাড়া আরো অনেক লক্ষন আছে যা বর্তমান যুগের সাথে মিলে | সিরিয়া, ইয়েমেনে যা হচ্ছে তাও ইমাম মাহদির আগমনের আলামত | হাদিসে বলা হয়েছে দাজ্জাল শাসন করবে ৪০ দিন. ১ম দিন ১ বছরের মত, ২য় দিন ১ মাসের মত আর ৩য় দিন ১ সপ্তাহের মত এবং বাকী ৩৭ দিন আমাদের স্বভাবিক দিনের মত. এখন সুরা হজ্জ এর ৪৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে- “ তোমার প্রতিপালকের ১ দিন তোমার ১ হাজার বছরের সমান |”

১ দিন = ১০০০/১বত্সর = ১০০০ বত্সর
১ দিন = ১০০০/১২মাস = ৮৩.৩৩ বত্সর
১ দিন = ১০০০/৫২সপ্তাহ = ১৯.২৩ বত্সর

এই হিসাব অনুযায়ী দাজ্জাল (AntiChrist) তার গোপন এবং প্রতারণাপূর্ণ সংগঠন শুরু করেছে তার অনুসারী ইহুদীদের মাধ্যমে বৃটেনে প্রায় ৯০০ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত. যা হল ১০০০ বছর. এইরুপে দাজ্জাল তার ১ম দিন শেষ করল. দাজ্জাল এভাবে ২য় দিনে এবং ১৯১৭ সালে অ্যামেরিকার কাছে এই সংগঠনের ক্ষমতা হস্তান্তর করল এবং সকল ধরনের কার্যক্রম চালু রাখল . ২০০১ সালের ৯/১১ পর্যন্ত যা ৮৩.৩৩ বছর. এভাবে দাজ্জাল তার ২য় দিন শেষ করল এবং তার ক্ষমতা ঈসরাইলের কাছে হস্তান্তর করল. সেই অনুযায়ী এখন চলছে দাজ্জালের ৩য় দিন যা শেষ হবে (২০০১+১৯)= ২০২০ সালে. এরপর আসবে সত্যিকার দাজ্জাল শারীরিক ভাবে যা আমাদের ৩৭ দিনের মত. আরেক হাদিসে বলা হয়েছে ইমাম মাহদি শাসন করবেন ৭ বত্সর. মহানবী (সঃ) বলেছেন, “বিশাল যুদ্ধ এবং ইস্তাম্বুল জয় এর মধ্যে ৬ বছর পূর্ণ হবে এবং দাজ্জাল এর আগমন ঘটবে সপ্তম বছরে.

অপর হাদিসে বলা হয়েছে ইমাম মাহদি শাসনের ৭ম বছরে দাজ্জালের আগমন হবে. সুতরাং ২০২০-৭=২০১৩. সেই অনুযায়ী ইমাম মাহদির আগমন ২০১৩ এ ঘটতে পারে. আল্লাহই ভালো জানেন. আর ইমাম মাহদির আগমনের পূর্বে পৃথিবীতে মারাত্নক দুর্যোগ হবে তা ২০১২. আল্লাহই ভালো জানেন.
মহানবী (সঃ) বলেছেন, “সারা পৃথিবী ধোয়া দিয়ে আচ্ছন্ন না হওয়া পর্যন্ত সেই দিন (ইমাম মাহদির আগমনের দিন) আসবে না ”
ডিসকোভারির অ্যাপোকিলিপ্স আর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের বেশ কয়েকটি ডকুমেন্ট রয়েছে এ সম্বন্ধে . তাদের মতে লা পামার (La Palma) এই কুমব্রেভিয়েহা অথবা আমেরিকার ইয়েলোস্টোনের অগ্নুত্পাত হলে সারা আমেরিকা নিশ্চিহ্ন হবে এবং এর ফলে সারা পৃথিবী ধোঁয়ায় ঢেকে যাবে. এমনকি মাসখানেক সূর্যও চোখে পড়বে না.
পাঠক চিন্তা করবেন না আরো কয়েকটা কথা বলে ইনশাল্লাহ শেষ করে ফেলব | ইসা (আঃ) তথা যিশু (Jesus) এর পুনঃআগমন এতে আমাদের প্রত্যেকেরই বিশ্বাস করতে হয় |

শুধু আমি একটাই হাদীস বলব সেটা হলো – ইসা (আঃ) (Jesus Christ) দাজ্জালকে (AntiChrist) ২টি তীর দিয়ে মারবেন গেইট অব লুত এ যা ইসরাইল এ অবস্থিত | আমাদের সমাজে এখন পারমানবিক বোমা থেকে শুরু করে কত ধরনের রাইফেল আছে তা সত্ত্বেও এই শক্তিশালি দাজ্জালকে (এন্টিখ্রিস্ট) কেন ২টি তীর দিয়েই মারা হবে ? এ থেকে বুঝা যায় আমাদের এই চরম উন্নত সভ্যতা আর থাকবে না, মানবের এই উন্নত সভ্যতার পতন ঘটবে এবং কুব কম সংখ্যকই টিকে থাকবে (আল্লাহই ভালো জানেন) |

এখনই সময় জীবনকে সুন্দর করে তোলার নতুবা এমন এক সময় আসবে যখন চাইলেও আর পারবেন না |

আমি কয়েকটা জিনিস স্পষ্ট করতে চাই

১. আমি কিন্তু ১০০ ভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি না আগামী বছরই হবে, সর্বশক্তিমান আল্লাহই ভালো জানেন | নিশ্চই তিনি মহাজ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ |

২. আমরা কেউ কখনও এ কখনও এ কথা বলতে পারি না যে কেয়ামত অনেক দুরে কারন তা কুরআন বিরোধী | কেয়ামত সম্পর্কিত জ্ঞান আল্লাহর ছাড়া আর কারো নেই | কেয়ামত অনেক দুরে এই কথা বলা উচিত না কারন আল্লাহই কুরআনে উল্লেখ করেছেন যে, “কেয়ামত সন্নিকটে” (সূরা ক্বামার)
আল্লাহর অযাব সম্পর্কে এভাবেই সূরা মুলকের ১৬ থেকে ১৮ আয়াতে বলা হয়েছে-
তোমরা কি নিশ্চিত যে, আকাশে যিনি আছেন তিনি তোমাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দেবেন না, অতঃপর তা কাঁপতে থাকবে না।
তোমরা কি নিশ্চিন্ত যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন না, অতঃপর তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী।
তাদের পূর্ববর্তীরা মিথ্যারোপ করেছিল, অতঃপর কত কঠোর হয়েছিল আমার অস্বীকৃতি।

৩. আর আবারও বলছি কেউ এটা কখনই ১০০% বিশ্বাস করবেন না. বিশ্বাস করবেন না যে এটা আগামি বছরই হবে. হ্যা তবে এটা হবেই ২০১২ তে না হলেও এসব ঘটার সময় সন্নিকটে. আর বারবার বলছি পৃথিবী ধ্বংস হবে না বড় দুর্যোগ হতে পারে (আল্লাহই ভালো জানেন) .

৪. আর কখনই বলবেন না কেয়ামত অনেক দুরে কারন মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “আমার জন্ম আর কেয়ামত হাতের মধ্যমা আর তর্জনি এই দুই আঙ্গুলের ব্যবধানের সমান | ” তাই আমাদের আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত নতুবা পরে নিজেই পস্তাবেন |

৫. মহানবী (সঃ) বলেছেন – “ শেষ যুগে আমার কিছু উম্মত মদ, ব্যভিচার, ঘুষ, সুদ, মিথ্যা কথা বলা এগুলিকে হালাল বলে মনে করবে ” | এখনকার যুগে এর প্রত্যেকটি হচ্ছে |
আর আমরা হলাম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর উম্মত মানে আমরা শেষ যুগের মানুষ আমরা এটা কিভাবে ভুলে যাই ???

কেয়ামতের আলামত হল .মানুষ ঘরে বসেই দূরের খবর জানতে পারবে ।উচু ইমারত নির্মান করা হবে । মেয়েরা বেপর্দার সাথে ঘুরে বেড়াবে । সন্তান বাবা মায়ের অবাধ্য হবে । জিনা ব্যাভিচার বেড়ে যাবে । বর্তমানে এগুলো ব্যাপক হারে ঘটে যাচ্ছে । সুতরাং কেয়ামত সন্নিকটে । তাই আসুন আগে থেকেই সতর্ক হই । আল্লাহ ও রাসুলের (সাঃ) আনুগত্য করি ।

৬. আবারও বলছি আমি আপনাকে ভয় দেখাচ্ছি না. এটা জেনে আপনি যদি নিজেকে সংশোধন করেন তাহলেই আমার সাফল্য. আমি এবং আমরা বন্ধু ইমাম মাহদির সাথে ১৪৩৩ তথা ২০১২ এর সম্পর্ক এই নিয়ে রিসার্চ করে নিজেদের পাল্টিয়েছি. এবার আপনার বদলানোর পালা নতুবা পরে অনেক দেরি হয়ে যাবে.

শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১২

শতবর্ষের শীর্ষ ১০ ভূমিকম্প

 
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় ৮ দশমিক ৬ মাত্রার প্রবল ভূমিকম্প অনুভূত হয় বুধবার। এর প্রভাবে বাংলাদেশও কেঁপে ওঠে কয়েক দফায়। ভূমিকম্পের পরপরই বাংলাদেশসহ ভারত মহাসাগর সংলগ্ন দেশগুলোর জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও পরবর্তী সময়ে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

১৯০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১শ’ ১২ বছরে ঘটা সবচেয়ে ভয়াবহ ১০টি ভূমিকম্পের খবর জানাচ্ছে এনডিটিভি। ভূমিকম্পের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে ঘটনাগুলোকে পরপর সাজানো হয়েছে।

১৯৬০ সালের ২২ মে চিলির সান্টিগো ও কনসেপসিওতে আঘাত হানে ৯ দশমিক ৫ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প। এর প্রভাবে তীব্র জোয়ার ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের পাশাপাশি প্রায় ৫ হাজার মানুষ নিহত ও ২০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।

আলাস্কায় ১৯৬৪ সালের ২৮ মার্চ বড় ধরনের এক ভুমিকম্প ও এর ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ১২৫ জন নিহত ও প্রায় ৩১ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের তীব্রতা ধারণ করা হয় ৯ দশমিক ২। এ ভূমিকম্পে আলাস্কার বৃহত্তর অংশ ছাড়াও কেঁপে ওঠে পশ্চিমাঞ্চলীয় ইয়ুকন অঞ্চল ও কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া।

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের আচেহ প্রদেশে ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর আঘাত হানে ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প। এর প্রভাবে ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভারত ও আরো নয়টি দেশে ২ লাখ ২৬ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়।

১৯৫২ সালের ৪ নভেম্বর রাশিয়ায় ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানায় সুনামি ঘটলেও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ ভূমিকম্পে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জেও সুনামি আঘাত হানে।

জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানে ২০১১ সালের ১১ মার্চ। ৯ মাত্রার এ ভূমিকম্পে সৃষ্ট সুনামিতে চেরোনোবিল ঘটনার ২৫ বছর পর বিশ্বে পরমাক্ষু ক্ষেত্রে বড় ধরনের সংকট দেখা দেয়। ওই ভূমিকম্প ও সুনামিতে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়।

২০১০ সালের ২৭ ফেব্র“য়ারি চিলিতে আঘাত হানা ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প ও এর ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ৫শ’রও বেশি মানুষ নিহত ও প্রায় ৩০বিলিয়ন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়।

১৯০৬ সালে ইকুয়েডর ও কলাম্বিয়ার উপকূলীয় এলাকাতেও ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। মধ্য আমেরিকার উপকূলীয় এলাকা ছাড়াও সানফ্রান্সিসকো ও পূর্ব জাপানও এ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্প ও এর পরবর্তী সুনামিতে প্রায় ১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

২০১২ সালের ১১ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশসহ সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভারতে ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

১৯৬৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আলাস্কাতে ৮ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে সুনামির সৃষ্টি হয়।

২০০৫ সালের ২৮ মার্চ সুমাত্রায় ভূমিকম্পের আঘাতে ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। রিখটাল স্কেলে এর মাত্রা ছিলো ৮ দশমিক ৬।

ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকম্পে ৫ জনের প্রাণহানি

 
ন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় বুধবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে এবং এক শিশু মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।


ইন্দোনেশিয়ার বিপর্যয় মোকাবেলা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরো নুগ্রহ বলেন, “হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে অন্তত দু’জন। ভয়ে হতবিহব্বল হয়ে মারা গেছে আরেকজন। আর শিশুটি আহত হয়েছে একটি গাছ উপড়ে পড়ে।” এ ব্যাপারে সুতোপো বিস্তারিত আর কিছু জানান নি।


হতাহত ও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি কি হয়েছে তা এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় জানান তিনি।


বুধবার ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে রাস্তায় নেমে আসে আতঙ্কিত লোকজন। ভূকম্পন অনুভূত হয় সূদূর দক্ষিণ ভারতেও। ভূমিকম্পের ২ ঘণ্টা পর কয়েকটি শক্তিশালী পরাঘাতও হয়। জারি করা হয় সুনামি সতর্কতা।


তবে পরবর্তীতে সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়। ২০০৪ সালের মতো বড় ধরনের কোনো সুনামির খবরও পাওয়া যায়নি।

‘দশ মিনিটেই বিধ্বস্ত’ উত্তর কোরিয়ার রকেট

উত্তর কোরিয়ার বহুল আলোচিত দূরপাল্লার রকেটটি উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিটের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা।


উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাঙের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কক্ষপথে আবহাওয়া উপগ্রহ পাঠানোর কথা বলে এই রকেট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা বিধ্বস্ত হওয়ায় ‘বিব্রতকর’ অবস্থায় পড়েছেন দেশটির নতুন নেতারা।


অবশ্য এ বিষয়ে উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের দাবি, শুক্রবার উত্তর কোরিয়া-চীন সীমান্তের উৎক্ষেপণ মঞ্চ থেকে ছাড়ার ১০ মিনিটের মধ্যে ‘উনহা-৩’ রকেটটি ১২০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে পীত সাগরে বিধ্বস্ত হয়।


দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “গোয়েন্দা তথ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, উত্তর কোরিয়ার রকেট উৎক্ষেপণ চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।


উত্তর আমেরিকার এয়ারোস্পেস ডিফেন্স কমান্ড (এনওআরএডি) বলছে, রকেটের নিচের অংশটি পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার পশ্চিম দিকের সাগরে। আর উপগ্রহ বহনকারী বাকি অংশ অন্য কোথাও পড়েছে।


বিধ্বস্ত রকেটের জঞ্জাল মাটিতে না পড়ায় কোনো বিপদও ঘটেনি বলে জানিয়েছে এনওআরএডি।


গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিশ্বজনমত উপেক্ষা করে এই রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যায় উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার আপত্তির পাশাপাশি ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন ও সাবেক মিত্র রাশিয়ার অনুরোধও তারা উপেক্ষা করে।


দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কর্মকর্তাই মনে করেন, উপগ্রহ পাঠানোর নাম করে উত্তর কোরিয়া আসলে পরমাণু অস্ত্রবাহী দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণেরই পরীক্ষা চালিয়েছে। এর আগে দুই বার পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি।


অবশ্য উত্তর কোরিয়ার দাবি, পৃথিবীর কক্ষপথে উপগ্রহ পাঠানোর বিষয়টি তাদের সার্বভৌম অধিকার, আর সেই চেষ্টাই তারা করেছে।

চশমায় গুগল!

স্যান ফ্রান্সিসকো, এপ্রিল ০৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)-

  বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর চলচ্চিত্রগুলোতে অনেক সময় চশমা চোখে দিয়েই ভিডিও দেখা বা ভিডিও যোগাযোগের ঘটনা দেখা যায়। এখন বাস্তবেই এমন চশমা নিয়ে আসছে ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগল।

মানুষের উদ্দীপনার সিগনালকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের চশমা তৈরি নিয়ে নিজেদের গবেষণার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করেছে গুগল।

বুধবার ‘প্রজেক্ট গ্লাস’ নামের এ গবেষণা সংশ্লিষ্ট ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট গুগল প্লাসে প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে দেখা গেছে, ক্ষুদ্র ডিজাইনের এ চশমায় রয়েছে মাইক্রোফোনসহ আংশিক-সচ্ছ্ব ভিডিও স্ক্রিন। স্ট্যাম্প-সাইজের এই ডিজিটাল ডিসপ্লে চশমার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে এবং এটি বসানো হয়েছে একদিকের লেন্সের উপরের কোণায়। ব্যবহারকারী তার ডান চোখ দিয়েই গুগলের সব সুবিধা কাজে লাগাতে পারবে।



অজানা কোনো গন্তব্যে যেতে এ চশমাতেই গুগল ম্যাপে দেখে নেওয়া যাবে সঠিক রুট, তুলে নেওয়া যাবে ছবি, তা শেয়ার করা যাবে বন্ধুদের সঙ্গে এমনকি করা যাবে ভিডিও কনফারেন্সও। তাছাড়া, এ চশমায় গান-বাজনাসহ অন্যান্য অডিও রেকর্ডিং শোনারও ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও এতে কোনো এয়ারফোন নেই।

গুগল এ ডিজিটাল চশমার ব্যাপারে ভোক্তাদের মন্তব্য আহ্বান করেছে। তবে কবে নাগাদ চশমাটি বাজারে পাওয়া যাবে বা এর দাম কতো হতে পারে তা নিয়ে কিছু জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।

‘গুগল এক্স’ নামের প্রতিষ্ঠানটির গবেষণাভিত্তিক ল্যাব তাদের এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমাদের কয়েকজন মিলে ‘প্রজেক্ট গ্লাস’ শুরু করি এমন একটি প্রযুক্তি তৈরির জন্য যা ব্যবহারকারীকে মূহুর্তের মধ্যেই সারা পৃথিবী অনুসন্ধান করা ও তা অন্যকে জানানোর সুযোগ করে দেবে।”

এতে আরো বলা হয়, এ পর্যায়ে এ গবেষণা সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে, কারণ এ ব্যাপারে সবার মূল্যবান মতামত জানতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।

অস্ত্রোপচারে থ্রিডি প্রযুক্তি


 অস্ত্রোপচারের সময় যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ থ্রিডি প্রজেকশন ব্যবহারের দাবি করেছেন ম্যানচেস্টার রয়্যাল হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

জন গ্রিন (৬২) নামের এক ব্যক্তির প্রোস্টেট অপসারণের সময় এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় বলে বিবিসি জানায়।

অস্ত্রোপচারের সময় হাই ডেফিনেশন স্ক্রিনে হ্যান্ড হেল্ড রোবোটিক হাতের থ্রিডি চিত্র দৃশ্যমান হয়।

গত মাসে স্টকপোর্টের স্টেপিং হিল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো একই ধরনের রোবোটিক হ্যান্ড হেল্ড ডিভাইস ব্যবহার করা হলেও পূর্ণাঙ্গ থ্রিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে অস্ত্রোপচার যুক্তরাজ্যে এই প্রথম।

পুরো প্রক্রিয়া থ্রিডিতে পর্যবেক্ষণের জন্য চিকিৎসক দল অস্ত্রোপচারের সময় বিশেষ এক ধরনের চশমা ব্যবহার করেন।

চিকিৎসকরা জানান, রোবোটিক ও থ্রিডি প্রযুক্তিকে সমন্বিত করলে অস্ত্রোপচারে আরো বেশি নমনীয়তা আনা যায়।

তবে আরো বৃহত্তর পরিসরে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের আগে স্বল্প সংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রেই শুধু এটি প্রয়োগ করা হবে।

ম্যানচেস্টার রয়্যাল হাসপাতালের মুখপাত্র জানান, থ্রিডি প্রযুক্তি একজন চিকিৎসককে সঠিকভাবে কাজ করার বড় ধরনের সুযোগ করে দেয়। এতে করে পেশি ও øায়ুর সমস্যার ঝুঁকি কমে যায়।

তিনি আরো বলেন, এটা একজন চিকিৎসকের ক্লান্তিভাব কমাতে সহায়তা করবে। এর অর্থ হলো, তারা আরো বেশি বেশি অস্ত্রোপচার করতে পারবে যার ফলাফল আরো ভালো হবে।

আর বেশি সংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তির ব্যবহার সহজলভ্য হবে বলে আশা করছেন ওই অস্ত্রোপচারের নেতৃত্বদানকারী সার্জন ডান ব্র“ক।

তিনি বলেন, “এ প্রযুক্তির যে সম্ভাবনা রয়েছে সে বিষয়ে ইতোমধ্যেই আমরা উৎসাহিত। প্রকৃতপক্ষে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবাকে লাভবান করতে পারে এমন উন্নততর ফলাফলের জন্য পরিকল্পনা করছি আমরা।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এফএফ/সিআর/১১৫৬ ঘ. 

৬শ’ সন্তানের পিতা!


ঢাকা, এপ্রিল ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- নিজের ফার্টাইলিটি ক্লিনিকে স্পার্ম দান করে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী বার্টল্ড উয়িসনার প্রায় ৬শ’ সন্তানের পিতা হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত শতকের ’৪০-’৬০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে লন্ডনভিত্তিক বার্টন ক্লিনিকে স্পার্ম দান করে প্রায় ১৫শ’ সন্তান ধারণে সহায়তা করেন নারীদের।


দ্য ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।


এ ক্লিনিকে জন্মগ্রহণকারী প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা কনাডার ব্যারি স্টিভেন্স ও লন্ডনের আইনজীবী ডেভিড গোলডনজ বার্টল্ডকে তাদের জৈবিক পিতা হিসেবে আবিষ্কারের পর তাকে ৬শ’ সন্তানের পিতা হিসেবে দাবি করেন।


ব্যারি ও ডেভিড এ ক্লিনিকে জন্মগ্রহণকারী আরো ১৮ ব্যক্তিকে সনাক্ত করেন যাদের ১২ জনেরই (দুই তৃতীয়াংশ) জৈবিক পিতাও একই ব্যক্তি। আর এ ফলাফলের ভিত্তিতে বার্টল্ড ৬শ’ সন্তানের পিতা বলে দাবি করেছেন ব্যারি ও ডেভিড।


দ্য সানডে টাইমস সংবাদপত্রকে ডেভিড বলেন, “সাধারণ একটা হিসেব হলো, বার্টল্ড হয়ত প্রতি বছর ২০ বার স্পার্ম দান করেছেন। যমজ শিশু ও গর্ভপাতের ঘটনাসহ জীবিত শিশুর হিসেব করলে আমার মনে হয়, তিনি ৩শ’-৬শ’ শিশুর পিতা।”


আর তাদের এ দাবি সত্য প্রমাণিত হলে বার্টল্ডই এক্ষেত্রে নতুন রেকর্ডধারী হবেন বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সম্প্রতি সর্বাধিক ১৫০ শিশুর পিতা হিসেবে আমেরিকার অজ্ঞাত এক স্পার্ম দাতার নাম উঠে এসেছে এ তালিকায়।


হাসপাতালটির প্রাথমিক ডোনারদের মধ্যে অন্যতম বার্টল্ড ১৯৭২ সালে মারা যান।

মঙ্গলবার, ৩ এপ্রিল, ২০১২

সু ব ন্ধু স মী পে ষু

মস্যার কথা জানাতে পারেন।

 সমস্যাটা আমার বোনের। আমার বোনের স্বামী সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং মানুষ হিসেবেও তার অনেক সুনাম আছে। আমার বোন এবং তার স্বামী এত সুখী ছিল যে আমরা ও আমাদের আত্মীয়স্বজন সবাই তাদের উদাহরণ হিসেবে নিতাম।

কয়েক মাস আগে আমার বোন বুঝতে পারে যে তার স্বামী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। প্রথমে সে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারেনি। আমরা দুলাভাইয়ের মুঠোফোনের কললিস্ট দেখে চমকে যাই। একটা নম্বর থেকে কয়েক শ এসএমএস এবং ফোন এসেছে। বোনের স্বামীর মুঠোফোন থেকেও বেশ কিছু ফোন ও এসএমএস গিয়েছে। সেই নম্বরে খোঁজ নিয়ে ঠিকানা বের করে জানতে পারি, সে মেয়ে বিবাহিত, একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করে। তার সাত-আট বছরের একটি মেয়েও আছে।
মেয়েটির স্বামী বিদেশে থাকে এবং স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব খারাপ—এই অজুহাতে সে সবার সমবেদনা পাওয়ার চেষ্টা করে।
আমার বোন ওর একমাত্র মেয়ে নিয়ে আমাদের কাছে চলে এসেছে এবং মানসিকভাবে এমন ভেঙে পড়েছে।সে কোনোভাবেই স্বামীর সংসারে যেতে চাইছে না। যদিও ওর স্বামী খুব অনুতপ্ত এবং লজ্জিত। এখন আমাদের কী করা উচিত? ওই মেয়েটির স্বামীকে কি সব জানানো উচিত, নাকি মেয়েটির অফিসে বিষয়টি জানানো উচিত?
সেতু
বনানী, ঢাকা।
 দুটো সংসার। একটা আপনার বোনের, আরেকটা সংসার বা বলয় সেই মেয়েটির। যার সঙ্গে আপনার বোনের স্বামী জড়িয়ে পড়েছিলেন।
আপনাদের দায়িত্ব আপনার বোনের প্রতি। তার স্বামী যদি অনুতপ্ত হন এবং বিভিন্নভাবে সেটা প্রকাশ পায়, একসময় না একসময় আপনার বোনের মনে বিশ্বাস আসবে। হয়তো আবার সে সংসারে ফিরে যাবে। কেউ-ই চায় না সমাজে বা সংসারে ভারসাম্য নষ্ট হোক। আপনাদের উচিত হবে, আপনার বোন এবং তার স্বামীর সম্পর্ক যাতে আবার জোড়া লাগে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া।
আর অন্য মেয়েটির ব্যাপারে আপনারা কতটুকুই বা করতে পারবেন। ফোন কোম্পানি থেকে বের করতে পারেন সে কত জায়গায় সম্পর্ক তৈরি করেছে। তার পর?
দোষারোপ করে, রিপোর্ট করে এ ধরনের সমস্যা সমাধান করা যায় না বলেই আমার বিশ্বাস।

 আমার বয়স ২২ বছর। ২০০৯ সালে আমার একটা ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয়। আমি তখন খুব আবেগপ্রবণ ছিলাম। কিন্তু ধীরে ধীরে তার আচরণে বুঝতে পারি, আমার প্রতি তার কোনো শ্রদ্ধা বা সম্মানবোধ নেই। তার আচার-আচরণে আমি খুব কষ্ট পেতাম। আমার এ কষ্টগুলো তার এক বন্ধুর সঙ্গে ভাগ করতাম। একসময় সিদ্ধান্ত নিই, আমি আমার প্রেমিকের কাছ থেকে দূরে সরে যাব। এ সময় তার বন্ধুর সঙ্গে আমার খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়। দূরে সরে আসায় আমার প্রেমিক পাগলের মতো হয়ে যায়। ফলে আমাদের সম্পর্ক আবার জোড়া লাগে। কিন্তু সে আমাকে সন্দেহ ও অবিশ্বাস করতে শুরু করে। আমার প্রেমিকের একটাই কথা, তার বন্ধুকে ত্যাগ করতেই হবে। তার বন্ধুর সঙ্গে তার সম্পর্ক এখন খুব খারাপ। তার বন্ধু আমাকে অনেক সম্মান ও শ্রদ্ধা করে এবং সে আমার অনেক ভালো বন্ধু। তাকে ত্যাগ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি আমার প্রেমিকের ভালোবাসাকেও অনেক শ্রদ্ধা করতে থাকি। এখন আমি কী করব?

তাসিন, নারায়ণগঞ্জ।
 তুমি একটু নিজেকে সত্যি করে প্রশ্ন করো যে তোমার প্রেমিকের বন্ধুর ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছ কি না। যদি বন্ধুর সঙ্গে সে রকমই নির্ভরশীলতার সম্পর্ক হয়, তবে আমি মনে করি, প্রথম পর্যায়ে তোমার প্রেমিকের সঙ্গে তোমার যে সম্পর্কের জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তা থেকে নিস্তার পেতে তুমি এ বন্ধুকে বেছে নিয়েছিলে। যে সম্পর্ক তোমার প্রেমিকের সঙ্গে, সেটা আবার জোড়া লেগেছে একমাত্র এই বন্ধু পাশে আছে বলেই। আমি মনে করি, তোমার এ পর্যায়ে একটা ব্রেকের প্রয়োজন। তুমি দুজনের কাছ থেকেই সরে এসো। এতে তুমি নিজেকে নতুন করে চিনতে পারবে। তোমার মধ্যে যে দ্বন্দ্ব কাজ করছে, সেটার একটা সমাধান হবে।

 আমি আমার পরিবারের সবার ছোট। ঢাকার একটি বেসরকারি কলেজে স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছি। আমার একজন বড় ভাই আছেন। তিনি বিবাহিত। কিছুদিন আগে আমার ভাইয়ের শারীরিক সমস্যা ধরা পড়ে। তখন আমার পরীক্ষা ছিল। উল্লেখ্য, ভাইয়া ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ভাবি আমাকে সব কথা বলেন। তাঁর মাঝে মাতৃত্বের একটা চরম আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়, তখন আমরা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। ভাইয়া সবকিছু জানেন। তাঁর সমস্যার কারণে তিনি আমাদের অনুমতি দিয়েছেন এই শারীরিক সম্পর্কের জন্য। এখন ভাবি সন্তানসম্ভবা। আমার ভাইয়া এবং ভাবি দুজনই অনেক খুশি এই সন্তানের জন্য। কিন্তু আমার কেমন যেন ভয়ংকর অনুভূতি সৃষ্টি হয় এবং পড়ালেখায় ঠিকমতো মন বসে না। আমি এখন কী করলে সমস্যার সমাধান হবে?

নাম ও ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক।

 ঘটনাটি তোমার জন্য খুবই যন্ত্রণাদায়ক। এ রকম ঘটে, আমি শুনেছি, উন্নত দেশে। কোনো দম্পতি হয়তো স্বাভাবিকভাবে সন্তান ধারণ করতে পারছে না। স্বামীর শুক্রাণু এবং স্ত্রীর ডিম্বাণু নিয়ে তা আরেকজন নারীর গর্ভে স্থাপন করা হয়। সাধারণত এই নারীর সঙ্গে এই স্বামী-স্ত্রীর কোনো সম্পর্ক থাকে না। একটা দূরত্বেই সন্তানসম্ভবা মহিলা সন্তান ধারণ করেন এবং প্রসবের পর শিশুটি সেই দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয়। আমি শুনেছি, এত দূরত্ব সত্ত্বেও যে ‘বায়োলজিক্যাল মাদার’ তার মধ্যে একটা আবেগের চাপ তৈরি হয়। তবে তোমার বিষয়টি একেবারেই ভিন্ন। এ জটিল মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে তুমি অবশ্যই কোনো কাউন্সেলার-সাইকোলজিস্ট কিংবা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টের সাহায্য নেবে। মনোবিজ্ঞানীর সাহায্য নেওয়াটা জরুরি।

ডিকেন্সের গল্প নিয়ে নির্মিত পুরনো চলচ্চিত্র উদ্ধার


 
ব্রিটিশ সাহিত্যিক চার্লস ডিকেন্সের জন্মের দ্বিশতবার্র্ষিকীর বছরেই খুঁজে পাওয়া গেলো তারই গল্প নিয়ে নির্মিত সবচেয়ে পুরনো চলচ্চিত্রটি।

‘দ্য ডেথ অব পুওর জো’ নামের এ চলচ্চিত্রটি ১৯০১ সালের মার্চ মাসে তৈরি করা হয়। এক মিনিট দৈর্ঘ্যরে এই কাহিনীচিত্রটি নির্মাণ করেন পথিকৃৎ চলচ্চিত্রকার জর্জ অ্যালবার্ট স্মিথ।

গত ফেব্র“য়ারিতে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের (বিএফআই) তত্ত্বাবধায়ক ব্রায়নি ডিক্সন এটি উদ্ধার করেন।

ডিক্সনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, চলচ্চিত্রের কপিটি খুব ভালো অবস্থাতেই আছে।

এক তুষারপাতের রাতে একটি গির্জার দেয়ালের পাশে ‘জো’ নামের একটি মেয়ের মৃত্যুর সময়ের গল্প দেখানো হয়েছে এ চলচ্চিত্রটিতে। স্থানীয় এক প্রহরী তাকে পড়ে থাকতে দেখে এবং সেই প্রহরীর কোলে মাথা রেখেই জোয়ের মৃত্যু হয়।

বিএফআই জানায়, ধারণা করা হচ্ছে ‘জো’য়ের চরিত্রে পরিচালক জর্জ স্মিথের স্ত্রী লরা বেইল ও প্রহরীর চরিত্রে টম গ্রিন অভিনয় করেছিলেন। ইংল্যান্ডের ব্রাইটনে এটি নির্মাণ করা হয় বলে মনে করা হচ্ছে।

১৯৫৪ সালে কপিটি বিএফআইয়ের কাছে হস্তান্তর করেন ব্রাইটনের জনৈক স্মিথ। তবে এর নির্মাণ সময় তালিকাভুক্ত করা ছিলো ১৯০২ সালে।

চীনের প্রথমদিককার চলচ্চিত্র বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এটি খুঁজে পান ডিক্সন।

ডিকেন্সের আরেকটি গল্প ‘জো ইন ব্লিক হাউজ’র পরবর্তী পর্ব বলে ধরে নেওয়া হয় গল্পটিকে।

এর আগে ১৯০১ সালের নভেম্বরে নির্মিত ‘স্ক্রুজ অর মার্লি’জ ঘোস্ট’ চলচ্চিত্রটিকে চার্লস ডিকেন্সের গল্প নিয়ে নির্মিত সবচেয়ে পুরনো চলচ্চিত্র বলে মনে করা হয়।

ডিকেন্সের জন্মের দ্বিশতবার্ষিকী উপলক্ষে ৯ মার্চ ও ২৩ মার্চ লন্ডনের সাউথব্যাংকে ‘ডিকেন্স অন স্ক্রিন’ আয়োজনে এটি প্রদর্শন করা হবে বলে জানান ডিক্সন। এছাড়া পরবর্তীতে এর ডিভিডি বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে বিএফআইয়ের।

মূত্রে ডিম সিদ্ধ!

চীনের পূর্বাঞ্চলে একটি জনপ্রিয় বসন্তকালীন জলখাবার কুমার বালকদের মূত্রে সিদ্ধ করা ডিম।

খাবারটির নাম ‘কুমার বালকদের ডিম’। ১০ বছরের কম বয়সী বালকদের মূত্রেই সাধারণত এ ডিম সিদ্ধ করা হয়।

“এ ডিম খেলে হিটস্ট্রোক হবে না। মূত্রে রান্না করা এ ডিমগুলো সুগন্ধযুক্ত। শরীরের জন্যও ভালো। প্রতি বেলায় খাবারের সময় আমরা এগুলো খাই। দংজিয়াংয়ের সব পরিবারই এ ডিম খেতে পছন্দ করে,” বলেন, দংজিয়াং শহরের ৫১ বছর বয়সী এক ডিম বিক্রেতা।

এই জলখাবার তৈরি করতে লেগে যায় পুরো একটি দিন। বালকদের পেশাবখানা থেকে মূত্র সংগ্রহের মধ্য দিয়ে এ প্রক্রিয়ার শুরু। তারপর পাত্রভর্তি মূত্রের মধ্যে ডিমগুলো সিদ্ধ করা হয়।

এক সময় সিদ্ধ ডিমগুলোর খোসাগুলো ভেঙে যায়, এরপর আরো কয়েক ঘন্টা ডিমগুলোকে ওই মূত্রের মধ্যে রেখেই ঠান্ডা করা হয়।

যারা এ ডিম খেয়েছে তারা জানায়, এগুলো খাওয়ার পর তাদের দেহের উত্তাপ কমেছে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালনও ভালো হয়েছে।

দংজিয়াংয়ের ৫৯ বছর বয়সী বাসিন্দা লু ইয়াংজেনের উক্তি, “আমাদের পূর্বপুরুষরাও এগুলো খেয়েছেন। এই ডিমগুলো খাওয়ার কারণে আমাদের কোমরে, পায়ে ও জোড়ার জায়গাগুলোতে কোনো ব্যথা হবে না। এগুলো খাওয়ার পর কাজ করার জন্য বেশি শক্তি পাওয়া যায়।”

তবে অনেকে খেলেও দংজিয়াংয়ের সবাই এ ডিম খায় না। বিশেষত, সচেতন তরুণ বয়সীদের অনেকেই এসব কথায় বিশ্বাস করে না।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই ‘কুমার বালকদের ডিম’ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এই অদ্ভুত ‘সুখাদ্য’র জীবাণুমুক্ততার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন তাদের কেউ কেউ।

শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১২

আকাশে উড়ল সুবিশাল কাগজের বিমান


আকাশে উড়ল সুবিশাল কাগজের বিমান 
কাগজ ভাঁজ করে ছোট আকারের যে খেলনা বিমান তৈরি করা হয়, ঠিক সে রকমই সুবিশাল একটি কাগজের বিমান অ্যারিজোনা মরুভূমিতে ওড়ানো হয়েছে। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট পিসি ম্যাগ এক খবরে জানিয়েছে, পিমা এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়ামের ‘জায়ান্ট পেপার অ্যারোপ্লেন’ প্রকল্পে বিজয়ী ১২ বছর বয়সী দুজন তরুণ বিমানটি তৈরি করেছিল। ৪৫ ফুট লম্বা এই বিমানটি তিন হাজার ফুট উঁচুতে ১০ সেকেন্ড পর্যন্ত উড়তে সক্ষম হয়েছে।
বিশালকায় এই কাগজের বিমানটির নাম ‘আর্তুরোস ডেজার্ট ঈগল’। কাগজের বিমানটি ওড়াতে অবশ্য হেলিকপ্টারের সাহায্য নিতে হয়েছে। সিকোরস্কি এস৫৮টি হেলিকপ্টারের সঙ্গে একটি শিকল বেঁধে কাগজের এই বিমানকে দুই হাজার ৭০৩ ফুট ওপরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর কাগজের বিমানটি ঘণ্টায় ১০০ মাইল গতিতে ছুটতে শুরু করে। কিন্তু ১০ সেকেন্ড পরেই বাতাসের তোড়ে কাগজের এই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

বিশ্বের প্রথম পুরো হীরার আংটি!

এত দিন হীরার আংটিতে মূল্যবান কোনো ধাতুর কাঠামোর কেন্দ্রে হীরার টুকরো বসানো হতো। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত অলংকার-নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সাউইশ জুয়েলারি আস্ত একটি হীরা ব্যবহার করে একটি আংটি তৈরি করেছে, যাতে শুধু হীরাই ব্যবহূত হয়েছে। ১৫০ ক্যারেট হীরার তৈরি এ আংটির দাম সাত কোটি ডলার। এটিই বিশ্বের প্রথম পুরো হীরার আংটি।

ফ্যাশন-বিষয়ক ওয়েবসাইট স্টাইলিট জানিয়েছে, ১৫০ ক্যারেটের এ আংটি বিখ্যাত সব হীরার আংটিকে টেক্কা দিতে সক্ষম হবে। বিখ্যাত হীরার আংটির মধ্যে রয়েছে জে-জির কাছ থেকে বিওন্সি নোলসের পাওয়া ১৮ ক্যারেটের হীরার আংটি বা রিচার্ড বার্টনের কাছ থেকে এলিজাবেথ টেলরের পাওয়া ৩০ ক্যারেটের আংটি।
সাউইশের প্রধান নির্বাহী মোহামেদ সাওয়েশ জানিয়েছেন, আস্ত একটি হীরার টুকরো লেজার দিয়ে কেটে এ আংটিটি তৈরি করা হয়েছে। এটি তৈরিতে লেজার ছাড়াও প্রচলিত পলিশ ও কাটিং পদ্ধতি ব্যবহূত হয়েছে। আর এর আকার তৈরিতে সময় লেগেছে পুরো এক বছর।
জানা গেছে, আংটি তৈরির বিষয়টি কপিরাইট করিয়ে নিয়েছে সাউইশ।

উচ্চ ঘনত্বের গ্রহের সন্ধান

ফরাসি জ্যোতির্গবেষকেরা সম্প্রতি উচ্চ ঘনত্বের একটি গ্রহের সন্ধান লাভ করেছেন। পৃথিবী থেকে চার হাজারের কিছু বেশি আলোক বর্ষ দূরের এই গ্রহের নাম রাখা হয়েছে কোরোট-২০বি। গবেষকেরা গ্রহের বর্ণালি পরীক্ষার মাধ্যমে গ্রহের আকার-প্রকৃতি নির্ণয়ের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বৃহস্পতি গ্রহের চার-পঞ্চমাংশ আকারের এই গ্রহ পুরোটাই গ্যাসীয় প্রকৃতির। বৃহস্পতি থেকে আকারে ক্ষুদ্র হলেও গ্রহটির ঘনত্ব চার গুণ বেশি বলে ধারণা করছেন জ্যোর্তিবিদেরা। সূর্যের মতো একটি তারাকে আবর্তিত এই গ্রহকে সন্ধান পাওয়া উচ্চ ঘনত্বের গ্রহগুলোর একটি বলে মনে করছেন গবেষকেরা। ফ্রান্সের মার্সেই জ্যোতির্পদার্থ গবেষণাগারের গবেষকেরা ‘ইউরোপীয় কোরোট মিশন’ প্রকল্প পরীক্ষায় এই গ্রহের সন্ধান লাভ করেন।
সুদীপ্ত দেবনাথ

পারমাণবিক দুর্ঘটনার সেকাল-একাল

  • পারমাণবিক দুর্ঘটনায় ফুকুশিমার ভয়াবহ চিত্র পারমাণবিক দুর্ঘটনায় ফুকুশিমার ভয়াবহ চিত্র
  • চলছে উদ্ধার তৎপরতা চলছে উদ্ধার তৎপরতা
1 2
১১ মার্চ ছিল জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিস্ফোরণের প্রথম বার্ষিকী। ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল দুর্ঘটনার পর ফুকুশিমা পারমাণবিক দুর্ঘটনা হলো সবচেয়ে ভয়াবহ। তবে সময়ের কারণেই দুটি দুর্ঘটনার মধ্যে ফারাক ছিল বিস্তর। এ দুটি দুর্ঘটনার পার্থক্য তুলে ধরেছেন পরমাণু বিজ্ঞানী জাকিয়া বেগম

প্রায় ৬০ বছরের পারমাণবিক চুল্লির ইতিহাসে বিশ্বে যে কয়েকটি পারমাণবিক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ১৯৮৬ সালের ২৬ মার্চ রাশিয়ার চেরনোবিলে এবং অন্যটি ২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের ফুকুশিমায় সংঘটিত দুর্ঘটনা দুটিকে অন্যতম ভয়াবহ বলে চিহ্নিত করা হয়। এ দুটি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু পার্থক্য আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেছেন। পার্থক্যগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়:

 ১৯৭১ সালে স্থাপিত ফুকুশিমার চুল্লিটি ৪০ বছরের আয়ুষ্কাল শেষ করে বর্ধিত সময়ের জন্য পরিচালনার অনুমোদনপ্রাপ্ত ছিল। কিন্তু ১৯৭৭ সালে স্থাপিত চেরনোবিলের চুল্লিটি দুর্ঘটনার আগে মাত্র নয় বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
 চেরনোবিলের চুল্লিতে প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল। উপরন্তু, নিরাপত্তাসংক্রান্ত সতর্কতা অবলম্বন না করে গবেষণা পরিচালনার সময় ভুলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু চুল্লির নকশায় উচ্চমাত্রার সুনামির সম্ভাবনা বিবেচনায় না রাখায় রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প-পরবর্তী সুনামি ফুকুশিমা দুর্ঘটনার কারণ।
 চেরনোবিলের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার সময় চুল্লি সক্রিয় থাকায় ফিশনবিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে ওঠে এবং মুহূর্তে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বিস্ফোরিত পারমাণবিক বোমার চেয়ে ভয়াবহ ও মারাত্মক বিস্ফোরণ ঘটে। ফুকুশিমায় ভূমিকম্পের সঙ্গে সঙ্গে ফিশনবিক্রিয়া থেমে গিয়ে চুল্লিগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রে কোনো রকম বিস্ফোরণ ঘটেনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সুনামির আঘাতে শীতলীকরণ পদ্ধতি অকার্যকর হয়ে পড়ায় চুল্লির কেন্দ্র অতিরিক্ত মাত্রায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে কোনোটি আংশিকভাবে এবং কোনোটির অধিকাংশই গলে যায়। ব্যবহূত জ্বালানির আধারগুলোর ঠান্ডাকরণ পদ্ধতিও অকার্যকর হয়ে পড়ে।
 ১ গিগাওয়াট শক্তিসম্পন্ন চেরনোবিলের চুল্লিটির কেন্দ্র ইদানীংকালের চুল্লিগুলোর চেয়ে প্রায় তিন গুণ বড় ছিল। এত বিরাট চুল্লি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ায় তা প্রচণ্ডভাবে বিস্ফোরিত হয়। ফুকুশিমারটি ৪ দশমিক ৭ গিগাওয়াট শক্তিসম্পন্ন।
 ‘হাইপ্রেশার ওয়াটার রিঅ্যাকটর টাইপ’ চেরনোবিলের চুল্লিতে রিঅ্যাকটর ভেসেল এবং কনটেইনমেন্ট বিল্ডিং ছিল না। ‘বয়েলিং ওয়াটার টাইপ’ ফুকুশিমার চুল্লিতে বর্তমানে ব্যবহূত অন্যান্য চুল্লির মতো জ্বালানিসংবলিত কেন্দ্র খুব পুরু স্টিলের তৈরি চাপযুক্ত আধারের মধ্যে (রিঅ্যাকটর প্রেসার ভেসেল) আর সম্পূর্ণ চুল্লিটি যেকোনো ধরনের তেজস্ক্রিয় পদার্থ আবদ্ধ রাখতে সক্ষম স্টিল ও কংক্রিটের তৈরি বিশেষ ধরনের কাঠামোর মধ্যে স্থাপিত ছিল।
 ফুকুশিমার চুল্লিটি ‘লাইট ওয়াটার’ মডারেটরবিশিষ্ট হওয়ায় এটির কেন্দ্রে দাহ্য গ্রাফাইটের উপস্থিতি ছিল না। চেরনোবিল দুর্ঘটনাটি ভয়াবহ হয়ে ওঠার অন্যতম একটি কারণ, ‘গ্রাফাইট মডারেটেড’ চুল্লিতে গ্রাফাইটের উপস্থিতি, যা এটিকে অত্যন্ত দাহ্য করে তোলে। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ডভাবে আগুন ধরে যায়, যার কারণে তেজস্ক্রিয় মেঘ আকাশে বহু ওপরে বিস্তৃতি লাভ করে, যা প্রায় ১০ দিন পর্যন্ত জ্বলতে থাকে।
 ফুকুশিমার ছয়টি চুল্লির মধ্যে চারটি এবং ‘স্পেন্ট ফুয়েলে’র আধার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চেরনোবিলের চারটি চুল্লির মধ্যে মাত্র একটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
 ফুকুশিমার চুল্লিতে জ্বালানির পরিমাণ ছিল এক হাজার ৬০০ টন আর চেরনোবিলে ১৮০ টন।
 ফুকুশিমায় অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রায় চুল্লির ভেতরের বাষ্প থেকে হাইড্রোজেন আলাদা হয়ে যায়, যা চুল্লির স্থাপনার ভেতরে জমা হয়ে বিস্ফোরণের সৃষ্টি করে। ফলে স্থাপনার ছাদের একটি অংশ বিধ্বস্ত হয়, তবে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ নির্গমনের ক্ষেত্রে এর কোনো ভূমিকা ছিল না। তা ছাড়া চুল্লির ভেতরে বাষ্পীয় চাপ কমিয়ে বিস্ফোরণ ঠেকানোর লক্ষ্যে অপারেটররাও ইচ্ছাকৃতভাবে বাষ্পীয় মেঘ বাতাসে বিমুক্ত করে দেয়। এই বাষ্পের মধ্যস্থ তেজস্ক্রিয় কণাগুলোর অর্ধায়ু মাত্র কয়েক সেকেন্ড হওয়ায় এগুলো বাতাসে মিশে যাওয়ার আগে বিকিরণমাত্রা মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর পর্যায়ের নিচে নেমে আসে। তা ছাড়া প্রশান্ত মহাসাগরের তীরবর্তী হওয়ায় এবং দুর্ঘটনার সময় বাতাস সাগরের দিকে ধাবিত হওয়ায় এ ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলোর অধিকাংশ সাগরে গিয়ে পড়ে, যা সাগরের পানির সঙ্গে মিশে তরলকৃত হয়ে পড়ে।
 পরবর্তী সময়ে প্রচণ্ড উত্তাপে চুল্লি গলিত অবস্থায় চলে যাওয়ায় এবং স্থাপনার ভেতরের কিছুটা অংশে ফাটল দেখা দেওয়ায় এ ফাটল এবং সেই সঙ্গে উত্তপ্ত স্পেন্ট ফুয়েল দিয়ে তেজস্ক্রিয়তাযুক্ত পানি ও বাষ্প বের হতে থাকে, যা পরিবেশকে দূষণযুক্ত করে তোলে। তা ছাড়া শীতলীকরণের কাজে ব্যবহূত পানি সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়ায়ও বেশ কিছু তেজস্ক্রিয় পদার্থ বাতাস ও পানিতে মিশে যায়।
 যদিও দুটি ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার মাত্রা পারমাণবিক দুর্ঘটনার স্কেলে ৭, তাই ফুকুশিমা দুর্ঘটনায় পরিবেশে ছড়িয়ে পড়া তেজস্ক্রিয় পদার্থের পরিমাণ চেরনোবিল দুর্ঘটনার মাত্র ১০ শতাংশ।
 ফুকুশিমায় তেজস্ক্রিয়ার কারণে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। চেরনোবিলে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ২০০ পিকোবেকারেল তেজস্ক্রিয়ার বিকিরণপাত হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে দুজন, পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে জরুরি উদ্ধারকাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৫০ জন মারা যায়। প্রায় ছয় লাখ মানুষ অত্যন্ত উচ্চমাত্রার বিকিরণ দ্বারা সম্পাতিত হয়ে পড়ে। কাছের একটি বনাঞ্চল সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়, চারপাশে বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পাশের ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বিরাট এলাকাজুড়ে তেজস্ক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ায় এসব দেশের উদ্ভিদ ও প্রাণীকুল তেজস্ক্রিয় ঝুঁকির সম্মুখীন হয়।
 ফুকুশিমায় দুর্ঘটনাস্থল থেকে উত্তর-পশ্চিমে ৬০ কিলোমিটার এবং দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বিকিরণমাত্রা বার্ষিক গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে ঊর্ধ্বে এবং সর্বোচ্চ তেজস্ক্রিয়া ৩৭০ পিকোবেকারেল পরিলক্ষিত হয়। এ ক্ষেত্রে বিরাট এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম।
 তৎকালীন সোভিয়েত সরকার প্রথম দিকে বাসিন্দাদের দুর্ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা থেকে বিরত থাকে এবং দ্রুত পাশের এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়। খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করায় আয়োডিনযুক্ত তেজস্ক্রিয়যুক্ত দুধ গ্রহণের কারণে আক্রান্ত শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে প্রায় ছয় হাজার জন পরবর্তী সময়ে থাইরয়েড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে কয়েকজন মারা যায়।
 ফুকুশিমায় ক্ষতিকর আয়োডিন নিঃসরণের পরিমাণ চেরনোবিলের চেয়ে প্রায় সাত গুণ কম। তা ছাড়া জাপান সরকার খুব দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে জনসাধারণকে সরিয়ে নেওয়ায় এবং সময়োপযোগী কিছু পদক্ষেপ নেওয়ায় তেজস্ক্রিয় সম্পাত থেকে অনেকেই রক্ষা পায়। ২০-৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় জন্মানো খাদ্যশস্য গ্রহণ করার ব্যাপারে সতর্ক এবং বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এলাকার পশুর দুধ ও দুগ্ধজাতদ্রব্য শিশুদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত টোকিও নগরের কলের পানি শিশুখাদ্যের জন্য সাময়িকভাবে উপযোগী নয় বলে সাবধানতা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। তা ছাড়া শিশুদের স্থায়ী আয়োডিন খাইয়ে তেজস্ক্রিয় আয়োডিন থাইরয়েডে জমা হওয়ার আশঙ্কা কমিয়ে আনায় থাইরয়েড ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কাও কমানো হয়েছে।
 চেরনোবিলে কৃষি এলাকাজুড়ে ৩০ বছর অর্ধায়ুবিশিষ্ট সিজিয়াম-১৩৭ এবং ২৮ বছর অর্ধায়ুবিশিষ্ট স্ট্রনশিয়াম-৯০ ছড়িয়ে পড়ে। ফুকুশিমায়ও প্রায় ২০০ মাইল এলাকাজুড়ে সিজিয়াম-১৩৭ ছড়িয়ে পড়ে।
 চেরনোবিলে দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা থেকে প্রাথমিকভাবে প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার মানুষ সরিয়ে নিয়ে পুনর্বাসন করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে বেলারুশ, রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার মানুষ সরিয়ে নেওয়া হয়। ফুকুশিমায় দুর্ঘটনাকবলিত স্থাপনা থেকে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার বাসিন্দাকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়।
 ফুকুশিমার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমগুলো বহু তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে, যা চেরনোবিলের সময় সম্ভব ছিল না। তা ছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ সহজতর হওয়ায় নানাবিধ পরামর্শ ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়েছে।
লেখক: পরমাণু বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ, ইউআইটিএস।a

সোমবার, ২৬ মার্চ, ২০১২

কোথাও কেউ নেই

আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে আর বোন আসমা এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে ফলাফলের অপেক্ষায়। এমন সময় ওদের দুজনকে দেখি আমরা। প্রথম দেখায়ই রনি ভাইয়ের নাজু আপাকে ভালো লেগেছিল। অচিরেই আমরা দুই বোন নাজু আপা আর রনি ভাইয়ের ছায়াসঙ্গী হয়ে উঠলাম। কিন্তু কোন ফাঁকে তাদের দুজনের মধ্যে ভালোবাসা হয়ে গেছে আমরা টেরও পাইনি। কয়েক দিনের পরই নাজু আপা আমাদের সব খুলে বললেন। এমএ পরীক্ষা শেষ করে রনি ভাই চাকরি শুরু করেন। অল্পদিনের মধ্যে মহা ধুমধাম করে তাঁদের বিয়ে হলো। দুই বছরের মাথায় তাঁদের ঘর আলো করে এল আরিয়ান। এত সুন্দর ফুটফুটে ছেলে! কিন্তু ছোট্ট একটা ফুটো তার ছোট্ট হূৎপিণ্ডে। নাজু আপা, রনি ভাই দুজনেই স্বচ্ছল পরিবারের। চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি হয়নি। দেশে-বিদেশে চিকিৎসা আর নাজু আপার অনেক মমতা আর যত্নে আরিয়ান অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছিল। ছোট্ট বয়সে অপারেশনের ধকল নিতে পারবে না, তাই শেষ অস্ত্রোপচারটা একটু দেরিতেই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওর বাবা-মা, হ্যাঁ চিকিৎসকের পরামর্শেই।
এর মধ্যে হঠাৎই নাজু আপার আব্বা মারা গেলেন, হার্ট অ্যাটাক। নানা ভাইয়ের জন্য অনেক মন খারাপ করল সাড়ে তিন বছর বয়সী আরিয়ান। বাবার মৃত্যুর শোক সামলে আরিয়ানকে নিয়ে নাজু আপা আর রনি ভাই ভারতে গেলেন। উপমহাদেশের বিখ্যাত শিশু হূদরোগ বিশেষজ্ঞ শেঠী আরিয়ানের অপারেশন করলেন। মা-বাবার সঙ্গে একই বিমানে দেশে ফিরে এসেছিল আরিয়ান কিন্তু হিমশীতল কফিনে করে।
আমরা দুই বোন, একসময় যারা ছিলাম নাজু আপার ছায়াসঙ্গী। দেখতে গেলাম ওঁদের। বিধ্বস্ত দুজনেই। তফাত একটাই, নাজু আপা অনবরত কথা বলছিলেন আর রনি ভাই বাক্রুদ্ধ। এরপর অনেক রাত তাঁরা ঘুমোতে পারেননি। ২৪ ঘণ্টা আলো জ্বালিয়ে রাখতেন। চোখ বন্ধ করতে গেলেই নাজু আপা দেখতেন আরিয়ান বিছানায়...।
সময় চলে যায়। জীবন বহিয়া চলে।
আবারও মা হওয়ার আকুতি রীতিমতো পাগল করে তোলে নাজু আপাকে।
জীবন চলে আপন গতিতে। নাজু আপার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা আত্মার। রক্তের বন্ধন স্থাপনের জন্য আম্মার অপারেশনের সময় জরুরি রক্ত প্রয়োজন। এগিয়ে এলেন আমাদের নাজু আপা। আম্মার প্রতি তাঁর মমতা-শ্রদ্ধা অন্য রকম! আরিয়ানকে ফিরে পাওয়ার জন্য আম্মার কাছে দোয়া চাইতেন, আম্মার কাছে বসে কাঁদতেন। কিছুদিনের মধ্যেই আবদুল্লাহ এল, আরিয়ানের রূপ ধরে। এখন ওর বয়স ছয় বছর। স্কুলে যায়। কিছুদিন আগে ওর আর্ট একজিবিশন হলো।
অনেক দিন নাজু আপার সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। মোবাইল ফোনসেটের পরিবর্তন আর ফোন নম্বর না লিখে রাখার কারণে কোনোভাবেই তাঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হয়ে ওঠেনি। এর মধ্যে নম্বর খুঁজে পেলাম। ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ফোন করলাম। সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে আমার ফোন পেয়ে নাজু আপা কী যে খুশি হয়েছিলেন, তা আমি এই সাত সমুদ্র তেরো নদী দুরে বসেও টের পাচ্ছিলাম। বললেন, আমি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছি, আমাকে অ্যাড করো। প্রোফাইল ছবি দেখে মনটা ভালো হয়ে গেল। মনে হলো ১৮ বছর আগে প্রথম ওঁদের দেখেছিলাম কিন্তু একটুও যেন বদলাননি ওঁরা দুজন।
১ মার্চ দুপুরে বোন আসমার ফোন—রনি ভাই নেই। হার্ট অ্যাটাক! আরিয়ানের পাশেই শুইয়ে দেওয়া হয়েছে তার বাবাকে।
সালমা শফিক
মেলবোর্ন,
অস্ট্রেলিয়া থেকে

আমি সাবিনা

আমি তখন নামকরা একটি স্কুলের হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করি। গ্রীষ্মকালীন ছুটি উপলক্ষে স্কুল ১৫ দিনের বন্ধ, তাই আমরা সবাই বাড়ি চলে আসি। একদিন সকালবেলা ঘুম না ভাঙতেই আমার রুমমেট মিঠুনের ফোন।
ফোন ধরা মাত্রই সে বলে উঠল, ‘দোস্ত, আমার একটা উপকার করো।’
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কী?’
সে বলল, ‘আমি আজ সাত দিন ধরে মনির (মিঠুনের প্রেমিকা) সঙ্গে কথা বলতে পারছি না। মনির মোবাইল নম্বরটা বন্ধ।’
আমি বললাম, ‘এখন আমি কী করব?’
সে বলল, ‘মনির বাবার নম্বরটা খোলা আছে, তুমি মনির বান্ধবী সেজে উনার সঙ্গে কথা বলবে আর মনিকে বলবে, আমাকে একটা ফোন করতে।’
যেই কথা, সেই কাজ, সারা দিন মেয়েদের মতো কথা বলা চর্চা করলাম। সবশেষে খেয়াল করলাম, আমি যখন চাপাস্বরে, আস্তে কথা বলি, তখন আমার কণ্ঠ মেয়েদের মতো হয়। আমার বন্ধুটাও কয়েকবার ফোন করে যাচাই করে নিল, আমার কণ্ঠ মেয়েদের মতো হচ্ছে কি না।
সে আমাকে মনির বাবার কাছে মনির এক বান্ধবীর পরিচয় দিতে বলল। আমি অনেকটা ভয়ে ভয়ে রাত আটটায় মনির বাবার কাছে ফোন করলাম আর মেয়েদের মতো কণ্ঠস্বরে সালাম দিয়ে বললাম—
‘আংকেল! আমি মনির বান্ধবী সাবিনা, মনিকে ফোনটা দেওয়া যাবে?’
মনির বাবা বলল, ‘মা! আমি তো এখন বাজারে, তুমি এক ঘণ্টা পরে ফোন করো।’
কথাটা শোনামাত্রই আমি অনেকটা আনন্দিত হয়ে গেলাম। কেননা, মনির বাবা আমাকে ধরতে পারেননি। বসে বসে সময় গুনতে লাগলাম, কখন এক ঘণ্টা পার হবে। তা ছাড়া অপেক্ষার সময় যেন কিছুতেই শেষ হয় না। ঠিক এক ঘণ্টা পর আমি আবার ফোন করলাম। ওপাশ থেকে মনির বাবা বলে উঠল—
‘হ্যালো, কে?’
‘আংকেল আমি মনির বান্ধবী সাবিনা।’ কথাটা বললাম চাপাস্বরে, ঠিক মেয়েদের মতো।
মনির বাবা আমার কথা বুঝতে না পেরে আমাকে জোরে বলতে বললেন। আমি আবারও বললাম কিছুটা জোরে। তিনি এবারও বুঝতে পারলেন না। তাই বিরক্ত হয়ে আমি এবার অনেক জোরে বললাম—
‘আংকেল! আমি মনির বান্ধবী সাবিনা।’
কথাটা বলেই আমি থমকে গেলাম। কেননা আমি যখন জোরে কথা বলতে গেলাম, তখন মেয়েদের মতো করে না বলে আমি আমার মতো করেই বলে ফেললাম নিজের অজান্তে। আর তখনই শুনতে পেলাম ওপাশ থেকে গালাগালের আওয়াজ ভেসে আসছে। আমি তখন লাইনটা কেটে মোবাইল ফোনটা বন্ধ করে দিলাম। আর নিজের বোকামির জন্য নিজেকে অভিসম্পাত দিলাম।
সাদ্দাম হোসেন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী।

মনের জানালা

সমস্যা: আমার বয়স ৩০। ২০০২ সালে বিয়ে করি। আমাদের দুটি কন্যাসন্তান আছে। ২০০৮ সালে সরকারি নৈশপ্রহরী হিসেবে চাকরিতে যোগদান করি। চাকরির সুবাদে আমি চট্টগ্রামে থাকি। দুই সন্তান নিয়ে আমার স্ত্রী গ্রামের বাড়ি থাকে। নৈশপ্রহরী হিসেবে কোনো সাপ্তাহিক ছুটি বা সরকারের অন্যান্য ঘোষিত ছুটি না থাকায় আমার প্রিয় স্ত্রী ও আদরের সন্তানদের দেখতে যাওয়ার তেমন সময় হয় না। বিকেল পাঁচটা থেকে পরের দিন সকাল নয়টা পর্যন্ত অফিসের সব নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে হয়। রাতে আমি ছাড়া অফিসে আর কেউ থাকে না। তাই নিঃসঙ্গতায় আমাকে সারা রাত প্রহর গুনতে হয়। এমন নিঃসঙ্গ জীবন নিয়ে সব সময় হতাশায় ভুগি। মাঝেমধ্যে মন চায় চাকরি ছেড়ে দিই। কিন্তু অবুঝ সন্তানদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে নিজের বিবেকের কাছে হেরে যাই। আমি সব সময় হীনমন্যতায় ভুগি এবং নিজেকে খুব নগণ্য মনে হয়। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, এমনকি স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে কথা বলতেও বিরক্তি বোধ করি। মন চায়, সব সময় একা থাকি এবং নীরবতা পালন করি। কেউ ভালো কথা বললেও তা আমার কাছে খারাপ মনে হয়।
পিবিসি
সদরঘাট, চট্টগ্রাম।
পরামর্শ: তুমি লেখাপড়া কতটুকু করেছ জানি না, তবে তুমি কিন্তু সুন্দরভাবে গুছিয়ে নিজের কথাগুলো লিখেছ। শুধু মায়ের পক্ষে সন্তানদের সুন্দরভাবে বড় করা সম্ভব নয়। সন্তানের অধিকার রয়েছে মা-বাবার আদর স্নেহ ও নির্দেশনা নিয়ে পথ চলার। পুরুষদের একটি ভালো অবস্থান তৈরি না করে বিয়ে করা ঠিক নয়। সন্তানকে পৃথিবীতে আনার আগে ভাবা উচিত, মা-বাবা মিলে তাকে একটি সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে পারবেন কি না। তোমার চাকরির শর্তগুলো লিখিতভাবে তোমাকে দেওয়া হয়েছে কি না, তা জানি না; তবে কোনো ছুটি ছাড়া একটি মানুষকে দিয়ে ১৬ ঘণ্টা নৈশপ্রহরীর কাজ করানো অত্যন্ত অমানবিক এবং যেকোনো দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী। এ ছাড়া তুমি পাহারা দেওয়ার সময় সম্পূর্ণ একা থাকছ বলে তোমার পক্ষে মানসিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব হচ্ছে না। স্পষ্টতই তুমি বিষণ্নতায় ভুগছ। সে কারণে কারও সঙ্গে কথা বলতে গেলে অত্যন্ত বিরক্ত বোধ করছ। আমার মনে হচ্ছে, তোমার সঙ্গে খুব বড় ধরনের অন্যায় করা হচ্ছে। তুমি চট্টগ্রামে লেবার ডাইরেক্টরেটের অফিসে গিয়ে খোঁজ নিতে পারো, কোনো চাকরির শর্ত এ ধরনের হতে পারে কি না। যারা রাতে ডিউটি করে, তাদের কিন্তু সাধারণত সপ্তাহান্তে আবার দিনের বেলা ডিউটি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছুটির ক্ষেত্রেও পালা করে তারা ছুটি ভোগ করে। কারও মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর কাজের চাপ যেন নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে, সে ব্যবস্থা করা সব সংস্থারই অবশ্য কর্তব্য। তুমি ঠিকই ধারণা করেছ, এ শর্তগুলো মেনে দীর্ঘদিন কাজ করলে ভবিষ্যতে পথ চলতে অসুবিধা হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। তোমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে সুন্দরভাবে অসুবিধার কথাগুলো আলোচনা করতে পারো। আর যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে এ চাকরিতে থাকা অবস্থাতেই অন্য কোনো চাকরির খোঁজ করতে পারো।

সমস্যা: আমার বয়স ২৮ বছর। স্বামীর বয়স ৩২ বছর। বিয়ের বয়স পাঁচ বছর। আমরা একই অফিসে কর্মরত। আমার স্বামীর সমস্যার কারণে আমরা কোনো দিন মা-বাবা হতে পারব না। ও আমাকে খুব ভালোবাসে। আমিও ভালোবাসি। তবে মাঝেমধ্যে আমি কেমন যেন হয়ে যাই। তখন কাউকে আমার সহ্য হয় না। নিজেকে অসুখী মনে হয়। কোথাও শান্তি পাই না। তখন আমার সংসারে অশান্তি শুরু হয়। ওকে একদম সহ্য হয় না। মরে যেতে ইচ্ছে করে। অনেকবার মনের দিক থেকে প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। কিন্তু মা-বাবা কষ্ট পাবে, এ কারণে তা পারিনি। আমার অন্য কোনো কষ্ট নেই। স্বামী খুব ভালো। এখন আমি কী করলে সুন্দরভাবে স্বামীকে নিয়ে সংসার করতে পারব।
নাবা ইসলাম
মানিকগঞ্জ

পরামর্শ: আমি বুঝতে পারছি, তুমি মা হতে পারবে না মনে করে প্রায়ই অসহায় ও হতাশা বোধ করছ। তুমি অবশ্য জানাওনি, বিয়ের আগেও তোমার মধ্যে বিষণ্নতা ছিল কি না। তোমার শৈশব আনন্দময় ছিল কি না, সেটি জানা খুব প্রয়োজন ছিল। তোমার যদি মনে হয়, মায়ের ভূমিকা তোমার মনের শান্তি নিশ্চিত করবে এবং তোমাকে সুখী করবে, তাহলে কোনো একটি অসহায়-এতিম শিশুর অভিভাবকত্ব নিতে পারো। আমার জানামতে অনেকেই এ ধরনের শিশুকে বুকে তুলে নিয়েছেন এবং তাঁদের জীবনের চিত্র অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। তবে একটি শিশুকে সুন্দরভাবে তার শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আবেগীয় বিকাশ নিশ্চিত করে বড় করা কিন্তু অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এটি সুষ্ঠুভাবে করার জন্য সুন্দর দাম্পত্য সম্পর্ক ও মা-বাবার সুস্থ মানসিকতা অত্যন্ত প্রয়োজন। তুমি প্রায়ই নিজের ক্ষতি করার কথা ভাবছ বলে আমার মনে হচ্ছে। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বা কাউন্সেলিং গ্রহণ করলে তুমি এভাবে আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাবে না। নিজেকে অনেক ভালোবাসবে এবং জীবনকে একটি উপহার হিসেবে গণ্য করে একে অর্থবহ করে তুলবে। আমাদের ভেতরে যে রাগ, ক্ষোভ, কষ্ট ও ভয় তৈরি হয়, সেগুলো কমিয়ে রেখে সুস্থ ও স্বাভাবিক আচরণ করার দায়িত্ব কিন্তু আমাদের ওপর বর্তায়।
এতে আশপাশের প্রিয় মানুষেরা ভালো থাকতে পারে। আশা করি, তুমি ঢাকায় এসে কোনো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মনোবিজ্ঞানীর কাছ থেকে কাউন্সেলিংসেবা নিয়ে সুস্থভাবে জীবন যাপনের পথ খুঁজে নেবে। শুভ কামনা রইল।

সোমবার, ১৯ মার্চ, ২০১২

গাড়ি ছিনতাই, আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে উদ্ধার

বাগেরহাট, মার্চ ১৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)-আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছিনতাই হওয়া একটি গাড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া ছিনতাইয়ে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।

গাড়িটির মালিকপক্ষ জানিয়েছে, জিপিএস’র (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) সাহায্যে দূর নিয়ন্ত্রিত ভেহিকল ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করে ছিনতাই হওয়া গাড়িটির অবস্থান শনাক্ত এবং এটির ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।

শনিবার রাত রাত আড়াইটায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ লিংক রোড থেকে গাড়িটি ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। ভোর ৪টার দিকে তা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন নড়াইলের সিংদিয়া বসুপাড়া গ্রামের মো. সাগর মোল্লা ওরফে লাড্ডু (২৬), শিংগা গ্রামের রমজান আলী মোল্লা (২০), নড়াগাতি উপজেলার বাওইসোনা গ্রামের সিফাত ফকির (২২), লোহাগড়ার ইতনা গ্রামের মিন্টু গাজী (৩০) এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর সরাইকান্দি গ্রামের মো. মনির শরীফ (২৪)।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার সবাই পেশাদার অপরাধী এবং মহাসড়কে সংঘবদ্ধ গাড়ি ছিনতাই চক্রের সদস্য।

ছিনতাই হওয়া গাড়িটি (পিকআপ) এনার্জি প্যাক নামে একটি প্রতিষ্ঠানের।

পিকআপ চালক সাগর মোল্লা (২৫) সাংবাদিকদের বলেন, গাড়ি নিয়ে গোপালগঞ্জ-কাশিয়ানী সড়কের গোপালপুর পৌঁছলে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে পাঁচ ছিনতাইকারী তাদের থামায় এবং পিকআপ নিয়ে চলে যায়।

ছিনতাইকারীরা তাদের দুজনের কাছে থাকা সাড়ে ১১ হাজার টাকা এবং তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।

বিষয়টি তারা এনার্জি প্যাক কর্মকর্তাদের ফোনে জানান।

এনার্জি প্যাকের সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার মো. সালাহ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের কোম্পানি গাড়িটিতে করে স্থানীয় গ্রামীণফোন টাওয়ারে জ্বালানি তেল সরবরাহ করে।

“খবর পেয়ে আমরা গ্রামীণফোনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা জিপিএস ব্যবহার করে পিকআপের ইঞ্জিন অচল করে দেয় এবং পিকআপটি বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা এলাকায় আছে বলে শনাক্ত করে।

“সেই অনুযায়ী বাগেরহাট পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা তা উদ্ধার এবং ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করে,” বলেন এই প্রকৌশলী।

বাগেরহাট হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. আজিজুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছিতাইকারীরা বুঝতে পারেনি যে দূর থেকে গাড়িটির ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারা যান্ত্রিক ক্রুটি হয়েছে মনে করে সারানোর জন্য পাঁচজনে ঠেলে গাড়িটে খুলনার দিকে নিয়ে যাচ্ছিল।

কেট উইন্সলেটের মঞ্চ অভিষেক অনলাইন ডেস্ক

প্রথমবারের মতো মঞ্চে অভিনয়ের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ‘টাইটানিক’খ্যাত ব্রিটিশ অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। ব্রিটিশ নাট্যকার ও চিত্রনির্মাতা ডেভিড হেয়ারের পরিচালনায় ‘স্কাইলাইট’ নাটকে অভিনয় করবেন তিনি। নাটকটিতে তাঁর সঙ্গে আরও অভিনয় করবেন বর্ষীয়ান ব্রিটিশ অভিনেতা বিল নাইটি।
এ প্রসঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ‘মঞ্চে অভিনয়ের জন্য মুখিয়ে আছেন কেট। স্কাইলাইট নাটকটির চিত্রনাট্য খুবই পছন্দ করেছেন তিনি। কেট আন্তরিকভাবেই চাইছেন নাটকটিতে অভিনয় করতে। বিষয়টি নিয়ে পরিচালক ডেভিড হেয়ারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার আলোচনার টেবিলেও বসেছেন তিনি।’
অবশ্য নাটকটি লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ডে, নাকি নিউইয়র্কের ব্রডওয়েতে মঞ্চস্থ হবে, তা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি।