Translate

মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

আসছে রেসিডেন্ট ইভিল ৬

আসছে রেসিডেন্ট ইভিল ৬

জোম্বি সিরিজের জনপ্রিয় গেইম ‘রেসিডেন্ট ইভিল ৬’ চলতি বছরেই বাজারে আসছে। গেইম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাপকম এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে। খবর বিবিসি অনলাইন-এর।

১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ‘রেসিডেন্ট ইভিল ৬’ গেইমটির ট্রেইলার ছেড়েছে ক্যাপকম। কনসোল এবং কম্পিউটার সংস্করণের জন্য তৈরি গেইমটি ২০ নভেম্বর বাজারে আসবে।

চীনভিত্তিক কিছু অংশ থাকছে গেইমটিতে। গেইমটির আগের সংস্করণগুলোর জনপ্রিয় চরিত্র ক্রিস রেডফিল্ড এবং লিওন কেনেডি ছাড়াও নতুন বেশ কয়েকটি চরিত্র যোগ হচ্ছে ষষ্ঠ সংস্করণটিতে।

গেইমটির প্লট বিষয়ে ক্যাপকম জানিয়েছে, ১০ বছর আগের রেকুন সিটিতে একটা ঘটনা ঘটে গেছে। ঠিক কি ঘটেছিলো সে সত্যটি জানানোর সিদ্ধান্ত নেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্টের পক্ষে এবং রেকুন সিটির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তি লিওন এস. কেনেডি। লিওন কেনেডিকে লড়তে হয় জোম্বি আক্রমণের বিরুদ্ধে। অ্যাকশনধর্মী গেইমটির ষষ্ঠ সংস্করণে গেমারকে ভয়ংকর যুদ্ধে নামতে হ

এলজির নতুন স্মার্টফোন 'কোয়াড-কোর অপটিমাস জি

এলজির নতুন স্মার্টফোন 'কোয়াড-কোর অপটিমাস জি'

নতুন কোয়াড-কোর স্মার্টফোন ‘অপটিমাস জি’ নিয়ে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়ান টেকনোলজি প্রতিষ্ঠান এলজি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের স্মার্টফোন বাজারে এতোদিন এলজি তেমন কোনো প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও, বলা হচ্ছে, স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস থ্রির সঙ্গে প্রতিদ্ব›দ্বীতায় নামতে পারে অপটিমাস জি। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

অপটিমাস জিতে রয়েছে ১.৫ গিগাহার্জের কোয়াড-কোর স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর, ৪.৭ ইঞ্চি ট্রু এইচডি ১২৮০ বাই ৭৬৮ পিক্সেলের আইপিএস ডিসপ্লে। আরো আছে ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ২ জিবি র‌্যাম এবং ২,১০০ মিলি অ্যাম্প ব্যাটারি। আর এ সবকিছুই থাকছে কেবল ৮ মিলিমিটার পুরু কেসিংয়ের মধ্যে।

এলজির নতুন অপটিমাস জি চলবে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ৪.০ আইসক্রিম স্যান্ডউইচ অপারেটিং সিস্টেমে। সেপ্টেম্বর মাসে প্রথমে কোরিয়া এবং জাপানের বাজারে আসবে অপটিমাস জি।

স্মার্টফোন বাজারের একছত্র অধিকারী অ্যাপলের রাজত্বে এলজির নতুন অপটিমাস জি কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে কি না সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।

জার্মান ইউজারদের আল্টিমেটাম ফেইসবুককে

জার্মান ইউজারদের আল্টিমেটাম ফেইসবুককে

ব্যবহারকারীদের অজান্তে ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারের কারণে ফেইসবুকের ওপর ক্ষেপেছে জার্মানির সবচেয়ে বড় ভোক্তা সংগঠন ‘জার্মান ফেডারেশন অফ কনজিউমার অর্গানাইজেশনস’। ব্যবহারকারীদের না জানিয়ে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য ফেইসবুকের নতুন অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে ব্যবহার বন্ধ না করলে মামলা করার হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি। খবর রয়টার্স-এর।

জার্মান ফেডারেশন অফ কনজিউমার অর্গানাইজেশন বলছে, অনুমতি ছাড়াই ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে ব্যবহার করে জার্মান প্রাইভেসি ল’ অমান্য করছে ফেইসবুক। ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান করার আল্টিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি। অন্যথায় সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সংগঠনটি।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা রক্ষার্থে ফেইসবুকের পলিসি নিয়ে নতুন করে তদন্তে নামার ঘোষণা দিয়েছিলেন ডেটা প্রটেশশন অ্যান্ড ফ্রিডম অফ ইনফরমেশনের হামবুর্গ কমিশনার।

শেয়ার বাজারে ক্রমাগত দরপতন, বিজ্ঞাপন থেকে আয় নিয়ে বিতর্ক আর দুর্বল প্রাইভেসি পলিসির কারণে ব্যবহারকারী এবং বিনিয়োগকারী -উভয়ের চাপের মুখে রয়েছে ফেইসবুক। এমন সময় জার্মান ভোক্তাদের সংগঠনটির মামলা করার হুমকি অনেকটাই যেন গোঁদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটটির জন্য।

চোখের ধকল কমানোর ৮ উপায়

চোখের ধকল কমানোর ৮ উপায়


কাজের খাতিরে প্রতিদিনই লম্বা সময় কম্পিউটার মনিটরের সামনে কাটিয়ে দেয়া খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার। অনেকের একনাগাড়ে ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় কাটাতে হয় পিসি মনিটরের সামনে। কিন্তু দীর্ঘসময় কাজ করার ফলে কম্পিউটার মনিটরের উজ্জ্বল আলো থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চোখ। এ সমস্যার সমাধানে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে এ আটটি উপায়-


১. কমিয়ে দিন মনিটরের উজ্জ্বলতা
চোখের ওপর মনিটরের উজ্জ্বল আলোর চাপ কমাতে কমিয়ে দিন আপনার মনিটরটির ব্রাইটনেস বা উজ্জ্বলতা। বাজারের সবগুলো মনিটরের সঙ্গেই পাওয়া যায় ইউজার গাইড। ওই ইউজার গাইডটি ব্যবহার করেই পছন্দ মতো কমিয়ে-বাড়িয়ে নিতে পারবেন মনিটরের ব্রাইটনেস, কনট্রাস্ট এবং রং। গাইডটি যদি হারিয়ে ফেলেন, তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, কিছুটা সময় গুগলকে দিলেই পেয়ে যাবেন আপনার মনিটরটির ম্যানুফাকচারার ম্যানুয়াল। গুগলে পাওয়া না গেলেও দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই, সব কম্পিউটার মনিটরেই থাকে একাধিক বাটন, যেগুলো ম্যানুয়ালি ব্যবহার করে লুকানো মেনু থেকে খুঁজে নিতে হবে প্রয়োজনীয় অপশন।

২. পারলে কিনুন কম্পিউটার রিডার চশমা
সম্ভব হলে কিনে ফেলুন কম্পিউটার রিডার চশমা। এই চশমার বিশেষত্ত্ব হচ্ছে, এতে রয়েছে প্রকেটটিভ কোটিং। আর চশমার লেন্সগুলো মনিটরের উজ্জল সাদা আলো থেকে চোখ রক্ষার জন্যেই বিশেষভাবে তৈরি।

৩. ম্যাগনিফায়ার ব্যবহার করুন
ম্যাগনিফায়ার প্রোগ্রামটি বানিয়েছে মাইক্রোসফট। কিবোর্ড বা মাউস কার্সর মনিটরের যেখানে থাকবে, সে জায়গাটিই বড় করে দেখাবে ম্যাগনিফায়ার। প্রোগ্রামটি ব্যবহার করে, কম্পিউটার মনিটরের ছোট লেখাগুলোর জন্য চোখের ওপর চাপ অনেকটাই কমাতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

মাইক্রোসফট পণ্য ব্যবহার না করলেও সমস্যা নেই। জুম সফটওয়্যার ব্যবহার করে ম্যাগনিফায়ারের মতো একই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন ম্যাক ইউজাররা।

৪. বাড়িয়ে নিন ব্রাউজারের ডিসপ্লে সাইজ
প্রয়োজন মতো বাড়িয়ে কমিয়ে নিন ব্রাউজারের ডিসপ্লে সাইজ। কিবোর্ডের কন্ট্রোল বাটনটি চেপে ধরে মাউস স্ক্রল করলেই পরিবর্তন আসবে আপনার ডিসপ্লেতে। কয়েকবার কমান্ড এবং + চেপে ব্রাউজার উইন্ডো বড় করে নিতে পারবেন ম্যাক ইউজাররা।


৫. কমিয়ে নিন স্ক্রিন রেজুলিউশন
কমিয়ে রাখুন ডিসপ্লের স্ক্রিন রেজুলিউশন। কম্পিউটার ডিসপ্লে উইন্ডোতে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে কমিয়ে নিতে পারেন স্ক্রিন ডিসপ্লে।

ম্যাক ব্যবহারকারীরা এ কাজটি করতে পারবেন স্ক্রিনের অ্যাপল লোগোতে যেয়ে। সেখান থেকে সিস্টেম প্রেফারেন্স এবং তারপর ডিসপ্লে সেটিং-এ যেয়ে।

৬. বাড়িয়ে নিন উইন্ডোজ টেক্সট সাইজ
চোখের ওপর থেকে চাপ কমাতে বাড়িয়ে নিন উইন্ডোজ টেক্সট সাইজ। টেক্সট এবং অন্যান্য আইটেমগুলোর আকার আকৃতি পরিবর্তনের সুবিধা রয়েছে উইন্ডোজ ৭-এ। ডিসপ্লে উইন্ডোতে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে পার্সোনালাইজ মেনুর ডিসপ্লে অপশনে যেতে হবে। সেখান থেকেই বদলানো যাবে টেক্সটের আকার আকৃতি।

৭. ছুটি দিন আপনার চোখ দু’টিকে
লম্বা সময় ধরে কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে থাকিয়ে থাকা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। উল্টো বাড়িয়ে দেয় কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোমে আক্রান্ত হবার শংকা। তাই কাজের ফাঁকে ছুটি দিন আপনার চোখ দু’টিকে। দূরের কোনো বস্তুর দিকে তাকিয়ে থাকুন ১০ থেকে ২০ সেকেন্ড। তারপর একই সময় ধরে দৃষ্টি সীমাবদ্ধ করুন কাছের কোনো বস্তুতে। টানা কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করুন এ কাজের। এতে কিছুটা হলেও ধকল কমবে আপনার চোখের ওপর থেকে।

৮. ঘুরে আসুন বাইরে থেকে
সারাদিন ঘরে বা অফিসে কম্পিউটার মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকলে কেবল চোখেরই ক্ষতি হয় না, ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটে। তাই সুযোগ পেলেই বাইরে থেকে ঘুরে আসুন। ভিন্ন ভিন্ন উজ্জ্বলতার আলোর উপস্থিতিতে লম্বা সময় কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ক্লান্তি অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পারবে আপনার চোখ।


শক্তিশালী মেইনফ্রেম কম্পিউটার আনলো আইবিএম

শক্তিশালী মেইনফ্রেম কম্পিউটার আনলো আইবিএম

আইবিএম নিয়ে এসেছে নতুন মেইনফ্রেম কম্পিউটার, ‘জিএন্টারপ্রাইজ ইসি১২’ (zEnterprise EC12)। আইবিএম-এর ভাষ্যমতে প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে শক্তিশালী এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে সবচেয়ে উন্নত মেইনফ্রেম কম্পিউটার এটি।

আইবিএম আরো জানিয়েছে, ৫.৫ গিগাহার্টজ-এর মেইনফ্রেম সার্ভারটির মাইক্রোপ্রসেসর তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির মাইক্রোচিপ। আইবিএম-এর তৈরি মেইনফ্রেম কম্পিউটারের আগের মডেলটির তুলনায় জিএন্টারপ্রাইজ ইসি১২-এর ডেটা প্রসেসিং স্পিড ২৫ শতাংশ বেশি।

আইবিএম বলছে, জিএন্টারপ্রাইজ ইসি১২ ডিজাইন করা হয়েছে এমনভাবে যে, খুব অল্প সময়ে দ্রতগতিতে এবং নিরাপদে পাহাড় সমান ডেটা থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে নিতে পারবেন এর ব্যবহারকারীরা। মেইনফ্রেম কম্পিউটার ব্যবহার হয় চেইন শপ থেকে শুরু করে ব্যাংক এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে।

আইবিএম জানিয়েছে, জিএন্টারপ্রাইজ ইসি১২ বানানোর আগে কেবল রিসার্চ করতেই প্রতিষ্ঠানটির খরচ হয়েছে ১শ’ কোটি ডলার। জিএন্টারপ্রাইজ ইসি১২ বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ মেইনফ্রেম সিস্টেমগুলোর একটি বলেই জানিয়েছে আইবিএম।

ইনটেল চিপভিত্তিক স্মার্টফোন আনছে মটোরোলা

ইনটেল চিপভিত্তিক স্মার্টফোন আনছে মটোরোলা

ইনটেল চিপের তৈরি প্রথম স্মার্টফোন বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মটোরোলা মবিলিটি। ১৮ সেপ্টেম্বর লণ্ডনে প্রথমবারের মতো স্মার্টফোনটি জনসম্মুখে আনবে গুগলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। খবর বিবিসির।

ইনটেল চিপ ব্যবহার করে স্মার্টফোন বানায় লাভা, লেনোভো এবং গিগাবাইটের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের বদৌলতে অ্যাপলের সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যস্ত গুগলের নিজেদের তৈরি প্রথম স্মার্টফোন হবে এটি।

এ বছরের জানুয়ারি মাসে গুগলের সঙ্গে কাজ করার কথা ঘোষণা করে ইনটেল। পিসি বাজারের পাশাপাশি স্মার্টফোন চিপের বাজারেও রাজত্ব করার ইচ্ছে রয়েছে এই চিপ নির্মাতার। ইনটেল জানিয়েছে স্মার্টফোন চিপ বাজারকেই নিজেদের ভবিষ্যত বলে বিবেচনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

সেপ্টেম্বর মাসটি টেকনোলজি দুনিয়ার জন্য উৎসবের মতো হচ্ছে। সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখে আসছে নোকিয়ার উইন্ডোজ ৮ স্মার্টফোন। ১২ সেপ্টেম্বর অ্যাপল নতুন আইফোন ৫ দেখাবে এমন গুজব শোনা যাচ্ছে অনেকদিন ধরেই। আর অ্যামাজন এবং স্যামসাংয়ের মতো টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের নতুন পণ্য দেখাবে সেপ্টেম্বরেই।


দৃষ্টি ফিরিয়ে দিলো বায়োনিক চোখ!

দৃষ্টি ফিরিয়ে দিলো বায়োনিক চোখ!

বংশানুক্রমে পাওয়া রেটিনিটিস পিগমেন্টোসা রোগের কারণে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন ডায়ান অ্যাশওয়ার্থ। কৃত্রিমভাবে তৈরি চোখের বদৌলতে আংশিক দৃষ্টি ফিরে পেয়েছেন ওই অস্ট্রেলিয়ান নারী। বায়োনিক চোখের এই সাফল্য অন্ধত্বের চিকিৎসায় একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করছেন বিজ্ঞানীরা। খবর রয়টার্স-এর।

রেটিনিটিস পিগমেন্টোসা রোগের কারণে চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন অ্যাশওয়ার্থ। এ বছরের মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার রয়াল ভিক্টোরিয়ান আই অ্যান্ড ইয়ার হসপিটালে অ্যাশওয়ার্থের বায়োনিক চোখটি স্থাপন করা হয়। এর এক মাস পরে চোখটির চালু করা হলে আংশিক দৃষ্টি ফিরে পান তিনি।

এ ব্যাপারে অ্যাশওয়ার্থ বলেন, ‘আমি হঠাৎ করেই যেন আলোর দেখা পেলাম। এই অভিজ্ঞতাটি ছিলো অভূতপূর্ব।’

বায়োনিক চোখটি তৈরি করেছে বায়োনিক ভিশন অস্ট্রেলিয়া। এতে রয়েছে ২৪টি ইলেকট্রোড। একটি ছোট তার সংযোগ স্থাপন করে চোখের পেছনে থাকা একটি রিসেপ্টর-এর সঙ্গে। বায়োনিক চোখটি বসানো হয়েছে অ্যাশওয়ার্থের রেটিনার ঠিক পাশেই।

অ্যাশওর্থের বায়োনিক চোখের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্পেশালিস্ট সার্জন ড. পেনি অ্যালেন জানান, যন্ত্রটির মধ্যে বিদ্যুৎশক্তি চালিত হয়, যা রেটিনাকে উদ্দীপ্ত করে। এরপর ওই ইলেকট্রনিক পালসগুলো মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়, যা রোগীকে দেখতে সাহায্য করে।

বায়োনিক চোখ আংশিকভাবে হলেও রোগীকে ফিরিয়ে দেয় হারানো দৃষ্টিশক্তি। এটির বদৌলতে আলো এবং অন্ধকার বস্তুগুলোর পার্থক্য চিহ্নিত করতে পারেন ব্যবহারকারী।

ড. অ্যালেন জানিয়েছেন, ‘বায়োনিক চোখের প্রথম তিনটির একটি পেয়েছেন ডায়ান অ্যাশওয়ার্থ। আমরা এখন এর কার্যক্ষমতা বিশ্লেষণ করে দেখছি।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীতে অন্ধ ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। আরো সাড়ে ২৪ কোটি মানুষ আংশিক অন্ধত্বের শিকার। অ্যাশওয়ার্থের বায়োনিক চোখটিকে বিজ্ঞানীরা বিবেচনা করছেন অন্ধত্বের চিকিৎসায় একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে। এই প্রযুক্তির উন্নতি এবং বিকাশের মাধ্যমে অন্ধরা অদূর ভবিষ্যতে তাদের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন, এমনটাই আশা করছেন তারা।

উড়ছে মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত ড্রোন

উড়ছে মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত ড্রোন

চিন্তা থেকেই রোবোটিক ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তির জগতের সর্বশেষ সংযোজন মাইন্ড-কন্ট্রোলড কোয়াড রোটর ড্রোন। ব্রেইন ওয়েভ ব্যবহার করে রোবোটিক ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের এই প্রযুক্তিকে বলা হচ্ছে একুশ শতকের সবচেয়ে আলোচিত প্রযুক্তিগুলোর একটি। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

চিন্তা থেকে নিয়ন্ত্রণযোগ্য ড্রোনটি আদতে একটি প্যারট এ.আর ড্রোন ২.০। ইমোটিভ ইপিওসি ইলেকট্রোএনসেফালোগ্রাফ (ইইজি) হেডসেট ব্যবহার করে নিজের চিন্তা থেকেই ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন চীনের ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা।

আনম্যানড এরিয়াল ভেইকল বা মানববিহীন উরুক্কু যানকেই চলতি ভাষায় ড্রোন বলা হয়।

ইমোটিভ ইপিওসি ইলেকট্রএনসেফালোগ্রাফ (ইইজি) হেডসেট সংযোগ দেয়া হয় কম্পিউটারের একটি বিশেষ সফটওয়্যারে। এরপর চালকের কমান্ডগুলো কম্পিউটার থেকে রিলে হয় ড্রোনটিতে। মাথায় ইইজি হেডসেট পরে চালক একটু জোরে সোরে বামে যাবার কথা ভাবলেই আকাশে উড়তে শুরু করবে ড্রোনটি। আবার হালকা ভাবেই ‘লেফট, রাইট, বা পুশ’ চিন্তা করলেই ডানে বামে উড়বে চার রোটরের ড্রোন, এগোবে সামনের দিকে।

আরও মজার ব্যপার হচ্ছে, চালক দাঁতে দাঁত কামড়ে ধরলেই নিচে নেমে আসবে ড্রোনটি, আর চোখের পলক ফেললেই তুলবে ছবি।

ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা বলছেন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অদূর ভবিষ্যতে আকাশে উড়তে পারবেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীরা। নিজের চিন্তা থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন ব্যক্তিগত এয়ারক্র্যাফট।

বিলুপ্তির মুখে অমেরুদণ্ডী প্রাণীজগৎ

বিলুপ্তির মুখে অমেরুদণ্ডী প্রাণীজগৎ

পরিবেশ দূষণের কারণে বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে অমেরুদণ্ডী প্রাণীজগতের বড় একটি অংশ। অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের বিলুপ্তির এই আশঙ্কার কথা বেরিয়ে এসেছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অফ নেচার (আইইউসিএন)-এর সাম্প্রতিক গবেষণায়। খবর রয়টার্স-এর।

অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের বলা হয় প্রাণীজগতের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। এদের বড় একটি অংশ বিলুপ্ত হলে ভেঙ্গে পড়তে পারে প্রাণীজগতের ইকোসিস্টেম। আইইউসিএনের গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতি পাঁচটি অমেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে একটি রয়েছে বিলুপ্তির মুখে। এই তালিকায় রয়েছে, শামুক, মাকড়সা, জেলিফিস, চিংড়ি, কোরাল ও কেঁচো থেকে শুরু করে পরাগবাহী মৌমাছি পর্যন্ত।

এ ব্যাপারে আইইউসিএনের বেন কলিন বলেন ‘অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের বলা হয় ইকোসিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার। জীবনধারণের জন্য এই প্রাণীগুলোর ওপর নির্ভরশীল মানবজাতি। নানাভাবে মানবজাতিকে সাহায্য করে প্রাণীজগতের অমেরুদণ্ডী প্রাণীরা। পানি বিশুদ্ধ করা, বর্জ্য পদার্থ রিসাইকল করা, গাছগাছালির পরাগায়ন এমনকি মাটি উর্বর রাখতেও বড় ভুমিকা রাখে প্রাণীজগতের বিভিন্ন অমেরুদণ্ডী প্রাণী।’

আইইউসিএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিবেশ দূষণ, আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং যত্রতত্র বন উজাড়। কলিন এ ব্যাপারে বলেন, অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের আমরা এতোদিন অবহেলা করে গুরুত্বহীন ভেবে এসেছি। কিন্তু প্রাণীজগতের টিকে থাকার জন্য অমেরুদণ্ডী প্রণীদের রক্ষা করা অতি জরুরি।’

নতুন ডিজায়ার এক্স স্মার্টফোন আনছে এইচটিসি

নতুন ডিজায়ার এক্স স্মার্টফোন আনছে এইচটিসি

গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ৪.০ অপারেটিং সিস্টেম চালিত নতুন স্মার্টফোন ডিজায়ার এক্স বাজারে আনছে মোবাইল ফোন নির্মাতা এইচটিসি। নতুন স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৪ ইঞ্চি স্ক্রিন। আইফা ২০১২-এ প্রথমবারের মতো স্মার্টফোনটি দেখায় তাইওয়ানের এই মোবাইল ফোন নির্মাতা। খবর টেকট্রির।

ফ্ল্যাগশিপ প্রোডাক্ট ‘ওয়ান এক্স’-এর ব্যর্থতার পর এবার মধ্যস্তরের বাজার ধরার জন্য এইচটিসি বানিয়েছে নতুন ডিজায়ার এক্স স্মার্টফোনটি। স্মার্টফোনটি চলবে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ৪.০ আইসক্রিম স্যান্ডউইচ অপারেটিং সিস্টেমে। আরো রয়েছে এইচটিসির কাস্টম সেন্স ৪.০ ইউজার ইন্টারফেস।

ডিজায়ার এক্স স্মার্টফোনটির উল্লেখযোগ্য ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে ১ গিগাহার্টজের ডুয়াল কোর সিপিইউ, ৭৬৮ মেগাবাইট র‌্যাম, ৪৮০ বাই ৮০০ পিক্সেলের ৪ ইঞ্চি সুপার এলসিডি ডিসপ্লে, ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ৪ জিবি ইন্টারনাল মেমোরি এবং ৩২ জিবি এক্সটারনাল মেমোরি ব্যবহারের সুবিধা। ফোনটিতে আরও থাকবে ওয়াইফাই সুবিধা, ব্লুটুথ ৪.০ মাইক্রোইউএসবি ২.০ এবং ৩.৫ মিলিমিটার অডিও জ্যাক।

নতুন স্মার্টফোনটির বাজারে আসার তারিখ এবং দাম এখনও জানায়নি এইচটিসি। তবে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই ইউরোপ এবং এশিয়ার বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে ডিজায়ার এক্স-এর।

বদলে যাচ্ছে ইন্টারনেট আসক্তদের জিন!

বদলে যাচ্ছে ইন্টারনেট আসক্তদের জিন!

সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ইন্টারনেট আসক্তির মূল কারণগুলোর একটি জিন বিবর্তন। জার্মানির ইউনিভার্সিটি অফ বন-এর ডিপার্টমেন্ট অফ সাইকোলজি অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সের বিজ্ঞানীরা এজন্য দায়ী করেছেন সিএইচআরএনএফোর (ঈঐজঘঅ৪) নামে একটি জিনকে। খবর সিনেটডটকম-এর।

ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় আরো বিস্ময়কর তথ্য আবিষ্কার করেছেন। তাদের গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যেই এই জিন বিবর্তনের হার বেশি।

বিজ্ঞানীদের গবেষণা প্রতিবেদনের মূল লেখক ক্রিশ্চিয়ান মনটাগ এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘ইন্টারনেট আসক্তি আমাদের কল্পনাপ্রসূত নয়। বর্তমান ডেটাগুলো প্রমাণ করে দিয়েছে যে, ইন্টারনেট আসক্তির সঙ্গে জেনেটিক মিউটেশনের সম্পর্ক রয়েছে। ইন্টারনেট আসক্তি নিরাময় আরো সহজ করে তোলা সম্ভব, যদি আমরা জিন বিবর্তনের ব্যাপারটি আরো ভালোভাবে বুঝতে সক্ষম হই।’

গবেষণার জন্য ৮৪৩ জন ব্যক্তির ইন্টারভিউ নেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে ১৩২ জনকে ইন্টারনেট আসক্ত হিসেবে সনাক্ত করেন তারা। ওই ১৩২ ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনযাপনের অধিকাংশ ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল এবং দিনের বড় একটা সময় তাদের মন জুড়ে থাকে ইন্টারনেটের বিভিন্ন বিষয়।

এরপর ওই ১৩২ জনের ডিএনএ সংগ্রহ করে বিজ্ঞানীরা দেখেন, বড় ধরণের পরিবর্তন এসছে ইন্টারনেট আসক্ত ব্যক্তিদের সিএইচআরএনএফোর জিনে।

এবার অ্যাপলের লক্ষ্য গ্যালাক্সি এস-থ্রি

এবার অ্যাপলের লক্ষ্য গ্যালাক্সি এস-থ্রি

স্যামসাংয়ের যে আটটি পণ্য নিষিদ্ধ করার জন্য অ্যাপল উঠে পড়ে লেগেছে, সে তালিকায় যোগ হলো গ্যালাক্সি এস থ্রি স্মার্টফোন ও গ্যালাক্সি নোট। অ্যাপলের তৈরি প্রাথমিক তালিকায় এই দু’টি স্যামসাং পণ্যের নাম ছিলো না। খবর সিনেটডটকম-এর।

অ্যাপলের আভ্যন্তরীন এক সূত্রের বরাতে সিনেট জানিয়েছে, শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে গ্যালাক্সি এস থ্রি এবং গ্যালাক্সি নোট নিষিদ্ধ করার জন্য আবেদন করে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে এ বছরেরই জুন মাসে গ্যালাক্সি এস থ্রি নিষিদ্ধ করার জন্য আবেদন করেছিলো অ্যাপল। তবে সেবার আদালতের ব্যস্ততার কারণে থামতে হয়েছিলো অ্যাপলকে।

শুক্রবার অ্যাপল নতুন করে স্যামসাংয়ের যে পণ্যগুলো নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে, সে তালিকায় রয়েছে, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস থ্রি, গ্যালাক্সি এস থ্রি ভ্যারাইজন, গ্যালাক্সি নোট এবং গ্যালাক্সি নোট ১০.১ ট্যাবলেট কম্পিউটার।

ম্যাগনেটিক শিল্ড রক্ষা করবে স্পেসশিপ

ম্যাগনেটিক শিল্ড রক্ষা করবে স্পেসশিপ

ভবিষ্যতের স্পেসশিপগুলোকে মহাকাশের ক্ষতিকর রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করতে পারে চাঁদের মিনি ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের আদলে তৈরি ম্যাগনেটিক শিল্ড বা চৌম্বক ঢাল। খবর নিউ সায়েন্টিস্ট-এর।

চাঁদের কোনো চৌম্বক ক্ষেত্র নেই পৃথিবীর মতো। যার ফলে সোলার উইন্ড বা সূর্যের চার্জড পাটিকলের ঢেউ থেকে কোনো রক্ষাকবচ নেই চাঁদের। সূর্যের চার্জড পার্টিকলের কারণেই কালো হয়ে গেছে চাঁদের মাটি।

তবে চাঁদের বুকে রয়েছে ছোট ছোট কিছু ম্যাগনেটিক ফিল্ড। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছিলেন, সূর্যের ক্ষতিকারক রেডিয়েশন থেকে চাঁদের ছোট ছোট কিছু অংশকে রক্ষা করছে ওই ‘মিনি ম্যাগনেটোস্ফিয়ার’গুলো।

চাঁদের ওই মিনি ম্যাগনেটোস্ফিয়ার থেকে ধারণা নিয়ে ভবিষ্যতের মহাকাশযানগুলোকে ক্ষতিকারক রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করতে ম্যাগনেটিক শিল্ড বা চৌম্বকীয় ঢাল তৈরির প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছেন বৃটেনের রাদারফোর্ড অ্যাপলটন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা।

রাদারফোর্ড অ্যাপলটন ল্যাবরেটরির প্লাজমা ফিজিসিস্ট রুথ বামফোর্ড এবং তার সহকর্মীরা ল্যাবরেটরিতে তৈরি করেন কৃত্রিম সোলার উইন্ড। ছোট্ট একটি চুম্বকের দিকে তারা ছুঁড়ে দেন প্রোটন এবং ইলেকট্রনের একটি বিম। আর চমকপ্রদ ব্যাপার হচ্ছে চুম্বকটির কোনো ক্ষতি না করে, ছাতার উপর দিয়ে গড়িয়ে যাওয়া জলের কণার মতোই অনায়াসে চুম্বকটির উপর দিয়ে বয়ে যায় ইলেকট্রন এবং প্রোটনগুলো।

এই পরীক্ষার ফলাফল থেকে বামফোর্ডের নেতৃত্বাধীন বিজ্ঞানীদল ধারণা করছেন, চাঁদের চৌম্বকক্ষেত্রগুলোকে পাশ কাটিয়ে চলে যায় সোলার উইন্ডের ইলেকট্রনগুলো। আর প্রোটনগুলো ভেতর দিয়েই গড়িয়ে পার হয়ে যায়। এর ফলে ক্ষতিকারক রেডিয়েশন থেকে রক্ষা পাচ্ছে চাঁদের চৌম্বকক্ষেত্রগুলো।

বামফোর্ড জানিয়েছেন, চাঁদের ম্যাগনেটিক ফিল্ডের অনুকরণে মহাকাশযানের জন্য ‘ডিফেক্টর শিল্ড’ তৈরির চেষ্টা করছেন তিনি ও তার সহকর্মীরা, যা সূর্যের ক্ষতিকারক রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করবে নভোযান এবং নভোচারীদের।



সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেস্কটপ ওএস হলো উইন্ডোজ ৭

সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেস্কটপ ওএস হলো উইন্ডোজ ৭

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেম এখন উইন্ডোজ ৭। অগাস্ট মাসে নেট অ্যাপ্লিকেশনের তৈরি মাসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী উইন্ডোজ এক্সপিকে হটিয়ে শীর্ষস্থানীয় ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমের সিংহাসনটি দখল করে নিয়েছে উইন্ডোজ ৭। খবর ম্যাশএবল-এর।

২০০১ সালে মাইক্রোসফট বাজারে এনেছিলো উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম। এরপর থেকে জনপ্রিয় ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমের সিংহাসনটি এক্সপির দখলেই ছিলো। তবে নেট অ্যাপ্লিকেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৪২ দশমিক ৭৬ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে এক্সপিকে টপকে গেছে উইন্ডোজ ৭। দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও খুব বেশি পিছিয়ে নেই উইন্ডোজ এক্সপি; এখনও ৪২ দশমিক ৫২ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে অপারেটিং সিস্টেমটির দখলে।

৬ দশমিক ১৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মাইক্রোসফটের অপর অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ভিসতা। অ্যাপলের ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম ওএসএক্স ১০.৭ এবং ওএসএক্স ১০.৬ রয়েছে তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে। নেট অ্যাপ্লিকেশনের ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে বলা যায় যে, প্রায় ৯২ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমের বাজারে একচ্ছত্র রাজত্ব করে বেড়াচ্ছে মাইক্রোসফট।

২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে বাজারে এসছিলো উইন্ডোজ ৭। ঠিক ৩ বছর পর ২০১২ সালের অক্টোবর মাসেই বাজারে আসছে মাইক্রোসফটের সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮। ২৬ অক্টোবর থেকে বিক্রি শুরু হবে উইন্ডোজ ৮-এর। একই সঙ্গে ট্যাবলেট কম্পিউটার এবং ডেস্কটপ পিসিতে চলবে উইন্ডোজ ৮। উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা এবং ৭-এর ব্যবহারকারীরা তাদের অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮-এ আপডেট করতে পারবেন ৩৯.৯৯ ডলারের বিনিময়ে।




অনুভূতি ফিরিয়ে দিলো স্টেম সেল

অনুভূতি ফিরিয়ে দিলো স্টেম সেল

পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীর শরীরে অনুভূতি ফিরিয়ে দিলো স্টেম সেল। নিউরাল স্টেম সেল বা স্নায়বিক স্টেম সেলের বদৌলতে ক্ষতিগ্রস্ত মেরুদণ্ডের কারণে পঙ্গত্বের শিকার দুই ব্যক্তি আংশিকভাবে হলেও ফিরে পেয়েছেন শারীরিক অনুভূতি। খবর নিউ সায়েন্টিস্ট-এর।

পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের শরীরে স্টেম সেলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণার কাজটি করছে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘স্টেমসেলস’। পঙ্গু হয়ে যাওয়া তিন ব্যক্তির মেরুদণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে সরাসরি ২ কোটি স্টেম সেল পুশ করেন বিজ্ঞানীরা। নতুন স্টেম সেলগুলোকে প্রত্যাখান করা ঠেকাতে ইমিউনোসাপ্রেসিভ ওষুধও নিতে হয় রোগীদের।

প্রথমে তাদের অবস্থার কোনো পরিবর্তন না হলেও স্টেম সেল থেরাপির ৬ মাস পর দেহের নিচের অংশে আংশিক অনুভূতি ফিরে তিন জন রোগীর মধ্যে দুই জনের। স্পর্শ এবং উষ্ণতা অনুভব করেন তারা শরীরের পঙ্গু হয়ে যাওয়া অংশে।

এ ব্যাপারে স্টেমসেলের স্টিফেন হান বলেন, ‘২ জন রোগী এখন স্পর্শ এবং উষ্ণতা অনুভব করতে পারছেন, যা সত্যিই বিস্ময়কর। শরীরের সুস্থ অংশগুলোর মতোই, অনুভূতির অনেকটাই ফিরে এসেছে শরীরের পঙ্গু অংশে।’

ওই ৩ রোগীর স্টেম সেল চিকিৎসা হয় সুইজারল্যান্ডের বালগ্রিস্ট ইউনিভার্সিটি হসপিটালে। রোগীদের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা আরমিন কার্ট বলেন, ‘আমাদের রোগীরা তাদের দেহের পঙ্গু অংশে অনুভূতি ফিরে পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের ডেটাগুলো এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও, পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে স্টেম সেল যে বড় ধরনের অবদান রাখছে, তা নিশ্চিত।’

পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে চলমান স্টেম সেল গবেষণার প্রথম ধাপে স্টেম সেল থেরাপি পান ওই তিন রোগী। মোট ১২ জন পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তির শরীরে স্টেম সেলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা চালানো হবে।


আইটিউনসের ওপর ক্ষেপেছেন ব্রুস উইলিস

আইটিউনসের ওপর ক্ষেপেছেন ব্রুস উইলিস

আইটিউনসের ওপর ক্ষেপেছেন হলিউডি অভিনেতা ব্রুস উইলিস। এমনকি আইটিউনস এবং অ্যাপলের বিরুদ্ধে নাকি আইনানুগ ব্যবস্থা নেবার কথাও ভাবছেন ডাই হার্ড খ্যাত এই অভিনেতা। খবর দি ডেইলি মেইল-এর।

সূত্র জানিয়েছে, অ্যাপলের আইটিউনস থেকে কেনা গানগুলো নিজের সন্তানদের উইল করে দিতে পারবেন না বলেই নাকি ক্ষেপেছেন উইলিস। আইটিউনস থেকে কোনো গান কিনলে আদতে তার মালিক হয়ে যান না ক্রেতা। বরং অনেকটা গানগুলো শোনার জন্য লাইসেন্স করিয়ে নেয়ার মতো হয় ব্যাপারটি। আইটিউনসের এই পন্থার কারণে, চাইলেও নিজের সম্পদের মতো গানগুলো প্রিয়জনকে উইল করে দেয়া সম্ভব নয়।

এ কারণেই নাকি অ্যাপল এবং আইটিউনসের ওপর ক্ষেপেছেন উইলিস। ডেইলি মেইল জানিয়েছে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেবার কথাও নাকি ভাবছেন এই হলিউডি অ্যাকশন হিরো।

তবে এই অভিনেতার স্ত্রী এমা হেমিং বলছেন ভিন্ন কথা। এক টুইটার পোস্টে হেমিং লেখেন, ‘এটা সত্য নয়।’

রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১২

দুনিয়ার যতো বাজে নামের ওয়েবসাইট

দুনিয়ার যতো বাজে নামের ওয়েবসাইট

নতুন ওয়েবসাইটের জন্য ভালো একটি অ্যাড্রেস নির্ধারণ খুবই কঠিন কাজ। ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস নির্ধারণের প্রথম সমস্যা হচ্ছে, ভালো অ্যাড্রেসগুলো দখল হয়ে গেছে আগেই। তার ওপর ওয়েবসাইট অ্যাড্রেসে ব্যবহার করা যায় না স্পেস। ফলে অনেকসময়ই শখের ওয়েবসাইটের নাম পাল্টে এমন উদ্ভট হয়ে দাঁড়ায় যে, না হেসে উপায় থাকে না।

এমন উদ্ভট নামের ওয়েবসাইটের একটি তালিকা তৈরি করেছে টেকলগঅন ডটকম। তাদের তৈরি সবচেয়ে বাজে নামের ওয়েবসাইটের তালিকার কয়েকটি হচ্ছে-

হু রিপ্রেসেন্টস (Who Represents) – সেলিব্রিটিদের যোগাযোগের তথ্য দেয় ওয়েবসাইটটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.whorepresents.com। একটু খোয়াল না করলেই মনে হবে সাইটটির নাম হোরপ্রেজেন্টস ডট কম!

থেরাপিস্ট ফাইন্ডার (Therapist Finder) – ফ্যামিলি এবং ম্যারেজ থেরাপিস্টদের ঠিকানা যোগান দেয় ওয়েবসাইটটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.therapistfinder.com। খেয়াল করে দেখুন, নামটি যেনো দি রেপিস্ট ফাইন্ডার ডট কম!

পাওয়ারজেন ইটালিয়া (Powergen Italia) – ইটালির একটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানির ওয়েবসাইট এটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.powergenitalia.com। মনে হয় যেনো পাওয়ার জেনিটালিয়া ডট কম!

মোল স্টেশন নেটিভ প্ল্যান্ট নার্সারি (Mole Station Native Plant Nursery) – অস্ট্রেলিয়ার এক নার্সারির ওয়েবসাইট এটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.molestationnursery.com। নামটি দাঁড়িয়ে গেছে, মোলেস্টেশন নার্সারি ডট কম!

এক্সপার্টস এক্সচেঞ্জ (Experts Exchange) – বইয়ের পোকাদের জন্য এই ওয়েবসাইটটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.expertsexchange.com। যৌনতার সঙ্গে কোনো সম্পর্কই নেই সাইটটির। অথচ নামটি মনে হয় এক্সপার্ট সেক্স চেঞ্জ ডট কম!

স্পিড অফ আর্ট (Speed Of Art) – আদতে আর্ট ডিজাইন বিষয়ক ওয়েবসাইট এটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.speedofart.com। একটানে পড়ে গেলে মনে হতে পারে স্পিডোফার্ট ডট কম!

লেক টাহোই ট্যুরিজম (Lake Tahoe tourism) – লেক টাহোই এর ট্যুরিজম বিষয়ক ওয়েবসাইট এটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.gotahoe.com। নামটি যেনো গো-টা হো ডট কম!

চিলড্রেনস লাফটার ফাউন্ডেশন (The Children’s Laughter Foundation) – শিশু নির্যাতন ঠেকানোর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্য তৈরি ওয়েবসাইটের নাম হিসেবে এরচেয়ে বাজে নাম যে আর হতে পারে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.childrenslaughter.com। ভয়াবহ রূপ নিয়েছে নামটি। হয়ে গেছে চিলড্রেন স্লটার ডট কম!


২০০০ বছরের প্রাচীন যোদ্ধার দেহাবশেষ মিলল ইউরোপে

২০০০ বছরের প্রাচীন যোদ্ধার দেহাবশেষ মিলল ইউরোপে

ডেনমার্কের এক জলাভূমিতে খোঁজ মিলেছে ২০০০ বছরের পুরনো যোদ্ধাদের দেহাবশেষের। জলাটিতে খনন করে দুই হাজার বছরের পুরনো যোদ্ধাদের মাথার খুলি, কেটে দু’ভাগ করা উরুর হাড় ছাড়াও যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত কুড়াল, বর্শা, মুগুর ও ঢাল খুঁজে পেয়েছেন প্রত্নত্তাত্ত্বিকরা। খবর লাইভ সায়েন্স-এর।

ডেনমার্কের ইস্ট জুটল্যান্ডের একটি জলাভূমিতে মানুষের শরীরের হাজার বছরের পুরনো হাড়ের খোঁজ মিলছিলো গত কয়েক দশক ধরেই। পরে ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে ওই এলাকায় খননকাজ চালান প্রত্নত্তাত্ত্বিকরা। এতে জলাভূমির কাঁদার ৬ দশমিক ৬ ফিট নিচে মানব হাড়ের সন্ধান পেয়েছেন তারা।

খননকারীরা আশা করছেন, জলাভূমির কাঁদার নিচ থেকে খুড়ে বের করা দেহাবশেষ এবং যুদ্ধাস্ত্রগুলো থেকে ওই যোদ্ধারা আদাতে কারা ছিলো এবং কোথা থেকে তারা এসেছিলো তা নির্ণয় করা যাবে।

খননকাজ চালানো হচ্ছে প্রায় ৪০ হেক্টর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা জলাভূমিতে। খননকাজের পরিচালক স্ক্যান্ডেনবোর্গ মিউজিয়ামের ফিল্ড ডিরেক্টর এজভিন্ডজ হার্টজ জানিয়েছেন, প্রতিদিনই নতুন নতুন প্রত্নত্তাত্ত্বিক নিদর্শনের খোঁজ পাচ্ছেন তারা।

ভূতাত্ত্বিকরা মনে করছেন, দুই হাজার বছর আগে ওই জায়গাটিতে একটি লেক ছিলো। লেকটির ছোট্ট একটি বেসিনে জমা করা হয়েছিলো যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারানো যোদ্ধাদের মৃতদেহ।

তথ্য চুরি করতে এবার মানব ব্রেইন হ্যাকিং!

তথ্য চুরি করতে এবার মানব ব্রেইন হ্যাকিং!

হ্যাক করা সম্ভব মানব মস্তিষ্ক! শুধু তাই নয়, যে কোনো ব্যক্তির ব্রেইন হ্যাক করে চুরি করা সম্ভব তার ব্যক্তিগত গোপন সব তথ্য। খবর ই সায়েন্স নিউজ-এর।

মানুষের মস্তিষ্ক হ্যাক করে গোপন তথ্য চুরি করা যে সম্ভব, সম্প্রতি তার প্রমাণ দিয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড এবং ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানীরা। আর এ কাজে বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেছেন, স্বল্পমূল্যের ইমোটিভ ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেস বা ইমোটিভ বিসিআই।

বিজ্ঞানীদের গবেষণায় সহযোগিতা করেন একাধিক স্বেচ্ছাসেবক। ওই স্বেচ্ছাসেবকদের কয়েকজনকে ইমোটিভ বিসিআই হেডসেট পরিয়ে কম্পিউটারের সামনে বসিয়ে দেন বিজ্ঞানীরা। এরপর মস্তিষ্কের পি৩০০ সিগন্যাল অনুসরণ করে সংগ্রহ করেন স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন ব্যক্তিগত গোপন তথ্য।

ইমোটিভ বিসিআই ব্যবহার করে স্বেচ্ছাসেবকদের মস্তিষ্ক থেকে সংগ্রহ করা ডেটা থেকে খুব সহজেই তাদের ঠিকানা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং কার্ড পিন নম্বর খুঁজে বের করে ফেলেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা আশংকা করছেন, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আগামীতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর হ্যাকিং চালাতে পারে নানা অশুভ শক্তি।

৬৯০০ কিলোমিটার গতিতে উড়বে ওয়েভরাইডার

৬৯০০ কিলোমিটার গতিতে উড়বে ওয়েভরাইডার

ম্যাক ৬ বা ঘণ্টায় ৬৯০০ কিলোমিটার গতিতে আকাশে উড়বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন হাইপারসনিক জেট ওয়েভরাইডার। এই গতিতে এক ঘণ্টারও কম সময়ে নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডনে পৌঁছানো সম্ভব। বুধবার প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর টেস্ট ফ্লাইটে ম্যাক ৬ গতি অর্জন করার কথা রয়েছে ওয়েভরাইডারের। খবর বিবিসির।

২০১১ সালের জুন মাসের এক টেস্ট ফ্লাইটে ম্যাক ৬ গতিতে উড়ার লক্ষমাত্রা স্পর্শ করতে না পারলেও ম্যাক ৫ গতিতে উড়েছিলো ওয়েভরাইডার। এবার সে অপ্রাপ্তি ঘোঁচানো সম্ভব হবে বলেই আশা হাইপারসনিক জেটটির নির্মাতার।

প্রথমে একটি মিলিটারি বি-৫২ বোম্বার প্লেনের ডানায় চড়ে মাটি থেকে ৫০ হাজার ফিট উচ্চতায় পৌঁছাবে এক্স-৫১ ওয়েভরাইডার। বি-৫২ থেকে ৪ সেকেন্ডের ফ্রি-ফলের পর চালু হয়ে যাবে ওয়েভরাইডারের ইঞ্জিন। এরপর নিজের ইঞ্জিনের ওপর নির্ভর করে ৭০ হাজার ফিট উঁচুতে পৌঁছাবে ওয়েভরাইডার এবং ম্যাক ৬ গতিতে ছুটা শুরু করবে।

মূলত মার্কিন সামরিক বাহিনীর ব্যবহারের জন্যই ওয়েভরাইডার নিয়ে কাজ করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ওয়েভরাইডারের প্রযুক্তি ভবিষ্যতের মিসাইলে ব্যবহার করার লক্ষ্য রয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী ও নাসার।

তবে ইউরোপিয়ান অ্যারোস্পেস এবং ডিফেন্স জায়ান্ট ইএডিএস বলছে, অদূর ভবিষ্যতেই অভিষেক হবে হাইপারসনিক প্যাসেঞ্জার ফ্লাইটের। ২০১১ সালে দেখানো ইএডিএস-এর কনসেপ্ট অনুযায়ী ম্যাক ৪ গতিতে উড়বে বানিজ্যিক ধারার হাইপারসনিক অ্যারোপ্লেনগুলো।

FSS blog

FSS TSTL Photo Gallery

FSS TSTL Photo Gallery
Pictures

I like it

  • Bangla Song
  • Love
  • Move

what is love?

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

লেবেল

লেবেল

ভূমি (1) sex (6)

Wikipedia

সার্চ ফলাফল