Translate

সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

কত দাম হবে নকিয়ার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের

কত দাম হবে নকিয়ার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের

এ রকম হতে পারে নকিয়া ডি১সিএ রকম হতে পারে নকিয়া ডি১সিবিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠেয় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যারচালিত নকিয়া ব্র্যান্ডের ফোন বাজারে আনার ঘোষণা দেবে এইচএমডি গ্লোবাল। নকিয়ার কাছ থেকে ব্র্যান্ড নাম ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স কিনেছে এইচএমডি গ্লোবাল। নকিয়ার নতুন ফোন বাজারে আসার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে বাজারে এ নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। সম্প্রতি নকিয়া পাওয়ার হাউস নামের একটি ওয়েবসাইট থেকে নকিয়ার নতুন ফোন ডি১সির দামের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

নকিয়া পাওয়ার হাউসের তথ্য অনুযায়ী, নতুন ফোনে এইচএমডি খুব কম লাভ করার চিন্তাভাবনা করছে বলে নকিয়ার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের দাম হবে কম। এর ভিত্তিমূল্য হতে পারে ১৫০ মার্কিন ডলার। ডি১সি মডেলের এই ফোনটিতে থাকবে পাঁচ ইঞ্চি মাপের ফুল এইচডি রেজুলেশন দেখাতে সক্ষম ডিসপ্লে, দুই জিবি র‍্যাম। এই ফোনটির আরেকটি সংস্করণের দাম হবে ২০০ ডলার। এতে থাকবে সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লে ও তিন জিবি র‍্যাম।

অবশ্য বাজারে ডি১সি ডিভাইসটি নিয়ে বেশ বিতর্ক আছে। কোনো কোনো ওয়েবসাইটে একে ট্যাবলেট কম্পিউটার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফোনটির অন্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ৬৪ বিটের কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৪৩০ অক্টাকোর প্রসেসর, ৩২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। অ্যান্ড্রয়েড নোগাট অপারেটিং সিস্টেমের ফোনটির পেছনে ১৩ ও সামনে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকবে।

২৭ ফেব্রুয়ারি মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে ফোনটির ঘোষণা দেবে নকিয়া। এ ছাড়া নতুন ফোন ঘিরে বাড়তি কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি নকিয়া কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন পরে নকিয়ার স্মার্টফোন দুনিয়ায় ফেরা হবে এই আয়োজন দিয়ে। তথ্যসূত্র: গ্যাজেটস নাউ।

যে দুই ফোন আনল নকিয়া

যে দুই ফোন আনল নকিয়া

           
ছবি: নকিয়া ১৫০ ও ১৫০ ডুয়াল সিম।মোবাইল ফোনের দুনিয়ায় ফিরে এল নকিয়া। মঙ্গলবার নকিয়া ব্র্যান্ডের দুটি মডেলের ফিচার ফোন উন্মুক্ত করেছে এইচএমডি গ্লোবাল। এই প্রতিষ্ঠানটি নকিয়ার ফোন তৈরি করছে। নকিয়া ১৫০ ও ১৫০ ডুয়াল সিম দুটি ফিচার ফোন। ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিক থেকেই এশিয়া, ইউরোপের বেশ কিছু বাজারে এ ফোন পাওয়া যাবে।

নকিয়া ১৫০ ও ১৫০ ডুয়াল সিম ফিচার ফোন হওয়ায় এতে ইন্টারনেট সুবিধা নেই। তবে এমপিথ্রি প্লেয়ার, এফএম রেডিও, ব্লুটুথ, এলইডি ফ্ল্যাশসহ ভিজিএ ক্যামেরা আছে। ফোন দুটিতে ২ দশমিক ৪ ইঞ্চি মাপের কিউভিজিএ ডিসপ্লে (২৪০ বাই ৩২০ পিক্সেল) থাকবে। এতে ব্যবহৃত হচ্ছে নকিয়া সিরিজ ৩০ ‍+ অপারেটিং সিস্টেম। এর দাম হবে ২৬ মার্কিন ডলার। দেশ ভিত্তিতে কর যুক্ত হয়ে বিক্রির দাম নির্ধারিত হবে।

এর ব্যাটারি লাইফ ২২ ঘণ্টা। এইচএমডি গ্লোবাল জানিয়েছে, ফিচার ফোনে স্নেক জেনজিয়া গেম থাকবে।

উল্লেখ্য, এত দিন নকিয়ার মোবাইল ফোন বিভাগটি মাইক্রোসফটের অধীনে ছিল। ফিনল্যান্ডের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান এইচএমডি গ্লোবাল নকিয়ার কাছ থেকে ব্র্যান্ড লাইসেন্স ও মাইক্রোসফটের কাছ থেকে নকিয়ার বেসিক ফোনের ব্যবসা কিনে নিয়েছে। আগামী বছর থেকে ফিচার ফোনের পাশাপাশি স্মার্টফোন তৈরি করবে এইচএমডি গ্লোবাল। নকিয়ার নামেই বাজারে পাওয়া যাবে সব ফিচার ও স্মার্টফোন। 

এশিয়া ও পূর্ব ইউরোপে এখনো নকিয়ার ফিচার ফোনের বাজার রয়েছে।
এক সময়ে মোবাইল ফোন বাজারের শীর্ষস্থানে ছিল নকিয়া। কিন্তু স্মার্টফোনের দুনিয়ায় রূপান্তরের ক্ষেত্রে পেছনে পড়ে যায় ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৪ সালে মাইক্রোসফটের কাছে ফোন ব্যবসা বিক্রি করে দেয়।

অ্যান্টিবায়োটিকের চেয়েও শক্তিশালী

অ্যান্টিবায়োটিকের চেয়েও শক্তিশালী

           
ক্ষত সারানোর প্রযুক্তিহালকা বিদ্যুৎপ্রবাহ সফলভাবে কাজে লাগিয়ে ওষুধরোধী হয়ে ওঠা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছেন গবেষকেরা। তাঁরা ভাবছেন, এ প্রযুক্তি হয়তো দীর্ঘস্থায়ী এবং গুরুতর ক্ষতের সংক্রমণ সারিয়ে তুলতে ব্যবহার করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ক্ষত নিরাময়ে অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে হালকা বিদ্যুৎপ্রবাহের সমন্বয়ে সিউডোমোনাস ইরুজিনোসা পিএও ১ ব্যাকটেরিয়া নির্মূলে সফল হন। ‘এনপিজে বায়োফ্লিমস অ্যান্ড মাইক্রোবায়োমিস’ সাময়িকীতে এ গবেষণা-বিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
ফুসফুসের রোগ সিসটিক ফিবরোসিসসহ বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী ক্ষয় রোগের জন্য এ ব্যাকটেরিয়া দায়ী। এ ছাড়া এ ব্যাকটেরিয়ার জন্য নিউমোনিয়াও হতে দেখা যায়।
গবেষকেরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষম হয়ে উঠছে ব্যাকটেরিয়া। বিশ শতকের অভূতপূর্ব ওষুধ অ্যান্টিবায়োটিক। কিন্তু এর অতি ব্যবহারে ব্যাকটেরিয়া এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে চিকিৎসকেরা যখন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন, তখন অনেক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু যেসব ব্যাকটেরিয়া স্মাইল লেয়ার নামের বায়োফ্লিম তৈরি করে তা অ্যান্টিবায়োটিকেও আর ধ্বংস হয় না। এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া কোষ তখন বেড়েই চলে ও দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত তৈরি করে।
গবেষকেরা এ ধরনের প্রতিরোধী কোষকে ঠেকাতে অ্যান্টিবায়োটিকের সমন্বয়ে বিদ্যুৎ পরিবাহী কার্বন ফাইবারে তৈরি একধরনের ইলেকট্রনিক ব্যান্ড-এইড ‘ই-স্ক্যাফল্ড’ তৈরি করেছেন। এটি একধরনের বৈদ্যুতিক প্রবাহ তৈরি করে, যা খুব স্বল্পমাত্রার হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড তৈরি করে। এতে ব্যাকটেরিয়া বায়োফ্লিম তৈরি করতে পারে না এবং ব্যাকটেরিয়া ডিএনএ ধ্বংস হয়। এতে অ্যান্টিবায়োটিক ভালো কাজ করে।
গবেষকেরা বলছেন, এই প্রযুক্তিতে যে বিদ্যুৎপ্রবাহ তৈরি হয়, তা সতর্কতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। তা না হলে সঠিক বিক্রিয়া হবে না। এ প্রক্রিয়ায় পাশের কোনো কোষের ক্ষতি হয় না। এই ইলেকট্রো-কেমিক্যাল চিকিৎসার বিরুদ্ধে ব্যাকটেরিয়া কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারে না।
গবেষকেরা তাঁদের এ প্রযুক্তির জন্য পেটেন্ট আবেদন করেছেন। এই প্রযুক্তি বাজারে ছাড়তে কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। তথ্যসূত্র: পিটিআই।

ফেসবুক স্মার্টফোনের শত্রু

ফেসবুক স্মার্টফোনের শত্রু

            
ফেসবুক দ্রুত চার্জ শেষ করে।স্মার্টফোনের ব্যাটারি শেষ হচ্ছে দ্রুত? বরাবরের মতোই ফেসবুককে দায়ী করতে পারেন। স্মার্টফোনের চার্জ দ্রুত শেষ করে ফেসবুক অ্যাপ। সম্প্রতি অ্যাভাস্ট সফটওয়্যার কর্তৃপক্ষ নতুন এক গবেষণায় এসব তথ্য পেয়েছে। ওই গবেষণায় অ্যাপ ব্যবহারের ফলে স্মার্টফোনের ব্যাটারির নেতিবাচক পারফরম্যান্স বিবেচনায় শীর্ষে রয়েছে ফেসবুক। এ ছাড়া ফেসবুকের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম রয়েছে ষষ্ঠ অবস্থানে, পেজেস ম্যানেজার নবম ও মেসেঞ্জার আছে দশম স্থানে। অর্থাৎ, শীর্ষ ১০টি চার্জ নিঃশেষকারী অ্যাপের মধ্যে চারটিই ফেসবুকের।
অ্যাভাস্টের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট গগন সিং বলেন, এ ধরনের পারফরম্যান্স চার্ট স্মার্টফোন ব্যবহারকারীকে তাদের অ্যাপ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে করণীয় বিষয়টি বুঝতে সাহায্য করে।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, প্রায় ৩০ লাখ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতি প্রান্তিকে তালিকা প্রকাশ করে অ্যাভাস্ট।
অ্যাভাস্টের তালিকায় চার্জখেকো অ্যাপের দ্বিতীয় অবস্থানে আছে লিপ সিনক্রিং অ্যাপ মিউজিক্যাল ডটলি। মাত্র দুই ঘণ্টায় এটি স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৬-এর চার্জ শেষ করে দেয়। তৃতীয় অবস্থানে আছে স্ল্যাপফেস নামের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম।
চতুর্থ অবস্থানে আছে স্কাইপের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চালু হওয়া হোয়াটসকল। এরপরে পঞ্চম স্থানে আছে ডেইলি মেইল অ্যাপ। তবে চার্জখেকো অ্যাপের শীর্ষ ১০-এর তালিকা থেকে বেরিয়ে গেছে হোয়াটসঅ্যাপ, সাউন্ডক্লাউড, উইচ্যাট, চ্যাটঅন ও বিবিসি আইপ্লেয়ার।

রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শ

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শ

           
সম্মেলনে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শ দেন সফল উদ্যোক্তারা l ছবি: প্রথম আলোগতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ডিজিটাল স্টার্টআপ সম্মেলন। এটি আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স ফর ফেয়ার কমপিটিশন। ​এই সম্মেলনে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শ দেন সফল উদ্যোক্তারা
মিলনায়তনজুড়ে উৎসুক তরুণের দল। আগে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা বসার জায়গা পেয়েছেন। বাকিরা যে যাঁর মতো দাঁড়িয়ে শুনছেন বক্তাদের কথা। কারণ, গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের মিলনায়তনে আয়োজিত ডিজিটাল স্টার্টআপ সম্মেলন শুরুর আগেই অংশগ্রহণকারীদের উপস্থিতিতে ভরে যায় পুরো কক্ষ। মনোযোগসহকারে শুনেছেন স্টার্টআপ গড়ে তোলার আদ্যোপান্ত।
সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই অধিবেশনে। প্রথম অধিবেশনে কথা বলেন দেশের ২০ জন উদ্যোক্তা। তাঁরা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং কীভাবে স্টার্টআপ বা নতুন ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে তুলতে হয় তা নিয়ে পরামর্শ দেন। দ্বিতীয় অধিবেশনে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ, স্টার্টআপ নীতিমালা-সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেন দেশীয় প্রযুক্তি নেতারা। বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স ফর ফেয়ার কমপিটিশনের (বাফকম) উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটি (ডিইউআইটিএস) এই সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে ডিইউআইটিএসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইমরান বলেন, স্বপ্নবান তরুণেরা এ সম্মেলনের মাধ্যমে সুযোগ পাবেন দেশের সফল উদ্যোক্তার মুখোমুখি হওয়ার। জানতে পারবেন স্টার্টআপের খুঁটিনাটি। বক্তারা তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সেসব পরামর্শ দিয়েছেন, তা এখানে তুলে ধরা হলো।
যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি থাকতে হবে
কোনো উদ্যোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার বলে জানিয়েছেন বিডি জবসের প্রতিষ্ঠাতা এ কে এম ফাহিম মাশরুর। এর ওপর অনেকটাই নির্ভর করবে সফলতা। বেশির ভাগ উদ্যোক্তাই তাঁদের বক্তব্যে এ কথায় জোর দেন। চাল-ডালের সহপ্রতিষ্ঠাতা জিয়া আশরাফ বলেন, অনেক সময় বিপদ আসতে পারে। কিন্তু পিছিয়ে পড়া যাবে না। এ জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে বাজারে আসতে হবে।
দরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা
যে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন তা যদি পূরণ না হয় তবে কি থেমে যাবেন? আপনার উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তবে উদ্যোগ না নেওয়াই ভালো। বরং উদ্যোগকে সফল করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করুন।
সহজ পথে সফলতা নয়
ব্যাপারটা এমন না যে উদ্যোগ গড়ে তোলা হলো আর সফলতা হাতে ধরা দেবে। রকমারি ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুল হাসান বলেন, সহজ পথে সফলতা আসে না। উদ্যোগের পেছনে সময় দিতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে। অন্য বক্তারাও পরিশ্রমের বিষয়টি তুলে ধরেন।
পড়তে হবে, জানতে হবে
মাহমুদুল হাসানের পাশাপাশি টিম ইঞ্জিনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সামিরা জুবেরী বলেন, পড়াশোনা ছাড়া সফল হওয়া সম্ভব নয়। চিন্তা করুন, মেধা ব্যবহার করুন।
সফল হওয়ার চার উপায়
ফিফোটেকের সিইও তৌহিদ হোসেন চারটি উপায় তুলে ধরেন সফল হওয়ার জন্য। ব্যবসা শুরুর আগে সেই কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। প্রথমত, উদ্যোগ গড়ে তোলার আগে দরকার অভিজ্ঞতা। এ জন্য অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে আগে কাজ করা যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, ব্যবসার বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে। তৃতীয়ত, অবকাঠামোগত উন্নয়ন দরকার। চতুর্থত, দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন।
সম্ভাবনা আছে, তবে খুঁজে বের করতে হবে
ব্যবসায়ে সফল হওয়ার অনেক উপাদান থাকে পারিপার্শ্বিক পরিবেশেই। কিন্তু সঠিক পথটি খুঁজে বের করতে হবে এবং বিশ্বাস রাখতে হবে কাজটি আপনি পারবেন।
পরামর্শক থাকা উচিত
সামিরা জুবেরী বলেন, সব উদ্যোক্তার পরামর্শক থাকা উচিত। যেকোনো বিপদে সাহায্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করতে পারেন তাঁরা। কিন্তু পরামর্শক হিসেবে কাউকে বেছে নেওয়ার আগে অনেক ভাবতে হবে। পরিবারের সদস্যও হতে পারেন পরামর্শক। পরিবারে কেউ না থাকলে ঘনিষ্ঠ কেউ বা পরিচিত কোনো সফল ব্যক্তির কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

মহাকাশ স্টেশনের দিনলিপি

মহাকাশ স্টেশনের দিনলিপি

মহাকাশ স্টেশনে গিটার বাজাচ্ছেন এক নভোচারীমহাকাশ স্টেশনে গিটার বাজাচ্ছেন এক নভোচারীদেব দুলাল গুহঘুম থেকে উঠে, আমরা প্রতিদিন রুটিন মোতাবেক এমন কিছু কাজ করি, যা করার জন্য আমাদের কোনো চিন্তাভাবনার দরকার হয় না। যেমন ধরুন, বালিশ থেকে মাথাটাকে উঁচু করে তোলা, তারপর খাট থেকে নেমে কয়েক পা হাঁটা। দিনের পর দিন একই কাজ একইভাবে করতে করতে সবাই অভ্যস্ত এতে। পৃথিবীর প্রায় সব মানুষের ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা এমন। তবে পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) থাকা ছয় নভোচারীদের বেলায় ব্যাপারটা আলাদা। আরও একজন নভোচারী শিগগিরই তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবেন। জেনে নেওয়া যাক আইএসএসে থাকা একজন নভোচারীর দিনলিপি কেমন হয়!
ঘুম থেকে ওঠামহাকাশ স্টেশনে সূর্যের আলো নয়, বরং
মিশন কন্ট্রোলের কৃত্রিম আলো দেখে হয় ঘুম থেকে জাগরণ, ভোর ছয়টায়। সেখানে ঘুমানোর মানে হলো হারমোনি মডিউলের স্লিপিং ব্যাগে ঢুকে চোখ বুজে পড়ে থাকা, আর সারা রাত ভেসে ভেসে কাটিয়ে দেওয়া! তাই ‘ওঠা’, ‘নামা’ শব্দগুলো এখানে আপেক্ষিক। জাগার পর, বাকি কাজগুলো পৃথিবীর মতোই। তবু সেখানে যেহেতু সবকিছু ওজনহীন, তাই একই রকম হয়েও তা আলাদা। যেমন ব্রাশ করতে গিয়ে পানি ব্রাশের ভেতর আটকে থাকতে পারে, পেস্ট বাতাসেই ভাসতে শুরু করতে পারে!
কাজে লেগে পড়া
কিছু খেয়েই এরপর কন্ট্রোলের সঙ্গে সভা করে যার যার কাজে নেমে পড়তে হয়। স্টেশনটার রুটিন মোতাবেক রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার দিকটি অধিকাংশ দিনই দেখতে হয়। সবকিছুই পূর্বপরিকল্পিত এবং নভোচারীদের নিজ নিজ কাজ ধাপে ধাপে সম্পন্ন করতে হয়।
শরীরচর্চা
মনে হতেই পারে শূন্যে ভেসে বেড়ানো তো মজার কাজ? না, শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যেহেতু সেখানে চলাফেরায় তেমন পরিশ্রম করতে হয় না, তাই পেশি ধীরে ধীরে কার্যক্ষমতা হারাতে থাকে, হাড় ক্ষয়ে যায়। এ জন্য দিনে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ঠিক রাখতে হয়। মহাকাশ স্টেশনে আছে ব্যায়ামের তিন ধরনের যন্ত্রপাতি—একটি ট্রেডমিল, একটি ব্যায়ামের বাইক এবং সম্প্রতি যুক্ত হওয়া ‘এআরইডি’।
দুপুরের খাবার
পৃথিবীর মতো সেখানেও সপ্তাহ আছে, ছুটির দিন আছে। সাধারণ দিনে প্রত্যেকেই ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে আলাদা জায়গায় কাজে যায়। তাই ছুটির দিন (রোববার) বাদে বাকি দিনগুলোতে একত্রে খাবার খাওয়ার সুযোগ তেমন হয় না। বাড়ির মতো সেখানেও সরিষা, মরিচ, কেচআপের বিভিন্ন ধরনের সস আছে, আছে লবণ ও মরিচ। কিন্তু এর সবই তরল, না হলে ওজনহীনতার কারণে তা স্টেশনময় ছড়িয়ে যেত! আছে টাটকা ফলও, যা প্রতিটি কার্গোর সঙ্গে পৃথিবী থেকে পাঠানো হয়। কিন্তু ফল পচনশীল, তাই তা দ্রুতই খেয়ে ফেলতে হয়।
গবেষণা
আইএসএস নিজেই একটি বিশাল গবেষণাগার। সেখানে আছে পাঁচটি ল্যাব মডিউল—রাশিয়ার দুটি, যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডেস্টিনি’, ইউরোপের ‘কলম্বাস’ ও অতিসম্প্রতি যুক্ত হওয়া জাপানের ‘কিবো’। স্টেশনের বাইরে উন্মুক্ত মহাশূন্যে পরীক্ষণের জন্যও আছে ব্যবস্থা। কঠোর শৃঙ্খলার ভেতর দিয়ে গবেষণা হয় বিভিন্ন পদার্থ ও জীবের, এমনকি ছোটখাটো বিস্ফোরণের ওজনহীনতা নিয়েও। পৃথিবী থেকে সুবিধাজনক স্থানে হওয়ায়, পৃথিবীর ওপর গবেষণা ও ছবি তোলার কাজটাও সেখানে হয়।
ভ্রমণে বের হওয়া
মাঝেমধ্যে স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। যেমন ধরুন স্টেশনের বাইরের কোনো অংশ মেরামতের কাজ। তখনই মহাশূন্যচারীকে ভ্রমণে বের হতে হয়, যাকে বলে এক্সট্রা-ভেহিকুলার অ্যাক্টিভিটি (ইভা)। নিঃসন্দেহে এটা মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা তাঁদের জন্য। তবে এতে ঝুঁকি প্রচুর। একটু এদিক-সেদিক হলেই আছে মহাশূন্যের বিশালতায় হারিয়ে যাওয়ার ভয়। তাই কেউ একা যান না, যান জোড়ায় জোড়ায়। এ জন্য যে পোশাকটি পরতে হয়, তার নির্দেশিকাটিই ১০০ পৃষ্ঠার। শুধু পোশাক পরতেই লেগে
যায় চার ঘণ্টা! এরপর টানা আট ঘণ্টার মতো কাজও করতে হয়।
অবসরে
দিনের কাজ শেষে অবসর বিকেলে নভোচারীরা যা খুশি করার স্বাধীনতা পান। চাইলে স্লিপিং স্টেশনে গিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলতে পারেন ফোনে, পাঠাতে পারেন বার্তা। ইচ্ছা হলে দেখতে পারেন ছবিও। তাঁদের জীবনধারার সঙ্গে সম্পর্কিত ছবি গ্রাভিটি দ্য মারটিয়ান সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে সেখানকার ছবির তালিকায়।
গিটার বাজিয়ে ও গানের ভিডিও বানিয়ে টুইটারে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন নভোচারী ক্রিস হ্যাডফিল্ড। সে থেকে অন্যরাও অবসর সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় কাটান, পৃথিবীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ও তাদের না-বলা গল্প শোনানোর জন্য।
তবে খুব সম্ভবত, ট্রাঙ্কুইলিটি মডিউলের গম্বুজ থেকে এমন সুন্দর পৃথিবীটাকে নিজের চোখের সামনে ঘুরতে দেখাটাই নভোচারীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। শুধু দেখাই নয়, বরং সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজটাও তাঁরা আনন্দ নিয়েই করেন।
বিবিসি ও নাসা অবলম্বনে 

বৃহস্পতির কক্ষপথে ঢুকে পড়েছে জুনো

বৃহস্পতির কক্ষপথে ঢুকে পড়েছে জুনো

           
বৃহস্পতির কক্ষপথে জুনোবৃহস্পতির কক্ষপথে জুনোবৃহস্পতির কক্ষপথ পরিভ্রমণ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার পাঠানো মনুষ্যবিহীন নভোযান জুনো। ২৭০ কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গতকাল সোমবার বৃহস্পতির কক্ষপথে ঢুকে পড়ে এ নভোযান। পাঁচ বছর আগে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এটি যাত্রা শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে ১১০ কোটি মার্কিন ডলার খরচে তৈরি জুনো নামের নভোযানটি বৃহস্পতি গ্রহ পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে পাঠায় নাসা। গবেষকেরা বলছেন, এর মাধ্যমে বৃহস্পতি গ্রহের অজানা অনেক তথ্য জানা সম্ভব হবে।
গতকাল আমাদের সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহের কক্ষপথে জুনোর সফল প্রবেশের পর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির গবেষকেরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। নাসার গবেষণাগারের ধারাবিবরণীতে বলা হয়, ‘বৃহস্পতিতে স্বাগতম’।
গবেষকেরা বলছেন, জুনোর এই মিশনে বৃহস্পতিকে ৩৭ বার প্রদক্ষিণ করার সুযোগ থাকবে। এরপর ২০১৮ সালে এটি বৃহস্পতির বুকে আছড়ে পড়বে।
অবশ্য বৃহস্পতিকে প্রদক্ষিণ করার হিসেবে জুনো প্রথম কোনো নভোযান নয়। এর আগে ১৯৮৯ সালে পাঠানো গ্যালিলিও নভোযানটিও বৃহস্পতি সম্পর্কে অনেক তথ্য জানিয়েছে। তবে জুনো আরও কাছ থেকে বৃহস্পতিকে জানার সুযোগ করে দেবে।
গ্যালিলিও বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপা, গ্যানিমিড ও ক্যালিস্টোর পৃষ্ঠে লোনা পানি থাকার প্রমাণ পেয়েছিল। নাসার গবেষকেরা বলছেন, জুনো গ্যালিলিওর চেয়ে বৃহস্পতির কাছাকাছি যেতে পারবে। এটি বৃহস্পতির ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ১০০ মাইল ওপরে থেকে তথ্য পাঠাতে পারবে।

নাসার প্লানেটারি সায়েন্সের পরিচালক জিম গ্রিন বলেন, ‘এই মিশন সফল করতে আমাদের সাধ্যমতো সব করেছি।’
আজ সকালে নাসার করা এক টুইটে বলা হয়েছে, সফল! ইঞ্জিন পোড়া থেমেছে। বৃহস্পতির অজানা রহস্য জানাতে জুনো এখন বৃহস্পতিকে প্রদক্ষিণ করা শুরু করেছে।
এক নজরে জুনোর অভিযান:
১. জুনো যাত্রা শুরু করে ৫ আগস্ট ২০১১, পৌঁছায় ৪ জুলাই ২০১৬।
২. এর ওজন ৩ দশমিক ৬ টন (ছোটখাটো হাতির সমান)।
৩. সাড়ে তিন মিটার আকারের এই নভোযানে ৯ মিটার দৈর্ঘ্যের সৌরপ্যানেল রয়েছে।
৪. এতে এক সেন্টিমিটার পুরু টাইটেনিয়ামের স্তর রয়েছে যাতে বৃহস্পতির তেজস্ক্রিয় বলয় পার হয়ে গ্রহটিকে ঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়।
বৃহস্পতি গ্রহএক নজরে বৃহস্পতিগ্রহ
বৃহস্পতি গ্রহ (ইংরেজি জুপিটার) সূর্য থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে পঞ্চম এবং আকার আয়তনের দিক দিয়ে সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ। বৃহস্পতিসহ আরও তিনটি গ্রহ, অর্থাৎ শনি, ইউরেনাস ও নেপচুনকে একসঙ্গে গ্যাসদানব বলা হয়। এটি পৃথিবীর আকাশে দৃশ্যমান তৃতীয় উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। বৃহস্পতি গ্রহের প্রাথমিক উপাদান হচ্ছে হাইড্রোজেন ও সামান্য পরিমাণ হিলিয়াম। এতে অপেক্ষাকৃত ভারী মৌলসমূহ দ্বারা গঠিত একটি কেন্দ্রও থাকতে পারে। খুব দ্রুত ঘূর্ণনের কারণে এর আকৃতি হয়েছে কমলাকৃতির গোলকের মতো, বিষুবের নিকটে ক্ষুদ্র, কিন্তু চোখে পড়ার মতো উল্লেখযোগ্য একটি স্ফীতি অংশ রয়েছে। এর ৬৩টি উপগ্রহ রয়েছে। এর মধ্যে চারটি উপগ্রহ বৃহৎ আকৃতির। এই চারটিকে গ্যালিলীয় উপগ্রহ বলা হয়। কারণ, ১৬১০ সালে গ্যালিলিও প্রথম এই চার উপগ্রহ আবিষ্কার করেছিলেন। সর্ববৃহৎ উপগ্রহ গ্যানিমেডের আকৃতি বুধ গ্রহের চেয়েও বেশি। বৃহস্পতির সবচেয়ে বড় চারটি উপগ্রহ হলো আয়ো, ইউরোপা, গ্যানিমিড ও ক্যালিস্টো।

পানির নিচে প্রশিক্ষণ

পানির নিচে প্রশিক্ষণ
           
নাসার নভোচারীরা মঙ্গল গ্রহে যেতে সমুদ্রের গভীরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠ মানুষের বসবাসের জন্য কতই-না প্রতিকূল হতে পারে! সেই প্রতিকূলতাকে জয় করার স্বপ্ন দেখছে মানুষ। মঙ্গল জয় করার পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার নভোচারীরা নিচ্ছেন বিশেষ প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণ হচ্ছে সমুদ্রের অনেক গভীরে।
গভীর সমুদ্রের মতো মহাকাশের গভীরে নভোচারীদের যে বিষয়গুলোর সম্মুখীন হতে হবে, হাতে-কলমে এরই প্রশিক্ষণ চলছে আটলান্টিকের গভীরে। টানা ১৬ দিন হবে এ প্রশিক্ষণ। এই মিশনের নাম নাসা এক্সট্রিম মিশন অপারেশনস (নিমো)। এ প্রশিক্ষণে ২১টি বিশেষ অভিযান চালানো হবে। এই দলে বিভিন্ন দেশের নভোচারী রয়েছেন। ভবিষ্যতে যে যন্ত্রাংশ ও কায়দাগুলো মহাকাশে ব্যবহার করা হবে, এর পরীক্ষা চালাবেন তাঁরা। আটলান্টিকের নিচে তাঁদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ‘অ্যাকুয়ারিস’ নামের একটি বাসস্থান।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা কিজ ন্যাশনাল মেরিন স্যাংচুরি এলাকার আটলান্টিকের পৃষ্ঠ থেকে ৬২ ফুট নিচে এই অ্যাকুয়ারিসের অবস্থান। এখানে বসে বিভিন্ন গবেষণা চালানো হবে। এর মধ্যে আছে ডিএনএ সংশ্লেষ ও টেলিমেডিসিন ডিভাইস পরীক্ষা। এ ছাড়া যোগাযোগ ব্যাহত বা দেরি হলে কী করা যাবে, এতে এটাও পরীক্ষা করা হবে। তথ্যসূত্র: আইএএনএস।

পানির নিচে প্রশিক্ষণ

পানির নিচে প্রশিক্ষণ
           
নাসার নভোচারীরা মঙ্গল গ্রহে যেতে সমুদ্রের গভীরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠ মানুষের বসবাসের জন্য কতই-না প্রতিকূল হতে পারে! সেই প্রতিকূলতাকে জয় করার স্বপ্ন দেখছে মানুষ। মঙ্গল জয় করার পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার নভোচারীরা নিচ্ছেন বিশেষ প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণ হচ্ছে সমুদ্রের অনেক গভীরে।
গভীর সমুদ্রের মতো মহাকাশের গভীরে নভোচারীদের যে বিষয়গুলোর সম্মুখীন হতে হবে, হাতে-কলমে এরই প্রশিক্ষণ চলছে আটলান্টিকের গভীরে। টানা ১৬ দিন হবে এ প্রশিক্ষণ। এই মিশনের নাম নাসা এক্সট্রিম মিশন অপারেশনস (নিমো)। এ প্রশিক্ষণে ২১টি বিশেষ অভিযান চালানো হবে। এই দলে বিভিন্ন দেশের নভোচারী রয়েছেন। ভবিষ্যতে যে যন্ত্রাংশ ও কায়দাগুলো মহাকাশে ব্যবহার করা হবে, এর পরীক্ষা চালাবেন তাঁরা। আটলান্টিকের নিচে তাঁদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ‘অ্যাকুয়ারিস’ নামের একটি বাসস্থান।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা কিজ ন্যাশনাল মেরিন স্যাংচুরি এলাকার আটলান্টিকের পৃষ্ঠ থেকে ৬২ ফুট নিচে এই অ্যাকুয়ারিসের অবস্থান। এখানে বসে বিভিন্ন গবেষণা চালানো হবে। এর মধ্যে আছে ডিএনএ সংশ্লেষ ও টেলিমেডিসিন ডিভাইস পরীক্ষা। এ ছাড়া যোগাযোগ ব্যাহত বা দেরি হলে কী করা যাবে, এতে এটাও পরীক্ষা করা হবে। তথ্যসূত্র: আইএএনএস।

মহাকাশ নিয়ে অ্যাপ তৈরির প্রশিক্ষণ

মহাকাশ নিয়ে অ্যাপ তৈরির প্রশিক্ষণ

            

সারা বিশ্ব থেকে মহাকাশ বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা প্রতিবছর স্মার্টফোনের জন্য অ্যাপলিকেশন (অ্যাপ) তৈরির প্রতিযোগিতা ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ’ আয়োজন করে। বাংলাদেশে প্রতিযোগিতাটির স্থানীয় পর্ব আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। দিকনির্দেশনার অভাবে প্রতিযোগীদের সম্ভাবনাময় প্রকল্পগুলো অসম্পূর্ণ যেন না থাকে, সেই লক্ষ্যে ‘স্পেস অ্যাপস প্রজেক্ট অ্যাকসিলারেটর’ নামের ছয় মাসের নির্দেশনামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে বেসিস ও স্পেস অ্যাপস বাংলাদেশ।
আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেসিস মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় হয়তো পাঁচটি দল বিজয়ী হবে, তবে এই প্রতিযোগিতা সামনে রেখে যে ৫০০ দল প্রস্তুতি নিয়ে বিশ্বমানের অ্যাপ তৈরির সক্ষমতা অর্জন করে, সেটাই আমাদের জন্য বড় পাওয়া।’
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিশুদের প্রোগ্রামিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন বেসিসের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কাজ হয়েছে কিন্তু সেখানে বেসিস নেই, এমন বিষয় খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আয়োজনের একাডেমিক পার্টনার ও ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, বেসিসের সাবেক সভাপতি শামীম আহসান, স্পেস অ্যাপস বাংলাদেশের প্রধান আরিফুল হাসান, বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রাসেল টি আহমেদসহ অনেকে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করে প্রাথমিকভাবে সারা দেশ থেকে সেরা চারটি দলকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হবে এই কার্যক্রম। পরবর্তী সময়ে সারা দেশের সম্প্রসারণ করা হবে। স্পেস অ্যাপস প্রজেক্ট অ্যাকসিলারেটরে যারা তাদের প্রকল্প যুক্ত করতে আগ্রহী, তাদের ৩১ আগস্টের মধ্যে স্পেস অ্যাপস বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে

http://spaceappsbd.org

 নিবন্ধন করতে হবে।
স্পেস অ্যাপস প্রজেক্ট অ্যাকসিলারেটরের সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে স্টুডেন্ট ইনোভেশন ফোরাম। পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, প্রিজম ইআরপি।

খুব কাছে পৃথিবীর মতো আরেক গ্রহ

খুব কাছে পৃথিবীর মতো আরেক গ্রহ

 
মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে এভাবে দেখা যায়। ছবি: রয়টার্স।পৃথিবীর অনুরূপ আরেকটি গ্রহের সন্ধান দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার গবেষকেরা। আমাদের ছায়াপথের এক প্রতিবেশী ছায়াপথে এটির অবস্থান।

ওই গ্রহটি যে দূরত্বে একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, তা প্রায় পৃথিবীর মতো হওয়ায় গ্রহটিতে প্রাণের উপযোগী পরিবেশ থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকেরা। গতকাল শুক্রবার জার্মান সাপ্তাহিক ডের স্পিগেল এ তথ্য জানিয়েছে।

ওই এক্সোপ্ল্যানেট বা পৃথিবীসদৃশ গ্রহটির কোনো নাম এখনো ঠিক হয়নি। তবে গ্রহটি যে নক্ষত্রটিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে, তা বেশ পরিচিত। এর নাম প্রক্সিমা সেনতুরি। এটি আলফা সেনতুরি সৌরজগতের অংশ।

নাম প্রকাশ না করা সূত্র উল্লেখ করে জার্মান ওই সাময়িকীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নামহীন ওই গ্রহে তরল পানির অস্তিত্ব থাকতে পারে। জীবনের উদ্ভবের জন্য পানি অতি গুরুত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত এত কম দূরত্বে পৃথিবীসদৃশ কোনো গ্রহের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

ওই সাময়িকীতে দাবি করা হয়, আগস্টের শেষ দিকে ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরির (ইএসও) গবেষকেরা নতুন এই গ্রহের কথা জানাবেন। ওই গ্রহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি।

অবশ্য বার্তা সংস্থা এএফপিকে ইএসওর মুখপাত্র রিচার্ড হুক বলেছেন, প্রতিবেদনটি সম্পর্কে তাঁরা জ্ঞাত। কিন্তু তাঁরা এ বিষয় নিশ্চিত বা অস্বীকার কোনোটিই করেননি। তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

এর আগে নাসা বেশ কয়েকবার পৃথিবীসদৃশ গ্রহ খুঁজে পাওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু সেসব গ্রহের অধিকাংশই তরল পানির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার উপযুক্ত নয়। সেগুলো হয় অতিরিক্ত উষ্ণ বা অতি শীতল বা আমাদের সৌরজগতের বৃহস্পতি-নেপচুনের মতো গ্যাস দিয়ে তৈরি। মঙ্গল বা পৃথিবীর মতো পাথুরে কোনো গ্রহ নয়।

গত বছর নাসা পৃথিবীর নিকটতম যমজ একটি গ্রহের খোঁজ পাওয়ার তথ্য জানান নাসার গবেষকেরা। কেপলার ৪৫২ বি নামের ওই গ্রহ পৃথিবী থেকে ৬০ শতাংশ বড়। সেখানে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, সমুদ্র, পৃথিবীর মতোই নক্ষত্রের আলো ও দ্বিগুণ মাধ্যাকর্ষণ শক্তি রয়েছে। সেখানে ৩৮৫ দিনে এক বছর হয়। কিন্তু ওই গ্রহ পৃথিবী থেকে ১ হাজার ৪০০ আলোকবর্ষ দূরে।

তাই ওই গ্রহে মানুষের পক্ষে অদূরভবিষ্যতেও পৌঁছানোর আশা করা যায় না। সে তুলনায় প্রক্সিমা সেনতুরির গ্রহটি পৃথিবী থেকে মাত্র ৪ দশমিক ২৪ আলোকবর্ষ দূরে। মহাজাগতিক হিসাবে এটি খুব কাছাকাছি হলেও মানুষের পক্ষে বর্তমান রকেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে পৌঁছানো সম্ভব নয়।

নাসার গোডার্ড স্পেস সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, নতুন গ্রহটি পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্বের ২ লাখ ৭১ হাজার গুণ বেশি দূরে অবস্থিত।

প্রক্সিমা সেনতুরি ১৯১৫ সালে আবিষ্কৃত হয়, যা আলফা সেনতুরির অংশ। এই গ্রহাণুপুঞ্জ দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে চোখে পড়ে। তথ্যসূত্র: এএফপি।

হারিয়ে গেল মঙ্গলযান!

FSS TSTL

হারিয়ে গেল মঙ্গলযান!

.মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা—নাসা তাদের নভোযান ‘মার্স ক্লাইমেট অর্বিটার’ নামের নভোযানের সাফল্য নিয়ে কতই না জল্পনা-কল্পনা করেছিল। সাড়ে ১২ কোটি ডলার মূল্যের সে নভোযান নাসার বিজ্ঞানীদের মঙ্গলগ্রহ নিয়ে সুখবর না দিলেও দিয়েছে ছোট ‘শিক্ষা’!
সামান্য ভুলেই যে কত ভয়ানক ঘটনা ঘটতে পারে, নাসা তখন টের পেয়েছিল। ঘটনাটি ১৯৯৯ সালের। ‘মার্স ক্লাইমেট অর্বিটার’ হারিয়ে যায়, যার পেছনে ছিল একটিমাত্র মানবিক ভুল। নভোযানটি উৎক্ষেপণের ২৮৬ দিন পরে এই ভুল ধরতে পারেন বিজ্ঞানীরা। ভুলটির কথা শুনে আপনার টনক নড়ে যেতে পারে।
নভোযানটি তৈরি করেছিলেন লকহিড মার্টিন নামের প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা। তাঁরা এটা তৈরি করেছিলেন ব্রিটিশ পরিমাপ একক অনুসরণ করে। ১৮ ইঞ্চিতে ১ কিউবিট, ৩ মাইলকে ১ লিগ হিসেবে নানান অঙ্ক কষতেন তাঁরা। উল্টোদিকে নাসার প্রকৌশলীরা হিসাব করতেন মেট্রিক পদ্ধতিতে। দুই দলের হিসাবের গন্ডগোলে মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথে প্রবেশের কয়েক ঘণ্টা আগেই হারিয়ে যায় অর্বিটার। ‘মানুষ মাত্রই ভুল করে’, এমন একটি প্রেসনোট দিয়ে সেবার নাসার অধিকর্তারা ক্ষমা পেয়েছিলেন। 

ধেয়ে আসছে চীনের মহাকাশ স্টেশন

FSS TSTL

ধেয়ে আসছে চীনের মহাকাশ স্টেশন

 
.নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধীরে ধীরে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে ‘তিয়ানগং-১’ নামের চীনের প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশ স্টেশন। গত কয়েক মাসে এ নিয়ে নানা খবর বের হলেও চীন তা এত দিন গুজব বলেই উড়িয়ে দিয়ে এসেছে। সেপ্টেম্বর মাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি স্বীকার করে নেন চীনের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রের বিশেষজ্ঞরা। ২০১৭ সাল নাগাদ পৃথিবীর বুকে তিয়ানগং-১ আছড়ে পড়বে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। বর্তমানে মহাকাশ স্টেশনটি নিজস্ব কক্ষপথে পৃথিবী থেকে প্রায় ২৩০ মাইল ওপরে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।
পৃথিবীর বুকে পতনের সময়ে মহাকাশ স্টেশনটির বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যাবে বলেও জানান           চীনের মনুষ্যবাহী মহাকাশ প্রকৌশল কার্যালয়ের উপপরিচালক উ পিং। তিয়ানগং-১-এর গতিবিধি    সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ করছে দেশটির মহাকাশ  গবেষণাকেন্দ্র। এটি কবে ও কোথায় পতিত হবে, তা পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
তিয়ানগং-১ নামের অর্থ ‘স্বর্গীয় প্রাসাদ’। ২০১১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় ৩৪ ফুট লম্বা এই মহাকাশ স্টেশন। এরপর অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী এর গতিবিধির ত্রুটি লক্ষ করলেও চীন সরকার তা আমলে নেয়নি। তিয়ানগং-১-এর কতটুকু অংশ এখন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলেনি চীন।
এদিকে গত সপ্তাহে চীন তাদের নতুন পরীক্ষামূলক মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগং-২ উৎক্ষেপণ করেছে।

ধেয়ে আসছে চীনের মহাকাশ স্টেশন

ধেয়ে আসছে চীনের মহাকাশ স্টেশন

           
.নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধীরে ধীরে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে ‘তিয়ানগং-১’ নামের চীনের প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশ স্টেশন। গত কয়েক মাসে এ নিয়ে নানা খবর বের হলেও চীন তা এত দিন গুজব বলেই উড়িয়ে দিয়ে এসেছে। সেপ্টেম্বর মাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি স্বীকার করে নেন চীনের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রের বিশেষজ্ঞরা। ২০১৭ সাল নাগাদ পৃথিবীর বুকে তিয়ানগং-১ আছড়ে পড়বে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। বর্তমানে মহাকাশ স্টেশনটি নিজস্ব কক্ষপথে পৃথিবী থেকে প্রায় ২৩০ মাইল ওপরে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।
পৃথিবীর বুকে পতনের সময়ে মহাকাশ স্টেশনটির বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যাবে বলেও জানান           চীনের মনুষ্যবাহী মহাকাশ প্রকৌশল কার্যালয়ের উপপরিচালক উ পিং। তিয়ানগং-১-এর গতিবিধি    সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ করছে দেশটির মহাকাশ  গবেষণাকেন্দ্র। এটি কবে ও কোথায় পতিত হবে, তা পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
তিয়ানগং-১ নামের অর্থ ‘স্বর্গীয় প্রাসাদ’। ২০১১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় ৩৪ ফুট লম্বা এই মহাকাশ স্টেশন। এরপর অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী এর গতিবিধির ত্রুটি লক্ষ করলেও চীন সরকার তা আমলে নেয়নি। তিয়ানগং-১-এর কতটুকু অংশ এখন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলেনি চীন।
এদিকে গত সপ্তাহে চীন তাদের নতুন পরীক্ষামূলক মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগং-২ উৎক্ষেপণ করেছে।

ধূমকেতুর বুকে রোসেটার সমাধি

ধূমকেতুর বুকে রোসেটার সমাধি

ধুমকেতু ৬৭পির পৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার মাত্র এক দশমিক দুই কিলোমিটার ওপর থেকে এ ছবিটি তোলে রোসেটা। ছবি: ইসাধূমকেতুর অনেক অজানা রহস্যের তথ্য জানিয়ে গেল রোসেটা নামের এক মহাকাশ যান। আজ ধূমকেতুর বুকে রোসেটাকে ‘ক্র্যাশ’ করালেন ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইসা) গবেষকেরা।
৬৭পি নামের ধূমকেতুর বিষয়ে তথ্য জানতে ২০০৪ সালের ২ মার্চ রোসেটা মহাকাশে পাঠানো হয়। বরফে আচ্ছাদিত ওই ধূমকেতুর পৃষ্ঠে আঘাত হেনে ভেঙে পড়ার মাধ্যমে ইতি ঘটে গেল এক যুগ ধরে গবেষকদের উৎসাহের কেন্দ্রে থাকা রোসেটা মিশনের।
জার্মানির ডার্মস্ট্যাটে মিশনটির নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে রোসেটার ইতি ঘটার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। গবেষকেরা দাবি করেছেন, যখন রোসেটার সঙ্গে রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখন বিষয়টি তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন। পরিকল্পনামাফিক এ সংঘর্ষ ঘটানোর আগে রোসেটা থেকে ওই ধূমকেতুর উচ্চ রেজল্যুশনের ছবি ও অন্যান্য পরিমাপ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
ইসার মিশন ব্যবস্থাপক প্যাট্রিক মার্টিন বলেন, ‘ধূমকেতু ৬৭পিতে রোসেটার ঐতিহাসিক অবতরণকে পূর্ণ সফলতা বলে ঘোষণা করছি। বিদায় রোসেটা। তুমি তোমার কাজ করেছ। এটা ছিল মহাকাশবিজ্ঞানের দারুণ অধ্যায়।’
রোসেটাগবেষকেরা আশা করছেন, গত দুই বছরে ধূমকেতু সম্পর্কে যে তথ্য মিলেছে, তা গবেষকদের পরবর্তী এক যুগ ব্যস্ত রাখবে।
চার কিলোমিটার প্রশস্ত হাঁস আকৃতির ওই ধূমকেতুর বুকে আছড়ে পড়ার আগে আজ শুক্রবার সকালে গবেষকেরা রোসেটার শেষ মুহূর্তগুলো শেষবারের মতো পর্যবেক্ষণ করেন। ধূমকেতুটি ক্রমশ সূর্য থেকে দূরে সরে যাওয়ায় সৌরশক্তি ব্যবহার করে চলা রোসেটার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ছিল। গবেষকেরা চাইলে রোসেটাকে নিষ্ক্রিয় করে রাখতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা এটিকে ধূমকেতুর বুকে আছড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।
গবেষক ম্যাট টেলর বলেন, রোসেটাকে যদি আবার সৌরমণ্ডলে আসা পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় রাখা হতো, তবে সেটি আর কাজ করত কি না, তার নিশ্চয়তা ছিল না।
২০০৪ সালে যাত্রা শুরুর ১০ বছর পর ২০১৪ সালের আগস্টে রোসেটা ওই ধূমকেতুর তথ্য পাঠাতে শুরু করে। ২০১৪ সালের নভেম্বরে রোসেটা থেকে ‘ফিলে’ নামের ছোট একটি রোবট ওই ধূমকেতুর বুকে অবতরণ করানো হয়।

সূর্যের চেয়েও গোল

সূর্যের চেয়েও গোল

সূর্যের চেয়েও গোলাকার নক্ষত্রআমাদের সৌরজগতে সবচেয়ে গোলাকৃতি বস্তু কোনটি? গবেষকেরা দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশের বিভিন্ন বস্তু ও গ্রহের কাঠামো নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁদের মতে, সৌরজগতের সবচেয়ে গোলাকৃতি সূর্যের। কিন্তু সম্প্রতি গবেষকেরা সূর্যের চেয়েও গোলাকার একটি নক্ষত্রের সন্ধান পেয়েছেন। পৃথিবী থেকে পাঁচ হাজার আলোকবর্ষ দূরের ওই নক্ষত্রকে গবেষকেরা নাম দিয়েছেন ‘কেপলার ১১১৪৫১২৩’। এটি আকারে সূর্যের দ্বিগুণ। জার্মানির ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট ফর সোলার সিস্টেম রিসার্চ ও জিটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে নক্ষত্রটি প্রায় চার বছর পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকেরা।

সূর্যের চেয়ে গোলাকার নক্ষত্র ‘কেপলার ১১১৪৫১২৩’সায়েন্স অ্যাডভান্সেস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ। ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, প্রতি ২৭ দিনে সূর্য আবর্তিত হয় এবং মেরু অঞ্চলের তুলনায় নিরক্ষরেখার দিকে ৬ দশমিক ২ মাইল বৃহৎ ব্যাসার্ধ আছে। পৃথিবীর ক্ষেত্রে এই পার্থক্য ১৩ মাইল। তবে ‘কেপলার ১১১৪৫১২৩’ নক্ষত্রটি সূর্যের চেয়ে দ্বিগুণ বড় হওয়ায় এটি আবর্তনের গতি ধীর। সূর্যের চেয়ে তিন গুণ ধীরগতিতে আবর্তিত হয় নক্ষত্রটি।

গবেষকেরা দাবি করেছেন, পৃথিবী, চাঁদ, সূর্যসহ মহাকাশের সব বস্তুর চেয়েও গোলাকার ‘কেপলার ১১১৪৫১২৩’ নক্ষত্রটি। কেন এমন গোলাকার? গবেষকেরা বলেন, ধীরগতির আবর্তন ও চৌম্বকক্ষেত্রের কারণেই নক্ষত্রটি এমন আকার পেয়েছে। তথ্যসূত্র: স্পেস ডটকম

নাসার নতুন ‘চমক’ কি এলিয়েন

নাসার নতুন ‘চমক’ কি এলিয়েন

 
হাবল টেলিস্কোপ ব্যবহার করে ইউরোপা উপগ্রহে অদ্ভুত কার্যক্রম লক্ষ করেছেন গবেষকেরা।মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা শিগগিরই নতুন একটি ‘চমক’ হাজির করতে যাচ্ছেন। এমন আভাস দিয়ে বলা হচ্ছে, এ চমক হতে পারে আমাদের এই সৌরজগতে এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীর গতিবিধি আবিষ্কারের তথ্য।
বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপার ছবি বিশ্লেষণ করে নাসার গবেষকেরা আসছে সোমবার নাগাদ ওই উপগ্রহপৃষ্ঠের নিচে থাকা সমুদ্র সম্পর্কে তথ্য জানাতে পারেন। ১ হাজার ৯০০ মাইল প্রশস্ত এই উপগ্রহের বরফাছাওয়া খোলসের নিচে বিশাল সমুদ্র থাকতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকেরা। এই সমুদ্র গবেষকেদের আরও বেশি আকৃষ্ট করছে ইউরোপার পাথুরে আবরণ। যার মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানোর মতো উপাদান থাকতে পারে।
হাবল টেলিস্কোপ ব্যবহার করে ইউরোপার নতুন এই ছবিগুলো তোলা হয়েছে। এর পাশাপাশি ইউরোপার রহস্য উদ্‌ঘাটনে সেখানে নভোযান পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন গবেষকেরা। ওই মিশনে নভোযান ১ হাজার ৭০০ মাইল থেকে শুরু করে ১৬ মাইল উচ্চতায় ৪৫ বার ইউরোপাকে চক্কর দেবে। ওই মিশনের ফলেই ইউরোপার বর্তমান অবস্থার কথা জানা যাবে।
গত মে মাসে নাসার প্লানেটারি ভূপ্রকৃতিবিদ স্টিভ ভ্যান্স বলেন, পৃথিবীর মতোই ইউরোপার সমুদ্রে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন চক্র সেখানকার সামুদ্রিক রসায়ন ও সেখানকার সম্ভাব্য জীবনের জন্য মূল চালিকা রূপ হতে পারে। তথ্যসূত্র: আইবিটাইমস

সূর্য বুড়ো হলে কেমন হবে পৃথিবীর চেহারা

সূর্য বুড়ো হলে কেমন হবে পৃথিবীর চেহারা

           
সূর্য এক সময় লাল দানবে রূপ নেবে। প্রতীকী ছবিবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে জ্যোতির্বিদেরা একটি মৃতপ্রায় প্রবীণ নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করেছেন। পৃথিবী থেকে ২০৮ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ওই নক্ষত্রটি। এর নাম এল ২ পাপিস। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই নক্ষত্রটি পর্যবেক্ষণের ফলে কয়েক বিলিয়ন বছরের মধ্যে সূর্য বুড়ো হলে পৃথিবীর অবস্থা কেমন হবে, সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
গবেষকেরা বলছেন, ১০ বিলিয়ন বছর বয়স (এক বিলিয়ন সমান ১০০ কোটি) এল ২ পাপিস নক্ষত্রটির। পাঁচ বিলিয়ন বছর আগে এই নক্ষত্রটি ঠিক আজকের সূর্যের মতো ছিল।
বেলজিয়ামের কেইউ লিউভেন ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমির অধ্যাপক লিন ডেসিন বলেন, এখন থেকে পাঁচ বিলিয়ন বছর পরে আমাদের সূর্য লাল দানব (রেড জায়ান্ট) নক্ষত্রে রূপান্তরিত হবে। এ সময় সূর্যের আকার বর্তমানের চেয়ে শতগুণ বেড়ে যাবে।
অধ্যাপক ডেসিন বলেন, শক্তিশালী নাক্ষত্রিক ঝড়ে সূর্যের তীব্র ভর কমে যাবে। এর বিবর্তন-প্রক্রিয়ার শেষে সাত বিলিয়ন বছর পরে এটি ক্ষুদ্র সাদা বামন তারায় রূপান্তরিত হবে। এ সময় এটি পৃথিবীর মতো ছোট আকার ধারণ করবে। কিন্তু এটি হবে আরও ভারী। এই সাদা বামন তারার এক চা-চামচ উপাদানের ভর দাঁড়াবে প্রায় পাঁচ টন। এই রূপান্তর প্রক্রিয়ায় সৌরজগতের গ্রহগুলোর ওপর নাটকীয় প্রভাব ফেলবে। বৃহস্পতি, শুক্রের মতো গ্রহগুলো বিশাল নক্ষত্রের মধ্যে হারিয়ে যাবে এবং ধ্বংস হবে।
ডেসিন বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে সূর্য আরও বড় ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। তাই এটি পৃথিবীকেও ধ্বংস করে ফেলবে।’
ডেসিন বলেন, পৃথিবীর পাথুরে অভ্যন্তর সূর্যের সেই লাল দানব দশায় টিকে থেকে সাদা বামন অবস্থা পর্যন্ত একে প্রদক্ষিণ করবে কি না, তা দেখার বিষয়। এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জ্যোতির্বিদেরা এল ২ পাপিসকে পর্যবেক্ষণ শুরু করেন। পৃথিবী থেকে মাত্র ২০৮ আলোকবর্ষ দূরের এই নক্ষত্রটি মহাজাগতিক হিসেবে খুব কাছের।
গবেষকেরা পর্যবেক্ষণের সময় এল ২ পাপিসের ৩০ কোটি কিলোমিটারের মধ্যে একটি বস্তু দেখেছেন, যা ওই নক্ষত্রটিকে আবর্তন করছে। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব এর অর্ধেক। গবেষকেরা তাই ভাবছেন, নক্ষত্রটি পর্যবেক্ষণ করে পাঁচ বিলিয়ন বছর পরে পৃথিবীর অবস্থা কেমন হবে তা জানা যাবে। তথ্যসূত্র: পিটিআই।

FSS blog

FSS TSTL Photo Gallery

FSS TSTL Photo Gallery
Pictures

I like it

  • Bangla Song
  • Love
  • Move

what is love?

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

লেবেল

লেবেল

ভূমি (1) sex (6)

Wikipedia

সার্চ ফলাফল