শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১২

অবশেষে গ্যালাক্সি এস ২-তে আইসক্রিম স্যান্ডউইচ

সম্প্রতি স্যামসাং জানিয়েছে, প্রতীক্ষা শেষ করিয়ে এবার অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ ৪.০ তাদের গ্যালাক্সি এস ২ স্মার্টফোনে আপডেট করা হচ্ছে। আইসক্রিম স্যান্ডউইচ নামে পরিচিত এই সংস্করণের জন্য দীর্ঘদিন এস ২ ব্যবহারকারীরা অপেক্ষা করে আসছিলেন। খবর বিবিসির।

সূত্র জানিয়েছে, মার্চের ১৩ তারিখ থেকেই কোরিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি এবং সুইডেনের গ্যালাক্সি এস ২ ব্যবহারকারীদের আইসক্রিম স্যান্ডউইচ আপডেট দেয়া শুরু হয়ে গেছে। এটি পরে অন্যান্য দেশেও দেয়া হবে যা যুক্তরাজ্যে মার্চের ১৯ তারিখ চালু হতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

মোবাইলের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম গুগলের অ্যান্ড্রয়েডের নতুন এই সংস্করণে টাচস্ক্রিনে নতুন সুবিধা ছাড়াও রয়েছে ব্যবহারকারীর ফেইস (মুখ) দিয়ে ফোন আনলক করার প্রযুক্তি।

বিবিসির নেটওয়ার্কে সাইবার আক্রমণ

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, পারসিয়ান সার্ভিসে তাদের নেটওয়ার্ক দুর্বল করে দিতে ইরান থেকে সাইবার আক্রমণ করা হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ইরানে থাকা বিবিসির দু’টি স্যাটেলাইট ফিড জ্যাম করে দেয়ার উদ্দেশ্যেই বিফল এই চেষ্টা করা হয়েছিল। খবর বিবিসি অনলাইন।

বিবিসি জানিয়েছে, ডিরেক্টর জেনারেল মার্ক থম্পসন গত মাসে বিবিসির পারস্যের কর্মীদের ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগ আনেন ইরানের ওপর।

বিবিসির ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’ অনুষ্ঠানেও ইরানের সাইবার-আর্মি নিয়ে তথ্য প্রকাশিত হয়। এরপর সবশেষে বিবিসি অনলাইনে থম্পসনের একটি ব্লগ পোস্ট প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি বিবিসির পারসিয়ান টিভিসহ আন্তর্জাতিক টিভি স্টেশন জ্যাম করে ইরানের সাধারণ মানুষকে তথ্য প্রাপ্তি থেকে বিরত রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।


সনির নতুন টাচস্ক্রিনে স্পর্শও লাগবে না!

টাচস্ক্রিন হ্যান্ডসেটের জনপ্রিয়তা এখনো বেড়েই চলেছে। এমনই এক সময়ে জাপানের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট সনি নিয়ে এলো নতুন এক প্রযুক্তি, যাতে স্পর্শ না করেই টাচস্ক্রিনের মতো কাজ করা যায়, খবর বিবিসির।

সূত্র জানিয়েছে, মোবাইলের স্ক্রিনে স্পর্শ না করে এর উপর আঙুল দোলালেই স্মার্টফোনটি কাজ করবে। সনি এই প্রযুক্তিকে ‘ফ্লোর্টি টাচ’ বা ভাসমান স্পর্শের ইউজার ইন্টারফেস বলছে। জানা গেছে, নতুন এই স্ক্রিনসহ এক্সপেরিয়া সোলা নামের একটি স্মার্টফোন চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বাজারে আসতে পারে।

মোবাইল বিশেষজ্ঞরা অবশ্য সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, নতুন প্রযুক্তির এই টাচস্ক্রিন আদৌ জনপ্রিয়তা পাবে কিনা।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/এআইএস/ওএস/মার্চ ১৫/১২

‘বোঝা নেমে গেল’

ঢাকা, মার্চ ১৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) 
 প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে শততম শতরান করার পর শচীন টেন্ডলকার বললেন, ৫০ কেজি ওজনের এক বোঝা নেমে গেছে তার মাথা থেকে।

যদিও ১০০ সেঞ্চুরির এই লক্ষ্য তার নিজের নয়, মিডিয়াই বেঁধে দিয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন ‘লিটল মাস্টার’।

বৃহস্পতিবার এশিয়া কাপের চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১৪ রান করেন টেন্ডুলকার। দীর্ঘ ৩৬৯ দিনের প্রতীক্ষা শেষে এই অনন্য রেকর্ড গড়লেন তিনি।

মাশরাফি বিন মর্তুজার বলে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে তার ১৪৭ বলের ইনিংসটি ছিল ১২টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো।

এই অর্জনের প্রতিক্রিয়ায় টেন্ডুলকার বলেন, “একটা কঠিন সময় গেছে। মৌসুমের শুরুটা ভালোভাবেই হয়েছিল। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিলো না।”

তবে শততম শতরানের লক্ষ্যটি তার নিজের ছিল না উল্লেখ করে ইতিহাস গড়া এই ক্রিকেটার বলেন, “আমি এই মাইলফলক নিয়ে ভাবিনি। মিডিয়াই এটা শুরু করেছে। যেখানেই আমি গেছি, রেস্তোরাঁয়, হোটেলে- সবাই শুধু একশতম সেঞ্চুরি নিয়ে কথা বলেছে। অথচ কেউই আমার ৯৯টি শতক নিয়ে কথা বলেনি।”

গত বছর ১২ মার্চ দেশের মাটিতে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শতক হাঁকিয়ে ৯৯তম শতকে পৌঁছান শচীন। এরপর ১০০ তে পৌঁছাতে এই যে দীর্ঘ এক বছর অপেক্ষা, তার কষ্টটা কেমন ছিল?

শততম সেঞ্চুরির পর বড় একটা বোঝা নেমে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও টেন্ডুলকার মনে করিয়ে দিয়েছেন যে আরো একটি বিষয়ের জন্য তাকে দীর্ঘ ২২ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল; সেটা ছিল বিশ্বকাপ জয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএনএল/জেকে/১৯১৪ ঘ.

টেন্ডুলকারের ইতিহাস গড়ার ম্যাচে বাংলাদেশের জয়

শচীন টেন্ডুলকারের ইতিহাস গড়ার ম্যাচে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শেষ হাসি বাংলাদেশের। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে এই জয়ের ফলে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার আশাও বাঁচিয়ে রাখলো স্বাগতিকরা।

২ ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। সমান ম্যাচ থেকে ভারতের পয়েন্টও ৪। ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পাকিস্তান। দুই ম্যাচেই হেরে যাওয়া শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট ০।

ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় জয়। এর আগে ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে দেশের মাটিতে ১৫ রানে ও ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ৫ উইকেটে ভারতকে হারিয়েছিলো তারা।

শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে টেন্ডুলকারের ৪৯তম ওয়ানডে এবং শততম আন্তর্জাতিক শতকের সুবাদে ৫ উইকেটে ২৮৯ রান করে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত।

জবাবে তামিম ইকবাল, জহুরুল ইসলাম ও নাসির হোসেনের অর্ধশতকের সুবাদে ৪৯ ওভার ২ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। তবে অর্ধশতক না পেলেও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং টেস্ট ও ওয়ানডের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের দুটো অসাধারণ ইনিংসে স্বাগতিকদের জয়ের সোপান রচিত।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ১৫ রানে বিদায় নেন নাজিমউদ্দিন। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জহুরুলের সঙ্গে তামিমের ১১৩ রানের জুটির সুবাদে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। নিজের প্রথম ওয়ানডে অর্ধশতকে পৌঁছে জহুরুল (৫৩) আউট হয়ে গেলেও দেখেশুনে খেলতে থাকেন তামিম। জহুরুলের ৬৮ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও একটি ছক্কা।

মুশফিকের বদলে চার নম্বরে খেলতে নামেন নাসির হোসেন। তৃতীয় উইকেটে তার সঙ্গে ২৮ রানের ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তামিম। দলীয় ১৫৮ রানে প্রাভিন কুমারের বলে রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ৭০ রানের এক ঝকঝকে ইনিংস আসে তামিমের ব্যাট থেকে। ৯৯ বলের ইনিংসটিতে ৬টি চার।

তামিমের বিদায়ের পর নাসিরের সঙ্গে মাত্র ৮ ওভারে ৬৮ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন উজ্জ্বল করে তোলেন সাকিব আল হাসান। ৩১ বলে ৫টি চার ও দুটি ছক্কায় সাকিবের ৪৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটি শেষ হয়েছে বিতর্কিত সিদ্ধান্তে।

অশ্বিনের বলে তৃতীয় আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগে সাকিবকে স্টাম্পড হওয়ার ঘোষণা করলেও টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা গেছে ধোনি স্টাম্প ভেঙ্গে দেয়ার সময় তার পা লাইনের ওপরে ছিলো।

সাকিবের বিদায়ও অবশ্য দমাতে পারেনি বাংলাদেশকে। এরপর নাসির হোসেনের সঙ্গে মাত্র ৭ ওভারে ৬৪ রানের আরেকটি দুর্দান্ত জুটি গড়ে স্বাগতিকদের জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান মুশফিক। জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতে বিদায় নেন নাসির (৫৪)। সহ-অধিনায়ক মাহমুদুল্ল¬াহ রিয়াদকে নিয়ে বাকি কাজ সহজেই সারেন অধিনায়ক মুশফিক।

জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ৩৩ রান প্রয়োজন ছিলো বাংলাদেশের। ইরফান পাঠানের করা ৪৮তম ওভারে দুটি ছক্কাসহ ১৭ রান নিয়ে মুশফিক বাংলাদেশকে নিয়ে যান লক্ষ্যের কাছাকাছি। প্রাভিন কুমারের পরের ওভারে ১৪ রান এলে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। কারণ শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিলো মাত্র ২ রান।

মুশফিকের ব্যাট থেকে ৩টি করে চার ও ছক্কাসহ ২৫ বলে অপরাজিত ৪৬ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস এলেও জয়সূচক রান আসে মাহমুদুল্ল¬ার ব্যাট থেকে। অশোক দিন্দাকে কাভার দিয়ে চার মেরে মাহমুদুল্লাহই মধুর এক জয় এনে দেন বাংলাদেশকে।

৫৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে প্রাভিন কুমার ভারতের সেরা বোলার।

এর আগে ভারতের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। দলীয় ২৫ রানে বিদায় নেন আগের ম্যাচে শতক করা গৌতম গম্ভীর (১১)। শফিউল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ঠিক পরের বলেই ফিরতে পারতেন বিরাট কোহলিও। কিন্তু আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে এলবিডবি¬উর ফাঁদে পড়া থেকে রক্ষা পান তিনি।

দ্বিতীয় উইকেটে কোহলির সঙ্গে টেন্ডুলকারের ১৪৮ রানের জুটি ভারতের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেয়। দলীয় ১৭৩ রানে আব্দুর রাজ্জাকের বলে বোল্ড হয়ে যান কোহলি।

টেন্ডুলকারের ইতিহাস জন্ম দেয়া ম্যাচে ইতিহাসের অংশ হতে পারতেন কোহলিও। প্রথম ভারতীয় ও পঞ্চম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে টানা তিনটি ওয়ানডেতে শতক করার সুযোগ ছিল তার সামনে। কিন্তু আগের দুই ম্যাচে শতক করা কোহলি আউট হয়ে যান ৬৬ রান করে। ৮২ বলের ইনিংসটিতে ৫টি চার।

সম্ভবত øায়ুর চাপের জন্যই শততম শতকের কাছাকাছি গিয়ে ভীষণ সতর্ক হয়ে পড়েন টেন্ডুলকার। তবে অন্য প্রান্তে রানের চাকা সচল রাখার কাজ ভালো ভাবেই করছিলেন সুরেশ রায়না। তৃতীয় উইকেটে টেন্ডুলকারের সঙ্গে ৮৬ রানের চমৎকার জুটি গড়েন তিনি।

মাশরাফি বিন মর্তুজার করা ৪৭তম ওভারের চতুর্থ বলে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে রায়না করেন ৫১ রান। ৩৮ বলের আক্রমণাত্মক ইনিংসটি ৫টি চার ও দুটি ছক্কায় সাজানো। পরের বলেই মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে রায়নাকে অনুসরণ করেন ১১৪ রান করা টেন্ডুলকার। তার ১৪৭ বলের ইনিংসে ১২টি চার ও একটি ছক্কা।

বাংলাদেশের বিপক্ষে টেন্ডুলকারের এটাই প্রথম ওয়ানডে শতক। এত দিন ২০০৪ সালের জুলাইয়ে কলম্বোতে করা অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংসটিই বাংলাদেশের বিপক্ষে সেরা ইনিংস ছিলো তার।

টেন্ডুলকারের বিদায়ের পর অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির ১১ বলে অপরাজিত ২১ রানের সুবাদে তিন শ রানের কাছাকাছি স্কোর গড়ে ভারত।

৪৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে মাশরাফি বাংলাদেশের সেরা বোলার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত: ৫০ ওভারে ২৮৯/৫ (গম্ভীর ১১, টেন্ডুলকার ১১৪, কোহলি ৬৬, রায়না ৫১, ধোনি ২১*, রোহিত ৪, জাদেজা ৪*; মাশরাফি ২/৪৪, শফিউল ১/২৪, রাজ্জাক ১/৪১)

বাংলাদেশ: ৪৯.২ ওভারে ২৯৩/৫ (তামিম ৭০, নাজিম ৫, জহুরুল ৫৩, নাসির ৫৪, সাকিব ৪৯, মুশফিক ৪৬*, মাহমুদুল্ল¬াহ ৪*; প্রাভিন ৩/৫৬, জাদেজা ১/৩২, অশ্বিন ১/৫৬)

ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী

ম্যাচ সেরা: সাকিব আল হাসান।