শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১২

শুরু হচ্ছে গুগল কোড জ্যাম: অংশ নিন আপনিও

শুরু হচ্ছে গুগল কোড জ্যাম: অংশ নিন আপনিও

প্রতি বছরের মতো গুগল কোড জ্যাম-এর নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করলো গুগল। এটি মূলত সৃজনশীল ও প্রতিভাবান প্রোগ্রামারদের জন্য একটি গেম শো। তবে এটি বেশ কঠিন। খবর দি নেক্সট ওয়েবের।

গুগল গত বছরও প্রোগ্রামার ও ডেভেলপারদের জন্য কোড জ্যামের আয়োজন করে। আর কিছুদিন আগেই গুগল তাদের ব্রাউজার গুগল ক্রোমে যে কোনো ত্রæটি বের করার একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করে বিজয়ীদের পুরস্কৃতও করেছে।

গত বছরের আয়োজনের চ‚ড়ান্ত পর্বে চ্যাম্পিয়ন মাকোটো সোজিমাকে বিড়ালদের জন্য একটি বাড়ি তৈরি করতে এবং তাদের খাবার পরিবেশন করতে বলা হয়েছিল। এর আগে বাড়িটি কী ধরনের হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়া হয়। এমনই অদ্ভূত সব সমস্যার সমাধান করতে দেয়া হয় গুগল কোড জ্যামে। সম্ভবত এ বছরও তেমনই কোনো সমস্যা নিয়ে অপেক্ষা করে আছে গুগল, এমনটাই মতামত দি নেক্সট ওয়েবের।

উল্লেখ্য, কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড থেকে শুরু করে প্রায় সব রাউন্ডই ঘরে বসেই দেয়া যাবে। সাধারণত কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে প্রয়োজন ২৪ ঘণ্টা এবং এর পরের রাউন্ডগুলোতে ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট করে সময় বরাদ্দ থাকে। এভাবে বিভিন্ন রাউন্ড শেষে সর্বশেষ ২৫ জন প্রতিযোগী যাবেন গুগলের নিউ ইয়র্ক অফিসে ১০ হাজার ডলার এবং গুগল কোড জ্যাম চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার লক্ষ্যে।

এপ্রিলের ১৩ তারিখ থেকে শুরু হয়ে কোড জ্যামের সর্বশেষ প্রতিযোগিতা গুগলের নিউ ইয়র্ক অফিসে অনুষ্ঠিত হবে জুলাইয়ের ২৭ তারিখে।

গত বছরের কোডজ্যামের চূড়ান্ত সমস্যাটি পড়তে পারবেন এই লিংকে: http://pastebin.com/wZmTNzbd অথবা এর আগের বছরের কোড জ্যাম প্রবলেমগুলোও প্র্যাকটিস করতে পারবেন এই লিংক থেকে- http://code.google.com/codejam/contests.html

এছাড়াও আগ্রহীরা গুগল কোড জ্যামের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এই ঠিকানা থেকে-  http://code.google.com/codejam/contest/registration

'জুম'-এর পর মটোরোলা আনছে 'জিবোর্ড'

'জুম'-এর পর মটোরোলা আনছে 'জিবোর্ড'

মার্কিন ওয়্যারলেস জায়ান্ট মটোরোলা নতুন ব্র্যান্ডের দুটি ট্যাবলেট কম্পিউটার তৈরি করছে বলেই তথ্য ফাঁস হয়েছে। খবর সিনেট-এর।

বর্তমানে বাজারে মটোরোলার তৈরি ‘জুম’ ট্যাবলেট রয়েছে। এবার মটোরোলার তৈরি রেজর ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন থেকে উৎসাহ নিয়ে ‘জিবোর্ড’ নামে দুটি ট্যাবলেট তৈরি করছে বলেই তথ্য ফাঁস হয়েছে।

গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমচালিত এ দুটি ট্যাবলেটের স্ক্রিন সাইজ হবে ৮ ইঞ্চি এবং ১০ ইঞ্চি। ডুয়াল কোর প্রসেসর এবং এনভিডিয়ার তৈরি টেগ্রা প্রসেসর থাকবে ডিভাইসদুটিতে। গরিলা গ্লাস, ক্যামেরা এবং ১ গিগাবাইট র‌্যামযুক্ত ডিভাইসদুটি দেখতে হবে রেজর স্মার্টফোনের মতো।

ডিভাইসদুটির দাম হতে পারে ৬০০ ডলার এবং ৮০০ ডলার। আগামী বছরই এ ডিভাইসদুটি বাজারে চলে আসতে পারে।

৫ ইঞ্চি পর্দার স্মার্টফোন আনছে লেনোভো

এবার স্মার্টফোন বাজারে পা রাখছে ল্যাপটপ নির্মাতা লেনোভো। লেনেভো কর্তৃপক্ষ ৫ ইঞ্চি স্ক্রিনের একটি স্মার্টফোন তৈরি করছে বলেই খবর রটেছে। খবর ম্যাশএবল-এর।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে স্মার্টফোনের বাজারে স্ক্রিনের মাপে বৈচিত্র্য এসেছে। সবাই এখন বড়ো মাপের স্ক্রিনের দিকেই ঝুঁকছে। এদিকে, ট্যাবলেট কম্পিউটারের আকার আবার ছোটো হচ্ছে। এ দুইয়ের মাঝামাঝি আকারের ডিভাইসগুলোই এখন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তাই লেনোভো ৫ ইঞ্চি মাপের স্মার্টফোন তৈরির পথ বেছে নিয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বাজারে বড়ো আকারের স্মার্টফোন হিসেবে ৪.৭ ইঞ্চি মাপের এইচটিসি টাইটান এবং ৫.৩ ইঞ্চি মাপের স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট স্মার্টফোন দুটি রয়েছে।

লেনোভোর আইডিয়া ট্যাবলেটের ছোটো সংস্করণই হতে পারে ৫ ইঞ্চি মাপের এ ডিভাইসটি। এতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে গুগল অ্যান্ড্রয়েডের সাম্প্রতিক সংস্করণটিই থাকতে পারে।

২০১২ সালের সিইএস মেলায় এ স্মার্টফোনটির ঘোষণা দিতে পারে লেনোভো কর্তৃপক্ষ।








আসছে ৮.৯ ইঞ্চির কিন্ডল ফায়ার

অনলাইন রিটেইল জায়ান্ট অ্যামাজন কিন্ডল ফায়ার ট্যাবলেটের নতুন সংস্করণের আনছে বলেই খবর রটেছে। নতুন সংস্করণের এ ডিভাইসটির পর্দাম মাপ হবে ৮.৯ ইঞ্চি। বাজারে ৮.৯ ইঞ্চির ট্যাবলেট হিসেবে এটিই হবে প্রথম। খবর সিনেট-এর।

৭ ইঞ্চি মাপের কিন্ডল ফায়ারের পরবর্তী সংস্করণ হিসেবে অ্যামাজন ১০.১ ইঞ্চি মাপের নতুন ট্যাবলেট আনতে পারে বলেই খবর রটেছিলো। কিন্তু ট্যাবলেট বিপননকারীরা নাকি বাজারে থাকা ৯.৭ এবং ১০.১ ইঞ্চি মাপের ট্যাবলেটের আধিক্য থাকায় নতুন সংস্করণের মাপে ভিন্নতা চেয়েছে। তাই, অ্যামাজন কিন্ডল ফায়ারের পরবর্তী সংস্করণ হিসেবে ৮.৯ ইঞ্চি মাপের ট্যাবলেটই তৈরি করবে।

২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে এ ডিভাইসটি বাজারে আসবে।

খবর রটেছে, অ্যামাজন ট্যাবলেট তৈরি করতে তাউওয়ানিজ যন্ত্রাংশ নির্মাতা ফক্সকনকে পাচ্ছে না। কারণ, অ্যাপল-এর পণ্য তৈরি করতে ফক্সকন ইতোমধ্যে বুক হয়ে রয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বাজারে এসেছে অ্যামাজনের ৭ ইঞ্চি মাপের কিন্ডল ফায়ার ট্যাবলেট। মাত্র ১৯৯ ডলারের এ ট্যাবলেটি বিক্রিতে অ্যামজন লসও গুনছে। কিন্তু জনপ্রিয়তার কারণে এবার স্মার্টফোন বাজারেও অ্যামাজনের পা পড়ছে বলেই খবর রটেছে।








এবারে এলো ভিউসনিকের ৭ ইঞ্চি ট্যাবলেট

বাজারে ক্রমশ ৭ ইঞ্চি ট্যাবলেটের প্রচলন তৈরি হচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় এবার যুক্তরাষ্ট্রের ভোগ্যপণ্য নির্মাতা ভিউসনিক কর্পোরেশন একটি ৭ ইঞ্চি ট্যাবলেট বাজারে আনলো। নতুন এ ট্যাবলেটটির নাম ‘ভিউপ্যাড ৭ই।’ খবর সিনেট-এর।

চলতি মাসেই এ ডিভাইসটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাওয়া যাবে। দাম পড়বে প্রায় ২০০ ডলার।

৭ ইঞ্চি ডিসপ্লের এ ডিভাইসটিতে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ২.৩ বা জিঞ্জারব্রেড অপারেটিং সিস্টেম। এতে ফিচার হিসেবে রয়েছে থ্রিডি যাকে বলা হচ্ছে হলোগ্রাফিক ভিজুয়াল ইফেক্ট। ১ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ৪ গিগাবাইট স্টোরেজ, মাইক্রো-এইচডিএমআই পোর্ট, পেছনে ৩ মেগাপিক্সেল এবং সামনে ০.৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ভিডিও চ্যাট, মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট এবং ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত মেমোরি ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।

ডিভাইসটিতে রয়েছে বিল্ট ইন টুইটারসহ বেশকিছু অ্যাপ্লিকেশন। এ ছাড়াও আছে হাইডেফিনেশন টিভি দেখার সুবিধাও।

ভিউসনিকের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল হলস্টেন জানিয়েছেন, মোবাইল মাল্টিমিডিয়া‘র ক্ষেত্রে দারুণ অভিজ্ঞতা দেবে ভিউসনিকের ভিউপ্যাড ৭ই।

উল্লেখ্য, সম্প্রতিই ৭ ইঞ্চি মাপের ‘কিন্ডল ফায়ার’ নামের একটি ট্যাবলেট বাজারে এনেছে অ্যামাজন। এ ডিভাইসটির দামও প্রায় ২০০ ডলার।








গ্যালাক্সি ট্যাব ৭.০ প্লাস আসছে নভেম্বরে

কোরিয়ান ইলেকট্রনিক জায়ান্ট স্যামসাং তাদের পোর্টফোলিওতে নতুন একটি ট্যাবলেট যোগ করার ঘোষণা দিয়েছে। নতুন এ ট্যাবলেটটি যোগ হচ্ছে জনপ্রিয় গ্যালাক্সি সিরিজে। ‘গ্যালাক্সি ৭.০ প্লাস’ নামের ডিভাইসটি বাজারে আনার তারিখ এবং ডিভাইসের দামও ঘোষণা করেছে স্যামসাং। খবর সিনেট-এর।

গ্যালাক্সি ট্যাবের নতুন এ সংস্করণটি হবে অ্যান্ড্রয়েড ৩.২ বা হানিকম্বচালিত। ৭ ইঞ্চি ডিসপ্লের এ ডিভাইসটিতে ১.২ গিগাহার্টজ ডুয়াল কোর প্রসেসর, ওয়াইফাই, থ্রিজি, ১৬/৩২ গিগাবাইট স্টোরেজ, ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত মাইক্রোএসডি কার্ড ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। ৩৪৫ গ্রাম ওজনের এ ট্যাবলেটটিতে পেছনের দিকে ৩ মেগাপিক্সেল এবং সামনের দিকে ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাও থাকছে। এতে আরো রয়েছে ইনফ্রারেড ট্রান্সমিটার যা ইউনিভার্সাল রিমোট কন্ট্রোলার হিসেবেও এ ডিভাইসটি ব্যবহারের সুবিধা দেবে।

১৬ গিগাবাইট স্ট্রোরেজ ক্ষমতার ডিভাইসটি ১৩ নভেম্বর বাজারে আসবে। ডিভাইসটির দাম পড়বে প্রায় ৪০০ ডলার। অ্যামাজন, বেস্ট বাই, ফ্রাই, টাইগার ডিরেক্ট নামের অনলাইন রিটেইলারদের কাছে এ ডিভাইসটি পাওয়া যাবে।

৩২ গিগাবাইট মডেলের ডিভাইসটি কবে নাগাদ বাজারে আসবে সে বিষয়ে এখনও জানায়নি স্যামসাং।

তেড়ে আসছে সৌরঝড়

তেড়ে আসছে সৌরঝড়

কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড় শিগগিরই তেড়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। এর ফলে পৃথিবীর বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা, স্যাটেলাইট নেভিগেশন এবং অন্যান্য প্রযুক্তি সাময়িক সমস্যায় পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর ম্যাশএবল-এর।

সূত্র মতে, সূর্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘করোনাল মাস ইজেকশন’ রিলিজ করেছে যা এক প্রকার শক্তিশালী প্লাসমার বিস্ফোরণ। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার পর্যন্ত এর প্রভাব পৃথিবীতে এসে পড়তে পারে।

এ প্রসঙ্গে মার্কিন স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টারের প্রধান বব রুটলেজ জানিয়েছেন, ঝড়টি খুব ভীতিকর না হলেও সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা সৌরঝড়ের মুখোমুখি হয়নি পৃথিবী। তাই এ নিয়ে সরকারের স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার কিছুটা চিন্তিত।

বাজারে আসার আগেই নতুন আইপ্যাড শেষ

ঘোষণা দেয়ার মাত্র ২৪ ঘণ্টা হতে না হতেই কমে আসছে অ্যাপলের ‘নতুন’ আইপ্যাডের স্টক। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ১৬ মার্চ বাজারে আসার কথা থাকলেও সেদিনের জন্য সাদা রঙের আইপ্যাড আর স্টকে নেই। খবর দি নেক্সট ওয়েবের।

সূত্র জানিয়েছে, এটিঅ্যান্ডটি ক্যারিয়ারের সাদা রঙের ফোর জি আইপ্যাড প্রিঅর্ডার করতে গেলে ডেলিভারির তারিখ দেখানো হচ্ছে ১৯ মার্চ। এর কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে, ১৬ মার্চে ডেলিভারি দেয়ার মতো সব আইপ্যাড বিক্রি শেষ করে ফেলেছে অ্যাপল। তবে ৩২ গিগাবাইটের কিছু কিছু আইপ্যাড এখনো ১৬ মার্চেই পাওয়া যাচ্ছে।

দি নেক্সট ওয়েব জানিয়েছে, সাদা ডিভাইসের প্রতিই ক্রেতারা বেশি আকৃষ্ট। কেননা, সাদা প্রায় সব আইপ্যাড বিক্রি হয়ে গেলেও যেকোনো স্টোরেজ ক্যাপাসিটির কালো আইপ্যাড এখনো পাওয়া যাচ্ছে পূর্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই।

নতুন আইপ্যাড: কেন কিনবেন অথবা কিনবেন না


প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অ্যাপল বাজারে আনলো ‘নতুন আইপ্যাড।’ সবাই আইপ্যাড ৩ আশা করলেও অ্যাপল নতুন কোনো ‘যুগান্তকারী ফিচার’ না এনে বরং আগের ফিচারগুলেরই যথেষ্ট উন্নত সংস্করণের আইপ্যাড বাজারে আনার ঘোষণা দিলো। আর এর ফলে প্রযুক্তি বিশ্বে শুরু হয়েছে নতুন এক বিতর্ক। নতুন আইপ্যাড কেনা ঠিক হবে কি-না।

যেসব বৈশিষ্ট্য নিয়ে নতুন আইপ্যাডের ঘোষণা দেয়া হয়েছে, সেসব বৈশিষ্ট্য এখনই নতুন একটি আইপ্যাড কেনার জন্য যথেষ্ট কি না এ নিয়েই মূলত শুরু হয়েছে এই বিতর্ক।

নতুন আইপ্যাডের অন্যতম বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে এর রেটিনা ডিসপ্লে যার রেজুলিউশন ২০৪৮ বাই ১৫৩৬ পিক্সেল, এ৫এক্স প্রসেসর, কোয়াড কোর গ্রাফিক্স সিস্টেম, ৫ মেগাপিক্সেল আইসাইট ক্যামেরা এবং ফুল এইচডি ভিডিও রেকর্ড করার সুবিধা। কিন্তু এতোকিছুর পরও বিশেষজ্ঞরা বলছেন নতুন আইপ্যাড কেনার আগে কিছু বিষয় যাচাই করে নেয়া উচিত। এমবি ডটকম অবলম্বনে সেসব বিবেচ্য বিষয়গুলোই নিচে তুলে ধরা হলো।


যে কারণে নতুন আইপ্যাড কিনতে পারেন
১. আপনি যদি মুভি বা সিনেমার ভক্ত হন এবং প্রচুর মুভি দেখে থাকেন, তাহলে আইপ্যাডের ৯.৭ ইঞ্চি আকারের রেটিনা ডিসপ্লে এইচডি মুভি দেখার জন্য অতুলনীয় হতে পারে। এইচডি সিনেমা দেখার জন্য এবং অন্য হাই রেজুলিউশনের গ্রাফিক্স প্রয়োজন এমন কাজের জন্য চলতি পথে নতুন আইপ্যাড হতে পারে আদর্শ। এর গ্রাফিক্স প্রসেসর আগের মডেলের তুলনায় চারগুন ক্ষমতাসম্পন্ন।

২. আপনি যদি ট্যাবলেট ডিভাইস ব্যবহার করে ছবি তুলতে পছন্দ করেন এবং তা কম্পিউটারে না পাঠিয়েই ছোটখাটো এডিটিং বা সম্পাদনার কাজ করতে চান, তাহলে নতুন আইপ্যাড আপনার জন্য আদর্শ সঙ্গী হিসেবে কাজে আসবে। এর নতুন শক্তিশালী প্রসেসরের সাহায্যে অনেক কাজ একসঙ্গে খুব সহজেই করা যায়। শখের ফটোগ্রাফাররা খেয়াল রাখুন, নতুন আইপ্যাডে আপনি পাবেন ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন সুবিধা। এর ফলে ছবি তোলা বা ভিডিও করার সময় হাত কেঁপে গেলেও আপনার তোলা ছবিতে বা ভিডিওতে সেই ঝাঁকুনি টের পাওয়া যাবে না।


৩. আপনি যদি অনেক ভ্রমণ করে থাকেন এবং ৪জি প্রযুক্তির ইন্টারনেট সুবিধা পেতে চান, তাহলে নতুন আইপ্যাড আপনার কাজে আসবে। আজ যদি আপনি নতুন আইপ্যাড কেনেন, তবে বাংলাদেশে যখন ফোর জি নেটওয়ার্ক চালু হবে, তখন আপনাকে আর ডেটা স্পিড নিয়ে ভাবতে হবে না। তবে ফোর জি নেটওয়ার্ক না পেলে এটি সহজেই থ্রিজি সংযোগে পরিবর্তিত হয়ে যাবে। অন্য ট্যাবলেটগুলো যেখানে সর্ব্বোচ্চ ৭.৩ মেগাবিট পার সেকেন্ড ডাউনলোড করতে পারে, সেখানে নতুন আইপ্যাড-এর ডাউনলোড ক্ষমতা ৭৩ মেগাবিট/সেকেন্ড।

৪. আপনি যদি ‘লেটেস্ট ডিভাইস’-এর মালিক হতে পছন্দ করেন, তাহলে নতুন আইপ্যাড কিনতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই নতুন আইপ্যাড কেনার মতো সামর্থ্য থাকলে এবং বন্ধুমহলে তা দেখানোর ইচ্ছে থাকলে নতুন আইপ্যাড কেনা যেতে পারে। কেননা, অনেকেই আরো অনেক কিছু প্রত্যাশা করলেও একেবারেই খারাপ নয় অ্যাপলের নতুন আইপ্যাড।


যেসব কারণে আইপ্যাড কিনবেন না

১. আপনি যদি ইতোমধ্যেই কোনো ট্যাবলেট ডিভাইস ব্যবহার না করে থাকেন এবং যদি মনে হয় যে, ট্যাবলেটের চেয়ে নোটবুক কম্পিউটারেই আপনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাহলে নতুন আইপ্যাড আপনার জন্য নয়। ট্যাবলেট ডিভাইসে যদি আপনি সহজে কাজ করতে না পারেন, তাহলে নতুন আইপ্যাডও কোনো চমক নয়। কেননা, এতে অন্যান্য ডিভাইস থেকে বৈশিষ্ট্য বেশি থাকলেও কাজ করে বাজারের প্রায় অন্যান্য সব ট্যাবলেট ডিভাইসের মতোই।


২. আপনি যদি অনেক মিডিয়া ফাইল ব্যবহার না করেন, অর্থাৎ খুব একটা মুভি না দেখেন, ছবি না দেখেন, ভিডিও, ক্যাটালগ এবং বিভিন্ন ম্যাগাজিন না পড়েন, তাহলে নতুন আইপ্যাড আপনার খুব একটা কাজে নাও আসতে পারে। অধিকাংশ মানুষই আইপ্যাডে সাধারণ ব্রাউজিং-এর পাশাপাশি মিডিয়া ফাইল এবং ই-বুক বা ম্যাগাজিন পড়ে থাকেন। বলা যায়, এটি হতে পারে আইপ্যাড কেনার অন্যতম কারণ।

৩. আপনি যদি আগেই কোনো ট্যাবলেটের মালিক হয়ে থাকেন এবং এর ক্যামেরা যদি আপনি খুব একটা ব্যবহার না করেন, তাহলে নতুন আইপ্যাড এখনই কিনলেও খুব একটা কাজে নাও আসতে পারে। কেননা, নতুন আইপ্যাডের অল্প কিছু বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি হচ্ছে পেছনের ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা যা সাপোর্ট করে অ্যাপলের আইসাইট।


৪. আপনার যদি ইতোমধ্যেই আইপ্যাড ২ থাকে এবং নতুন আইপ্যাড কেনার মতো টাকা না থাকে, তাহলে এখনই এটি বিক্রি করে নতুন আইপ্যাড কেনার চেষ্টা করা যুক্তিসঙ্গত হবে না। কেননা, আইপ্যাডের অন্যতম সুবিধা এর ৪জি ইন্টারনেট ক্যাপাবিলিটি থাকলেও ৩জি ইন্টারনেটই কাজ করার জন্য যথেষ্ট। কাজেই, এখনই নতুন আইপ্যাডের জন্য চেষ্টা না করে অপেক্ষা করতে পারেন পরবর্তী আইপ্যাডের জন্য।


অ্যাপলের নতুন আইপ্যাডের সঙ্গে আরো কিছু ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। তারা জানিয়েছে, অ্যাপলের আইফটোতে মাল্টি-টাচের মাধ্যমে ছবি সম্পাদনার কাজ করা যাবে। পাশাপাশি আপডেট করা হয়েছে আইওয়ার্ক এবং আইলাইফ।

সবশেষে যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন যে নতুন আইপ্যাড কিনবেনই, তাহলে মাত্র ৪৯৯ ডলারে কেবল ওয়াই-ফাই সুবিধা সম্বলিত ১৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ‘নতুন’ আইপ্যাড এখনই প্রিঅর্ডার করতে পারেন। পাশাপাশি একই ধারণক্ষমতার ৪জি সুবিধা সম্বলিত আইপ্যাড কিনতে পারেন ৬২৯ ডলারে।