শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১২

বীনা মালিক গোপনে পাকিস্তানে

ঢাকা, ডিসেম্বর ১৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- নগ্ন ছবি ছাপিয়ে বলিউডে ঝড় তোলা পাকিস্তানি অভিনেত্রী বীনা মালিক গোপনে স্বদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।

রোববার মুম্বাই থেকে তার নিখোঁজ হওয়ার খবর প্রকাশ করেছিলো টাইমস অফ ইন্ডিয়া। পরে পাকিস্তানে দি নিউজ জানায়, গোপনে নিজের দেশে ফিরেছেন এই অভিনেত্রী।

বাড়ি পাকিস্তানে হলেও বীনা মালিক সা¤প্রতিক সময়ে ভারতে একটি আলোচিত নাম। একটি সাময়িকীতে তার নগ্ন ছবি প্রকাশ হলে তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।

বীনা মালিককে পাকিস্তানে মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগও এসেছে। আর এর মধ্যেই এই অভিনেত্রীর ‘নিখোঁজ’ সংবাদ জানায় টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

‘মুম্বাই ১৩৫ কিলোমিটার’ নামে বলিউডের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন বীনা, কিছুদিন ধরে এর শুটিংও চলছে। শুক্রবার থেকে বীনা শুটিংয়ে যাচ্ছিলেন না বলে জানান চলচ্চিত্রটির নির্মাতা হেমন্ত মধুকর।

তিনি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, “১৫ দিন ধরে নিয়মিত শুটিংয়ে আসছিলো বীনা। প্রতিদিনই একটি গাড়ি তাকে আনতে যায় এবং দিয়ে আসে। কিন্তু শুক্রবার থেকে সে আর আসছে না।”

বৃহস্পতিবার শুটিং শেষে যাওয়ার সময় বীনাকে বেশ বিমর্ষ লাগছিলো বলে জানান হেমন্ত। তিনি বলেন, “শুক্রবার সকালে সে একটি এসএমএস পাঠায় যে তার শরীর ভালো নেই এবং ব্যক্তিগত কিছু বিষয় নিয়ে সে খুবই আপসেট।”

“এরপর থেকে যতবারই ফোন করি, তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাচ্ছি,” বলেন হেমন্ত।

বীনার হঠাৎ এই অন্তর্ধান নিয়ে তার ম্যানেজার প্রতীক মেহতা টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন, “আমি খুব শিগগিরই থানায় অভিযোগ করবো। শুধু অপেক্ষা করছি, আমাদের আইনজীবীর জন্য।”

তবে এরই মধ্যে দ্য নিউজ জানায়, শুক্রবার ওয়াগা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ঢুকেছেন বীনা।

বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, বীনার পাসপোর্ট তার প্রকৃত নামে। আর তিনি সীমান্ত পেরিয়েছেন বোরকা পরে। ফলে জাহিদা নামে বোরকা পরা নারীর আড়ালে যে বীনা ছিলেন, তা কারো নজরে পড়েনি।

পত্রিকাটির খবর, বীনানে সীমান্তে দিয়ে গেছেন তার বন্ধু অস্মিত প্যাটেল। বীনা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে উঠেছেন লাহোরে।

'নারী ছলনাময়ী'

লন্ডন, জানুয়ারি ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সাধারণত ধারণা করা হয় মেয়েরা তাদের জীবনসঙ্গীর প্রতি বেশি বিশ্বাসী ও অনুগত। কিন্তু এ ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছেন ব্রিটেনের একদল গবেষক। তাদের মতে, ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই বেশি প্রতারণা করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি পাঁচ জনে একজন বা ২০ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, তারা যদি অন্য কোন পুরুষের প্রতি অনুরক্ত হন তবে ‘অবশ্যই’ তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়াবেন।

অন্যদিকে, এক্ষত্রে মাত্র ৯ শতাংশ পুরুষ তার সঙ্গীনির সঙ্গে প্রতারণা করবে বলে জানিয়েছেন।

৩ হাজার নারী-পুরুষের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করেছে যুক্তরাজ্যের ঘটকালি প্রতিষ্ঠান ‘কফি এন্ড কোম্পানি’। গবেষণাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য সান’।

গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়স্ক নারীরাই বেশি প্রতারণা করে। তাদের মধ্যে অনেকেই সন্তানহীনা যারা মাতৃত্বের স্বাদ পেতে অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়।

‘কফি এন্ড কোম্পানি’র প্রধান লরেইন এ্যাডামস বলেছেন, “কখনো কখনো বিবাহিত নারীর মাতৃত্বের বাসনা নৈতিক মূল্যবোধ ছাপিয়ে যায়।”

এছাড়া, গবেষণা অনুযায়ী, ১৫ শতাংশ পুরুষ প্রতারণা করেছে এমন স্ত্রী বা প্রেমিকাকে ক্ষমা করবে। অন্যদিকে, ১২ শতাংশ নারী তার সঙ্গীকে ক্ষমা করবে বলে জানিয়েছেন।

জরিপ অনুযায়ী, প্রায় এক-চতুর্থাংশ বা ২৫ শতাংশ অবিবাহিত নারী কোন বিবাহিত পুরুষের সাথে শারিরীক সম্পর্কে জড়াতে রাজি আছে বা এমন কারো সাথে দীর্ঘকালীন সম্পর্ক রাখতেও আপত্তি নেই।

অন্যদিকে, মাত্র ১২ শতাংশ অবিবাহিত পুরুষ কোন বিবাহিত নারীর সাথে শারিরীক সম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে বা এমন একজনের সাথে দীর্ঘকালীন সম্পর্ক রাখতে রাজি আছে।

যৌন নিপীড়কের মাথা কেটে নিলেন রাজকুমারী

ঢাকা, জানুয়ারি ২০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- যৌন নিপীড়ণে অতিষ্ঠ হয়ে নিপীড়কের শিরোচ্ছেদ করেছেন ভারতের মধ্য প্রদেশের এক নারী, যার নাম রাজকুমারী।

শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিবাহিত রাজকুমারী যার মাথা কেটেছেন, সেই শ্যামল যাদব একই গ্রাম আমোদার বাসিন্দা। রাজকুমারী এই হত্যাকাণ্ডেরও স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

হত্যার পর খণ্ডিত মস্তক নিয়ে সরাসরি মাজোলি থানায় যান রাজকুমারী। ঘটনা শুনে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রাজকুমারী থানায় সাংবাদিকদের বলেন, “এই ব্যক্তি আমাকে প্রায়ই যৌন নিপীড়ন করতো। আজ আমি তাকে একটি মাঠে ডেকে নিই এবং কুড়াল দিয়ে তার মাথায় চার বার আঘাত করি। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।”

মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা বেশি সামাজিক

লন্ডন, জানুয়ারি ২১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বন্ধুত্ব তৈরির ক্ষেত্রে মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা বেশি সামাজিক। নতুন এক জরিপে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

দেখা গেছে, একজন ছেলের গড়ে ২৬ জন বন্ধু থাকে। অন্যদিকে, একজন মেয়ের গড়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু থাকে ১২ জন।

এতে আরো দেখা গেছে, মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি বন্ধু থাকে ২১ বছর বয়সে। এ বয়সেই মানুষের বন্ধুত্ব তৈরির প্রবণতা থাকে সবচেয়ে বেশি।

এ ব্যাপারে ম্যাচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওফ বেত্তি বলেছেন, “২১ বছর বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। আর সেকারণেই ওই সময় বন্ধুও হয় অনেক।”

জরিপটি পরিচালনা করেছে প্রসাধন কোম্পানী ‘নিভিয়া’ এবং এর ফল প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ডেইলি স্টার’।

গম্ভীর ছেলেদের পছন্দ করে মেয়েরা

লন্ডন, জানুয়ারি ৩১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- হাশিখুশি নয়, বরং গম্ভীর ছেলেদের পছন্দ করে মেয়েরা। অন্যদিকে, ছেলেদের ভাললাগার ব্যাপারটি পুরোপুরি বিপরীত, তারা হাশিখুশি মেয়েই পছন্দ করে। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

গবেষণায় আরো দেখা গেছে, যেসব ছেলের চেহারায় গর্ব ও লজ্জার অনুভূতি ফুটে উঠে তারা সহজেই নারী হৃদয় জয় করতে পারে।

গবেষকরা বলেছেন, হাশিখুশি মেয়েদের অনুগত ও অবলা হিসেবে দেখা হয় বলে সম্ভবত ছেলেরা তাদের পছন্দ করে।

অন্যদিকে, গবেষক জেসিকা ট্রেসি বলেছেন, “গর্ব হতে পারে পুরুষের আত্মবিশ্বাস এবং জীবনসঙ্গিনী ও সন্তান ভরণ পোষণ করার মত সামর্থ্যরে ইঙ্গিতবাহী সূচক।”

আর তাই চেহারায় গর্বের ছাপ থাকলে তাকে পছন্দ করে মেয়েরা।

গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানীরা।

আমেরিকান সাইকোলোজিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশিত ‘ইমোশন’ নামক সাময়িকী গবেষণার ফল প্রকাশ করেছে। আর গবেষণাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে ‘দ্য হিন্দুস্তান টাইমস’।

গবেষণায় ১ হাজারের বেশি নারী-পুরুষকে এমন কিছু ছবি দেখানো হয় যেগুলোতে বিভিন্ন অভিব্যক্তির চেহারা ফুটে উঠেছে।

এরপর ভাললাগার ভিত্তিতে ছবিগুলোকে নাম্বার দিতে বলা হয়। ছবিগুলোতে কিছু ভাবলেশহীন চেহারাও ছিল।

এরপর দেখা যায়, মেয়েরা সবচেয়ে কম আকৃষ্ট হয়েছে হাশিখুশি পুরুষদের প্রতি। অন্যদিকে, গর্বে যাদের মাথা উঁচু তাদের প্রতি সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে তারা।

এছাড়া লাজুক চেহারার ছেলেদের প্রতিও তাদের আকর্ষণ দেখা গেছে।