শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১২

ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকম্পে ৫ জনের প্রাণহানি

 
ন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় বুধবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে এবং এক শিশু মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।


ইন্দোনেশিয়ার বিপর্যয় মোকাবেলা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরো নুগ্রহ বলেন, “হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে অন্তত দু’জন। ভয়ে হতবিহব্বল হয়ে মারা গেছে আরেকজন। আর শিশুটি আহত হয়েছে একটি গাছ উপড়ে পড়ে।” এ ব্যাপারে সুতোপো বিস্তারিত আর কিছু জানান নি।


হতাহত ও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি কি হয়েছে তা এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় জানান তিনি।


বুধবার ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে রাস্তায় নেমে আসে আতঙ্কিত লোকজন। ভূকম্পন অনুভূত হয় সূদূর দক্ষিণ ভারতেও। ভূমিকম্পের ২ ঘণ্টা পর কয়েকটি শক্তিশালী পরাঘাতও হয়। জারি করা হয় সুনামি সতর্কতা।


তবে পরবর্তীতে সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়। ২০০৪ সালের মতো বড় ধরনের কোনো সুনামির খবরও পাওয়া যায়নি।

‘দশ মিনিটেই বিধ্বস্ত’ উত্তর কোরিয়ার রকেট

উত্তর কোরিয়ার বহুল আলোচিত দূরপাল্লার রকেটটি উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিটের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা।


উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাঙের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কক্ষপথে আবহাওয়া উপগ্রহ পাঠানোর কথা বলে এই রকেট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা বিধ্বস্ত হওয়ায় ‘বিব্রতকর’ অবস্থায় পড়েছেন দেশটির নতুন নেতারা।


অবশ্য এ বিষয়ে উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের দাবি, শুক্রবার উত্তর কোরিয়া-চীন সীমান্তের উৎক্ষেপণ মঞ্চ থেকে ছাড়ার ১০ মিনিটের মধ্যে ‘উনহা-৩’ রকেটটি ১২০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে পীত সাগরে বিধ্বস্ত হয়।


দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “গোয়েন্দা তথ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, উত্তর কোরিয়ার রকেট উৎক্ষেপণ চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।


উত্তর আমেরিকার এয়ারোস্পেস ডিফেন্স কমান্ড (এনওআরএডি) বলছে, রকেটের নিচের অংশটি পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার পশ্চিম দিকের সাগরে। আর উপগ্রহ বহনকারী বাকি অংশ অন্য কোথাও পড়েছে।


বিধ্বস্ত রকেটের জঞ্জাল মাটিতে না পড়ায় কোনো বিপদও ঘটেনি বলে জানিয়েছে এনওআরএডি।


গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিশ্বজনমত উপেক্ষা করে এই রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যায় উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার আপত্তির পাশাপাশি ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন ও সাবেক মিত্র রাশিয়ার অনুরোধও তারা উপেক্ষা করে।


দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কর্মকর্তাই মনে করেন, উপগ্রহ পাঠানোর নাম করে উত্তর কোরিয়া আসলে পরমাণু অস্ত্রবাহী দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণেরই পরীক্ষা চালিয়েছে। এর আগে দুই বার পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি।


অবশ্য উত্তর কোরিয়ার দাবি, পৃথিবীর কক্ষপথে উপগ্রহ পাঠানোর বিষয়টি তাদের সার্বভৌম অধিকার, আর সেই চেষ্টাই তারা করেছে।

চশমায় গুগল!

স্যান ফ্রান্সিসকো, এপ্রিল ০৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)-

  বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর চলচ্চিত্রগুলোতে অনেক সময় চশমা চোখে দিয়েই ভিডিও দেখা বা ভিডিও যোগাযোগের ঘটনা দেখা যায়। এখন বাস্তবেই এমন চশমা নিয়ে আসছে ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগল।

মানুষের উদ্দীপনার সিগনালকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের চশমা তৈরি নিয়ে নিজেদের গবেষণার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করেছে গুগল।

বুধবার ‘প্রজেক্ট গ্লাস’ নামের এ গবেষণা সংশ্লিষ্ট ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট গুগল প্লাসে প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে দেখা গেছে, ক্ষুদ্র ডিজাইনের এ চশমায় রয়েছে মাইক্রোফোনসহ আংশিক-সচ্ছ্ব ভিডিও স্ক্রিন। স্ট্যাম্প-সাইজের এই ডিজিটাল ডিসপ্লে চশমার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে এবং এটি বসানো হয়েছে একদিকের লেন্সের উপরের কোণায়। ব্যবহারকারী তার ডান চোখ দিয়েই গুগলের সব সুবিধা কাজে লাগাতে পারবে।



অজানা কোনো গন্তব্যে যেতে এ চশমাতেই গুগল ম্যাপে দেখে নেওয়া যাবে সঠিক রুট, তুলে নেওয়া যাবে ছবি, তা শেয়ার করা যাবে বন্ধুদের সঙ্গে এমনকি করা যাবে ভিডিও কনফারেন্সও। তাছাড়া, এ চশমায় গান-বাজনাসহ অন্যান্য অডিও রেকর্ডিং শোনারও ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও এতে কোনো এয়ারফোন নেই।

গুগল এ ডিজিটাল চশমার ব্যাপারে ভোক্তাদের মন্তব্য আহ্বান করেছে। তবে কবে নাগাদ চশমাটি বাজারে পাওয়া যাবে বা এর দাম কতো হতে পারে তা নিয়ে কিছু জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।

‘গুগল এক্স’ নামের প্রতিষ্ঠানটির গবেষণাভিত্তিক ল্যাব তাদের এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমাদের কয়েকজন মিলে ‘প্রজেক্ট গ্লাস’ শুরু করি এমন একটি প্রযুক্তি তৈরির জন্য যা ব্যবহারকারীকে মূহুর্তের মধ্যেই সারা পৃথিবী অনুসন্ধান করা ও তা অন্যকে জানানোর সুযোগ করে দেবে।”

এতে আরো বলা হয়, এ পর্যায়ে এ গবেষণা সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে, কারণ এ ব্যাপারে সবার মূল্যবান মতামত জানতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।

অস্ত্রোপচারে থ্রিডি প্রযুক্তি


 অস্ত্রোপচারের সময় যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ থ্রিডি প্রজেকশন ব্যবহারের দাবি করেছেন ম্যানচেস্টার রয়্যাল হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

জন গ্রিন (৬২) নামের এক ব্যক্তির প্রোস্টেট অপসারণের সময় এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় বলে বিবিসি জানায়।

অস্ত্রোপচারের সময় হাই ডেফিনেশন স্ক্রিনে হ্যান্ড হেল্ড রোবোটিক হাতের থ্রিডি চিত্র দৃশ্যমান হয়।

গত মাসে স্টকপোর্টের স্টেপিং হিল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো একই ধরনের রোবোটিক হ্যান্ড হেল্ড ডিভাইস ব্যবহার করা হলেও পূর্ণাঙ্গ থ্রিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে অস্ত্রোপচার যুক্তরাজ্যে এই প্রথম।

পুরো প্রক্রিয়া থ্রিডিতে পর্যবেক্ষণের জন্য চিকিৎসক দল অস্ত্রোপচারের সময় বিশেষ এক ধরনের চশমা ব্যবহার করেন।

চিকিৎসকরা জানান, রোবোটিক ও থ্রিডি প্রযুক্তিকে সমন্বিত করলে অস্ত্রোপচারে আরো বেশি নমনীয়তা আনা যায়।

তবে আরো বৃহত্তর পরিসরে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের আগে স্বল্প সংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রেই শুধু এটি প্রয়োগ করা হবে।

ম্যানচেস্টার রয়্যাল হাসপাতালের মুখপাত্র জানান, থ্রিডি প্রযুক্তি একজন চিকিৎসককে সঠিকভাবে কাজ করার বড় ধরনের সুযোগ করে দেয়। এতে করে পেশি ও øায়ুর সমস্যার ঝুঁকি কমে যায়।

তিনি আরো বলেন, এটা একজন চিকিৎসকের ক্লান্তিভাব কমাতে সহায়তা করবে। এর অর্থ হলো, তারা আরো বেশি বেশি অস্ত্রোপচার করতে পারবে যার ফলাফল আরো ভালো হবে।

আর বেশি সংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তির ব্যবহার সহজলভ্য হবে বলে আশা করছেন ওই অস্ত্রোপচারের নেতৃত্বদানকারী সার্জন ডান ব্র“ক।

তিনি বলেন, “এ প্রযুক্তির যে সম্ভাবনা রয়েছে সে বিষয়ে ইতোমধ্যেই আমরা উৎসাহিত। প্রকৃতপক্ষে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবাকে লাভবান করতে পারে এমন উন্নততর ফলাফলের জন্য পরিকল্পনা করছি আমরা।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এফএফ/সিআর/১১৫৬ ঘ. 

৬শ’ সন্তানের পিতা!


ঢাকা, এপ্রিল ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- নিজের ফার্টাইলিটি ক্লিনিকে স্পার্ম দান করে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী বার্টল্ড উয়িসনার প্রায় ৬শ’ সন্তানের পিতা হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত শতকের ’৪০-’৬০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে লন্ডনভিত্তিক বার্টন ক্লিনিকে স্পার্ম দান করে প্রায় ১৫শ’ সন্তান ধারণে সহায়তা করেন নারীদের।


দ্য ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।


এ ক্লিনিকে জন্মগ্রহণকারী প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা কনাডার ব্যারি স্টিভেন্স ও লন্ডনের আইনজীবী ডেভিড গোলডনজ বার্টল্ডকে তাদের জৈবিক পিতা হিসেবে আবিষ্কারের পর তাকে ৬শ’ সন্তানের পিতা হিসেবে দাবি করেন।


ব্যারি ও ডেভিড এ ক্লিনিকে জন্মগ্রহণকারী আরো ১৮ ব্যক্তিকে সনাক্ত করেন যাদের ১২ জনেরই (দুই তৃতীয়াংশ) জৈবিক পিতাও একই ব্যক্তি। আর এ ফলাফলের ভিত্তিতে বার্টল্ড ৬শ’ সন্তানের পিতা বলে দাবি করেছেন ব্যারি ও ডেভিড।


দ্য সানডে টাইমস সংবাদপত্রকে ডেভিড বলেন, “সাধারণ একটা হিসেব হলো, বার্টল্ড হয়ত প্রতি বছর ২০ বার স্পার্ম দান করেছেন। যমজ শিশু ও গর্ভপাতের ঘটনাসহ জীবিত শিশুর হিসেব করলে আমার মনে হয়, তিনি ৩শ’-৬শ’ শিশুর পিতা।”


আর তাদের এ দাবি সত্য প্রমাণিত হলে বার্টল্ডই এক্ষেত্রে নতুন রেকর্ডধারী হবেন বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সম্প্রতি সর্বাধিক ১৫০ শিশুর পিতা হিসেবে আমেরিকার অজ্ঞাত এক স্পার্ম দাতার নাম উঠে এসেছে এ তালিকায়।


হাসপাতালটির প্রাথমিক ডোনারদের মধ্যে অন্যতম বার্টল্ড ১৯৭২ সালে মারা যান।