বুধবার, ৪ জুলাই, ২০১২

খোঁজ মিললো অটিজম ও ক্যান্সারের জিনের

খোঁজ মিললো অটিজম ও ক্যান্সারের জিনের

শিশুদের ক্যান্সার, অটিজম, এনলার্জড ব্রেইন এবং এপিলেপ্সি (মৃগী)র মতো রোগের জন্য দায়ী জিন শনাক্ত করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। টানা দুই দশকের গবেষণার পর এই আবিষ্কার করেন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল চিলড্রেনস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। খবর সায়েন্স ডেইলির।

বিজ্ঞানীরা জানান, ‘একেটিথ্রি, পিআইকেথ্রিআরটু এবং পিআইকেথ্রিসিএ’ এই তিনটি জিনের বিবর্তনের কারণে ক্যান্সার, অটিজম, এপিলেপ্সি এবং মেগালেনসিফালি বা এনলার্জড ব্রেইন সাইজের শিকার হচ্ছে শিশুরা। সব মানুষের শরীরেই রয়েছে এই তিনটি জিনের উপস্থিতি। কিন্তু যাদের শরীরে এই জিনটি রূপান্তরিত হচ্ছে, তারাই আক্রান্ত হচ্ছে ওই রোগগুলোতে। এর আগে পিআইকেথ্রিসিএ জিনটির ক্যান্সারের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা নিশ্চিত করেছিলেন বিজ্ঞানীরা।

সিয়াটল চিলড্রেনস রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এর ক্যান্সার স্পেশালিস্ট ডক্টর জেমস ওলসন এ ব্যাপারে বলেন, ‘টানা দুই দশকের গবেষণার ফসল এই আবিষ্কার। এর ফলে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের সঠিক চিকিৎসা সম্ভব হবে।’

শিশুদের দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল রোগ নিয়ে রহস্যের সমাধানে বড় একটি অগ্রগতি হিসেবে বিজ্ঞানীরা বিবেচনা করছেন এই আবিষ্কারকে। ‘বাচ্চাদের ব্রেইন ম্যালফাংশনের মতো কঠিন সমস্যাগুলোর পেছনের অনেক কারণই বোধগম্য হচ্ছে এই আবিষ্কারের ফলে।’

চীনে 'আইপ্যাড' ঝামলো মিটালো অ্যাপলের

চীনে 'আইপ্যাড' ঝামলো মিটালো অ্যাপলের

চীনের একটি স্থানীয় কোম্পানির সঙ্গে অ্যাপলের ‘আইপ্যাড’ নামের মালিকানা নিয়ে বিবাদের মীমাংসা হয়েছে। এজন্য অ্যাপল শেষ পর্যন্ত  ৬ কোটি মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে রাজি হয়েছে। খবর অরেঞ্জ নিউজ-এর ।

দি গ্যাংডং হাই পিপলস কোর্ট-‍এর রায়ে অ্যাপল এবং প্রোভিউ টেকনোলজি আইনি মাধ্যমে এই বিবাদের ইতি টেনেছে।

অ্যাপল জানিয়েছে, তারা ২০০৯ সালে প্রোভিউ টেকনোলজির কাছ থেকে আইপ্যাড নামটির গ্লোবাল রাইট কিনে নিয়েছিল। তবে চায়নিজ কর্তৃপক্ষের মতে চায়নায় এর মালিকানা ওই সময়ে হস্তান্তর করা হয়নি ।

তবে এই মামলার নিষ্পত্তির ফলে আর্থিক গচ্চা দিয়ে হলেও অ্যাপলের একটি গুরুত্বর্পূণ বাজারে আইপ্যাড বিক্রির ‍আইনগত জটিলতা শেষ হলো।


বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/সৌরভ/ওএস/এইচবি

নিজেই ব্যালান্স রাখবে ইলেকট্রিক বাইক

নিজেই ব্যালান্স রাখবে ইলেকট্রিক বাইক

দুই চাকায় নিজেই নিজের ভারসাম্য রক্ষা করে চলবে সি-১ মোটরসাইকেল। আর এই ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলটি তৈরি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক টু হুইলার ইলেকট্রিক ভেইক্যাল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লিট মটর্স। খবর গিজম্যাগ-এর।

থ্রিডি গ্রাফিক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর আগে একাধিক সেলফ ব্যালান্সিং টু হুইলার মোটরসাইকেলের ডিজাইন করেছেন অনেকেই। কিন্তু কম্পিউটারের মনিটর থেকে বেরিয়ে প্রথমবারের মতো পুরোপুরি কার্যক্ষম সেলফ ব্যালেন্সিং মোটরসাইকেলের প্রটোটাইপ তৈরি করতে সফল হলেন লিট মটর্স এর ইঞ্জিনিয়াররাই।

চেহারার দিকে থেকে অন্যান্য বাইকের সঙ্গে অনেক অমিল রয়েছে সি-১-এর। দূর থেকে দেখলে একে মোটরসাইকেল নয় বরং টানা ন্যানোর মতোই মনে হবে। আদতে সি-১ একটি পুরোপুরি কার্যক্ষম টু হুইলার ইলেকট্রিক মোটরবাইক।

আর সি-১-এর সেলফ ব্যালেন্সিং-এর পেছনের মূল রহস্য হচ্ছে এর দু’টি অনবোর্ড ইলেকট্রনিক জাইরোস্কোপ। এই জাইরোস্কোপ দু’টির বদৌলতেই নিজেই ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে দুই চাকার এই মোটরসাইকেলটি। এখনও প্রোটোটাইপ পর্যায়ে থাকলেও এর রোড টেস্টে সফল হয়েছেন নির্মাতারা। তবে এখনও সি-১ প্রোটোটাইপ-এর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১০ মাইলেই সীমাবদ্ধ রেখেছে লিট মটর্স।

সি-১ মোটরসাইকেল নিয়ে লিট মটর্স-এর প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল কিম জানিয়েছেন, সি-১ এর পরের মডেলটি হবে আরো হালকা। বাণিজ্যিকভাবে সি-১ বাজারজাত হবে ২০১৪ সালের মধ্যে। প্রডাকশন মডেলটির সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ১২৫ মাইল এবং প্রতিবার ব্যাটারি চার্জ করার পর ২০০ মাইল চলবে বাইকটি। আর মোটরসাইকেলটির টু সিটার ভার্সনটির দাম হবে ১৬ হাজার ডলার।

বাইকটির ইউটিউব ভিডিও লিঙ্ক: http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=O1aAmWim838#!

মঙ্গলবার, ৩ জুলাই, ২০১২

চিনির সাহায্যে তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম যকৃত

চিনির সাহায্যে তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম যকৃত

মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপনের উপযোগী কৃত্রিম যকৃত তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা। থ্রিডি প্রিন্টিং টেকনোলজি ব্যবহার করে কৃত্রিম রক্তকণিকা দিয়ে তৈরি হচ্ছে যকৃতের জন্য কৃত্রিম টিস্যু। আর এই কৃত্রিম রক্তকণিকাগুলো বেড়ে উঠছে চিনির মধ্যে। এ গবেষণার পেছনে রয়েছেন ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়া এবং এমআইটির বিজ্ঞানীরা। খবর বিবিসির।

ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়ার গবেষক ড. জর্ডান মিলার এ ব্যাপারে বলেন, ‘এই পন্থায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, সবগুলো আর্টিফিসিয়াল টিস্যুর মধ্যে জৈবিক টিস্যুগুলোকে জীবিত রাখা। কারণ টিস্যুগুলো চারপাশের টিস্যু থেকে অক্সিজেন এবং পুষ্টিগুণ শুষে নেয়ায় অন্য টিস্যুগুলো মারা যায়। এদিক থেকে চিনি খুবই নির্ভরযোগ্য পদার্থ। বায়োলজিকাল টিস্যুও চিনির উপস্থিতিতে খুব সহজেই রক্তে মিশে যায় এবং কোনো ক্ষতিও করে না।’

এমআইটির শিক্ষক প্রফেসর সঙ্গীতা ভাটিয়া চিনি দিয়ে কৃত্রিম যকৃত তৈরির পুরো প্রক্রিয়াটিকে বুঝিয়ে বলেন এভাবে, ‘পুরো ব্যাপারটি অনেকটাই মোমের ছাঁচ দিয়ে ফুলদানি তৈরি করা মতোই। মোমের ছাঁচ থেকে ফুলদানি তৈরি করতে হলে ছাঁচটির চারপাশে তরল ধাতব পদার্থ ঢালতে হয়। বাইরের ধাতব আবরণটি শক্ত হয়ে আসলে তাপে গলিয়ে নিতে হয় মোমের ছাঁচটি, থেকে যায় কেবল ফুলদানিটি। এক্ষেত্রেও অনেকটা একই পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। কেবল মোমের বদলে বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করছেন চিনি।’

বিজ্ঞানীদের মতে, টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অনেক সমস্যারই সমাধান করে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের এই গবেষণা। এ পদ্ধতিতে খুব শিগগিরই মাণব শরীরে প্রতিস্থাপনের উপযোগী অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরি করা সম্ভব হবে বলেই আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।





বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি

হিগস-বোসন কণা মিললো আমেরিকায়!

হিগস-বোসন কণা মিললো আমেরিকায়!

লার্জ হেড্রন কোলাইডার নয় বরং হিগস-বোসন পার্টিকালের অস্তিত্ত্বের জোড়ালো প্রমাণ আবিষ্কারের দাবি করলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ এনার্জির ফার্মিল্যাব-এর বিজ্ঞানীরা। শিকাগোতে ফার্মিল্যাবের টেভাট্রন অ্যাটম স্ম্যাশার থেকে পাওয়া তথ্যের মধ্যেই লুকিয়ে আছে গড পার্টিকল বা হিগস-বোসন পার্টিকলের অস্তিত্ত্বের প্রমাণ বলে জানিয়েছেন পদার্থবিজ্ঞানীরা। খবর এবিসি নিউজের।

২০১১ সালে টেভাট্রন অ্যাটম স্ম্যাশারটি বন্ধ করে দেয়ার পর অ্যাটম স্ম্যাশারটি থেকে পাওয়া আগের তথ্য নিয়েই গবেষণায় ব্যস্ত ছিলেন ফার্মিল্যাবের পদার্থবিজ্ঞানীরা। সেই তথ্যের মধ্যেই হিগস-বোসন পার্টিকলের অস্তিত্তে¡র প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবি করছেন গবেষকরা।

নিজেদের আবিষ্কারের পাশাপাশি লার্জ হেড্রন কোলাইডার থেকে সার্ন বিজ্ঞানীদের তথ্যও হিগস বোসন পার্টিকালের অস্তিত্ব প্রমাণ করবে, এমনটাই বিশ্বাস ফার্মিল্যাব বিজ্ঞানীদের।

এ ব্যাপারে ফার্মিল্যাব ফিজিসিস্ট রব রোসার বলেন, ‘হিগস বোসন পার্টিকলের অস্তিত্ত্ব যদি সত্যি হয়, তবে একাধিক পন্থায় এটি আত্মপ্রকাশ করবে। তাই আমরা এই মৌল কণাটি খুঁজে পেয়েছি বলার আগে এটির চারিত্রিক বৈশিষ্টগুলো নিশ্চিত হওয়া খুবই জরুরি।

হিগস-বোসন পার্টিকলকে বিজ্ঞানীরা বলেন গড পার্টিকল। পুরো মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য এই মৌল কণাটির মধ্যে লুকিয়ে আছে বলে মনে করেন পদার্থবিজ্ঞানীরা। এখন পর্যন্ত মৌল কণাটির অস্তিত্ত্বের কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ দিতে না পারলেও পদার্থবিজ্ঞানীরা এই গড পার্টিকলের খোঁজে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।