রবিবার, ৮ জুলাই, ২০১২

সবুজ সংকেত পেলো গোল-লাইন টেকনোলজি

সবুজ সংকেত পেলো গোল-লাইন টেকনোলজি

ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (ওঋঅই)-এর সমর্থন পেয়েছে ফুটবল খেলার গোলা লাইন প্রযুক্তি। ফিফার কাছ থেকেও সবুজ সংকেত পেয়েছে হক-আই এবং গোলরিফ নামের দু’টি গোল লাইন প্রযুক্তি। ২০১২-১৩ প্রিমিয়ার লিগ দিয়েই ফুটবল মাঠে অভিষেক হতে পারে নতুন এই প্রযুক্তির। খবর বিসিসির।

২০১২-১৩ মৌসুমে বৃটিশ প্রিমিয়ার লিগ ছাড়াও এই ডিসেম্বরেই ফিফার ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপে ব্যবহার করা হবে এই প্রযুক্তি। সফল হলে এর পর ২০১৩ সালের কনফেডারেন্স কাপ এবং ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলেও ব্যবহার করা হবে এই প্রযুক্তি।

হক-আই:
ফিফার অনুমোদন পাওয়া হক-আই সিস্টেমসটিতে রয়েছে ছয়টি ক্যামেরা যা ফুটবলটিকে মনিটর করবে এবং ট্রায়াঙ্গুলেশন সিস্টেম ব্যবহার করে বলটির অবস্থান নিশ্চিত করবে। ফুটবলটি গোল লাইন অতিক্রম করলেই একটি এনক্রিপ্টেড রেডিও সিগনাল পৌঁছে যাবে রেফারির হাত ঘড়িতে। পুরো ব্যাপারটি ১ সেকেন্ডেরও কম সময়ে হয়।

গোলরিফ:
গোলরিফ প্রযুক্তিতে ফুটবলটিতে একটি মাইক্রোচিপ দেয়া থাকে এবং বলটির চারপাশের চৌম্বক ক্ষেত্রকে মনিটর করা হয়। ফুটবলটি গোল লাইন অতিক্রম করলেই চারপাশের চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তন মনিটর করে এবং এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে রেফারিকে জানিয়ে দেয় গোল হয়েছে কি না।

এদিকে মাঠে গোল লাইন টেকনোলজির অভিষেক হতে পারে প্রিমিয়ার লিগ দিয়েই। এ ব্যাপারে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অনেকদিন ধরেই প্রিমিয়ার লিগ গোল লাইন টেকনোলজির সমর্থন করে আসছে। যত দ্রুত সম্ভব মাঠে এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে।’



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি

শুক্রবার, ৬ জুলাই, ২০১২

হতাশা ও উদ্বেগের পেছনে শৈশবের শাস্তি’

শৈশবে ধাক্কা, থাপ্পর বা আঘাত পাওয়া শিশুদের মধ্যে পরবর্তীতে হতাশা, উদ্বেগ ও ব্যক্তিত্বের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সম্প্রতি কানাডার একদল গবেষকের পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। পেডিয়াট্রিকস সাময়িকীতে এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

২০০৪-২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জরিপের জন্য নেওয়া ৩৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির সাক্ষাতকারের তথ্যের ভিত্তিতে নতুন এ গবেষণা করা হয়েছে।

শিশু বয়সে কতবার শারীরিক শাস্তি পেয়েছে, পিতামাতার মাদক বিষয়ক বা কারাগারে যাওয়ার মতো পরিবারের অন্য কোনো সমস্যা ছিলো কিনা এবং বর্তমান বা অতীতের মানসিক সমস্যার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের।

অংশগ্রহণকারীদের ছয় শতাংশ জানায়, তাদের ‘মাঝে মাঝে’, ‘মোটামুটি প্রায়ই’ অথবা ‘প্রায়ই’ শারীরিক শাস্তি দেওয়া হত। আর এদেরই মানসিক সমস্যা অথবা মাদক ও মদ ব্যবহারের সঙ্গে বেশি সংশ্লিষ্টতা লক্ষ করা গেছে।

উদাহরণস্বরূপ, শারীরিক শাস্তি পাওয়ার কথা স্মরণ করতে পেরেছে এমন মানুষের ২০ শতাংশ মনোবল হারিয়েছে এবং ৪৩ শতাংশ মাদক গ্রহণ করেছে। অপরদিকে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শারীরিক শাস্তি পায় নি অথচ মনোবল হারিয়েছে এমন ব্যক্তির সংখ্যা ১৬ শতাংশ ও অতিরিক্ত মদ্যপানকারীর সংখ্যা ৩০ শতাংশ।

এসব সংযোগ বের করার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীদের পারিবারিক সমস্যা, গোত্র, আয় ও শিক্ষাগত যোগ্যতাও বিবেচনা করেছেন গবেষকরা।

প্রধান গবেষক মানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেসি আফিফি ও তার দল জানায়, শারীরিক শাস্তির কারণে শিশুদের দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপের সৃষ্টি হতে পারে যা থেকে পরবর্তীতে হতাশা বা উদ্বেগের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

গবেষকদের এ ধরনের ফলাফলে সমর্থন জানিয়েছেন মনস্তত্ববিদ ও টোলেডো কলেজ অব মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ুথ ভায়োলেন্সের শিক্ষক মিশেল নক্স।

তবে শুধু শাস্তির কারণেই যে শিশুদের মানসিক বৈকল্য ঘটে তা মনে করেন না তিনি।

নক্স বলেন, সাক্ষাতকারদাতারা হয়ত জানেন না তাদের পিতামাতার মানসিক অসুস্থতার কোনো ধরনের চিকিৎসা হয়েছে কিনা। আর হতাশা ও উদ্বেগ অনেকটা বংশানুক্রমিকভাবেই চলে আসে।

উইন্ডোজ ৮-এর বিস্তারিত জানালো মাইক্রোসফট


উইন্ডোজ ৮-এর বিস্তারিত জানালো মাইক্রোসফট



সম্প্রতি মাইক্রোসফট প্রথমবারের মতো তাদের পরবর্তী অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই সংস্করণকে ‘উইন্ডোজ ৮’ বলেই ডাকা হবে বলেও জানিয়েছে মাইক্রোসফট। খবর ম্যাশএবল-এর।


সূত্রমতে, উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমটি ৩২ ও ৬৪ বিট দু’ধরনের হার্ডওয়ারেই চলবে। তবে প্রধানত চার ধরনের উইন্ডোজ ৮ বাজারজাত করা হবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।


‘রেগুলার উইন্ডোজ ৮’ থাকছে একেবারেই সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য। এতে কম্পিউটিংয়ের দৈনন্দিন যাবতীয় কাজ করা যাবে।


‘উইন্ডোজ ৮ প্রো’ থাকছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ডেভেলপার এবং প্রযুক্তিমনস্ক মানুষের জন্য। এতে অ্যাডভান্সড কিছু সুবিধা যেমন ফাইল এনক্রিপ্ট করা, ভার্চুয়াল হার্ড ড্রাইভ থেকে বুট করা ইত্যাদি থাকছে। এছাড়াও মিডিয়া সেন্টার পিসিতে ব্যবহারের জন্য উইন্ডোজ ৮ প্রো এবং মিডিয়া প্যাক অ্যাড-অনের প্রয়োজন পড়বে যা সাধারণ উইন্ডোজ ৮-এ দেয়া থাকবে না বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।


‘উইন্ডোজ ৮ আরটি’ ট্যাবলেট ডিভাইসে চালানোর উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। আরটি বলতে কী বোঝানো হচ্ছে সে ব্যাপারে মাইক্রোসফট পরিষ্কার কিছু না জানালেও ম্যাশএবল ধারণা করছে ‘রান-টাইম’ বোঝাতেই আরটি যোগ করা হয়েছে। তবে এআরএম চিপের জন্য তৈরি এই উইন্ডোজের সংস্করণ আলাদা কিনতে পাওয়া যাবে না। সংশ্লিষ্ট ট্যাবলেট ডিভাইসেই জুড়ে দেয়া থাকবে উইন্ডোজ ৮ আরটি। সেই সঙ্গে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট এবং ওয়াননোটের বিনামূল্যের একটি সংস্করণও প্রি-ইনস্টলড থাকবে উইন্ডোজ ৮ আরটি-চালিত ট্যাবলেট ডিভাইসে।


এই তিনটি ছাড়াও আরও বড় কাজের জন্য ‘উইন্ডোজ ৮ এন্টারপ্রাইজ’ সংস্করণ রয়েছে বলেও জানিয়েছে মাইক্রোসফট। এতে উইন্ডোজ ৮ প্রো-এর সব সুবিধার পাশাপাশি আইটি প্রফেশনালদের জন্য বাড়তি কিছু সুবিধাও যোগ করা থাকবে; যেন একাধিক কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কিং আরও সহজে করা যায়। এছাড়াও চীনসহ বেশ কিছু দেশের জন্য স্থানীয় ভাষাতেও একটি লোকাল-ল্যাঙ্গুয়েজ সমৃদ্ধ উইন্ডোজ ৮ বাজারে ছাড়বে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উইন্ডোজ ৮-এর নতুন এই পরিকল্পনার মাধ্যমে বাজারকে আরও বড় করে তুলছে মাইক্রোসফট। একইসঙ্গে যার যে কাজে কম্পিউটার প্রয়োজন, তাকে অপারেটিং সিস্টেমের ঠিক সেই সংস্করণ (রেগুলার, প্রো, আরটি অথবা এন্টারপ্রাইজ) ব্যবহার করতে বাধ্য করাও মাইক্রোসফটের পরিকল্পনার অংশবিশেষ বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।

তবে কবে নাগাদ সার্বিকভাবে প্রস্তুত উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আসবে, সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানায়নি মাইক্রোসফট।

অনুমোদন পেল গোল-লাইন প্রযুক্তি

 গোল-লাইন প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নীতি-নির্ধারকরা। এর ফলে বিষয়টি নিয়ে প্রায় এক দশক ধরে চলা বিতর্কের অবসান হলো।

জুরিখে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে বল গোল-লাইন অতিক্রম করেছে কিনা সেটা নির্ধারণের জন্য দুইটি আলাদা প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি)। যার একটি হচ্ছে হক-আই (যেটা টেনিস ও ক্রিকেটে ব্যবহার করা হয়), অন্যটি গোলরেফ।

ফিফার সেক্রেটারি জেনারেল জেরোম ভালকে জানিয়েছেন, ব্রাজিলে ২০১৪ বিশ্বকাপে গোল-লাইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

ভালকে বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই প্রযুক্তিটি ডিসেম্বরে টোকিওতে অনুষ্ঠেয় ক্লাব বিশ্বকাপে, ২০১৩ সালের কনফেডারেশন কাপে এবং ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ব্যবহার করা হবে।”

গত কয়েক বছর ধরে গোল-লাইন প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে ফুটবলের নীতি-নির্ধারক কমিটির ওপর চাপ বাড়তে থাকে। বিশেষ করে ২০১০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে জার্মানির বিপক্ষে ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের গোলটি রেফারি বাতিল করে দিলেও পরে টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায় বল গোল-লাইন অতিক্রম করেছিলো।

যদিও ওই সময়ে গোল-লাইন প্রযুক্তির বিপক্ষেই ছিলো ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। কিন্তু সদ্যসমাপ্ত ইউরো ২০১২ এ গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গোল বঞ্চিত হয় ইউক্রেন।

ওই ম্যাচের পর ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটার এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছিলেন, “আজ রাতের পর গোল-লাইন প্রযুক্তি আর প্রয়োজন নয় বরং আবশ্যিক হয়ে গেছে।”

তবে ফিফা গোল-লাইন প্রযুক্তির পক্ষে অবস্থান নিলেও এখনো এর বিপক্ষে উয়েফা। উয়েফা সভাপতি মিশেল প্লাতিনি মনে করেন, এর ফলে ফুটবলে আরো বেশি প্রযুক্তি ব্যবহারের পথ উম্মোচিত হয়ে যাবে।

গোল-লাইন প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি একম্যাচে ৫ জন রেফারি ব্যবহারেরও অনুমতি দিয়েছে আইএফএবি। চ্যাম্পিয়নস লিগে এবং ইউরো ২০১২ এ পরীক্ষামূলকভাবে ৫ রেফারি ব্যবহার করা হয়েছিলো।

এ ছাড়াও এখন থেকে মহিলা ফুটবলাররা চাইলে মাথায় স্কার্ফ বেঁধে খেলতে পারবেন।

থানায় থানায় স্টেডিয়াম নির্মানের পরিকল্পনা

শুধু বিভাগ এবং জেলায় নয়, দেশের প্রতিটি থানায় একটি করে স্টেডিয়াম নির্মানের পরিকল্পনা নিচ্ছে ক্রীড়া মন্ত্রনালয়। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকারই এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি উদ্যোগী।

দেশের একেবারেই তৃণমূল পর্যায়ে খেলাধুলা ছড়িয়ে দিতেই এই উদ্যোগ নিচ্ছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার লক্ষ্য দেশের খেলাধুলার উন্নয়ন ঘটানো। এর জন্য প্রয়োজন তৃণমূল পর্যায়ের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি। তাহলেই দেশের খেলাধুলার উন্নয়ন হবে।”

“এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব হলে, দেশের খেলাধুলায় একটা বিপ্লব ঘটবে। আশা করছি আমাদের সরকারের মেয়াদেই সম্ভব হবে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন,” যোগ করেন আহাদ আলী।

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর বিশ্বাস পরিকল্পনাটি বড় হলেও তা করে যেতে সক্ষম হবেন তিনি। তিনি বলেন, “প্রতিটি থানায় একটি করে ‘মিনি’ স্টেডিয়ামে নির্মান চারটিখানি কথা নয়। এর জন্য প্রয়োজন অনেক অর্থের, অনেক সময়ের। সবকিছু ঠিকভাবে হলে আমার বিশ্বাস তা করতে সক্ষম হবো।”

আহাদ আলী সরকার মনে করেন শুধুমাত্র মাঠের অভাবেই অনেক প্রতিভার বিকাশ ঘটছেন না। তিনি বলেন, “দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে খেলাধুলার তেমন সুযোগ সুবিধাই নেই বলেই চলে। অনেক খেলোয়াড় নিয়মিত অনুশীলন করতে পারছেন না। তাই অনেক প্রতিভারই সঠিক বিকাশ ঘটছে না।”

“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার খেলাধুলার উন্নয়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। গত তিনবছরে আমরা অনেকগুলো কাজ করেছি। এই উদ্যোগ তারই একটি অংশ,” যোগ করেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।

অবশ্য এই উদ্যোগটি এখনো পরিকল্পনাধীন। এ ব্যাপারে আহাদ আলী সরকার বলেন, “এই বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে এই ব্যাপারে দ্রুত একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো।”

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইচ